এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুসুম্বা | 120.227.224.195 | ৩০ মে ২০১৩ ১৬:৪৯609230
  • দীর্ঘ আইনী টানাপোড়েনের পর নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যসরকার নিজ নিজ ক্ষেত্রে আধিপত্যের ছাড়পত্র পেলে শেষে পঞ্চায়ত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে, শুরু হয়েছে প্রথম পর্বের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ, কিন্তু অনিশ্চয়তা তবু যেন কাটেনি। প্রথম সকালেই শাসক দলের আস্ফালন ও নিরাপত্তা বাহিনীর অপ্রতুলতা ইঙ্গিত দিয়ে গেছে বাকী দিনগুলো কেমন যাবে।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ৩০ মে ২০১৩ ১৬:৫০609341
  • নামটা বেশ
  • কুসুম্বা | 120.227.224.195 | ৩০ মে ২০১৩ ১৭:২২609385
  • গত পঞ্চায়ত থেকে এরাজ্যে বোঝা গেছিল পরিবর্তনের হাওয়া। প্রায় অর্ধেক গ্রামে ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর লোকসভা ও অবশেষে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্য সরকারে দু'বছর হল ক্ষমতায় টিএমসি। এবারের পঞ্চায়ত নির্বাচন ক্ষমতাসীন টিএমসির প্রথম এসিড টেস্ট। আরো তিনবছর পর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনেকাংশে এই নির্বাচনের ফলাফলে নিহিত থাকবে, যদি না মাঝ্খানে ঘটে যায় বড় কোনো ঘটনা।
  • কুসুম্বা | 120.227.224.195 | ৩০ মে ২০১৩ ১৯:০৭609396
  • একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে গত দু'বছরে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের বৃহদংশেরই নতুন সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি যে মোহ ছিল তা ভেঙ্গে গেছে। সারা দেশের মত এরাজ্যেও কৃষিতে সার্বিক সঙ্কট বিরাজ করছে এবং বিদর্ভের মত গণ হারে না হলেও কৃষকের আত্মহত্যা এরাজ্যেও ক্রমাগত বেড়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বারবার কৃষক জীবনের সেই বাস্তবতাকে অস্বীকার করেছেন, পারিবারিক কোন্দলকেই দায়ি করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটেও দিয়েছেন বারবার। একদম প্রান্তিক কৃষকেরা, যারা সপরিবারে গায়ে গতরে খেটে কোনরকমে গ্রাসাচ্ছদন জোগাড় করে নিতে অভ্যস্ত, তাঁদের অনেকেই আতঙ্কিত হন যখন রাজ্য সরকার খাস জমির ওপর তাঁদের অধিকারকে 'জমি ডাকাতি' বলে খারিজ করে দেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে খাসজমি হাত্ছাড়া হয়েছে, অনেক বর্গাদার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে লড়ছেন। ছোট ও মাঝারী কৃষকেরা গত দু'বছরে তেমন লাভের মুখ দেখেননি। সারের দাম দ্বিগুণ হয়েছে, কিন্তু ফসলের দাম পাননি। সরকারের ধান ক্রয় পদ্ধতি তাঁদের কাছে আসলে চলকলগুলোর সুবিধার্থে এক ধাপ্পাবাজী হিসাবেই প্রতিভাত হয়েছে।
  • siki | 132.177.219.49 | ৩০ মে ২০১৩ ১৯:০৮609407
  • এতটা "নিশ্চিতভাবে" কী করে বলা যাচ্ছে?
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩০ মে ২০১৩ ২১:৪৯609418
  • আর রয়েছে গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক দিনমজুর। বিগত দেড়-দু দশকে আয়তন ও বৈচিত্র্যে গ্রামীণ এই সর্বহারা শ্রেণি ব্যাপক আকার নিয়েছে। চাষ ছাড়াও পরিবহন, নির্মাণ ইত্যাদিতে বহু মানুষ যুক্ত থাকায় গ্রামের সম্পর্কগুলো কিছুটা বদলেছে বটে কিন্তু কংগ্রেসি রাজনীতির সাথে তারা হাড়ে হাড়ে পরিচিত বলেই তৃণমূল কঙ্গ্রেসের প্রতি তাঁদের মোহ আরো আগেই ভাঙ্গতে শুরু করেছে, যেখানে যেখানে তাঁরা গত পঞ্চায়ত থেকেই ক্ষমতায় দেখেছেন সেখানেতো বটেই।
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩০ মে ২০১৩ ২১:৫৩609429
  • কারন, সেরমই দেখেছি বুঝছি, সিকি।
  • PM | 181.7.17.229 | ৩০ মে ২০১৩ ২১:৫৫609440
  • গ্রামে থাকেন?
  • DB | 125.187.45.1 | ৩০ মে ২০১৩ ২২:১৪609451
  • পঞ্চায়েত ইলেক্শন যদি আদৌ হয় - দ্রষ্টব্য হবে সিঙ্গুরের ফলাফলটা।
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩০ মে ২০১৩ ২২:২২609231
  • হ্যাঁ, পিএম।
  • চান্দু মিঁঞা | 233.233.77.20 | ৩০ মে ২০১৩ ২২:৩৭609242
  • কুসুম্বার মুখে ফুলচন্দন।
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩০ মে ২০১৩ ২২:৫১609253
  • যত শত গ্রামগঞ্জে পাইকারি হারে মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবরা রেল বা অন্যত্র চাকুরীর প্রতিশ্রুতিতে টাকা+আনুগত্য প্রদান করে প্রতারিত হয়েছে তারা প্রকাশ্য গুণগান গাওয়া আগেই থামিয়েছে, সারদা কান্ডে সততার ফানুষটাও ফেটেছে। এইসবই দেখতে জানতে দেখছি, কিন্তু তাতে কি? প্রত্যাশার মোহ ভাঙ্গলেইবা কি?
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩০ মে ২০১৩ ২২:৫৩609264
  • হ্যাঁ, চান্দু মিঞা, তাতেইবাকি?
  • PM | 181.7.17.229 | ৩০ মে ২০১৩ ২৩:০৪609275
  • তাহলে আপনার কথা মন দিয়ে শুনবো। শহুরে মনুষদের মুখে গ্রাম আদিবাসী উন্নয়নের থিওরি কপচানো শুনে শুনে হেজে গেছি
  • siki | 132.177.219.49 | ৩০ মে ২০১৩ ২৩:৫১609286
  • গ্রামের রিফ্লেকশনটা জানতে চাই, কুসুম্বা। শহর এলাকার মতিগতি মোটামুটি বুঝছি। জানতে পারছি নিয়মিত। গ্রামের বাপারে পুরো অন্ধকারে। একটু বিস্তারিত লিখবেন? কী দেখছেন, কী বুঝছেন?
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩১ মে ২০১৩ ০০:১৩609297
  • তাতেকি! গ্রামে আরো মানুষ থাকে, গ্রামের মাঝ্খানে উঁচু নিরাপদ জাতের ভিটেতে তাঁদের বাড়ি থাকে, গঞ্জে ব্যবসা থাকে, পরিবহন বা কৃষি উপাদানের বাজারে অধ্যবসায়ী দখল থাকে, বিদ্যে থাকে বুদ্ধি থাকে, পরিবারে চাকুরী থাকে, শহর নগরে যোগাযোগ থাকে, সবশেষে জমি থাকে, আরো কী কী যে থাকে আল্লা জানে, সব মিলিয়ে অল কায়্দা রপ্ত করে ঘুঘুর বাসা বানানোর শলা করার অখন্ড অবসর থাকে। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা এঁরাই শাসক দলেদের ভরসা। এই মালগুলোকেও ফরসা কোরে দেওয়া যায়, কিন্তু সে বহু যুগের মনীষার কাজ!।

    পিএম,
    পঞ্চায়তের ভেতর টুকরো চিত্রমালা চলমান! দূর/শহর থেকে কি দেখছেন জানাবেন। আচ্ছা, গুচতে কীভাবে ইমোটিনো দেয়!!!
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩১ মে ২০১৩ ০০:৩৫609308
  • তার চেয়েও বড় বিষয় হোল, ওই যে ভুমিহীন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক, তাদের ভরসাওত ওনারাই, অতশত সরকারী দরকারী কাগজ-কার্ড, সই-সাবুদ, এমনকি ভায়ে ভায়ে মারকাটের মীমাংসার নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষ। মাঝারিদের কাছে এনারা- পৌঁছনো গেলেও যেতে পারে এমন লক্ষ্য।
  • কুসুম্বা | 116.198.206.228 | ৩১ মে ২০১৩ ০১:৪৮609319
  • গ্রামের অভ্যন্তরে শ্রেণী সম্পর্ক, বা বলা ভাল, শ্রেণী সংগ্রামের শর্তগুলো বেশ খনিকটা বদলে গেছে ওই শেষোক্ত দিনমজুরদের বৈচিত্র্য ও আয়্তন বৃদ্ধিতে। গ্রামের শ্রমজীবিদের অনেকেরই মজুরীদাতা/মালিক এখন গ্রামের বাইরে শহরে(দূর ব নিকট)। এই অংশটা গ্রামীণ বনেদী বন্ধন থেকে খানিকটা মুক্ত, যদিও লেবার দালালদের মাধ্যমে নতুন বাঁধন তৈরী হতে দেখছি। উল্টোদিকে, গ্রামের ভেতর প্রত্যক্ষ শ্রম-মজুরী/জমি সম্পর্কে যুক্ত না থাকায় এঁরা খানিকটা যেন উদাসীন। যেখানে যেখানে জোরালো মজুরী আন্দোলন হয়েছে বা হচ্ছে সেখানে সেখানেই একমাত্র আশু ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে শ্রেণীগত স্বার্থের প্রয়োজনিয়তা উপলব্ধি করতে পারেন এঁরা, যদিও সমস্ত গরীবদেরই একধরণের অস্ফুট ঐক্য সর্বত্রই পরিলক্ষিত হয় বলে আমার ধারণা যা নিজে নিজেই কোন রাজনৈতিক সংঘবদ্ধতায় পৌঁছয়্না।
  • PM | 68.8.1.62 | ৩১ মে ২০১৩ ১০:৫২609330
  • পরেরটা?
  • kusumbaa | 80.39.185.55 | ৩১ মে ২০১৩ ১৪:২০609353
  • প্রান্তিক বা ছোট চাষীরা বড় মালিকের জমি ভাগে চাষ করে। আগে জমি ভাগে পেতে হলে চাষীকে প্রায় সারা বছর সপরিবারে মালিকের বাড়ির বিভিন্ন ক্রীয়াকম্মে টুকিটাকি শ্রম দিতে হত মালিক মালকিনদের খুশি রাখতে, চাষে লাভ কমে যাওয়ায় ও অন্যত্র মজুর খাটার স্কোপ থাকায় মালিকরাই বরং খরার কষ্টসাধ্য চাষটার জন্য ভাগীয়ারদের যেচে প্রস্তাব দেয়। তবে লেট, বায়েন, মাল পাড়াকে দিনের বেলায় অচ্ছুত্‍ করে রাখলেও সন্ধ্যার পর অমুক বাবুর তমুক বাউরির ঘরের বৌ-বিটিদের প্রতি সোহাগ নিয়ে টোন টিটকিরী এখনো কখন কখন শুনতে পাই।
  • kusumbaa | 80.39.185.64 | ৩১ মে ২০১৩ ১৫:৫০609364
  • গ্রামীন রাজনীতিতে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে গরীবদের জন্য হাজার রকম সরকারী প্রকল্প ও সেই সংক্রান্ত কাগজ-কার্ড। রাষ্ট্র/সরকার যে একদা খাজনা নিংরে নেওয়ার বহিরাগত সংস্থা ছিল কৃষক সমাজের কাছে, এখন সে দান খয়রাতি করার প্রভু হিসাবে যেন গ্রামীন সমাজেরও অঙ্গ। এইসব সরকারী প্রকল্পের, অন্নপূর্ণা অন্তোদয় ইন্দিরা আবাসন যোজনাই হোক বা এনরেগা, সুধাভাণ্ড দখলে রাখতে গ্রামীণ সম্পন্ন পরিবারগুলো রাজনৈতিক দলগুলোকে কাজে লাগানর কায়দা কৌশল বংশগত দক্ষতায় রপ্ত করে নিয়েছে। আর, গরীব মানুষগুলো হয় অভিমানভরে সরে থাকে অথবা মনে মনে ঘৃণা পোষণ করেও কীভাবে একটু আধটু ঘুষতেল মেরে পঞ্চায়ত প্রভূদের কাছ থেকে কিছু সুযোগ টানা যায় সেই চিন্তায় মশগুল থাকে। সুবিধাভোগী বা বেনিফিসিয়ারী থেকে অধিকার অর্জন বা অংশিদারীত্বের লড়ায়ের চেতনায় পৌঁছানোই এক দীর্ঘ আঁকাবাঁকা পথ। বিশেষত সিপিএম জমানায় সবচেয়ে উপেক্ষিত থেকেছে এই দিকটাই। সরকারী সংস্কার কর্মসূচীকে এড়িয়েই শ্রমজীবি শ্রেণীর রাজনীতি শক্তিশালী করা যাবে তা আমি বলছিনা, কিন্তু সিপিএম গ্রামীণ শ্রমজীবি বা কৃষিমজুরদের শ্রেণীগতভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে চায়না কখনো, কৃষক আন্দোলনে বিভাজন তৈরী হবে এই যুক্তিতে! উপরন্তু তারা এই পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির গাড্ডাতেই ঠেলে দেয় গ্রামাঞ্চলের দ্রুত বিকাশশীল ও সম্ভাবনাময় সর্বহারা শ্রেণীকে।
    ছোট বেলায় কেবলমাত্র রেশন কার্ড দেখেছি, এখন কত কিছু! রাষ্ট্র গ্রামীণ শ্রমজীবিদের একটি শ্রেণী হিসাবে দেখতে বা সংগঠিত হতে দিতে চায়না। হাজারো ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয় সেই কারনেই। এইসবই আলোচিত চর্চিত বিষয়, যেখানে রয়েছি সেখানেও এইসব দেখি বলেই বললাম। এবারের পঞ্চায়ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরো গভীর বিষয় আসয় উদ্ঘাটিত হবে আশা রাখি, যদি দেখার চোখটা আমার খোলা থাকে। আমাদের অঞ্চলটাতে নকশালপন্থীরাও আছে বলে এবং তাঁদের সাথে আমার সুসম্পর্ক আছে বলে সবকটা লুক পাওয়া যেতে পারে। ফরোয়ার্ড ব্লকের এক কর্মী বন্ধু বললেন আগামী কাল বিডিও অফিসে অল পার্টি মিটিং।
  • PM | 181.7.185.149 | ০১ জুন ২০১৩ ১৯:৫৬609375
  • এটাতে কি আর কিছু লেখা হবে না?
  • kusumbaa | 80.39.185.47 | ০২ জুন ২০১৩ ০২:১৯609379
  • আমাদের জেলায় নমিনেশন শুরু হচ্ছে ৩তারিখ, মানে সামনের সোমবার থেকে। আমাদের অঞ্চল মূলত লেট, মাল, বায়েন, বাউরিদের বসতি। মধ্য অংশটা মুলত সদ্গোপ, সাধারণত মণ্ডল বা ঘোষ পদবি/উপাধি যাদের। ঝাড়খণ্ড বর্ডার বেশী দূর নয়, অঞ্চলের দুটো জিপি আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত। সিপিআই(এমএল) এর এক বন্ধু আক্ষেপ করে বলছিলেন যে সিডিউলড কাস্ট/ট্রাইব সার্টিফিকেট কারো নাই বললেই চলে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রেত কথাই নাই। এর থেকে পড়াশোনা বা চাকুরী যে এই পরিবারগুলির স্বপ্নের আকাশেও অনুপস্থিত তা বুঝতে পারি। সরাসরি আর্থিক পাওনার সাথে সম্পর্কিত কাগজ, যেমন রেশন কার্ড, বিপিএল কার্ড, জব কার্ড ইত্যাদি দৌড়ঝাঁপ করে বের করলেও কাস্ট সার্টিফিকেট বের করতে কোন আগ্রহ নাই। অল্প কিছু পরিবারের যে ছেলেরা একটু উঁচু ক্লাস, মানে ওই নাইন টেনে উঠেছে তারা সার্টিফিকেট বের করেছে। বিবাহিতা মহিলাদের ক্ষেত্রে আবার বাপের বাড়ির ডকুমেন্ট লাগে বলে ওসব ঝামেলার প্রশ্নই ওঠেনা। অথচ এবার ৫০% আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত এবং তার একটা বড় অংশ সিডিউলড কাস্ট/ট্রাইব। মহিলা সংরক্ষণ প্রসঙ্গে একটা টাটকা গল্প মনে এল। ক'দিন আগেও একটি ছেলেকে জানতাম পঞ্চায়ত সদস্য। এবারো সে দাঁড়াচ্ছে। কথায় কথায় জানতে পারলাম এবার তাদের জিপি টা মহিলা রিজার্ভ না হওয়ায় সে দাঁড়াচ্ছে। তাহলে এতদিন যে তাকে পঞ্চায়ত অফিসে সই সাক্ষর করতে দেখতাম! জানতে পারলাম যে গত পাঁচ বছর ধরে তার মায়ের হয়ে সে সই করত! তবে এটা কিন্তু একটি এক্সট্রীম ঘটনা। সব ক্ষেত্রে সদস্যার হয়ে ছেলে বা স্বামীকে কাজ করার এই অধিকার সাধারণ মানুষ দেবে বলে মনে হয়না। তবু একটি পঞ্চায়ত সমাতির সভানেত্রীর কন্ট্রাক্টর স্বামীর সর্বদা ব্লক অফিসে ঘুরঘুর করার কথা শুনলাম। ফরোয়ার্ড ব্লকের বন্ধুটির কাছে শুনলাম নথীভুক্ত কন্ট্রাক্টারের প্রত্যক্ষ সম্পর্কিত কেউ পঞ্চায়ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেনা। যাই হোক, যেসব মেয়েরা সেল্ফ হেল্প বা রন্ধন কর্মী বা আশা কর্মীর কাজ করায় গণ্ডীটাকে একটু আধটু প্রসারিত করে নাতে পেরেছেন তাঁদের জন্য এই সংরক্ষণ একটা সুযোগ। কিন্তু, বড় দলগুলো অমুকের বৌ বা তমুকের মা হিসাবেই প্রার্থী বাছে এবং উল্টোদিকে, সিপিআই(এম এল) এর মত দল থেকে ওই মহিলারা প্রার্থি হতে ভয় পান কাজ হারানর শঙ্কায়।
    নমিনেশনে বাধা দেওয়া অব্যাহত আছে। বিধানসভা ভোট যে আবহে হয়েছিল, আর পঞ্চায়ত হচ্ছে যে পরিস্থিতাতে তার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। মাত্র দুবছরের সীমিত সময়ের কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের দোষ ত্রুটি আড়াল করতে চাইছেন। কিন্তু পঞ্চায়েতেযে বহু যায়গায় পাঁচ বছর ধরেই তাদের দেখছে মানুষ। চিটফাঁকের পর তার বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক কমে গেছে সাধারণ মানুষের কাছে। আর্ত মানুষের কাছে সবার আগে পৌঁছে যাওয়ার মমতাময়ী রূপটা বদলে যাওয়া কি শুধু শহরবাসীর শিক্ষিত চোখই দেখতে পায়! আর কেউ না জানলেও মমতা ও তার লেফটেনান্টরা নিশ্চিতভাবেই জানেন যে সন্ত্রাসের আবহ ছাড়া তাদের পঞ্চায়ত বিজয় অনিশ্চিত।
  • cb | 99.231.125.36 | ০২ জুন ২০১৩ ১৫:৫২609380
  • কিন্তু কুসুম্বাউ, দেখলেন কি, কি ভাবে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাপারটা সুন্দর কাটিয়ে দিল। হাই কোর্ট কেও মুর্গি বানিয়ে দিয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন কে ১০ গোল।

    আরে যে সরকারে ইমার্জেন্সির সহনায়্ক বসে আছেন , ছ্যাঁছরামি আর শঠতায় তাদের সঙ্গে পারা মুশকিল
  • kusumbaa | 80.39.185.26 | ০২ জুন ২০১৩ ১৮:১৫609381
  • cb,
    সিপিএমের এক স্থানীয় নেতা টিএমসির একজনকে বলছিলেন , "সেইত কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কথাই বলতে হচ্ছে, তাহলে যে তখন খুব বিজয় হয়েছে বলছিলি?" কিন্তু বাহিনী যখন আসবে ততদিনে পঞ্চায়ত পাঁঠাটাকে মোটামুটি জবাই করে ফেলবে টিএমসি।
  • kusumbaa | 80.39.185.120 | ১৪ জুন ২০১৩ ০৯:৩৬609382
  • জেলার এই দিকটায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংস্কৃতি আছে বলেই কি টিএমসি জেলা সভাপতি এখানে কর্মী বৈঠক করে বিরোধীদের গায়ের জোরে আটকানর জন্য তাতাচ্ছিল? গত বছর নভেম্বরে লোবা অঞ্চলে গ্রামবাসীরা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন যখন, তখন এই কেষ্টা মন্ডলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘৃণা দেখেছিলাম। খোলা মুখ কয়লা খনির জন্য এমটা গোষ্ঠির হয়ে জমি কেনার দালালীতে ওই এলাকার কৃষকদের সাথে ব্যাপক জুলুম ও প্রতারণার মূল নেতা ছিল এই অনুব্রত। এই নির্বাচনে লোবা অঞ্চলে সবকটি আসনে ভোট লড়ছে কৃষি জমি রক্ষা কমিটি।
  • কুসুম্বা | 116.198.192.246 | ১৪ জুন ২০১৩ ১১:৫৬609383
  • খনিকটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আছে বলেই হয়্ত এখানে ভীতি প্রদর্শনের পদ্ধতিটা অন্যরকম। একটি সাঁওতাল মেয়ে উইথ্ড্র করে নিল। পাথর ক্র্যাশারে দুর্ঘটনার পর সেযে দৈনিক ৫০টাকা পেত তা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে মালিক। আরেকটি মেয়ে রন্ধনকর্মী, উইথ্ড্র করবে ভাবছে, কারন টিএমসি জিতলে তার কাজটা থাকবেনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মীর পান্ডের কমিশন এসবের হদিস কখনই পাবেনা। অনুব্রত মন্ডল প্রকাশ্যে বাধাদানের কথা বলার পরওকি কমিশন তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে?
  • কুসুম্বা | 233.223.137.177 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ১৩:০০609384
  • নির্বাচনটা হচ্ছে শেষতক। ভোট যে কত শতাংশ পড়বে কে জানে। চাষের কাজ তুঙ্গে উঠবে। এই গড়িমসি আর টালবাহানাতে বিরক্তও অনেকে। আবাপানন্দর সমীক্ষা নিয়ে গুরুরা কি বলছেন?
  • cb | 99.231.112.83 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ১৪:১২609386
  • দ্বিমতের তো কোন কারণ দেখছি না
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন