এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কিসেনজি ধর্ষনে উৎসাহিত করতেন?

    biplab pal
    অন্যান্য | ২৭ নভেম্বর ২০১১ | ১৫৩১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 122.177.251.103 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২০:২৬500078
  • ইয়েস, ইস্পাতের সেই সীনটা মনে পড়ে গেল। মেয়েটি একই লকআপে রয়েছে পাভেল করচাগিনের সঙ্গে। রাত পোহালেই সৈন্যবাহিনী তাকে ছিঁড়েখুঁড়ে খাবে। সে পাভেলের কাছে অনুরোধ করে, ওরা আমাকে নেবার আগে, তুমি আমায় নাও।

    পাভেল পারে না। সে একজনকে ভালোবাসত। তার মুখটা মনে পড়ে যায়।
  • kallol | 119.226.79.139 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২০:৩৪500079
  • যারা নিজেদের কমিউনিষ্ট বলে, তাদের আদর্শ সমাজ তো মার্কস কথিত কমিউনিষ্ট বা সাম্যবাদী সমাজ। তাতে পৌঁছানোর রাস্তা নিয়ে নানান মত আছে। প্রায় সকলেই খাতায় কলমে মনে করে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ধণতন্ত্রকে মুছে দিয়ে জনগণতন্ত্র/সমাজতন্ত্র কায়েম করতে হবে, তারপর আরও নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তা সাম্যবাদে উন্নিত হবে।
    এবার কাজে নানা ফারাক আছে। কেউ কেউ সংসদীয় ব্যবস্থায় অংশ নেয়, কেউ নেয় না। কেউ গণ আন্দোলন / গণসংগঠনে বিশ্বাস করে কেউ গেরিলা যুদ্ধে।
    কিন্তু সকলেরই লক্ষ সাম্যবাদ।
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২০:৫০500080
  • কিশেনজির ৭৩ সালে থেকে আন্ডারগ্রাউন্ডে। লক্ষ্যকে বিচার করার জন্যে যথেষ্ট সময়।
  • ranjan roy | 14.97.114.52 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২০:৫৮500081
  • হ্যাঁ, ম্যাক্সিমিন!
    যে কোন পার্টি যদি নিজেদের কমিউনিস্ট বলে ঘোষণা করে (এমনকি নেপালের দু দুটো কমিউনিস্ট পার্টি, বা ভারতের সিপিআই, সিপিএম) তার মানেই তারা ,নেসাসারিলি, মার্ক্স-এংগেলসের ""কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো''কে বাইবেল মনে করে। এটাই প্রথম শর্ত যে এই দল গঠনের উদ্দেশ্য সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণের জন্যে রাজনৈতিক আন্দোলন করা।
    তার immediate program দেশকাল ভেদে আলাদা হয়, প্রতি পার্টি কংগ্রেসে একটু বদলেও যায়। তাতে তাদের বিশ্ববিপ্লবের স্তর, প্রধান দ্বন্দ্ব, গৌণ দ্বন্দ্ব এগুলোর উল্লেখ করে আলোচনা করতে হয়। সেই হিসেবে বর্তমান রণনীতি ও
    রণকৌশল, কার্য্যশৈলী ঠিক করতে হয়ে। প্রোগ্রাম এর অতিরিক্ত বর্তমান টাস্ক, বলে একটি রণকৌশলগত
    অল্পকালীন মিনি প্রোগ্রাম নির্ধারণ করতে হয়। তাতে ইম্মিডিয়েট শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করে সম্ভাব্য যুক্তফ্রন্টের কথা ভাবতে হয়।
    কিষেণজীদের অল্পকালীন প্রোগ্রাম হল ভারত রাষ্ট্রের
    বর্তমান সংবিধান ও ক্ষমতার শক্তিগুলোকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে নতুন সংবিধান বানিয়ে ( নেপালের
    মাওবাদীদের দেখুন) অন্যরকম দেশ ও সমাজ বানানো।
    ওদের পার্টি প্রোগ্রাম নেটে পড়া যায়। এখানে সম্ভবত: আকা বা অপ্পন লিংক দিয়েছিলেন।
    আর যেমন যেকোন ধর্মীয় সংস্থার বা দর্শনের অন্তিম উদ্দেশ্য ঈশ্বরলাভ, তেমনি কমিউনিস্ট মানেই সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণের জন্যে চেষ্টা করা। এর কোন অপবাদ বা বিকল্প নেই, হলে contradiction in terms হবে।
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:০১500082
  • *কিশেনজি।
  • ranjan roy | 14.97.114.52 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:০৭500084
  • ম্যাক্সিমিন,
    আরেকটা ব্যাপার। ভারতে মার্ক্সের ভক্তদের মধ্যেও আমাদের বিপ্লবের স্তর নিয়ে মতভেদ আছে। সিপিএম ও সমস্ত এম-এল-মাওপন্থী মনে করে এটা হবে পিপলস্‌ ডেমোক্র্যাটিক
    রেভোলুশন(পি ডি আর), মুষ্টিমেয় কেউ কেউ ভাবে সমাঅজতান্ত্রিক রেভোলুশন।
    তবে সিপিএম ভাবে এখনো ঠিক বিপ্লবের ফোঁড়া পাকেনি, নক্‌শালগুলো খামোকা কাঁচা ফোঁড়া কাটছে।
    থাক্‌গে এসব কচকচানি। মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:০৭500083
  • দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্বন্ধে ওঁর বক্তব্য পড়ে দেখতে অনুরোধ করি।
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:০৯500085
  • প্রশ্ন ও উত্তর এই থ্রেডেই আছে।
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:২৩500086
  • একটা পাল্টা থিয়োরি আছে। অর্কুটে একজন পোস্ট করেছিলেন। এখানে বলার ইচ্ছে ছিল না। আজ কিন্তু বলতে ইচ্ছে করছে।

    'ভারত রাষ্ট্রে গাঁজা চরস আফিমের চাষ ও বন্টন করে ব্যাপক মুনাফা অর্জন ও নানারকম তোলাবাজি ও পোলিটিকাল কন্‌ট্‌র্‌যাক্ট কিলিং-এর কাজগুলোকে এক ছাতার তলায় এক নাম দিয়ে করাবার জন্যে তৈরি হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাঐস্ট)। প্রয়োজনে যাতে এন-জি-ও ও মিডিয়াকে ব্যবহার করে নিজেদের কাজ কিছুটা হাসিল করা যায় ও শহরের মানুষদের তাদের প্রতি কৌতুহল জাগানো যায় এবং সিমপ্যাথি জোগাড় করা যায় তাই সি পি আই নামটি নেওয়া। খুনের কারণ জাস্টিফাই করার জন্য মাঐস্ট নামটি নেওয়া। সঙ্গঠনটির কাজকর্মের সাথে এই নামটির কোনও সম্পর্ক নেই। এরা মূলত মাসমাইনের ভিত্তিতে প্রাইভেট আর্মি পোষে। এদের টপ বসদের সে¾ট্রাল কমিটি বলা হয়।'

    হুবহু কোট করলাম।
  • pi | 72.83.76.29 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:৩৪500088
  • রঙ্‌জনদার কথাটার সূত্র ধরে একটা কোশ্চেন জিগাই। অনেকদিনের প্রশ্ন। এদের পথ ভুল, হিংসার পথ ভুল তো আমরা অনেকেই বলি। সিপিএম এর লোকজনও বলেন। কিন্তু ঐ তো, ফাইনাল গোল তো সেই বিপ্‌ল্‌বই। সেই বিপ্লবটা কি পুরো হিংসা ছাড়া হয়ে যাবে ?

    বিটিডব্লু, সিপিএমের লোকজনকে কিন্তু সাঁইবাড়ি লাল সেলাম বলতে শুনেছি্‌হ। :)

    আর কিছু বলবো না :)
  • ranjan roy | 14.97.114.52 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:৫৪500090
  • ম্যাক্সিমিন,
    আমি আপনাকে বোঝাতে পারছি না। আপনি যেটাকে ওনার
    দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলছেন সেটা ওনার পার্টি প্রোগ্রামের যে জনগ্‌ণতান্ত্রিক বিপ্লবের, লক্ষ্য হাসিল করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
    অর্থাৎ ভারতকে বর্তমান সেমি- কলোনিয়াল,- সেমি-ফিউডাল নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে ( ইম্পিরিয়ালিজম, কম্প্রাডর এবং
    বুরোক্র্যাটিক ক্যাপিটাল ও ফিউডাল লর্ডদের নিয়ন্ত্রণ থেকে) জনগণতান্ত্রিক সরকার( শ্রমিক শ্রেণীর পার্টির নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক-ন্যাশনাল বুর্জোয়া, বিশেষ করে খেতমজুর-ভাগচাষীদের অগ্রাধিকার দিয়ে যুক্তফ্রন্ট করে) কায়েম করা। এর অন্তর্বস্তু হবে কৃষিবিপ্লব, অর্থাৎ বড় জোতদারদের জমি এবং মহাজনী পুঁজি বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হবে। মধ্য কৃষককে সাহায্য করা হবে। ভূমিহীন ও মধ্য কৃষকদের সমিতি গ্রাসরুট লেভেলে রাজনৈতিক নির্ণয় নেবে ইত্যাদি। আর শহরে বিদেশি এবং বড় শিল্পপতিদের পুঁজি বাজেয়াপ্ত করে ন্যাশনাল ও ক্ষুদ্র দেশি পুঁজিদের বাড়তে দেয়া হবে।
    এর জন্যে আগে দরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা।
    আর রাষ্ট্রশক্তির নেচার হল( পুলিশ-মিলিটারি- প্রশাসন-সংসদ) দমনমূলক। কাজেই ওদের মোকাবিলা করতে গেরিলা(স্থানীয় মিলিশিয়া) এবং পি এল এ( পিপল্‌স্‌ লিবারেশন আর্মি) চাই। ফলে লড়াইয়ের প্রধান ফর্ম হবে সহিংস; মাস মুভমেন্ট
    সহযোগী।

    এগুলো এসেনি্‌শয়ালি কমিউনিস্ট পার্টির অস্টম কংগ্রেস বা সিপিআই(এম-এল) এর সময় থেকে
    এখন পর্য্যন্ত কিছু বর্তমান রেটোরিক বাদ দিলে অপরিবর্তিত আছে।
    কিন্তু আমি যে দীর্ঘকালীন কথাটি ভুল ব্যবহার করেছি। বলা উচিত আল্টিমেট লক্ষ্য-- সেটা সাম্যবাদ, তাই সাম্যবাদী দল।
    কমিউনিস্টরা বলেন মিনিমাম ও ম্যাক্সিমাম প্রোগ্রাম। আপনি যা বলছেন তা হল মাওবাদী সাম্যবাদী দলের মিনিমাম প্রোগ্রাম; সাম্যবাদ হল ম্যাক্সিমাম প্রোগ্রাম--সব কমিউনিস্টদের। এটা axiomatic
    কিষেণজীর বা আরো অনেকের জীবনকালেও হবে না। মাও সে তুং নিজেই রেডবুকে বলেছেন-- সমাজতন্ত্র ও ধনতন্ত্রের লড়াই দীর্ঘস্থায়ী হবে, একযুগ বা তারও বেশি।

    আসলে ধনতন্ত্র থেকে সাম্যবাদে উত্তরণের একটি transitory stage হল সমাজতন্ত্র। তার অনেক পরে
    সাম্যবাদ, প্রায় ভগবৎপ্রাপ্তির মত।
    আর এঁদের কথা অনুজায়ী ভারতে ধনতন্ত্র, ক্ল্যাসিক্যাল অর্থে বিকশিত হয় নি, তাই আরো একটা স্তর আগে পেরোতে হবে-- জনগণ্‌তন্ত্র। লক্ষ্য কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রিত দেশি ধনতন্ত্রের বিকাশ।
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২১:৫৪500089
  • যাদের কোলে পিঠে বড়ো হয়েছি, তারা সবাই কমিউনিজমের আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। কিছু আত্মত্যাগ তাঁদেরও ছিল। সিপিআই এর সঙ্গে আর-এস-পির সম্পর্ক ছিল আদায় কাঁচকলায়। ৪২ এর আন্দোলনকে সাবোটাজ করা নিয়ে ইস্যু ছিল। এটাকে খুব ছোট ইস্যু বলা যায়না। এইসব আমাদের মাবাবারাও খেপে খেপে আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করেছেন। কিন্তু এমনতর অভিযোগ তো তাদের কারও বিরুদ্ধে ওঠেনি কই?
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২২:০২500091
  • অ পাই মিটিনে সাঁইবাড়ি নিয়ে হরেকৃষ্ণ কোঙারের বক্তৃতা শুনে ধন্য ধন্য করেছিলাম আমি, এই আমিই। পরে আর 'শ্রেনী' গুলোকে ভাগ করতে গিয়ে তল পাইনা। কী কুক্ষণে যে অর্থনীতি পড়তে গেছিলাম।
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২২:১৮500092
  • শ্রমিক শ্রেণী কথাটা এই নানাসময়ে হঠাত হঠাত শুনতে পাই। MKPandhe মারা যাওয়ার দিন গুরুচন্ডালিতে কোনও পোস্ট পড়েছিল কি? ফেসবুকে একটা ছবি আপলোড করায় আমার ফেসবুকের কমিইউনিস্ট ভাইবোনেরা জিগেস করল, ইনি কে?
  • maximin | 59.93.193.211 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২২:২৫500093
  • জোতদারদের জমি এবং মহাজনী পুঁজি বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হবে। হোক। দেখি যদি হয়।
    সেটা সত্য হোক।
    শুধু ভঙ্গী দিয়ে যেন না ভোলায় চোখ।
    সত্য মূল্য না দিয়েই
    ... খ্যাতি করা চুরি
    ভালো নয়
    ভালো নয় নকল সে শৌখিন মজদুরি।
  • ranjan roy | 14.97.114.52 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২২:৩৭500094
  • ধ্যাৎ, বিচ্ছিরি ছড়িয়েছি।
    ম্যাক্সিমিন কি কনটেক্সটে বলছেন সেটা না বুঝেই একগাদা সময় নষ্ট করেছি।
    প্রথম কথা আমি যা বলেছি তা হল কাগজে কলমে এম- এল, মাওবাদী এদের ঘোষিত লক্ষ্য। আর জোর দিয়ে বলেছি কমিউনিস্ট নাম নিয়েছে মানেই সে axiomatically মার্ক্সের কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোকে মেনে সাম্যবাদী সমাজের গঠনে নিবেদিত।
    কিন্তু তাতে কোন আউটফিট বা ব্যক্তিটি আসলে কংক্রিট কি করছেন তাই দিয়েই তার মূল্যায়ন হবে, নিজেরা নিজেদের সম্বন্ধে কি বলেন তা দিয়ে নয়।
    হিট্‌লার নিজেদের ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট বলত!
    ম্যাক্সিমিন, আমাদের বাবা-কাকাদের সময়ের আন্ডারগ্রাউন্ড থাকার সময়টি আজকের তুলনায় বড়ই কম। তাছাড়া তখন কমিউনিস্ট আন্দোলনে এমন পাইকারি হারে লোক মরে নি, পক্ষে বা বিপক্ষে। আমার উদ্দেশ্য হিংসার সঙ্গে যৌনতার সম্পর্ক দেখানো।
    আর আজকেও নারায়ণ সান্যাল, পুর্ণেন্দু বসু, কোবাদ গান্ধী, আজাদ বা গণপতির সম্বন্ধে এসব কথা ওঠেনি তো!
    গত কয়েক দশক আগে মাওয়ের মৃত্যুর কিছু পরে মাওয়ের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের স্মৃতিকথা বেরিয়েছে যাতে উনি মাওয়ের কথিত ব্যভিচারী যৌনাচার, অল্পবয়েসী নতুন নতুন মেয়েদের বিছানায় ডেকে নেয়া, ইত্যাদি খুব বিস্তারে লিখেছেন। শুধু তার ভিত্তিতে মাওবাদকে বা আধুনিক চীন গঠনে মাওয়ের অবদানকে কেউ খারিজ করছে না।
    বার্তোল্ড ব্রেখটের মারাযাওয়ার পরে বড় বই বেরিয়েছে যে কি ভাবে উনি ওনার প্রেমিকা ও সহযোগী এলিজাবেথ হপ্টম্যান এর লেখাগুলো নিজের নামে চালিয়েছেন( এলিজাবেথকে কোথাও কোথাও শুধু সহযোগীঅকে। বলে উল্লেখ করেছেন)। এই সব নয় , এলিজাবেথ ওনার এক সন্তানকে গর্ভে ধরেছিলেন। উনি বিয়ে করলেন হেলেনে ভাইগেলকে, কিন্তু এলিজাবেথকে ইমোশনালি এক্সপ্লয়েট করে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখলেন। কিন্তু তাতে নাট্যকার-পরিচালক ব্রেখটের সম্বন্ধে লোকের ধারণার কি কোন পরিবর্তন হয়েছে?
    এসব তো দূরের কথা। আমাদের গান্ধীজির শেষ জীবনে ওনার জীবদ্দশায় সহযোগী নির্মল কুমার বসু লিখলেন ""মহাত্মা ইন নোয়াখালি"" যাতে আশি ছোঁয়া গান্ধীজির নাতনির বয়সি মেয়েদের সঙ্গে রাত্রে এক চাদরের নীচে নগ্ন হয়ে শুয়ে কথিত পরীক্ষার কাহিনী বেরোয়।
    এ তো ধর্ষণের চেয়ে কম নয়। মেয়েগুলো নিশ্চয়ই স্বেচ্ছায় আসেনি। কেউ কেউ আঠেরো বছরের কম ছিল।
    তাতে গান্ধীবাদ ভুল প্রমাণিত?
    মূল গল্প , যুদ্ধকালীন যৌনতায়, ফিরে যাই।

    পাই,
    দেখতেই পাচ্ছ যে এখানে যাঁরা আসেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত: আমি আর কল্লোল( দুই ঘেউ-ঘেউ করা কুত্তা রাশি) আর সমাজপরিবর্তনের জন্যে হিংসা নামক অ্যান্টিবায়োটিকে বিশ্বাস রাখি না। শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কতন্ত্র বা কোন রকম একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাস রাখি না। আমরা মনে করি হিংসা এর প্রতিহিংসা নামের অ্যান্টিবডির জন্ম দেয় । এর ভিশিয়াস সাইকল্‌ থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন।
    তাহলে রাস্তা কি? আমি জানিনা। খুঁজছি। কল্লোল ভাগ্যবান,
    খুঁজতে খুঁজতে একধরণের সবরকমের প্রতিষ্ঠান-বিরোধী নৈরাজ্যবাদে পৌঁছে গেছে। আমি কোথাও পৌঁছতে পারিনি, ত্রিশংকু হয়ে লটকে আছি।:)))))

  • ranjan roy | 14.97.114.52 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২৩:২৭500095
  • আগে কাব্লিদা ও পিএমকে দুটো কথা:
    কাব্লিদা, এখানে এনকাউন্টার শব্দটি কিঞ্চিৎ যোগরুঢ় অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ ফেক এনকাউন্টার। যেটা পুলিশ বহু অপরাধীদের সঙ্গেও করে আসছে। ধরা পড়ার পর নিরস্ত্র লোকটিকে মেরে বলা যে সংঘর্ষে মরেছে।
    নকশালরা সোজাসুজি বলে -- মেরে ফেলেছি,এদের আরো মারবো।
    পিএম,
    আমি প্রাণদন্ডের বিরোধী,-- কিষেণজিরও, কাসভেরও, রঙ্গা-বিল্লারও। কেন ,সেই নিয়ে অন্য টইয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
    এখানে এইটুকুই বলবো যে প্রাণদন্ড না দেয়া মানে ছেড়ে দেয়া নয়। যাবজ্জীবন কারাদন্ডও হতে পারে। তাহলে লোকটা কি করে আরো মারবে?
    যদি বিশবছর পরে ছাড়া পায় তখন? ততদিনে জেলের নিভৃতে বসে লোকে ভাবে, চিন্তা বদলায়।
    কজনকে দেখেছ যে দীর্ঘসময়ের পরেও আবার লেগে পড়েছেন আগের শৈলীতে?
    উদাহরণ, জেল থেকে বেরিয়ে অরবিন্দ ঋষি হলেন? বারীন?
    কিষেণই কেন? চারু মজুমদারের "" জোতদারের গলাকাটা চলছে, চলবে'' স্লোগানের সহযোগীরা? কানু সান্যাল, জঙ্গল সাঁওতাল, অসীম চ্যাটার্জি, রণবীর সমাদ্দার, বিপ্লব হালিম, আজিজুল হক? দীপাঞ্জন রায়চৌধুরিরা?
    দীর্ঘ, দীর্ঘ লাইন। জেল থেকে বেরোনোর পরে কে যে কি রং নেবেন? চে গুয়েভারার এক সময়ের সহযোগী ফরাসী নাগরিক রেজি দেব্রে( রেভোলুশন উইদিন রেভোলুশন এর লেখক) পরে প্যারিসে এক প্রতিক্রিয়াশীল সরকারের মন্ত্রী হলেন। সত্যজিত রায়ের লেজঁ দ্য অনর্‌ পাওয়ার সময় উনিই বোধহয় সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন।
    কাজেই কিষেণজীকে বন্দী করে বিচার করে সাজা দিলে ভবিষ্যতে ওর চিন্তায় পরিবর্তন আসতো না তা কি বলা যায়?

    তিন নম্বর উদাহরণ ও বাকি গেরিলা ও যৌনজেবনের গল্প কাল বলবো।
  • kallol | 119.226.79.139 | ৩০ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৩500096
  • ম্যাক্সিমিন।
    যাঁদের কোলে পিঠে আপনি মানুষ হয়েছেন, তাঁদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, প:ব:তে তেভাগা ও অন্ধ্রে ৪০ দশকের তেলেঙ্গানা কৃষক আন্দোলন ছাড়া সে আমলে ব্যাপক ও দীর্ঘদিনের সশস্ত্র আন্দোলন ঘটে নি। আর হয়েছিলো কিছুটা মনি সিংএর নেতৃত্বে হজং বিদ্রোহ ও কেরালার কায়ুরে। প:ব:তে তেভাগা ছাড়া অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টির সশস্ত্র লড়াই প্রায় নেই।
    যে আজাদী ঝুঠা হ্যায় বা রণদিভের আমলে কর্মীদের আত্মগোপন করতে হয়েছে, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য। তখন কোন সশস্ত্র লড়াই ছিলো না।
    ""গ্রাম বাংলার গল্প"" বলে একটা গল্প সংকলন আছে। তাতে কনিউনিষ্ট নেতাদের লেখা প্রচুর গল্প আছে। তারই মধ্যে একটি গোলাম কুদ্দুসের গল্প আছে। ওনাকে পাঠানো হয়েছে দ:বাংলার গ্রামে, যেখানে সশস্ত্র লড়াই চলছে। পার্টির পক্ষ থেকে উনিই সেই অঞ্চলের দায়িত্বে। গল্পের নামটা মনে নেই।
    উনি যখন এসে পৌঁছচ্ছেন, তার আগের দিন জোতদারেরা একটি কৃষকদের গ্রাম আক্রমন করে। গ্রামের সমর্থ পুরুষ ও মহিলারা রাতে গ্রামে থাকতেন না। তার সুযোগ নিয়ে জোতদারেরা বাচ্চা-বৃদ্ধ সমেত পুরো গ্রামটা জ্বালিয়ে দেয়। পরদিন গোলাম পৌঁছলে সে গ্রামের নারী-পুরুষ তার কাছে অনুমতি চায় ঐ জোতদারদের গ্রাম আক্রমণ করার।
    উনি আসার পথে সেই গ্রামটার পাশ দিয়ে এসেছেন। দেখেছেন মেয়েরা কাজ করছে, বৃদ্ধরা দাওয়ায় বসে বাচ্চাদের সামলাচ্ছে। একটু বড় বাচ্চারা খেলছে।
    কৃষকরা ঐ গ্রাম আক্রমণ করলে নিশ্চয় বাচ্চা-বুড়ো রেয়াৎ করবে না। সমর্থ পুরুষ-মহিলারা তো পালিয়ে বাঁচবে। কিন্তু ঐ নিরপরাধ শিশু-বৃদ্ধরা তো মারা পড়বে। তার দায়িত্ব কি উনি নেবেন?
    এরকম একটা দ্বিধায় উনি গল্পটা শেষ করেছেন।
    আপনি যাঁদের কোলে পিঠে মানুষ হয়েছেন তাঁদের এরকম পরিস্থিতির সামনা করতে হলে, তাঁরা কি করতেন?

  • PT | 203.110.246.230 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৪500097
  • যে রাজনৈতিক পদ্ধতিতে স্বাধীনতা এল সাতচল্লিশে তার শেষটায় তো শুধুই মৃত্যু, বিভৎসতা আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার। এই মৃত্যুর দায় নেবেনা কোন রাজনীতিবিদ বা কোন রাজনৈতিক পথ? গোটা আন্দোলন তো অহিংসার নামে পরিচালিত হয়েছিল। তবে এত মৃত্যু কেন?
  • maximin | 59.93.193.211 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:১৫500099
  • দীর্ঘদিন আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকার সুযোগই বা তাদের হত কি?
  • maximin | 59.93.193.211 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:১৪500100
  • কল্লোল হয়তো ঠিকই বলেছেন। ব্যাপক ও দীর্ঘদিনের সশস্ত্র আন্দোলন ঘটে ওঠে নি বোধ হয়।
  • SC | 150.212.8.135 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:২০500101
  • আলোচনাটা অনেক দূর গড়িয়েছে। এই সুতোতে লেখার বিশেষ ইচ্ছে ছিলো না, প্রতিদিনের লিঙ্ককে খুব একটা
    বিশ্বাসযোগ্য মনে করি না। সত্যি কি মিথ্যে এখানে কেউই বুকে হাত রেখে বলতে পারবে না, আমরা কেউই তো লালগড়ের জঙ্গলে
    কিষেনজী আর জাগরী বাস্কেদের সাথে ছিলাম না। কিন্তু কিষেণজীকে যেভাবে দেখানো হচ্ছে, তার মধ্যে একটা সাদা কালো ব্যাপার আছে। পড়ে মনে হচ্ছে কিষেণজী বিপ্লবী না, ক্যাসানোভা পুরো। প্রতিদিনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য তো আছেই, তার উপরে এটা একদম হেবি মশলাদার স্টোরি। সেক্স আছে, ভায়োলেন্স আছে। অরণ্যদেবের মতো একটা লোক, বনে জঙ্গলে প্রতিদিন রাতে একটা নতুন মেয়ে নিয়ে শুচ্ছে, তাও আবার কোথায়, না আমাদের বাড়ির পাশেই। এগুলো মধ্যবিত্ত বাঙ্গালির সকালবেলার যৌন উত্তেজনার রসদ হতে পারে, কিন্তু কোনো বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক দলিল নয়। তার মানে এই নয় যে কিষেণজীদের দলে মেয়েদের উপরে কোনো অত্যাচার হয় না। হয়ে থাকতেই পারে।

    আমি মাওবাদীদের সাথে থাকিনি গিয়ে কোনোদিন, আন্ডারগ্রাউন্ডে কি হয়, সেগুলো লোকমুখে শুনেই জানি। তবে এই পোস্টে মূলত একটা জিনিস পয়েন্ট আউট করতে চাই, যেটা এখনো দেখছি কেউ লেখেনি। শেষ কয়েকদিনের প্রায় সমস্ত বাংলা দৈনিকের প্রথম পাতায় কয়েকটা নাম উঠে এসেছে, খেয়াল করেছেন নিশ্চয়। নামগুলোর দিকে একটু চোখ বোলানো যাক। সুচিত্রা মাহাত, জাগরী বাস্কে, শোভা মান্ডি। এতজন আদিবাসী মহিলা একটা রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি হিসেবে খবরের শিরোনামে কবে এসেছে। আদিবাদী ছেড়ে দিন, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে যে সমস্ত কমিউনিস্ট দলের বেস, যাদের সদস্যসংখ্যা আরো অনেক বেশী, তারাও চার পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ মহিলা কমরেডদের নাম করুন না।
    আরেকটা কথা মনে রাখা দরকার। কিষেণজীদের পার্টি হাওয়ায় ভেসে অপারেট করে না। এই সমাজের বাস্তবের মধ্যেই অপারেট করে। সেই বাস্তবগুলোকে মেনে নিয়েই তাদেরকে সেখান থেকে বদল শুরু করতে হয়। আর সেই বাস্তবগুলো অনেকসময়ই শিক্ষিত মধ্যবিত্তের বাস্তবের চাইতে আলাদা। সেখান থেকে এতজন মহিলাকে একটা পার্টির নেতৃত্বের প্রথম সারিতে আনতে পারাটা কৃতিত্বের ব্যাপার বলে মনে করি। পাশাপাশি আমার বাস্তববুদ্ধি থেকে এও জানি, যে এর মানে এমনও নয়, যে সেখানে পুরুষতন্ত্রের প্রকাশ ঘটে না। বিশেষ করে একটা সামরিক বাহিনীতে। যুদ্ধের সংস্কৃতি আদি অনন্তকাল থেকে পুরুষের সংস্কৃতি। বীর্যই পৌরুষের সবচেয়ে বড় প্রকাশ।অএরকম একটা বাহিনীতে নারীকে পণ্যরুপে দেখবার ব্যাপারটা খুব উইনিভার্সাল। সেখানে মাওবাদীদের বাহিনীতেও সেরকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে আশ্চর্য হব না। শুধু তাই নয়, এও বলব, যে সহিংস আন্দোলনের উপরে দাঁড়িয়ে যদি একটা ভাতৃত্ব বা কিষেণজীরা যাকে বলেন ক্যামারাডরি তৈরী করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে পদে পদে বিপদ। পুরুষতন্ত্র সেখানে মাথা তুলবেই।
    তা সতে্‌ব্‌বও মাওবাদীরা আদিবাসী মহিলাদের যে গুরুত্ব দিয়েছেন নিজেদের দলে, সেটা অস্বীকার করা যায়না। কেন দিয়েছেন, আর মাওবাদী সমাজে (মানে মুক্তাঞ্চলে যে সমাজ ওনারা গড়েছেন) মেয়েদের গুরুত্ব এবং সম্মান কতটা, এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অরুন্ধতীর লেখায় এই নিয়ে কিছু আলোচনা আছে, যদিও সেখানে কতখানি সত্যি আর কতখানি অতিরঞ্জন বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়।
  • Tim | 198.82.20.127 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:২৪500102
  • এসসি কে বড়ো করে ক দিলাম প্রায় সব পয়েন্টেই।
  • kallol | 101.63.47.153 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৫৩500103
  • দেশ ভাগ নিয়ে দায় এড়াতে কেউই পারেন না। একমাত্র মৌলনা আজাদ ছাড়া।
    উনি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে ভারতকে (তখনকার স্বাধীন করদ রাজ্যগুলো বাদে) চার ভাগে ভাগ করা হয়। এ বি সি ডি। সকলেই এটা মেনে নেন। কং, মুলী ও সরকার। বাগড়া দেন অহমের বরদলুই। ডি গ্রুপে ছিলো অবিভক্ত বাংলা ও অহম। বরদলুইয়ের আপত্তি ছিলো তাতে। এতে নাকি গ্রুপ ডি মুসলমান প্রধান হয়ে যাবে। গান্ধী তাতে সায় দেন ও কং থেকে নেহেরু বলেন গ্রুপ নাকি কং মানেনি, শুধু বিবেচনা করছিলো। জিন্না সুযোগ বুঝে সরে আসেন ও ডায়রেক্ট অ্যাকশন ঘোষনা করেন।
    আবার ভাকপা তখন দালিল দেয় মুসলমান জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার আছে। দইলের লেখক গঙ্গাধর অধিকারী, সিপিআই নেতা। ভাকপা পাকিস্তান মেনে নেয়।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:১৪500104
  • আমাদের একটা স্বভাব হল এক সঙ্গে অনেক গুলো বিষয় এনে আলোচনার মূল বিষয় টা কে ঘেঁটে দেওয়া।

    Sc গুছিয়ে লিখে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
  • ranjan roy | 115.118.155.159 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:০৫500105
  • তিন নম্বর গল্প:
    আমি বলতে চাইছি বর্ষ ৬৭-৬৮তে কালপুরুষ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় উৎপল দত্ত মশায়ের লেখা একটি নাটক। আমি তখন ওনার অন্ধভক্ত। ওনার লেখা, প্রবন্ধ যা পাই গোগ্রাসে গিলি।
    নাটকের নামটি মনে পড়ছে না। বিষয় অতীব চিত্তাকর্ষক।
    ষাটের দশকের রাশিয়া , যখন ডি-স্তালিনীকরণ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেচে।( স্তালিন কন্যা স্বেতলানার মৃত্যু সংবাদ পড়ে নাটকটার কথা আরো বেশি মনে পড়ছে।)
    নাটকটির মুখ্য পাত্র রাখমালিনভ নামের একজন কাল্পনিক চরিত্র , যিনি স্তালিনবাদী, একদা পলিটব্যুরোর মেম্বার , কিন্তু ""আজ"" পদচ্যুত, অপমানিত এবং পার্টিবিরোধী ও সোভিয়েত
    বিরোধী চক্রান্তের দায়ে অভিযুক্ত।
    উৎপল নিজে স্তালিনবাদী ছিলেন এবং ""মস্কো ট্রায়াল''
    ডকুমেন্টটিকে সমর্থন করতেন। নাটকে দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধ রাখমালিনভ বর্তমান সংশোধনবাদী শাসকদের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্তালিনবাদীদের গোপন প্রতিরোধ কেন্দ্র কথিত নিকোলাই-৩৪ এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। গ্রেফতার অবস্থায় তাঁকে দিয়ে দোষ স্বীকারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তখন অনেকটা ক্যাণ্টারব্রিজের সাধু বেকেটের সঙ্গে যেমন হয়েছিল তেমনি কায়দায় তাঁকে দিয়ে দোষ স্বীকার করাতে আসেন তাঁর একদা পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট , পরে স্ত্রী, তারপরে ডিভোর্সি মহিলাটি। তিনিও ব্যর্থ হন, কিন্তু যুদ্ধের সময় তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
    উৎপল রাখমালিনভ চরিত্রটিকে পরম মমতায় নির্মাণ করেছেন। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে তাঁর আত্ম-পক্ষ সমর্থনে আমরা পাই ফ্ল্যাশব্যাকে একটি সীন। তাতে মস্কোর উপকন্ঠে জার্মান গোলাগুলি চলছে। কর্তব্যে অবিচল রাখমালিনভকে মহিলাটি বলেন যে এভাবে নিয়মিত আমার সঙ্গে বিছানায় যাচ্ছ এর ভবিষ্যত কি?
    অবিচলিত রাখমালিনভ বলেন--এখন যুদ্ধের সময়। কিন্তু এখন থেকে ক¾ট্রাসেপ্টিভ না নিয়ে আমরা বিছানায় যাব না।
    নাটকটি উৎপল তখন জেলে যাওয়ায় অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অবশ্য বর্তমান আলোচনায় এহ বাহ্য।
    [ এই নাটকটি পড়ে আঠেরো বছরের হরিদাস পালের ভুবন ভেঙে খান খান হয়ে যায়। তখন আমরা বড় সরল লিনিয়ার আর্গুমেন্টে বিশ্বাস করতাম। আমাদের দুনিয়া বড্ড সাদা-কালো ছিল। বিশ্বাস করতাম যে ম্যালথাস হলেন সাম্রাজ্যবাদী চিন্তার অ্যাপোলজিস্ট। বিশ্বাস করতাম রিজার্ভ আর্মি অফ লেবারের বিপ্লবী সম্ভাবনায়। কাজেই আমাদের চোখে ফ্যামিলি প্ল্যানিং ছিল সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। গরীবের পরিবারে বাড়তি জনসংখ্যাই তো শক্তি! যখন পান দোকাঅনে নিরোধ পাওয়া যেতে লাগলো আমরা নি:সন্দেহ হলাম যে এ হল যুবশক্তিকে বিপ্লবের রাস্তা থেকে বিপথগাঅমী করার প্ল্যানিং। মাও কি ফ্যামিলি প্ল্যানিং করেছেন ? দেবেন ঠাকুর যদি হাম দো- হমারে দো মানতেন তাহলে কি রবীন্দ্রনাথকে এই পৃথিবী পেত? স্টেটস্‌ম্যান যখন লিখতো যে চৌ এন-লাইয়ের চীনে পরিবার নিয়ন্ত্রণ না করলে সরকারি চাকরিতে ইনক্রিমেন্ট আটকে দেয়া হচ্ছে আমরা অবাক হয়ে ভাবতাম এমন গোটা গোটা মিথ্যে কথা ছাপতে এদের লজ্জাও করে না!]

  • dd | 124.247.203.12 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:১২500106
  • ইয়েস, রঞ্জন। ইশ্‌কুল কালেজ ছাড়াও, ফেমিলি প্ল্যানিং সেন্টারে নিয়মিত বোমা মারাও নকশালদের কৃত কর্ত্তব্যের মধ্যেই ছিলো।

    ফেমিলি প্ল্যানিং = সিয়ার চক্রান্ত।

    এ সব বিশ্বাস করতে আমাদের বিন্দুমাত্র অস্বস্তি হয় নি।

  • maximin | 59.93.240.198 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:২৯500107
  • পড়তে ভারি ভালো লাগছে।
  • siki | 123.242.248.130 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৫১500108
  • :-)

    কী নিষ্পাপ জীবন ছিল, না, তখন?
  • ppn | 216.52.215.232 | ০১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৫৬500110
  • :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন