এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের হাতের রান্না

    Sumit Roy
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০১২ | ৩৮৩৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bb | 117.195.176.92 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৪২536933
  • হয়ত তাহলে আমারি বোঝার ভুল। কিন্তু সব বিষয়ে কেন আমেরিকান আসে এইটা বুঝতে পারি না। পাষন্ড সন্তান আর ভাল সন্তান সব জায়গাতেই আছ। আবার পুরুষ সন্তান মাত্রেই মায়ের রন্ধনরতা বা স্নেহশীলামুর্তিই খালি গ্লোরিফাই করেন এটাও সত্যি নয়।
  • Blank | 59.93.209.46 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২১:১০536934
  • সব জায়গায় আম্রিকা আসে কারন এই ধরনের ঘটনা নিয়ে তো কোনো কেস স্টাডি বা পেপার বা ডেটা পাওয়া যায় না। সবাই তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতাই শেয়ার করে।
    আর আমেরিকার প্রবাসি বাঙালীদের ক্ষেত্রে তাই আমেরিকার অভিজ্ঞতা আসবেই।
  • Blank | 59.93.209.46 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২১:১৮536935
  • দম দি,
    ব্যপারটা ঠিক ওম্নি না। হোস্টেল, আপিস, অনসাইট এসবের পরে আমি একটা সময় খুব স্বাবলম্বী হয়ে গেসলুম। কিন্তু তার পরে ফিল করি যে এই পুরো স্বাবলম্বনটা বাবা-মার দিক থেকে পজিটিভ হয় নি। কিছু সমস্যা তৈরী হয়।
    আমি তার পর অল্প অল্প করে ফের কিছু জিনিস বাবা-মাকে আউটসোর্স করে দি। তাতে সমস্যা মিটে যায়। আমার তাই মনে হয় যে বাবা-মাও হয়তো পুরো রিলিফ চায় না দায়িত্তগুলো থেকে। ছেলে-মেয়ের বড় হওয়াটা পুরোপুরি মেনে নিতে পারে না।
    আর ছোটবেলায় আমাদের পরিবারে মাকে যেমন পরিশ্রম করতে দেখেছি সেই অবস্থা নানা ভাবে পাল্টেছে। ইকনমিক কন্ডিশান বা অন্যান্য কিছু কারনেও আগের সেই দিন আর নেই। সেদিনের দশ ফুট বাই দশ ফুট জীবনকে আমি কখনোই গ্লোরিফাই করতে পারি না ঠিক করে।
  • Blank | 59.93.209.46 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২১:১৯536936
  • কেসি দারে থ্যাঙ্কু :)
  • kd | 74.66.241.238 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২২:০৯536937
  • আকা, কলকাতায় একটি খুব ভালো বৃদ্ধাশ্রমের খোঁজ পেয়েছি। আমার পিসতুতো শালা ওখানে আছেন বেশ কয়েক বছর - ওনার ছেলে আমেরিকায়, মেয়ে দেশে অন্য শহরে - মেয়েজামাই সঙ্গে রাখতে চায় কিন্তু উনি ঘরশ্বশুর হ'তে চান না (ওই মেয়েজামাইএরই বাঁশ, মাসে একবার কলকাতায়, পরের মাসে অন্য একসেট বাবামার জন্যে চেন্নাই)।

    যাই হোক, এই বৃদ্ধাশ্রমটি সল্টলেকে একেবারে চার্নক সিটি লাগোয়া, আর প্রায় পাশেই আমরি। আমার এক বন্ধুও তার মাকে ওখানে রেখেছে। ওঁরা দু'জনেই ওখানকার লোকেদের সেবাযত্নের খুব প্রশংসা করেন। আর পাশেই চার্নক সিটি থাকায় বিকেলে একটু ভালো বেড়ানোও হয়।

    ও হ্যাঁ, গুরুচন্ডালির আপিসবাড়িতেও একটা বৃদ্ধাশ্রম আছে, তবে সেটার কোয়ালিটি কেমন, কে জানে।
  • Bratin | 14.99.77.10 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২২:১৩536938
  • আমাদের এই গরীব দেশের লিমিটেড সুযোগ সুবিধা থেকে লঞ্চ করার প্ল্যাটফর্মে এসে যাঁরা আমেরিকা বা ইউরোপে চাকরী বাকরি করেন বা সেটল করেছেন ।

    এখন কথায় কথায় দেশের সব জিনিশ তুলনায় কত টা বাজে সেই উদাহরন টা একট কথ মনে করিয়ে দিয়ে চাই। আপনাকে ও ই দেশে পৌঁছানর লঞ্চিং প্যাড কিন্তু প্রতি টি বিষয়ে পিছিয়ে থাক এই হতদরিদ্র দেশ টি। কাজেই প্রতি বার ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ করার আগে এই ব্যাপার টি যদি মাথায় রাখেন তো ভালো হয়। আপনার 'কে কী ভাবলো তাতে আমার ** যায়, এই অ্যাটিটুড টি অনেক কে হার্ট করতে পারে'।
  • bb | 117.195.176.92 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪১536939
  • ব্ল্যান্‌ক - কেউ আমেরিকায় থাকেন বলে তার উদাহরণ দিলে অসুবিধা নেই। কিন্তু সব ব্যাপারটাই চলে যাচ্ছে ভারতীয় বিশেষ করে বাঙালী পুরুষ কত খারাপ আর আমেরিকানরা কত ভাল এই এক খাতে - তা শ্রীরামকৃষ্ণ হোক বা মায়ের হাতের রান্না হোক।
    আমি যতটুকু জানি সবদেশেই অনেক অসুবিধা আছে।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২২:৫৩536940
  • গর্ব করা মানে ঠিক কি? আর সেটা ভালো নয় কেন? কার জন্যে কি ভাবে সেটা খারাপ?

    যেমন ধরো, আমার মাকে আমার সত্যিই অন্যান্য বাঙালী মহিলাদের তুলনায় একদম অন্যরকম মনে হয়। শুধু চাকরি করার জন্যেই নয়, আরো অনেক কারণে। মায়ের থেকে এখনো আমি প্রতি মুহুর্তে অনেক কিছু শিখি। মাকে আমি প্রচন্ড রকম যাকে বলে "অ্যাডমায়ার" করি। আশেপাশে গড়পড়তা মানুষের তুলনায় অন্যরকম মানুষ দেখলে যেমন বিস্ময়মিশ্রিত শ্রদ্ধা হয় ঠিক তেমনি। মায়ের সম্পর্কে লিখতে গেলে সেই মনোভাব ফুটে বেরোবেই।

    এইটা যদি খারাপ হয়, তবে আমি নাচার। :-( রামকৃষ্ণ যাই বলুন, আমি রামকৃষ্ণের বিন্দুমাত্র ভক্ত নই। আমার মাকে নিয়ে গর্ব করতে আমি খুব ভালোবাসি।

    শরৎ চন্দ্রের পরিণীতা উপন্যাসে শেখর তার মাকে নিয়ে গর্ব করত। শেখরের মা ভুবনেশ্বরী দেবী পুরোপুরি সংসারী গৃহিনী ছিলেন, সেকালে যেমন হত। কিন্তু একটি ব্যপারে তিনি আশেপাশের অন্যান্য মহিলাদের থেকে অন্যরকম ছিলেন। তাঁর নিজস্ব বুদ্ধি এবং চেতনা ছিল, নিজের বিচারবুদ্ধি অনুযায়ী তিনি এমন অনেক কাজ করতেন, স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও, যা অধিকাংশ বাঙালী মহিলাই সেকালে পারতেন না। শেখরের তাই মনে হত "এমন মা বহু ভাগ্যে পাওয়া যায়।" আমারো আমার মা সম্পর্কে একথা মনে হয়।
  • Blank | 59.93.209.46 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২৪536941
  • আমার আবার বাঙালি মেয়ের চেয়ে আম্রিগান মেয়ে বেশী ভাল্লাগে :-D
  • i | 137.157.8.253 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ০৬:১৩536943
  • মনে হয় আমার শব্দচয়নে ভুল হয়েছে। যেটা বলতে চেয়েছি সেটা বোধ হয় দম্ভ, অহমিকাবোধ-যা অন্যের অভিজ্ঞতাকে তাচ্ছিল্য , অবজ্ঞা করার বোধ জাগায়। সেটি ভালো নয়- এই বলতে চেয়েছি।
    রিমি সুন্দর উদাহরণ দিলেন-শেখর আর ভুবনেশ্বরীর-এই মাতৃগর্ব মায়ের পেশা/ অ-পেশা নিরপেক্ষ। এই গরবে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা আসে না।
    এই বলার ছিল। রিমি, আপনি উদাহরণ দিয়ে সহজ করে দিয়েছেন ব্যাপারটা। ধন্যবাদ।
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০৪536944
  • ব্রতীন, আমি যদি বিজ্ঞাপণ দিতাম একজন উচ্চশিক্ষিত, ঘরোয়া, বাইরের জগতে কাজ না করতে চাওয়া পাত্রের জন্য, তাহলে বোধহয় একটাও রেসপন্স পেতাম না :)
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০৭536945
  • ঘরোয়া কথা টা লেখা ছিল । কাজ করতে না চাওয়া টা নয়।:-)

    তোমার পয়েন্ট টা বুঝতে পেরেছি। উচ্চ শিক্ষিত এক জন শুধু ঘরের কাজ পেয়ে স্যাটিসফেকসন পেতে পারেন না। ফুল লি অগ্রীড।
  • abastab | 14.139.163.29 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১৩:৪৬536946
  • আমি কিন্তু গুমানি জগ তাজ-ও লিখেছি।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১৪:১২536947
  • আমাদের বাড়িতে একজন কাজের মানুষ ছিলেন। উনি জন্ম থেকে বোবা ও কালা। ওনার কোলে পিঠে চড়ে আমরা তিন ভাইবোন মানুষ হয়েছি। উনি একটা দারুন পদ রাঁধতেন, আমরা বলতাম ডিমের ছানা।
    ডিম ফেটিয়ে ফুটন্ত জলে ঢেলে দিতেন। ডিমটা জমাট বেধে যেত। তারপর একটা পরিষ্কার ন্যাকড়ায় করে সেই জমে যাওয়া ডিম থেকে জল ঝরানো হতো (ছানা থেকে জল ঝরানোর মতো)। এইবার ছানার মতই চৌকো করে কেটে ডিমের ঝোলের মতো করে রেঁধে ফেলতেন। আমাদের খুব পছন্দের খাওয়া ছিলো - ডিমের ছানা।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৩৬536948
  • i, আমি আসলে এটাই বলতে চেয়েছিলাম যে ভুবনেশ্বরীর মতন ব্যক্তিত্ব ও চারিত্রিক দৃঢ়তার সঙ্গে শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার একটা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারার ক্ষমতা তাদের হয় না, যারা অর্থনৈতিকভাবে অন্যের উপরে সারাজীবন নির্ভরশীল থাকে বা সেভাবে থাকার মনোভাব নিয়েই বড় হয়। এমন মেয়ের সংখ্যা, ভারতবর্ষে যদিও ক্রমহ্রাসমান, তবু এখনো যথেষ্ট। কিছু ব্যতিক্রম আছে নিশ্চয়ই, যেমন ভুবনেশ্বরী, যদিও ইনি একজন কাল্পনিক চরিত্র।

    এখনো একটি অর্গানাইজেশনের, সমাজের কিম্বা দেশের লিডারদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা হাতে গোণা। এখনো মেয়েরা, এমনকি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হলেও, একজন পুরুষ অথরিটির আন্ডারে চলতে অভ্যস্ত - আমি কাজের ক্ষেত্রের কথাও বলছি। উল্টোটা হলে, যেমন শ্রাবনী বলেছে, "লেডি হেড" তকমা জোটে, তাচ্ছিল্যের মনোভাব থেকেই।

    চাকুরিরতারা চাকুরিবিহীন মেয়েদের যত তাচ্ছিল্য করে, তার থেকে ঢের ঢের বেশি করে চাকুরিরত ছেলেরা। ছেলেরা শুধু তাচ্ছিল্যই করে না, জোর করে দাবিয়ে রেখে দেয়, মাতৃত্ব, ব্যক্তিগত ইচ্ছা ইত্যাদির দোহাই দিয়ে। ছেলেরা, "পুরুষাঙ্গ হয়েছে বলেই চাকরি করতেই হবে" ইত্যাদি নাকি কান্না কেঁদেও আলটিমেটলি "ব্যক্তিগত ইচ্ছা"কে বিসর্জন দিয়ে দিব্বি চাক্রি করতে যায়। আর মেয়েদের বেলা, "চাকরি না করাটা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছে" বলে সেই ইচ্ছেটাকে উস্কে দেয়, ঠিক যেভাবে "স্বামী সন্তানের জন্যে নিবেদিত প্রাণ মাতৃমূর্তি"কে পূজার আসনে বসিয়ে সেই মনোবৃত্তিটা উস্কে দেওয়া হয়।
    তাই ঈশানী দত্ত রায়ের লেখাটা আমার অসম্পূর্ণ, একপেশে মনে হয়েছে। কোনো গৃহবধূ তার নিজের রোজগারহীনতা নিয়ে হীনমন্যতায় কখনই ভোগে না যদি তার নিজের সংসার, এবং গোটা সমাজ তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়।
    চাকুরিহীনাদের কিম্বা চাকুরিহীনদের প্রতি তাচ্ছিল্যের মনোভাব আমাদের গোটা সমাজের। এই মনোভাবের সৃষ্টিকর্তা পুরুষেরা, সেই কতকাল আগে থেকে। এগুলো কি করে ভোলা যায়?

    "কলাপাতে না এগোতে গ্রন্থ লেখা সাধ" - মেয়েদের প্রতি এই তাচ্ছিল্য কাদের তৈরী?? এত তাড়াতাড়ি কি করে ভুলে যাওয়া যায় যে জোর করে অশিক্ষিত বানিয়ে রেখে তারপরে সেই অশিক্ষা নিয়ে তাচ্ছিল্য করাটা ভারতীয় সমাজের বহু পুরাতন বৈশিষ্ট্য?
    ঈশানী দত্ত রায় যে সমস্যার কথা লিখেছেন, তার শিকড় অনেক গভীরে ছড়িয়ে আছে। সে জায়গাটা ঈশানী ছোঁন নি।
  • ri mi | 168.26.205.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫৪536949
  • আর হ্যাঁ, এই তাচ্ছিল্যের একটা ভালো দিক এটাই যে ক্রমশ মেয়েরা স্বনির্ভর হবার দিকে এগুচ্ছে। গত ৫০ বছরের ট্রেন্ড দেখো, এখন অনেক বেশি সংখ্যক মেয়ে কবে বিয়ে হবে বলে বিএ এম এ পাশ করে বসে থাকে না আগের মতন।

    এই গুরুতে এখনো যারা চাকরি না করাকে "ব্যক্তিগত ইচ্ছে" বলে "সম্মান" দেখাচ্ছো, তাদের মেয়েরা বড় হলেই দেখবে কেউই ব্যক্তিগত ইচ্ছে থেকে ঘরে বসে থাকতে চাইবে না। এইটা আমি অমৃতলালের মতন ভবিষ্যদবানী করিয়া গেলাম। :-))
  • maximin | 59.93.205.14 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:০৭536950
  • মায়ের হাতের রান্না বড় মিঠে ছিল। তার চেয়েও মিষ্টি ছিল হাত ধোয়ার উষ্ণ গরম জল বাটি করে টেবিলে এনে দেওয়া।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:২০536951
  • খুব রেলেভ্যান্ট একটি আর্টিকল, যা আজকের মেয়েদের/মায়েদের অনেকখানি উদ্বুদ্ধ করবে।

    http://www.cnn.com/2012/04/16/tech/web/cashmore-facebook-sandberg/index.html?hpt=hp_c2

    ভারতীয় কর্পোরেট জগতকে কাছে থেকে দেখেছি, দেখেছি যে যদিও সেখানে মায়েরা এবং বাবারা কাজ করে, তবু পরিবারের জন্যে সময় দেওয়াটা সেখানে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দেখা হয়। ছোটো ছেলে মেয়েদের বাবাদের দেখেছি, তারা এতটুকু অপরাধবোধ ছাড়াই সেই অদ্ভুত ওয়ার্ক কালচারে মিশে গেছে, যেখানে অফিস থেকে ফেরার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, সন্তান এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যে কোনো প্রচেষ্টা নেই, সেটা যে দরকার সেই চেতনাটাই নেই এমন কি। কোম্পানি মাইনে দিচ্ছে, সব্বাই এরকম করছে, অতএব এটাই নিশ্চয়ই হওয়া উচিত, এটাই নর্মাল, অতএব এটাই চলুক। কগনিজেন্টে, আমার সীমিত অভিজ্ঞতায় যতটা দেখেছি, মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় কম তো বটেই, সেইসব মেয়েরা সকলেই হয় অবিবাহিতা নয়ত বিবাহিতা কিন্তু সন্তানহীনা। এইরকম ওয়ার্ক কালচারে মেয়েদের সন্তান জন্মের পরে চাকরি ছাড়া ছাড়া উপায় কি?

    আমি যদি এই সমস্যা নিয়ে ভারতীয় কর্পোরেট জগতের কোনো পুরুষের সঙ্গে আলোচনা করি, তাহলে আমাকে শুনতে হয়েছে যে এই সমস্যা আদৌ কোনো সমস্যা নয়। কর্পোরেট জগতে চাকরি করতে হলে পরিবারকে/সন্তানকে সেকেন্ডারি হিসেবে দেখতেই হবে। এটাই নর্ম।

    এই বছর, উইমেন্স কনফারেন্সে গিয়ে প্রথমবার শুনলাম যে যে সমস্যার কথা আমি ক্রমাগত ভেবে চলেছি, সেটা আমার একার নয়। প্রতিটা মহিলা কর্মীকে এই ডাইলেমার মুখোমুখি হতে হয়। আর আমেরিকায় যেসব মহিলা এখন লিডারশিপ পজিশনে গেছে, তারা এই সমস্যাকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি দেখে। তারা সাহস দেয় এই নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে। তারা কর্পোরেট দুনিয়ার এই পুরুষতান্ত্রিক স্ট্রাকচার বদলানোর চেষ্টা করছে। শুধু মায়েদের জন্যে নয়, বাবাদের জন্যেও - একই ভাবে। আর চেঞ্জ আসছেও। যত বেশি মেয়ে লিডারশিপ পজিশনে যাবে, ওয়ার্ক কালচারে পরিবর্তন তত তাড়াতাড়ি আসবে। মেয়েদের কাজের জগতে ঢোকাটা অত্যন্ত জরুরী - গোটা সমাজের জন্যেই।

    হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত সেই আমেরিকার কথাই এল। কারণ ভারতে মায়েদের এমন "মহীয়সী" রূপে দেখা হলেও সত্যিকারের সুযোগ সুবিধা দেবার বেলায়, সত্যিকারের অধিকার দেবার বেলায় .... তখন "প্রকৃতির দেওয়া ভূমিকাতেই" মুখ বুজে অভিনয় করার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
  • maximin | 59.93.205.14 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:২১536952
  • আগে যখন জলপাইগুড়ি থাকতাম, মেঝেতে বসে ভাত খেতাম জালি দিয়ে ঘের দেওয়া বারান্দায়, সে আমলে মা ব্যাবস্থা করেছিলেন যাতে খেতে বসে কাঁচালংকা গাছ থেকে ছিঁড়ে নিতে পারি জালির ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে। বড় একগ্লাস কমলালেবুর রস পেতাম মায়ের নিজের হাতে করা। অনেক বয়েস অবধি কমলালেবু নিজে ছাড়িয়ে খেতে হয়নি। অথচ মা কলেজে পড়াতেন। গবেষণার বিষয় ছিল 'উইমেন লেবার ইন টি ইন্ডাস্ট্রি'।
  • maximin | 59.93.205.14 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:২৭536954
  • পড়ব রিমি। কিন্তু আমাদের বাড়িতে মায়েরই প্রাধান্য ছিল সব বিষয়ে।
  • maximin | 59.93.205.14 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:৩২536955
  • বাবা রান্না করতেন বাসন মাজতেন আনাজ কুটে দিতেন ময়দা মাখাতেন লুচি বেলতেন।
  • maximin | 59.93.205.14 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:৩৮536956
  • স্কুল কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসলে আমার বাবামায়ের কথা তারাই আমাকে বলে, মনে রেখেছে তারা। (পরিবার নিয়ে গর্ব করলাম একটু। গুরুচন্ডালির লোকজন দোষ নেবেন না যেন।)
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:৫৭536957
  • ম্যাক্সিমিনদি, এরকম পরিবারের কথাই তো শুনতে চাই। দু:খের বিষয় এরকম পরিবার খুব কম এখনো। তুমি আরো বলো। এই টই তো আসলে স্মৃতিচারনেরই জায়গা।
  • Du | 117.194.202.108 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২১:০২536958
  • ভারতীয় নিয়ে কথাই উঠলো তো একটা কথা বলেই ফেলি, প্রশ্ন জাগে মাঝে মাঝেই। ভারতের সাহিত্যে ছোটথেকে পড়ি রামের কথা - পিতৃসত্য পালনের জন্য বনে গেলেন তিনি, ভীষ্ম জীবনের সব সাধ ছেড়ে দিলেন পিতার মনোবাসনা জাতে পূর্ণ হয়, পুরু তুলে নিলেন পিতার জরাভার। দেবব্রতের মা ছিলেন না, ঠিক আছে। বাকী দুজনের মায়েরা কি করলেন? ভারতের বিশ্বশ্রেষ্ঠ মাতৃমহিমা তাদের কি ভূমিকা নির্ধারন করে দিল সন্তানের এইসব 'কর্তব্যপালন' প্রত্যক্ষ করতে?
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২১:১৫536959
  • ভালো প্রশ্ন করলে দুদি। মায়েরা প্রচুর কান্নাকাটি করেছিলেন এটুকু লেখা আছে। তারপরে মায়েদের কথা আর কিছু লেখা নেই। আছে কি?

    কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তা নিজের জীবনেরই হোক কিম্বা সন্তানের জীবনের, নেবার অধিকার তো ভারতীয় মায়েদের সমাজ দেয় নি, অন্তত যতক্ষণ স্বামী/বাবা বর্তমান। রাজা দশরথ যেখানে ছেলেকে আটকাতে পারলেন না, সেখানে কৌশল্যা বা সুমিত্রার কি ক্ষমতা? যে সমাজে একটি স্বামীকে ভাগ করে নিয়ে মানিয়ে চলতে হয়, সেখানে রানী হলেও তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কতটুকু মূল্য সেতো বোঝা যায়।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২১:২৫536960
  • আর পুরুর জরাভার গ্রহণ করার ঘটনাটা তো রীতিমতন অশ্লীল। ঐ আরেক লোক রাজা যযাতি!!! :-((
  • Generic Letter | 136.142.168.156 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২১:২৭536961
  • দ্রৌপদী?
    মা নয়, তবে স্ত্রী তো!
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২১:৩১536962
  • দ্রৌপদী কি? আরে পাঁচটা স্বামী থাকলেও ব্যপারটা একই রে ভাই। প্রথম কথা সে নিজে পাঁচটা বিয়ে করে নি, করতে চায়ই নি। দ্বিতীয় কথা, যখন যার সঙ্গে খুশি সহবাসের অধিকার তার ছিল না। তার সহবাসও স্বামীদের ইচ্ছে মতন হত। তৃতীয় কথা, তার প্রত্যেকটা বরই নিজেদের ইচ্ছেমতন আরো গুচ্ছখানিক বিয়ে করেছে।

    দ্রৌপদী ঐ একই কয়েনের উল্টো পিঠ।

    ভাগ্যিস, মহাভারতের সময়ে জন্মাই নি। :-)
  • d | 14.96.233.19 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:০৪536963
  • হে: দ্রৌপদীকে যুধি ব্যাটা সব ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে আবার মহাপ্রস্থানের পথে যখন দ্রৌপদী পড়ে গেল, তখন আবার অন্য ভাইদের কথা তুলে তুলে খোঁটা দিয়েছিল। যেন দ্রৌপদী একটা খেলনা বিশেষ ---- যুধির ইচ্ছে মত নড়বে চড়বে।

  • jonty | 151.141.84.239 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:০৮536965
  • আর মাধবীর গল্প তো আরো উৎকট। রাজকন্যা মাধবীকে ঋষি গালবের কাছে দান করে দিলেন রাজা পিতা, কেন না তিনি নিজে "দান" এর পুণ্য পাবেন। গালব এই মাধবীকে নিয়ে নিয়ে এক এক রাজার সঙ্গে অস্থেয় বিবাহ দিলেন আর অনেক ঘোড়া নিলেন দাম হিসাবে। অস্থেয় বিবাহের ক¾ট্রাক্ট শেষ হয়ে যেতো পুত্রসন্তান জন্মালেই, তখন মাধবীকে গালব নিয়ে আরেক রাজার সঙ্গে বিয়ে দিতেন আর ঘোড়া নিতেন। এই পুরো ব্যাপারটাতে মাধবীর নিজের মতামতের কোনো মূল্যই ছিলো না। :-(

    দু এর প্রশ্নগুলো খুব ভ্যালিড। এইসব পিতৃভক্ত পুত্রদের কাহিনির আড়ালে তাদের মায়েরা কোথায়? তাঁদের কী মতামত? তাঁদের কোনো সিদ্ধান্ত কোথাও চাওয়া হয়েছে কিনা! কৌশল্যা কৈকেয়ী সুমিত্রার কি আদৌ কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ছিলো? একই কথা রাজরাণী সীতা সম্পর্কেও, রাণী হিসাবে তিনি কোনো রকম ক্ষমতার অধিকারিণী ছিলেন কি? নইলে বিনা বিচারে ওরকম করে ওনাকে বনে দিয়ে আসা হলো আর তারপর তার জনমদুখিনী ইমেজ নিয়ে কান্নাকাটি হাজার হাজার বছর ধরে! এসব কী?
    মহাকাব্যগুলোতে কোথাও নিজস্ব নারীবাহিনি নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন এরকম কোনো নারীর কথা আছে কি মূল ও প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে? চিত্রাঙ্গদা আর উলুপীর কথা বললে চলবে না, ওনারা মূল ধারার অংশ ছিলেন না, ওনারা পার্শ্ববর্তী সংস্কৃতির। আর অম্বা চরিত্রটার মধ্যে যে দীপ্ত আগুন ছিলো, তাতে এর বিকাশ অনেক বিস্তৃত হতে পারতো, পুরুষতান্ত্রিক কাহিনীকার তাকে বিকৃত করে ফেললেন। :-(
    যতবার মহাভারত নতুন করে খুলি, ততবার নতুন করে চোখে লাগে এইসব। আর রামায়ণ তো ভয়েই খুলি না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন