এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই: নির্মোহ (তিন)

    Samik
    অন্যান্য | ৩১ জানুয়ারি ২০১২ | ৪৭৮২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.97.80.76 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ০০:০৮513541
  • abc,
    বড় মুশকিল। আবার বলছি সুনীল-সুনীল আমি করছি না। আমি বিদ্যাসাগরের মূল প্রস্তাব পড়ে সেই বেসিসে বলছি, এবং বলছি যে সুনীলের এর বক্তব্য বিদ্যাসাগরের মূল "প্রস্তাব"এর অনুসারী।
    আপনি মূল প্রস্তাবটি পড়ে তারপর আমাকে ও সুনীলকে গোলপোস্ট সরানো ও বিকৃত করার অভিযোগে দায়ী করবেন, নইলে নয়।

    এখন দর্শনের অ-আ-ক-খ নিয়েও কথা বলতে হবে? অজ্ঞেয়বাদী যে nipso facto আস্তিক হতে পারেন না সেটা নিয়ে ফার্স্ট প্রিন্সিপল থেকে বলতে হবে? আমি অপারগ।

    শেষ চেষ্টাঃ
    এক, ভারতীয় মতে বেদকে যারা অথরিটি মানে তারাই আস্তিক। যেমন সাংখ্য-যোগ-ন্যায়-বৈশেষিক-পূর্বমীমাংসা-উত্তরমীম্মাংসা(বেদান্ত) ইত্যাদি ষড়দর্শন। আর বেদবিরোধী হওয়ায় চার্বাক-বৌদ্ধ-জৈন এই তিনটি নাস্তিক দর্শন।

    দুই,
    পাশ্চাত্ত্য মাপকাঠিতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানলে আস্তিক। না মানলে নাস্তিক।আর অজ্ঞেয়বাদীরা মনে করে কোন পরমসত্য আছে কি না,জানা সম্ভব নয়-- সেটা বস্তু বা চেতনা যাই হোক। কাজেই তারা আস্তিক হতেই পারে না, ব্রড সেন্সে নাস্তিক।

    তিন,
    আবার পাশ্চাত্ত্য মাপকাঠিতে দেখলে ভারতীয় দর্শনের মধ্যে সাংখ্য নাস্তিক( ঈশ্বরকে অসিদ্ধ মনে করে)। যোগদর্শন আদৌ কোন সৃষ্টিকর্তা বা নিয়ামক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না। এবং ঈশ্বরপ্রণিধানকে মুক্তির একমাত্র বা সর্বোচ্চ উপায় মনে করে না। মুক্তির অষ্টমার্গের মধ্যে ঈশ্বরপ্রণিধান এক বিকল্প মাত্র( ঈশ্বরপ্রণিধানাৎ বা!)
    ন্যায়দর্শন ঈশ্বরকে সৃষ্টির উপাদান কর্তা মনে করে না। অর্থাৎ আকাশ(স্পেস), অণু( মলিকুল) ইত্যাদি আগে থেকেই আছে, ঈশ্বর বানান নি। উনি শুধু efficient cause, নিমিত্তকর্তা, যেমন কুমোর।
    পূর্বমীমাংসা আদৌ কখনো গোটা সৃষ্টি ধ্বংস হয়, আর কল্পকালে বেদমন্ত্র উচ্চারণ করে কোন ঈশ্বর সৃষ্টি করেন--- এমন মনে করেন না। ওদের মতে গোটা সৃষ্টি সদা পরিবর্তিত হচ্ছে।
    কোন একটা অংশ ধ্বংস হচ্ছে, কোন একটি অংশ সৃষ্ট হচ্ছে। আর দেবতা শব্দময়ী। দেবতা বলে কিছু নেই, শুধু শব্দোচ্চারণের ম্যাজিক্যাল ভ্যালু আছে। এই দর্শনটি কর্মকান্ডে ম্যাজিক হিসেবে বিশ্বাস করে।
    উত্তরমীম্মাংসা বা বেদান্তের অদ্বৈত বেদান্ত ব্রহ্ম কে পরমসত্য বলে, জগতকে মায়ার কারণে অবিদ্যা জনিত ভ্রম বলে মনে করে। কিন্তু রামানুজের বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ বা মধ্বাচার্য্যের দ্বৈতবাদে ব্রহ্ম ও জগত দুইয়েরই অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়। শংকরের মতের বিরুদ্ধে রামানুজের বিখ্যাত সাতটি আপত্তি আছে।
    বৈশেষিক দর্শন মূলতঃ ইন্ডিয়ান অ্যাটমিজম। বস্তুর বৈশিষ্ট্য ও ক্লাসিফিকেশন নিয়ে আলোচনা করেছে, ন্যায় কেই দর্শন মনে করেছে।

    চার,
    একই মাপকাঠিতে চার্বাক ও জৈনদর্শন আলাদা করে অবিনশ্বর কোন আত্মার অস্তিত্ব মানে না। জৈনদর্শনে স্যাদ-অস্তি, স্যাদ -নাস্তি করে যেকোন জিনিসের বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে দুই বিপরীত অবস্থান সম্ভব এটাই জোর দিয়ে সপ্তপদী লজিক্যাল সিস্টেমে বলা হয়েছে।
    বৌদ্ধদর্শনের আদি রূপ হীনযানের বৈভাষিক ও সৌত্রান্তিক স্কুল আত্মার অবিনশ্বরতায় বিশ্বাস করে না। কিন্তু মহাযানীদের দুটো মুখ্য স্কুল ( নাগার্জুনের শূন্যবাদী মাধ্যমিক দর্শন ও অসঙ্গ-বসুবন্ধুর বিজ্ঞানবাদী যোগাচার দর্শন, অনেকটা বেদান্তের কাছাকাছি) অবশ্যই করে।
    বিখ্যাত বৌদ্ধ লজিকের লেখক ধর্মকীর্তির মতে বর্ণাশ্রমে- দানে-স্নানে পূণ্য, অবিনশ্বর আত্মা ও পরজন্মে বিশ্বাস মূর্খতার পঞ্চবিধ লক্ষণ।
  • pi | 172.129.44.87 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ০১:৪৮513542
  • মিশনের সংস্পর্শে এসে মোদীর হৃদয়ে কিছু পরিবর্তন এলো কি ? এই ক'দিন আগেও কুকুরের সাথে কাদের তুলনা করেছিলেন না ?

    তবে abc, মোদী আর মিশনের হিন্দুত্বর আসমান জমিন পার্থক্য নিয়ে লেখাটাতে কিন্তু সিরিয়াসলি ইন্টারেস্টেড। এরকম একটা ডকুমেন্ট থাকলে ভাল হয়।
  • rivu | 140.203.154.17 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ০৬:০২513543
  • মোদী আর মিশন দুজনেই গোঁড়া হিন্দু। 'পলিটিকাল ইসলাম' সম্পর্কে বিবেকানন্দ আশ্রদ্ধাবান ছিলেন। ইসলাম তরবারির দ্বারা সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে ই: বলে গেছেন কোথাও একটা। সেইসাথে বলেছেন হিন্দু ধর্ম প্রেমের দ্বারা বিস্তৃত হয়েছে। এখন ভারতের আদি প্যাগানরা কি করে হিন্দু হয়ে গেল সেটা নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। এত প্রেম তো হিন্দুধর্মে দেখিনি। হিন্দুধর্ম প্রবাবলি যাকেই পেরেছে একখানা অবতার বানিয়ে নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছে। যাকগে সেসব এখানে আলোচনার বিষয় নয়। যাইহোক, হিন্দুধর্মের এই প্রেমময় বিস্তারের আদর্শে বিবেকানন্দ উদ্বুদ্ধ ছিলেন বলেই মনে হয়, সুতরাং মারামারি কাটাকাটি করার কথা বলতেন বলে মনে হয়না।

    হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু সমাজ সংস্কার নিয়ে মোদীর কোনো বক্তব্য নেই। সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিবেকানন্দের আছে। বৈদিক সিস্টেম নিয়েও বিবেকানন্দ অত্যধিক ফ্যাসিনেতেদ ছিলেন, বৈদিক সমাজ ব্যবস্থাকেই যথাযোগ্য পরিবর্তন করে ইনস্টল করতে হবে এরকম বলেছিলেন শিষ্যকে। মোদীর কাছে জাস্ট হিন্দু পরিচয়টাই সাফিসিয়েন্ট, সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার কোনো প্রয়োজন তাঁর নেই। কদিন আগে কোন এক মন্দিরে তথাকথিত অন্ত্যজদের প্রবেশাধিকার নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল, সে নিয়ে মোদীর কোনো বক্তব্য দেখেছি বলে মনে পড়েনা ।

    মুস্কিল হলো বিবেকান্দের রাজনৈতিক চেতনা নিয়ে আমার খুব একটা ধারণা নেই। রামকৃষ্ণ মিশনও খুব সচেতন ভাবে নিজেদের পলিটিক্স থেকে দুরে রাখে। একটা খুব ইম্পর্ত্যান্ট প্রশ্ন হচ্ছে "ভারতীয়ত্ব" ও "হিন্দুত্তব" কে বিবেকানন্দ এক করে দেখেছেন কিনা, মোদী যেটা দেখেন বলেই মনে হয়। এক জায়গায় বিবেকানন্দ বলেছেন তিনি চান ভারতবাসীর থাকবে বৈদান্তিকের হৃদয়, মুসলমানের দেহ এবং বৌদ্ধের হৃদয়। অন্য কোথাও কন্ত্রাদিক্তরী কিছু বলে থাকতে পারেন।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১০:২৭513544
  • আমি যা বুঝলাম ভারতীয় মতে নাস্তিককেও বেদজ্ঞ হতেই হবে - মনে না পড়লে আর অবিশ্বাস হবে কেমন ক'রে? ঠিক বুঝলাম?
    আর বৌদ্ধধর্ম নিয়ে ফান্ডা নেই ব'লে রঞ্জনদাকে জিগাই - পরজন্ম না মানলে জাতকের গল্পগুলোর কী ব্যাখ্যা?

    দ্যাহেন, আমি বেদ পড়িনি, ওতে কী আছে জানিও না। কাজেই বলতে গেলে আমি আস্তিক-নাস্তিক কিসুই না। তবে আমার ধারণা "সবই ব্যাদে আছে"-র বেদ আর বিবুদার বেদ এক না। বিবুদা বেদ পড়তে বলছেন। কেন? - ওতে কুসংস্কারগুলো যায়। যথারীতি একটি বিবুদা-যোগ্য অপ্রত্যাশিত উত্তর। (যেমন ধরুন - আপনি কেন গেরুয়া পরেন? এর উত্তর - কেউ চাইলে কিছু দিতে না পারলে আমার কষ্ট হয়, গেরুয়া পরলে কেউ এসে ভিক্ষে চাইবে না।) এইটা কেন বলছেন ভাবতে গেলে মনে হয় বিবিধ দেশাচার-লোকাচারকে কুসংস্কারের কোঠায় ফেলছেন। একটা উদাহরণ হ'তে পারে ঋগ্বেদের শ্লোকে জল মিশিয়ে রঘুনন্দনের বাংলায় সতীদাহের বিধান দেওয়া। "হে সুবেশা রমণীগণ, তোমরা ঐ সম্মুখস্থ কক্ষে প্রবেশ কর"-র 'কক্ষে'-টা পাল্টে 'অগ্নিকক্ষে' ক'রে দেওয়া হ'ল। বেদ পড়া থাকলে হয়তো জালিয়াতিটা ধরা যেত।

    আজ যেমন আমরা 'হিন্দু' ব'লে একটা কিছু ধরে নিচ্ছি, তখন তো এত সহজ ছিল না। হিন্দুদের মধ্যেই বিভিন্ন সম্প্রদায় একে অন্যের বিরোধিতা ক'রে চলেছে। সমন্বয়টা তো সেখান থেকে শুরু করতে হয়েছিল। লোকটার প্রচন্ড চিন্তা ছিল যাতে আবার একটি অনুদার সম্প্রদায় গড়ে না ওঠে। এই ভয়ে বেলুড়মঠেও প্রথমে রামকৃষ্ণের পুজো শুরু করতে দেননি।
  • abc | 131.241.218.132 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১০:৪০513545
  • রঞ্জন বাবু,
    তাহলে দর্শনের থ্রেড তেই বলুন না ঈশ্বর নিরাকার চৈতন্য স্বরূপ কথাটার মানে কি? বিদ্যাসাগর কে প্রাচ্য দর্শন অনুযায়ী আপনার ডিফাইন করা আস্তিকের ছাঁচে ফেলবেন না নাকি পাশ্চাত্য দর্শনের নিরিখে ফেলবেন? এবং কেন ফেলবেন ? আপনি সুনীল কে কেন নেবেন আর মাস্টারের লেখা গদাধর বাবুর সাথে বিদ্যা-অবিদ্যা -জ্ঞান- বিজ্ঞান-চৈতন্যের আলোচনা কেন বাদ দেবেন? গদা বাবুর "চৈতন্য হোক" কথাটার মানেই বা কিভাবে করবেন? বিবুর "ব্রম্হ হতে কিট পরমানু সর্বভূতে সেই প্রেমময় " আর রবির "আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর " এই দুটো কনসেপ্ট এর মধ্যেই বা পার্থক্য কি? দয়া করে সুনীল কে মানে বই করবেন না , সুনীল দার্শনিক নন ।বরং রামমোহনের লেখা আনুন । যাইহোক চার্বাক কে হিন্দু বলা হবে কিনা বললেন না । :-)
    পাই,
    বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর এক নাগরিক উদ্যোগে সর্বধর্ম সভায় রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিনিধি কি বলেছিলেন একটু খুঁজে দেখুন। মোদী কে ম্যাপ করার আগে দত্ত বাবুর লেখা গুলো একটু পড়লে ভালো হয় ।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১০:৫৬513546
  • অরণ্যদা তো প্রায় পৌঁছেই গেছেন। নির্ভয়া অপরাজিতার খুনীদের যখন 'লুচ্চারূপী নারায়ণ' ভাবতে পারছেন, 'গণহত্যাকারী-রূপী নারায়ণ' আর কতদূরেই বা?

    "অদ্য রামদয়াল বাবুর এক পত্র পাইলাম। তাহাতে তিনি লিখিতেছেন যে, দক্ষিণেশ্বরের মহোৎসবনে অনেক বেশ্যা যাইয়া থাকে এবং সেজন্য অনেক ভদ্রলোকের তথায় যাইবার ইচ্ছা কম হইতেছে। পুনশ্চ—তাঁহার মতে পুরুষদিগের এক দিন এবং মেয়েদের আরেক দিন হওয়া উচিত। তদ্বিষয়ে আমার বিচার এইঃ

    ১। বেশ্যারা যদি দক্ষিণেশ্বরে যাইতে না পায় তো কোথায় যাইবে? পাপীদের জন্য প্রভুর বিশেষ প্রকাশ, পুণ্যবানের জন্য তত নহে ।
    ২। মেয়েপুরুষ-ভেদাভেদ, জাতিভেদ, ধনভেদ, বিদ্যাভেদ ইত্যাদি নরক-দ্বাররূপ বহুভেদ সংসারের মধ্যেই থাকুক। পবিত্র তীর্থস্থলে ঐ রূপ ভেদ যদি হয়, তাহা হইলে তীর্থ আর নরকে ভেদ কি ?
    ৩।আমাদের মহা জগন্নাথপুরী—যথায় পাপী-অপাপী, সাধু-অসাধু, আবালবৃদ্ধবনিতা নরনারর সকলের অধিকার। বৎসরের মধ্যে একদিন অন্ততঃ সহস্র সহস্র নারনারী পাপবুদ্ধি ও ভেদবুদ্ধির হস্ত হইতে নিস্তার পাইয়া হরিনাম করে ও শোনে, ইহাই পরম মঙ্গল।
    ৪। যদি তীর্থস্থলেও লোকের পাপবৃদ্ধিএকদিনের জন্য সঙ্কুচিত না হয়, তাহা তোমাদের দোষ, তাহাদের নহে। এমন মহা ধর্মস্রোত তোল যে, যে জীব তাহার নিকট আসবে, সেই ভেসে যাক্।
    ৫। যাহারা ঠাকুরঘরে গিয়াও ঐ বেশ্যা, ঐ নীচ জাতি, ঐ গরীব, ঐ ছোটলোক ভাবে, তাহাদের (অর্থাৎ যাহাদের তোমরা ভদ্রলোক বলো) সংখ্যা যতই কম হয়, ততই মঙ্গল। যাহারা ভক্তের জাতি বা যোনি বা ব্যবসায় দেখে, তাহারা আমাদের ঠাকুরকে কি বুঝিবে? প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি যে, শত শত বেশ্যা আসুক তার পায়ে মাথা নোয়াতে, বরং একজনও ভদ্রলোক না আসে নাই আসুক। বেশ্যা আসুক, মাতাল আসুক, চোর ডাকাত সকলে আসুক—তাঁর অবারিত দ্বার। "
  • সিদ্ধার্থ | 233.239.146.204 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১১:২১513547
  • আমার বিবুদাকে ভাল লাগে দুটো কারণে।
    ১। সারা ভারতবর্ষ পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানো ইয়ার্কির কথা নয়। বিবুদা ভারতটাকে জেনেছিলেন, তার মানুষদের কাছ থেকে দেখেছিলেন।
    ২। অসামান্য উইট।

    খারাপ লাগে, কারণ আমার গুরুবাদ জিনিসটা পোষায় না। বিবুদার মিস্টিসিজম নিয়ে কোনো উতসাহ পাই না। রামকৃষ্ণ মিশন নিয়েও না। ঢপের লাগে।

    কিন্তু মানুষ বিবুদাকে অসাধারণ ইন্টারেস্টিং লাগে। সেই যুগের এগিয়ে থাকা মানুষদের একজন বলে মনে হয়। আর প্রত্যেক যুগের সব এগিয়ে থাকা মানুষদের মতই, স্ববিরোধীতায় ভরপুর। সেজন্যেই ভদ্রলোক এত ইন্টারেস্টিং-ম্যাড়মেড়ে না।
  • dd | 69.92.153.211 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১১:৪৬513548
  • আমার অ্যাদ্দিন ধারোনা ছিলো বিবেকানন্দের লেখাপত্তোর ভালই পড়েছি। এখোন দুখে স্যারের পোস্টিং গুলো পড়ে মনে হচ্ছে অনেক জিনিস পড়ি নি বা ঠিক হৃদয়্ঙ্গম করিনি।

    তাজ্জন্নে ভালো লাগছে এইসব পোস্টিং।
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১২:৩৮513549
  • "এই ভাবী মঠমন্দিরটির নির্মাণে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য যাবতীয় শিল্পকলার একত্র সমাবেশ করবার ইচ্ছা আছে আমার। পৃথিবী ঘুরে গৃহশিল্পসম্বন্ধে যত সব idea নিয়ে এসেছি, তার সবগুলিই এই মন্দিরনির্মাণে বিকাশ করবার চেষ্টা করব। বহুসংখ্যক জড়িত স্তম্ভের উপর একটি প্রকাণ্ড নাটমন্দির তৈরী হবে। তার দেওয়ালে শত সহস্র প্রফুল্ল কমল ফুটে থাকবে। হাজার লোক যাতে একত্র বসে ধ্যানজপ করতে পারে, নাটমন্দিরটি এমন বড় করে নির্মাণ করতে হবে। আর শ্রীরামকৃষ্ণ-মন্দির ও নাটমন্দিরটি এমন ভাবে একত্র গড়ে তুলতে হবে যে, দূর থেকে দেখলে ঠিক 'ওঁকার' বলে ধারণা হবে। মন্দিরমধ্যে একটি রাজহংসের উপর ঠাকুরের মূর্তি থাকবে। দোরে দুদিকে দুটি ছবি এইভাবে থাকবে—একটি সিংহ ও একটি মেষ বন্ধুভাবে উভয়ে উভয়ের গা চাটছে—অর্থাৎ মহাশক্তি ও মহানম্রতা যেন প্রেমে একত্র সম্মিলিত হয়েছে। মনে এই সব idea রয়েছে; এখন জীবনে কুলোয় তো কাজে পরিণত করে যাব। নতুবা ভাবী generation ঐগুলি ক্রমে কাজে পরিণত করতে পারে তো করবে। আমার মনে হয়, ঠাকুর এসেছিলেন দেশের সকল প্রকার বিদ্যা ও ভাবের ভেতরেই প্রাণসঞ্চার করতে। সেজন্য ধর্ম কর্ম বিদ্যা জ্ঞান ভক্তি-সমস্তই যাতে এই মঠকেন্দ্র থেকে জগতে ছড়িয়ে পড়ে, এমনভাবে ঠাকুরের এই মঠটি গড়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে আপনারা আমার সহায় হউন। " -- বেলুড় মঠ তৈরির সময়ে বিজ্ঞানানন্দের আঁকা ড্রয়িং দেখতে দেখতে বলছেন। এর সাথে দুখের "এই ভয়ে বেলুড়মঠেও প্রথমে রামকৃষ্ণের পুজো শুরু করতে দেননি" - এই উক্তির প্রত্যক্ষ বিরোধ দেখতে পাচ্ছি।
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১২:৫১513551
  • "বেশ্যারা যদি দক্ষিণেশ্বরে যাইতে না পায় তো কোথায় যাইবে? পাপীদের জন্য প্রভুর বিশেষ প্রকাশ, পুণ্যবানের জন্য তত নহে ।" "বেশ্যা আসুক, মাতাল আসুক, চোর ডাকাত সকলে আসুক—তাঁর অবারিত দ্বার।" -- বেশ্যাদের পাপী বলা এবং চোর-ডাকাত-মাতালের সাথে একশ্রেণীতে ফেলায় 'সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা'র পরিচয় পেলাম না। আর যে কোনও ধর্মপ্রচারেই সমাজের উপেক্ষিত মানুষদের জন্য দরজা খোলা রাখা একটা স্ট্র্যাটেজি। ভারতবর্ষে ইসলাম ও বৌদ্ধধর্মের প্রসার সম্বন্ধে নিজেই এই স্ট্র্যাটেজির সাফল্যের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই সময়ের খৃস্টান মিশনারিরাও একই স্ট্র্যাটেজিতে কাজ করতেন। এটা বিবুদার বাস্তববুদ্ধির পরিচয়। এছাড়া আলাদা করে কোনও মহত্ব দেখছি না।
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:০৩513552
  • রামকৃষ্ণের প্রসঙ্গে আরেকটা ইন্টারেস্টিং চিঠি, ১৮৯৫ এ ব্রহ্মানন্দকে লেখা -
    "…দাদা, না হয় রামকৃষ্ণ পরমহংস একটা মিছে বস্তুই ছিল, না হয় তাঁর আশ্রিত হওয়া একটা বড় ভুল কর্মই হয়েছে, কিন্তু এখন উপায় কি? একটা জন্ম না হয় বাজেই গেল; মরদের বাত কি ফেরে? দশ স্বামী কি হয়? তোমরা যে যার দলে যাও, আমার কোন আপত্তি নাই, কিছুমাত্রও নাই, তবে এ দুনিয়া ঘুরে দেখছি যে, তাঁর ঘর ছাড়া আর সকলেই ঘরেই 'ভাবের ঘরে চুরি'। তাঁর জনের উপর আমার একান্ত ভালবাসা, একান্ত বিশ্বাস। কি করিব? একঘেয়ে বলো বলবে, কিন্তু ঐটি আমার আসল কথা যে তাঁকে আত্মসমর্পণ করেছে, তার পায়ে কাঁটা বিঁধলে আমার হাড়ে লাগে, অন্য সকলকে আমি ভালবাসি। আমার মতো অসাম্প্রদায়িক জগতে বিরল, কিন্তু ঐটুকু আমার গোঁড়ামি, মাফ করবে। তাঁর দোহাই ছাড়া কার দোহাই দেবো? আসছে জন্মে না হয় বড় গুরু দেখা যাবে, এ জন্ম এ শরীর সেই মূর্খ বামুন কিনে নিয়েছে ।"
    http://www.dduttamajumder.org/baniorachana/node.php?pageno=160&khanda=7
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:০৮513553
  • ভারতীয়তা ও হিন্দুত্ব প্রসঙ্গে (মাদ্রাজে দেওয়া বক্তৃতার অংশবিশেষ) --

    " আমাদের জাতি ও ধর্মের অভিধা বা সংজ্ঞা—স্বরূপ একটি শব্দ খুব চলিত হইয়া পড়িয়াছে। আমি ‘হিন্দু’ শব্দটি লক্ষ্য করিযা এই কথা বলিতেছি। 'বেদান্তধর্ম'বলিতে আমি কি লক্ষ্য করিয়া থাকি, তাহা বুঝাইবার জন্য এই শব্দটির অর্থ ভাল করিয়া বুঝা আবশ্যক। প্রাচীন পারসীকগণ সিন্ধু—নদকে ‘হিন্দু’ বলিতেন। সংস্কৃত ভাষায় যেখানে ‘স’ আছে, প্রাচীন পারসীক ভাষায় তাহাই ‘হ’—রূপে পরিণত হইয়াছে। এইরূপে সিন্ধু হইতে ‘হিন্দু’ হইল। আর তোমরা সকলেই জানো, গ্রীকগণ 'হ' উচ্চারণ করিতে পারিত না; সুতরাং তাহারা একেবারে 'হ' টিকে উড়াইয়া দিল—এইরূপে আমরা ‘ইণ্ডিয়ান’ নামে পরিচিত হইলাম।

    এখন কথা এই, প্রাচীনকালে এ—শব্দের অর্থ যাহাই থাকুক, উহা সিন্ধুনদের অপরতীরের অধিবাসিগণকেই বুঝাক বা যাহাই বুঝাক, বর্তমানে এই শব্দের আর কোন সার্থকথা নাই;কারণ এখন আর সিন্ধুনদের অপরতীরের অধিবাসিগণ একধর্মাবলম্বী নহে। এখানে এখন আসল হিন্দু, মুসলমান, পারসীক, খ্রীষ্টান এবং অল্পসংখ্যক বৌদ্ধ ও জৈন বাস করিতেছেন। ‘হিন্দু’শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ধরিলে ইঁহাদের সকলকেই হিন্দু বলিতে হয়, কিন্তু ধর্মহিসাবে ইঁহাদের সকলকে হিন্দু বলা চলে না। আর আমাদের ধর্ম যেন নানা মত, নানা ভাব এবং নানাবিধ অনুষ্ঠান ও ক্রিয়াকলাপের সমষ্টিস্বরূপ —এইসব একসঙ্গে রহিয়াছে, কিন্তু ইহাদের একটা সাধারণ নাম নাই,একটা মণ্ড়লী নাই, একটা সংঘবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নাই। এই কারণে আমাদের ধর্মের একটি সাধারণ বা সর্ববাদিসম্মত নাম দেওয়া বড় কঠিন। বোধ হয়, একটিমাত্র বিষয়ে আমাদের সকল সম্প্রদায় একমত, আমরা সকলেই আমাদের শাস্ত্র —বেদে বিশ্বাসী। এটি বোধ হয় নিশ্চিত যে, যে—ব্যক্তি বেদের সর্বোচ্চ প্রামাণ্য অস্বীকার করে, তাহার নিজেকে হিন্দু বলিবার অধিকার নাই। "
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:১৭513554
  • "কাজেরই প্রথমে ধর্মকে লইয়া থাকে। তোমরা বলিতে পারো, ঐ মন্দিরে কোন্ দেবতার পূজা হইবে—এই বিষয় লইয়া বিভিন্ন সম্প্রদায় বিবাদ করিতে পারে। এরূপ হইবার কিছুমাত্র আশঙ্কা নাই। আমরা যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করিবার কথা বলিতেছি, উহা অসাম্প্রদায়িক হইবে, ইহাতে সকল সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠ উপাস্য ওঙ্কারেরই কেবল উপাসনা হইবে। যদি কোন সম্প্রদায়ের ওঙ্কারোপাসনায় আপত্তি থাকে, তবে তাহার নিজেকে হিন্দু বলিবার কোন অধিকার নাই। যে কোন সম্প্রদায়ভুক্ত হউক না কেন, সকলেই নিজ নিজ সম্প্রদায়গত ভাব অনুসারে ঐ ওঙ্কারের ব্যাখ্যা করিতে পারে, তাহা কিন্তু সর্বসাধারণের উপযোগী একটি মন্দিরের প্রয়োজন।" - ভারতের ভবিষ্যত।
  • de | 69.185.236.52 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:২৫513555
  • নীরবেই পড়ছি -- নীরবেই থাকতাম, খালি দুখেকে একটা অনুরোধ করার জন্য এলাম -- আপনার রেফারেন্স বইপত্রের একটা তালিকা পাওয়া যাবে? এখানে দিলে খুব ভালো হয়! আপনি মাঝে মাঝে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সমস্তটা একসাথে পাওয়া গেলে ভালো হত।

    বাকি তর্ক-বিতর্ক চলুক। আলোচনা ছাড়া বোধশক্তির জাগরণ হয় না! খুব ভালো লাগছে!
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:৩৪513556
  • "আমি যা বুঝলাম ভারতীয় মতে নাস্তিককেও বেদজ্ঞ হতেই হবে" - ঠিক বুঝেছেন। তবে পাশ্চাত্যের নাস্তিকেরাও (হিচেন্স প্রমুখ) ধর্মগ্রন্থ পড়ে-বুঝেই নাস্তিক হইয়েছেন। 'যিনি ধর্মগ্রন্থ পড়েন তিনি আস্তিক, আর যিনি ধর্মগ্রন্থ বোঝেন তিনি নাস্তিক' - এরকম একটা কথাও চলে।

    "সারা ভারতবর্ষ পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানো ইয়ার্কির কথা নয়" - আপনি সিওর পায়ে হেঁটে 'সারা ভারতবর্ষ' ঘুরেছিলেন?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৪:০৬513557
  • de, আমার বইপত্রের লিস্টি বাড়ি গিয়ে দেব।
    দীপ, "এই ভয়ে বেলুড়মঠেও প্রথমে রামকৃষ্ণের পুজো শুরু করতে দেননি" - এটার রেফারেন্স দিয়ে দেব।
    "বেশ্যাদের পাপী বলা এবং চোর-ডাকাত-মাতালের সাথে একশ্রেণীতে ফেলায় 'সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা'র পরিচয় পেলাম না। আর যে কোনও ধর্মপ্রচারেই সমাজের উপেক্ষিত মানুষদের জন্য দরজা খোলা রাখা একটা স্ট্র্যাটেজি। " - পাপী বিবুদা কাউকেই বলতেন না।
    "Ye are the Children of God, the sharers of immortal bliss, holy and perfect beings. Ye divinities on earth---sinners! It is a sin to call a man so; it is a standing libel on human nature."
    এটাই তো ক্রিশ্চান পাপবাদের সঙ্গে কনফ্লিক্টের মেজর জায়গা। এখানে পাপী বলা বা বেশ্যা-চোর-ডাকাত-মাতালদের এক ব্র্যাকেটে ফেলার অর্থ আপনার নিজের ব্যাখাতেই আছে - সবাই সমাজের উপেক্ষিত। তাদের স্বাগত জানানোটা বা প্লেগসেবার সময় মঠ বিক্রি ক'রে দেবার কথা কতটা স্ট্র্যাটেজি আর কতটা আন্তরিক - সে আপনি বিচার করুন এবং রায় দিন।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৪:২০513558
  • বিবুদা রাকৃগতপ্রাণ ছিলেন এবং ধর্মকে ভারতের প্রাণশক্তি ব'লে মনে করতেন। নিজের শরীরটা পর্যন্ত ভুলেছি, কিন্তু সেই পাগলা বামুনটাকে ভুলতে পারছি না - এমনও বলেছেন।
  • Ekak | 125.115.139.226 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৪:৩০513559
  • পাপ এর কনসেপ্ট আসে ডেভিল থেকে । হিন্দু বলতে যা এবং যতকিছু একত্র করা যায় কোথাও ডেভিল নেই । সবাই পূজ্য ।এখানে যম ও দেবতা ।
    হিন্দু দর্শন বুঝেছিল যে ডেভিল বলে আদতে কিছু হয়না আসলে পারসেপশন এর তফাত ।আর দ্রষ্টা এবং অবজেক্ট এর মাঝে যে প্রসেস তা প্রিদিফায়ন্দ আর পস্তেনালাইস্দ নোড দিয়ে বাঁধা । যা ইলিউশনের জন্মদাতা । মায়া ।

    এটার মানে ভুল ঠিক কিছু না । ইটা একটা আলাদা অধাত্মিকতার পথ ।এইপর্জন্তই ।

    অধাত্মিকতা মানে তো কোনো চার হাত পা ওয়ালা ভগবান নামের কেও না । স্পিরিতুয়ালিতি ইস ওয়ে অফ অব্সার্ভিং দ্য হোল কন্সপিরেসি । সায়েন্স ইস এনাদার ওয়ে । আলটিমেটলি কার ওয়ে দিয়েই অবজেক্ট পাল্টায় না । কে কিভাবে মজা নেবেন দ্রষ্টার রুচি । আমার কাছে মস্তি ছাড়া কিছু ম্যাটার করেনা । তবে রসগোল্লার সঙ্গে ভদকা মেশাই না ।

    আপনারা সেই বিশুদ্ধ আঙ্কিক জগত নিয়ে আলোচনাতে চাইলে দয়া করে কে কী করিছিল আর কে কী লিকেছিল সেই নীচুক্লাস থেকে বেইরে আসুন ।

    এক সময় বুঝবেন ,কেন মুখে বলা যায়না ।
  • abc | 131.241.218.132 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৫:১০513560
  • "যে কোন সম্প্রদায়ভুক্ত হউক না কেন, সকলেই নিজ নিজ সম্প্রদায়গত ভাব অনুসারে ঐ ওঙ্কারের ব্যাখ্যা করিতে পারে" - ভেরি ইম্পর্টান্ট - ওই ঘুরে ফিরে সেই যতমত তত পথ ।
    এবং মোদির জন্যে হিন্দুত্ব প্রসঙ্গে এটাই যথেষ্ট " প্রাচীনকালে এ—শব্দের অর্থ যাহাই থাকুক, উহা সিন্ধুনদের অপরতীরের অধিবাসিগণকেই বুঝাক বা যাহাই বুঝাক, বর্তমানে এই শব্দের আর কোন সার্থকথা নাই;কারণ এখন আর সিন্ধুনদের অপরতীরের অধিবাসিগণ একধর্মাবলম্বী নহে। "
    এবার ধর্মর সঙ্গে যুদ্ধ নাকি মোদির মত ধর্মান্ধ র সঙ্গে যুদ্ধ কোনটা আপনার মূল লক্ষ্য আপনি ঠিক করুন তারপর বিবুদার স্ববিরোধ ও ছিদ্রান্বেষণ করুন । যাইহোক ইতিহাস বলে ধর্ম-র সঙ্গে যুদ্ধ করে পৃথিবীতে অনেক বড় শক্তি পারে নি, সোভিয়েতে চার্চ থেকে গেছে , চিনে কনফুসিয়াস বুদ্ধ থেকে গেছে
  • pinaki | 227.211.165.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৫:১৩513562
  • চীনের লোকজনের সাথে মেলামেশা করেছেন কখনো? জাস্ট কিউরিয়াস।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৫:১৬513563
  • গুরুবাদ নিয়ে সিদ্ধার্থকে বিবুদার একটা কোট দেবার ছিল, এরকম কিছু - মহাপুরুষগণ পৃথিবীকে নূতন ভাব দিয়ে যান, কিন্তু ভক্তেরা সেসব না নিয়ে তাঁদের পূজার বেদীতলে তাঁদের অভিপ্রায়কে বলি দেন।

    তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি গোছের।
  • abc | 131.241.218.132 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৫:৩৯513564
  • ম্যারিকায় লাসা থেকে পড়তে আসা একটি ছেলের আলাপ ছিল- সে বৌদ্ধ , লাসা তো অফিসিয়ালি চিনের মদ্যে তাই না? । চিনের থেকে গ্রাজুয়েট কিন্তু ম্যারিকায় পিএইচডি , কোর ইঞ্জিনিয়ারিং এ কর্মরত বন্ধু ও ছিল , সে আবার চার্চে যেত।
  • ranjan roy | 132.168.65.109 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৫:৪২513565
  • abc
    আমি আর আপনার সঙ্গে মিনিময়ে আগ্রহী নই।
    এককথা কতবার আমাকে দিয়ে বলাবেন? বিদ্যাসাগর কলেজের কোর্স পরিবর্তন নিয়ে কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটি একটি লিখিত ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট, দর্শনের গ্রন্থ নয়।
    আমি পড়েছি, অনেকে পড়েছেন, আপনিও পড়তে পারেন।
    সেটা পড়ে বলেছি এই সম্বন্ধে সুনীল যা বলেছেন তা তথ্যসম্মত, এর মধ্যে সুনীলের থেকে দর্শনের পাঠ নেয়ার কথা কেংকরে উঠছে? আপনি মূল ডকু পড়ে আমার বা সুনীলের ভুল দেখান।
    বোধহয় তিন-চার বার বল্লেন।
    আমার অত সুনীল-প্রেম নেই।
    দুই,
    বিদ্যেসাগরের অজ্ঞেয়বাদ কে কোন মাপকাঠিতে বিচার করবো?
    সেই যুগে অজ্ঞেয়বাদকে কী বলা হত? আসুন, রবীন্দ্রনাথে যাই।
    "চতুরঙ্গ" নভেলের প্রথম পরিচ্ছেদ জ্যাঠামশায়ে শচীশ নিয়ে শ্রীবিলাসের ভাবনা দেখুন।
    শচীশ বৌদ্ধিক ক্ষমতায় সাহেব অধ্যাপকের প্রিয়। নিন্দুকেরা বলে ওর গায়ের রং কটা বলে নাস্তিকতা ফলিয়ে সাহেবের মন ভোলায়।
    তখন কোন বুদ্ধিমান আড়ম্বর করে প্রফেসরের কাছে " পজিটিভিজম সম্বন্ধে বই ধার চাহিতে গিয়াছিল। সাহেব বলিলেন-- ও তোমরা বুঝিবে না!"
    ওরা যে সাহেবের চোখে "নাস্তিকতা" চর্চারও অযোগ্য তাতে ওদের শচীশের ওপর রাগ আরও বেড়ে গেল।
    অর্থাৎ, রবীন্দ্রনাথের সময়ে অজ্ঞেয়বাদ( পজিটিভিজম) আর নাস্তিকতা একই ধরা হত।

    তিন,
    দুখে ও দীপ বিবেকানন্দ নিয়ে ( ওঁকে বিবুদা বলা আমার ভালো লাগে নাঃ) তথ্য ভিত্তিক বিতর্ক চালাচ্ছেন। কেউ কাউকে ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচি করছেন না।
    আমরা ইতরজন দুজনের বক্তব্য , নতুন তথ্য মন দিয়ে আনন্দের সঙ্গে পড়ছি, সহমত হই বা নাহই সেটা অপ্রয়োজনীয়, জানছি, ঋদ্ধ হচ্ছি। আপনিও তাই করুন না! কেন খামোকা আমার নাস্তিকদের উন্নত মানুষ মনে হয় কি না জাতীয় অপ্রাসংগিক কথা তুলছেন?
  • ranjan roy | 132.168.65.109 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:০৭513566
  • দুখে,
    না দুখে, বেদ পড়লে এবম মানলে কুসংস্কার যাবে না।
    আপনি অনেক পড়েছেন( আমি ব্যক্তিগত পরিচয় থেকেও জানি, আপনার সঙ্গে পরিচয় হওয়া এক আনন্দদায়ক অনুভূতি!)।
    নিশ্চয় বেদ পড়তে পারবেন। সীতানাথ তত্ত্বভূষণ সম্পাদিত হরফ প্রকাশনীর চারটে বইই সুলভ।
    আমি বলছি-- অথর্ববেদ বা কৃষ্ণ-যজুর্বেদের বাজসনেয় সংহিতা ও অশ্বমেধ যজ্ঞে রাজার চার মহিষীর সঙ্গে চার পুরোহিতের ( ঋত্বিক-অধ্বর্যু-হোতা ইত্যাদির) রিচুয়াল অশ্লীল গালাগালির ঝড় দেখবেন। আমি এই পাতায় শ্লোকগুলো ও তার বাংলা অর্থ তুলে দিতে পারি কিন্তু অপ্রাসংগিক হবে এবং সবার রুচিতে বাধবে।
    কিছুদান আগে টইতে সোম্ননাথের সঙ্গে আমার ও ডিডির বৃহদারণ্যক উপনিষদের শেষ দুটো অধ্যায়ে , খিল কান্ডে, নারীকে শয্যায় নিয়ে যাওয়া ও প্রহার এবং পুত্র উৎপাদনের জন্যে কালো বাছুরের বিরিয়ানি খাওয়া ইত্যাদি তুকতাক নিয়ে বিতর্ক আর এগুলো নিয়ে সীতানাথ তর্কভূষণের বক্তব্য মনে করুন।
    এদিকে গম্ভীরারন্দের বৃহদারণ্যক উপনিষদ দেখুন। উনি এত অস্বস্তি বোধ করেছেন যে ওই শ্লোকগুলোর শুধু অন্বয় করে ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলা অর্থ লেখা এড়িয়ে গেছেন।

    দুখে,
    বৌদ্ধসাহিত্য দুই হাজার বছরের বিশাল ব্যাপার।তিন বা চার-চারটে মহাসংঘীতির মধ্য দিয়ে বিবর্তিত। জাতক উপাখ্যান ওদের পুরাণকথা, দর্শনের আকর গ্রন্থ নয়, অনেক পরে এসেছে।
    আপনি ওদের 'ল অফ কজেশন' পতিচ্চ্সমুৎপাদ পড়ুন, নিজেই বুঝতে পারবেন।
  • Ekak | 125.115.139.226 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:০৯513567
  • হ্যা, এই উন্নত -অনুন্নত পয়েন্ট তা আমারও অকারণ কনফ্লিক্ট টানা মনে হয়েছে ।

    তবে এইসব তর্ক চলতে থাকবে । প্রোএকটিভ আর রিএক্টিভের ডিফারেন্স যেখানে দ্রবীভূত সেখানে আমরা কেও ই নেই। থাকলে তো তর্ক চলেনা ।
  • b | 135.20.82.164 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:১৬513568
  • ভাগ্যিস নই।
  • rivu | 78.232.127.201 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:৪৩513569
  • ছোট্ট পয়েন, যৌনকর্মীদের সম্পর্কে সে যুগে কোনো মানুষই খুব উদার ছিলেন বলে মনে হয়না, বিদ্যাসাগর ও ছিলেন কি? আর হ্যান বিবেকানন্দ বলেছেন হিন্দু হতে গেলে বেদ ও ওমকার মানতে হবে, কিন্তু তার সাথে ছোট্ট করে "ভারতের ভবিষ্যত" টিপ্পনি জুড়ে দেওয়ার মানে কি? কোথায় দেখলেন যে বলে গেছেন ভারতীয় হতে গেলে বেদ মানতে হবে?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৭:১০513570
  • বিনোদিনীর কেসটা কি রাকৃর উদারতা ধরা হবে?
    বিবুদা বলছেন - এককালে আমি এমন গোঁড়া ছিলাম যে থিয়েটারের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতাম না। আর আজ বেশ্যার সঙ্গে এক অনায়াসে এক বাড়িতে থাকতে পারি।
    কোটগুলো হুবহু হচ্ছে না - এই যা দুঃখ।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৪513571
  • আর ঐ কায়রোর (তাই তো?) ঘটনাটা - পথ ভুলে পতিতাপাড়ায় ঢুকে পড়ে মেয়েদের দেখে বলা - আহা অভাগিনীরা। এরা অর্থের জন্য নিজেদের দেবীত্বকে বলি দিয়েছে।

    উঃ, কোটটা আবার হ'ল না।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৯513573
  • রঞ্জনদা, যদ্দূর মনে পড়ছে অশ্বমেধের পুরোহিতের সঙ্গে রাজমহিষীর সঙ্গম আর স্বর্ণসীতা নিয়ে বিবুদারই একটা রসিকতা আছে। তবে কদাচার শেখার জন্য কি আর বিবুদা বেদ পড়তে বলবেন? ওনাকে হাতের কাছে পেলে জিজ্ঞেস করা যেত।

    তাই ব'লে আপনি আমাকে এখন বেদ আর বৌদ্ধসাহিত্য পড়তে বসাবেন? ধর্ম নাহয় নাই মানুন, ধর্মে সইবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন