এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিপদে মোরে রক্ষা কর ....... মানে 'আত্মরক্ষা'

    কেলো
    অন্যান্য | ১২ আগস্ট ২০১২ | ১১৯৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | 24.99.245.40 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০০:২৫571027
  • জগৎ কারনহীন কিনা সে বিশাল তক্কো । নর্মালি হাশ খেয়ে করতে ভালো লাগে । আপাতত এটুকুই বলতে পারি যে : যে কারন গুলো অবদমনের জন্ম দেয় তার চেয়ে যে কারনগুলো পারম্পর্যজনিত রিলিফ নিয়ে আসে তাদেরকেই চুস করা বেটার ।
  • aka | 178.26.215.13 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০০:৩২571028
  • মিথ্যে কথা বলা খারাপ বলাই উচিত নয়। বলা উচিত মিথ্যে কথা বলবে না। বাউন্ডারি সেট করে দেওয়া।
  • tatin | 127.197.66.60 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০০:৩৪571030
  • মিথ্যে কথা এমনভাবে বলবে, যেন সত্যির মতন লাগে-
    কার্যকারণ, ঘটনাপরম্পরা সব ঠিকঠিক সাজিয়ে।
    বললে ধরা পড়ে গেলে বাম্বু খাবে এই চাপ নিয়ে বলবে
  • tatin | 127.197.66.60 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০০:৩৪571029
  • মিথ্যে কথা এমনভাবে বলবে, যেন সত্যির মতন লাগে-
    কার্যকারণ, ঘটনাপরম্পরা সব ঠিকঠিক সাজিয়ে।
    বললে ধরা পড়ে গেলে বাম্বু খাবে এই চাপ নিয়ে বলবে
  • একক | 24.99.245.40 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০০:৩৭571031
  • আকা বাবু বোধ হয় খেলা ভাঙ্গার খেলা গান টা খুব শোনেন :)
  • কেলো | 116.209.207.162 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০০:৫৫571032
  • সতর্কীকরন – এইটে ব্যাংদি না পড়লেই ভাল।

    প্রায় বছরখানেক হল, আমার এক বন্ধু তার মেয়েকে কলকাতার এক নামকরা গার্লস স্কুলে ভর্তি করেছে।
    কিছুদিন আগে স্কুল থেকে বাবা মা কে ডাকে। তাঁদেরকে জানানো হয় যে তাঁদের মেয়ে চাইল্ড অ্যাবিউজের শিকার।, এবং ভুতটা সর্ষের মধ্যেই। বাড়িতে বন্ধুরা স্বামী স্ত্রী ছাড়া বন্ধুর মা বাবা থাকেন। স্কুল স্পষ্ট করে এটাও জানিয়ে দেয় যে ভুতটা কে। আমার বন্ধুর স্ত্রী কে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে থাকতে স্কুল উপদেশ দেয়। তারপর কি হল শুনুন …

    বন্ধুর রিয়্যাকশন-
    আমরা সবাই তো ওভাবেই বড় হয়েছি। আমার মেয়েটাকে মার্ক করে স্কুলে কিভাবে হ্যারাস করছে তোকে কি বলব! সারাক্ষন প্রতিটি জিনিস নিয়ে ওকে প্রশ্ন করছে। অতটুকু মেয়ে ও কি ঠিকঠাক জবাব দিতে পারে? প্রিন্সিপাল শুদ্ধ পাঁচজন টীচার মেয়েটাকে অতক্ষন সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে আমাদেরকে বোঝালো। বলল যে হয় আপনি বা আপনার স্ত্রী র একজনকে চাকরী ছাড়তে হবে, নয়ত পরিবার ভেঙ্গে স্বামী স্ত্রী মেয়ে নিয়ে আলাদা থাকতে হবে। চাকরী ছাড়া কি চারটিখানি কথা নাকি। ভাবতে পারিস, ওদের প্রিন্সিপাল আমাদের কোম্পানীর নামই শোনে নি। (কোম্পানীটি একটি শতবর্ষের পুরোনো বিশ্ববিখ্যাত এমেনসি)

    বন্ধুর স্ত্রীর রিয়্যাকশন-
    জানো দাদা, স্কুল আমাকে ফোর্স করছে চাকরী ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আমি চাকরী করছি সেটা যেন ওদের পছন্দ হচ্ছে না। শুধু মেয়ের ভালমন্দ নিয়ে বলত, তাহলে বুঝতাম। কিন্তু এ তো আমাদের প্রাইভেট লাইফে হস্তক্ষেপ হয়ে যাচ্ছে।

    ভুতের রিয়্যাকশন -
    আরো দাও ওইসব খ্রীষ্টান স্কুলে। তখনই বারন করেছিলাম। আমাদের কালচার ওরা কি বুঝবে। ছি ছি, কি জঘন্য ভাবনাচিন্তা বলতো। এসব কথা বলতে সাহস পায় কি করে স্কুল? এখুনি ছাড়িয়ে এনে অন্য ভাল স্কুলে ভর্তি করে দাও, নয়ত সারা জীবন ভুগতে হবে এরকম একটার পর একটা সমস্যা নিয়ে। মাঝখান থেকে ওর পড়াশোনা কিছুই হবে না।

    সংসারের সর্বময় কর্তার কথাটিই শেষ পর্যন্ত থেকেছে। স্কুলটা পাল্টে মেয়েটিকে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে যেখানে বন্ধুর অন্য এক আত্মীয়া শিক্ষিকা। ফলে সেই স্কুল থেকে আর এরকম অভিযোগ ওঠার সম্ভাবনাই নেই।

    আমি ভেবে দেখলাম -
    ১) স্কুল ভুল করতে পারে তাদের অ্যানালিসিসে বা ডায়গনোসিসে। কিন্তু স্কুল 'চেষ্টা' করেছে বলেই 'ভুল' হয়েছে। কাজই না করলে 'ভুল'ও হয় না। আমার দেখা অন্য কোন স্কুল এখন অব্ধি এমন কাজ করে নি। এটা আনএক্সপেক্টেড। সেটা ঠিক ভুল যাই হোক।
    ২) বন্ধুর বা তার স্ত্রীর ওপর তো স্কুলের কোন রাগ নেই, সম্ভবত ব্যক্তিগতভাবে কেউ তাঁদের চেনেন ও না। ফলে তাঁদের পারিবারিক অশান্তি ডেকে আনা স্কুলের কাম্য হতে পারে না। বিশেষতঃ স্কুলটি যখন নামকরা স্কুল।
    ৩) মূল অভিযোগের দিকে কারো লক্ষ্যই নেই। সেটা যেন সম্পূর্ন অবাস্তব একটা ব্যাপার। সেরকম ভাবাটাই যেন অন্যায়। (সে অভিযোগ সত্যি হলে কি হতে পারে সেকথা তো আমিও তুলতে সাহস করলাম না)।
    ৪) স্কুল পাল্টে পরিচিত জন থাকা স্কুলে দিয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ ওঠার রাস্তা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হল।
    সব জেনেশুনেও আমি কিছুই করলাম না। এক্কেবারে কিছুই করলাম না, কিছুই বললাম না। এটুকুই আমার 'করা'।

    কিছু বলতে গেলে কি বলতাম? এটাই তো বলতাম, যে 'স্কুলের অভিযোগ যদি কিছুটাও সত্যি হয় তবে কি হবে?' একথা বললে ওই পরিবারটির, স্কুলের মত আমাকেও বাতিল করতে মূহূর্তমাত্র লাগত না। সবাই জানে শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল, চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা। স্কুলের এহেন গর্হিত অপরাধের হয়ে যে ওকালতি করছে তারও মতিগতি ভাল হবার কথা নয়। আর আমি যদি একেবারে স্কুলের পথে না হেঁটে সামান্য মোলায়েম করেও বোঝানোর চেষ্টা করতাম তাও কাজ হত না। একজন বাউন্ডুলে ভবঘুরে সংসারহীন লোকের উপদেশ নিয়ে কেউ সংসার চালায় না। ওদের দোষ দিতে পারি না। আমাকে যে বন্ধু হিসেবে এটুকু জানিয়েছে তাতেই আমি কৃতজ্ঞ। যদি বন্ধুত্বটুকু টিকে থাকে তবে পরে কোনদিন সুযোগ পেতেও পারি কিছু করার। বন্ধুত্বটুকুও মুড়িয়ে গেলে সে আশাও আর থাকবে না।
    আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যে সব দিক দিয়েই সবচেয়ে সফল, তাকেও ও এই ঘটনা জানিয়েছিল, উপদেশও চেয়েছিল। (আমার কাছে অবশ্য উপদেশের আশা করে নি)। ওই 'পারিবারিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপে'র থিওরিটি সেই কৃতী বন্ধুরই দেওয়া।

    ভিবিদি কি চমত্কার ডাটা মাইনিং করে আমার হিস্ট্রি বের করে ফেল্লেন। কিন্তু আমি রিভার্স মাইনিং করে দেখলাম ভিবিদি আর আমার একজন কমন ফ্রেন্ড আছেন। ভিবিদিকে অনুরোধ করব, তিনি যদি তাঁর পরিচিত কারো সঙ্গে উপরোক্ত ঘটনার কিছুমাত্র মিল পেয়ে থাকেন, তবে যেন দয়া করে সেই স্পটে আর বেশি মাইনিং - মানে খোঁড়াখুঁড়ি না করেন। হিতে বিপরীত হতে পারে তো! তবে হাল্কা প্রসপেক্টিং চলতে পারে...
  • VB | 161.141.84.239 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০২:১৩571033
  • নিশ্চিন্ত থাকুন কেলো, আপনার বলা ঘটনা ইত্যাদির সঙ্গে আমার কোনোরকম কোনো পরিচিতের বা পরিচিতের পরিচিতের কোনো মিল নেই।
    আপনার বলা কমন ফ্রেন্ড কেও চিনতে পারলাম না এক যদি না চ্যবন মুনি হন যিনি কিনা জলে ডুবে এত দীর্ঘদিন থাকতেন যে ছোটো ছোটো গোল গোল শামুকেরা তাঁর গায়ে ডুমুরের মতন হয়ে বসে থাকতো। সারা গায়ে শ্যাওলা ভর্তি হয়ে গেছিলো। জেলেরা অজস্র মাছের সঙ্গে একদিন জালে তাঁকেও তুলে ফেলে জিভ কেটে একশা, "ঠাকুরমশায় আমাদের মাফ করুন, আপনার এক্সপেরিমেন্টে ঝামেলা করে ফেলেছি।" ঃ-) ভদ্রলোক নির্ঘাৎ যোগবলে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ রেখেই বাঁচতেন!!!
    তিনি আমার ফ্রেন্ড নন এই যুক্তি দিতে পারেন বটে, তবে সেকালে হয়তো বা ফ্রেন্ডই ছিলেন, হতে পারে না? ঃ-)
    আগে আপনার স্কুবা ডুবুরির ব্যাপারটা ছিলো একটা গেস মাত্র, ত্রুটি হয়ে থাকলে মাফ চাইছি।
    আলাবিদা। ভালো থাকবেন।
  • কেলো | 233.176.232.36 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০২:৩৬571034
  • না না .. আপনার মাইনিং ঠিকই ছিল।
    গন্ডগোল হয়েছে আমার ওই রিভার্স মাইনিং এ।
    তার মানে VB আর M এক লোক নন। :(
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০২:৫৭571035
  • কেলো, ঐ ভূত যার বাবা বা মা, তাকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে - যেমন আপনার বন্ধুর বাবা/মা হলে বন্ধুর স্ত্রী-কে আলাদা করে বলে দেখতে পারেন।
    মানে একটু কৌশলে চেষ্টা করতে বলছি আর কি, যদি সম্ভব হয় কখনো।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩৫571037
  • কেলো, আপনার বর্ণিত ঘটনায় অনেকগুলো অ্যাঙ্গেল দেখা যাচ্ছে, বাইরের লোকের পক্ষে যতটুকু দেখা যাচ্ছে, তাতে অনেকগুলো ব্যাপার জড়িয়েও যাচ্ছে ।

    ১। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাচ্চা মেয়েটি কত বড়?
    ২। এই নামকরা স্কুলে পড়ার আগে সে অন্য কোথাও পড়তো কিনা
    ৩। বাচ্চাটির বাড়ীতে "ভুত" কতদিন থেকে আছে?
    ৪। বাচ্চাটির বাবা দেখা গেছে তার কোম্পানীর নাম প্রিন্সিপালের জানা ও না জানা র ব্যাপারে যতটা উদ্বিঘ্ন মেয়ের কী হোলো না হোলো সেই নিয়ে তত টা নয়। এটা ঘটনার অব্জার্ভেশন থেকে, আসলে কী হতে পারে সেই তর্কে যাচ্ছি না।
    ৫। স্কুল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এটা নজর করলেন? বাচ্চা মেয়েটির আচরণ বা কথাবার্তা বা অন্য কোনোভাবে?
    ৬। স্কুল এই ব্যাপারে ইন্ভেস্টিগেশন চালাবার জন্য যখন প্যারেন্টস ডেকে মীটিং এ বসলেন তখনো কিন্তু বাচ্চা মেয়েটির নিজের মতটা কী বা সে কী বলতে চায়, সেটা স্পষ্ট হলো না। বাবা মায়ের মধ্যে একজনের চাকরি ছেড়ে দেওয়া তো একটা সমাধান নাও হতে পারে! হয়তো চাকরি করা দুইজনেরই দরকার!
    ৭। মা ভদ্রমহিলা ও দেখা গেছে চাকরির ব্যাপারে যেভাবে বলছেন, মেয়ের ব্যাপারে সেরকম না।
    ৮। মেয়েটির নিজের বক্তব্য কী? হাওয়া থেকে তো এরকম একটা গুরুতর ব্যাপার স্কুল কর্তৃপক্ষের মতন একটা ইন্ডিফারেন্ট থার্ড পার্টির নজরে আসে না! বিশেষ করে তাদের যখন কিছু আসবে যাবে না, এক স্টুডেন্ট গেলে দশটা আবেদন পড়বে।
    ৯। এই পুরো ব্যাপারে "ভুত"এর ভুতনী বা ভাইসি ভার্সার বক্তব্য কী? তিনিও ভুতের সহযোগী নাকি তার বক্তব্য অন্য?
    ১০। সবচেয়ে বড় পয়েন্ট, বাচ্চা মেয়েটির নিজের বক্তব্য। সে নিজে কী বলতে চায়?
  • kd | 69.93.197.95 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৪:০৭571038
  • অদ্ভুত! এখানে বাচ্চা মানুষ কি করে করতে হয় বলে যাঁরা লম্বা লম্বা লেকচার ঝাড়ছেন, তাঁরা নিজেরা নিজেদের কটা বাচ্চা "মানুষ" করেছেন? যদ্দুর জানি তাঁরা নিজেরা এখনও সে রাস্তায় হাঁটেননি বা এখনও শিশুপালনের স্টেজেই আছেন।

    তাই বলি, আপনাদের এই থিয়োরিগুলো নিজের সন্তানের ওপরই চেস্টা করুন না, তারপর নাহয় আপনাদের "সাকসেস" স্টোরি অন্য "বাজে" বাপমায়ের মুখে তুলে ধরবেন। তার আগে এইসব বড় বড় কথা নাই বা বললেন।

    অবিস্যি বাঙালী তো, যে যত কম জানে, সে তত বেশী তড়পায়।
  • kd | 69.93.197.95 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৪:২৮571039
  • আমার পোস্টটি কেলোর পোস্টের আগে লেখা।

    কেলোর সিচুয়েশনের কাছাকাছি আমিও পড়েছি। তবে আমি হাল ছেড়ে দিইনি - রেজাল্ট ভালো হয়নি - আমাকেও ওরা নির্বাসনে পাঠিয়েছে (আমেরিকায় থেকে আমি নাকি সকলকেই লম্পট ভাবতে শুরু করেছি, ইত্যাদি, ইত্যাদি)।

    আমি কল্পনা করতে পারিনা আমারই মত একজন কিকরে এত নীচে নামতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, বাচ্চারা গায়ে হাত দেওয়া একেবারেই পছন্দ করে না। আমাকে বাচ্ছারা খুব ভালোবাসে, মনে হয় আমি কোনদিন ওদের "হাগ" করার চেষ্টা করিনা তাই (আমার আদরের লিমিট ওদের মাথার চুল ঘেঁটে দেওয়া অব্দি) আর ওদের ভাষায় ওদের সঙ্গে কথা বলা ("গুরুজন" না হওয়া)।
  • 4z | 109.227.143.99 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৫:০২571040
  • কেলোদা,

    আপনার লেখা পড়ে প্রথমেই যে প্রশ্নগুলো মাথায় আসে সেগুলো ভিবিদি মোটামুটি সবই লিখে দিয়েছে। অবাক লাগছে এত কিছুর মধ্যে বাচ্ছাটির নিজের বক্তব্য শোনাই যাচ্ছে না। আর বাবা-মার অ্যাটিচুড যতটা বিরক্তিকর ততটাই বাজে। যখন আজ চারদিকে চাইল্ড অ্যাবিউজ নিয়ে এত কথা হচ্ছে সেখানে তারা কিভাবে কেসটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না? এটা খুবই অদ্ভুত লাগছে।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৫:০৫571041
  • কেডি, ব্যক্তিগতভাবে আমারো মনে হয় বেশীরভাগ বাচ্চা গাল টিপে দেওয়া চুমো খাওয়া ঘুঞ্চুমুঞ্চু করা একেবারেই পছন্দ করে না, এইসব আদর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আমাদের কালচার এ এত স্বাভাবিক যে কেউ কিছু মনে করে না। কিন্তু বাচ্চাদের পক্ষে এমন বালাই আর নেই। সত্যি কথা বলতে কি ওরা নিজেরা নিজেরা নিজেদের স্পিরিটে দৌড়ে দৌড়ে খেলতে পছন্দ করে বা ঘরবাড়ী বানিয়ে পুতুল নিয়ে খেলতে পছন্দ করে, বড়দের আদরের তোয়াক্কা করে না। বেশীরভাগ।
    এদিকে মেরা ভারত মহান শিশুদের নিজস্ব অধিকার আর স্পেস দেওয়ার কথা তো মনে হয় ভাবতেই পারে না, যেখানে এখনো কিনা বড়সড় সব দিগহস্তীদের কাউকে কাউকে পর্যন্ত বলতে শুনি পিটিয়ে পুটিয়ে ছাড়া ছেলেপিলে মানুষ হয় না।
    এরা বোঝেন না, একজন নন-অ্যাডাল্ট উপার্জন-অক্ষম ব্যক্তির উপরে যেটাই বড়রা করুন না কেন সেটা এমনিতেই করছেন উচ্চভূমি থেকে নিচের ভূমিতে থাকা কারুর উপরে। তাই অধিক সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ইন্টেনশন যাই হোক না কেন, সেটা অনেক সময়ই চাপানো ব্যাপার হয়ে যেতে পারে।

    অবশ্য সমানে সমানে ভাবনাটা কোন স্তরেই বা আছে? এই যে বাসে ট্রেনে মেয়েদের উপরে অসভ্যতা, এটাকেও তো কোনোদিন সমান ফুটিং এ থাকা সহ নাগরিকের উপরে অপরাধ হিসাবে দেখানো হয় না, দেখাও হয় না, এটা রক্ষণযোগ্য বস্তুর উপরে ভুল ব্যবহার হিসাবে দেখানো হয়, এই দেখার চোখ না বদলালে এসব বদলানো খুব কঠিন।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৫:১৩571042
  • আরেকটা ব্যাপার থ্রেডে লক্ষ করা গেলো পুরুষরা এইরকম সব অ্যাবিউজের শিকার হয়েছে সেটা বলতে বারণ করা হচ্ছে। এই মানসিকতা আসে ভিক্টিমকেই ভিক্টিমাইজ করার মানসিকতা থেকে। যেন অত্যাচারিত ব্যক্তি ই অপরাধী, সেই চুপ করে থাকতে বাধ্য, অত্যাচারকারী কলার তুলে ঘুরছে। সমাজেও এরকম দেখা যায় রেপ কেসে, যেন ভিক্টিমই অপরাধী, তারই লুকিয়ে থাকতে হবে। ক্রিমিনাল গলা বাগিয়ে ঘুরবে।

    অর্থাৎ এইসব অ্যাবিউজে ভিক্টিমকে দেখা হয় লুজার হিসাবে আর ক্রিমিনালকে উইনার হিসাবে। সমাজের এই অবস্থা। এই এখানেই দেখা গেল দুইজন ছেলেকে নানা ব্যাপার চেপে যেতে বলা হলো পাছে পুরুষরা একদিন ভালনারেবল ছিলো, লুজার হবার মতন অবস্থায় ছিলো সেটা ধরা পড়ে যায়।

    কী টেরিবল সমাজব্যব্স্থা!!!!!
  • ব্যাং | 132.178.209.151 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৮:২৫571043
  • কেন কেলো? ব্যাংদি এটা না পড়লেই ভালো কেন? এ ঘটনা তো ব্যাংদির ছোটবেলা থেকেই খুব চেনা। ব্যাংদির একটুও ব্লাডপ্রেশার বাড়ল না, ব্যাংদি একটুও আশ্চর্য্য হল না।
    শুধু এইটুকুই বলব যে আপনার বন্ধুর মেয়েটি দুর্ভাগা, বাবা-মাকে কোনোদিনও ভরসা করতে পারার, তাদের উপর বিশ্বাস রাখার মত সৌভাগ্য তার হবে না।
    নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ছোটরা এইসব ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে চায় বাবা-মার উপর। কিন্তু সেখান থেকেও সাপোর্ট না পেলে ছোট মানুষটিকে "তুমি যা ভাবছ, তা নয়" বোঝানোর চেষ্টা হলে ছোট মানুষটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা হয়।
    আমার মামারবাড়ির পাড়ায় এক প্রফেসরদাদু থাকতেন। মামারবাড়ি গেলেই তাঁর বাড়িতে আমাকে যেতেই হবে। মায়ের কড়া নির্দেশ। কেন? না, ঐ দাদু, ঐ দিদিমা, ঐ মামা, ঐ মামী সব্বাই আমাকে খুব ভালোবাসেন, আমি কোলকাতায় থাকলেও ওনারা রোজ আমার কথা বলেন, গরমের ছুটিতে, পুজোর ছুটিতে দুইদিন মামারবাড়ি যেতে দেরি হলে, আমি কবে আসব সেই খোঁজ নেন আমার নিজের দিদার কাছে। আর আমার ময়ের মনে আশা ছিল অমন দিগ্গজ প্রফেসর দাদুর কাছে রোজ গেলে আমি অঙ্কে ভালো হয়ে যাব। ক্লাস ওয়ানে যখন পড়ি তখন প্রথম সেই হাতটা এগিয়ে আসে। কিচ্ছু বুঝতে পারি না, এরকম অদ্ভুত আচরণের কারণ কি! তারপর থেকে ঐ দাদুকে দেখলেই পালানোর চেষ্টা করি। ওটা যে বাড়ি এসে মাকে, দিদাকে, মাসিদেরকে বলতে হয় সেই বোধটুকুই তখন আমার মাথায় আসে নি। ক্লাস টু-থ্রী নাগাদ একদম বেঁকে বসি কিছুতেই ঐ বাড়িতে যাব না। আর আমার মা আমাকে পাঠাবেই। মায়ের সাথে পেরে উঠব, সাধ্যি কি আমার! আমার ক্লাস ফোরে পড়ার সময়ের একটা ছবি আছে, আমি মুখ গোঁজ করে রাগ রাগ মুখে দাঁড়িয়ে আছি, আমার পাশে আমার নিজের দাদুভাই আমার ভাইকে কোলে নিয়ে। আমার রাগে-বিরক্তিতে ভরা মুখটার কারণ হচ্ছে, মা আবার আমাকে বলেছে ঐ বাড়িতে যেতে। এবং আমিও "যাব না, ইচ্ছে করছে না। আমার নিজের দাদুভাইয়ের সাথে খেলব" বলেও মায়ের হাত থেকে রেহাই পাই নি। ঐ ফটোটা আজও দেখলে অবাক হই, একটু পরেই যে আমাকে ঐ বাড়িতে যেতে হবে, হবেই; সেই রাগ, ক্ষোভ, অসহায়তা সব আমার মুখে ফুটে বেরোচ্ছে। অথচ, আমার মা, যার কিনা সব্বার আগে বোঝা উচিৎ ছিল, তার চোখে কিছুইই ধরা পড়ল না! তারপর একদিন মাকে সব খুলে বললাম, দিদাকেও। মা বলল "বড় বেশি পাকা হয়ে গেছ বাজে বন্ধুদের সাথে মিশে।" দিদা অবিশ্যি আমার কথা বিশ্বাস করেছিল, দিদা তারপর অনেকের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, ভদ্রলোকের সত্যিই ওরকম স্বভাব ছিল, শুধুমাত্র অবোধ শিশুদের দিকেই হাত বাড়াতেন।
    তো আজ আরেকটি ক্লাস ফোরে পড়া বাচ্চার মা হয়ে আমার সেই দাদুকে নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। কিন্তু নিজের মা যে আমার কথায় গুরুত্ব দেয় নি, আমাকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করে নি, মায়ের উপর সেই বিতৃষ্ণা আজও যায় নি। যাবেও না।
    আপনার বন্ধুর মেয়েটির মা-কে কথাগুলো বলে দেখতে পারেন।
  • | 75.255.37.153 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫০571044
  • কিন্তু যখন বাচ্চাটি ভাবতে শুরু করে এটাই স্বাভাবিক, এডিক্টেড হয়ে পরে বিশেষ আদরে তখন?
    একটা 12-13 বছরের মেয়ে(জয়েণ্ট ফ্যামিলি, বাড়ির একমাত্র মেয়ে) কাকা জেঠা দের বিশেষ আদরকে খেলা(তাতিন বাবুর ভাষায়) ভেবে নিয়েছিল!
    বাইরের লোক হলেও কিছু কিছু আমার চোখে পড়েছিল| মেয়েটাকে বোঝানোর চেষ্টা করাতে উত্তর : আমাদের বাড়িতে বড়রা এভাবেই আদর করে, এতে খারাপ কী আছে!!
    (ব্যাপারটা এখানেই থামেনি, মেয়েটি তার মাকে কথাগুলো বলায় তার মায়ের কাছ থেকে ঝাড় খেতে হয়েছিল| সে বাড়ির সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়)
    সে সময় মলেস্ট,এবিউজ্ড এসব শব্দ বাজারে ছড়ায়নি|
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১১:৩৩571046
  • মেয়েটির মা /বাবা সবচেয়ে বড় দোষী।
    খ্রীষ্টান স্কুল-এই মন্তব্যটি থেকেই মানসিকতা বোঝা যায়।
    মাকে চাকরী ছাড়িয়ে স্কুল কত্তৃর্পক্ষের লাভ কী?আর স্কুলে এত মেয়ে থাকতে এই মেয়েটির বিষয়েই বা স্কুল এমন বলবে কেন?
    কেলো নিশ্চয়ই পরিস্থিতি বুঝে মা/বাবাকে সচেতন করার চেষ্টা করবেন।
  • কেলো | 116.199.98.139 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১১:৩৫571048
  • @অরন্যদা Date:25 Aug 2012 -- 02:57 AM
    বন্ধুর বা বন্ধুর স্ত্রী কে আলাদা করে পরে বোঝানোর সুযোগটুকু পাবার জন্যই তো তখন ঠোঁট টিপে বসে রইলাম। টুঁ শব্দটি করলাম না। আলপটকা কিছু বলে ফেলে যদি নিজেই রেডকার্ড দেখে ফেলি তবে অদূর ভবিষ্যতে আর খেলার সুযোগটুকুই পাব না। দেখুন লিখেছিও সেকথা। তবে বন্ধুকে বা বন্ধুর স্ত্রী কে কোন কিছু বোঝানোর আগে আমার নিজেকেও অনেক কিছু বুঝতে হবে। প্রথমত বুঝতে হবে যে আমার বন্ধুরা যে অ্যাঙ্গেল থেকে দেখছেন সেটার সারবত্তা কতটা।
    হঠাত করে এই থ্রেডের প্রথম পাতায় আমারই দেওয়া Date:13 Aug 2012 -- 08:39 AM এর পোস্টের লিঙ্কটি ওকে দেখিয়ে কোন কিছু এস্টাবলিশ করতে গেলে কোন কাজ হত না। পরিস্থিতি আসলে কি সেটাও তো যাচাই করা দরকার।
    (উল্টে দেখার দরকার নেই, লিঙ্কটা আবার দিয়ে রাখলাম) http://en.wikipedia.org/wiki/Fritzl_case

    @ ভিবিদি, Date:25 Aug 2012 -- 03:35 AM
    আপনার তোলা প্রশ্নগুলো সবার মনেই জাগার কথা। আমারও জেগেছে। তবে সবগুলোর উত্তর এখনও আমি ঠিকঠাক জানি না। উত্তরগুলো দেবার আগে কি পরিস্থিতিতে কেমনভাবে ঘটনা জানলাম সেটা বলা দরকার, তাহলেই বুঝবেন যে কেন আমি সবকিছু এখনও জানি না।
    ভেবে দেখুন, এরকম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়লে কেউই আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব কাউকে প্রকৃত ঘটনার কথা বলতে চাইবে না। তবে একটি অমোঘ প্রশ্ন এড়াতেও পারবে না - “এত ভাল স্কুলে চান্স পেয়েছিল, সেখান থেকে ছাড়িয়ে হঠাত্ এই স্কুলে দিলি কেন?” আমি তাদেরকে সে প্রশ্নও করি নি। কারন জানতামই না যে বাচ্চাটা স্কুল পাল্টেছে। আমার বত্রিশ বছরের বন্ধুর আমাকেই কিছু জানানো হয় নি বলে মন খচখচ করেছে। বত্রিশ বছরের পুরোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু অন্য কারো মুখ থেকে ঘটনা শুনুক এটা ওরা চায় নি। তাই অসংলগ্ন খাপছাড়া ভাবে স্বামী স্ত্রী আমাকে হঠাত্ করে কিছু কথা বলেছিল। তাতে ভুতের উল্লেখমাত্র ছিল না, অথচ ওই চাকরীর ব্যাপারটা দৃষ্টিকটূভাবে ছিল। চাইল্ড অ্যবিউজের কথা হাল্কা করে ছিল, কিন্তু সেটা পুরোপুরি স্কুলের ধৃষ্টতা হিসেবে প্রোজেক্টেড হয়েছিল। আমার সাঁতারের অভিজ্ঞতা আমাকে বলে জলের নিচে কি আছে এবং জল কতটা গভীর সেটা না জেনে ডাইভ না মারতে। তাই সেদিন ঘোলাজলে ঝাঁপিয়ে পড়ি নি। চুপটি করে ওরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যা বলছেন তাই শুনছিলাম, আর মনে মনে ইনফর্মেশন সাজাচ্ছিলাম নিজের মত করে।
    আগেই দেখুন বলেছি এই ঘটনা আমার আগেই আমাদের তৃতীয় এক বন্ধুকে ওরা বলেছিল। তাকে অজুহাত হিসেবে বলে নি। সম্পূর্ন ঘটনা খুলে বলে তার মতামত চেয়েছিল করনীয় বিষয়ে। সেই তৃতীয় বন্ধুটি আমার আরও পুরোনো বন্ধু (৩৬+) । এই টই খোলার ঠিক আগেই তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তার কাছ থেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আমি ঘটনার আরও ডিটেলস এবং ভুতের পরিচয় জানতে পারি। ঘটনার গভীরতাও বুঝতে পারি। আমি তাকে বারে বারে জিজ্ঞেস করেছিলাম ভুতের পরিচয়টা সে ওদের কাছে শুনে বলছে, নাকি নিজের মত করে অ্যানালাইজ করে বলছে। সে জবাব দিল ওদের কাছে শুনে বলছে, এবং স্কুলই ওদেরকে ভুতের পরিচয়টা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে।
    তৃতীয় বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তার পরে আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা কিছুটা ক্লীয়ার হয়। অসংলগ্ন ব্যাপারগুলো খাঁজে খাঁজে বসে যায়।
    এবার এই অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার প্রশ্নগুলোর জবাব দিচ্ছি -

    ১। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাচ্চা মেয়েটি কত বড়?
    উঃ - মেয়েটি ব্যাংদি র Date:25 Aug 2012 -- 08:25 AM পোস্টে বলা অবোধ শিশু। বছরখানেক হল স্কুলে ঢুকেছে। বয়স ৫+

    ২। এই নামকরা স্কুলে পড়ার আগে সে অন্য কোথাও পড়তো কিনা
    উঃ - নাঃ। শুধু বাড়িতেই পড়াশোনা করত। অন্য কোথাও যেত না। প্রিপারেটরী বা প্লে স্কুলেও নয়। কারন হিসেবে বলা হত- ওর ওসব দরকার নেই। ও তো দাদু দিদিমার 'আদর'/কেয়ার পাচ্ছে।

    ৩। বাচ্চাটির বাড়ীতে "ভুত" কতদিন থেকে আছে?
    উঃ - আগাগোড়াই আছে। শিশুটির জন্ম থেকেই।

    ৪। বাচ্চাটির বাবা দেখা গেছে তার কোম্পানীর নাম প্রিন্সিপালের জানা ও না জানা র ব্যাপারে যতটা উদ্বিঘ্ন মেয়ের কী হোলো না হোলো সেই নিয়ে তত টা নয়। এটা ঘটনার অবজার্ভেশন থেকে, আসলে কী হতে পারে সেই তর্কে যাচ্ছি না।
    উঃ - আরে এটাই তো আমাকে স্ট্রাইক করেছে সবচেয়ে বেশী। যদিও আরও অনেক কথার মধ্যে থেকে ফিল্টার করে যেগুলো আমাকে নাড়া দিয়েছে সেগুলোই আমার পোস্টে উল্লেখ করেছি। কিন্তু এটুকু বলতে পারি বাকি কথার মধ্যে সবচেয়ে ইমপর্ট্যান্ট কথাগুলোই ছিল না। সেগুলো আমাকে শুনতে হয়েছে ওই তৃতীয় বন্ধুর মুখ থেকে। চাকরীর ব্যাপারটা স্বামী স্ত্রী দুজনের বক্তব্যেই অত্যন্ত দৃষ্টি/শ্রুতিকটূভাবে উপস্থিত ছিল।

    ৫। স্কুল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এটা নজর করলেন? বাচ্চা মেয়েটির আচরণ বা কথাবার্তা বা অন্য কোনোভাবে?
    উঃ - এটা একেবারেই জানি না। সবচেয়ে উপকার হত বন্ধু যদি এই ব্যাপারটা হুবহু আমাকে বলত।

    ৬। স্কুল এই ব্যাপারে ইন্ভেস্টিগেশন চালাবার জন্য যখন প্যারেন্টস ডেকে মীটিং এ বসলেন তখনো কিন্তু বাচ্চা মেয়েটির নিজের মতটা কী বা সে কী বলতে চায়, সেটা স্পষ্ট হলো না। বাবা মায়ের মধ্যে একজনের চাকরি ছেড়ে দেওয়া তো একটা সমাধান নাও হতে পারে! হয়তো চাকরি করা দুইজনেরই দরকার!
    উঃ - মেয়েটি এতই ছোট এ বিষয়ে তার নিজের মত পরিস্কার করে বলা তার পক্ষে খুবই কঠিন। প্রায় অসম্ভবই। এই পরিস্থিতিতেও স্কুল কতৃপক্ষ এত মেয়ের মধ্যে কিভাবে আপনার তোলা ৫ নং প্রশ্নের সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন সেটাই তো আশ্চর্য্যের। স্কুল হয়ত ভুল করেছে। কিন্তু সত্যিই সেটা করেছে কিনা সেটা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া তো সবচেয়ে আগে দরকার। তারপর প্রশ্ন আসবে চাকরী করা বা ছাড়া আদৌ দরকার কিনা। সে সম্পর্কে স্কুলের মতামত দেওয়া উচিত কিনা, বা স্কুলের উপদেশই একমাত্র রাস্তা কিনা।
    আমার প্রশ্ন হল- কিন্তু স্কুলের তোলা প্রথম অভিযোগ যদি ঠিক হয়ে থাকে ??

    ৭। মা ভদ্রমহিলা ও দেখা গেছে চাকরির ব্যাপারে যেভাবে বলছেন, মেয়ের ব্যাপারে সেরকম না।
    উঃ - ঠিক। একজন মায়ের কাছ থেকে মেয়ের ব্যাপারে আমি অন্য দৃষ্টিভঙ্গী আশা করেছিলাম। কিন্তু সব মা/ মানুষ তো একরকম হন না।
    তবে বন্ধুর ও তার স্ত্রীর চাকরীর তফাত রয়েছে। মানবজাতির মঙ্গলের উদ্দেশ্য নিয়ে কম লোকই এমেনসিতে চাকরী করে। তারা সেটা করে অর্থোপার্জনের জন্য। বন্ধুর স্ত্রীর চাকরিটি কিন্তু সরকারী চাকরী। সেটা জনহিতকর কাজ বলাই চলে। কাজেই বন্ধুর চেয়ে তাঁর স্ত্রীর চাকরিটি করা নিজের এবং মানবজাতির পক্ষে বেশী প্রয়োজন এরকম একটা যুক্তি উনি দিতেই পারেন। ;)

    ৮। মেয়েটির নিজের বক্তব্য কী? হাওয়া থেকে তো এরকম একটা গুরুতর ব্যাপার স্কুল কর্তৃপক্ষের মতন একটা ইন্ডিফারেন্ট থার্ড পার্টির নজরে আসে না! বিশেষ করে তাদের যখন কিছু আসবে যাবে না, এক স্টুডেন্ট গেলে দশটা আবেদন পড়বে।
    উঃ - ৬ নং প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মেয়েটির কথা বলেছি। আর স্কুলের এরকম গুরুতর ব্যপার নজরে আসা এবং সেটাকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সত্যিই অস্বাভাবিক। এর পেছনে অন্য কোন কারন থাকতেই পারে। কিন্তু সেটা খোলা মনে ইনভেস্টিগেট করাই তো আমাদের কাজ হওয়া উচিত। যেমন ধরুন - এই যে বললেন একটা স্টুডেন্ট গেলে দশটা অ্যাপ্লিকেশন পড়বে, এটাও তো একটা কারন হতে পারে। হয়ত ওই একটি ভ্যাকেন্ট সীট তখন নীলামে উঠবে। পুরো ব্যাপারটাই সেই উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনিয়ার্ড। খোলা মনে সেইরকম কারনগুলো খুঁজতে দোষ কি? স্কুলের ফরে বা এগেন্সটে।

    ৯। এই পুরো ব্যাপারে "ভুত"এর ভুতনী বা ভাইসি ভার্সার বক্তব্য কী? তিনিও ভুতের সহযোগী নাকি তার বক্তব্য অন্য?
    উঃ - ভুত বা ভুতনী কারো বক্তব্যই আমার সরাসরি শোনার সুযোগ হয় নি। ভুতের বক্তব্যের সূত্রও ওই তৃতীয় পক্ষ। ভুতনীর বক্তব্য কোথাও পাই নি। সেদিনের পর থেকে ওনাদের কারো সঙ্গেই আর আমার দেখা হয় নি।

    ১০। সবচেয়ে বড় পয়েন্ট, বাচ্চা মেয়েটির নিজের বক্তব্য। সে নিজে কী বলতে চায়?
    উঃ - বাচ্চা মেয়েটি যেহেতু মানবসমাজের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নয়, তাই সে কিছুই বলতে চায় না। জানেই না তাকে কি বলতে হবে। স্কুল কি করে তাকে দিয়ে কিছু বলাল বা কিভাবে ওই সিদ্ধান্তে এল এটাই তো আমার কাছে আশ্চর্যের।

    @ কাব্লীদা Date:25 Aug 2012 -- 04:28 AM
    বড়দের কাছে বাচ্চারা কি আশা করে সেটা দারুন বললেন কাব্লীদা। এবং বড়দের কাছে ছোটরা কিরকম ব্যবহার পায় সেটাও। কিন্তু এর উল্টোটাও ঘটে, জানেন ? আমার নিজেরই জীবনে বহুবার ঘটেছে। :) বড়দের কি করে ঠেকাতে হয় সেটা জানি, দেখতেই পাচ্ছেন সাকসেসফুলি নিজের লাইফে সেটা অ্যাপ্লাইও করেছি। ;) কিন্তু ছোটদের কাছে মাঝে মাঝে রীতিমত বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বৈকি!

    @ ব্যাং দি Date:25 Aug 2012 -- 08:25 AM
    আপনার প্রেশার বাড়বে ভেবে পড়তে আপত্তি করি নি। প্রেশার বাড়ার ব্যাপারটা তো আপনি অন্য পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন তাই না? আমার মনে হয়েছিল আপনি তো এ ধরনের ঘটনা দেখলেই অগ্রপশ্চাত বিবেচনা না করে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে আমি নিষ্পৃহ হয়ে আছি দেখে হয়ত আমাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলবেন। কিম্বা কিছু করতে পারছেন না বলে নিজেই উত্তেজিত হয়ে উঠবেন। সেই ভয়েই আপনাকে পড়তে বারন করেছিলাম। ( আর ইয়ার্কি তো বটেই) ;)

    আপনার বলা গল্পটা সরাসরি বন্ধুকে পড়িয়ে দিলে খুব ভাল কাজ হত। কিন্তু এই টই তো ওকে আর পড়ানো যাবে না। আরও মুস্কিল হল আমার বন্ধুও আমার মত ইন্টারমিট্যান্ট গুরু পাঠক। নিয়মিত নয় এটাই ভরসা। তবে আপনার এই অভিজ্ঞতা কোন না কোনভাবে ওদের কাছে পৌঁছে দেব নিশ্চয়ই।

    আপনি যে বলেছেন - “ঐ ফটোটা আজও দেখলে অবাক হই, একটু পরেই যে আমাকে ঐ বাড়িতে যেতে হবে, হবেই; সেই রাগ, ক্ষোভ, অসহায়তা সব আমার মুখে ফুটে বেরোচ্ছে। অথচ, আমার মা, যার কিনা সব্বার আগে বোঝা উচিৎ ছিল, তার চোখে কিছুইই ধরা পড়ল না!”
    ঠিক একই পরিস্থিতি কি আমার বন্ধুর স্ত্রীরও নয়? সেও তো 'মা'। তার কাছে কি এর বেশী সহানুভূতি আশা করতে পারি না? আপনার কথায় আর একটা কথা মনে পড়ল। এই টইয়েরই মাঝখানে নীনাদির বাড়ির পোষা কুকুর বিলের গল্প দেখুন। সেখানে দেখবেন নীনাদির বাবা অপারেশনের পর বাড়ি ফেরার সময় তাঁর কুকুরকে চেন বেঁধে রাখতে মানা করেছিলেন। সবাই ভয় পেয়েছিল যে বিল ওনার ওপর বিরাট শরীর নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটাবে। নীনাদির বাবা কিন্তু নিজের পোষা কুকুরকে চিনতেন। শুধু রাগ ক্ষোভ অসহায়তা নয়, তার পুরো স্বভাব আর অনুভুতিগুলো তাঁর নখদর্পনে ছিল। তাই তিনি জোরের সঙ্গে বিলকে খোলা রাখার পক্ষে সওয়াল করতে পেরেছিলেন। বিল তাঁকে নিরাশ করেনি।
    আক্ষেপ হল, আমাদের কিছু মা বাবা মানুষ হয়েও নিজের মানুষ সন্তানের অনুভূতিগুলোকে নীনাদির বাবা এবং ডেভিলের মত বোঝেন না। :(
  • | 24.96.131.217 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১১:৫১571049
  • কেলোদাদা,

    ভাটেও লিখেছি, আপনার পোস্টটা পড়ে অবধি এত অসহায় লাগছে ------- কিচ্ছু করার নেই, এই অসহায়তা এত মারাত্মক যে নিজেকেই চাবকাতে ইচ্ছে করে।

    আমার ধারণা স্কুলে বাচ্চার কিছু আচরণ বা কথা থেকে ওঁদের খটকা লাগে। তারপর কাকে দেখেছে, বা কে বলে জিগ্যেস করে ভুতের পরিচয় পেয়েছে। আমার পরিচিত একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে তার মা বুঝতে পেরেছিলেন বাচ্চাটির ক্লিপ জাতীয় বস্তু পেলে অদ্ভুত ব্যবহার থেকে।
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১১:৫৭571050
  • এই ধরণের পাপের শিকার হতে হতে বাচ্চার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনেছি,তাই অসহায় ক্ষোভ ও রাগ হয়।
    মা/বাবা হওয়া মুখের কথা নয়,সত্যিই।
    ভূতনীরও দোষ কম নয়।
  • কেলো | 116.199.98.139 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১২:০১571051
  • আমারও ওই একই অবস্থা...
    কেবল মনে হচ্ছে একদিন ও জিজ্ঞেস করবেই করবে -
    "কাকু, তুমি তো সব জানতে, তুমি তখনই কিছু করোনি কেন?"
  • ব্যাং | 132.178.209.151 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১২:০৭571052
  • কেলো, মেয়েটির মায়ের সাথে কথা বলুন। সম্ভব হলে এই টইটির ইউআরেল ওনাদের মেইল করে দিন। বন্ধুবিচ্ছেদ হবে? হোক না, শিশুটি তো সারাজীবন নিজের সবচেয়ে কাছের জনদের প্রতি আকন্ঠ ঘেন্না বয়ে বেড়াবে না।
    শুধুমাত্র এই মেয়েটির মায়ের জন্যই আমার পরিচিত এক মায়ের কথা লিখব কিছুক্ষণ বাদে (লিখতে অনেক সময় লাগবে, নিজের সাথেও যুদ্ধু করতে হবে। এই মুহুর্তে সেই সময় নেই) , সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জেনে যদি এই শিশুটির মা একটু অন্যরকম ভাবেন, সেই টুকুই আশা।
  • a x | 138.249.1.194 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১২:৩৫571053
  • বাচ্চাটির বয়স পাঁচ?! আমি ভেবেছিলাম ৯-১০ অন্তত! টইএর ইউআরএলে হিতে বিপরীত হবে। একগাদা অজানা অচেনা লোক জাজ করছে বলে ভাববে। আমার মনে হয় দরকার স্কুলে কথা বলা, তারা নিশ্চয়ই ওর কথায়, গল্পে, ব্যবহারে অস্বাভাবিক কিছু দেখেছে। হয়ত ও ডিরেক্টলি কিছু বলেনি, তাও। সেটাই আগে জানা দরকার। বাবা-মা কে নিয়ে গিয়ে স্কুলের সাথে কথা বলা দরকার। কারো একটা কিছু করা উচিৎ।

    শুধু নিজের কাছের জনদের প্রতি ক্ষোভ, বিদ্বেষ না, নিজের একটা অসুস্থ যৌনতা তৈরি হয় এর থেকে অনেক সময়। বেসিকালি চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে যায়, যদিনা ঠিক সময়ে কিছু করা হয়।
  • ব্যাং | 132.178.209.151 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১২:৩৮571054
  • অক্ষ, সেই স্কুলের রাস্তাও তো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলটাই তো পাল্টে দেওয়া হয়েছে।
  • কেলো | 116.199.98.139 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১২:৪৪571055
  • দ্যাকো কান্ড! সাধে কি শুরুতে ডিস্ক্লেমার দিয়েছিলাম!!
    ঘনাদাকে ধরে করে একটু যদি হাত গুনতে শিখে নেই, তবে আমার ভাত মারে কে!! :)

    নিজের সাথে যুদ্ধ করে লিখতে আপনাকে বলব না ব্যাংদি। তবে সময় পেলে লিখে গেলে ভালই হবে। সেটা আমি ওদের পড়াই বা না পড়াই। ওরা ছাড়াও বহু লোক গুরু পড়ে, যারা হুবহু ওদের মত মানসিকতা। তারা হয়ত ওই অবস্থায় পড়ে নি, কিন্তু আপনার লেখা পড়লে তাদের কাজে আসবে।

    ঠিক বন্ধুবিচ্ছেদের ভয়ে এড়াচ্ছি না। ভুল তো আমারও হতে পারে। ধরে নিন না, যে পোস্টগুলো আমি করেছি সেটা গল্পমাত্র, কোন অস্তিত্বই নেই এদের।
    তবু বলে রাখি, চরিত্রগুলো বাস্তব বটে, তবে ঘটনাটা সম্পর্কে তো আমি পুরোপুরি নিঃসন্দেহ নই। যা লিখেছি তার কিছুই নাও হতে পারে। যাচাই করে নিই। তারপরে লেখা তো লেখা, দরকার হলে আপনাদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করিয়ে দেব। ঘটনাটা যদি সত্যিই এরকম হয় তবে বন্ধুত্ব সরিয়ে রেখে মনের সুখে জুতোতেও পারি। কিচ্ছু বলা যায় না। ;)
  • a x | 138.249.1.202 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১২:৪৭571056
  • হ্যাঁ বাবা মা কে বুঝিয়ে ঐ স্কুলে গিয়ে ওদের সাথেই আবার কথা বলা জানার জন্য যে বাচ্চার কোন ব্যবহার থেকে ওদের এরকম মনে হচ্ছে।

    আসলে এটা একটা অদ্ভূত ডিনায়াল। আমি কি কোনোদিনও ভাবতে পারব আমার বাবা একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাকে কিছু করতে পারবে? পারবনা। স্থির জানি করেনি, করবেনা। একমাত্র আমার মেয়ে এসে যদি বলে বিশ্বাস করতাম (আমার বাবা বেঁচে নেই, সব হাইপোথেটিকাল)। এনারা হয়ত সেটাও পারছেন না। এতদিনের বিশ্বাসের জায়গা সরিয়ে নেওয়া সহজ না। তারপর পাঁচ বছরের একটা বাচ্চাকে এরকম করা, এটা বিশ্বাস করতে নিজেকে অনেক কিছু ছাড়তে হয়। কিন্তু যেভাবেই হোক ওনাদের বোঝানো দরকার যে বাবা-মাকে প্রোটেক্ট করা দায়িত্ব না, যতটা দায়িত্ব একটা ছোট বাচ্চাকে প্রোটেক্ট করার, তার অ্যাডভোকেট হবার, যখন সে নিজে কিছু বলার বয়সেই আসেনি। যদি ভুল হয়ও, তাতে যা মাশুল দিতে হবে অর্থাৎ বাবা-মার অপমান ইত্যাদি, তার চেয়ে হাজারগুণ বেশি মাশুল দিতে হবে যদি এতটুকুও সত্যি হয়। আর সেটা দিতে হবে একটা অসহায় শিশুকে। এটা বোঝাতেই হবে।
  • kiki | 69.93.217.94 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১৩:০০571057
  • কেলোদাদা,
    এক্কালে আমি M নামে এখানে লিখতুম। যদিও ডিরেক্ট আপনার সাথে কথা হয়েছে বলে মনে পরছে না। কি ব্যাপার এট্টু খোলসা করে বলবেন।মানে ভিবি আর এমকে কিভাবে গোলালেন। রোজ আর আসা হয় না। পরে এসে দেখে যাবো।ঃ)
  • ব্যাং | 132.178.209.151 | ২৫ আগস্ট ২০১২ ১৩:১৫571060
  • কেলো, ভয়াবহ গল্পটার অনেকটা লিখে ফেলার পরে সবটা উড়ে গেল। ঃ-(
    এই গল্পটা কয়েক বছর আগেকার পুরনো। কোনো টিভিচ্যানেলে দেখায় নি, কোনো কাগজে বেরোয় নি, কোনো ব্লগেও লেখা হয় নি। ধরে নিন আমার বানানো গল্প।
    তিন ভাই বোন। দুই দিদি ৫+ আর ৩+, ভাই দেড় বছরের। বাবা-মা দুজনেই যাচ্ছেতাইরকমের ভালো চাক্রি করেন, নামের চোটে গগন ফাটে এরকম দুই বহুজাতিকে। শহরের প্রান্তে বড় বাড়ি। ভাইবোনেরা বাড়িতে একা থাকে না। তাদের সাথে থাকেন তাদের ঠাকুমা। শুধুই ঠাকুমা। দাদু, মেসো, কাকা, কেউ নন।
    আর ঠাকুমার আর বাচ্চাদের খেয়াল রাখার জন্য ছিলেন এক হাউজকীপার, (যিনি ঐ বাড়িতে দশবছর ধরে কাজ করছেন, বাচ্চাগুলো জন্মানোর ঢের ঢের আগে থেকে), এক সবসময়ের রান্নার লোক (পুরুষ), এক ড্রাইভার (থাকুমা এবং বাচ্চাদের এখান-ওখান নিয়ে যাওয়ার জন্য) আর এক সিকিউরিটি গার্ড। আর এদের সব্বার নিজস্ব ঘর ছিল আউটহাউজে। তাছাড় আরো কিছু পার্টটাইম কাজের লোক তো ছিলেনই।
    সবচেয়ে বড় দিদি পড়ত এক বিখ্যাত স্কুলে সেই বছরই প্রথম ভর্তি হয়েছে ক্লাস ওয়ানে। তার আগে যেত এক নার্সারিতে মর্ণিং সেশন, এখন সেখানে মেজো বোন জায়। বড় দিদির স্কুল থেকে একদিন মায়ের ফোনে ফোন যায়, জরুরি দরকার, বাবা-মা দুজনকেই স্কুলে এসে কথা বলতে হবে। বাবা তো দেশেই ছিলেন না, মায়েরও দুইদিনের আগে সময় হল না। পরের দিন স্কুল থেকে চিঠি এল অবিলম্বে স্কুলে এসে দেখা না করলে বাবা-মা দায়ী থাকবেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে। মায়ের পা থেকে মাথা অব্দি কেঁপে গেল এই চিঠি পেয়ে। মেয়েকে কি কাউকে খুন করে ফেলেছে! মা স্কুলে গেলেন। সেই মিটিংয়ে সব্বাই ছিলেন প্রিন্সিপাল, ভাইসপ্রিন্সিপাল, ক্লাসটিচার, স্কুলের কাউন্সেলর। মাকে বলা হল, দুপুর হলেই মেয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করে, বন্ধুদের নিজের শরীরে হাত দিতে বলে। মেয়ে ডেফিনিটলি অ্যাবিউজড হচ্ছে। কাউনসেলর বাচ্চাটির সাথে কথা বলেও কালপ্রিট খুঁজে বার করতে পারেন নি। মেয়েটিকে এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন করলে মেয়েটি উন্মত্তের মত আচরণ করে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন