এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 213.99.212.54 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৯:৫৯609321
  • হ্যাঁ অবশ্য অমুকে টিসিএস, অমুকে সিটিএস, অমুকে ম্যাকইন্জে , তমুকে এন ডি টিভি বা আবাপ র ক্যাডার এই সব বলা হয় না। ব্যক্তি স্বাধীনতার পরাকাষ্ঠা এই সব জায়্গায়।
  • কুসুম্বা | 80.39.185.122 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১০:০৪609322
  • লেটপাড়ায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। প্রসঙ্গ উঠলে বলল যে লেটরাও বাগদিইত! একটু অবাক হলাম। মাল ও লেট- এই দুই পদবীধারীদের যে সম স্তরের মনে হয়না! এই জেলা ও অন্য জেলা থেকে আসা মাল পদবীর বেশ কিছু তরুণ বন্ধু আছে আমার যাঁরা উচ্চ শিক্ষা বা পেশায় যুক্ত আছেন। কিন্তু লেটদের মধ্যে যেন তুলনামূলকভাবে কম দেখি? আড্ডার বন্ধুরা জানায় যে আমি ঠিকই ধরেছি, লেটরাও বাগদি, তবে তারা কুশবাগদি। কুশ বাগদি! আগে শুনি নাই, ওঁরা ও বলতে পারলেন না কুশ শব্দটা কি বোঝাচ্ছে বা কীভাবে তা বাগদির আগে জুড়ে বসল। কান পেতে থাকতে হবে, এবিষয়ে কিম্বদন্তি কিছু বলে কি না।
  • কুসুম্বা | 80.39.185.41 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১১:১৫609323
  • ১৯এ মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য প্রশাসনের তত্‍পরতা চলছে, বিশেষত কাটিকুন্ডুর পর এই এলাকাতে মাওবাদী খাতে সরকারী বরাদ্দ নিশ্চয় বেড়েছে। রাস্তার ধারের প্রাচীর বা এসডিও অফিস রং হবে, দেখলাম কাল।

    এদিকে, আমি যেন ক্রমাগত ঢুকে পড়ছি আরো ভিতরে।

    গত বিধানসভায় ভোট দিলেও সবাই যে তিনো দলে যোগ দিয়েছিল এমনটা নয়। সিপিএমের কৃষক কমরেডদের অনেকেই বিভিন্ন দলে ছড়িয়ে পড়েছে, একটা গ্রামে বিজেপিকে পরিচালনা করছেন এমনও দেখেছি। ৫টা গাঁয়ে একপর্ব প্রচারাভিযান চলার পর এঁদেরই অনেকে সিপিএম থেকে এমএলে আসা সেই দুই কমরেডের সাথে যোগাযোগ করছেন। ভোটে দুএকটা আসন নক্সালরা জিতে গেলেও অবাক হবনা।

    গাঁয়ের আনপড় উদলা গা নিরীহ আদিবাসী ও ছোটলোকগুলোকে ভূল বুঝিয়ে বা প্রলোভিত করে কিভাবে রাজনৈতিক দলগুলো স্বার্থসিদ্ধি করে-- শিক্ষিতদের ইত্যাকার উদ্বেগ আলোচনায় উল্টোদিকের উপাদানটি, অর্থাত্‍ এই শোষণ অসাম্যের ব্যবস্থাটির পুনরুত্‍পাদনে শিক্ষিতউচ্চদের সিংহভাগই জেনে বা নাজানার ভান করে লিপ্ত আছেন প্রলোভনের কোন টুপি পরে, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার বলে মনে হয়। অধিকন্তু, গাঁ গরিব মানেই সরল নিরীহ এমনটা মোটেই নয়।

    গুচতে আছি যারা আমরা মোটামুটি একই শ্রেণী উত্‍স থেকে আসা বলে মনে হয়।
  • j | 230.227.106.153 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ১৪:০৯609324
  • বীরভূমে নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা

    গত কাল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিরোধী প্রার্থীদের বাড়ি ‘ভেঙে জ্বালিয়ে’ দেওয়ার ‘ডাক’ দিয়েছিলেন। এমনকী তাঁদের সাহায্যে পুলিশ এগিয়ে আসলে পুলিশকে বোমা মারার ‘হুঙ্কার’ও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এ ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেল। আজ ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের কসবার গোপালনগরে। রবিলাল সোরেন নামে এক নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী রবিলালবাবুকে দুষ্কৃতীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আক্রান্তের স্ত্রী রাধিদেবী সরাসরি অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় নেতা কেষ্ট মণ্ডল ও তাঁর দলবল গয়না ও টাকা-পয়সা লুঠপাট করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপর তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, অনুব্রতর ‘হুমকি’ই এর প্রধান করাণ। ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হলেও এখনও ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের কিছু আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরাও এই ঘটনায় আতঙ্কিত। এবং যথেষ্ট ফোর্স না আসলে তাঁরা ঘটনাস্থলে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধেও গত কাল ‘বোমা মারার’ হুঙ্কার শোনা গিয়েছে খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতির গলায়। ফলে যে কোনও মুহূর্তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের।
    এ ব্যাপারে অনুব্রতবাবু জানিয়েছেন, বর্ষাকালে গ্রামে-গঞ্জে গোয়ালঘরে ধুনো দেওয়া হয়। তা থেকেই এই আগুন লেগেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর বা তাঁর দলের কোনও যোগাযোগ নেই।
    http://www.anandabazar.com/18sironam.html
  • h | 213.132.214.156 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ১৪:১৯609325
  • উনি পুলিশকে বোমা মারতে বলেছেন কিন্তু ইন্টারনাল বিরোধী দের বাড়িতে আগুন লাগাতে বলেন নি।

    মাইন্ড দ্য গ্যাপ।
  • ম্যামি | 69.93.196.18 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ১৪:৪৫609326
  • পড়ছি।
  • কালপুরুষ | 111.217.78.3 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ২০:৩৮609327
  • মুর্শিদাবাদের মঙ্গলজোন গ্রাম।ন্যাশনাল হাইওয়ে’র ধারে অবস্থিত।সেখানে এক অতি সজ্জন ঘোষমশাই থাকেন।তার নিজের একখানা স্টেশনারী দোকান আছে।জেরক্স হয়।গিফট পাওয়া যায়।মোবাইলের ক্যাশকার্ড থেকে কোল্ড ড্রিঙ্কস সবই মেলে।আশেপাশে সব হত দরিদ্রদের বাস।কেউ রোডে খাটেন।কেউ বা ভ্যান চালান।বাড়িতে মেয়েরা বিড়ি বাঁধেন।এদের মধ্যে ঘোষমশাই খুব জনপ্রিয়।তার বাড়ির পিছনে যেকটা আমগাছ আছে,তার প্রায় সব আম উনি এদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।তার দোকানে এদের জন্য সব সময় কেবল টিভি চলে।দরকারে কুড়ি-তিরিশ টাকা ধার মেলে যা কখনই ঘোষমশাই নিজে থেকে ফেরত চান না।মুর্শিদাবাদে স্কুলে ভর্তি হয়েছে অথচ নিয়মিত আসেনা,এরকম সংখ্যা প্রচুর।আমি শিশুশ্রমিকরা যেসব কাজে নিযুক্ত হয়ে থাকে,তার একটা চাক্ষুষ তালিকা করার জন্য ধূলিয়ান-ঔরঙ্গাবাদ বেল্টে ঘুরছিলাম।সেসময় ঘোষমশাই এর এলাকায় যাওয়া হয়।উদ্দেশ্য ছিল ঘনবসতি এলাকায় কিছু প্লাস্টিক কারখানা আছে,যেখানে যথেচ্ছভাবে শিশুশ্রমিক দের কাজে লাগানো হয়।ন্যুনতম দূষণমুক্ত পরিকাঠামো নেই।কারখানার বর্জ্য মিশছে পুকুরের জলে।সে জল এলাকার মানুষ চান,কাপড় কাচা এবং অনেক ক্ষেত্রে রান্নার জন্য ব্যবহার করেন।মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের...যাকগে,সেটা অন্য প্রসঙ্গ।
    শোষণ কিভাবে হয়,তা নিয়ে হাজারখানেক তত্ব আছে।আমি নিতান্ত মেঠো মানুষ।আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে বাস্তবে মানুষ অনেক সময় নিজেই বুঝতে পারেনা যে সে শোষিত হচ্ছে।স্বাধীনতার কদশক পেরোলো তা আজ ক্যুইজের প্রশ্ন।এতকাল পেরোনোর পরেও আমরা কি বোঝাতে পেরেছি মানুষকে যে এই গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোতে তার অধিকার কতটা?তার মৌলিক অধিকার কিকি?বা মৌলিক অধিকার জিনিসটা খায় না মাথায় মাখে?সলমন খান আর তার এদেশে কি একই অধিকার?যদি একই অধিকার হয়,তাহলে কোনো বড়লোকের বাচ্চা মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে মুম্বাইএর ফুটপাথে কটা গরিব কে পিষে দিলে কেন কোর্টে প্রশাসন অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর কেস দাখিল করে আর নিরীহ প্রশ্ন করার অপরাধে কেন নিছক মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এক গরিবের জেলহাজত হয়?
    ঘটনায় আসি,ঘোষমশাই যেখানে থাকেন,তার আশেপাশের বাড়ির ছেলে-ছোকরাদের স্কুলে আসার হার খুব কম।ঘোষমশাই বাড়ির পাশে একটা প্লাস্টিকের কারখানা খুলেছেন।ছেলেগুলো সেখানে ***** কাকা’র দোকানে স্বেচ্ছাশ্রম দেয়।বদলে তাদের কাকা হয়ত পঞ্চাশ টাকা গুঁজে দিল,কি কটা লজেন্স বা কোল্ড ড্রিঙ্কস খাইয়ে দিল।ছেলেদের মায়েরা ঘোষমশাই এর বৌ-এর কাছ থেকে সময়ে অসময়ে টুকটাক ধার পায়,যা আর ফেরত দিতে হয়না।টিভিতে বাংলা সিনেমা দ্যাখে।ছেলের বাপেরা কাজে যাওয়ার আগে ও পরে ঘোষের দোকানে ফ্যানের হাওয়া খায়,ঘোষের অ্যাকাউন্টে বিড়ি ছেড়ে ফ্লেক টানে।এই পাড়ার একটি মেয়ে,রুবিনা সে স্থানীয় একটি স্কুলে ক্লাস টেনে পড়ে।পাতলা চেহারা,উজ্জ্বলদুটো চোখ।ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’র অর্পিতা ম্যাডাম।তার সুবাদেই এই উজ্জ্বল কিশোরীর সাথে আলাপ।মেয়েটি অভিযোগ করছিল কিভাবে ঘোষমশাই ওই এলাকার ছেলেদের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলে যেতে দেন না।রুবিনা’র নিজের বড় ভাই এভাবেই স্কুল ছুট হয়ে আপাতত রোডে কাজ করে।ছোটটিও হাতে কাঁচা পয়সা পেয়ে বিগড়ে যাচ্ছে।রুবিনা যখন ছোটভাইকে বকে তখন স্নেহশীল ঘোষমশাই রুবিনা কে মৃদু স্বরে বকেন যে একদিন স্কুলে না গেলে কি হবে?বাচ্চা ছেলে একটু খেলবেনা?প্রসঙ্গত,ঘোষমশাই এর নিজের ছেলে স্কুলের বাসে করে স্থানীয় শহরের একটি নামী বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়তে যায়।
    এবার শোষণের প্রকৃতিটা দেখা যাক।একজন অদক্ষ শিশুশ্রমিক স্থানীয় প্লাস্টিক কারখানাতে ফুলটাইম কাজ করে দৈনিক পায় ২০০ টাকা।সে কাজ করে কম পক্ষে দশঘন্টা।ঘোষমশাই কিন্তু কখনই ফুলটাইম কাজ করান না।তিনি হয়ত বলেন ওরে খানিকক্ষণ মেশিনটা চালিয়ে দেতো।কিংবা আরো কোনো টুকটাক কাজ করে দিতে।বিনিময়ে হাতে দু-পঞ্চাশ টাকা কিংবা চকোলেট দিয়ে তিনি কাজ করিয়ে নিচ্ছেন কমপক্ষে সাতটি ছেলে কে।প্রায় হাফদামে তিনি দুটি ফুলটাইম লেবারের কাজ পেয়ে যাচ্ছেন।আদতে দাক্ষিণ্যজাল বিস্তার করে তিনি কৃতজ্ঞতাপাশে কিনে রেখেছেন গোটা পাড়াকে।এরা স্কুলে যাচ্ছেনা।হাতে কাঁচা পয়সা পেয়ে ছোটতেই জুয়ার আড্ডায় বসছে,বিড়ি খাচ্ছে।এবং শোষনটা কোনোভাবেই ধর্মভিত্তিক নয়।কারণ ঐ পাড়াটি মিশ্র পাড়া।মিল একটাই,তারা সবাই ঘোষমশাই এর অনুরক্ত।
    অর্পিতা ম্যাডামের সাথে হেঁটে আসছিলাম।পথে অর্পিতা ম্যাডামের সাথে একটি লোকের দেখা হল।কথাপ্রসঙ্গে বুঝলাম লোকটি ঘোষমশাই এর পাড়ার একজন।অর্পিতা ম্যাডাম বকা দিচ্ছিলেন যে কেন তার ছেলে ঘোষের দোকানে কাজ করে।লোকটি মাথা নেড়ে বললো যে তার ছেলে মাঝে মধ্যে ওই টুকটাক কাজ করে বটে কিন্তু তার বেশী নয়।আর স্কুলে নিশ্চয় কাল থেকে যাবে।লোকটি চলে যাওয়ার পর অর্পিতা ম্যাডাম আমার দিকে তাকিয়ে বললেন “জানেন,এই একই কথা আমাকে অনেকবার বলেছে।কিন্তু ছেলেটাকে স্কুলে পাঠাবার ব্যাপারে কোনো উৎসাহ নেই”।
    শিশুশ্রমিক অধ্যুষিত এলাকার একটি স্কুলে ঢুকলাম।প্রধানশিক্ষকের সাথে কথা হচ্ছিল।তিনি জানালেন যে এই এলাকার প্রায় ৭০% ছেলে শিশুশ্রমিক।আর বেশিরভাগ মেয়ে বাড়িতে মায়েদের সাথে বিড়ি বাঁধে।টেকনিক্যালি তারাও শ্রমিকের মধ্যেই পড়ে।বিড়ি বাঁধে কোনো মাস্ক জাতীয় প্রোটেকশন ছাড়াই।মিড ডে মিলের দৌলতে অনেক শিশুর দুবেলা খাবার জুটছে।শুক্রবার দিন ডিম দেওয়া হয়।সেদিন খুব ভিড় হয়।অন্যান্য দিন গড়পড়তা উপস্থিতি ৫৫-৬০%।তিনি আক্ষেপ করলেন যে স্কুলগুলো আদতে টাকা পাওয়ার কেন্দ্র হয়ে যাচ্ছে।ড্রেসের টাকা,বিড়ির টাকা,বুক গ্রান্ট ইত্যাদি খাতের টাকা যখন দেওয়া হয়,তখন স্কুলে গার্জেনদের ভিড় লেগে যায়।অথচ ছেলে-মেয়ে ক্যানো দিনের পর দিন স্কুলে আসছেনা,তা নিয়ে গার্জেনকল করলে কারুর দেখা মেলেনা।
    বাঘাতে ঢোকার আগে একটা চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম।আলাপ হল এক মধ্যবয়সী লোকের সাথে।নাম নিতাই মাঝি।পেশায় দিন্মজুর।কথাপ্রসঙ্গে জানলাম,আমি যে স্কুলে গেছিলাম,তার ছেলেও সেই স্কুলে পড়ে।জিজ্ঞেস করলাম,
    “স্কুল থেকে মিটিং এ ডাকলে যান?”
    “না।যাওয়া হয়না”
    “ক্যানো?আপনাদের ভালোর জন্যই তো মিটিং?”
    “আমি লেবার খাটি দাদা।১৭০ টাকা রোজ।তার মধ্যে হেড মিস্ত্রি লেয় ৩০ টাকা।হাতে থাকে ১৪০ টাকা।বাড়িতে চারডা লোক।আমি মিটিঙ্ এ গেলে সেদিন আর কাজ পাবোনা।কাজ না করলে কে খেতি দিবে?”
    আমার কাছে উত্তর ছিল না।
    বাসটা ফেরার সময় একটা ধাবাতে দাঁড়ালো।আমি ব্যাগ থেকে Social Construction of Reality: a treatise in the sociology of knowledge বইটা বের করলাম।আমার খুব প্রিয় বই।এক আমেরিকান বন্ধুর উপহার।দু-চার পাতা ওল্টালেও মন থেকে ওই লাইনটা যাচ্ছিল না,
    “কাজ না করলে কে খেতি দিবে?”
    অর্থনীতিবিদ Jean Drèze তার সাম্প্রতিক একটা প্রবন্ধে খাদ্য সুরক্ষা বিলের নাম করেছেন।তার সাথে একমত হব কিনা ভাবছিলাম।কিন্তু যে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে গরিব নির্বাচন করা হয়,তা নিয়ে বিস্তর আপত্তি আছে।কিছুতেই মনটা ঠান্ডা হচ্ছিলনা।বাস চলতে শুরু করেছিল।খবরর কাগজে দেখলাম কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সাফল্য প্রচারে মোটা টাকা খরচ করছে।
    জানালার বাইরে তাকালাম।হাইওয়ের দুপাশে গড়ে উঠছে অনেক কারখানা।কৃষক তার জমি হারিয়ে পরিণত হচ্ছে অদক্ষ অসংগঠিত শ্রমিকে।কৃষিজমিতে গড়ে উঠছে আধুনিক টাউনশিপ।আর রাস্তার দুপাশে ঝুপড়ি’র সংখ্যা বাড়ছে।
    ইন্ডিয়া শাইনিং বস!
  • pi | 118.12.169.134 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ২০:৫২609328
  • কী অবস্থা ! আরো লেখ।
    অর্পিতাদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কী নিয়ে কাজ করে ?
    তারা এই শিশুশ্রম নিয়ে কোথাও অভিযোগ করেনি ?
  • কালপুরুষ | 111.217.78.3 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ২০:৫৫609329
  • অর্পিতা ম্যাডামেরা অনেক ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করে।শিশুশ্রম তার মধ্যে একটা।সমস্যাটা হচ্ছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের যথার্থ পরিসংখ্যান পাওয়া খুব মুশকিল।
  • pi | 118.12.169.134 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ২১:০৩609331
  • কিন্তু শিশুশ্রম নিয়ে কীধরণের কাজ হয় ? বাড়িতে বলে বোঝানো , না এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ ? যথার্থ পরিসংখ্যান না পেলেও , যেগুলো জানা, তাই নিয়ে তো অভিযোগ করা যায়।

    তবে, কথা হল, যে পরিবার থেকে বাচ্চাদের কাজ করতে কোনোভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, তারাও তো একরকম করে নাচারই। আইন করে বন্ধ করা হলেও তাদের অভাব তো থেকেই যাবে। কোনো না কোন ফর্মে শিশুদেরও রোজগারের পথে ঠেলতে তাঁরা বাধ্য হবেনই ।

    অন্য একটা জিনিস জানার ছিল। স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্প স্কুলে বাচ্চাদের টানতে সাহায্য করেনা ?
  • aranya | 154.160.226.53 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৬609332
  • শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে শিশুদের বাবা মা-র যথেষ্ট উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে - ডিফিকাল্ট।
    কালপুরুষ, কুসুম্বা - ভাল লিখছেন এরা। হতাশাজনক ছবি দেখতে খারাপ লাগে, কিন্তু যা সত্যি তা তো সত্যিই।
  • কুসুম্বা | 80.39.185.22 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১২:৩৬609333
  • বাইশ তেইশ দিন রাক্ষসের মতো পাতা খাওয়ার পর এখন লালা ওগরাতে শুরু করেছে চন্দ্রকীতে সাজিয়ে রাখা রসে টইটম্বুর পোকাগুলো, ঘর বানাতে ব্যাস্ত ওরা। দু দিনেই গুটি বানানো কম্প্লিট হয়ে যাবে, জানালেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পলু চাষী, এই বন্দএ পঞ্চ এনেছিলেন মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে। এইখানে এইত কয়েক মাস আগেও এসেছি আমি, এবার যেন চোখমুখ পাল্টে গেছে লোকগুলোর। পাঁচগাঁ থেকে লাদেন চেপে খানিকটা এসে তারপর হাঁটতে হাঁটতে ব্রাহ্মণীর সাথে দেখা হত আর তার পাড় বরাবর এঁকেবেঁকে পিছলে যেতে যেতে একসময় জল কাদার রাস্তায় নেমে গত বর্ষায় প্রথমবার ঢুকে পড়েছিলাম বিখ্যাত এই টিঠিডাঙ্গা গ্রামে, বিখ্যাত তার দুর্গমতা আর একই গ্রাম চারটি থানা ও দুইটি জেলার আওতায় পরার কারনে, ব্রাহ্মণী নদীর ওপারের টিঠিডাঙ্গার দুই অংশ খড়গ্রাম ও মাড়গ্রাম থানা আর এপারে নবগ্রাম ও নলহাটি২ থানা। এবার এলাম হু-হা, বাইকে চেপে ফটফট সাঁইসাঁই, সদ্য হওয়া পিচ রাস্তায়, কামালপুর আর এগাঁয়ের মাঝের জলা ভেদ করা ব্রীজের ওপর দিয়ে । কষ্ট কি কম করেছি গো, মাথায় করে রুগীকে টেনে নিয়ে যেইলছি কত, এখন কুন ব্যাপারই লয়, ট্রলি আছে, লাদেনও আছে গাঁয়ে একটা, তার ল্যেগে লয়, সাইকেলতো আছেই, আতের বেলা ঘর ফেরার ল্যেইগে আর ভাবতে হছেনা, এক গাল হেসে বলছিলেন তেজী যুবক বদর-এ-আলম, যিনি সারদার পতনের আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন যে তিনি যে কোম্পানীর হয়ে টাকা তুলছেন তারা টাকা ফেরত দেবেনা, ম্যাচিওর্ড হওয়া আমানতের কিছুটা তুলতে পেরেছেন, বাকী সমস্ত কাগজ সরকারের ঘরে জমা করেছেন, বেশী না, সামান্য এক দেড় লাখ টাকা, কিন্তু আমাদের ল্যেগে উটাইতো অনেক, বলেন? একটা ব্যবস্থা লিশ্চয় লিবে সরকার, বুলেন?

    গ্রামের ভেতর মসজিদের পাশে এসে শেষ হয়েছে প্রধান মন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার পিচ রাস্তাটা। গ্রামের চেহারাটা নতুন হয়ে গেছে। নিঝুম রাত্রি নামত সন্ধ্যা হতে না হতেই। এখন কাছাকাছি পাঁচ ছটা দোকান গুমটি নটা দশটা পর্যন্ত জেগে থাকে, গ্রামের একটা কেন্দ্র তৈরী হল যেন। রাস্তা থেকে একটু দূরের পাড়াঘরগুলি জল কাদায় খানিক প্রান্তে চলে গেল কি? স্থানীয় নিরীখে হয়ত তাই, তাদের এবার লড়তে হবে ভেতরের রাস্তা পাকা করার দাবিতে, কিন্তু সামগ্রিক নিরীখে কলকাতাও অনেক কাছে এসে গেল। চোখেমুখে একটা খুশি আর আত্মবিশ্বাসের ভাব তাই গোপন থাকছেনা।

    এপারের টিঠিডাঙ্গার মিলকি পাড়া হজিবিবি অঞ্চলে, বাকী গ্রামটা শীতলগ্রাম অঞ্চল। গত দুদিন এই অঞ্চলের গোপালচক আটকুল্যা ইত্যাদি গ্রাম, ঘুরছি ফিরছি, মিশে যাচ্ছি চা দোকানের আড্ডায়, জমছে কথাব্যাথারঙ্গ, জাবর কাটছি মনে মনে, এই টইটার বন্ধুদের টানেইকি? কে জানে! টিঠিডাঙ্গায় এসে আবার কানে এল বাচ্চাদের মুখে মুখে সিপিএন কংগেস, সিপিএন কংগেস। গত সন্ধ্যায় এক ইস্রাফিল বুড়ো শোনালেন: টাকা দিয়েই কি ভোট হয় নাকিগো! বেড়্হাছে কেনে তা ভোট মাঙতে! কত্ঝনাকে টাকা দিবে উ! সব গাহাছে খালি টাকা দিবে টাকা দিবে!

    তরুন বন্ধুটির ভাষণের রেশ টেনে আজ ভোরে চা দোকানদার শোনালেন ছোট্ট একটা অদ্ভুত কথা: ল্যান্ডলেস জোতদার সব, বুঝলেন, কংগ্রেসের পেছা ছাড়বেনা। হাসির গমক সহ কয়েকজন উদাহরন দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন 'ল্যান্ডলেস তবু জোতদার' মানসিকতা। আগে কখনো শুনিনি একথা।
  • PM | 233.223.154.154 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১২:৪০609334
  • দিদি তো কুসুম্ব গেলেন? খবরাখবর পাওয়া যাবে না গুরুর পাতায়?
  • b | 135.20.82.164 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১২:৫২609335
  • কালপুরুষ কি রাণা আলম?
  • কুসুম্বা | 80.39.185.22 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১২:৫৮609336
  • ঢুকলেন বুঝি শেষ পর্যন্ত! নক্সাল দাপটের যুক্তি দিয়েই রাজী করেছে নিশ্চয় মামাতোরা। হিসাবটা খানিক বদলাবে ভোটের, কংগ্রেসের দিকে যাওয়ারা ঘুরবে মনে লয়। কাল ফিরে খবর খুঁরতে হবে।
  • PM | 233.223.154.154 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১৩:৪১609337
  • আঃ বাঃ তে লিখেছে দিদি বললেন- মামাবাড়ি যাবো। তারপর সকলে মিলে কুসুম্বা গেলেন। যদিও বাড়ী টা খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রথমে
  • কুসুম্বা | 80.39.185.62 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১৪:২৮609338
  • খুঁজে না পাওয়াটা বিলকুল সম্ভব। বাড়িটা হঠাত্‍ দালান হয়ে গেছেযে!
  • | 24.97.68.165 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১৪:৩৫609339
  • হ্যাঁ তারপর?
  • কালপুরুষ | 59.136.206.87 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১৭:০৮609340
  • সাগরদিঘিতে গত বিধানসভা ভোটে অদ্ভূত মেরুকরণ ঘটেছিল।ঘটনাচক্রে বামফ্রন্ট আর কংগ্রেসের ক্যান্ডিডেট ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আশ্চর্যজনক ভাবে সংখ্যাগুরু ভোট সুব্রত সাহা'র দিকে সুইং করে যায়।জলঙ্গী আর ডোমকলে শুধু নয়,গোটা মুর্শিদাবাদেই ভোটের ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটছে।এরপিছনে কিছু আর্থ-সামাজিক কারণও রয়েছে।ইচ্ছা রইল পরে কখনও বিস্তারিত আলোচনা করার।
    মিড ডে মিল'এর ফলে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে।এটা তথ্যগতভাবে সত্য।তাতে পড়াশোনার মান কতটা বেড়েছে,তা নিয়ে সংশয় আছে।কারণ,বেশীরভাগ স্কুল মিড ডে মিল টাকে বাড়তি বোঝা মনে করে।
    শিশু শ্রমিকদের নিয়ে আমি একটা চিঠি দিয়েছি স্থানীয় বিডিও কে।দেখা যাক,কি হয়।
  • maximin | 69.93.212.207 | ১৯ জুলাই ২০১৩ ১৭:৪৪609343
  • কালপুরুষ অসাধারণ লিখেছেন। কয়েকটি কথা
    ১) কৃষিও অসঙ্গঠিত ক্ষেত্র। নিজের জমি থাকলে সেলফ এমপ্লয়েড, সেই শ্রমও অসঙ্গঠিত শ্রম। তাতে কী এলো গেলো, জানি না। তবে পুরো ছবিটা ভাবার সময় মনে রাখা ভালো। সমাজ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে না, ভবিষ্যতে যখন আবার বিশ্লেষন হবে তখন এগুলো কাজে লাগতে পারে।

    ২) মেট্রোপলিটান শহরে শিশুশ্রম বহুল পরিমানে ব্যবহৃত হয়। শুধু রেস্টুর‍্যান্ট বা অস্থায়ী এগরোলের দোকানেই নয়। এরা কাজ করে বেআইনি কারখানায়। উদাহরণস্বরূপ একটি রেলের জমির কথা বলতে পারি। সত্তরের দশকে ছিল ওয়াগনব্রেকারদের সেফ রেসর্ট। আশির দশকে পুরো জমিটা কিনে নিয়ে মধ্যবিত্ত কলোনি তৈরির কাজ শুরু হল। যারা আগে থেকে থাকত, তারাও জমির ভাগ পেল। বেআইনি কারখানাগুলো রয়ে গেল, সেখানে শিশু শ্রমিকরা কাজ করে, বেশির ভাগ সময়ে তারাও জুয়ো খেলে। শিশু শ্রমিক ধরলে একই চিত্র।

    ৩) রিলেটেড টু (২) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যানটীনে শিশুশ্রম নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নগুলো ভাবে কি? কোনও দাবী করেছে কখনও?

    ৪) কলকাতার পাড়ার চিত্রটা যেখানে পাল্টে গেছে, তা হল কিছু বিশেষ ধরনের সেমিস্কিলড লেবারের (যেমন ইলেকট্রিক মিস্ত্রীদের) substantial economic progress। শ্রেণী হিসেবে ব্যবসায়ী, ভালো রোজগার, কাজ তারা নিজেরা করে না, লোক ভাড়া করে করায়। যখন এরা লোক ভাড়া করত না, নিজেরা কাজ করত তখন থেকে সচেতন হয়েছিল। ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছিল, সেই ছেলেমেয়েরা এখন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে চাকরি পেয়েছে।
  • কুসুম্বা | 80.39.185.108 | ২০ জুলাই ২০১৩ ০৯:০৫609344
  • ছেলেকে মায়ের সাথে, বাবাকে মেয়ের সাথে, ঠেলাকে মারুতির সাথে শুইয়ে দিচ্ছে এক বিছানায়! জয় গোস্বামীর লেখা এরকমই একটা লাইন মনে আসছিল। কী মুখ খারাপ করছে বাপরে বাপ!

    ছোট থেকেই গ্রামে বাস, ঝগড়াকালে কোমড়ে আঁচল কষে গালিগালাজে বউবিটিদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার নিদারুন পরিচয় আমি পেয়েছি, কিন্তু সাধারণ আলাপচারিতায় এত অকারন ও সাবলীল অব্যয় পদাবলী এই এলাকার ছেলে বুড়োদের মুখেই শুনলাম। কান ঝাঁঝাঁ করে ওঠে মাঝে মাঝে। এলাকায় প্রবাহিত এই বাচ্যাভ্যাস কি সদা অতৃপ্ত উগ্র রীরংসার বহিপ্রকাশ?

    ট্রলি, অর্থাত্‍ ভ্যান রিক্সা। লাদেন, অর্থাত্‍ ইঞ্জিন চালিত বড়ো ট্রলি, ওরফে ফটফটি/ভুটভুটি/চায়না। এক ট্রলি ও এক লাদেন চালকের মধ্যে ধুন্ধুমার লেগে গেল চারাগাছির মোড়ে, যাত্রী টানাটানিকে কেন্দ্র করে। তড়পায়। এ ওকে জুতোপেটা করে, তো ও একে গুলি। দুজন দুজনার দিকে তেড়ে যায়, তবু আসপাশের লোক ছাড়াতে যায়না কেন? অচিরেই বুঝতে পারি যে আমার উদ্বেগ অর্থহীন, বাকীরা জানেন যে, যত গর্জায় তত বর্ষায় না। কিন্তু, এভাবেইকি শুরু হয়ে যায়না ভ্রাতৃঘাতি দ্বন্দ্ব এই মাগ্গীগন্ডার বাজারে?

    চায়না মেশিন লাগানো সহজ সুলভ লাদেন গ্রামগঞ্জে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন পরিষেবায় অপরিহার্য্য হয়ে উঠেছে। অনেক ভ্যানরিক্সা চালকেরা ধার দেনা করে লাদেনে শিফ্ট করেছেন, তারপরও চলছে কিছু স্বল্প দূরত্ব পরিবহনে। চায়না গাড়ি পুলিশ প্রশাসনের আইনী স্বীকৃতির জন্য লড়ছে। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না পাওয়ায় পুলিশী হয়রানী মাঝে মাঝে মাত্রাছাড়া হয়। এই নির্বাচনে যেমন লাদেনে প্রচার নিষেধ। পুলিশ বলে: এক্সিডেন্ট প্রন। কথাটা খানিকটা সত্যি, মালদা জেলায় দেখেছি এই গাড়ির নাম হয়ে গেছে শয়তান গাড়ি। কিন্তু এক্সিডেন্ট হয়না কোন বাহনে! তার থেকেও বড়ো কারন মনে হয় এই মার্কেটটাতে টাটার একটা ছোট্ট গাড়ির রাস্তায় লাদেন একটা বিশাল বেরিকেড।

    শীতলগ্রাম অঞ্চলে গত দশ বছর কংগ্রেস ক্ষমতায়। আর আছে সাপিএম। টিএমসির তেমন প্রভাব নাই। গতবার এক নির্দল মেম্বরকে প্রধান বানিয়ে তাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে কংগ্রেস ও সিপিএম মেম্বররা মিলেঝুলে প্রচুর লুটেছে গত ৫বছর।
  • b | 135.20.82.166 | ২০ জুলাই ২০১৩ ১১:০৩609345
  • পঞ্চায়েতের রেজাল্ট কবে বেরোবে?
  • PT | 213.110.243.23 | ২০ জুলাই ২০১৩ ১১:১৪609346
  • ২৯ শে জুলাই।
  • কুসুম্বা | 80.39.185.76 | ২১ জুলাই ২০১৩ ০০:০৯609347
  • চতুর্থ দফার প্রচার শেষ, কাল বাদ পরশু ভোট। শেষ দফা ২৫এ, আর রেজাল্ট ২৯জুলাই।

    টইটা শুরু থেকে শেষতক পড়তে ইচ্ছে হল। মমতা তথা টিএমসির প্রতি সাধারণ মানুষের মোহভঙ্গ হওয়া বিষয়ে যে ধারণা শুরুতেই ব্যক্ত করেছিলাম তা আরো স্পষ্ট হয়েছে এই দেড় দু মাসে(এইখানে সিকিকে একখান থ্যাঙ্কু, এই টইয়ে তার আদি প্রশ্নটার জন্য যে অতটা নিশ্চিত হচ্ছেন কি করে)। গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন স্তরের মানুষের প্রতিক্রিয়ার সাক্ষাত, অন্যান্য জেলার বন্ধুদের ফোনবার্তা এবং মমতা ও তার দলবলের হাবভাব থেকে ক্রমাগত এই সত্যটা সুস্পষ্ট হয়েছে। ভোটের ফলাফলে তা কোন না কোন ভাবে প্রতিফলিত হবেই। হার/জিত্‍ অর্থাত্‍ ০/১ হিসাবের আড়াল ভেদ করে সেই রাশিচিহ্ন খুঁজে আনা অবশ্য আমার কম্মো নয়। কিন্তু, দু বছর আগের নির্বাচনের সাথে তুলনা টেনে রাশিবিজ্ঞানীরা তা খুঁজে পাবেন বলেই মনে হয়। দেখাই যাক।

    ইস্রাফিল বুড়োর কথায় চেতন হয়ে একটা জিনিস খেয়াল করলাম যে, বিভিন্ন ছলকৌশলে একটা ভালো অংশের ভোট বাগিয়ে নিতে পারলেও রাস্তার মোড়ে বা চায়ের দোকানে গাঁ-গঞ্জের জটলায় বাদী বিবাদীকে কিন্তু রাজনৈতিক ভাবেই তর্ক চালাতে হয়। নির্বাচনটা পঞ্চায়েতের হলেও রাজ্য সরকারের ভালো-মন্দই চর্চায় আসে বেশী। মমতার এত দ্রুত পাল্টি খাওয়াটা এমনকি তিনো ভোটারদের মুখেও শোনা যায়।

    হ মশায় যে বহুবিচিত্র পেশায় যুক্ত অসংগঠিত গ্রামীণ শ্রমিকদের বিস্মৃত না হওয়ার সূচনা দিয়েছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টইয়ের প্রথমেই এ বিষয়ে চর্চা আছে যে আয়তন ও বৈচিত্রে ব্যাপক আকার ধারণ করা এই গ্রামীণ সর্বহারা শ্রেণীর বিকাশ শ্রেণী সংগ্রামের শর্তাবলীতেই পরিবর্তন আনছে। লিবারেশন দলটি এই বিষয়টিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে দেখছি। এক সময় যে শ্রেণী পরিচিতিকে সিপিআইএমএল গ্রামীণ সংগ্রামের কেন্দ্রে রেখেছিল তা হল ভূমিহীন কৃষক। কিন্তু এখন সেখান থেকে সরে এসে যে শব্দটা কেন্দ্রে এসেছে তা হল কৃষি মজুর। এবং কৃষি মজুর বলতে এক কথায় গ্রামীণ সর্বহারাকেই বোঝাতে চায়। এই শ্রেণীটিকে একটি সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে বিকশিত করা যাবে কোন পথে বা কোন কোন শ্লোগানের ভিত্তিতে তা নিশ্চয় লাখ টাকার প্রশ্ন, কিন্তু মাইগ্রেটরি বা সিজনাল নেচার সত্বেও কৃষি সমাজের অঙ্গ হিসাবেই এদের বুঝতে হবে। অর্থাত্‍, ঘুরিয়ে বললে, এই সমস্ত বৈচিত্র উপাদান ও বিকাশকে হিসাবে এনেই আজকের ভারতীয় কৃষি সমাজ ও কৃষি বিপ্লবকে বুঝতে হবে।

    এ বাদে, আমার পোস্তগুলো এখন পড়ে বেশ কিছু কথা কাটাকুটি করতে ইচ্ছে হয়তাসিল, আর তার পরও সেগুলানরে জুড়ে একখান সম্পুর্ণ গোটা লেখা খাড়াবে বলে মনে হলনা। এই বার্তাখান পাই দিদির জন্য।
  • | 127.194.238.62 | ২১ জুলাই ২০১৩ ০৯:৫০609348
  • কাটাকুটি করতে তে কেউ মানা করেনি, নতুন লিখতেও কেউ মানা করেনি। কাল পুরুষ এর সঙ্গে লেখা একযোগে লিখতেও কেউ বারণ করে নি। নিদেন পক্ষে তিনটি প্রবন্ধ ডিউ রইল। এবার বুঝে করুন গা।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২১ জুলাই ২০১৩ ১২:৪২609349
  • হানুদাকে সাপোট। আশা করছি পাইদিদি বাকি বুঝে নেবেন।
  • pi | 118.12.169.134 | ২৪ জুলাই ২০১৩ ০৯:৩৮609350
  • অথচ আমাদের মনে হচ্ছে, কাটাকুটি জোড়াজুড়ি ক'রে দিব্বি একখান লেখা বের হয়ে আসে ঃ)
    একটা মেইল করবেন ? saikat.guru জিমেইল আর palbhowmicki জিমেইল এ ?
  • কালপুরুষ | 111.210.53.87 | ২৬ জুলাই ২০১৩ ১৯:১০609351
  • ভোটরঙ্গও শেষের মুখে।আমার মুর্শিদাবাদে থাকার পালাও শেষের মুখে।রিসেন্টলি,কটা শূয়োরের বাচ্চা দিল্লিতে বসে পাঁচ টাকা'তে পেট ভরে খাবার পাওয়ার তত্ব আওড়াচ্ছে।এই গান্ডুগুলোকে শূয়োর বললে নিরীহ শুয়োরগুলোকে অপমান করা হয়।হারামিগুলোকে ঠান্ডা ঘর থেকে বের করে বীরভূমের পাথর খাদানে নামিয়ে দেওয়া হোক।তিরিশ টাকা রোজগার করতে কতটা ঘাম ঝরাতে হয়,তা এই সংসদীয় শকুনদের জানা উচিত।বেজন্মাগুলো আমাদের টাকায় খায়,বিদেশে বেড়ায় আর আমাদের উপর পোদ্দারি ফলায়।

    এখন আছি বীরভূম ঘেঁষা একটি গ্রামে।কদিন থেকে সটান ফিরবো নিজের ঘাঁটিতে,মানে বেলঘরিয়াতে নয়।যেখানে আছি,সেখানে পাথর মিক্স হয়।পাথর,বালি'র গুড়ো নিজের ফুসফুসে নিয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে কাজ করে বিপিএল তালিকার উপরে থাকা বড়লোক শ্রমিকেরা।বাইকে ঘুরতে ঘুরতে হাজির হলাম স্থানীয় একটা গ্রামে,যার বেশীরভাগ অধিবাসী সংখ্যালঘু আর তফশিলী জাতি'র।এদের মধ্যে ৭৫ টি পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে পড়ে।৪৮ টি বাড়িতে কোনো রকম স্থায়ী বা অস্থায়ী শৌচাগার নেই।তিনটে কল আছে।একটা ভাঙ্গা।

    এই অঞ্চলে অসংগঠিত শ্রমিকের সংখ্যা খুব বেশী।তাদের পেশাগত কোনো নিরাপত্তা'র ব্যবস্থা নেই।আর বিপিএল কার্ড যাদের আছে,তারা আদতে জানেনই না যে তারা কি কি সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।অবশ্য,আমি ইউনিভার্সিটি স্কলার কেও জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে তার সংবিধানমতে প্রাপ্য মৌলিক অধিকার গুলো কি কি?ভাসা ভাসা কিছু উত্তর এসেছিল।

    সেখদিঘিতে এমন গ্রামও আছে,যেখানে গত চারদশক ধরে একটিই দল জিতে এসেছে,অথচ আজও বর্ষায় হাঁটতে গেলে সে রাস্তায় এক হাঁটু কাদা।এই জেলায় সাম্প্রতিক সমস্যা হল জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ব।গ্রামের মানুষ কাজের জন্য ভিড় করছে শহরে।এর মানে গ্রামে বিকল্প কাজ নেই।আমি অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছি যারা ভাগ-চাষ ছেড়ে শহরে মজুরের কাজ করছেন।কারণ কৃষিকাজ আর লাভ জনক নেই।

    মোড়কটা চকচকে হলেই ভিতরের জিনিসের গুণমান ভালো হয়না।আমাদের শাইনিং সভ্যতারও সেরকম হাল।সাউথ সিটি মানেই যেমন কলকাতা নয়,তেমনি বহরমপুর মানেই মুর্শিদাবাদ নয়।একগাদা ডেটা জমে আছে।পরে কখনও কপচানো যাবে।আপাতত পকেটে সাতান্ন টাকা আছে।যোজনা কমিশনের হিসেবে আমি বেশ বড়লোক।

    বহরমপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে ভাতের হোটেলএ দেখছিলাম সারাদিন উদয়াস্ত খেটে বাচ্চাগুলো এক থালা ঠান্ডা ভাত আর একদলা তরকারি নিয়ে নোংরা কলতলার কাছে খেতে বসেছে।

    নবাবের দেশ মুর্শিদাবাদ,তোমার 'ইনসাফ' কোথায়?
  • pi | 118.12.169.134 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ০৯:১৯609352
  • এই লেখাটা ইন্টারেস্টিং লাগলো।
    http://www.epw.in/web-exclusives/2013-panchayat-elections-west-bengal-%E2%80%93-role-reversal.html

    বাম আর তৃণমূল জমানার এই পার্থক্যটা নিয়ে কুসুম্বা, কালপুরুষদের অভিজ্ঞতা কী বলে ?
    ..Is it then a mere role reversal? The answer is that it is not exactly one. I had the opportunity to visit some of these areas and found that the main aim of the local Trinamul Congress leaders is not just establishing absolute control, which the Left also had attempted earlier, but to wage a war against the working classes. Trinamul leaders are openly threatening in various public meetings that the land reforms programme of the Left was an “absolute misdeed” and they would “right the wrong by giving back the lands to the original owners”. The character of Left absolutism was clearly different; it emerged from gross misunderstanding of the social contradictions guiding it to a class collaborationist approach instead of transforming the class hatred of the poor into building up their own capabilities of self-rule. By contrast, the Trinamul’s absolutism is a ferocious attempt of fuelling class hatred of the rural elites against the poor. The repeat of history, in this case, is not a farce but a criminal destruction of social justice...
  • কুসুম্বা | 120.227.160.229 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ১৬:৩৫609354
  • নির্বিঘ্ন থেকে শেষে রক্তাক্ত । লাশ গোনা চলবে। সেবার কটা পড়েছিল, আর এবার কটা! পঞ্চম দফা শেষ হওয়ার পর পঞ্চায়েত ভোট এখন শ্রয়ডিংগারের বিড়াল হয়ে বাক্সে, ২৯ জুলাই খোলার পরই একমাত্র বলা যাবে সে জিন্দা বেরোবে না মুর্দা। ব্যালটছাপ দেখে কি চেনা যাবে তাদের জন্ম রহস্য --কে পান্ডু, কে ধৃতরাষ্ট্র আর কে বিদুর-- কোন ছাপে লুকিয়ে আছে কত দিন গ্লানি আর কত রাত আতঙ্ক?

    pi.
    সিপিএম জমানার শ্রেণী সমঝোতা ভেঙ্গে পড়েছে । তৃণমূলের নেতৃত্বে গ্রামীণ সর্বহারা ও ভূমিহীনদের ওপর আক্রমন আরো তীব্র ও সার্বিক হবে। গ্রামীণ সর্বহারাদের তাই ঐক্যবদ্ধ শ্রেণী হিসাবে বিকশিত করার প্রয়োজন ও সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেল। mail dekhben.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন