এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ট্রান্স, ভর, তূরীয় অবস্থা, সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন, সমাধি, কুলকুন্ডলিনী জাগ্রত হওয়া ইত্যাদি

    pinaki
    অন্যান্য | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ১১৭৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • avi | 113.24.86.190 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪৮707401
  • বেশ কয়েকটা জিনিস হয়। এগুলো নিয়ে শ দুয়েক বছর ধরে বিতর্ক চলছে, আরো চলবে হয়তো, ঐক্যমত্য পুরোপুরি হয়নি। WHO একটা আন্তর্জাতিকভাবে রোগের শ্রেণীবিভাগ করেছে, যেটা নিয়মিত আপডেট হয়। সেই International Classification of Diseases - 10 অনুসারে এরকম সমস্যা যেখানে কোনো শারীরিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এবং সাথে একটা স্ট্রেস বা অতিরিক্ত উত্তেজনা আছে, তাদের ডিসোসিয়েটিভ ডিজর্ডার নাম দেওয়া হয়। আগেকার যুগে এদের মূলত হিস্টেরিয়া বলা হত, যে নামের সাথে সবাই অত্যন্ত পরিচিত। তখন ভাবা হত যেহেতু এটা মেয়েদের বেশি হয়, বোধ হয় জরায়ুই সব নষ্টের গোড়া। তাই ওই নাম। অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়ার পর দেখা যেত কেউ চোখে ঝাপসা দেখছে, কেউ প্রায় অজ্ঞান, কেউ মৃগীরোগীর মতো ছটকাচ্ছে, কেউ হাত পা নাড়াতেই পারছে না। ভাবা হত জরায়ুটাই কখনো হাতে পায়ে, কখনো মুখে, চোখে, মাথায় গিয়ে সমস্যাগুলো তৈরি করছে। এবার লক্ষ্যণীয়, এর সাথে আরো একাধিক সমস্যা দেখা দিল। কেউ নিজেকে চিনতে পারে না, কেউ বাকিদের, কারো মনে হয় সে অন্য কোনো মানুষ বা শক্তি বা দেব-দৈত্য ইত্যাদি হয়ে গেছে, কারো স্মৃতি চলে যায়। আর এগুলো শুধু মেয়েদেরই হচ্ছে, এমনও না। বোঝাই গেল, হিস্টেরিয়া দিয়ে আর চলবে না। তবু ১৯এর শতক মোটের ওপর স্নায়ুদৌর্বল্যকে মেয়েলি দোষ হিসেবেই দেখিয়ে গেল। চিবুক শক্ত রাখা ভিক্টোরীয় সময়ের পর এল ভয়ানকতম যুদ্ধের সময়গুলো। এখানে বলে রাখা ভালো, যেহেতু আমরা মূলত সাদাদের ইতিহাস পড়ি, সাদারা আমাদের বা আফ্রিকা আমেরিকার সমজাতীয় সমস্যাগুলোকে কিন্তু কালচার বাউন্ড পকেট হিসেবে সরিয়ে রেখেছিল, এবং খুব কিছু কাজ হয় নি এ নিয়ে। মোটামুটি প্রথম মহাযুদ্ধের পর দেখা গেল ভয়ঙ্কর ট্রেঞ্চ ব্যাটলের পর বা মারাত্মক আহত সেনাদের এই সমস্যাগুলো হচ্ছে, চিনতে পারছে না, স্মৃতি ঘেঁটে যাচ্ছে, সাময়িকভাবে উল্টোপাল্টা বিহেভ করছে। "শে'ল্ শক" টার্মটা বাজারে এল এভাবে।
    একটা জিনিস বলতে ভুলেছি। হিস্টেরিয়া পার্টটাকে খুব বেশি পাত্তা না দিলেও অন্য এক ঘটনা ঘটেছিল যেটা মিডিয়া বরাবর ভীষণ খায়। স্প্লিট পার্সনালিটি। বেঞ্জামিন রাশকে আমেরিকায় মনোরোগের জনক বলা হয়। তিনি জানালেন মস্তিষ্কের দুটো লোব দুরকম পার্সনালিটিকে রিপ্রেজেন্ট করে। ওই সময়েই মেরি রেমন্ডসের কেস নিয়ে আমেরিকায় হইচই হল খুব, তাঁরও এই আইডেন্টিটি সমস্যা। ঊনিশ শতকের শেষে স্টিভেনসনের ডাঃ জেকিল আর মিঃ হাইড এই বিষয়ে মিডিয়ার আকর্ষণ আকাশে তুলে দেয়। বস্তুত ডিসোসিয়েটিভ সমস্যা লেখায়, সিনেমায়, টিভি সিরিয়ালে এত বেশি প্রোমোটেড হয়েছে, বেশিরভাগই যতটা না সত্যনির্ভর, তার চেয়ে অনেক বেশি গল্পের প্লটে টুইস্ট দেখানোর জন্য। মজার ব্যাপার এখন অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারি ছাত্রও রোগ চিনে নিচ্ছে সিনেমার চরিত্র মাথায় রেখে। সেটা বিপজ্জনক, হলিউড বলিউড নির্বিশেষে।
    হ্যাঁ, যে কথা বলছিলাম। প্রথম যুদ্ধের আগেই আরেকজন ইউরোপে এসে গিয়েছিলেন, ফ্রাঞ্জ আন্তন মেসমার। ভদ্রলোক নিজে কতটা কি বুঝেছিলেন বিতর্কিত, ওনার কাজকর্মও তাই, কিন্তু হিপনোসিস শব্দটা গেড়ে বসে বাজারে। পরে ফ্রয়েড ইত্যাদি এই লাইনে আরো মাথা ঘামাতে থাকেন এবং নিত্য নতুন থিওরি বেরোতে থাকে ব্যাবিনস্কি, জ্যানেট, ও নিও-ফ্রয়েডিয়ানদের হাত থেকে। কিন্তু এসব কচকচির আপাতত খুব বেশি প্রাসঙ্গিকতা নেই হয়তো।
    দুটো কাজ পাশাপাশি চলেছে বরাবর। এক, শ্রেণীবিভাগ, দুই, কারণ অনুসন্ধান। এই শ্রেণীবিভাগের দিকে যদি নজর ফেরাই, দেখব যেসব সিম্পটম আমরা বিভিন্ন সাধক বা মহাপুরুষের মধ্যে দেখেছি, তার অনেকগুলোই বস্তুত আমরা রোজকার আউটডোরে দেখি। খুব সাধারণ একটা অভিযোগ থাকে ভুলে যাওয়া। কোনো এক স্ট্রেসফুল ঘটনা, সমস্যা বা চাহিদা এবং তার পরেই বিস্মৃতি। সম্পূর্ণ বা অংশত। এই বিস্মৃতি সাধারণত ওই স্ট্রেসকেন্দ্রিক। সাথে পরিমাণে টুকটাক ভুলে যাওয়ার থেকে অনেকটাই বেশি। এই গেল dissociative amnesia। আবার dissociative fugue তেও বিস্মৃতি থাকে। তার সাথে থাকে একটা জার্নি, অপ্রত্যাশিত কিন্তু সংগঠিত। বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্য কোথাও, অন্য জীবন। পরে সেই সময়ের স্মৃতি আর নেই। জনপ্রিয় গল্প ও সিনেমার প্লট। এর সাথে trance এর একটা বড় পার্থক্য হল, ট্রান্সেও নিজের আইডেন্টিটি হারিয়ে যায়, কিন্তু ট্রান্সে আমার চারপাশ সম্পর্কিত সচেতনতা সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। আমার ঘোরাফেরা, শারীরিক সংস্থান, কথাবার্তা সব কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক বিষয়কে ঘিরে আবর্তিত হবে। ট্রান্সের সাথেই বেশিরভাগ সময় থাকে Possession, দুয়ে মিলে আমাদের চিরাচরিত 'ভর লাগা', যখন আমার মধ্যে কোনো দেবতা, দানো, আত্মা - কারো একটা ভর হয়েছে, আমি আর আমাতে নেই।
    এ অব্দি হল মূলত মানসিক প্রকাশ, সাথে কিছু ব্যবহারিক লক্ষ্মণ। কিন্তু dissociative motor disorders হল এমন একটা অবস্থা যেখানে নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকা মোটর কাজকর্মে অসুবিধা হচ্ছে; অথচ কোনো অর্গানিক সমস্যা নেই, এবং স্ট্রেসের সাথে এসোসিয়েশন আছে। প্রসঙ্গত শেষের দুটো যেকোনো ডিসোসিয়েটিভ সমস্যার সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এর সাথে দাঁড়ানো, হাঁটা, ব্যালেন্স রাখা সবেতেই সমস্যা থাকতে পারে। দৃশ্যত হঠাৎ হওয়া নিউরোলজিক্যাল এমারজেন্সির সাথে পার্থক্য থাকে না। মানসিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঘন্টাখানেক কাটালে এই সমস্যার আগমন ও নিরাময় খুব সাধারণ একটা ঘটনা। :)
    এখানে একজন প্রশ্ন করেছিলেন এগুলোর সাথে সিজার গোলায় কি না। উত্তর হল, হ্যাঁ। Dissociative convulsion, যাতে একদম সিজারের মতই রোগী হাত পা ছোঁড়ে, দাঁতে দাঁত লেগে যায়, রেয়ারলি জিভ কেটেও যায়। কিন্তু এ সিজার নয়। ইইজি করলে কোনো পরিবর্তন পাবেন না, আরো কয়েকটা টেল টেল সাইন আছে, যেগুলো দিয়ে আলাদা করা যায়। তেমনি dissociative stupor আছে, যেটা জাস্ট উল্টো। রোগী নড়াচড়া করবে না, আলো আওয়াজ বা অন্য কোনো উত্তেজনায় সাড়া দেবে না অনেকটা সময় ধরে, যদিও শ্বাসপ্রশ্বাস, মাসল টোন এইসব থাকবে। ওই সমাধির মতই এক অবস্থা না? :)
    এর পরেও multiple personality, ganser syndrome, dissociative sensory loss আছে। সাইকিয়াট্রিস্টের কাজই লিস্টি বানানো, তাই আমেরিকার আলাদা সিস্টেম আছে (diagnostic and statistical manual for mental disorders), চীনেরও আছে, তাদের মধ্যে ওভারল্যাপ আছে, আলাদা স্কুল অব থট আছে, তাদের নিজেদের মধ্যে মারপিটও আছে। কেউ বলেন এসব বকোয়াস, কেউ আবার দিব্যি নিউরোইমেজিং করে টরে কিভাবে হয়, তার মডেলও দেন, পরে পারলে এই পার্থক্য আর কজেটিভ মডেল নিয়েও কথা বলা যাবে।
  • avi | 113.24.86.190 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০২707402
  • হ্যাঁ, প্রচলিত সংজ্ঞানুযায়ী ট্রান্স কেন, উপরোক্ত সবকটা ঝামেলাই ইন্ডিউস করা যায়, সেল্ফ বা অন্যে। এইসব রোগীকে ইন্ডিউস করে আরেকবার একই অবস্থায় কৃত্রিমভাবে নিয়ে গেলে তার সমস্যাটা কমেও যায়, অনেকক্ষেত্রে সেরেও যায়। রোগী আপনার কাছে এসেছেন, দুদিন ধরে হাঁটতে পারছেন না, বা সারা গায়ে অসহ্য ব্যথা, আপনি তাকে সাজেশন দিলেন, দিব্যি উঠে দাঁড়িয়ে বাড়ি চলে গেলেন, দেখাই যায়। এবং এই সব ক্ষেত্রে রোগীর বাড়ির লোকজন যে পরিমাণে অভিভূত হয়, দেখে বোঝা যায়, ধর্মগুরুরা কোন জায়গাটা এনক্যাশ করতে পারেন। তবে এই কাজটা ওষুধ দিয়ে আরো সহজে হয় আজকাল, যাকে কেমিক্যাল হিপনোসিস বলে।
  • সিংগল k | 212.142.114.153 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩৯707403
  • ঈশ্!
    কেসীদা ঐ সাধুবাবাকে একটু ধরে করে যদি বডি ছেড়ে বেরুনোর টেকনিকটা একটু শিখে নিতেন তো এক্কেবারে এডগার কেসী হয়ে উঠতেন। ইহজগতের সকল বইয়ের ভান্ডারী তো আপনি হয়েই আছেন, আটলান্টিসের জ্ঞানভান্ডারটার চাবিও হাতের মুঠোয় চলে আসত।
    আমরাও একটু আদটু পেসাদ পেতুম আর কি। এ'সব করে মা মাটি মানুষের ভাল হয় না - বলে সাধুবাবা আপনাকে বাচ্চা পেয়ে নিতান্ত টুপি পরিয়েছেন।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৪৮707404
  • জানালা দিয়ে টুক করে দেখে নিয়েছিলেন। ঃ-)
  • sosen | 177.96.65.98 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৫707405
  • এসব নিয়ে প্রচুর বই আছে, কিন্তু প্রতিটিই একটু গুলোনো গোছের। আমার যে খুব পরিষ্কার নলেজ আছে তা নয়। তাও গুলিয়ে যাচ্ছে দেখে একটু চেষ্টা করছি। মোটামুটি খুউব সোজা করে এইরকম বলা যায়-
    যোগ-মূলত চাররকম। কর্মযোগ, ভক্তিযোগ,রাজযোগ, জ্ঞানযোগ। আমরা রাজযোগ নিয়ে কথা বলছি, যেটাকে অষ্টাঙ্গ যোগও বলা হয়। (এছাড়াও হঠযোগ আছে। আরো কিছু আছে যেগুলোর বাউন্ডারি খুব ক্লিয়ার নয়।)
    রাজযোগ-এর অভ্যাসসমূহ, অর্থাৎ কিভাবে রাজযোগ প্র্যাকটিস করতে হয় তা অনেকটাই পতঞ্জলির যোগসূত্রে আছে। আমরা অভ্যাস বা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছি না, অভ্যাসের মাধ্যমে যে অবস্থাগুলোতে পৌঁছনো যায় বলে দাবি করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে কথা বলছি। রাজযোগের উদ্দেশ্য-আত্নানং বিদ্ধি, নিজেকে জানা। ঈশ্বর এটসেট্রা নিয়ে ভাবিত হওয়া নয়। এর চারটি অবস্থা, প্রতিটি অবস্থাতেই মানুষ(জীব) থাকতে পারে। জাগ্রত-যখন বাইরের সব জিনিসের সংগে আপনার সংযোগ রয়েছে। অর্থাৎ এই এখন। স্বপ্ন-যখন আপনি ঘুমোচ্ছেন-আপনার সেন্স সুইচড অফ, কিন্তু মন ক্রিয়াশীল, এবং বাহ্যিক জগতে না থাকলেও আপনার মন একটি প্যারালাল জগত সৃষ্টি করেছে, যা সেন্স করা যায় না ফিজিওলজিক্যালি, কিন্তু উপলব্ধি করা যায়। এই দুটো স্টেট অ্যাটেইন করার জন্য কোনো অভ্যাসের প্রয়োজন নেই।সাধারণ জীব এই দুটি সত্তাতে থাকতে পারে-দ্বৈতসত্তা। এর পরেই, অর্থাৎ সুষুপ্তিতে অদ্বৈতসত্তার শুরু। এই দুই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে জীব তখন এক তৃতীয় অবস্থায় থাকতে পারে যেখানে নিজের ঐ দুই অবস্থাকে বাইরে থেকে দেখা সম্ভব। এই অবস্থাকে সুষুপ্তি বলা হবে, যখন যোগীপুরুষের সমস্ত বা কিছু জীবনক্রিয়া ধীর, সাসপেন্ডেড থাকতেও পারে, বাইরে থেকে এমনও মনে হতে পারে যে তিনি ঘুমোচ্ছেন, কিন্তু আসলে তাঁর সত্তা জাগ্রত, মনের নিয়ন্ত্রণ থেকেও তিনি মুক্ত। এইটেকেই সম্ভবত শরীর ছেড়ে বেরিয়ে ঘুরে আসা বলে, রামকৃষ্ণের সমাধি এই সুষুপ্তি পর্যায়ে পড়ে।
    এর পরবর্তী অবস্থা হলো তূরীয়, যা কেউ অ্যাচিভ করেছেন কিনা জানা নেই, যেখানে এই তিন অবস্থার কোনোটিতেই যোগী অবস্থান করেননা। শরীর, মন, ও অদ্বৈত তিন সত্তার বাইরে যা রয়েছে তা হল ব্রহ্ম, সগুণ /নির্গুণ, এই ব্রহ্মে অবস্থান করলে নিজেকে অনন্তের সঙ্গে এক উপলব্ধি হয়, এবং এই অবস্থায় একবার পৌঁছলে আর কখনো-ই দ্বৈতাদ্বৈতসত্তার প্রয়োজন পড়ে না জগৎ ও ইন্দ্রিয়, এবং আত্মনও অর্থহীন হয়ে যায় কারণ ওটি লয়াবস্থা।

    এই সবের কোনোটাই ট্রান্স বা ভর নয়, (ট্রান্স ও ভর এক জিনিসও নয় সবসময়) যেখানে জীব অ্যানিমেটেড থাকে ও বিভিন্ন ডিল্যুশনের মধ্য দিয়ে যায় যার প্রচুর ফিজিওলজিক্যাল ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু উপরোক্ত যোগের মেডিক্যাল কোনো ব্যাখ্যা আছে কিনা জানিনা, মেডিক্যাল সায়েন্স কোনো যোগীকে সুষুপ্তি অবস্থায় পাকড়াতে পেরেছে কিনা তাও জানিনা। সাসপেন্ডেড শ্বাসে হৃদয়াঘাত থাকে, শুধু খুব স্লো করা যায়, এইটা মনে হয় চিন্ময় করে দেখিয়েছিলেন,কিন্তু নিষ্প্রাণ প্রতিপন্ন করতে পারেননি।

    একটু পোষ্কার করে লিখবার চেষ্টা কল্লাম, ভুলভাল থাকতে পারে।
  • avi | 113.24.86.190 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৪707406
  • নাহ, ট্রান্সের সমার্থক ভর নয়। ট্রান্স মানে তার সচেতন অবস্থার একটা ক্ষণস্থায়ী পরিবর্তন অথবা তার নিজের যে আইডেন্টিটি তা কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাওয়া। এবার এই আইডেন্টিটি অন্য কারো পরিচয় দিয়ে রিপ্লেসড হবে, জরুরী না। যদি হয়, এটাই পজেশন, অনেকে বলে পজেসড ট্রান্স, এতে কনশাস অবস্থা পাল্টাবে, সেই সাথে আমার আইডেন্টিটির জায়গা নেবে অন্য কেউ বা কিছু। এইসময় ওই যে দখল করেছে আমাকে, আমার জ্ঞান অনুযায়ী আমি তার মত ব্যবহার করব, সে ভূত, ভগবান, পাশের বাড়ির গতমাসে মারা যাওয়া কাকা, যেই হোক। আমি তখন পুরোপুরি তারই হাতে। এবং স্বাভাবিক অবস্থায় আসার পর আমি এই সময়ের সবকিছু সম্পূর্ণ বা অংশত ভুলে যাব। সম্ভবত এটাই ভর।
  • aka | 167.199.112.25 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৮707407
  • একটা প্রশ্ন করি। আমার এন্ডোস্কপি হয়েছে দেশে ও বিদেশে। দেশে হরিবল অভিজ্ঞতা। প্রতিটা মুহূর্তে মনে হল, ঐ পাইপ ইসোফেগাস দিয়ে, গলা দিয়ে উঠছে, নামছে। এখানে আমাকে একটা ইঞ্জেকশন দিল তাতে বলল, ক্ষণস্থায়ী অ্যামনেশিয়া হবে। ঐ সময়ে জ্ঞান হারাবে না, খানিক ঘুমন্ত থাকবে, কিন্তু যা হবে সে মনে থাকবে না। আমার শুধু কয়েকটা মুহূর্ত মনে আছে। কিন্তু সেই দেশের কষ্ট কখনো হয় নি বা হয়েছে যেহেতু ব্রেনে রেজিস্টার করে নি তাই কষ্ট লাগে নি। এই শর্ট টার্ম অ্যামনেশিয়া কি এমনিও হয়, হতে পারে?
  • avi | 113.24.86.190 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১৭707408
  • ওহো, NDE নিয়ে এখানে দেওয়া আর্টিকল তিনটে পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ।
    বস্তুত ওই যে মনে হয় নিজের দেহ, নিজের সেল্ফ থেকে বেরিয়ে এসেছি, মনে হচ্ছে যেন স্বপ্নে নিজেকে দেখছি, বা সিনেমায় দেখছি, এই আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়ানোকে সাদা বাংলায় বলে Depersonalization, যা NDEতে দেখা যায়, সাধারণ মানুষেরও মাঝে সাঝেই হয়, এবং আলাদা একটি রোগ হিসেবেও একে দেখা হয় তীব্রতা অনুসারে।
    এটা নিয়েও কাজকম্মো শুরু হয়েছিল ঊনিশ শতকের লাস্ট কোয়ার্টার থেকেই। পরে ফ্রয়েডের থিওরি, ইগো এইসব আসার পর লুদোভিচ দুগা এটাকে বাজারে আনেন ইগোর অনুভূতি চলে গেছে, এই মর্মে। ফ্রয়েড, জ্যানেট, ব্লয়লার, একনার সবাই নাক গলিয়েছিলেন, ফাইনালি বছর ষাটেক আগে একটা নির্দিষ্ট সিম্পটম কমপ্লেক্স ঠিক করা হয়। তাতে মূল সমস্যার সাথে লেজুড় হিসেবে জোড়া হয়: নর্মাল জ্ঞানবুদ্ধি থাকবে, নো ডেল্যুশন; আবেগের প্রকাশ কমে যাবে; ভালো না লাগা, একটা খিটকেল ভাব থাকবে, যদিও সেটা ফিক্সড নয়। এসব থাকলে রোগ বলবো, যদিও রোগ ছাড়াও এমনি টুকটাক ডিপার্সনালাইজেশন আমার আপনার থাকতেই পারে। বস্তুত থাকে। এটাকে বলা হয় ডিপ্রেশন ও এনক্সাইটি ছাড়া তৃতীয় কমন মানসিক সিম্পটম। একটা স্টাডিতে ১০০০ জন নর্মাল লোকের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে ১৯ শতাংশের এ বস্তু মিলেছিল।
    নর্মাল লোক ছাড়া আর কোনো সমস্যা থাকলে কিছু ক্ষেত্রে এই অনুভূতি বেশি হয়, উদাহরণ হিসেবে সিজারের রোগী বা মাইগ্রেন, মাথায় চোট এসব বলতে পারেন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই ড্রাগ, যা একক বলেছেন। গাঁজা ইন অল ফর্ম, এলেসডি, একস্ট্যাসি, কিটামিন। এবং কিছুক্ষণের জন্য এই অভিজ্ঞতা সম্ভব ধ্যান করলে, গভীর ঘুমের পর, আয়না বা কোনো ক্রিস্টাল গেজ করলে, ইন্দ্রিয়ের দ্বার রুদ্ধ করলে অর্থাৎ সেনসরি ডিপ্রাইভেশন।
    কেন হয় তা নিয়ে লক্ষ মুনির কোটি মত। ফ্রয়েডের কথা ধরলে দেখবেন উনি পৃথিবীর সব সমস্যাতেই একটা বা দুটো বেসিক কারণে চলে যান। এবং উনি এভিডেন্স, স্যাম্পল এসবে বিশেষ বিশ্বাস করতেন না। এখানে যেমন উনি একবার গ্রীসে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এক্রোপোলিস দেখতে দেখতে ওনার নাকি এরম অভিজ্ঞতা হয়। তাতে উনি ভাবেন উনি নাকি আনকনশাসে ওনার বাবাকে টেক্কা দিতে চাইছেন। ওনার বাবা ছিলেন ক্লাসিকসের লোক, যিনি কখনো গ্রীস যান নি। কিন্তু তাতে ডিপার্সনালাইজেশন কেন? ঠিক ধরেছেন, ইডিপাল কমপ্লেক্স। তা থেকে বাবাকে পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, তাই গিল্ট, তাই ডিফেন্স রেসপন্স ও কম্প্রোমাইজ, তাই ইত্যাদি ইত্যাদি।
    যাকগে, যেটা দেখা গেছে, আগের একটা ট্রমা বা স্ট্রেসের ব্যাপার থাকে, যদিও খুব জোরালো নয়। ছোটবেলার ইমোশনাল ট্রমা, বাড়িতে ধেড়ে পাগল থাকলে তাকে দেখে ভয়, সম্পর্কের, আর্থিক বা কাজের জায়গায় সমস্যা, এসব নাকি থাকে। মহান সেনাবাহিনীর সদস্যদের নাকি খুব হয়। ইংল্যান্ডে হান্টার একটা থিওরি দিয়েছিলেন, কগনিটিভ থিওরি। ওনার মতে প্রথমে একটা ট্রিগার আসে, সেটা ট্রমা, ডিপ্রেশন, ড্রাগ যা হোক। এবার আমার কগনিশন সেটাকে ব্যাখ্যা করে। সে যদি এভাবে ব্যাখ্যা করে যে, এ এমন কিছু না, জাস্ট সিচুয়েশনাল ব্যাপার, হয়েই থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু সে যদি সিম্পল ব্যাপারকে একটা ক্যাটাসট্রফি ধরে নেয়, তাহলে উদ্দাম ভয় বাড়তে থাকে, মনে হয় নিজের ওপর কন্ট্রোল চলে যাবে, আমি পাগল হয়ে যাব ইত্যাদি। উদ্বেগ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় আমি গুটিয়ে যাব, যেসব সিচুয়েশনে আমার ওইসব ট্রিগার আসতে পারে, তাদের এভয়েড করব, এবং আমার থ্রেট থ্রেসহোল্ড কমে যাবে। ফলে ভবিষ্যতে গুছিয়ে সমস্যা হবে, ব্যাপারটা ক্রনিক হবে।
    বড্ড বেশি বাজে কথার কচকচি। কিন্তু যার হয়, তার কী কী হয় দেখি। এটা কিন্তু ঠিক প্রপার ডিসোসিয়েটিভের মধ্যে পড়ে না, যদিও DSM রেখেছে। পুরনো হিস্টেরিয়া দিয়ে মেলে না, কারণ এটা ছেলে মেয়েতে প্রায় সমান সমান। মুশকিল হল এই আমি বেরিয়ে যাচ্ছি, আত্মা বাইরে আছে, বাইরে থেকে নিজেকে দেখছি এগুলো লোকজন অনেকেই ঠিক গুছিয়ে বলতে পারে না। এক তো এসব মনের ভাব ভাষায় প্রকাশ করা শক্ত, তায় ভয় বললে লোকে পাগল বলবে। একটা অদ্ভুত জিনিস হয়। লোকটা একইসাথে খিঁচিয়ে থাকে, আবার একটা নির্লিপ্ত প্রশান্তি মেনটেন করে। আমাদের শাস্ত্রে বলে dissociation of affects, যা নাকি এর এক প্রধান বৈশিষ্ট্য। একটা এমন ভাব ও বক্তব্য যেন, মরণের আর কি চিন্তা, মরেই তো আছি। তার সাথে মনে হওয়া যেন দেহটা পাল্টে গেছে। দেহনাট্যে যেন নিজেই অভিনেতা, নিজেই দর্শক। বাকিদের থেকে সংযোগবিচ্ছিন্ন যেন। এমনকি নিজের আবেগ ইমোশন থেকেও আলাদা। সাধকের কি হয় জানি না, সাধারণ মানুষের কাছে ভীষণ কষ্টের অনুভূতি। এ সেই অবস্থা, যখন মানুষ বলে এর চেয়ে দেহের কষ্ট, ব্যথা ভালো, তাও তো শরীরটাকে বুঝতে পারি।
    এর সাথে থাকে derealization, যখন চারপাশের জগৎ অচেনা লাগে, স্বপ্ন মনে হয়, শূণ্য মনে হয়। প্রেম বা বিরহ বা বোধ ছাড়াই। মনে হয় সব জিনিস যেন অনেক দূর থেকে দেখছি, অনেক দূরে শুনছি। ভেবে দেখলে, চেষ্টা করলে এই শেষ জিনিসটা আমি আপনি করতে পারি। রাত জাগলে আরো ভালো পারি। কিন্তু এদের না চাইতেও হয়, হতেই থাকে।
    এই হল মোদ্দা ব্যাপারটা যদ্দূর মনে পড়ে। কিন্তু ব্রেন ম্যাপিং করতে হলে কার কবে এরম হয়েছে তা দিয়ে চলবে না, ল্যাব সেট আপে সুষুপ্ত সন্ন্যাসী দুর্লভ, তাই ড্রাগ ভরসা। কিটামিন এনেস্থিসিয়ায় ইউজ হয়, একইসাথে দুরন্ত নেশার ড্রাগ। মজা হচ্ছে হাই ডোজে কিটামিন নিলে মনে হবে সময় থমকে গেছে, চোখের সামনে আলোর সুড়ঙ্গ, আমি আর আমাতে নেই, এবং জগৎ মিথ্যা, মায়াই সত্য। আবার বেঞ্জো বা ল্যামিটর আগে দিয়ে দিলে এসব অনেক কম হবে। তো এ থেকে একটা থিওরি দিচ্ছে যে গ্লুটামেটের একটা ব্যাপার আছে, বিশেষত এনএমডিএ রিসেপটরের। ওটা কমলে নাকি ব্রেনের অনেককটা জায়গার যোগাযোগ কেঁচে গিয়ে এরম একটা বুঝভুম্বুল অবস্থা হয়।
    আর যেহেতু গ্লুটামেটের সাথে গায়ে গায়েই সেরোটনিন, নরেড্রিনালিন, ক্যানাবিনয়েড আর ওপিয়েট সিস্টেমগুলো থাকে, তাই ওগুলোও লতায় পাতায় জড়িয়ে থাকবেই। এবং প্রতিটাকে ধরে ধরে আপনি আলাদা আলাদা মডেল দিতে পারেন। মারিজুয়ানা ইনজেক্ট করার পর পিইটি স্ক্যান করে জনতা দেখেছে ব্রেনে কোথায় রক্ত কম যাচ্ছে, আর কোথায় অক্সিজেন। এবং সেই মত কয়েকটা জায়গাও বের করেছে। মোদ্দা যেটা পেয়েছে, সেটা হল কর্টেক্সের সাথে লিম্বিক সিস্টেমের একটা ঘাঁটা কনেকশন। মূলত প্যারাইটাল আর টেম্পোরাল কর্টেক্স - ওই পাইদিদির লিঙ্কে যেমন ছিল আর কি। এবার আপনার ব্রেন কতটা সামলে নিতে পারছে তার ওপর নির্ভর করছে আপনি বডি থেকে একবার দুবার বেরোতে পারবেন, নাকি হররোজ।
    আবার এদের সাথে সেনসরি সেন্টারগুলো জোড়া, ইমোশন সেন্টারগুলোও, সেসব তো জানেন। এবার কতটা গোলমাল হলে তার কোথায় কত ইমপ্যাক্ট পড়বে, নিজে নিজে চাইলে করতে পারা যাবে কি না, তারই বা সার্কিট কী, সেসব অবশ্যই জানি না। :)
    সব্বাইকে শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। :)
  • avi | 113.24.86.190 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৩৬707409
  • আকাদা, আপনাকে খুব সম্ভবত কিটামিন দেওয়া হয়েছিল, এটিকে বলা হয় dissociative anaesthetic। লো ডোজ, তাই শর্ট টার্ম। একেবারে এমনি এমনি হওয়া মুশকিল। যদিচ শাস্ত্রে বলে খুব খারাপ স্মৃতি আমরা নাকি ফিল্টার করি, কিছু বিশেষ বিশেষ অংশ ভুলে যাই, কিন্তু এগুলোর বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স সম্ভবত নেই। যেটা পারেন, শর্ট টার্মে, সেটা হল মদ খেয়ে alcoholic blackout, অথবা মাথায় ডাণ্ডা খেয়ে। এগুলো প্রমাণিত। :)
  • dc | 120.227.236.223 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:২৩707411
  • avi আর sosen দুজনকেই অনেক ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানতে পারলাম। aka বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মেডিকাল আর ফিজিওলজিকাল এক্সপ্ল্যানেশান দিয়েছেন, এগুলো পড়তে খুব ভাল্লাগলো। আমি কোথাও একটা পড়েছিলাম যে মানুষের ব্রেন যে কতোরকম ইল্যুশান আর হ্যালুসিনেশান তৈরি করতে সক্ষম সে আমরা এখনো পুরো বুঝতে পারিনি। মানে মেডিকাল সায়েন্স দিয়ে সেগুলো ব্যাখ্যা করা অবশ্যই সম্ভব, কিন্তু পুরো ব্যাপারটা আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি কারন ব্রেন ভয়ানক জটিল আর ইন্টারকানেকটেড।

    আপ্নাদের দুজনের পোস্ট পড়ে মনে হলো sosen যেগুলো লিখেছেন সেগুলোরও বোধায় ফিজিওলজিকাল ব্যাখ্যা থাকার সম্ভাবনাই বেশী। মানে সুষুপ্তি, অদ্বৈত এগুলোও হয়তো ওরকমই কোন হ্যালুসিনেশান। কিন্তু তাহলেও, আগের যে দুটো সম্ভাবনা লিখেছিলাম সেদুটো থেকেই যায়। মানে কোনরকম ড্রাগ বা অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়া শুধু যোগাভ্যাসের মাধ্যমে ওরকম হ্যালুসিনেটরি স্টেট ইনডিউস করা সম্ভব। (যোগাভ্যাস বলতে স্পেশাল কিছু এক্সারসাইজ, যা দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করতে হয়)। এটা যদি হয় তাহলেও মেডিক্যাল সায়েন্সে বিরাট বড়ো আবিষ্কার হবে। আর যদি দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা হয় তাহলে তো সায়েন্সের একেবারে নতুন দিক খুলে যাবে।
  • b | 24.139.196.6 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:০০707412
  • ওরে বাবা। ডিসি এর মধ্যে আর যোগাভ্যাস আনবেন না। এরি মধ্যে আমার য়োগা টিচার একটা আসন করাতে করাতে বললেন ইয়ে প্র্যাকটিস করনে সে আপলোগ খারাব স্বপ্ন নেহি দেখেঙ্গে।
  • দ্রি | 11.39.98.34 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:২০707413
  • না, না, এত তাড়াতাড়ি অশেষ ধন্যবাদ দিয়ে ঘটক বিদেয় করে দিলে কি করে হবে? এ তো সবে শুরু।

    অনেক ইনফো। এগুলো এবার একটু আস্তে আস্তে চর্চা হোক।

    হিস্টেরিয়া আসলে কাকে বলা হত? এটা কি বিভিন্ন সিমটমকে এক বাক্সে ফেলে দেওয়ার কেস?

    আপনি স্প্লিট পার্সোনালিটির উল্লেখ করলেন। সিনেমা বাদ দিয়ে, রিয়েল লাইফে স্প্লিট পার্সোনালিটির সিমটম কি কি, কজ কি কি এগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করুন।

    মেসমারের নাম শুনেছি। ওনার নামেই 'মেসমারাইজ' শব্দটা এসেছে। উনি রোগ সারাতে হিপনোসিসের প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিলেন না? শুনেছি উনি মহিলা পেশেন্টদের রোগ সারাতে ক্লাইটোরাল স্টিম্নুলেশানের প্রয়োগও করতেন মাঝেমাঝে, সত্যি মিথ্যে জানি না। উনি ওনার সময়ে খুব পপুলার ছিলেন। অনেকে ওনাকে ভন্ড বলে। আপনার মত কী? উনি কি ওনার মত করে কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলেন, নাকি লোক ঠকিয়ে পয়সা নিতেন? সত্যজিত রায়ের সোনার কেল্লা সিনেমায়, ওনাকে ভন্ড বলা হয়েছে।

    ফ্রয়েডের ডিপার্সোনালাইজেশান হয়েছিল বললেন। ফ্রয়েড জীবনের একটা বড় সময় কোকেন অ্যাডিক্ট ছিলেন। এটা কি একটা কারণ হতে পারে?

    এত বড় লেখার পড়ে জাস্ট কিছু প্রশ্ন মাথায় এল। প্রশ্ন এখনও শেষ হয় নি। আবার পড়ব, এবং হয়ত প্রশ্ন করব। আপনি তাড়াহুড়ো করে কিছু লিখবেন না। সময় কম থাকলে এক দিনে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। আস্তে আস্তে, খেলিয়ে খেলিয়ে লিখুন।
  • দ্রি | 11.39.98.34 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:৩০707414
  • সোসেনের লেখায় সুষুপ্তিটা মনে হয় বুঝলাম। পিনাকীর দেওয়া প্রথম পোস্টে সেই সাধু ইন দা বক্স বোধহয় সুষুপ্তি টেকনিক ইউজ করেছিল।

    কিন্তু তুরীয়? আসলে ব্রহ্ম, অনন্ত, সগুণ, নির্গুণ, বেগুন এসব কিছুই ফীল না করতে পারলে যা হয়। এগুলো আমার কাছে শুধুই শব্দ। (ঐজন্যই বোধহয় বলে শব্দই ব্রহ্ম)। একজন কেউ যে এইরকম স্টেটে পৌঁছেছে, সে যদি বলত তার কেমন লাগছে (ফাইনম্যানের মত সহজবোধ্য ভাষায়) তাহলে বুঝতে সুবিধে হত।
  • দ্রি | 102.222.6.12 | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:৪০707415
  • এন্ডোস্কোপি করতে গিয়ে আকাদার এক্সপিরিয়েন্স আমারও। একটা ইনজেকশান দিল। তারপর আর কিচ্ছু মনে নেই। ব্যথার কোন অনুভুতিও না। পরে অনেক চেষ্টা করেছি মনে করার। কিচ্ছু মনে পড়েনি।

    অভি মাথায় আঘাতের কথা বললেন। স্কুলে মাথায় ক্রিকেট বল লেগে একবার অজ্ঞান হয়ে যাই। ঐ সময়ের আশেপাশের ঘটনা আমার একদম মনে নেই। অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারিনি।

    অ্যাম্‌নেশিয়া খুব অদ্ভুত একটা ব্যাপার।
  • sosen | 176.137.136.127 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৯707416
  • আমার কাছেও ওগুলো শুধু শব্দ ই মাত্র। টুকে দিইছি।
  • Ekak | 53.224.129.41 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৭707417
  • আদ্ধেক অজ্ঞান করে অপারেশন টা বেশ মজারু । গল্প করছি ডাক্তার এর সঙ্গে । কদ্দিনের ছুটি , একটু বেশি নিলে পারতে হাবিজাবি । দুজন পরিচিত ঢুকলো বেরুলো । কোনো যন্ত্রণার ফিলিং নেই কিন্তু আমার্রী সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে কিছু হাত্কাচ্ছে আবার কিছু ছিঁড়ে নিলো কিন্তু সেই চিনচিনে ব্যথা টা নেই । ব্যাপক প্রসেস । পুরোটাই নেট ওয়ার্ক এর ব্যাপার যা মনে হয় । কোনভাবে কানেকশন কেটে দিলে বা ফিল্টার করতে পারলে নির্দিষ্ট অনুভুতি জাগবেই না । হ্যাক ও করা সম্ভব হওয়া উচিত তাহলে ।
  • Ekak | 53.224.129.41 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫৫707418
  • "আসলে ব্রহ্ম, অনন্ত, সগুণ, নির্গুণ, বেগুন এসব কিছুই ফীল না করতে পারলে যা হয়। এগুলো আমার কাছে শুধুই শব্দ। "

    দৃ এর প্রশ্ন আরেকটু বুঝিয়ে বলা যাবে কি ? দুটি সমান্তরাল সরলরেখা অসীম এ মিলিত হয় । এটা "ফীল " করেন কিভাবে ? নাকি কাগজ নিয়ে এঁকে এঁকে দেখেন অসীম এ মিলছে কি না । আমি একবার ও বলছিনা প্রমান এর দরকার নেই । বুঝতে পারছিনা যে ট্যানজিবিলিটি টা কোন লেভেলে এক্সপেক্ট করছেন । এটা এই গোটা টই কেই প্রশ্ন । ট্যানজিবিলিতি ডিফাইন করে দিলে ভালো হয় । ভিজ্যুয়াল -অডিও নাকি লজিকাল ইন্টিগ্রিটি থাকলেই সেটা ট্যান জিবল ঠিক কি ধরে এগোলো হচ্ছে ?
  • avi | 113.24.86.169 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৫৭707419
  • দ্রি, হিস্টেরিয়া একখানা আমব্রেলা টার্ম, ঠিক বলেছেন। ঊনিশ শতকের। বিভিন্ন রকম সিম্পটম নিয়ে রোগী এসেছে, অনেকগুলো-ই শারীরিক সমস্যার মতো, কিন্তু তাদের কোনো অর্গানিক কারণ পাওয়া যাচ্ছে না, এসবের একটা সম্ভাব্য কারণ দেওয়ার জন্য হিস্টেরিয়া কনসেপ্টের বাজারে আগমন। বেশিরভাগ সময়েই দেখা যেত এগুলো হওয়ার সাথে কোনো এক ধরনের স্ট্রেস টেম্পোরালি অ্যাসোসিয়েটেড আছে। মেয়েদের হয়, ইউটেরাস এদিক ওদিক সরে সরে হয় - এগুলো খুব বোকা বোকা ধারণা, কিন্তু এককালে লোকে কিছুটা খেয়েছে। শরদিন্দুর লেখায় বেশ মান্যতা পাওয়া যায়। মেয়েরা সধারণত হিস্টেরিয়ায় বাড়ি মাথায় তোলে, স্নায়বিক প্রকৃতির মহিলা ইত্যাদি ইত্যাদি।
    পরে এই আমব্রেলা টার্মের ভেতর থেকে একগাদা রোগ আলাদা করে বের করা হয়েছে। ডিসোসিয়েটিভ বা কনভার্সন, সোমাটাইজেশন, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজর্ডার, হিস্ট্রিয়নিক এবং বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ইত্যাকার। ICD প্রিসিশন না থাকায় হিস্টেরিয়া টার্মটাকে উড়িয়ে দেয়, আর রোগগুলোকে আলাদা ভাবে আলোচনা করে। এবার এখনো অনেক কর্তাব্যক্তি আছেন, যাঁরা হিস্টেরিয়া শব্দটার পক্ষপাতী, এবং তার স্বপক্ষে বলে থাকেন, কিন্তু সেটা কনসেন্শাস না।
    ফ্রয়েডের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে যথেষ্ট স্কেপ্টিক্যাল। দুটো ব্যাপার। একসময় উনি কোকেন নিতেন, ফ্যাক্ট। যদিও কতটা নিতেন, কতদিন নিয়েছিলেন, ডিপেনডেন্স তৈরি হয়েছিল কিনা জানি না। কোকেন কারণ হতে পারে, পুরোপুরি উড়িয়ে দেব না, কিন্তু জোরালো এভিডেন্স নেই। দ্বিতীয় ব্যাপার হল, ওনার কতটা সাসটেন্ড ডিপার্সোনালাইজেশন হয়েছিল, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। একটু আধটু আউট অব দ্য বডি ফিলিং পুরোপুরি স্বাভাবিক লোকেরও কোনো কোনো সময় আসতেই পারে, খুব একটা আনকমন নয়। মুশকিল হল, ফ্রয়েড ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য যতটা উৎসুক থাকতেন, বিবরণের জন্য তার সিকিমাত্রও না। এনাকে গণেশপুজোর মতো প্রথমে একবার ছুঁয়ে যাওয়া ঠিক আছে, বেশি সিরিয়াসলি না নেওয়াই ভালো।
    আন্তন মেসমার যা করেছিলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে তা নতুন কিছু না, অনেক বাবাজী, সাধু দরবেশ এরকমভাবে তথাকথিত হিস্টেরিক রোগীদের সারিয়ে থাকেন। রোগী সাজেস্টেবল হলে এগুলো জলভাত, সত্যজিৎ রায় বিরিঞ্চিবাবা নিয়ে যে ফিল্ম বানিয়েছিলেন, তার প্রথম দৃশ্যটা মনে করুন। বস্তুত এক্সপেরিমেন্টালি যে কেউ করতে পারেন। প্রবীর ঘোষের বইগুলোতে ভদ্রলোক পাতায় পাতায় এরকম দাবী রাখতেন, মনে পড়লো। সেটা নয়। মেসমার এসবের পাশাপাশি এসবের জন্য নতুন থিওরি আনার চেষ্টা করেছিলেন, অ্যানিম্যাল ম্যাগনেটিজম। ওনার ভক্তকুলকে ম্যগনেটাইজার বলা হত, এঁরা ইউরোপের মেনস্ট্রিম অ্যাকাডেমিয়ার বাইরেই ছিলেন মোটামুটি। ওনারা বলতেন এইসব রোগ, মানে আজকের Amnesia, fugue, somnambulistic states, and alternating or multiple personality সব হল ম্যাগনেটিক রোগ, যা ওনারা আর্টিফিসিয়াল সম্নামবুলিজম বা হিপনোসিস দিয়ে সারিয়ে থাকেন। তখন নিউরোসাইকিয়াট্রি নিয়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি শূণ্য, কিন্তু বাজারে নতুন কনসেপ্ট এসেছে, থার্মোডায়নামিক্স আর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম। তো এই দুটোকে খুব ক্রুডলি এখানে ফিট করনোর চেষ্টা হত। ফ্রয়েডের সাইকিক এনার্জি, ডিফেন্স মেকানিজমের প্রাথমিক ধারণা, যে নাকি এসব সাইকিক এনার্জির রূপান্তরের জন্য হচ্ছে, থার্মোডায়নামিক্সকে ফিট করানোর দুরন্ত প্রয়াস। মেসমার ও তাঁর শিষ্যরা এখানে ম্যাগনেটিজম ঢুকিয়েছিলেন। জিনিসটা পপুলার সায়েন্সে আসে, লোকজন তেড়ে খায়। ভারতে বোধ হয় আরো বেশি খেয়েছিল। আমাদের আর্য ঐতিহ্য ও পরম্পরার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেয়ে অনেকেরই স্বাভিমান বেশ তৃপ্ত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের ঐ "আর্য ও অনার্য" নামে যে হাস্যকৌতুকটা আছে, তাতে এই কনসেপ্টগুলোর ভারতীয় আর্যবীরদের কাছে প্রতিভাত ফর্ম দেখানো হয়েছে খুব সুন্দরভাবে। যাকে বলে ম্যাগনেটিজম, অর্থাৎ কিনা ফোর্স। বঙ্কিমচন্দ্রও শুনেছি মেসমারের ফ্যান ছিলেন সেসময়। ঃ) মেসমারের এটুকুই অবদান। ব্যক্তিগতভাবে ভণ্ড ছিলেন কিনা বলা মুশকিল, থাকতেও পারেন, খুব গোলমেলে টার্ম, এভিডেন্স বেসড কিনা বলতে পারি না। এও ঠিক, ফ্রয়েড নিয়ে যেমন ঘাঁটা হয়, মেসমার নিয়ে অতটা হয় না।
    স্প্লিট পার্সোনালিটি বা মাল্টিপল আইডেন্টিটি নিয়ে পরে লিখছি। এখন বেরোবার সময় হয়ে গেছে।
    আরেকটা কথা। এখন হ্যালুসিনেশন বা ডিলিউশন শব্দগুলো খুব লুজলি ব্যবহার হয়। এটা কিন্তু হওয়ার কথা নয়। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ সিম্পটম, এদের থাকা বা না থাকার সিগনিফিক্যান্স-ও অনেকটাই। হ্যালুসিনেশন হল খুব সোজাভাবে দেখলে, perception with no object। মানে আমি যা দেখছি বা শুনছি বা অন্য কোনোভাবে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুভব করছি, তা আদতে নেই। কিন্তু আমি নিজে ঠিকঠাকই আছি, আমার অস্তিত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমার ঐ পার্সেপশন আমার নিজের কাছে খুব স্পষ্ট, আমার ইচ্ছের ওপর নির্ভরশীল নয়, এবং তা আমার মনের মধ্যের ছবি বা মাথার ভেতরের আওয়াজ নয়, পরিষ্কার বাইরে থেকে আসছে। আর যেখানে অলরেডি কিছু একটা বস্তু আছে, কিন্তু আমি সেটার পরিবর্তে অন্য কিছু দেখছি, ঐ রজ্জুতে সর্পভ্রম আর কি, তাই হল ইলিউশন। এই দুটো-ই পার্সেপশনের সমস্যা, মানে আমার পঞ্চেন্দ্রিয় দিয়ে অনুভবের। চিন্তা বা ধারণার নয়। সমস্যা যদি আমার চিন্তা, ধারণা, বিশ্বাসে থাকে, যা বাস্তবে ভুল হলেও আমার বিশ্বাস দৃঢ় ও অটল, তখন সেটা ডিলিউশনের দিকে যায়। এগুলো নিজেরা যতটা না রোগ, তার চেয়েও বেশি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ, জ্বরের মতো। ঃ)
  • ranjan roy | 24.99.72.47 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৭707420
  • এতসব জ্ঞানীগুণীবিজ্ঞানীদের কটিন কটিন কতার মধ্যে ( কুমুম্যামের শব্দাবলী থেকে ধার নিয়ে) আমার চোখে দেখা অভিজ্ঞতার গল্প। এটা বাংলালাইভে তখন" কাদের মশালে আকাশের ভালে" শিরোনামে বিস্তারিত লিখেছিলাম।
    ছত্তিশগড়ের আদিবাসী গ্রামে ধানকাটার সময় নভেম্বর মাসে বারোদিন ধরে "বারউৎসব" হয়। রাত্তিরে নাচগান বাবার থানের সামনে।
    শেষদিন ভক্তদের মধ্যে বাররাজা, বাররাণী ও ঠাকুরদেবের (গ্রাম্যদেবতা) ভর হয়। তখন বৈগা (পুরোহিত) ওদের শান্ত করে অর্ঘ্য দিয়ে ভোরবেলায় ছাগবলির পর পূজো শেষ করেন।
    বাহ্য লক্ষণটা এইরকমঃ
    হটাৎ একজন চিৎকার করে উঠে মাটিতে ধূলোর মধ্যে মাথা/মুখ ঘষতে লাগল।
    -- তুমি কে?
    --আমি বাররাজা/বাররাণী বা ঠাকুরদেব।
    সবাই কিন্তু পুরুষ, বাররাণীরও ভর হয় পুরুষভক্তের ওপর। সবাই, বিশেষ করে বৈগা ওর মাথায় জলের ছিটে দিয়ে চাপড়ে শান্ত করতে লাগল। একটু পরে ও নেতিয়ে পড়ে নিথর হয়ে গেল। জনতা জয়ধ্বনি করে উঠল। খানিকক্ষণ পরে আরেক্জন, একটু পরে আরেকজন।
    মজা হল একটু পরে একাধিক বাররাজা ও বাররাণী ? তখন ঝগড়া শুরু হল--কে আসল কে নকল? কার ওপরে সত্যি সত্যি ভর হয়েছে, কে অ্যাকটিং মারছে? বৈগা ভুজুং ভাজুং দিয়ে এই সমিস্যের সমাধান করলেন।

    পিনাকীর জন্যেঃ
    আশির দশকে যখন ডাঙ্গে ও তাঁর জামাই বাণী দেশপান্ডে বেদের ও উপনিষদের মধ্যে মার্কসবাদ খুঁজে পেলেন(!) ও সিপিআই তাঁদের (ডাঙ্গে/রোজা ও বাণী দেশপান্ডে) একস্পেল করল তখন ওদের সেন্ট্রাল কমিটির মিটিংএর পর একটি মতাদর্শগত বিতর্কের ভালো ডকুমেন্ট বেরোয়। পিপিএইচ থেকে বই হয়ে। তাতে ভবানী সেন, মোহিত সেন, অধিকারী ও দামোদরণের ভালো প্রবন্ধ ছিল।
    ওতে তন্ত্রের এইসব কুলকুন্ডলিনী জাগ্রত করার এক্সপোজার হিসেবে স্বামী কুবলয়ানন্দের একটি বইয়ের নাম ( দুই সেনের কেউ ) উল্লেখ করেছেন।
    যদি কুবলয়ানন্দ লিখিত বইটির হদিশ পাওয়া যায় তো মন্দ হয় না!
  • S | 108.127.180.11 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪১707422
  • ভাবলাম কোথায় একটু অলৌকিক না লৌকিক টাইপের রোমহর্ষক গপ্প পড়বো তা না এখানেও সেই গ্যানের কপ্চানি। উফ।
  • ranjan roy | 24.99.72.47 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৩707423
  • একক,
    ছত্তিশগড়ের এনটিপিসির হাসপাতালে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর অপারেশনের সময় প্রথমে ভয় পেয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন ডাক্তারের দল ধরে বেঁধে বুঝিয়ে আবার টেবিলে তুললেন। তারপর ওঁরা নানান আশকথা পাশকথা নিয়ে হ্যাজাতে লাগলেন, শুধু ওঁয়াদের হাত শরীরে চলে ফিরে বেড়াচ্ছে। শেষে বিরক্ত হয়ে বল্লুম-- ঢের আড্ডা হল, এবার অপারেশনটা করুন না!
    -- হয়ে তো গেছে, মায় গিঁট বেঁধে দিইছি; এবার দয়া করে নেমে পড়ুন!
  • S | 108.127.180.11 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৫707424
  • এটা কেমন কথা। রন্জনদা এখানে লিখছেন অথচ ভোটের টইতে আপনার পাত্তা নেই কেনে?
  • b | 135.20.82.164 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫৪707425
  • ফুট কেটে যাই। আমর এক বন্ধু, সাহিত্য+সাইকোলজি এসব নিয়ে চর্চা করে, সেই চত্বরে আবার ফ্রয়েডের খুব কদর। ও বলছিলো ভার্জিনিয়া উলফ এর লেখা মিসেস ড্যালওয়ের কথা। সেপ্টিমুস বলে একটা ক্যারেকটার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ফিরে এসে শেল-শকড।
  • ranjan roy | 24.99.72.47 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫৮707426
  • b,
    একদম। মিসেস ড্যালওয়ের সেপ্টিমুস মনে পড়ছে।

    S,
    আমি তো আগেই আমার প্রেডিকশন দিয়ে দিয়েছি এবং বলেছি ১৯মে'র পর কথা বলবো, এখন হ্যাজাবো না।
  • avi | 213.171.241.254 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১০:২৮707427
  • উঁকি দিয়ে যাই।
    S, ঃ) ঃ)
    b, সাহিত্যে তো বটেই, সাইকোলজিতেও ফ্রয়েডের প্রচুর নামডাক। প্রায় সবেরই উনি সমাধান দিয়ে দিতেন তো। ট্রাম্পের কথাই ভাবুন, বা মোদীর। ঃ) শুধু স্যাম্পল সাইজ বা এভিডেন্স রিলায়েবিলিটি নিয়ে নিন্দুকেরা মুখ খোলে। সবই গোলমেলে এমনও না, অনেক কিছুই রিপ্রোডিউস করা গেছে। কিন্তু সেই কাজটা উনি তেমন করেন নি, উনি নিজে ৩-৪ বছর পর পর গুটিকয়েক কেস হিস্ট্রির ওপর বেস করেই নতুন নতুন থিওরি দিয়ে গেছেন। তবে সাহিত্য ও সিনমার স্বার্থে ওনার থিওরি খুবই সুন্দর। সাইকিয়াট্রি, যেখানে মাইন্ডের থেকে ব্রেইনের কদর বেশি, সেখানে ফ্রয়েড নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানো মুশকিল। ঃ)
  • Ekak | 212.62.91.53 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৪১707428
  • সাইকোলজি আদৌ বিজ্ঞান নাকি ? ক্লিনিকাল সায়কায়াত্রী র কথা বলছিনা । এই নিয়ে একটা টই খুলবো ভেবেছিলুম তারপর আর সময় হয়নি । এই ফ্রয়েড ভদ্রলোক কে কেমন একটা জ্যোতিষী গোছের লাগে চিরকাল ।
  • S | 108.127.180.11 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৪৬707429
  • এইতো এইবারে কোস্চেন আসবে বিজ্ঞান মানে কী?
  • Ekak | 212.62.91.53 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৫৮707430
  • সে আসতেই পারে । আমার সামনের তাকে আপাতত ইন্তার্প্রিতেষণ অফ দ্রীম্স আর টোট্যাম এন্ড ট্যাবু উঁকি মারছে । সেকেন্ড টা কাটিয়ে দিন । প্রথম টা নিয়ে কথা হোক । ব্রেইন ম্যাপিং করে কতটা সাপোর্টিং ফ্যাক্ট পাওয়া গেছে ফ্রয়েদিয়ান ইন্তাপ্রিতেসনের ? যেটুকু পাওয়া যাবে সেটুকু অবস্যই বিজ্ঞান । ফ্রয়েড ভুল এরকম দাবিদাওয়া হচ্ছেনা । সাইকোলজি কতটা বিজ্ঞান সেই প্রশ্ন । ওটাও কোনো একটা লোজি নিজের ফ্রেমওয়ার্ক এর মধ্যে । সে থাক না ।
  • b | 135.20.82.164 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১১:০৩707431
  • একক ভুলে গেছেন। এর আগে উনি-ই একটা টই খুলেছিলেন, অবিকল ঐ নামেই। ডিমেনশিয়ার লক্ষণ।
  • dc | 132.174.189.22 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১১:০৮707433
  • "বুঝতে পারছিনা যে ট্যানজিবিলিটি টা কোন লেভেলে এক্সপেক্ট করছেন"

    একক ঠিকই বলেছেন, ট্যানজিবিলিটি মানে ঠিক কি বলতে চাইছেন সেটা আগে ক্লিয়ার করা উচিত। ধরুন আপনি প্রশ্ন করলেন, "দুটো প্যারালেল লাইন মিট করেনা কিকরে জানলেন, এঁকে দেখেছেন? বা ফিল করেছেন?" তাহলে আমি বলবো না, আমি এঁকেও দেখিনি আর ফিলও করিনি। কিন্তু আমি একটা ফ্রেমওয়ার্ক বানিয়েছি, যার নাম "ইউক্লিডিয়ান জিওমেট্রি", যাতে এই স্টেটমেন্টটাকে প্রতিপাদ্য ধরে আরো অনেক "লজিকাল স্টেটমেন্ট" বানাতে পারি। আর এই প্রতিপাদ্য আর "লজিকাল স্টেটমেন্ট" গুলোর ট্যানজিবল এভিডেন্স এটাই যে এগুলো "পিয়ার রিভিউড"। (অবশ্যই নন-ইউক্লিডিয়ান জিওমেট্রি নামেও একটা ফ্রেমওয়ার্ক আছে, কিন্তু সেটাও আবার "পিয়ার রিভিউড")

    এবার "ব্রহ্ম, অনন্ত, সগুণ, নির্গুণ, বেগুন" এগুলো এখনো "পিয়ার রিভিউড" না। ট্যানজিবল এভিডেন্স পাওয়া যায়নি, অর্থাত ইন্ডিপেন্ডেন্টলি ভেরিফায়েবল আর ফলসিফায়েবল এভিডেন্স পাওয়া যায়নি। হতেই পারে যে এগুলো সম্বন্ধে আমরা এখনো কিছু জানিনা। কিন্তু যদ্দিন ঐ "পিয়ার রিভিউড" এভিডেন্স না পওয়া যায় তদ্দিন এগুলো স্কেপটিকালি দেখবো। যেমন ধরুন "এলেসডি নিলে ব্রেন ফাংশান অল্টারড হয়, তার ফলে আউট অফ বডি এক্সপেরিয়েন্স হবার চান্স বাড়ে, অর্থাত যিনি ড্রাগটি নিয়েছেন তার ব্রেন এরকম হ্যালুসিনেট করে" - এই স্টেটমেন্টটার এভিডেন্স হচ্ছে ব্রেন স্ক্যান করে পাওয়া ছবি, যা ইন্ডিপেনডেন্টলি ভেরিফায়েবল আর ফলসিফায়েবল। ""ব্রহ্ম, অনন্ত" এসব নিয়ে এরকম ট্যানজিবল কোন এভিডেনস না পাওয়া পর্যন্ত স্কেপটিকালি দেখবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন