এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লটনের ছাগল

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৮ আগস্ট ২০১৪ | ১৪৪০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 132.172.44.143 | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ১৯:২২649366
  • ঘোড়া!!! ঘোড়া আবার কোথায়? বাসে ঘোড়া উঠেছে নাকি? চারিদিকে তাকাই, নাঃ বাসের মধ্যে কোত্থাও কোনো ঘোড়া নাই। সব্বাই মানুষ। বড়দের কথার কোনো মাথামুন্ডু থাকে না।

    ভালো কিন্তু ফিসফিস করে বলে "চুপ কর দিদি। ওরকম বলিস না। হয়তো খুব ক্লান্ত।"
    মা আবার বলে "তাই বলে এক বাস লোকের সামনে! লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে। সবাই কী ভাবছে বল তো?"
    ভালো বলে "তুই অন্যদিকে তাকা। ঐদিকে দেখিসই না।"

    কোনদিকে তাকাতে মানা করছে, তাও বুঝি না। আমি তো সবদিকেই তাকাচ্ছি, কোথাও কোনো ঘোড়া দেখতে পাচ্ছি না। আর বাসে ঘোড়া উঠলে ভালো তাকে দেখতে মানাই বা করছে কেন? কিন্তু এটা জিজ্ঞেস করলেই মা বকবে। তাই চুপ করে শুনে বোঝার চেষ্টা করি ওরা কী নিয়ে কথা বলছে।

    মা কীরকম রাগ রাগ গলায় বলতে থাকে, "ভাবতে পারিস এই লোক বিয়ের আগে নাজিম হিকমতের কবিতার বই উপহার দিয়েছিল আমাকে?"

    কোন লোক রে বাবা? বাসের অতগুলো লোকের মধ্যে কোন লোক মাকে বই উপহার দিয়েছে?মায়ের চেনা কেউ উঠেছে বাসে? আর উপহার দেওয়া তো ভালো। আমার বই উপহার পেতে কত ভালো লাগে। কাকু আমাকে ল্যাজকাহিনী উপহার দিয়েছে। অমিতকাকু আমাকে মায়াপুরীর রূপকথা উপহার দিয়েছে। আমার কত আনন্দ হয় বই পেলে আর মা কেমন উপহার নিয়েও রাগ করে কথা বলছে। মায়ের সবকিছুতেই রাগ।

    মা আবার বলে "আর এ কোন অনন্তযাত্রায় চলেছি বল তো? আমার তো মনে হয় ভুল বাসে উঠিয়ে দিয়েছে। আর তা নয়তো যেখানে নামার ছিল, তা আগেই পেরিয়ে গেছে। আর এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাক ডাকাচ্ছে।"

    মায়ের কি কিছু হয়েছে? নাকি আমার? মা ঘোড়া দেখতে পাচ্ছে, আমি পাচ্ছি না। মা নাক ডাকার শব্দ শুনতে পাচ্ছি, আমি পাচ্ছি না। এসব কী বলছে মা?

    এমন সময় বাসটা একটা অন্ধকারমত জায়্গায় থামে। কয়েকটা লোক নেমে যায়। বাসটা আবার চলতে শুরু করে। মা এবার জোরে জোরে কনডাক্টরকে জিজ্ঞেস করে, "আগেরটা কোন স্টপ ছিল?"
    কনডাক্টর বলে "পরের স্টপ মোমিনপুর।"

    আমি বড়দের কান্ড যত দেখি তত অবাক হই। মা জানতে চাইল, আগেরটা কোন স্টপ ছিল, আর তার উত্তরে আগেরটা কী ছিল না বলে পরেরটা কী, তা বলে দিল। মা কিন্তু এতে একটুও রাগল না। অথচ কবিতা মুখস্থ ধরার সময়ে আমি পরের লাইন আগে বলে ফেললে কত রেগে যায় আমার উপর। রাগল তো না-ই , তার উপর ভালোকে কেমন একটা ভয় ভয় গলায় মা জিজ্ঞেস করল, "মোমিনপুর? সেখানে একটা পাগলাগারদ আছে না? তবে কি আমাদেরকে?"
    ভালো-ও কেমন কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল "আমি কি জানি? আমি কি কোলকাতায় থাকি নাকি?"
    মা বলল "না না, আমি কোথায় যেন পড়েছি মোমিনপুরে পাগলাগারদ আছে। ও ভাই শুনছেন? শিগ্গির বাস থামান, থামান, থামান, আমরা নেমে যাব। বাচ্চা আছে। আস্তে করুন।" বলতে বলতে এমন চেঁচামেচি লাগিয়ে দেয় যে বাসটা সত্যি সত্যিই থেমে যায়। মা আর ভালোমাসি হুড়মুড় করে নামে বাস থেকে আর নামার আগে আমার হাত ধরে হ্যাঁচকা টান মারে এত জোরে যে আমার হাত ব্যথা করে ওঠে। আর বাবাকে ছেড়ে আমি কেমন করে নেমে যাই ওদের সাথে? আমি তাই "বাবা" বলে কেঁদে উঠি ডুকরে।

    বাবাও অম্নি "কী হল? এত তাড়াতাড়ি এসে গেল?" বলে দৌড়ে এসে আমাকে তুলে নিয়ে নেমে যায় বাস থেকে। বাসটাও আমাদের নামিয়ে দিয়েই আবার হুশ করে চলে যায়।
  • Du | 34.238.130.225 | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ২১:২৮649367
  • তারপর?
  • rabaahuta | 215.174.22.27 | ০৫ আগস্ট ২০১৫ ০০:৫২649368
  • বাসে ঘুমিয়ে পড়া সব মানুষদের প্রতি আমার সমর্থন, সৌহার্দ্য, একাত্মতা, সংহতি এইসব জানিয়ে পরের কিস্তির জন্যে অপেক্ষা করছি।
  • rabaahuta | 215.174.22.26 | ০৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৫649369
  • sosen | 50.128.208.34 | ০৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৪649370
  • তারপর? তারপর? তারপর?
  • kumu | 132.161.35.222 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১১:০৫649371
  • কাঁকুড়গাছি যাওয়া হোলো কী করে?অ ব্যাং!
  • byaang | 132.171.161.4 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১১:০৮649372
  • দাঁড়াও রে বাপু, কাঁকুড়গাছি অনেক দূর। বাবা এরপরে হতবুদ্ধি হয়ে আরো একটা ব্লান্ডার করবে, মা রসাতল করবে। কিন্তু তার আগে আমাকে এখন ফর্ম ২৮০ ডাউনলোড করে সেল্ফ-অ্যাসেসমেন্ট ট্যাক্স ভরতে হবে।
  • kumu | 132.161.35.222 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১১:৩৯649373
  • ফর্ম না হয় পরে--
  • এবার লিখুন | 118.85.88.75 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১৪:০১649374
  • https://goo.gl/hydj0z
  • byaang | 132.172.192.147 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১৪:১২649376
  • এটা কে !!!!!??????? কার কীর্তি এটা? যারই হোক, তার অত্যন্ত জঘন্য হাতের লেখা। ঃ)))
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১৪:২৭649377
  • আহা কম্পিউটারে কার্সার দিয়ে ছবি আঁকার মতো করে লিখতে গেলে হাতের লেখা ওমনি হবেই, অতো ধরলে চলে না। তুমি সাতানব্বই কোটি টাকা ট্যাক্সে দিয়ে এসে তাড়াতাড়ি লেখাটা শেষ করো।
  • সিকি | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১৫:৫৫649378
  • হাতের লেখা চাইলে কম্পিউটারেও ভালো করা যায় -

    https://goo.gl/jDQvsR
  • Abhyu | 118.85.88.75 | ০৯ আগস্ট ২০১৫ ১২:৫৬649379
  • আচ্ছা সে না হয় হল। ব্যাংদি না হয় না-ই বুঝল, কিন্তু লেখাটা এগোবে না কি?
  • byaang | 132.171.88.74 | ০৯ আগস্ট ২০১৫ ২০:০০649380
  • আপাতত কিছুদিন এই লেখাটা এগোবে না। একদম সময় নেই।
  • sosen | 50.128.208.34 | ০৯ আগস্ট ২০১৫ ২২:০৮649381
  • ঃ(
  • kumu | 132.161.3.6 | ১০ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫৬649382
  • অবিলম্বে লেখার দাবিতে ভুখ হরতাল।দলে ২ যোগ দোন।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৭649383
  • আমি ও তো এই বাসের গল্প শোনার জন্য রোজ আসি এখানে।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৮649384
  • গল্প বাস থেকে এখন নেমে পড়েছে যদিও। ঃ-)
  • হেঁইও.... | 12.50.134.35 | ০১ অক্টোবর ২০১৫ ১৫:১১649385
  • ছাগলের গল্প শেষ হল কই! তাই হেঁইও....
  • byaang | 132.171.124.85 | ০১ অক্টোবর ২০১৫ ২০:০৫649387
  • বাবা আমাকে নিয়ে বাস থেকে নামা মাত্রই মা খুব খারাপ করে চেঁচিয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করল "এ আমরা কোথায় এলাম? এটা কোন জায়গা? তোমার মতলবখানা কী একটু খুলে বল তো?"
    বাবা চারিদিকে তাকিয়ে বলল "কোন জায়গা আমি কী করে বলব! বাস থামিয়ে তোমরা আগে নেমে এলে, তোমাদের দেখে আমি নামলাম। এর মধ্যে আবার মতলবের কী থাকতে পারে?"
    মা বলে "আমাদের বেহালা যাওয়ার কথা ছিল, এতক্ষণে মোমিনপুরে কীভাবে পৌঁছোলাম? এ কোন বাসে তুলেছিলে? আমার কিন্তু তোমার ভাবগতিক মোটেই ভালো ঠেকছে না।"
    মা যেকোনো জায়গাতেই ঝগড়া করতে পারে, কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করতে থাকলে আমরা রবিমামাদের বাড়ি যাব কখন? বাবাকেই বলি "বাবা, এই জায়্গাটা আমার ভালো লাগছে না। আমি রবিমামাদের বাড়ি যাব।"
    আমার কথা শেষ হওয়া মাত্রই মা আরও রাগ রাগ গলায় বলে উঠল "যে লোক বাসে উঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমোতে পারে, সে লোকের পক্ষে সবই সম্ভব। কে জানে এই আলোআঁধারি রাস্তায় আমাদের গুমখুন করার মতলব কিনা! বা আমাদের পাগল সাজিয়ে এখন পাগলাগরদে ঢুকিয়ে দিলেও কেউ জানতে পারবে না। তুমি কী বলে অন্য রুটের বাসে উঠলে? বাসে উঠে চোখকান খোলা রাখতে হয়, তা না, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুম! যাদের জ্ঞানগম্যি কম হয় , তাদের অন্যের কথায় ভরসা রাখতে হয়। তখনই বলেছিলাম ১৪নম্বরের জন্য অপেক্ষা করতে।"
    বাবা হঠাৎ আমাকে কোলে তুলে নিয়ে খুব জোরে জোরে হাঁটতে থাকে। বাবার জোরে জোরে হাঁটা মানে মায়ের দৌড়ানো। মা বাবার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বলে "যতক্ষণ না বেহালার বাস আসছে আমি কিন্তু এক পা-ও আর নড়ব না এখান থেকে, এই বলে দিলাম।" মায়ের পিছু পিছু ভালোমাসিও দৌড়াতে থাকে।
  • byaang | 132.171.85.162 | ০১ অক্টোবর ২০১৫ ২০:৫৬649388
  • বাবার কোলে উঠতে আমার এমনিতেই খুব ভালো লাগে আর এই নতুন জায়্গাটাও আমার খুব ভালো লেগে যায়, কারণ একটা ছোট্ট ঘোড়ার গাড়ি এসে আমাদের পাশে দাঁড়ায়, আর একটা লোক বাবাকে জিজ্ঞেস করে "বাবু, যাবেন নাকি?"
    বাবাও অম্নি আমাকে নিয়ে গাড়িটায় উঠে বসে, আর মা আর ভালোমাসিও ছুটতে ছুটতে এসে "একি ঘোড়ার গাড়ি কেন? এসব কী হচ্ছে? ভুল বাসের পরে ঘোড়ার গাড়ি!" আরো কত কী বলতে থাকে।
    নাঃ মাকে আর রাগ করতে দিলে চলবে না। মাকে খুশি খুশি গলায় বলি "মা, এটা না এক্কা গাড়ি! কী মজা না!"
    মা আরো রেগে গিয়ে বলে "ছ্যাকড়া গাড়িতে ওঠাটাই যা বাকি ছিল।"
  • santanu | 96.98.116.122 | ০১ অক্টোবর ২০১৫ ২৩:৩৮649389
  • দশ মাস পর বিশ লাইন ও হলো না। এ বহুত না ইনসাফি হ্যায়.
  • TB | 118.171.132.189 | ০১ অক্টোবর ২০১৫ ২৩:৪৬649390
  • পাক্কা একুশ লাইন!
    তার মদ্দ্যে অদ্দেক জে অদ্দেক লাইন করে, সে অন্য কতা।
  • byaang | 132.171.85.162 | ০২ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৩১649391
  • এক্কাগাড়িই হোক আর ছ্যাকরাগাড়িই হোক, আমার কিন্তু খুব ভালো লাগছিল। কী সুন্দর অন্ধকার অন্ধকার চারদিক! এমন অন্ধকার অন্ধকার জায়গাতে খুব আরাম। একটু একটু ঠান্ডা ঠান্ডা, একটু একটু গা ছমছম, গা ছমছম। রাস্তায় যে একটা দুটো লোক দেখা যাচ্ছে, ওরা নিশ্চয়ই মানুষ না। খুব ইচ্ছে করে এখন একটা কিছু হোক। এমন কিছু যা আগে কখনও হয় নি। চমকে দেওয়া কিছু। অবাক করা কিছু।
    মা বকতে বকতে চুপ করে গেছে। বাবা তো সেই বাস থেকে নামার পর থেকেই চুপ করে আছে। বাবার সাথেই কথা বলি বরং।
    "বাবা, এখন সামনের গাছ্টার থেকে সাদা ধুতি পরা দুটো লম্বা লম্বা পা নেমে এলে খুব মজা হবে, তাই না?"
    ভালো ফিকফিক করে হাসে। বাবা তো এম্নিতে জোরে জোরেই হাসে, কিন্তু এখন হাসল না। মা শুধু রেগে গিয়ে বলল "ভালো কোনো কথা তোমার মনে হয় না, না? গাছ থেকে লম্বা লম্বা পা নেমে আসার কথাই তোমার মনে হয়, পাজি মেয়ে? অন্য কোনো কিছুও তো ভাবতে পারতে? সামনের গাছটা সাদা ফুলে ভরে থাকার কথাও তো মনে হতে পারত?"
    নাঃ, এরপরে আমি আর কথা বলি না। আমি শুধু মনে মনে ভাবতে থাকি, আর কী কী হতে পারত! আকাশ থেকে একটা খুব বড় সাদা পাখি নেমে এসে যদি আমাদেরকে তার পিঠে তুলে নিয়ে আবার উড়ে যেত! বীরপুরুষের ডাকাতগুলো যদি এখন আমাদের এক্কাগাড়িটা ঘিরে ধরে! নাঃ এটা ভাবা যাবে না, বলাও যাবে না। মা রেগে যাবে। রেগে গিয়ে পুরো বীরপুরুষটা মুখস্থ বলতে বলে যদি? আমার তো প্রথম দুই স্তবক আর শেষ স্তবক ছাড়া বাকিটা ঠিক মনে থাকে না। কিন্তু আমার খুব মরা নদীর সোঁতা দেখতে ইচ্ছে করে। যদি ঘোড়ার গাড়িটা সামনের রাস্তাটা পেরোলেই হঠাৎ করে একটা নদী চলে আসে আমাদের সামনে, তাহলে কেমন হয়! সেটা মরা নাহলেও চলবে। ঝিলমিলে জলভরা নদী হলেও আমার ভালো লাগবে। সন্ধ্যেবেলাটা স্পেশাল করে দেওয়ার জন্যই বোধ হয় একটা ঠান্ডা হাওয়া চলে আসে। আমরা কেউ কোনো কথা বলি না। সবাই চুপ করে থাকি। আমি শুধু মনে মনে বলি, এই অন্ধকার জায়গাটা দিয়ে এই ঘোড়ার গাড়ি চড়ে যাওয়াটা আর কক্ষনও হবে না। এটা শুধু আজই হল।
    কিন্তু আমি তো তখনও জানি না, যে আর কয়েক বছর পরেই একটা গল্প পড়তে গিয়ে আমি এই অন্ধকার রাস্তাটাকেই আবার দেখতে পাব। আশপাশের বাড়িগুলোর টিমটিমে আলোগুলোকে দেখতে পাব। এই ঘোড়ার গাড়িটা আর যে চালাচ্ছে , মাথায় গোলটুপি পরা এই লোকটাকে দেখতে পাব। বাড়ি থেকে পালানো ঐ ছেলেদুটোর সামনে যেই একটা ঘোড়ার গাড়ি এসে দাঁড়াবে, অমনি আমি আবার এই রাস্তাটায় ফিরে আসব।
  • sosen | 177.96.110.131 | ০২ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৩৫649392
  • আরো!
  • পু | 74.233.173.193 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৩৮649393
  • একি! বাকিটা কই? এক নিশ্বাসে পুরোটা পড়লুম। তারপর কি হল না জানা অব্দি খেতে ইচ্ছে করবেনা, আপিসের কাজে মন বসবেনা, ঘুম আসবেনা, মাথা ঝিনঝিন করবে তো!
  • ব্যাং | 132.172.33.82 | ০৯ এপ্রিল ২০১৬ ২০:৩৪649396
  • কেমন করে সেদিন সন্ধ্যেয় রবিমামাদের বাড়ি পৌঁছেছিলাম, তা আর মনে নেই। শুধু আরেকটু বড় হয়ে একটা বই পড়তে গিয়ে দেখি, দুটো ছেলে বাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে ঠিক ওই রাস্তাটাতেই পৌঁছে গেছে, আর ওদের পাশে অম্নি একটা ঘোড়ার গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে, আর সেই গাড়িটায় করে একজন যেতে যেতে বলছেন যে তিনি তাড়াতাড়ি না পৌঁছাতে পারলে মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসি হয়ে যাবে। কে মহারাজ নন্দকুমার আমি জানি না, কিন্তু তাহলে সেদিন যদি আমি ঘোড়ার গাড়িটায় বসে ঘুমিয়ে না পড়তাম, তাহলে কি আমি মাহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসিটা আটকাতে পারতাম? মন কেমন করে খুব। মহারাজ নন্দকুমারের জন্যও মনকেমন করে, ওই ছেলেদুটোর জন্যও মনকেমন করে, যে ভদ্রলোক ফাঁসি আটকাতে যাচ্ছিলেন, তার জন্যও মনকেমন করে, সবথেকে বেশি মনকেমন করে ওই অন্ধকার অন্ধকার লম্বা রাস্তাটার জন্য। যে রাস্তাটায় আমি আর কোনোদিনও যাব না, আর কখন খুঁজেও পাব না, অথচ রাস্তাটা থাকবে ওই গল্পটার মধ্যে আর আমাদের সেই সন্ধ্যেবেলাটার মধ্যে। যে সন্ধ্যেবেলাটায় ভালোকে নিয়ে আমরা রবিমামাদের বাড়ি যাচ্ছিলাম। আগেই বলেছি ভালো কোলকাতায় এলেই আশ্চর্য সব ঘটনা ঘটত। আর আশ্চর্য সব জায়গায় আমরা কেমন করে জানি পৌঁছে যেতাম।

    যেদিন আমি ওই দুটো ছেলের গল্পটা পড়ছিলাম, সেদিন গল্পটা পড়তে পড়তেই লোডশেডিং হয়ে গেছিল। বাবা মনখারাপ করে খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরেছিল। মোহনবাগান সেদিন ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে গেছিল কিনা তাই বাবার অত মনখারাপ। বাবা বাড়ি ফেরা মাত্র মা বাবাকে যেই চা আর লুচি, বেগুনভাজা আর রসগোল্লা দিল। বাবা রসগোল্লা দেখেই খুব রেগে গিয়ে থালা সরিয়ে দিল আর মাও রেগে গিয়ে চলে গেল মায়ামাসিমণিদের বাড়ি। আমি আর বাবা বাড়ি ছিলাম। নীচে রোশনিদি আর শম্পা মিটারঘরের সামনে একটা মোমবাতি বসিয়ে এক্কাদোক্কা খেলছিল। লোডশেডিংয়ে আমাকে কেউ বই পড়তে দেয় না।
    বাবা বলল "নীচে গিয়ে খেলো, কম আলোয় বই পড়ার দরকার নেই।"
    এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমি যখনই অন্ধকারে একা একা ওঠানামা করি বা এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাই, অম্নি কে যেন আমার পিছন পিছন পা টিপে টিপে আসতে থাকে, আমি টের পেয়ে গিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেই সে সাঁত করে সরে যায়।
    "ও বাবা, তুমি আমাকে একটু নামিয়ে দিয়ে এসো না?" বলতে বলতে যেই না দরজা খুলেছি, দেখি সাদা ধুতিপাঞ্জাবি পরে কে যেন আমাদের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।
  • 4z | 217.245.236.98 | ০৯ এপ্রিল ২০১৬ ২১:২৯649398
  • উফ্ফ্ফ, আবার মোক্ষম সময় ব্রেক!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন