এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের হাতের রান্না

    Sumit Roy
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০১২ | ৩৮৩৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 98.249.6.161 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১০:২৮536866
  • ডিশ রান্না আর এমন কি। শুধু সেদ্ধ হলো কিনা সেটাই আসল। তারপরে তো গোলমরিচ দিয়েই খে ফ্যালা যাবে।
  • shrabani | 117.239.15.27 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১০:২৯536868
  • ঝিকি, এই দিকটা আমাদের এখানে নেই বলছ, এরকম চিন্তাধারা? খুব আছে। তোমার বরকে চেনে লোকে আর আমার অফিস কলীগ আমার বর তাই হয়ত আমরা এড়াতে পারি নাহলে কান করলে একটু সাকসেসফুল মহিলাদের সম্বন্ধে এরকম শোনা প্রায়ই যায়।
    আমাদের কম্পানি জুড়ে এরকম অনেক শুনেছি। ঠিকমত কাজ করে প্রোমোশন পেলে বা বাইরে গেলে বসের সঙ্গে বা ওপরের কারো সঙ্গে নাম জুড়ে যায়....আসলে মানসিকতাটা হল মেয়েরা শুধু যোগ্যতায় এসব অর্জন করেছে, তাদেরকে টেক্কা দিয়েছে এটা ভাবতে না পারা। কিছুই না, আমাদের এখানে প্রতি প্রজেক্ট ও কর্পোরেটে লেডিজ ক্লাব খুব সক্রিয় হয়, এবার একজন বাড়ি গিয়ে বৌকে বলল অল্প করে নিজের মহিলা কলীগের নামে (কী আর বলবে, শুধু যোগ্য বলে তাকে ডিঙিয়ে মহিলাটি প্রোমোশন পেয়েছে বা বিদেশের জন্যে মনোনীত হয়েছে এই সত্যটা বললে তো বীরের মানহানি!)বলে....বাড়ির মহিলা তা লেডিজ ক্লাবে জানায়, কিছুদিনের মধ্যে ফুলেফেঁপে কাহিনী হয়ে সারা কম্পানিতে ঘুরতে থাকে।
    আমার কাছে কতদিন মহিলাদের ফোন আসে, "তুমি তো অফিসে, অমুককে দেখেছ? কেমন, সুন্দরী? খুব নাকি সেজে থাকে, শুনলাম"....ইত্যাদি ইত্যাদি।:(
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১০:২৯536867
  • দুবাই-এ থাকতে আমার পক্স হয়েছিল। সে আমাকে রেঁধে খাওয়াত, রোজ পেঁপে সেদ্ধ ভাত, আর পাতলা চিকেনের ঝোল....... আর দুপুরে খওয়ার জন্য খিচুরী রান্না করে রেখে যেত....... তবে তার এই সব মহৎ খাবারের গুনে আমি পক্সে পর খুব তাড়াতাড়ি ফিট হয়ে গেছিলাম! মাথার চুল-ও একদম ঝড়ে নি!
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১০:৩৬536869
  • এই নিখিল বিশ্বে কত শত জিনিস আছে তা না খালি কোন মহিলা কেমন সাজেন তা নিয়ে আলোচনা তাও আবার ফোনে।

    তাই কবি বলেছেন:'নারী চরিত্র বেজায় জটিল, কিছু ই যায় না বোঝা, ও রা কোন ল মানে না,তাই ওর ললনা' :))
  • kc | 178.61.96.29 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১০:৩৭536870
  • ও ঝিকি বহিন, শুধু পক্স কোয়োনা। চিকেন পক্স কোয়ো। শুধু পক্স একটি অসভ্য রোগ।
  • bb | 117.195.189.113 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১০:৫৮536872
  • ও দুখে- আমি আর আমার স্ত্রী কেউই রাঁধতে জানিনা আর ভালওবাসিনা- আর উনি খেতে বেজায় ভালবাসেন আমি খুঁত্‌খুঁতে- আমাদের তো তাহলে শিহরে সকংট- এই বিপুলা পৃথিবীতে থাকাই উচিত নয়-বৌ অবশ্য জিডিপি বাড়াচ্ছেন আমি তাও না- উফ বেঁচে কি করতে যে আছি!!
    আমার মা অবশ্য রান্না করতে ভাল বাসতেন না কখনও আর তাই মায়ের হাতের রান্নার প্রতি কোন মোহ নেই।
  • lcm | 69.236.167.153 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১১:০৩536873
  • বহুদিন রান্না করি নি।
    আমি যখন বলি যে রান্না করা সহজ কাজ, তখন বৌ বলে যে কঠিন কাজটা নাকি তারপরে শুরু হয়, আমার রান্না খাওয়া।
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১১:০৪536874
  • ছোটবেলায় তো শিখেছিলাম বসন্ত রোগ দুই প্রকারের, গুটী বসন্ত আর জল বসন্ত। গুটী বসন্ত তো নির্মূল হয়ে গেছে, তাই পক্স বললে চিকেন পক্স বা জলবসন্ত!! শুধু পক্স যে অসভ্য তা তো জানি না! দেখি গুগল কাকুরে জিগাই।
  • kiki | 59.93.203.245 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১২:১৬536876
  • বাড়ী থেকে দিনের পর দিন রান্না করা আর গেরস্থালী সামলানোর চে জেল বেশী ভালো।

    এবার ভাবচি একটা খুনোখুনী করে জেলে যাবো।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১২:২২536877
  • কিঙ্কি, অত খাটার দরকার নেই। এখন সোজা হয়ে গেছে। ফেসবুকে চাট্টি কার্টুন শেয়ার করলেই হবে।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৪:১৬536878
  • বিবি, আপনার হাল বুঝতেই পারছি। বাঙালী এমনিতেই খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে দুর্বল। অনশনের চেয়ে সাহেব মেরে ফাঁসি যাওয়াকে সহজ মনে করে। কিন্তু এ চর্ব্যচোষ্যলেহ্যপেয় রাঁধিবে কে? যুগে যুগে এই মূল প্রশ্নের উত্তর সবাইকেই খুঁজতে হয়েছে।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৪:১৯536879
  • ভুল করে পোস্ট হয়ে গেল। যাকগে, কমপ্লিট করি।
    অনেকেই এর উত্তরে বুক ফুলিয়ে বলেছে - মেরে পাস মা হ্যায়!
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৪৮536880
  • আশাপূর্ণা দেবীর সুবর্ণলতা উপন্যাসে সুবর্ণ তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সম্পর্কে একটা কথা বলেছিল, যেটা খুব ছোটোবেলাতেই আমার বুকের মধ্যে ধাক্কা দিয়েছিল: "এদের শুধু গাদা গাদা রান্না আর গাদা খাওয়ায় উৎসাহ।" সেই কবে আশাপূর্ণা দেবী লিখে গেছেন একথা, আর এখনো ....

    ঋদ্ধি, জিডিপি বেফালতু বাড়িয়ে কি হবে? সত্যি, কিছুই হবে না। তাই এই নিয়ে ভেবো না।

    ইয়ে, এই সব আলোচনায়, স্পষ্টতই দুটি দল: একদম মেয়েদের চাকরি করা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষে, অন্যেরা মেয়েদের পরনির্ভরশীল, গৃহবধূ হয়ে থাকার মধ্যে আপত্তিজনক কিছু দেখতে পান না। কিম্বা অন্যভাবে বলতে গেলে, সমাজে মেয়েদের এই পরনির্ভরশীল অবস্থানের পরিবর্তন যে হওয়া উচিত সেইটা মনে করেন না। কতগুলো ইন্টারেস্টিং ব্যপার খেয়াল করলাম।

    ১। মেয়েদের চাকরি করা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষে গলা ফাটাচ্ছে তারাই, যারা নিজেরা মেয়ে এবং নিজেরা চাকরি করে। (কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে, যেমন লামা)

    ২। গৃহবধুদের জীবনকে গ্লোরিফাই করা, বা তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তনের দরকার নেই, কিম্বা সন্তানের স্বার্থে মায়ের কেরিয়ার ত্যাগ করা উচিত ইত্যাদি নিয়ে যারা গলা ফাটাচ্ছেন তাদের মধ্যে কোনো মেয়ে নেই, কোনো মা নেই, সবথেকে বড় কথা কোনো গৃহবধূও নেই।

    ইন্টারেস্টিং নয়? :-))
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৫৭536881
  • আবার একদল আছে যারা মনে করে একেকজন মানুষের কাছে একেকরকম জীবন পছন্দসই হতে পারে এবং সবার জন্য আদর্শ জীবনের একমেবাদ্বিতীয়ম মডেল এখনো আবিষ্কৃত হয় নাই।

    তবে চাকরি করা মেয়েরা গৃহবধূদের এবং গৃহবধূরা চাকরি করা মেয়েদের পারস্পরিক করুণা করেন - এমন বিস্তর উদাহরণ বর্তমান।

    ইন্টারেস্টিং।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২১536882
  • দুখেদা এর মধ্যে করুণার কোনো ব্যপার নেই। গৃহবধূদের আমি মোটেই করুণা করি না। কারুর ব্যক্তিগত চয়েস নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।

    কিন্তু ভারতে মেয়েদের চাকরি না করার চাপটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সামাজিক চাপ। যারা চাকরি করতে আসে, নিজেদের জিদ নিয়ে অনেক লড়াই করে আসতে হয় তাদের। গত পঞ্চাশ বছরে ব্যপারটা কিছুটা বদলালেও এখনো মূল সামাজিক স্রোত, হ্যাঁ এখনো, মেয়েদের, বিশেষ করে মায়েদের "কেরিয়ার তৈরীর" বিপক্ষে। শ্রাবনী এবং ঝিকি যা বলেছে, খানিকটা সেই অভিজ্ঞতা আমারো আছে। আই এস আইতে এক সিনিয়র দাদা, আমাকে আর আমার এক বান্ধবীকে বলেছিল, ১৯৯৮ সালে, "তোরা আর কতদিনই বা চাকরি করবি? বিয়ে হলে ছেলে মেয়ে হয়ে গেলে তো চাকরি ছাড়তেই হবে।" আমি আমেরিকা আসার আগে একটা চাকরি করেছিলাম, ঠিক চাকরি নয়, একটা প্রোজেক্টে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলাম এক বছর। সেখানেও এই এক মনোভাব দেখেছি। "তোদের তো বিয়ে হয়ে যাবে, বর নিশ্চয়ই ভালো রোজগারই করবে, তবে আর তোদের এতো কাজ করে দরকার কি?" এরকম কথা রোজ শুনতে হত।

    কেন শিক্ষিত, যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়েদেরও এমন কথা শুনতে হয় ভারতে?

    মেয়েদের শিক্ষিত, আত্মনির্ভরশীল, এবং লিডারশিপ পজিশনে দেখার ব্যপারে অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষের এখনো অ্যালার্জি। ঐ যে শ্রাবনী বল্ল "লেডি হেড" - এইরকম মানসিকতা এবং একই সঙ্গে পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার জন্যেই একদল মানুষ প্রাণপনে ইন্ডিভিজুয়াল চয়েসের কথা বলে চলেছে। হাসিই পায়।

    আশা করি, গুরুতে এখন যত মেয়ের বাবা আছে, তাদের মেয়েরা আরো কুড়ি পঁচিশ বছর পরে যেন বাবাদের একদম অন্যরকম ভাবে চিন্তা করতে শেখায়। শেখাবে যে, সেই বিষয়ে আমার একদম কোনো সন্দেহ নেই। :-))) এই জেনারেশনেই অনেক এমন দেখছি।
  • sinfaut | 121.241.218.132 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২৫536883
  • আমি মেয়েকে পাখোয়াজ বাজানো শিখতে এনকারেজ করব সেটা নিশ্চিত। এখনই যেভাবে ধপাধপ নিজের পেটের দুপাশে চাপড়ায়।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৩৮536884
  • রিমি, আমি বাধ্যতার কেস ধরিই নি। সামাজিক বাধায় বাধ্য হয়ে অপছন্দের গেরস্থালি করা, কিংবা অন্নদায়ে এক বাড়িতে রান্না আর দু বাড়িতে বাসন মাজা কাপড় কাচা সেরে ছেলেদের মুখে ভাত আর বরের মুখে মদ তুলে দেওয়ার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা - দুটোই সম্ভবত: যন্ত্রণার। আমি বলছি চয়েসের কথা। রোজগার করার চেয়ে জীবনে অন্য কিছু করায় বেশি আনন্দ পাবে - এরকম মানুষের অস্তিত্ব আমার কিছু অসম্ভব মনে হয় না।

    আর তুমি যে বললে অ্যাডাল্ট লোকের পক্ষে সারাজীবন অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীল হওয়ার বড় যন্ত্রণা যা নাকি স্বামী সন্তানের সেবাটেবা দিয়ে ভোলা অসম্ভব - সেটা তো করুণাই মনে হল। মানে এটার উল্টোপিঠ হল - ওর বরের তো রোজগার তেমন না, উপায় কী? স্বমীসন্তানের সেবা করে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানোর সুখ বেচারার কপালে নেই।

    ইন্ডিভিজুয়াল যদ্দিন থাকবে, ইন্ডিভিজুয়াল চয়েসও হয়তো থাকবে। সেটা হেসে ওড়াতে হলে সেরকম স্টেটের কথা ভাবতে হবে যেখানে রাষ্ট্রই কার কী করণীয় সব ঠিক করে দেয়।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫১536885
  • এই তর্কের একমাত্র সমাধান গৃহবধূ মেয়েদের ইন্টার্ভিউ নেওয়া আর তারপরে তার স্ট্যাটিস্টিকাল অ্যানালিসিস করা। এরকম স্টাডি তো আম্রিগায় প্রচুর হয়েছে। কিন্তু ভারতে?

    নয়ত আমি আর দুখেদা দুজনেই চাকরি করি, দুজনেই রান্না করার চেয়ে খেতে বেশি ভালোবাসি, দুজনের কেউই চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে ছেলেপুলে মানুষ করতে প্রস্তুত নই - আমরা গৃহবধূদের কথা কতটুকু জানি যে বলব? :-(
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫৪536887
  • রিমি :)
  • aka | 168.26.215.13 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৩৬536888
  • ব্যক্তিগত চয়েজ ইত্যাদি নিয়ে কিছু বলার নেই।

    একটা ঘটনা বলি। আমার কলিগ দ্রু-দা। ২০০০ এর প্রথম দিকে মিড লেভেল আইটি ম্যানেজার। মাইনে মনে হয় সেকালে ৩৫-৪০ হাজার হবে। দুই পুত্র-কন্যা ও হোমমেকার স্ত্রী নিয়ে সুখী পরিবার। দ্রু-দা ঝকঝকে লোক, বৌদিও তেমনই আলাপী। অফিস পার্টিতে ঝকঝকে পরিবার। দূর্যোগের কথা কেই বা বলতে পারে? রাজধানীর দূর্ঘটনায় অকালে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল দ্রু-দা। সাথে পথে বসল পুরো পরিবার। নিতান্ত অফিসে তখন খুব ঘরোয়া পরিবেশ ছিল। কোনক্রমে বৌদির জন্য চাকরি যোগাড় করা গেল। মাইনে বড়জোড় ৩-৪ বা মেরেকেটে ৫ হাজার হবে।

    যতজন ইকনমিকালি কϾট্রবিউট করতে সক্ষম ততজনই পরিবারে ইকনমিক কϾট্রবিউট করলে পুরো পরিবারের এই দূর্যোগের জন্য অন্তত ফাইনান্সিয়াল রিস্কটা খানিক কমে।

    যে সমাজে সোশাল সিকিউরিটি যত কম সেই সমাজে ব্যক্তি বিশেষের কর্মক্ষম হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তত বেশি। শুধু মাত্র নিজের ও নিজের পরিবারের জন্য।
  • omnath | 59.160.210.2 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ২০:০৩536889
  • এখেনে চাকরি না করা গৃহবধু হোম মেকার কে কে লেখেন? তিনি/তাঁরা কি বলবেন তাঁর/তাঁদের বক্তব্য?
  • Du | 117.194.202.212 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ২০:৪০536890
  • অনেকেই পুরোদস্তুর সংসার করতে ভালোবাসেন তো। এটা বোধ হয় মেনে নেওয়াই যায়। আমি এমন অনেক দেখেছি। তবে সংসার তাদেরকে সেই সম্মানটা দিলে তবেই এটা সম্ভব।

    আমার কদিন লামার মতো গৃহবধু- জীবন কেটেছে। এইচ ওয়ানের জন্য তখন হন্যে - কিন্তু সেই টুকটুক করে রোজ নটা দশটা নাগাদ লেকের ধারে গিয়ে ছেলের সাথে বসে হাঁসেদের ওড়াউড়ি দেখা, বিস্ময়ভরা চোখদুটো চেয়ে থাকতো অকিঞ্চিতকর কোন জিনিষের দিকে ঘড়ির শাসনের বাইরে, সেই রেক সেন্টারে তাকে নিয়ে 'মাদার অ্যান্ড চাইল্ড প্রোগ্রামগুলোতে যাওয়া - মনে হয় ভাগ্যেই ঐ অবসরটুকু পেয়েছিলাম এই দৌড়াদৌড়ির জীবনে। পরে কোনও কাজে অফিসটাইমে বেরোলেও দেখেছি শিশুদের নিয়ে মায়েদের হেঁটে যাওয়া, মনে হয় কটা দিন জেন একটু এই তাড়াহীন ছন্দে প্রকৃতির সাথে কাটানোটা ছোটরা ডিজার্ভ করে ( সঙ্গদাতা বা দাত্রী মা বাব)। চিরদিনের জন্য হলে আমি পারতাম না, ভাবিইনি কোনদিন সেভাবে থাকার , কিন্তু ঐ জীবনটা শুধুমাত্র রান্না খাওয়ায়ই ভরা নয়।
  • riddhi | 108.218.136.234 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ২২:২৯536891
  • রিমি দি, জিডিপি কেন বাড়াব র সাথে আরো কিছু পয়েন্ট ছিল। একবগ্গা একাভাবে জিদিপি বাড়ানো নিয়ে । তক্কো এড়াতে চাইলে, এড়ানৈ যায়। পয়েন্ট টা পাতি-শুধুমাত্র বাইরে বেশী বেশী কাজ করা কোন কাজের কথা না। আপনার গৃহবধূ নিয়ে স্টেটমেন্ট টা এক্সট্রিম ছিল।
  • Generic Letter | 136.142.168.156 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ০১:০১536892
  • McKinsey Study তে একটা ভীষণ ভুলভাল assumption আছে। ওরা ধরেই নিয়েছে, "গৃহবধূরা" unproductive, জিডিপিতে কϾট্রবিউট করে না। এটা (১) গভীরভাবে misogynistic, এবং (২) সর্বৈব ভুলভাল। মুশকিলটা হল, আনপেইড, বাজারবহির্ভূত কাজের হিসেব জিডিপিতে এখনো ঢোকেনা। সিম্পল ইম্পিউটেড ভ্যালু পেতে গেলে হিসেব কোর গৃহবধূর কাজ কাজের লোক দিয়ে করাতে কত খরচা। এদেশের হিসেবে (কারণ McKinsey Study এদেশের ভিত্তিতে) সেটা কিন্তু অনেক। আর একটা ইন্সট্যান্স - অনেক সাধারণ চাকুরে মহিলাকে চাকরী ছেড়ে দিতে দেখেছি বেবিসিটারের খরচা পোষাচ্ছে না বলে? তা হলে হিসেবটা কি হল? মহিলা চাকরিতে যা আয় করেন, চাকরী ছেড়ে তার থেকে বেশী পয়সা বাঁচাচ্ছেন - in terms of monetary value of productivity, she is more productive in this case at home than at work। কাজেই, ঐ বেসিক assumptionটা ভুল। মোটামুটি এস্টিমেট করা যায়, gross household work এর মার্কেট ভ্যালু gdp-র সমান।

    রেফারেন্স: http://www.economics.unimelb.edu.au/Household/Papers/1996/Counting%20outputs%20FemEco.pdf। আরো লক্ষ লক্ষ আছে।

    কথাটা তুলছি কারণ গৃহবধূরা unproductive, এইটা একটা deep-seated fundamentalism, এবং ঐ জাতটা লোপ পেলে ভালো হয় এই কনক্লুশনটা অনেক সময় ঐ fundamentalism থেকে আসে।

    আমার মনে হয়, ঘরের কাজের ঠিক কি ভাগ হবে, এটা ঘরের লোকের উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। এবং এটুকুও আশা করব, এই ভাগটা লোকে ঠিক করবেন individual-এর দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পরিবারের সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে। (অর্থাৎ not through bargaining between individuals but through maximizing joint family welfare। এইটা না হলে family বলে কিছুর অস্তিত্বই থাকবে না।

    আর সেইসাথে, লড়াইটা হোক gender role এর সামাজিক অসাম্যটা ভাঙ্গার - অর্থাৎ যাতে প্রতিটি family নিজের মত করে decision নিতে পারে, কোনরাকম সামাজিক চাপ ছাড়াই।
  • sinfaut | 117.194.225.26 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ১৪:০৫536893
  • ^ বড় করে ক দিলাম।
  • dd | 122.167.28.50 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৪২536894
  • আমার মা খুব বড়ো চাগরী করেন - এই নিয়ে কাব্য কথা শুনেছেন কখনো? গর্বের কথা তো দূরস্থান।

    অথচ সবাই কেঁদে কঁকিয়ে অস্থির, "যতো রাত করেই বাড়ী ফিরি না কেনো মা খাবার সাজিয়ে বসে থাকে।" যিনি বসে থাকেন তিনি (ইন্‌ক্‌লুডিং আমার মা, যখন সামর্থ্য ছিলো) স্বেচ্ছাতেই বসে থাকেন। এটা ধরে নিয়েও বলি, এখন পিছন ফিরে দেখি আর ভাবি ওটা টেকেন ফর গ্র্যান্টেড ছিলো আমার। এখন মনে হয় ওটা উচিৎ ছিলো না। জল খেতে চাইলেও হেঁকে বলতাম "তেষ্টা পেয়েছে',আর পরিমরি করে দিদি অথবা মা এসে মুখের কাছে গেলাস ধরতো। তখন (আরে বছর চল্লিশ আগে, তখন আপনেরা জন্মানও নি)খারাপ লাগতো না। এখন বুঝি ব্যাপারটা মোটেই ভালো ছিলো না।

    আর এখন আর ভাল্লাগে না মায়ের ঘেমে নেয়ে পরিশ্রান্ত রুপের কথা ভেবে বুড়ো ছেলেদের আহ্লাদী স্মৃতিচারণ। আমি নিজের কথা ভেবে গিল্টি ফিল করি। মনে করি, তখন রিলিফ দিতে পারতাম স্বচ্ছন্দে। দেই নি। বুঝতাম না। সেইজন্য এখন দু:খিত হই। মায়ের ক্লান্ত চেহারা মনে করে সুখী পরিতৃপ্ত কবিতা লিখি না।
  • dd | 122.167.28.50 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৪৯536895
  • এ সবই খুব খুব নিজস্ব অনুভুতি, নিজস্ব অভিজ্ঞতা।

    এগুলো পুরো শেয়ার করা যায় না। ওয়ান সাইজ ফিটস অল থিওরী দিয়ে দোষ বা গুন আরোপ করা যায় না। তাই শুধু নিজের কথাইবলতে পারি, অন্যের জীবন নিয়ে নয়।

    নিজের ছোটোবেলায় যে ভাবে দেখেছিলাম সংসারকে - এখন সে ভাবে দেখি না। ঐ যে দুখে স্যার কইলেন্না? স্থান কাল ভেদে সবই বদলে যায়। কিসুই চিরস্থায়ী সত্য নয়। সেটাই ঠিক।

    ছোটোবেলায় দু চক্ষে পটল সহ্য হতো না। এখন তো দিব্বি খাই। ঠাকুর বলেছিলেন ওরে পোদো, দ্যাখ তোর চীজ টাই কেমন বদলে যায় বয়স হলে। আগে ভাগেই ব্র্যান্ডিং করে দিস না।

  • Blank | 59.93.254.240 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৩১536896
  • এই রিলিফ টাকি সত্যি বাবা-মা রা চান? আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে না
  • Bratin | 117.194.99.36 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৪৬536899
  • বাংলা কথা, কাজ করুক এমন বৌ আমি চাই নি। তাই বিয়ের জন্যে যখন অ্যাড দেওয়া হয়েছিল 'ঘরোয়া' ( যার কাছকাছি বাংলা হল জব(কাজ) করা যাবে না )। অ্যাডের উত্তরে যা চিঠি পত্তর এসেছিল সেখানে থেকে বেছে বেছে শুধু কাজ করে না এমন মেয়ে গুলো ই মধ্যে থেকে ই সর্ট লিস্টিং হয়েছিল। ডাক্তার, অধ্যাপিকা, IT কর্ম রতা সব বাদ দিয়ে। একটি ডাক্তার মেয়ে সাথে কথা অনেক টাই এগিয়েছিল। কিন্তু মূলত: আমার আপত্তি র জন্যেই হয় নি। আমার কাছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ছিল 'এক জন মহিলার পক্ষে একই সঙ্গে ঘরের এবং বাইরের কাজ একট গিভেন টাইমের মধ্যে করর সম্ভব নয়। তাতে যে কোন বা দুটো কাজের কোয়ালিটি তে কম্প্রোমাইজ করতে হবে। যার লং টার্ম এফেক্ট আছে।'
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন