এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের হাতের রান্না

    Sumit Roy
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০১২ | ৩৮৩৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Generic letter | 75.151.240.1 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৩০536900
  • ডিডিদা, আমি 11th April 9:05 এর পোস্টে ঠিক এই গিল্টের কথাই বলেছিলাম - আবেগমথিত স্মৃতিচারণটা ঠিক এখান থেকেই আসে।

    ব্রতীন - কি বলি বলুন তো! আশা করি একজন মহিলাকে খুঁজে পেয়েছেন যিনি কোনরকম বাধ্যতা ছাড়াই গৃহবধূর জীবন বেছে নিয়েছেন। আসলে কি জানেন তো, এই চাকুরীরত-স্বামী-আর-চাকুরীহীনা-স্ত্রীর মধ্যে bargaining power-এ অসাম্য এতখানিই যে, কেউ যদি এভাবে হাউজওয়াইফ খুঁজে নেন মার্কেট থেকে তাহলে একটা ধারণা হয় যে তিনি ঐ upper handএর লোভেই বিয়েটা করছেন। আশা করব, আপনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম নয়।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০০:১১536901
  • হ্যাঁ। একটি বাঙালী ছেলেকে দেখেছি মায়ের চাকরি এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে গর্ব করতে। এখানেও এক সময় লিখত সে, নাম যতদূর মনে পড়ছে ঋজু। অনেক আগের কথা, কিন্তু বাঙালী ছেলের মুখে মায়ের সম্পর্কে অমন কথা খুব রেয়ার বলেই মনে আছে। বাঙালী মেয়েরা অবশ্য অনেকেই মায়ের চাকরী নিয়ে গর্ব করে থাকে।

    আমেরিকায় ছেলেরা তাদের মায়ের, বৌএর বড় চাকরি নিয়ে প্রায়শই গর্ব করে থাকে। :-)) এক ছাত্র সেদিনই এসে বুক ফুলিয়ে গর্ব করে গেল যে সে তার বৌএর ক্লাসে এনরোল করেছে। বৌ এই ইউনিতেই পড়ায়। বৌ নাকি খুব কড়া টিচার, ওকে স্ট্রিকলি গ্রেড করবে, এই সব বলে গেল হাসিমুখে।
  • bratin | 112.79.36.56 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৫536902
  • না আমার চাকরী করার চেয়ে সুষ্ঠ ভাবে স্‌সার সামলানো অনেক গুরুত্বপুর্ন মনে হয়েছে। সেই জন্যে এমন একটি মেয়ে কে বিয়ে করেছি য চাকরী জরতে চায় না। দু জনেই খুশী

  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০০:৩৩536903
  • ঐ আবেগমথিত স্মৃতিচারণ-ও আসলে পুরুষতন্ত্রের খেলা।

    মা ঘেমে নেয়ে রান্না করবে আর আমি বাবা বসে বসে খাব, আমরা ভাবতে ভালবাসি এতেই মায়ের সুখ। আর মাকেও সেটা ভাবিয়ে ছাড়ি শেষমেষ।

    আর তার অনুষংগে আসে আবেগ, মায়ের রান্নার স্মৃতি, মায়ের রাত জেগে বসে থাকা, সংসারের সেবা- টিপিকাল মাতৃমুর্তি। আমাদের ভারতমাতার আর্কিটাইপের সাথে মিলে যায় গৃহমাতার ইমেজ। এর সাথে আমাদের বর্ণহিন্দু মধ্যবিত্ত বাংগালী আইডেন্টিফাই করতে পারে। অন্য কোনো ইমেজের সাথে পারে না।

    আমাদের স্মৃতিকথাগুলোতেও তাই মা ভীষণ একরংগা। আমি এ পর্যন্ত বাংলয় কোনো মেমোয়ার পড়িনি যেখানে মা-কে গৃহবধু বা স্কুলের চাকরির বাইরে অন্য কিছু করেন লেখা হয়েছে। এবং সব মা-ই স্নেহশীলা, নীরবে সংসারের জন্য দধিচীর মতন ত্যাগ করে যান।

    কেউ কেউ বলছেন মেয়েরা গৃহবধু থাকতে চাইলে থাকুক। সেই চাওয়াটাও তো সমাজবিচ্ছিন্ন নয়। হাজার হাজার বছর ধরে এই ধারণাটা তাঁদের মধ্যে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলেই তাঁরা চাইছেন।

    ঠিক যেমন উল্টোদিকে মেয়েদের কাজ করতে চাওয়ার আইডিয়াটাও আইসোলেটেড কোনো ব্যাপার না। `মহানগর` সিনেমাটায় এর কিছুটা উত্তর দেওয়া আছে।
  • pi | 72.83.85.245 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০০:৩৬536904
  • সিদ্ধার্থ, জেনেরিকদা, এই পয়েন্টগুলো নিয়েই আগে একবার বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। দেখতে পারো।

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porlet
    Page=2&contentType=content&uri=content1209480690567&contentPageNum=7

  • riddhiman | 108.218.136.234 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০৩:০৬536905
  • ডিডি দা, আমি আপনার রুচি দিলেন। আমি আমার টা দিচ্চি। নো অবকাশ ওফ তর্ক। এই ধরনের পোস্টগুলো বেশ টেনশন ফ্রি হয়ে লেখা যায়।

    দুনিয়ার ৯৯;৬৭ শতাংশ গল্প নভেল, মেমোয়ারে শোষনের এঙ্গেল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, আহা প্রজারা কত ভাল, কি খাটিয়ে, আমার সোনার তরী ভরিয়ে দিলে গো। সেদিনি একটা পুরনো ইংরেজের 'রাজ' বিষয়ক স্মৃতি চারণ পড়ছিলাম, কি ভাল প্রভুভক্ত ভারতীয় চাকর বাকরেরা। তো এটা বলছি না, এরম ঘ্যাম ঘ্যাম লোকেরা এসব লিখেছে বলে সাত খুন মাফ করে দাও।
    ব্যক্তিগত ভাবে, আমি এই এঙ্গেল টা পাতি ইগনোর করে লেখাটা চাটি। আবার এটা আমি। শোষন অনুভব করার এন্টেনা হয়তো সামান্য বেশী ভোঁতা। তবে এই স্ট্রাটেজি টার একটা ভাল দিক হল, ভাল লাগার সেট টা ভয়ানক ভাবে সংকুচিত হয়ে যায় না। আর একটা ব্যপার কাজে আসে- ট্রানে্‌স্‌ফরেন্স। যে খেলাটা না খেল্লে হয়তো বেশ কিছু পুরনো তথাকথিত ক্লাসিক মুখে দিতে পারতাম না। একটা ইন্ডিআন সেপয়ের প্রভুকে নিয়ে গুণ কীর্তন পড়ে আমি শুধু ঐ কবিতার ছন্দ আর লোয়লটির বোধ নিয়ে আমার এক পাড়ার দাদার কথা মনে করি। যাস্ট হেল্প করে। ফিউডাল কলোনিয়াল ও আরো অনেক খারাপ খারাপ মনোবৃত্তি হালকা গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

    মোটামুটি আমার কাছে, লেখার মাল মশলা, সাহিত্যের ফর্মে প্রায় সব-কিছুকেই পাতি তর্কাতর্কির থেকে, একটু বেশি ক্ষমা- যোগ্য করে তোলে। আমারো মাঝে মাঝে বেশী 'মা মাগো' ভাল লাগে না, কিন্ত সেটা পাতি মোনোটনির দিক থেকে। ভবিষ্যতে এমন দিনো আসতে পারে যেখানে গোলবাড়ির কষা মাংস নিয়ে কোন ঘ্যামা স্মৃতিচারণ, (স্পিশিস সাম্যের কোন উঙ্কÄল ভোরে)বা আমেরিকায় হুটার্সে বসে মাল খাওয়া, একজন পাষন হৃদয় পারভার্টের ভালগার ফ্যানটাসি বলে গন্য হবে। হতেই পারে। প্রথমটা হলে একহাতে মেমোয়ার অন্য হতে এচোড়ের তর্কারি নিয়ে ইতিহাসের সবচে কঠিন ট্রনস্ফারেন্সের খেলাই মজব।
  • i | 124.169.133.159 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০৩:৪৫536906
  • এ সুতো অন্যদিকে ঘুরে গেছে।

    আমার দিদা স্কুলে চাকরি করতেন, মা অধ্যাপনা। এই নিয়ে আলাদা করে গর্ব করে কিছু লিখব কোনোদিন মনে হয় নি। স্বাভাবিকই মনে হোতো, এখনও হয়। গর্ব ব্যাপারটা ভালো নয়।

    আট বছর আগে এবিপিতে প্রকাশিত একটি পুরোনো লেখা :
    http://www.anandabazar.com/archive/1040617/17edit3.htm

    অনেকদিন আগে কবিতার টইতে বলেছিলাম, ইয়ার্কি করেই-দুখেরূপে সম্মুখে তোমার..আজ পাদপূরণ করি-ছাড়ি কোথা খুঁজিছ তৃতীয় স্বর?
    ইয়ার্কি করে লিখলাম না বোধ হয়।
    দুখের বহু কথার সঙ্গে সহমত। অন্যত্র একথা বলেছি। গলায় জোর নাই। কেহ শোনে নাই।
  • i | 203.214.152.196 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০৪:১৬536907
  • ২০০৪এ প্রকাশিত মূল যে চিঠিটি -যার প্রেক্ষিতে ১৭ই জুনের ঐ লেখাটি-সে চিঠি খুঁজে পেলে এখানে শেয়ার করব।
  • dd | 122.167.35.17 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১১:৩০536908
  • কিন্তু ঐ লিংটা ০পড়তে পারলাম না। বোধয় এক্ষপায়ার করে গেছে
  • d | 14.99.28.235 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১১:৫৬536910
  • আপনার সিস্টেম দেখি বড়ই ইসে।
    এটা আর্কাইভের লিংক তো, এক্ষপায়ার করার গল্প নাই। দিব্বি খুলছে। এক কাজ করেন --- আবাপ'র আর্কাইভে গিয়ে ১৭ জুন ২০০৪ এর সম্পাদকীয় পাতা খুলে পড়ে ফ্যালেন।

    কিন্তু পরশুদিন পর্যন্ত আমার বালেনক খুলছিল, এখন খুলছে না কেন??
  • d | 14.99.28.235 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:০২536913
  • হ্যাঁরে বুনাই, মাল খাওয়া, গাঁজা খাওয়া বাড়ীতে বাবা মা'রা চট করে হাসিমুখে মেনে নেন? অনেক বাড়ীতে তো এমনকি রাজনীতি করাও বাবা মা'রা মানতে চান না। ধর তোর ক্ষেত্রেই যদি ধরি, এইগুলো না মানলে তুই কি এইগুলো ছেড়ে দিতিস? নাকি আস্তে আস্তে সইয়ে সইয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মানাতিস?

    একটু ঘাসজলের যোগাড় দেখে এসে বাকী কথা লিখছি।
  • d | 14.99.28.235 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:০২536912
  • হ্যাঁরে বুনাই, মাল খাওয়া, গাঁজা খাওয়া বাড়ীতে বাবা মা'রা চট করে হাসিমুখে মেনে নেন? অনেক বাড়ীতে তো এমনকি রাজনীতি করাও বাবা মা'রা মানতে চান না। ধর তোর ক্ষেত্রেই যদি ধরি, এইগুলো না মানলে তুই কি এইগুলো ছেড়ে দিতিস? নাকি আস্তে আস্তে সইয়ে সইয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মানাতিস?

    একটু ঘাসজলের যোগাড় দেখে এসে বাকী কথা লিখছি।
  • i | 124.168.166.164 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:০২536911
  • আমি তো দেখতে পাচ্ছি দিব্য। এক্ষপায়ার করে নাই তো।
  • i | 124.168.166.164 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:০৪536914
  • সিনগল ডি আগেই কইসেন-না দেখেই পোস্ট কোর্লাম।
    সিনগল ডি, আপনের কি ওরিজিনাল চিঠিটি স্মরণে আছে?
  • Blank | 59.93.198.134 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:১৭536915
  • একটু একটু করে সইয়ে নিলেই হয়। দুদিন পর পর মাঝরাতে এলাম তারপর পুরো উইকেন্ড বাড়িতে ভাত মাছের ঝোল খেয়ে ভাল ছেলে হলাম, বাড়ি ছেরে বেরোলাম না। ব্যাস ঝামেলা মিটে গেলো :)
  • abastab | 14.139.163.29 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৬536916
  • গর্ব বিষয়ে i-এর কথায় তথাকথিত ক দিলাম একখান। একটু প্রসঙ্গান্তর কিন্তু যেহেতু রামকৃষ্ণ গুরুর পাতায় এখনো বর্তমান তাই খেয়াল করাই উনিও বারবার করে অহং ছাড়তে বলেছেন।

    একই সাথে আবদুল ওয়াহীদ খাঁ-র দরবারীতে সেই গানটাও খেয়াল করাই গুমানি জগ তাজ।
  • Blank | 59.93.198.134 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৫536917
  • গান টা দিন না এখানে
  • kc | 194.126.37.78 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:০৩536919
  • বহীদ খাঁ র দরবারীটা আমি দিতে পারি। কিন্তু শুধুমাত্র সিপিএমের সাপোরটারদেরই দেব।

    না না উপরে মিছা কথা কইলাম। যে চাইবে তাকেই দেব।
  • abastab | 14.139.163.29 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:১৮536921
  • এই ভাবে ভোট কেনা ঠিক হচ্ছে না। তবে দয়া করে গানটা দিন।
  • Lama | 117.194.229.126 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৪৫536922
  • একটা কথা মনে পড়ল। বছর দশেক আগে , আগরতলা এয়ারপোর্ট থেকে প্লেন ধরার আগে সিকিউরিটি চেকে ডাক পড়ল। সি আই এস এফ এর জওয়ান মেটাল ডিটেক্টর হাতে আমকে তল্লাসি করতে গিয়ে হঠাৎ থমকে গেলেন। মনে হল কোথাও থেকে কেউ যেন তাঁকে কিছু ইশারা করল।উনি হাত সরিয়ে নিয়ে হেসে বললেন "যাইয়ে'।
    প্লেনে ওঠার আগে মাকে বললাম "এরা আমাকে চেক করে নি।' মা বলল "করবে তো না-ই, এদের কম্যান্ড্যান্ট আমার ছাত্রী। আমার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল, তারপর ওই তো ইশারায় বলে দিল চেক করার দরকার নেই।' সেবারে কম্যান্ড্যান্ট নিজে আমাদের প্লেনের সিঁড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে মা-কে প্রণাম করে বিদায় নিলেন। এর পরেও কয়েকবার দেখা হয়েছে, আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন "দিদিমনি কেমন আছেন?'

    কম্যান্ড্যান্ট এখন বদলি হয়ে গেছেন, কিন্তু তাঁকে নিয়ে আমার মা সঙ্গত কারণেই গর্বিত। মায়ের একজন ছাত্র বা ছাত্রী এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের সর্বেসর্বা জানতে পেরে আমার এবং আমার স্ত্রীর গর্ব হয়েছিল সেবার। এবং আমার ধারণা কমান্ড্যান্টের নিজের ছেলে/ মেয়েরাও তাদের মাকে নিয়ে গর্বিত।

    একজন যাত্রীকে তল্লাসী না করে প্লেনে উঠতে দেওয়া উচিৎ কিনা, সেই তর্ক অন্যত্র হতে পারে।
  • bb | 117.195.181.79 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৪৯536923
  • উফ সব কিছু কত বদলে যাচ্ছে।আমাদের ছোটবেলা থেকে শেখান হয়েছিল, নিজেদের গুণগাণ নিজেরা গাইবে না।
    আমার মা গ্রাম থেকে এসে বিয়ের পর তিন ছেলে মেয়ে হওয়ার পর যাদবপুর থেকে রাত্রে পড়ে এম পাশ করেন, কারণ দিনের বেলায় চাকরী করতেন। এই সবই হয়েছে বাবার জন্য, তিনি পাশে না থাকলে হত না। অনেক কষ্ট আমার মাকে করতে হয়েছে। কিন্তু এইগুলি কি ঢাকপিটিয়ে বলার কথা না এর মানে আমার মায়ের জন্য আমি গর্বিত না?

    সবার দৃষ্টিভঙ্গী এক নাও হতে পারে,আমেরিকান ছেলে তার বউ কত ভাল চাকরী করে বলে গদ গদ হলেই দারুণ হয়ে গেল, আর ভারতের ছেলেরা মাকে কাজের জন্য শ্রদ্ধা করেনা এর চেয়ে সরলরৈখিক সমীকরণ দেখিনি।

  • Lama | 117.194.229.126 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৬:১১536924
  • bb, আমার মনে হয়, কেউ কেউ বলতে চাইছে- সবাই যার যার মাকে নিয়ে গর্বিত। আমি আমার স্কুলমাস্টার মা-কে নিয়ে, আমার মা তাঁর 'গৃহবধূ' মা-কে নিয়ে, মায়ের ছাত্রীর সন্তানরা তাদের কমান্ড্যান্ট মা-কে নিয়ে।

    কেউ যদি দাবি করে থাকে নিজের সুখস্বাচ্ছন্দ্যস্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে শুধু রেঁধেবেড়ে খাওয়ানো মায়েরাই (যেমন আমার দিদা) মহান, কিন্তু স্কুলশিক্ষিকা (যেমন আমার মা) বা পুলিশ (যেমন আমার মায়ের ছাত্রী) মায়েরা ঠিক ততটা মহান নন, আপত্তি সেখানেই। কারো কারো পোস্টে সেরকম একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে যেন।

    আর আমেরিকার ছেলেরা যাকরে তাই আমাদের করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বুড়ো মা বাবাকে ওল্ড হোমে দিয়ে আসাটাও আমরা আঅমেরিকার ছেলেদের কাছেই শিখেছি কিনা!
  • aka | 75.76.118.96 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৩৯536925
  • লামা, আরে গল্প শোনো। তখন অ্যাপার্টমেন্ট খুজছি। একদিন দুর্দান্ত একটা বাড়ি দেখলাম। এদিক ওদিক খুজ গেটে খুজে পেলাম। সেখানে গিয়ে ম্যান্ড্রেকের জানাডুর মতন নাম ধাম বলায় গেট খুলল। তারপর ফুলের বাগান, ঝরনা, ছোট লেক পেরিয়ে পৌছলাম আপিসে। সেখানে গিয় জিগ্যেস করলাম এখানে থাকতে গেলে কি করতে হয়? সে মিটিমিটি হেসে জিগ্যেস করল আমার বয়স ৬৫ কিনা। আসলে ওটা বৃদ্ধাশ্রম। প্রতি ঘরে একটা করে ব্যলকনি, সেখানে ছাতা, টেবিল। দাদু, দিদিমার হাত ধরে বসে জলাশয়ে ঝরণা দেখে। মাথার কাছে সুইচ টিপলেই প্রথমে ম্যানেজমেন্টের কাছে ফোন। প্রতি হপ্তায় কিছু না কিছু জয়েন্ট অ্যাকটিভিটি। আমার অ্যাম্বিশন অমন একটা বৃদ্ধাশ্রমে শেষ জীবনটা কাটাই। বহুত পয়সা লাগে। :(
  • Lama | 117.194.229.126 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৪৫536926
  • আকা, আমারও অ্যাম্বিশন তাই। ঘরশ্বশুর হয়ে থাকতে চাই না :)

    কিন্তু অধিকাংশ ভারতীয় মা বাবাদের অ্যাম্বিশন তো তা নয়। বেশিরভাগ ভারতীয় বৃদ্ধ/বৃদ্ধা যারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন তাঁরা অনিচ্ছাসঙ্কেÄও থাকেন তো
  • d | 14.96.88.85 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৩536927
  • আজ্ঞে না আমি কোনও কাগজেরই চিঠিপত্রের কলাম পড়ি না, কেউ বিশেষ কিছু পড়তে না বললে। তাই এই চিঠির কথাও ঐ লেখাতেই যা দেখেছিলাম।

    লেখাটার কথা মনে আছে, কারণ আমি একটু দ্বিমত ছিলাম ঈশানী দেবীর সাথে।
  • aka | 75.76.118.96 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৪536928
  • দুটো কারণ,

    এক, ভার্তের বৃদ্ধাশ্রম গুলো অন্যান্য পরিষেবার মতনই ধুর।

    দুই, একটা সোশাল ডিফারেন্স আছে। আমরা সবার সাথে জড়িয়ে থাকতে ভালোবাসি। আম্রিগায় সবাই ইন্ডিপেন্ডেন্স খোজে। হপ্তাঅ দুয়েক আগে একজন প্রায় ৬০ বছরের মহিলার সাথে কথা হচ্ছিল। উনি লোকের বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন কাজ করেন -অসঙ্গঠিত শ্রমিক, নিজের গাড়ি আছে। ছেলে, মেয়ে সবাই এই শহেরেঅই থকে। জিগ্যেস করলাম তাহলে তোমার তো খুব মজা। সে বলল না না আমি ওদের মাঝে সাজে নিমন্ত্রন করি ব্যাস ঐ অবধি। আমাকে দিয়ে ছেলে মেয়ে মানুষ করিয়ে নেবে ওসব চলবে না। আমার নিজস্ব একটা জীবন আছে। পার্স্পেকটিভটাই আলাদা।
  • d | 14.96.88.85 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৭536929
  • বিবি, সমীকরণ চিহ্নটা আপনি বসিয়েছেন তাই আপনার ঘেঁটে গেছে। ডিডি বা রিমি কেউই সমীকরণ চিহ্ন বসায় নি।

    ডিডি যা বলেছেন, সেইরকম কোনও বাঙ্‌লা আত্মকথা বা স্মৃতিচারণ সত্যিই মনে করতে পারলাম না। তো, রিমি তাতে কয়েকটা আখ্যান উল্লেখ করেছে।
  • d | 14.96.88.85 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৭:১১536930
  • তাহলে ব্ল্যাংকি, তোর যেটা পছন্দমত কাজ, তুই সেটায় সইয়ে সইয়ে মানিয়ে নিস তাই তো? তাহলে এই যে তোর মনে হচ্ছে রিলিফ দিতে চাইলেও মা সেটা নিতে চান না ----- সেখানে তোর মনে হচ্ছে না যে মা'কে এই রিলিফটা তোর সইয়ে সইয়ে দেওয়া উচিৎ। অল্প অল্প করে ওঁকেও এবার অন্যান্য আরও বিভিন্ন জিনিষে বা অ্যাক্টিভিটিতে বেশী আগ্রহী করে তোলা দরকার?

    ভাব ব্ল্যাংকি, খুব ভাল করে ভাব
  • d | 14.96.88.85 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫২536932
  • সুমিতবাবু সুতোটা উড়িয়েছিলেন ওঁর মায়ের স্মৃতিচারণ করাঅর জন্য। লেখাটা চমৎকার, ডিডি এই সম্পর্কে যা বলেছেন তার সমর্থন সুমিতবাবুর লেখাতেও দেখছি। উনি বলেইছেন ওঁর বাবা পরলোকগত হওয়ায় ওঁর মায়ের সেবা দেওয়ার লোকটি চলে যাওয়ায় উনি সবচেয়ে অসহায় বোধ করেছিলেন।

    এরপরে শঙ্কুবাবুর মন্তব্যগুলো এতই কদর্য্য, এমনই 'ম্যাগো' টাইপ যে ঐ নিয়ে আর কথা না বাড়াই।

    এইবারে গৃহবধু কারা? যাঁরা বাড়ীতে রান্নাবান্না, ঘরমোছা, বাসন মাজা ইত্যাদি করেন নাকি যাঁরা এই কাজগুলো লোক রেখে করিয়ে নেন কিন্তু নিজে উপার্জনকারী কোনও কাজ করেন না। যাঁরা বাড়ীতে বা বাইরে কোথায়ও কোনওরকম কাজ কর্মই করেন না, অর্থাৎ বাড়ীর কাজের জন্য রান্নার মাসে, কাজের মাসী, সন্তানের পড়াশোনার জন্য গৃহশিক্ষক বা শিক্ষিকা আছেন এবং নিজেরা নিজের প্রাত্যহিক স্নান খাওয়া, টি ভি দেখা ইত্যাদির বাইরে কিছুই করেন না --- এরকম লোকেদের প্রতি শুধু করুণা নয় বেশ বিরক্তিও বোধ করি। এরকম বেশ কিছু মহিলা আমি অন্তত আশেপাশে দেখি যাঁরা সমস্ত বিষয়েই অত্যন্ত পরনির্ভরশীল --- মেয়ে পড়ে গিয়ে ঠোঁট কেটে রক্ত বেরোচ্ছে মাতৃদেবী বসে আছেন কখন বর অফিস থেকে এসে গাড়ী চালিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন কিম্বা ড্রাইভার পাঠিয়ে দেবেন। এদিকে পসকো টসকো তো অনেক দূরের ব্যপার জেইউ এর প্রফ গ্রেপ্তার নিয়ে কথা বলতে যান --- হয় এনারা মিটিমিটি হেসে চুপ করে থাকবেন, নয়ত বলবেন 'আমি ওসব বুঝি টুঝি না' কিম্বা 'আমি তো ভাই রাজনীতি বুঝি না ---' তা আমার মতে এই প্রজাতি যত তাড়াতাড়ি লোপ পায় ততই ভাল।

    প্রথম ধরণ অর্থাৎ যাঁরা নিজেরা বাড়ীর অনেক কাজই করেন কিন্তু উপার্জনশীল নন তাঁদের গল্পটা বেশ বহুমাত্রিক। এঁদের মধ্যে অনেকেই হয়ত বিয়ের আগে কিছু না কিছু করতেন, বিয়ের পর ছাড়তে হয়েছে কিম্বা সন্তানের জন্মের পর ছাড়তে হয়েছে। তো, সেক্ষেত্রে আমার মতে এঁদের অন্তত ভবিষ্যতে কিছু একটা করার চেষ্টা থাকা উচিৎ। এক্ষেত্রে আমি ধরে নিচ্ছি উপার্জনশীল কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষা তাঁর আছে। যেমন আমার এক পরিচিতা বিয়ের আগে লাখোটিয়া কম্পিউটার সেন্টারে পড়াতেন। বিয়ের পরও কিছুদিন চাকরী করেছিলেন, মেয়ে হওয়ার আগে আগে ছেড়ে দেন। এর পর সাত বছর তিনি বাড়ীতেই ছিলেন --- এক মেয়ে এক ছেলে --- ছেলে যখন সাড়ে তিন বছর মেয়ে সাত বছর তখন তিনি আবার একটি ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে যোগ দেন। বেশ কিছু বছর কেটে যাওয়ার পর এখন তিনি আই বি এমের ব্যান্ড নাইনের বেশ উপরের দিকে আছেন। মজা হল, সাত বছর ব্রেক নিয়ে যখন তিনি ফেরেন, বেশীর ভাগ কোং ই তাঁকে প্রত্যাখ্যান করত এই বলে যে 'আপনি তো এতদিন বসে ছিলেন' কিম্বা 'আপনি তো যে কোনওদিনই আবার বসে যেতে পারেন'। আমাদের দেশে এই ফেরত আসার পথটা অন্তত দশ বছর আগেও বেশ কঠিন ছিল।

    তা এটা' তো গেল একটা দিক। আরও কয়েকটা দিক আছে। পরে বলছি।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন