এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের হাতের রান্না

    Sumit Roy
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০১২ | ৩৮৭৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৩536699
  • এই তো ঝিকি ঠিক কথা বলেছে। আমি তো তাদেরই কথা বলছি যারা নিজেদের মধ্যে প্ল্যান করে কাজ ভাগ করে নেয়। স্খানে কে কি ক্রল সেটা কি খুব ইম্পর্ট্যান্ট?
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৪536701
  • মুশাইয়া আকার পাশের বাড়িতে থাকত। সেটা একটা বস্তিবাড়ি ছিল। এখন সাপের বাসা। মুশাইয়া এবঙ্গ মুশাইয়ার বাবা কোনো কপ্লিত চরিত্র নয়।
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৭536703
  • আকা, অন অ সিরিয়াস নোট, আমি সত্যিই মুশাইরার বাবার মতন আরো অনেক বাবাদের কথা শুনতে চাই।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৭536702
  • হচ্ছে মায়েদের কথা, চলে এল গুরুকুলের বৌদের কথা। হচ্ছে সারাজীবন রান্নাঘরে বন্দী থাকার কথা, চলে এল ট্রেনের টিকিট কনফার্ম করার কথা। এর পরে আসবে কে কার দু:খে গলে গিয়ে কাকে কবে আমসত্ত খাইয়েছিল, টেনিদার বই পড়তে দিয়েছিল, অথচ প্রতিদানে আরেকজন কিছুই করে নি .... ইত্যাদি ইত্যাদি।

    গরু রচনায় আমার মনোপলি নেই দেখছি!!!
    :-((

  • Lama | 117.194.228.196 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৮536704
  • ক্যানো, আমিই তো এক দু:খী পরাধীন বাবা
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৯536706
  • মুশাইয়া লিখতে জানে না, কথাটা লিখে আপনিই বিপদে পড়লেন...... সত্যি যে মেয়ের বাবা দীন মজুর সে ঠিকঠক দু-বেলা খাবার-ই পায় না তো লেখাপড়া!
    অথচ তার দাদা মুনুয়া ঠিক স্কুলে যায়। দু-একটা পাশ দিয়ে একটু বাবু শ্রেনী তে চলে আসে, হয়ত সুপারভাইজার হয়........
    কিন্তু মুশাইয়ার সেই ১৪ বছরে বিয়ে আর ১৫ বছরে বাচ্চা....... হয়ত মুশাইয়ার মেয়েও দেখে তার বাবা উঁচু ভারার ওপর কাজ করছে....

  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৯536705
  • আকাকে সেসব জিজ্ঞেস করে লজ্জা দিচ্ছিস কেন ব্যাং? আকার স্যাম্পেল সাইজ এক।
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩০536708
  • কেন চা করার গল্পে গুরুর বৌদের একমাত্র মনোপলি নাকি? একটা চা করার গল্প বললে চারটে টিকিট কাটার গল্প আসতেই পারে।
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩০536707
  • ঝিকির ৯:২৯য়ে কয়ে ক্ক দিলাম।
  • generic letter | 71.182.165.119 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৩536711
  • আকা - আপনর কথা এক অর্থে ঠিক, পুরুষদের উপরেও পুরুষ হয়ে ওঠার বিরাট চাপ। অর্থাৎ স্বাধীন আমরা কেউই নই। রাজমিস্ত্রীর কাজ রান্নার থেকে কম কঠিন নয়। বুঝলাম,

    কিন্তু আসল প্রবলেমটা কোথায় জানেন? এমনকি ফেয়ার ফ্যামিলিতেও, যখন কর্তা-গিন্নীর ইচ্ছের একটা দ্বন্দ্ব, বা ইন্টারেস্টের একটা কনফ্লিক্ট এসে উপস্থিত হয়, তখন কত্তার কথাই থাকে,
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৩536710
  • রিমি, বুঝলাম। :-)) আকাকে লজ্জায় ফেলতে চাই না। আকা নাহয় আমার ট্রেনজার্নি সম্পর্কিত পোস্টটা নিয়েই ""চাট্টি গালি'' দিক, সেটা তো সিলেবাসের ভিতরে! অমন একটা সুইপিং কমেন্ট করলাম, সে কি অম্নি মাঠে মারা যাবে!!
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৫536712
  • বললাম যে এদের কথা শুধু ধারণা করে লেখা সম্ভব নয়।

    মুশাইয়া বাই দা ওয়ে ছেলে। সে। স্কুলে যায় নি, তার ভাই রামাইয়াও স্কুলে যায় নি। তাদের পাশের বাড়ির রীণা স্কুলে গিয়েছিল। কারণ রীণার দাদাদের চালের ব্যবসা ছিল। রীণা ক্লাস ফোর পাশ করেছিল। তারপর আর পড়াশুনো করে নি। এক্সময়ে বিয়ে হয়। রীণা মুশাইয়া বা রামাইয়ার থেকে ভালো ছিল।

    সে যা হোক কথা তো চলছিল মুশাইয়ার মার রান্নাঘর ভার্সেস মুশাইয়ার বাবার চিমনি চড়া।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৭536713
  • আকা!!!!!!!!!!!!!!!!!!

    না: এবারে মুখ খুলতেই হয়।
    চা করার ব্যপারটা ছিল হুকুম। তাও কোনো কাছের বন্ধুর থেকে নয়।

    আর টিকিট কনফার্ম করার কাজটা তোদের হুকুম করা হয় নি। তোরা ভালোবেসে করেছিলি, খুব ক্লোজ বন্ধুদের জন্যে, প্রেমিকার জন্যে।

    কিন্তু মনে করে দেখ, মেসে, একটি মেয়ে খেতে বসে আরেকটি ছেলেকে নুনের কৌটো এনে দিতে বলায় ছেলেটি অপমানিত বোধ করেছিল। ঐ মেয়েটির হুকুম করা স্বভাব অনেক ছেলেই পছন্দ করত না।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪২536714
  • উফ্‌ফ মুশাইয়ার সঙ্গে রিনার তুলনাটা যা হল না!!! একদম ক্লাসিক।

    যাক, মুশাইয়া টুশাইয়া রিনা ফিনা বাদ্দাও, ঐসব ব্যক্তিগত রেফারেন্সে অনেক ফাঁক ফোকর থাকে।

    এমন একটা সত্যি ঘটনা বল যেখানে সদ্যোজাত শিশুকে মেয়ে না হয়ে ছেলে হয়েছে বলে মেরে ফেলা হয়েছে?

    এমন একটি বাংলা গল্প, উপন্যাস বা অটোবায়োগ্রাফির কথা বলো যেখানে একটি মেয়েকে সে মেয়ে বলেই আর ভাই বা দাদার তুলনায় বেশি যত্ন করা হয়েছে। আর ভাইকে দুচ্ছাই করা হয়েছে সে ছেলে বলে।

    এমন একটা বাংলা সাহিত্য বলো যেখানে একটি মেয়ের শিক্ষার পিছনে তার ভাইদের থেকে বেশি খরচ করা হয়েছে। কিম্বা ভাইদের থেকে বেশি স্বাধীনতা, বেশি সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৩536715
  • ভালোবেসেই করে থাক অথবা খারাপ বেসে। মেয়েরা যদি তোদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল টিকিট কনফার্ম করার কাজ, তোদের আপত্তি সঙ্কেÄও করেছিলি কেন? মেয়েদের নিজেদের টিকিট নিজেদের কাটতে বলার সাহস ছিল না? সাহস কথাটা বোল্ড এবং আন্ডারলাইনড। ঝিকিকে চা করতে বলা হলেও শেষ অব্দি ঝিকি করে নি, বাইরে থেকে এসেছিল এবং এইরকম বিদ্‌ঘুটে মানসিকতাওয়ালা লোকদের সংস্রব অচিরেই ত্যাগ করেছিল ঝিকি। কোনো তফাত চোখে পড়ছে না তোর দুটো ঘটনায়? কেমন করে একটা চা করার গল্পে চারটে টিকিট কাটার গল্প আসছে এক্ষেত্রে?
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৫536716
  • আবার মায়ের হাতের রান্নায় ফেরত আসছি -
    স্বাদের কথা মাথায় রাখলে আমার মায়ের রান্নার ওপর আমি কোন বাঙালী রান্নাকেই বসাতে পারি না...... আজ অবধি কোন বাঙালী রেস্টুরেন্টে আমি নিজের পয়সায় খেতে যাই নি ( ভ মা, ও ক্যা ইত্যাদি)...... ওসব জায়গায় খেলেই মনে হয় আমার মায়ের যদি একটু উদ্যোগী মনোভাব থাকত!

    আমার মা অবশ্য সেই শ্রেনী ভুক্ত যারা স্বামীর পুরো রোজগারটা নিজের সম্পত্তি মনে করে আর মেয়েদের বাইরে চাকরী করাটা পারিবারিক দারিদ্রের লক্ষ্মণ মনে করে!
  • Lama | 117.194.228.196 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৮536717
  • আমাদের বাড়িতে আমার খুড়তুতো বোনের সাত খুন মাপ ছিল মেয়ে বলে। আর আমাদের চার ভাইয়ের পান থেকে চুন খসলেই উদুম শাসন। হুতো অবশ্য ছোট বলে বেঁচে যেত।
  • Lama | 117.194.228.196 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৯536719
  • অ্যাজ ফার অ্যাজ রান্না ইজ কনসার্নড, ও ব্যাপারে আমার বৌ আমাকে গুরু মানে।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৯536718
  • গুড পয়েন ব্যাং। এই জন্যেই ব্যাং না থাকলে এসব ঝগড়া জমে না।

    ঠিক কথা, করেছিলি কেন টিকিট কনফার্ম? করে টরে এখন কান্নাকাটি হচ্ছে।
    চা করার (অর্থাৎ না করার) গল্পটা বীরত্বের গল্প। আর টিকিট কাটারটা?
    ভেউ ভেউ মিউ মিউ :D
  • Lama | 117.194.228.196 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫০536723
  • অ্যাজ ফার ইজ চিমনি ইজ কনসার্নড, ও আমি অনেক চড়িচি
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫০536722
  • ইয়েস ক্লাইস্ক, কারণ সামান্য আয়ের তারতম্যেই ইকোয়েশনগুলো অনেক বদলে যায়। তাই প্রিভিলেজড ক্লাসের রান্না দু:খ বিলাসিতা এবঙ্গ কন্যাভ্রূণঅত্যা এক জায়গায় মেলানো গেলে আপ্ল ও কমলালেবু ও একই ফলের দুই নাম হইত।

    ব্যাঙ্গ, প্রতিবাদ করব কেন? দিব্যি ভালোবেসেই করেছিলাম। কেমন বেশ এমপাওয়ার্ড লেগেছিল। মাইরি। :)

    বলার এটুকুই যে এমন মাও আছেন যারা রান্না করেঅও একই রকম এমপাওয়ার্ড ফিল করেন। সেইক্ষেত্রে শুধু সেই ক্ষেত্রেই কে কোথায় কি করছে তেমন বড় ইস্যু নয়। আমার প্রথম পোস্ট পড়ে দেখ,
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫০536721
  • অ লামা, ব্যক্তিগত রেফারেন্স নয়। সাহিত্য চাই অথব সিনিমা।

    আম্রিগা হলে স্টাডি দিতে বলতাম। ভারত কি না, তাই সাহিত্য বা সিনেমার কথা জিগাচ্ছি। বুইলে???
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫১536724
  • আরে সে তো আকাও আমার থেকে ঢের ভালো রান্না করে। ঢের বেশি রান্নাও করে। কিন্তু আমাদের কথা তো হচ্ছেই না।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫৩536725
  • প্রথম পোস্ট যথেষ্ট ভালোভাবেই পড়েছি।

    এমপাওয়ার্ড মহিলা যিনি অন্যান্য অপশান থাকা সঙ্কেÄও নিজের ইচ্ছেয় রান্না করেন, যেমন S, তাদের কথা এখানে হয়ই নি।

    শংকুর পোস্টগুলো পড়ে দেখ বরম।
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫৪536726
  • কি জ্বালা শন্‌কুর পোস্ট কে ডিফেণ্‌দ করল? আমি তো নিনের কথা কইছিলাম।
  • Du | 117.194.194.142 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১১:৫৮536727
  • আরে মায়ের হাতের রান্না মানে মায়ের হাতের রান্না। আমার ঐ রেডি টু মেক চকোলেট কেককে নিয়েই মাদার্স ডে কার্ডে লিখতো আমার ছেলে। সুমিতবাবু লিখেই দিয়েছেন ও তো শুধু স্বাদ নয় - ও এই পৃথিবীকে ভালবাসতে শেখার সেই দিনগুলোর একটা ভীষণ মিষ্টি উপকরন।

    এই মা দিদিমাও হতে পারেন বা পিসিমা। কখনো বাবাও ( আমার মামাতো ভাইবোনেরা সবাই ভাউচ করবে)

    অন্যরকম মা কে নিয়ে অন্য স্মৃতিচারণ হোক না কেন। তুলনায় কাজ নেই। এ একটা অন্যরকম মানুষ যারা নি:শেষে দিয়েছে নিজেকে , খুশিও হয়েছে নিশ্চয়ই (আমার দিদা জিগাতেন তোরা অত ভুর (বোর) হস কেন আমি তো বুঝতেই পারি না) আমার মা ঠিক এই মা ছিলেন না, টীচার ছিলেন কিন্তু মনে করতে পারি তা না হলেও খুব একটা ঘোর সংসারী হতেন না, একটু ভোলামন, সরভাজা বসিয়ে বই পড়তে গিয়ে পুড়িয়েই ফেলতেন, কিন্তু তাঁর মতো রোগীর সেবা করতে আমি কাউকে দেখি নি। আর ছোটখাটো জিনিষ ( যেমন বিয়েবাড়িতে একজন আত্মীয়ের জন্য কাঁচকলার ঝোল রাধা জিয়ল মাছ দিয়ে) খেয়াল করতেন অন্তর দিয়ে।
    তাই মায়েরা তো মা-ই হাজার রকম রূপে।
    কিন্তু এই যে স্পীশিস, যারা এতটাই আনন্দ নিয়ে চারপাশের লোকজনের জীবনটা মাধুর্যে ভরে দিয়েছেন , সবটা সামলেছেন অক্লান্ত ধৈর্যে তাঁদের জন্য একটু তো ফাঁকা হয়েই যাবে পৃথিবীর এই নানা রঙের বাগান। অন্তত: যারা এঁদের দেখেছি তাদের কাছে।

    পরিশেষে : সেই স্পেশাল রান্নাগুলো ছেলে বা মেয়ে যেই হই সুযোগ পেলে শিখে নেওয়া ভালো, বহুত ভালো জিনিষ ওগুলো, রেসিপির রান্নায় বাড়ির ধারাগুলো আর থাকে না, যেমন টিভি দেখে আমাদের বাচ্চারা আমাদের মতন কথা না বলে সবাই একরকম কথা বলে, টিভির মতন :)
  • shrabani | 117.239.15.27 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১২:২২536728
  • মায়ের হাতের রান্না তো শুধু রান্না নয়, কতগুলো খাবারের নামও নয়, রেসিপী নয়, সে অনেককিছু, অন্য অনেক অনেক কিছু, যার কোনো বিকল্প হয় না।
    আসল রান্নাটা সেখানে তাই অন্যের চোখে অনেকসময় সাধারণ হয়ে যায়, মুসুরির ডাল, ডিমসেদ্ধ ভাত....ফলার মাখাও হতে পারে, রান্নার হিসেবে হয়ত বা অকিঞ্চিতকর নাম সব!
    তাই সেই অন্য অনেককিছুকে আলাদা করে শুধু রান্নাটা কে বড় করে দেখতে চাইলে এর হিসেব হয় না!
    ছেলেমেয়েরা যে যুগেই হোক না কেন মায়ের হাতের কোনো না কোনো স্মৃতি নিজের মত করে নিজের করে নেবে, নিজের জন্যে রেখে দেবে,সে মা কিভাবে কোন রান্নাঘরে রান্না করল বা আদৌ কিছু করল কিনা, তাতে কিছু এসে যাবেনা।
  • titli | 121.241.218.132 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৫536729
  • একটু লিখি। খুব অবাক লাগছে। এই আলোচনা করাটা এখনো আমাদের মত লোকজনের জন্য দরকার এটা কখনই মনে হয় নি।

    আমরা মাঝে মাঝেই দল বেঁধে বেড়াতে যাই। ৩ টি মেয়ে এবং গোটা ৫ ছেলে। টিকেট কাটা থেকে , ঘর বুক করা, ট্রাভেল এজেন্ট, সবকিছু করে মেয়েরা। আর যাওয়ার সময় থেকে ফেরা অবধি খাওয়াদাওয়া সবের দায়িত্বে ছেলেরা। এই টই টা পড়ে আমার মনে হল যে আমরা এমন করি। আর এটা নিয়ে একবার ও আমাদের কারো কিছু মনে ই হয় নি।

    আমার খুব কাছের একটি পরিবারে ছেলেটির মা সবসময় কাজের দিদি না এলে তার ছেলেকে দিয়ে বাসন মাজাতেন, কারণ তাঁর ছেলের বৌ এর নরম হাত নষ্ট হয়ে যাবে। আর যেকোনো আর্থিক পরামর্শ তিনি তাঁর পুত্রবধূর কাছ থেকেই নিতেন , কারণ সে নাকি ঠান্ডা মাথা।
    তাই, এগুলো মনে হয় একদম নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। কেউ কেউ বাধা টা ভাঙ্গতে পেরে যান। তাদের বিন্দুমাত্র সমস্যা হয় না।

    আর যারা নিজেরা পারছেন না, তারাও বাধ্য হবেন। দিন তো বদলাচ্ছেই। মা মানেই রান্নঘর নয়, এটা আমরা শিখে গেছি। কেউ কেউ দেরিতে হলেও শেষমেষ শিখে যাবেন।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০০536730
  • আর রান্না অত্যন্ত সহজ কাজ। ভাত ছারা আর সব কিছু মিনিট ৫ এর মধ্যে হয়ে জায়। ভাতই যা আধ ঘন্টা লাগে।
  • sayan | 160.83.96.83 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৪:০৫536732
  • মায়ের হাতের রান্না কথাটায় একম কিছু আছে যেটা পৃথিবীর অন্য যে কোনও সুখাদ্যের আড়ম্বর ফেলে উল্টোপানে দৌড়োতে বাধ্য করে। আমাদের মতন হতভাগ্য যাদের দু'বেলা ঘর-কা-খানা মেলে না, আমরা যারা হাত পুড়িয়ে হস্টেলবাসের পরবর্তী দিনগুলো থেকে প্রথম খুন্তি ধরা শিখি, যারা লুচির ময়দায় নুন দিতে ভুলে যাই ও অটোম্যাটিক্যালি ফুলকপির তরকারিতে নুনের আতিশয্য সেটা ব্যালান্স করে দেয় তাদের কাছে পুরনো স্বাদের একবাটি চাপ মসুর ডাল, গরম ভাত আর আলুভাজা এখনও অর্ধেক পৃথিবী। বাকি অর্ধেকটা খাওয়ার স্মৃতিচারণ। টিভিতে, রেসিপির বইয়ে সঞ্জীব কপুরেরা হাজার বকমবকম করে গেলেও নতুন কোনও "ডিশ' বানানোর সময় কানে-ফোনে-মা চিরকাল অপরিহার্য ছিলেন, থাকবেনও। তবু প্রথম গরাস মেখে মুখে তুলে মনে হয় কিচ্ছু হয় নি, সেই স্বাদটাই নেই! আসলে মায়েদের হাতে ম্যাজিক থাকে। কড়াইয়ের উপরে জাদুর ছড়ি একবার ঘুরিয়ে দিলেই স্বাদ-বর্ণ-সুবাস সব নিজের নিজের জায়গায় নিজেরাই চলে আসে। সে আমরা যতই আদা রসুন বেটে না-দেওয়ার থেকে ঘষে দিতে শিখি না কেন। আমরা যারা পেটুক বলে কুখ্যাত, আমাদের যাদের ভাতের থালায় কমপক্ষে তিনটে পদ চাইই, আমাদের মুখ চেয়ে সেই আমাদের পরিতৃপ্ত মুখে "রান্না ভালো হয়েছে'র অপেক্ষিত উত্তর শুনে আমাদের মায়েরা আরও দুটো বেশী রান্না করেই ফেলেন, আমের চাটনিতে সর্ষে ফোড়নের সুবাস দ্বিগুণ হয়।

    আমাদের মায়েরা এভাবেই সব কিছু একা হাতে করে এসেছেন। এটা কর্তব্যবোধের চাইতে আরও অনেক বেশী কিছু। এখানে রান্নায় স্নেহ মিশে থাকে। পেটুক ভুখাপনের বাহানায় মায়ের সব কষ্টগুলো নজর-আন্দাজ করা আর হয়ে ওঠে না। কারণ আমরা পরবর্তীকালে জানবো ঘরছাড়া বাউন্ডুলে জিন্দগী আমাদের ঘাড় ধরে সব কিছু শিখিয়ে-পরিয়ে-রান্না করিয়ে নেবে। আমরা জানবো পেট ও পকেটের ক¾ট্রাডিক্টরি টানে "বাইরের' খাবার বেশীদিন খাওয়া যায় না এবং শীত-গ্রীষ্ম অগ্রাহ্য করে উনুনের সামনে দু'ঘন্টার বেশী দাঁড়ালে আমাদের মাথার যন্ত্রণা হয়। খেতে বসে ভাতের থালায় কখনও সখনও টপ টপ জল পড়লে আর মায়ের হাতের রান্না মিস করি না আমরা আর, বরম মনে হয় ওই মানুষগুলো কর্তব্য এবং স্নেহের দায়ে সারাটা জীবন কেমন মুখে কোনও অনিচ্ছা না প্রকাশ করে জীবনের সবচাইতে মূল্যবান দিনগুজরান করেছে। অপরাধী লাগে। খারাপও। ভাবি, সঙ্গে যদি থাকি, আর ঢুকতে দেবো না ওই মানুষগুলোকে রান্নাঘরে। সম্মুখে ভাতের থালা জুড়োয়। ঠেলে রেখে উঠে পড়তে পারি না, আমরা প্রতিটা কণা খুঁটে খেতে শিখি সেই প্রথম।

    সবাই সব শেখে না। কিছু শিক্ষা চিরকাল অধুরা রয়ে যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন