এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই: নির্মোহ (তিন)

    Samik
    অন্যান্য | ৩১ জানুয়ারি ২০১২ | ৪৭৮১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 78.33.140.55 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ০৯:০৭513741
  • স্কুল থাকবে না -কোএড স্কুলে কি হবে।

    তাছারা সেক্স বা রোময়ান্টিসিজম একটা নিউরো পালস -সেখান থেকে হর্মোনাল সিক্রিয়েশন
    এর পুরোটা মেশিন দিয়ে ইনডিউস করা সম্ভব-সেই দিন ও এল বলে।

    কি দরকার সুন্দরী মেয়েকে প্রপোজ করে চড় খাওয়ার? তার থেকে আমি একটা নিউরোসিমুলেটর মাথায় হেলমেটের মতন পড়লাম-বললাম এই পাওলি দাম আমার প্রেমিকা হলে কি হবে সিমুলেট কর -একদম সিমুলেট ইন্ডিউয়স করে দেবে। কে শালা আসল পাওলি দামের ১০% মেয়েদের চড় খাওয়ার রিক্স নেবে মশাই?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৩১513742
  • হেলমেট বনাম পাওলি দাম?
    ওভার টু ঋদ্ধি।
  • Sibu | 183.60.205.153 | ০৫ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৪০513743
  • হায়, এখানেও বিপ অরিজিনাল না। ডেভ ব্যারী আগেই পৌঁছে গেছে।

    http://www.miamiherald.com/2011/10/23/2469613/pick-up-lines-will-save-the-world.html

    So I grant that it is not easy being a female. But I contend that nature has given males the heaviest burden of all: the burden of always having to Make the First Move, and thereby risk getting Shot Down.
  • ranjan roy | 24.99.124.161 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ০৩:৫০513744
  • ম্যামি, ও একক,
    ঠিক বলেছেন। উবটাচার্য্যও তো তাই বলছেন।
    "ত্যাগের সহিত ভোগ" মানে বলেছেন ইহা আমার নয়, পরমেশ্বরের এই অনুভূতির সঙ্গে ভোগ করা।
    মোটামুটি তাই তো লিখেছিলাম, আমার ভাষার অক্ষমতা।
  • ranjan roy | 24.99.124.161 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ০৩:৫১513745
  • ধ্যাৎ, বিবেকানন্দ নিয়ে সিরিয়াস আলোচনা ভাটের পর্যায়ে চলে গেছে।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ১০:২০513746
  • রঞ্জনদার জন্য - বিবুদার বৌদ্ধধর্ম সংক্রান্ত ধারণারও বিবর্তন ছিল, শেষের দিকে এরকম লিখছেন (পারলে পুরো চিঠিটা পড়ুন) -
    " আমার মতে বৌদ্ধধর্মের শাখাদ্বয়ের মধ্যে মহাযান প্রাচীনতর। মায়াবাদ ঋক‍্সংহিতার মতোই প্রাচীন।
    ...
    বৌদ্ধধর্ম ও আধুনিক হিন্দুধর্মের সম্বন্ধ-বিষয়ে আমার মতের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। আমি এ বিষয়ে একটু-আধটু আলো দেখতে পেয়েছি, তা বিশেষভাবে বুঝবার আগেই আমার শরীর যেতে পারে; কিন্তু কি ভাবে এ বিষয়ে অগ্রসর হ'তে হবে, তা আমি দেখিয়ে দিয়ে যাব ; তোমাকে ও তোমাদের গুরুভাইদের তা কার্য পরিনত করতে হবে।"
    http://dduttamajumder.org/baniorachana/node.php?khanda=8&pageno=194
  • ?? | 69.160.210.2 | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ১৬:১১513747
  • https://docs.google.com/file/d/0Bz-RYfLHhM5wNnZZT19tQzVlcTA/edit?usp=sharing

    এই বইটা থেকেই এই সব প্যাঁচাল। এর লাইন ধরে ধরে কাটাকাটি করলেই চলত। পাই-এর চটি বানাবার ইচ্ছে ও পূর্ণ হত।
  • পিং | 24.99.117.217 | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৫৩513748
  • ন্যাড়া Date:16 Jul 2013 -- 10:19 PM
    বিবেকানন্দ এও বলেছিলেন, "তোরা জিগেস করিস, কেন আমি একেক জায়গায় একেক রকমের কথা কেন বলি? বলি এই জন্যে যে আজ থেকে একশো বছর পরে আমার আমিটাকে যারা এই সব কথা থেকে খাড়া করতে যাবে, সব কিরকম বুঝভোম্বল হয়ে যাবে।"
    আবার আর এক জায়গায় বলছেন, "গুপী ময়রা সন্দেশও মাখে, মন্ডাও রাখে, দৈও পাতে। সন্দেশ খেয়ে যে গুপী ময়রাকে পেলি, মন্ডায় কি তাকে পাবি না দৈ পাবি? সব সোয়াদ আলাদা। কিন্তু ময়রা সেই গুপীই। তুই যদি বলিস সন্দেশের ময়রাই গুপী, মন্ডার ময়রা নয় তাহলে তো তোর আধখানা দেখা হল।"

    -- রেফারেন্সগুলো দেবেন প্লীজ?
  • পিং | 24.99.117.217 | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ১৮:৪৬513749
  • dukhe 05 Aug 2013 08:46 AM নিবেদিতার 'স্বামীজীকে যেরূপ দেখিয়াছি' তে 'সন্ন্যাস ও গার্হস্থ্য' অধ্যায় থেকে - "স্বামীজী স্বীকার করিতেন যে ক্ষেত্রে দাম্পত্য সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার অর্থ মানবজাতির ভবিষ্যতের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, সম্পর্ক ছিন্ন করাই সেক্ষেত্রে স্বামী, স্ত্রী উভয়ের পক্ষেই সর্বাপেক্ষা মহত্ত্ব ও সাহসের কার্য।"
    -- এটা, এবং বিবেকানন্দ'র মৃত্যুর আগে বিদ্যাসাগর সম্পর্কে মন্তব্য (রামকৃষ্ণ ছাড়া বিদ্যাসাগরই ওঁর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বা ঐ জাতীয় কিছু) - এই দুটোর কোনোটাই verbatim quote নয়। নিবেদিতা নিজের মত হিসেবেই লিখেছেন। মিশন থেকে বিতাড়িত হবার পরে নিবেদিতা বিবেকানন্দকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে গিয়েছেন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য চেষ্টা করেছেন সমাজে বিবেকানন্দের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর। আর রবীন্দ্রনাথ - বুদ্ধ, খ্রিস্ট, চৈতন্য থেকে শুরু করে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, এমনকি বিবেকানন্দের মানসকন্যা নিবেদিতা সম্পর্কে অন্তরের শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য করলেন না; অরবিন্দ, নজরুল, সত্যেন্দ্রনাথ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাঁর মূল্যায়ন বা শ্রদ্ধা থেকে বঞ্চিত হলেন না, শুধু ব্যতিক্রম ঘটে গেল বিবেকানন্দের ক্ষেত্রে! শুধু নাকি রমা রঁলাকে কানে কানে বলে গেলেন :-)
  • দীপ | 212.142.113.159 | ৩০ আগস্ট ২০১৩ ১৪:১৩513751
  • ?? যে বইয়ের রেফ দিলেন ওটা ৯০'র দশকের। তারও আগের, ৫০'র দশকের একটা পত্রালাপ দিচ্ছি, সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শৈলেন্দ্রনারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রীর, এই একই বিষয়ের উপর।

    https://docs.google.com/file/d/0B7ghM8ijiBoPUUJDTUxKVUV3bVE/edit?usp=sharing
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ৩০ আগস্ট ২০১৩ ১৭:০৮513752
  • আগেই জানিয়ে রাখি, পূর্ব টই কথনগুলো পড়িনি। যারা স্বামীজীর ভক্ত, তাদের নীচের আলাপটুকু উপেক্ষা করাই ভালো। কারণ শুনেছি "ধর্মানুভূতি" নাকি এখন পুস্পানুভূতির মতো কোমল ও স্পর্শকাতর! তাই এর "আঘাত"টিও হয় গুরুতর।

    _____

    বিবেকানন্দর বিষয় ভাবনা, তৎ সংলগ্ন কর্মকান্ড, জমিদারী ঢঙে অসংখ্য ফটো-পোজ ইত্যাদি জানান দেয়, তিনি মোটেই প্রকৃত সন্যাসে বিশ্বাস করতেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন প্রতিষ্ঠা ও প্রচারে। এটিই ছিল তার জীবনের লক্ষ্য, সন্যাস বা পরম হংস ছিল উপলক্ষ্য মাত্র।

    তার ইংরেজী বিদ্যা চতুর ব্রিটিশেরও মাথা ঘোলা করেছিল। সব মিলিয়ে তার এলেম ছিল যথেষ্টই। :পি
  • b | 135.20.82.166 | ৩০ আগস্ট ২০১৩ ১৯:৪৭513753
  • একটু আগের কথনগুলো কষ্ট করে পড়ে ফেলুন। সুবিনীত নিবেদন।
  • pi | 118.22.237.164 | ৩০ আগস্ট ২০১৩ ১৯:৫২513754
  • জাস্ট এটাই বলতে যাচ্ছিলুম ঃ)
  • ranjan roy | 24.96.47.253 | ৩০ আগস্ট ২০১৩ ২০:৫৩513755
  • বিপ্লব রহমানকে,
    বিবেকানন্দকে নিয়ে মূল্যায়নে মতভেদ থাকতে পারে, ভক্তের দৃষ্টিকোণ ছাড়াও অন্য ভাবে দেখলে উনি এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, এক যুগসন্ধিক্ষণের। একথা অস্বীকার করা যায় না।
    নানান বৈপরীত্য সত্ত্বেও ( উনি হাজার হোক, মানুষ বটেন) তৎকালীন ভারতবর্ষে ওঁর অবদান ( চিন্তায় ও কর্মে) এককথায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমন ব্যক্তি্কে সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেই বিচার করতে হবে, আলাদা করে নিরালম্ব ভাবে নয়। ভক্ত না হয়েও বলছি।
  • দীপ | 24.99.201.47 | ৩১ আগস্ট ২০১৩ ০১:৩১513756
  • বিদ্যাসাগর আস্তিক না নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী না নিরাকার ব্রহ্মবাদী - এইসব নিয়ে বিতর্ক আছে ক'পাতা আগে। কথামৃত থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি --

    ১) বিদ্যাসাগর অভিমান করে বলেন, “ঈশ্বরকে ডাকবার আর কি দরকার! দেখ চেঙ্গিস খাঁ যখন লুটপাট আরম্ভ করলে তখন অনেক লোককে বন্দী করলে; ক্রমে প্রায় এক লক্ষ বন্দী জমে গেল। তখন সেনাপতিরা এসে বললে মহাশয়, এদের খাওয়াবে কে? সঙ্গে এদের রাখলে আমাদের বিপদ। কি করা যায়? ছেড়ে দিলেও বিপদ। তখন চেঙ্গিস খাঁ বললেন, তাহলে কি করা যায়। ওদের সব বধ কর। তাই কচাকচ করে কাটবার হুকুম হয়ে গেল। এই হত্যাকাণ্ড তো ঈশ্বর দেখলেন? কই একটু নিবারণ তো করলেন না। তা তিনি থাকেন থাকুন, আমার দরকার বোধ হচ্ছে না। আমার তো কোন উপকার হল না!”

    ২) মাস্টার -- বিদ্যাসাগর বলেন, আমি বেত খাবার ভয়ে ঈশ্বরের কথা কারুকে বলি না।
    বিদ্যাসাগর বলেন, মনে কর, মরবার পর আমরা সকলে ঈশ্বরের কাছে গেলুম। মনে কর, কেশব সেনকে, যমদূতেরা ঈশ্বরের কাছে নিয়ে গেল। কেশব সেন অবশ্য সংসারে পাপ-টাপ করেছে। যখন প্রমাণ হল তখন ঈশ্বর হয়তো বলবেন, ওঁকে পঁচিশ বেত মার্‌! তারপর মনে কর, আমাকে নিয়ে গেল। আমি হয়তো কেশব সেনের সমাজে যাই। অনেক অন্যায় করিছি। তার জন্য বেতের হুকুম হল। তখন আমি হয়তো বললাম, কেশব সেন আমাকে এইরূপ বুঝিয়েছিলেন, তাই এইরূপ কাজ করেছি। তখন ঈশ্বর আবার দূতদের হয়তো বলবেন, কেশব সেনকে আবার নিয়ে আয়। এলে পর হয়তো তাকে বলবেন, তুই একে উপদেশ দিছিলি? তুই নিজে ঈশ্বরের বিষয় কিছু জানিস না, আবার পরকে উপদেশ দিছিলি? ওরে কে আছিস -- একে আর পঁচিশ বেত দে। (সকলের হাস্য)
    “তাই বিদ্যাসাগর বলেন নিজেই সামলাতে পারি না, আবার পরের জন্য বেত খাওয়া! (সকলের হাস্য) আমি নিজে ঈশ্বরের বিষয় কিছু বুঝি না, আবার পরকে কি লেকচার দেব?”

    আমার তো অ্যাগ্নস্টিক বলেই মনে হচ্ছে। চিঠির উপর হরির নাম লেখা বা পৈতে পরা লোকাচারের অঙ্গ। সমাজে থাকতে গেলে কিছু কম্প্রোমাইজ করতে হয়। যদিও শেষ বয়সে নিজেই সমাজ ত্যাগ করেছিলেন।
  • তাতিন | 236712.158.897812.132 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ২২:৪২513758
  • ইতিহাসের পাঠ, পুনর্পাঠ, পুনঃপুনর্পাঠ সবসময়ই রোমাঞ্চকর হয়। অদ্ভুত সব বিষয়, যা আগে চোখেই পড়ে নি, হঠাৎ তার দিকে তাকিয়ে ঝিলমিল লেগে যায়।
    স্বামী বিবেকানন্দ কীভাবে বাংলার অবিসংবাদী যুব আইকন হয়ে উঠেছিলেন, তা নিয়ে আমার আকৈশোর খটকা ছিল। তাঁর অপার মেধা, সাংগঠনিক ক্ষমতা, লেখনীশক্তি স্বীকার করেও, তাঁর সামাজিক প্রাসঙ্গিকতার সম্পূর্ণ হেতুটা আমার কাছে স্পষ্ট ছিল না। কিছুটা আভাস পেলাম অনুশীলন সমিতি আর যুগান্তরের ইতিহাস পড়তে গিয়ে।
    সব দেশে, সব ইতিহাসে, যখন একটা বড় আলোড়ন ওঠে, একজন গণনেতা আসেন (কোথাও একাধিক হতে পারেন), যাঁর ডাকে অসংখ্য সাধারণ মানুষ নিজের ব্যক্তিস্বার্থ, পেশাগত প্রতিষ্ঠা, সংসার এমন কী নিজের বেঁচে থাকার বাসনাটুকুও বর্জন করে আদর্শের জন্য আত্মোৎসর্গ করে। বাংলার শিক্ষিত যুব সমাজকে এই ডাক সফল ভাবে দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
    উনবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজদের স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে তাদের শিক্ষায় শিক্ষিত মূলতঃ বর্ণহিন্দুদের একটি কর্মীশ্রেণী গড়ে ওঠে যে গোষ্ঠীটি বাংলাদেশের সমাজে আগে ছিল না। এদের বেশিরভাগই ইংরেজদের বেতনভুক্ত হয়ে এদেশে ব্রিটিশ লুন্ঠনকে বলবৎ রাখার কাজে ব্যপ্ত ছিলেন। সিপাহি বিদ্রোহ প্রভৃতি পর্যায়ে এই গোষ্ঠীর ব্রিটিশসহায়ক ব্যবস্থা ইতিহাসে নথিবদ্ধ। ভারতের কৃষক উৎপাদকগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কহীন এই 'শিক্ষিত'গোষ্ঠী দু একটি ব্যতিক্রমব্যতীত তাঁদের প্রতিরোধের সঙ্গে কখনোই সহমর্মিতাবোধ দেখান নি বরং সেইসব প্রতিরোধ দমন করে ব্রিটিশরা এই বিশাল ভূখণ্ডে শাসন চালিয়েছিল এদেরই সাহায্যে। এঁরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছলও ছিলেন এবং কংগ্রেস প্রভৃতি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে এঁদেরই প্রতিনিধিত্ব ছিল। আজো ভারতের রাজনীতিতে বড় কুশীলব এই কলেজ শিক্ষিত শ্রেণীই।
    এঁদের ব্রিটিশ আনুগত্য ছিল প্রায় প্রশ্নাতীত। ব্রিটিশ শাসনে দেশের বাকি জনগণ যখন সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন, এঁদের তখন আঙুল ফুলছিল। আনুগত্য স্বার্থের জায়গা ছাপিয়ে বিশ্বাস ও আদর্শের স্তরে উঠেছিল। মহাত্মা গান্ধীর আত্মজীবনী পড়লে তাঁর প্রথম জীবনের চিন্তাভাবনায় এই আস্থার স্পষ্ট ছবি দেখা যায়।
    স্বামী বিবেকানন্দের মাহাত্ম্য এখানেই যে তিনি এই গোষ্ঠীর মানুষের কাছে নিজের স্বার্থের ওপরে উঠে দেশের জনতার স্বার্থের কথা ভাবার আহ্বান রাখতে পেরেছিলেন। নিজের আশো স্বার্থের বিরোধিতা করতে অসাধারণ শক্তি লাগে। ইংরেজের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত যুবকরা প্রথমবার ঝাঁক বেঁধে নিজেদের অর্থ ও পেশাগত উন্নতির পরোয়া না করে, জীবনেরও পরোয়া না করে ইংরেজের বিরোধিতা করার প্রেরণা পায় বিবেকানন্দের শিক্ষাতেই। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তরের কর্মী ও নেতাদের আলোচনা বা স্মৃতিকথা সর্বত্রই এই ধারাটি দেখতে পাওয়া যায়। শ্রীরামকৃষ্ণদেব নরেনকে মাকালীর কাছে বর চাইতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি নিজের অন্নবস্ত্রের উন্নতি চাইতে পারেন নি। নরেন ঘরে বাইরে হাঁক দিয়ে সেই শিক্ষেই দিলেন যাতে বাকিরাও কেবলমাত্র নিজের ভালো থাকার বদলে দেশের ভালো চাইতে পারে।
    বিবেকানন্দের হাজার স্ববিরোধিতার উপরে এই ডাক দিতে পারাটা ভাস্বর হয়ে থাকে।
    আর, রামকৃষ্ণ ভাবধারা প্রয়োগে অনুশীলন সমিতির সাফল্য এবং আপাত ব্যর্থতাই যেন পরবর্তীকালে গান্ধিজীর রাজনীতির ভূমি তৈরি করে।
  • অর্জুন | 236712.158.786712.67 | ৩১ জুলাই ২০১৯ ০০:২৪513759
  • বিবেকানন্দকে সেই সময়ের গুণীজন যথা, তার সমসাময়িক যে দুজনের নাম মনে পড়ছে, রবীন্দ্রনাথ ও জগদীশচন্দ্র বসু, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এক বাক্যে কেন বসানো বা তুলনা করা হয় এ আমার কাছে আজও বোধগম্য নয়। শুধু বয়েস কাছাকাছি হলেই অর্থাৎ কন্টেম্পররি হলেই কি তাদের স্বকীয় কন্ট্রিবিউশন এক মাপের হতে হবে?

    বিবেকানন্দ ব্যাসিকলি কি ছিলেন? সন্ন্যাসী? হিন্দুধর্মের নূতন যুগের
    প্রবর্তক ও প্রতিনিধি? ধর্ম সংস্কারক? বাগ্মী? লেখক ? পরিব্রাজক ? তাকে আলটিমেটলি কিসের জন্যে মনে রাখবে ভাবী প্রজন্ম?

    নাকি হাত দুটো ফোল্ড করে দণ্ডায়মান সুন্দর গেরুয়া পোশাক ও পাগড়ি পরা দীপ্তমান চোখের এক সুদর্শন যুবক যার ছবি ঘরের দেওয়ালে বেশ মানিয়ে যায় অন্তত অন্যান্য সাধকবৃন্দের চাইতে অনেক গুণের ভাল একটি মানানসই চেহারার ছবির জন্যে!

    যেকোনো ব্যক্তির ইতিহাসে স্থান হয় তার ঐতিহাসিক কোনো অবদানের জন্যে।

    বলতে বাধ্য হচ্ছি বিবেকানন্দের অবদান বিশেষ পরিষ্কার লাগে না আমার কাছে। কলকাতার বর্ধিষ্ণু এক পরিবারে জন্ম, মেধাবী কিন্তু আবার ততও নয়। সেই সময়ের গ্র্যাজুয়েট। প্রাণচঞ্চল এবং সেই জন্যে প্রশ্নের জন্যে সবাইকে জেরা করে বেড়ায়। বিবেকানন্দের বাল্যকাল ও বড় হওয়া এত মিথে মিথে ঢেকে দেওয়া হয়েছে তার কৃত সংঘের দ্বারা যে আসল খবরের আর্কাইভ উধাও। ব্রজেন শীল উল্লেখ করেছিলেন a precocious boy তবে সেটা ডেঁপো বলা যেতে পারে, নিশ্চয় child prodigy ছিলেন না। Child Prodigy টার্মটা যদিও psychologically well explained নয়। এমনিতে উদ্যোগী ছেলে। তাই সে কিছু করতে চায়, সব সময় একটা লিডার লিডার ভাব। কিন্তু কিসে লিডার হবে সেটা ক্লিয়ার নয়। বিজ্ঞান, সাহিত্য বা অ্যাকাডেমিক্সে তার খুব অধ্যবসায় ছিল এমন কথা তার জীবনীকাররা বলেননি তাই পড়ে রইল ধর্ম। সেই সময় আবার ধর্ম টর্ম নিয়ে খুব আন্দোলন চলছে। একদিকে খ্রিস্ট ধর্ম, অন্যদিকে বিছর ৩০- ৩৫ ধরে ব্রাহ্মধর্মের আন্দোলন। তা ওই দুটোতে আপাত ভাবে ইন্টেলেক্টের অভাব নেই এবং সেখানে বাবা, কাকা, মামা পরিবৃত না হলে বিশেষ পাত্তা পাওয়াও যায়না। তাই তিনি সেখানে কদিন ঢুঁ দিয়ে রণে ভঙ্গ দিলেন। শোনা যায় মেট্রোপলিটন কলেজে বিদ্যাসাগর মশাই তার একটা শিক্ষকতার চাকরী জুটিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু ততদিনে দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণের পোকা মাথা চাড়া দেওয়ায় তিনি এত ক্লাস ফাঁকি দিলেন যে বিদ্যাসাগর তাকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

    সে যাগগে, এইরকম অস্থির সময়ে পড়শি একজনের বাড়িতে শ্রী রামকৃষ্ণের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের দেখা। তা সে ইতিহাস এতবার চর্চিত যে সেটায় আর যাচ্ছি না।

    রামকৃষ্ণের সঙ্গে তার যুক্তি তক্ক, গপ্পের এক্সপ্রেরিমেন্টের পরে অন্তত এটা মনে হয়েছিল এইখানে একটা হিল্লে হলে হতে পারে। ততদিনে রামকৃষ্ণের ভক্তকূলে এসে পড়েছেন বলরাম বসু'র মত ধনী ব্যক্তি, গিরীশ ঘোষের মত পাব্লিক ফিগার, মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের মত বিদ্বান, মেয়ের হিন্দু রাজার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কেশব সেন ব্রাহ্মদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে সেই রামকৃষ্ণের চরণতলে এসে জুটলেন। কেশব সেন সফল mass leader। এদের হাত ধরে আরো অনেকে। এসে জুটল এক এক আরও ১২ জন যুবা। এতদিনে যে লিডার হবার সাধ, তা পূর্ণ হল। রামকৃষ্ণ চোখটি বোজার আগে নরেনকে নেতা করে দিয়ে গেলেন।

    ব্রাহ্ম ও খৃষ্টধর্মের প্রভাব রুখতে তখন একটা নব্য হিন্দুত্ববাদের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কি ন্তু সে হিন্দুত্ববাদে ছিলনা হিন্দু ধর্মের (actually তো ধর্ম নয়, a way of life) বহুমাত্রিকতা। সে হিন্দুত্ববাদ হল শাক্ত বা শক্তি উপাসনার ওপর base করা একটি monolithic উচ্চবর্ণীয় ধর্ম চর্চা। রামকৃষ্ণ আন্দোলনের জোয়ারে বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের নানা sect।
  • অর্জুন | 236712.158.676712.214 | ৩১ জুলাই ২০১৯ ০০:৩৭513760
  • শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে বিবেকানন্দের যাওয়াটা তার কোনো একার সিধান্ত হতে পারেনা। কন্যাকুমারিকায় ভারতের শেষ শীলা খণ্ডে সাঁতরে গিয়ে ধ্যানে বসলেন আর গুরু এসে দেখা দিয়ে বলে গেলেন 'তোকে পশ্চিমে যেতে হবে' এসব দিয়ে ১২৫ বছর ধরে হাজারবার একটা মিথ্যেকে সত্যিতে প্রমাণিত করলেও তা ইতিহাস হয়ে যেতে পারেনা। ততদিনে রাজপুতানার রাজন্যবর্গদের তিনি বোঝাতে সক্ষম হিয়েছিলেন এই হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার at a larger scale। হিন্দু ধর্মের মত একটা diversified আবার অন্যদিকে খুব scattered একটা ধর্মকে এক ছাদের তলায় আনতে গেলে তখন দরকার অর্থের, রাজনৈতিক শক্তির এবং বেশ স্ট্রং লিডারশিপের। দক্ষিণেশ্বর থেকে যার যাত্রা শুরু, ততদিনে আসমুদ্র হিমাচল পরিভ্রমণ করে জোগাড় হয়েছে প্রভাব, একত্রিত করা গেছে অনেককে। তখন বিবেকানন্দের মত একজন প্রতিনিধিকে পাশ্চাত্যে পাঠাতে পারলে এর ভিত মজবুত হবে। অন্তত একটা চেষ্টা তো করা যেতেই পারে ।

    বাকীটা পরে
  • Amit | 236712.158.23.215 | ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৪:২২513762
  • মুজতবা আলী একটা লেখায় একটা আফগানী প্রবাদ লিখেছিলেন: কোনো গুরু নিজে নিজে উড়তে পারেন না , তার চেলারাই তাকে ধরে ওড়ান।

    শুধু বিবেকানন্দ কেন, অনেকের ক্ষেত্রেই এটা খেটে যায় মনে হয়।
  • rivu | 237812.68.90056.143 | ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৫:১১513763
  • “সে হিন্দুত্ববাদ হল শাক্ত বা শক্তি উপাসনার ওপর base করা একটি monolithic উচ্চবর্ণীয় ধর্ম চর্চা।”

    বিবেকানন্দ কবে আবার শাক্ত ধর্ম প্রচার করলেন রে বাবা। জীবনের শেষ দিকে এসে একটু আধটু কবিতা লেখা কিংবা নিবেদিতা কে দিয়ে বক্তৃতা দেওয়ানো। বাকি পুরোটাই তো বেদান্ত প্রচার। এমনকি রামকৃষ্ণের নাম সেভাবে নিতেন না বলে গুরুভাইরা অসন্তুষ্ট হয়ে ছিলেন।

    উচ্চ বর্ণের ব্যাপারটা সত্যি। রামকৃষ্ণের শিষ্যদের মধ্যে বা কথামৃতে যাদের নাম দেখি তাদের মধ্যে নিম্নবর্ণ বা নিরক্ষর লোক বেশি দেখিনা। লাটু মহারাজ ছাড়া কারো নাম মনে আসছেনা। অবশ্য সেটার একটা কারণ হতে পারে যে পুরো ব্যাপারটাই নগর কেন্দ্রিক ছিল। গ্রামের মানুষ জন তখন নিজেদের লোকায়ত ভগবান নিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন। পরের দিকে গ্রাম থেকে সভ্যতা নগর মুখী হওয়ায় ভগবান পাল্টে যায়। তাতেও এখনো মিশন এর প্রভাব সমাজের সর্বস্তরে তেমন বেশি কিছু নয়।
  • অর্জুন | 237812.69.453412.26 | ৩১ জুলাই ২০১৯ ১০:০৬513764
  • বিবেকানন্দ শিকাগোয় তার বক্তব্যে কি রিপ্রেজেন্ট করেছিলেন সেটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব আছে। অনেকের মতে উনি রামকৃষ্ণের ধার দিয়েও যাননি। উনি আদি শঙ্করাচার্যের বাণী বলে গেছেন।

    @Rivu ' বাকি পুরোটাই তো বেদান্ত প্রচার' সেটা বহিঃরঙ্গে, অন্তরঙ্গে ছিল শাক্ত ধর্মের চর্চা এবং সেটাকেও একেবারে কালী উপাসনায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বিবেকানন্দ সবকিছুতেই কালী খুঁজে বেড়াতেন। এর কারণ হতেও পারে দক্ষিণেশ্বরের প্রতি দায়বদ্ধতা বা ঐ মন্দির ট্রাস্টের তো এই আন্দোলনে একটা বিশাল ভূমিকা। কালীর মধ্যে একটা মিষ্টিক চার্মও আছে, যেটার সঙ্গে বিদেশে ভারতীয় দর্শনের ব্যাপারে 'ওরিয়েন্টাল' কনসেপ্টটাও মিলে যায় ।

    এখন সময় নেই। পরে লিখব।
  • rivu | 890112.162.671223.9 | ৩১ জুলাই ২০১৯ ১৯:১৯513765
  • লিখবেন। কালী পূজক বিবেকানন্দ সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই। লেখাপত্র পড়ে তো মোটের উপরে বৈদান্তিক মনে হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর এর সাথে ঝামেলা ছিল, আমেরিকা থেকে ফেরার পরে কিছুটা মেটে।
  • Viv Kanand | 236712.158.238912.159 | ৩১ জুলাই ২০১৯ ২০:৫৫513766
  • Kâli worship is not a necessary step in any religion. The Upanishads teach us all there is of religion. Kali worship is my special fad; you never heard me preach it, or read of my preaching it in India. I only preach what is good for universal humanity. If there is any curious method which applies entirely to me, I keep it a secret and there it ends. I must not explain to you what Kali worship is, as I never taught it to anybody.
  • এই যে | 237812.69.4556.146 | ০১ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৫৪513767
  • হেঁইয়ো।
  • রঞ্জন | 236712.158.786712.145 | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০৭513768
  • আচ্ছা, কালীকে নিয়ে 'মৃত্যুরূপা কালী" এবং 'শ্মশানে নাচুক শ্যামা' এরকম দুটি কবিতা উনি লিখেছিলান না ? নাকি আসলে একটাই কবিতা, একটু দীর্ঘ? ভাল মনে পড়ছে না ।
    আবছা দু'একটা লাইন মনে পড়ছেঃ
    'নাচুক তাহাতে শ্যামা', ' মেঘ আসি আবরিছে মেঘ', 'করালবদনী তুই আয় ' নাকি 'মৃত্যুরূপা কালী তুই আয় '?
    কেউ ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন, প্লীজ?
  • Somnath Roy | ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৫513769
  • এটা সত্যেন দত্তর অনুবাদ- বিবেকানন্দের লেখাটা ইংলিশে-

    নিঃশেষে নিভেছে তারাদল, মেঘ এসে আবরিছে মেঘে,
    স্পন্দিত ধ্বনিত অন্ধকার, গরজিছে ঘূর্ণ-বায়ুবেগে!
    লক্ষ লক্ষ উন্মাদ পরাণ, বহির্গত বন্দীশালা হতে,
    মহাবৃক্ষ সমূলে উপাড়ি’ ফুৎকারে উড়ায়ে চলে পথে!
    সমুদ্র সংগ্রামে দিল হানা, উঠে ঢেউ গিরিচূড়া জিনি’
    নভস্তল পরশিতে চায়! ঘোররূপা হাসিছে দামিনী,
    প্রকাশিছে দিকে দিকে তার মৃত্যুর কালিমা মাখা গায়।
    লক্ষ লক্ষ ছায়ার শরীর! দুঃখরাশি জগতে ছড়ায়,
    নাচে তারা উন্মাদ তাণ্ডবে; মৃত্যুরূপা মা আমার আয় !
    করালি! করাল তোর নাম, মৃত্যু তোর নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে
    তোর ভীম চরণ-নিক্ষেপ প্রতিপদে ব্রহ্মাণ্ড বিনাশে!
    কালি, তুই প্রলয়রূপিণী, আয় মা গো আয় মোর পাশে।
    সাহসে যে দুঃখ দৈন্য চায়, মৃত্যুরে যে বাঁধে বাহুপাশে,
    কাল-নৃত্য করে উপভোগ, মাতৃরূপা তারি কাছে আসে ।
  • avi | 236712.158.1234.135 | ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৫৪513770
  • এই কবিতাজোড়া পড়ার সময় প্রতিবার মনে হয়, মূলের চেয়ে অনুবাদ যোজনদূরত্বে বেটার।
  • Atoz | 237812.69.4545.137 | ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১২513773
  • কিন্তু প্রশ্ন হল, উনি ইংরেজীতে কবিতা লিখতেন কেন? বাংলায় কবিতা লিখলে তো অনেক ভালো হত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন