এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই: নির্মোহ (তিন)

    Samik
    অন্যান্য | ৩১ জানুয়ারি ২০১২ | ৪৭৮২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 86.31.217.192 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৯:০৭513608
  • রঞ্জনদা, খুবই একমত হচ্ছি অনেকগুলো অভিমতের সাথে। আরো লিখুন। ইচ্ছে হলে আলাদা টই করে লিখুন।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৯:১৯513609
  • "শুধু বৌদ্ধধর্ম মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে " - এই অনুদারতার বিরুদ্ধেই তো রাকৃর জীবন। একেই তো ইনি 'মতুয়ার বুদ্ধি' বলতেন।

    "সমস্যাটা হল এই যে মিশন মোদীকে সাদর আমম্ত্রণ জানালে তার হত্যাকান্ড একটা লেজিটিমেসি পায়, মিশনের অনুগামীদের কাছে, আমজনতার কাছেও।" - এইখানে আমি বলব রাকৃমির মতই তার অনুগামীদেরও একটা কর্তব্য আছে। পার্সোনাল ভিজিট আর পলিটিকাল লেজিটিমেসি গুলিয়ে না ফেলার। রাকৃমি ঘোষিতভাবেই রাজনীতি থেকে দূরে। সেখানে মোদীই যান কি মমতা বা ইন্দিরা - তাতে তাঁদের পলিটিকাল লেজিটিমেসি সাব্যস্ত হয় না। এটা নিজেদের কাছে কিলিয়ার থাকা উচিত।
  • aranya | 154.160.130.16 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৯:২১513610
  • পলিটিকাল লেজিটিমেসি-র কথা হচ্ছে না তো, ২০০০ মানুষরূপী নারায়ণ-কে হত্যাকাণ্ডের লেজিটিমেসি-র কথা হচ্ছে।
  • Sibu | 183.60.205.153 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৯:২৪513611
  • সর্বধর্মসমন্বয় শুনলে আমার এক নাস্তিক মাস্টারমশায়ের গল্প মনে পরে। উনি শুরু করতেন এই বলে যে উনি মনে করেন সব ধর্মই সত্যধর্ম। তারপরে বলতেন একাধিক ধর্ম আছে যারা মনে করে একমাত্র তাদের অনুসারী ছাড়া সকলেই নরকে যাবে। যেহেতু এরা সবাই খাঁটি কথা বলছেন সুতরাং সকলেই নরকে যাবে, সে যে ধর্মই মানুক না কেন। অতএব ধর্ম-ধর্ম করে আর কি হবে?

    QED
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ০৯:২৮513612
  • হত্যাকাণ্ডের লেজিটিমেসিও হয় না। সেটার যা শাস্তি সেটা আইনের এক্তিয়ারে হোক। আইনরক্ষকদেরও এই পার্সোনাল ভিজিটের ভিত্তিতে কাউকে ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
  • abc | 131.241.218.132 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১০:৫১513613
  • রঞ্জন বাবু,
    "একটাও মূল বইপড়ার আগ্রহ নেই, কিন্তু ঝগড়া করতে মুখিয়ে আছেন।" - আপনি sure যে আমি বিদ্যাসাগরের রচনাবলী,চিঠিপত্র পড়ি নি?ভালো , আপনি তো আমাকে না চিনেই আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে ফেলেছেন ।
    আমি তো খসড়ার সঙ্গে একটা anecdote দিয়েছিলাম - মহেন বাবুর বর্ণনায় বিদ্যাসাগর -রামকৃষ্ণ আলোচনা প্রসঙ্গ যেখানে এই বেদান্ত বাদ দেবার আলোচনা উঠে এসেছে ও বিদ্যাসাগর পরিস্কার জানিয়েছেন উনি মনে করেন হিন্দু শাস্ত্রকার রা কি বোঝাতে চেয়েছেন তাই ঠিক করে লিখতে পারে নি,মনের ভাব লেখায় প্রকাশ করতে পারে নি , তাই উনি চান না সে গুলো পড়ানো হোক। সুনীল ইগনোর করেছেন সেই কনটেক্সট।
    আরো লিখেছিলাম নাস্তিক হবার জন্যে আলাদা কোনো ব্রাউনি পয়েন্ট নেই -যার উত্তরে লিখলেন আপনার পিতৃদেব স্ত্রী কন্যারা আস্তিক এবং ভালো লোক। আমি জানতেও চাই নি আপনার পরিবারের কথা। আমি প্রশ্ন করেছিলাম বিদ্যাসাগরের ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মীয় প্রথা পালন নিয়ে কি ভাবেন । উত্তর দিলেন না ,দ্বিতীয়বার প্রশ্ন রিপিট করে রেগে গেলেন। বিদ্যাসাগর মশাই পাশ্চাত্য দর্শনে বেশি প্রভাবিত ছিলেন অথচ সেই ভদ্রলোকের নাস্তিক হবার প্রমান দেবেন প্রাচ্য দর্শন অনুযায়ী এ আবার কেমন দ্বিচারিতা । অগ্গেযবাদী = নিরীশ্বর বাদী এই সহজ সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন চলবেনা এই assumption নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। ভারতীয় দর্শনের ব্যাখ্যার অনেক গুলি শিবির আছে ,আপনি তাদের অস্বীকার করতে পারেন ,আমি করি না , গণতান্ত্রিক দেশে পসন্দ আপনা আপনা ।আপনাকে বলেছিলাম দর্শনের থ্রেড এ রামমোহন ,বিদ্যাসাগর , বিবেকানন্দ , রবীন্দ্রনাথ এদের আধ্যাত্মিক দর্শন নিয়ে আলোচনা করুন (25 Jul 2013 -- 10:40 am )।উত্তরে বললেন মিনিময়ে আগ্রহী নন ।বললেন তো বেশ করলেন,সঙ্গে জুড়ে দিলেন আমি "ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচি" তে আগ্রহী (25 Jul 2013 -- 03:42 pm ) ।আমি কোথায় ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচি করেছি জিগ্গেস করলে দাগিয়ে দিলেন " বাচ্চাদের মত ঝগড়া করা " (25 Jul 2013 -- 11:04 pm )।
    অগ্গেযবাদ বোঝাতে আপনি চতুরঙ্গ উপন্যাস ধরিয়ে দিলেন।
    বিষয় অভিমুখী তর্ক করতে গেলে শুধু একবগ্গা হয়ে নিজের সোর্স গুলো কেই endorse করবেন আর অন্যদের গুলোকে দূর ছাই করে উড়িয়ে দেবেন তা কি হয়? আমিও তো অমলেশ ত্রিপাঠির traditional modernist বই টার লাস্ট চ্যাপ্টার রেফার করেছিলাম,বলেছিলাম মহেন মাস্টারের লেখাটাও পড়তে ।বিদ্যাসাগরের চিঠি পত্রের শীর্ষে কি লেখা থাকত দেখতে বলেছিলাম। সুনীল কে রেফারেন্স ধরবেন আর মাস্টার কে ধরবেন না কেন প্রশ্ন করেছিলাম।
    যাক গে ভস্মে ঘি আর ঢালবো না , "ব্যক্তি আক্রমন" (25 Jul 2013 -- 11:04 pm ) শব্দ টার মানে এই ফোরাম এ হয়ত তালে তাল মেলানো এবং পরস্পরের পিঠ না চুলকানো । রিকোয়েস্ট - স্রষ্টার স্বপ্নের "আগাছার জঙ্গলের" বদলে ব্যবহার কারী রা walled গার্ডেন বানালে সেখানে অনধিকার প্রবেশ নিষেধ লেখা থাকুক - তাহলে নতুন দের বিতর্কে অংশ নিয়ে ঝগরুটে অপবাদ নিয়ে অপমানিত হতে হয় না।
    যাক গে আর নয়। দুখের লেখা আমার ও ভালো লাগছে জানিয়ে বিদায় নিলাম ।
  • de | 190.149.51.67 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১০:৫৫513614
  • দুখে, অনেক অনেক ধন্যবাদ!
  • typo | 131.241.218.132 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১০:৫৬513615
  • * তালে তাল না মেলানো - না বাদ গিয়ে মানে উল্টো হয়েছে - সরি ।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১১:০০513616
  • abc, বিদায় নেবেন না। তর্কে এসব নুনঝাল এট্টু-আধটু হবেই। কিন্তু সবার উপরে মিনিময়ই তো সত্য।
    বিদ্যাসাগর সম্পর্কে আমার জ্ঞান কম, আপনার এবং রঞ্জনদার দুজনের বক্তব্যই আগ্রহ নিয়ে শুনছি।
    আর ইয়ে বিবুদা দেখলাম মৃত্যুর দুদিন আগে নিবেদিতাকে বলেছেন - "রামকৃষ্ণকে বাদ দিলে আমি বিদ্যাসাগরের অনুবর্তী।" - এর পরেও কি বনাম জারি থাকবে?
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৩:০৩513618
  • ranjan roy 23 Jul 2013 -- 06:53 AM বিদ্যাসাগর নিয়ে সুনীল গাঙ্গুলীর বক্তব্য দেখুন।
    বিদ্যাসাগরের বক্তব্য ছিল যে সাংখ্য ও বেদান্ত হল ভুল দর্শন। কিন্তু হিন্দুদের মধ্যে এর প্রভাবের ফলে কোর্স থেকে বাদ দেয়া যাচ্ছে না। তাই এর অ্যান্টিডোট হিসেবে মিল এর লজিক পড়াতে হবে।
    ranjan roy Date:23 Jul 2013 -- 10:19 PM
    ... সুনীলের বক্তব্য... বিদ্যাসাগরের মূল ডকুমেন্টের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। অর্থাৎ, আমি বিদ্যাসাগরের কলেজের কোর্স সংশোধন বিষয়ক প্রস্তাব পড়েছি। তাতে যা লেখা তাই সুনীল বলায় ...মূল ডকুমেন্ট দেখে বলুন কোথায় আমি বা সুনীল বিকৃত করেছি!

    ১৮৫০ এর ১৬ই ডিসেম্বর এর ইংরিজি রিপোর্ট তো? "তাই এর অ্যান্টিডোট হিসেবে মিল এর লজিক পড়াতে হবে" অংশটা একটু লিখে দেবেন? বিদ্যাসাগর সনগ্র কাছে থাকলে পাতার নম্বর বলে দিলেও চলবে।
  • PM | 233.223.154.55 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৩:১৩513619
  • abc , রাগ করেন কেনো? এটা তো খোলা পাতা। আপনি আপনার মত লিখুন, রন্জনদা ওনার। আমরা নিজেদের মতো করে বুঝে নেবো সার মর্ম। এটাই এই সাইটটাকে আলাদা করেছে। রাগ করে চলে যাবেন না।
  • ranjan roy | 24.97.36.83 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:১৭513620
  • আরে abc,
    আমার কথায় রাগ করে গুরুর টই ছেড়ে গেলে আমি লজ্জিত হব।
    আমি গুরুর কর্তাব্যক্তি বা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নই। কাজেই পরস্পরের পিঠচাপড়ানো বা দরজা দেখিয়ে দেওয়ার অধিকারী আমি নই।
    আমাকে যা ইচ্ছে বলুন, আমি আর কিস্যু মনে করব না। কিন্তু গুরুকে বলবেন না, প্লীজ।
    আরে এটা তো খোলাপাতা। বুড়োমানুষ, ক্ষমাঘেন্না করে নেবেন।
    মেনে নিচ্ছি-- আমি অজ্ঞানী এবং বিশেষ কিছুই জানি না।
    এবার রাগ পড়ল তো?
  • ranjan roy | 24.97.36.83 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:১৯513621
  • ^
    একটু সময় দেবেন। আমি এখন ছত্তিশগড়ে আর আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে নেই। কোলকাতায় এসে দেখছি।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:২৭513622
  • দীপ কি দাবি করছেন হেনরিয়েটা মুলার বিবুদার তোষামোদে খুশি হয়ে সম্পর্কছেদ করেছিলেন?
    "অন্যান্য বিদেশী ধনীরা, বিশেষত মহিলাগণ"কে বিবুদা কী লেভেলে তোষামোদ করেছিলেন ভাবুন! জোসেফিন ম্যাকলাউড যখন অশীতিপর (নাকি প্রায় নব্বই), নিজের বয়স বলতেন পঁয়তাল্লিশ (ফিগারগুলো এট্টু এদিক-ওদিক হ'তে পরে) - কেন? - না, বিবুদার সঙ্গে দেখা হওয়ার দিন থেকে উনি নিজের নতুন জন্ম ধরতেন (এবং সেই মত বয়সের হিসেব)। তোষামোদ হো তো অ্যায়সা - কী বলেন?
  • Ekak | 125.115.139.226 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:৩০513623
  • উনি তো ফ্রেন্ড বলতেন , সী ইউস্দ টু ডান্স ইনফ্রন্ট অফ হীস ফটোগ্রাফ ইন ক্লোস্ড ডোর ।
    নিন এবার এতে কে কী খুঁজবেন খুঁজুন :):)
  • dd | 69.92.167.177 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৬:৫৪513624
  • ঐ ৮০-৯০ বছোর বয়সে? নাচতেন?

    পরিষ্কার বোঝা যায় হাঁপানী বা বাত ছিলো না। কিন্তু দরোজা বন্ধো করে নাচলে লোকে জানলো কি করে? হয়তো মিছে কথা কয়েছিলেন।
  • দীপ | 212.142.113.246 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৬:৫৫513625
  • "বিবুদা আরো পরিষ্কার করেই বলেছেন - ব্রহ্মচর্য না হ'লে ঈশ্বরের পথে এগোনো যায় না। 'হীন মন্তব্য' হতে যাবে কেন? সবকিছু একসঙ্গে হয় না - এটা মেনে নিতে অসুবিধে কিসের?" -- আপনি যদি ব্রহ্মচর্য্যে বিশ্বাসী হয়ে ঈশ্বরের পথে এগোতে চান, তাইলে অসুবিধে পাবেন না। কিন্তু আমরা যারা জাগতিক কামনাবাসনার ঊর্দ্ধে উঠতে পারিনি বা উঠতে চাইনা তারা এইসব 'গৃহীকীট','যোনিকীট','দিবারাত্র বংশবৃদ্ধি' ইত্যাদি জাতীয় কথাবার্ত্তায় অপমানিত হব বৈকি। নিজে সংসারত্যাগী বলে সংসারী মানুষদের গাল পাড়বেন, এ এক্তিয়ার তাঁকে কে দিল? এই হল চিন্তানায়কের উদাহরণ? আর এইসব কটূ সম্ভাষণকে কাউন্টার করার জন্য বিবেকানন্দ দাঁড়িপাল্লার ঊল্টোদিকে যতগুলোই ভাল ভাল কথা চাপান না কেন, সব ওজনে কম পড়ে যাবে। ঠিক যেমন 'কামিনী নরকস্য দ্বারম'। ওই কথাটা বলার পরে রামকৃষ্ণের নামে ১০০০টা মেয়েদের ইস্কুল খুললেও তাতে ঐ কথার কলঙ্ক যাবে না।
  • Ekak | 125.115.139.226 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৭:০৩513626
  • ডিডি দা
    উনি বলেননি । রাজা মহারাজ বা কে এক্ষুনি মনে নেই খোলা জানলা দিয়ে দেখেছিলেন । বুড়ি ছবির সামনে গাউন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাচছেন :) অবশ্যই ধেই ধেই নেত্য না ।
  • দীপ | 212.142.113.246 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৫513627
  • সর্বধর্মসমন্বয় আইডিয়াটা যে কতটা অবাস্তব এবং অযৌক্তিক, তা Sibu: 26 Jul 2013 -- 09:24 AM 'তে দেখিয়েছেন। ওনার কথার একটা সংশোধন করব, 'একাধিক ধর্ম' নয়, সব ধর্মই মনে করে একমাত্র তাদের মতটাই মুক্তির একমাত্র পথ। বিবেকানন্দ বিভিন্ন ধর্মসভায় পাব্লিকের সামনে যাই বলুন, নিজেও ওই ধারণা থেকে বেরননি। শিষ্যাকে চিঠিতে লিখেছেন, কেবলমাত্র বেদান্তই একমাত্র পথ 'only way of salvation' - "ধর্মের যা কিছু সব বেদান্তের মধ্যেই আছে"। অন্য ধর্ম বেশি প্রসার পেয়ে গেলে তাদের নিজেদের লোক বলে দাবী করাটা প্রাচীন স্ট্র্যাটেজি। ইসলাম যেমন ইশাকে পয়গম্বর বলে দাবী করে, বুদ্ধকে হিন্দুরা অবতার বলে দাবী করে, ইত্যাদি। "তাহাদিগকে পুনর্গ্রহণ না করিলে আমাদের সংখ্যা ক্রমশঃ হ্রাস পাইবে।"

    বৌদ্ধদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন "হে বৌদ্ধগণ! বৌদ্ধধর্ম ছাড়া হিন্দুধর্ম বাঁচিতে পারে না; হিন্দুধর্ম ছাড়িয়া বৌদ্ধধর্মও বাঁচিতে পারে না। ব্রাহ্মণের ধীশক্তি ও দর্শনশাস্ত্রের সাহায্য না লইয়া বৌদ্ধেরা দাঁড়াইতে পারেন না এবং ব্রাহ্মণও বৌদ্ধের হৃদয় না পাইলে দাঁড়াইতে পারে না। বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণের এই বিচ্ছেদই ভারতবর্ষের অবনতির কারণ। এইজন্যই আজ ভারতবর্ষ ত্রিশকোটি ভিক্ষুকের বাসভূমি হইয়াছে, এইজন্যই ভারতবাসী সহস্র বৎসর ধরিয়া বিজেতাদের দাসত্ব করিতেছে। অতএব আসুন, আমরা ব্রাহ্মণের অপূর্ব ধীশক্তির সহিত লোকগুরু বুদ্ধের হৃদয়, মহান্ আত্মা এবং অসাধারণ লোক-কল্যাণশক্তি যুক্ত করিয়া দিই। " আবার অন্য লেখায় পাবেন, "আজকাল বিশেষতঃ দাক্ষিণাত্যে বৌদ্ধধর্মের অজ্ঞেয়বাদ সম্বন্ধে আলোচনা একটা ঢঙ হইয়া দাঁড়াইয়াছে। আলোচনাকারীরা স্বপ্নেও কখন ভাবে না যে, আমাদের সমাজে যে-সকল বিশেষ দোষ রহিয়াছে, সেগুলি বৌদ্ধধর্মকৃত। বৌদ্ধধর্মই আমাদিগকে তাহার উত্তরাধিকারস্বরূপ এই অবনতির ভাগী করিয়াছে। যাঁহারা বৌদ্ধধর্মের উন্নতি ও অবনতির ইতিহাস কখনও পাঠ করেন নাই, তাঁহাদের লিখিত পুস্তকে তোমরা পড়িয়া থাকো যে, গৌতমবুদ্ধ—প্রচারিত অপূর্ব নীতি ও তাঁহার লোকোত্তর চরিত্র—গুণে বৌদ্ধধর্ম এরূপ বিস্তার লাভ করিয়াছিল। ভগবান বুদ্ধদেবের প্রতি আমার যথেষ্ট ভক্তি—শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু আমার বাক্য অবহিত হইয়া শ্রবণ করঃ বৌদ্ধধর্মের বিস্তার উহার মত বা উক্ত মহাপুরুষের চরিত্র-গুণে ততটা হয় নাই—বৌদ্ধগণ যে-সকল মন্দির নির্মাণ করিয়াছিলেন, যে-সকল প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, সমগ্র জাতির সমক্ষে যে সকল আড়ম্বরপূর্ণ ক্রিয়াকলাপ ধরিয়াছিলেন, এগুলির দরুন যতটা হইয়াছিল। এইরূপে বৌদ্ধধর্ম বিস্তার লাভ করে। এই-সকল বড় বড় মন্দির ও ক্রিয়াকলাপের সহিত সংগ্রামে গৃহে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র হোমকুণ্ডগুলি দাঁড়াইতে পারিল না। পরিশেষে ঐ সকল ক্রিয়াকলাপ—অনুষ্ঠান ক্রমশঃ অধঃপতিত হইল। ঐগুলি এরূপ ঘৃনিত ভাব ধারণ করে যে, শ্রোতৃবর্গের নিকট আমি তাহা বলিতে অক্ষম।"

    "ইহাদের জন্য আমরা কি করিয়াছি? কেন তাহারা মুসলমান হইবেনা? আমি ইংলণ্ডেও এক সরলা বালিকার সম্বন্ধে শুনিয়াছিলাম, সে অসৎ পথে পদার্পণ করিবার—বেশ্যাবৃত্তি অবলম্বন করিবার পূর্বে এক সভ্রান্ত মহিলা তাহাকে উক্ত পথে যাইতে নিষেধ করেন। তাহাতে সেই বালিকা উত্তর দেয়, 'কেবল এই উপায়েই আমি লোকের 'সহানুভূতি পাইতে পারি। এখন আমায় কেহই সাহায্য করিবে না; কিন্তুআমি যদি পতিতা হই, তবে সেই দয়াবতী মহিলারা আসিয়া আমাকে তাঁহাদের গৃহে লইয়া যাইবেন, আমার জন্য সব করিবেন, কিন্তু তাঁহারা কিছুই করিবেন না। 'আমরা এখন তাহাদের জন্য কাঁদিতেছি, কিন্তু ইহার পূর্বে আমরা তাহাদের জন্য কি করিয়াছি ?" -- হিন্দুদের ইসলাম ধর্মগ্রহণ করাকে বেশ্যাবৃত্তির সাথে তুলনা করায় অবশ্যই অনেক হিন্দু উল্লসিত হতে পারেন, কিন্তু তাতে বিবেকানন্দের উক্তিটিকে অসাম্প্রদায়িক বানিয়ে দেওয়া যাবেনা। ঠিক যেমন এই কথাটিও - ‘কোন লোক হিন্দু সমাজ ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে সমাজে শুধু যে একটি লোক কম পড়ে তা নয়। একটি করে শত্রু বৃদ্ধি হয়’ -- সে আপনি যে কন্টেক্সটেই রাখেন না কেন আর যতই ওঁকারোপসনা করেন না কেন।
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৭:২১513629
  • কালা কে কালা, কানা কে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলে উল্লেখ করলে, মুখের ওপর বা ব্যক্তিগত আলাপচারীতায়, অপমান তো করা হয়ই। স্পিরিচুয়ালি চ্যালেঞ্জড বলা উচিত ছিল। কোদাল বা স্পেড সম্পর্কে জানিনা। ভাষা ব্যবহারের পকা থেকেই না চিন্তার দৈন্য প্রকট হয়ে পড়ে।
  • C | 161.141.84.239 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ২০:২৫513630
  • এতক্ষণের এত আলোচনায় সবচেয়ে প্রাণ জুড়ানো ঘটনা একটা পেলাম, ৯০ বছর বয়সে একজন মহিলা প্রাণ ভরে নাচছেন। খুবই ভালো লাগলো, সাহস বেড়ে গেল। মানুষ পারে, পারে, পারে। ঃ-)
  • b | 135.20.82.166 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ২১:০৮513631
  • /\ Date:26 Jul 2013 -- 05:21 PM কনটেক্স্টটা কিসের?
  • b | 135.20.82.166 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ২১:১২513632
  • @দীপঃ ওটাকে তো আত্মসমালোচনা (বিশেষ করে উঁচু জাতের হিন্দুর নাক উঁচুপনা-র) বলে মনে হল, ঠিক বেশ্যাবৃত্তির সাথে তুলনা করতে চেয়েছেন কি?
  • bip | 78.33.140.55 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ২১:৫২513633
  • এইরূপে বৌদ্ধধর্ম বিস্তার লাভ করে। এই-সকল বড় বড় মন্দির ও ক্রিয়াকলাপের সহিত সংগ্রামে গৃহে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র হোমকুণ্ডগুলি দাঁড়াইতে পারিল না।
    >>>
    এটা বিবেকানন্দর লেখা একটা হোয়াইট লাই। হয় ভারতের ইতিহাস নিয়ে তখনো অনেক তথ্য অজানা ছিল তার কাছে বা জেনে শুনে খুব ভুল কথা লিখেছেন।

    ভারতের অধিকাংশ মানুষ বৈদিক, বৌদ্ধ, জৈন, সাংখ্য এসব কিছু ছিল না । কিছু বৈদিক আচার আচরন ছিল উত্তরে। কিন্ত আসুমদ্র হিমাচলে বৈদিক আচরন সর্বত্র চালু ছিল নয়া। আর আচরনটাই সার। মানুষের দার্শনিক খিদে বা জীবন জিজ্ঞাসা মেটাত স্থানীয় গুরুকুল বা সন্ন্যাসীরা যারা বৌদ্ধ, জৈন, বৈদিক, আরো অনেক কিছ হতে পারত।

    সম্রাট অশোকের সময়টা দেখি-যেসময় বৌদ্ধ ধর্ম ভারতের রাজধর্ম হিসাবে প্রকাশ পেল। সেই সময় শুধু বণিক কুল বৌদ্ধ ধর্মের অনুগামী ছিল। সম্রাট অশোক কী জোর করে সবাই কে বৌদ্ধ বানিয়েছিলেন? সেরকম কিছু হয় নি। প্রজারাও বৌদ্ধ হয় নি। শুধু ব্রাহ্মণরা রাজানুগ্রহ হারিয়েছিলেন। এবং সেটা তারা হারিয়েছিলেন বিন্দুসারের সময় থেকেই। একটা বড় কারন হচ্ছে চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন শুদ্র-শুদ্রের শাসনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণকুল খুশী ছিলেন নয়া। বিন্দুসার যখন মৃত্যুশয্যায় সেই সুযোগ এল। সুশমা এবং অশোকের মধ্যে সিংহাসন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। বৈদিক মন্ত্রীরা সুশমার পক্ষে ছিলেন-কিন্ত বণিকেরা যারা বৌদ্ধ তারা অশোকের পক্ষে। বৈদিক কুলের অশোকের বিরুদ্ধে যাওউয়ারা কারন, উজ্জয়নির ক্ষত্রপ থাকার সময় যুবরাজ অশোক বৌদ্ধদের বিশাল জমি দান করেন স্তুপ নির্মানের জন্য। অশোক বৌদ্ধদের মধ্য থেকে স্ত্রী ও গ্রহণ করেন। ফলে ব্রাহ্মনেরা সম্পূর্ন ভাবে অশোকের বিরুদ্ধে গিয়ে সুশমার পক্ষ্বে যোগ দেয়। কিন্ত সুশমাকে অশোক হত্যা করেছিলেন। তবে তাকে সাহায্য করার জন্য ব্রাহ্মনদের তিনি ভাল চোখে দেখতেন না। রাষ্ট্র থেকে ব্রাহ্মণরা যা জমি জমা পেত, সব বৌদ্ধদের হাতে চলে যায়।

    তার মানে এই না-জন সাধারন বৌদ্ধ হয়েগেল। কিন্ত অশোকের সম্রাজ্যে জাতিভেদ নিশিদ্ধ হয়। সবার জন্য শিক্ষা চালু করার চেষ্টা হয়। সব প্রজাকে সমান বলে ঘোষনা করা হয়। এর পর কোন হালার লোক, বৈদিক ধর্মে ফিরবে, যেখানে জাতিভেদের আস্তাকলে পড়তে হবে? ফলে, রাজানুগ্রহ পেতেই সবাই বৈদিক ধর্ম ছেরে, বৌদ্ধ ধর্মে আসে। বণিকরা আগে থেকেই বৌদ্ধ ছিল।

    ওপরের বক্তব্যে প্রমানিত বিবেকানন্দ স্বীকার করতে চাননি জাতিভেদের জন্য লোকে বৌদ্ধ ধর্মে গেছে।

    এটা ভীষন বড় রকমের ইন্টেলেচুয়াল ডিসহনেস্টি। উনার স্বীকার করা উচিৎ ছিল বৈদিক ধর্মের জাতিভেদ কুপ্রথার কারনে লোকে বৌদ্ধ হয়। কিন্ত হিঁদু ধর্ম নিয়ে উনি নেগেটিভ কথা বলতে চাইতেন না বিশেষ।
  • দীপ | 212.142.113.246 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ২২:০২513634
  • দুখে,
    মুলারের সম্পর্কচ্ছেদ নিয়ে তো আগেই লেখালিখি হল। বেলুড় মঠের জমি মুলারের টাকায় কেনা। ১৮৯৮ সালে মঠ তৈরির কাজ শুরু হয়। এর কিছুদিন পরেই মুলার ইংল্যান্ডে ফিরে যান ও ভারতীয় কাজের জন্য দেওয়া অর্থে মঠে আরামপ্রদ ঘর তৈরি হচ্ছে এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

    ম্যাক্লিয়ড সাহেবা ১৯০২ সালে বিবেকানন্দের নিজের জন্য এককালীন ২০০ ডলার এবং মাসিক ৫০ ডলার করে সাহায্য মঞ্জুর করেন। স্বামীজি নিজের আর্থিক দুরবস্থার কথা জানাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়। বুড়ি ভালবেসেই দিয়েছেন, কিন্তু টাকাটা স্বামীর ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য।
    (I saw Swami off and on all that year. One day in April he said, "I have nothing in the world, I haven't a penny to myself. I have given away everything that has ever been given to me." I said, "Swami, I will give you fifty dollars a month as long as you live." He thought a minute and then he said, "Can I live on that?" "Yes, O yes," I said, "but perhaps you cannot have cream." I gave him then two hundred dollars, but before the four months were passed he had gone. -- Reminiscences of Swami Vivekananda, পৃঃ ২৪৮-২৪৯)।

    আমেরিকান শিষ্য সেভিয়ার সাহেব স্বামীজির 'পরিবারের জন্য' ৬০০০ টাকা দান পাঠান। (Swami Vivekananda's Second Visit to the West, Burke, পৃঃ ৫১৬)

    ওলি বুল টাকা দিয়েছেন বেলুড় মঠের জন্য (Mrs. Ole Bull had given several thousand dollars to found the monastery - ম্যাক্লিয়ড, পূর্বোক্ত)। সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই। এছাড়া বুলের কাছে ১০০০ ডলার চেয়েছেন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, মায়ের জন্য।
    It is becoming clearer to me that I lay down all the concerns of the Math and for a time go back to my mother. She has suffered much through me. I must try to smooth her last days. Do you know, this was just exactly what the great Shankarâchârya himself had to do! He had to go back to his mother in the last few days of her life! I accept it, I am resigned. I am calmer than ever. The only difficulty is the financial part. Well, the Indian people owe something. I will try Madras and a few other friends in India. Anyhow, I must try, as I have forebodings that my mother has not very many years to live. Then again, this is coming to me as the greatest of all sacrifices to make, the sacrifice of ambition, of leadership, of fame. I am resigned and must do the penance. The one thousand dollars with Mr. Leggett and if a little more is collected, will be enough to fall back upon in case of need. Will you send me back to India? (পত্রাবলী, ১৭ই জানুঃ ১৯০০)

    ১৮৯৫ সালে রামকৃষ্ণানন্দকে লিখেছেন যেন তাঁর নামে জমি কেনা হয়। টাকাপয়সা তিনি আমেরিকা থেকে তোলার ব্যবস্থা করবেন। (পত্রাবলী)। (বেলুড় মঠের জমি বিবেকানন্দের ব্যক্তিগত নামে কেনা হয়, যা নিয়ে পরে বালী পুরসভার বাগানবাড়ি মামলা)। ১৮৯৮ তে ক্ষেত্রীর মহারাজার কাছে ১০,০০০ টাকা চেয়েছেন। রাজাকে চিঠিতে জানিয়েছেন, 'কেবলমাত্র আপনার কাছেই আমি নিঃসঙ্কোচে চাইতে পারি।' (১লা মার্চ ১৮৯৮ ও ২২শে নভেম্বর লেখা চিঠি, Swami Vivekananda: A Forgotten Chapter of His Life, Benishankar Sharma)

    আপনারা বলবেন, আরে মশাই প্রতিষ্ঠান চালাতে তো টাকা লাগে। নাহয় কিছু বড়লোক দু-চার পয়সা দানছত্র করল, তাতে হয়েছেটা কি? আল্টিমেটলি তো মানুষের কাজেই লেগেছে। তা ঠিক, বেশিরভাগটাই মঠ-মিশনের কাজে লেগেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টাকা চাওয়াটা সন্ন্যাসী জীবনের আদর্শবিরোধী। আর তাছাড়া নিজেই গাল ফুলিয়ে মিসেস বুলকে এক চিঠিতে লিখে গ্যাছেন, 'মনুর মতে, সন্ন্যাসীর পক্ষে সৎকাজের জন্যও অর্থসংগ্রহ ভাল নয়। প্রাচীন ঋষিরা যা বলে গ্যাছেন, তাহাই যথার্থ।'
  • দীপ | 212.142.113.246 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৫513635
  • b :26 Jul 2013 -- 09:12 PM
    অবশ্যই আত্মসমালোচনা, কিন্তু তুলনাটা মানসিকতার পরিচায়ক।
  • Mridha | 183.36.196.6 | ২৭ জুলাই ২০১৩ ০৪:৩০513637
  • বাঃ টাইটা আবার গতি পেয়ে গেছে, নিজের পড়াশুনা কম। টাই এর কল্যানে বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দর জীবনের অনেক ঘটনা জানা হল। দুজনেরই একটা different সময়ে, অন্যরকম সমাজিক অবস্থায় সময় কটিয়েছেন তাদের কাজকর্মের comparetive study করে, ভালো মন্দর judge bench এ বসার সাহস করিনা।

    তবে, আজকের দিনে আমার নিজের চলার ( মনে হয় খুব সহজ সরল নয়) পথে, বিদ্যাসাগরের ভালো পথে থাকার শিক্ষার থেকে, বিবেকানন্দর আত্মবিশ্বসি হবার কথা মনে অনেক বেশি সাড়া দেয়। সেই খানেই বিবেকানন্দকে ভলো লাগার জায়্গটা, যেটা মুখচোরা Sidhu কে public speaker বানিয়ে দিতে পারে, সেখানেই এই চরিত্রটার সফল্য, আমার মনে হয়।

    আর ধর্ম জিনিসটা, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বা বিবুদা Ramkrishna প্রচরিত ধর্ম এই সবের বইরেও কিছু হতে পারে। Anjan Dutta র একটা সিনেমার কথা মনে পড়্ছে। এই গুলো তো politics। সেই ভাবে ধর্ম না মানারও তো একটা ধর্মিয় দল হয়ে যায় নাকি।

    দীপ এর সথে এই ব্যাপারে অমি একমত, ধর্ম জিনিসটা একান্ত ব্যক্তিগত, তার বাইরে গেলে politics আসবেই, সেই একান্ত ব্যক্তিগত জায়গায় আমরা নিজেকে দিয়ে অন্যকে যখন বুঝতে পারি, তখন হয়তো সব একই মনে হয়। সেখানেই হয়তো নানা পথ এক জায়্গায় এসে মেসে।
  • dukhe | 127.194.232.144 | ২৭ জুলাই ২০১৩ ০৯:০৬513638
  • স্পিরিচুয়ালি চ্যালেঞ্জডদের কী বলা উচিত ও নিয়ে কথা বাড়াচ্ছি না। নিজেদের সম্পর্কে ঈশ্বরানুভূতির সাট্টিফিকেট আশা করলে বিবুদার চলন বাঁকা লাগবেই।
    তোষামোদের অভিযোগ প্রত্যাহৃত হল কি?
    বিবুদা নিজেও জানতেন সন্ন্যাসজীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ ধ্যানজপ আর মাধুকরী। তা নিয়ে উনি থাকতেই পারতেন, কিন্তু তাহলে আমরা একজন বিবেকানন্দ পেতাম না যাঁকে দেশের সমস্যা নিয়ে ভাবতে হয়, সঙ্ঘ গড়তে হয়, অর্থের জোগাড় করতে 'কুবেরের দেশে' যেতে হয়। দীপের ত্রৈলঙ্গস্বামী কি পওহারী বাবা মডেল বিবুদা মডেলের চেয়ে বেটার লাগতেই পারে (বিবুদার গুরুভাইরাও একসময় বুঝতে পারেননি সন্ন্যাসীরা এসব করবে কেন) - সে যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ। এসব না হ'লে, ঐ কঠোর 'অনাবশ্যক' পরিশ্রম না হ'লে হয়তো স্বাস্থ্য এত তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়ত না। বিবুদার মাতৃদায় ছিল, যার জন্য পারিবারিক মামলা লড়তে হয়েছিল, খুড়ির সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয়েছিল - ধ্যানস্বরূপ হয়েও বারবার সংসার-তিক্ততায় জড়াতে হয়েছিল - এসব গোপন কিছু নয়। এইসবই বিবুদাকে আমার কাছে এট্টু বেশি প্রিয় ক'রে তোলে আর দীপের কাছে অপ্রিয় - তার আর কী করা যাবে?
    "তোরা তো দেখেছিস - খেতে পাইনি, তার উপর খাটুনি। বাপ, কতই না খেটেছি। আজ আমেরিকানরা ভালবেসে এই দেখ কেমন খাট বিছানা গদি দিয়েছে, দুটো খেতেও পাচ্ছি। কিন্তু ভাই, ভোগ আমার অদৃষ্টে নেই। গদিতে শুলেই রোগ বাড়ে, হাঁপিয়ে মরি। আবার মেজেয় এসে পড়ি, তবে বাঁচি।"
  • dukhe | 127.194.232.144 | ২৭ জুলাই ২০১৩ ০৯:২০513640
  • শ্রীরামকৃষ্ণের শবযাত্রায় "হিন্দু ধর্মের চিত্র ত্রিশূল ও ওঁকার, বুদ্ধধর্মের খুন্তি, মোহম্মদীয় ধর্মের অর্ধচন্দ্র, খ্রীস্ট ধর্মের ক্রুশ - এ সকল চিহ্নে চিহ্নিত পতাকা সর্বাগ্রে বাহিত হইয়াছিল" - এটা কি minority appeasing এর আরেক কৌশল হিসেবে ধরা যেতে পারে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন