এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমার সকল ভালোবাসায় ...

    siki
    অন্যান্য | ২৮ জুন ২০১৩ | ১৫৩১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 132.177.214.211 | ০৭ জুলাই ২০১৩ ২২:১৭612393
  • ল্যাপটপের ওয়াইফাই ড্রাইভার, মোবাইলের ব্যাটারি এবং আমার টনসিল, তিনটেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্ট্রাইকে নেমেছে। খুব জেরবার অবস্থা। দেখি কী করা যায়।
  • পটলা | 24.99.32.129 | ০৭ জুলাই ২০১৩ ২২:৫৮612394
  • এ তিনটের কোনটা দিয়েই লেখা হয় না, অতএব এ যুক্তি 'নাল অ্যান্ড ভয়েড' হইল। ঃ)
  • moralkaku | 132.176.31.119 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ১৬:৩৭612395
  • প্যাট গরম ও হইতে পারে। জগন্নাথ তো ঘরের মধ্যেই হইতে বাধা সিল না
  • siki | 132.177.47.181 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ১৮:২২612396


  • তৃষ্ণা যেন জলের ফোঁটা বাড়তে বাড়তে বৃষ্টি বাদল
    তৃষ্ণা যেন ধূপের কাঠি গন্ধে আঁকে সুখের আদল
    খাঁ খাঁ মনের সবটা খালি
    মরা নদীর চড়ার বালি
    অথচ ঘর দুয়ার জুড়ে তৃষ্ণা বাজায় করতালি
    প্রতীক্ষা তাই প্রহরবিহীন
    আজীবন ও সর্বজনীন
    সরোবর তো সবার বুকেই, পদ্ম কেবল পর্দানশীন
    স্বপ্নকে দেয় সর্বশরীর, সমক্ষে সে ভাসে না।

    কাল রণজয় ওর ফোন নম্বর দিয়েছে। আমার ফোন নম্বর নেবার জন্য খুব পীড়াপীড়ি করছিল, তবে এখনও দিই নি। ফোন ওকে করাই যায়, কিন্তু কী হবে করে? রণ এখন ওর বাড়িতে ফিরে এসেছে, দীপালির কাছে। আড়াই মাস বাদে বউকে কাছে পেয়ে, বুঝতে পারছি আমাকে এখন আর ওর আর অত ঘন ঘন মনে পড়ছে না। সেদিনকার পর থেকে প্রায় রোজ রাতের দিকে রণ অনলাইন হয়, ভার্চুয়ালি যতটা ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়, ততটা হবার চেষ্টা করে। আমারও কেমন নেশা ধরে গেছে। আমি প্রশ্রয় দিই ওকে। ভালো লাগে। স্কুলজীবনে রণ খুব লাজুক টাইপের ছেলে ছিল, কখনও মেয়েদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলত না। এখনও চোখের দিকে তাকাতে লজ্জা পাবে কিনা আমি জানি না, তবে চ্যাটের লাইনে লাইনে রণ খুব স্মার্ট হয়েছে। খুব ঝকঝকে লাগে ওর লেখাগুলো। দু একটা অনলাইন পত্রপত্রিকায় ও লেখাজোখা করে, আমাকে তার কিছু কিছু পড়তে দিল, সত্যিই সুন্দর লেখে রণ। অনেকবার জোরাজুরি করেছে আমার সঙ্গে অনলাইনে কথা বলার জন্য, আমাকে দেখবার জন্য, আমি নিরস্ত করেছি। আমাদের বাড়িটা খুব ছোট, প্রাইভেসির খুব অভাব। রাতের নিস্তব্ধতায় কারুর সঙ্গে কথা বলা যায় না। রাজীব পাশের ঘরেই জেগে থাকে অনেক রাত পর্যন্ত, আমি চাই না ওর কানে পৌঁছোক আমার গলার আওয়াজ। রণকে দেখার, ওর সাথে একবার কথা বলার খুব ইচ্ছে হয় আমার, কিন্তু এখনও সামলে রেখেছি নিজেকে। অনেক অনেক দিন বাদে দেখা পেয়েছি ওর, একসাথে সবটুকু পেতে চাই না। পরে কখনও গলা শুনব ওর।

    মনের মধ্যে যে একাকীত্ব ছড়িয়ে যাচ্ছিল, এখন সেটা অনেক স্তিমিত হয়ে এসেছে। সারাদিনের সংসারের শেষে রাজীবের পাশের বালিশ এখন আর আমার তেমন ঠাণ্ডা লাগে না। আমি মনে মনে রণকে কল্পনা করি। রাজীবের মুখ এখন আর আমার মনেও আসে না। নিজেকে এখন আমার খুব লাকি মনে হচ্ছে। মনে আর কোনও অপরাধবোধ নেই। রণ-রুম্পার দেখাশোনাতেও তো তেমন কোনও অন্যমনস্কতা দেখাই না, স্বামী, ছেলেমেয়ে সবাইকে সবার প্রাপ্যটুকু দেবার পরে একলা সময়ে আমার স্বপ্নটুকু, আমার কল্পনাটুকু, আমার নিজস্ব, আমার গোপন সম্পদ। সেটুকু আমি পুরোপুরি দিয়ে উপভোগ করতে চাই, কেন সেখানে আমি ভাগ বসাতে দেব অন্য কাউকে?

    রণ আমায় ভালোবাসার কথা কখনও ভাবে নি, সে তো আমি জানতামই, কিন্তু সেদিন যখন রণ শুনল আমার একতরফা ভালোবাসার কথা, প্রথম দিকে একটু বোধ হয় ঘাবড়েই গেছিল। বলতে চাই নি, কিন্তু কী করে যে সেদিন অমন নির্লজ্জ হয়ে গেছিলাম, এখন ভাবলেই খারাপ লাগছে। কী দরকার ছিল এসব পুরনো ব্যাপার খুঁড়ে বের করার?

    আমি কী ভেবেছিলাম? ওকে জানানো মাত্রই রণ একেবারে আমাকে ওর বুকে টেনে নেবে? ছুটে চলে আসবে এই বর্ধমানে? নাকি তুমুল অবজ্ঞায় আমাকে উড়িয়ে দেবে? এর কোনওটাই যে আমি চাই নি। যে কথাটা আমি কোনওদিন কাউকেও বলতে পারি নি, কাউকে
    জানানো যায় না, যায় নি যে কথা, সেই কথা আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম। এই বয়েসে এসে কিছুই আর পাল্টাবে না, আমি তো জানিই। শুধুই না-বলা কথা বলে মনটা হাল্কা করে নেওয়া। রণের সাথে ওর বউয়ের ভাব ভালোবাসা এখনও বেশ ভালোরকমই আছে। রণের সমস্ত ফটো অ্যালবামের লিঙ্ক খুলে খুলে আমি রণকে দেখি। রণ, কী প্রচণ্ড সুন্দর রণ, দীপালির সাথে কত ঘনিষ্ঠ হয়ে ছবি তুলেছে ... কেরালায়, গ্যাংটকে, ব্যাঙ্গালোরে। মনে মনে আমি দীপালির জায়গায় নিজেকে বসাই।

    কই, আমার সাথে তো রাজীব কখনও এ রকম ছবি তোলে না? বিয়ের পরে পরে একবারের জন্য আমরা সিমলা মানালি বেড়াতে গেছিলাম। আর বোধ হয় রুম্পা হবার আগে একবার দার্জিলিং। বেড়ানো ব্যাপারটাকে রাজীব কখনওই সেভাবে পাত্তা দিত না, ছবি টবি তোলাতেও ওর মন নেই, তবু রাজীব তখন অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিল। এখনকার মত রোবট হয়ে যায় নি। ভালোবাসতে জানত। কীভাবে যে আমাদের মধ্যে এতটা দূরত্ব বেড়ে গেল। ... রণ বারবার আমার কাছে রাজীবের কথা জিজ্ঞেস করছিল। আমি বলি নি কিছুই। দায়সারা উত্তর দিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি। কীভাবে ওকে বলি, কী বলি? রাজীব আর আমার নেই, রণ রুম্পাকে আমার কোলে এনে দিয়ে ও সম্পূর্ণ নিজের জগতে ডুবে গেছে, সেখান থেকে আর ফিরে আসার রাস্তা নেই, অথবা ও নিজের হাতেই সে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে গেছে? আমরা এক ছাদের নিচে থেকেও একসাথে নেই?

    রাজীব সোশাল নয়, কোনও সোশাল নেটওয়ার্কে ও ঘোরাফেরা করে না, করলেও জানতে পারি না। সন্দেহের বশে একসময়ে ওর মোবাইল চুরি করে এসএমএস দেখতাম নিয়মিত। অন্য কোনও রকমের সন্দেহের অবকাশ রাখে নি রাজীব। কেবল নিজের কাজেই ডুবে থাকে। কেমন যেন নিষ্প্রাণ। দরকারের বেশি কথা বলে না।

    রণ এখনও প্রাণবন্ত। সারা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে কাজের টানে, তার সাথে তুমুলভাবে উপস্থিত ফেসবুকেও। প্রচুর লেখালেখি করে, পড়ে। এখনও কবিতা ভালোবাসে আগের মতই। মাঝে মাঝে আমি যখন কথা হারিয়ে ফেলি রাতের চ্যাটে, ও আমায় কবিতা লিখে শোনায়। পূর্ণেন্দু পত্রী, শক্তি চট্টো, বিষ্ণু দে, রবীন্দ্রনাথ, জয় ... কত যে কবির কবিতা ওর মুখস্ত!

    চণ্ডীগড় থেকে ফিরে আসার পর ঝাড়া এক সপ্তাহ ও একেবারে চুপচাপ ছিল। বুঝতে পারি, আড়াই মাসের অদর্শনের পরে বউ বাচ্চাকে কাছে পেয়ে ও আমার জন্য সময় বার করতে পারে নি। স্বাভাবিক, খুবই স্বাভাবিক। ওদের মধ্যে যে রকম সম্পর্ক, সেখানে আমি তো, কাফ লভ। নিতান্তই টাইমপাস। আমি নিজেকে হয় তো সেই রকমের স্তরেই নিয়ে এসেছি। খারাপ লাগাটা বাড়ছিল একটু একটু করে। কেন বলতে গেলাম? যদি এর ফলে ওর সংসারে ফাটল ধরে? যদি অন্য কিছু ঘটে যায়, দুজনেরই হুঁশ ফেরার আগেই? খুব বেশি দেরি হবার আগেই বোধ হয় শেষ করা উচিত ব্যাপারটাকে।

    কাল রাতে, দীর্ঘ এক সপ্তাহ অদর্শনের পরে আবার অনলাইন হয়েছিল রণ। আমাকে বলল, বাড়ি ফিরেই নাকি ভাইরাল জ্বরে পড়েছিল, উঠতে পারে নি। ... আমি মুখ টিপে হেসেছি শুধু। জ্বর তো হয়েছিলই, কিন্তু কী জ্বর হয়েছিল, সে রণ না বললেও বুঝি। অনেকদিন পরে দীপালির সঙ্গে সময় কাটিয়েছে রণ। বড় সুখী মানুষ, সুখে থাক। রণ এখন খুব ব্যস্ত। মাঝখানের পাগলামি সরিয়ে কাল রাতের রণকে অনেক বেশি কম্পোজড লাগল। আমিও বেশি কিছু বলি নি। রণ শুধু আমায় জানাল, অফিসের কাজে ওকে পরের মাসেই অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে। তার আগে, বাবামায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ও কলকাতা আসছে, পরের সপ্তাহে, দিন চারেকের জন্য। আমাকে আসতে বলছিল কলকাতায়, দেখা করতে চায়।

    আমাকে "না" করতে হয়েছে। রণকে আমি সামনে থেকে দেখতে চাই না। না, আর কারুর থেকে ভয় নয়, ভয় আমার নিজেকে নিয়েই। আমি যদি নিজেকে সামলাতে না পারি? রণকে সামনে থেকে এত বছর বাদে দেখবার সুযোগ পেলে আমি পাগল হয়ে যেতে পারি। এত সুখ বোধ হয় আমার সইবে না। রণ রুম্পার স্কুল আছে, আমার নিজের স্কুল আছে। বাবা-মায়ের সাথে প্রায় দিনই কথা হয়, তেমন কোনও অজুহাতও তো নেই কলকাতায় যাবার। কী দরকার এতদিন বাদে ...? রাজীবকে আমি ইগনোর করতে পারি, কিন্তু রণ-রুম্পা? ওদের ঠকিয়ে আমি কী করে শান্তি পাব? আমার নিজের ইচ্ছে, নিজের ভালোবাসা পেতে গিয়ে আমি রণ রুম্পার কাছে মিথ্যে বলব? বড় ভয় করছে। যতদিন রণের সাথে ফেসবুকে কথা বলেছি, প্রাথমিক শিহরণ কেটে যাবার পরে ব্যাপারটা কী রকম খেলা খেলা লাগত। কী রকম নেশার মতন লাগতে শুরু করেছিল। আমি রণকে পাগলের মত ভালোবাসার ইচ্ছে প্রকাশ করতাম। রণ যদিও ফিরে বলে নি সে-ও আমাকে ভালোবাসতে চায় কিনা, তবে বারবার বলছিল, সেদিন, সেই ষোল বছর বয়েসে ও একটা প্রেমের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিল। সেদিন যদি জানত আমার ভালোবাসার কথা, তবে হয় তো অন্যভাবে ভাবতে পারত। এখন আমরা দুজন দু দিকে রয়েছি, চাইলেই তো আর ছেলেবেলার সেই ভুল শুধরে নেওয়া যায় না। তবু যদি সুযোগ আসে, ও আমার সাথে একটিবার দেখা করতে চায়, একবার আমার হাতে হাত রেখে দেখতে চায় আমার শরীরে এখনও শিহরণ ওঠে কিনা।

    এর পরেই রণ আমাকে সেদিন শোনাল পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতাটা, যে টেলিফোন আসার কথা, সচরাচর আসে না। রণ আমাকে ওর মোবাইল নম্বর দিল। বলল, ইচ্ছে হলে ওকে ফোন করতে। ... ইচ্ছে, হ্যাঁ, ইচ্ছে তো হয়ই। এতদিন ফেসবুক চ্যাটের লাইনে ওকে যতটা জেনেছি, তার থেকেও বেশি জানতে ইচ্ছে করে যে! রণ কি সত্যিই আমার হাতটা একবার ছোঁবে? ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে দেবে আমাকে?

    কিন্তু কী ভাবে যাবো? এমন নয় যে কলকাতা অনেক দূর, বা আমি একা একা যেতে পারি না। কিছু তো একটা জানাতে হবে! কিছু তো একটা অজুহাত খাড়া করতে হবে! কী বলব, রাজীবকে? ছেলেমেয়েদের নিয়ে যেতে হবে। ওদেরকে মায়ের কাছে রেখে তারপরে বেরোতে হবে। কী বলব, রণ-রুম্পাকে? ওরা তো কদিন আগেই দাদুর বাড়ি ঘুরে এল।

    রাজীবকে কি কিছু বলতেই হবে? রাজীব সপ্তাহে তিনদিনই ওর কলকাতার অফিসে যাতায়াত করে। তার বাইরেও কোথায় যায়, কেন যায়, আমি কি জানতে গেছি? আমি কি ঘরে বন্দী হয়ে থাকা কোনও মানুষ? ছেলে মেয়ে আর নিজের স্কুলের বাইরে আমার কোনও জীবন থাকতে নেই? যদি কাউকে কিছু না-ও বলি, কী এসে যায়? আমারও তো কত প্রশ্ন ছিল, আছে, কে উত্তর দিয়েছে তার? সমস্ত জবাবদিহি করার দায় একা আমার কেন হবে?

    রণকে জানাব না কিছু এখনই। কিন্তু আমি যাব। ওর বাড়ি চিনি আমি, আমাদের পাড়া থেকে একটু দূরেই। শুক্রবার স্কুল থেকে দুপুরে বেরিয়ে যাব। ছেলেমেয়েদুটোকে ওদের স্কুল থেকে তুলে নিয়েই যাব। মায়ের কাছে পৌঁছে ফোন করে রাজীবকে জানিয়ে দিলেই হবে।

    আমি শুধু রণজয়কে ছোঁব একটু। আমি দীপালির ঘর ভাঙব না। একবার দেখা করেই ফিরে আসব।
  • pharida | 192.64.146.90 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২০:৫৯612397
  • জমে গেছে...।
  • জিগীষা | 127.194.104.28 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২১:১৪612398
  • অ্যাদ্দিনে ! সত্যিই জমে গেছে B)
  • SOCl2 | 127.194.196.167 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২১:২৫612399
  • হুমম, ইন্টারেস্টিং ঃO

    কবিতা টি আলাদা করে উল্লেখের দাবি রাখে। বেশ হয়েছে, শুধু লাস্ট লাইনটা তে ঘেঁটে গেলুম, ঐটা যেন আলাদা হয়ে থেকে গেল। হ্যাঁ তা বলে যদি বলেন 'আপনে লিখে দেখান' - তা পারবো নি কো।
  • kiki | 69.93.201.92 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২১:৪৬612400
  • :P

    অ সিকি! আজ আর ঘুনু করো না, মোটামুটি শিঁদ্দারা সোজা করে বসে আছি।(হিঁক! কি বাজে আগ্রহ!)
  • SOCl2 | 127.194.196.167 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২১:৫৪612401
  • কিকি, আম্মো ঃ)
  • PT | 213.110.246.230 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৭612403
  • ভালবাসার আসরে SOCl2 থাকলে সারাক্ষণ তো চোখ থেকে জলই ঝরতে থাকবে!!
  • SOCl2 | 127.194.196.167 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২২:৪৩612404
  • সে তো এম্নি ই ঝরতাসে।
  • Sibu | 84.125.59.177 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪০612405
  • এই কিস্তিটা বেশ।

    তবে একটা কথায় একটু অফেন্ডেড হলাম। রণ অনলাইনে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করে আর তার প্রেমিকা(!!) রণকে শুধু প্রশ্রয় দেয়? এই যুগেও সেই মেয়েদের প্যাসিভিটির গল্প?
  • SOCl2 | 127.194.196.167 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৭612406
  • এ যুগে মেয়েরা প্যাসিভ হয় না কইতাসেন?
  • Sibu | 84.125.59.177 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৮612407
  • হইবো না ক্যান? সে তো পুলারাও প্যাসিভ হয় (বিয়ার বছর পঞ্চাশেক পরে)। তয় তাগো নিয়া জমাটি গপ্পো হয় না। ঃ-((
  • a x | 138.249.1.206 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৩612409
  • SOCl2, লাস্টলাইনটা লাস্টলাইন না, তাই অমন লাগছে।
  • siki | 132.177.248.143 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৩612408
  • লেখক তাঁর চতুর্পার্শ্বে এখনও অ্যাকটিভ প্রেমিকা দ্যাখেন্নি।

    নাক বন্ধ, গলা চিরে ফালাফালা, চোখ জ্বলছে দাউদাউ করে। না-না, আজ আমায় লিখতে বলবেন না। কাল, শিওর।

    জানি আপনারা বিশ্বাস করলেন না, তবু বলি, কাল পরের কিস্তি, কাল সারাদিনে তেমন কোনও কাজ নাই।
  • SOCl2 | 127.194.196.167 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৪612410
  • হুমম, এর মধ্যে গভীর চিন্তা আসে। বুইলাম মানে ডেয়ারিং হয় না - তাই তো? এহন দেখা zআউক কি হয়? ভয়েস চেঞ্জ ও হইয়া Zআইতে পারে।
  • SOCl2 | 127.194.196.167 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৫612411
  • লাস্ট লাইন টা তয় কি?
  • a x | 138.249.1.206 | ০৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৯612412
  • যে টেলিফোন আসার কথা সচরাচর আসেনা।
  • SOCl2 | 127.194.196.167 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ০০:০২612414
  • বুঝলাম ঃ) । btw আমার অন্য জায়্গায় এট্টূ অসুবিধা লেগেছে - রোম্যান্টিক গল্পে হাতের লোম গোনা টা যেন কেয়ং, কেয়ং - ধরে নিচ্ছি রণজয়ের কোন ফেটিশ নেই, তাহলে লোম গোনা টা কেয়ং সুর কেটে দিচ্ছে।
  • Sibu | 84.125.59.177 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ০০:১৮612415
  • কোন ফেটিশ নেই ধরে নেওয়া কি ঠিক হল? একেবারে ফেটিশ-ফ্রী মনুষ্য!!
  • kiki | 69.93.196.131 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১১:৪৪612416
  • এইরে! এই এসোসিএলটু টা কি শ্রী? ক্ষী চাপের নাম নেয় এরা।ঃ(

    ইঃ সিকি আমি হামলে পরে কম্পু খুলেই ফাস্ট এখেনে এলুম। ক্ষী অন্যায়!
  • ppn | 52.107.175.149 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১১:৫৪612417
  • হাতেরই তো গুনেছে!
  • siki | 132.177.144.50 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১২:৩৯612418
  • প্পনের কথাটা আমি জাস্ট লিখতে যাচ্ছিলাম। :)

    কিকি, লিখছি। আজ পাবা। রাতের দিকে এসো। শরীলগতিক ভালো নাই। ভাইরাসে পেড়ে ফেলেছে। ধীরেসুস্থে লিখছি।
  • kiki | 69.93.196.131 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১২:৪২612419
  • ঃ)

    থেঙ্কু। ওষুধ নাও। ভালো থেকো।
  • SOCl2 | 127.194.198.54 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১৪:৩৬612420
  • এরা আর বড় হবে নি ঃ( বেসিক এসেন্স টাই ধত্তে পাল্লো নি গো। রোম্যান্টিক , আত্মেদ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা তে ধবল বা উজ্জ্বল শ্যাম বা কষ্টি পাথরের মত কালো , চকচকে নিটোল বাহু ই সবাই দেখে। লোম তো সেখানে নায়িকাচিত ভাবমূর্তির পরিপন্থি। যাগ্গে ব্যাপার্টা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। আমিও আর বোঝাতে যাচ্ছি না, আপনাদেরো বুঝে কাজ নাই। লেখাটা বেশ হচ্ছে, দ্যাখেন আজ কিছু লিখতে পারেন যদি।
  • san | 69.144.58.2 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১৬:০১612421
  • খুবি রাবীন্দ্রিক নায়িকা ঃ-)
  • siki | 132.177.144.50 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১৮:৫৮612422


  • শরীর এখনও তেমন সুস্থ হয় নি। চণ্ডীগড় থেকে আসার সময়েই কীভাবে যেন ঠাণ্ডা লেগে ইনফেকশন হয়ে গেছিল। শনিবার বাড়ি পৌঁছে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পরেই ধূম জ্বর এল। সারা গায়ে ব্যথা। ভাইরাল। ঠিক পাঁচদিন বাদে ঠিক হলাম বটে, তবে খুব উইক করে দিয়েছে আমাকে। বেচারা বুবুনটা ওর বাবাকে খুব মিস করছিল। বাবা এল, কিন্তু এখনও ও বাবার কাছে আসতে পারছে না। দীপালিটাও খুব ভুগল আমাকে নিয়ে। দুদিন অফিস কামাই করে ঝামেলায় পড়ল ও-ও।

    মাঝে মাঝে ফ্যামিলি থেকে দূরে চলে গেলে বোধ হয় বন্ডিংগুলো নতুন করে টের পাওয়া যায়। এই পাঁচদিন জ্বর গায়ে শুধু শুয়ে থেকেছি। আকাশ পাতাল চিন্তা করেছি। দীপালির সাথে পুরনো দিনের গল্প করেছি। বুবুন স্কুল থেকে ফিরলে একটু দূরত্ব রেখে ওর সাথে গল্প করেছি, আর প্রতি মুহূর্তে বুঝেছি, আমি কী ভীষণভাবে ওদের মিস করছিলাম। আমার বুবুন, আমার দীপালি। ওরাও আমাকে মিস করছিল। নিজের ওপর এখন আমার খুব, না, ঠিক ঘেন্না নয়, একটা কী রকম বিচ্ছিরি রকমের রাগ হচ্ছে। আমার এত আপনজনদের মাত্র কয়েক মাসের অদর্শনে হেলায় ভুলে গেছিলাম? আমার মধ্যে কি তা হলে ফ্যামিলি বন্ডিং ব্যাপারটা কিছুই নেই?

    দীপালিকে প্রথম যখন প্রপোজ করেছিলাম, আমি তখন একটা চাকরি পাবো পাবো করছি। একে অপরকে চিনতাম তো আমরা অনেকদিন আগে থেকেই, তাই বোধ হয় একদিন মাত্র বকাঝকা করা ছাড়া দীপালি আমাকে আর ফেলতে পারে নি। বিয়ের পরে আলাদা চাকরির সূত্রে কয়েক মাস আলাদা থাকা, তারপরে দুজনেই ব্যাঙ্গালোরে এসে সেটল করা, পেছন ফিরে সে সব দিনগুলোর কথা ভাবলে এখন কেমন রূপকথা মনে হয়। হ্যাঁ, দীপালি নিজে আমাকে প্রপোজ করে নি, প্রেম বিয়ে এসবের কথা দীপালি সেভাবে ভাবেই নি তখনও। কিন্তু দুজনে আমরা যখন এক হলাম, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যেও মনে হয় নি আমি ভুল লোককে পছন্দ করেছি জীবনে। তারপরে এতগুলো বছর কেটে গেছে। ঝগড়া কি হয় নি আমাদের মধ্যে? ঝগড়া কি হয় না? ... হয় তো! কিন্তু সে ঝগড়া আমাদের মধ্যেকার বোঝাপড়ায় কখনও ছাপ ফেলতে পারে নি। আমরা আবার ঝগড়া ভুলেছি, ভালোবেসেছি পরস্পরকে, পাগলের মত। চেষ্টা করেছি, যাতে পরে আর ঝগড়া করার কোনও কারণ না ঘটে।

    ঊর্মিলা যেদিন আমায় তার স্কুলজীবনের ক্রাশের কথা বলল আমায়, আমার কী হয়েছিল, জানি না, আমি ভেসে গেছিলাম প্রায়। কেন গেছিলাম, সে কারণও আমার অজানা নয়। কিন্তু তাল কাটতে শুরু করেছিল কদিন পর থেকেই। আমিও আর সেই ষোল বছর বয়েসের রণজয় সেন নই যে ক্রাশের গল্প শুনে উলটে পড়ব, ঊর্মিলাও আর সেই ক্লাস নাইন টেনের ঊর্মিলা মিত্র নয়। এখন সে ঊর্মিলা সান্যাল। সেই সময়ে যে সব আবেগ কাজ করত একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে, সেই সব আবেগে আপ্লুত হবার বয়েস আমরা দুজনেই পেরিয়ে এসেছি। ভালোবাসা জিনিসটা ঠিক কী দেখে হয়, কেউ বলতে পারে না। না ঊর্মিলার চেহারায় তেমন কোনও আকর্ষণ ছিল, না আমি খুব আকর্ষণীয় ছেলে ছিলাম। আজ যদি দুজনে দুজনকে জাজ করতে হয়, তা হলে দুজনকেই দুজনকার বর্তমান অবস্থার মধ্যে দিয়ে জাজ করতে হবে। সেদিন কী ভেবে কে কার প্রেমে পড়েছিল, তাই দিয়ে আজ আর কী এসে যায়?

    ঠিক তিন দিন লেগেছিল, এটুকু আমার বুঝতে। কিন্তু ঊর্মির লেখা পড়ে আমার একবারের জন্যেও মনে হয় নি ঊর্মি সেই বয়েসের হ্যালুসিনেশন থেকে এতটুকুও বেরিয়ে আসতে পেরেছে। ও এখনও আমাকে চেয়ে যাচ্ছে সেই কুড়ি বছর আগেকার আমাকে কল্পনা করে। কখনও সে আমাকে ছোঁবার কথা লেখে, কখনও সে আমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে আমাকে শুষে নেবার ইচ্ছে প্রকাশ করে, কখনও আমার শরীরে তিলের খোঁজ নেয়। রোম্যান্টিসিজমের একশেষ একেবারে। আজকের দিনে কোনও মেয়ে এই রকমভাবে কারুর কাছে নিজের প্রেম, নিজের তেষ্টার কথা লিখতে পারে, আমি ভাবতেও পারি নি।

    আর সেইখানটাতেই আমার খটকা লেগেছিল। এত পাগল কেন ও আমার জন্য? আর পাগল যদি হলই, দেখা করার ইচ্ছে-টিচ্ছে দিয়ে শুরু করতে পারত, প্রথমেই ছোঁয়াছুঁয়ি, চুমু খাওয়া এইসবে চলে গেল কেন? ইন ফ্যাক্ট শেষদিকে চণ্ডীগড় থেকে চলে আসার আগে শেষদিনের চ্যাটে যখন আমি ওকে বললাম দেখা করার কথা, তখন ও কেমন পিছিয়ে গেল, দেখা করতে চায় না বলল।

    এমন নয় যে আমি শরীর বিষয়ে খুব শুদ্ধতাবাদী মরাল অবস্থান নেবার পক্ষপাতী। পাপ পূণ্যের হিসেব আমার কাছে আলাদা। সেভাবে কথাবার্তা এগোলে, ঊর্মিলা বা এনিবডি এলস, হয় তো আমার কোনওই খটকা লাগত না। কিন্তু ঊর্মির সাথে তিনদিন কথা বলেই এটুকু পরিষ্কার বুঝে গেছিলাম, ঊর্মি ওর ব্যক্তিগত জীবনে খুব খুব অসুখী। এবং, একটা শূন্যতার মধ্যে রয়েছে ও। শূন্যতা কাটাবার জন্যেই ও আমাকে আঁকড়ে ধরেছে, এবং আমি যাতে ওকে ছেড়ে না যাই, সেই জন্যে আমায় বিভিন্ন প্রলোভন দিচ্ছে। এই সব প্রলোভনের কোনওটাই কিন্তু ওর মন থেকে চাওয়া নয়। ভেতর থেকে ও খুব কনফিউজড আছে।

    মনে হওয়া। নিতান্তই মনে হওয়া। কোনও প্রমাণ নেই, কিন্তু টুকটাক লেখালিখি করি তো, কথা, লেখা এইসবের মধ্যে দিয়ে মানুষকে চেনার খানিকটা চেষ্টা করি আমি। ঊর্মিকে আমি একটা কেস স্টাডি হিসেবে দেখতে শুরু করলাম চতুর্থ রাত থেকে। সারাদিনের অনর্গল কনফারেন্স কল, রিভিউ মিটিং এইসবের শেষে চার দিনের দিন যখন অনলাইন হলাম আবার, ঊর্মি এল, আমি অভিনয় করতে শুরু করলাম। যেন আমি ওর প্রতি খুব খুব অনুরক্ত হয়ে উঠেছি। যেন আমিও ওকে চাই, ভীষণভাবে। কুড়ি বছর আগে আমাদের সম্পর্ক না হওয়া যেন জীবনের এক বড় ভুল ... এই সব বলে আমি ওর কনফিডেন্স আদায় করতে শুরু করলাম। এক সপ্তাহের মাথাতেই বুঝে গেলাম, আমার অনুমান সত্যি। বরের সাথে ওর বনিবনা হয় নি। ওর বর সম্বন্ধে কিছু জিজ্ঞেস করলেই ও কথা ঘুরিয়ে নিত, সেদিন যখন আমাকে বলল, এক কামড়ে আমার ঠোঁটদুটো ছিঁড়ে নিতে চায়, আমার, সত্যি বলতে কি, আর শিহরণ জাগল না। বরং, খুব সন্তর্পণে জিজ্ঞেস করলাম, "আর তোর বর যদি দেখে ফেলে?"

    ওর এমনিতে এসবের একটা বাঁধাধরা উত্তর আছে, বর পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছে, দেখতে পাবে না। সেদিনও তাইই বলল, আমি তখন প্রসঙ্গ ঘোরালাম। বর কীসে কাজ করে, কী নাম। খুব ভালোভাবে ততদিনে আমি দেখে নিয়েছি যে ঊর্মিলার অনলাইনের একটা অ্যালবামেও ওর বরের ছবি নেই, ছেলে মেয়ে আছে, বাবা মা আছেন, এমনকি স্কুলের ডীফ অ্যান্ড ডাম্ব বাচ্চারা বা সহশিক্ষকদের সাথেও ওর ছবি রয়েছে, কিন্তু খুব সতর্কভাবে ও ওর বরের কোনও ছবি রাখে নি।

    নামটা জানলাম, রাজীব সান্যাল। কোন কোম্পানিতে কাজ করে সেটাও জানলাম। ঊর্মিলার সাথে চ্যাট চালাতে চালাতেই ফেসবুকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখে নিলাম, না, বর্ধমানে থাকে, রাজীব সান্যাল, এই নামে কোনও লোক ফেসবুকে নেই। রাজীব নামটার দুরকমের বানান হয়, তাও দেখলাম। নেই। তা হলে কি ঊর্মি আমায় নামটা ভুল বলল?

    রাজীবের কোম্পানিটা দেখলাম, একটা মাঝারি সাইজের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি ফার্ম। বর্ধমানে একটা ব্যাক অফিস আছে, মেন অফিস কলকাতায়। ক্যামাক স্ট্রিটে।

    কী মনে হল, লিঙ্কডইন খুললাম, আর আশ্চর্যের ব্যাপার, প্রথম সার্চেই পেয়ে গেলাম রাজীব সান্যালকে। এই তবে ঊর্মিলার বর? একটু বুড়োটে টাইপের, মাথার সামনের দিকটায় অল্প টাক, খুব সিরিয়াস টাইপের মুখ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা বোধ হয় এই রকমই দেখতে হয়ে থাকে। আপাতদৃষ্টিতে তো কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। গড়পড়তা বাঙালিকে যেমন দেখতে হয়ে থাকে লেট থার্টিজে, সেই রকমই দেখতে। এ-ই যদি ঊর্মির বর হয়, তা হলে বলতেই হবে বরের সাথে পাল্লা দিয়েই ঊর্মি মুটিয়েছে, নিজের বয়েস বাড়িয়েছে।

    গোয়েন্দাগিরি করা আমার স্বভাব নয়, কোনওদিন করি নি এইসব। অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোটাকে আমি বরাবরই অপছন্দ করে এসেছি, কিন্তু এখানে নাক না গলিয়ে থাকতে পারলাম না। তাদের ব্যক্তিগত জীবনের গতিপ্রকৃতি আমাকে ঘিরেই যখন এগোচ্ছে, আমার ইচ্ছেয় হোক বা অনিচ্ছেয়, আমি যখন আস্তে আস্তে ওদের মধ্যেকার ফাঁকে ঢুকে পড়ছি, তখন পারিপার্শ্বিকটা একবার খতিয়ে দেখে নিলে মন্দ হয় না।

    রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাবার তাড়া থাকে না, কারণ সকালে অফিস যাবার তাড়া নেই। ঊর্মি ফেসবুক থেকে চলে যাবার পর আমি রাজীব সান্যালকে নিয়ে পড়লাম। আধঘণ্টা নেটে এদিক ওদিক সার্চ মেরে পেয়ে গেলাম রাজীবের বাড়ির ঠিকানা। বাদামতলা। ... বাদামতলা? নামটা চেনা চেনা। আমাদের হাস্টেলে একটা ছেলে ছিল, বর্ধমানে বাড়ি। ভাস্কর। ভাস্কর গাঙ্গুলি। ও বলেছিল, ওর বাড়ি বাদামতলায়।

    ভাস্কর আমার ফেসবুকের লিস্টে আছে। এখন কলকাতায় থাকে। সিইএসসির ইঞ্জিনীয়ার। একবার ওর কাছে জানতে চাইলে হয়।

    পরের দিনটা ছিল আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। ঊর্মিলাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম ওর বাড়ি বাদামতলায় কিনা, ও একেবারে হকচকিয়ে গেছিল। বারবার করে জানতে চাইছিল, আমি কীভাবে জানলাম। বলি নি। রহস্য করে বলেছি, এইবারে একদিন ঠিক তোর বাড়ি চলে যাবো। দেখি তুই কী কী অত্যাচার করতে পারিস আমার ওপর। ঊর্মিলা বার বার করে না-না করছিল। খুব করে আমাকে দিয়ে শপথ করিয়ে নিল, আমি যেন ওর বর্ধমানের বাড়িতে না যাই কোনওদিন।

    সে আমি এমনিও যেতাম না। কিন্তু এত এড়িয়ে রাখার কারণটা যে না জানলে আমার চলছে না! তুমি আমার সাথে স্কুলবেলার না-হওয়া শরীরের খেলা সেরে নিতে চাও, এদিকে তোমার বাড়ি আসতে চাইলে তুমি মানা করো, সমস্যাটা কোথায়? কী চাও বাবা তুমি?

    সরাসরি লিখি নি। ঊর্মিলা কবিতা ভালোবাসে, কবিতা লিখে, ওর মন গলিয়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোঝবার চেষ্টা করেছি পর পর কয়েক রাত্তির ধরে। যেটুকু বুঝেছি, সেটুকু ওই এক রকমই। এক ভয়ংকর শূন্যতায় ও ডুবে রয়েছে। লোনলিনেস। সম্ভবত বরের সাথে ওর কোনও শারীরিক সম্পর্ক হয় না এখন আর। কিন্তু ও এখনও সেক্স চায়। বরের কোনও প্রবলেম থেকে থাকতে পারে, গোপন রোগ বা অন্য কোনও প্রেজুডিস, অনেকে শুনেছি বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাবার পরে বউয়ের সাথে আর মিলনে তেমন অর্গ্যাজম পায় টায় না, হয় তো এই রাজীব সান্যাল লোকটির সেই রকমের কেস হয়ে থাকবে, কিংবা ঊর্মিলারও তেমন কিছু ঘটে থাকতে পারে, মোদ্দা কথা, ও অনেকদিন ধরে সেক্স স্টার্ভড, খিদে মেটাতে ও ফ্যান্টাসির সপ্তম স্বর্গে বিচরণ করছে আমাকে নিয়ে, আর টু সাম এক্সটেন্ট দাবি করছে আমিও ঘুরি ওর সাথে ওই স্বর্গে। ব্যাপারটাকে আমি যখনই বাস্তবের মাটিতে নিয়ে আসছি, দেখা করার কথা বলছি, কলকাতায় বা বর্ধমানে, আমি এমনকি ওকে অন্য কোথাও মীট করার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম যেখানে কেউ চিনবে না আমাদের, বাস্তবের রিয়েলিটিতে যখনই সেটা ঘটাবার কথা বলছি, তখনই ও কীরকম যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছে, পিছিয়ে যাচ্ছে। কল্পনাতে আমাকে মলেস্ট করেই যেন ওর শান্তি।

    শরীরের খিদে আমার আছে। সেক্স আমি পছন্দ করি, আর সেটা নিয়ে অনর্থক ট্যাবু নিয়ে চলতে আমি ভালোবাসি না। কিন্তু সেই খিদে মেটাবার জন্য আমি অন্ততপক্ষে ঊর্মিলাকে আমার পার্টনার ইন ক্রাইম করতে চাই না। বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন, আজন্ম লয়্যালটি ইত্যাদি গল্প টল্প আমি জানি, মানতে হবেই এমন কথা আমি মনে করি না, অনেকেই মনে করে না তাও আমি জানি, সবাই এই রকম মনে করলে দুনিয়া জুড়ে রোজ রোজ এত এত বিয়ে ভেঙে যেত না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তো সেটা কখনো ঘটেই নি! এখনও আমি যখন একা থাকি, যখন ভেতর থেকে জেগে উঠি, শক্ত হয়ে উঠি, নিজেকে তখন মুক্ত করতে চাইলে মনের মধ্যে দীপালির মুখ, দীপালির শরীরই ভেসে ওঠে। এখনও। ঊর্মিলার সেই প্রথম দিনের প্রপোজালের পরেও আমি আপ্রাণ কল্পনা করছিলাম ঊর্মিলাকে, কিন্তু চরম মুহূর্তে নিজেকে রিলিজ করার সময়ে আমি বুঝতে পারলাম, আমি আসলে কল্পনা করছিলাম দীপালির সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত। আমি দীপালিকেই ভাবছিলাম।

    প্রথম দিনের পরেও দ্বিধা দ্বন্দ্বের দোলায় দুলেছিলাম আরও দুদিন, এখন আর কোনও দ্বিধা নেই মনে। পুরনো সময়ের বান্ধবী, না-ই বা হল সে সেই সময়ের প্রিয় বান্ধবীদের একজন, তাকে শরীর আমি দিতে পারব না। না, শরীরের প্রেজুডিস নয়, আসলে আমাদের মধ্যে মিলবে না। পাপ-পূণ্যের হিসেব আমি করি না, কিন্তু নিজের কাছে নিজে স্বীকারোক্তি করতে দোষের কিছু নেই, দীপালিকে ছেড়ে, অন্তত ঊর্মিলাকে আমি শারীরিকভাবে চাইতে পারব না। আমি আমার মন থেকে সায় পাব না।

    শেষ সপ্তাহটা অপেক্ষা করেছিলাম সাঙ্ঘাতিকভাবে। সপ্তাহের শেষেই আমার ব্যাঙ্গালোর ফেরা, আর ফিরলেই, অনেক দিনের পরে দীপালিকে কাছে পাওয়া। এত দিন পরেও দীপালি আমার কাছে নতুনই লাগে, সেই প্রথম দিকের দিনগুলোর মত। ... কিন্তু কাছে পাওয়ার আগেই ভাইরালে আমি পড়লাম কাত হয়ে। দীপালি দুদিন ছুটি নিয়ে বসে রইল আমার সেবা করার জন্য, অথচ একটিবারের জন্য আমি দীপালিকে ভালোবাসতেই পারলাম না। ভাইরাল ইনফেকশন বড় বাজে জিনিস।

    পরশু থেকে দীপালি আবার অফিস যাচ্ছে। ঘরে আমি সারাদিন একা। ঘর থেকেই অল্পস্বল্প অফিসের কল নিচ্ছি, একটু আধটু মেল চেক করে রিপ্লাই করছি, আবার ঘুমোচ্ছি। ঘুম থেকে জেগে উঠলেই আবার একা একা নিজের সঙ্গে কথা বলা।

    ভাস্করের সাথেও কথা হল এর মধ্যে। খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার, ভাস্কর দিব্যি চিনে ফেলল রাজীবকে। তার স্ত্রী হিসেবে ঊর্মিলাকেও চেনে। ঊর্মিলা যে আমার ছোটবেলাকার বন্ধু, সেটা অবশ্য জানত না। তবে যেটা জানাল, সেটা আমার কাছে কম ইমপর্ট্যান্ট নয়। দু বছরের তফাত থাকা সত্ত্বেও রাজীব আর ভাস্কর ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি পাড়ার বন্ধু। মাঠের বন্ধু, একসাথে ফুটবল পিটিয়েছে, ক্রিকেট খেলেছে। সেই রাজীব যে গত চার পাঁচ বছর ধরে একেবারে পালটে গেছে, এটা ভাস্কর দেখেছিল। কিন্তু সে নিজে এখন কলকাতায় থাকে, মাঝেমধ্যে উইকেন্ডে বর্ধমানে আসে, সেইভাবে রাজীবের সাথে তার যোগাযোগ নেই, ফলে সেভাবে মাথা ঘামাবার সময় পায় নি ভাস্কর। শুধু কোনও এক ঠেকে নাকি রাজীব একবার ভাস্করকে বলেছিল, তার বউ তাকে ভালোবাসে না, ভালোবাসে অন্য কাউকে।

    অন্য কাউকে, অর্থাৎ আমি। যদিও জানি না, আমিই কিনা, ঊর্মিলা নিজেই আমার সাথে এ খেলা খেলছে কিনা। আমার মত করেই ঊর্মিলা অন্য কাউকেও একই রকমভাবে চাইত এক সময়ে, হতেই পারে। হয় তো তাকে না পেয়েই আমার দিকে ঝুঁকেছে। কিন্তু সমস্যাটা কী? ঊর্মিলা কি ম্যানিয়াক? নাকি সত্যিই আমার অনুপস্থিত উপস্থিতিই ওদের সম্পর্কে চিড় ধরার কারণ? আমি যদি কারণ হই, তা হলে তার চেয়ে খারাপ ব্যাপার আর কিছু হতে পারে না। ওদের সুস্থ স্বাভাবিক একটা সম্পর্ক আমার অজান্তেই আমার কারণে নষ্ট হয়ে যাবে, এটা আমি কিছুতেই চাইতে পারি না। আমাকে ঊর্মিলার সঙ্গে দেখা করতেই হবে।

    সোমবার অফিস জয়েন করব। ভিসার ডকুমেন্ট ফাইল টাইল করার আছে। মাস তিনেকের জন্য আমাকে অ্যাডিলেড যেতে হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে কাজ মিটিয়ে একটু বরং কলকাতা ঘুরে আসি। দেখি কিছু করা যায় কিনা।

    ভাস্করকে অল্প করে জানিয়েছি, গল্পটা। বলেছি আমার সন্দেহের কথা। ছোটবেলার বন্ধু হিসেবেই আমি চাইব ওদের দাম্পত্য সম্পর্কটা আবার সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। যদি অ্যাট অল আমিই কারণ হয়ে থাকি এইসবের, তা হলে আমাকে নাক গলাতেই হবে। দরকার হলে আমি রাজীবের সাথেও কথা বলতে পারি। তবে, সে সব করার আগে আমার আরও খবর দরকার। ভাস্কর এই শনিবার বর্ধমানে ফিরছে, ও চেষ্টা করবে আরও কিছু ইনফর্মেশন জোগাড় করবার, বুধবার আমি কলকাতা পৌঁছলে ওর অফিসে ডেকেছে আড্ডা মারার জন্য।

    পাঁচদিন পর, কথা হয়েছে কাল ঊর্মিলার সঙ্গেও। চ্যাটে। যদিও ওকে জানতে দিই নি আমার গোপন ইনভেস্টিগেশনের খবর। আমার ফোন নম্বর দিয়ে বলেছি দেখা করার কথা, ফোন করার কথা। ওর ফোন নম্বরও চেয়েছিলাম। দেয় নি। জানতাম দেবে না। বলেছি, আমি কলকাতায় যাচ্ছি। বলেছি, শুক্রবারের মধ্যে ফোন না পেলে আমি শনিবার বর্ধমান চলে যাব, ওর বাড়িতে।

    আর কোনও খারাপ লাগা নেই আমার মনে। দীপালি বুবুনকে নিয়ে ঘুমোচ্ছে পাশের ঘরে। যদিও ইনফেকশনের প্রভাব আমি কাটিয়ে উঠেছি, তবু আমার শরীর এখনও সুস্থ নয়, তাই এ কদিন আমার শোবার ঘর আলাদা। আমি জানি, ভোররাতে পা টিপে টিপে দীপালি আসবে এ ঘরে। ও ঘরে কিছুক্ষণের জন্য একলা ঘুমোবে বুবুন, যতক্ষণ না সকাল হয়।

    কাল দীপালির ছুটি।
  • SOCl2 | 127.194.198.54 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১৯:৪৫612423
  • ধুসস, এ তো সমাজ সেবা কাম গোয়েন্দা গপ্প হয়ে গেল। নিদেন পক্ষে ন হন্যতে ও নয় ঃ(
  • siki | 132.177.144.50 | ০৯ জুলাই ২০১৩ ১৯:৪৯612425
  • আমি কি ন হন্যতে লিখতে বসিচি নাকি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন