এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রেসিডেন্সি নিয়ে - আবাপ বনাম এইসময়

    দেব
    অন্যান্য | ০৯ আগস্ট ২০১৩ | ৬৪৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১২:৩৪620221
  • কোর ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে নেচার সায়েন্স হওয়া প্রায় ব্যতিক্রম। Ottino, যিনি ম্যাক্রোমিক্সিং-এর সায়েন্সটাকে প্রায় নির্মাণ করেছেন, তাঁর সারা জীবনে তিনটে নেচার পেপার। Frisch-এর নেচার পেপার জাস্ট একটা। পুরোনো আমলে ব্যাচেলর, টেলর এদের সম্ভবতঃ সায়েন্স নেচারে কোনও পেপার নেই।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১২:৪৬620223
  • নেচার, সায়েন্সের বাইরেও আরও কিছু হয়ঃ

    Fenn, a former professor of chemical engineering at Yale, shared the prize IN CHEMISTRY with Koichi Tanaka of Japan and Kurt Wuethrich of Switzerland (in 2002).

    http://www.yale.edu/opa/arc-ybc/v31.n7/story1.html
  • tatin | 132.252.251.244 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১২:৪৬620222
  • NCLএর ডেপুটী ডিরেক্টর রানাডের কাজ দেখেছি। রাণাডে সম্পূর্ণ ভারতে শিক্ষিত এবং ভারতে বসে তাঁর লেখা রিঅ্যাক্টর ডিসাইনের বই সারা পৃথিবীতে টেক্সটবুক।
    রানাডের পিএইচডি গাইড JB Joshi কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এই মুহূর্তে পৃথিবীর প্রথম কজন সায়েন্টিস্টের মধ্যে আসবেন।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৩:৩৫620225
  • কী জানি ভাই, আমার ফিল্ডে তো কিস্যু দেখি না। সুদু পেপার ফর পেপারস সেক হয়ে চলেছে। আমার দেখার দোষ হতে পারে।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৩:৫৯620226
  • রানাডে ৯০-এর দশকে NCL পরিত্যাগ করেছিলেন। কয়েক বছর আগে আবার ফিরে আসেন। আর NCL-এ একজন নয় গুচ্ছের "ডেপুটি ডাইরেক্টর" আছে।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:০৫620227
  • ....... টেক্স্ট বই research-এর অংশ নয়।
  • তাতিন | 127.197.76.135 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:১৪620228
  • রানাডের রিসার্চ নিয়ে আলাদা করে আর কিছু বললাম না, বলার অপেক্ষাও রাখেনা মনে হয়। শুধু গ্র্যাজুয়েট কোর্সের টেক্সট বইয়ের কথা লিখলাম। আর অ্যাকাডেমিক্সের মধ্যে পড়াতে পারাটাও খুবই ইম্পট ব্যাপার কিন্তু।
    আনফরচুনেটলি আমেরিকার আণ্ডারগ্র্যাড এডুকেশন নিয়ে যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল।
  • maximin | 69.93.244.253 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:১৮620229
  • আপনারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিজ্ঞানে 'ভারতের' রিসার্চারদের সাফল্য পরিমাপ করছেন। আমাদের তো সাবজেক্ট টাই বসে গেছে। সারা বিশ্ব ধরলে।
  • cm | 127.202.93.81 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:২২620231
  • গোল পোস্ট কি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে?
  • তাতিন | 127.197.76.135 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:২৭620232
  • ম্যামি, বিশদ করেন
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.244.253 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:২৯620233
  • কাকে বললেন বুঝলাম না সিএম। ধরে নিতে পারি আমাকে নয়।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৩৩620234
  • আর তাতিনের কাছে প্রশ্ন যে এই থিওরেটিকাল কাজগুলো কি ইন্ডাস্ট্রিতে অ্যাপ্লাই হচ্ছে? আমি বেশিরভাগ সময় দেখি (আমাদের ফিল্ডে) ধরা যাক পাওয়ার সিস্টেমে কোনো একটা কন্ট্রোল ইস্যুকে সলভ করার সময় গুচ্ছ ননলিনিয়ারিটি নিয়ে এসে জটিল ইকোয়েশন লিখে টিখে আরও জটিল একটা অ্যাডাপটিভ কন্ট্রোল থিওরি লাগিয়ে দেখানো হল হেবি ইমপ্রুভমেন্ট হল। চারটে জার্নাল পেপার হল। ভারত থেকে এই ট্রেন্ড বেশি। কারণ এখানে থিওরির লেভেলে খেলতে হবে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি সেদিকে ঘুরেই দেখল না। কারণ হয়তো সে সিম্পল পিআই কন্ট্রোলার দিয়ে কাজ চালানোর মত রেজাল্ট পাচ্ছে - যা দিয়ে তাদের বিজনেসে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাদের হয়তো অন্য কোনো জ্বলন্ত সমস্যা রয়েছে এবং সেই সমস্যা সলভ করার জন্য কোনো ইকোয়েশনের প্রয়োজনই নেই, কাজেই সেই সমাধান দিয়ে পেপারও হবে না। অথবা তাদের প্রয়োজন হল সম্পূর্ণ নতুন কোনো 'ডিসরাপটিভ' টেকনলজি, যা তাদের বিজনেসে একটা বিশাল অ্যাডভান্টেজ দেবে। এখন সেই 'ডিসরাপ্টিভ' টেকনলজি তে কাজ শুরু করতে গেলে প্রথমতঃ বড় গ্রুপ লাগে, ভালো ইনফ্রাস্ট্রাকচার লাগে, ভালো পিএইচ্ডি স্টুডেন্ট লাগে, ক্রেডিবল প্রফেসর লাগে, প্লাস ইন্ডাস্ট্রির ডায়রেক্ট ইনপুট লাগে। এখন এরকম একটা ক্ষেত্রে একটা গ্লোবালি রেপুটেড ইন্ডাস্ট্রি কখনই ফান্ডিং এর জন্য আম্রিকা বা ইওরোপকে না বেছে ভারতকে বাছবে না। ছোটোখাটো কম গুরুত্বপূর্ন টপিকে তারা ভারতের ইন্স্টিটিউটে ফান্ড করলেও করতে পারে। গ্যাঁড়াকলটা অন্ততঃ আমাদের ফিল্ডে এই জায়গায়। আমি বলছি না যে প্রফেসর বা স্টুডেন্ট প্রচুর অঙ্ক কষে একটা ননলিনিয়ার কন্ট্রোল প্রবলেম সলভ করল - সে খুব খারাপ কাজ করল। সেটারও প্রয়োজন আছে হয়তো। বৃহত্তর অর্থে। কিন্তু টেকনলজির ফিল্ডে আমার কাছে তার চেয়েও বেশী দরকারি হত হয়তো কোনো একটা 'ভারতীয়' প্রবলেমের 'ভারতীয়' সমাধান বের করা। কিন্তু তা দিয়ে আবার ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ডে কল্কে পাওয়া যাবে না, কারণ সেখানে নাম্বার অফ জার্নাল পাবলিকেশন দিয়ে পুরোটা মাপা হয়। ইল্ক্ট্রিকালে সমস্যা বেশী কারণ ভারতে পাওয়ার সিস্টেম ইনফ্রাস্ট্রাকচারও উন্নত দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। ফলে গ্লোবালি ট্রেন্ড সেটিং প্রবলেম নিয়ে কাজ করতে হলে আম্রিকান বা ইওরোপিয়ান সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে হবে। আর আম্রিকান বা ইওরোপিয়ান ইউটিলিটি বা পাওয়ার কোম্পানি কেনই বা তাদের ইন্স্টিটিউট ছেড়ে ভারতের ইনস্টিটিউটের সাথে কোলাবরেট করবে?
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৩৫620235
  • তবে আন্ডারগ্র্যাডে আইআঅইটি ইউএসএর অনেক আচ্ছা আচ্ছা ইন্স্টিটিউটকে বলে বলে দশ গোল দেবে। এটা আমারও মত। ইওরোপ বোধহয় অতটা খারাপ নয়। ঠিক জানি না।
  • cm | 127.202.93.81 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৩৫620236
  • না না আপনাকে (ম্যামি) নয় । তবে তাতিনের প্রশ্ন আমার ও।
  • maximin | 69.93.244.253 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৩৮620237
  • কোনটা তাতিন, অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণার বিশ্বব্যাপী স্ট্যাগনেশন?
  • cm | 127.202.93.81 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৪২620238
  • ও বিশ্বব্যাপী স্থিতাবস্থা! অবশ্য ওর প্রধান কারণ কি নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস (prediction) দিতে পারার অক্ষমতা।
  • tatin | 127.197.65.31 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৫২620239
  • সব সময়ে কি ইন্ডাস্ট্রিতে অ্যাপ্লিকেশন ভেবে কাজ হবে নাকি? অনেক থিওরি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি এইমুহূর্তে ভাবিত নয়, কিন্তু সেগুলো নিয়ে লোকে কাজ করবেনা এরকম হলে তো খুব মুশকিল।
    এটা তোমাকে এক্সপ্লেন করতে হবে ভাবিনি। কিন্তু ওই শখানেক ননলিনিয়ার ডিফ ইকুয়েশনের সলিউশন নিয়ে পেপারের পর দশ বারো বছর পর হয়তো এমন কোনও কোরিলেশন বেরোবে যা পুরো ডিজাইনটাকেই পালটে দেবে। আজকে ইন্ড্রাস্ট্রি কী চাইছে ভেবে কাজ করলে সেই জিনিসটাই এগোবে না। কোরিলেশন বেরোবেই এরকম কথা নেই, কিন্তু ভবিষ্যতের উন্নতিগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বর্তমানের জ্ঞানচর্চা (জ্ঞানচর্চা ফর দা সেক অফ ইট) থেকে এসেছে।

    আর, ইন্ডাস্ট্রি, বিশেষতঃ কোর ইন্ডাস্ট্রি কী করে সে নিয়ে আমার একটু ঝাঁকিদর্শন আছে। আমার পিএইচডি প্রজেক্টের টাকা আসত ডাও কেমিকাল-এর কাছ থেকে। তো আমরা দেখলাম একটা বেটার ডিজাই প্রোপোজ করা যায়, সে নিয়ে কাজ করব বলে ডাও কে বললাম। তারা বলল, আগামী দশবছর ওভার ডিজাইন দিয়ে ওদের কেটে যাবে, এই মুহূর্তে নতুন ডিজাইন টেস্ট করার কোনও দরকার নেই। ক্রমশঃ এটা বুঝলাম যে আর এনড ডির এই সেকশনটা শুধুমাত্র ম্যানেজমেন্টের কাছে রিলেভেন্ট থাকার জন্যই ইউনিভার্সিটিকে প্রোজেক্ট দ্যায়।
  • শ্রী সদা | 127.194.192.198 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৫৩620240
  • পিনাকীদার Date:15 Aug 2013 -- 02:33 PM এ পুরোপুরি একমত।
  • tatin | 127.197.65.31 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৫৫620242
  • পাওয়ার, এনার্জি, হেলথ এসবে টেকনোলজিকাল উন্নতি আনার জন্য সরকারি পলিসি ও ফান্ডিং দরকার। ইন্ডাস্ট্রির ওপর ডিপেন্ড করলে ভারতে সেটা এগোবে বলে মনে হয় না।
  • তাতিন | 127.197.65.31 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:০৬620243
  • আমার আরেকটা জিনিস মনে হয়, অ্যাকাডেমিয়ার কাজ ইন্ডাস্ট্রিকে ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই করা- ইন্ডাস্টির প্রবলেম সল্ভ করে দেওয়া নয়।
    টেকনোলজির প্রবলেম সল্ভ করা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে নিজেকে বা সরকারকে ভাবতে হবে। সেই প্রবলেমের কোনও অ্যাসপেক্ট ইণ্টারেস্টিং মনে হলে অ্যাকাডেমিয়া সেটায় পার্টিসিপেট করতে পারে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির ইম্পলিমেন্টেশনের কাজ অ্যাকাডেমিয়াকে করে দিতে হবে বা দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাকাডেমিয়াকে তৈরি করে দিতে হবে এটা অ্যাকাডেমিয়ার ওপর আরোপিত দায়িত্ব। সম্ভবতঃ ইন্ডাস্ট্রি বা সরকারের বিভাগগুলো নিজের কাজ নিজে করে নিতে চায়না বলে এই দায়টা অ্যাকাডেমিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চায়।
    আমেরিকায় বেসিকালি যেটা দেখেছি, গ্র্যাড স্টুডেন্টদের বছরে ২০-৩০ হাজার ডলার দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির কাজ শস্তায় করিয়ে নেওয়ার নামই ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবারেশন। ইউরোপে মনে হয় অবস্থাটা বেটার।
  • maximin | 69.93.244.253 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:০৯620244
  • ভুল বুঝলেন সিএম। ইকনমিক স্থিতাবস্থা বলিনি, ইকনমিক্সের স্থিতাবস্থা বলেছিলাম।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:২৬620245
  • আমি তো বললাম প্রয়োজন আছে বৃহত্তর অর্থে। কিন্তু অনেকসময়ই এই জটিল ম্যাথামেটিক্স নিয়ে আসাটা যত না অ্যাবস্ট্রাক্শনের বা অ্যানালিসিসের প্রয়োজনে তার চেয়েও বেশী পাবলিকেশনের প্রয়োজনে। সেক্ষেত্রে আমার সেটাকে মিসপ্লেসড প্রায়োরিটি বলে মনে হয়। অন্ততঃ টেকনলজির ফিল্ডে। সেক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি দরকারি ছিল হয়তো কোনো একটা 'দেশীয়' প্র্যাকটিকাল সমস্যা নিয়ে কাজ করা। এটা প্রয়োরিটির প্রশ্ন। নইলে খুব জেনারালাইজড অর্থে ধরলে কেউ এথিক্স মেনে সৎ ভাবে যাই রিসার্চ করুক সভ্যতার রেসপেক্টে সেই ফাইন্ডিং এর একটা ভূমিকা তো অবশ্যই আছে। কথাটা শুরু হয়েছিল রিসার্চে গ্লোবাল লীডারশিপ দিয়ে। আমার ফীলিং সেটাকে তুই আর আমি আলাদাভাবে মাপছি। যেমন পিটিদার কথাতে আবারও ক দিচ্ছি, আমার কাছে সারা পৃথিবীর সেরা টেক্স্ট বই লেখাটা কখনই রিসার্চে গ্লোবাল লীডারশিপের মানদণ্ড নয়। টেকনলজির ফিল্ডে নাম্বার অফ পাবলিকেশনও আমার কাছে ক্রাইটেরিয়া নয়। জার্নালের এডিটোরিয়াল বোর্ডে থাকাটাও নয়। টেকনলজিতে আমার কাছে গ্লোবাল লীডারশিপের ক্রাইটেরিয়া হল রিয়েল লাইফ প্রবলেমের অ্যাপ্লিকেবল সলিউশন বের করা। বা নতুন এমন কিছু টেকনলজি (বা নিদেনপক্ষে অ্যানালিসিস টুল) বের করা যা গোটা পৃথিবীর কাছে গ্রহনযোগ্য এবং ব্যবহারযোগ্য। এইটা অ্যাকাডেমিক সেক্টর থেকে আসাটা এমনিতেই বেশ টাফ। আর বড় ইন্ডাস্ট্রির আরএন্ডডির সাথে কোলাবরেশন না হলে আরো সমস্যা। আমার ফিল্ডের অভিজ্ঞতা। তোদের ফিল্ডে আলাদা হতে পারে।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৩২620246
  • তাতিন, 3:06 একমত।

    সেইজন্যে টেকনলজির ফিল্ডে ভারতের ইন্স্টিটিউটের ফ্যাকাল্টিদের কেন গ্লোবাল লীডার্শিপ নেই - এই হাহুতাশটারও কোনো প্রয়োজন নেই, সেটাকে জোর করে এস্টাব্লিশ করারও খুব দরকার নেই। বরং তাঁদের রিসার্চের সাফল্য মাপার ক্রাইটেরিয়া এইটা হওয়া উচিত যে তাঁরা 'ভারতীয়' প্রবলেম গুলোকে সলভ করার 'ভারতীয়' উপায় কতটা দেখাতে পারছেন। বা আদৌ সেটায় পার্টিসিপেট করছেন কিনা। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।
  • তাতিন | 127.197.65.31 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৩৭620247
  • টেকনলজি-অ্যাকাডেমিয়ার কাছেও কেন প্র্যাক্টিকাল প্রবলেম প্রায়োরিটি হবে সেটা আমার মাথায় ঢুকছেনা। প্র্যাকটিকাল প্রবলেম প্র্যাকটিসিং ইঞ্জিনিয়াররা সল্ভ করবে, অ্যাকাডেমিয়া তাদের তৈরি করবে এবং সেইজন্যই অ্যাকাডেমিক রিসার্চের একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট হচ্ছে আরব্ধ ফান্ডাকে খুব ভালো টেক্সট বইয়ে সন্নিহিত করতে পারা।
  • cm | 127.217.168.141 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৩৮620248
  • আমিও ইকনমিক্স ই মীন করেছি। স্ট্যাগনেশনের বাঙলা করেছি স্থিতাবস্থা। নিউটনীয় গতিসূত্র সবার মাথার মণি কারন ওর সাহায্যে আমরা অঙ্ক কষে গতিশীল অবস্থার কথা বুঝতে পারি প্রেডিক্ট করতে পারি। কত খানি বল প্রয়োগ করলে কে কোথায় যাবে তার ধারণা করতে পারি। কিন্তু অর্থনীতি আমার ধারণা ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা দেয় কিন্তু কার্যকর পূর্বাভাস দিতে পারেনা।
  • tatin | 127.197.65.31 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৩৯620249
  • পিনাকিদা, 'নলেজ কন্টেন্ট' জিনিসটার ওভার-অল কোনও দেশভাগ হয় কী? আমি কখনই এটা ইন্ডিয়ান থিওরি, এটা আমেরিকান কোরিলেশন ভাবতে পারছি না। সেইজন্য, অ্যাকাডেমিক রিসার্চ-এ গ্লোবাল মানে আমরা আসছি কিনা সেটা দ্যাখার দরকার আছে।
  • cm | 127.217.168.141 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৪০620250
  • মানে ইকনমিক্সের প্রেডিক্টিভ পাওয়ার নাই। এ অবশ্যই আমার ধারণা।
  • T | 24.139.128.15 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৪৩620251
  • পিনাকীদা, অ্যাডাপটিভ কন্ট্রোল থিয়োরী তুমি তখনই লাগাবে যখন সিস্টেমে তুমি একটু রোবাস্টনেস চাইছ। মানে প্যারামিটার ভেরিয়েশনের সাথে পারফরম্যান্স ইনভেরিয়েন্স। এবার সিস্টেমে ফ্লাকচুয়েশন বেশী না কম, তার উপর নির্ভর ক'রে, এই ধরণের ফিডব্যাক মেকানিজম তুমি আদপেই অ্যাপ্লাই করবে নাকি করবে না। এমনি ফিডব্যাক কন্ট্রোল সিস্টেমে (মানে পি আই ডি ধর) যেহেতু কিছু পরিমাণ রোবাস্টনেস চলে আসে, বাই ডিফল্ট ডিস্টার্বেন্স রিজেকশন প্রপারটিজ এর জন্য, তাই আপাতভাবে ধরা যেতে পারে যে কমন ডে টু ডে ফ্লাকচুয়েশন খুব কম হ'লে সিম্পল পি আইডি কাজ চালিয়ে নেবে। ইন্ডাস্ট্রীর জনতা এমন যুক্তি দেয়, এবং ভ্যালিডও বটে। কিন্তু পাওয়ার সিস্টেমের কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে পি আই ডি দিয়ে কাজ চলে যায় বলে বসে থাকলে তো প্রফেসরদের চলবে না। তাদেরকে তো কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তাই এইসব দিকে এঁরা কাজ করেন।

    ইলেক্ট্রিক্যাল কন্ট্রোল সিস্টেমের অ্যাডপটিভ কন্ট্রোল, রোবাস্ট কন্ট্রোল ইত্যাদির অ্যাপ্লিকেশন এরিয়া মেনলি কিন্তু এরোস্পেস সিস্টেমস, যেখানে রোবাস্টনেস বড় একটা ইস্যু। এবং একটা সিক্স ডফ রিজিড বডি কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে এগুলো একেবারে নেসেসারি। কিন্তু এগুলো তুমি ইন্ডাস্ট্রীর লোককে, যে পি আই ডি র আবহাওয়ায় বড় হয়েছে, তাকে বোঝাতে পারবে না, কারণ রিলেটিভলি শক্ত ম্যাথমেটিক্স। এদিকে হাই পারফরম্যান্স পেতে গেলে এগুলো ব্যবহার করতেই হবে। তো, ইন্ডাস্ট্রীর জনতা স্রেফ বলে দেয়, ঠিক আছে আমরা ঐ মড্যুলগুলো স্রেফ ইম্পোর্ট করে নেব, টাকা পয়সা বেশী দিয়ে। ঝামেলা মিটে গেল আর কি! ডিফেন্স ল্যাবগুলোর এই গয়ংগচ্ছ মনোভাব প্রচুর দেখেছি। "আরে ওসব থিয়োরী দেখিও না , প্রাকটিক্যাল অনেক আলাদা" এসব প্রচুর লোকের মুখে শুনি। তো, এদেরকে এই ভারতীয় প্রবলেমের ভারতীয় সলিউশনও দেওয়া হ'লেও নিতে আপত্তি থাকে। মাইন্ডসেট। এটা চেঞ্জ করার পিছনে চেষ্টাও শুরু হয়েছে। যেমন, সি ই ডি টি প্রত্যেক বছর ড্রাইভস এর উপর একটা এক্সপো করে। ছাত্রছাত্রীদের বানানো হাই এন্ড ইন্ডাস্ট্রী সলিউশন। প্রচুর ইলেকট্রিক্যালের কোম্পানী আসে। পছন্দ হ'লে সোজাসুজি ওরা ছাত্র বা ছাত্রীটিকে অ্যাবসর্ব করে নেয় বা আরো রিসার্চ এর জন্য ফান্ডিং করে।

    আবার দেখো রোবোটিক্স। মোশন প্ল্যানিং। সেরা জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর তিনের আশে পাশে। এম আই টি, সি এম ইউ, স্ট্যানফোর্ড ইত্যাদির নামকরা ল্যাবে প্রোফেসরদের পাবলিকেশন লিস্টে কালেভদ্রে এই জার্নাল পাবলিকেশন দেখতে পাবে। গত চার পাঁচ বছরে ম্যাক্স হয়তো একটা কি দুটো। ম্যাক্সিমাম কনফারেন্স পাবলিকেশন। কাজ আদপেই সেই 'ওরিজিনাল কন্ট্রিবুশন' নয়। খুব সামান্য কিছু মডিফিকেশন। কিন্তু তবুও আইদার ডারপা, ডিওডী অথবা ইন্ডাস্ট্রী ফান্ডেড। আমাদের দেশ এমন ঢালাও পয়সার কালচার নেই। প্রফেসর জোনাথন হাও, (এম আই টি এরো অ্যাস্ট্রো) আমাদের এখানে এসেছিলেন লেকচার দিতে। ভিডিওতে দেখালেন একটা ঘরের মধ্যে কোয়াডরোটর রা নিজেদের মধ্যে ইনফরমেশন এক্সচেঞ্জ করছে। ঘরের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল জিপিএস সিস্টেম লাগানো। কৌতুহল হ'ল, জিজ্ঞেস করলাম এই আর্টিফিশিয়াল জিপিএসে কেমন খরচা? যা বললেন চোখ কপালে উঠে যাওয়ার ম'ত। কিন্তু পুরোটাই একটা কোম্পানী বানিয়ে দিয়েছে। যার মালিক এম আই টির প্রাক্তন। এসব আমাদের দেশে হয় কি? আমি জানি না। পয়সা কড়ি একটা হিউজ ম্যাটার করে। লোকে বাধ্য হয়েই থিয়রেটিক্যাল এর দিকে ঝুঁকে যায়।

    এই ধরণের নানাবিধ পাহাড়প্রমাণ অসুবিধে (আক্ষরিক অর্থে) পেরিয়েও লোকে এখনও বলার ম'ত রিসার্চ করে যাচ্ছে। প্রতিদিনকার সেইসব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার মাঝে যখন শুনি কিছু সর্বজ্ঞ আর্বিট গুরুঠাকুর এসে যখন মতামত দিচ্ছেন যে এই রিসার্চ নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো, তখন শুনলে মনে হ'য়, স্রেফ মাথায় দুটো গাঁট্টা মারি।

    একটা ডারপা জাতীয় কিছু চাই দেশের। কোর ইন্ডাস্ট্রী আর অ্যাকাডেমিয়ার মাঝখানে একটা যোগসূত্র বজায় রাখবে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চের পেছনে টাকা। আই আই এস সিতে, এম ই করতে আসে এমন ছাত্রছাত্রী মাসে স্কলারশিপ পায় সাড়ে আটহাজার টাকা। রিয়েলি। এর মধ্যে সাড়ে চারহাজার হচ্ছে মেস খরচ। বারোশো টাকা হচ্ছে হোস্টেল চার্জ। এর সাথে টিউশন ফি রয়েছে। ছেলেপুলেগুলো স্রেফ শুকনো মুখে ঘুরে বেড়ায়। এদের মধ্যে অনেকেরই উপর হয়তো ফ্যামিলি নির্ভর করে আছে। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন ভাল ছাত্ররা রিসার্চে আসছে না, শুনলে মনে হয় এই পাঁঠামোর কোথাও একটা শেষ হওয়া দরকার।
  • cm | 127.217.168.141 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৪৩620254
  • কানুথ প্রাইজ ভাল তবে নেভানলিনা (মধু সূদন ২০০২) আরো ভাল। আর ওর উপস্থিতিতে অন্য কেউ গ্রাহ্য হবে কি? হ্যাঁ TCS একটি ফিল্ড যেখানে লক্ষ্যণীয় ভারতীয় উপস্থিতি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন