এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের হাতের রান্না

    Sumit Roy
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০১২ | ৩৮৭৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pepe | 165.91.215.154 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৩:০১536800
  • তাই বলে ৪-৫ দিন এর পুরোনো রান্না ও খাওয়া উচিত না :)
  • Tim | 198.82.20.103 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৩:০৬536801
  • কেন? ফিরিজে থাকে তো।
  • pepe | 165.91.215.154 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৩:০৯536802
  • আমার তো ২ দিন এর পরেই গন্দ লাগে! রোজ রান্না করি আর খাই ৭০ কেজির বপু কে বজায় রাখতে :))
  • Tim | 198.82.20.103 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৩:১৩536803
  • :-)

    আপাতত একটা মাছেরঝোল আছে। তিনপিস রুইমাছের টুকরো সেই কবে পটল তুলে হিমঘরে পড়েছিলো, সেইসব মাছ। শনিবারের রান্না করা, অবশ্য এখনও অমৃতর মত লাগছে খেতে।
  • Nina | 68.34.167.250 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৫:০৭536804
  • টবু টো টুই টোর মা না টিমি
  • SC | 63.131.47.67 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৫:৪৭536805
  • kk যা বললো, এই বিষয়টা নিয়ে আমি দীর্ঘক্ষণ চিন্তাভাবনা করেছি।অএ নিয়ে আমার একটা থিওরী আছে।
    সেটা বলার আগে বলি আজ কি হলো। সকাল সকাল আপিশ থেকে বেরোলাম, গুরুতে বকা টকা খেয়ে ডিসাইড করলাম না, আজ রান্না করবই। বুঝুন কান্ড, রোব্বার নয়, শুক্কুরবার নয়, ভর বুধবার। হাঁটি হাঁটি পা পা করে গ্রসারি স্টোরে গেলুম। আমার আবার ঐ ফল সবজি সেকশনটা চোখে পড়েনা। খুঁজেই পাইনা।
    গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ভাবলাম, লো ক্যালোরি, হেলথী ইত্যাদি। তাপ্পরে ভেবে টেবে ক্লান্ত হয়ে শেষে একটা বিফ স্টু এর মাংস কিনে নিয়ে এলাম। এবারে রান্না করতে যাবো।
    এবারে আমার থিওরিতে ফিরে আসি। এই যে আমি, বাড়িতে রান্না করলেই বেশীরভাগ সময়েই মাছ মাংস, নইলে লম্বা ডাল। সবজী তো রান্না করার মতো মোটিভেশনই খুঁজে পাইনা।অওটা এজন্মে হবে না ধরেই নিয়েছি। তাহলে বাড়িতে রান্না করে এরকম ডায়েট খাওয়া ভালো, নাকি সাবওয়েতে খাওয়া ভালো, যেখানে খেলে কিছু কাঁচা শাকসব্জী পেটে ঢুকবে।
    বাইরে খেয়ে শরীর ঠিক রাখাতে চাপ আছে সন্দেহ নেই। কিন্তু ঠিক জায়গা বাছতে পারলে আদ্দেক ম্যাচ কিন্তু পকেটে।
    ম্যাকডোনাল্ডসে খেলে আর দেখতে হবে না। কিন্তু বাইরে স্যান্ডইওচ স্যালাডে শাকসব্জী খাওয়া আমার মনেহয় বাড়িতে পদ্দিন শুধু ডাল ভাত বা মাঙস খাওয়ার থেকে ভালো।
    কম্রেড, নিজের ল্যাদকে জাস্টিফাই করার সবরকম থিওরি আগের থেকে ভাবা আছে। :)
  • kk | 107.3.243.18 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৫:৫৫536806
  • এস সি, ভাই, সাবওয়েতে খাও, কোন সমস্যা নেই। তাই বলে চিপোট্‌লে? কুইজনোজ?

    পেপে, আমিও রোজই রান্না করি তো।
  • Nina | 68.34.167.250 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৫:৫৮536807
  • কলি
    আজ আমি দারুণ কিনোয়া-পিলাফ করেছি--রেসিপি পেয়েছি ভাইপোর কাছে এই উইকেন্ডে -----খেতে খেতে তোর কথাই ভাবছিলুম :-)
  • Tim | 98.249.6.161 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৩৩536808
  • নীনাদি,
    :-)
  • Shanku | 14.99.180.94 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫০536810
  • ১১ তারিখ থেকে বাড়ীর বাইরে, তাই টইয়ে আস্তে পারিনি।
    সুমিতদার এত সুন্দর টইটায় এই বিশ্রী বিতর্কের নিমিত্ত হওয়ার জন্য আমি মরমে মরে যাচ্ছি। আমার কথা কেউ বুঝলো না।
    আবার বেরিয়ে যাবো, সব কথা বুঝিয়ে বলার টাইম নেই। শুধু কয়েকটা পয়েন্ট নোট করে জাই :
    (১) আমি কোন নারীবিদ্বেষী খলনায়ক নই।
    (২) আমি গুছিয়ে কথা বলতে পারি না।
    (৩) যারা বলেছেন, তাদের মায়ের রান্না ভালো নয়, বা ভালো লাগে না বা, বাইরে খাওয়া পছন্দ করেন, আমি তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো।
    (৪) আমার মা আমার জন্যে পরিশ্রম করে আনন্দ পান, না করতে দিলে কষ্ট পান। তোমরা এরকম মা তাহলে দেখ নি বোধহয়।
    (৫) তোমাদের এত কুৎসার পরেও আমি আমার মত পাল্টাতে পারলাম না। শুধু বুঝলাম, 'আমি বলার মত করে বলতে পারি নি।'
    (৬) যদি কখনো বলতে পারি অন্যত্র বলব, এই টইটাকে আর বিষাক্ত করবো না।
    (৭) বয়েসটা আমার আর ঠিক বালকোচিত চপলতার (যেমন মৌচাকে ঢিল মারা) নেই।
    (৮) আর বিয়ে? এই বছর সিল্‌ব্‌হার জুবিলি গেল।

    ব্যাস, আবার পরে কথা হবে। সুমিতদাকে আর একবার সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করলাম।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১১:৫৮536811
  • শঙ্কু, অত সিরিয়াস হয়েন না। এসব তো এট্টু আড্ডা-আড্ডা খেলা বৈ কিছু নয়।
    এককালে মর‌্যাল ফ্যাশন ছিল এরকম - বাড়ির বৌ রোজগার করবে কী হে ?

    আমরা কি খেতে পাই না ? আবার এখনকার ফ্যাশন হল - চাকরিবাকরি করে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই যদি না পেলে তো জীবনই বৃথা, বরের টাকা তো আর নিজের না।
    আবার ধরুন - একদা মনে করা হত - স্বার্থত্যাগ কর, পরিশ্রম কর, ছেলেমেয়েরা চোখের সামনে দেখে সেসব শিখবে। কিন্তু এখন ধারণা - ছেলেপুলেকে কাজ করাও, করতে শিখুক। মা মানেই সব ত্যাগ করে তোমার জন্য বলিপ্রদত্ত - এমন ধারণা না হয়।

    এককালের মাপকাঠিতে অন্যকালের মানুষের বিচার করতে গেলে সমস্যা। একশো বছর পরের মানুষেরা হয়তো আমাদের জীবনকেও বিবিধ ধিক্কার দেবে। কে জানে।

    তবে এই কালের হিসেবটা জেনেরালাইজেশন। মানে এক সময়বিন্দুতে ডমিনেটিং মূল্যবোধ। এক সময়ে দাঁড়িয়েও সবাই তো একরকম হন না। কেউ ভাবেন রান্না ছেড়ে শিশুকে সঙ্গ দিই, কেউ ভাবেন চাকরি ছেড়ে। জীবন তো নিজের। যে যেভাবে আনন্দ পান।
  • shrabani | 117.239.15.27 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৪536812
  • এককালে ছিল? একটু থেমে আশেপাশে দেখে প্লীজ...এখনই, এত তাড়াতাড়ি এসবকে অতীত করে দেবেন না।

    এই সেদিনে আমাদের এক কলীগ কী সব শেয়ার কেনাবেচা করে প্রফিট করেছে সেসব খুব গর্বের সাথে বলতে গিয়ে আমার কর্তাকে শুনিয়ে সামনের জনকে বলে, "আমি যখন তখন এরকম রোজগার করতে পারি, আমার বৌকে কেন চাকরি করতে দেব, আমার বৌয়ের কামাবার দরকার নেই"! চাইলেই ওর বৌ এরকম চাকরি পেত কিনা সেটা অবশ্য অন্য প্রশ্ন !
    আর একজন কলীগ, বঙ্গ সন্তান (কলকাতার ছেলে, পরিবারের সবাই ডাক্তার ইঞ্জিনীয়র, বাবা এয়ার ফোর্সে ছিল)সে সবাইকে বলেছে, বাঙালী মেয়েরা তখনই বেশী পড়াশোনা করে, কেরিয়ার করে, যখন তারা দেখতে খারাপ হয়, চাকরিটাকরি না করলে তাদের বিয়ে হয়না। আর তার বৌয়ের মত যারা সুন্দরী হয় তাদের হায়ার স্টাডি করার দরকার হয়না, তার আগেই বিয়ে হয়ে যায়.....অনেকে এই থিওরি খেয়ে আবার আমাকে শুনিয়েও গেছে...তারও দাবী তার বৌ ইচ্ছে করলেই চাকরি করতে পারত, সে দেয়নি(বোল্ড/আন্ডারলাইন)...তার বৌ মহিলাও এই একই কথা বলে থাকে (আমার ওপরেই থাকে)খুব গর্বের সঙ্গে........

    অনেকটা পথ যেতে হবে....অনেক লড়াই আজো বাকী
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩৭536813
  • শ্রাবণী, কালের হিসেবটা মূলত: বোঝানোর সুবিধের জন্য। পুরো সমাজ নিয়ে হিসেব করে নয়। তবে অর্থনৈতিক বাধকতা এলে সামাজিক বাধা সরে যায় অনেকসময়। আমাদের বাড়িতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা তো বেশিরভাগই মহিলা।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:৪১536814
  • আর গর্বের উল্টোদিকও তো দেখা যায়। গৃহবধূ প্রজাতিটা যে অকর্মণ্য, লোপ পেলেই মঙ্গল, চাকরি-করা মেয়েদের মুখে এমন শোনেন নাই ?
  • dd | 123.237.15.232 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫২536815
  • সব রকমের কথাই শোনা যায়। দুখে যেমন কইলো বা শ্রাবনী।

    কিছু চেঞ্জ হচ্ছে। সেটা পরিষ্কার। বাঙালী ছেলেদের মধ্যে রান্না করাটা আর দুর্ভেদ্য চক্রব্যুহ নয়। এই গুচতেও নয়। এই প্রজন্মের মেয়েরা - সবাই চাকরী করার কথা ভাবে। মাথাতেও আনে না যে সে রোজগার করবে না।

    আর সেটা যাস্ট সাপোর্টিং কোনো ছোটো খাটো চাকরী নয়, রীতিমতন কেরিয়ার করা। ১০০% নয় কিন্তু এটা একটা ট্রেন্ড।কিছু কিছু ফেমিলিতে ব্যাপারটা আদৌ জমছে না। বাচ্চা কাচ্চা কার কাছে থাকবে? সেই ই মা বাবাকে নিয়েই টানাটানি। কি করবে? এখানে সেরকম ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ক্রেশ ইত্যাদি) এখনো তেমনি গড়ে ওঠে নি।

  • shrabani | 124.124.86.27 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০৩536816
  • দুখে, না শুনিনি...বা বলিওনা কখনো, তবে উল্টোটা প্রচুর শুনি, "কী সুন্দর অফিসে বেরিয়ে যাও রোজ, বাড়ির হ্যাপা সামলাতে হয়না"!
    এককালে রান্নার লোক আছে শুনলে বাড়ির লোকে দু:খে আশেপাশের মহিলাদের প্রায় কেঁদে ফেলতেও দেখেছি....এখন ঠেকেপড়ে শক্ত হয়ে গেছি নয়ত আগে রবিবারে বাইরে খেতে গেছি দেখলে শুনলে লোকে গায়েপড়ে বলে যেত অন্তত একটা ছুটির দিনে বরকে একটু রান্না করে ভালো করে খাওয়ানো উচিত, আর আমারও কেমন একটু চোর চোর ভাব হত, মহা অপরাধ করেছি মনে হত!
    মেয়েদের চাকরি যতদিন শখের হয় সমাজের কাছে গ্রহণীয়, তার বেশী কিছু হলেই নানা কথা আসে।
    আর বাড়িতে যারা কাজ করে সংসারের অর্থনৈতিক প্রয়োজনে, সেরকম মহিলাদের তো যে স্ট্রাটাই হোক না কেন, সমাজে করুণার চোখেই দেখে....কোনো ছেলেকে কি কোনো সময়ে বলা হবে "চাকরি করার আর দরকার নেই"....অথচ মেয়েদের হয়। এই সেদিনে আমার ঘর পরিস্কারের মেয়েটি কাজ ছেড়েছে তার বর কারখানায় কাজ পেয়েছে বলে।

  • dukhe | 122.160.114.85 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২০536817
  • আমি দুরকমই দেখেছি। মানে দুপক্ষের অহংকারই। কোনোটাই সুবিধের লাগে না।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২৪536818
  • আর সন্দীপন তো লিখে গেছেন শুধুমাত্র একটি পুরুষাঙ্গ থাকার অপরাধে ছেলেদের রোজ আপিসে দৌড়তে হয়। সেটাও কি আর ভালো কথা? হয়তো ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে যখন ছেলেরা অন্নচিন্তার দায় থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়ে পছন্দসই জীবন বেছে নিতে পারবে।
  • abastab | 14.139.163.29 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২৭536819
  • কবে যে সেই সুদিন আসবে! যখন গিন্নীরা সব সামলাবেন আর কত্তারা ঘরে বসে যুত করে রাঁধবেন আর খাবেন।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:০৮536821
  • এই রে সব্বোনাশ!!
    শংকুদা, খুব ভুল হয়ে গেছে। আমি আপনাকে বাচ্চা ছেলে ভেবেছিলাম :-((
    মানে সেই ৯ মাসের মেটার্নিটি লিভের কথাটার জন্যেই আসলে এরকম মনে হয়েছিল।

    অবাস্তবদার 1.27এর পোস্ট - "গিন্নীরা সব সামলাবেন আর কত্তারা যুত করে রাঁধবেন আর খাবেন" আর শ্রাবনীর 1.03 এর পোস্ট "কি সুন্দর অফিসে বেরিয়ে যাও রোজ রোজ আর বাড়ির হ্যাপা সামলাতে হয় না" - অনবদ্য যুগলবন্দী। পুরো নদীর এপার ওপার কেস।

    তবে আসল কথা কি জানো , মানুষের বেসিক ইনস্টিংক্টই হল নিজেকে ভালোবাসা। যেগুলোকে আপাতদৃষ্টিতে স্বার্থত্যাগ বলে মনে হয় সেগুলো আসলেই নিজেরই জন্যে। নি":স্বার্থ সেবা বা পরোপকার বলে কিছু হয় না, এমনকি মায়ের ভালোবাসাও নি:স্বার্থ আদৌ নয়। ভারতে মায়েরা যে কেরিয়ার চাকরি নিজস্ব আইডেন্টিটি সব বাদ দিয়ে সন্তানের সেবা করেন, তার কিছুটা সমাজের চাপিয়ে দেওয়া। যে মা এমন করেন না তাঁকে সমাজ খারাপ বলে। হ্যাঁ, এখনো বলে। যে সব বাচ্চার মায়েরা চাকরি করে, তাদের অনেকেই খুব দু:খী ভাবে। যেমন শংকু বলে দিলেন এখনকার ড: কাদম্বিনীর ছেলে মেয়েদের শুকনো মুখ। শংকু একবার আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলে দেখলে পারতেন। :-))

    আর হ্যাঁ, যারা মনে করে গৃহবধূ প্রজাতিটি লোপ পেলেই মঙ্গল, তাদের মধ্যে আমি একজন। কেন মনে করি সেসব পরে সময় করে লিখব।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:১৭536822
  • হ্যাঁ, সেবা করে আনন্দ পান বলেই করা। তাঁরা কী দু:খী নিরুপায় বলে হাহুতাশ আসলে সেই আনন্দটাকে ছুঁতে না পারার জায়গা থেকে।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২১536823
  • হ্যাঁ, যেমন ছেলেরা চাক্রি করে আনন্দ পান বলেই করা, তাই না দুখেদা?? ছেলেদের পুরুষাঙ্গ থাকার জন্যেই তারা কি নিরুপায় বলে হাহুতাশ করলে সেই আনন্দটাকে ছুঁতে না পারার জায়গা থাকে। সন্দীপনবাবু লেখক হয়েও কেমন করে যে এমন ইন্সেন্সিটিভ হলেন কে জানে!
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২৫536825
  • না। সন্দীপনবাবু ওটা আমার কথা ভেবে লিখেছেন। যাঁরা চাকরিতে অমৃতের স্বাদ পেয়েছেন, তাঁদের জন্য না।
    কার কিসে আনন্দ না জেনে করুণা ফলানো অপচয়।
  • hu | 12.34.246.72 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২৫536824
  • কেউ টাকা রোজগার করে আনন্দ পায়, কেউ সেবা করে আনন্দ পায়। যে করছে তার দিক থেকে দেখলে কিছুই নি:স্বার্থ নয়। আনন্দ পাচ্ছে বলেই করছে। তার সেই কাজে যদি আরো পাঁচজনের উপকার হয় তাহলে লোকে খানিক সুখ্যাত করে। সেটাও নি:স্বার্থ নয়। যারা সুখ্যাত করছে তারাও সেটা করে আনন্দ পাচ্ছে। অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করছে। জগতে নি:স্বার্থ কিছুই হয় না।
    (রিমিদির আগের পোস্টের ভাবসম্প্রসারন করলাম :-))
  • rimi | 168.26.205.19 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৩২536826
  • অ দুখেদা, চাগরি ছেড়ে দিলেই পারো তো। কিন্তু চাগরি ছাড়লে কি করবে? রান্না তো করতে পারো না? :-))
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৩৫536827
  • সেই তো মুশকিল রে ভাই। রান্না করতে পারি না এবং ভালো খেতে পারি। উভয়সংকট।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৩৬536828
  • দুখেদা, :-)))
  • kc | 178.61.96.29 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৯:২৯536829
  • আমার রান্নার খ্যাতি আমার মা এবং বউ দুজনেই করে থাকেন। এমনিতে কোনও টপিকেই তাঁরা একমত প্রায়ই হন না। শুধু এইটা তাঁরা দুজনেই একসঙ্গে স্বীকার করে থাকেন। হ্যায় কোই?
  • Kaju | 121.242.160.180 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৩২536830
  • হিঁইইইইইইই !!!
  • rimi | 168.26.205.19 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৩৬536832
  • তবে যতই হাসি মস্করা করো না কেন, সত্যি সত্যি একজন অ্যাডাল্ট লোককে সারাজীবন অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীল আর পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকার যন্ত্রণা কিন্তু স্বামী এবং সন্তানদের সেবা দিয়ে উপশম করা যায় না। যন্ত্রণাটা লোকের চোখের আড়ালে ঢাকা পড়ে থাকে মাত্র।

    অর্থনৈতিক স্বাধীনতার বিনিময়ে রান্না বান্না ইত্যাদি ব্যপারে পরনির্ভরশীলতা - এইটাকে সমাজ গ্লোরিফাই করে। এখানে এমন কোনো পুরুষ কি আছে যে সন্তান এবং স্ত্রী সেবার জন্যে হাসিমুখে চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে রান্না করবে?

    আকা আমেরিকায় স্টে অ্যাট হোম মায়েদের উদাহরণ দিয়েছে। আমেরিকায় স্টে অ্যাট হোম মা বাবা দুইই আছে। যেটা খুব কম লোক জানে সেটা হল আমেরিকায় টোটাল ওয়ার্কফোর্সের ৫৮% হল মহিলা, ২০১১ সালের পরিসংখ্যান। আরো বড় কথা, আমেরিকায় স্টে অ্যাট হোম মা বা বাবা কিন্তু সারাজীবন স্টে অ্যাট হোম থাকে না। বাচ্চা বড় হয়ে গেলে তারা আবার নিজেদের কাজের জগতে ফিরে আসে। এই সুবিধা ভারতে নেই। ভারতে এই নিয়ে কোনোরকম সচেতনতাই নেই যে বহু মহিলার কর্মদক্ষতা কর্মক্ষমতা শুধু মাত্র চার দেওয়ালের মাঝখানে কি ভাবে অপচয় হয়, সন্তান বড় হয়ে যাবার পরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন