এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এঁচোড়েপক্ক টক

    byaang
    অন্যান্য | ০৫ এপ্রিল ২০১২ | ১৯৫৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 12.34.246.72 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০২:৪৩537419
  • আসলে নিশি যেটা বলে সেটাই ঠিক। আমাদের দেশে তো মানুষকে সম্মান করার কালচারটা তৈরী হয় নি। ছেলেমেয়েকে মানুষ করতে গেলে তাদের যে সম্মানটাও দিতে হয় সেটা কজন বোঝে!
  • hu | 12.34.246.72 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০২:৪৫537420
  • প্রত্যাশা নিয়ে সমস্যা নয়। সমস্যা সম্মান না দেওয়া নিয়ে। সম্মান দিলে কি আর এভাবে ছোট করতে পারতো নিজের ছেলেকে সবার সামনে? সব সম্পর্কেই এটা প্রযোজ্য।
  • nk | 151.141.84.239 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০২:৫১537422
  • ছেলেপিলেকে এখনো যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতন দ্যাখে আমাদের দেশে। আরে এটা তা তো না। সে একটা সম্পূর্ণ স্বাধীন স্বতন্ত্র সত্তা, তার নিজের মতামত হবে, যুক্তি হবে বুদ্ধি হবে, আশেপাশের থেকে তাকে পথটুকু দেখিয়ে দেওয়া যায়, তাকে হেচড়াতে চেচড়াতে নিজের মনোমতো রাস্তায় নিয়ে যাওয়া যায় কি? সন্তান তো মা বাপের অস্থাবর সম্পত্তি না।
  • riddhi | 128.62.12.113 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০২:৫১537421
  • আবার এই লেভেলের অসম্মান তো প্রেমিক প্রেমিকারাও করে। একজন অন্যের থেকে বেশী পসেসিভ। যাদের সাথে করা হচ্ছে, তারা কি সবসময় শাস্তি দেবার কথা ভাবে। আমি ইকনমিলালি বা এডুকেশানালি উইক লোকজনের কথা বলছি না। তারা সবাই চূড়ান্ত র‌্যাশনাল ইত্যাদি।

    যদি সবি খাপে খাপে হয়ে যেত, তাহলে দুনিয়াতে গল্প সিনেমা কাব্য কিছুই হত না।
  • byaang | 122.172.199.58 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০২:৫৩537423
  • হু আর নিশি তোদের যে কত্তো কত্তো ক দিয়ে যাব , জানি না। ক টু দা পাওয়ার ইনফিনিটি।
  • pi | 128.231.237.7 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০২:৫৮537424
  • হুচে, একপ্রকারের ব্ল্যাকমেলিং বলতে পারো।তবে সবটাই তাও নয়। মারলে বা খুব বাজেভাবে বকলে নিজেরও রাগ হয়ে যেত।এরকম কোন কোন রাগের মুহূর্তেই মোটামুটি প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় এগুলো একেক সময় একেক ক'রে শুরু হয়ে গেছিল।
    আমাকে যা মারতো তার চেয়ে বহুগুণ জোরে নিজেকে পেটাতে শুরু করতুম। বেছে বেছে কিছু জায়গায় মারতুম। যাতে আঁতকে আঁতকে উঠত। যেমন মাথায় বুকে দমদ্দম কিল। মাথায় চোট পেয়ে চেনাজানা বেশ কিছু বাজে ঘটনা ঘটেছিল বলে ঐ ব্যাপারটা নিয়ে বেশ ভয়ে থাকতো। আমার মাথা ঠুকবে কি, একটা আব দেখা দিলে পাশাপাশি আর পাঁচটা আলু পটল গজাবার বন্দোবস্ত নিজেই করে দিতুম। গান নিয়ে মায়ের খুব ইয়ে ছিল বলে আচ্ছাসে গলাতে ঘুঁষুতুম। গলা টিপে ফিপেও দিয়েছি বেশ ক'বার।
    আর আমার মাথা নিয়ে খুব মাথা ব্যথা ছিল মায়ের। মানে, মাথার চুল নিয়ে। ঐ আইলা বয়ে যাওয়া জটাইবুড়ি চুল আমি সামলাতে পারতুম না। যুদ্ধ করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি ইরুনী দেহ রাখে। তারপর থেকে আমি চুলে নিজে ক'বার চিরুনী বুলিয়েছি বলা মুশকিল ( যেজন্য হোস্টেলে গিয়ে প্রথম কাজ হয়েছিল চুল ক্যাঁচ ক্যাঁচ)। এদিকে মায়ের খুব শখ মেয়ের অন্তত: দেড়ফুটিয়া চুল হবে। নিজেই তেল দিত , আঁচড়াতো , বাঁধতো ইত্যাদি। আমি মাঝে মধ্যে স্কেল এগিয়ে দিতুম। মাপার জন্য। এদিকে আমার হতচ্ছাড়া ম্যাগির মত চুল তো বাড়ে কম, পাক খায় বেশি ।মা চূঋআন্ত ফ্রাস্ট্রু। তখন সবে সবে স্প্রিং এর অংক শিখহি্‌চ। দাদা অবশ্য সেই অনেকদিন থেকে আমার মাথায় হুকের ল পরীক্ষা করতো। তা, আমিও নিজের কয়েকটি চুল কেটে পিচ , ডায়ামিটার ইত্যাদি মাপজোখ ক'রে মা কে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করেছিলুম, সবে সবে কাঁধ ছড়ালে কী হবে, প্রকৃত প্রস্তাবে ইহা প্রায় দেড়ফুটিয়াই। লাভ হয় নাই।
    যাগ্গে, যে কথা হচ্ছিল। অস্ত্র। একটা হেব্বি এফেক্টিভ অস্ত্র ছিল, আমার ঐ চুল ক্যাঁচাক্যাঁচানো। বিনুনি বাঁধা অবস্থায় মাঝখান থেকে কাঁচি চালিয়ে দিতুম। অতএব বেনী খোলার পর চুল পুরো ছোটোবেলার ড্রয়িং খাতার ত্রিভুজাকৃতি পাহাড়। দেখে মা র সে কি হাউ হাউ কান্না। খুব আনন্দ পেয়েছিলুম।
    এর আগে কাঁচি দিয়ে কয়েকবার বিছানার চাদর। নিজের জামাকাপড়, শাড়ি এসব কেটেছিলুম। এটার মত কাজের হয়নি।

    তবে ব্রহ্মাস্ত্র ছিল অন্য। চরম পরিস্থিতিতে সেটির প্রয়োগ করতুম। মায়ের মাঝে কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি পরানোর শখ চেগেছিল। প্রচুর চীৎকার চেঁচামেচি করেছিলাম দাদা , আমি দুজনেই। দাদা তো রেগে মেগে খুলে টুলে হোস্টেলে চলে গেল। মজা। আমার হল বিপদ। না পরলে সে সর্বক্ষণের অশান্তি। এমর পরিস্থিতিতে কোন একদিন অন্য কোন ইস্যুতে কুরুক্ষেত্র চলাকালীন মাথায় এল, আরে হাতের কাছে, মানে, একেবারে হাতেই এমন একখান অস্তর থাকতে ...
    আংটি খুলে সটান ছুঁড়ে ফেল্লুম। বাস, আমাকে মারা ছেড়ে মার সেই ছুট মারা। না না, মনে পড়লো, তার আগে আমাকে জিগেশ করত, ঠিক করে বল, কোনদিকে ছুঁড়েছিস। আর এটা বলতে বলতেই গলার তেজ কমতে থাকতো। কারণ ততক্ষণে বুঝে ফেলেছে, নরম না হলে আমার মুখ দিয়ে কিছু বের করা যাবে না।
    আমারো মায়ার শরীর। মোটামুটি ঘরের নৈঋত কোণটা নির্দেশ করে দিলুম। সেখানে আছে বেসিন , টুল এবং ফ্রিজ। বেশিন বা টুলের তলার মত সহজ জায়গাগুলো থেকে খালি হাতে ফেরার পর শুরু হল ফ্রিজের তলা অভিযান।ঝাঁটা এনে ফ্রিজের তলা থেকে গুচ্ছ ঝুল, চুল,আচারের বোতলের হারিয়ে যাওয়া ঢাকনা, বেশ কয়খান টিকটিকির ডিম, বেশ কিছু পটল তোলা পটল, পাতিলেবু ( ফ্রিজে ঢোকা বেরোনোর সময় অবধারিতভাবে কয়েকজন পালিয়ে ফ্রিজের তলায় সেঁধুতো) ইত্যাদি ইত্যাদি বেরোনোর সাথে সাথে কনসার্ট তখন কাজের দিদির গুষ্ঠী উদ্ধার। মানে আমি মোটামুটি সাইডট্‌য়্‌রাকে চলে গেছি ততক্ষণে।
    উদ্ধার হল আঁটি। ঘেমে নেয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে একটা অবর্ণনীয় এক্ষপ্রেশনওয়ালা মুখে সেটি হাতে নিয়ে মা যখন দেখছে, পাথর টাথর সব ঠিকঠাক কো-অর্ডিনেটে আচে কিনা, অনামিকার অবশিষ্ট আংটিখানি ততক্ষণে সো-ও-জা খাটের তলায়।
    অত:পর ..

    তবে এই অস্ত্রটা আস্তে আস্তে ভোঁতা হতে শুরু করেছিল। মা আর চাপ না নিয়ে কাজের দিদি আসবে যখন খুঁজবে বলে আমাকে বকা-মারা অব্যাহত রেখে দিত। তখন আংটি গুলোকে চারতলার জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা ছাড়া আর গত্যন্তর ছিলনা।
    একটি উদ্ধার হয়েছিল। একটি হয়নি।
    আংটির অত্যাচার থেকে তারপর অনেকদিন রক্ষা পেয়েছিলাম, বলাই বাহুল্য ( আর পরে আবার আরেক পর্নে কীকরে সেই পাল্লায় পড়েছিলাম ও উদ্ধার পেয়েছিলাম, সে আরেক গল্প)।

    তবে আংটির অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার সাথে সাথে তো আমার মায়ের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার অস্ত্রো গায়েব :(

    তবে ঐ আর কি। ইচ্ছে থাকলেই উপায় পাওয়া যায়। এ খাঁটি সইত্য কথা। এবং খাঁটি বিবর্তনীয় ধারা অনুসারে প্রতিটি উপায় ই আগের থেকে উন্নততর। :)

  • byaang | 122.172.199.58 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:১৩537425
  • :-))
    হুঁ, এইগুলো পড়ে মনে পড়ল, আমিও মার খেতে খেতে যখন ঢিঁট হয়ে গেছিলুম, তখন আমিও শুরু করেছিলাম এইসব উপায়। দেওয়ালে নিজেই নিজের মুন্ডু ঠুকতে থাকা ননস্টপ, জ্বলন্ত উনুনের ভিতর হাত ঢোকাতে যাওয়া, মা তখন বিস্ফারিত নেত্রে দেখত। আর আংটি ছুঁড়ে না ফেললেও এই আংটি আর নোয়া বাঁধানো পরার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে বিয়ের পর এমনকি ব্যাঙাচি জন্মে যাওয়ার পরও আমাকে হাত থেকে খুলে নোয়াবাঁধানোটা জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলতে হল। আরিব্বাস, সোনার গয়না আর কুসংস্কারের কী মহিমা। মহিলা হাঁউমাঁউ করে ছাইপানা মুখে দৌড়ে নীচে নেমে আঁতিপাঁতি করে ঘাসের অমে্‌ধ্‌য় হাত ঢুকিয়ে খুঁজতে লাগলেন নোয়াবাঁধানোটা। জানলা দিয়ে মায়ের অমন পাগলপারা দশা দেখে তখন মায়াই লাগছিল। অবশেষে এক মিস্ত্রি খুঁজে দিল মাকে নোয়াবাঁধানোটা। তারপর থেকে আর সাহস করেন নি ওটা পরতে বলার। সোনার আংটিও দুইদুইখানা হারিয়ে দেওয়ার পরে স্থগিত রেখেছেন সে অত্যাচার।
  • byaang | 122.172.199.58 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:১৫537426
  • আর মেয়েদের চুল লম্বা ও ঘন করা নিয়ে অত্যাচার দেখছি কম বেশি গুরুর সব মেয়েদেরই সইতে হয়েছে।
  • byaang | 122.172.199.58 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:১৮537427
  • কী সাংঘাতিক টই বাবা! ছয়-সাত ঘন্টার মধ্যে দুশোআঠেরোটা পোস্ট!!
  • nk | 151.141.84.239 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:১৯537429
  • আর নিশির চুল একটু বড় হলেই নিশির বাবা সেটা বব করে দিতেন। নিশি ও বাঁচতো। বাপরে, ঐ চুলের বোঝা টানা সোজা নাকি? দিব্যি ফুরফুরে ববকাট। সেইটাই রয়ে গেলো, আর নিশিকে কখনো লম্বা চুল রাখতে হোলো না। :-)
  • pi | 128.231.237.7 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২১537430
  • হুঁ, আমার পরবর্তী উন্নততর অস্ত্রগুলো ছিল সোনার টুকটাক গয়নাগাঁটি।
  • byaang | 122.172.199.58 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২২537431
  • আহা নিশি, আমার বাবাও একবার সাহস করে আমার চুল বয়কাট করে কাটিয়ে এনেছিল বলে মা কী অশান্তিটাই না করল, ফলস্বরূপ আমাকে আর বাবাকে সাতদিনের জন্য ফারাক্কায় মায়ের বড়মামার দুই যমজ মেয়ের বিয়েতে যেতে হল, আর মা রাগ করে গেলই না, একা একাই কোলকাতায় থেকে গেল।
  • byaang | 122.172.199.58 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২৪537432
  • আমি গত দেড় মাসে আরেকটা ছোট বিপ্লব করে ফেলেছি, কান থেকে দুলগুলো খুলে রেখে কানের ফুটোগুলো বুজিয়েই দিয়েছি দুল না পরে পরে। তিনি এখনো খবরটা জানেন না। আসছেন কদিন পরে, না জানি দেখে কী পরিমাণ শকড হবেন!! :-))
  • byaang | 122.172.199.58 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২৫537433
  • হামি আব ঘুমোনে যাতা। সবকো গুন্নাইট।
  • nk | 151.141.84.239 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২৭537434
  • এই চুলের ব্যাপারে নিশির বাপ মা থেকে শুরু গুষ্টিশুদ্ধ সকলেই নিশির প্রতি উদার হয়েছিলেন, কারণ নিশি গ্যারান্টি দিয়ে রেখেছিলো গয়না পত্তর চড়িয়ে বেনারসী মুড়ে গাদা যৌতুক দিয়ে তাকে বিয়ে দেবার চেষ্টা হলেই সে পালাবে, হয় গঙ্গায় বা হিমালয়ে নয়তো কোনো অল্টার্নেট চাকরিতে।
    সেইজন্যেই আরকি নিশ্চিন্ত হয়ে তেনারা চুল খাটো রাখা অ্যাক্সেপ্ট করলেন,গয়নাও বানাতে শুরু করলেন না নিশির ক্লাস এইট থেকেই। বাঁচা গেলো।
    নইলে নিশির যা সমাজ, খেন্তি খুন্তী পিসিরাই লাইভ হেল এনে দেখিয়ে দিতেন। :-)
  • Nina | 69.141.168.183 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:৩৪537435
  • বাপরে কি ডানপিটে মেয়েগুলো--
    পি পাই যে কিনা ঐরকম মনভোলানো সুরে গান গায়---তার এইরকম দস্যিপানা ছিল
    :-০ (চোখ কপালে স্মাইলি)
    আরে মা কে জব্দ করতে নিজের গলা টিপতিস তুই--আর এই সুন্দর গান বেরোত মা যদি না লেগে থাকত--
    ধন্যি মেয়ের দস্যিপানা

    আর বেঙী যে কিনা একগান মিষ্টি হেসে কনে সেজে বসেছিল কেমন ছবিতে তার এয়্‌সা ঝালঝাল আচরন??

    আমি পুউরো হতবাক্ক! তবে পিপিটার নেড়ু মাথাটার আবগুলোর জন্য এট্টুস কষ্ট হচ্ছে ---হুচেটা বেশ নক্ষী, নিশিটাও তাই, রিমি এখন মুখে বোমাবাজি কল্লেও দস্যিপানায় এদের কাছে শিশু--আর ছেলেগুলোতো সব ভোলানাথ!

    পাই আর বেঙি কে চন্ডাল-শিশুরত্ন উপাধি দেয়া হোক!
  • nk | 151.141.84.239 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৩:৪৯537436
  • ওরে বাবারে নিনা, নিশি লক্ষ্মী কইলে গোটা পাড়ার কাক চিলেরা থ হয়ে হয়ে মাটিতে পড়তে থাকবে। :-)
    নিশির জন্য কাক চিল বসতে পারতো না এমন ছিলো তেনার গলার লাউডনেস আর ইন্টেন্সিটি। :-)
    তবে কিনা বাড়ি থেকে বের হলেই সে রোবট, একেবারে ভালকান রোবট। :-) ইস্কুলে দিদিমণি থেকে আরম্ভ করে বন্ধুনি টন্ধুনি পজ্জন্ত কেউ বিশ্বাসই করতো না বাড়িতে এমন কুরুক্ষেত্র নিশি ঘটায়। শান্ত গভীর ধীর স্থির ঠান্ডা, আহা। :-)
  • hu | 24.13.11.220 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৪:০৪537437
  • আরে পাই, কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি আমিও ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরেই মা সারা রাত ধরে আমাকে নিয়ে দু:স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। আর আমিও মায়াবশত: পরে নিলাম আবার।

    তবে আমার চুলের গল্পটা একটু উল্টো। ক্লাস টু নাগাদ মা বয়কাট করিয়ে দিয়েছিল দু ঘন্টা ধরে কেঁদে মা-কে প্রচুর ঝাড় খাইয়েছিলাম তার বাবার কছে। তারপর থেকে আমার চুল নিয়ে মিলুর আর কোন বক্তব্য নেই। আমি আমার ইচ্ছে মত বাড়িয়েছি কমিয়েছি।
  • hu | 24.13.11.220 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৪:০৬537438
  • হায় নীনাদি! তুমিও হুচেকে নক্ষী বললে। হুচের চিরকালই দুর্দান্ত হওয়ার বড় শখ ছিল। কিন্তু সে আর হওয়া হল না।
  • riddhi | 128.83.230.17 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৪:১৫537440
  • পাই এর 'অস্ত্র' আসলে, একটু গ্রামের দিকে বাড়ি হলে, ওঝাকে ইনভিটেশান কার্ড দেয়া।
    গলায় ঘুষি? সিরিয়াসলি। একটা ছেলে/মেয়ে বাবু হয়ে বসে দুহাতে নিজের গলায় ঘুষি মেরে চলেছে, 'ওমেন' 'একসর্সিস্ট' এর টি-আর-পি এক ধাক্কায় নাবিয়ে দেবে। পুরো জাপানি হরর ফিল্ম।
  • nk | 151.141.84.239 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৪:২০537441
  • আর উনোনের আগুনে হাত দিতে যাওয়া?

    এ বাঙালি হরর ফিল্ম বাওয়া, জাপানি টাপানি ফুয়ে উড়ে যাবে। :-)
  • Tim | 198.82.18.231 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৪:২৩537442
  • :-)))
  • Nina | 69.141.168.183 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৫:২৮537443
  • হা হা হা হা হোহোহোহো
    (রিদ্ধি-কথামৃত)
  • aka | 75.76.118.96 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৫:৫৬537444
  • ও রিদ্ধি এসব লক্ষ্মী মেয়েদের ঢপ মারার টই। কানে চাকনি লাগিয়ে পড়তে হয়। :)
  • pi | 128.231.237.7 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৬:২৯537445
  • ঋদ্ধি , :)
  • kallol | 101.63.239.106 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৬:৫৫537446
  • ওরে:তারা।
    আমি তো হতোভম্ব। এরা বলে কি! চুল আর আংটি নিয়ে অ্যাতো!!
    না:, দেখছি ছেলে হয়ে জন্মানোটা সত্যি প্রিভিলেজ। আমার আংটি বা চুল নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় নি। বুড়ো বয়সে আমার ঝুঁটি নিয়ে ছেলে-বৌ-কিছু কিছু বন্ধু-বান্ধব এট্টু হুমকি টুমকি দিয়েছিলো বটে। তা, তখন আর ওসবের কে পরোয়া করে।
    আমার বাড়িতে বোনকে নিয়ে এরকম দেখিনি। হয় আমার বোন লক্ষী মেয়ে ছিলো নয়তো, মা-বাবা.........না: মা তো প্রচুর পূজো-আচ্চা করতো। অবশ্য বাবা সিপিএম করতেন, তাতে কিছুটা নিউট্রালাইজ হতো। তাহলেও বোনটাই বোধহয় লক্ষীই ছিলো। তাই এসব দেখিনি।
    তবে তোদের বাপু (পাই ব্যাঙ্গ, নিশি ও অন্যান্য) লালে লাল লাল সেলাম।
    অনেক পরে শুনেছি ইতিহাস পড়তে চেয়েছে বলে মেয়েকে মেরে ধোরে সুবিধা হলো না দেখে বাবা কামড়ে দিয়েছে।
    কিন্তু চুল আর আংটি !!
  • rimi | 75.76.118.96 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৭:১০537448
  • আমিও আশ্চর্য্য হলাম। এদের তুলনায় আমার অভিজ্ঞতা তো কিছুই নয়। এম্নিতেই আমি মার খাই নি। বকাবকি আর চাপ প্রচুর পেয়েছি, কিন্তু সেটা মূলত প্রেম করার ফ্রিকোয়েন্সির জন্যে, মানে মায়ের ভাষায় "অল্পবয়সে পেকে যাবার" জন্যে। এমনকি পড়াশুনোর জন্যেও তেমন বকাটকা খাই নি, কারণ রেজাল্ট বরাবর ভালই হত। চুল আর আংটি বা গয়নাগাটি নিয়ে তো কিছু বলেই নি মা বাবা কোনোদিন!!

    তবে কল্লোলদা ছেলে হয়ে জন্মানোটা, আমাদের সমাজে অবশ্যই প্রিভিলেজ, অন্তত আমাদের আগের জেনারেশন পর্যন্ত তাই ছিল।
  • riddhi | 108.218.136.234 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৭:১০537447
  • ও আচ্ছা! ধপ হলেও রীতিমত ওয়ার্ক ওফ আর্ট, কল্পনাশক্তির দিক থেকেও।
  • pi | 128.231.237.7 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৭:১৯537449
  • ঢপ ? :)

    যাহোক, আংতি নিয়ে কিছুটা হলেও চুল, কি গয়নাগাঁটি নিয়ে আমাকে বকাঝকা মোটে সেভাবে খেতে হয়নি। কিন্তু ওগুলো ছিল আমার অন্যবিষয়ে বকাঝকা মার টার খাওয়ার থেকে বাঁচার অস্তর।

    আর বাবা কখনোই গায়ে হাত তোলেনি। মার মার টারগুলোও সেভাবে দেখতে গেলে কিছুই না। অন্তত: এই টইএর বহুজনের বর্ণনার কাছে তো কিছুই নয়। মারলে বাবা খুব অসন্তুষ্ট যেত। আর বাবার না মারা নিয়ে মা :)
    তবে সেটা কখনোই প্রচণ্ড বেশি লেভেলের কিছু ছিলনা। যেটুকু হত , এবং মূলত: বাক্যিবাণ বন্ধ করার জন্য লেভেল টা বেশি ছিল আমার দিক দিয়েই।
  • byaang | 122.167.219.231 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ০৭:২১537451
  • রিমির চুলের ব্যাপারে বক্তব্য মেনে নিতে চাপ যেখানে অলরেডি আমরা সবাই পড়ে ফেলেছি যে রিমি মাথায় ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ডিমের কুসুম মিশিয়ে সেইটে মেখে বাসে চেপে সিনেমা দেখতে যেত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন