এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই: নির্মোহ (তিন)

    Samik
    অন্যান্য | ৩১ জানুয়ারি ২০১২ | ৪৭৮২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 212.142.95.134 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১১:৪৮513674
  • রাজামশাইকে লেখা চিঠি থেকে কিছু পত্রযোগে পদসেবার উদাহরণ দিই তাহলে।

    "But I cannot do anything without asking your Highness, the only friend on earth I have." (1893)
    "You, Rajputs, have been the glories of ancient India. With your degradation came national decay, and India can only be raised if the descendants of the Kshatriyas co-operate with the descendants of the Brahmins, not to share the spoils of pelf and power, but to help the weak, to enlighten the ignorant, and to restore the lost glory of the holy land of their forefathers." (1895)
    "And you, my beloved Prince--you the scion of a race who are the living pillars upon which rests the religion eternal, its sworn defenders and helpers, the descendants of Rama and Krishna, will you remain outside? I know, this cannot be. Yours, I am sure, will be the first hand that will be stretched forth to help religion once more. And when I think of you, Raja Ajit Singh, one in whom the well-known scientific attainments of your house have been joined to a purity of character of which a saint ought to be proud, to an unbounded love for humanity, I cannot help believing in the glorious renaissance of the religion eternal, when such hands are willing to rebuild it again." (1895)
    "I have no shame to beg of one person in the world and that is yourself. Whether you give or refuse, it is the same to me. If possible send some money kindly." (1898)

    তবে ১০০ টাকা প্রার্থনার চিঠিতে অবশ্য তেমন কোনও তোষামোদ নেই, শুধু একবার রামচন্দ্রের বংশধর বলা ছাড়া। শুধু আর্তিই চোখে পড়ে। প্রথম চিঠিতে টাকার পরিমাণ নেই। শুধু রাজার সম্মতি আছে কিনা জানতে চেয়েছেন।
    "I am getting worse every day and now almost at death's door. ... I have one great sin rankling always in my breast, and that is to do a service to the world, I have sadly neglected my mother. Again, since my second brother has gone away, she has become awfully worn-out with grief. Now my last desire is to make Seva and serve my mother, for some years at least. I want to live with my mother and get my younger brother married to prevent extinction of the family. This will certainly smoothen my last days as well as those of my mother. She lives now in a hovel. I want to build a little, decent home for her and make some provision for the youngest, as there is very little hope of his being a good earning man. Is it too much for a royal descendent of Ramchandra to do for one he loves and calls his friend? I do not know whom else to appeal to. The money I got from Europe was for the "work", and every penny almost has been given over to that work. Nor can I beg of others for help for my own self. About my own family affairs--I have exposed myself to your Highness, and none else shall know of it.
    P.S. This is strictly private. Will you please drop a wire to me whether you will do it or not?" (22 Nov 1898) -- পরের চিঠিতে বাকিটা।
    "Your telegram has pleased me beyond description, and it is worthy of your noble self. I herewith give you the details of what I want.
    The lowest possible estimate of building a little home in Calcutta is at least ten thousand rupees. With that it is barely possible to buy or build a house in some out-of-the-way quarter of the town--a little house fit for four or five persons to live in.
    As for the expenses of living, the 100 Rs. a month your generosity is supplying my mother is enough for her. If another 100 Rs. a month be added to it for my lifetime for my expenses--which unfortunately this illness has increased, and which, I hope, will not be for long a source of trouble to you, as I expect only to live a few years at best--I will be perfectly happy. One thing more will I beg of you--if possible, the 100 Rs. a month for my mother be made permanent, so that even after my death it may regularly reach her. Or even if your Highness ever gets reasons to stop your love and kindness for me, my poor old mother may be provided [for], remembering the love you once had for a poor Sadhu.
    This is all. Do this little work amongst the many other noble deeds you have done, knowing well whatever else can be proved or not, the power of Karma is self-evident to all. The blessings of this good Karma shall always follow you and yours." (1 Dec 1898)
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১১:৫৬513675
  • দীপ এখনো তোষামোদের দাবি নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন। বেস্ট অফ লাক। ঃ)
    বিবুদা যে ক্ষত্রিয়দের অবতারত্ব নিয়ে অনেকবারই বলেছেন, সেটা পড়ে নেবেন। ব্রাহ্মণেরা ধর্মকে কুক্ষিগত করেছে, ক্ষত্রিয়েরা ছড়িয়ে দিয়েছে - এমন কথাও পাবেন। মায়ের জন্য অর্থ প্রার্থনা সবার কাছে করা সম্ভব ছিলও না। কৃতজ্ঞতা আর পদসেবার মানেও অভিধানে দেখে নিতে পারেন।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১২:০৪513676
  • অ্যাকচুয়ালি নিজের জাতকেও (কায়স্থ) উনি ক্ষত্রিয়দের মধ্যেই ধরতেন।
  • দীপ | 212.142.95.134 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১২:০৯513677
  • কে কার কাছে কৃতজ্ঞ এবং কেন? আগের একটা পোস্টেই তো রামকৃষ্ণের জন্মদিনে হোলসেল (ক্ষত্রিয়াদি) ব্রাহ্মণ বানানো খেলা হল?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১২:২৩513678
  • "তোমরা কি প্রাণে প্রাণে বুঝিতেছ যে, কোটি কোটি দেব ও ঋষির বংশধর পশুপ্রায় হইয়া দাঁড়াইয়াছে? "

    - দ্যাহেন কী তোষামোদের বহর। ভারতবাসীকে 'দেব ও ঋষির বংশধর' বানিয়ে চাঁদা তোলার পথ সুগম করলেন। এছাড়াও মানুষকে অমৃতের পুত্র, নারায়ণ ব'লে ট'লে পয়সা তোলার পথ প্রশস্ত করেছেন - রাম ও কৃষ্ণের বংশধর তো তুশ্চু মহায়।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১৩:০৪513679
  • এই রাজামশাই(দের) সম্বন্ধে কিছু জানা যায়? মানে ইনি (বা এনারা) কেমন রাজা ছিলেন, ইত্যাদি? আমি যখন পড়েছিলাম বহুকাল আগে, তখন যেন কোথায় একটা পড়েছিলাম যে বিবেকানন্দ বিরোধিদের একটা বড় ক্ষোভের কারণ ছিল এই যে, এইসব রাজারা মূলতঃ অত্যাচারী সামন্তপ্রভু হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন। অথচ তাঁদের কাছে টাকা চাওয়ার সময় বিবেকানন্দ এমনভাবে তাঁদের গুণকীর্তন করেছেন (যা আমরা দেখতেও পেলাম) যেটা খুবই দৃষ্টিকটূ। বিশেষতঃ এমন একজনের কাছ থেকে যিনি নিজেকে দরিদ্র আর্ত নিপীড়িতের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। এই ক্লেমটার কোনো ভিত্তি আছে?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১৪:২৬513680
  • অখণ্ডানন্দের কোনো একটা এপিসোড ছিল বোধহয় কোনো রাজার বিরোধিতায় জড়িয়ে পড়ার। কিন্তু বিবুদা রাজাদের কাজকর্মে জড়াতেন না। খুব বেশি কিছু জানি না। "the well-known scientific attainments of your house" টারও বিশদ জানলে ভালো হ'ত।
  • ranjan roy | 24.96.108.82 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১৫:২২513681
  • দুখের ১০-২৪AM এ বৌদ্ধদর্শনের যে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা অনেকখানি সঠিক।
    আদি বৌদ্ধদর্শনে গুরুবাদ ছিল না।
    নিজেই সঠিক পথ অবলম্বন করে মুক্তি পেতে পারে এই শিক্ষা ছিল। 'অত্র দীপো ভব'।
    তখন ভিক্ষুদের শুধু আটটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস রাখার অধিকার ছিল।পরণের দু'ফালি চীর বস্ত্র, দন্ড, ভিক্ষাপাত্র, সেলাইয়ের ছুঁচসূতো, কমন্ডলু ইত্যাদি।
    সেগুলো আবার মৃত্যুকালীন তাঁর বৃদ্ধবয়সে সেবা করেছে এমন কাউকে স্বেচ্ছায় দান করা যেত।
    আলাদা করে কোন সম্পত্তির অধিকার ছিল না।
    কেউ দান দিলে ভিক্ষুকে নিজের নামে নয়। চতুর্দিশার আগত-অনাগত সংঘের নামে সেই দান গ্রহণ করতে হত।
    গোল বাঁধল মহাযানে , তন্ত্র-মন্ত্র, ভিক্ষু-ভিক্ষুণীদের নামে দানগ্রহণ, স্তুপনির্মাণ ইত্যাদি শুরু হওয়ায়। মন্দির, দেবদেবীর মূর্তি শুরু হল। ভূত-প্রেত তাড়ানোর জন্যে মন্ত্র লেখা সিল্কের পতাকা বাড়ির প্রাচীরে টাঙানো ইত্যাদি আজও চলছে।
    মহাযানীরা গুরুবাদ নিয়ে এলেন। বলা হল যে পদ্ধতি নিজে নিজে মুক্তির চেষ্টা করে তা হীনযান। আমরা তো বিশাল অনুগামীদের পার করানোর ক্ষ্যামতা রাখি--কাজেই মহাযান।
    বিবেকানন্দ ঢেউয়ের উপমা দিয়ে যা বর্ণনা করেছেন তা বুদ্ধের ল অফ কজালিটি বা পতিচ্চসমুৎপাদ তত্ত্বের মহাযানী রূপ। যেহেতু মহাযান ব্যভারিক রূপে হিন্দুধর্ম এবং দার্শনিক রূপে বেদান্ত দর্শনের কাছাকাছি তাই এটাই স্বাভাবিক যে উনি বৌদ্ধধর্মের নিন্দে-প্রশংসা দুটোই মহাযানকে প্রতিমান ধরে নিয়ে করেছেন। এ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।
  • ranjan roy | 24.96.108.82 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১৫:৪৬513682
  • এই প্রসংগে একটি ব্যক্তিগত গল্প বলি। আগে বলেছি কি না মনে পড়ছে না।
    ছত্তিশগড়ের সরগুজা জেলায় পাহাড়ের ওপর মইনপাট( অধুনা কমলেশ্বরপুর) ধর্মশালার পর রিফিউজি তিব্বতীদের সবচেয়ে বড় বসতি। সেখানে মঠে গিয়ে বৃদ্ধ ও মাঝবয়েসী দুই লামার সঙ্গে আলাপ হল। ছোট লামা হিন্দি ও ভাসাভাসা ইংরেজি জানেন। স্থানীয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে(KV) তিব্বতী ভাষার ক্লাস নিয়ে মাসে দুহাজার টাকা বেতন পান।
    ওঁকে যখন যে উনি এই পেমেন্ট কিভাবে স্বীকার করেন, মানে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেন? ওঁর তো আগত-অনাগত সংঘের নামে জমা করা উচিত, উনি তো সংসারত্যাগী ভিক্ষু!
    ওঁর চেহারায় একটু ছায়া ঘনাল। চোখ নামিয়ে নীচু গলায় বিড়বিড় করলেন-- আমার দায়িত্ব আছে, বয়স্কা মা, বিধবা বোন, আমার আশ্রিত।
    ( আমার মনে হল নিজের গালে একটা চড় কষাই!)
  • dukhe | 127.194.226.255 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১৯:২৭513684
  • রঞ্জনদার গল্পটা ভালো। খেতড়ির রাজার সঙ্গে আলাপের গল্পটা লিখি। তর্কের জন্য নয়, ভালো লাগে ব'লে।

    বাল্যবন্ধু প্রিয়নাথ সিংহের লেখা থেকে -
    "১৮৯১ খ্রীস্টাব্দে স্বামীজী রাজপুতানায় আবু নামক পাহাড়ে তাঁর একজন উকিল-বন্ধুর কাছে আছেন। এমন সময় তাঁর একজন ভক্ত খেতড়ির মহারাজের সচিব মুন্সী জগমোহনলালজীকে সঙ্গে করে উপস্থিত হলেন। জগমোহনলাল দেখলেন, স্বামীজী একটি কৌপীন ও বহির্বাস পরে নিদ্রা যাচ্ছেন। জগমোহনলাল একজন ইংরেজী শিক্ষিত যুবা, গেরুয়াপরা সন্ন্যাসীরা সব চোর, বদমায়েশ, এই বিশ্বাস। নিদ্রা ভাঙলে স্বামীজী জগমোহনের সঙ্গে অনেক কথাবার্তা বললেন। জগমোহনের কুসংস্কার ঘুচল, প্রবল বাসনা হলো, স্বামীজীর সঙ্গে তাঁর প্রভুরও পরিচয় করিয়ে দেন। স্বামীজীর কাছে খেতড়ির মহরাজের সঙ্গে আলাপ করবার প্রস্তাব করলে স্বামীজী সম্মতি প্রকাশ করলেন এবং বললেন, "আগামী পরশু মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।" জগমোহন আপনার প্রভুকে সমস্ত বৃত্তান্ত জানালে মহারাজ স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করবার জন্য উৎসুক হয়ে উঠলেন, বললেন, "আমি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করব।" স্বামীজী শুনে বিলম্ব না করে স্বয়ং তাঁর কাছে এসে উপস্থিত হলেন।"

    এই অবধি ইনট্রো। আমার পছন্দ এর পরের সংলাপ। রাজা স্বামীজীকে অভিবাদন করে জিজ্ঞেস করলেন - "Swamiji, what is life?" এবং বিবেকানন্দ - যিনি বারেবারে আমাদের নতুন সমস্ত সংজ্ঞা উপহার দিয়েছেন, যাঁর কাছে শিক্ষা হ'ল মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশসাধন, যাঁর চোখে সন্ন্যাসের অর্থ মৃত্যুকে ভালবাসা, একমুহূর্তে জীবনের সংজ্ঞা তৈরি ক'রে দিলেন - "Life is the tendency of the unfolding and devlopment of a being under circumstances tending to press it down."

    সাধে কি আর মোহময় ব লিখি?
  • দীপ | 24.99.39.80 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ২১:৫৯513685
  • তুরীয়ানন্দের লেখা থেকে একটু উদ্ধৃতি দিই। এইখানটায় রেলেভেন্ট মনে হল।

    "Once, one of his brothers came to see him at the monastery at Baranagore. Swamiji abused him right and left and drove him off. Then I asked Swamiji, 'Why did you abuse the boy so much?' Then he said, 'You see, if I show my love for them even to a little extent, it will not be possible for me to stay here; they will come and give me all sorts of troubles. I would like to see my brothers and sisters -- all my relations dying of hunger, while I am taking the name of God. Only then shall I know that I have real love for Him." (Spiritual Talk, Advaita Ashrama, page 302)

    এ কোন বিবেকানন্দ? যিনি ক্ষেত্রীর রাজার কাছে, বিদেশিনীদের কাছে পরিবারের জন্য টাকা চাইছেন তিনি, নাকি অন্য কেউ? নাকি মৃত্যু মাথার দোরগোড়ায় দেখে 'real love for Him' এর মোহ ছেড়ে দিয়েছিলেন? নাকি সন্ন্যাসী বনাম গৃহীর দ্বৈতচরিত্র? একই রকম দ্বৈত চরিত্রের আভাষ পাওয়া যায় হিউম-মিল পড়া যুক্তিবাদ-অজ্ঞেয়বাদ বনাম রামকৃষ্ণ-বেদান্তের কালিপুজো-ভাববাদের চর্চার দাবীতে, ধর্মসমন্বয় বনাম হিন্দুত্বের শীর্ষত্বের দাবীতে, জাতপাত বনাম ব্রাহ্মণের উৎকৃষ্টতা দাবীতে, নারীর উন্নতি বনাম সতীত্ব-চরিত্রের দাবীতে, পাশ্চাত্যের বিজ্ঞান বনাম ভারতবর্ষের আধ্যাত্ববাদ প্রচারের দাবীতে। দুখে একটা দিক থেকে কিছু প্রমাণ তুলে দেখাচ্ছেন, আমি অন্য দিক থেকে। কিন্তু দুটো মিলেই বিবেকানন্দ।

    আজকে Age of information-এর যুগে আমরা যে এই মুক্ত জ্ঞানপীঠে বসে বিষয়গুলো নিয়ে চর্চা করতে পারছি, এমনটা তো আগে ছিল না। আগেও কিছু মানুষ অন্য বিবেকানন্দকে নিয়ে মত প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ধর্মের সঙ্গে লড়াই সহজ কথা নয়, বিশেষ করে সেই ধর্ম যদি একাধারে জাতীয়তাবাদী এবং প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গিয়ে থাকে। মুষ্টিমেয় যে কটি গবেষণাধর্মী বই প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলি আউট অফ প্রিন্ট হয়ে গ্যাছে। সারা ভারতবর্ষ খুঁজলেও তার কপি পাবেন না, সামান্য কিছু মানুষের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছাড়া। বিদেশের লাইব্রেরীগুলোতে অবশ্য কিছু কপি বেঁচে আছে। কিছু মানুষ প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে গোলমালের দিকগুলো চেপে রেখে অন্যদিকটা বেশী করে হাইলাইট করার, ঘষে মেজে মোড়কে ঢেকে, বিবেকানন্দের ইমেজটাকে চকচকে করে বিক্রি করার। পাটোয়ারি বুদ্ধি বলবেন? সে যে নামেই ডাকুন, আল্টিমেটলি মাদার টেরেসাকে যেমন ভাটিকানের প্রয়োজনে হাতে-গরম মিরাক্‌ল তৈরি করে saint করে দেওয়া গেল, বিবেকানন্দের ক্ষেত্রেও তেমনি পদব্রজে ভারতভ্রমণ, অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা, ব্রহ্মচর্য্য পালনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, সমুদ্র সাঁতরে ভারতের শেষ ভূখন্ডে ধ্যান, সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী ইত্যাদি নানাবিধ myth-মিথ্যার প্রচারের মাধ্যমে মহাপুরুষ বানানোর ষড়যন্ত্র হয়েছে। দুখে বেস্ট অফ লাক জানিয়েছেন। লাক ততটা চাই না দাদা যতটা চাই পড়াশোনা। গুরুর পাঠকরা পড়ছেন, জানছেন, বিতর্ক করছেন, ঋদ্ধ হচ্ছেন। 'এই কাজ, এই কাজ'।
  • ranjan roy | 24.96.125.101 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ২২:১১513686
  • হ্যাঁ, এই দুই বিশ্ব মিলেই সম্পূর্ণ বিবেকানন্দ। কারণ উনি মানুষ ছিলেন, অবশ্যই তীক্ষ্ণধী, বাঁধাগতের বাইরে চিন্তা করার ক্ষমতাসম্পন্ন সমাজ ও দেশ নিয়ে ভাবিত এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
    উনবিংশ থেকে বিংশ শতাব্দীর উত্তরণের সময় বাঙালীর জ্ঞানসাধনার ও কর্মযোগের একটি বিশিষ্ট পন্থার শিখর ব্যক্তিত্ব।
    সবচেয়ে ভালো কথা যে উনি বাস্তব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে ভেবেছেন, কখনো সংশয়ে দ্বিধাদীর্ণ হয়েছেন, ক্রোধ, বিরক্তি ও হতাশা মাঝে মাঝে গ্রাস করেছে, কিন্তু হাল না ছেড়ে নিজের পথে এগিয়ে গেছেন।
    নিজেকে কখনো ঈশ্বরাবতার বলে দাবী করেন নি।
  • ranjan roy | 24.96.125.101 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ২২:২৪513687
  • দীপ,
    ১৯৬৬ সাল। ইলেভেন এ পড়ছি। চৈতন্যসাহিত্যে মহাপ্রভুর তিরোধান নিয়ে তিনটি ভাষ্য পড়লাম।
    চৈতন্যচরিতামৃত( কৃষ্ণদাস কবিরাজ)---চৈতন্যভাগবত(বৃন্দাবনদাস)----চৈতন্যমঙ্গল(জয়ানন্দ)।
    এক, পূর্ণিমা রাত্রে পুরীর নীল সমুদ্রে কৃষ্ণ ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
    দুই, জগন্নাথ মন্দিরে বিগ্রহের দেহে অন্তর্ধান
    হলেন।
    তিন, জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল বলছেঃ
    "রথযাত্রা দিনে প্রভূ নাচিতে নাচিতে,
    ইঁটল-খন্ড বাজিল পায়েতে।"
    তার থেকে টিটেনাস হয়ে জ্বর হয়ে দেহত্যাগ করলেন।

    এখন সেই বছরে একটি বই বেরল--"ইতিহাসের শ্রীচৈতন্য", লেখকের নাম মনে নেই। ব্যাপক হইচই পড়ে গেল। ওতে সমস্ত প্রচলিত মিথ গুলোর বিশ্লেষণ করে ইতিহাসসম্মত তথ্যভিত্তিক জীবনী লেখার চেষ্টা হয়েছিল।
    আবাপ ও যুগান্তর পত্রিকা বিশ্বাসে আঘাত লাগবে বলে বইটি ব্যান করতে দাবী তুললেন। নেতৃত্ব দিলেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, তখন তিনি "পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ" বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছেন। কল্লোল-যুগ অনেক পেছনে ফেলে এসেছেন।
    প্রফুল্ল সেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম-নেতারা ভারতরক্ষা আইনে কারাগারে।
    বই নিষিদ্ধ হল, বাজার থেকে তুলে নেয়া হল। আর কোন খোঁজ পেলাম না।
  • ... | 79.211.8.10 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৮513688
  • আপনি Date:29 Jul 2013 -- 10:11 PM- ঠিক জানেন? যাকে বলে "সিওর" যে তিনি "নিজেকে কখনো ঈশ্বরাবতার বলে দাবী করেন নি।" "ঈশ্বরাবতার" না বলেও অমৃতস্য পুত্রাঃ-কে এন্ডোর্স করে ঠারেঠোরে বোঝাননি? ডিভিনিটি ওনার মধ্যেই আছে বলে ইন্ডেরিক্টলিও নিজেকে ঈশ্বরের সঙ্গে সমান করে দেখেন নি? নিশ্চিত?
    দীপবাবুকে জিজ্ঞাসা করুন; উনি ভাবার্থ করে বুঝিয়ে দেবেন, কোথায় কোথায় বিবেকানন্দ নিজেকে, ঈশ্বরাবতার তো কোন ছাড়, স্বয়ং ঈশ্বরই বলেছেন।

    নেন, বনাম যুদ্ধে আরও একটি পয়েন দিলাম।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ০৯:১৮513689
  • ও, সতীত্ব। ইয়েস, এ বিষয়ে একটা চমক দেবার আছে। বিবুদা বাল্যবিবাহের চরম বিরোধী ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই বোনের মৃত্যু তাতে কিছুটা কন্ট্রিবিউট করতে পরে। কিন্তু অভিজ্ঞতার শিক্ষা থেকে যেহেতু উনি সব প্রথাগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজতেন, বাল্যবিবাহের আদর্শের কথাও বলেছেন। যে জন্য ওনাকে অবোধেরা বাল্যবিবাহপন্থীও ভেবে বসেছেন। "উনি কেন বাল্যবিবাহপন্থী" বিষয়ে চাট্টি কোট তুলে দিয়ে প্রচার করতে পেছোননি। আরো অনেক বিষয়েই বিবুদাকে ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। ওনার জীবদ্দশা থেকেই এই আক্রমণের শুরু এবং শিবিরভুক্ত না হওয়ার কারণে রক্ষণশীল এবং সংস্কারপন্থী দু তরফেই প্রবল আক্রমণ জারি ছিল - যার ঝাঁজ আজও মরেনি। এমনকি নারীঘটিত স্ক্যান্ডালও চালানোর চেষ্টা হয়েছিল (হালেও হয়েছে)। কিন্তু একটা সময়ের পরে সেগুলো খুব একটা হলে পানি পায়নি তার কারণ সেসবের অন্তঃসারশূন্যতা এবং সমাজে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রত্যক্ষ ভূমিকা - যা ওনার দেওয়া অ্যাকশন আইটেমগুলোকে ফলিত রূপ দিয়ে এই বৈঠকী ব্যাখ্যা অথবা অপব্যাখ্যাগুলোকে মূল্যহীন ক'রে দিয়েছে। ওনার মিরাকলের কথাও বইপত্রে পাবেন, কিন্তু সেগুলোও প্রচারে আনা হয়নি যেমন কমই এসেছে ওনার প্রগাঢ় ভক্তির কথা।
    ভালোবাসা বলতে উনি কী বুঝতেন তারও দু-একটা গল্প আছে। দেখি কখন তুলতে পারি।
    কয়েকটি বুলেট পয়েন্টে কনফর্ম করেন কিনা এই গজকাঠি নিয়ে মাপতে গেলে মানুষের থই পাওয়া যায় না (রঞ্জনদার লামার গল্প স্মর্তব্য), আর তিনি যদি বিবুদার মাপের হন তো কথাই নেই। ধনী ব্যক্তির থেকে টাকা চাওয়া = তোষামোদ আর ঈশ্বরদর্শন = হ্যালুসিনেশন - আমাদের মাপের এইসব সিদ্ধান্তে রাকৃ কিংবা বিবুদা ফিট করতে গেলে সমস্যা অনিবার্য।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১০:৩৫513690
  • 'real love for him'-এর মোহ ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এই চিঠিটা -

    "লড়াইয়ে হার-জিত দুইই হ'ল-এখন পুঁটলি-পাঁটলা বেঁধে সেই মহান্ মুক্তিদাতার অপেক্ষায় যাত্রা ক'রেবসে আছি। 'অব শিব পার করো মেরা নেইয়া'-হে শিব, হে শিব, আমার তরী পারে নিয়ে যাও, প্রভু।

    যতই যা হোক, জো, আমি এখন সেই আগেকার বালক বই আর কেউ নই, যে দক্ষিণেশ্বরের পঞ্চবটীর তলায় রামকৃষ্ণের অপূর্ব বাণী অবাক হয়ে শুনতে আর বিভোর হয়ে যেত। ঐ বালক-ভাবটাই হচ্ছে আমার আসল প্রকৃতি-আর কাজকর্ম, পরোপকার ইত্যাদি যা-কিছু করা গেছে, তা ঐ প্রকৃতিরই উপরে কিছুকালরে জন্য আরোপিত একটা উপাধি মাত্র। আহা, আবার তাঁর সেই মধুর বাণী শুনতে পাচ্ছি-সেই চিরপরিচিত কন্ঠস্বর! -যাতে আমার প্রাণের ভিতরটা পর্যন্ত কন্টকিত ক'রে তুলছে! বন্ধন সব খসে যাচ্ছে, মানুষের মায়া উড়ে যাচ্ছে, কাজকর্ম বিস্বাদ বোধ হচ্ছে! জীবনের প্রতি আকর্ষণও কোথায় সরে দাঁড়িয়েছে! রয়েছে কেবল তার স্থলে প্রভুর সেই মধুর গম্ভীর আহ্বান!-যাই, প্রভু, যাই! ঐ তিনি বলছেন, 'মৃতের সৎকার মৃতেরা করুক১ (সংসারের ভাল-মন্দ সাংসারীরা দেখুক), তুই(ওসব ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে) আমার পিছু পিছু চলে আয়!'-যাই, প্রভু, যাই!

    হ্যাঁ, এইবার আমি ঠিক যাচ্ছি। আমার সামনে অপার নির্বাণ-সমুদ্র দেখতে পাচ্ছি! সময়ে সময়ে স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করি, সেই অসীম অনন্ত শান্তির পারাবার-মায়ার এতটুকু বাতাস বা একটা ঢেউ পর্যন্ত যার শান্তিভঙ্গ করছে না!

    আমি যে জন্মেছিলুম, তাতে আমি খুশী; এত যে কষ্ট পেয়েছি, তাতেও খুশী; জীবনে যে বড় বড় ভুল করেছি, তাতেও খুশী; আবার এখন যে নির্বাণের শান্তি-সমুদ্রে ডুব দিতে যাচ্ছি, তাতেও খুশী। আমার জন্য সংসারে ফিরতে হবে, এমন বন্ধনে আমি কাউকে ফেলে যাচ্ছি না; অথবা এমন আমিও কারও কাছ থেকে নিয়ে যাচ্ছি না। দেহটা গিয়েই আমার মুক্তি হোক, অথবা দেহ থাকতে থাকতেই মুক্ত হই, সেই পুরানো 'বিবেকানন্দ' কিন্তু চলে গেছে, চিরদিনের জন্য চলে গেছে -আর ফিরছে না!

    শিক্ষাদাতা, গুরু, নেতা, আচার্য বিবেকানন্দ চলে গেছে-পড়ে আছে কেবল সেই বালক,প্রভুর সেই চিরশিষ্য,চিরপদাশ্রিত দাস ! "

    পুরোটা - http://www.dduttamajumder.org/baniorachana/node.php?pageno=130&khanda=8
  • bip | 78.33.140.55 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১০:৩৮513691
  • বিবেকানন্দকে মোদীরা কোঅপ্ট করছেন চোখের সামনে।
    >>
    আমি ত উলটো দেখছি - বিবেকানন্দ ভক্তরা মোদিকে কোওপ্ট করেছেন ।

    মোদি এখন বিবেকানন্দ ভক্তদের কাছে, বিবেকানন্দের মানস সন্তান। মিশনের সন্ন্যাসীরা বরাবর বিজেপিকেই পছন্দ করে এসেছে। আর এখন মোদি তাদের সন্তান।

    এসব লুকিয়ে কি হবে। আসুন সামনি সামনি সরল সত্যগুলি স্বীকার করি।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১০:৫৯513692
  • বিপকে সরলতার সাট্টিফিকেট দিয়ে গেলাম। প্রাণ খুলে স্বীকারোক্তি করুন।
  • lcm | 118.91.116.131 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১১:০৩513693
  • একি, দুখের লিংকে তো ডিডিএম। এটা দ্বিজেশ দত্তমজুমদারের পাতা! সিলেটের লোক দেখলাম।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১১:০৬513695
  • হ্যাঁ হ্যাঁ, উনিই।
  • de | 69.185.236.53 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১১:৩৯513696
  • অবোধ শিশুর সরলতা --
  • দীপ | 212.142.122.151 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৭:০৩513697
  • "ওনার মিরাকলের কথাও বইপত্রে পাবেন, কিন্তু সেগুলোও প্রচারে আনা হয়নি" - দুখে কি মিরাকলকে প্রচ্ছন্য সমর্থন জানালেন? ঠিক বুঝতে পারলাম না। প্রচারে আনা হয়নি? কি বলেন মশায়? ছোটবেলা থেকে শুনছি ভুবনেশ্বরী দেবীর স্বপ্নে তাঁর পেটের মধ্যে শিব সেঁধিয়ে গেলেন! নিখিলানন্দের লেখা বিবেকানন্দ জীবনীর শুরুতেই তো এই গল্প। চোখ বুলিয়ে বই মুখস্থ করে ফেলতেন - এটাও পাঠ্যপুস্তকেই পড়েছি। আর হাঙ্গরে ভর্তি সমুদ্র সাঁতরে পেরলেন - এই গল্প তো এখন প্রবাদপ্রতিম। সেখানে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে মেমোরিয়াল তৈরী হয়ে গেল। হাজার হাজার ট্যুরিস্ট গিয়ে দ্যাখে; তারা আবার সেই গল্প বয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যদের শোনায়। কই, কোনোদিন তো শুনিনি এসবের বিরুদ্ধে কেউ আপত্তি জানিয়েছে বলে।

    বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আপত্তি অবশ্যই জানিয়েছেন। কেউ যদি বলে বিবেকানন্দ বাল্যবিবাহের সমর্থক ছিলেন তবে তা ঠিক নয়। কিন্তু শিকাগোতে হিন্দুধর্মের মহত্বতা প্রমাণ করতে গিয়ে এই বিষয়ে কিছু আটভাট বকেছেন যেগুলো নিয়ে লোকে খোঁচায়। আর ব্যাকগ্রাঊন্ড খুঁজতে গিয়ে বাল্যবিবাহ-বৈধব্য-সতী ইত্যাদির পিছনে সেই সময়ের সোশাল কন্টেক্সটে প্রথাগুলোর যৌক্তিকতার কথাই (আদর্শ) বেশী বলেছেন। এর পিছনে যে পিতৃতান্ত্রিক পুরুষতন্ত্র সেটাকে অ্যাটাক করেননি।

    বিবেকানন্দের যে লেখা পড়ে আমার তোষামোদ মনে হচ্ছে, দুখের সেই একই লেখা পড়ে কৃতজ্ঞতা মনে হচ্ছে। এটা তো আমার-আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য - একে কোনও তর্কে মীমাংসা করা যায় না।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৭:৪০513698
  • মিরাকলকে সমর্থন আর কী জানাব - বিবুদা বলতেন ওর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু যাঁরা ষড়যন্ত্র ক'রে ওনাকে মহাপুরুষ বানিয়ে ফেললেন তাঁরা ওদিকটার প্রচারে নজর দিলেন না কেন সেটাই বুঝি না।

    তোষামোদ-তত্ত্ব গভীর রাত্রে পদসেবা ব্যাখ্যা করতে পরে না জেনেও সেটা ধরে থাকা এক অনড় দৃষ্টিভঙ্গিজনিত হ'তে পারে - যা আপন বিশ্বাসে দৃঢ়। ছোটদের গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে ঈশ্বরের নিরাকার চৈতন্যতত্ত্ব শেখানোকে উন্নততর অ্যাপ্রোচ মনে করাও সেরকম - প্রথমজন অধ্যাত্মপুরুষ এবং দ্বিতীয়জন 'নাস্তিক' - অতএব দ্বিতীয়জনকে সমর্থন জানানো যেন পূর্বনির্ধারিত। বিদেশের মাটিতে সোশাল কনটেক্সটে দেশের কিছু প্রথার আদর্শ ব্যাখ্যা করা হ'লে "পুরুষতন্ত্র-কে আক্রমণ করলেন না কেন" গোছের প্রশ্নকেও আমার নিজের বুলেট পয়েন্টে কনফর্ম করার চেষ্টা ব'লে মনে হয়। মানে "সত্যজিৎ রায় ছবিতে প্রেম দেখালেন কিন্তু একটাও সমকাম দেখালেন না কেন" গোছের প্রশ্ন।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৭:৫২513699
  • "মানুষের কথা উনি যতই ভাবুন না কেন, সংসারী কীট বলেছেন মানে উনি সংসারীদের ঘেন্না করতেন" গোছের সিদ্ধান্তও তাই। এই লাইনে 'সোনার পিত্তলমূর্তি' লেখার অভিযোগে জীবুদাকে 'প্রবল নারীবিদ্বেষী' তকমা লাগিয়ে দেওয়া যায়। একটা তথ্য থেকে তত্ত্ব খাড়া ক'রে সেই তত্ত্বের বিরোধী তথ্যগুলোকে বেমালুম নস্যাৎ ক'রে সিদ্ধান্তে বহাল থাকা।
  • ranjan roy | 24.96.71.181 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৪513700
  • @---,
    দেখুন, খুব সামান্য জানি। দীর্ঘ সময় ,৪২ বছর ছত্তিশগড়ে কেটেছে। পড়াশুনোয় ঘাটতি রয়েছে। ভুল হতেই পারে।
    আমি যতটুকু পড়েছি, কোথাও উনি নিজেকে ঈশ্বর বা অবতার বলেছেন বলে পাইনি। আপনি যদি অন্যরকম তথ্য পেয়ে থাকেন তো দিন না; ঋদ্ধ হব।

    বিপের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হলাম না। নাগপুরের পর বিলাসপুর আর এস এস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বড় ঘাঁটি।
    সেই বাবরি মসজিদ ভাঙার দিনগুলোতে , য্খন বিলাসপুর-রায়পুর থেকে ট্রেনের কামরা ভরে করসেবক যাচ্ছে আর পাড়ায় পাড়ায় রামশিলা পূজো হচ্ছে; আমরা মুষ্টিমেয় বামপন্থীরা মার খাবার রিস্ক নিয়ে স্টেশনের মোড়ে , গোলবাজার চৌকে পথসভা করছি, নাগরিক কনভেনশন করছি-- তখনো মিশনকে উগ্র হিন্দুবাদের সমর্থনে উচ্চকন্ঠ হতে দেখিনি।
    বিজেপি বিভিন্ন অকেশনে বিবেকানন্দের মুসলিম নিয়ে খন্ডিত-বিচ্ছিন্ন বক্তব্য তুলে ধরে প্রচারের চেষ্টা চালিয়েছে তখনো মিশনের পক্ষ থেকে ডাইরেক্টলি আর এস এস এর বিরোধ করা হয় নি, কিন্তু নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে বারবার সর্বধর্মসমন্বয়ের কথাই বেশ জোর দিয়ে বলা হয়েছে।
    মসজিদ ভেঙে মন্দিরের সমর্থনে কখনো কোন স্টেটমেন্ট মিশন থেকে দেয়া হয়েছে বলে জানিনা। বরং গোলপার্কের স্বামী রঙ্গনাথানন্দ তখন একটি স্টেটমেন্টে হিন্দুধর্মের সহনশীলতা ও উদারতার কথাই বলেছিলেন যা কন্টেন্ট ও সুরে আমার কানে উগ্র হিন্দুবাদের বিরুদ্ধে একটি চিকন প্রতিবাদ বলেই মনে হয়েছিল।
  • ranjan roy | 24.96.71.181 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৬513701
  • বিপ কি এমন কোন তথ্য পেয়েছেন যে মোদীর ভিজিটে মিশন উল্লসিত হয়ে ওকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে বা আপ্যায়ন করেছে বা দান নিয়েছে বা প্রচার করেছে?
    তাহলে নতুন করে ভাবব। নইলে নয়।
  • দীপ | 212.142.110.200 | ০১ আগস্ট ২০১৩ ২০:৫৬513702
  • বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে হিন্দুধর্মে পিতৃতন্ত্রের নিন্দা করবেন - এরকম বলছি না। সেটা কি করে করবেন? উনি তো গ্যাছেনই হিন্দু ধর্মের প্রচারক হয়ে। সেক্ষেত্রে নিজের দেশ-ধর্মকে সমালোচনা করার প্রশ্নই আসে না। তবে তাই বলে, ভারতবর্ষের বিধবারা অত্যন্ত ধনী, কুমারী মেয়েরা ভবিষ্যতে বিধবা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, বিধবারা দেবী হওয়ার মাহাত্যে স্বামীর চিতায় স্বেচ্ছায় পুড়ে মরে - এইসব গাঁজাখুরি গল্প না দিলেও বোধহয় হত।

    কিন্তু দেশের মাটিতে তো বিদেশের অসুবিধা ছিল না। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বক্তব্য অবশ্যই রেখেছেন। কিন্তু কিছু করে দেখিয়েছেন কি? বিবেকানন্দ বা তাঁর অনুরাগীরা জোর করে কোনও বাল্যবিবাহ রুখে দিয়েছেন - এরকম কোনও দৃষ্টান্ত কি আছে? মেয়েদের শিক্ষিত করার কথা বলেছেন, কিন্তু সেই শিক্ষার মধ্যে সনাতন সীতা-সাবিত্রী চরিত্রই চেয়েছেন। মেয়েদের ব্যাপারে প্রগতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন বললে মেনে নিতে অসুবিধা আছে।

    লক্ষ্য করে দেখবেন, বিবেকানন্দ যে সময় আমেরিকা গিয়েছিলেন, সেটা আমেরিকায় উইমেন্‌স লিব আন্দোলনের একটা যাকে বলে হ্যাপেনিং পিরিয়ড। সুসান অ্যান্থনি, এলিজাবেথ স্ট্যান্টন, লুসি স্টোন প্রমুখের নেতৃত্বে আমেরিকার মেয়েরা সমানাধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন। সেই সময় পাশ্চাত্যের সমাজে মেয়েদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বলেই মনে করা হত। মেয়েদের ভোটাধিকার ছিল না। ১৮৯৩ সালে কলোরাডোতে মেয়েরা প্রথম ভোট দেওয়ার অধিকার পেলেন। পরবর্ত্তী দুই দশক ধরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে গেল সারা দেশে। ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়েরা ভোটাধিকার পেলেন ১৯১১ তে, ইলিনয় ১৯১৩, নিউ ইয়র্ক ১৯১৭। ১৮৯৩ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে বিবেকানন্দ একাধিকবার এই জায়গাগুলোতে গ্যাছেন এবং মহিলাদের সাথে মিশেছেন। অথচ পত্রাবলীতে এমন একটা চিঠিও নেই যেখানে এইসব আন্দোলনের উল্লেখ আছে। বেশিরভাগ চিঠিতেই আলোচনার বিষয় - 'টাকা চাই, টাকা দাও'। আমি দাবী করছি না যে বিবেকানন্দকে চেকলিস্টের সব কটা পয়েন্টে চেক করতে হবে, কিন্তু তিনি আমেরিকার নারী আন্দোলন সম্বন্ধে হয় ওয়াকিবহাল ছিলেন না অথবা আদৌ আগ্রহ দেখাননি। অবশ্য একজন ধর্মপ্রচারকের কাছে আমি তা আশাও করি না। স্বামীজি আমেরিকায় বসে মন্তব্য করেছেন, 'এখানকার মেয়েরা কেমন স্বাধীন', 'পৃথিবীর আর কোথাও মেয়েদের এত অধিকার নেই'। শুধু বাইরের স্বাধীনতাটাই দেখলেন (গাড়ী চালানো, অফিস যাওয়া ইত্যাদি) অথচ সমাজে যে তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক সেটা এত বড় দার্শনিকের চোখে পড়লো না!
  • ... | 79.210.248.39 | ০১ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৩৭513703
  • তা মেয়েরা তো আজও সমস্ত বিশ্বেই সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন। Date:01 Aug 2013 -- 08:56 PM আমাদের সেটা চোখেও পড়ছে, তো? তাতে কি এলো গেলো? মানে, এই পোস্টের উদ্দেশ্য-বিধেয় কি?
  • ... | 79.210.248.39 | ০১ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৪৭513704
  • আর Date:29 Jul 2013 -- 12:47 AM-এইখানে এইটা "অন্য বিবেকানন্দ" কেন তাও বুঝি নাই!
    এইটাই তো চিরকালের অচলায়তন ভাঙা, জ্ঞানাগ্নিতে জাতপাত পুড়িয়ে দেওয়া সনাতন বিবেকানন্দ।
    সেই তিনি, যিনি সাধুদের বলেন কন্খলে সেবাশ্রম করতে (ট্র্যাডিশনে বিশ্বাসী অন্যান্য মঠের সাধুরা) "ভাঙ্গী সাধু" বলে গাল দিলেও যিনি পিছিয়ে আসেন না, সক্কলকে পৈতে দেবার ঘটনায় সমাজের চোখ কপালে উঠলেও তাঁর কিছু যায় আসে না। এই ভাবেই তো স্বামীজিকে দেখতে অভ্যস্ত সবাই।
    তাইলে এইটা "অন্য বিবেকানন্দ" কেন মনে হল আপনার?

    আশ্চর্য!!
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০২ আগস্ট ২০১৩ ০৯:২৪513707
  • জোর ক'রে বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া কি মদ্যপান নিবারণী সমিতি গড়ে পানশালা ভাঙচুর করা কোনোটাই বিবুদা করেননি। ওপর থেকে চাপানো পন্থায় তাঁর আস্থা ছিল না। তাঁর রাস্তা দীর্ঘমেয়াদি কাজের।

    সীতা চরিত্র বিবুদা কী চোখে দেখতেন? একদিকে একজন বনবাসী - যিনি তাঁকে হয়তো বনের ফল আর পশুর মাংস এনে দিচ্ছেন এবং হয়তো ভব্ষ্যতে কোনোদিন অযোধ্যার রাজকীয় সুখ দেবেন, অন্যদিকে এক রাজচক্রবর্তী - যাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাগতিক সুখের অভাব থাকে না - এই দুইয়ের মধ্যে সীতা প্রথমজনকেই বেছে নিচ্ছেন - ভালোবাসায় উজ্জ্বল এই রূপকে বিবুদা আন্তরিক শ্রদ্ধা করতেন। দময়ন্তী - যিনি হংসদূতের মাধ্যমে নলের প্রেমে পড়লেন, দেবতাদের ফিরিয়ে দিয়ে নিজের প্রেমাস্পদকে বরণ করলেন - তাঁকেও বিবুদা শ্রদ্ধা করতেন। ত্যাগ ব্যাপারটাকে তিনি মর্যাদা দিতেন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে। সাবিত্রীর মত স্বেচ্ছায় যমের বাড়ি চলে যাওয়া নচিকেতাকেও তিনি শ্রদ্ধা করতেন, শিষ্যকেও সেই ভাবে আশীর্বাদ করেছেন - "যমলোকে চলে যা।" তাঁর নারীচরিত্রের আদর্শ যেমন সীতা-সাবিত্রী-দময়ন্তী, পুরুষদের ক্ষেত্রেও "তোমার উপাস্য উমানাথ, সর্বত্যাগী শঙ্কর।"

    দাম্পত্যজীবনে একনিষ্ঠা বিবুদার কাম্য ছিল (এইটায় বিপের প্রবল আপত্তি থাকার সম্ভাবনা)। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপড়া অসম্ভব হ'লে তিনি বিবাহবিচ্ছেদকেও মেনে নিতে রাজি ছিলেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন