এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই: নির্মোহ (তিন)

    Samik
    অন্যান্য | ৩১ জানুয়ারি ২০১২ | ৪৭৮১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২২ জুলাই ২০১৩ ১৭:৫১513441
  • "বিবুদা তো নিজেই নিজের বিরোধ মেনে নিয়ে তার সপক্ষে মারাত্মক যুক্তি দিয়ে গ্যাছেন - "তোরা জিগ্যেস করিস, কেন আমি একেক জায়গায় একেক রকমের কথা বলি? বলি এই জন্যে যে আজ থেকে একশো বছর পরে আমার আমিটাকে যারা এই সব কথা থেকে খাড়া করতে যাবে, সব কিরকম বুঝভোম্বল হয়ে যাবে।"- কেমন হল তো? অথচ আমি ইতিউতি খুঁটে খুঁটে 'উল্ট-পাল্টা' কথার নমুনা প্রকাশ করলেই ভক্তদের চোখে হাত!"

    ঃ)
    মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
  • Rit | 213.110.246.230 | ২২ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩৩513442
  • কবি একেই বলেছেন 'কেন্দ্রগতং নির্বিশেষঞ্চ'।
  • rivu | 140.203.154.17 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০২:৫২513443
  • @ ডট ডট, অপ্রতিম তুলনাহীন অর্থে লিখেছিলাম। ভুল হলো কি?

    আমি নিজেও নরেন্দ্রপুরের ছাত্র। ঈদ "উত্সব" হতে দেখিনি তো। ছেলেদের মসজিদে নিয়ে যাওয়া হত নামাজ পড়তে। চাইলে ছুটিও দেওয়া হত, বাড়ি যাওয়ার জন্যে। আমার এক বন্ধু ছিলো সফিকুল, বাড়ি থেকে ঈদ এর সিমুই এর পায়েস নিয়ে এসেছিল, ডাইনিং হলে সার্ভ করা হয়েছিল সক্কলকে। অন্য ধর্মের ছেলেদের প্রেয়ার হলে না গেলেও চলত কিনা জানিনা, তবে সফিকুল যেত। হিন্দু ধর্মের পুজো বলতে সরস্বতী পুজো হত। এ ছাড়া আর কালী পুজো হত (সেটা আশ্রমের, স্কুলের নয়), যেসময় প্রায় কেউই থাকত না। এই তো হলো হিন্দু ধর্মের কথা। হ্যান পঁচিশে ডিসেম্বরে ইস্পেশাল পুজো হত বোধ হয়, ওই সময় বাড়িতে থাকতাম।

    ইস্কুলে কোনো ধর্ম নিয়েই খুব আলোচনা হত বলে মনে পড়েনা । মোস্টলি রামকৃষ্ণ মিশনের ইদীয়লোজি। বরং জগতের ধর্মগুরু বলে একটা বই পড়তে হত, যেখানে সব ধর্মের মহাপুরুষদের জীবনী লেখা ছিলো, মায় কন্ফুচিয়াস পর্যন্ত। খুব সামান্য কিছু বেদান্ত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে, বাট যেটুকু তাও থ্রু বিবেকানন্দ। নিজেকে খুব আঁতেল ভাবতাম সেই বয়সেই, মহারাজদের সাথে তর্ক করেছি অনেক বেদান্তের কনসেপ্ট নিয়ে। আর একটা খুব প্রিয় বিষয় ছিল আর্যরা ভারতের না বহিরাগত। এক মহারাজ ছিলেন তিনি দারুন খেলাতেন, এই পক্ষে এই বিপক্ষে। খুব কনফিউজড হয়ে যেতাম আর রেগেও যেতাম। কিন্তু তর্ক ব্যাপারটা এনকারেজ করা হত। এখন বুঝি কত কম পড়াশুনো করেও কত বড় বড় কথা বলেছি। আর একটা জিনিস খুব স্পষ্ট মনে আছে জীবন বিজ্ঞানের ক্লাসে অজিত দা বলেছিলেন জিনিসটার নাম বীর্য হলেও ওথেকে কোনো শক্তিই পাওয়া যায়না, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দের এক্কেবারে বিপ্রতীপে গিয়ে। কোনো ফতওয়া ছিল না তো।

    যাহ একগাদা লিখে দিলুম, নরেন্দ্রপুরের নাম দেখে। টই কে বেপথু করার কোনো উদ্দেশ্য ছিলনা, মাফ করে দেবেন। লিখে আর মুছতে ইচ্ছে করলো না।
  • pi | 172.129.44.87 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৩:০৯513444
  • পঁচিশে ডিসেম্বর স্পেশাল পুজো হতে দেখেছি। শুধু স্কুলে না, যদ্দুর মনে পড়ছে, জয়রামবাটি কি কামারপুকুরেও। পুজোর নৈবেদ্য বোধহয় লজেন্স, টফি, কেক, এইসব থাকতো ঃ)
  • pinaki | 227.211.165.98 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৩:১৪513445
  • কার পুজো?
  • rivu | 140.203.154.17 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৩:১৭513446
  • প্রভু যিশুর
  • pi | 172.129.44.87 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৩:২০513447
  • সারদা, বিবুদা, নিবুদি, রামুদা,সবাইকেই মালা টালা পরিয়ে সাজুগুজু করানো হত। যীশুবাবুর ছবিকে তো পরানো হতই। যদ্দুর যা মনে পড়ছে। তবে টফির কথা বিলক্ষণ মনে আছে।
  • ranjan roy | 24.97.192.111 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৬:৫৩513448
  • এবিসি,

    একটু শান্ত হয়ে শুনুনঃ
    এক, আদৌ বরানগর মিশনে ষাট-সত্তরের দশকে কোন মুসলিম বা ক্রিশ্চান উৎসব হত না। আমার মিশনের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে, নিয়মিত মিট করি। ফোনে কথা হয়। কোলকাতায় এবং নিউইয়র্কে। ধ্রুব দত্তকে এই পাতার অরণ্য জানেন।
    নরেন্দ্রপুরে তখনো হত না। নব্বইয়ের দশকে যদি শুরু হয়ে থাকে আলাদা কথা।
    এবার রিভু ও পাইয়ের পোস্ট গুলো পড়ুন।
    দুই,
    নরেন্দ্রপুরের ছাত্র রিভু ঈদের কথা মনে করতে পারছেন না। উনি ও পাই খ্রিস্ট উৎসবের যা বর্ণনা দিলেন তাকি আদৌ খ্রিস্ট উৎসব?
    আর অভ্যু ও মহসীন মন্ডলকে ছাড়ুন।
    আপনিই বলুন-- মিশনে কোন মুসলিম উৎসবে আপনি যোগ দিয়েছিলেন? আদৌ ইসলামের দর্শন নিয়ে বা উপাসনা পদ্ধতি নিয়ে বা কোরানের কোন আয়াত নিয়ে চর্চা হয়েছে? একই কথা বড়দিনের উৎসব নিয়েও।
    সেদিন সব ছবিতে মালা পরিয়ে হিন্দুপদ্ধতিতে পূজো দিয়ে বাইবেল পাঠ না করে খ্রীস্টধর্মের বক্তব্য, দর্শন, জীবনপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা না করে যীশুর ছবিতে মালা দিলে যদি বড়দিন পালন হয় তাহলে কিছু বলার নেই।

    কোনো মাদ্রাসায় যদি রামকৃষ্ণদেবের জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করে সেদিন স্পেশাল নামাজ পড়া হয় তাহলে কি মনে করবেন যে জন্মোৎসব পালন হল? যদি মনে করেন তো আমি নাচার। চুপ করলাম।

    তিন,
    বিদ্যাসাগরকে নাস্তিক বানাতে হবে কেন? উনি নাস্তিক ছিলেন। কলেজের কোর্স পরিবর্তন নিয়ে ওনার প্রস্তাব দেখুন যা নিয়ে তখন বুধমন্ডলীতে কম হৈ-চৈ হয় নি। শর্টকাটে বিদ্যাসাগর নিয়ে সুনীল গাঙ্গুলীর বক্তব্য দেখুন।
    বিদ্যাসাগরের বক্তব্য ছিল যে সাংখ্য ও বেদান্ত হল ভুল দর্শন। কিন্তু হিন্দুদের মধ্যে এর প্রভাবের ফলে কোর্স থেকে বাদ দেয়া যাচ্ছে না। তাই এর অ্যান্টিডোট হিসেবে মিল এর লজিক পড়াতে হবে।
    বেদান্ত আর সাংখ্যকে ভুল দর্শন বললে হিন্দু ধর্মে আস্থার আর থাকে কি?
    তাই সুনীল বলছেন যে এটা বিধবাবিবাহের চেয়েও বেশি বৈপ্লবিক!
  • rivu | 140.203.154.17 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৭:৫৬513449
  • এইরে যিশু পুজো নিয়ে ব্যাপারটা একটু ঘেঁটে যাচ্ছে মনে হয়। পুজো বলতে ঠিক মন্ত্র তন্ত্র মিন করিনি। বাইবেল পাঠ ও যিশু খ্রিস্টের জীবন নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে। কারণ ওটা কন্ডাক্ট করতেন সত্যদা (স্বামী সুপর্নানান্দ)। উনি খুবই পড়াশুনো করা লোক, এবং মিনিময়ের কোনো সুযোগ হাতছাড়া করেন না :)। কিন্তু আমি কোনদিনই ঐটাতে যাইনি, সুতরাং মন্তব্য করবনা।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৮:৪৮513451
  • রঞ্জনদাকে জানাই - মহুলা অনাথাশ্রমে অখণ্ডানন্দের কাজের কথায় পড়েছি আশ্রমে হিন্দু ছেলেরা যেমন মন্ত্রটন্ত্র পড়ত, মুসলমান ছেলেরা নামাজ পড়ত। কারণ বিবুদার নির্দেশ ছিল - "মুসলমান বালকদিগকেও লইবে এবং তাহাদের ধর্ম নষ্ট করিবে না।"

    আমাদের ইস্কুলের মুসলমান ছেলেপিলের সঙ্গে কথা হ'লে জানতে পারব তাদের অভিজ্ঞতাটা কী ছিল।

    আর - ইয়ে - সাংখ্য তো বোধহয় বলে (আমার জাস্ট শোনা কথা, কোনো ফান্ডা নেই) ঈশ্বর অসিদ্ধ কারণ তা প্রমাণ করা যায় না - ঈশ্বরাসিদ্ধেঃ প্রমাণাভাবাৎ। নাস্তিক বিদ্যাসাগর তাকে বাতিল করেছিলেন কেন?
    সুনীলের রেফারেন্স না আনাই ভালো, সুনীল ইতিহাসের ধার খুব একটা ধারেননি।
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৯:০৪513452
  • নাস্তিক কথাটা আগে ডিফাইন করে নেওয়া ভালো। অনেকের অনেক রকম ব্যক্তিগত ধারণা থাকে তো ! হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে পরলোকে বিশ্বাস না থাকাকেই নাস্তিকতা।
  • pi | 118.12.169.134 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৯:১০513453
  • যীশুর জীবন নিয়ে তো এমনিই ক্লাসে আলোচনা হত। মহম্মদের জীবন নিয়েও। আর, আমার অন্ততঃ যা মনে পড়ে, সর্বধর্মসমন্বয়- এই অ্যাসপেক্টের উপর খুব জোর দেওয়া হত। নরনারায়ণপূজা, শিবজ্ঞানে জীবসেবা, এগুলোর উপরেও। আর নিবেদিতা বলেই কিনা জানিনা, নারীশিক্ষা, বিদ্যাসাগর চর্চাও প্রভূত পরিমাণে হত।
  • abc | 131.241.218.132 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ০৯:৪৮513454
  • বিদ্যাসাগরীয় ব্যাকরণ মানলে কিন্তু আস্তিকের বিপরীত নাস্তিক ব্যুত্পত্তি গত অর্থ অনুযায়ী । :-)
    অদ্বৈতবাদ ,পরম ব্রম্ভ ইত্যাদি বস্তু গুলোর সাথে নিরাকার চৈতন্য স্বরূপ ঈশ্বরের তফাত কি জানতে ইচ্ছে করে। গদাধর বাবু কল্পতরু হয়ে তোদের চৈতন্য হোক বললেন কেন , আর সেই চৈতন্য আর এই চৈতন্য তে পার্থক্য কি আলোচনা হোক একটু দর্শন শাস্ত্র অনুসারে
  • abc | 131.241.218.132 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১০:০৪513455
  • রঞ্জন বাবু , সুনীলের লেখা কে আপনি ইতিহাস বলে মানতে পারেন আমি মানিনা। সেই সময় একটা গল্প বই, কোনো ইতিহাসের একর নয়।
    বিদ্যাসাগর পৈতে পরতেন , মায়ের পারলৌকিক কার্য করেছিলেন হিন্দুমতে, ব্যক্তিগত চিঠি তে ওপরে শ্রী হরি শরনম লিখেছেন এটাও ঐতিহাসিক সত্য। ঈশ্বর নিরাকার চৈতন্য কথাটার মানে ব্যাখ্যা করার জন্যে সুনীল পড়বেন না দর্শনের বই পড়বেন আপনার চয়েস। কিন্তু সেটা অন্যদের ওপর চাপাবার চেষ্টা করবেন না।
    নাস্তিক হবার জন্যে কোনো ব্রাউনি পয়েন্ট নেই, বিদ্যাসাগর অনার কাজের জন্যই দশে দশ পাবেন , যদিও আমি নিজেকে বিপ এর মত নম্বর দেয়া হনু মনে করি না । পৃথিবীতে অজস্র লোক নাস্তিক আছেন , আস্তিক ও আছেন । যাকে খুশি রোল মডেল করুন। কিন্তু নাস্তিক বলেই প্রণম্য আর আস্তিক বলেই অপ্রনম্য এই সহজ জাজমেন্ট টানবেন না।
    ওই যে অন্য রা যেমন বলল রা কৃ বা সারদা বা নিবেদিতা নামাঙ্কিত মিশনের স্কুল গুলোতে যিশু মহম্মদের জন্মদিনে ছবি তে মালা দেওয়া , ওদের জীবনী কাজ নিয়ে আলোচনা করা টাকে যদি আপনি যতমত্ততপথ না মনে করেন আমি নাচার।
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১০:২৬513456
  • ২৫শে ডিসেম্বর নরেন্দ্রপুর নিয়ে কোনো কথা হবে না। পুরো বছর খুব কম যে দু একটা দিনের জন্য অপেক্ষা থাকত তাতে ওটি একটি। দোল আরেকটি। সত্যদার IC ক্লাস আর কসমোলজির ফান্ডা নিয়েও কোনো কথা হবে না। মিশন ছেড়ে বিবেকানন্দ চুলকোনোটাই বেশি স্বাস্থ্যকর। বেশ কিছু মুসলমান ছাত্রদের দেখেছি, ব্যাচে, জুনিয়র, সিনিয়ার, কাউকে কখনো প্রেয়ার রুমে যেতে বাধ্য করা হয় নি।
  • PM | 233.223.154.56 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১০:৪৯513457
  • ক্ষি কেলো? যিশুর সাথে কার ছবির কথা কইলেন abc? ভাগ্যিস এটা নামহীন পাতা। নাইলে আপনার নামে এক্খুনি ফতোয়া বেরো ইতো ।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১০:৫৭513458
  • "ইস্কুলে কোনো ধর্ম নিয়েই খুব আলোচনা হত বলে মনে পড়েনা । মোস্টলি রামকৃষ্ণ মিশনের ইদীয়লোজি। বরং জগতের ধর্মগুরু বলে একটা বই পড়তে হত, যেখানে সব ধর্মের মহাপুরুষদের জীবনী লেখা ছিলো, মায় কন্ফুচিয়াস পর্যন্ত। খুব সামান্য কিছু বেদান্ত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে, বাট যেটুকু তাও থ্রু বিবেকানন্দ। "
    ঋভুর মত অভিজ্ঞতা আমারও। রাকৃ-সারদা-বিবুদার জীবন আর বিবুদার প্রেরণামূলক বাণীতেই জোর দেওয়া হ'ত। আই সি ক্লাসে গীতার কিছু শ্লোক কালীপদ মহারাজ মুখস্থ করাতেন। পরে সৈকতেশদা (ইনিও সন্ন্যাসী) ঐ ক্লাসেই রবীন্দ্রসঙ্গীত, সোশিওলজি আর কীসব পড়িয়েছিলেন ভুলেও গেছি।

    কালীপুজো সরস্বতীপুজোয় ফল কাটার ডিউটি স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণীয় ছিল।
  • PM | 233.223.154.56 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১১:১৯513459
  • আমার সময় বেলুরে প্রভকর মহারাজ এর ইন্ডিআন কাল্চারাল হেরিটেজ ক্লাসে বেদ, উপনিষদ, কোরান, বাইবেল মায় থিওরি ওফ রিলেটিভিটি, আনসার্টেনিটি থিওরি সব কিছু নিয়ে আলোচনা হতো। ঐ ক্লাসেই প্রথম ফেনম্যনের লেকচারের বই নিয়ে পড়েছিলেন মহারাজ মনে আছে। পরে লাইব্রেরী গিয়ে অনেক গুলো খন্ড পড়ে ফেলেছিলাম আমরা কাড়াকাড়ি করে।

    প্রভাকর মহারাজ দক্ষিন ভারতীয় ছিলেন আর খুব সম্ভবতঃ ক্যল্টেক থেকে DSC করেছিলেন সন্ন্যাসী হবার আগে। এখন বিবেকানন্দ বিশ্ব্বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। কিন্তু সকরের কি ঐ ক্যালি থাকে?

    এখনো মনে আছে প্রতি ক্লাসে কি মারাত্মক তর্কাতর্কি হতো। মহারাজ তাতে উৎসাহ-ও দিতেন।

    কিন্তু ক্লাসটা না করলে ৫ টাকা ফাইন ছিলো সেই নব্বইএর দশকে!!!!
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১২:২৪513460
  • ঐত্তো স্ববিরোধীতা !!! নব্বই এর দশকে ৫ টাকা ফাইন মানে কত টাকা জানেন? বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজ থেকে যখন রেজিগনেশন দেন, তখন মাইনে পেতেন আটশ টাকা। তার কতোদিন পরে কেজানে এ-ক-শ টাকা করে মাসোহারা পেতেন বিবেকানন্দের মা, রাজার থেকে। তার আগে তাঁর, ঐ ভূবনেশ্বরী দেবীর, সাংসারিক খরচ ছিল মাসে ৩০০০ টাকা, শংকর খুঁজে বার করেছেন। ভাবতে পারেন? এসব খুব ইম্পোটেন্ট ভ্যালু, মন দিয়ে দেখলেই সমস্ত স্ববিরোধীতা ধরা পরে যায়।
  • দীপ | 212.142.113.144 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৬:০৭513462
  • ১৯০০ সালে মিসেস বুলকে লেখা চিঠিতে বিবেকানন্দ নিজে হিসেব করে লিখেছেন "আমি, আমার মা, আমার দিদিমা ও আমার ভাই, মাসিক মোট কুড়ি টাকা আয়ের উপর নির্ভর করে আমাদের স্বচ্ছন্দে চলে যাবে।" রাজা ব্যবস্থা করে গেছেন ১০০ টাকা। শংকর কি খুঁজে বের করেছেন আমার জানা নেই, কিন্তু ১৯০০ সালে মাসে ৩০০০ টাকা অনেক টাকা। আশির দশকে আমার বাবা ৫০০০ টাকা মাইনে পেতেন, তাতে আমাদের পাঁচ জনের সংসার চলত। অবশ্য লাইফস্টাইল যার যার নিজের ব্যাপার।
  • দীপ | 212.142.113.144 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৬:১২513463
  • dukhe 22 Jul 2013 -- 04:46 PM - বিবুদার মাতৃভক্তি আদৌ কোনো 'লুকোনো' ব্যাপার নয়। দীপের কাছে যদি দীর্ঘদিন অজ্ঞাত থেকে থাকে, বেশ অবাকই হব। -- আজ্ঞে আমার কাছে অজ্ঞাত নয়। কিন্তু অনেকেই এসব খবর রাখেন না বা এই তথ্যগুলোকে অন্যভাবে হাইলাইট করা হয়। মায়ের ইচ্ছায় গৃহী জীবনে ফিরে আসা বা বিয়ে করা নিয়ে যে দু-চার কথা বলে ফেলেছিলেন, সেগুলো মাতৃভক্তির আবেগে চাপা দেওয়া থাকে।

    যাহা সাকার তাহাই নিরাকার, যত মত তত পথ, এ ধর্মও সত্য ও ধর্মও সত্য - এ সব নেহাতই মন ভোলান কথাবার্তা, যুক্তি হিসাবে হাস্যকর। নিজের মত লিখে 'বিশ্বাসযোগ্যতা' হারাতে চাই না। বিবুদার ভাষাতেই সারি -

    ১) Go into the world and every fool will tell you that his form is the only right one, that every other form is diabolical, and he is the only chosen man ever born in the universe. But in fact, all these forms are good and helpful. Just as there are certain varieties in human nature, so it is necessary that there should be an equal number of forms in religion; and the more there are, the better for the world. If there are twenty forms of religion in the world, it is very good; if there are four hundred, so much the better — there will be the more to choose from. So we should rather be glad when the number of religions and religious ideas increase and multiply, because they will then include every man and help mankind more. Would to God that religions multiplied until every man had his own religion, quite separate from that of any other! This is the idea of the Bhakti-Yogi. The final idea is that my religion cannot be yours, or yours mine. Although the goal and the aim are the same, yet each one has to take a different road, according to the tendencies of his mind; and although these roads are various, they must all be true, because they lead to the same goal. It cannot be that one is true and the rest not. The choosing of one's own road is called in the language of Bhakti, Ishta, the chosen way. (শিকাগো, ১৮৯৪)

    ২) So you see that is the reason why we never fight any religion. We do not say that ours is the only way to salvation. (ডেট্রয়েট, ১৮৯৪)

    ৩) If bold and talented women like yourself versed in Vedanta, go to England to preach, I am sure that every year hundreds of men and women will become blessed by adopting the religion of the land of Bharata. The only woman who went over from our country was Ramâbâai; her knowledge of English, Western science and art was limited; still she surprised all. If anyone like you goes, England will be stirred, what to speak of America! If an Indian woman in Indian dress preach there the religion which fell from the lips of the Rishis of India — I see a prophetic vision — there will rise a great wave which will inundate the whole Western world. Will there be no women in the land of Maitreyi, Khanâ, Lilâvati, Sâvitri, and Ubhayabhârati, who will venture to do this? The Lord knows. England we shall conquer, England we shall possess, through the power of spirituality. नान्यः पन्था विद्यतेऽयनाय — "There is no other way of salvation." (সরলা ঘোষালকে চিঠি, দার্জিলিং, ১৮৯৭)
  • PM | 233.223.154.56 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৬:১৮513464
  • দীপ আপনি কি বিবাহিত? , না হলে খুউউউউউব সাবধান। এরকম একটা কেস আমি চোখের সামনে দেখেছি। বিবুদাকে গালি দেবার জন্য রচনাবলী পড়া শুরু করলো। বছর দুয়েক বাদে শুনলাম , মাথা মুড়িয়ে সন্ন্যাসী হয়েছে।

    পত্রাবলীর মধ্যেই থাকুন। রচনাবলীতে আর যাবেন না। আপনার উৎসাহ দেখে আমি সত্যি অশংকিত
  • Ekak | 125.115.139.226 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৬:২৩513465
  • এগুলো মঙ্ক টু মঙ্ক ভ্যারি করে । আসলে বল্লুম তো মিশন ও একটা জায়গায় থেমে নেই ।
    আমাদের সময়ে বরানাগরে ওই জগতের ধর্মগুরু ক্লাসে তুমুল তর্ক বিতর্ক হত এবং সেটা মহারাজের উপস্থিতি তে ।বেলঘরিয়া স্টুডেন্টস হোম আর বিবেকানন্দ স্টাডি সার্কল এ তর্কটাই মূল আকর্ষণ ছিল । ইনফ্যাক্ট যত তর্ক মিশনের চৌহদ্দি তে বসে করেছি সেটা বাইরে গিয়ে করতে গেলে অনেক বেশি চাড্ডি পাবলিকের বাধা সহ্য করতে হয়েছে । শঙ্করের ফিলসফিক স্কুল নিয়ে যাচ্ছেতাই ফাজলামির পরেও কোনদিন কোনো ফতোয়া আসেনি । তারমানে কি সব সন্ন্যাসী এরকম ? তা নয় । সিএম (পুরো নাম নিলুম না ) নিজে রোজা রাখেন মুসলিম ছাত্রদের সঙ্গে মিলে আবার সেই নিয়ে অন্য সন্যাসী কে আড়ালে হাসতেও দেখেছি । কোনো কোনো মহারাজের সঙ্গে দিনের পর দিন এত তর্ক করেছি যে ওরকম করলে বাপ-মা পাগল হয়ে যেত ।

    একটা চত্ব ঘটনা বলি । সরিষা তে সন্যাসী দের একটা বিশাল মিটিং ।২০০ গেরুয়া এসেছেন । সেই সঙ্গে বেশ কিছু পায়রার ছানা ( ব্রহ্মচারী :) )। আমরা এক মহারাজের তত্বাবধানে রান্না /পরিবেশন করছি ।
    হটাত এক সন্ন্যাসী বললেন তিনি নিরামিষ যেন মাছ দেওয়া না হয় . আমি পরি মরি করে ছুটে এসে হাত ধুচ্ছি ।ছোটবেলার সন্স্কারবশত নিরামিষ মানে আমিষ হাত ধুতে হবে । সেই তত্বাবধায়ক মহারাজ কাছেই ছিলেন ।বললেন :হাত ধুস কেন ? কারণ জানালুম ।হাসতে হাসতে বললেন : আমিষ বর্জন যাঁর চয়েস তাকে আমিষ দিবিনা ,ব্যাস। হাত ধুবি কবার ? সন্ন্যাসীর আবার এত ছোয়া নারা কী ?

    এরকম বহু ঘটনা আছে । পারসনাল চয়েস রাখতে বাধা দেওয়া হয়না । কিন্তু সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি নয় ।কিন্তু সবাই কী এরকম । না ,নয় ।
    আসলে একশ্রেনীর ভক্তকুল একটা টিপিকাল আবহাওয়া তৈরী করেছেন যাদের ক্যাপসুলের মধ্যে দিয়ে মঠ-মিশন কে চেনা যায়না ।সাধু কে দেখতে হয় দিন এ ।রাত এ । সঙ্গে থেকে দেখতে হয় এরা কী করে । কিভাবে প্রতিদিন চলে ।সুধু ওই পুজোর সময় গিয়ে পেসাদ খেলে বা অন্যে পেসাদ খাচ্ছে দেখে তাকে গালাগাল দিলে হয়না । মিশন বুঝতে গেলে আগে গলবস্ত্র ভক্তামি ছাড়তে হবে । সারথী পাবার লোভে সুধু পায়ের কাছে না বসে মাথার কাছেও বসতে হবে । কথায় বলে "ভক্ত বাড়ির ছেলে বাঁশ দিচ্ছে ঠেলে " :):)
    মিশনের হয়েছে সেই দশা।
  • ন্যাড়া | 132.179.72.40 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৬:৫০513466
  • তবে সত্যের খাতিরে এও বলি, মিশন থেকে বেরোন কোন ছেলেকে বিবেকানন্দ সম্বন্ধে বা মিশন সম্পর্কে - বা জেনেরালি সন্ন্যাস সম্বন্ধে - নির্মোহ ব পজিশন নিতে দেখিনি। এও কি একধরণের ব্রেনওয়াশ নয়?
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৪513467
  • RR, বিপ - এরা তবে কারা? মিশন প্রোডাক্ট নয়?
  • Ekak | 125.115.139.226 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৭:৩৩513468
  • হাজারো ছেলেপুলে আছে যারা মিশনে পড়েছে এবং রাদ্দিন গাল দেয় । ইনফ্যাক্ট আমরাও দি :)
    এট দ্য এন্ড গুড পার্ট ইভিল এর চে বেশি বলে মনে হয়েছে তাই ওই যারে কয় মোহমুক্ত নই । মিশনের মডেলে ভারত গড়ে উঠুক একেবারেই মনে করিনা ।সেটার কারণ মিশন ভালো বা মন্দ নয় ।যেকোনো একটা মডেল সর্বর্ত্র ইমপ্লেমেন্ট হওয়া খারাপ তাই । হু এভার ইট ইস।

    যারা সুধু ওই গ্র্যদুএশোন করতে কয়েকবছর আসে তাদের রাগ দেখেছি সবচে বেশি ।কারণ লং টার্ম এ ভালো-মন্দ মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেবার মত স্যাম্পল তাদের হাতে থাকেনা কিন্তু রাগ টা থাকে । সে থাকতেই পারে ।
    আমি যে বেসিক ব্যাপার টা বুঝিনা তা হলো দূর থেকে স্পেকুলেট না করে গুটি গুটি মিশনে গিয়ে তক্ক করলেই তো হয় । জানতে চাইলেই হয় । কেও কামড়ে দেবেনা :)
    দীপের প্রশ্নগুলো কিন্তু আমার ভালই লেগেছে ।ইন্তার্প্রিতেষণ হাফ বেকড মনে হয়েছে সেটা আলাদা কথা ।প্রশ্ন গুলো জায়েজ । এগুলো গেরুয়া দের করলে বেটার আনসার পাওয়া যায় ।
    আপনারা একটা জিনিস ভেবে দেখুন এই ২০১৩ তে বসে যে ছেলে গুলো সন্ন্যাস নিচ্ছে তারাও অন্ধ না । তাহলে কতটা পসিটিভ আর নেগেটিভ এর হিসেব কষে তারা এই পথে শেষ অবধি এলো সেটা জিগানো বেটার না ? আলটিমেটলি দুনিয়ার কোনো কিছুই আইদিআল নয় এটা তারাও জানে । ভগবান নামে কোনো চার হাত ওয়ালা জীব তারা দেখতে পাবে এমন প্রতিশ্রুতি ও দেওয়া হয়না :)
    তাহলে প্রফিট এন্ড লস এর প্য্রামিতার গুলো কী ? দ্যে আর দ্য বেস্ট পারসন টু টেল ।আস্ক দেম ।

    সন্ন্যসী ছাড়া আর কেও কিসসু জানেনা এমন নয় কিন্তু এপাড়ার মতামত তো অনেক হলো । এখানেই আটকে না থেকে ওপাড়ার লোকের মত ও নিন । তবেই না সার্কল কমপ্লীট হবে ।
  • PM | 233.223.154.56 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৭:৪৩513469
  • কেনো রন্জনদা আছেন তো ঃ)

    আমার কিন্তু সন্ন্যসী সংক্রান্ত বিশেষ কোনো মোহো নেই। কিছু সন্ন্যসীর সংস্পর্শে এসেছি যারা সত্যি মনে রাখার মতো। কিছু মোটামুটি, আর কিছু অখাদ্য। ঠিক যেমোন স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বলা যায়। সমাজের আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো মিশনেও ভালো খারাপ মিশিয়েই রয়েছে। তবে যেহেতু মিশনে যারা সন্ন্যাসী হন তাঁরা সাধারনতঃ ( সবাই নয় মোটেই, অজস্র ব্যতিক্রম দেখেছি) এক বিশেষ মাইন্ড সেট নিয়ে আসেন, তাই আমাদের আশ পাশের থেকে ভালো মানুষের সংখ্যা কিন্চিত বেশী হয়তো। এই টুকুই।

    মিশনে পড়ার সময় প্রচুর নির্মোর ব করেছি ঃ) বয়স হতে মনে হয়েছে অ্যাতো ছেলে পড়ছে, অ্যাতো ্লোক সুলভে চিকিৎসা পাচ্ছে। ক্ষতি তো হচ্ছে না করো। গালি দিয়ে আর লাভ কি। না হলে এই দানের টাকাগুলো হয় সুইস ব্যান্ক এ জমা হতো না হলে তিরুপতির মন্দিরে বা সত্য সাইয়ের সম্পত্তি বাড়াতো।

    মিশনের আধ্যত্মিক লক্ষ্য আর সেটা কতোটা পূর্ন হচ্ছে সে নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেক মহারজ বলতেন মিশন মুলতঃ অধ্যত্মিক সংগঠন যা সেবা কাজ ও করে। কিন্তু সেবাটাই মূল নয়। মিশনে অধ্যত্মিক উন্ন্যতিকে মূল লক্ষ করে এসেছিলেন সেরকম অনেক সন্ন্যসীকে দেখেছি , ১২ বছর রগরে গেরুয়া পাবার পরেও মঠ ছেড়ে বেড়িয়ে গেছেন । তাঁরা মোটেই খারপ মানুষ নন
  • abc | 131.241.218.132 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৭:৫১513470
  • এককের কোথায় একমত ।
    এখন প্রভাকর দা বা মহান দার তো অত সময় নেই যে গুরু তে এসে তক্ক করবেন । আপনারাই যান না গিয়ে প্রশ্ন করুন। তারা কামড়ে দেবেন না , হাসি মুখে উত্তর দেবেন । তর্কের প্রতিপক্ষ দের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আশাকরি নাক কোঁচকাবেন না । মিশনে প্রশ্ন করা এনকারেজ করা হয়। "গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতায়" অবশ্য হয় না :-)
    পুনশ্চ - সর্বহারা দলের সমর্থক , নেতা ইত্যাদি অনেকেই নিজেদের সন্তান দের কেন মিশনে দেয় জিগ্গেস করবেন তো । সেই রুটি গুড় খাওয়া ঝোলা কাঁধে মিছিলে যাওয়া লড়াকু মুখ রাও দিত । কেন দিত ?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৭:৫৩513471
  • আহা আধ্যাত্মিক লক্ষ্য না থাকলে আর সন্ন্যাসী হবে কেন? সেবা তো ঐ কর্মযোগ মারফত চিত্তশুদ্ধির উপায়।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ২৩ জুলাই ২০১৩ ১৮:১৯513473
  • এককের কথাগুলোর সাথে মোটামুটি একমত হয়েও ভাবতে বলব, যে লোকটা ধর্ম এবং সেবার আকর্ষণে ঘর ছাড়ছে, সে কিন্তু এতকিছুর পরেও একটাভাবে মেইনস্ট্রীমে থাকার সাইকোলজিকাল অ্যাডভান্টেজ ভোগ করে। কারণ ঈশ্বর বিশ্বাস, ধর্মে বিশ্বাস - এগুলো এখনো সমাজের মেইনস্ট্রীম দ্বারা অ্যাপ্রিশিয়েটেড। এর সাথে যোগ কর তার পরিবারের জন্য মিশনের সাপোর্ট। কারণ মিশনের টাকার জোর। কোনো দুর্গম জায়গায় গিয়ে পড়লে এবং হাতে টাকা না থাকলেও একজন সাধুকে খেতে পরতে দেওয়ার লোক জুটে যাবে। ঘর ছাড়ার কনফিডেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে এই সামজিক অ্যাক্সেপ্টেন্সটা বিশাল বড় ফ্যাক্টর। তবে এগুলো কোনোটাই যে মানুষটা ঐ ত্যাগের রাস্তায় হাঁটছে তাকে ছোটো করার জন্য বলা না। কিন্তু উল্টোদিকে একজন নাস্তিক বা ধর্ম অবিশ্বাসীকে শুধুমাত্র নিজের বিয়েটা নিজের ইচ্ছেমত করার মাশুল দিতে গিয়ে সারা জীবনের জন্য একঘরে হয়ে যেতে হয়। সেটাও কিন্তু ত্যাগ, নিজের আদর্শমত চলার জন্য। কিন্তু গেরুয়ার আবরণ না থাকায় আমরা দেখতে পাই না। কাজেই আমার কাছে সন্ন্যাসীর ত্যাগের বিশাল আলাদা মূল্য আছে এমন নয়।

    দ্বিতীয়তঃ, এই ২০১৩ সালেও যারা সন্ন্যাস নিচ্ছে, তারা অন্ধ নয় - একথাটা সবসময় জোর দিয়ে বলা যায় না। অন্ধত্ব মানুষের মধ্যে নানান শেপে নানান মাত্রায় থাকে। বাম রাজনীতি করা তথাকথিত প্রগতিশীল লোকের মধ্যেও থাকে, সন্ন্যাস নেওয়া লোকের মধ্যেও থাকে।

    আমার মিশনের সেবামূলক কাজ নিয়ে খুব কিছু বক্তব্য নেই। সমাজে অসাম্য থাকলে দারিদ্র থাকলে কিছু মানুষ বা সংগঠন এই ধরণের সেবামূলক কাজ করবেই। তার প্রয়োজনও আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্যান্য এনজিওর সাথে মিশনের কোনো তফাৎ (মানে এটা বেশী মহৎ ওটা কম মহৎ এরকম কিছু) আমার কাছে নেই। সব এ ধরণের সংগঠনেই কিছু ত্যাগী মানুষ থাকেন ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর জন্য। মিশনেও আছেন। এই অব্দি হিসেবটা পরিষ্কার। আমার সমস্যা হয় তখনই যখন এই মিশনের মডেলকে সমাজ সংস্কারের মডেল হিসেবে ভাবতে দেখি। সমাজে অসাম্য কেন, দারিদ্র কেন, সেই মূল অর্থনৈতিক প্রশ্নকে অ্যাড্রেস তো এঁরা করেননই না, বরং বহু ক্ষেত্রে নিজেদের সেবামূলক কাজকে অবিঘ্নিত রাখার জন্য সামাজিক ন্যায় অন্যায় প্রশ্নে একটা উদাসীন, সুবিধাবাদী, নিউট্রাল অবস্থান বজায় রাখেন। একটা সাম্প্রতিক উদাহরণ হল মোদীর বেলুড়মঠ ভিজিট। মোদী তো বাংলায় নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য রাকৃমিকে ব্যবহার করলেন। কই রাকৃমিতো কোথাও মোদীর হিন্দুত্বের সাথে নিজেদের হিন্দুত্বকে আলাদা করে দেখানোর জন্য কোনো বিবৃতি দিল না। ন্যয় অন্যায় প্রশ্নে এই স্বেচ্ছারোপিত উদাসীনতা দিয়ে সমাজ সংস্কার হবে? এবং এটা শুধু রাকৃমি নয়, অধিকাংশ এনজিও প্রসঙ্গে খাটে। একটা জায়গায় অন্যায় উচ্ছেদ হল। একটা এনজিও গিয়ে উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের চাল ডাল দিয়ে এল। কিন্তু যারা উচ্ছেদ করল তাদের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ তো করলই না, উল্টে দেখা যাবে সেই এনজিওরই অন্য কোনো একটা সেন্টার সেই উচ্ছেদকারী কোম্পানির থেকে মোটা টাকা ডোনেশন নিচ্ছে।

    কাজেই আমার মতে সেবামূলক কাজের জন্য যেটুকু মেরিট মিশনকে দেওয়ার সেটুকুই দেওয়া ভালো। তার চেয়ে বাড়িয়ে সমাজ সংস্কারের মডেল ইত্যাদি আলোচনায় মিশনকে টেনে আনার কোনো অর্থই নেই। মিশন সেটার জন্য কোয়ালিফায়েড নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন