এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই: নির্মোহ (তিন)

    Samik
    অন্যান্য | ৩১ জানুয়ারি ২০১২ | ৪৭৮২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৭:৩৬513574
  • rivu:25 Jul 2013 -- 04:43 PM
    "আর হ্যা বিবেকানন্দ বলেছেন হিন্দু হতে গেলে বেদ ও ওমকার মানতে হবে, কিন্তু তার সাথে ছোট্ট করে "ভারতের ভবিষ্যত" টিপ্পনি জুড়ে দেওয়ার মানে কি? কোথায় দেখলেন যে বলে গেছেন ভারতীয় হতে গেলে বেদ মানতে হবে?"

    রচনাবলীতে লেখাটার নাম 'ভারতের ভবিষ্যৎ'। নাম আমি দিই নি। রেফারেন্সটা লিখেছিলাম।
    বিবেকানন্দের envisioned ভারতবর্ষ নিঃসন্দেহে হিন্দু ভারতবর্ষ। অবশ্যই তিনি তরবারির ডগায় ধর্মবিস্তার করতে বলেন নি, কিন্তু বলেছেন ভালবাসায় মানাতে। পুরাতন বৈদিক রীতিগুলিকে ফিরিয়ে আনা, হিন্দুধর্ম ছেড়ে যাওয়া মুসল্মান, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ এমনকি নাস্তিকদের আবার ধর্মে ফিরিয়ে নেওয়া - এইসব প্রসঙ্গে অনেক আলোচনা আছে। কিছু উদ্ধৃতি অলরেডি এই টইতে লেখা হয়েছে।

    "আমরা নরপশু, তোমরা হে ইউরোপী লোক, আমাদের উদ্ধার কর ব'লে কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছ। আর যীশু এসে ভারতে বসেছেন ব'লে 'হাঁসেন হোঁসেন' ক'রছ। ওহে বাপু, যীশুও আসেননি, জিহোবাও আসেননি, আসবেনও না। তাঁরা এখন আপনাদের ঘর সামলাচ্ছেন, আমাদের দেশে আসিবার সময় নাই। এদেশে সেই বুড়ো শিব বসে আছেন, মা কালী পাঁঠা খাচ্ছেন, আর বংশীধারী বাঁশী বাজাচ্ছেন। ঐ বুড়ো শিব ষাঁড় চ'ড়ে ভারতবর্ষ থেকে একদিকে সুমাত্রা, বোর্নিও, সেলিবিস, মায় অষ্ট্রেলিয়া আমেরিকার কিনারা পর্যন্ত ডমরু বাজিয়ে এককালে বেড়িয়েছেন, আর একদিকে তিব্বত, চীন, জাপান পর্যন্ত পূজা করছে। ঐ যে মা কালী—উনি চীন জাপান সাইবেরিয়া পর্যন্ত বুড়ো শিব ষাঁড় চরিয়েছেন, এখনও চরাচ্ছেন। ঐ যে মা কালী—উনি চীন, জাপান, পর্যন্ত পূজা খাচ্ছেন, ওকেঁই যীশুর-মা মেরী ক'রে ক্রিশ্চানরা পূজা করছে। ঐ যে হিমালয় পাহাড় দেখছ, ওরই উত্তরে কৈলাস, সেথা বুড়ো শিবের প্রধান আড্ডা। ও কৈলাস দশমুণ্ড-কুড়িহাত রাবণ নাড়াতে পারেননি, ও কি এখন পাদ্রী ফাদ্রীর কর্ম!! ঐ বুড়ো শিব ডমরু বাজাবেন, মা কালী পাঁঠা খাবেন, আর কৃষ্ণ বাঁশী বাজাবেন,—এ দেশে চিরকাল। যদি না পছন্দ হয়, সরে পড় না কেন? তোমাদের দু-চারজনের জন্য দেশসুদ্ধ লোককে হাড়-জ্বালাতন হ'তে হবে বুঝি? চরে খাওগে না কেন?—এত বড় দুনিয়াটা পড়ে তো রয়েছে। তা নয়। মুরদ কোথায়? ঐ বুড়ো শিবের অন্ন খাবেন, আর নিমকহারামি করবেন, যীশুর জয় গাইবেন—আ মরি!!"
  • b | 135.20.82.164 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৭:৩৯513575
  • সরি। একককে একটু পোস্কার করে বলি, নইলে অভদ্রতা হবে। যদিও টই ঘেঁটে যাবে।
    আপনি যেরকম লিখেছেন, সচ্চিদানন্দ তূরীয় অবস্থায় পৌঁচলে সবই তো পারফেক্ট, সবই তো দ্রবীভূত সমসত্ব। সেখানকার থেকে, ইমপারফেকশন আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বেশি টানে।

    এই ধরুন বিবেকানন্দ। আলোয়ার না কার রাজসভায় (রাকৃমিশনারীরা ঠিক করে দেবেন একটু) বাইজীর গান হবে শুনে, সংস্কার বশতঃ সটান বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, বাইজী সুরদাসের "প্রভু মেরে অবগুণ চিৎ না ধরো/ সমদরশী নাম হ্যায় তিহারো" গাইতে চৈতন্য হল, ফিরে এসে বসলেন আবার। এখানে, যদি বিবেকানন্দ প্রথমেই, এসো মা, বসো মা, বলে আদ্যাস্তোত্র আওড়াতে শুরু করতেন, তবে এই ঘটনা পড়ে রোমাঞ্চ হত না, ইনফ্যাক্ট এটা পাতে দেওয়ার যোগ্যই হত না।

    তো এখানেই। কেমন করে, কোন ফাঁক দিয়ে, একজন ধীরে ধীরে পূর্বার্জিত শিকল কেটে ফেলছেন। ইমপার্ফেক্ট একজন।

    (পুঃ এই গল্পটির শেষে লেখা ছিলোঃ সেই হইতে বাইজী বিবেকানন্দের পরম ভক্ত হইয়া রহিলেন। এটা অবিশ্যি আমার বরাবরই অদ্ভুত লাগে। উল্টোটা হওয়া উচিৎ ছিলো)
  • pi | 118.12.169.134 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৯:০৩513576
  • abc, কোন কারণে নেট থেকে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিনিধির বক্তব্য খুঁজে পেলাম না। আর কোন বই কাছে নেই। আপনি একটু জানাবেন ? ধন্যবাদ।
  • abc | 131.241.218.132 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ১৯:০৭513577
  • রঞ্জন বাবু,
    কোথায় আমি আপনাকে ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচি করলাম জানালে বাধিত হই। টিসি ইত্যাদি কিন্তু আমি লিখিনি ।আপনার রা কৃ মি স্কুল সম্পর্কে কতটা জানা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। অনেক কিছুই যে জানেন না উদাহরণ তো অন্যদের স্কুলের গল্পেই পেয়ে গেছেন।
    যাক গে মিনিময়ে আমিও আগ্রহী নই,ভস্মে ঘি ঢালা । কারণ আপনি আপনার মতামত চাপিয়ে দিতে চান আর আমার প্রশ্ন গুলো (যেমন বিদ্যাসাগরের মায়ের শ্রাদ্ধ, পৈতে) এড়িয়ে যান।
    আমার ও কাজ আছে।পরস্পর পিঠ চুলকানি তে আমি নেই। আরেক খানা বা লা বানান গে যান।
  • Ekak | 132.167.218.135 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২১:৩৮513578
  • "আপনি যেরকম লিখেছেন, সচ্চিদানন্দ তূরীয় অবস্থায় পৌঁচলে সবই তো পারফেক্ট, "

    b

    না, বলিনি । আর সচ্চিদানন্দ ,তুরীয় এসব ব্যাখ্যাপ্রচেস্তা ,ব্যাখ্যা না । পারফেকশনের তো প্রশ্নই আসেনা । তাই এবাদে যা তাও ইম্পারফেক্ষণ নয় ।
    থাক এসব ।
  • souvik | 132.175.15.228 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৪513579
  • "পুর্বাপেক্ষা উদার ভিত্তিতে ধর্মের অনুশীলন আবশ্যক। সর্বপ্রকার সঙ্কীর্ণ, অনুদার ও বিবদমান ধর্মাভাব দূর করিতে হইবে। সকল সাম্প্রদায়িক, স্বজাতীয় বা স্বগোত্রীয় ভাব পরিত্যাগ করিতে হইবে। প্রত্যেক জাতি ও গোষ্ঠীর নিজস্ব ঈশ্বর থাকিবেন এবং অপর সকলের ঈশ্বর মিথ্যা—এই জাতীয় ধারণা কুসংস্কার, এগুলি অতীতের গর্ভেই বিলীন হওয়া উচিত। এই ধরণের ধারণাগুলি অবশ্য বর্জনীয়।"

    "ধর্মের প্রয়োজন" প্রবন্ধ থেকে

    কোথাও তো মনে হচ্ছে না ইনি হিন্দু ভারতবর্ষ বানাতে চাইছেন!
  • ranjan roy | 24.97.195.9 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:০৪513580
  • abc,
    আমি কোথাও বলিনি যে আপনি টিসির কথা বলেছেন। এমনকি যিনি টিসির কথা বলেছেন সেটা যে আদৌ আপত্তিজনক নয় তাও বলিছি।
    আমি কোথাও সুনীলকে দার্শনিক বলিনি।
    আপনি আমি যা বলিনি সেগুলো আমার মুখে চালিয়ে দিচ্ছেন।
    কাউকেই আমার মত চাপিয়ে দিইনি।
    আর আপনি এই যে শেষ বাক্যে --গিয়ে অমুক করুন গে যান বললেন এটা ব্যক্তি আক্রমণ এবং বাচ্চাদের মত ঝগড়া করা ছাড়া আর কি! আমি বিষয় নিয়ে কথা বলেছি আপনাকে দুর ছাই করিনি।
    নিজের পোস্টগুলো পড়ে দেখুন আর দুখের গুলো।
    তাহলেই ব্যাক্তি-আক্রমণ আর বিষয় অভিমুখী তর্কের তফাৎ বুঝতে পারবেন। একটাও মূল বইপড়ার আগ্রহ নেই, কিন্তু ঝগড়া করতে মুখিয়ে আছেন।
    চতুরঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অজ্ঞেয়বাদী(পজিটিভিস্ট) আর নাস্তিক নিয়ে কিছু বলুন!
    আর চার্বাক হিন্দু ছিলেন কি না জানতে চাইছিলেন না?
    চার্বাকের সময় হিন্দু বলে কোন শব্দ ছিল না। কোন বেদ-পুরাণেও নেই।অনেক পরে ঐ শব্দটি সিন্ধুপারের অধিবাসীদের সম্বন্ধে পারস্যের লোকজন বলতে শুরু করেন বলে বলা হয়।
  • ranjan roy | 24.97.195.9 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:১৮513581
  • দুখে,
    আর বৃহদারণ্যক উপনিষদের খিলকান্ড? পঞ্চম ও ষষ্ঠ অধ্যায়? তেজস্বী তীক্ষ্ণধী বেদপারঙ্গম রক্তাভ চক্ষু কৃষ্ণগাত্রবর্ণের পুত্রসন্তান পেতে গেলে কালো বাছুরের মাংসের পলান্ন রেঁধে খাওয়া?
    আর শুধু অশ্বমেধ যজ্ঞের কথাই নয়, গোটা অথর্ববেদটাই ( বেশ মোটা) তুকতাক-জাদুটোনায় ভরা।
    কারণ সেই প্রাচীন সমাজে প্র্কৃতির সঙ্গে বিষম সংগ্রামে টিঁকে থাকতে ওগুলো মানসিক শক্তি যোগাত। গোটা পূর্বমীমাংসা দর্শনই ঐ কর্মকান্ডের ওপরে দাঁড়িয়ে।
    আপনি অনুমান করছিলেন না যে বিবেকানন্দ হয়ত কুসংস্কার মুক্ত হওয়ার জন্যে বেদ পড়তে বলছিলেন। তাই বললাম, বিবেকানন্দের বেদকে গুরুত্ব দেওয়ার অন্য কারণ থাকতে পারে, কুসংস্কার দূরীকরণ কদাপি নয়।
  • ranjan roy | 24.97.195.9 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:২২513582
  • সৌভিক,
    শিকাগো ধর্মমহাসভার অন্তিম দিনের বক্তৃতায় উনি বলেছেন যে কেউ যদি মনে করে এই কয়দিনের (বোধহয় নয়দিন?) বিতর্কে কোন একটি ধর্ম শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন হয়েছে আর অন্যগুলো হীন প্রতিপন্ন হয়েছে তার থেকে ভুল কিছু হতে পারে না।
    ( স্মৃতি থেকেঃ এগজ্যাক্ট শব্দগুলো নয়)।
  • ranjan roy | 24.97.195.9 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৮513584
  • অ্যাই দুখে,
    আমি ধর্ম মানি। ধর্ম ইন অ্যাবস্ট্রাক্ট, মানুষের ধর্ম।
    আর একটা বুড়ো যেমন বলেছিলঃ
    ধর্ম হচ্ছে ন্যায়হীন সমাজে ন্যায়ের আকাঙ্ক্ষা। ধর্ম হল নিপীড়িতের আর্তনাদ। ধর্ম হল আত্মাহীন সমাজে আত্মার প্রকাশ।- শোষণের মাঝে মুক্তির ইচ্ছে---- অন্তিম বিচারে জনতার আফিম।
    আর এটাও মানি আগে প্রাচীন সমাজে অনেক বড় বড় পরিবর্তনের আন্দোলন , শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ধর্মের পতাকার নীচে হয়েছে।ঃ))))
  • dukhe | 127.194.250.68 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩০513585
  • দীপের হাফকোটের শুরুটা এরকম - "তবে বিদেশী, তুমি যত বলবান নিজেকে ভাবো, ওটা কল্পনা। ভারতেও বল আছে, মাল আছে—এইটি প্রথম বোঝ। আর বোঝ যে আমাদের এখনও জগতের সভ্যতা-ভান্ডারে কিছু দেবার আছে, তাই আমরা বেঁচে আছি। এটি তোমরাও বেশ ক'রে বোঝ— যারা অন্তর্বহিঃ সাহেব সেজে বসেছ এবং ' আমরা নরপশু, তোমরা হে ইউরোপী লোক, আমাদের উদ্ধার কর ব'লে কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছ।"

    "যারা অন্তর্বহিঃ সাহেব সেজে বসেছ এবং ' আমরা নরপশু, তোমরা হে ইউরোপী লোক, আমাদের উদ্ধার কর ব'লে কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছ।" -তাদের বরাবরই বিবুদা তীব্র তিরস্কার করেছেন। "এই পরানুবাদ, পরানুকরণ, এই দাসসুলভ দুর্বলতা" ব্যাপারটাকে অন্যত্রও ধুয়ে দিয়েছেন। যে কেউই জানবেন যিশুর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার অভাব ছিল না, কিন্তু খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরকরণ তাঁর তীব্র অপছন্দের ছিল। এটা যে হিন্দু বনাম খ্রিস্টান নয় - সেটা বুঝবেন যদি দেখেন এই অংশটুকুতেই তিনি কালী আর মেরিকে মিলিয়ে দিয়েছেন। ইস্যুটা একটা জাতির আত্মসম্মানের, আত্মশ্রদ্ধার।

    যাক, শ্রীরামকৃষ্ণ পুজো চালাতে না চাওয়ার রেফারেন্সটা দিয়ে যাই। এবং আরো কিছু।

    ১। "ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উদার ভাব ও শিক্ষা যাতে গুরুভ্রাতাগণ কার্যে পরিণত করেন, এ-বিষয়ে স্বামীজীর বিশেষ দৃষ্টি ছিল। ঠাকুর যে ভাব ও শিক্ষা জগৎকে দিয়ে গেছেন, সেই ভাব ও শিক্ষা যাতে তারা জীবনে ও কার্যে প্রতিফলিত করেন, সে বিষয়ে তাঁর আন্তরিক ইচ্ছা ছিল। ঠাকুরের নাম প্রচারের জন্য তিনি তত ব্যগ্র ছিলেন না। একবার কাশী সেবাশ্রম থেকে মঠে যাবার পর অনাথ আশ্রমের নাম কী হবে, তা স্বামিজীকে জিজ্ঞাসা করবার জন্য কাশীর লোকেরা আমাকে লিখেছিলেন। স্বামীজী "Home of Service" নাম প্রস্তাব করলেন। শুনে রাখাল মহারাজ বললেন, "Ramakrishna Home of Service" নাম হোক। এতে স্বামীজী বললেন, "এই তোমাদের কেবল ঠাকুরের নাম প্রচারের চেষ্টা। ঠাকুরের ভাব ও উপদেশ-প্রচারই আসল কথা। ঠাকুরের নাম প্রচারের জন্য এত ব্যগ্রতা কেন?" - স্বামী অচলানন্দ (স্মৃতির আলোয় স্বামীজী)

    ২। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের কোন ভক্ত-লেখক যাঁরা শ্রীরামকৃষ্ণকে ঈশ্বরাবতার বলে বিশ্বাস করেন না তাঁদের প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন বলে স্বামীজী তাঁকে ডাকিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলতে লাগলেনঃ "তোর এমন করে সকলকে গাল দিয়ে লেখবার কী দরকার ছিল? তোর ঠাকুরকে বিশ্বাস করে না, তার কী হয়েছে? আমরা কি একটা দল করছি নাকি? আমরা কি রামকৃষ্ণ-ভজা যে, তাঁকে যে না ভজবে, সে আমাদের শত্রু? তুই তো তাঁকে নীচু করে ফেললি, তাঁকে ছোট করে ফেললি। তোর ঠাকুর যদি ভগবান হন তো যে যেমন করে ডাকুক, তাঁকেই তো ডাকছে। তবে সবাইকে তুই গাল দেবার কে? না, গাল দিলেই তোর কথা শুনবে? আহাম্মক!" - প্রিয়নাথ সিংহ (স্মৃতির আলোয় স্বামীজী)

    ৩।"ঠাকুরের নামে পাছে কালে কোন সম্প্রদায় গড়িয়া উঠে এই জন্য স্বামীজী বেলুড় মঠ নির্মিত হবার পর ঠাকুরের বর্তমান আসনে ঠাকুরের ছবি বসাইয়া পূজা করিতে দেন নাই। তখন রেশমী রুমালে অঙ্কিত একটি ওঁকার টাঙাইয়া রাখা হইত এবং তাহারই পূজা হইত। পরে স্বামীজী একদিন রাত্রে কী একটা Vission দেখিয়া পরদিন নিজ হস্তে আসনে ঠাকুরের ছবি বসাইয়া দেন।" - শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী (উদ্বোধন ২৫ বর্ষ, পৃঃ ৭৩০-৭৩১)
  • dukhe | 127.194.250.68 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৭513587
  • de-র জন্য বুকলিস্ট -
    শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ লীলাপ্রসঙ্গ - স্বামী সারদানন্দ
    কথামৃত
    শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকে যেরূপ দেখিয়াছি - স্বামী চেতনানন্দ সম্পাদিত
    স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা
    পত্রাবলী - স্বামী বিবেকানন্দ
    যুগনায়ক বিবেকানন্দ - স্বামী গম্ভীরানন্দ
    স্বামীজীকে যেরূপ দেখিয়াছি - নিবেদিতা
    স্বামীজীর সহিত হিমালয়ে - নিবেদিতা
    স্মৃতিকথা - স্বামী অখণ্ডানন্দ
    স্বামী বিবেকানন্দের বাল্যজীবনী - মহেন্দ্রনাথ দত্ত
    লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত
    কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত
    শ্রীমৎ বিবেকানন্দ স্বামীজীর জীবনের ঘটনাবলী - মহেন্দ্রনাথ দত্ত
    স্বামী বিবেকানন্দ - ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত
    বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ - শঙ্করীপ্রসাদ বসু
    স্বামী বিবেকানন্দঃ নতুন তথ্য নতুন আলো - শঙ্করীপ্রসাদ বসু
    পাশ্চাত্যে বিবেকানন্দ - মেরি লুই বার্ক
    স্মৃতির আলোয় স্বামীজী - স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ সম্পাদিত
    বহুরূপে বিবেকানন্দ - স্বামী চেতনানন্দ
    স্মৃতির আলোয় বিবেকানন্দ - স্বামীজীর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের গুণগ্রাহিগণ
    অচেনা অজানা বিবেকানন্দ - শংকর
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৭513586
  • "ইতিহাস বলে ধর্ম-র সঙ্গে যুদ্ধ করে পৃথিবীতে অনেক বড় শক্তি পারে নি, সোভিয়েতে চার্চ থেকে গেছে , চিনে কনফুসিয়াস বুদ্ধ থেকে গেছে" - তথ্য এও বলছে, পৃথিবীতে যত মানুষ হিন্দু, তার প্রায় সমসংখ্যক মানুষ ধর্মরহিত (ইরিলিজিয়াস) (তথ্যসূত্রঃ উইকি)। তথ্য এটাও বলছে সোভিয়েত এবং চীনে ধর্মরহিত মানুষের সংখ্যা আমাদের দেশের থেকে বেশি। যদিও এইসব তথ্যে-ইতিহাসে কিছুই প্রমাণিত হয় না। মোদ্দা কথা হল, ব্যক্তিগতভাবে কেউ ধার্মিক বা স্পিরিচুয়াল হতে চাইলে অবশ্যই কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বানিয়ে মাথা মোড়ানোর কল চালালে নিশ্চয় আপত্তি উঠবে।
  • dukhe | 127.194.250.68 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৩513588
  • রঞ্জনদাকে - বিবুদা দেখলাম বেদবিরোধী অবরোধ-প্রথা, বিধবাপোড়ানোর কথা বলেছেন। হয়তো ঐসব কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে চাইছিলেন। কোন বেদ কতটা ওনার মনঃপূত ছিল সেটা এখনো জানি না অবশ্য।
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৫ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৮513589
  • দুখে, আবার হাফকোট লেখেন ক্যান? ঐ দুটো লাইন আলাদা করে কোনও এক্সট্রা কন্টেক্সট দিচ্ছে না বলে বাদ রেখেছিলাম।
  • dukhe | 127.194.250.68 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০০:০৪513590
  • একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। ২০১৩ দিয়ে বিবুদার বিচার করার মুশকিল হ'ল - এই সময়ের প্রবলেম সেট বিবুদার সময়ের চেয়ে আলাদা। মূল্যবোধও তাই। তখন কোথায় মোদী আর কোথায় বাবরি । মূল ইস্যু তখন ব্রিটিশ শাসন, পরাধীনতা। বিবুদার মূল টার্গেট অনেক সময়ই একটা জাতের হীনম্মন্যতা দূর করা। যাকে দাদু বলবেন - "আধুনিক কালে ভারতবর্ষে বিবেকানন্দই একটি মহৎ বাণী প্রচার করেছিলেন, সেটি কোন আচরণগত নয়। তিনি দেশের সকলকে ডেকে বলেছিলেন তোমাদের সকলেরই মধ্যে ব্রহ্মের শক্তি, দরিদ্রের মধ্যে দেবতা তোমাদের সেবা চান। এই কথাটি যুবকদের চিত্তকে সমগ্রভাবে জাগিয়েছে। তাই এই বাণীর ফল দেশের সেবায় আজ বিচিত্র ভাবে, বিচিত্র ত্যাগে ফলেছে। তাঁর বাণী মানুষকে যখনই সম্মান দিয়েছে তখনই শক্তি দিয়েছে। সেই শক্তির পথ কেবল একঝোঁকা নয়, তা কোন দৈহিক প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তির মধ্যে পর্যবসিত নয়, তা মানুষের প্রাণ-মনকে বিচিত্র ভাবে প্রাণবান করেছে। বাংলাদেশের যুবকদের মধ্যে যে সব দুঃসাহসিক অধ্যবসায়ের পরিচয় পাই তার মূলে আছে বিবেকানন্দের সেই বাণী যা মানুষের আত্মাকে ডেকেছে আঙুলকে নয়।"
  • dukhe | 127.194.250.68 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০০:০৭513591
  • দীপ, "যারা অন্তর্বহিঃ সাহেব সেজে বসেছ" - এইটা আমার মনে হয়েছে জরুরি। কোটটা বোঝার জন্য। তাই ঐ হাফকোট বলা। আপনার মনে না হতেই পারে। এনিওয়ে।
  • a x | 138.249.1.206 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০০:১১513592
  • আম্বেদকরের লেখা বা কথায় কোথাও বিবেকানন্দর উল্লেখ বা অনুপ্রেরণা আছে? শূদ্র-জাগরণ সম্পর্কিত?
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০০:১৯513593
  • তাহলে এই কথাগুলোকে কি ভাবে নেব?
    "হাঁ, আমি ইচ্ছেই করেছিলুম যে, আমায় নিয়ে একটা খুব হইচই হয়। কি জানিস? একটা হইচই না হলে তাঁর (ভগবান্ শ্রীরামকৃষ্ণের) নামে লোক চেতবে কি ক’রে? এত ovation কি আমার জন্যে করা হল, না তাঁর নামেরই জয়জয়কার হল? তাঁর বিষয় জানবার জন্যে লোকের মনে কতটা ইচ্ছে হল। এইবার ক্রমে তাঁকে জানবে, তবে না দেশের মঙ্গল হবে। যিনি দেশের মঙ্গলের জন্যে এসেছেন, তাঁকে না জানলে লোকের মঙ্গল কি করে হবে? তাঁকে ঠিক ঠিক জানলে তবে মানুষ তৈরী হবে, আর মানুষ তৈরী হ’লে দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি তাড়ানো কতক্ষণের কথা! আমাকে নিয়ে এই রকম বিরাট সভা করে হইচই করে তাঁকে প্রথমে মানুক—আমার এই ইচ্ছেই হয়েছিল; নতুবা আমার নিজের জন্যে এত হাঙ্গামের কি দরকার ছিল?"

    শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী (উদ্বোধন ২৫ বর্ষ, পৃঃ ৭৩০-৭৩১) এই রেফারেন্সটার সঙ্গে কিন্তু আমার দেওয়া রেফারেন্সটার বিরোধ রয়েছে। বিজ্ঞানানন্দের ড্রয়িং আলোচনা করার ঘটনাটা বেলুড় মঠ নির্মিত হবার আগের। অর্থাৎ অরিজিনাল প্ল্যানে রামকৃষ্ণের মন্দির বানাবার কথা বলা হয়েছে, যার আকৃতি হবে ওঁকার সদৃশ। পরবর্তীতে ওঁকার আঁকা রেশ্মী রুমালের প্রতিষ্ঠার কথা ভেবে থাকতে পারেন। তবে ফাইনালি রামকৃষ্ণের পুজোই শুরু হয়েছে।
  • দীপ | 212.142.113.244 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০০:৩৩513596
  • বৈদান্তিক হিন্দু ভারতবর্ষ সম্বন্ধে আরেকটু দেই -
    "ভারত ধর্মভূমি। হিন্দুগণ ধর্ম—কেবল ধর্মই বুঝে। শত শত শতাব্দী ধরিয়া হিন্দু কেবল এই শিক্ষাই পাইয়াছে।"
    "এইমাত্র আপনারা অভিযোগ করিলেন যে ইউরোপীয জড়বাদ আমাদিগকে একেবারে মাটি করিয়া ফেলিয়াছে। আমি বলি, দোষ শুধু ইউরোপীয়দের নয়, দোষ প্রধানতঃ আমাদের। আমরা যখন বৈদান্তিক, তখন আমাদিগকে সর্বদাই সকল বিষয় ভিতরের দিক হইতে—আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখিবার চেষ্টা করিতে হইবে। আমরা যখন বৈদান্তিক, তখন নিশ্চয়ই জানি, যদি আমরা নিজের অনিষ্ট নিজেরা না করি, তবে পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নাই, যাহা আমাদের কোন অনিষ্ট করিতে পারে। ভারতের এক—পঞ্চমাংশ অধিবাসী মূসলমান হইয়াছে। যেমন সুদূর অতীতের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে দেখা যায়, ভারতের দুই—তৃতীয়াংশ অধিবাসী প্রাচীনকালে বৌদ্ধ হইয়াছিল, সেইরূপ ভারতের এক—পঞ্চমাংশ লোক মুসলমান হইয়াছে। এখনই প্রায় দশ লক্ষের অধিক খ্রীষ্টান হইয়া গিয়াছে। ইহা কাহার দোষ?"
    "কাহারও দোষ দিও না, দোষ দাও নিজের কর্মকে। যদি তোমরা আসিতে না দিতে, তবে কি জড়বাদ, মুসলমান ধর্ম, খৃষ্টান ধর্ম, পৃথিবীর অন্য কোন মতবাদ—কিছুই কি স্বীয় প্রভাব বিস্তার করিতে সমর্থ হইত?পাপ, দূষিত খাদ্য ও নানাবিধ অনিয়মের দ্বারা দেহ পূর্ব হইতেই যদি হীনবীর্য না হইয়া থাকে, তবে কোন প্রকার জীবাণু মনুষ্যদেহ আক্রমণ করিতে পারে না। সুস্থ ব্যক্তি সর্বপ্রকার বিষাক্ত জীবাণুর মধ্যে বাস করিয়াও নিরাপদ থাকিবে। আমরা তো তাহাদিগকে পূর্বে সাহায্য করি নাই, সুতরাং অপর জাতির উপর সমুদয়দোষ নিক্ষেপ করিবার পূর্বে প্রথমেই নিজেকেই প্রশ্ন করা উচিত;আর এখনও প্রতীকারের সময় আছে। "

    http://www.dduttamajumder.org/baniorachana/node.php?pageno=54&khanda=5
  • dukhe | 127.194.250.68 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০০:৪৪513597
  • অতি অবশ্যই বিবুদা শ্রীরামকৃষ্ণের প্রচার চাইতেন। শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শের প্রচার করতে গেলে তো সেই মহাজীবনের দৃষ্টান্ত আলোর মত সামনে রাখতেই হবে। তার জন্য লোকের আগ্রহও জাগাতে হবে। কিন্তু তার মানে তো তাঁর ছবির সামনে ঘণ্টা নাড়া নয়, তাঁর ভাবের প্রচার। তাঁকে স্বীকার না করে যদি কেউ অন্য কাউকে আদর্শ করে, রামকৃষ্ণের শিষ্যেরা কি তার প্রতি অনুদার হবেন? তাতে শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শই ক্ষুণ্ণ হয় না?

    বিবুদা শ্রীরামকৃষ্ণ-মন্দির বানাবেন - এটা তো অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। কিন্তু স্বপ্নের এই প্রোজেক্ট হাতে নিয়েও উনি ভাবতেন এর দৌলতে আবার একটা অনুদার সম্প্রদায় তৈরি না হয়। সে জন্যই হয়তো সব সম্প্রদায়ের জন্য ওঁকার উপাসনার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু Vision তো জানবার উপায় নেই।

    শরৎ চক্রবর্তীর পরের কিছু লাইন - "এই ঘটনা দ্বারা ইহাই বুঝা যায় যে, স্বামীজীও ভয় করিতেন পাছে ঠাকুরের নামে কালে আবার ভারতে একটি সম্প্রদায় গঠিত হইয়া উঠে। কিন্তু একথা বলিতে হয় যে, আজ ত্রিশ বৎসর যাবৎ ঠাকুরের ভক্তসঙ্গে মিলিয়া মিশিয়া বুঝিতে পারিয়াছি যে ঠাকুরের মহাসমন্বয় ও অসাম্প্রদায়িক ভাব এখনো পূর্ণ জাগ্রত রহিয়াছে।"
  • দীপ | 212.142.113.246 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০১:২৭513598
  • মেরীকে কালীর সাথে মেলানো, বৈদান্তিক মস্তিষ্ক আর ঐস্লামিক দেহের অভিলাষ - এগুলি কি অবাস্তব ইচ্ছা নয়?
    "আমাদের দৃঢ় ধারণা যে, বেদান্তের মতবাদ যতই সুক্ষ ও বিষ্ময়কর হউক নাকেন, কর্মপরিণত ইসলাম -ধর্মের সহায়তা ব্যতীত তাহা মানব-সাধারণের অধিকাংশের নিকট সম্পূর্ণরুপে নিরর্থক। আমরা মানব জাতিকে সেই স্থানে লইয়া যাইতে চাই–যেখানে বেদও নাই, বাইবেল ও নাই, কোরানও নাই; অথচ বেদ, বাইবেল ও কোরানের সমন্বয় দ্বারাই ইহা করিতে হইবে। মানবকে শিখাইতে হইবে যে, সকল ধর্ম 'একত্বরুপে সেই এক ধর্মে'রই বিবিধ প্রকাশ মাত্র, সুতরাং যাহার যেটি সর্বাপেক্ষা উপযোগী সেটিকেই বাছিয়া লইতে পারেন। আমাদের নিজেদের মাতৃভূমির পক্ষে হিন্দু ও মুসলমান ইসলামধর্মরূপ এই দুই মহান্ মতের সমন্বয়ই–বৈদান্তিক মস্তিষ্ক ও ইসলামিয় দেহ–একমাত্র আশা।" - এই কোটটাকে বিবেকানন্দ-পন্থীরা ওনার ইসলামের প্রতি অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে থাকেন। পাঠক লক্ষ্য করবেন, চিঠির প্রাপক একজন মুসলমান, মহম্মদ সরফরাজ হোসেন। এই চিঠি পড়ে আমার minority appeasing ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি।
    http://www.dduttamajumder.org/baniorachana/node.php?pageno=37&khanda=8

    "এখন তোমাদের কাছে আমার নূতন আবিস্কার কথা বলছি। ধর্মের যা কিছু সব বেদান্তের মধ্যেই আছে, অর্থাৎ বেদান্তদর্শনের দ্বৈত, বিশিষ্টাদ্বৈত ও অদ্বৈত—এই তিনটি স্তরে আছে, একটির পর একটি এসে থাকে। এই তিনটি মানবের আধ্যাত্মিক উন্নতির তিনটি ভূমিকা। এদের প্রত্যেকটিরই প্রয়োজন আছে। এই হ'ল ধর্মের সারকথা। ভারতের বিভিন্ন জাতির আচার-ব্যবহার মত ও বিশ্বাসে প্রয়োগের ফলে বেদান্ত যে রূপ নিয়েছে, সেইটি হচ্ছে হিন্দুধর্ম; এর প্রথম স্তর অর্থাৎ দ্বৈতবাদ—ইওরোপীয় জাতিগুলির ভাবের হয়ে ভেতর দিয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে খ্রীষ্টধর্ম, আর সেমিটিক জাতিদের ভেতর হয়ে দাঁড়িয়েছে মুসলমান ধর্ম; অদ্বৈতবাদ উহার যোগানুভূতির আকার হয়ে দাঁড়িয়েছে বৌদ্ধধর্ম প্রভৃতি। এখন ধর্ম বলতে বুঝায় বেদান্ত। বিভিন্ন প্রয়োজন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং অন্যান্য অবস্থা অনুসারে তার প্রয়োগ অবশ্যই বিভিন্ন হবে।" - অন্য ধর্মের লোকেদের জন্য অবারিত দ্বার রাখলেও বেদান্তই যে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম সেই রকমই মনে করতেন।
    http://www.dduttamajumder.org/baniorachana/node.php?pageno=112&khanda=7
  • দীপ | 212.142.113.246 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০২:৫৮513599
  • "স্বামীজীও ভয় করিতেন পাছে ঠাকুরের নামে কালে আবার ভারতে একটি সম্প্রদায় গঠিত হইয়া উঠে" - তাহলে যারা রামকৃষনাইজ্‌ম নিয়ে কোর্ট-কাছারি করলেন তাঁরা তো সেই ভাবেরই পিন্ডি চটকালেন? মানুষের উপর দেবত্ব আরোপ করলে এ ঘটনা কোনও না কোনও দিন ঘটতে বাধ্য।

    "কট্টর বৈরাগ্যবান নরেন যেমন কামিনীকাঞ্চন-আসক্তদের কীট বলেছেন, তেমনি পরবর্তীকালে সব মানুষকে নিয়ে এও বলেছেন - ভ্রান্তিবশতঃ লোকে যাকে মানুষ নামে অভিহিত করে, আমরা সেই নারায়ণের সেবক" (দুখে) - অন্যত্র এক চিঠিতে কিন্তু বিবেকানন্দ মন্তব্য করেছেন "দিবারাত্র বংশবৃদ্ধি ও ঈশ্বরানুভূতি একদিনও একসঙ্গে চলতে পারে না"। সংসারী মানুষদের সম্পর্কে এটি হীন মন্তব্য।

    কামিনীকাঞ্চন প্রসঙ্গে -- "সন্ন্যাসীদের কার্যে—যথা মঠ ও মণ্ডলী পরিচালনা, জনসমাজে ধর্মপ্রচার ও অনুষ্ঠান প্রণালীর প্রবর্তন, ত্যাগ ও ধর্মমতামত-সম্বন্ধীয় স্বাধীন চিন্তার সীমানিরূপণ ইত্যাদিতে সংসারী বা কামকাঞ্চনাসক্ত ব্যক্তির মতামত দেবার কিছুমাত্র অবসর থাকা উচিত নয়। সন্ন্যাসী ধনী লোকের সঙ্গে কোন সম্বন্ধ রাখিবে না—তার কাজ গরিবকে নিয়ে। সন্ন্যাসীর কর্তব্য খুব যত্নের সঙ্গে প্রাণপণে গরিবদের সেবা করা এবং এরূপ সেবা করিতে পারলে পরমানন্দ অনুভব করা। আমাদের দেশের সকল সন্ন্যাসি-সম্প্রদায়ের ভিতর ধনী লোকের তোষামোদ করা এবং তাদের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করার ভাব প্রবেশ করাতে সেগুলি উৎসন্ন যেতে বসেছে। যথার্থ সন্ন্যাসী যিনি, তাঁর কায়মনোবাক্যে এটা ত্যাগ করা উচিত। এভাবে ধনী লোকের পিছনে ঘোরা বেশ্যারই উপযুক্ত সংসার ত্যাগের পক্ষে নয়।"
    একজন সন্ন্যাসী শিষ্য জিজ্ঞাসা করলেন, 'স্বামীজী, কাঞ্চন ত্যাগ কাকে বলা যায়?' স্বামীজী হেসে বলিলেন : "হাঁ, তোর প্রশ্নের উদ্দেশ্য বুঝেছি। সংসার ত্যাগ ক'রে এসেই আমার এবং মঠের টাকাকড়ি রাখবার ভার তোর ওপর পড়েছে কিনা, তাই তোর মনে এই সন্দেহ হয়েছে। এখন এর মধ্যে বুঝিতে হবে এইটুকু যে, উপায় আর উদ্দেশ্য। বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিশেষ বিশেষ উপায় অবলম্বিত হয়ে থাকে। অনেক সময়ে দেখা যায়, উদ্দেশ্য একই, কিন্তু তার জন্য বিভিন্ন দেশকালপাত্রে বিভিন্ন উপায় অবলম্বিত হচ্ছে। সন্ন্যাসীর উদ্দেশ্য—নিজের মুক্তি সাধন এবং জগতের হিত করা—'আত্মনো মোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ'। আর ঐ উদ্দেশ্য-সাধনের প্রধান উপায়—কামকাঞ্চনত্যাগ। কিন্তু এটি বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে, ‘ত্যাগ’ অর্থে মনের আসক্তি ত্যাগ—সর্বপ্রকার স্বার্থের ভাব ত্যাগ। তা না হ'লে আমি অপরের নিকট টাকা গচ্ছিত রাখলাম—হাতে টাকা ছুঁলাম না, কিন্তু টাকা দ্বারা যে-সব সুবিধা হয়, সব ভোগ করতে লাগলাম—তাকে কি আর ত্যাগ বলা যায়?" - তাহলে কি 'আত্মনো মোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ'র জন্য ধনী লোকের তোষামোদ করা এবং তাদের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করা অনুমোদিত? (ক্ষেত্রীর রাজা, হেন্রিয়েটা মুলার, ওলি বুল এবং অন্যান্য বিদেশী ধনীরা, বিশেষত মহিলাগণ)।
  • aranya | 154.160.130.16 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৫:৪৮513600
  • 'নির্ভয়া অপরাজিতার খুনীদের যখন 'লুচ্চারূপী নারায়ণ' ভাবতে পারছেন..' - দুখে আমার মুখে কথা বসাচ্ছেন, এ বড় দুখের ব্যাপার।

    নির্ভয়া আর অপরাজিতাকে অমানুষিক অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে, রেয়ারেস্ট অব দ্য রেয়ার ক্রাইমস। অপরাজিতা সেখানেই মারা গেছেন, নির্ভয়া কয়েকদিন পর।

    'লুচ্চা'-র ডেফিনিশনে খুনীরাও পড়ে, এটা জানা ছিল না। বিবেকানন্দ-ও দেখছি চোর, ডাকাত, মাতাল-কে কোল দেবার কথা বলছেন, খুনী-দের কথা বলছেন না - ইন্টারেস্টিং।

    ২০০২ গুজরাত রায়টে, 'রায়ট'-ই বা বলি কেন, প্ল্যানড হত্যাকাণ্ডে ২০০০ মত মুসলিম মারা গেছিলেন (আন অফিসিয়াল কাউন্ট)। প্রচুর ধর্ষণ হয়েছিল, বাচ্চাদের জ্যান্ত পোড়ান হয়েছিল, গর্ভবতী মেয়েদের রেপ ও খুন করে তাদের পেট কেটে ভ্রুণ বের করে ত্রিশূলের ডগায় গেঁথে উদ্দাম নাচ হয়েছিল।

    মুখ্যমন্ত্রী মোদি ছিলেন এই মারণযজ্ঞের হোতা। কখন হয়্ত বিচারের চাকা নড়বে, বাংলাদেশে গোলাম আযমের মত মোদী-ও ৯০ বছরের কারাদণ্ড পাবেন, এই আশায় আছি।

    তো এহেন মোদীর-ও চরিত্র পরিবর্তন হতে পারে না, তা আমি বলছি না। চণ্ডাশোক-ও পাল্টে গিয়ে ধর্মাশোক হয়েছিলেন। সমস্যাটা হল এই যে মিশন মোদীকে সাদর আমম্ত্রণ জানালে তার হত্যাকান্ড একটা লেজিটিমেসি পায়, মিশনের অনুগামীদের কাছে, আমজনতার কাছেও। দুখে নিজের বাড়ীতে মোদীকে ডেকে ইলিশ মাছ খাওয়ালে বা অরণ্য তাকে হুস্কি খাওয়ালে ও লুঙ্গি উপহার দিলে তার কুন ইমপ্যাক্ট নাই, কিন্তু মিশনের সাধু মহারাজরা মোদীকে পাত্তা দিলে তার ইমপ্যাক্ট সিগনিফিক্যান্ট।

    সাময়িক অন্ধত্বের একটা সমস্যা আমরা প্রায়ই দেখি - বিশেষতঃ যখন রাজনীতি বা ধর্মের কথা আসে। প্রচুর পড়াশুনো করা, দেশ বিদেশ দেখা, উদার চরিত্রের লোকজন হঠাৎ করে ব্লাইন্ড হয়ে যান, নিজের প্রিয় রাজনৈতিক দল, ধর্ম বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কোন ত্রুটি তাদের চোখে পড়ে না।

    আশা করি সেই অন্ধত্ব থেকে আমরা নিজেদের
    মুক্ত রাখার চেষ্টা করব।
  • ranjan roy | 24.97.236.78 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৭:০১513601
  • অক্ষদা,
    না, আমার ছত্তিশগড়ে আম্বেদকরবাদী অনেক বন্ধু আছেন। সেই সূত্রে আম্বেদকর সাহিত্য পড়ার ও তর্ক করার প্রভূত সৌভাগ্য হয়েছে। আপনি ওঁর Annihilation of Caste বইটি পড়ে দেখতে পারেন বা বুদ্ধের জীবনী নিয়ে বড় বইটি।
    উনি স্পষ্ট বলেছেন যে বর্ণাশ্রম ধর্ম আধারিত জাতিবাদ হিন্দুধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে হিন্দুধর্ম মানবে সে জাতিবাদ বিরোধী হতে পারে না।
    "আমি কেন বৌদ্ধ" বুকলেটে প্রথমে হিন্দু-ক্রিশ্চান-ইসলাম সব ধর্মের মূল অ্যাপ্রোচ ও কম্যুনিজম নিয়ে কথা বলে সবগুলোতে গুরুবাদ আছে বলে শুধু বৌদ্ধধর্ম মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে বললেন।

    মজার কথা আমি গতকাল সন্ধ্যেতে রায়পুর শহরে " জাতিবাদ নির্মূল আন্দোলন-- বিচার-বিমর্শ" আলোচনাচক্রে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক দলিত আন্দোলনকর্মী এসেছিলেন।
  • ranjan roy | 24.97.236.78 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৭:২৮513602
  • ওঁরা বললেন যে জাতিবাদ একটি রাজনৈতিক প্রশ্নও বটে। এর মাধ্যমে উচ্চজাতি ক্ষমতা ধরে রাখে। আপনাদের বঙ্গে আগে ভটচায্যি ছিল এখন ব্যানার্জি এসেছে, কিসের পরিবর্তন!
    আমি বললাম-- প্রথম পাঁচজন তো ঘোষ-রায়-সেন-মুখার্জি--বসু!
    ওঁরা দমলেন না। বললেন -ব্রাহ্মণ-কায়স্থ-বদ্যি একই হেজিমনি।
    আলোচনায় ওরা সবাই জয় বুদ্ধ! জয় ভীম ! বলে শুরু করেন।
    ১৯৩৫ না ৩৬এর সেই নাগপুর সম্মেলনের ম্যানিফেস্টো কোট করে বলেন আমরা হিন্দুধর্মের কোন দেবদেবী পূজোআচ্চা উৎসব-পর্ব মানিনা।
    আহার-ভোজন, বিয়ে-শাদিতে যারা ভেদভাব জারি রেখেছেন তাঁরা কখনই জাতিবাদ নির্মূল আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
    আপনাদের বঙ্গে বিয়ের বিজ্ঞাপন দেখুন, সামাজিক স্থিতি স্পষ্ট হবে।
    সরি, টই হাইজ্যাক করতে চাইনা।
  • pi | 118.12.169.134 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৭:৩৫513603
  • মিশনে নিম্নবর্ণের সাধুসন্ন্যাসীর সংখ্যা কেমন ? মানে, পূর্বাশ্রমের কথা যদি জানা যায়।
    আর মিশনে জন্মগতভাবে মুসলিম কি খ্রীষ্টান ভক্ত বা সদস্য আছেন ?
  • ranjan roy | 24.97.236.78 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৭:৪০513604
  • প্রশ্ন উঠেছে চার্বাক-বৌদ্ধ এঁরা হিন্দু কি না?
    এঁদের সময়ে হিন্দু বলে কোন শব্দ ছিল না সেই কথা ছেড়েই আসুন মূল বাল্মিকী রামায়ণে( কৃত্তিবাসে নেই) উঁকি মারি।
    রাম বনে যাওয়ায় যখন অযোধ্যাবাসী ভরতের নেতৃত্বে রামকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে গেল তখন সঙ্গে গেলেন জাবালি মুনি, চার্বাক পন্থী।
    উনি পিতৃসত্য পালনের দরকার নেই বোঝাতে গিয়ে-- স্বর্গ-নরক-পরলোক কিছু নেই এইসব বলায় রাম চটে গিয়ে বললেন--- নাস্তিক, বৌদ্ধ, তস্কর ও বেদবাদীদের দন্ডিত করা উচিত।
    এখানে বেদবাদী অর্থে পূর্বমীমাংসার অনুযায়ীরা, যাঁরা শুধু বেদের কর্মকান্ড, অথর্ববেদ ও যজুর্বেদের ম্যাজিক-রিচুয়ালের কর্মকান্ড মানেন; ঈশ্বর মানেন না।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৮:৪৮513605
  • ""দিবারাত্র বংশবৃদ্ধি ও ঈশ্বরানুভূতি একদিনও একসঙ্গে চলতে পারে না"। সংসারী মানুষদের সম্পর্কে এটি হীন মন্তব্য।"

    বিবুদা আরো পরিষ্কার করেই বলেছেন - ব্রহ্মচর্য না হ'লে ঈশ্বরের পথে এগোনো যায় না।'হীন মন্তব্য' হতে যাবে কেন? সবকিছু একসঙ্গে হয় না - এটা মেনে নিতে অসুবিধে কিসের? চৈতন্য, বুদ্ধ সবাইকে সংসার ত্যাগ করতে হয়েছিল কেন? ত্যাগ ছাড়া বৈরাগ্য ছাড়া হয় নাকি? ষোলো আনার জিনিস ছ আনায় পাবেন কী ক'রে?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৯:০৫513607
  • "'লুচ্চা'-র ডেফিনিশনে খুনীরাও পড়ে, এটা জানা ছিল না। বিবেকানন্দ-ও দেখছি চোর, ডাকাত, মাতাল-কে কোল দেবার কথা বলছেন, খুনী-দের কথা বলছেন না - ইন্টারেস্টিং।"

    'সর্বভূতে নারায়ণ'-এর কোনো কন্ডিশন নেই, অরণ্যদা। যারা ধর্ষণ করেছে কিন্তু খুন করেনি, ততদূর অবধি নারায়ণ আর বাকিরা এক্সক্লুডেড - এটা ওনারা ভাবতেন না। আমজাদ নামে ডাকাতের কথা শুনে থাকবেন - যাঁকে মা সারদা স্নেহ করতেন। খুনখারাপি তার হাতে হয়েছিল কিনা জানি না, তবে হয়ে থাকাটা অসম্ভব কিছু না। মা বলতেন - "শরৎও আমার যে ছেলে, আমজাদও সেই ছেলে।" শরৎ মনে স্বামী সারদানন্দ - শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনীকার। কত সহজে এক আসনে বসাচ্ছেন দেখুন। জগাই-মাধাইও কি খুনটুন করেনি?

    আপনার মুখে কথা বসানোটা একটু প্রোভোকেশন। আমাদের সহ্যশক্তি বলুন, উদারতা বলুন, জীবে প্রেম বলুন - তার সীমা আমরা একটু এগোলেই টের পাই।

    এবার পড়ুন, খুনীর কথাও পাবেন -

    "ভাল হওয়া অত সোজা নয়। মুক্তিলাভের পূর্ব পর্যন্ত তুমি তো একটি যন্ত্রমাত্র, তার বেশী আর কি? নিজে ভাল বলিয়া তোমার গর্ব করা কি উচিত? নিশ্চয়ই না। তুমি ভাল, কারণ এরূপ না হইয়া তোমার উপায় নাই। আর একজন খারাপ, কারণ সেও ঐরূপ না হইয়া পারে না। তাহার অবস্থায় পড়িলে তুমি যে কি হইতে, কে জানে? দুশ্চরিত্রা নারী বা জেলখানার চোর তো তোমাদেরই হিতার্থে যীশুখ্রীষ্টের মতো বলিপ্রদত্ত হইতেছে, যাহাতে তোমরা ভাল হও। সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার ধারাই এই। যত চোর ও খুনী আছে, যত বিচারবুদ্ধিহীন, যত দুর্বলতম ব্যক্তি, যত পাপিষ্ঠ, যত দানবপ্রকৃতির লোক আছে, আমার দৃষ্টিতে তাহারা সকলেই এক একজন যীশু। দেবরূপী খ্রীষ্ট এবং দানবরূপী খ্রীষ্ট উভয়েই আমার পূজার্হ। এই আমার মত; এছাড়া অন্য ধারণা আমার পক্ষে অসম্ভব। সতের চরণে, সাধুর পাদপদ্মে, দুষ্টের চরণে, দানবের পদেও আমার নমস্কার। তাহারা সবাই আমার শিক্ষক, আমার ধর্মগুরু, সকলেই আমার ত্রাণকর্তা। "

    b বলছিলেন না বিবুদার সেই বাইজির ভক্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিল? এখানে সেই প্রণামটা খুঁজে পাবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন