এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • আই এস আই - কত যে মধুর স্বপ্ন ছিল

    dukhe
    নাটক | ১৭ অক্টোবর ২০১১ | ৩৩২৬৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • apratim | 169.237.46.123 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:২৮493827
  • এবিএম ওরফে জন্তু ওরফে বম্বম ওরফে গোদা ওরফে দোগ্যে। জীবনের লক্ষ্য পাঁচটি - মার্কস, মানি, মাল, মেয়ে, মাংস । হতাশাও পাঁচটি - হয় না, হচ্ছে না, হত না, হল না, হবে না। শান্তিপ্রিয়, ঋষিসুলভ, সঙ্গীতপ্রেমী-কাম-কন্ঠশিল্পী, আবেগপ্রবণ। এহেন জন্তুকে নিয়েই আমাদের নতুন সিরিজ - জন্তুচরিত।

    জন্তুচরিত ১ - জন্তু ও ড্যানড্রাফ

    ডিপিএসজির পরীক্ষা। স্ট্যাট ২ খুব সম্ভবত। প্রশ্নটি ছিল এইপ্রকার - একগুচ্ছ জনগনের উচ্চতা ও চুলের দৈর্ঘ্যের কোরিলেশন ঋণাত্মক। কিন্তু কোন একটি ফ্যাক্টরের সাপেক্ষে পার্শিয়াল কোরিলেশন নিলে দেখা যায় তা প্রায় অনুপস্থিত। ফ্যাক্টরটি কি যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।

    জন্তুর উত্তর - এত সহজ ব্যাপার। ফ্যাক্টরটি হৈল খুসকি। কারণ উচ্চতা বাড়লে অল্টিচিউড বাড়ে। অত:পর সূর্যকিরণ তীব্র হইতে তীব্রতর হইয়া স্কাল্পের উপর আপতিত হয়। ফলস্বরূপ খুসকির বাড়বাড়ন্ত - চুলের পুষ্টির অভাব - চুলের দৈর্ঘ্য হ্রাস - চুলপড়া ইত্যাদি ইত্যাদি। ডিপিএসজি "গুড লর্ড" বা "ক্রেজি ম্যান" জাতীয় কিছু একটা লিখে দিয়েছিলেন মনেহয় উত্তরপত্রে।
  • Tirthang | 140.247.29.235 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:০৩493828
  • খেলাধুলোর কথা তো কেউ বলছে না? মহলানবিশ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই সমস্ত আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়ানুষ্ঠানের গপ্পো?

    সেবার ইন্টার ক্লাস ফুটবল প্রতিযোগিতা খুব জমে উঠেছে। ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী এম টু তে দিল্লী চ'লে যাবার ফলে এম টু-র গোলকিপার নিয়ে একটা ঘোর সংকট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু গোলগাল নাদুসনুদুস অমিত চৌধুরী - যে জীবনে কখনো তেকাঠির নিচে দাঁড়ায়নি - সে দলের এমন পরিস্থিতি দেখে অকুতোভয়ে দুর্গরক্ষার দয়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।

    প্রথম খেলায় নিজেদের পেনাল্টি এরিয়া থেকে করা ডিফেন্ডার গোপালের একটা নিরীহ ক্লিয়ারেন্স বিপক্ষের গোলে ঢুকে যাওয়ায় এম টু জিতে গেছে। তাই সবাই বেশ চনমনে অবস্থায় আছে।

    এবার এম টু-র সঙ্গে বি-ওয়ানের ম্যাচ। বি-ওয়ানের টিম খুবই শক্তিশালী, বগা আর রাজার মত পাওয়ারফুল এবং স্কিল্‌ড্‌ ফুটবলার আছে। ফার্স্ট হাফেই এম টু একটা গোল খেয়ে গেল। দ্বিতীয়ার্ধেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হলনা। বি-ওয়ানের আক্রমণ বন্যার জলের মত এম টু-র ডিফেন্সে মুহূর্মুহূ আছড়ে পড়ছে। আরও গোল খাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এম টু-র রুদ গুলিত (আবাপ মতে খুলিত) কল্পতরু সারা মাঠ জুড়ে খেলেও দলকে চাঙ্গা করতে পারছে না।

    এমন সময়ে রাজার পায়ে বল পড়তেই সে আবার লাল কাপড় দেখা ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মত ধেয়ে এল এম টু-র গোলের দিকে। তারপর এক বুলেটের মত শট - অমিতের বাড়ানো হাতে লেগে বল গোলে ঢুকে গেল আর সেইসঙ্গে অমিতও হাত চেপে ধরে ভূমিশয্যা গ্রহণ করল। মানে নেট এবং গোলকীপার যুগপৎ ঘায়েল। গোলকিপার রিটায়ার্ড হার্ট।

    বেচারা তীর্থ সাইডলাইনের ধারে ফুলপ্যান্ট আর হাওয়াই চটি পরে দাঁড়িয়ে প্রাণপণ চেঁচিয়ে দলকে উজ্জীবিত করার ভূমিকা দায়িত্বসহকারে পালন করছিল; কে যেন তাকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে এম টু-র গোলে দাঁড় করিয়ে দিল। খেলার আর মিনিট পাঁচেক বাকি; তীর্থ গোলপোস্টের পাশে হাওয়াই চটি ছেড়ে প্যান্ট গুটিয়ে ভয়ে কাঁপছে আর দুর্গানাম জপছে - গোল হোক ক্ষতি নেই, কিন্তু অঙ্গহানি হলে বড়ই বিপদ! একটাই ভরসা, দু গোল দিয়ে বি ওয়ান খেলাটা কিছুটা হলেও হালকাভাবে নিয়েছে।

    কিন্তু না - ঐ আবার ট্যারা ন্যাড়া মিত্তিরের মত রাজা ঝাঁ ঝাঁ ক'রে তেড়ে আসে যে! ডিফেন্সে কেউ কোত্থাও নেই - রাজা শট নিতে উদ্যত - হঠাৎ তীর্থর গলা দিয়ে একটা অদ্ভুত জান্তব চিৎকার বেরিয়ে এল - বলতে গেছিল, "কেউ কোত্থাও নেই, আস্তে মার, গোল হয়ে যাবে' কিন্তু অমন ভয়ঙ্কর চাপের মধ্যে সেটা মনোজদের অদ্ভুত বাড়ীর রাজামশাইয়ের বলা "তাতিরাতাচি গামা হন্ডুরাস' বা "গিমি গড়গড়ি কেরোসিন বোম' টাইপের কিছু একটা হয়ে যায়। রাজা কেমন ভেবড়ে গিয়ে শট নিল, কিন্তু পোস্টের অনেক বাইরে নিয়ে। তারপর কোমরে হাত দিয়ে একটা রক্ত-জল-করা চাউনি দিল তীর্থ-র দিকে।

    কিন্তু সেই অসামান্য গোলরক্ষার জন্যই শেষ পর্যন্ত খেলার ফল ০-২ থেকে গেল। এদিকে অমিতের ফ্র্যাকচার হওয়া হাতে প্লাস্টার করতে হল। পরোপোকারী গোপাল হাত ভাঙা অমিতকে স্নান করিয়ে দেবার আগ্রহ প্রকাশ করাতে অমিত কেমনভাবে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াত, সে এক অন্য গপ্পো।

  • Tim | 198.82.25.6 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:১৩493829
  • :-)))
  • aka | 168.26.215.13 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০২:২০493830
  • :)))) তীর্থং দা গুচ্ছ হয়েছে এটি।
  • hu | 12.34.246.73 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৩:৪৪493831
  • হাহাবিখে
    (বলো দেখি কি?)
  • aka | 168.26.215.13 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৩:৫০493832
  • ইজি বিজি লেমন স্কুইজি (ছেলে শিখিয়েছে)।

    হাসতে হাসতে বিষম খেলাম। 8)
  • Sr | 117.194.194.0 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:৫৯493833
  • পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল কল্পতরুর সঙ্গে হাজির-জবাবে পাল্লা দিতে পারত পুঁটেদা (আসল নাম অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, এম স্ট্যাট ১৯৮৫)।

    পুরোনো বয়েজ হোস্টেলের প্রথম যুগের কথা। এই টইয়ের পাঠকদের প্রায় সবাই বোধ হয় তখন হামাগুড়ি দেয়, কেউ কেউ হয়তো মাতৃগর্ভে। পুঁটেদা মেস ম্যানেজার। সকালে ঘুম-ঘুম চোখে মেসে ঢুকেছে, দ্যাখে টেবিলে এক সিনিয়ার বসে, বোধ হয় তাপসদা (সামন্ত, কোনো কারণে বয়েজ হোস্টেলে খাচ্ছিল তখন, হয়তো আর এস হোস্টেল বন্ধ ছিল)।

    আধাজাগ্রত আধাঘুমন্ত অবস্থায় ম্যানেজারকে সামনে পেয়ে সিনিয়ারের ঠাট্টা করার ইচ্ছে জাগল, "কি হে, মেষ(মেস-)পালক?"

    নন্‌চ্যাল্যান্ট ভঙ্গিতে চলতে চলতেই পুঁটেদার তুরন্ত জবাব, "হুঁ:, মেষের আবার পালক।"
  • dukhe | 202.54.74.119 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:২৬493834
  • আহা - সেইসব ফুটবলের দিন। তখনো বাংলার ভাগ্যাকাশে দাদার উদয় হয়নি, কৃশাণু-বিকাশের দলবদল নিয়ে জোর জল্পনা চলত।
    সেই মাঠে একবার সব নিয়মিত খেলোয়াড় বাড়ি থেকে এসে পৌঁছয়নি বলে যশো পাজাম পাঞ্জাবি পরে খেলতে নেমেছিল। আরেকবার দেবোপম নেমেছিল সিগারেট ধরিয়ে এবং বল দেখলেই ধোঁয়া টানতে টানতে সসম্ভ্রমে সরে গিয়ে সবাইকে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছিল । একদা দুহাতে চশমা খুলে উড়ন্ত বলকে তাক করে লাফিয়ে উঠত নিতাই, হেড করে আশ্চর্য কৌশলে শূন্যেই আবার সেই চশমাকে যথাস্থানে ফিরিয়ে দিয়ে। কখনো মাঠের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের মত বয়ে যেত বকা - সম্পূর্ণ অন্যমনস্কভাবে নিজেদের এবং প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে ধরাশায়ী ক'রে ।
    সেবার রাজা-গোলুদের সঙ্গে পরের ব্যাচের ছেলেদের খেলা । নিতান্ত নিরীহ একটা বল ড্রপ খেতে খেতে জুনিয়রদের গোলকীপার ডালমিয়ার কাছে যাচ্ছে। বলকে নিসি্‌চন্তে গার্ড করে নিয়ে যাচ্ছে ডিফেন্ডার অর্ণব নন্দী। এমন সময় পেছনে আকস্মিকভাবে গোলুর ভয়াল গর্জন - হেই, হুশ। ব্যস - কোথা হইতে কী হইয়া গেল - নন্দী আর ডালমিয়া অজানা বিপদের আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বলের মায়া ছেড়ে দুদিকে সরে গেল, নিরীহ বলখানা সেই আলতো ড্রপ খেতে খেতেই নিরুপায়ভাবে গোলের মধ্যে।
  • Chyang | 94.1.39.195 | ২৪ মার্চ ২০১২ ০৫:১৭493835
  • :)
  • Sibu | 74.125.59.177 | ২৪ মার্চ ২০১২ ০৫:৫৮493838
  • সেই গন্ডারের মত হল। ফেব্রুয়ারীতে পোস্ট পড়ে মার্চে হাসি।
  • lcm | 128.48.44.141 | ২৪ মার্চ ২০১২ ০৬:২০493839
  • কম্পুটার প্রোগ্রামিং অ্যাসাইনমেন্ট দেখে মনে পড়ে গেল।
    দেবাশিস রায় এর কম্পু প্রোগ্রামিং-এর প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। ম্যট্রিক্স ইনভার্সন এর প্রোগ্রাম লিখতে হবে। ভ্যাক্স ভিএমএস অপারেটিং সিস্টেম-এ, বেসিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। বেসিক আর প্যাসক্যাল-ই সেখানো হয়েছিল। এটা ছিল বেসিক-এ।
    প্রশ্নে অবশ্য লেখা আছে যে ইনভার্ট করার প্রোগ্রাম লেখো এবং চালিয়ে দেখাও, অ্যাল্গো-র কথা লেখা নেই। গস্‌-জর্ডন না কি এক লম্বা অ্যালগরিদম ক্লাসে করিয়েছিল।
    আমি একটা পাঁচ-ছয় লাইনের কোড লিখলাম। ভ্যাক্স বেসিক-এ একটা বিল্ট ইন ম্যাট্রিক্স ইনভার্সান ফাংশান ছিল (আইএমএসএল বা কোনো প্যাকেজ থেকে বোধহয়)। চালিয়ে দেখলাম, চলছে।
    দেবাশিস রায় দেখে আগুন। চালিয়ে দেখালাম চলছে। কিছু বলতেও পারছেন না।
    ভ্যাক্স সিস্টেম অ্যাডমিনকে ডেকে এই সব ফাংশান ডিস্‌এব্‌ল করে দেওয়া নিয়ে কথা বলেছিলেন।
    পরের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে নীচে লেখা ছিল - কোনোরকম শর্টকাট ফাংশান লাগাইলে নম্বরের আশা করিও না।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৪ মার্চ ২০১২ ০৮:৩৫493840
  • হু হু বাওয়া, সাতিজার ক্লাসে খাতয় প্রোগ্রাম লিখতে হত।
  • dukhe | 117.194.233.25 | ২৪ মার্চ ২০১২ ১৩:০৪493841
  • ছেলেদের রাফ কাগজের দরকার । ভ্যাক্সের প্রিন্টার থেকে কাগজ বেরোলে কেউ কিছু বলে না - না জানি কোন প্রোগ্রামের আউটপুট । অত:পর সেই কুখ্যাত প্রোগ্রাম লেখা হল যার ধাপে ধাপে ইউজারকে জিজ্ঞেস করা হত -
    হাউ মেনি পেজেস ডু ইউ ওয়ান্ট ?
    ডু ইউ ওয়ান্ট দেম প্লেইন অর রুলড ?
    ইত্যাদি ।
    'ডু ইউ ওয়ান্ট দেম স্টিচড' টা ইমপ্লিমেন্ট করা যায়নি অবশ্য ।
  • Abhyu | 97.81.96.228 | ২৪ মার্চ ২০১২ ২০:৫৯493842
  • darun.imp বলে একটা ফাইল সিনিয়রদের কাছ থেকে পাওনা হত। তাতে কত দুখেদার প্রোগ্রাম চালানোর সংক্ষিপ্ত কম্যাণ্ড থেকে আরম্ভ করে কী-ই না থাকত! হায় আজ কোথা সেই ভ্যাক্স, কোথা সেই ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টার।

    আর সুভাষ কুণ্ডু পড়িয়েছিলেন নিউমেরিক্যাল অ্যানালিসিস। বাপরে সে কি জিনিস ! বললাম স্যার এই অঙ্কটা তো এক্কেবারে ঠিক করেছি, উনি বললেন হ্যাঁ তাই তো সাত দিয়েছি (দশে)। এই ভদ্রলোক ফাইনালে কি একটা ইক্যুয়েশন সলভ করতে দিলেন নিউমেরিক্যাল অ্যানালিসিস ইউজ করে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে উত্তর হবে x=2। আমি আরম্ভ করলাম ইনিশিয়াল গেস x=1.99
  • Abhyu | 97.81.96.228 | ২৪ মার্চ ২০১২ ২১:০১493843
  • *তাতে দুখেদার প্রোগ্রাম চালানোর সংক্ষিপ্ত কম্যাণ্ড থেকে আরম্ভ করে কত কী-ই না থাকত!

    মামুর এটা কি ছিরির কল?
  • Abhyu | 97.81.96.228 | ২৪ মার্চ ২০১২ ২১:০৪493844
  • ঐ ভ্যাক্সের প্রিন্টারের কাগজ দিয়েই খাতা বানিয়ে তাতে এস বি রাওয়ের সেই পঞ্চাশ খানা কম্বিনেটোরিক্সের অঙ্ক করে জমা দিয়েছিলাম। ভদ্রলোক ভারি খুশি হয়েছিলেন।
  • Abhyu | 97.81.96.228 | ২৪ মার্চ ২০১২ ২১:২০493845
  • সারা রাত ভাটিয়ে পরের দিন তাপস সামন্তর ক্লাসে বসে ঘুমুচ্ছি। তাপসদা সামনে এসে খুব মৃদু স্বরে বললেন - অভ্যুদয় কাল অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশুনো করেছ?
  • Tirthang | 140.247.29.235 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:৪৪493846
  • আরও কল্পতরু-চরিত:

    ব্যক্তিগত কাজে কল্পতরু দিন সাতেক ক্লাস করতে পারবে না। এই ধরণের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে ডীনের লিখিত আগাম অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্পতরু তাই ডীন মিহির চক্রবর্তীর দরবারে হাজির হয়ে নিবেদনটি পেশ করল। ডীন সদাশয় ব্যক্তি হলেও এক সপ্তাহ অনুপস্থিতির ব্যাপারটা মোটেই সমর্থন করলেন না। পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিলেন যে উল্লিখিত কারণে সাত দিনের লীভ স্যাংশন করা যাবে না। সেই ফরমান শুনে কল্পতরু যথোচিত বিনয় ও সন্মানের সাথে শুধাল, "তাহলে কি স্যার আমি এমনিই সাত দিন না এসে তারপর পাড়ার ডাক্তারের কাছ থেকে একটা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এনে জমা দেব?" ডীন নাকি কিছুক্ষণ হাঁ ক'রে তাকিয়ে ছিলেন, তারপর তেড়ে উঠে বলেছিলেন, "তুমি তো ভয়ানক ছেলে হে! আমাকেই জিজ্ঞেস করছ ফল্‌স্‌ মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেবে কিনা!! দাও, ছুটির অ্যাপ্লিকেশন দাও, সই ক'রে দিচ্ছি।'
  • byaang | 122.167.209.77 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৯:১১493847
  • :-)))
  • dukhe | 202.54.74.119 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১০:২৫493849
  • ষষ্ঠীদা এক সেমেস্টারে অ্যাতেন্ডেন্স নিয়ে আতান্তরে পড়েছিল। মিনিমাম অ্যাটেন্ডেন্সের অনেক নিচে দাঁড়িয়ে আছে। অপূর্বদা বলল পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না যদি না মেডিক্যাল সাট্টিফিকেট দেখায়। কিন্তু কামাই তো টানা নয়, সারা সেমেস্টার জুড়ে ছড়ানো। সৌম্যজিতের জেঠু ডাক্তার। তিনি সব শুনেটুনে বিরক্তমুখে সাট্টিফিকেট লিখলেন - সাফারিং ফ্রম অ্যাকিউট অ্যাজমা, শুড টেক রেস্ট অ্যাজ অ্যান্ড হোয়েন রিকোয়ার্ড।
  • Bratin | 14.99.135.97 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১০:২৯493850
  • কল্পতরু দা, তো গুরু দেব লোক। দেখা হলে পদধূলি নিতে হবে :-))
  • debu | 72.130.151.116 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:১১493851
  • কল্প তরু==গুরু+গুরু
  • sinfaut | 121.241.218.132 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৪:৫৯493852
  • এই টইটা শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়লাম। গুচ্ছ ভালো। আরো হোক।
  • Posteriori | 50.129.181.236 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৫৫493853
  • একবার লিফে্‌টর সামনে দাড়িয়ে আরেক বন্ধুর সাথে বাংলায় কথা বলছিলাম হঠাৎ বি ভি রাও এসে কমেন্ট করলেন । বন্ধু অবাক হয়ে বলল "আপনি বাংলা জানেন?' বি ভি রাও বললেন "অফকোর্স । আই হ্যাভ বিন লিভিং ইন বেঙ্গল মোর দ্যান ইউ আর"

    এটা ২০০৫ এর ঘটনা । বড়রা পাত্তা নাই দিতে পারেন।
  • S | 99.26.200.89 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:০৫493854
  • আচ্ছা এই একটা ব্যাপার আমি খুব অদ্ভুত দেখেছি আই এস আই এর ছেলেদের ব্যাপারে। সমস্ত অবাঙ্গালী ছাত্ররা এখানে থাকতে থাকতে বাঙ্গলা শেখে অনেকটাই, আর অনেকদিন অবধি মনেও থাকে। এটা আইআইটির ক্ষেত্রে একেবারেই চলেনা, এমনকি কোলকাতার উপরে আরো অনেক ইনস্টিতে এটা হয়না।
  • abastab | 14.139.163.29 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১০:২৮493855
  • সমস্ত অবাঙ্গালীরা কিন্তু শেখেনা।

    আমার ধারণা কর্ণাটকের ছেলেদের একটু অনীহা আছে ও ব্যাপারে। ওখানকার কেউই বংলা শেখেনি তা বলছিনা কিন্তু।
  • S | 99.26.200.89 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১০:৩৫493856
  • আমাদের দুইজনেরই স্যাম্পেল বায়াস থাকতে পারে - আমার তো বটেই।
  • abastab | 14.139.163.29 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১০:৪৩493857
  • না না অনেকেই বাংলা শেখে যেমন অন্ধ্র বা মহারাষ্ট্রের ছেলেরা। যে কাউন্টার এক্সাম্পলগুলো মাথায় ঘুরছে তারা সবাই পরবর্তী কালে অঙ্ক করেছে, মনে হয় এর সাথে ভাষা শিক্ষায় অনীহার কোরিলেশন থাকতে পারে। আমি যেমন গত পাঁচবছরে তামিলে তামিল তেরিয়াদ ছাড়া কিছুই শিখিনি।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩১493858
  • তা কেন? আমি ও কয়েক টা ভাষার কয়েক টা বাক্য শিখেছিলাম তো।

    তেলুগু:

    ১। অস্তুনাভ? ( coming or not?)

    ২। নী পেরু এমিটি ( what's your name? )

    ৩। এলা ওন্নাভ ( How r you? )

    ৪। নুভু পিচ্চি ভাদিভী( ডানিভী) ( are you mad? ) মহিলা দের ক্ষেত্রে ডানিভী।

    ৫। নে নিন্নু পেল্লি চেসুকুন্টানু ( I will marry you ) ( এক পিস সিনিয়ার ছিল তেলেগু । তাকে রাগানো র জন্যে প্রসাদ শিখিয়েছিল)

    ৬। নিকেমি পানিলেদা? ( You do not have any work?

    এই কটা মনে এলো।

  • Kaju | 121.242.160.180 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৮493860
  • বোতিন্দা অর্ণব লাহিড়ী বলে কাউকে চিনতে? বনহুগলীতেই বাড়ি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন