এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা-মিডিয়াম

    tatin
    অন্যান্য | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১২৫৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 130.39.149.48 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:০১459563
  • পালি/প্রাকৃত মেনশন করলাম তাই। সেইসব ভাষায় হেভি হেভি পড়াশুনো হতো, বিশ্ববিদ্যালয় চলতো, কিন্তু টপ ডাউন এপ্রোচ থাকায় সেসব কোথায় হারিয়ে গ্যালো!

    আর ......স্কুলের মাধ্যম ইংরাজীতে হলে , সব সময় ইংরাজী বলাতে উত্‌সাহ দেওয়া হলে, বাবা মা কে এংরাজীতে কথা বলতে ও বলাতে উত্‌সাহ দেওয়া হলে, গাল গল্প এগুলো ও ইংরাজীতে হওয়াই তো স্বাভাবিক। নয় কি ?......

    শিক্ষিত জনতার মধ্যে তা-ই কতকটা হাইলি হবে- তবে ঐ সংস্কৃত মন্ত্রগুলোর মতন করে কিছুটা গান কবিতা বেঁচে থাকতে পারে-
    আর ডায়ালেক্টের মতন করে অশিক্ষিত লোকের বাংলা-
  • pi | 128.231.22.87 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:১২459564
  • হ্যাঁ, এরকম হলে সেটাই ভবিষ্যত । সেটা মেনে নিতে আপত্তি না থাকলে কোনো দাবী নাই :)
  • Raj | 202.79.203.43 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:১১459565
  • ভবিষ্যত তো ভালই

    জেলায় বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলিতে এখনও ভালই ভীড়ভাট্টা হয় মফ:স্বলে প্রচুর ইংরিজি মিডিয়াম থাকা সত্বেও অনেক ছেলেমেয়ে পড়তে আসে , দলে দলে বর্ষে বর্ষে এবং বাংলা মিডিয়ামেই :-) জেলার অনেক অখ্যাত ইস্কুল থেকেও আজকাল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে ছেলেমেয়েরা প্রথম দশে থাকছে । কলকতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে নিম্ন-মধ্য-উচ্চ মধ্যবিত্তরা ইংলিশ মিডিয়ামেই শুধু ১০০% যাচ্ছেন এটাও ঠিক নয়, বালিগঞ্জ গভ: , যোপুপা বয়েজ , যাদবপুর বিদ্যাপীঠ , কমলা গার্লস , শেখাওয়াত, পাঠভবনের ওয়েটিং লিষ্ট দেখলে ডিপিএস-ডিএভিও লজ্জা পাবে, কাজেই হিন্দু -হেয়ারও স্টুডেন্ট পাচ্ছে না এই সব আরবিট তথ্য বলে দেওয়ার আগে একদিন ঐসব ইস্কুলে ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:১৪459566
  • Raj, বাংলা মাধ্যমের এই বিপুল চাহিদা সামাল দিতে গত দশ বছরে কলকাতায় তৈরী হওয়া দুটি নতুন বাংলা ইস্কুলের নাম বলুন ।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:১৮459567
  • রাজবাবু, কোন সালের তথ্য দিচ্ছেন?
  • Raj | 202.79.203.43 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:২৭459568
  • আবার বাবু ক্যানো :-) কোন সালের বলে মনে হচ্চে আপানার ? ঘুরে আসুন না ঐ স্কুলগুলি থেকে একবার ... আজই.... তাহলেই বুঝবেন কোন সালের।

    আর দুখে আপনি প্লিজ এইরকম আড্ডা দিতে এসে একঘেয়ে চিমটি কাটা কুনাল ঘোষ মার্কা পোশ্নো কর্বেন না , দরকার হলে আমার পোষ্টগুলি ইগনোর করবেন - সবিনয় নিবেদন
  • tatin | 70.177.55.6 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৪১459569
  • আপ্নে আমার পোস্টে খোঁচালেন আর দুম করে সেটা ইগ্নোর করব- সিপিয়েম পেয়েছেন নাকি!

    হেয়ার হিন্দুর কথাটা কিঞ্চিত জেনে শুনেই লেখা আর কি!
  • raj | 202.79.203.43 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৪৩459570
  • "জেলার অনেক অখ্যাত ইস্কুল থেকেও আজকাল মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে ছেলেমেয়েরা প্রথম দশে থাকছে" http://www.bankura.org.in/Portal/index.php?option=com_content&task=view&id=78

    সেন্ট জেভিয়ার্স হলদিয়া ছাড়া সব্বাই তো দেখছি বাংলা মিডিয়াম
  • tatin | 70.177.55.6 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৪৮459571
  • ট্রেন্ডটা এত প্রকটভাবে দশবছর আগের নয়, ইদানীং কালের। এখনকার টেন যারা তারা দশ বছর আগে বাংলা না ইংলিশ ডীসিশন নিয়ে ফেলেছিল।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৪৯459573
  • আরে না: না: - চটেন ক্যান দাদা ?
    উট সম্বন্ধে প্রশ্ন চলবে কি ?
  • Raj | 202.79.203.43 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৫২459574
  • আহা ... সবে তে সিপিয়েমকে না টানলে আপনাদের যে চলে না তা জানি :-) তবে হেয়ার -হিন্দু ছেলে পাচ্ছে না - এটা এক্কেরে ভুল তথ্য।

  • d | 59.161.145.132 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৫৮459575
  • এক বন্ধুর কাছে জানলাম বাংলাদেশে স্কুল লেভেলের পরে বাণিজ্য, চিকিৎসা ও প্রকৌশল পুরোপুরি ইংরাজীতে পড়ানো হয়। ন্যাচারাল সায়েন্সের প্রায় সব বিষয়ই ইংরাজীতে। কয়েকটা কোর্স বিচ্ছিন্নভাবে বা বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলায় পড়ানো হতে পারে বা বাংলায় পরীক্ষার উত্তর লেখার অপশান থাকে। মানবিক বিভাগগুলি সম্পর্কে এই বন্ধুর ধারণা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:০১459576
  • বাঘা তেঁতুলের নাম নিয়েই নিলেন যখন বুনো ওল মনে পড়ে গ্যালো যে :D
    আর বলছেন যখন আরেকবার খোঁজ নিয়ে দেখি, ছেলে পাচ্ছেন কিরকম ওনারা- ততক্ষণ আন্দাজ আপনা আপনা
  • lcm | 69.236.173.214 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:৩৩459577
  • দুখে, কলকাতায় নতুন বাংলা মিডিয়াম স্কুল হয় তৈরি হয় নি, তার কারণ চাহিদা নেই। আর, ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল, ইন্‌ জেনারেল, বাংলা মিডিয়ামের থেকে ব্যয়সাপেক্ষ। যার জন্য আরবান্‌ এরিয়া-তে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বেশী।

    রাজ যে কথা বলেছে সেটা ঠিক, কিন্তু এরা হল বাংলা মিডিয়ামের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা। আসলে, মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মিডিয়াম-টা ততটা ম্যাটার করে না। শুরুতে একটু অসুবিধা হলেও, উচ্চশিক্ষা বা চাকরি ক্ষেত্রে তারা আল্টিমেট্‌লি জায়গা করেই নেয়। এদের অনেকের ক্ষেত্রেই ইংরেজির প্রবলেমটা কনফিডেন্স সংক্রান্ত, এবং, নিজেরাই সেটা কাটিয়ে ওঠে।

    মুশকিল হয়, বাংলা মিডিয়াম থেকে পাশ করা মাঝারি মানের ছাত্রছাত্রীদের। তাদের জন্য যথেষ্ট পরিমান চাকরি নেই। শহরের ছোটখাটো চাকরিতে, এমনকি শপিং মলে স্টোর অ্যাটেড্যাণ্টের চাকরিতে বা লেবার ম্যানেজে্‌মন্টের কাজেও একটু ইংরেজি চায়। এই সমস্যা, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সারা ভারত তথা অন্য অনেক দেশেরই।

    শহরের মানুষ ইংরেজি মিডিয়াম প্রেফার করে, কারণ ইংরেজি জানা থাকলে মাঝারি মানের স্টুডেন্টদের চাকরির ক্ষেত্রটা একটু বেড়ে যায়, একটা অ্যাড্‌ভান্টেজ থাকে; এখনও, "কম্যুনিকেশন স্কিল' বলতে ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা ধরা হয়। বাংলায় ভাল কমুনিকেশন হলে তাকে বলা হয় "বলিয়ে কইয়ে'। এবং, শহরের মানুষ ইংলিশ মিডিয়ামের খরচটা অ্যাফোর্ড করতে পারে। গ্রামের মানুষ এই খরচ বইতে পারে না। গ্রাম বা শহরতলীর মানুষকে যদি একই খরচায় চয়েস দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু অনেকেই ইংরেজি মিডিয়াম প্রেফার করবে। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা-র মতন কিছ কিছু রাজ্যে এটা অলরেডি খানিকটা হয়েছে, প্রত্যন্ত প্রান্তেও দেখা যায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। আর, এই চয়েস থাকা না থাকাটা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ততটা প্রভাবিত করে না, মেদিনীপুরের বা গোরক্ষপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ঠিকই উঠে আসে। এখনকার সমস্যা হল, সাম্প্রতিক কালে উচ্চশিক্ষার এবং ছাত্রবস্থায় জীবনযাত্রার অস্বাভাবিক খরচ বৃদ্ধি, সরকারি/বেসরকারি সব মিলিয়ে । এটা ঘোর সমস্যা।

    আমার মনে হয়, মিডিয়াম নিয়ে যে সমস্যার কথা তাতিন বলতে চেয়েছে সেটা তত সিরিয়াস কিছু এখনও হয়ে ওঠে নি। বাংলায় সালোকসংশ্লেষ না পড়ে ইংরেজিতে ফটোসিন্থেসিস পড়ার কারণে বাংলা ভাষা নিয়ে আগ্রহ কমেছে বলা যায় না। উল্টো দিক দিয়ে দেখলে, ফটোসিন্থেসিস-এর বদলে সালোকসংশ্লেষ পড়ার ফলে কি বাংলা ভাষায় আগ্রহ বাড়ে? বলা মুশকিল।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:৫১459578
  • সালোকসংশ্লেষ বেশ ভাল পরিভাষা । কিন্তু লোকের কাজে না লাগলে পরিভাষা তৈরী হবে না । পৃথিবী এগোবে, প্রযুক্তি এগোবে, কিন্তু বাংলায় সেগুলো নিয়ে লেখা দুরূহ হবে । বাংলা আমাদের উচ্চশিক্ষায় লাগে না, কাজকম্মে লাগে না । আমাদের কাজের ভাষা ইংরিজি, বিনোদনের ভাষা হিন্দি । শুধুমাত্র সাহিত্যের জোরে বাংলা তার অন্তিম লড়াই লড়ছে । কিন্তু কতদিন? উৎপল বসুর কবিতায় 'একবীজপত্রী উদ্ভিদের মত' পড়ে বা অন্য কারো লেখায় 'কেলাসিত সৌন্দর্য' কথাগুলো পড়ে কি ইংরিজি মিডিয়াম মানে বুঝতে পারবে ? শব্দগুলো আস্তে আস্তে মুছে যাবে । এবং নতুন শব্দ আসবে না । পরিণাম?
    নিদেনপক্ষে সরকারি কাজে বাংলার ব্যবহারটা যদি সর্বাত্মক করা যেত !
  • a x | 99.73.43.62 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:৫৮459579
  • যেসব বাচ্চাদের বাবা-মা'র প্রজন্ম ইংরেজি জানে, যাদের ইংরেজি বই-এর অ্যাক্সেস আছে, যারা ইংরেজিতে সিনেমা দেখতে এবং খবর শুনতে অনভ্যস্ত না, তাদের জন্য বাংলা না ইংরেজিতে পড়ল, তা দিয়ে কিচ্ছু এসে যায়না পরবর্তীকালে। এই স্ফিয়ারের বাইরে যারা, তাদের জন্য কনফিডেন্স ইত্যাদির প্রশ্ন। কিন্তু মজাটা হল, ঠিক ঐ প্রোফাইলের লোকজনই বেশি বেশি করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে যায়, ঠিক ঐ প্রোফাইলের লোকজনেরাই মনে করেন ইংরেজিতে না পড়লেই জীবন চৌচির (ইন জেনেরাল)।
  • a x | 99.73.43.62 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:০০459580
  • ডি: বাংলা না ইংরেজিতে পড়ল কিছু এসে যাবেনা বলতে আমি মধ্যমিক অবধি বোঝাচ্চি, এসে যাবেনা - পরে উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি মাধ্যমে বদলে যেতে, কলেজে পড়াতে, ইন্টারভিউ ইত্যাদি দিতে
  • Sags | 114.143.7.146 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:৫০459581
  • এটা খুব ভালো একটা আলোচোনার বিষয়। এখানে আমার মতন বেশিরভাগেই বাংলা মাধ্যমের ছাত্র।

    আমার মতে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ইঙ্গরেজি মাধ্যম অনেক বেশি pragmatic choice। এর কারন হোলো দুই, ১) নিজের জীবনে দেখেছি ইঙ্গলিশ জানা, এবং ভালো জানা খুব-ই জরুরি। অন্তত এটুকু বলতে পারি, অনেক দুর এবং দ্রুত এগোতে গেলে ভালো কথা বলতে জানতে হয় যাকে বলে superior communication skill, যা দিয়ে presentation, আলোচনায় বা রিপোর্ট লিখে তাক লাগিয়ে দেওয়া যায়। নইলে খুব মুশকিল, শুধু material দিয়ে হয় না। সেই flow, usage of words, বাক্যের বাঁধন আনতে গেলে যেটা খুব দরকার তা হোলো স্কুল লেভেলেই ভাষা-টার উপরে ফান্ডামেন্টাল দক্ষতা, যার উপরে পরবর্তি কালে ঘষা-মাজা করতে হবে

    ২) কলেজে গিয়ে দেখতাম যে ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেপুলেরা ফটাফট কথা কয় যেটা আমি তেমন ভাবে পারিনা। কনফিডেন্সের বারোটা বেজেই যেতে পারতো। তবে এটাও ঠিক বেশির ভাগ ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেপুলেরা আসে অর্থনৈতিক ভাবে better ঘর থেকে যার ফলে একটা পার্থক্য দেখাই যায়।

    এবারে তিনটে কথা আছে,
    ১) এখোনো বেশির ভাগ competitive exam ইংলিশ-এ দিতে হয়। তারপরে উচ্চশিক্ষার জন্যে ইংলিশ দরকার। এবং আমি শুধু ভাষা ইংলিশ বলছি না, অন্য বিষয়গুলোর কথা বেশি করে বলছি যেগুলো ইংলিশ-এ শেখা দরকার। বাঙ্গলার বাইরে পড়তে বা কাজ করতে গেলে ইংলিশ ছাড়া উপায় নাই।

    ২) শিল্পোন্যয়ন হলে অনেক লোকের কাজ হয়, তখন বাঙ্গলা মিডিয়াম বলে খুবেকটা কাউকে বাদ দেওয়া যায় না। যেটা মুম্বাই-তে দেখি। অনেক সাধারন ছেলে ইংলিশ মিডিয়ামের নয়, কিন্তু ভালো-ই করে খাচ্ছে। এখানে স্পোকেন ইংলিশ এর প্রচুর ক্লাশ হয়, যেখান থেকে অনেকেই কাজ চালানোর মতন ইংলিশ বলা আর লেখা শিখে নেয়।

    ৩) আর জাপান বা কোরিয়া অন্য দেশ। তাদের উন্নতির সাথে আমাদের তুলনা চলেনা। টোকিয়োর স্টক মার্কেটে শুনেছি বেশির ভাগ-ই জাপানী স্ক্রীন বা মনিটর।
  • Biplob Rahman | 202.164.213.4 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:১১459582
  • একটি মানবিক আহ্বান: মৌলবাদ নির্যাতীত বাংলাদেশের কার্টুনিস্ট আরিফের মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। লিংক:http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=10611
  • biplab pal | 69.140.137.240 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:২৮459585
  • আমি একদম গ্রামের বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি। সৌভাগ্যবশত জীবনে ইন্টারভিউ খুব বেশী না দিয়েও আমেরিকাত দিব্যি আছি- বেশ কিছুদিন আমেরিকাতে মার্কেটিং এ কাজ ও করেছি। এখন ত আমেরিকাতে আস্ত একটা ইমার্কেটিং কোম্পানী ও চালাচ্ছি!

    আসলে বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামটা গুরুত্বপূর্ন না। ভাষাটা শিখতে গেলে সাহিত্য পড়তে হবে-দুটো ভাষাতেই পড়তে হবে-এবং ইংরেজি, ভুগোল, ইতিহাস, বিজ্ঞান দুটো ভাষাতেই লিখতে ও পড়তে হবে। নইলে ভোকাব বাড়বে না-এক্সপ্রেশন আসবে না। আমি মাধ্যমিক পর্যন্ত দুটো ভাষাতেই ভূগোল, বিজ্ঞান, ইতিহাস পড়তাম। এবং নিজে নিজেই চর্চা করেছি দুটো মিডিয়ামে প্রস্তুত হতে-যার জন্যে উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজি মিডিয়ামে সুইচ ওভার করার সময় আমার সমস্যা হয় নি-যদিও অনেক বাংলা মিডিয়ামের ছেলেদের সমস্যাটা ছিল।

    মোদ্দা কথা ছোটবেলাতে ভাষাটাকে গুরুত্বদিয়ে শিখতে হবে-গ্রামার শিখে লাভ নেই-বরং সেই ভাষার সাহিত্যে দখলটা দরকার। সেটা হলে কোন মিডিয়াম-কিছু যায় আসে না। আমি দুটো ভাষাতেই শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছি-আমার কখনৈ কোনটা কম কঠিন বা সহজ মনে হয় না। কারন ভাব থেকে ভাষা আসে-একটা ধাপের পড়-ভাবটা ঠিক থাকলে ভাষার সহজ গতি রুদ্ধ হয় না।
  • Altaf | 180.234.42.156 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:১১459586
  • বাংলাদেশে বাংলা মাধ্যম নিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তেমন কমেছে বলে জানি না। এ নিয়ে কোনও সমীক্ষার কথাও জানা নেই। এখানকার এইসব আলোচনা পড়ে ঢাকার দুজন পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললাম। কথা বলে আমরা একমত হলাম: উচ্চবিত্তদের মধ্যে আগে যেমন প্রবণতা ছিল এখনও তেমনটাই আছে : ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাত্রা। বা, দেশেই প্রতিষ্ঠা লাভ। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনোয় খরচ যা, মধ্যবিত্তের পক্ষে তা চালানো কঠিন, এ কারণেও বাংলা ছেড়ে ইংরেজিতে গমনোদ্যতের সংখ্যা কম। তবে ভারতে কাজ পাওয়া বা প্রতিষ্ঠা লাভের ক্ষেত্রে ইংরেজিশিক্ষা যেমন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে বাংলাদেশে তেমনটা হয়নি বলেই মনে হয়। কলকাতার সাহিত্য পড়ছি শৈশব-কৈশোর থেকে, বেতারনাটক শোনা হয়েছে অনেক সে বয়স থেকে, ছবি দেখা হয়েছে বহু, আজকের কলকাতার অবস্থা দেখে আশঙ্কা হয় বইকী বাংলা ভাষা চর্চার ভবিষ্‌য়্‌ৎ নিয়ে। তবে এখনই যতটা খারাপ অবস্থার কথা ভেবেছিলাম, কারো কারো আলোচনা পড়ে ততটা খারাপ মনে হয়নি।

    বাংলা ভাষার চর্চা কমে যেতে পারে ভাবতেই খুব কষ্ট হয় তো। কিন্তু কী জানি কেমন দিন অপেক্ষা করে আছে সামনে।
  • Mojontali Sorkar | 59.93.192.175 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:১৫459587
  • Raj আর Sags খুব ভালো ভাবে ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন যে সবকিছুই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আর অনেকে যেভাবে মনে করছেন যে englishmakestheworldgoround ব্যাপারটা আদৌ তা নয়। চিনের মহাকাশবিজয়যজ্ঞে Taikonauts দের জন্য নির্দেশাবলী সহ অনেক কিছুই শুধুই চৈনিকেই লেখা হচ্ছে। LHC-র কাগজপত্র একাধিক ভাষায় তর্জমা করা হয়ে থাকে যার মধ্যে একাধিক ইয়ুরোপীয় ভাষার সাথে কয়েকটি এশিয় ভাষাও আছে। অর্থাৎ ইংরাজী বিহীন হয়ে থেকেও উচ্চদরের বিজ্ঞান চর্চাও খুবই সম্ভব কিন্তু তার প্রচলন করার কোনো সদিচ্ছা এযাবত এখানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী দেখায় নি।

    আমাদের এখানে আজ যে হতাশাবিলাসের হাল তা কিভাবে এল সেটা বিশ্লেষণ না করতে পারলে এর সমাধান হবে না। শুরুটা সবাই জানেন, লাট ম্যাকুলের নীতি অনুযায়ী লাটখোর এক বাবু শ্রেণী তৈরী করা হল যারা চলনে বলনে ইংরাজ এর সমকক্ষ হয়ে দেশজ সব কিছুকেই হ্যাটা করা নিজেদের ধর্ম বলে মনে করত। সেই থেকেই এক সামাজিক চিন্তা-কমপ্লেক্সের সূচনা হয়। কিন্তু ইউরোপীয় সংস্রবে ঘটা নবজাগরণ আদৌ বাঙালীয়ানাকে ছিন্নমূল তো করতেই পারেনি বরং সমৃদ্ধ করেছে। নবজাগরণের ছোয়ায় বাঙালির সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানচর্চা সবেতেই একটা উতকর্ষতা দেখা গেছিল যা বিশ্বমানের হলেও পুরোপুরি ১৬আনা বাঙালি। এর প্রত্যক্ষ সুফল উত্তম সুচিত্রা জেনারেশান অব্দি টিকেছে। এর পর একটা বড় ক্ষতি হল দেশ ভাগ। ভাবতে অবাক লাগে, যে বাঙালি, পাঞ্জাবি আর মারাঠিরা স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশী আত্মত্যাগ করেছে স্বাধীনতার প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে ক্ষতি করা হয়েছে তাদেরই। মারাঠাদের বাজার পুরো বেদখল করে তাদের ছিবড়েপোষ্য হতে অভ্যস্ত করা হল, পাঞ্জাবকে ভাঙা হল আর বাংলা? একবার নয়, বারবার কেটে খন্ড বিখন্ড করে ভেঙে দেওয়া হল পূর্ব আর উ.পূর্বের বাংলাভাষীদের জমি আর বাজার যা ততকালীন বাংলাকেন্দ্রিক শিল্প ইউনিটগুলির একপ্রকার জীবনবীমা ছিল। যারা বিলেতি শাসকদের পদলেহনে দক্ষ ছিল, তারাই যে যার মতো ক্যাম্প বেছে নিয়ে চেপে বসল আমাদের ঘাড়ে। শাসকের চামড়ার রংটাই শুধু বদলাল, চরিত্র বদলালো না। শুরু হলো 'ইন্ডিয়া' বা 'ভারত' নামক এক আজগুবি সোনার পাথরবাটির নির্মান। এটা তো সবাই মানবেন যে এমনকি নবাবী আমল অব্দি বাঙলার শাসকেরা সর্বদাই বাঙলার এক স্বাধীন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বজায় রাখতে সচেতনভাবে সচেষ্ট ছিল। সুবে বাংলাটা চিরকালেই ছিল প্রতিটি বাদশার রাতের দু:স্বপ্ন। খাজনাটাও দিল্লিতে নিয়মিত যেতনা। কিন্তু স্বাধীন সেই বাঙালিরাতো ভারতীয়ই ছিল নাকি? শশাঙ্কের যুগেও ছিল। ভারতীয় হওয়ার জন্য ভারত রাষ্ট্রের থাকার কোনো দরকার নেই। আজকের ভারত একটা ইল্যুশান। এর ধাঁচা গড়া হয়েছিল ইংরেজদের গোলাগুলির গুন্ডামির জোরে। আজ দেশ হিসাবে দুনিয়ার কাছে যে অবয়ব তুলে ধরা হয় তা শুধু মেট্রো গুলি আর উত্তর ভারতের মহিমা। বাংলা, বিদর্ভ, উতকল, কাশ্মীর, অহম, ত্রিপুরা ইত্যাদি অহিন্দিভাষী অঞ্চলের অস্তিত্ব শুধু extension গোছের। এসব জায়গায় শুধু বিহার ইউপির বাড়তি লোকের বোঝা সামলানোর জন্য অঢেল জায়গা রাখা আছে। আর আমাদের জাতীয় পতাকায় যে মূল্যবোধ গুলোকে তুলে ধরা হয় যেমন ধরুন 'গেরুয়া মানে ত্যাগ' ইত্যাদি বুলি, সেগুলোকে জীবনের মন্ত্র করলে ইন্ডিয়ার পথের পাশে ফাটা কৌটো হাতে বসে থাকতে হবে আর আপনার পাশ দিয়ে হুশ করে চলে যাবে ন্যানোগাড়ি। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে একনায়কতন্ত্রের প্রতি সুস্পষ্ট আহ্বান (বিলাতী রাজপুত্তুরের গল্প এখন গৌন, দেশ নতুন রাজপুত্তুর পেয়ে গেছে যে! অভিষেক আসন্ন।)। আমাদের টাকায় এই সেদিনও সংবিধান স্বীকৃত সব কটা ভাষাকে সমান মর্যাদা দেওয়া হতো কিন্তু এখন আর কি বলবেন? হিন্দি হরফের আদলে নতুন চিহ্ন এসে গেছে যার সঙ্গে কোনো আঞ্চলিক হরফেরই কোনো মিল নেই। তৈরী থাকুন মাসতুতো ভাইয়েরা হাত মিলিয়েছে, শিগগির পাহাড়টাও কেটে নিল বলে। তারপরে ঝাড়খন্ডিরা তো পা বাড়িয়ে আছেই।

    যাই হোক এতো গেল রাষ্ট্রীয় পটভূমি। এরপাশেই, উত্তম সুচিত্রা প্রজন্মের শেষদিকে বাংলায় শক্ত জমি পেল ভামপন্থা। এদের পুরোভাগে একঝাঁক তরুণ নবীন নেতা, যাদের নতুন ধারার কেতা। সবাই এসেছে মধ্যবিত্তের ঘর থেকে, কেউ কেউ আবার উদ্বাস্তু সন্তান। এদের মনে অনেক জোশ। সোচ্চার মুখে প্রবল বিদ্বেষ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। নতুন কিছু করে দিল্লির পালটা একটা অস্তিস্‌ত্‌ব খাড়া করার যেন আকাঙ্খা। কোয়ালিফিকেশান? কেন বাস জ্বালানো, ট্রাম পোড়ানো, স্লোগানবাজী? একজন বিলেতফেরত ব্যারিস্টার আছেন পুরোভাগে, আপাতত ওতেই চলবে, আগে তো খেল শুরু করা যাক। তা কি করা যায়? ও হরি, সেটাও জানো না মনু? না সারা দেশ যখন এগোচ্ছে, আমরা নাহয় পিছনেই যাই? ওতেই আলাদা দেখাবে। ওরা আধুনিক শিল্প আনছে তো কি, আমরা যেগুলো আছে সেগুলোর পিছনেও কালী ঘোষ এন্ড কোং লেলিয়ে দেব খন! হুঁহুঁ বাবা বেঙ্গল কেমিক্যালও আজ আমাগো কব্জায়। পালিয়ে কোথায় তুমি যাবা? আর কম্পিউটার? নৈব নৈব চ। রাশিয়া, চিন আর পু. জার্মানী চালাচ্ছে তো কি, ঐ যন্ত্রের মন্ত্র তো আমরা ঠিক বুঝিনা। এসে গেলে আমাদের পরের প্রজন্ম আমাদের ছাপিয়ে যাবে যে? গদিটা এখনো গরমই হলোনা, আর একটু বসতে দিন? তাই ঐ যন্ত্রটি হলো গিয়ে আপনার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী, কায়ামি স্বার্থলোভী... ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদির প্রতীক। কম্পিউটার নয়, ঐ তো আমাদের বঙ্গবিখ্যাত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার এবার বলে দিলেন যে ইংরাজী তুলে বাংলা প্রচলন করতে হবে? হ্যা বাংলাই হবে! আমরা বাংলা আনবো রাশিয়া আর চায়না থেকে, রঙিন সব সস্তার বই যাতে 'কাতিয়া এখন আনলে, ভানিয়া তারপর ইশকুল গেলে'গোছের বাংলা থাকবে। ঐ যেমন আমরা সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি স্পষ্ট করে দিয়েছি? তেমনি বাংলা আর অপবাংলার প্রভেদটাও বেশ পষ্ট করে দেব। বাঙালিয়ানার পালটা হিসাবে বানাবো বাঙালিপনা। বুঝলেন না এটাও? আরে প্রথম সিন্থেসাইজার থেরেমিনটা সোভিয়েতেই বানানো তো কি? রাশিয়ান 'পলিভক্স' বা 'ক্রিমিনাল সং' সারা বিশ্বে সমাদৃত তো কি? আমাদের বুলশেভিক গোমড়াথেরিয়াম কালচার কাকু যখন একবার বলে দিয়েছেন, তো উষা উত্থুপ নতুন ধারার বাংলা গান আর গাইতে পারবে না ব্যাস! নইলে কেস ঠুকে দেব ওর সাউথ ইন্ডিয়ান থোঁতা মুখ আরো ভোঁতা করে। পুরানো চাঁদ, ফুল তারার প্যানপ্যানানি আর ভালো লাগছে না? অ বুজেছি। সত্যিই তো, আসলে কোলকাতার কোনো পাড়ায় তো আর একটাও খেলার মাঠ নেই। ছিবড়েপোষ্য ছাপোষার পাল গুলোর যান্ত্রিক জীবনে কোনো ছন্দও নেই। পার্কেও শান্তিতে প্রেম করতে দেবোনা ব্যাটাচ্ছেলেদের। নাগরিক নির্মানের নামে স্থাপত্যশৈলীর মা-বাপ ভোলানো ডিব্বার মতো কংক্রিটের খাঁচার সারি বানানো হবে অগুনতি সারি সারি এখন ওখানে। আধুনিক বস্তিবাড়ি একেকটা (ভাগনে, ভাইপোরা প্রমোটারি ছাড়া আর করবে কি? শিখেছে আর কিছু?)। progress নাই বা হলো, development তো হচ্ছে? তো গানের সুরগুলো একটু ন্যাকা ন্যাকা ঠেকছে আজকাল না? আচ্ছা আপনারা বরং গণসঙ্গীতের বেসুরো হেঁড়ে কোরাসে গলা মেলান। ততদিনে আমরা কিছু বাকী কাজ সেরে ফেলি যাতে এশহরে আর সুর্যোদয় তো দেখাই যাবেনা, বড়জোর সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন পয়সা দিয়ে। আমরাই গড়ে দেব মিলেনিয়াম পার্ক। টুলো পন্ডিতরা তো এখনো বেশী না লিখলে নম্বর দেয়না। ওটাই চলুক। টীচারদের ইউনিয়নের বরং টেস্ট পেপার বেচা রপ্ত করা উচিত। এবিটিএ কেমন একচেটিয়া দেখেছেন? কে বলে আমরা শিল্প বাণিজ্যে অদক্ষ? আর দিস্তা দিস্তা নোটস গেলানোর টিউশানি ক্লাস চলুক। যত ভারী খাতা তত ভালো ছাত্র। এটাই ভালো। গিলতে জানবে পড়তে জানবে না। লিখতে জানবে, থামতে জানবে না। বাংলা নিয়ে আমাদের সঙ্গে চট করে আর আগামী প্রজন্মের কেউ কারিকুরি করতে আসবে না। কি বললেন? এখন অন্যান্য ভারতীয় ভাষার ইউনিকোড ফন্ট তৈরী শুরু হয়ে গেছে? সরকারী কাজ আঞ্চলিক ভাষার কম্পিউটারে হচ্ছে? সেটা কি ব্যাপার ভাই? ও দিয়ে ব্রিগেড ভরে? নইলে থাক। হয় অপেক্ষা করুন, নয়তো বাংলাদেশে যান গিয়ে। ইতিমধ্যে আমরা পোশাকি আইন বানিয়ে বলবো যে সব কটা দোকানের নাম বাংলায় লিখতে হবে যাতে পরে আমাদের কেউ কিছু না বলে। কেউ মানুক না মানুক ভারী বয়েই গেল, বরং মানুক সেটা তো আমরা চাইই না। চিনের রান্না আর জ্যাকিচ্যান, জাপানের ওয়াবিসাবি কারাতে আর কার্টুন, রাশিয়ার ভদকা, কোরিয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এর মধ্যে সারা দুনিয়ার কালচারের অংশ হয়ে যাকনা, আমরা বরং দেখবো যাতে ত্রিপুরার লোকের কথা কলকাতা ভুলে যায়, সিলেটের থেকে স্তালিনগ্রাদ বেশি কাছে আসে আর গিরিডি শুনলে লোকে ভাবে কাসিনির মতো কিছু, হয়তো বৃহস্পতির বলয়ের নাম। হারিয়ে যাক তালমিছরি আর সাদা পাটালি, খেজুর গুড়। জাপানি সাকি ভাত দিয়ে তৈরী তো কি, বাংলা মদ তো খায় শুধু যত শুয়োরের...। আহা দু:খ পাবেন না। আজকাল আর পাতে ফেলার মতো বাংলা লেখা বিশেষ মেলে না তো কি? এখন পুজোর সাহিত্য, পুজোর গান সব ফ্যাক্টরি মেড মাল গোছের তো কি? এটাই তো অপবাংলার বিরুদ্ধে ফাংশনাল বাংলার জয়! অপবাংলা নিপাত যাক। বাংলা হল সব উঠে যাচ্ছে তো কি? ছৌ, কালকেতু ফুল্লরা, বুদ্ধু ভুতুম কে লোকে ভুলে গেছে তো কি? লর্ড অব দা রিংস দেখুন। বেদের মেয়ে জোসনা নয়তো তার বদলে লাল পান বিবি আপনার ভাল্লাগেনি তো কি? ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকিং শুরু হয়নি তো কি? সিনেমা দেখা, বই পড়া ছেড়ে দিন পয়সা বাঁচবে। মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান, চলছে চলবে। নিয়ম করে বইমেলা তো আছে প্রতি বছর? সেখানে খুব ভালো খাবার পাওয়া যায়। আগুন লাগলে দেখায়ও বেশ! টালিগঞ্জে কলাকুশলী ইয়ুনিয়ন করা আছে কয়েকটা যাতে আর চট করে মেম্বার হওয়াও যায় না, আর তার সেজদাদু প্রজন্মের মেম্বাররা বিরিয়ানি খেয়ে আপনার বাজেট বাড়াবে আর চালাতে জানেনা বলে আধুনিক ক্যামেরা না ছুঁয়ে একপাশে জামাই সেজে বসে থাকবে। আর যদি তাদের ভাড়া না নিয়ে লুকিয়ে বানাতে যান তো কেলিয়ে আপনার বাপের নাম খগেন করে ক্যামেরা তুলে নিয়ে চলে যাবে। হিন্দিতে ঝুঁকবেন না যেন আবার, ওটাও অপসংস্কৃতি। ঐ রাজ্যগুলোতে আমরা কল্কে পাইনি তো তাই। নাহলে বিমানদাতো একবার বলেই বসেছিল, কম রেড গণ, এবার হিন্দি শিখুন। একদিন যখন আমরা থাকবোনা, বাঙালিও আর বাঙালি থাকবেনা। লোকে ভাববে আমারাই টিকিয়ে রেখেছিলাম বাংলাকে।
  • kc | 89.203.49.18 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:২৪459588
  • উপরের লেখাটা কেলোবাবুরই তো?
  • pi | 72.83.80.105 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:২৮459589
  • না:, কেলোদা নন। কেলোদা মার্কেট থেকে জাস্ট হাওয়া। কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
  • kc | 89.203.49.18 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:৩৫459590
  • আলবৎ কেলো।
  • pi | 72.83.80.105 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:৩৯459591
  • বলছি, না !
  • pantha | 202.59.136.5 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৩৭459592
  • মোটাদাগে বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র মোটামুটি এরকম- বড়লোকদের জন্য ইংলিশ মিডিয়াম, মধ্যবিত্তের জন্য ইংলিশ ও বাংলা মিডিয়াম (মিক্সড আর কি), নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য সরকারি স্কুলের বাংলা মিডিয়াম। আর গরীব, নিম্নবিত্তের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা। বিভাজন আরো আছে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়ারা বাংলা মিডিয়ামের চেয়ে দেশ, রাজনীতি, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে খুব কমই জানে। না জানাটাকে আর ফটফট করে ইংরেজিতে কথা বলাটাকে তারা স্ট্যাটাস সিম্বল হিসেবে দেখে। তবে, সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না। তাদের বেশিরভাগেরই লক্ষ্য থাকে, বিদেশে অভিবাসী হওয়া। কোনো কোনো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাংলা বলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এসব স্কুলে বাংলা মিডিয়ামে পড়াশুনাকে নিচু স্ট্যাটাস এবং ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনাকে উঁচু স্ট্যাটাস বলে একেবারে ছোটবেলাতেই শিক্ষার্থীদের ধারণা দেয়া হয়। বাংলা মাধ্যম থেকে যারা বের হচ্ছে, তারাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়, রাজনীতিতে আসে, প্রশাসনে যোগ দেয়, শিল্প সংস্কৃতির চর্চা ধরে রাখে। যদিও লোভনীয় মাল্টিন্যাশনালগুলোতে চাকরি-বাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকে এখন ইংরেজি মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছেন।
  • mojokat | 59.93.192.175 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:১২459593
  • "... ইংরেজিতে কথা বলাটাকে তারা স্ট্যাটাস সিম্বল হিসেবে দেখে। তবে, ... ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাংলা বলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এসব স্কুলে বাংলা মিডিয়ামে পড়াশুনাকে নিচু স্ট্যাটাস এবং ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনাকে উঁচু স্ট্যাটাস বলে একেবারে ছোটবেলাতেই শিক্ষার্থীদের ধারণা দেয়া হয়।..."

    এসব হল সেই 'মেকুলে-কমপ্লেক্স' এর ট্রাডিশান যা আজো সমানে চলিতেছে। এসব জনগণমনরোগ সারাতে লোকাচার (popculture)-এর একটা বড় ভূমিকা থাকে। ধরুন এই সুতোর আলোচনা যদি একটু বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া যায় আর সাথে ঐ নাক উঁচু হাঁসজারুদের নামে 'মেকুছানা' বা 'হাইব্রিড' টাইপের কিছু একটা বিদ্রুপ চালু করে দেন, কিছু SMSjokes চালাচালি হয়, তো কিছুটা ফল নিশ্চই আসবে। সাথে কিছু সরকারী সিদ্ধান্তও প্রয়োজন।
  • mojokat | 59.93.192.175 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:১৩459595
  • আরেকটা জিনিস মাথায় এল। পরিভাষা তৈরীর ক্ষেত্রে সংস্কৃতের মতো শুকনো মড়া ছিবড়ে ভাষার উপর নির্ভরতা বজায় রাখা বোধহয় খুব বড় ভুল হয়েছে। ইমি বা বামি উভয়েই কিন্তু এখনো নির্দ্বিধায় যায়গামতো "ডাক্তার, মোক্তার, মুন্সেফ, হাসপাতাল" কপচায়। আরবিরাও এভাবেই নিজেদের মতো করে ভেঙে তুবড়ে 'তিলিফিস্যুন, সেলফুন' বলে। আজকের জাপানের হাজার হাজার 'জাপানি' শব্দ আসলে এইরকম তোবড়ানো ইঞ্জিরি (BattleRoyale= বাত্যুরু রোয়ারু)।

    তো আমাদের computer=কম্পু, ডিস্ক=চোকতে, ইউ এস বি কি=খুঁচকি চালু করতে আটকে ছিল কোন শালায়? যন্ত্রগণক বা চক্রপাতের থেকে অন্তত পাবলিকে বেশি খেত।

    আমাদের নতুন meme কোথায়? সেই 'ঢপের চপ' তো কবেই 'ট্যাঁশের' প্রথম প্রজন্ম খেয়ে গেছে। এর বাইরে বড়জোর ক্যালানি আর ফচকে। এর পর তো Appo, Funda সবই...

    আর ওপারে তো এর মধ্যেই বেশ - ছাগু, জাঝা, জটিলস, খেকz, হাহাপগে আরো কতকিছু আসছে!

    কিন্ত এখানে তো 'কৃষ্ণ করলে লীলা আমরা করলে বিলা' বা 'ভজ গৌরাঙ্গ' গাইতেই তেড়ে এসে ভাজাপা বা আর কেউ কেস ঠুকে দেবে - এটা একটা ভয় হিসাবে চেপে গেছে।

    বাবা সেহগল পুরোনো হওয়ারও এক দশক আর এমিনেমের পাঁচ বছর পর বিখ্যাত সুরকার অভিজিত বাবুকে (কাঁটাতার, হাউসফুল) একবার জিগালাম স্যার একটু হিপহপ/রাপ বানালে... তো উনি প্রায় স্টোনম্যান হয়ে গেলেন শুনে! ব্যাস আমিও চুপ। উঠোনটা বোধহয় একটু বেশিই ব্যাঁকা ততদিনে। সিন্থেসাইজার ধরতে চাপা ভয় হয়তো? নইলে কথা লিরিক রেডি ছিল।

    যেকোনো ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখে এবং বাড়ায় ছড়ায় তার hi-art কালচার না, আগে ছড়ায় popculture, trashycampkitsch, pastiche. ছ্যাবলামো, ভাঁড়ামো, নষ্টামো আর লুচ্চামো। ডেভিড ধবান আর সালমান, গোবিন্দা। fuck আর shit.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন