এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিপদে মোরে রক্ষা কর ....... মানে 'আত্মরক্ষা'

    কেলো
    অন্যান্য | ১২ আগস্ট ২০১২ | ১১৯৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ekak | 69.97.40.151 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৩৭571194
  • খুবই বিটকেল সিচুএশন । চুপ করে থাকা যায়না , আর কেলো বাবু কিছু করতে গেলে হয়ত কিছু করার রাস্তা চিরতরে বন্ধ হবে কারণ অত ছোট বাচ্ছা তো পুরোপুরি বাপ-মা এর জিম্মায় ।
  • sosen | 24.139.199.1 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৩৯571195
  • মেয়েদের সাথে করা হয় না? হু সেজ সো?
    আমেরিকায় চাইল্ড এবিউজ সবচেয়ে বেশি হয়? হু সেজ সো?

    যাই হোক। আমি বিবি র কথায় বিশেষ কোনো লজিক খুঁজে পাচ্ছিনা, সো হিয়ার ইট গোজ-। নিতান্ত সোজা সাপ্টা কথায়।
    প্রথম থেকেই আমি পোস্ট এবং এই থ্রেড এ একটি বক্তব্যের বিরোধিতা করেছি, এখনো করছি। বক্তাকে খন্ডন-ইত্যাদি ফালতু কাজের সময় কার আছে? যেহেতু বক্তার নাম আমার কাছে বিশেষ কোনো importance বহন করেনা, তাই এ বিষয়ে অহেতুক পর্দা টানা আমার কাছে ইমমেটেরিয়াল, অন্য কারোর কাছে মেটেরিয়াল হলে হতে পারে। অনেক মা ঠাকুমা জেঠু জেঠিমা বাবাই , ছোট বাচ্চার উপর অবদমিত যৌন আকাঙ্খা বিভিন্ন ভাবে চরিতার্থ করে থাকেন, প্রমাণিত সত্য। তার ডিফারেন্ট ফর্ম এখানে আলোচনাও করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। কোনো টা একসেপটেড , যাতে কিনা "শিশুরা মজা পায় " আর কোনোটা নয়। এই তো?

    ভারতের আইন কি বলে?

    Child Sexual Abuse, very simply, is the abuse of a vulnerable, under age person by an older and more powerful one. It can take all sorts of forms verbal, visual, tactile, exhibitionism, pornography, fondling... anything that sexually stimulates.
    Child Sexual Abuse can be described as any and all sexual acts involving children or minors,

    •Touching a child with sexual intent.
    •Forcibly kissing a child
    •Touching or fondling the child’s private parts
    •Having the child touch or fondle an adult’s private parts
    •Forcing the child to show his /her private parts or having the child see an adult’s private parts
    •Forcing a child to touch his /her private parts, undress or bathe in front of an adult
    •Sexual assault, including molestation, intercourse, oral sex and sodomy
    •Photographing or filming a child in the nude
    •Forcing the child to view pornographic materials (photographs, video, film, the internet, or any other means)
    •Using the child in pornographic activities (whether through photographs, video, film, the internet, or any other means)
    •using the child in prostitution or other sexually exploitative activities

    Child Sexual Abuse is also when another child, less than 18 years and usually elder to the child victim, performs sexual acts upon or with the child.

    এই আইন অনুযায়ী আমাদের ন'মামা, সেজপিসী, কেলোদা বর্ণিত নিকটাত্মীয় প্রত্যেকে আইনের চোখে অপরাধী।
    আমেরিকার আইন আর একটু কড়া, আর সে জন্যই , বিবি, রিপোর্ট অনেক বেশি। সকলেই "মজা " ভেবে ছেড়ে দিলে হবে না রিপোর্ট, ভারত একটি প্লেটনিক পিডফিলিক দেশ থাকবে। এতদিন তাই ছিল। আজ ও আপনারা সেটাই করতে চান?
    ২০০৭ এ করা একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ভারতের ৫২% শিশু সেক্সুয়ালি এবিউজড, ১৩ টি স্টেট এ সমীক্ষা টি করা গেছে।
    ১৯৬৩ সালের বিখ্যাত মেজর লক্ষ্মন সিংহ কেস টি পড়ুন। সাড়ে সাত মাসের শিশুকন্যার যোনিদেশে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সাংঘাতিক আঘাতের পর ইনি ধরা পড়েন, যার পর বেশ কিছু আইন নতুন করে এদেশে তৈরী করা হয়। নিত্যই তার রিফাইন মেন্ট চলছে। এই কেস টি চলার সময়ে প্রচুর ঘটনা উঠে আসে। স্নান করানো এবং পুরুষ শিশুর যৌনাঙ্গ নিয়ে খেলা করার ব্যাপার টিও এই কেসে আর্গুমেন্ট ছিল।

    যাই হোক। যারা এ নিয়ে বিপরীত তর্ক করবেন, করুন। মনোবিদ্যা, আইন, এবং মানবিকতা কোনটাই বোধহয় তাদের সাপোর্ট করবে না, তারা নিজেরা ছাড়া।
  • de | 190.149.51.66 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৪৫571196
  • কেলো-দাদার পক্ষে বাইরের লোক হয়ে খুব বেশী কিছু করা মুশকিল -- সবার আগে স্কুলের থেকে জানার চেষ্টা করা উচিত, কিসের বেসিসে স্কুল এই কনক্লুশন টানছে -- সেটাও একা কেলো-দাদা গিয়ে জিজ্ঞেস করলে স্কুল জবাব নাও দিতে পারে। পাই সম্ভবত কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম বলেছে -- তাদের হেল্প নেওয়া উচিত। আর সবার আগে বাচ্চার মায়ের সাথে একটু আলাদা করে কথা বলা গেলে ভালো হয়।

    তবে মাকে চাকরী ছাড়তে বলার সল্যুশনটা অদ্ভুত! যে স্কুল এটা বলে তাদের ডিসিশানের ওপর কতটা নির্ভর করা যায় সেটাও ভাবা উচিত।
  • sosen | 24.139.199.1 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৪৬571197
  • কেলোবাবু, আপনার এই ঘটনাটি কি ভারতে ঘটছে? একটু জানাবেন।
  • ব্যাং | 132.167.107.241 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৪৮571198
  • সোসেন, হ্যাঁ, এটা খুব সম্ভবত কোলকাতার ঘটনা। কেলোর পোস্ট পড়ে সেরকমটাই মনে হয়েছে।
  • ekak | 69.97.40.151 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৪৯571199
  • একী ঘ্যান ঘ্যান শুনে বিরক্ত লাগছে এখানে লিখতে ।
    বার বার শুনছি বাচ্চারা "মজা" পায় । মজা পায় তো কি ?
    ওটা তো সেক্সুয়াল স্টিমুলেসন এর মজা ! সেটা একটা বাচ্চাকে করা অপরাধ নয় ?
  • ব্যাং | 132.167.107.241 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৫০571200
  • সোসেনের ধৈর্য্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি।
  • riddhi | 118.218.136.234 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৫৫571201
  • ঐ 'ভূত' বললেন ' আমাদের কালচার ওরা বুঝবে কি করে?'
    এটা কি প্রসঙ্গে বল্লেন? স্কুল কি স্পেসিফিক কোন ঘটনা/প্রথা র কথা বলেছে? সেটা কি?
  • de | 190.149.51.66 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১২:৫৬571202
  • উপযুক্ত মেন্টালিটি না থাকলে বাপ-মা হওয়াই উচিত না -- বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যবহার ভেরিফাই করে দেখা উচিত-- যত নিকটাত্মীয়ই হোক না কেন। আমি ঝুমঝুমিকে এক্কেবারে সাপোর্ট করে গেলাম -- আমি আমার মেয়েকে বড় করার ক্ষেত্রে কারোকে বিশ্বাস করিনি আর করিওনা, আমার বাড়িতে আমার নিজের আত্মীয়রা এসে থাকলেও মেয়ে চিরকাল ক্রেশেই গেছে, সেই ক্রেশে প্রত্যেকটি এমপ্লয়ি মহিলা -- তারপরেও যতদিন ছোট ছিলো মাঝেমাঝেই আপিস থেকে এসে র‌্যান্ডামলি চেক করতাম।

    বাচ্চাদের প্রাইভেট পার্টস আর গুড টাচ ব্যাড টাচ সম্বন্ধে প্রাথমিক পাঠ দেওয়াটা বাবা-মায়ের দায়িত্ব, যে সব বাচ্চারা বাইরেই বড় হবে তাদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা দেওয়া উচিত!

    ছোট বাচ্চারাও মানুষ, তাদেরও সম্মানবোধ আছে, ইগো আছে -- সেটা হার্ট হয় এমন কোন কিছুই করা উচিত নয়। প্যান্টে হাত দিলে কোন বাচ্চার ভালো লাগে না, লাগতে পারে না!
  • | 24.99.78.2 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:০০571204
  • কেলোর পক্ষে হুড়ুম দুড়ুম করে কিছু না করাই ভাল, যেখানে ডিনায়াল এই লেভেলে। স্কুলের সাথে কথা বলা গেলে বড় ভাল হত। কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব তাও জানিনা।

    ধুস ধুস।
  • ekak | 69.97.40.151 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:০২571205
  • এই "কালচার" এর পার্ট তা আমিও বোঝার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছু মাথায় আসেনি ।
    খুব ছোট বাচ্চাকে নুন্কুর ডগায় কাজল এর টিপ পরাবার চল আছে গ্রামদেশে । এটা বিশাল পুরনো ফার্টিলিটি কাল্ত। এর মানে হলো এই শিশু যেন ফার্টাইল হয় আর তার সেই ক্ষমতার ওপর কার কুনজর না পরে।

    কিন্তু সেটা খুব ছোট বাচ্চা , ওই তেল মাখিয়ে রোদ্দুরে ছেড়ে দেয় যে বয়েসে । ইস্কুলে পাঠানোর বয়েসে প্রাইভেট পার্ট নিয়ে কি "কালচার" হাজার ভেবেউ মাথায় এলোনা :(
  • ekak | 69.97.40.151 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:০৫571206


  • একটাই উপায় আছে মনে হচ্ছে। আগেও কেও বলেছেন ।
    কেলোবাবু কোনো একটি এন্টি চাইল্ড এবিউস উইং এর সংযে কথা বলে তাদের কে নিয়ে ইস্কুলের প্রিন্সি র সঙ্গে দেখা করুন। ব্যাপারটা খুব নিরপেক্ষ ভাবে জানতে চান । একা গেলে ওরা অন্য মানে করবে । কন্সার্ন্দ লোকজন নিয়ে গেলে ঠিক ই বলবে নিজেরা কি স্টাডি করেছে ।
  • ব্যাং | 132.172.228.21 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:০৮571207
  • দমু, সব জেনেও চুপ করে বসে থাকাটাও তো অসহ্য। জানি প্রতি মুহুর্তে কোনো না কোনো শিশু এইভাবে অ্যাবিউজড হচ্ছে, সব্বার জন্য কিছু করা সম্ভবও না। কিন্তু কেলোর পরিচিত এই বাচ্চাটির বাবামার উপর অসম্ভব রাগ হচ্ছে, থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে করছে। যেসব বাবামা, আত্মীয়, বন্ধু এই ধরণের ঘটনাকে ঘটনা বলেই মানতে নারাজ, সেইসব ক্ষেত্রে বাচ্চাটিকে সচেতন করা ছাড়া আর কীই বা রাস্তা আছে? বাচ্চাটিকে অন্তত এটুকু শেখানো যায় কি - যে ভূত বা ভূতের মতন আরো যারা তাকে আপত্তিজনক্ভাবে ছোঁয় বা ছুঁয়েছে তারা কাছাকাছি এলেই আর কিছু না পারুক গলা ফাটিয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে চেঁচিয়ে কাঁদতে? চুপচাপ সহ্য করা কিছুতেই না।
  • ব্যাং | 132.172.228.21 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:১০571208
  • এককের 1:05PMয়ের পোস্টে একক যা বলেছেন, সেটা করা সম্ভব কি , কেলো?
  • sosen | 24.139.199.1 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:১৭571210
  • আমাকে যদি কেলোবাবু একটু জানাতে পারেন, discretion অক্ষুন্ন রেখে , অর্থাৎ নাম, লোকালিটি না জানিয়ে, কিন্তু স্কুল এর নাম ও সোসিও ইকনমিক স্টেটাস জানিয়ে, তাহলে আমি কিছু সাহায্য করার চেষ্টা করতে পারি, কিছুদিন এ নিয়ে কিছু এন জি ও তে আশপাশের লোকেদের করণ কর্তব্য পড়িয়ে থাকায়।
  • bb | 127.195.172.190 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:১৭571209
  • @de আপনি ঠান্ডা মাথায় লিখলেন তাই আপনার উত্তরে জানাই - কোন বাচ্চারই এটা ভাল লাগেনা। আর এটা করা উচিত নয়, বোল্ড আন্ডারলাইনড।
    কিন্তু অনেকেই এটা করে থাকে বাচ্চাদের উপর এক-অদ্ভুত 'উল্লাসে' এবং সেটা দশজনে উপভোগ করে, এতে বাচ্চার কোন সম্মান হানি হয় বলে মনে করে না।
    ব্যস এই পর্য্ন্ত।
  • de | 190.149.51.66 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৩:৪০571211
  • ঠিকই তো, বিবি -- কিন্তু তারা বিকৃতমনস্ক, তাদের যথাযথ কাউন্সেলিং হওয়া উচিত -- বাচ্চার ইগো খুব সফট হাতে হ্যান্ড্ল করা চাই! এটা বাবা-মাকেই দেখতে হবে!

    সোসেন, বাঃ! কোন এনজিওর হেল্প নেওয়াটাই আশু কর্তব্য!
  • a x | 118.207.195.138 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৫:০৭571212
  • আমি একদম একমত ঝুমঝুমি আর দে-র সাথে ঐ বাচ্চার ব্যাপারে কাউকে বিশ্বাস না করা প্রসঙ্গে। মেয়ের বাবা ছাড়া আর কোনো পুরুষের কাছে কোনো সময়ের জন্য একা থাকেনা। একেবারে জিরো রিল্যাকসেশনে এই নিয়ম মেনে চলি। সে দাদু ঠাকুদ্দা, কাকা জ্যাঠা যেই হোক।
  • aka | 85.76.118.96 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৬:১৪571213
  • যৌনাঙ্গ নিয়ে খেলা করে অযৌন আনন্দ/প্র্যাঙ্ক???? মাক্কালি এবারে নতুন করে জীবন বিজ্ঞান লিখবে এরা।

    ঠিক ঠিক বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে অনেক কন্ট্রোভার্সি আছে। কত দেশে তো কত কিই আছে, পাথর ছুঁড়ে মারা, মেয়েরা মুখ ঢেকে না ঘুরলে শাস্তি, এককালে আমাদের দেশে সতী পুড়িয়ে মারা হত। কোন কোন মহা পণ্ডিত এসবকে কালচারের অঙ্গও বলত, শুধু গুরু ছিল না বলে পণ্ডিতদের পাণ্ডিত্য চোখে পড়ত না। ভাগ্যে গুরু ছিল মোদের সাথে।
  • কেলো | 116.199.105.252 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৭:১১571215
  • কোন থার্ড পার্টির সাহায্য নেবার কথা এককদার আগে পাইদিদি বলেছেন। তিনি এলান - এর লিঙ্কও দিয়েছিলেন। এলান বা আর কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা তো নিশ্চয়ই সম্ভব। কিন্তু একটা কথা বলব?
    আমি নিশ্চেষ্ট থাকলেও মনে করবেন না যে আমি আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছি বলে কিছু করছি না। কনফিডেন্স ঠিকই আছে, কিন্তু ওভার কনফিডেন্স সবকিছু নষ্ট করতে পারে। তৃতীয় পক্ষ, মানে কোন NGO বা গ্রুপ যাঁরা এই কাজই করছেন তাঁরা সচরাচর যেটা দেখি - সেটা হল ওভারকনফিডেন্সে ভোগেন। আমি তো সমস্যায় পড়েই তাদের কাছে গিয়েছি, সুতরাং তাঁরা যা বলছেন সেটাই ঠিক। কল্লোলদার পেয়ারের APDR সমেত (কল্লোলদা, রাগ কর্বেন না, এটা পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট, কারেক্ট নয়) বহু অর্গানাইজেশন সম্পর্কেই আমার এই ধারনা। বহু কেস কেঁচে যেতে দেখেছি। আপনারা যাঁরা গুরুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তাঁরাও একটু ভেবে দেখুন - গুরুও কখনো সখনো তাঁদের কাছে বার্ডেন হয়ে ওঠে না কি ?? (আমার কাছে তো হয়) :)

    আর, কোন কিছু শুরু করতে গেলে স্কুলই যে ঠিক জায়গা সেটা নাও হতে পারে। স্কুলের নিজের কোন স্বার্থ থেকে স্কুল যদি পুরো ব্যাপারটা ঘটিয়ে থাকে? সে বিষয়েও ভিবিদির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ..পুরোনো পোস্ট দেখবেন। NGO সঙ্গে নিয়ে গেলেও সে ব্যাপারটা একই থাকবে।

    ব্যাপার তো একটা না। অনেক। চারিদিকে। সেটাই তো লিখব বললাম। সময় পেলেই লিখে দেব।

    ঋদ্ধিদা, স্কুল ঠিক কি বলেছে আর কালপ্রিটই বা ঠিক বলেছে দুটোই শোনা কথা। কিছুই প্রায় জানি না। ঠিক যেটুকু জানি আপনারাও যাঁরা ওই পোস্ট পড়েছেন তাঁরাও ততটুকু জানেন। তবে মজার কথা হল ভদ্রলোক কিন্তু ঘোর নাস্তিক, হিন্দু, খৃষ্টান, মুসলিম, বা তাদের কালচার নিয়ে তাঁর এমনিতে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। ওই কমেন্টটা তাঁর স্বাভাবিক পার্সোনালিটির সঙ্গে মেলে না। হয়তো ইয়ার্কির ছলে ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকতে পারেন। সেটা আমি জানতে পারিনি। কিন্তু তাঁর কথাই শেষ অব্দি থেকেছে।

    সো.সেন দিদি,ওই স্কুলের এক কৃতী ছাত্রী হলেন পাওলি দাম। এর বেশী ডিটেলস কিছু চাইলে অবশ্যই আপনাকে জানিয়ে দেব ব্যক্তিগতভাবে। লোকালিটি বা আর যা যা চান। kirtimankelo অ্যাট জিমেলে মেল করে প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন। একটু দেরী হতে পারে উত্তর দিতে। স্যোসাল নেটওয়ার্কিং মোটে ব্যবহার করি না, তাই সেখানে আমাকে খুঁজে পেলেও অ্যাড করে বিশেষ লাভ নেই। চিঠি দিলে দেরীতে হলেও উত্তর পাবেন যে কেউ।
  • sosen | 24.139.199.1 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৭:২৮571216
  • নাহ আর কিছু দরকার নেই। আমি কোনো এন জি ও র কাছে যাবার পরামর্শ দেবনা, বরং বলব, যদি পারেন অবজার্ভ করে দেখুন ব্যাপারটা কতটা সিরিয়াস। দ্রুত কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকেই।
    আমি বরং বলব, পারলে আরো দু এক জন কমন ফ্রেন্ড দের একত্রিত করে, আপনার বন্ধু ও বন্ধুনি কে কিছুটা কাউন্সেল করার চেষ্টা করুন।
    আপনি কিছু লিখবেন বলেছেন, সেটা পড়ে বাকি কথা লিখব।
  • rimi | 178.26.205.19 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৭:৩৬571217
  • সোসেনের 12.39 PM এর পোস্ট খুব ভালো লাগল। এই ভারতীয় আইনটা আমি জানতাম না। জানা হল।
  • pi | 82.83.74.139 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৮:১৮571218
  • নাঃ, আমি এলানের কাছে এব্যাপার নিয়ে কথা বলতে বলেছিলাম। এই কেসে ইন্টারভেন্শনের জন্য ডেকে আনা নয়। ঐ স্কুল সম্বন্ধে ঘোলাটে ব্যাপারটা আছে বলেই, এসব নিয়ে ওদের এক্ষপি কী বলে ইত্যাদি।ওরা এরকম অনেক কেস ডিল করে বলে এরকম কেস, স্কুলের আচরণ ইত্যাদি নিয়ে কোন আইডিয়া থাকতে পারে, এটুকুই মনে হয়েছিল।
  • কেলো | 233.176.231.64 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ০২:৪৩571219
  • বিকেলের পড়ন্ত আলোয় হাঁটু গেড়ে বসে, ক্যামেরা তাক করে নিঃশ্বাস বন্ধ করে ফেলেছি, এবার শাটার টিপব, ৬০ এর তলায় শাটার স্পীড। শ্যুটিং মানেই শ্বাস বন্ধ করার খেলা এ তো সব্বাই জানে, সে ক্যামেরাই হোক কি শট্গান। এমন সময় হঠাত্ কানের খুব মিষ্টি করে কে একটা বলল -
    - কার ছবি তুলছ দাদা ?
    শাটার থামলে চোখ তুলে দেখি ঘাড়ের কাছে একটা বেজায় হাসিখুশী মুখ, জ্বলজ্বলে দুটো চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে। ঠিক তার পেছনে এক ছোট্টখাট্টো কিন্তু ভীষন সুন্দরী ভদ্রমহিলা হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁরও পেছনে একজন মুষকো মত ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁরও মুখে হাসি। সক্কলের হাসিই একেবারে শরতের আকাশের মত নির্মল, ওদের তিনজনের খুশী আমার মধ্যেও চারিয়ে গেল। আরেকটা শট নিতে না পারার দুঃখ ভুলে দাঁত বের করে আমিও বললাম -
    - তক্ষকের।

    সেদিনই সকালে আমরা এই ছোট্ট হিল স্টেশনটাতে এসে পৌঁছেছি। আমরা বলতে - আমি, মা, আমার এক সম্পর্কিত দাদা, বৌদি, তাঁদের বড় মেয়ে, মানে আমার ভাইঝি আর তার দুই মেয়ে মানে আমার দুই নাতনী, তাদের বয়স যথাক্রমে সাত ও আট। আগের দিন রাতটা আমরা কাছের আর একটা হিল স্টেশনে কাটিয়েছি। সকালবেলা ওদের সবাইকে গাড়ীতে তুলে দিয়ে আমি ট্রেকিং রুট ধরে টুক টুক করে হাঁটা লাগিয়েছি। গাড়ীতে ওদের সঙ্গে যাই নি, কারন একে তো ভীড়ভাট্টা বিলকুল ভাল লাগে না, তার ওপর নাতনীদের ধরলেও টীমের গড় বয়স দাঁড়ায় চল্লিশের ওপরে। ..ওর মধ্যে বেশীক্ষন কাটালে বুড়ো হয়ে যাব যে !
    দুপুরবেলা যখন জিভ বার করে হ্যা হ্যা করতে করতে পৌঁছলাম তখন ওরা সোজা টেনে নিয়ে ওদের সঙ্গে খাবার ঘরে ঢুকিয়ে দিল। চাট্টি ডিমের ঝোল ভাত খেয়ে বেরিয়েই বেরিয়েই দেখি খাবার ঘরের নিচে একটা বেশ হুমদো গোছের লোমওলা ব্রাউন রঙ্গের নেড়িকুকুর। কুকুরটার চোখেমুখে বেশ একটা গাম্ভীর্যের ছাপ। তাও সাহস করে ভাব জমিয়েই ফেললাম। ওটার নাম দিলাম পুষি। গলা চুলকে দিতে গিয়ে দেখি ব্যাটা কিছুতেই ডান দিকে হাত নিয়ে যেতে দেয় না। মাথা সরিয়ে নেয়। আমার সন্দেহ হতে ওকে মাটিতে পেড়ে ফেলে দেখলাম গলার ডান দিকে বেশ একটা গভীর ক্ষত। লেপার্ড না নেকড়ে কার সঙ্গে লড়াই করেছে কে জানে! চেহারাটাও তো দশাসই। ওর মাথায় হাত বুলিয়ে আশ্বাস দিলাম – ভাবিস না পুষি, দুপুরটা একটু কষ্ট কর, বিকেলে তোর জন্য নিওস্পোরিন নিয়ে বেরোব, লাগিয়ে দিলে কাল এক্কেবারে সেরে যাবি। শুনে নেড়িটা খুশী হয়ে, ওর ব্রাউন রোঁয়াওয়ালা ল্যাজটা পট্ পট্ করে দুবার নেড়ে নিল।

    - তক্ খোক্ মানে কি? তক্ খোক্ কে ?
    - আয়, এসে দেখে যা.....
    ততক্ষন কি আর তক্ষক বাবাজী বসে আছেন? তিনি তো শাটার পড়তে না পড়তেই হাওয়া। অগত্যা ক্যামেরার ডিসপ্লেতে দেখিয়ে দিলাম তক্ষক কি জিনিস। দেখে তো সে বেজায় খুশী ..
    - মাম্মাম, তক্ খোক্।
    ওর খুশীটা আবার আমাদের মধ্যে অ্যাসেন্ডিং অর্ডারে ছড়িয়ে গেল। আমি উঠে দাঁড়াতেই আমার নতুন বন্ধু, তার মাম্মামের হাত ছেড়ে আমার হাত ধরে টানতে টানতে সোজা সামনের এক রিসর্টের দিকে নিয়ে চলল। পেছনে পেছনে সেটা নিয়েই অভিযোগ করতে করতে ভদ্রমহিলা আর ভদ্রলোকও ঢুকলেন। ঢুকে দেখি কম্পাউন্ডের মধ্যে একটা বেঞ্চে আমার দাদা বসে রয়েছেন। উনি বসে বসে উপর থেকে ঘটনাটা দেখছিলেন নিশ্চয়ই। পুরো কম্পাউন্ডে দাদা ছাড়া আর মোটে দুটি প্রানী। দাদার কাছাকাছি বেঞ্চে আরেকজন অপরিচিত লোক বসে আছেন, আমাদের এই ভদ্রলোক ঢুকেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর অপর প্রানীটি হল আমার পূর্বপরিচিত ব্রাউন কুকুর... পুষি। সে দুই থাবার মাঝখানে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে। ওকে দেখে আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল – আরে! পুষি, তুই এখানে!! সঙ্গে সঙ্গে পুষিও মাথা তুলল। আমার গলার আওয়াজে না আমার বন্ধুর লম্ফ ঝম্পের ঠ্যালায় সেটা কে জানে। আমার ছোট বন্ধুর চোখ বিস্ময়ে গোল হয়ে গেল।
    - আরে! ও তোমাকে চেনে দাদা?
    - হ্যাঁ, ওর সঙ্গে দুপুরবেলা ভাব হয়ে গেছে। চেনে।
    - কি নাম বললে ওর?
    - পুষি।
    - তুমি কি করে জানলে?
    - ওকেই জিজ্ঞেস করলাম তো।
    - জিগেস করলে কি করে ? তুমি ভৌ দের কথা বুঝতে পারো??
    - নাঃ পারিনা। আমি ওকে নেপালিতে জিজ্ঞেস করলাম -তিমিরো নাম কিহো?
    - তাই? ও কি বলল?
    - মেরো নাম পুষি ছ।
    - তাই তাই? মাম্মাম শুনছ? এই ভৌ টার নাম পুষি। ও নিজে দাদাকে বলেছে। ওর গায়ে হাত দিই?
    বলে আর সম্মতির অপেক্ষা না করেই পুষির পিঠে একবার হাত বুলিয়ে নিল। মাম্মাম আমাদের কথাবার্তা শুনে পেছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন। উনি আপত্তি করলেন না। পুষি কিন্তু আপত্তি করল। ও উঠে একটু সরে গেল, আর গলা দিয়ে গর গর করে আওয়াজ করল সামান্য। মহিলা ভয় পেয়ে বাচ্চাটিকে সরিয়ে নিতে গেলেন। ওরা ভুল বুঝছেন দেখে আমিই আমার চারপেয়ে বন্ধুর হয়ে ওকালতিতে নাবলাম। পুষিকে চেপে ধরে ওর ডানদিকটা ওদের দিকে ফিরিয়ে দিতেই মা ছেলের মুখ দিয়ে একসঙ্গে একটা কষ্ট আর বিস্ময়ের আওয়াজ বেরিয়ে এল..
    - ইশ্! কতটা কেটে গেছে....
    - ওর খুব ব্যথা করছে, না মাম্মাম???
    খুশীতে উজ্জ্বল আমার ছোট্ট বন্ধুর মুখটা এক নিমেষে কালো হয়ে গেল। আমি হাসিমুখে ডাকলাম-
    - ভয় নেই, এদিকে আয়, আমরা ওর চিকিত্সা করব।
    - কি করবে??
    - চিকিত্সা।
    - চিকি স্ সা !....
    - মানে.. ওষুধ দেব, এই দ্যাখ...
    বলে আমার কার্গো প্যান্টের এ পকেট সে পকেট হাতড়ে একগাদা ফিল্টার, পোলারাইজারের মধ্যে থেকে নিওস্পোরিন পাউডারের ছোট্ট ডিব্বাটা খুঁজে বের করলাম। ওটা বিকেলে বেরোনের সময় পুষির কথা ভেবেই নিয়ে বেরিয়েছিলাম। এইবার পুষিকে বাঁ কাতে শুইয়ে ফেলে ওর চিকিত্সা চলল। লেন্স ক্লিনিং পেপার দিয়ে জমাট বাঁধা রক্ত মুছিয়ে দিয়ে, কাটা জায়গাটার গভীরে নিওস্পোরিন পাউডার ভাল করে মাখিয়ে দিয়ে, আর একটুকরো ক্লিনিং পেপার মাপমত ছিঁড়ে কাটা জায়গাটা ঢেকে ড্রেসিং করে দেওয়া হল। ব্যাটা ব্যাথার চোটে একটু গর গর করলেও কিন্তু মোটের ওপর শান্ত হয়ে শুয়ে রইল। ঘ্যাঁক করে আমার হাত কামড়ে দিল না। হাজার হোক কুকুর তো! মানুষ হলে অন্য কথা ছিল।
    - ব্যাস্। চিকিত্সা শেষ। পুষি কালকেই সেরে যাবে। ব্যথা আর থাকবে না।
    আমার ছোট্ট বন্ধুর মুখ আগের চেয়েও ঝলমলে, সে তো খুশীতে দু পাক নেচে নিল। তার মাম্মামের চোখেও দেখি মমতা আর আশীর্বাদ ঝরে পড়ছে।
    এবার ওদের ছেড়ে আমি আমার দাদার দিকে মনোযোগ দিলাম। তিনি তো বেঞ্চে একা বসে আছেন। তাঁর পাশে গিয়ে বসলাম। পাহাড়ের চূড়োয় চূড়োয় তখন শেষ রোদ্দুরের লালচে আভা। দুটো কথা বলেছি কি বলিনি, তার মধ্যেই প্রথমে পুষি উঠে এসে আমাদের পায়ের কাছেই হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়ল, পেছনে পেছনে আমার বন্ধুও এল। ওর মা একটু দূরে দুই ভদ্রলোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আমাদের একবার আওয়াজ দিলেন - 'ওকে একটু চোখে চোখে রাখবেন'।
    ওকে তো এমনিতে দেখার কিছু নেই, ও তো শান্ত ছেলে, শুধু একটার পর একটা প্রশ্ন করে, এই যা। বেঞ্চিতে আমার পাশে বসে তাইই করতে লাগল, আমিও জবাব দিতে লাগলাম। ভেবেছিলাম আমার দাদাও যোগ দেবেন। কিন্তু ওর সঙ্গে দাদার প্রথম কথাটাই হল – এ্যয়, তোমার নাম কি??? ও দাদার প্রশ্নকে পাত্তা না দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলে যেতে লাগল। দাদা অধৈর্য্য হয়ে আবার বললেন -
    - এ্যয়, তোমার নাম জিজ্ঞেস করছি .. বলছ না ?
    - মাম্মাম বলবে।
    - মাম্মাম বলবে কেন? তোমার নাম তুমি বল..
    - না। মাম্মাম বলবে।
    আর দাদাকে পাত্তা না দিয়ে সে আমার সঙ্গে পুষি বিষয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা শুরু করল। দাদা এবার জিজ্ঞেস করলেন -
    - মাম্মামের নাম কি?
    আমি শুনে হাঁ হয়ে গেলাম। আমার গালে কেউ যেন ঠাসিয়ে চড় মারল। বলে কি লোকটা? মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি? 'তোমার' বলতে গিয়ে ভুল করে 'মাম্মামের' বলে ফেলল নাকি? আমি অবিশ্বাসের চোখে দাদার মুখের দিকে তাকালাম। তখনই উনি আবার রিপিট করলেন প্রশ্নটা ..
    - তোমার মাম্মামের নাম কি?
    নাঃ এবার তো আর ভুল হতে পারে না। কিন্তু দাদা এটা কি করছেন? উনি না একজন সম্মানিত লোক, বিরাট মাপের রিটায়ার্ড সরকারী কর্মচারী! সামনে আমি, তাঁর অর্বাচীন ছোটভাই বসে রয়েছি । লোকটার কি ভীমরতি ধরল নাকি? অপরিচিত একটা চার পাঁচ বছরের বাচ্চা ছেলের কাছে তার সুন্দরী তরুনী মায়ের নাম জানতে চাওয়া কোন দেশী ভদ্রতা? যেখানে অদূরেই তার মা উপস্থিত এবং সম্ভবত তিনি আমাদের প্রত্যেকটি কথা শুনতে পাচ্ছেন। নাঃ.. লোকটা এই চমত্কার সন্ধ্যাটা মাটি করবে দেখছি। আমার ব্রেন দ্রুত এমার্জেন্সী মোডে চলে গেল। প্রসঙ্গ পাল্টানোর আপ্রান চেষ্টা করলাম...
    -ওই দ্যাখ সাদা মাকড়সা। সাদা মাকড়সা দেখেছিস কখনো ?
    - মাকোস্সা??.... কই?
    সামনের কাঁটাতারের বেড়ায় মাকড়সার জাল বিকেলের আলোয় ঝিকমিক করছিল।
    - দেখছিস না সামনেই তো জাল।
    - ও তো জাল। …. সাদা-মাকোস্সা কই?
    খচ্ করে ক্যামেরা দিয়ে পুঁচকে মাকড়সাটা তুলে ডিসপ্লেতে ক্রপ করে বিরাট করে দেখালাম। কিন্তু আবার...
    - তোমার মাম্মামের নাম কি?
    - কত্ত বড়ো সাদা-মাকোসসা...
    - কি! তোমার মাম্মামের নাম কি?
    এতক্ষনে আমার ছোট্ট বন্ধুরও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছিল। সে এবারে সোজা তার মায়ের দিকে ঘুরে, দাদার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলল
    - মাম্মাম, এই দাদুটা তোমার নাম জানতে চাইছে..
    এত হতাশার মধ্যেও মজা লাগল, রূপোলী চুল আমি হলাম 'দাদা' আর আমার চেয়ে কিছু বড় কুচকুচে ডাই করা চুলের দাদা হল গিয়ে– 'দাদু'। (ঠিক চিনেছিস, সাবাশ ব্যাটা)
    আমার বন্ধুর মাম্মাম যথেষ্ট বুদ্ধিমতী, তিনি সবকিছু শুনছিলেনই, দাদার দিকে ফিরে হাসিমুখে সপ্রভিতভাবেই নিজের নাম বললেন। আমি ড্যামেজ কন্ট্রোল করার শেষ চেষ্টা করলাম..
    - মানে..ইশে.. আমরা তো ওর নামই জানতে চাইছিলাম কিন্তু ও কেবলই বলে - মাম্মাম বলবে। মাম্মামের নাম মাম্মাম বলতে পারে, কিন্ত ওর নাম মাম্মাম বলবে কেন?
    - ওর নাম ***
    ধরা যাক নামটা 'মঞ্জুলকৃষ্ণ'। এবারে আমি হেসে ফেল্লাম- ওইটুকু বাচ্চার এত শক্ত নাম দিয়েছেন আপনারা! এটা কি আর ও উচ্চারন করতে পারে? ...তাই তখন থেকে কেবল বলছে মাম্মাম বলবে, মাম্মাম বলবে।
    ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা আর আমি তিনজনেই প্রাণ খুলে হাসতে লাগলাম।

    এই তো গেল প্রথম ধাক্কা। দ্বিতীয় ধাক্কাটা এল সেদিনই রাত্রেবেলা শোবার আগে।

    ডিনার খেয়ে শোবার আগে আমাদের ঘরে (মানে আমার আর মার) বসে বসে নাতনীদুটোর সঙ্গে গল্প করছি। দাদাও ছিলেন। একটু আগে ওদেরকেও ডাক দিয়ে নিজের ঘরে ফিরে গেছেন। বড় নাতনী বলল -
    - তাড়াতাড়ি বল না, তারপর তেজীমালার কি হল?
    - তাড়া কিসের? সবে তো তেজীমালার বাবা বানিজ্যে গেছে। জানিস না তাড়াহুড়ো করে বাজার হাট করতে নেই!
    - উফ্.. তাড়াতাড়ি গল্পটা শেষ কর, দেখছ না দাদু ডেকে গেছে।
    - দাদু ঘুমোতে গেল, তো তোর কি? তেজীমালার বাবা আগে ফিরুক, তারপর নাহয় তুই গিয়ে ঘুমোস।
    - নাঃ তা হবে না। আমাকে জড়িয়ে ধরে না শুলে দাদু ঘুমোতে পারে না তো।
    - বলিস কি রে! রোজ রোজ? :o
    - হ্যাঁ রোজই। নাঃ তুমি আমাকে বকুনি খাওয়াবে দেখছি। গল্পটা থাক, কাল সকালে বাকিটা বোলো...
    হতভম্ব আমাকে ফেলে শিশুদুটি বিরস বদনে 'ঘুমোতে' চলল।

    বহুদিন আগে চৌর্যবৃত্তির মূল আকরগ্রন্থ থেকে দেবপ্রসূনদা কয়েকখানি শ্লোক শুনিয়েছিলেন। প্রথমেই আমার মনে এল, তার মধ্যে থেকে একটি। সেটির সারানুবাদ হল -
    গৃহস্থের গৃহাভ্যন্তরে রাত্রির প্রথম প্রহরে কোন নিদ্রাচ্ছন্না কুমারী কন্যার গাত্রালঙ্কার কদাপি স্পর্শ করিবে না। রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরে স্বামী-সন্তানমধ্যে শায়িতা, নিদ্রামগ্ন বিবাহিতা স্ত্রীলোকের অঙ্গাভরন হরন করাই বিধিসম্মত।
    এক্ষেত্রে শাস্ত্রকার কিন্তু উড-বি তস্করকে নীতিশিক্ষা দেবার জন্য কোন 'কুমারী কন্যা'র গাত্র হইতে অলঙ্কার হরন না করার উপদেশ দেন নি। তিনি ওই শ্লোকে বলতে চেয়েছেন, কুমারী কন্যা অত্যন্ত সেন্সিটিভ প্রানী, এবং পুরুষের হস্তক্ষেপে তারা অভ্যস্ত নয়। সুতরাং রাত্রির প্রথম প্রহরে ওই কার্য করতে গেলে কুমারী কন্যা চেঁচিয়ে মেচিয়ে একাকার করবে, ধরা টরা পড়ে গেলে নভিস তস্করের পরদিবস শূল অবধারিত।
    কিন্তু বিবাহিতা স্ত্রীলোকের গায়ে সর্বদা তার স্বামী সন্তানের হাত পড়ছে, তাতে তারা অভ্যস্ত, ফলে তাদের নিদ্রাবেশের বিন্দুমাত্র ব্যঘাত না ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে তাদের শরীর থেকে অলঙ্কার হরন করা চলে।
    রোজ রোজ কোন কুমারী কন্যাকে জড়িয়ে ধরে শুলে তার এই 'স্বাভাবিক' অনুভুতি নষ্ট হতে বাধ্য, অন্তত মহাবিদ্যা তো সেরকমই বলছে।

    আরও কয়েকটা বহু পরিচিত পুরোনো তথ্য মূহুর্তের মধ্যে আমার মনের মধ্যে খেলে গেল -
    ** শিশুদুটির মা, কিন্তু ডিভোর্সী। মাত্র চার বছরের জন্য সে বিবাহিত ছিল। তারই মধ্যে এই শিশুদুটির জন্ম। বর্তমানে সে তার পিতার আশ্রয়েই থাকে। যদিও সে অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ন স্বাবলম্বী।
    ** ভদ্রলোকের অবিবাহিতা দ্বিতীয় কন্যা নাকি বর্তমানে সামান্য মানসিক 'অবসাদগ্রস্ত'। তবে সেটুকুর জন্যেও তাকে কিছুদিন হল ওষুধপত্র খেতে হচ্ছে। সেও পিতার আশ্রয়েই থাকে। ('নাকি' বললাম এইজন্য, যে আমার তাকে এমনিতে স্বাভাবিকই লাগে। একটু ছিটিয়াল, তবে সে তো আমাদের বংশের সবাই।) (ইনি কিন্তু সে ট্রিপে আমাদের সঙ্গে ছিলেন না, অফিসের কাজে আটকে গিয়েছিলেন।)
    ** বহুদিন আগে, প্রথম কলেজে ঢোকার সময় আমাদের বাড়িতে ওই দ্বিতীয় কন্যাটিকে কয়েকদিন থাকতে হয়েছিল। তখন আমি তার মধ্যে অনেকটা ব্যাংদির Date:25 Aug 2012 -- 01:15 PM পোস্টে বর্নিত আচরনের মত সিমটম দেখেছিলাম। সে সময় আমার মনে হয়েছিল এটাই হয়তো স্বাভাবিক। কারন মানব, বিশেষত মানবীচরিত্র সম্পর্কে আমি কিই বা জানি। আজ কিন্তু পাহাড়ের ওই অন্ধকার রাত্রে এই সামান্য কটি তথ্যই আমার কাছে সম্পূর্ন নূতন অর্থ নিয়ে হাজির হল।

    এর বেশী আর আমি কিছুই বলব না। আপনাদের কাছেও ওপরে বলা ঘটনা আর তথ্যগুলো আদৌ অর্থবহ হচ্ছে কি? যদি না হয়, তবে খুব ভাল।

    আমার সেই আগে বলা বন্ধুর মত আমিও চাই বালির মধ্যে শুধু মাথাটুকু গুঁজে নিজেকে নিরাপদ ভাবতে। আমার আত্মীয়কে আমি দেখতে চাই একজন বিবাহবিচ্ছিন্না দুঃখী কন্যার দায়িত্বশীল পিতা হিসাবে, একজন সামান্য মানসিক অবসাদগ্রস্ত সন্তানের উদ্বিগ্ন পিতা হিসাবে। পিতৃস্নেহে বঞ্চিত দুই শিশুকন্যাকে বুকে জড়িয়ে ধরা এক প্রপিতামহ হিসাবে।
  • sch | 125.242.176.226 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ০৩:২৬571220
  • কিন্তু ভদ্রলোকের সাথে কথা বললে কি হত? উনি যদি বুঝতেন ওনার এই বাজে ব্যপার কেউ খেয়াল করেছে হয়তো সাবধান হতেন
  • VB | 161.141.84.239 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩৬571221
  • আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েও শিশুকন্যা দুটির মা ভদ্রমহিলা নিজের পিতার কাছে আছেন কেন, এটা একটা প্রশ্ন।
    মহিলার মাতা মানে শিশুদুটির দিদিমা বেঁচে আছেন কী?
    এই শিশুকন্যা দুটির মাসীমা মানে যিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী, তিনি ও নিজস্ব বাসস্থান খুঁজে নেন নি কেন?

    এইসব নানা প্রশ্ন, আর ঐ কঠিন নাম ওয়ালা বাচ্চা ছেলেটির ব্যাপারটা বোঝা গেলো না, সেখানের বুড়োটাকেও বিশেষ বোঝা গেলো না, নাম জিগ্গেস করে না উত্তর পেলে অনেক ভোম্বাটাইপ বুড়োদের ক্ষেপে যেতে অবশ্য দেখেছি। এ ক্ষেত্রে বুড়াটাকে ঘাড়ে রোঁ টাইপ বুড়ো শালিখ বলে মনে হলো একেকবার, কিন্তু এদেরকে উপেক্ষা করা অসম্ভব কি?
  • VB | 161.141.84.239 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ০৩:৪৭571222
  • কেলো, সেই আগের ঘটনায় বর্ণিত বাচ্চাটির স্কুল সম্পর্কে তৃতীয় সম্ভাবনাটিও যাচাই করবেন তো?
    ঐ স্কুল কি খুবই বড়লোকদের ও ট্যাঁশ কালচার ডমিনেটেড স্কুল? এই পরিবারটি কি ট্র্যাডিশনাল ও মধ্যবিত্তপন্থী? এই বাবামা দুটি কি সত্যি ই খানিকটা সন্ত্রস্ত ও তটস্থ ঐ বড়লোক স্কুলের প্রিন্সিপালের ব্যক্তিত্বের সামনে? ঐ স্কুলের টিচার বা অন্যরা কেউ কি বুড়া লোকটিকে চেনেন বা প্রত্যক্ষ করেছেন কোনোভাবে(এই যেমন বাচ্চাটাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসা বা স্কুলে পৌঁছে দেওয়া এইরকম কোনো ব্যাপার থাকলে! )
    তাহলে তিন নম্বর সম্ভাবনা নাকচ করা যাচ্ছে না কিন্তু।
  • i | 147.157.8.253 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ০৭:১৪571223
  • কেলোবাবু,
    এই সুতোয় এত কিছু কথা হয়ে গেছে ধরণা ছিল না। সব পড়লাম।
    আপনি যে ঘটনাটি জানিয়েছেন খোলা পাতায়, সেটি পড়ে চুপ করে বসে থাকা আমার অন্যায় হবে।
    এই ঘটনায় তথাকথিত বাইরের লোকের কিছু করা শক্ত মেনে নিচ্ছি। সত্য ঘটনা কি সেইটে জানতে হবে সবার আগে। সেইটে কি করে সম্ভব?
    নতুন স্কুল, আপনি যেমন লিখেছেন -এরকম কোনো উদ্যোগ নেবে না বলেই মনে হয়।
    এদিকে সময় চলে যাচ্ছে।
    যা পড়লাম এতক্ষণ, তাতে মনে হচ্ছে আপনার তৃতীয় বন্ধুটি যাঁর কাছে এই দম্পতি মতামত চেয়েছিলেন, তিনি -ই সাহায্য করতে পারেন। আপনি এই তৃতীয় বন্ধুটির সঙ্গে কথা বলুন। তিনি যেন এই দম্পতির সঙ্গে কথা বলে শিশুটিকে কোনো বিশেষজ্ঞর কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আগে সত্যিটা জানা জরুরী। ভূত আছে কি নেই।
    কেলোবাবু, কিছু করুন। সময় চলে যাচ্ছে।
  • ব্যাং | 132.178.192.127 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ০৭:২৭571224
  • ছোটাই, কাল আমি এই সময় চলে যাওয়ার কথাটাই বোঝাতে চাইছিলাম কেলোকে। কেলোবাবু নিশ্চিৎ না হয়ে এগোতে চাইছেন না, মনে হয়।
  • i | 147.157.8.253 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ০৭:৩৬571226
  • ব্যাং,
    তৃতীয় বন্ধুটি ছাড়া আমি এই মুহূর্তে আর কোনো পথ দেখছি না। ভূত সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে গেলে বাবা মাকে বিশেষজ্ঞর কাছে যেতে হবে শিশুটিকে নিয়ে। স্কুল কি জানিয়েছে খুলে বলতে হবে। দরকার হলে বিশেষজ্ঞ পুরোনো স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
    সত্যি ভূত থাকলে একটা করে দিনের চলে যাওয়া শিশুটিকে কোথায় নিয়ে চলেছে ভাবতে পারছি না।

    কেলোবাবু,
    অপেক্ষা করা ভালো। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন