এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এঁচোড়েপক্ক টক

    byaang
    অন্যান্য | ০৫ এপ্রিল ২০১২ | ১৯৩৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ppn | 112.133.206.20 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২১:৫৯537552
  • আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবার ব্যপারটা পশ্চিমী সমাজ থেকে এসেছে। আমরা এখনো শিখছি। : I
  • shrabani | 59.94.98.206 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:১৪537553
  • বকতে মারতে বা এমনি ঝগড়া করতেও অনেকেই পারেনা, গলাবাজী করতেও! অনেকের আশ্চর্য বা অন্যকিছু লাগলেও, এই আমিই পারিনা তাই সরাসরি উত্তর দেওয়া কটিয়ে দিলাম।:) আসল কথাটা কোন লোকে কি বলছে তাতে কিস্যু এসে জায় কিনা!
  • ppn | 112.133.206.20 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:১৬537554
  • ক।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩০537555
  • কেকে কে,

    এর কোন জেনারাল উত্তর হয় না। আদর্শগত স্টান্সও নেই।

    যদি কারুর সম্বন্ধে ডিরোগেটরি মন্তব্য করা হয় এবং সেটার কোন প্রমাণ না থাকে তাহলে সেটা প্রশ্নযোগ্য। আমি নিজে করব না, কেউ করলে আর কোন প্রশ্নও তুলব না।

    এর সাথে নিজের ছেলেমেয়েদের সম্বন্ধে ছল করে করা মন্তব্যের কোন তুলনা হয় না।

    আর সেলিব্রিটিদের নিয়ে যা চলে তাহল গসিপ। সে তো চানাচুরের মতন।
  • siki | 122.177.58.73 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৮537556
  • সকালে ঘুমচোখে মোবাইল থেকে লাস্ট পোস্ট পড়ে ব্যাঙের তেলচুপচুপে চুল নিয়ে একটা কমেন্ট দিয়েছিলাম বটে, কিন্তু সত্যিকারের পুরো টইটা এইমাত্র পড়ে উঠলাম। উরেবাবা, কী রোমহর্ষক কঠিন ভয়াবহ হরর ব্যাপারস্যাপার! আমি পড়ে জাস্ট ব্যোমকে গেলাম। বিশ্বাস করা উচিত হবে কি হবে না, সেটাই বুঝতে পারছি না।

    আমি জীবনে প্রথম শুনলাম চেনাশোনা লোকের মধ্যে এই ধরণের শাসনপ্রণালী। মানে, ইচ্ছে সিনেমাটা আমিও দেখেছি, আর খবরের কাগজে এ রকম ঘটনা আমিও পড়েছি, কিন্তু মাইরি বলছি, এই সব জিনিস আমাকে কোনওদিন দেখতে হয় নি।

    মার খাই নি কি? হ্যাঁ, খেয়েছি ছুটকো ছাটকা। কিন্তু আলাদা করে মনে করতে পারি না। হয় তো কানমলা বা পিঠে চড়থাপ্পড়, অতি অবশ্যই কিছু বদমাইশি করেছিলাম বলে। কিন্তু মারধোর নিয়ে কোনওদিনের কোনও বাজে স্মৃতি নেই আমার কাছে। পড়াশোনা নিয়ে কোনওদিন কাউকে কিছু বলতে হয় নি, সেই কেজি টু থেকে নিজে নিজেই পড়তাম, নিজেই হোমওয়ার্ক করতাম। তবলা প্র্যাকটিস নিয়ে মা প্রায়ই খিঁচতো, কিন্তু সে কে-ই বা না খিঁচোয়।

    ডিক্টেটরশিপ চালানো নিয়ে ( রাগ হয়েছে, খাবো না, কিন্তু মা ঘাড় ধরে খাবার টেবিলে বসিয়ে দিত আমার রাগকে পাত্তা না দিয়ে) একটা সময়ে মা-কে খুব অপছন্দ হত, এবং মা-কে কেন বাবা কিছু বলে না, সেই নিয়ে বাবার ওপরেও খুব রাগ হত, কিন্তু এখন পেছন ফিরলে বুঝতে পারি সে ছিল নেহাতই বয়:সন্ধির মনপরিবর্তন। ঐ সময়ে সব ছেলেরই কমবেশি বাবা মা-কে অপছন্দ হয়।

    বাবা মেরেছে একবার কি দুবার। আমি আসলে খুব গুডি গুডি বয় ছিলাম চিরদিনই। কখনও খেলার মাঠের দিকে ঘেঁষি নি। সেটা নিয়ে বাবার আক্ষেপ ছিল, কিন্তু চাপ দেয় নি কখনও। জয়েন্টের ফর্ম ভরার সময়ে মায়ের ইচ্ছে ছিল আমি যেন মেডিক্যালটাও দিই, কিন্তু কারুর চাপে নয়, সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেয় আমি জয়েন্টে বসেছিলাম, এবং শুধু ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের জন্য ফর্ম ভরেছিলাম। কারুর তাতে কোনও চাপ হয় নি। কনফিডেন্ট ছিলাম, আমি পাবই। পেয়েছিলাম। তাই পাবার পর শুধু বাবা যখন বলেছিল, আর যাই নিস, সিভিলটা নিস না, আমার পুরো জীবন নষ্ট হয়ে গেছে এই লাইনে সার্ভিস করতে করতে, সেই কথাটাকে অক্ষরে অক্ষরে মেনেছিলাম। শিবপুর বিই কলেজের সিভিল ছেড়ে জলপাইগুড়িতে ইলেকট্রিকাল নিয়েছিলাম। :)

    ক্লাস টেনে বোধ হয় মা লাস্ট মেরেছিল। তার পরে আর কেউ কোনওদিনও না।

    আমি একমাত্র সন্তানও ছিলাম না। দিদি ছোটবেলায় মনে আছে একদিনই খুব মার খেয়েছিল, টানা অনেকবার বোঝানোর পরেও একটা অঙ্ক করতে না পারায়। যা হয়, ভীষণ শান্ত মানুষেরও এক সময়ে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়, বাবার সেদিন হয় তো তাইই হয়েছিল। তার আগে পরে কোনওদিনও মার খায় নি। দিদির পড়াশোনায় অনেক ঝক্কিঝামেলা এসেছে, মেয়ে হিসেবে দিদির আমার মত স্বাধীনতা ছিল না। আমি সাইকেল নিয়ে হুগলী চুঁচড়ো চন্দননগর বাঁশবেড়িয়া ত্রিবেণী ঘুরে বেড়াতাম, একা একা সাইকেল নিয়ে গঙ্গার ধারে গিয়ে গঙ্গায় সাঁতার কাটতাম, কোনওদিন, কোনওদিন আমাকে আটকানোর চেষ্টা করে নি কেউ। কেবল হাতে পয়সা পেতাম না, তাই রেশনের থেকে খুচরো টাকা পয়সা সরিয়ে ইলেভেন টুয়েলভে টুকটাক সিনেমা দেখেছি।

    আমার কোনও বন্ধু বা বান্ধবীকেও আমি এই লেভেলের মারধোর খেতে দেখি নি। কে জানে!
  • rimi | 168.26.205.19 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪২537557
  • এনক আমার মনের কথাটা বলে দিয়েছে। কারুর সঙ্গে মতে না মিললেই তার আসল নাম নিয়ে সম্বোধন করে বিবিবাবু কি বোঝাতে যান তা কে জানে? বিবি কি ভাবেন ব্যাংকে "ব্যাংদেবী" না বলে আসল নাম ধরে ডেকে কিছু বলা মানে একটা দারুণ রকম রাগ প্রকাশ করা হল? সত্যি, বিবির ছেলেমানুষী দেখে এত্ত হাসি পায় :-)))))))
  • Abhyu | 97.81.99.177 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪৬537558
  • আমার বাচ্চা আমি যা ইচ্ছে তাই করব যদি সমর্থনযোগ্য না হয় তো আমার বাবা মা আমি যা ইচ্ছে তাই লিখবও সমর্থনযোগ্য না। আমার মনে হয় এখানে যাঁরা ডিফেন্ড করার কথা তুলছেন তাঁরা কেউ বলতে চাননি যে লোকে মিথ্যে কথা লিখছে, শুধু বলছেন যে বাপমার ভার্শনটা শুনতে পেলে হয় তো অন্য একটা ভাবনার দিক খুলে যেত। সেখানে এটা সম্ভব যে কেউ লিখলেন - আমি ঠিক করি নি - সুযোগ পেলে আমার ছেলেমেয়েকে অন্য ভাবে মানুষ করতাম। যেটারই অন্য দিক হচ্ছে যে আমার ছোটোবেলায় যে জিনিসগুলো খারাপ লেগেছে সেগুলোর হাত থেকে আমার ছেলেমেয়েকে প্রোটেক্ট করা।
  • rimi | 168.26.205.19 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২২:৫৮537559
  • আরে এইটা কি কোর্ট নাকি যে বাদী বিবাদী দুপক্ষকেই "আত্মপক্ষ" সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে? এইটা হল যার যা খুশি লেখার জায়গা।
    যখন কোনো লোক মেময়ার্স লেখে, তাতে অন্যের সম্পর্কে তার মনে কি ইম্প্রেশন হয়েছে সেটাই লেখে। একটা ঘটনা যেমন ঘটেছে তেমন বর্ণনা করা, আর একজন মানুষের সম্পর্কে ডেরোগেটরি মন্তব্য করা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।

    যেমন, "আমার মা আমাকে পরীক্ষায় খারাপ নম্বর পাবার জন্যে খুব মেরেছিল। আমার সেটা ভালো লাগে নি।" এর মধ্যে কোথায় মার সম্পর্কে "ডেরোগেটরি" মন্তব্য করা হয়েছে?

    আর "আমার বাচ্চা তাই আমি যেমন খুশি পেটাবো" , আর "আমার বাবা মা আমি যা ইচ্ছে তাই লিখবো" এই কথাগুলো এই প্রসঙ্গে আদৌ ফিট করে না। কেউ কি বলেছে এখানে যে "যেহেতু আমার বাবা মা অতএব আমি তাদের হারামজাদা কুকুরের বাচ্চা ইত্যাদি যা ইচ্ছে তাই বলব"?? যেটা হয়েছে সেটা মূলত স্মৃতিচারণ, আর সেখান থেকে কারুর কারুর বাবা মার প্রতি জমে থাকা রাগ বেরিয়ে এসেছে। তো সেটা আসতেই পারে। যে কোনো স্মৃতিচারণে এই ব্যপারটা হয়, আর এইটা ধরে নিয়েই লোকে স্মৃতিচারণা পড়ে যে এগুলো একদিকের কথা। অন্যদিকের অন্য কথা থাকতেও পারে। যেহেতু কাঠ্‌গড়া নয়, শুধুই স্মৃতিচারণা, তাই আত্মপক্ষ সমর্থ ইত্যাদি ভারি ভারি কথা এখানে একেবারে অপ্রাসঙ্গিক।
  • nk | 151.141.84.239 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:০১537560
  • রিমিকে ক ক্কয়ে ক্ক নিশির পক্ষ থেকে।
  • Abhyu | 97.81.99.177 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:০৪537562
  • স্মৃতিচারণ ঠিকই, কিন্তু বায়াস্‌ড (তো, সে হতেই পারে)। এখন তোমার কথা মেনে নিয়েও বলি, আমি নিজে কিন্তু লিখতাম না এরকম। হয় তো লিখতাম, আজ থেকে পাঁচ-দশ বছর আগে হলে। কিন্তু এখন আমার বাবার শরীরের যা অবস্থা, তাতে একই স্মৃতি অন্য ভাবে ফিরে আসে। খুবই ব্যক্তিগত অনুভূতি, লিখে বোঝানো সম্ভব না।

    পোস্টটা ঠিক রিমিদির পোস্টের উত্তর হল না, কারণ আমি অনেকাংশে একমত।
  • rimi | 168.26.205.19 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:১৭537563
  • অভ্যু, তুই যা বল্লি সেটা বুঝেছি। আমারো বাবা মার উপরে অনেক কারণে অনেক ক্ষোভ ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেসব অনেক কমে গেছে, তাছাড়া নিজের ছেলে হবার পরে তাদের পার্স্পেক্টিভটা এখন ভালো বুঝতে পারি।

    তবে কি জানিস, অনেক বাবা মা আছে যারা ছেলেমেয়েদের জোর করে দাবিয়ে রাখে। সেখান থেকে একরকমের রাগ জমা হয়, যেগুলো অনেকে অ্যাডাল্ট হয়েও ভুলতে পারে না। পৃথিবীতে বহুরকমের মানুষ আছে, যাদের স্বভাব চরিত্র এবং জীবন সবই হয়ত আমার থেকে অনেক অনেক আলাদা।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:১৯537564
  • শরীর খারাপ হলে পুরনো স্মৃতি মিথ্যে হয় কেং কয়ে?

    দোষে গুণে মিলিয়ে মানুষ এরকমই।

    পৃথিবীতে একটাও বাচ্চা নেই যার বাপ মায়ের সম্বন্ধে কোনো অভিযোগ নেই। জীবনের সব কিছু পলিটিকালি কারেক্ট হয় না
  • byaang | 122.178.209.182 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২৪537565
  • এখানে অনেকেরই হয়তো সিনেমাটা দেখা। কেন জানি না মনে হল রিমি, নিশি এদের দেখা নয় সিনেমাটা, পার্ট ওয়ানের লিংকটা দিলাম, ইউটিউব থেকে খুঁজে বাকি পার্টগুলো দেখে নিও। সিনেমার শেষের দিকটা দেখে জাস্ট শিউরে উঠবে।

    আর হুচির ""সম্মান করতে শেখানো''র কমেন্টটা কেমন হাড়ে হাড়ে সত্যি টের পাবে।
  • Abhyu | 97.81.99.177 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২৬537566
  • স্মৃতি মিথ্যে হয় বলি নি, একই স্মৃতি অন্য ভাবে ফিরে আসে বলেছি। বুঝছেন না যখন, কাটান দিন। চাপ নেই।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২৮537567
  • কেউ ভিলেন না। কেউ হীরো না। সক্কলে মানুষ। দোষে গুণে মিলিয়ে
  • nabanita | 152.79.94.97 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৪৯537568
  • ইস, নিজের ছোটোবেলাটা মনে করিয়ে দিল সবাই। প্রচুর মার খেয়েছি মায়ের কাছে, ক্লাস ওয়ানে পিসতুতো দাদাকে বলেছিলাম "মা'রা পেটায় বলেই ওটাকে মার বলে - বাবারা পেটালে বোধহয় বাবার বলত"।

    তবে এখন নিজের ছোটোবেলাটাকে দেখলে মা'র ধৈর্য্য সম্বন্ধে যে কী শ্রদ্ধা হয় - আমার মার খাবার কারণ বহু - ঘুড়ির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ট্রলি পাঁচ নম্বর বাসের সামনে পড়ে যাওয়া, ড্রাইভারের মন্তব্য মেয়ে সন্তান কেও যারা ঘরে রাখতে পারে না তারা জন্ম দেয় কেন- ড্রাইভারের পাশের সিটেই মা স্কুল থেকে ফিরছিলেন। কখনো বা পাড়ার কোনো ছেলেকে পিটিয়ে তার নাক ফাটিয়ে দেওয়া, সাঁতার না জেনে পুকুরের ধারের পেয়ারা গাছের ডালে ওঠা, পিসেমশাইকে (পিসিমা বাবার চাইতে বছর দশেকের বড়) মহা হারামী বলা ... - সব থেকে বেশি মার খেয়েছি পথে পথে ডাংগুলি খেলে বেড়ানোর জন্যে। মার ছোটোবেলায় কার চোখে ডাংগুলি ঢুকে চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাই ঐ একটি কাজেই আমার নিষেধ ছিল!

    শুধু মা নয়, পাড়ার আমার এক মাত্র মেয়ে বন্ধুর মাও কোনোদিন মধুর সুরে কথা প্রায় বলেননি- ওদের পরিবার খুবই নিষ্ঠাবান ঘটি- হেগো কাপড় প্রায় অশুচিতার ultimate, কিন্তু ওদের বাড়ির পায়খানার ছাদের উপর উঠে খুব ভালো কাঁচা মিঠে আম পাড়া যেত। ছাদে ওঠার জন্যে ঠাকুর ঘরের একটা টুল খুব right sized ছিল, সেটা চুরি করেছি বলে ধরা পড়লেই কাকিমার মন্তব্য ছিল "খোকা, গড়িয়া শ্মশানে একটা চিতা বুক করে আয়, আমি দুই হারামাজাদীর মুখে নুড়ো জ্বেলে এক ঘাটে এদের শ্মশান সই করে আসি" buy one-get one free আর কি!, সেই সঙ্গে হাতা, খুন্তি, গেলাস যা হাতে থাকত তার আঘাত- কাকিমার টিপ মহাভারতের অর্জুন কেও লজ্জা দেবে!

    বাবা কোনোদিন মারেন নি, তবে একটা মহা বাজে অভ্যাস মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন "যে কাজের কথা বলতে লজ্জা করবে, তেমন কাজ কখনো করবি না", অগত্যা আমি যাহা মনে আসে তাহাই করি, লজ্জা আজ ওবধি পাই নি - ব্রেনের ঐ অংশটা তৈরী হয় নি আসলে।

    তবে বাবা -মা'র সঙ্গে আমি কিন্তু খুব ফ্রী - হেন গল্প আর ফাজলামি নেই যা হয় না, বেশির ভাগ গোপন কথা কোনোদিন গোপন করার প্রয়োজনই বুঝি নি - মোটামুটি বেস্ট ফ্রেন্ড, ভালবাসি কিন্তু মনে করি না এদের সমালোচনা করা যায় না! তর্ক, ঝগড়া সব প্রায় সমানে সমানে - ছোট বেলায় বেশি হারতাম, এখন হাম ভী মিলিটারি, তুম ভী!

    আসলে আমার মনে হয় যেখানে স্নেহ থাকে সেখানে বকা বা চড় থাপ্পড় নাকি time out -এগুলো matter করে না। মুশকিল হল যেখানে শাসনের বদলে শুধুই অধিকারবোধ বা নিজের ইচ্ছাপূরণ এসে চোখ ঢাকে!
  • pipi | 173.161.6.201 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৫২537569
  • ইইস! পাইএর পোস্টটা পড়ে থেকে বেজায় আফসোস হচ্ছে। এই বুদ্ধিটা তখন কেন মাথায় আসে নি। যে মারতে এলেই নিজেকে মারা শুরু কর। তাহলে তো আর অমন গরুর খুঁটি উপড়ানো মার খেতে হত না। নাহ পাই ভারী ইন্টেলিজেন্ট। ছোটবেলা তেই তার ফুলকি দেখিয়েছিল:-)
    মা যে কেন অমন মারত এটা সত্যি আমার কাছে ধাঁধা ছিল। শান্ত, ওবিডিয়েন্ট, 'ভাল মেয়ে' টাইপ ছিলাম। প্রতিবাদী ব্যপারটা ছিল না তা নয় তবে আমার প্রতিবাদ ছিল আমার মত করে। এই যেমন যদি কোন কিছু করতে না করা হত তো আগে লজিক্যালি আমাকে বোঝাতে হবে যে কেন ওটা করা বারণ। স্রেফ 'আমি বলছি তাই তুমি করবে না' এই গার্জেনগিরি কিছুতেই মানতে পারতাম না। চেঁচিয়ে ঝগড়া করে বাড়ি মাথায় করা কোন দিনই আসে না, তখনও পারতাম না। অতএব নি:শব্দে বারবার সেটাই করে যেতাম চোরের মার খাব জেনেও। আর এতটুকু অবাধ্যতা মা সইতে পারত না। সন্তানেরও যে নিজস্বতা আছে, নিজস্ব পচ্ছন্দ অপচ্ছন্দ এই ব্যাপারটাই আরো পাঁচটা মা'র মত আমার মা'ও মানতে চাইত না। বরং জন্ম দিয়েছি আমি, মানুষ করার দায়িত্ব আমার অতএব এই হাত পা নড়তে চড়তে পারা পুতুলটা একান্তই আমার এবং আমি যা বলব যেমনটি বলব পুতুলটাকে তাই করতে হবে, কেন করবে না? - এই ব্যাপারটাই প্রবল ছিল। অতএব আমি কি পরব, কি খাব, কোথায় যাব, কাদের সাথে মিশব, কেমন ভাবে হাসব, নাচব, কি কি এক্সট্রা কারিকুল্যার নেব, কি বই পড়ব সবটাই মা'র হুকুম মত হতে হত। না হলেই.... পাঁচনবাড়ি:-) যেমন ধর, পোস্টবক্সে কি গেটের মুখে একটি প্রেম পত্তর পাওয়া গেল। পাড়ার কোন উঠতি রোমিওর উপর বাগদেবী ভর করলে যা হয় আর কি। তো ফলস্বরূপ - বেদম পিটুনি। না মানে, রোমিও বাবাজীকে নয়, মা'র হাত আর আমার পিঠ/গাল/মাথা/চুলের মুঠি ইত্যাদি। মা'র যুক্তি এত মেয়ে ইস্কুলে যায় তাদের কাউকে এমন পত্রাঘাত সইতে হয় না, তোকে কেন ছেলেরা এত জ্বালায়। নিশ্চয়ই তুই কিছু করিস!!
    তবে আরো একটা ব্যপার ছিল যেটা এখন বুঝি। একাকীত্বে ভুগত মা। বাবা তো চাকরীর সূত্রে কোথায় কোথায় ট্রান্সফার হত। মাসে কোন একটা সপ্তাহে, কখনো বা দু'বার আসত। বাকী সময়টা একটা বাড়ন্ত মেয়েকে নিয়ে মা কে থাকতে হত একলা। সে মেয়ের যাবতীয় দায় দায়িত্ব ঝামেলা থেকে শুরু করে সংসারের (সে যত ছোটই হোক না কেন) যাবতীয় ঝালা মা'কেই টানতে হত। অতএব মেজাজটা, বুঝলে কিনা, সপ্তমেই চড়ে থাকত আর কি। আর চড়ে থাকতে থাকতে যা হয়, নীচে নামাটা শক্ত হয়ে যায়:-)
    আমার বরং এখন বাবার উপরেই অভিমান হয়। বাবা কখনই বুঝল না ব্যাপারটা, বরাবর এড়িয়েই গেল। বাবা বরাবর শান্ত মানুষ, ঝামেলা ঝঞ্জাটে থাকতে চায় না। বাড়ীতে কুরুক্ষেত্র হচ্ছে, বাবা লাইব্রেরী ঘরে বই মুখে জগৎ ভুলে বসে আছে - এই ছবিটার সাথেই বরং আমি বেশি পরিচিত। বরং মা যে আমায় পিটিয়ে ধুনুচীর ছাল উঠিয়ে দিচ্ছে জানা সঙ্কেÄও বাবা কখনো চেষ্টাও করে নি ব্যাপারটা আটকাতে বা গোড়ায় গিয়ে বুঝতে। বরং - জানিস তো, তোর মা ঐরকমই, রাগী মানুষ, কেন রাগাস - এইসব বলে আমায় বুঝ দেবার চেষ্টা করত। সন্ধ্যেবেলা আপিস থেকে ফিরে কখনো যদি দেখত যে বাড়ি অন্ধকার, থমথমে, বাবা আর ভিতর বাড়ীতে পা দিত না। চুপচাপ বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেত (একপ্রস্থ বাজার যদিও সকালে হয়ে গেছে:-))। মানে, বাড়ি থেকে পালিয়ে যতক্ষণ থাকা যায় আর কি। আমার বাবা আর বর্তমান ইউপিএ সরকারের বিশেষ তফৎ দেখি না। দুপক্ষই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, টালবাহানা করে আর যতটা পারে ধামাচাপা দিতে চায় এই ভেবে যে সময়ের সাথে সাথে সব থিক হয়ে যাবে:-))

    যেমন ধর, একবার তো মা প্রবল মারতে মারতে গেল হাতের শাঁখা ভেঙ্গে। আর এক সমস্যা ছিল মার খেলে আমার না কাঁদা। মানে, কাঁদতে না পারা। সব বাচ্চাই মার খেলে চ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদে। ইদিকে আমার চোখে জল কিছুতেই আসত না (পরে বুঝেছি ল্যাক্রিমাল গ্ল্যাণ্ডের গোলযোগ:-))। তো সে যা হোক আমি কাঁদছি না এত মার খেয়েও তারমানে আমি মনেপ্রাণে আমার অপরাধ স্বীকার করছি না অতএব মা'র জিদ যেত আরো চেপে।
    তো শাঁখা ভাঙ্গতে মা' তো ক্ষান্ত দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘরের দরজ বন্ধ করে বিছানায় উপুড় হল। আমি ভাংগা শাংখা নিয়ে চুপচাপ সিঁড়িতেই বসে রইলাম। বাবা সন্ধ্যেবেলায় ফিরে ব্যাপার বুঝে আর উপরে যায় নি। চুপিচুপি আমার কাছে ব্যাপারটা শুনে সেই ধূলো পায়েই দশকর্ম্মা ভাণ্ডারে গিয়ে শাঁখা কিনে এনে মা'কে ঠাণ্ডা করা হল। আর আমার ভাগ্যে জুটল দুটি শুকনো বুলি - মাকে অমন জ্বালাস না!! বোঝো! আমি কোথায় আশা করে বসে ছিলাম খুরিতে করে দুটি ইস্পেশ্যাল রসোগোল্লা আসবে (ঐ দশকর্ম্মার পাশেই মিষ্টির দোকান ছিল কিনা)!
    এই গেলবারেও বাড়ি গিয়ে একদিন মা'র সাথে তুমুল ঝামেলার পরে (এখন আর গায়ে হাত তোলে না ভাগ্যিস) আমি তো একটা ঝুলিতে টুকটাক জামা কাপড় পসপোর্ট টিকিট নিয়ে বেরিয়ে গেছি। প্রচুর খিদে পেয়েছিল তাই গঙ্গার ধারের এক ঝুপড়িতে খেয়ে পেট ভরালাম। তো পেট কি আর ভরে। ধোপদুরস্থ জামা পরে একলা মেয়ে ঐ নোংরা ঝুপড়িতে নড়বড়ে বেঞ্চে খেতে বসেছে এই দেখতেই তো লোকে ভীড় করে ফেলল! কি আপদ! সে যা হোক খেয়ে উঠে গঙ্গার ধারে বেঞ্চে বসে ফুরফুরে হাওয়ায় ভাবতে লাগলম কোথায় যাই। আসলে দেশে কিংবা বিদেশে আমার তো যাবার কোন জায়্‌গা নেই। এমন কেউ নেই যেখানে বা যার কাছে দু'দিন জুড়িয়ে আসতে পারি। টাকাপয়সা গুণে গেঁথে ঠিক করলাম আপাতত কলকাতার কোন হোটেলে উঠি কিন্তু কলকাতার কোন হোটেল চিনি না। ঠিক করলাম ও ঠিক আছে, ট্যাক্সিওলাকে বললে নিশচয়ই কোথাও নিয়ে যাবে। তারপরে টিকিট প্রিপোন করে ফিরে যাওয়া। এর মধ্যে বাবার ফোন। ভদ্রলোককে মা ফোন করেছিল কি নিজেই বাড়িতে ফোন করে শুনেছেন জানি না। ছিলেন আপিসে। সেইখান থেকে হাঁকপাঁক। খবদ্দার যেখানে আছিস সেইখান থেকে নড়বি না আমি না আসা অবধি। ঘন্টা দু-আড়াই পরে হাঁফাতে হাঁফাতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বাবার রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ। তারপর গঙ্গার ধারে সে কি নাটক:-) আম্মো বাড়ি যাব না, বাবা গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে টানাটানি। শেষমেষ বলে - আচ্ছা আমি তোর মা'কে বকে দেব তুই বাড়ি চল। মাইরি বলছি বাবা কেমন করে মা'কে বকে শুধু এইটা দেখার লোভে আমি বাবার পিছুপিছু বাড়ী ঢুকলাম। আর আমাদের দুটিকে দেখেই শুরু হল মা'র ফোঁসফাঁস সাথে কান্নাকাটি। কি? না, কি পাষাণ মেয়ে! আমার মুখের উপরে তোমার খাই না তোমার পরি না তোমার গালও শুনব না বলে বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে ড্যাঙ্গদেঙ্গিয়ে চলে গেল! মা নিজের মেয়েকে দুটো কথা বলতে পারবে না! ইত্যাদি প্রভৃতি! আর অবাক হয়ে দেখি বাবা মিনমিন করে কি যেন বলার চেষ্টা ছেড়ে উল্টে আমাকেই বলতে শুরু করল - হ্যাঁ ঠিকই তো। নিজের মা বই তো নয়। না হয় রাগের মাথায় দুটো কথা শুনিয়েই দিয়েছে তাই বলে অমন ঘর ছেড়ে চলে যেতে আছে?
    বোঝো ব্যাপার! :-))

    তবে এতো কিছুর পরেও, এত মারধর, ঝগড়াঝাঁটির পরেও আমি কি ওদের কিছু কম ভালবাসি? মনে তো হয় না। রাগ হলেও যখ্‌ন ভাবি ওদের তো আমি ছাড়া আর কেউ নেই তখন আর রাগ করতে পারি না বেশিক্ষণ। বয়সের বলিরেখা আঁকা মুখ দুটো যখন দেখি তখন ভাবি পিছনের কথা ভেবে অভিমান পুশে নিজেকে তুষের আগুনে জ্বালিয়ে আর কি লাভ। আর এখন তো মা একটু একটু করে পিছনের কথা ভুলেই যাচ্ছে। মনেই করতে পারে না এত মারত। কোন একটা ঘটনার কথা তুললে বলে - ওমা তাই? তোকে তাইতে মেরেছিলাম? যাহ! তুই মিছে কথা বলছিস। - এর পরে আর কি অভিমান পুষে রাখব!
    ভুলতে হয়ত আমি কিছুই পারি নি, ভোলা অত সহজ নয় এক যদি না অ্যালঝাইমারে ধরে কিন্তু তার সাথে জড়িয়ে থাকা যে সব কষ্ট, অভিমান, চোখের জল ছিল সেগুলো অন্তত বাতাসে মিশিয়ে দিতে পেরেছি। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে এখন মনে হয় জীবণের সব থেকে শক্ত কাজ বোধহয় - to let go। ক্ষমাসুন্দর চোখ নিয়ে পৃথিবীটাকে দেখা বড্ড শক্ত। আমি পারি নি, কোনদিন পারবও না তবু মাঝেমাঝে ক্ষেত্রবিশেষে চেষ্টা করি অভিযোগ অনুযোগ অভিমান গুলোকে বিসর্জন দেবার। এই আর কি।
    তবে বাবা-মা মানেই সমালোচনার ঊর্ধ্বে, বাবা-মা মাত্রেই মহান টাইপ - এটা সেদিনও মানি নি, আজও মানি না।

  • sayan | 115.241.46.26 | ০৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৫৬537570
  • ডাংগুলি চোখে ঢুকে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়া - এটা বোধহয় সবার ছোটবেলাতেই মা-বাবা প্রদর্শিত একটা জেনেরিক ডিসকারেজমেন্ট। মনে পড়ে প্রাইমারি ক্লাসে বিদীশা সিংহরায় ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছিল আমার আর তারপর তার ভয় পেয়ে যাওয়া মুখ আর কান্না ....
  • ppn | 112.133.206.20 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০০537571
  • (আগের পোস্টে যা কিছু লিখিনি)

    সময় পাল্টে যায়, দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে যায়, নতুন সময়ের দাবিতে লোকের সচেতনতা বাড়ে। লিখেছি তখন বটে গোরুছাগলের মত মার খেয়েছি সময়বিশেষে, তার পেছনে ছিল আসলে বাবার চণ্ডাল রাগ। যে রাগের কারণে ঠাকুর্দা আর জেঠুও বাবাকে সমঝে চলতেন। মধ্যবিত্ত মানুষ, মাসের মাঝখানে এসে হিসেবের কড়ি মেলানো ভার হয়, নিজের রোজগারে একটা উদ্বাস্তু পরিবারের জ্ঞাতিগুষ্টিকে প্রতিপালন করা একটা সময় জুড়ে এইসময়ে দাঁড়িয়ে জানি না নিজে ওই পরিস্থিতিকে কী করতাম। লিখেছি বাজে স্মৃতির কথা, টুকরো টুকরো খন্ড চিত্রের কথা ভাবলে তাই এখনো, তবু পড়াশোনার জন্য চাপ, অযৌক্তিক ইচ্ছে চাপিয়ে দেওয়া এইসবের খুব দু:সহ স্মৃতিও নাই।

    এখন লোকে অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট কী জিনিস জানে, ফ্রাস্টেশন ভেন্ট আউট করার জন্য ছোট বাচ্চার গায়ে হাত তুলতে হয় না, তখন সম্পূর্ণ অন্য একটা সময়, আলোকবর্ষ পিছিয়ে থাকা জীবনযাত্রার মান, পরিস্থিতি ও প্রায়োরিটি, গত কুড়ি বছরে সবকিছু পাল্টেছে উল্কাগতিতে; এই মধ্যবয়সে এসে মুজরিম কৌন বলার আগে ভাবতে হবে অনেকবার।
  • rimi | 168.26.205.19 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০০537573
  • না এই সিনেমাটা দেখি নি। আজই দেখবো যদি সময় পাই।

    হুচের সম্মান দেবার পোস্টটায় আমিও প্রবলভাবে একমত। সব বাবা মা এমন নয় অবশ্যই। কিন্তু সাধারণত ছেলে মেয়েকে মানুষের মতন করে সম্মান দেওয়াটা আমাদের সমাজের রেওয়াজ নয়। উল্টোটা সত্যি। মানে, ছেলে মেয়ে বাবা মার কথা বিনা বাক্যে বিনা প্রশ্নে মেনে নেবে, শ্রদ্ধায় মাথা নিচু করে থাকবে, এমনকি বুড়ো বয়সেও বাবা মার সঙ্গে তর্ক করবে না, ইত্যাদি "গুণ" আমাদের সমাজে ছোটো থেকে কাল্টিভেট করা হয়। সেইজন্যেই "বাবা মা" সম্পর্কে যদি কোনোরকম সমালোচনা করলেই অনেকের মনে অশান্তি হয়। কেননা এই রকম সমালোচনা তাদের "কোর ভ্যালু"কে আঘাত করে।

    আমি কিন্তু খারাপ ভালো কিছুই বলছি না। শুধু বলতে চাইছি আমাদের সমাজের এইটা বৈশিষ্ট্য। অন্যদিকে পশ্চিমী সমাজে, অন্তত আমেরিকায়, দেখেছি খুব ছোটোদেরও অথরিটিকে প্রশ্ন করতে পারার ক্ষমতাকে একটা বিশেষ ট্যালেন্ট বলে মনে করা হয়। কেননা অথরিটিকে প্রশ্ন করার ক্ষমতা না থাকলে সমাজে পরিবর্তন আসবে কি করে?(আম্রিগি মতে)
  • ranjan roy | 122.168.35.31 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০১537574
  • সিদ্ধার্থ,
    হয়তো অভ্যু'র কথাটা খানিকটা বুঝতে পারছি। ব্যাপারটা
    শুধু মানুষ তো "দোষে গুণে' আউড়ে বাবা-মার সম্বন্ধে কম বয়স থেকে পুষে রাখা অভিযোগ খারিজ করে দেয়া নয়। আসলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো ঘটনাকে নতুন ভাবে দেখা, অথবা বাবা-মার কোন ব্যবহারের পেছনে পারিপার্শ্বিকের ভূমিকা বা কোন কম্পালসনকে বুঝতে পারার ক্ষমতা জন্মায়। তখন সেটা কে ভুল-ঠিকের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখা যায়।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৩537575
  • আম্রিগাতে অন্য কেস। আমার এক আম্রিগান বন্ধুর বোন বাবা মায়ের ডিভোর্সের এবং সেই আনুষংইক অসান্তির চাপ সইতে না পেরে ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে গেছিল।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৪537576
  • হ্যাঁ রঞ্জনদা, সেজন্যৈ অভ্যয়ুকে কিছু বলিনি আর। এটা যার যার সেন্টিমেন্টের ব্যাপার। আমি সত্যি-ই আউটসাইডার হয়ে বুঝব না এটা
  • siki | 122.177.58.73 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৭537577
  • উড়ান সিনেমাটাও দেখেছি।

    সব পড়লাম। আর কমেন্ট করতে ভালো লাগছে না। পিপির লাস্টের লেখাটা খুব ভালো লাগল।

    ক্ষমা করতে পারা খুব কঠিন, বিশেষ করে স্রোতের উল্টোপানে, যেদিকে ক্ষমার ধারা বয় না।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৮537578
  • পশ্চিমি সমাজেও এই ট্রেন্ডটা বেশিদিনের নয়। একটু পুরনো দিনের লোকের সাথে কথা বললেই বোঝা যায় স্প্যাংকিং খুব বিরল ঘটনা ছিল না। বিশেষত আফ্রিকান-আমেরিকান বাড়িতে তো নয়ই।

    অনেকে মনে করে ড: স্পোক হ্যাজ চেঞ্জড দা ওয়ার্ল্ড ফর এভার।
  • Lama | 117.194.228.214 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৯537580
  • আমার মা বাবা কদাচিৎ মেরেছেন। ধৈর্য্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে মা কদাচিৎ তেড়ে এসে হাত উঁচিয়ে আমার শরীরের এমন একটা জায়গা খুঁজতে শুরু করত যেখানে মারলে কম লাগবে। সেই জায়গাটা খুঁজে পেতে পেতে মা-র রাগ কমে যেত। বাবা না মারলেও ঠান্ডা চোখে একবার তাকাত, তাতেই রক্ত জল হয়ে যেত। অসম্ভব রেগে গেলে ক্কচিৎ কদাচিৎ মারত। তার থেকেও যেটা বেশি করত সেটা হচ্ছে জিনিসপত্র (যেটা আমার কোনো কুকীর্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে) ছুঁড়ে ফেলা। কখনো কখনো আমাকে অতিরিক্ত শাসন করা নিয়ে মা অনুযোগ করলে বাবা সংস্কৃত শ্লোক শোনাতেন "লালয়েৎ পঞ্চবর্ষাণি, দশবর্ষাণি তাড়য়েৎ, প্রাপ্তএষু ষোড়শে বর্ষে পুত্রমিত্রবদাচরেৎ। তবে মারধোর না খেলেও আমাদের বাড়ি ছিল যাকে বলে "ধমক দিয়ে ঠাসা।' যে কারণে আমাদের সমবয়সীরা যা যা করেছে তার কিছুই আমরা করতে পারি নি। যেমন কাঠি আইসক্রিম খাওয়া, বা বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক। আর অঙ্ক পরীক্ষায় ১০০-র বদলে নিরানব্বুই পেলেও বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসত, যে জন্য সেকেন্ড হওয়াটা যে খারাপ রেজাল্ট করা নয় সেটা বুঝতে অনেকদিন লেগেছিল। যে সব বিষয় নিয়ে ক্ষোভ ছিল তার মধ্যে দুটো সম্পর্কে আগের দুটো পোস্টে লিখেছি।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৯537579
  • আসলে এসব এক্কেরে ক্ষমতার থিওরি। ছোট্টবেলা থেকে বাবা মায়ের ভালবাসা এবং শাসনের মধ্যে দিয়ে এই ক্ষমতার প্যাটার্নটা তৈরী হয়। সেটা সামাজিক মান্যতা আরো পায় স্কুলে গিয়ে। প্যানপটিকন তখন আরো জোরদার হয়ে যায়।

    কলেজ/ব:সন্ধি থেকে থেকে এই প্যাটার্নের একটা বিপরীত ভাষ্য তৈরী হয়, সেটাও আবার এক-ই রকমভাবে আধিপত্যমুলক।
  • pi | 137.187.241.6 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:১৩537582
  • আর এইখানটাতেই আমার খুব অবাক লাগে। এত কিছু নিয়ে প্রশ্ন করা শিখিয়েও, সেরকম স্কুল সিস্টেম তৈরি করেও ( যাতে, লোকজনের কথামতন ধরে নিচ্ছি, সব কিছুকে প্রশ্ন করতে শেখানো হয়), সেখানে বাস্তবে 'বদল' এত কম এসেছে।
    বদলানোর চাহিদাও তো খুব কিছু দেখিনি ছেলেপুলেদের মধ্যে। এখন এদ্দিনে অকুপাই হয়ে ছিঁটেফোঁটা কিছু।
  • Tim | 98.249.6.161 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:১৩537581
  • রিমিদি,

    বাবা এবং মা, এই শব্দদুটো নিয়ে নির্মোহ থাকলে যেকোনো আলোচনাই অ্যাকাডেমিক পার্সপেক্টিভ থেকে করা যায়। কিন্তু সুখের বিষয়, এর উল্টোদিকেও বহু বহু ছেলেমেয়ে আছে যারা সব সময় পেছনের দিনগুলোর দিকে তাকালে শুধুই ভালোবাসা খুঁজে পায়, অধিকারবোধ বা চাপিয়ে দেওয়া শাসন দেখতে পায়না। অসুবিধেটা আসে সেখান থেকে। আমার কাছে ঐ দুটো শব্দ আসলেই একান্তভাবে নিজের। অবজেক্টিভলি আলোচনা করতে গেলে ব্যালেন্সটা থাকেনা। নিজের জীবন বাদ দিয়ে এটা নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও পারা কঠিন।

    আর, কোর ভ্যালু চাপিয়ে দেওয়া জিনিস। সমাজের তৈরী, ও কৃত্রিম। শুধু ওটার জন্য আটকালে গুরুর অনেক আলোচনাই আটকে যেত।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:১৪537584
  • আমার মা কথা বন্ধ করে দিত। সব হয়ে যাচ্ছে, খাবার সময়ে খাবার, জায়গার জিনিষ জায়গায়, শুধু মুখের দিকে তাকাতোও না, কথাও বলত না। উফ কি অতিয়াচার। খানিক বাদে আমার সব বীরত্ব উধাও। নিজেই গলা টলা জড়িয়ে, আর করব না বলে শান্তি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন