এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমার সকল ভালোবাসায় ...

    siki
    অন্যান্য | ২৮ জুন ২০১৩ | ১৫৩৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 132.177.160.20 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২২:২৩612493
  • গল্পটা কিন্তু আজ লিখে সেশ করে দিইচি। পুরোটা পেস্ট করি নি। স্পেকুকেশনগুলো পড়ে নি একবার তারপরে বাকিটা পেস্টিয়ে দেব।
  • 4z | 152.176.84.188 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২২:২৪612494
  • সন্ধ্যেবেলা ট্রেনেও ভালো ভীড় হবে। বিধাননগর থেকে উঠতে ঝামেলা আছে।
  • byaang | 132.166.145.24 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২২:২৭612495
  • স্পেকুলেশনের আবার কী আছে? বল্লুমই তো উল্টোডাঙার মোড়ে অনেকগুলো ওষুধের দোকান আছে।
  • pharida | 192.64.65.5 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৯612496
  • জ্জিও - দারুণ নামছে......

    স্পেকুলেশন এর কাছে ডেস্টিনিকে নতজানু কোরো না কিন্তু :)
  • sosen | 218.107.178.181 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২২:৫৯612497
  • গল্প শেষ? আমার স্ট্রিপ টিজ?
  • pi | 118.12.169.134 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:০৫612498
  • সোসেনের পোস্টের পর হিনী দিয়ে গেলুম। ছাপ্পা হিনী। কুপ্রীতের হয়ে।
  • siki | 132.177.160.20 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:১৪612499
  • তুলে দেব নাকি বাকিটা? নাকি সাসপেন্স জিইয়ে রেখে কাল পজ্জন্ত ঝুলিয়ে রেখে দেব?

    আর হোসেনকে পরের বার হাতের কাছে পেলে ওর টাকে অ্যায়সান তবলা বাজিয়ে দেবো না ...
  • | 60.82.180.165 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:১৫612500
  • এখনি দাও। প্রেমের সমাধি দেখার জন্যে উদগ্রীব হয়ে আছিঃ))
  • kumu | 122.79.83.8 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:২০612503
  • উর্মিলার বাচ্চারা মাকে ফোনাতে পারে।খ্যাল করিয়ে দিলাম।
  • pharida | 192.64.65.5 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:২০612501
  • পাঁচ মিনিটে পোস্ট না এলে কিন্তু হেব্বি ঠ্যাঙানি , বলে রাখলাম !
  • siki | 132.177.160.20 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:২২612504
  • :)
  • pharida | 192.64.65.5 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৫612505
  • উড় নাকি মিলা ?
  • | 24.97.218.19 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৬612506
  • ধুঃ কুমুর যত চিন্তা। আরে রণ রাজী হয়েছে দেখেই উর্মিলা গদগদ হয়ে ফেরত চলে যাবে দেখে নিও।
  • kabya | 59.249.113.232 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৮612507
  • আরে দিয়ে দিন না সিকি বাবু। এ টেনশন আর সহ্য হয় না। এ দেকছি ঐ সিরিয়াল গুলো র মতো ক্লাইম্যাক্স এ গিয়ে থেমে গেলো।
  • pharida | 192.64.65.5 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩২612508
  • সেলিকল সেলিকল সেলিকল মলম .....................।।

    (কমার্শিয়াল ব্রেক)
  • siki | 132.177.160.20 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩৪612509
  • না না, সেলিকলের যুগ গিয়াছে, এখন কমার-শিয়াল বলতে বোঝায় ছায়া প্রকাশনী।

    অভাবে জাপানি তেল। ;)
  • siki | 132.177.160.20 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪১612511


  • জিতেছি। রণকে আমি জিতেছি। বড় ভালোমানুষ, বড় ভিতু মানুষ রণ। ভয় কি আমার করে নি? তবু, খারাপ হব জেনেই তো ওর কাছে এসেছিলাম, ও তো খারাপ হবার প্রস্তুতি নিয়ে আসে নি। প্রচুর বায়নাক্কা করছিল যখন ট্যাক্সি ডেকে বললাম, হাওড়া স্টেশন চলো। আনসার্টেনিটি কুরে কুরে খাচ্ছিল রণকে,তখনও পর্যন্ত। কোথায় যাব, না জানা পর্যন্ত কিছুতেই স্বস্তি হচ্ছিল না ওর। যখন সত্যিই জানল, আমার কোনও ডেস্টিনেশন ঠিক করা নেই, কী রকম ভেবলে গেছিল বেচারা।

    স্টেশনে যেতে যেতেই মা-কে ফোন করে বলে দিয়েছিলাম বন্ধুর বাড়িতে রাতে থাকছি, চিন্তা যেন না করে। রণ-রুম্পা এক রাত্তির মায়ের চোখের বাইরে দিদার কাছে থাকলে খুশিই হবে। রণজয় ওর মা-কে ফোন করে কী বলল, তা ও-ই জানে। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, - এবার?

    আমি ভাঙচুর হচ্ছি তখন ভেতরে ভেতরে, তবু মুখে হাসি রেখে বললাম, এবার আমার সব দায়িত্ব তোর, রণ। তুই যেখানে নিয়ে যেতে চাস, যাব। শুধু বর্ধমানে যাব না, আর এমন দূরত্বে যাব, যেখান থেকে কাল বিকেলের মধ্যে ফিরে আসা যায়।

    দায়িত্ব পাওয়ামাত্র রণের জড়োসড়ো ভাবটা যেন খানিক কাটল। খুব যত্নের সঙ্গে কেটে আনল দুটো টিকিট। আমি জানতেও চাইলাম না কোথাকার টিকিট। শুধু এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠবার সময়ে আমি জিজ্ঞেস করাতে বলল, পরের স্টপেজেই নামব। বেশিদূর নয়।

    আমরা যাচ্ছি খড়গপুর। ট্রেন চলার পরেই জেনে নিয়েছি। ফাঁকা একটা কোণ দেখে নিয়ে বসে যখন টের পেলাম খুব খিদে পেয়েছে, রণের দিকে তাকিয়ে দেখি রণ তখন খুব হাসছে নিঃশব্দে। টেনশনবিহীন হাসি। ওর বোধ হয় মনে আর কোনও দ্বিধা নেই। হেসে ফেললাম আমিও। নিকটতম সহযাত্রীর কান বাঁচিয়ে রণ আমাকে বলল, আমরা তাহলে ইলোপ করছি, সত্যি সত্যি?

    আমি রণের হাতে হাত রেখে বললাম, তোর এখনও সন্দেহ আছে? রণ হাত সরাতে যাচ্ছিল, আমি চেপে ধরলাম, হাত সরাস না, একটু ছুঁয়ে থাকতে দে। লেটস বিহেভ অ্যাজ কাপল। আমার এখনও কেমন বিশ্বাস হচ্ছে না সত্যিই তুই এখন আমার সঙ্গে আছিস।

    রণ আবার সুন্দর করে হাসল, - কাপল। পরকীয়ার কাপল।

    - তোর খুব খারাপ লাগছে, না, রণ? আমি তোকে জোর করে টেনে নিয়ে এলাম।

    - উঁ? না না, একেবারেই না। খারাপ একটু লাগছে ঠিকই, তবে সে অন্য কারণে।

    - বউ ছাড়া আর কারুর সাথে কখনও ফ্লার্ট করিস নি, না?

    - না। তুই?

    - না রে। স্কুল আর বাড়ির বাইরে তো আমার তেমন কোনও লাইফ নেই। মফস্‌সল শহরে সবাই সবাইকে চিনে যায় একটা সময়ে। তোর গল্প বল। তুই তো অনেক দেশ ঘুরেছিস, ইওরোপ, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, কোনও বিদেশী মেয়ের সাথে পরকীয়া করিস নি কখনও?

    - যাব্বাবা। এমনভাবে বলছিস যেন আমি পরকীয়া করার জন্য দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াই। শোন, অ্যাফেয়ার ইত্যাদি নিয়ে অনর্থক ট্যাবু আমার মধ্যে নেই। তোর কেসটা নিয়ে আমি খুব কিউরিয়াস হয়ে আছি বলেই তোর সাথে যাচ্ছি। প্রচুর কিছু ধোঁয়াশা হয়ে আছে। তুই এত স্মার্টলি আমার সাথে রাত কাটাতে চাইলি, আবার জোরও করতে চাইলি না, একবার বলছিস খুব একা লাগে, একবার বলছিস কিছুই বলতে চাস না, তোর ঠিক কী প্রবলেম হয়েছে? বন্ধু হিসেবে আমাকে কিছু কি বলা যায়?

    - রণ! ডোন্ট ট্রাই টু বি মাই মেন্টর। আমার উপদেশ চাই না।

    - শুধু আমাকে চাই?

    - তুই খুব বুদ্ধিমান।

    - এটা কীরকম একটা ওয়ান ট্র্যাক মাইন্ড হয়ে যাচ্ছে না? একজনকার সম্বন্ধে কিছু না জেনে তার সাথে রাত কাটানো যায় নাকি?

    - যায় না? তুই তো এত দেশে ঘুরেছিস, এত রকমের মানুষ দেখেছিস। এক রাত, মাত্র এক রাতের সম্পর্ক বানাতে হলে কি দুজনের দুজনকে জানাটা খুব দরকারি হয়ে দাঁড়ায়? আমরা তো সারাজীবন একসাথে থাকতে যাচ্ছি না।

    - ও, ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড? খুব ইংরেজি বই টই পড়িস বুঝি আজকাল?

    - খুব। তাই তো তোকে দিয়ে হাতেকলমে করার ইচ্ছে হল। জোকস অ্যাপার্ট রণ, তোকে পাবার ইচ্ছে আমার আজকের নয়। বহুদিনের। সামহাউ আমি অসুখী। তার মানে এটা নয় যে সুখী হলে আমি তোকে ভুলে যেতাম। আমি সত্যি তোকে ভালোবাসি রে, রণ।

    - ভালোবাসা মানেই কি শারীরিকভাবে চাওয়া?

    - নয়? তোর কথা জানি না রণ, আমি তো মনে করি সেটা ভালোবাসাবাসির একটা পার্ট। আমি তোকে একটা কিস করতে পারি জোর করে, তার পরে তুই না চাইলে আমি সারারাত শুধু তোকে জড়িয়ে শুয়ে থাকব, একটুও জোর করব না। কিন্তু এগুলো ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে বসে আলোচনা করার বিষয় নয় রণ, আপাতত আমার খুব খুব খিদে পেয়েছে।

    রণজয় হাতের ঘড়ি দেখল, - আর আধঘণ্টার মধ্যেই খড়গপুর এসে যাবে। ওখানে পৌঁছে হোটেল দেখে খেয়ে নেওয়া যাবে।

    - এক্সাইটেড?

    - ধুর, তোর কথায় নেচে হুট করে চলে এলাম, রাতে চেঞ্জ করার কিছু আনি নি, সকালে পরিষ্কার হবার জন্য কিছু আনি নি, এখন কি আর এক্সাইটেড হবার সময়?

    - তুই পাগল একটা।

    - কেন?

    - এমনি।

    * * *

    - খড়গপুর আসতে গেলি কেন?

    - এমনিই।

    - তোর চেনা জায়গা?

    - খানিকটা। বার দুয়েক এসেছি এখানে। একবার ফর্ম তুলতে, আরেকবার বোধ হয় পরীক্ষা দিতে।

    গোলবাজারে হোটেল পেতে একটুও অসুবিধে হল না। এতকিছু হয়ে যাবার পরে এখন আমার কেমন ভয় সঙ্কোচ হচ্ছে। কাজটা কি ঠিক করছি? আমার যা হয় হোক, রণের যদি কোনও বদনাম হয়, আমি দায়ী থেকে যাব সারাজীবন। কেমন এখন মনে হচ্ছে, রণকে আমি বোধ হয় ফাঁসিয়ে দিচ্ছি। আমি কি সত্যিই এতটা নিচে নেমে গেছি? এতটা খারাপ হয়ে গেছি?

    বাড়তি জামাকাপড় কিছু আনি নি, তাই পরিষ্কার হয়ে একই জামাকাপড় পরে আমরা খেতে বেরোলাম। রণ এখন অনেক সহজ, অনেক স্বচ্ছন্দ।

    * * *

    রণ চেয়ে আছে আমার দিকে, একদৃষ্টে। আমার নিজের হার্টবীট আমি নিজের কানে শুনতে পাচ্ছি।

    নীরবতা ভাঙল রণই। - তাকিয়ে থাকবি এভাবেই সারারাত? কী হল তোর প্ল্যানের?

    আমি আর সামলাতে পারলাম না নিজেকে। বিকেল থেকে সমানে যুদ্ধ করে চলেছি নিজের সাথে। এতক্ষণে, এতক্ষণে আমার সমস্ত আনন্দ, সমস্ত ক্ষোভ, সমস্ত জীবনের সবকিছু পাওয়া-না-পাওয়ার দ্বন্দ্ব উপচে এল আমার চোখ দিয়ে। হু-হু করে কেঁদে ফেললাম, রণের বুকে মুখ রেখে। রণ, আমার স্বপ্নের পুরুষ, আমাকে জড়িয়ে রয়েছে দুহাতে। তার দুহাত উঠে আসছে আমার চুলে বিলি কাটতে কাটতে, খুলে দিচ্ছে আমার চুলের গোছা। তার দু হাত আলতো করে তুলে ধরছে আমার মুখ, নিয়ে আসছে তার মুখের উচ্চতায়। তার ঠোঁট দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে, নেমে আসছে আমার ঠোঁটে, রণ ... আমার রণজয় ... আয় রে, শুষে নে আমার সমস্ত পাপ।

    এই বৃষ্টির জন্য আমি অপেক্ষা করেছি দীর্ঘকাল। বৃষ্টি আসছে। অনেক বছরের খরা কাটিয়ে বৃষ্টি আসছে।

    ... আজ ইচ্ছে করেই তোর কাছে যাই নি -- তোর
    ওই অসামান্য দৃষ্টির সামনে কুঁকড়ে যাই -- ওভাবে
    বৃষ্টিভেজা ভোরের মত চাউনি ছুঁড়ে দিলে আর
    কী-ই বা বাকি থাকে আমার বল্‌?
    আজ সমস্ত দিন ফোনের কাছে যাব না -- ধারেকাছেও
    ঘেঁষব না -- যদি ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার
    মতো -- পাকেচক্রে বলেই ফেলি -- আমি তোকে ...
    ... তোকে ... শুধু তোকেই ...
    বলব না -- কোনওদিনও না ...
  • pharida | 192.64.65.5 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪১612510
  • তোমার হচ্ছে - উদুম ক্যাল দেওয়ার জন্য সুপারি পাঠালাম বলে...।
  • siki | 132.177.160.20 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪২612512


  • লাল ভারি পর্দা, আমি সবসময়ে মনে করি তোমাকে,
    লাল ভারি পর্দা, তোমার পিছনে আমি রেডিও বাজতে
    শুনেছিলাম, পড়া মুখস্থ শুনেছিলাম, ঠুং-ঠাং কাপ-ডিশও কি শুনি নি?
    লাল ভারি পর্দা, তুমি আমার সবচেয়ে বন্ধুর কাজ করেছো, আমি
    তোমার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ, লাল ভারী পর্দা, কারণ
    যদিও ওড়ার কথা ছিল না, তবু তুমি এক মুহূর্ত উড়েছিলে,
    যদিও দেখার কথা ছিল না, তবু
    একঝলক দেখিয়েছিলে পাশের ঘর থেকে,
    টেনে আমাকে দাঁড় করিয়েছিলে তোমার পাশে,
    ফাঁক দিয়ে দৃষ্টিপাত করিয়েছিলে,
    ...
    লাল ভারি পর্দা, আমি তারপর থেকে
    আর কখনও যাই নি তোমাদের বাড়ি, লাল ভারি পর্দা, শুধু
    থেকে থেকেই এখনও আমি
    মনে করি তোমাকে, ওঃ তোমার সেই উড়ে যাওয়া ...

    এই চিঠি তুই যতক্ষণে পাবি, ততক্ষণে আমি হয় তো তোর থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। ... ও কী? না-না, হুটোপাটি করে বেরোস না, ওভাবে আমাকে খুঁজে পাবি না। আর খুঁজবি কোথায়? রেলস্টেশনে? কলকাতায়? প্লিজ ওভাবে খুঁজিস না। তোর ছোটাছুটিই সার হবে।

    ভয় নেই রে। মরতে যাচ্ছি না। মরবার জন্য আমি বাঁচি না। বেঁচেবর্তেই আছি, থাকবোও যতদিন প্রাণ আছে। জীবনটা একবার নতুন করে শুরু করার কথা ভাবছি রে। সবকিছু ছেড়ে, সবাইকে ছেড়ে, একদম নতুন করে। কাউকেই বলে যাবার দায় রাখি নি, শুধু তোকে ছাড়া। তোকে বলে না গেলে শান্তি পাবো না।

    খোঁজ নিয়েছিলি তোর বন্ধুকে দিয়ে, জানি। সে বোধ হয় কিছুই জানাতে পারে নি তোকে। অন্তত এটা জানাতে পারে নি যে, রাজীবের সাথে আমার একটা সেপারেশন কেস চলছে। আমার আত্মীয় পরিজন, আদালত, সবাই চাইছে আদালতের বাইরে ব্যাপারটা মিটমাট করে নিতে, মূলত সন্তানদের কথা ভেবে, কারণ সেপারেশন আইনত হয়ে গেলে ছেলেমেয়েদের আমি আমার কাছে পাবো না। হয় তো আউট অফ কোর্ট সেটলমেন্টই হয়ে যাবে। সম্পূর্ণভাবে দুজনকার অনিচ্ছেতেই আমাদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থেকে যেতে হবে, যতদিন না আমার ছেলেমেয়েরা বড় হয়।

    আমার ছেলের নাম জানিস নিশ্চয়ই। তোর নামেই নাম রাখা। রাজীব চিনত না তোকে। তোর ওপর আমার দুর্বলতার কথা জানত আমার খুব পরিচিত কয়েকজন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার রক্তের সম্পর্কিতও বটে। সেই রকমই একজন কারুর কাছ থেকে রাজীব যখন প্রথম হিন্ট পায়, ততদিনে আমার মেয়ে জন্মে গেছে। এমনিতেও রাজীবের সঙ্গে আমার সম্বন্ধ করে বিয়ে, বিয়ের পরে একে অপরের সাথে পরিচিত হবার সময়েই বুঝতে পারি রাজীব ঠিক আমার টাইপের নয়, নিতান্তই কেজো, কেঠো, ঘরকুনো, আমাদের মিলবে না। মেলাবার চেষ্টা অবশ্যই করা যেত, করছিলামও, কিন্তু রাজীবের মানসিকতা একটু অন্য রকমের। যখন তোর কথা জানল, জানল যে তোর নামেই আমি ছেলের ডাকনাম রেখেছি, ও যদি আমাকে গালাগাল দিত, চেঁচামেচি করত এই নিয়ে, তা হলেও হয় তো কথা বলার একটা রাস্তা খোলা থাকত।

    রাজীব, সে সব কিছুই না করে, একটা খোলসের মধ্যে গুটিয়ে নিল নিজেকে। আমি নিজে অনেকবার বোঝাবার চেষ্টা করেছি ওকে, কোনও লাভ হয় নি। ছেলেমেয়েদের জন্য ওর ভালোবাসা অকৃত্রিম, কিন্তু আমার জন্য ওর দরজা চিরকালের মত বন্ধ হয়ে গেল। আজ প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেল আমরা একসঙ্গে থাকার অভিনয় করি। সন্দেহ করার কোনও অবকাশ রাখি নি। তোর চেয়ে বেশি আর কে জানবে বল, যে, মাত্র চার মাস আগেও আমি তোকে চিনতাম না? সন্দেহ করার কোনও জায়গাই ছিল না, শুধু প্রচণ্ড অভিমানের বশে ও আমার থেকে দূরে সরে গেছে। কোনও জবাবদিহিই ও চায় নি, আমি বলা সত্ত্বেও শুনতে চায় নি। মনের মিল তো হয়ই নি কখনো, শরীরের মিলও বন্ধ হয়ে গেল। আমি টোটালি ব্রাত্য হয়ে গেলাম ওর কাছে।

    এখন বুঝতে পারছিস তো, কেন তোকে রাজীবের সাথে আলাপ করাই নি? তোর ওপর আমার টান, একান্তভাবেই আমার একার, গোপন অনুভূতি করে রেখেছিলাম এতদিন। তোকে একদিন সাদা পায়রার কথা লিখেছিলাম, মনে আছে? আশেপাশের ধূসর পায়রাগুলো কীরকম অ্যাডমায়ার করত ওকে? ... তোকে আমি ওই পায়রাটার মতন করে দেখতাম। ভোরের রান্নাঘরে, যখন সবাই ঘুমোত, আমি ওর দিকে তাকিয়ে, তোর সাথে গল্প করতাম মাঝে মাঝে। সাদা পায়রাটা জানতেও পারত না। কেউই জানত না।

    অবশেষে যখন তোর দেখা পেলাম ফেসবুকে, অনেক পুরনো কিছু ক্ষতের মুখ খুলে গেছিল আমার। খুব সাবধানে এগিয়েছিলাম তাই। সংসার হারাতে চলেছি, তোকে হারালে আমার সত্যি আর বেঁচে থাকবার কিছু থাকত না। তোকে হারাতে চাই নি তাই কোনও ভাবেই। তখন থেকেই মনকে তৈরি করছিলাম আস্তে আস্তে, দোষ না করেই যদি এত বড় শাস্তি ভোগ করে যেতে হয় আমাকে, সারাজীবন ধরে, তা হলে দোষটা একবার করেই ফেলি না কেন? শাস্তিটা তবু তো তাহলে একটু জাস্টিফিকেশন পাবে! অন্তত আক্ষেপ নিয়ে তো বেঁচে থাকতে হবে না।

    খারাপ মেয়ে হবার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তখন থেকেই। তুই আমার সুবিধে করে দিলি খুব তাড়াতাড়ি, কলকাতায় এসে। থ্যাংক ইউ রণ, আমাকে খারাপ করে দেবার জন্যে। এমনি করে নষ্ট হয়ে যাবার জন্যেই বোধ হয় বসে ছিলাম আমি। আর আমার পিছুটান রইল না।

    মন খারাপ করিস না রণ। নিজেকে ছোট ভাবিস না। তুই ফিরে যাস নিজের জীবনে, ভুলে যাস আমার সাথে কখনো দেখা হয়েছিল বলে। হয় তো সিনিক শোনাচ্ছে, তবে, যত তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে পারিস, তত ভালো। দীপালিকে খুব ভালোবাসিস, ওর জন্য আমার অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা রইল। ওর কাছে আমি অপরাধী হয়ে রইব সারাজীবন, তাই তোকে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি পারিস, ভুলে যাস।

    তোর ফোন নম্বর আমি হারাই নি রে। রইল আমার কাছে। কখনও সময় সুযোগ পেলে আবার কথা বলা যাবে। আমি কলকাতায় একটা ভালো চাকরি পেয়েছি। আমি তো ব্রেইল জানি, একটা লাইব্রেরিতে বইপত্র ব্রেইলে অনুবাদ করার কাজ পেয়েছি। মনের মত কাজ। মাইনে বাড়বে অনেকটা, হয় তো ছেলেমেয়েকে নিজের কাছে এনে রাখার মত একটা জোর পাব। ততদিন আমাকে কম্প্রোমাইজের জীবনেই থাকতে হবে।

    দুঃখ থাকবে না। অন্তত, এক রাতের জন্য তো তোকে পেয়েছিলাম, নিজের মত করে। সেই স্মৃতিটুকু নিয়েই মনে হয় কেটে যাবে অনেকদিন। ততদিনে বয়েসটা বোধ হয় আরও খানিকটা বেড়ে যাবে, এসব পাগলামিও কমে যাবে। অনেক অনেকদিন পরে, পারলে আমাকে নিয়ে একটা গল্প লিখিস। আমি পড়ব।

    তোর পয়সায় আইসক্রিম খেয়েছি, ট্রেনে চড়েছি, কাল রাতের খাবার খেয়েছি। হোটেলের বিলটুকু না হয় আমিই দিই? শত্রুর কাছে ঋণ রাখতে নেই, না? চিঠির সাথে এই টাকা-কটা রেখে দিলাম।

    তোর ঘুমন্ত ঠোঁটে আলতো করে চুমু খেয়েছি একটা, চিঠি শেষ করার সময়ে। তুই টের পাস নি। ধরা পড়ে যাবার আগেই আমাকে পালাতে হবে। অনেকটা দূরে।

    চললাম রে। খোঁজ করিস না। চিন্তা করিস না। ভালো থাকিস।
  • siki | 132.177.160.20 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৩612514
  • সেশ।

    এইবার আপনারা হোলনাইট আলুচানা চালান, আমায় গুছিয়ে খিস্তি টিস্তি মারুন গিয়ে, আমি ঘুমোতে চল্লাম। :)

    কাল সকালে উঠে সব পড়ে আমার মূল্যবান মতামত দিয়ে দেব খনে। :)
  • pharida | 192.64.65.5 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৭612515
  • দারুণ - শাবাশ...।
  • a x | 138.249.1.206 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৭:২২612516
  • ল্লেহ! এই হল পরকীয়া? এতো মরালমাসিমার ব্রতকথা! আপনাদের দ্বারা মাইরি কিসসু হবেনা, একেবারে কিসসুটি না!
  • byaang | 132.172.227.220 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৭:৪৩612517
  • আগেই বলেছিলাম।
  • byaang | 132.172.227.220 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৭:৫০612518
  • শেষটা অতি খাজা হইল। শুরুটাও যেমনি ছড়িয়েছিল, শেষটাও তেমনি। ভাটে আর টইতে বকখালি আর ডায়মন নিয়ে লোকে অত অত জ্ঞান দিয়েছে বলে নতুনত্ব আনতে শেষমেশ খড়গপুর!!!!! ওটা কি পরকীয়ার একটা উপযুক্ত জায়গা হল! অবিশ্যি ভাগ্যি ভালো, লেখকের উর্বর মগজ কোলাঘাটে নিয়ে গিয়ে ফেলেন নি পরকীয়াকারীদের। তারপর হয়তো দেখা যেত রাত্তিরবেলায় দীপালি এবং উর্মি দুজনেই বসে মাছ কুটছে। খড়গপুর সে দিক দিয়ে মন্দের ভালো।
  • Sibu | 183.60.205.153 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৭:৫৮612519
  • আহেম্‌। গুরুর একজন ভাবী বধূকে নিয়ে কোলাঘাটে প্রেম করতে গেছিল। তাপ্পর লোকাল মাস্তানদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে আসে।

    পুঃ রাত্তিরে কোলাঘাট গিয়ে কেউ (মহিলা) যদি ইলিশ কুটে রান্না করে খাওয়ায় তো আমি তার সাথে পরকীয়া করতে রাজী।
  • hu | 199.138.248.74 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৮:১৪612520
  • সত্যিই তো! পরকীয়ায় ইলিশ খারাপ কি!
  • byaang | 132.172.227.220 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৮:২৮612521
  • ছিঃ এদের কারুর দ্বারা কক্ষনো পরকীয়া হবে না, এই আমি বলে দিলাম। যারা পরকীয়ার সময়েও খাওয়াদাওয়াটাকে বেশি প্রাধান্য দেয়, তাদের হ্যাংলা স্বভাবের জন্যই কক্ষনো তাদের দ্বারা কিচ্ছুটি করা হয়ে উঠবে না।

    এদিকে আমার এত এত কোশ্নো পাচ্ছে।
    ১) সাড়ে সাতটার সময়ে উল্টোডাঙা থেকে ট্যাকচি ধরে মানিকতলা আর গিরিশ পার্কের জ্যাম পেরিয়ে কটার সময়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছলো?
    ২) খরগপুর যাওয়ার লাস্ট ট্রেন কটায়?
    ৩) কটার সময়ে সেখানে পৌছলো?
    ৪) কটার সময়ে হোটেল পেল?
    ৫) রাত্তিরে কী খেল?
    ৬) অত হ্যাঙ্গামের পরও ঘুম পেয়ে গেল না কেন?

    এইগুলোর উত্তর পেলে পরের কোশ্নোগুলো করব।
  • Sibu | 183.60.205.153 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৮:৩৩612522
  • খালি ফাঁকিবাজি!! একটা ইলিশ রান্না করতে পারে না, আর তাদের সাথে পরকীয়া কত্তে হবে!! এত্ত খায় না।

    আমি বলে ভাল রান্না করে দেখে তবে গিন্নিকে প্রোপোজ করেছিলাম।
  • dd | 132.167.3.39 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৮:৩৫612523
  • ঠিক এই, এই ভয়টাই পাসসিলাম। শেষটায় একটা উড়ো চিঠি আর খান কতোক গেরামাভারী পদ্য দিয়ে সেষ হবে। ঝপাং করে সেষ হয়ে যাবে। ব্যাস ব্যাস ব্যাস - আর না টাইপের এনডিং।

    তাও ও, একটি বেপরোয়া আরাবুল মে'মানুষ এনে ভালো হয়েছে। "পরকীয়া তো ডরনা ক্যায়া"? গোছের মনোভাব।

    কিন্তু খড়োগপুরে ক্যানো ? ছি ছি। একটি সুপ্রতিষ্ঠিতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামাংকিতো শহরে এইসব বেলেল্লাপনা না করলেই নয়? কোনো শ্রদ্ধা ভক্তি , এসব কিছু নেই?

    শোনো সিকি, নির্বাচিতো রচনাবলীতে শহর বদলে দিও। সিংগুর দিতি পারো। আদিগন্তো বিস্তৃত আলুক্ষেত। চাঁদনী রাতে থোপা থোপা জোছনা।গাঢ় আকাশের প্রেক্ষাপটে টাটা মোটোরের প্রেতপুরী। ছ্যাড় ছ্যাড় করে বইছে মলয় বাতাস। সহসা নিশীথ রাত্রের বক্ষ চিড়িয়া এক দংগল সারস উড়িয়া গ্যালো, চিৎকারিয়া উঠিলো "ক্ষিঃ রে ? ক্ষিঃ রে? ক্ষিঃ রে? " ঠিকাছে ?
  • byaang | 132.172.227.220 | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৮:৪৫612525
  • ঃ-)))))))))))))))))))))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন