এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আবার ঐন্দ্রিলাঃ আপনাদের মতামত -- আমার ব্যাখ্যা

    kamalendu chakrabarti
    অন্যান্য | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ | ৬৯৭৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kamalendu chakrabarti | 24.99.154.37 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ২৩:১৫623890
  • স্বামীজি বলেছেন, “কখনও আত্মপক্ষ সমর্থন করো না।” অর্থাৎ আমি যদি বলি বা লিখি – আমি কোনও সময়ই বলব না যে আমি বুঝতে পারিনি, তাই করে ফেলেছি, রাগ হয়েছে বলে ওটা লিখেছি। অন্য লোক আমাকে উস্কেছে বলে ওটা করেছি, ইত্যাদি। ছোটবেলা থেকেই আমার একটা ভাব ছিল, হ্যাঁ, এটা করেছি বা বলেছি। এবার আপনি আমার বিরুদ্ধে যা করার করুন। শাস্তি দিন। কিন্তু কখনই বলব না যে আমি ওটা করিনি বা বলিনি।
    প্রথমেই বলি আপনাদের গোড়াতে একটা গোলমাল হয়েছে। আমার লেখার শিরোনাম হল ঐন্দ্রিলার মৃত্যু কয়েকটি প্রশ্ন’। আমি কখনই র্যারগিং নিয়ে লিখিনি। একজন শিশু-চিকিৎসক হিসাবে আমি ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর কারণটা বোঝার চেষ্টা করেছি এবং আমার চিন্তাভাবনাগুলো আপনাদের আলোচনায় আনতে চেয়েছি।
    আমি চেষ্টা করব আপনাদের প্রতিটি অনুযোগ-অভিযোগের উত্তর দিতে। কিন্তু কেন আমি এটা লিখলাম, সেটা আপনাদের জানাই।
    আমার সমস্ত খবরের সুত্র হচ্ছে মিডিয়া। আমি খ্রাইস্ত চার্চ স্কুলে কোনদিন যাই নি এবং ওখানকার কাউকে চিনিনা। কিন্তু একটা এগারো বছরের শিশু কেবল র্যা গিং-এর ফলে তার মৃত্যু হয়েছে এটা খুব বিশ্বাসযোগ্য নয়।
    র্যা গিং, বুলিং-এর সঙ্গে সামাজিক হেনস্থাকে আলাদা করার সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করি না। কারন, যে কোনও ধরণের হেনস্থা অমানবিকতার পরিচয়—humiliation। যাদের উপরে র্যাহগিং হয় তারা যতটা আঘাত পায়, সামাজিক হেনস্থাও তার চাইতে কম আঘাত দেয় দেয় না। যাদের উপর হয় তারাই বোঝে ব্যাপারটা কি? আমি র্যা গিং বা humiliation –এর ঘোরতর বিরোধী। আমরা যখন ডাক্তারি পড়তে যাই তখন র্যা গিং-এর ভয়ে আমরা শিটিয়ে লুকিয়ে থাকতাম। কিন্তু তাতেও পার পাই নি। আমি যখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি, তখন আমারও র্যাাগিং-এর অধিকার জন্মাল। কিন্তু আমি লিখলাম র্যানগিং-এর বিরুদ্ধে একটা পঁচিশ মিনিটের নাটক। ওটাই আমার প্রথম লেখা। তারপর আমার বন্ধুদের একত্র করে কলেজের বার্ষিক উৎসবে সেটা অভিনীত হল। সেটা শিক্ষক – ছাত্র অধিকাংশের কাছেই গ্রহনযোগ্য হয়েছিলো। এবং আমাদের দলটা যতদিন কলেজে থেকেছে, ততদিন র্যাাগিং বন্ধ ছিল। এখন জানি না।
    ঐন্দ্রিলার কথায় আসি। মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষ ঐন্দ্রিলার মৃত্যুকে খুব সরলীকরন করেছে। র্যা গিং হয়েছে, ফলে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মারা গেছে। আপনি নিজে বলুন তো কয়েকটা হেনস্তা, বাথরুমে বন্দী থাকলে কি আপনি মারা যাবেন? আপনার অপমান, অসহায়তা, বিরক্তি, রাগ, প্রতিবাদ করা ইচ্ছে, লজ্জা এসব তো নিশ্চয়ই হবে – এমন কি প্রয়োজনে কাউসিলিংও করাতে হতে পারে। কিন্তু মৃত্যু? মানা মুস্কিল। আমি জানি না পৃথিবীতে স্কুল-কলেজের কত ছাত্রছাত্রীদের রাগিং হয় প্রতিদিন এবং এর ফলে শতকরা মৃত্যুর হার কত? আমার মনে হয় খুবই কম। মাঝে মাঝে খবর পাই র্যা গিং-এর ফলে আত্মহত্যা করছে কেউ কেউ। তাদের জন্য আমার কোনও সহানুভূতি নেই। এরা দুর্বল মানাসিকতার লোক। এরা সারভাইব করবার মতো ফিট নয়। আসুক না কত আঘাত, কত অত্যাচার আমি সহ্য করবো, লড়াই করবো। হেরে যাবো কেন? না হয় জীবনে এমন হতেই পারে ভেবে মেনে নিয়ে নিজের কাজে মন দেবো। আপনাদের জীবনে কি কখনও এরকম এরকম পরিস্থিতি হয় নি। উদাহরণ দিয়ে আর ব্যাপারটা বাড়াতে চাই না। পরে না হয়ে দেওয়া যাবে।
    আমার নামে অনেক কথাই অনেকে বলেছেন যে, যে একটা ছবি দেখে আমি কি ভাবে এত মন গড়া কথা লিখে মৃতের প্রতি বা তার পিতা-মাতার উপর ক্রুঢ় সমালোচনা করে অমানবিকতা সার কুরুচির পরিচয় দিয়েছি, এতো উলটো বুঝলি রামের অবস্থা। আপনারা কি হলপ করে বলতে পারেন যে আপনারা কাগুজে পাণ্ডিত্য দেখিয়ে র্যা গিং বা এই ধরণের অত্যাচার বন্ধ করতে পারবেন? পারবে না কারণ যারা র্যাংগিং করে তাদের মানবিক বোধগুলো বিকারগ্রস্ত হয়।
    ঐন্দ্রিলার মৃত্যু এখন আর ব্যক্তিগত বা পারিবারিক গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নয়। একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু। স্কুল ভাঙচুর, প্রিন্সিপালের গ্রেপ্তার ও হাজতবাস, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকা এটার পরিধি অনেক বিশাল। আমি বিষয়টা অন্যভাবে বুঝতে চেষ্টা করেছি যাতে এই ধরণের পরিস্থিতিতে নিজের কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন হয়।
    প্রত্যেকের বিস্ময় যে আমি শুধু মুখের ছবি দেখে কি করে পাগলের মতো ওসব লিখলাম। একটু ব্যাখ্যা দি। যারাই চিকিৎসাশাস্ত্র পড়েছেন, জানেন যে, রোগীর পরীক্ষা করার একটা সার্বজনীন তালিকা থাকে। এবং পর পর ওটা ধরে ধরে রোগীকে পরীক্ষা করতে হয়। এই তালিকা বা format একদম standardized. কোনও রোগীকে দেখার সময় সবার আগে চোখে দেখে একটা ধারনা তৈরি করতে হয়। বিশেষ করে একটা তার মুখ- চোখ ইত্যাদি (facies) facies অর্থাৎ মুখ-চোখের আকৃতি ও হাবভাব না পড়তে পারলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগ নির্ণয় ভুল হয়ে যায়। ছোটবড় সব ডাক্তাররাই facies পড়ার চেষ্টা করেন। ছোটবেলায় আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন, মুখ আর পায়ের গড়ন দেখে মানুষ চিনত। আমি তখন থেকেই চেষ্টা করতাম এটা অভ্যাস করতে। ডাক্তারি পড়ার সময় নিয়ম অনুযায়ীই মুখ পড়তে শুরু করলাম। ওটা আমার কাছে হয়ে দাঁড়াল professional hobby । প্রথম প্রথম কিছুই মিলত না। জুটত বন্ধুদের হাসি-মস্করা। কিন্তু আমি এই ব্যাপার চালিয়ে গেলাম। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সামনে এর পরীক্ষা দিতাম। আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়তে লাগল। একবার দিল্লীর একটা Breastfeeding এর মিটিং-এ বড়বড় ডাক্তারদের কাছে আমি নিজে থেকে আমার পরীক্ষা দিই। দীর্ঘ ৪০ বছরের মতো ডাক্তারি করার পরে আমি প্রথমবার ঐন্দ্রিলার এই বিষয়টা নিয়ে লিখি। সেখানেও স্পষ্ট করে ঐন্দ্রিলার শরীরের পূর্বাবস্থা লিখেছিলাম স্বভূমি পত্রিকায়। যেখানে পক্ষে বা বিপক্ষে কেউ মন্তব্য করেনি। এবার এ বিষয়টা অবতারণা করে দেখতে চাইছিলাম কার কি মত। আমি খুশি, যে যাই বলুক আমি আমার কথা বলতে পেরেছি এবং আপনারা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। মোটকথা মুখ দেখলে অনেকে ডাক্তারির অনেক কিছু বলে দিতে পারেন। ঐন্দ্রিলার মুখের ভাব দেখেই বোঝা যায় ওর শরীরে ব্যাধি আছে। আর এটাও অনুমান করা শক্ত নয় (অন্ততঃ আমার পক্ষে) যে ও প্রচুর পরিমাণে অখাদ্য-কুখাদ্য খাচ্ছে। তার থেকেই বলা যায় যে ওর সম্ভবত কি কি রোগ ছিল। আপনারা ঐন্দ্রিলার বাবা-মায়ের কাছে ওর অসুখ ও খাওয়া-দাওয়া নিয়ে খোঁজ নিতেই পারেন। ঐন্দ্রিলা যে অঙ্কে ভাল ছিল না এটা একটা wild guess ঠিকই কিন্তু যে মেয়ে দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়েও মুখ বন্ধ রাখে, স্কুলটিচার এমনকি বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে জানায় নি, সেটা ওর মানসিক দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করে। আমার এতো বছর শিশুদের দেখে নিশ্চিত যে এই সব শিশু বই মুখস্থ করার ব্যাপারে ঠিক থাকলেও calculative ব্যাপারে দুর্বল হয়। ঐন্দ্রিলার শরীরের ও মানসিক অবস্থা নিয়ে লেখার উদ্দেশ্য কেবল র্যাvগিং-এ মৃত্যুটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর এখন তো দেখছি Acute Pancreatitia –এ ওর মৃত্যু হয়েছে। র্যা গিং-এর জন্য Pancreatitis হয় এটা কি ডাক্তার হিসাবে মেনে নিতে হবে? তবে পেটে জোরে আঘাত করলে এটা হওয়ার কিছুটা সম্ভবনা থাকে। তা হলে ধরে নিতে হবে যে কয়েকদিন র্যা গিং-এর সময় ঐন্দ্রিলাকে পেটে জোরে আঘাত করা হচ্ছিল। যদি তাই হয় তবে পেটে ব্যাথা নিয়েও ঐন্দ্রিলার সহ্য করে মুখ বন্ধ করে রেখেছিল? নিজেকে বাঁচানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ঐন্দ্রিলা ছোট কিন্তু এগারো বছরের একটি মেয়ে কিন্তু অতও ছোট নয়। কেন ঐন্দ্রিলা কাউকে কিছুই জানায় নি? ও কি ওর সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছিল, না কি ভিতু হয়ে গুটিয়ে ছিল। এই ভীরু ভাবেই আমার আপত্তি। দুর্বল চিত্তের মানুষদের মধ্যেই এই ভাব আসে। এক্তা কথা প্রাসঙ্গিক হবে যদি বলি সবাই কিন্তু র্যারগিং এর শিকার হয় না। Dr. Cook says that "A typical victim is likely to be aggressive, lack social skills, think negative thoughts, experience difficulties in solving social problems, come from a negative family, school and community environments and be noticeably rejected and isolated by peers".
    এবার মুখের ছবি দেখে ওর পেটেব্যাথা, সর্দি –কাশি ইত্যাদির কথা বোঝা যায় না – এমন কি পরীক্ষা করেও অনেক সময় বোঝা যায় পেটে ব্যথা কিনা। একমাত্র রোগী মুখে বললেই ওটা জানা যায়। আমার হিসাবটা ছিল অন্য। ঐন্দ্রিলার মুখ দেখে বোঝা যায় ও প্রচুর পরিমাণে কৌটোর বা গোরুর দুধ খেয়েছে। আর এসব খেলে অনেক উপসর্গের মধ্যে পেটে ব্যাথা, সর্দিকাশি – হাঁপানি, অ্যালারজি, পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া ইত্যাদি প্রায় হতেই হবে। এই ব্যাপারে বই পত্রে অনেক কথা আছে। (দুধের বিষয়ে আমি আলাদা করে লিখব)।
    কট্টর সমালোচনাদের এই ব্যাখ্যাটাও হয়ত সন্তুষ্ট করতে পারবে না। তাদের বলি আপনাদের মতো ক’জন আকাশের তারা দেখে তাদের নাম বলতে পারবেন? কিন্তু যারা এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করতে পারেন। পুলিসের যেমন একধরণের চোখ ও মন তৈরি হয় প্রায় সময়েই ঠিক চোরকে চিনতে পারে। পরীক্ষক কোন ছেলে নকল করছে সেটা অনুমান করতে পারে। আর ৪০ বছর ডাক্তারি করার পরে আমি কিছু বুঝতে পারলে আপনাদের এতো আপত্তি কেন? আমি তো ম্যাজিক দিয়ে এটা করিনি। আমার দীর্ঘ অধিত বিদ্যা দিয়ে এটা করেছি। আপনাকে যদি এটা সাধারণ পেন হাতে দিয়ে জিজ্ঞাসা করি যে ওটা কি? আপনি হাসতে হাসতে সহজেই বলে দেবেন এটা পেন। আর যদি একটা সাধারণ ডাক্তারি যন্ত্র নিয়ে বলি এটা কি, তখন আপনি চোখে দেখবেন হাতে নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনেকক্ষণ দেখেও বলতে পারবেন না ওটা কি বা কি কাজে লাগে। পেন আপনি রোজ দেখেন রোজ ব্যবহার করেন, কিন্তু যন্ত্র যা ডাক্তাররা প্রায়ই ব্যবহার করেন, কিন্তু আপনি করেন না। ফলে এই পার্থক্য। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই – বা পাণ্ডিত্যেরও কিছু নেই। এটা ব্যবহারের অভ্যাস।

    চলবে... দয়া করে অপেক্ষা করুন।
  • দেব | 59.136.12.91 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০০:৪৩624112
  • কমলেন্দুবাবু 'মতামত দিন' বাটনটা একবারই টিপুন। কিছুক্ষণ সময় নেবে কিন্তু আপডেট ঠিকই হবে। খানিকক্ষণ বাদে রিফ্রেশ করুন।
  • দেব | 59.136.12.91 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০১:০০624223
  • আর সিঙ্গল ক্লিক করুন, ডবল নয়।
  • Pubদা | 202.193.171.150 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০১:১০624334
  • রিপিটেশনস গুলো কি ডিলিট করা যায় না ? এডমিন'কে আবেদন করলাম ।

    কমলেন্দু বাবু - আপনার কথা তো বুঝলাম - কিন্তু সেই ভীরু, কাপুরুষ, সমাজ থেকে মুখ লুকিয়ে রাখা মানুষগুলোর কি হবে ? আপনার মতে - তাদের কি এই সমাজে বাঁচার অধিকার নেই ? আত্মহনন কিম্বা এরকম ম ত্যুই কি তাদের জীবনের একমাত্র পরিণতি ?
  • Atoz | 161.141.84.239 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০১:২৫624346
  • আমাদের এক স্যর ছিলেন, ফিজিক্স পড়াতেন, তিনি কেন জানি না অদ্ভুত এক ধারণা পোষণ করতেন, যারা অঙ্কে ভালো না তারাই নাকি ডাক্তারি পড়তে যায়! শুনে তো আমরা অবাক!!!!
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০২:০৭624357
  • বন্ধুগণ, লাস্ট প্যারা দুটো পড়ুন.।বাকি না পরলেও চলবে মনে হয়।
  • a x | 138.249.1.206 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৮623680
  • আমি বলছি, আমি ডাক্তার, তাই যা বলছি মেনে নিন এরকম দাবী নাকি?

    মুখ দেখে এত নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারেন যে কৌটর দুধ খেয়েছে? তাও ছবিতে মুখ দেখে, সামনাসামনি যেখানে দেখার সুযোগ যেখানে হয়নি?

    এটা কিন্তু টেস্টেবল ক্লেইম আপনার, কাজেই ভেবে লিখবেন।
  • Pubদা | 209.67.131.215 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৮623669
  • @Bhagidaar - ঐন্দ্রিলা'র ম়ত্যু যে শুধু র‌্যাগিং'এ হয়নি - ওঁর শারীরিক অসুস্থতা ছিল - সেটা মানলাম । কিন্তু উনি লিখেছেন
    "র‌্যাগিং এর ফলে আত্মহত্যা করেছে কেউ কেউ - তাদের জন্য আমার কোনও সহানুভূতি নেই - এর দুর্বল মানসিকতার লোক - এরা সার্ভাইব করার মতন ফিট নয়"
    ~ এই উক্তিটায় জানতে চেয়েছি ।
  • a x | 138.249.1.206 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৯623691
  • আর অংকে ভালো না খারাপ তার সাথেও মানসিক ভাবে দুর্বল না সবল এর যোগ আছে?
  • a x | 138.249.1.202 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৫১623702
  • "মাঝে মাঝে খবর পাই র্যা গিং-এর ফলে আত্মহত্যা করছে কেউ কেউ। তাদের জন্য আমার কোনও সহানুভূতি নেই। এরা দুর্বল মানাসিকতার লোক। এরা সারভাইব করবার মতো ফিট নয়।" - আপনি প্র্যাক্টিসিং ডাক্তার? সিরিয়াসলি?
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৫৯623713
  • Pub দা, আমি লাস্ট দুটো খনি প্যারাগ্রাফ "আমার হিসাবটা ছিল অন্য। ঐন্দ্রিলার মুখ দেখে বোঝা যায় ও প্রচুর পরিমাণে কৌটোর বা গোরুর দুধ খেয়েছে। " এই জাতীয় কমেন্টের জন্য স্পেসিফিকালি লোক কে দেখতে বলছিলা। আপনাকে আমি কিছুই বলিনি।
  • ঈশান | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:০৩623724
  • আমি যেটায় আগ্রহী, সেটা হল মুখ দেখে কী বলা যায় এবং কীকরে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন নয়। ধরুন, মৈত্রেয়ী দেবী, মনে হয় "অচেনা চিন"এ একজন ডাক্তারের কথা লিখেছেন (খুবই বিখ্যাত, কিন্তু এই মূহুর্তে নামটা মনে পড়ছেনা)। তিনি নাকি চোখ দেখে শরীরে কোথাও আঘাত আছে কিনা বলতে পারতেন। মৈত্র্যী দেবী ব্যাপারটা পরীক্ষা করেছিলেন। কিকরে করেন, জিজ্ঞাসা করায় ভদ্রলোক বলেছিলেন, উনি লক্ষ্য করেছেন, যে, যেকোনো শারীরিক আঘাতের জন্য চোখের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটা ছাপ পড়ে। পিঠে আঘাত হলে এক জায়গায়, বুকে হলে আরেক জায়গায়, এরকম। তিনি কার্যকারণ জানেন না, কিন্তু পর্যবেক্ষণ করে এবং মিলিয়ে দেখেছেন।
    তা, ঠিক হোক, ভুল হোক, ভদ্রলোক যেটা বলেছিলেন, সেটা হল টেস্টেবল একটা পদ্ধতি (অক্ষ যেমন লিখেছে)। দাবী করার আগে, এরকম একটা টেস্টেবল পদ্ধতি তো আপনাকে বলতে হবে। নচেৎ শুধু "মুখ দেখেই বলে দিই" এইটা তো দাঁড়াবেনা।
  • sch | 132.160.114.140 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:০২623735
  • ঈশান, শ্রদ্ধেয় বিধান রায় সম্বন্ধে শোনা যায় তিনি নাকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোগীর মুখ দেখেই রোগের প্রেদিকশান করে দিয়েছিলেন। ধরা যাক কমলেন্দু বাবুও একজন বিধান রায় (ডক্টর রায় ক্ষমা করে দেবেন)। কিন্তু ডক্টর রায়ও সামনা সামনি চেহারা দেখে বলেছেন। কিন্তু একেবারে খবরের কাগজ দেখে -- অসাধারণ ব্যাপার আর কি

    তবে আমার একটা জিনিস ভারী অবাক লাগলো, আমি অনেক দিন আগে কোনো একটা তক্কের সময় সিপিএমের এক ছাত্র নেতাকে হিজড়ের মতো বলায় আমাকে রে রে করে সব্বাই তেড়ে এসেছিল - কিন্তু এখানে একজন মন্তব্য করলেন "মাঝে মাঝে খবর পাই র্যা গিং-এর ফলে আত্মহত্যা করছে কেউ কেউ। তাদের জন্য আমার কোনও সহানুভূতি নেই। এরা দুর্বল মানাসিকতার লোক। এরা সারভাইব করবার মতো ফিট নয়।" -- কিছু মানুষের বেঁচে থাকার যোগ্যতার নিদান হাঁকা সত্তেও কেউ সেভাবে আপত্তি করলেন না !!!! বিচিত্র

    কমলেন্দুবাবু, ওই যে কথাটা বলেছেন না "আমি তো ম্যাজিক দিয়ে এটা করিনি। আমার দীর্ঘ অধিত বিদ্যা দিয়ে এটা করেছি।" - একদম ঠিক। তাহলে আপনার এই দীর্ঘ অধীত বিদ্যাটা মূর্খদের মধ্যে ছড়াচ্ছেন কেন? যাঁরা আপনার মতো জ্ঞানী সেইসব মানুষদের জানান না - কোনো ভালো ডাক্তারী জার্নালে আপ্নার এই মুখ দেখে রোগ নির্ণ্যের পদ্ধতি নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লিখুন না - সেখানে কদরটা ভালো হবে। আর যদি এর মধ্যেই সে কাজ সেরে থাকেন তাহলে তার রেফারেন্স দিন। নাহলে আমরা জানি না বলে আপনার কথা মেনে নেব - একথা ভাবলেন কি করে। আমার তো এটা ভাবতেও অবাক লাগছে যে একজন গবেষণামনস্ক ডাক্তার পাতার পর পাতা লিখে যাচ্ছেন যার পাঠক হাতে গোণা কয়েকজন।
  • de | 69.185.236.54 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:২২623746
  • কি সাংঘাতিক! ডাক্তারের কি মন থাকে না? মানসিক আঘাত-প্রাপ্ত লোকেদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই? ইনি স্বাভাবিক সমাজে বেঁচেবর্তে আছেন?
  • san | 213.88.22.137 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:৩৭623757
  • বরং চিকিৎসাবিদ্যাকেই লাটে তুলে দেওয়া হোক , যাদের কনস্টিটুইশন স্ট্রং তারাই লড়াই করে সারভাইভ করবে , বাকিরা শক্তসবল নয় তাই বেঁচে থাকবার জন্য ফিট নয়। শুধুশুধু তাদের জন্য টাকা সময় ইত্যাদি খরচ করে কি হবে ? :-)
  • kumu | 133.63.112.116 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:৪৬623768
  • আমার এমন একটা ধারণা ছিল যে দুর্বল মানসিকতার মানুষদের দিকে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।এখন দেখচি একজন ডাক্তারই তার বিরুদ্ধে।তবে তাতে আমা হেন আকাটদের বিশ্বাস বোধহয় বদলাবে না।র‌্যস্গিংএর শিকার যারা হয় তারা কোন আগুনের মধ্য দিয়ে যায় তা ডাক্তারবাবু জানেন আশা করি।
    তবে গোরুর দুধ ও ঐন্দ্রিলার থিওরী আসবে এইটা আগেই ভেবেছিলাম, এই ফোনের দিব্যি।
    বাকী কথা ঈশান ও সচ বলেছে।
  • de | 69.185.236.52 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:৪৯623780
  • ডাক্তারবাবু কোন গরুর দুধ খেতেন ছোটবেলা বা আদৌ খেতেন কিনা তা জানতে ইচ্ছে হয়!
  • cm | 116.213.216.227 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ২০:৫৬623791
  • বাচ্চাদের জন্য কি রকম দুধ স্বাস্থ্যকর তার নিরূপণ অবশ্যই জরুরী কিন্তু এ গোত্রীয় আলোচ্য বাদে কমলেন্দু বাবুকি পেরেন্টিং এর অন্য কোন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন? শিশু মনস্তত্ত্ব এবং মাতাপিতার/পিতামাতার সাথে তাদের মানসিক আদানপ্রদান প্রসঙ্গে আপনার পেশাগত অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে অনুরোধ করব।
  • aka | 76.168.189.25 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ২১:০৩623802
  • মুখ দেখে বলা, চোখ দেখে বলা, কঠিন অংক দেখা মাত্র মাথায় চলে আসা যে ১ কে আসলে sin^2+cos^2 দিয়ে রিপ্লেস করতে হবে আসলে ইন্টিউশন ও রেপ্লিকেবল নয়। ইন্টিউশন কয়েকজনের ডেভলপ করে, মানে এই নয় সব সময়ে সঠিক হবে। তবে অনেক সময়ে ইন্টিউশন সঠিক হয়ও। ইন্টিউশন দিয়ে অংক করা যায়, তবে কোন ডাক্তার শুধুই ইন্টিউশন দিয়ে রোগ সারাচ্ছে জানলে তার কাছে চিকিৎসা করাব কিনা ভেবে দেখতে হবে।
  • Pubদা | 202.193.216.147 | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ২৩:৪৫623813
  • Bhagidaar স্যরি ঃ)

    কমলেন্দু বাবুর ঐ উক্তি থেকে বার্ট ল্যাংস্টারের Judgement at Nuremberg সিনেমার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল । নাতসীরা মানসিক প্রতিবন্ধী দের নির্বীজকরণ করে দিত - যাতে তাদের থেকে কোনো প্রতিবন্ধী শিশু না জন্মায় ।
    তবু তারা কিন্তু সেই প্রতিবন্ধীদের সমাজ বিচ্ছিন্ন করত না ।
  • π | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০০:১৩623824
  • সারভাইভলের ফিটনেস সংক্রান্ত পোস্টটা পড়লাম। কিছু বলার নেই।
  • রোবু | 213.147.88.10 | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০১:১৪623835
  • সচদা, আপনার অন্যান্য কথায় যুক্তির যথেষ্ট প্রমাণ থাকে বলে রে রে করা হয়েছিল।
    আমি অন্ততঃ পারসোনালি, এই টই বা এঁর লেখা নিয়ে মাথাই ঘামাচ্ছি না। ইগ্নোর করা শ্রেয় মনে করেছি। আমার ধারণা আরো অনেকেই তাই।
  • sch | 126.203.180.33 | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৫৪623846
  • Kamalendu বাবু বোধহয় এই রকম কিছু বলতে চেয়েছিলেন

    http://www.alchemycalpages.com/diagnosis.html

    বা
    Facial Diagnosis in Traditional Chinese Medicine
    http://drlatib.com/2013/03/facial-diagnosis-in-traditional-chinese-medicine/

    ব্যক্তিগতভাবে আমি রেইকি, আকুপ্রেসার, হোমিওপ্যাথ, আয়ুর্বেদ সবই গভীর ভাবে বিশ্বাস করি - কিন্তু আমার ধারণা ছিল কমলেন্দুবাবু আলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির কথাই বলেছেন। বুঝতে ভুল হয়েছিল
  • সিকি | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০২:০০623857
  • আমার বাক্যি হরে গেছে। কিছু না বলাই শ্রেয়।
  • sm | 122.79.36.185 | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৪৭623868
  • ফেস দেখে, কিছু অর্গান abnormality সম্মন্ধে ধারণা করা যায়। যেমন থাইরয়েড প্রবলেম এ মুখ ফুলে যায়,কিডনি প্রবলেম এ চোখের নিচে ফুলে যায় বা হার্ট প্রবলেম এ পা ফুলে যায়। এগুলো কখনই পিন পয়েন্ট ডায়াগনসিস করতে পারে না। যেকোনো 3 rd year মেডিকেল স্টুডেন্ট এর বই তে এর উল্লেখ আছে। এগুলো সব ই খুব ক্রুদ মেথড। সঠিক পিন পয়েন্ট ডায়াগনসিস এর জন্য চাই,প্রপার ইনভেস্টিগেশন যেমন ব্লাড টেস্ট, CT স্ক্যান ,MRI ,usg , histopathology প্রভৃতি । মুখ দেখে কেউ ফর্মুলা মিল্ক খেয়েছিল কিনা, অঙ্কে খারাপ কিনা বা ইংলিশ এ কাঁচা কিনা এটা বোধ হয় chinese মেডিসিন এও লেখা নেই। কমলেন্দু বাবু পুরোটাই তার নিজস্ব অর্জিত ক্ষমতা বলে জাহির করছেন , যা আদতে ই একটি বৃহত ঢপ। এর থেকে বোঝার সহজ উপায় হলো, চেনা পরিচিত ৫-৬ জন ব্যক্তি , যারা কোনো ক্রনিক রোগে ভুগঝেন তাদের ফটো (অনুমতি সাপেক্ষে) পোস্ট করা এবং কমলেন্দু বাবু কে তাদের dignosis বলতে বলা।
  • π | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৫২623879
  • ফেসবুক গ্রুপে এই নিয়ে তর্ক হচ্ছিল, প্রশ্ন করায় আমাকে বললেন পরিচিত কারুর ছবি পাঠাতে। সেই দেখে উনি নাকি বলে দেবেন। আশা করি এখানেও সেটা বলবেন।
  • Ruchira | 109.67.20.215 | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১০:১৯623891
  • বলে দেবেন? এমনি?
    "বমি হয়?
    আগ্গে না
    হয় হয়, zআন্তি পারো না"
  • sch | 132.160.114.140 | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৩০623902
  • সমস্যা হলো কমলেন্দু বাবুর ডাক্তারী ডিগ্রী কিন্তু চাইনিজ মেদিসিনে না। সেটা বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজ থেকে পাওয়া একদম প্রথাগত MBBS দিগ্রী। তো তাহলে উনি চাইনিজ মেডিসিনের মুখ দেখা বিদ্যায় পারদর্শী হলেন কি করে ? যে কোনো বিদ্যা, এমনকি ব্ল্যাক ম্যাজিকেও যদি কেউ নিজেকে পারদর্শী বলে মনে করেন তাহলে তাকে সেই পেশায় যে স্বীকৃত ধারা আছে তার কাছ থেকে ডিগ্রী/ডিপ্লোমা পেতে হবে।

    ধরুন আমি যদি বলি আমার একটা বিদ্যে আছে লোকের লেখা পড়ে আমি তার শারীরিক অবস্থা বলতে পারি, কি করে তা বলব না - এটা আমার অনেক দিনের শেখা বিদ্যা । কমলেন্দু বাবুর লেখা পড়ে আমি বুঝতে পারছি ওনার নিয়মিত পেট পরিষ্কার হয় না। রাতে ঘুম কম হয় - পেটে গ্যাস হয়। আর ওনার যৌন জীবন খুব সুখের না। কিভাবে জানলাম সে বলব না।

    "চ্যালেঞ্জ দিবি না ..."
  • kamalendu chakrabarti | 24.99.102.81 | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:৫৪623913
  • এবার আমি parenting এর কথায়। আপনাদের কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছে অনেকেই parenting কথাটার হয়ত সঠিক অর্থ জানেন না। Parenting (or child rearing) is the process of promoting and supporting the physical, emotional, social, and intellectual development of a child from infancy to adulthood. Parenting refers to the aspects of raising a child aside from the biological relationship. (Davies, Martin (2000). The Blackwell encyclopedia of social work. Wiley-Blackwell. p. 245. ISBN 978-0-631-21451-9.)
    এক কথায় সন্তান্দের বাঁচিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঠিক পথ দেখানো। আমরা যারা এখন বাবা-মা আমাদের বাবা-মা নিজেদের মন মতো আমাদের উপদেশ-আদেশ দিয়েছেন আমরা এক ধরনের ভালো-মন্দ মিশিয়ে মানুষ হয়েছি। আর এই ভালো-মন্দের মেশানো শিক্ষা থেকে নিজেদের পিতা-মাতার কর্তব্য চালিয়ে যাচ্ছি। এখানেই ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা। ন্যায়-অন্যায়, কর্তব্যবোধ, সামাজিকতা, বিচারবোধ, অন্যের প্রতি দয়া, সহনশীলতা, অন্যায়ের প্রতিবাদ, সহমর্মিতা, দৃঢ়টা, কর্তব্য পরায়নতা ইত্যাদি ইত্যাদি মানবিক গুনগুলোকে সঠিক ভাবে সন্তানদের ঢুকিয়ে দিতে পারি না বা পারছিনা। অতিরিক্ত আবদার মেনে নেওয়া, ভালোবাসার নামে সন্তানদের জেদের কাছে মাথা নত করা। নিত্যনতুন দামি জিনিস উপহার দিয়ে নিজেদের কর্তব্য সারার প্রবনতা –সঠিক parenting-এর মধ্যে পড়ে না।
    আজ সন্তান পরীক্ষায় ফেল করলে সন্তান সহ পিতা-মাতার শিক্ষকদের সঙ্গে মারপিটে জরিয়ে পড়ে তবে ধরে নিতেই হবে parenting ঠিক হয় নি। সমাজে এতো যে বিশৃঙ্খলা, নোংরামি, ছলচাতুরি, উদ্দেশ্য-সিদ্ধির জন্য যে কোনও পন্থা অবলম্বনকে বাবা-মা সমর্থন করে, তবে সমাজের যা দশা হওয়া উচিত এখন তাই হচ্ছে। আদর্শ বলে কিছুই আর বিশেষ অবশিষ্ট নেই। Parenting কথাটার অর্থ হল মানব সন্তানকে মানুষ করে গড়ে তোলা, কেবল বাঁচিয়ে রাখা আর বয়সে বড় করা নয়। আমার পরিস্কার মত হল, যদি ব্যানাজিবাবুর ছেলে কোনও কুকাজ করে, তবে সেই ছেলেটিকে খারাপ না বলে বলা উচিত ব্যানারজিবাবু তার সন্তানকে সঠিক পথ দেখাতে পারেন নি। শাস্তি যদি দিতেই হয়, তবে ছেলেটিকে নয়, পিতার কর্তব্য না করতে পারার জন্য ব্যানারজিবাবুকেই দায়ী করতে হবে।
    এবার আসি ঐন্দ্রিলার মৃত্যু নিয়ে লিখতে গিয়ে parenting এর কথা কেন এল। আপনাদের অনেকের মনে হয়েছে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর সঙ্গে parenting কে জোর করে টেনে-হিঁচড়ে জোরা লাগিয়ে অবান্তর কথা লিখছি। অনেকে তো আবার আমার উপর ব্যাক্তিগত ঝাল মিটিয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ -- আমি আমার কথা আরও বিস্তারে বলতে পারি।
    ঐন্দ্রিলার parenting যদি ঠিক হত (আরও অনেকের মতো) তবে সে প্রতিবাদ করত, কমপক্ষে বাবা-মাকে জানাতো। সেখানে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পরে স্কুল ভাঙচুর করার মতো শয়ে শয়ে লোক আসতে পারে, তবে র‍্যাগিং-এর বিষয়টা একবার জানালে এই লোকগুলোই হয়ত র‍্যাগিং –এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত – একটা প্রাণবলি দেওয়ার দরকার হত না। যদি কয়েকদিন ধরে এই অত্যাচার চলে থাকে। তবে বাবা-মার চোখে ঐন্দ্রিলার কোনও অস্বাভাবিকতা চোখ পড়ল না। বাবা-মায়েদের কি কোনো দায় নেই, তাদের সন্তানদের প্রতিদিনের খোঁজ-খবর নেওয়ার? এটা কাউকে দোষারোপ করা নয়, এটা একটা সাবধানতার বার্তা। হয়ত সমাজ আমাকে সে অধিকার কেউ দেয় নি যে আমি পিতামাতাকে একটু সাবধানে মানুষ করতে বলছি। আমি বরাবরই ছেলেমেয়েদের সঠিক ভাবে মানুষ করা নিয়ে কাজ করি, চিন্তা-ভাবনা করি। তাই Parenting নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আপনাদের উপহাসের পাত্র হয়েছি। এতে কিন্তু আমার উদ্যম একেবারেই কমে যাবে না, বরং বাড়বে। আজ যেমন নিজের অন্য একটি জরুরি লেখা বাদ দিয়ে এই বিষয়ে লিখতে রাত জেগে আছি।
    আমি সমালোচনা বা নোংরা কথা গায়ে মাখি না। আমি জানি আমার কি কাজ। এবং তা আমি করেই যাব। রামকৃষ্ণদেব বলেছেন, ‘মন মুখ এক করাকেই বলে সাধনা।’ এটা আমি মেনে চলি। আমার মনে যা আসে তাই আমি বলি।
  • a x | 138.249.1.206 | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১৯:০৪623924
  • কমলেন্দু, আপনার সন্তান বা সন্তানতুল্য কেউ আছে? সে কোনোদিনও এমন কিছু করেনি, যাতে আপনার মনে হয়, "এরকম কীকরে করতে পারল? আমি তো এরকম "শিক্ষা" দিইনি!"? অ্যাডাল্টহুড মানে ১৮ বছর ধরছি। একটা মানুষ এত বয়স অবধি কী কী করতে পারে, তা কখনও প্রেডিক্ট করা সম্ভব না। তাই যদি হয়, তাহলে একই বাড়িতে বড় হওয়া ভাই, বোন, সিবলিং এত আলাদা হয় কীভাবে?

    এইযুগে বাচ্চারা কতটা সময় বাবা-মা'র সান্নিধ্যে কাটায় আর কতটা সমবয়সীদের সাথে, স্কুল, ইত্যাদিতে কাটায়? বাবা-মা'র শিক্ষা সবকিছুকে ফিল্টার করে একেবারে মর্মস্থলে পৌঁছে যায়, এরকম কোনো ট্রিক জানেন আপনি?

    সমালোচনা মানেই নোংরা কথা এটা বলে কি নিজেকে প্রবোধ দিচ্ছেন? এতদিন ধরে যা যা লিখছেন, তার পক্ষে কোনোরকম যুক্তি আপনি দেন নি। আপনি হয় আপনার ভ্যালু জাজমেন্টের বেসিসে কিছু বলছেন, আর নয়ত আমি জানি বলে নিদান হাঁকছেন। আপনাকে সিরিয়াসলি নেওয়া হোক, এটাই যদি চান তাহলে আপনার অবজার্ভেশনের পেছনে যুক্তি/রিসার্চ/ডেটা প্রামাণ্য তথ্য দিন। নইলে পুরোটাই জ্যাঠামশাইএর জ্ঞান দেওয়া হয়ে যাচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন