এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মঠের দেশে, পরণকথার দেশে

    I
    অন্যান্য | ১৩ অক্টোবর ২০১১ | ৬৫৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 14.99.90.29 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২১:৩৮494445
  • ইঁট পেতে রাখলাম। একদিন লেখা হবে, এই আশায়।
  • nk | 151.141.84.194 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২১:৩৯494556
  • বা:।
    আশা আছে আশা আছে তবে। :-)
    আ:, আবার!
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২১:৫৬494613
  • আশায় বাঁচে চাষা---
    আবার কবি ইহাও কয়েচেন
    ধইন্য আশা কুহকিনী
    --তবুও রইলাম আশায়---

  • I | 14.99.90.29 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২২:৫৯494624
  • দেশ বলতে বরিশাল। এখন ভাবতে গেলে একটু অবাকই লাগে, যে ছোটবেলায় এই নিয়ে কেন কোনো ধন্দ ছিল না। একটা মানুষ, তার দুইটা দেশ। ভারতবর্ষ ও বরিশাল। একটা ছোট্ট মানুষ, তার দুইখানি বড় বড় দেশ। আমার সেই ছোটবেলা, কিঞ্চিৎ দারিদ্রময় ছোটবেলা। দু'খানা ঘর। মা উনুনে রান্না করতেন। রান্নাঘরটি বেড়া দেওয়া। কাঠের উনুন। কখনো কখনো ঘুঁটে, কয়লা, গুল ইত্যাদি'র ইস্তেমাল হত।
    সেই সময় দারিদ্র তত গায়ে লাগে না। শিশু তেমন দারিদ্র বোঝে না। তাছাড়া তার একটি স্বপ্নের দেশ পাওয়া হয়ে গেছে, যেখানে সাত কাকে দাঁড় বায়। যেখানে মাকড়শার জালের মত নদী, শুধু নদী। সুপুরিবনের সারি। মানুষ ভাইকে ভাই বলে ডাকে। হিন্দু-মুসলমান। মানুষ মরে গেলে তার চিতাভস্ম ও নাভিকুন্ডলী এনে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। তার ওপর মঠ তৈরী হয়। আশেপাশের মানুষ তখনো বরিশাইল্যা ভাষায় কথা বলেন। বরিশাইল্যা শব্দ-পদাবলী চারিদিকে কোলাহল করে। "সময় ' বলেন না, তাঁরা বলেন "সোমায়'; "কাজ্‌ইয়া', "বোগ্‌দা', "মাথারি' , "বরই', "একছের' বলেন। "তুই কান্দো ক্যান"-এরকম অদ্ভুত বাক্যবিন্যাস অনায়াসে বলেন( ইন ফ্যাক্ট , সঙ্গীতা এসে আমার মায়ের এহেন কথা শুনে একরকম অবাকই হয়েছিল। মা'র ভাষা অবশ্য অনেকই ডাইল্যুটেড; তথাপি তুই দিয়ে শুরু বাক্য ক্রিয়াপদে এসে "তুমিবাচক' হয়ে যাচ্ছে, এ ব্যাপারটা এখনো আছে)।

    যা বলছিলাম। সেইসব মানুষেরা, তখনো যেন তাঁদের পিতৃভূমি ছেড়ে এসে থিতু হতে পারেন নি। এ দেশটা যেন ঠিক দেশ নয়। দেশ বলতে ঝালোকাডি, পিরোজপুর, কীর্তিপাশা, গাভা, তারাবুনিয়া। নদী বলতে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কীর্তনখোলা। কী এক অসম্ভব খোয়াবের মধ্যে ছিলেন হয়তো তাঁরা, অপরিচয়ের জমিজিরাতেও নিজের মত দেশ বানিয়ে নেওয়ার কেমনতরো প্রক্রিয়া তাঁদের। সেই রয়ানির গান, গরুর গোহাল,লক্ষ্মী পূজায় এক পাড়াশুদ্ধ লোক এক পাড়াশুদ্ধ লোকের বাড়ি এসে প্রসাদ খেয়ে যাচ্ছে, শনি-সত্যনারায়ণ পূজা, তেন্নাথের মেলা, বিয়েবাড়িতে ব্যাণ্ডের হিড়িক। ব্যাণ্ড বলতে ক্লারিওনেট, ফুলুট,কাড়া-নাকাড়া। সুখ বলতে জন্মভূমির কথা।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২৩:২৬494635
  • এই ছোট্ট টানেই বুঁদ হয়ে গেলেম ডাগদার--আরও শোনাও---(ছবি দেখারও আব্দার জানিয়ে গেলাম)
  • Achintyarup | 210.212.18.172 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২৩:৪১494646
  • হুঁ
  • I | 14.99.90.29 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ০০:২৪494657
  • সেইসব মানুষেরা অধিকাংশই এখন বেঁচে নেই। ওপার বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তবে তাঁরা যেন সেই ওপারে গিয়ে অবশেষে তাঁদের কাঙ্খিত ভূমি বরিশালের হিজল-সুপুরির বনে গিয়ে থিতু হন, এই প্রার্থনা করি। যেন ঘুঘু হয়ে জন্মান, জীবনানন্দের শালিখ-দয়েল হয়ে জন্মান; আমার সেই চণ্ড রাগী, জেদী, গোঁয়াড়, আবেগপ্রবণ, দয়াসাগর মাতৃপিতৃকুল। এই মাটিতে তাঁরা ঠাঁই পেয়েছিলেন, হয়তো বা, হয়তো কেন, নিশ্চয়ই স্বস্তি পেয়েছিলেন; কিন্তু সুখ পান নি, থিতু হতে পারেন নি। থিতু হতে চেয়েওছিলেন কী?

    তবে সময় বলে একজন মহাবল ভিষগ রয়েছেন । তিনি অত্যদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটান, অযোজ্যকে জোড়া লাগান, অনিরাময় ক্ষত তাঁর প্রলেপে শুকিয়ে আসে। আমার মা এবং তাঁর প্রজন্ম ধীরে ধীরে ভুলতে থাকেন দেশের কথা, দেশের ভাষা। হয়তো তার কারণে কোনো অপরাধবোধ কাজ করে চলে তাঁদের মনের গভীরে; মা প্রায়শই কেমন গম্ভীর , বিষণ্ন হয়ে উঠতেন দেশের বাড়ির কথা উঠলে। এই সেদিন বাংলাদেশ থেকে ঘুরে এসে গাবফলের ছবি দেখাচ্ছিলাম, আমার ছোটমাসি প্রথমে চিনতে পারেন নি। চিনতে না পেরে কী অসম্ভব ব্যর্থতা ও বেদনাবোধ তাঁর ! অথচ স্টোইসিজম, অথচ "না :, আর বাংলাদেশ যাবো না'-উপরিতলে এই কথা বলে চলা।

    স্টোইসিজমের কথায় বাপি-র কথা মনে এল। বাপি ( আমার শ্বশুরমশায়) সে কতকাল আগে ত্রিপুরা বেড়াতে গিয়ে বর্ডারে গিয়ে কুমিল্লা'র মাটিতে মাথা ছুঁয়ে প্রণাম করে এসেছিলেন। দেশের মাটি এইভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠে, সেকথা ভাবলে, সেই প্রণামটির কথা ভাবলে, এই উপমহাদেশের বীভৎসতম জেনোসাইড আর মাস মাইগ্রেশনের কথা ভাবলে আমার চোখে জল আসে। এখনো, এই খরার কালে।
    তো সেই বাপি, সঙ্গীতা এখন জিগ্গেস করলে বলেন-আগে আগে যাওয়ার খুব টান ছিল। এখন আর ভাবি না। আর যেতে ইচ্ছে করে না।

    কালের প্রভাবে পড়ে আমিও স্টোইক হয়ে উঠেছি। একটা সময় ছিল, যখন গল্প শুনে-শুনে ( আমি আমার ঠাকুমা'র খুব ন্যাওটা ছিলাম) আমি বাংলাদেশ-বরিশালের সঙ্গে কী যে নাড়ির টান বোধ করতাম ! আরেকটু বড় হলে মুক্তিযুদ্ধের কথা পড়লাম; মুক্তিবাহিনী আর লালফৌজ ও ভিয়েতকং, ঢাকা পুনরুদ্ধার আর বার্লিন দখল ও সায়গনের বিজয়কেতন। এরাই আমার যদা যদা হি ধর্মস্য।
    তারপরে কীভাবে সব চেতনার ওপর ধূলো পড়ে, সেকথা অনেকেই জানেন। বাংলাদেশ একটি পৃথক রাষ্ট্র হয়ে উঠে কিভাবে আমাদের থেকে সরে গেল, না কি আমরাই তার থেকে সরে এলাম, না কি দুটোই এইসব সচেতনে ভাবি না বহুকাল। দেশটি সুখেশান্তিতে থাকুক, এই যাচ্ঞা করি; কিন্তু কোথায় যেন টের পাই, সে আর আমার দেশ নয়, তার ভাষা আর আমার ভাষা আলাদা, একদা এক ছিল, কবে যেন আলাদা হয়ে গেছে, কেনই বা তা না হবে, সে তো পৃথক এক বেঁচে -থাকা এখন-- এই কথা মনে হয়। কতবার ভেবেছিলাম, বাংলাদেশ যাবো, এখন আর প্রাণের ভেতরে সেই সাড়া পাই না আর। তা-ও হয়ে ওঠে যাওয়া, হয়ে ওঠে মামার জন্য, মামা একবার হুড়ুমতাল লাগিয়ে দেন,"দ্যাশে যাবা নাকি' বলে। দেশ বলতে বাংলাদেশ।

    অতএব হয়ে ওঠে ভ্রমণ। যে সে ভ্রমণ নয়, বিদেশ-ভ্রমণ।

    বিদেশ বলতে বাংলাদেশ।
  • Mridha | 192.88.212.68 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ০১:৫৪494668
  • খুব ভালো লাগলো শুরুটা। বাংলা দেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের দিঘলী গ্রামের কিছু পরিবারের, হুগলীর এক মফ:স্বলে একটা পাড়াকে, ফেলে আসা গ্রাম বানিয়ে, জীবন-যাপান করার মধ্যে বড় হয়েছি। তাই ঐ লক্ষ্মী পুজো, শনি-সত্যনারায়ণ পুজোর, পাড়ার বিয়ের স্মৃতি খুব তাড়া করে। আরো আছে, গ্রাম থেকে নিয়ে আসা বাস্তু মাটির স্থান ( বাড়ীর এক কোনে বাংলাদেশের বাড়ী থেকে এক মুঠো মাটি এনে ফেলা হয়েছিলো) , ঢেকি ঘর, ভাগের পুকুর ( দ্যশের মত আমাগো পুস্করনীর দু:খ ভুলতে, সবই মিলে একটা পুকুর কটিয়ে নিয়েছিলো), জন্মাষ্টমীর পিঠে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাওয়া.... কতো কিছু....... আজকের পৃথিবীর এই দ্বন্দ-যুদ্ধের মধ্যে আপনার লেখায় সেই বেঁচে থাকার গান শুনতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
  • Du | 117.194.197.104 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ০৯:৪৫494679
  • নদী হয়ে গেল সামনেটা ---মাকড়শার জালের মত নদী
  • dd | 124.247.203.12 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১১:১৯494446
  • যখন আর্লি কৈশোরে বর্ধমানে - তখন ক্লাসে বাঙাল বলতে দুটো একটাই ছিলো। সহপাঠীরা,তারাও বালক মাত্র, বুঝতেই পারতো না,দেশ বা ভিটে ছাড়া মানুষ কি করে বাঁচে? আমাদের কোথাও এক চিলতে জমি নেই, বাড়ী নেই,শুধুই ভাড়া বাড়ীতে থাকি, তাও আবার বাবার চাকরীর কল্যানে দু তিন বছর পর পরেই অন্য কোনো শহরে। আমরা কি যাযাবর? বাঙালেরা এতোই আজীব হয়?

    আমার বাবার ও খুব সখ ছিলো একবার ঢাকা যাবার, চেনা জানা আর কিছু ছিলো না। তা ও। সেটা পিওর নস্টালজি। এই বছর খানেক আগে আমার দাদা আম্রিগা থেকে সেই বাংলাদেশের বাড়ী দেখে এসেছিলো। প্রায় ঝুরু ঝুরু অবস্থা। তিন চারটে গরীব গুর্বো হা ঘরে পরিবার বসবাস করে সেখানে।

    তবে যাই ই বলুন, ইন্দোদা খুব পছন্দের টই পেয়েছেন, এইবারে উনি একেবারে গু চর ফাউন্ডেশন কাঁপিয়ে দেবেন।
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৩:০২494457
  • সুখের গান একদিন থেমে যায়, শুধু গুঁড়ো গুঁড়ো সুখস্মৃতি ধুলোর সঙ্গে মাখামাখি হয়ে ছড়িয়ে যায় চরাচরে। কিন্তু বিষাদ সঙ্গীত কখনও ফুরোয়না। মিড় গমক মূর্চ্ছনার ধরন হয়তো পাল্টে যায় অনাগত প্রজন্মে, কিন্তু আরোহ অবরোহের স্বর একই থাকে। সেই গান যখন শুনি মিহির সেনগুপ্ত বা তপন রায়চৌধুরির মতো ওস্তাদদের থেকে তখন তার ঝলক হয়তো উঙ্কÄলতর, কিন্তু অন্যরাও যখন সেই রাগই ধরেন নিজস্ব ধরনে, চুপ করে শুনতে হয়। মার্সিয়া কাফিয়ার কি কোনও জাত আছে?

    আমরা এপারের লোক। কিন্তু মামাবাড়ি ওপারে। দাদামশাই মাদারিপুর, দিদিমা চাঁদসি। দ্যাশে সম্পন্ন গৃহস্থ, উচ্চমধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী ছিলেন জামশেদপুরে। অনাড়ম্বর জীবন কাটাতেন খোট্টাদের দেশে আর প্রতিমাসে রোজগারের সিংহভাগ মনিঅর্ডারে যেতো দ্যাশে দাদার কাছে আরও জমি কেনার ইচ্ছায়। দাদার পোস্টকার্ড মাঝেমাঝেই, অমুকের zমি সস্তায় পাইলাম। মনে মনে বেড়ে উঠতো অবসরের পর দ্যাশে গিয়ে আদিগন্ত নিজের জমি দেখতে পাওয়ার স্বপ্নবিলাস। পাঁচ মেয়ের বাবা। অন্য লোকে তাঁর জন্য দুশ্চিন্তা করলে নাকি বলতেন, আমার টাকা খায় কে? আরও অনেক অনেক লোকের মতো বিশ্বাসই করতে চাননি একদিন বুলবুলি ধান খেয়ে যেতে পারে।

    যখন সত্যিই বুলবুলি ধান খেয়ে গেলো, সাত মাসের মধ্যে সেরিব্রাল ও পক্ষাঘাত। প্রাণোচ্ছল, উচ্চপদাসীন মানুষটি নির্বাক, শয্যাশ্রয়ী হয়ে আরও বছর খানেক জীবনটিকে ধরে রাখতে পেরেছিলেন। ডাক্তার বিধান রায় দিদিমাকে বলেছিলেন, এঁর চিকিৎসার পিছনে আর খরচ কোরোনা, যা খুদকুঁড়ো বেঁচেছে তা দিয়ে মেয়েদের বিয়ে দাও। তার পর আরও কোটি মানুষের মতো শুধু লড়াইয়ের গল্প।

    মানুষগুলি আলাদা, কিন্তু গল্পগুলি সব একরকম। কিন্তু সবার গল্পই মনে হয় যেন আরো শুনি। আমাদের পরের প্রজন্মে এর কোনও ছাপ থাকবে না, জলের আল্পনার মতো মিলিয়ে যাবে। কিন্তু যতোক্ষণ আমরা আছি এতো ফুরোবার নয়। ডাক্তারকে স্বাগত....
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৯:২১494468
  • আমাদের সকলেরই কিছু মাটি ওপারের---ক্রমশ অচেনা হয়ে যাচ্ছে তার স্বাদ গন্ধ --কিন্তু টান টা প্রাণের কমে না।
    ছোটবেলাকার গল্পগুলি যেন চোখের সামনে সমানে ভাসে---মন বলে যাবই একবার অন্তত --দেখে আসব --জেনে আসব ছুঁয়ে আসব --
    মদারিপুর শুনেই তো মনটা এক ঝটকায় সেই বাবার কোলে বসে হাঁ করে শোনা সব গল্পগুলো জীবন্ত হয়ে উঠল
    দিয়ামা (বাবার) বল্লে zaa পিসাগাসটা আন তো
    বাড়ীর পেছনে কত্ত গাছ--কোনটা আনি--বাবা ভাবে ?!
    আমি অস্থির--কি কল্লে বাবা, কোন গাছটা কি করে বুঝলে---আমিও হাঁ করে ভাবি
    বাবার একগাল হাসি--
    পিসাগাস --মানে ঝ্যাঁটা
    বাপবেটির কি হাসি তারপর!!
    এরকম কতশত রূপকথায় ভরা সে দেশ---একবার যাবই!
    ডগদার ইজ সো লাকি!

  • kallol | 115.184.4.63 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ২১:৪১494479
  • ইন্দো, আরও লেখো।
    সে আমাদের পিতৃ-পিতামহের ছেড়ে আসা ভূমি। ছন্ন বিলাপে যার কথা অবধারিতভাবে উঠে আসতো - তরা আর দ্যাখলি কোই..........
    এইতো কিছুকাল আগে গেছি, তারপর আবারও গেছি। কতো নতুন বন্ধু, কতো গান কতো আড্ডা। তারপর সেই দিন এলো। বন্ধুর গাড়িতে ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ। আমার দূর সম্পর্কের জ্যেঠিমা, বৌদি আর ভাইপোরা আছে সেখানে। মানিকগঞ্জ বাজার থেকে ভাইপোর বাইকের পিছু পিছু, পদ্মার সাথে লুকোচুরি, গাছপালার সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে হঠাৎ সেই মস্তো মস্তো থামের পরিত্যক্ত বাড়ি। আমি বিস্ময়ে দেখছিলাম তাকে, হয়তো সেও দেখছিলো আমায়। আর কানে ভেসে আসছিলো সেই স্খলিত বিলাপ - তরা আর দ্যাখলি কোই..........

  • Somnath2 | 207.239.86.106 | ১৫ অক্টোবর ২০১১ ০১:১২494490
  • Zhaলোকাডি নামটা ছোটোবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো - ঠাকুমার কাছে শোনা 'দ্যাশ' এর গল্প.. ফেলে আসা ভিটে মাটির টান ..'তরা তো দ্যাখো নাই'.. ইত্যাদি। ভেবেছিলাম বড়ো হলে যদি কোনোদিন দেখে আসতে পারি কেমন সে 'দ্যাশ'.. আজও হয়ে ওঠেনি - হবে কিনা কে জানে ? এই টইএর মাধ্যমে সেই সাধ কিছুটা পূর্ণ হবে হয়তো। ইন্দো বাবু আপনি থামবেন না, সঙ্গে অছি।
  • Somnath2 | 207.239.86.106 | ১৫ অক্টোবর ২০১১ ০১:১৪494501
  • কি জ্বালা .. শেষ লাইনে * আছি হবে।
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৫ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪৫494512
  • সব কটা লেখাই প্রানবন্ত আর ভীষন ভালো লাগলো।

    শিবাংসুর কথা একেবারে ঠীক যে পরের প্রজন্মে এর কোনো ছাপ থাকবে না ।
  • pi | 72.83.90.203 | ১৫ অক্টোবর ২০১১ ২৩:০২494534
  • ঐ ছবিটার মত একটা লেখা পড়বো বলে বসে আছি।
  • I | 14.96.40.107 | ১৫ অক্টোবর ২০১১ ২৩:০৫494545
  • গানটাও শুনতে থাকুন

  • pharida | 182.68.190.209 | ১৬ অক্টোবর ২০১১ ০০:৫১494557
  • ডাক্তার, ভালো লিখছ হে, চালিয়ে যাও।
  • I | 14.96.142.104 | ১৬ অক্টোবর ২০১১ ০১:০৫494568
  • প্রথমে ঠিক হয়েছিল বড় একটা গ্রুপ যাবে। আমরা, আমার এক মাসতুতো বোন সপরিবারে,এবং আমার আরেক মাসতুতো ভাই। সব মিলিয়ে পাঁচজন বয়স্ক, দুটো গেঁড়ি। তারপর একে একে সঙ্গীদল খসে পড়তে থাকে। এর পাসপোর্ট আসে না, তার অন্য কাজ জুটে যায়। অবশেষে পড়ে রইলাম আমরা আড়াইজন। এবং আমাদের সঙ্গে এসে যোগ হলেন আমার শ্বাশুড়ি-মা।

    অদম্য স্পিরিট এই মহিলার। ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারটেনশন আর পেরিআর্থরাইটিসকে কলা দেখিয়ে আজ এখানে যাচ্ছেন তো কাল ওখানে। পুরীর জগন্নাথ্‌অ তো প্রত্যেক বছর বাঁধা। এবার চলেছেন ননদ দেখতে বাংলাদেশে। এই দুই ননদকে উনি কখনো চাক্ষুষ দেখেন নি, তাই নববধূটি আজ বিয়ের চল্লিশ বছর পরে বরিশাল যাবেন ননদিনী- সন্দর্শনে।

    কিভাবে যাওয়া হবে তাই নিয়ে এক প্রস্থ। আমার ইচ্ছা বায়ুপথ। কিন্তু প্লেনে গেলে শুনলাম প্লেনেই ফিরতে হয় , তাই দুবারই আমাদের ঢাকা-বরিশাল বরিশাল-ঢাকা করতে হবে, এবং ঢাকা থেকে বরিশাল দূরত্ব নিছক কম নয় ( এক রাতের লঞ্চ জার্নি)। অগত্যা সড়ক অথবা রেলপথ। কলকাতা-ঢাকা ট্রেন যে এক্সিস্ট করে সে তো এই সেদিন অচিন্ত্যবাবু'র দৌলতে জানলাম। মামা প্রথমে বাসে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন, রাস্তা কম পড়ে , সোজা বরিশাল যাওয়া যায়, ঢাকা ঘুরে যেতে হয় না। কিন্তু প্রবল বর্ষণ এবারে, মামার ভাষায় রাস্তাগুলো "পুঁইযের মতন গল্‌ইয়া পড়তে আছে', অতএব যতটা সম্ভব সড়কপথে কম যাওয়া যায়। এরই মধ্যে সড়কদুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যু লাফ দিয়ে উঠে এসে গলা টিপে ধরল। অগত্যা সিদ্ধান্ত হল, ট্রেনে যাওয়া ঢাকা হয়ে, ফেরা বরিশাল থেকে বাসে।
    সেই হিসেবমত গন্তব্যও কাটছাঁট হল। ছুটির হিসেবও কনসিডারেশনে আনতে হল। এত অল্প সময়ে (যাতায়ত মিলিয়ে সাত দিন) কক্সবাজার-ঢাকা আর বরিশাল কভার করা জ্জিন-ফেরেস্তাগণের রেগুলেশন- কর্ম হতে পারে, পোনামাছ-পটলের ঝোল খাওয়া গৌরবে কলিকাতা-লালিত ডিগডিগে মনুষ্যসাধ্য মোটে নয়। ওদিকে বান্দরবন তো আগেই বাদ পড়েছে, নাকি মাওবাদীদের উৎপাত (ছবি দেখে কী যে ভালো লেগেছিল !)।

    কক্সবাজার বাদ পড়ল। তাহলে চলো কুয়াকাটা। আরেক সমুদ্রসৈকত। আরেক দফা কাগজপত্তর নিয়ে বসা, আবার হিসেবনিকেশ। চুল চিরে , কপালে ঘাম মেখে ইন্দ্রবাবু অবশেষে যখন কাগজ থেকে মুখ তুললেন, তাঁর মুখে সে যে কী হতাশ অভিব্যক্তি ! দেখে আমারি মায়া হল। কুয়াকাটাও বাদ। সময়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। অগত্যা ঢাকা ( দু দিন) , বরিশাল-পাতারহাট (তিন দিন) আর যাতায়ত নিয়ে একদিন-একদিন দুদিন। চলো, তাই সই। তবু তো যাওয়া !
  • I | 14.99.0.32 | ১৬ অক্টোবর ২০১১ ১৭:৪৯494579
  • ট্রেনের নাম মৈত্রী এক্সপ্রেস। সপ্তাহে দু'দিন কলকাতা হয়ে ঢাকা-বুধ আর শনি; দু'দিন ঢাকা থেকে কলকাতা, মঙ্গল আর শুক্র। ছাড়ে কলকাতা স্টেশন থেকে , পৌঁছয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। সকাল সাতটা দশে ট্রেন।

    ভোরবেলা কলকাতা স্টেশনে পৌঁছে মন ভালো হয়ে গেল। অবশেষে সুকুমার রায়ের দু:খ ঘুচিয়ে কলকাতা একটা নিজের নামওলা স্টেশন পেয়েছে বটে। স্টেশনের বাইরেটা বেশ ঝকঝকে তকতকে, অনেকটা স্পেস। কিছুটা এয়ারপোর্ট এয়ারপোর্ট ভাব। (আমার এক প্রবাসী বন্ধু একদম এই কথাই বলল ছবি দেখে, সে বেচারি বহুকাল দেশে আসে নি, কলকাতা নামে যে একটা স্টেশন হয়েছে তা-ই সে জানে না, জিগ্গেস করল কলকাতা মানে কী, এটা কি শিয়ালদা না হাওড়া, দেখতে তো এয়ারপোর্টের মত লাগছে!)সবে ঘুম ভাঙছে তখন কলকাতার; দূরের উঁচু হাইরাইজগুলোতে প্রথম আলোর ছোঁয়া, বাইরে সার দিয়ে হলুদ রঙা ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে , চারপাশটা বেশ রঙীন হয়ে উঠেছে তাতে। ফাঁকাফাঁকা মত, লোক গমগমে নয়; হাত-পা ছড়িয়ে আয়েস করতে করতে হাঁটা যায়।

    ট্রেন দেখলাম স্টেশনের সেই প্রান্তে চুপটি করে দাঁড়িয়ে, তার কাছে পৌঁছতে অনেক লোহার বেড়া-পাহারা-পুলিশ পেরিয়ে যেতে হবে। কয়েকপ্রস্থ সার্চ-মালপত্তর স্ক্যান ইত্যাদির পরে তবে উঠতে পারা গেল। এসব করতে সময়ও গেল অনেক; ভেবেছিলাম ট্রেনের একটা ছবি তুলে রাখব বাইরে থেকে, সে আর হল না। উঠতে না উঠতেই প্রায় নি:শব্দেই চলতে শুরু করে দিল ট্রেন।
    বাংলাদেশ রেলওয়েজের ট্রেন, সুন্দর ঝকঝকে কামরা, মোটা গদিওলা। আমরা পেয়েছিলাম একটি সিক্স সিটার কামরা, তাতে আমরা চারজন, সঙ্গী এক স্বামীজি ও আর একজন অবস্কিওর ভদ্রলোক, তিনি একবারই মাত্র এসেছিলেন, বাকি সময়টা অন্য কামরাতে তাঁর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গপ্পো করেই কাটিয়ে দিলেন। তো, টুংকাইকে আর পায় কে !

    স্বামীজি চলেছেন ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের পুজোয়, সেখানে থাকবেন একমাস। গোলপার্কের ইনস্টিটিউট অফ কালচারে রয়েছেন; বেশ ঝকঝকে , সপ্রতিভ, আমাদের সঙ্গে দিব্যি আলাপ জমে উঠল। কোনো লুকোছাপা নেই, জগতসংসারের নানান বিষয়ে (আজকাল মোবাইলের সর্বব্যাপিতা-ঘড়ির এত কম ব্যবহার-আধুনিক গান-শিশুদের শৈশবচুরি-মায় রাজনীতি পর্যন্ত) পরিষ্কার মত বিনিময় করতে করতে চললেন। কাচের মধ্য দিয়ে বাইরের দৃশ্য বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছিল, একসময় বাংলাদেশের রূপমোহিত আমরা দুজন তাকিয়েছিলাম বাইরের দিকে; আমি উসখুস করতে করতে বললাম- আপনাদের বোধহয় পূর্বাশ্রম সম্বন্ধে জিগ্গেস করতে নেই?
    স্বামীজি বললেন- তাই তো বলে। তবে আমি এপার বাংলার (তখন আমরা বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়েছি) লোক নই।
    আমি বললাম- হ্যাঁ, এটাই জিজ্ঞেস করব ভাবছিলাম।
    উনি মুচকি হেসে বললেন -বুঝতে পেরেছি।
  • I | 14.99.57.239 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০০:২৯494590
  • ঘন্টা দুয়েক বাদে ট্রেনটি গেদেয় এসে পৌঁছয়। অচিন্টির কাছে আগেই শুনে রেখেছি গেদেয় একদফা এবং বর্ডার পেরিয়ে দর্শনায় আরেকদফা চেকিং হবে। ব্যাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে ট্রেন থেকে নামা এবং খুপরি-খুপরি ঘরের ফাঁকে সরু রাস্তায় জনসমুদ্র-লটবহরাদি নেগোশিয়েট করতে করতে যাওয়া কী যে ঝকমারি হল ! দস্তুরমত সেদিন গরম এবং আমরা সকলে দরদরিয়ে ঘামছি, তার ওপরে বিস্ফোটক টুংকাই ! (সেদিন লিটার‌্যালি ওর হাতে একটা বিষফোঁড়া পেকে উঠেছিল, ট্রেনেই সেটা ফেটে যায় ও ধস্তাধস্তি করতে করতে তার ড্রেসিংয়ের ব্যবস্থা হয়) ইমিগ্রেশন পেরিয়ে আরেকদফা মালপত্তর চেক, কাস্টমসের মহিলা পুলিশের ঘুরিয়ে পয়সা চাওয়া ও মায়ের তাকে বেমালুম পাত্তা না দেওয়া, অপর এক পুলিশনি'র সঙ্গীতার হাতের ক্যামেরা দেখে সংশয়প্রকাশ ও ছবি তুলে দেখাতে বলা, ভারতীয় রুপি ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশী টাকা সংগ্রহ--এইসব পেরিয়ে একটি মস্ত শেডওলা ঘেরা জায়গায় অন্যান্য সহযাত্রীদের সঙ্গে আসনগ্রহণ। আসনগ্রহণ করে আছি তো করেই আছি-নড়াচড়ার তেমন নাম নেই। ট্রেনটি কাছেই -ঘেরাটোপের বাইরে। অন্দরে আমরা গিজগিজ করছি জালনিবদ্ধ রোহিত এক ট্রেন শিশু-বৃদ্ধ-যুবা-নরনারী, সুস্থ-অসুস্থ মানুষজন, কেউ কেউ কলকাতা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরছেন, অতিবৃদ্ধ কেউ কেউ; সবাই দরদরিয়ে ঘামছেন, হুস-হাস করে জল খাচ্ছেন। আমার অবস্থা আরো করুণ, সকাল থেকে হাঁচি শুরু হয়েছে এবং এই এসি-এই নিদাঘ'এর চক্রের মধ্যে পড়ে নাকের জলে-চোখের জলে কেঁদে বাঁচি অবস্থা। তার ওপর সঙ্গীতা কোত্থেকে শুনে এসে বললো পুলিশরা বলাবলি করছে এরকম ভীড় নাকি এ ট্রেনের জন্মে এই দ্বিতীয়বার হল; আরো বলল, এই ট্রেনে করে বাংলাদেশ যাচ্ছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। কিন্তু অপেক্ষাই সার , পাবনার বিখ্যাত কন্যার সুরূপা নাতনীকে চর্মচক্ষে আর দেখা হল না আমার । নায়িকারা কী আত্মার মত অভেদ্য-অদাহ্য, কাস্টমস-ইমিগ্রেশনাদি মহাবল ভীমকান্তিনিদারুণ শস্ত্রসকলও তাঁহাদের স্পর্শ করিতে পারে না !

    অবশেষে ঘন্টা দেড়েক পেরোলো, ট্রেনের শেষতম যাত্রীটিরও চেকিং কমপ্লিট হল বলে, না কি আর কোনো ছাতার মাথা হল বলে-, ট্রেনের বাঁশি বেজে উঠল। গেট খুলে গেল, আমরা পড়িমড়ি করে যে যার বাক্স-প্যাঁটরা-হাতা-খুন্তি-কোলেরকাঁখেরটা সামলে এর জুতো মাড়িয়ে ওর ছাতার খোঁচা খেয়ে তার পরস্ত্রীকে গুঁতিয়ে (তাই বলে সত্যি কিছু গুঁতোই নি) দুদ্দাড়িয়ে ট্রেনে উঠে বসলাম। সেই পুরনো কামরা, পুরনো সীট, শুধু নতুন করে আবার বাক্স গুছিয়ে বসা। তারো প্রায় মিনিট দশ-পনেরো বাদে ট্রেন ছাড়ল।

    আমার কেমন একটা ধারণা ছিল দর্শনা যেতে বুঝি পদ্মা পেরোতে হয়। আমি তাই সুখে হাত -পা এলিয়ে আয়েস করে বসেছি-জানি দর্শনা এলে আরেকপ্রস্থ সেই অলীক কুরঙ্গ, কিন্তু আগে তো পদ্মা আসুক, গুড়ুমগাড়ুম করে ব্রীজ পার হই, তারপর না হয় দেখা যাবে। নতুন করে গার্ড নেওয়াটেওয়া সেসব তখন ভেবে দেখবো না হয়, যখন পদ্মা নদী চোখে দেখতে পাবো।
    কোথায় কী ! শুকনো খটখটে ডাঙা, সেই এক আদিগন্ত ধানমাঠ-এক খোড়োঘর-কলাবাগান-বাঁশঝাড়, ইলেকট্রিকের তারে সেই একই ফিঙে লেজঝোলা, শুধু মিনিট দশেক পেরোতে জনতার মধ্যে চাঞ্চল্য- নাকি দর্শনা এসে গেছে। এমন সহজ ! এমন হঠাৎ, এমন অভিন্ন ! যেখানে যাও , সেই একই মাটি -জল, একই নীলাকাশ !
  • s | 117.194.97.103 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৩:৪০494601
  • লেখো ইন্দোদাদা..
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৫:১৮494608
  • আগে জানলে ট্রেনে যেতে বারন করতুম। আমরা বাসেই যাই। দিনের বেলার বাস, যা ঢাকায় সন্ধ্যেবেলা পৌঁছয়। তাতেও বেশ দৃশ্য দেখা যায়। উপরি পাওনা দুটো। কাস্টমসে সময় কম লাগে। এক বাস লোক আর একট্রেন লোকের যা তফাৎ। আর পদ্মা পার হয় বাস শুদ্ধু স্টিমারে চড়ে। পদ্মা পার হওয়ার সময় বাস থে নেমে স্টিমারের টংএ খাবার যায়গায়, ঝাল ঝাল মাছ (সময়ে গেলে পদ্মার ইলিশ) ভাত খেতে খেতে যাওয়া যায়।
  • de | 203.197.30.2 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪১494609
  • বড় মন কেমন করে উঠলো এই লেখা পড়ে! বড় আইকে অনুরোধ -- আইটিনেরারিটা একদম শেষে যদি একবার দ্যান -- বড়ো সখ বরিশাল যাওয়ার, ঝালোকাডি আমারো ঠাম্মা-দাদুর দেশ! কত গল্প যে শুনেছি!
  • NIna | 12.149.39.84 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৯:৫৪494610
  • এক অদ্ভুত ভাললাগা---যাবই যাব!
    ডাগদার---বড় আরামে ঘুরছি তোমার সঙ্গে---আনন্দটুকু সবটাই পাচ্ছি--কষ্টগুলো বাদ
    :-)
  • pipi | 129.74.191.52 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২০:৪৭494611
  • ইন্দোদাদাটা কেন যে এমন কিপটের মত লেখে!
  • Bratin | 117.194.101.183 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২১:৪২494612
  • কেন আবার। TRP বাড়ানোর জন্যে!! :-))

    দারুণ হচ্ছে।
  • Bratin | 117.194.101.183 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২১:৪৫494614
  • আমর বাবা,মা ও গেছেন লক্ষী পুজোর দিন। ফিরবেন সেই কালী পুজোর দিনে। লম্বা ট্যুর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন