এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইকনমিক রিফর্ম মাল্টিব্র্যান্ড এফডিআই ডিবেট ৩

    aka
    অন্যান্য | ১৪ ডিসেম্বর ২০১১ | ১৯৬২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 122.167.2.215 | ১৪ জানুয়ারি ২০১২ ২২:০৩511134
  • "ইতিমধ্যে তিন পেগ হয়ে গ্যাসে".... এই আপাত নিরীহ বাক্যবন্ধের মধ্যে অন্তরনিহিত একটি প্রায় অনুচ্চারিত অপিচ অনৃতকারী আপ্তবাক্য রয়ে গ্যাছে, জানি না কেউ খ্যাল করলেন কি না।

    মানে য্যানো, অ্যাস ইফ, তিন পেগের পরে একটা ডেলিউজ, একটা যুক্তিবিন্যাস প্রকাশের অবশ্যম্ভাবী ক্ষীয়মানতা, ভাবপ্রকাশে এক ক্রমান্বিত ম্যালনিউট্রিশন, এবং এক ভ্যাবাগংগারাম অবস্থানের নিশ্চিত সুচনা - এ সবই ওতো:প্রোত হয়ে রয়েছে পোস্ট তৃতীয় পেগের পর।

    খ্যাল করবেন ঠাকুর বলেছেন ওরে পোদো, পেগ কদাপি গুনিস না রে ভাইটু। অহৈতুকী পেগ না হলে ভক্তিবিলাস জমে না রে জমে না।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ১৪ জানুয়ারি ২০১২ ২২:১৬511135
  • কিন্তু ঠাকুর ঘড়িতে বারোটা বাজা নিয়ে কিছু বলেন নাই। ঐটি, বন্ধুগন, এএম-এর আগে পিএম-এর অবদান।
  • dd | 122.167.39.211 | ১৪ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৩511136
  • "কৃষ্ণবর্ণ অনার্য্যদের দিন গিয়াছে, উহাদের এক্কেবারে বারোটা বাজিয়া গিয়াছে " (ঋগবেদ) সেই থেকে "বারোটা বাজার" একটা মেটাফরিক্যাল বা মতান্তরে অ্যালেগরিক্যাল ট্র্যাডিশন সমানে চলিয়া আসিতেছে (ওয়াজেদ আলি ও মিরাক্কেল)।

    ঠাকুর কইতেন "এইসব হোলোগে ফ্যালোজপি, আমি এ সব নিয়ে টুঁ শব্দটি ও করি না। আমি রসে বসে থাকি।" পোদো ও এক বাক্যে মেনে নিতো।

    আমি তো কোন ছাড়।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ ১০:৪৩511137
  • কিন্তু প্রশ্চেন, হইল, উদ্‌গাতাগন বারোটা বাজিবার কথা জানিলেন কি করিয়া? এইখানে পোদোর ধ্যান-ধারনা প্রণিধানযোগ্য। অনার্য্যনগরের প্রাচীরে একটি বালুকাঘটিকা লট্টায়িত ছিল। তাবৎ নগরবাসী সেই ঘটিকার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া পংচুয়ালি নিজ নিজ কর্তব্যপালন করিত। আক্রমণকারী আর্য্যগন দেখিল যতদিন অসুরেরা এইরূপ কর্তব্যনিষ্ঠ থাকিবে ততদিন উহাদের পুরগুলি দুর্ভেদ্য থাকিবে। তখন উপায়কুশল শ্বেতজাতি নিজেদের মধ্যে পরামর্শে বসিল। পরামর্শে স্থির হইল, অসুরগনের ভাষা না জানায় উহাদের কনভিন্স বা কনফিউজ, কোনটিই করা সম্ভব নয়। উহাদের উৎকোচের দ্বারা কোরাপ্ট করা হউক। ইলাবৃতবর্ষের উপর দিয়া ভ্রমনকালে আর্য্যগন বিভিন্ন ওষধি বৃক্ষ সংগ্রহ করিয়াছিলেন। তাহার মধ্যে সোম ব্যতীত অন্য একটি অজানা ওষধি ছিল যাহা দূর হইতে মানুষের কান্‌ড্‌জ্‌ঞান নাশ করিতে পারিত। ইন্দ্র নামক এক জুনিয়র সেনাপতি কহিলেন -এই বর্বরগনের পিছনে অধিক ব্যয় করা যুক্তিসঙ্গত নহে। অপিচ করভারে পীড়িত গৃহপ্তিগন অধুনা কিঞ্চিৎ অসন্তুষ্ট। অসুরগনের পশ্চাতে কোষাগার হইতে ব্যয় হইতে দেখিলে তাহারা পিন্ড করিতে পারে। বরং যুথের ফার্মেসীর ক®¾ট্রাল আমার হস্তে প্রদান করা হউক। বোধহয় অধিক সহায়তা বিনাই আমি উহাদের বংশ দিতে পারিব।

    এই বলিয়া, ইন্দ্র ফার্মেসী হইতে বোঝা ধরিয়া সেই শুষ্ক গুল্ম পুরপ্রাকারের নিকটে লইয়া তাহাতে অগ্নিসংযোগ করিলেন। অধুনা গি্‌ঞ্‌জকা নামে প্রিচিত এই গুল্মের ধূম্র আঘ্রাণ করিয়া বালুঘটিকার রক্ষকের নেশা হইল। ঘটিকায় বালু ভরিবার সময় তাহাতে কয়েকটি ক্ষুদ্র প্রস্তর মিশিয়া গেল।

    অসুরগন চিরকাল দেখিয়াছে তাদের সময়জ্ঞাপক যন্রটি বিনা শব্দে, বিনা অনুযোগে কাজ করে। তাই পরদিন প্রভাতে তাহারা যখন দেখিল সেই চিরনীরব বালুকাঘটিকা মধ্যে-মধ্যেই ঠং করিয়া আবাজ দিতেছেঅ, তাহারা একেবারে দিশাহারা হইয়া গেল। বালুকায় নুড়ি মিশিয়া যাইতে পারে এরুপ সম্ভাবনা তাহাদের চিন্তায় আসে নাই। সর্বজনপ্রিয় ঘড়িটি এইবার দেহরক্ষা করিতে চলিয়াছে, এই চিন্তায় আকুল হইয়া কর্তব্যকর্ম ত্যাগ করিয়া সকলে বিষন্নবদনে ক্রিকেটখেলার ধারাবিবরনী শুনিতে লাগিল। এই অবসরে, অত্যল্প চেষ্টায় আয়াসে ইন্দ্র পুরী অধিকার করিল।

    চালাকি করিয়া পুরী অধিকার করিবার জন্য ইন্দ্রের নাম হইল পুরন্দর। ঘটিকায় বারোটি প্রস্তরখন্ড ঢুকিয়া বারোবার শব্দ করিয়াছিল, বা বাজিয়াছিল। এই বারোটি শব্দ হইতে অসুরগনের সর্বনাশ হইয়াছিল। সেই হইতে কাহারও সর্বনাশ ঘটাকে তাহার বারোট বাজা বলিয়া ব্যাঞ্জনার্থে বলা হইয়া থাকে।

    এই তঙ্কÄ হ্রীঠাকুর অবগত ছিলেন না। মা ভবতারিনী এই কথাটি ঠাউরকে বলিবার অবসর পান নাই, কেন প্রচুর ভর্জিত মৎস্যান্ড বক্ষণ করিয়া ঠাকুর এই আলোচনার পূর্বদিন সারাদিন গঙ্গাতীরেই গামছা পড়িয়া বসিয়া ছিলেন, মন্দিরে যাইবার অবসর পান নাই। এদিকে সিয়েস্তার সময় পার হইয়া যায় দেখিয়া নিরূপায় শ্যামামাতা এই গূঋহ তঙ্কÄটি পোদোকে বলিয়া যান। এলিট পাতিবুর্জুয়া ইস্কুলমাস্টার মহেন্দ্রবাবু উপেক্ষা করিয়া অব্রাহ্মণ পোদোর কথামৃত লিপিবদ্ধ করেন নাই। সুতরাং বারোটা বজিবার উৎস কথামৃতে লিপিবদ্ধ হয় নাই।
  • bb | 14.99.20.245 | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৩৯511138
  • শনিবার মধ্যযামে কারণবারীর প্রভাবে শিবুদা একটি অসাধারণ গদ্য লিখিয়াছেন - উল্লাস :)
  • maximin | 69.93.205.12 | ২৮ মে ২০১২ ১৪:৫৯511139
  • বালুকাঘটিকা উপাখ্যান খুঁজিয়া পাতিয়া বাহির করিলাম।
  • aka | 85.76.118.96 | ০২ আগস্ট ২০১২ ০৮:১৯511140
  • http://www.anandabazar.com/archive/1120731/31edit4.html

    গতকল্য একজন স্বনামধন্য অ্যাকাডেমিশিয়ানের মুণ্ডপাত করিয়াছি। ভাবিয়া দেখিলাম মানুষ খুন করিলেও আসামীর বিচার হয়, তবে কেন পাবে না বিচার এই নিরীহ উত্তর সম্পাদকীয়? সইত্যের খাতিরে খানিক দায় বর্তায় নিজের অবস্থান বিবেচনা করার। বিশেষত বহুদিন বাদে আনাচে কোনাচে দেখা যায় কিছু ভিতর ঘরের অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের।

    তবে আজ আমি যাহা কহিব তাহা অর্থনীতি নহে সে ক্ষমতাও আমার নেই। শুধুমাত্র কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা, কিছু মাটির কথা, মাঠের কথা।

    শহর ছাড়িয়ে আসুন একটু মানে বেশি না এই ধরুন ত্রিশ চল্লিশ কিমি মফস্বলের দিকে। দক্ষিণে লক্ষ্মীকান্তপুর আর উত্তরে ধরুন কিনা ইছাপুর এলেই চলবে। একটু দেখা যাক রিটেল বলতে এখানকার লোকে কি বোঝে?

    সকালে উঠে থলে হাতে বাজারে গিয়ে টিপে টুপে, দেখে শুনে কাঁচা বাজার, মাছের বাজার থেকে জ্যান্ত মাছ, বা কানকো লাল থাকা প্রায় জ্যান্ত মাছ বেছে নিয়ে প্রশ্ন - 'কত করে দেব'? দোকানি যদি বলে ১০ টাকা তাহলে ক্রেতা অবশ্যই বলবে ইয়ার্কি হচ্ছে? এর দাম ৬ টাকা। দোকানি বলবে -'দাদা আপনি আমার রেগুলার কাস্টোমার, আপনার থেকে বেশি নেব না'। 'কেনা দামে ছেড়ে দিলাম ৮ দিন'। দোকানি লাভ রাখল, ক্রেতা নিজের পাওয়ার বজায় রাখল, দর করে কিনে ভাবল আহা আজকে অন্তত সংসার ধর্ম পালন করলাম। ওদিকে যা কিনল সবই বেশ টাটকা। এদিকে বাজার আসা যাওয়া, কেনার ফাঁকে, এক কাপ চা বা দুটো বিড়ির ফাঁকে রক্ষা করে নিল দৈনিক সামাজিকতা।

    দ্বিতীয় আর এক শ্রেণীর ক্রেতা। এনারা ধোপদুরস্ত হয়ে, কানে পাবডার লাগিয়ে বাজার করতে আসেন বিকেলে। এনারা হাতে দিয়ে সবজি দেখেন না, মাছের কানকো দেখেন না। এনারা যে জিনিষ সকালে ৮ টে বিকিয়েছে সেই জিনিষের জন্যও ১৩ টাকা দেন।

    তারপর ধরুন রোজকার চাল ডাল, তেল, নুন, জিরে, ধনে ইত্যাদি। এখানে তিন ধরণের ক্রেতা।

    প্রথম শ্রেণীর ক্রেতা, রোজ সকালে উঠে আঁচলে কত টাকা আছে এবং কর্তা কি বাজার করে আনল তার ওপর চিন্তা ভাবনা করে যে মুদির দোকান থেকে কি লাগবে। এক পো সরষের তেল, ৫০ পয়সার জিরে নাকি ১ টাকার কালো জিরে। এনাদের রোজকার বাজার রোজ হয়। পাড়ার মুদির দোকানে এনাদের একটা ধারের খাতা থাকে। যেদিন আঁচলের পয়সায় কুলোয় না সেদিন হিসেব লেখা হয় ঐ ধারের খাতায়।

    দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্রেতা, এনাদের রোজ মুদির দোকানে যেতে হয় না। যেতে হয় মাসে একবার বা দুইবার কিন্তু সব পয়সা একেবারে দেবার ক্ষমতা নেই মাসকাবারের খাতায় লেখা হয় সব। পেমেন্ট হয় মাসে একবার।

    আর তৃতীয় শ্রেণীর ক্রেতা হল সবজি বাজারের দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্রেতা। এনাদের কাছে টাকার থেকেও কোয়ালিটি বড় ব্যাপার।

    যদি মার্কেট সেগমেন্ট দেখেন তাহলে সবজি বাজারের প্রথম শ্রেণী আর মুদির দোকানের প্রথম দুই শ্রেণী হল সিংহভাগ।

    তাহলে ভেবে দেখুন তো ওয়ালমার্ট কাকে রিটেল বেচবে? কত পার্সেন্ট মার্কেট সেগম্ন্টের দিকে নজর দেবে? এসব ভাবার জন্য সাম্রাজ্যবাদ জানতে হয় না, মার্ক্স, কেইন্স, রিকার্ডো কিছুই বুঝতে হয় না। শুধুমাত্র ডান বাম ভুলে মাঠের কাছা কাছি থাকলেই হয়।

    আমি ওয়ালমার্ট হলে কক্ষণো ধারের খাতা রাখতাম না কানে পাবডার বাবুরা থাকতে কি দরকার? অতএব আমার কাছে খুব পরিষ্কার রিটেলে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট হলে কারা সেখানে যাবে, কারা যাবে না। অতএব এও পরিষ্কার কার ক্ষতি হবে কার নয়। আমার মনে হয় এটা দূর্ভাগ্য যে সুগত মার্জিতের কাছে এটা পরিষ্কার নয়।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০২ আগস্ট ২০১২ ০৮:২৯511141
  • এতদ্বারা সুগত মারজিৎ তৃণমূল কেন, ব্যাখ্যা হলনা।
    অবশ্য কাল বিকিয়ে যাওয়া টাইপের একটা ব্যাখ্যাও দেখলাম। :)
  • aka | 85.76.118.96 | ০২ আগস্ট ২০১২ ০৮:৩৫511142
  • ওটা ইনসাইডার ইনফো। ;)

    সবকিছু বলতে আছে নাকি? টেক্কা দেখাতে নেই।
  • রাজদীপ | 230.227.106.153 | ০২ আগস্ট ২০১২ ০৮:৪৩511144
  • কিস্যু ইন্সাইডার জানার দরকার নাই

    প্রায়ই তো তারানন্দের আলু সুমনের আসরে বসে পার্কস্ট্রীট কান্ড থেকে ত্রিফলা লাইট সব ইস্যুতেই তিনো কর্মীদের মতই কথা বলেন !
  • aka | 178.26.215.13 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১৯:৫৪511145
  • ঈশানের প্রশ্ন অনুযায়ী আবাপর এই উত্তর সম্পাদকীয় পড়ে কি করে কারুর রাজনৈতিক মতামত সম্বন্ধে রায় দেওয়া যায়? যায় না, আবার যায়ও।

    তো এই প্রবন্ধ বা উত্তর সম্পাদকীয় পড়ে আমার মনে হল। চোখ কান একটু খোলা রাখলে কি দেখা খুব শক্ত যে ম্যাকডোনাল্ড আসায় পাড়ার পরটা মাংসর দোকান উঠে যায় নি। কলকাতায় চাইনিজ বাফে এলে শংকরদার তেলেভাজা, ফিসফ্রাইয়ের দোকানে একটুও আঁচ পড়ে না। ম্যাকডোনাল্ড কি চাইলে ইছাপুর বা শান্তিপুরে দোকান খুলতে পারে না? খোলে না তার কারণটা খুব সহজবোধ্য। তারজন্য অর্থনীতির জটিল তত্ত্ব জানতে হয় না, সাম্রাজ্যবাদ জানতে হয় না, ফুকো, দেরিদাও জানতে হয় না। যখন কেউ এসব নিয়ে কথা বলেন বিশেষত যাঁদের ওপর একটু বিশ্বাস আছে,কিন্তু অবভিয়াস যুক্তি বাদ দেন, তখন স্বভাবতই মনে হয় কেন? তারপরে যখন দেখি যুক্তি একটি বিশেষ পক্ষের নেবারহুডে বিলং করছে তখন ব্যাপারটা খুব সহজ।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২১:০৩511146
  • তা নাহয় হল। কিন্তু তৃণমূল কেন, সিপিএমও তো হতে পারে।
  • pi | 82.83.90.116 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২১:৪১511147
  • যায় না, আবার যায়ও মানে কী ?
    সেদিন ভাটে লিখেছিলুম, সুগত মারজিতকে নিয়ে হনুদার মন্তব্যেও অবাক হয়েছিলুম। এই লেখাটা কেন তৃণমূলী লেখা, বুঝিনি। এই ইস্যুতে বামদলগুলোর বক্তব্যও তো একই। এই লেখার থেকে কোথায় আলাদা ?
  • maximin | 69.93.206.22 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২২:৫৫511148
  • আমিও বুঝিনি বাম দলগুলোর বক্তব্য থেকে কোথায় আলাদা। এবং আকার যুক্তিগুলো সুগত মারজিতের সব পয়েন্টকে অ্যাড্রেস করে না।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২৩:০০511149
  • আরেকটা ছোট্ট প্রশ্ন -- সুগতবাবু বানানটা 'মার্জিত' না লিখে 'মারজিৎ' লেখেন কেন? এনি গেস?
  • kd | 69.93.206.4 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২৩:২৬511150
  • সুগত লেখে কেননা ওর বাবা তাই লিখতো বলে। ওকে ছোটোবেলা থেকে চিনি। ওদের বহরমপুরের বাড়িতে (মনীশ ঘটকের প্রায় পাশের বাড়ি) বেশ কয়েকবার থেকেছি। ওর মা, বুলবুলদি আমায় ছোট ভাইএর মতো দেখতেন।
  • kd | 69.93.206.4 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২৩:৩০511151
  • সরি, খেয়াল করিনি। ওর বাবা "মার্জিৎ" লিখতেন। "মারজিৎ" হয়তো আবাপ বানান। ঃ)
  • maximin | 69.93.206.22 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:০১511152
  • হয় নি কেডি। সুগতর বক্তব্য হল তার ফার্স্ট নেম লাস্ট নেম দুটোই গৌতম বুদ্ধের নামে। সুগত তো বটেই আর মারজিৎ মানে মারকে জয় করেছে (যে)।
  • aka | 178.26.215.13 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:২১511153
  • এই লেখা পড়ে কেন মনে হল সুগত মার্জিতের রাজনৈতিক অবস্থান কি? শুধু এই লেখা পড়ে হয় নি। এই লেখাটা পড়ার পরে মনে হল কনফার্মড হলাম। এই লেখাটার অবস্থান বাম নয় কারণ সেটা হেডিং পড়লেই বোঝা যাবে। খুব কেয়ারফুল্লি নিজেকে বামেদের থেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন, আবার ওদিকে এফডিআইয়ের বিরোধীতাও করেছেন। এরকম অবস্থান একমাত্র দিদিরই আছে।

    আর বাকি অন্তত এক জায়গায় উনি বলেছেন উনি তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এদিকে কাগজে তৃণমূলের সপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। সহজ ইকোয়েশন বলেই মনে হল।

    ম্যাক্সিদি সুগত মার্জিতের বক্তব্যই হল লস টস হিসেব করে কোন রাজ্যে কত কি লাভ বা ক্ষতি হবে তার হোয়াইট পেপার বের করতে হবে। বক্তব্য হল তাহলে প্রতিটা ম্যাকডি খোলার আগেও তাই করতে হয়। ইত্যাদি।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:১৩511155
  • কথাটা ঠিক তা নয়। ক্যাবিনেটে যখন বিল পাসড হয়েছিল তখন কয়েকটা শর্ত রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে চতুর্থ ছিল -- কোনও সরকার (রাজ্যসরকার) না চাইলে সে রাজ্যে দোকান খুলতে বাধ্য করা হবে না। বাধ্য করা যায়ও না। কারণ এটা সংবিধানের concurrent লিস্টে পড়ে। পার্সুয়েশন লাগবে। লাভ হবে, ক্ষতি হবে না এরকম আশ্বাস ছাড়া পার্সুয়েশন হবে না। লাভ ক্ষতির হিসেব নিকেশে শুধুই লাভ, নো রিস্ক, ইকনমিস্ট হিসেবে সুগতবাবু এটা মনে করছেন না। কিছু যুক্তি দিয়েছেন।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫৯511156
  • হেডিং প্রসঙ্গেঃ সাধারণভাবে দৈনিক/সাপ্তাহিক ইত্যাদিতে প্রবন্ধ/ফিচার ইত্যাদি লিখলে লেখক সেটার নাম দেননা। ওটা সম্পাদকের এক্তিয়ার বলে ধরা হয়। লেখকের লেখায় না জানিয়ে হাত দেওয়া অপরাধ। কিন্তু লেখার নাম? ও, যা দরকার তাইই দেব। লেখক কোনো নাম না দিলেই ভালো। ভালো কি মন্দ জানিনা, তবে এরকম একটা কালচার চলে, আর মোটামুটি লোকে সেটা মেনেও নেয়। ফলে হেডিং থেকে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ভারি মুশকিল।
    তবে হ্যাঁ, গপ্পো, উপন্যাস, কবিতা, মানে যা কিছু "ক্রিয়েটিভ" সেখানে আবার এই হিসেব একদম চলেনা, সেটাও জানিয়ে রাখলা।
  • aka | 178.26.215.13 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১৭:৫১511157
  • ঈশান লেখাটা না পড়েই বলছে?

    "খুচরো ব্যবসায়, যাকে রিটেল বলে, বিদেশি বিনিয়োগ এলে তাতে কার লাভ, কার ক্ষতি? দেশের সব রাজ্যের কি সমান লাভ? কেন্দ্রীয় সরকার এই বিনিয়োগকে ছাড়পত্র দিতে মরিয়া কেন? এই বিনিয়োগের পক্ষে যাঁরা সওয়াল করছেন, তাঁদের যুক্তি অর্থনীতির ধোপে টিকবে কি? অনেকগুলো প্রশ্ন দিয়েই শুরু করলাম। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা প্রয়োজন।
    শাক-সবজি বা মাছ-মাংস যাঁরা উৎপন্ন করেন, তাঁরা হয় নিজেরাই বাজারে এই জিনিসগুলো বিক্রি করেন; অথবা অন্য ব্যবসায়ীদের বিক্রি করে দেন যাঁরা এই পণ্যগুলিকে খুচরো বাজারে বিক্রি করেন। বাজারে নতুন ব্যবসায়ী এলে তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের দাম আরও বাড়বে। ফলে, চাষিদের তাঁরা গরিব বা বড়লোক, যা-ই হোন না কেন সুবিধা হওয়ার কথা। অন্য দিকে, বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়লে খুচরো দাম কমবে। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগকে ছাড়পত্র দেওয়ার পক্ষে এই যুক্তি সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এই যুক্তিতে ফাঁকফোকর কোথায়, খুঁজে দেখা যাক। না, আমি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের কথা বলব না! নিছক অর্থনীতির যুক্তির মধ্যেই আমার ঘোরাফেরা।"

    হেডিংটা লেখা থেকে একেবারে আলাদা নয়।
  • maximin | 69.93.194.244 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ২১:৪৫511158
  • ২৫ শে নভেম্বর ২০১১ তারিখের খবর অনুসারে 'Governments that are opposed to foreign retailers may be offered the freedom not to allow them in their states.'

    এখন কিন্তু চাপ দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চাপ দেওয়া হচ্ছে তৃণমুলকে। ইউ পি এ তে আছে আছে বটে। এই ইস্যুতে কংগ্রেস দলকে সাপোর্ট করতে তারা বাধ্য নয়। আর সুগত মারজিত তৃণমুলের লোক এটা এত কীসের গোপন কথা? অফিশিয়াল পোজিশন হোল্ড করেন।
  • cb | 24.99.99.145 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:৪৭511159
  • সবাই চুপ ক্যানে?
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:০২511160
  • সবার গলা ভেঙে গ্যাছে। কিন্তু আমার নয়।

    আর এই টইতে লেখলেখি করতে আমার বড়ো আমোদ লাগে।

    যেমন ধরুন বছর দশ বারো আগে লুরুতে মেট্রো চালু হলে বিভিন্ন পাইকারী বাজারের (তরী তরকারী)দোকানদারেরা অবস্থান ধর্মঘট হৈ চৈ - এই সব শুরু করেছিলো। এখন কোনো লিং নেই ? কোথ্থাও ? আল্টিমেটলি কেমন আছেন মেট্রো আর কেমন আছে পাইকরী বাজারের সবজিওয়ালারা? দশ বছর তো হয়ে গ্যালো।

    এই মেট্রো কি জানেন তো? পাতি পাব্লিক নট অ্যালাউড। ঢুকতে আগে ওদের থেকে আইডি করাতে হয়। আপিস কাছারীর কেন্টিন, ছোটো দোকানদার এরাই একমাত্র খদ্দের।

    আর সাত আট বছর আগে শুধু তরী তরকারীর রিটেইল চেইন খুলতে গেলে রিলায়েন্স ফ্রেশকেও ঝামেলা সামলাতে হয়। পাড়ার দোকানদারেরা বলে আমার থেকে আলু পটল তাইলে কিনবে কে? ইঁট পাটকেল ছুঁড়ে, দু একটা কাঁচ ফাঁচও ভাঙা হয়েছিলো। বিভিন্ন শহরে।

    এইসব রিটেইল চেইন তো সর্বত্রই চলছে এখন। পাড়ায় পাড়ায়। এ সবের ইম্প্যাক্টের কোনো স্টাডি হয় নি? না কি শুধুই তাত্ত্বিক কচকচানিই সার?
  • প্পন | 126.50.59.180 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১০511161
  • দীপ্তেনদা বোধহয় মেট্রো ক্যাশ এন ক্যারির কথা কইছেন। মেট্রোরেল চালু হইছে গতবছর।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১২511162
  • হ্যাঁ,হ্যাঁ। কি করে বুঝলে?
  • প্পন | 126.50.59.180 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১৮511163
  • ঃ)

    মেট্রোরেল নিয়েও আফত্তির সেশ নাই। আফত্তি করেছিলেন প্রধানত অটোওলারা। মেট্রোরেল চালু হলে নাকি তাদের জীবন জীবিকায় টান পড়বে।
  • প্পন | 126.50.59.180 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:২৬511164
  • রিলায়েন্স ফ্রেশ নিয়ে ইন্টারেস্টিং অব্জার্ভেশন হল দোকান খোলার সাথে সাথে পাড়ার দোকানদারেরা হামলে পড়ে সেইখান থেকে প্রচুর তরিতরকারি কেনেন এবং তারপরে নিজের দোকানে এনে বিক্রি করেন।

    তো, পাড়ার দোকানে ক্রেতার কোন কমতি নাই। কে আর এক বোতল কোল্ড ড্রিংক্স কেনার জন্য পনেরো মিনিট কিউতে দাঁড়াবে? তাছাড়া পাড়ার দোকানে সর্ষের তেল ইত্যাদি ইত্যাদিতে ভালো ডিল দেয়, চেনাপরিচিত খদ্দের হলে এবং বাড়িতেও বিনে পয়সায় মালপত্তর দিয়ে যায়। আর বড় সড় রিটেল দোকান সেট`আপ করতে (নেইবারহুড রিটেল স্টোরের কথা বলছি না) ফাঁকা জায়গা ছাড়া সম্ভব না আর সব পাড়ায় সেরকম জায়গা নেইও।

    এই হল আমার দু'পয়সা।
  • | 24.96.103.31 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:৩২511167
  • এদিকে কোন্নগর, শ্রীরামপুর, ভদ্রেশ্বর, হুগলি ইত্যাদি জায়গায় অটো চালু হওয়ার সময় রিক্সাওয়ালারা প্রচন্ড আপত্তি, ধর্মঘট, দু চার টুকরো ইঁট ছোঁড়াছুড়িও করেছিলেন। ওঁদের রোজগারে টান পড়বে বলে। আজও এইসব স্টেশানের প্ল্যাটফর্ম থেকে নামলে রিকসাই পাবেন। অটো ধরতে গেলে একটু হেঁটে ভিতরে যেতে হবে। অটোস্ট্যান্ড কোথায় জিগ্যেস করলে রিক্সাওলারা ভারী রাগ করেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন