এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের হাতের রান্না

    Sumit Roy
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০১২ | ৩৮৭৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৫৪536733
  • আমাদের এক সিনিয়র এরকম বলেছিল ।

    বিদেশে গিয়ে সব তোকে নিজে নিজে করতে হবে। রান্নাবান্না তো বটেই। তা ধর তুই শুরু করলি। প্রথমে তরকারি পুড়ে গেল। তারপর নুন বেশি হয়ে গেল। কোনদিন একদম পানসে হল। এই করতে করতে মাস দুয়েকের মধ্যে তুই একটা চলনসই জায়গায় গেলি। মানে খেতেটেতে পারছিস। তারপর তোর বাই চাপল। এটা করে দেখি, ওটা করে দেখি। ছ মাসের মাথায় তুই কিছু কিছু পদে স্পেশালিস্ট হয়ে গেলি। পটলাক-এ খাবার নিয়ে যাসটাস। এইভাবে তোর মধ্যে একটা কনফিডেন্স এল। দশ মাস নাগাদ তোর ধারণা হল রান্নাটা তুই ভালোই করিস।
    বছরখানেকের মাথায় তুই ছুটি নিয়ে বাড়ি গেলি। গিয়ে মায়ের রান্না খেলি। এবং টের পেলি তুই রান্নার কিছুই জানিস না। ব্যাক টু স্কোয়ার ওয়ান।
  • dd | 110.234.159.216 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৫:২৬536734
  • ঐ সব খেয়ে বড়ো হয়েছি তো। ক্ষুধার্ত্ত টিনেজার। একটা কন্ডিশনড রিফ্লেক্স হয়ে গ্যাছে।

    তাই এখনো কেউ মায়ের রান্না বলতেই লুটোপুটি। সকলেই।

    অথচ বেশ কিছু মহিলারা আমাদের ছোটোবেলাতেও বিকট রাঁদতেন। আত্মীয় মহলে বেশ দাপুটে নামডাক ছিলো সেদব কু রাঁধুনিদের।

    কিন্তু দেখবেন,নিশ্চয়ই তাঁদের ছেলে মেয়েরাও সেসবের কথা স্মরন করেও আজো লালে ঝোলে একাক্কার হন। স্মৃতির মাদুরে ভেসে যান। কাঁদো কাঁদো হয়ে পরেন। তাদেরকে কে বলবে - ওরে একেবারে নিরপেক্ষ বিচারে বলছি, মাসীমা জেনুইন বাজে রাঁধতেন ?
  • omnath | 59.160.210.2 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৬:১৫536735
  • ঠিক। মাকে নিয়ে নির্মোহ ব খোলা দরকার হয়ে পড়েছে। ওদিকে ব্যাং, ইদিকে ডিডি।
  • Update | 72.83.76.34 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৩১536736
  • Name:akaMail:Country:

    IPAddress:75.76.118.96Date:11Apr2012 -- 09:54AM

    কি জ্বালা শন্‌কুর পোস্ট কে ডিফেণ্‌দ করল? আমি তো নিনের কথা কইছিলাম।

    Name:GenericletterMail:Country:

    IPAddress:71.182.165.119Date:11Apr2012 -- 09:54AM

    ঝিকির পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে একটা কথা।

    ছেলেদের উপরে স্টিরিয়োতাইপটা মেনতেন করে যাওয়ার চাপটা হয়ত মেয়েদের থেকেও বেশী। সেইজন্যেই সাহস বেশী দরকার হয়।

    Name:TimMail:Country:

    IPAddress:98.249.6.161Date:11Apr2012 -- 09:55AM

    মহীনের ঘোড়াদের গানেও মায়েদের অন্যায্য কাজকে গ্লোফাই করেচে। নিপাত যাক!

    ""আর কি আসবে ফিরে মায়ের আঁচলে ঘেরা দিন ..."

    Name:GenericletterMail:Country:

    IPAddress:71.182.165.119Date:11Apr2012 -- 09:56AM

    হয়্‌ত ছেলেদের উপরে মেয়েদের থেকেও যেন্ডার স্টেরিয়োটাইপ মেন্টেন করে যাওয়ার চাপ আরো বেশী, তাই সাহস আরো বেশী দরকার হয়।

    Name:byaangMail:Country:

    IPAddress:122.172.226.54Date:11Apr2012 -- 09:56AM

    আকা, আমি তো মায়েদের রান্না করতে এমপাওয়ার্ড ফিল করা নিয়ে কোনো মন্তব্য করি নি। এমনকি তাই নিয়ে স্মৃতিচারণা নিয়েও কোনো মন্তব্য করি নি। আমি মন্তব্য করেছি আলোকিত সন্তানদের সেই মানসিকতাটা নিয়ে, যেই মানসিকতা থেকে বলা যায় যে এখনকার বাচ্চারা মায়ের ঘেমেনেওয়ে রান্নার স্মৃতিচারণা করার থেকে ডিপ্রাইভড হচ্ছে!

    Name:rimiMail:Country:

    IPAddress:75.76.118.96Date:11Apr2012 -- 09:58AM

    গরুর রচনা দেখছি সংক্রামক ব্যাধির মতন গুরুতে ছড়িয়ে পড়েছে :-))

    Name:genericletterMail:Country:

    IPAddress:71.182.165.119Date:11Apr2012 -- 09:59AM

    ভীশান দুকিখত, আলোচনাটাকে এভাবে থেঁতে দিতে চাইনি। কমউ বেগঢ়বাঁই করছে।

    Name:akaMail:Country:

    IPAddress:75.76.118.96Date:11Apr2012 -- 09:59AM

    ব্যাঙ্গ, তবে আর কি ঘুমোতে যাই।

    Name:JhikiMail:Country:

    IPAddress:182.253.0.99Date:11Apr2012 -- 10:01AM

    আমি চিমনি চড়ি নি, তবে এককালে কয়েকটা চিমনি ডিজাইন করেছিলাম ......

    Name:piMail:Country:

    IPAddress:72.83.76.34Date:11Apr2012 -- 10:02AM

    আকাদার কিছু পয়েনের সাথে ক। অনেক দিন বাদে :)

    Name:TimMail:Country:

    IPAddress:98.249.6.161Date:11Apr2012 -- 10:03AM

    আলোচনা আবার কই?

    কে কতরকম ভাবে সুজ্জো পূর্বদিকে ওঠে বলতে পারে তার পোতিযোগিতা হচ্চে! :-)

    Name:mMail:Country:

    IPAddress:50.82.180.165Date:11Apr2012 -- 10:03AM

    ঝিকি, আগে জানতে হবে ,কিরকম ফ্ল্যাট কিনতে চাও। পুল, পার্ক, জিম ইত্যাদি চাও কিনা, ভালো বিল্ডারের তৈরি ফ্ল্যাট নাকি লোকাল প্রোমোটার হলেও চলবে,তারপর তোমার আপডেটেড কিচেন,বাথরুম ইত্যাদি চাই কিনা-সর্বোপরি কি দাম দিতে রাজি আছো,তারউপরে লোকেশান নির্ভর করবে।

    Name:byaangMail:Country:

    IPAddress:122.172.226.54Date:11Apr2012 -- 10:04AM

    হ্যাঁ আকা, ঘুমোতে যা। সিঁদুরে মেঘ দেখলেই অত ভয় পাওয়ার কিছুই নেই, এই কথাটা মাথায় গেঁথে নিয়ে শুতে যা। তাহলে আর তোদের নিজেদের আতাক্যালানেগিরির নমুনাগুলো পোস্টে লিখতে হয় না।অ।

    Name:mMail:Country:

    IPAddress:50.82.180.165Date:11Apr2012 -- 10:05AM

    ওফ,সরি।

    Name:TimMail:Country:

    IPAddress:98.249.6.161Date:11Apr2012 -- 10:11AM

    সিঁদুরে মেঘ একটি মেল শভিনিস্ট প্রবাদ।

    Name:rimiMail:Country:

    IPAddress:75.76.118.96Date:11Apr2012 -- 10:17AM

    আকা শুতে এসে আমাকে বল্ল ওর যুক্তির কাছে আমরা নাকি কেউ টিঁকতেই পারি নি। ও নাকি ভিনি ভিডি ভিসি করে এসেছে!!

    সত্যি ! খোদানে কিত্না আজব চিঁজোকো পয়দা কিয়া!!

    Name:byaangMail:Country:

    IPAddress:122.172.226.54Date:11Apr2012 -- 10:31AM

    আহা, মনে দু:খু চেপে ঘুমোতে গেলে ঘুম আসে নাকি? নিজের ইগোকে নিজেকেই এইসব বলে খাইয়েদাইয়ে ফুলিয়েফাঁপিয়ে না রাখলে আকাখোকা কেমন করে ঘুমোয়!! তোর কি একটু দমায়া নেই নাকি রে রিমি!! :-)))

    Name:dukheMail:Country:

    IPAddress:202.54.74.119Date:11Apr2012 -- 10:45AM

    মেয়েদের চা এবং ছেলেদের চাকরি করতে বলার পোতিবাদে আমি একটি মোমবাতি মিছিলের ডাক দিয়ে গেলাম।

    Name:TimMail:Country:

    IPAddress:98.249.6.161Date:11Apr2012 -- 11:06AM

    চা করি?

    Name:riddhiMail:Country:

    IPAddress:108.218.136.234Date:11Apr2012 -- 11:15AM

    প্রথমত, এন কে আর রিমির পথের পাচালী নিয়ে পোস্ট দেখে হাপচেকখগ হয়ে যাবার যোগাড়। এইপয়েন্ট টা ঐ 'ইচ্ছে'র আলোচনা থেকেই উঠে আসছে। তখনো বোমেক গেছিলাম, (এন কে রিমি এত বই পড়া লোক দের এই ধরনের মন্তব্য শুনে) পরে সময় পেলে ওখানেও লিখব। সর্ব জ ওরকম করেছে বলে ঐ এক্ট টাকে লেখক সমর্থন করলো নাকি সর্বজ একটা শোষনবিত্তিক ব্যবস্থার প্রতিভূ হয়ে গেল?
    'শ্রীমান পৃথীরাজের ফিল্ম পুড়িয়ে ফেলতে হয়, কারণ ওখানে ছেলেটা বন্ধুদের কাছে ঘ্যাম নেবার জন্য বৌ কে দিয়ে পা টেপাচ্ছিল। শুধু তা কেন, কোটি কোটি বই গল্প, ছবি নষ্ট করে দিতে হয়।
    এইভাবে সাহিত্যের চরিত্রদের কাঠগড়ায় দাড় করানো যায় নাকি?? স্টালিন বা নকশাল রাও এতটা গাম্বাটগিরি করে নি।

    -------------------------------------------------
  • shrabani | 124.124.86.86 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৩২536737
  • এই রান্না নিয়ে কিন্তু অনেকেই রীতিমত সিরিয়াস হন এবং তাদের রান্নাকে খারাপ বলা আর নিরস্ত্র অবস্থায় গুলি কামানসহ শত্রুর সামনে পড়া একই ব্যাপার হয়....আমার এক আত্মীয়া আমাদের হিসেবে বেশ বদখত রান্না করে তবে সারাজীবন দেখছি করে নানারকম রান্না। অবশ্য থাকে একটি শান্ত শহরে, কোয়ার্টারের লাগোয়া সার্ভেন্টস কোয়ার্টার, হাতের কাছে সর্বদাই খিদমতগার, নিজে নির্দেশ দেন ও খুন্তি নাড়ান।
    এমনিতে আমরা বুঝতাম যে ওর সামনে অন্য কারুর রান্নার প্রশংসা করলে ক্ষুন্ন হন তবে সেটা অনেক মহিলার অনেক ব্যাপারে আছে বলে তেমন কিছু ভাবিনি। গতবছর তাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গেছি, বয়সের কিছু সমস্যা আছে, রাতে ঘুম হয়না ঠিক মত। তা সে ডাক্তার অনেক প্রশ্ন করতে থাকে নানা বিষয়ে, (যতদুর মনে হয় ডাক্তারের ধারনা হয়েছিল ঘুম না হওয়াটা মানসিক) তার মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিল, "আপনার নিজের সম্বন্ধে, নিজেকে নিয়ে কিসে খুব গর্ব আছে, অহংকার আছে"? তা তাতে মহিলাটি বলে ওঠে "রান্না নিয়ে, আমার মত ভালো রাঁধতে কেউ পারেনা"!

    মহিলা এককালে স্কুলে চাকরি করত, বিদেশে যাবার সময় ছেড়ে যায়, ফেরার পরে স্কুল থেকে অনেক ডাকতেও আবার যায়নি, তার নাকি ঘরে থাকতে ভালো থাকে!
    সব কিছু কী আর সোজা হিসেবে ফেলা যায়!
  • kallol | 119.226.79.139 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৪৮536738
  • মায়ের হাতের রান্না কি শুধু মায়ের হাতেরই নাকি বয়ষ্ক মহিলাদের রান্না।
    আমার মা মোটামুটি রাঁধতেন। মানে খুব একটা ভালো বলা যাবে না। বরম আমার দিদিমা ও তার ছোট জা, আমার ছোট দিদিমা সাংঘাতিক রাঁধতেন। আমার বৌ ও বেশ ভালো রাঁধে। আমার ভাইও বেশ ভালো রাঁধে। তাইতে আমার ভাই বৌএর কি দুক্ষু। সে খালি ওর রান্নায় খুঁত ধরে।
    আমি রান্না বান্নার ধারে কাছে নেই। শুধু ডিমের হাফ বয়েলটা বলে বলে বানাতে পারি।
    এখানে (লুরুতে) বেশ কয়েকজন বন্ধু আছে যারা খুবই ভালো রাঁধে। তাই আমায় হা রান্না যো রান্না করতে হয় না। ভালো খেতে ইচ্ছে করলেই আমি তাদের বাড়িতে নেমন্তন্ন নিয়ে নেই। এর মধ্যে একজন গুরুও আছে।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৭:০৯536739
  • "ভোজনশিল্পী বাঙালী"তে বু.. বাঙালী বিধবাদের রান্নার কথা লিখেছিলেন। সামান্য উপকরণে অসামান্য স্বাদ।
  • S | 137.187.241.6 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৯:০৯536740
  • জল অনেক দিকে গড়িয়ে গেছে দেখছি।
    দেখুন ব্যাং, মাকে ঘেমেনেয়ে রন্না করতে দেখে শংকুর কোন অনুকম্পা হয়েছিল কিনা আর হয়ে থাকলে তিনি কি করেছিলেন সেটা আমি বা আপনি কেউই জানি না। এসব না জেনে শুধু মায়ের রান্না ভাল লাগে বলার জন্যে কাউকে 'অকর্মণ্য' বলা আর তিনি কেন মা কে রান্নায় সাহয্য করেননি জানতে চাওয়া আমার মতে অত্যন্ত ইনসেনসিটিভ। আপনার কাছে স্বাভাবিক, আপনি লিখেছেন, ফাইন। আমার আপত্তিজনক মনে হয়েছে, প্রতিবাদ করেছি, মিটে গেল। আর আপনার পরের পোষ্টে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ও দেখলাম। আপনি লিখেছেন কিছুদিন আগেও আপনি ছেলের হাতের কাজ করে দিতেন, অথচ তার জন্যে আপনার ঝুলিতে শুধুই ভাল কথা। আর সম্পুর্ণ অপরিচিত কেউ তার মাকে রান্নায় সাহায্য করত না ধরে নিয়ে পাবলিক ফোরামে অকর্মণ্য তকমা লাগিয়ে দিলেন।
    রিমিকে বলি যে শংকুর পোষ্টে অনেক কথাই আপত্তিজনক। সেসব নিয়ে তর্ক করাই যায়। আপনি এবং আরো অনেকে করছিলেন। তাতে কিছুই অসুবিধা নেই। ব্যং এর কোন মন্তব্য টি আমার আপত্তিজনক মনে হয়েছে আর কেন হয়েছে সেটি আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৩৩536741
  • শুধু রান্নাই স্মৃতিচারণে প্রধান হয়ে ওঠে কেন?

    আমার মায়ের সম্পর্কে ভাবতে গেলে রান্নার কথা আমার মনে পড়ে না। ছোটোবেলা থেকেই দেখেছি আমার মা চারপাশে আমাদের যত বন্ধুবান্ধব ছিল সবার মাদের থেকে আলাদা। আমরা মফস্বলে থাকতাম। গ্রামও বলা যায়। পাড়ায় যত বন্ধু ছিল কারুর মা চাকরি করত না। শুধু আমার মা করত। বন্ধুদের মায়েরা আটপৌরে ধরনে শাড়ি পরতে বাড়িতে। আমার মা বাড়িতে থাকলেও কুচি দিয়ে শাড়ি পরত। অন্য মায়েদের সবার শাড়ীর আঁচলে চাবি বাঁধা থাকত। মায়ের চাবি থাকত ড্রয়ারে। বন্ধুদের মায়েরা সবাই খোঁপা বাঁধত। আমার মা শুধু একটা বিনুনি করত। কোনোদিন খোঁপা বাঁধে নি। ওদিকে বিয়েবাড়ি বা অন্য কোনো উৎসবে গেলে বাকি সবাই বেনারসী, অনেক গয়না, লিপিস্টিক ইত্যাদি পড়ত। মা জীবনে কোনোদিন বেনারসি পড়ে নি, গয়না তো ছিলই না। আর লিপস্টিকও লাগায় নি। অন্য মায়েরা বিকেলে বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একে অন্যের সঙ্গে গল্প করত। আমার মা বারান্দায় বসে বই পড়ত কিম্বা ডায়রিতে কিছু লিখত। আমাদের খুব অবাক লাগত। কেন আমাদের মা অন্যদের থেকে এত আলাদা? ছোটোবেলায় এই আলাদা হওয়াটা মোটেই ভালো লাগত না আমাদের।

    সবচেয়ে অসুবিধা হত কোনো বিয়েবাড়িতে কিম্বা কোনো মৃত্যুবাড়িতে। কেউ মারা গেলে আত্মীয় স্বজন সব মহিলা জড়ো হয়ে ভয়ানক কান্নাকাটি করতেন, এ ওকে জড়িয়ে ধরতেন। আমার মাকে চোখ দিয়ে কোনোদিন একফোঁটা জল বের করতে দেখি নি। কিম্বা আমাদের মামাতো মাসতুতো মাসি দিদিদের যখন বিয়ে হত, বিয়ের পরের্দিন বৌ যখন চলে যায়, সবাই কাঁদত, শুধু মা বাদে। এমনকি আমি বিয়ে হয়ে চলে যাবার দিনও মা একফোঁটা কাঁদে নি, অবশ্য আমিও কাঁদি নি। কিন্তু ছোটোবেলায় আমাদের খুব অস্বস্তি হত, মা কাঁদছে না বলে। :-(( তখন বুঝতাম না, এখন বুঝি, খুব ছোট্টোবেলা থেকে অনেক রকম স্ট্রাগল মাকে খুব শক্ত করে দিয়েছে। খুব ছোটোবেলায় সব হারিয়ে পূব বাংলা থেকে পশ্চিমে চলে আসা, শৈশবেই বাবার নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, তারপরে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়া। ভাই বোন কেউ ছিল না। একা কষ্ট করে লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো - এগুলো ই মাকে অন্যান্য সমসাময়িক মহিলাদের থেকে অনেক অন্যরকম করে তুলেছিল।

    তবে একটা ব্যপার খুব উপভোগ করতাম মায়ের ব্যপারে। রহড়া সুদ্ধু সব লোক মাকে চিনত, আর খুব ভালোঅবাসত আর শ্রদ্ধা করত। রাস্তায় বেরোলেই রিক্সাওয়ালা, দোকানদার থেকে শুরু করে অল্পবয়সি স্কুলের মেয়েরা, বয়স্ক মহিলারা সবাই "দিদিমনি" "দিদিমনি" করে ডাকাডাকি করত। এইটা, খেয়াল করে দেখেছি, অন্য কারুর ক্ষেত্রে হত না, এমনকি মায়ের কোলিগদেরও লোকে অত চিনত না।

    জানি না, ছেলে হয়ে জন্মালে হয়ত মায়ের রান্না নিয়েই বেশি মাথা ঘামাতাম?

    কিন্তু মেয়ে হয়ে মাকে একজন আদর্শ হিসেবে দেখি। মায়ের রান্না খাবার জন্যে, কিম্বা অসুস্থ হলে কিম্বা কঠিন সমস্যায় পড়লে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে চলে যাবার, মায়ের আঁচলের তলায় ঢুকে জীবনের তাপ জুড়োবার ইচ্ছে হয় না আমার। মা ঠিক টিপিক্যাল ওভারপ্রোটেক্টিভ বাঙালী প্যারেন্টসদের মত নয়। কোনো ব্যপারেই "আহারে কি করে এটা পার্বি তুই? " কিম্বা "ইস্‌স তোর কি কষ্ট" এই জাতীয় কথা একদম বলে নি, বা বলে না। বরং সব্‌সময় একটা কথাই বলে, "মনের জোরই আসল।" আর সেই মনের জোরটা তৈরী করে দেওয়াটাই মা হিসেবে আমাদের জন্যে তার প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করত। আমি কোনোরকম দুর্বলতা প্রকাশ করলে বলত " পারব না বলেকোনো কথা আমার ডিকশনারিতে নেই"।

    জীবনের নানান রকম লড়াইতে মায়ের তেজ, মানসিক শক্তি আর পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী আমাকে বিরাট অনুপ্রেরণা দেয়।

    ইয়ে তাই বলে আবার কেউ ভেবো না যে মা একদম রান্না করতে পারত না। আমাদের দিদাদের রান্না গোটা ফরিদপুরে বিখ্যাত ছিল। মা দিদার থেকেই শিখেছে রান্না। তবে মা ট্র্যাডিশনাল রান্না করতে বেশি ভালোবাসত না। ছোটোবেলায় আমাদের জন্যে বাড়িতেই বানিয়ে দিত এগরোল, চপ, রসমালাই, পুডিং। কিন্তু আমরাই মায়ের রান্না ঘরে কাটানোটা একদম পছন্দ করতাম না।
  • hu | 12.34.246.72 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৫৫536743
  • ইশ! রিমিদির স্মৃতিচারনের সাথে আমারটা তো দারুন ভাবে মিলে গেল। একটু একটু তফাত আছে। সেগুলো নিয়ে লিখতেও ইচ্ছে করছে। কিন্তু এক্ষুনি সময় নেই। সব মিলিয়ে ছবিটা এই রকমই। মা মানে একজন শক্তপোক্ত দৃঢ় চরিত্রের মহিলা, অনেক কিছু মানিয়ে নেওয়া কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্ব অটূট রেখে। খুবই লিখতে করছে। লিখব একটু পরে। ছোটবেলায় অনেক কিছু যখন খেতে চাইতাম না তখনও ভুলিয়ে রাখার জন্যও মিথ্যে বলে খাওয়ায় নি। এখনও তাই বিশ্বাসই করতে পারি না মা কখনও মজা করেও মিথ্যে বলতে পারে। আর হ্যাঁ, মা যদিও ভীষন ভালো রান্না করে, কিন্তু আমাদের বাড়িতেও তখন রান্নার লোক রাখা হয়েছিল যাতে মা নিজের চাকরী সামলে আমাদের পড়ানোর সময় পায়। তাতে আমাদের একটুও দু:খ হয় নি।
  • byaang | 122.167.117.97 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২০:১৩536744
  • ক্যাপিটাল এস, আমার পরের পোস্টে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড যদি দেখে থাকেন, তাহলে সে দেখার দায় আপনার। কারণ আটবছর বয়স থেকে যদি কেউ তার জন্য তার মাকে একস্ট্রা এফোর্ট দিতে বারণ করে, নিজের কাজের দায় নিজে নেওয়ার চেষ্টা করে, তাকে আমি ভালো কথা বলবই। আর যে বুলবুলভাজার উল্লেখটি করেছেন দোকানে দোকানে মুখোশ খোঁজার কথা বলে, সেইসময় যাদের জন্য ঐসব মুখোশ খোঁজা হচ্ছিল (মুখোশ নয়, ফ্যান্সি ড্রেসের পোষাক) তাদের বয়স ছিল দুই থেকে তিনবছর। স্কুলের পাগলামির দায় ওদের উপর চাপানো যায় না। আর ওদের মাদের সেই সময় ফ্যান্সি ড্রেসের পোষাক নিজে হাতে বানাতে গেলে অন্য সব কাজকম্মো ছেড়ে দিতে হত কিনা, তাই শর্টকাট ছিল দোকান থেকে ভাড়া করে আনা।

    আর আমার শঙ্কুর যে বক্তব্যটা আপত্তিজনক মনে হয়েছে সেটার প্রতিবাদ আমি জানিয়েছি। কোনো কাজের জন্য মাকে গলদঘর্ম হতে দেখলে মাকে সেই কাজটির থেকে অব্যহতি দেওয়ার চেষ্টা যে কতটুকু ছিল সেটা ওনার গতকালের পোস্ট থেকেই পরিষ্কার, কারণ উনি আজকালকার মাদেরকে ঐ গলদঘর্ম হওয়ার সদুপদেশটি দিয়েছেন কিনা, ওকালতি-ডাক্তারি ছেড়ে! উনি শুধু ওনার মায়ের রান্না ভালো লাগে বলেন নি, অত্যন্ত বিশ্রীভাবে কর্মরতা মাদেরকে ছোটো করেছেন। এই টইয়ে ওনার আগে বা পরে অনেকেই নিজেদের মায়ের রান্নার স্মৃতিচারণা করেছেন, তাদের কাউকে একটি কথাও বলা হয় নি। যেভাবে গর্ভাবস্থার মাসগুলির উল্লেখ উনি করেছেন, সেটি আমার অত্যন্ত আপত্তিজনক মনে হয়েছে, এরপরে আবার কেউ যদি মেটার্নিটি লিভ, প্রেগনান্সি এই বিষয়গুলি নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য করেন, আমিও এখন যেধরণের মন্তব্য করেছি, সেই একই ধরণের মন্তব্য আবারও করব।

    যাই হোক, আমি জানি যে আমার প্রতিবাদটি কেন এবং কী কারণে সেটি আমি আপনাকে এখনো বুঝিয়ে উঠতে অপারগ। মেনে নিলাম নিজের এই অক্ষমতা।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২০:৫৬536745
  • হ্যাঁ রে হু, আমার মাও ঠিক তাই। কোনোদিন ভোলানোর জন্যে মিথ্যে বলে নি আমাদের। ইন ফ্যাক্ট খাওয়ার কথায় মনে পড়ল, খাওয়ার জন্যে কোনোরকম জোরই করে নি কোনোদিন। দিদা রোজ রাগ করত, বিউটি আমার পাড়ার বন্ধু, তার মায়ের উদাহরণ দিত যে সে কেমন মেয়েকে জোর করে খাইয়ে দেয়। আর আমার মা কেমন মা যে বলত, "খেতে ইচ্ছে না করলে জোর করে খাবে না। উঠে যাও।" সাধারণত বাচ্চাদের সঙ্গে মায়ের যেসব পাওয়ার স্ট্রাগল হয়, তার মধ্যে খাওয়া একটা। আমাদের সেটা কোনোদিন ফেস করতে হয় নি। এখানেও আমার মা আমার সব বন্ধুদের মাদের থেকে একদম আলাদা ছিল।

  • Generic Letter | 136.142.168.156 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:০৫536746
  • আলুচনাটা একটু একপেশে হয়ে যাচ্ছে।
    রিমি দুটো ভালো প্রশ্ন তুলেছেন: এক, রান্নার কথা মায়ের স্মৃতিচারণে প্রধান হয়ে ওঠে কেন? আর দুই, সেটা ছেলেদের ক্ষেত্রেই প্রায় একচেটিয়া কেন? মেয়েরা কি রসনারসে বঞ্চিত?

    প্রথম কথা, মানুন আর না মানুন, রান্নার মধ্যে যে দৈনিক, প্রতিমুহূর্তের কিচ্ছু-না-পেয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়াটুকু আছে, সেটা সংসারের আর কোন কাজে নেই। এবং তার ডিরেক্ট বেনিফিশিয়ারি, সবটুকু লাভের ভাগীদার স্বামী এবং সন্তান। সেইজন্য স্মৃতিচারণা, হয়ত লুকোন একটা অন্যায়ের বোধ থেকে।
    দুটো তুলনাতে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়।
    এক, ধরা যাক মা শিক্ষিকা (commonest competing example), এবং তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তাঁর ছাত্রদের জন্যে: একইরকম ডেডিকেশন নিয়ে, প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে। তিনি তখন আসবেন সেই ছাত্রদের স্মৃতিতে (আলাদা করে ছাত্রী আর বললাম না, সচেতনভাবেই) কিন্তু, সন্তান তো সেই ত্যাগের গুড়ের পুরো ভাগটা পেলনা - কাজেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই ভাসিয়ে দেওয়া অন্যায়ের বোধটা থাকবে না - থাকবে সম্মান।
    দুই, বাবা কেন স্মৃতিচারণায় এতটা, এভাবে আসেন না? তিনি যেন, এত দিন বাদেও, একটু দূরের মানুষ। তিনি কি প্রতিদিন অফিসে/অন্যকোথাও প্রাণপাত করেননি? (আমি এখানে মধ্যবিত্ত সিস্টেমের কথা বলছি - যেখানে বাবা কোথাও চাকরী করেন, আমাদের ক'জনেরই বা বাবা রাজমিস্ত্রী অথবা টাটা-আম্বানি!) আসলে বাবার নিত্য খাটনিটা ভিজিবল নয়, অন্তত ডিটেলগুলো তো নয়ই। তাছাড়া ঐ, ত্যাগের গুড়ের ১০০% ভাগ সন্তানের নয়।

    দ্বিতীয় প্রশ্ন: ছেলেরাই মায়ের কথা বেশী বলে কেন? দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওটা বৌ/ভাবী বৌয়ের উদ্দেশ্যে - কারণ আগের সিস্টেমে সারপ্লাসটা ভদ্রলোকই বেশী খেতেন। তবে আরো একটা কারণ মনে হয় আছে। মেয়েরা যখন বড় হন, (হতেন বলা উচিত, কারণ এই জেনারেশনে আশাকরি তেমন করে ব্যাপারটা সত্যি না), তখন তাঁরা সংসারের সারপ্লাসের এই অসম বন্টনের ব্যাপারটা হাড়ে হাড়ে টের পান, কারণ কোথাও একটা তাঁদের সামনে মায়ের জীবনটা ভবিষ্যতের একটা জেনুইন পসিবিলিটি হয়ে ঝুলতে থাকে। কাজেই আর যাই করুন মেয়েরা ব্যাপারটাকে নিয়ে এতটা গদগদ লিরিকাল, সেন্টিমেন্টাল হন না: বেসিকালি ছেলেবেলা থেকেই অবিচারটাকে অবিচার বলে চিনতে পারেন বলে। ছেলেরা ছোটবেলার এই ইনসেনসিটিভিটির ব্যাপারটা বুঝতেই পারে অনেক বড় হয়ে - তাই তখন খানিকটা অবচেতন অনুশোচনা থেকে এই স্মৃতিচারণা আসে।
  • kk | 107.3.243.18 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:০৬536747
  • রিমির এই লাইনটা -- 'মায়ের রান্না খাবার জন্য ...... তাপ জুড়োবার ইচ্ছে হয়না আমার।' এর সাথে আই ক্যান্ট এগ্রী মোর! কিন্তু এভাবে ভাবতে, বলতে খুব কম লোককেই দেখেছি (দেখিইনি বলতে গেলে)। ভালো লাগলো নিজের সাথে এতদিনে অন্তত একজনের ভাবনার মিল দেখে।

    আমার মা কোনদিন চাকরি করেনি, জীবনে খুব স্ট্রাগ্‌ল করতেও হয়নি। কিন্তু ঐ কতগুলো জায়গায় রিমির মায়ের সাথে খুব মিল পেলাম -- কোনকিছুতেই না কাঁদা, গেটে দাঁড়িয়ে এ অন্যের সাথে গল্প না করে বই পড়া, এক বিনুনী .....

    এবার মায়ের রান্না নিয়ে বলি। এই ব্যাপারটাকে এত গ্লোরিফাই কেন করা হয় সেটা আজ অব্দি আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি। জানিনা আমার মধ্যেই ইমোশনের কোন অভাব বা অ্যানোমালি আছে কিনা। আমার মা বেশ ভালোই রান্না করে। কিন্তু তার হাতের খাবারই আমার সবচেয়ে প্রিয় তা আমি কোনদিনই বলতে পারবোনা। কাউকে খু-উ-ব ভালোবাসলে তার নট সো অসাধারণ জিনিষও ইমোশনের বশে খুব ভালো লাগবে এই জিনিষটা আমার কোনদিনই হয়না ( শ্রাগ )!!!
  • Tim | 198.82.20.103 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:১৭536748
  • রিমিদি,

    সব ছেলেরাই মায়ের রান্না নিয়ে আপ্লুত, এটা মনে হয় ঠিক না। মানে, অন্যান্য গুণ বা গর্ব করার মত ব্যাপারগুলো ইগনোর করে ""সব"" ছেলেরা খালি মায়ের রান্না নিয়েই আদেখলাপনা করে, এটা একটু বেশি জেনেরেলাইজেশন হয়ে গেল না কি?

    অবশ্য এই টইতে এখনও পর্যন্ত শুধু সুইপিং স্টেটমেন্ট আর জেনেরেলাইজেশনই চলছে, তবু এটুকু না লিখে থাকতে পারলাম না।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:২১536749
  • টিম, আমি কি সেকথা কোথাও লিখেছি?
    এ পর্যন্ত গুরুতে যত মায়ের স্মৃতিচারণ হয়েছে (ছেলে মেয়ে মিলিয়েই) তার মধ্যে রান্নাটাই প্রধান দেখলাম। কোনো জেনারালাইজেশন করি নি। ভালো করে পড়ে দেখ বরং আমার লেখা। দেখে কোট করে বল যে কোথায় লিখেছি "সব ছেলেরাই খালি মায়ের রান্না নিয়েই আদেখলপনা করে"??

    কেকে র সঙ্গে আমার অনেক ব্যপারেই চিন্তার মিল আছে :-)) অনেকদিন ধরেই।

  • Tim | 198.82.20.103 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:৩২536750
  • এইযে এই লাইনটা

    ""জানিনা, ছেলে হলে হয়ত মায়ের রান্না নিয়েই বেশি মাথা ঘামাতাম?""

    এইটা পড়ে আমার মনে হলো, যে তোমার বেড়ে ওঠা এটসেট্রা বাকিসব একই থাকলেও, স্রেফ ছেলে হলেই তুমি রান্না নিয়ে মাথা ঘামাতে। আদপেই ব্যাপারটা সেরকম নয়। সেইটা না বলে থাকলে কোন তক্কো নেই।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:৩৭536751
  • তিমিমাছ, এইটা হল, যাকে বলে "আত্মজিজ্ঞাসা", বুঝলি? :-))
    এই আত্মজিজ্ঞাসার ভিত্তি অবিশ্যি চারপাশে যেটুকু দেখেছি সেসবই। কিন্তু তাই বলে এটাকে থিওরি হিসেবে এস্টাবলিশ করার মতন যোগ্যতা আমার নেই :-(
  • Generic letter | 166.147.99.113 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪৭536752
  • ঠিয়োরি তো দিলুম একটা, সেটা পছন্দ হোল না বুঝি?
  • rimi | 168.26.205.19 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:৫৭536754
  • জেনেরিক ভাই, আপনার থিওরি আমার খুব ঠিক মনে হয়েছে।

    কিন্তু আমি এমনিতেই খুব গরু রচনা লিখি তো, তাই পুরোনো গুরুভাইরা আমার লেখাতে সবসময়েই গরু গরু গন্ধ পায়। :-)))
  • siki | 122.177.24.139 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:৫৯536755
  • ইয়ে, আমি আমার মায়ের রান্না নিয়ে কোনওদিনই আপ্লুত ছিলাম না। :)
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:১২536756
  • আমার মা আদৌ ভালো রান্না করতে পারত না। দু একটা আইটেম বাদ দিয়ে, যেমন মুড়িঘন্ট, ফ্রায়েড রাইস ইত্যাদি।
  • Blank | 59.93.210.147 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:২৫536757
  • আমার মা ভালোই রান্না করে। কিন্তু আমার বাইরে খেতে অনেক বেশী ভাল্লাগে।
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:২৭536758
  • ছোটবেলায় ঠাকুমাকে প্রচূর গঞ্জনা দিয়েছি বাজে রান্না করার জন্য। এখন বুঝেছি ঠাকুমা দিব্যি ভালো রান্না করত। বিশেষ করে সুক্তো, মাছের ঝাল আর স্পেশালটি ছিল বড়ার ডালনা।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩২536759
  • ইয়ে সত্যের খাতিরে বলি, আমার আবার আজকাল আকার হাতের রান্নাই সবচেয়ে ভালো লাগে।
    আহা, সেই বিরিয়ানি, সেই মাছের কালিয়া, কিম্বা এমনকি স্মেল্ট মাছের চচ্চড়ি!!
    যেন অমৃত!!

  • Bratin | 117.194.102.237 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৫536760
  • জ্জিও আকা, আজকের এই শুভলগ্নে রিমি দেওয়া এই সার্টিফিকেটের জন্যে আমার এক পিস পার্টি পাওনা হল। সব্বাই সাক্ষী রইলে কিন্তু।
  • saheen | 90.200.14.2 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৬536761
  • আকা এ আর কিছুই নয় রোজ রোজ আপনাকে দিয়ে রান্না করানোর তাল।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৮536762
  • মোটেই না সাহিন! :-)
    রোজকার রান্নার ব্যপারে আমাদের এক্ষেল শীট আছে। সেইটি নড়চড় হবার জো নাই।
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪১536763
  • সাহিন, এক্সেল আছে তো কিন্তু তাতে শুধু একটাই নাম। :)
  • Tim | 198.82.20.103 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২৩:০২536765
  • রিমিদি,
    একটু পরে এসে তোমার আত্মজিজ্ঞাসার উত্তর দিচ্ছি। মিলতে হ্যাঁয় ব্রেক্কে বাদ। :্‌)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন