এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইংল্যান্ডের রানীর হীরক জয়ন্তী

    Su
    অন্যান্য | ০৩ জুন ২০১২ | ১৪৫৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 178.26.215.13 | ০৬ জুন ২০১২ ২৩:৪০550112
  • ব্ল্যাংকি গুগুল করে একটা পোল খুঁজে দিলেই হবে। এমন লক্ষ, কোটি পোল বাজারে ছড়িয়ে আছে যা থেকে দিনকে রাত, রাতকে দিন সবই কনক্লুড করা যায়।

    The poll, released Tuesday, found 61 percent of the more than 2,400 American

    আমেরিকায় থাকে কজন? আর কজন এই সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেছে? এদের এডুকেশন লেভেল কি?
  • Jay | 100.200.14.19 | ০৬ জুন ২০১২ ২৩:৪৬550114
  • হিউম্যান রাইট্স ইত্যাদি বেশ ডজি বিষয়। তা নিয়ে রাজাপাক্সে এট্টু কোন্ঠাসা। ভারত তাতে চুগলী কর্ছে। খলিস্তান নিয়ে ভারতও একাসনে (ছিল)। শ্রীলন্কান তামিল মন্দিরের (ইস্টহ্যামে) বা বার্কিনে খলিস্তানি গুরুদ্বারের প্রসাদ এই ভারতীয়ের ক্ষুন্নিবিত্তি করেছে কতদিন। ক্ষি সোয়াদ। আজও এদেশে আমাদের লোকাল গার্জেন, আপদে বিপদে- জাভেদ ভাই- উনি আজাদ কাশ্মীরের। ন্যাশনালিজম আমার কাছে এখন শুদু ক্রিকেট মাঠে।
  • a x | 138.249.1.194 | ০৬ জুন ২০১২ ২৩:৪৬550113
  • বাহ, ব্ল্যাংকের দেওয়া লিংকটাতে তো আমাদের এই আলোচনার কথা মাথায় রেখেই একটা সেকশান আছে।

    It's Not Our Fault: Blame the Government!

    Little was said about the propaganda used by the government to convince the American public that the atomic bombings were necessary and good, but Felix Morley, editor of Human Events, complained that "[r]ivers of racy material prepared in our various agencies of Public Enlightenment poured out to the press and radio commentators whose well-understood duty it is to 'condition' public opinion."56 However, he further stated that "[n]ever has any totalitarian propaganda effort fallen more flat."57 Did it though?
    The the day after the first atomic bomb was dropped on Japan, The New York Times printed on its editorial page a piece on the atomic bomb. After briefly discussing the new creation and its effects on society, and need to spread democracy throughout the world, the article came to the conclusion that no person would want war if it knew the consequences would be those of the atomic bomb, further stating:

    "All that we have to fear, in that case, is that a totalitarian government, by suppressing information and free discussion by feeding its people on a propaganda of lies, will prevent its people from knowing the facts until it is too late, while it plots secretly against the rest of the world. Wherever the press and information and discussion are free, wherever the facts are known and the government is really the choice of a liberated people, that people will want peace and can force its government to keep the peace."58

    Meant in a sincere manner, this statement is quite ironic in that the United States government had for two years kept the entire public in the dark about the creation of the atomic bomb, and once it had been dropped on Hiroshima, censored any reports coming from Hiroshima that might possibly be published in America, and proceeded to give the American public limited information on the bomb. Within the first three days, there was dissension and criticism of the new atomic bomb, but before the American public could fully digest the concept of the atomic bomb, the United States government dropped a second on Nagasaki. Perhaps the editor meant this strictly for the future and not applicable to the United States and the current situation. Nevertheless, two days after this was published, without notifying the American public or warning the city of Nagasaki, "Fat Man" was delivered to Nagasaki with a force greater than the atomic bomb dropped on Hiroshima.
    Others who spoke out in support of the atomic bombs and nuclear energy, such as Theodore Merritt, William Morse, and Walter Niebuhr believed in the propaganda that the United States government was telling to the people: the bomb was necessary; it saved American lives; it means a peaceful future for mankind. Only certain information concerning atomic energy and nuclear weapons was being released to the public due to a forced "blackout on all the news"59 by the United States military, and Morely's rivers of racy material disappeared, along with public attention to the atomic bomb.
  • lcm | 138.48.127.32 | ০৬ জুন ২০১২ ২৩:৫১550115
  • ধুস্‌, নিজের দেশের সরকরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরোধিতা কোথায় হচ্ছে। কার্গিল যুদ্ধের সময় কোথায় যুদ্ধবিরোধিতা হয়েছে? হলেও ঐ গুটিকয়েক। সবাই শুধু অন্য দেশের নীতির বিরোধিতা করে। নিজের দেশ যখন যুদ্ধে অংশ নেয়, তখন সব হৈ হৈ করে নিজের দেশকে সাপোর্ট করে।
  • Blank | 69.93.200.135 | ০৬ জুন ২০১২ ২৩:৫৩550116
  • আর একটা ছোট্ট জিনিস, এই এত বোম টোম মারার পরেও ট্রুমান আনন্দে প্রেসিডেন্ট পর পর দুটো টার্মে।
  • pinaki | 148.227.189.8 | ০৬ জুন ২০১২ ২৩:৫৪550117
  • সময়াভাবে অক্ষকে অনেকগুলো ক দিয়ে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ।
  • riddhi | 138.62.100.62 | ০৬ জুন ২০১২ ২৩:৫৮550118
  • আমেরিকার প্র্বলেম টা হল ভালমনুষী বোকামী। নিজেই নিজের পোদ মেরে রেখে দিয়েছে হজারটা গ্যালাপ পোল খুলে। আমি কালকে থেকে বল্ছি, আলোচনা টা পুরো ফলতু, কারণ অন্য পক্ষের কোন ডেটা নেই। সেখানে যে যার মত স্পেকুলেশান চালাচ্ছে। ভারতে একটা গ্যালপ পোল খুললে, পুরো খিল্লির বন্যা বয়ে যেত। ৯০% লোক দেখা গেল ভোট দিচ্ছে, পাকিস্তানকে কুচি কুচি করে কেটে হুগ্লীতে ভাসিয়ে দাও। যদি রিদিফ, ইউটিঊব কমেন্ট সেকশান কোন কিছুর ইন্ডিকেটার হয়, তাহলে এইসব পোল খুললে যা হবে না !
  • aka | 178.26.215.13 | ০৭ জুন ২০১২ ০০:০০550119
  • ব্ল্যাংকি এটাও জেনে রাখা দরকার অধিকাংশ মানুষ যখন ভোট দিতে যায় তখন তার নিজস্ব ইস্যু অনেক বড় হয়। সেইজন্যই দেশ কাল নির্বিশেষে ভোটে আঞ্চলিক ব্যপার স্যাপার বেশি প্রাধান্য পায়। এ নিয়ে পেপার টেপারও আছে। দেশ কাল নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ যখন ভোট দেয় তখন তার নিজস্ব দুঃখ দূর্দশা, আশাই বেশি ইম্পর্ট্যান্ট দ্যান ফরেন পলিসি। সেগুলো টেক কেয়ার হয়ে গেলে তখন ফরেন পলিসি ইত্যাদি নিয়ে ভাবে।
  • Tim | 208.82.20.20 | ০৭ জুন ২০১২ ০০:০৫550120
  • দেশ কাল নির্বিশেষে এই টেক কেয়ারের কোন শেষ নাই। মানুষকে খেতে দিলে শুতে চাইবে, শুতে দিলে আইপড। সুতরাং...
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৭ জুন ২০১২ ০০:০৭550122
  • ইন জেনেরাল কথাটা ঠিক। কিন্তু ২০০৪-এ বুশ যখন রিইলেক্টেড হল তখন টেরোরিজম (বা ওয়ার অন টেরর) ছাড়া কী এমন এজেন্ডা ছিল?
  • MR | 80.122.243.167 | ০৭ জুন ২০১২ ০০:২৫550123
  • এদের কাছে পার্ল হার্বার হিরোশিমার থেকে বড়। আর পার্ল হার্বারের জন্যই হিরোশিমার মতো ছোট্ট এক ঘটনা ঘটেছে।আর সেই প্রেসিডেন্টের নামে তো গড়াগড়ি যায়।
    আমার দেখা দুই পিয়ানো টিচার bankcrupcyতে ভুগছে। এদের এতো সময় কোথায় পৃথিবীর সমিস্যে নিয়ে ভাবতে?
  • S | 138.231.237.7 | ০৭ জুন ২০১২ ০০:৫১550124
  • ২০০৪ এ জন কেরির হারের প্রধান কারণ হল ট্যাক্স কাটের বিরোধিতা, ফ্লিপ-ফ্লপ আর কার্ল রোভের মস্তিষ্ক প্রসূত সুইফ্ট বোট প্রোপাগান্ডা।
  • S | 139.115.2.75 | ০৭ জুন ২০১২ ০০:৫৯550125
  • আগের S আর আমি S এক লোক নই।
  • S | 147.187.241.7 | ০৭ জুন ২০১২ ০১:০১550126
  • উপরের দুই S আর আমি S এক লোক নই।
  • Tim | 138.173.38.249 | ০৭ জুন ২০১২ ০১:১১550127
  • সেতো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এক আর দুই এক হয়? :P
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.247.129 | ০৭ জুন ২০১২ ০২:০৬550128
  • রেসিজমের বিরুদ্ধে উল্টো রেসিজম দেখে দেখে হেজে গেলাম।

    আম্রিগানরা যুদ্ধবাজ জাত বলার সাথে মুসলিমরা সন্ত্রাসবাদী, এটা বলার খুব তফাত নেই।

    সরকারের দায় সাধারণ মানুষের ওপর কতখানি বর্তাবে? ২০০৪ সালে বুশের ইলেকশন স্লোগান কি এটাই ছিল নাকি যে `আমি ইরাকে অল আউট করব তাই আমায় ভোট দাও?` আর সেটা শুনে সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছিল?

    ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ততগুলোই গণবিক্ষোভ হয়েছে যতখানি মোদীর বিরুদ্ধে ভারতে।

    এরকম হিসেব করলে প্রত্যেকটা দেশের মানুষ ক্লোসেট রেপিস্ট, যুদ্ধবাজ, দাংগাবাজ। কারণ প্রতিটা নির্বাচিত সরকারের ভুল্ভাল কাজ আছে। ইন্ডিয়ার জনগণ সম্ভবত ২০০৪ সালের পর ক্লোসেট ঘুষখোর, তাই কংগ্রেসকে গদীতে বসিয়েছে। ২০০৪ এর আগে দাংগাবাজ ছিল।

    একটা জাতি তার সমাজব্যবস্থা, তার অন্তর্নিহিত দ্বন্দ, গণতান্ত্রিক চৌহদ্দীগুলোর সম্ভাবনা/ সীমাবদ্ধতা সব কিছুর সম্পর্কে কি সুন্দর ওয়ান লাইনার! .
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.247.129 | ০৭ জুন ২০১২ ০২:০৯550129
  • ওপরের কথাগুলোর মানে এই নয় যে আম্রিগান সরকার মহান। বরং উল্টোটা। ওদের মত বজ্জাত খুব কম-ই আছে।

    কিন্তু একটা গোতা জাতিকে লেবেলিং করে দেওয়া ইজ জাস্ট আ ফর্ম অফ রেসিজম। .....
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৭ জুন ২০১২ ০২:১৮550130
  • এ নিয়ে আর লিখতে চাই না, শুধু অক্ষ আর সিদ্ধার্থ-কে অনেকগুলো ক দিয়ে গেলাম।
  • pi | 147.187.241.7 | ০৭ জুন ২০১২ ০২:৩১550131
  • সরকারি প্রোপাগাণ্ডার ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর তো বটে। কিন্তু ঘটনা হল, এই যুগেও এই প্রোপাগাণ্ডা লোকে খায় ? খেলে কেন খায় ?

    বা, আগে যেগুলো খেয়েছিল, সেগুলো নিয়ে কী মত ? যখন 'সত্য' টা বহু জায়গায় বহু চর্চিত, প্রচারিত। উপরের হিরোশিমার উদাঃ টা ধরা যাক। বা wmd।

    এখন তারা এই নিয়ে কী জানে আর জেনে থাকলে জানার পর তাদের দেশের সরকারের কৃতকর্ম নিয়ে কী অভিমত ?
    সেজন্যই বারবার হিরোশিমা নিয়ে জানতে চাইছিলাম।
  • aka | 178.26.215.13 | ০৭ জুন ২০১২ ০৩:৩০550133
  • আমেরিকানদের নিয়ে জাপানীদের কি অভিমত? কি দেখে বোঝা যাবে?
  • pi | 147.187.241.7 | ০৭ জুন ২০১২ ০৪:৩৪550134
  • এটা তো আমার প্রশ্নের উত্তর নয়। ঃ)
  • aka | 85.76.118.96 | ০৭ জুন ২০১২ ০৪:৪৭550135
  • আমি তো প্রশ্নের উত্তর দিই নি। প্রশ্ন করেছি।
  • aka | 85.76.118.96 | ০৭ জুন ২০১২ ০৪:৫৪550136
  • ইউনি অফ কলোরাডো বোল্ডারে এসব পড়ানো হয়।

    http://www.colorado.edu/AmStudies/lewis/2010/atomicdec.htm

    - এটা হচ্ছে তার ডকুমেন্টশন যেখানে ইউএস আর্মি জাপানে অ্যাটম বোম্ব ফাটানো কেন জরুরী নয় সেসব বলছে। খুঁজলে আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে বলেই মনে হয়। পার্সেপশন তৈরি হয়ে গেলে অবশ্যা কাটানো খুব মুশকিল।
  • 110 | 132.248.183.1 | ০৭ জুন ২০১২ ১১:৪৩550138
  • সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্তের দায় সাধারণ মানুষের উপর চাপানো যায় না অব্শ্যই। প্রণববাবু অর্থনৈতিক পরিচালনায় ধ্যাড়ানোর ভার অবশ্যই আমার নয়। বিশেষতঃ বিদেশনীতির ক্ষেত্রে। কার্গিলের যুদ্ধ আমার সঙ্গে পরামর্শ করে যখন করা হয় নি সে দায়ও আমার নয়।

    কিন্তু এই যুক্তির মধ্যে কিছুটা নিজেকে প্রবোধ দেওয়ার ব্যাপারও থাকে। স্থান-কাল অনুযায়ী প্রত্যেক সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের একটা অলিখিত সামাজিক ও রাজনৈতিক কন্সেন্সাস থাকে। কোনো বিদেশনীতি সেই কনসেন্সাস এড়াতে পারে না। নব্বই পরবর্তী কালে ভারতে বিদেশনীতি যেভাবে পাল্টিয়েছে, যেভাবে নির্জোট আন্দোলনকে ক্রমে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, তার পিছনে যেমন দ্বিমেরু দুনিয়ার সমাপ্তির প্রভাব আছে, ঠিক তেমনই আছে নব্বই-পরবর্তী হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ও পরিবর্তিত অর্থনৈতিক নীতির প্রভাব। এই দুই ক্ষেত্রেই সংখ্যাগরিষ্টের কন্সেন্সাস ছিল। যেমন কাশ্মীর নিয়ে রয়েছে। ভারতে কোনো সরকারের পক্ষে কাশ্মীরের স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের অধীনে কাশ্মীরের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করাও না-মুমকিন কারণ এই সংখ্যাগরিষ্ঠের কন্সেন্সাসের ভয়। এই ইতিহাসনির্ভর কন্সেন্সাস প্রত্যেক দেশেই কোনো না কোনো আকারে থাকে। যেমন আমেরিকায় ইজরায়েলকে না চটানোর কন্সেন্সাস। বিদেশনীতির এই বিশেষ দৃষ্টিকোণ একেবারে শূন্যগর্ভভাবে কিছু আমলা রাজনীতিক ব্যব্সায়ীরাই তৈরি করেন না, তার ভিত্তিভূমিতে কিছু সামাজিক কনসেন্সাসও থাকে। দায় না বলে কারণ বলাই ভালো হয় তো। আমেরিকার বিদেশনীতির পিছনে তার সামাজিক কনসেন্সাস কোনোভাবে কাজ করে না এটা ভেবে নেওয়া একটু কষ্টকর।

    জেনারাইলেজেশনের প্রশ্নটা একটু বিদঘুটে মনে হয়। ভাবনাচিন্তাকে খোলসা করার জন্য অ্যাবস্ট্রাকশন থাকবেই। নইলে "সমাজ" বলে শব্দটাকেই তুলে দিতে হয়। বা "শ্রেণী"র ধারণাকে। বস্তুতঃ যে কোনো কমন নাউনকেই আমরা জেনারালিজেশন বলে ধরতে পারি। নইলে বোর্হেসের সেই বালকটির মতো হতে হয় যার কাছে "পাতা' বলে কোনো ক্যাটিগরির অস্তিত্ব নেই কারন প্রতিটি পাতাই আলাদা। কাজেই সমস্যা জেনারাইলেজেশনের নয়, সমস্যা স্টিরিওটাইপিঙের। দুইয়ের মধ্যে যে ক্ষীণ বিভাজনরেখা আছে তা কনটেক্সটনির্ভর। হিরোশিমা নাগাসাকিতে বোম ফেলা হবে কিনা অবশ্যই সবাইকে জিজ্ঞাসা করে করা হয় নি, কিন্তু এটাও সত্যি সেই প্রেক্ষাপটে এরকম কিছুও ছিলঃ "During the war "annihilationist and exterminationalist rhetoric" was tolerated at all levels of US society; according to the UK embassy in Washington the Americans regarded the Japanese as "a nameless mass of vermin".Caricatures depicting Japanese as less than human, e.g. monkeys, were common.[118] A 1944 opinion poll that asked what should be done with Japan found that 13% of the US public were in favor of "killing off" all Japanese: men, women, and children.

    News of the atomic bombing was greeted enthusiastically in the US; a poll in Fortune magazine in late 1945 showed a significant minority of Americans wishing that more atomic bombs could have been dropped on Japan."
  • 110 | 132.248.183.1 | ০৭ জুন ২০১২ ১২:০৩550139
  • দেশভাগের ইতিহাসে এইরকম স্বেচ্ছাবিস্মৃতি প্রবল। একধরনের সরল ঐতিহাসিক ধারণা তৈরি হয়েছে- দুষ্টু ইংরেজ, দুষ্টু মুসলমান এবং দুষ্টু কংগ্রেস মিলে দেশভাগ করে দিল। আমরা "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম", কিন্তু "কোথা হইতে কি হইয়া গেল" বুঝতে পারলাম না। লেবাননের উদ্বাস্তুদের নিয়েও নাসিম তালেব এরকম কিছু লিখেছিলেন। এই দায় অস্বীকার করা নিয়েই লিখেছিলামঃ "এই স্মৃতিকথা বা সাক্ষাত্কারে হিন্দু-মুসলমানের ছোঁয়াছুঁয়ির কথা আছে, উচ্চবর্ণ হিন্দু ও নিম্নবর্ণ হিন্দুর বাছবিচারের কথা আছে, কিন্তু জাতিদ্বেষ এবং প্রত্যক্ষ হিংসার কথা আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত৷ 'ধ্বংস ও নির্মাণ' বইটিতে অজস্র সাক্ষাত্কারের মধ্যে স্রেফ একটিতে প্রত্যক্ষ হিংসার সাক্ষ্য পাওয় যায়৷ নইলে প্রায় প্রত্যেক বক্তব্যে সেই একই সুর খেলা করে- এই তো সুখে ছিলাম, কিন্তু কোথা হইতে কি হইয়া গেল৷ অথচ ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ সালের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে "কোথা হইতে কি হয় নাই"৷ ইংরাজ সরকার-মুসলিম লিগ-কংগ্রেসের দুষ্টু লোকের ভাগ-বাঁটোয়ারার চক্রান্ত জনসমর্থনের যথেষ্ট অক্সিজেন পেয়েছিল৷ 'ধ্বংস ও নির্মাণ' বইটিতে যাঁরা সাক্ষাত্কার দিয়েছেন তাঁদের বেশির ভাগ মানুষ আত্মপরিচয়, অর্থাত্ জাত ধর্ম কৌম নিয়ে যথেষ্ট সচেতন৷ আত্মপরিচয়ের এই ব্যক্তিগত ধারণা এবং উচ্চপর্যায়ের রাজনীতিতে কৌমভিত্তিক কূটকচালির এক উভমুখী সম্পর্ক রয়েছে৷ এই উভমুখী রসায়নের নিজস্ব প্রক্রিয়া যখন আমাদের অর্ধ-প্রত্যাশিত ট্রমার সামনে দাঁড় করায়, তখন আমরা ব্যক্তিগত দায় অস্বীকার করি৷ কিন্তু স্মৃতিকে পুরোপুরি অস্বীকার করতে পারি না৷ অতএব স্মৃতিকে নিজের মত করে সাজাই৷ একেই মৈনাক বলেছেন 'সরে সরে কথা বলা'৷ একেই দীপেশবাবু বলেন 'ব্যাখ্যাতীত-এর বোধ' যা ট্রমাকে প্রশমিত করে৷'"

    http://lekhapatra.blogspot.in/2010/08/blog-post.html
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ০৭ জুন ২০১২ ১২:৪৩550140
  • আমার ঠাকুমার কাছ থেকে শোনা। তো তিনিও মারা গেছেন বছর চল্লিশ আগে। তখন আর স্থান কাল পাত্র অতো খুঁটিয়ে প্রশ্ন করি নি। শোনা গল্পোটার বুকে ধাক্কা লাগার অংশটাই মনে আছে, বাকী গুলো খুবই অস্পষ্ট।

    ঠাকুমার গাঁয়ের লোকেরা (সেটা কি ১৯০৫ বা সেই সময়ে ?) ঠিক করলো মুসলমান মারতে হবে, কিন্তু বর্নহিন্দুর গাঁয়ে পাবে কোথায় শিকার ? এক মুসলমান বুড়ো বুড়ী থাকে গাঁয়ের বাইরে - এ ছাড়া কেউ নেই। হাতের কাছে।

    অবশেষে কর্ম নিষ্পন্ন হলো। ঠাকুমার কাছে শোনা - সেই বুড়ী এসে দাওয়ায় হাউ হাউ করে কাঁদে। কাঁদে আর বিলাপ করে। "বুরা তোমাদের কি করসিলো? কি ক্ষতি করসিলো ঐ বুরা? তারে ক্যান মারলা তোমরা কোপাইয়া?" বুড়ী না কি বারন করেছিলো, বাবুদের উদ্দেশ্য ভালো না। রাতের বেলায় ডাকতে এসেছে"যাইও না, ঘরের বাইরে যাইও না।"বুড়ো কথা শোনে নি।

    ইতিহাসে বা মিথকথায় এসব গল্প গাঁথা থাকে। ঠাকুমা ফিস ফিস করে বলছে আমায়। আমি কি জানতেও চেয়েছিলাম কারা কারা ছিলো সেই শিকারীর দলে?
  • cb | 202.193.160.10 | ০৭ জুন ২০১২ ১৩:৩৭550141
  • :(
  • 110 | 132.248.183.1 | ০৭ জুন ২০১২ ১৪:০৮550142
  • ইতিহাসের দায় স্বীকার করার সবথেকে বড়ো উদাহরণ মনে হয় যুদ্ধোত্তর জার্মানি। কোনো এক খবরের কাগজে বেরিয়েছিল যে গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে পর্যন্ত জার্মান সমর্থকরা খুব জোরালোভাবে জাতীয়তাবাদী সেন্টিমেন্ট প্রকাশ্যে প্রচার করতে সংকোচবোধ করতেন। অথবা গুন্টার গ্রাস ২০০৪ সালে প্রকাশ করেন যে তিনি কৈশোরে ওয়াফেন-এস এসের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। যখনই নিজেকে আরও একটি বৃহত্তর জাতিকৌমের অংশ হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করি, তখনই প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে সেই কৌমের গৌরব ও লজ্জার ভাগীদার হতে হয়, ব্যক্তি হিসেবে যাই মতামত থাকুক না কেন। এই দায় কোনো হিসেব-কষে বের করা আইনী দায় নয়, নিজের হাতে সরাসরি রক্ত মাখার দায় নয়। এই দায় ইতিহাসের দায় যে ইতিহাস আমাদের পূর্বপ্রজন্মের তৈরি করা ইতিহাস। এই দায় বর্তমানের দায় কারণ সেই ইতিহাসের ধারাকে বর্তমানে আমরাই বহন করি।

    দায় স্বীকার করার মধ্যেই শুশ্রুষার সংকেত লুকিয়ে থাকে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি রোধের বিশল্যকরণীর খোঁজ করতে গেলেও দায়স্বীকারের অলিখিত সামাজিক চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে নিজের স্বাক্ষরের প্রয়োজন। নিজেদের ইতিহাসের যাবতীয় নষ্টামি থেকে হাত ধুয়ে ফেললে ব্যক্তিমানুষ নিজেকে হয় তো ভুলিয়ে রাখতে পারে, কিন্তু বারবার একই দুর্যোগ থেকে নিজেদের সমাজকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না। এই ভুলে-থাকা-ভুলে-যাওয়ার মধ্যেই আগামীর বিপর্যয় তৈরি হতে থাকে। নন্দীগ্রামে কোনোদিন যাইও নি, নন্দীগ্রামের কাউকে চিনিও না, সরকার আমার কথা মেনে নন্দীগ্রামে গুলি চালায় নি বরং চোদ্দোই নভেম্বরের মিছিলে হেঁটেও এসেছি- কিন্তু যদি ভুলে যাই যে আমার সমাজে আমার এবং আমারই বন্ধু আত্মীয় পরিজনদের সামাজিক আচরণে বঙ্গসমাজে পার্টিপরিচয় জাতপাতকে দূরে ঠেলে এথনিসিটির একটা মৌলিক চিহ্ন হয়ে উঠেছে, তাহলে আরও হাজার নন্দীগ্রাম বন্ধ করা সম্ভব নয় এবং সম্ভব হচ্ছেও না। এটাই দায় স্বীকার- সমাজ হিসেবে নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করানোর ন্যূনতম সাহসটুকু।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ০৭ জুন ২০১২ ১৪:৫১550144
  • একশোদোষ ঠিকই বল্লেন। দায় স্বীকার করার মধ্যেই শুষ্রুষার সংকেত থাকে। রাইট।

    কিন্তু দুই দেশের যুদ্ধ শেষ হলেই অনেকানেক শত্রুতা রাতারাতি বিলোপ পায়। বিশেষত; বিগত শত্রু ভ্জনায় যদি আখেরে লাভ থাকে।
    যুদ্ধের পরের জার্মানী বা জাপানে বা ভিয়েতনামে সেই আমেরিকান বিদ্বেষ আর ছিলো না। ভারতবর্ষেও ব্রিটীশদের প্রতি জাত ক্রোধ নিমেষে হাওয়া হোলো।

    কিন্তু হিন্দু/মুস্লিম, সিয়া/সুন্নি,অ্যান্টি সেমেটিসম - এ গুলো ধিকি ধিকি চলতেই থাকে। কখনো সংঘর্ষও হয়। কেনো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন