এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লটনের ছাগল

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৮ আগস্ট ২০১৪ | ১৪৫৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 52.104.63.169 | ১৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:১৬649375
  • আমি এক্ষুনি এটাই ভাবছিলাম। সবে তো লটনের বাড়ি দেখা গেছে, এখনো লটন আর তার ছাগল বাকি। কাজেই গল্পটা এখনো অনেকটা পড়তে পারব।

    আচ্ছা লটন কি সাহেব মানুষ? নাকি তার আসলে নাম ছিল লিটন?
  • byaang | 132.166.89.61 | ১৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:২১649386
  • আমার দিদার মামার বাড়ির দিকের লোকদের নাম নিয়ে ইয়ার্কি? বলে দেব দিদাকে?
  • dc | 52.104.63.169 | ১৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:৩৫649397
  • দিদার বাড়ি যদি বিজয়া করতে যেতে পারি তো নিশ্চয়ই বলবেন ঃ)
  • byaang | 132.166.89.61 | ১৮ আগস্ট ২০১৪ ২১:৩৯649408
  • ঃ)
  • Abhyu | 78.117.213.187 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ০৩:৫৯649419
  • অতি উত্তম হতেছে, আগে বাড়ো।
  • | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ০৮:৩৫649430
  • কালো পোড়ামাটির ছাঁচগুলো যে কোনও মেলায় পাওয়া যায়। পদ্মছাঁচ, ছোটফুল, বড়ফুল, নৌকো, আবার খাবো আধখানা চাঁদ এইসব ছাঁচও হয়। ছাঁচ পাওয়া সমস্যা নয়, সমস্যা হল ক্ষীরছাঁচের ঐ পাক। আমার তো হয় বেশী আঠালো হয়ে যায়, নয়ত বেশী ঝরঝরে। ঐ মসৃণ মোলায়েম ক্ষীরের পাক ---- সে বোধহয় লালীগরুর দুধ আর কাঠের উনুনেই হওয়া সম্ভব।
  • | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ০৮:৩৬649438
  • আর লেখাটা যে অতি উৎকৃষ্ট হচ্ছে সে তো সক্কলেই বলছে। বেশী ভাও না খেয়ে ঢং না করে জলদি জলদি আরো লেখা হোক।
  • byaang | 132.166.89.61 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ০৮:৫১649439
  • ওরে ওরে ওরে! এ কী রে! আমাকে আর উস্কানি দিলে ভালো হবে না কিন্তু বলে দিচ্ছি!

    লিখব, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে। এখন একটু না কাজালেই নয়।
  • byaang | 132.166.89.61 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ০৯:০২649440
  • কাল রাত্তিরে অনেকটা লিখেওছিলুম, কিন্তু এই ছাইয়ের ল্যাপটপ , এই আতুসি ল্যাপটপের কোন একটা কি তে হাত লেগে পুরোটা উড়ে গেল। তখন ঘুমিয়ে পড়লাম।
  • nina | 78.37.233.36 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ০৯:০৫649442
  • ঊফ!! ফাটাফাটি লিখছিস রে বেঙ্গি--- একেবারে মচ্তকার----চলুক চলুক----
  • hu | 188.91.253.21 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ১০:০১649443
  • ওরে বাবা সে যা কান্ড! কাল জনান্তিকে বলতে গেছি লটনের ছাগল ভালো লাগার কথা, সে কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়ল! বহুত ভাও খায় এই ব্যাঙদি। জলদি জলদি লেখো। নইলে ভয় দেখাতে আমরাও কিছু কম যাই না।
  • kiki | 127.194.71.29 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ১০:১১649444
  • সেতো আমার ল্যাপীর ঢাকনার কান ধরে রাখতে হয় দেখার জন্য, নইলে সব বেবাক মায়া হয়ে অন্ধকার জেগে থাকে, তাবলে কি আমরা দিনে চোদ্দবার করে ছুটে আসছি না পড়তে? লেখো বাপু, তাড়াতাড়ি লেখো।
  • de | 190.149.51.68 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ১১:৩৪649445
  • বিজয়ার ট্রে শেষ হয়নি এখনো?
  • nina | 22.149.39.84 | ১৯ আগস্ট ২০১৪ ২১:৫৭649446
  • অ বেঙি গেলি কই? ঘুরে গেলুম বার কতক---
  • byaang | 132.167.98.55 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ০৮:০২649447
  • এই যে আমি।
  • byaang | 132.167.98.55 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ০৯:৪৬649448
  • ছোটোবেলায় তো আমি খুব ভদ্র ছিলাম, তাই যেই ঝুমার মা (ঝুমা মানে রাঙাদিদার নাতনি, ঐ যে, যে ইংলিশ মিডিয়াম ইস্কুলে পড়ত), একটা ট্রেতে তিনটে থালা সাজিয়ে আমার মুখের সামনে ধরতেন, আমি নাড়ু-গজার থালাটা তুলে নিয়ে অনেক আশা নিয়ে বলতাম, "ঝুমা খাবে না?" কিন্তু না, ঝুমা আমার থেকে নিয়ে খেত না। ঝুমার জন্য অন্য থালা আসত, তাতে থাকত, মেরি বিস্কুট, কুচি কুচি করে কাটা ফল, আর লাল চিনি ছড়ানো ছানা।

    কী আর করি? অগত্যা বাকি দুটো থালা রেখে, "পরে খাব বলে", নাড়ু-গজার থালা আর ঝুমার ফল-ছানার থালা নিয়ে আমি আর ঝুমা উঠে যেতাম রাঙাদিদাদের বাড়ির ছাদে। ছাদে উঠতে যে আমার কী ভালো লাগে! ছাদে উঠলেই মনে হয় আমি পুরো আকাশটা মেখে নিচ্ছি সারা গায়ে, আমার সারা গা-ভরা আকাশ। আর রাঙাদিদার বাড়ির ছাদের একদিকটা তো সো-ও-জা আকাশের সঙ্গে মিশে গেছে, সেই দিকে কোনো পাঁচিলই নেই। রাঙাদিদার বাড়ির ছাদের তাই মজাই আলাদা। আর এখানে মা-ও নেই।

    আমার দিদার বাড়ির ছাদটাও ভালো, আর ছাদের যে দিকটায় আমগাছের ডালগুলো এসে ঝুপসি হয়ে আছে, ঐদিকটাও ভালো, শুধু কখনো কখনো তাকালে একটু যেন গা-টা কেমন ছমছম করে ওঠে। আর দিদার বাড়ির ছাদটা রাত্তিরে তো আরো বেশি ভালো। আমি তো তখন আকাশে উঠে পড়ি। আকাশেই হাঁটি। তারাদের মধ্যিখান দিয়ে এঁকে বেঁকে যেমন খুশি হেঁটে বেড়াই। এটা কেউ জানে না কিন্তু। সেই যে সন্দীপমামা আমাকে যখন জিজ্ঞেস করেছিল আমার পাহাড়ে বেড়াতে ভালো লাগে নাকি সমুদ্রে। আসলে আমাকে জিজ্ঞেস করে নি, বড়দের জিজ্ঞেস করেছিল, কিন্তু আমিও ওখানে ছিলাম বলে আমাকেও আলাদা করে জিজ্ঞেস করেছিল, যাতে আমার মনখারাপ না হয় আমি ছোট বলে। আর আমি যেই বলেছিলাম, "আমার সবচেয়ে ভালো লাগে আকাশে বেড়াতে" অম্নি সবার কী হাসি! আকাশে বেড়ায় না নিজেরা, জানবে কী করে ঘিচিমিচি তারাগুলোর মধ্যে দিয়ে তারাগুলোর গায়ে পা না লাগিয়ে হাঁটার মজাটা! কিন্তু আমার মা মনে হয় জানে। মা জানে আমি ছাদে বসলে আকাশে হাঁটি। তাই তো সন্ধ্যেবেলায় মা-ও যদি আমার সঙ্গে ছাদে থাকে, আমাকে আকাশ থেকে নামিয়ে আনার জন্য খারাপ খারাপ সব কবিতা বলে আমাকে কাঁদায়। মা লম্বা লম্বা সব কবিতা বলতে থাকে আপন মনে। ঐ কবিতাটা তো বলবেই বলবে, যেটায় আছে, "বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে"। জানে, আমি ওটা শুনলেই কাঁদব, তাই ওটা বলবেই বলবে। ওটা বললেই যে আমি দেখতে পাই, ঝকঝকে চাঁদটা জলে পড়ে খান খান হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। তখন আমার কান্না পেয়ে যায় রাত চাঁদটা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে। আমি কাঁদতে কাঁদতে যেই বলি "তুমি এই খারাপ কবিতাগুলো বলবে না তো, এই লোকটার কবিতাগুলো আমি সব দেখতে পাই, দেখলেই আমার কান্না পায়। তুমি অন্য কবিতা বল।" মা তখন হাসে, আমার কান্নার কথা শুনে হাসে! হেসে বলে "তাহলে সেইটা বলি, রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতাটা?" আমি জানি, এবার কোনটা বলবে। এটা শুনেও আমার খুব কান্না পেয়ে যায় বামীর জন্য। ঐ যে মা চেঁচিয়ে বলে "হারিয়ে গেছি আমি", আমি অম্নি দেখতে পাই, একটা মেয়ে তারাদের মধ্যে হারিয়ে গেছে আর নেমে আসতে পারছে না। আমাকে তখন আকাশ থেকে নেমে আসতেই হয়। নেমে এসে মায়ের মুখ চেপে ধরে বলি, "বলবে না, বলবে না কবিতা।" ছোটোমাসিও কখন ছাদে চলে এসেছে, বুঝতেই পারি নি। ছোটোমাসিও তখন হাসতে হাসতে বলে "আমি তাহলে কাজলাদিদির কবিতাটা বলি?" ওটা শুনলে আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে খুব কাঁদি তো, তাই আমাকে কাঁদানোর জন্য বলে। আমি দিদাকে বলি, "দিদা এদের কবিতা বলতে দিয়ো না, মানা করো, তুমি একটা গান গাও।" দিদা ভালো, দিদা আমাকে ভালোবাসে। দিদা মাদুরে শুয়ে শুয়ে গায়, "মধুমালতী ডাকে আয়"। ছোটোমাসি দিদাকে জড়িয়ে ধরে বলে "মা গো, তুমি এই সব কিছু ছেড়ে, আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাও। চলে যাও কোথাও। চলে গিয়ে শুধু গান নিয়ে থাকো, মা!" দিদা ছোটোমাসির কথার উত্তর দেয় না, দিদা এবার অন্য গান গায়, "দূরে কোথাও, দূরে দূরে"। আমি জানি এটা আমার জন্য গাইছে দিদা, যাতে আবার আমি টুপ করে আকাশে উঠে যেতে পারি। আকাশে আবার হাঁটতে থাকি। আকাশ থেকেই শুনতে পাই, ছোটোমামা এবার কবিতার বই থেকে কবিতা পড়ছে, "এক রাত্রির অবসান হয়েছে। এখন যাত্রা করি অরেক রাত্রির দিকে"। কোন কবিতার বই, তাও আমি জানি। আমি ঐ বইটার থেকে একবার উলঙ্গ রাজা কবিতাটা বাবাকে পড়ে শুনিয়েছিলাম, বাবা আমাকে খুব আদর করেছিল, "আমার ঝুকাইবুড়ি" বলেছিল। আকাশে হাঁটতে হাঁটতে আমি দেখতে পাই ছোটোমামা দিদার পাশে বসে লন্ঠনের আলোয় বই থেকে কবিতা পড়ে যাচ্ছে একটার পর একটা। সবাই চুপ করে বসে শুনছে। আমার খুব ভালো লাগে। মনে হয় এই তো ওরা সবাই ঠিক আছে, ভালো আছে। কোলকাতায় আমার বাবাও নিশ্চয়ই ভালো আছে, এবার আমি আকাশের আরো ভিতরে চলে যেতে পারি। আকাশে হাঁটতে হাঁটতে কখন যেন ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ি। টের পাই না। মা বা দিদা নাকি বড়মামা? কে যে আমাকে আকাশ থেকে নামিয়ে এনে বিছানায় শুইয়ে দেয়, ঘুমের মধ্যে বুঝতে পারি না।
  • byaang | 132.167.98.55 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ০৯:৫৩649449
  • * রাতের চাঁদটা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে।
  • hu | 188.91.253.21 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ০৯:৫৪649450
  • কি ভালো লেখা! গা শিরশির করছে!
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১০:০০649451
  • গায়ে কাঁটা দিল। এ রকম ছোটবেলা পাই নি কখনও।
  • byaang | 132.167.98.55 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১০:০৩649453
  • এই হয় আমার, ছাদে উঠলেই আকাশে চলে যাই। আর আকাশে উঠলে কিচ্ছু মনে থাকে না, কোন বাড়ি, কোন বাড়ির ছাদ, দুপুর না সন্ধ্যে না রাত সব ভুলে যাই।

    এখন তো আমি রাঙাদিদাদের বাড়ির ছাদে। এখন দুপুরবেলা। আমি আর ঝুমা পা ঝুলিয়ে বসি, ঐ ছাদের যে দিকটায় পাঁচিল নেই, সেইখানটায়। কোলে থালা নিয়ে আমরা গল্প করি। ঝুমা বলে ওর স্কুলের গল্প। ওর বইয়ে কোন রাজার গল্প আছে, সেই গল্প। আমি বলি ঝুমাকে আনন্দমেলায় পড়া গল্প। আমার ইস্কুলের চ্যাপেলের গল্প। গল্প করতে করতে বেলা গড়িয়ে যায়।
  • Tim | 188.91.253.21 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১০:০৭649455
  • এক জীবনে সব পাওয়া যায়না, তবু যদি অন্তত বেছেবুছে নেওয়া যেত....

    ব্যাঙদি লেখো।
  • aranya | 78.38.243.218 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১০:০৭649454
  • আহা
  • de | 69.185.236.53 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১০:৪১649456
  • আহা! চারপাশটা কেমন নুরাতন নুরাতন হয়ে গেলো!
  • byaang | 132.167.98.55 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৩:০৯649457
  • দুজনে গল্প করি এটা ওটা, আরো কত কিছু। কুট কুট করে খেতেও থাকি গল্পের মাঝে মাঝে। ঝুমার মা মাঝে কতকবার আমাদের ডাকতে এসে, না ডেকেই চলে যান। ঝুমার বাবাও এসে মাঝে মাঝে আমাদের দেখে যান।

    হঠাৎ ঝগড়ার আওয়াজে আমাদের দুজনের গল্প থেমে যায়। যেদিকে পা ঝুলিয়ে বসেছিলাম, সেদিক দিয়ে নীচে তাকালেই একটা বাড়ির উঠোন দেখা যায়, আর খড়ের চাল দেওয়া তিন দিক খোলা, শুধু একটা দেওয়াল দেওয়া জায়্গা দেখা যায়। দেওয়ালের পাশে একটা খাটিয়া। খাটিয়াটা এতক্ষণ খালিই ছিল, এখন খাটিয়াটায় একটা লুঙ্গিপরা লোক বসে আছে। আর তার সামনে মাটিতে একটা লোক বসে আছে, আর মাটিতে বসা লোকটার পাশে একটা এত বড় সাদাকালো ছাগল বসে আছে। সে একটা ভাঙা গাছের ডাল চিবোচ্ছে।

    খাটিয়ায় বসা লোকটা আর মাটিতে বসা লোকটা দুজনে খুব জোরে জোরে ঝগড়া করছে। খাটিয়ায় বসা লোকটা খুব রেগে রেগে কীসব বলছে! "পাল খাওয়াতে কত সময় লাগে অ্যাঁ? বলি আমাকে কি ছাগল পেয়েছ? যা বোঝাবে, তাই বুঝব? কখন ছাগল ফেরত দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল?"

    আমি ভেবেই পাই না, একটা ছাগল কী করে একটা নৌকা বা জাহাজের পাল খেতে যেতে পারে, আর কেই বা ছাগলকে নৌকা বা জাহাজের পাল খেতে দিতে পারে? এরকম ভাবে কেউ পাল নষ্ট করে! আর যদি বা ছাগল যায়ই খেতে, তো অত বড় পাল খেতে সময় লাগবে না!!!

    মাটিতে বসা লোকটাও জোরে জোরে বলছে, "সে ছাগলের মর্জি! ছাগলের মর্জিমত চলতে আমি লারব।"

    ঠিক কথাই তো! ছাগলটা যদি একবারে পুরো পালটা খেতে না পারে, তো কী করবে? অত বড় জিনিসটা খেতে সময় লাগবে না? মাটিতে বসা লোকটা কি ওর মুখে পালটা ঠুসে দেবে? অত বড় কাপড়টা ওর গলায় আটকে যাবে না? মা-ও আমাকে তাড়াতাড়ি করে খাওয়ার জন্য এরকম করে জোর করে। ছাগলটার জন্য খুব কষ্ট হয়। নিজের কোলের থালাটার দিকে তাকিয়ে দেখি, আদ্ধেকও শেষ হয় নি। ছাগলটার দুর্ভাগ্যের কথা ভেবে মনখারাপ হয়।
  • byaang | 132.167.98.55 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৩:২২649458
  • মাটিতে বসা লোকটা আরো কত কী বলে, ছাগলটার নাকি খুব বদমেজাজ, খুব গোঁ এসব বলে চলে যায় একটু পরে।

    খাটিয়ায় বসা লোকটা দেখি, "খুব খেয়েছিস" বলে ছাগলটার মুখের থেকে আধ খাওয়া পাতা ভর্তি
    গাছের ডালটা কেড়ে নিয়ে উঠোনের কোণে ফেলে দেয়। এরকম নিষ্ঠুর কাজ দেখে ভারি আহত হয়ে ঝুমার দিকে অবাক চোখে তাকাই, ঝুমা বলে, খাটিয়ায় বসা লোকটার নাম লটন। বলে হাসে। হি হি করে হাসতেই থাকে।

    আর কত অবাক হব আমি! বিস্ময়েরও তো শেষ থাকে! একে তো লোকটার ছাগলটাকে আস্ত একখানা পাল খেতে হয়, তাড়াতাড়ি খেতে পারে না বলে লোকটা ছাগলটাকে গাছের পাতাও খেতে দেয় না ভালো করে, তার উপর আবার লোকটার এরকম নাম! লটন!! এরকম নামও হয়! কক্ষনো শুনি নি।

    হাঁ করে ঝুমার দিকে তাকিয়ে থাকি। কথা বলতে ভুলে যাই। ঝুমা বলে "ওটা লটনের ছাগল। খুব খায়, সারাক্ষণ খালি খায়।" আমি কেউ যেন শুনতে না পায়, এরকম করে গলা নামিয়ে ঝুমাকে জিজ্ঞেস করি, "ওনার নাম শুধু লটন? আর কিছু নেই লটনের পরে?" ঝুমা আবার হাসতে থাকে। হাসতে হাসতে বিষম খায়।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৩:৩৩649459
  • অফিসের মধ্যে পেটে হাত চেপে হেসে কুটিপাটি হচ্ছি। উরিবাবা ...
  • byaang | 132.167.98.55 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৩:৪০649460
  • হাসি থামলে পরে ঝুমা বলে "জানি না বাবা, কেমন নাম! লটন, লটন, লটন!" আবার ঝুমার হাসি শুরু হয়।

    বড়দের নাম নিয়ে এত হাসাটা উচিত হবে কিনা বুঝতে না পেরে এবার আমি জিজ্ঞেস করি, "আর ছাগলটার নাম কী?"

    ঝুমা এবার আরো বেশি হাসতে থাকে, হাসতে হাসতেই কোনোরকমে বলে, "মটন"।

    আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারি না। মালিকের নাম লটন! আর তার পোষা ছাগলের নাম, মটন! অবিশ্বাসের সুরে আবার শুধাই, "সত্যি?"

    ঝুমা কোনোরকমে হাসি থামিয়ে বলে, "না, আমি ওর ছাগলের নাম দিয়েছি মটন। লটনের মটন। ভালো শোনায় না?"

    ঝুমার ছন্দজ্ঞানে আর বুদ্ধিতে অভিভূত হয়ে এবার আমিও হাসতে থাকি। এরপরে দুজনে একসঙ্গে সুর করে বলতে থাকি, "লটন, লটন, লটন, মটন, মটন, মটন, লটন মটন, লটন মটন, লটন মটন।"

    এরপরে দুজনে মিলে আরো সব ছন্দ মেলানোর খেলা শুরু হয়। "লটনের মটন, খায় সে কটন" আরো এইরকম কত কিছু। হঠাৎ করে আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে অদ্ভুত দুই লাইন - "বধিব লটন, খাইব মটন" বলেই থতমত খাই। গুরুজনের উদ্দেশ্যে "বধিব" বলাটা কি ভালো হল? ঝুমা নীচে গিয়ে যদি বলে দেয়, আমি লটনকে বধ করব বলেছি। ভয়ে ভয়ে ঝুমার দিকে তাকিয়ে দেখি, ঝুমাও ঠিকই শুনেছে কথাটা, আর হাসি থামিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। ভয়ে পেটটা খালি মতন হয়ে যায়।
  • hu | 188.91.253.21 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৩:৪৩649461
  • আমারও পেট খালি। জলদি বল তারপর কি হল।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৪:১৮649462
  • আমি বলছি। ঝুমা ইংলিশ মিডিয়াম। নিশ্চয়ই বধিব মানে বুঝতে পারে নি।
  • bhagidaar | 106.2.241.35 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ২৩:৩৬649464
  • ।। সিকিকে চন্দ্রবিন্দু
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন