এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ট্রান্স, ভর, তূরীয় অবস্থা, সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন, সমাধি, কুলকুন্ডলিনী জাগ্রত হওয়া ইত্যাদি

    pinaki
    অন্যান্য | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ১১৭৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দ্রি | 89.172.193.32 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৩০707278
  • "পুরোটাই হাত সাফাই আর যন্ত্রের খেল। "

    কিন্তু একটা ভালো ম্যাজিশিয়ানের হাত সাফাই আপনি রিয়েল টাইমে ধরতে পারবেন না। ম্যাজিশিয়ান সাকসেসফুলি হাত সাফাই থেকে আপনাকে ডিসট্র্যাক্ট করে দেবেন। এবং এটা করলে লোকে (স্ট্যাটিস্টিকালি) চমৎকৃত হবে। তখন একটু ভক্তিভাব আসবে। আর ভক্তিভাব এসে গেলে ট্রান্স আসতে বেশী সময় লাগে না।

    এটা স্ট্যাটিস্টিকাল ব্যাপার। হতেই পারে আপনি পার্সোনালি ম্যাজিকে তেমন হিপনোটাইজ্‌ড হন না। কিন্তু ম্যারাদোনার ডজ দেখে হন।

    ম্যাক্সিমাম মানুষই কিছু না কিছু দেখে/শুনে/শুঁকে হিপনোটাইজ্‌ড হয়।
  • ranjan roy | 24.96.45.81 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৩৭707279
  • ডিসি,
    রঞ্জন একদম ঠিক আছে। "বাবু" শব্দে ঘোর আপত্তি। শালা-শালীদের কত করে বলি রঞ্জনদা বল্‌, তা না সেই জামাইবাবু উঃ!

    দ্রি,
    না, না। "খেয়েছে" শব্দটি দর্শন আলোচনার সঙ্গে তন্ত্র মেশানোর কথা বলছি--বিশেষতঃ যেখানে স্কুলগুলোর মূল সূত্রগ্রন্থে এই তান্ত্রিক আচারগুলো তাদের দার্শনিক অবস্থানের অঙ্গাঙ্গী নয়। সেই সন্দর্ভে।
    তান্ত্রিক আচার-বিচারের ইন্ট্রিন্সিক সত্যতা নিয়ে কথা বলার আমি অধিকারী নই।
  • দ্রি | 89.172.193.32 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪০707280
  • "হয়তো আপনার চিন্তা ভাবনাকে প্রভাবিত করলো কিছু ভিশুয়াল বা সাউন্ড দিয়ে।"

    ব্যাস তা হলে তো হয়েই গেল। হিপনোসিস ক্যান্ট বি ফার বিহাইন্ড।
  • S | 108.127.180.11 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪৫707281
  • ভালো ম্যাজিশিয়ানের হাত সাফাই ধরা যায়্না কারণ তার স্পিড। প্র্যাকটিস করে যেটা আসে। ডিসট্র্যাকশন থাকে যাতে লোকে আসল হাতের দিকে বা যেখানে আসল সাফাইটা হচ্ছে সেটার দিকে নজর না যায়। লোককে বলা হয়ে থাকে হিপনোটিজমের কথা যাতে লোকে জানতে না চায় আসল ট্রিকটা কোথায়।

    যদিওবা আমরা বাংলাতে মন্ত্রমুগ্ধ কথাটা ব্যবহার করি কিন্তু মারাদোনার ডজ ইত্যাদি এগুলো হিপনোটিজম নয়। যে ডজ আগে দেখে অবাক হতাম এখন আর হইনা, বা অন্য কেউ হয়না কেন? হিপনোসিসের ফলে যেটা হওয়া উচিত সেটা হলো লস অব কন্ট্রোল। এগুলো কি এক গোত্রীয়। একটা বই পড়তে পড়তে এনগ্রস্ড হয়ে গেলাম তার মানে কি আমি হিপনোটাইজ্ড। মনে তো হয়্না।
  • S | 108.127.180.11 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪৯707282
  • না না, ওটা ভুল বুঝেছেন। মানে ঐ মোস্ট পপুলার ফুল হলো গোলাপ। কেন? কারণ সবজায়গায় তার রেফারেন্স বেশি বলে। তেমনি একটা ম্যাজিক শোতে আপনি বার বার করে একটা জিনিস দেখতে লাগলেন, বা কোনো শব্দ শুনলেন অনেক বার - ফলে আপনার টপ অব দ্য মাইন্ড ঐ ব্যাপার গুলো ফ্রেস থাকলো।
  • দ্রি | 119.163.234.5 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪৯707283
  • বই হিপনোটাইজ করতে পারে। গানও পারে।

    হিপনোসিসের সময় মানুষের ক্রিটিকাল ফ্যাকাল্টিগুলো কাজ করে না। ঐ সময় মানুষ বেশী সাজেস্টিব্‌ল হয়ে পড়ে।
  • দ্রি | 119.163.234.5 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৫৫707284
  • ক্রিস্টাল গেজ করলে হিপনোসিস হয় (অভি বলেছেন)। চোখে ব্রাইট লাইট শাইন করলে হয়। অন্ধকার ঘরে সিইকিডেলিক লাইট থাকলে হয়।

    ফাঁকা রাস্তায় অনেকক্ষণ ড্রাইভ করলেও এক ধরণের হিপনোসিস হয়। হাইওয়ে হিপনোসিস।
  • দ্রি | 119.163.234.5 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:০৪707285
  • আমার তো মনে হয় প্রেমে পড়াও এক ধরণের হিপনোসিস।
  • PM | 116.79.6.253 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:২৫707286
  • হিপ্নোসিস্সের ব্যাপারে আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে ঃ) আর একটা শোনা অভিজ্ঞতা আছে। প্রবীর ঘোষ নাকি এব্যাপরে খুব দক্ষ ঃ)
  • দ্রি | 172.247.73.74 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:২৯707288
  • রিয়েলি?

    আসুন, বসুন। কী খাবেন বলুন। ঃ)
  • dc | 132.174.189.22 | ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:৩৭707289
  • দ্রি ৬ঃ২৫ - এক্কেবারে! :d
  • avi | 113.24.86.104 | ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩০707290
  • হিপনোসিস নিয়ে একটু গপ্পো করা যেতেই পারে। প্রচুর মিথের আধার এক কথায়। এবং নামেই পরিচয় সেই মিথের। কারণ যদিও গ্রীকে hypnos মানে ঘুম, হিপনোসিস কিন্তু কোনোভাবেই ঘুম না। এমনিতেও না, ওমনিতেও না। ক্লিনিক্যালিও না, ইইজির ওয়েভ প্যাটার্নেও না। এটা বেসিক্যালি একটা জটিল সেরিব্রাল প্রসেস, যা এলার্টনেস আর এটেনশন ঘিরে তৈরি হয়। আরেকটা কথা, ক্লিনিসিয়ান বা ম্যাজিশিয়ান আপনাকে তার প্রবল দক্ষতায় হিপনোটাইজ করে ফেললো, বা আপনার ওপর হিপনোটিক ট্রান্স প্রোজেক্ট করলো, এমন না। তার দক্ষতা একটু লাগে, কিন্তু আদতে এটা আপনারই প্রতিভা, আপনি গিফটেড মানুষ, সহজে হিপনোটাইজড হন, ক্লিনিসিয়ান বড়জোর আপনার ক্যাপা বুঝে আপনাকে সেদিকে কিছুটা সাহায্য করে। এবং সেটা কাজে লাগিয়ে রকমারি সমস্যায়, ব্যথা, উদ্বেগ, বদভ্যাস, ডিসোসিয়েটিভ সমস্যা - এসব কমাতে বা কাটাতে সাহায্য করে।
    এসবে পরে আসছি। একটু ঐতিহাসিক ধরতাই দি। পুরনো যুগ থেকেই জনপ্রিয় ধারণা। ওঝা, চিকিৎসক, জাদুকর, ধর্মগুরু। ভারত, চীন, মিশর। এমনকি হিব্রু বাইবেল বা ওল্ড টেস্টামেন্ট। তারপর শেষে এলেন ফ্রাঞ্জ আন্তন মেসমার। আঠারো শতকের শেষে। এনার কথা আগে হয়েছে। ওনার কনসেপ্ট ছিল ম্যাগনেটিজম। রোগীর ম্যাগনেটিক এনার্জি কমে গেছে। ডাক্তার তাকে হিপনোটাইজ করে নিজের ম্যাগনেটিক ফিল্ড কাজে লাগিয়ে রোগীর দেহে এক অদৃশ্য জীবনরস সঞ্চার করবেন। স্বাস্থ্য ফিরে আসবে। ইউরোপে বিদগ্ধ সমাজ মোটের ওপর বুজরুক হিসেবেই ঠাউরেছিল সম্ভবত। তাও ফ্রান্সের রাজা ১৭৮৪ তে একটা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ব্যবস্থা করে, ইন্টারেস্টিংলি যাতে ছিলেন বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, আন্তইন ল্যাভয়শিয়ে এবং জোসেফ গিলোটিন। তো ওনারাও পুরো জিনিসটাকে "উত্তপ্ত কল্পনা" হিসেবেই রিপোর্ট দেন। গুটিকয় শিষ্য ছাড়া মেসমার মূলত চাপাই পড়ে যান। কিন্তু মেডিক্যাল হিপনোসিস শব্দটা থেকে যায়।
    এর পরের ৫০ বছর ইউরোপের রাজনীতি এই চর্চাকে খুব বেশি উৎসাহ দিতে পারে নি মনে হয়। ১৮৪০ এর দশকে মেসমারের পুনরুত্থান ঘটে। জেমস ব্রেইড, ইংল্যান্ডে রিপোর্ট করেন যে তিনি নাকি চোখের ফিক্সেশন ও চোখ বন্ধ করার মাধ্যমে মেসমারিক ট্রান্স তৈরি করতে পারেন। উনি এর নাম দিলেন monoideism।
    প্রসঙ্গত ভারতে এইসময় এক স্কট ডাক্তার, জেমস এসডেইল, অপারেশন টেবিলে মেসমারের মেথড ব্যবহার করে নাকি বেশ সাফল্য পেয়ে যান। তখনো এনেস্থেটিক ভালো আসে নি। এতে নাকি বেশ বিনা যন্ত্রণায় সার্জারি করা যায় বলে তিনি জানান। কিন্তু পণ্ডিতমহলে বিশেষ কল্কে পান নি। বস্তুত ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি ডাঃ জন এলিয়টসন ল্যান্সেটের একজন সম্পাদক ছিলেন। তিনি মেসমেরিজম নিয়ে সমর্থন জানাতে শুরু করায় তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়।
    কিছুটা চাকা ঘোরে ১৮৮০র পর। ফ্রান্সে ফাদার অব নিউরোলজি বলা হত জঁ মতেন শার্কো-কে। শার্কো জানান হিপনোটিক অবস্থা আসলে একটা স্নায়বিক ঘটনা এবং মানসিক অসুস্থতার একটা লক্ষ্মণ। পিয়ের জ্যানেট তাঁকে সাপোর্ট করেন। জিনিসটা অনেকটা হাওয়া পায়। ভারতের মতো দেশগুলোতেও এ নিয়ে কিছু নাচানাচি হয়। এইসময় ফ্রয়েড ভিয়েনায় যতটা সম্মান চাইছিলেন, ততটা না পাওয়ায় প্যারী এসেছেন। তিনি শার্কোর সাথে হিপনোসিস নিয়ে নাড়াচাড়া করলেন। নিন্দুকে বলে তিনি নাকি একজন রোগীকেই স্টাডি করেন, যাঁর নাম জোসেফ ব্রয়ার। ফ্রয়েডের বুকের পাটা ছিল। এ থেকেই তিনি বলেন হিপনোসিসের মাধ্যমে রোগী তার পুরনো ট্রমার অভিজ্ঞতা আনে, উনি তার নাম দেন abreaction। তবে কিছুদিন পর তিনি হিপনোসিস বাতিল করেন, হিপনোটিক ট্রান্সের সময় নাকি রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে ইমোশনাল সম্পর্ক বা ট্রান্সফারেন্স তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা বর্জনীয়। এই ব্যাপারে ফ্রয়েডের এসোসিয়েশন টেকনিক নিরাপদ।
    ফ্রয়েড হাত ছেড়ে দেওয়ায় বিংশ শতকের শুরুতেই হিপনোসিসের বাজার দর অনেকটাই পড়ে যায়। প্রথম মহাযুদ্ধের শেল শকড সেনাদের নিয়ে আর্নস্ট সিমেল কিছু কাজ করলেও এর আসল গুরুত্ব বোঝা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। ওইসময় ব্যথা, ক্লান্তি, নিউরোসিস সামলাতে ভালো কাজ করে হিপনোসিস। এর মাঝে স্পিগেল আর ওয়াটকিন্স ভালো থিওরি এনেছেন, ইভান পাভলভ বায়োলজিক্যাল দিকটা বোঝার চেষ্টা করেছেন, হাল, ওয়াইৎসেনহফার, হিলগার্ড তাত্ত্বিক ও প্র‍্যাকটিকাল দিকটাকে আরো বাড়িয়েছেন। শেষটায় ১৯৫৫তে বৃটিশ মেডিক্যাল সোসাইটি আর ১৯৫৮য় আমেরিকান মেডিক্যাল ও সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন নিরাপদ আর কাজের চিকিৎসাপদ্ধতি হিসেবে একে স্বীকৃতি দেয়।
    এবং একটু সিরিয়াস কাজকর্ম শুরু হয়। হিলগার্ড আর ওয়াইৎসেনহফার তৈরি করেন স্ট্যানফোর্ড হিপনোটিক সাসেপটিবিলিটি স্কেল। ওনারা দেখেন মোটের ওপর ৮-১০% জনতা আছে, যারা হাইলি হিপনোটাইজেবল। ৮৪-৮৮% মডারেট আর ৪-৬% লো। ওই হাই এবং কিছু মডারেট লোকের মধ্যেই সেই বৈশিষ্ট্যাবলী আছে যাতে তারা খুব সহজে হিপনোটাইজড হতে পারে, এবং তাদের ক্ষেত্রেই হিপনোসিস খুব কার্যকরী চিকিৎসাপদ্ধতি হতে পারে কিছু কিছু রোগের জন্য। ওনারা আরো দেখলেন যে এই বৈশিষ্ট্যগুলোও স্ট্যাটিক না, বয়সের সাথে একটু আধটু পাল্টায়। সাধারণত ৯-১২ বছর বয়সের জনতা যারা বেশি কল্পনাপ্রবণ, ফ্যান্টাসিতে থাকে, এবং যাদের কনক্রিট অপারেশনাল থিঙ্কিং তৈরি হচ্ছে, তারা বেস্ট ক্যান্ডিডেট। মজার ব্যাপার, সাময়িকভাবে এলেসডি বা এমডিএমএ জাতীয় ড্রাগ বা সেনসরি ডিপ্রাইভেশন কিছুক্ষণের জন্য এই হিপনোটাইজেবিলিটি বাড়িয়ে দিতে পারে, যদিও সেটা বেশিক্ষণ টেকে না। আর হ্যাঁ, কোন ধরনের লোক সহজে হিপনোটাইজড হবে আন্দাজ করার কোনো নিখুঁত রুল অব থাম্ব নেই, মোটামুটি মনোসংযোগদক্ষতা, একাগ্রতা, কল্পনাপ্রবণ ও অনুভূতিপ্রবণ মানুষের সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমার সামনের লোকটি হাই হিপনোটাইজার কি না, তা বোঝার স্কেল থাকে, এবং সাধারণত তা বোঝার পর হাই জনতাদেরই হিপনোসিস অফার করা হয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
    কিভাবে, বা কোন কোন ফ্যাক্টর হিপনোসিসে মূল ভূমিকা নেয়, তা নিয়ে বিতর্ক আছে যদিও। কারো দাবী থেরাপিস্ট যে সাজেশন দিচ্ছেন তাই নির্ণায়ক, কেউ বলেন রোগীর সামাজিক নির্মাণ।
    একইরকমভাবে হিপনোসিসের সময় আমাদের কী কী পরিবর্তন হয়, তা নিয়েও মতভেদ আছে। হিলগার্ড ছ'টা মূল এলাকা দেখিয়েছেন। এক, সাজেশন অনুসারে কিছু মোটর রেসপন্স বেশি বেশি হবে, কিছু একদম হবে না। এর মধ্যে চোখ খোলা বন্ধ, হাত পা নাড়া, স্ট্যাচু হয়ে যাওয়া, কথা বলা ইত্যাদি। দুই, ইমেজারি, অর্থাৎ নিজের মনের মধ্যে কিছু দেখা, শোনা, অনুভব করা। তিন, স্মৃতি। সাধারণত তাৎক্ষণিক তথ্য মনে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যায়, কিন্তু পার্সনাল বা লজিক্যাল ক্ষেত্রে কমে যায়। চার, বেদনাবোধ চলে যাওয়া এবং হ্যালুসিনেশন। পাঁচ, সাময়িকভাবে ভাষা, মানুষ চেনা এইসব কাজেও গোলমাল। ছয়, হিপনোসিসের পরেও কিছুক্ষণের জন্য বিস্মৃতি আর একটু উল্টোপাল্টা ব্যবহার। সাধারণত জ্ঞান চলে যাওয়া পুরোপুরি হয় না, যেটা হয়, সবদিকে মন না দিয়ে শুধুমাত্র থেরাপিস্ট ও তার সাজেশনের প্রতি সূচীভেদ্য মনোনিবেশ।
    ওই মনোযোগ বা এটেনশনটাই মূল জায়গা। বস্তুত ওখান থেকেই সব। সেজন্য দেখুন তারাই ভালো হিপনোটাইজড হয়, যারা দারুণ মনোযোগী। সব কিছুর মাঝেও কোনো একটাতে ফোকাস করার প্রভূত ক্ষমতা রাখে। মনোযোগের অন্তত তিনটে জায়গায় প্রভাব ফেলে। প্রথমত, এলার্টনেস। শুধুমাত্র একটা দিকে, বাকি দিকে নয়। দ্বিতীয়ত, ওরিয়েন্টেশন। আর তৃতীয়ত, হাইয়ার কর্টেক্সের কন্ট্রোল। ভালো কথা, পণ্ডিতেরা বলছেন এই এটেনশনাল শিফটের ম্যাগনিচিউডটা নাকি বড্ডো বেশি, প্রচণ্ড ল্যাদ খেতে খেতে বা বইজাতীয় কিছুতে বুঁদ হয়ে গেলেও আসার কথা না, অন্তত আমার আপনার মতো লো হিপনোটাইজারদের ক্ষেত্রে। :)
    এই যে হিপনোটিক ট্রান্স, এইসময় লোকজন যেন নিজের ইচ্ছে নিরপেক্ষভাবে অনেক কিছু করে যায়, তার নিজের ক্রিটিক্যাল জাজমেন্ট যেন সাময়িকভাবে থেমে যায়, যেন নিজের থেকে বেরিয়ে নিজেকে দেখছে, অর্থাৎ একটা ডিপার্সনালাইজেশন বা ডিসোসিয়েটিভ অবস্থা হয়, অনেকে ক্যাটালেপ্সি দেখিয়ে ভজগৌরাঙ্গ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে, কিছু ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়া, আবার কিছু ক্ষেত্রে নষ্টস্মৃতি পুনরুদ্ধার দুইই হতে পারে, সাজেশন দিলে অনেকসময় তার মানসিক বয়স যেন পিছনে হাঁটতে থাকে, রেয়ারলি সামনের দিকেও, সময়ের বোধ ঘেঁটে যেতে পারে, এমনকি কখনো কখনো স্বপ্নও এসে যায় বলে দাবী করা হয়।
    এতকিছুর নিউরোবায়োলজিক্যাল এভিডেন্স যে নেই, তা তো বুঝতেই পারছেন। বস্তুত, ট্রান্সের সময় যেটুকু পরিবর্তন হচ্ছে, সেটা ওইসব সাজেশনের জন্যই হচ্ছে কি না সেটাই তো বোঝা চাপ। ইইজি করে বিশাল কিছু মেলে নি। মাথার পিছনদিকে থিটা ওয়েভ বেশি আসে যেটা রিল্যাক্সড থাকলে হয়েই থাকে। আর দেখা গেছে লো হিপনোটাইজারদের চেয়ে হাই-দের মাথার সামনের দিকে থিটা ওয়েভ বেশি মেলে, যেটা তাদের কল্পনাপ্রবণতা আর বেশি মনোসংযোগদক্ষতার পরিচায়ক।
    হাই আর লো-র মধ্যেকার কিছু তফাৎ নিউরোইমেজিং করেও পাওয়া গেছে। PET আর fMRI মতে হাইদের এক্সিকিউটিভ কন্ট্রোল সিস্টেম আর এটেনশন নেটওয়ার্ক বেটার।
    আমির রাজ হিপনোটিক ট্রান্সের মাঝে কিছু পরিবর্তন দেখেছেন। স্পেশালি সাজেশন দিলে সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে সিঙ্গুলেট কর্টেক্সের সামনের দিকে, যেটা এটেনশন আর মোটর কো-অর্ডিনেশন এবং পার্সেপশনের একটা বড় ঘাঁটি। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে ডানদিকের অরবাইটোফ্রন্টাল কর্টেক্সের বেশি কাজ, প্রাইমারি মোটর কর্টেক্স আর প্যারাইটাল লোবের কম কাজ, ভিস্যুয়াল হ্যালুসিনেশন দেখার সময় ফিউসিফর্ম আর লিঙ্গুয়াল কর্টেক্স উত্তেজিত হলে তবেই উল্টোপাল্টা রঙ দেখা এসবও আছে। বলা হয়, এগুলো হল টপ ডাউন ফান্ডা। সবার ওপরে সচেতন কর্টেক্স ব্রেনের সব জায়গাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, যদিও বাস্তবে কাজের সময় কিছু জায়গাকে ফ্রিহ্যান্ড দেয়। এবার সাজেশন পেলে যারা হাই হিপনোটাইজার, তাদের ব্যতিক্রমী এটেনশনাল ফিল্টারিং নেটওয়ার্ক আর সেনসরি-পার্সেপচুয়াল গেটিং কর্টেক্সের রাজত্বে একটা সাময়িক ক্যুদেতা ঘটিয়ে দেয়। এটা হাইপোথিসিস। ব্রেন ইমেজিং আরো উন্নত না হওয়া অব্দি অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
  • S | 108.127.180.11 | ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১১707291
  • এখানে একটা ছোট্ট টিপ্পনিঃ মাইন্ড কন্ট্রোল আর থট কন্ট্রোল এক ব্যাপার নয়।
  • de | 24.97.128.175 | ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ১২:২৩707292
  • ভালো আলোচনা চলছে - এতোদিনে পুরো পড়ে উঠলাম।

    হিপনোটিজম বা প্ল্যানচেট এগুলোর কোনটাই দেখিনি কখনো। পুরোটাই ধোঁয়া ধোঁয়া ব্যাপার!
  • দ্রি | 96.104.15.15 | ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৫৪707293
  • "মাথার পিছনদিকে থিটা ওয়েভ বেশি আসে যেটা রিল্যাক্সড থাকলে হয়েই থাকে। আর দেখা গেছে লো হিপনোটাইজারদের চেয়ে হাই-দের মাথার সামনের দিকে থিটা ওয়েভ বেশি মেলে, যেটা তাদের কল্পনাপ্রবণতা আর বেশি মনোসংযোগদক্ষতার পরিচায়ক।"

    রিল্যাক্সড থাকলে বেশী থিটা ওয়েভ মেকস সেন্স। কল্পনাপ্রবণ হলেও বেশী থিটা ওয়েভ ঠিক আছে। কিন্তু মনোসংযোগের সময় বেশী থিটা কি ঠিক হল? বেশী বিটা বেরোনো উচিৎ না?

    যাই হোক ব্রেন ওয়েভগুলো নিয়ে একটা কথা হোক। গামা ওয়েভ (৪০ - ১০০ হার্জ), বিটা ওয়েভ (১২ - ৪০ হার্জ), আলফা ওয়েভ (৮ - ১২ হার্জ), থিটা ওয়েভ (৪ - ৮ হার্জ), ডেলটা ওয়েভ (০ - ৪ হার্জ) রাফলি। মনের কি রকম অবস্থায় কি ধরণের ওয়েভ বেরোয়?

    ১) যখন কনসান্ট্রেট করি।
    ২) যখন রিল্যাক্স করি।
    ৩) যখন ভয় পাই।
    ৪) যখন বিরক্ত হই।
    ৫) যখন টেন্সড হই (পরীক্ষার আগে)।
    ৬) যখন টিভিতে দেখি কোহলিকে ছয় মারতে
    ৭) যখন টিভিতে দেখি কোহলিকে আউট হয়ে যেতে
    ৮) যখন শক্‌ড হই (টিভিতে দেখি ব্রেকিং নিউজ, টুইন টাওয়ারে প্লেন এসে ধাক্কা মেরেছে)
    ৯) যখন গান শুনে খুব ভালো লাগে
    ৮) যখন পার্ফিউমের গন্ধ নাকে আসে
    ৯) যখন হিসুর গন্ধ নাকে আসে
    ১০) যখন অবাক হই
    ১১) যখন বিস্মিত হই
    ১২) যখন খুব রেগে যাই
    ১৩) যখন প্রিয় খাবার চোখের সামনে দেখি
    ১৪) যখন প্রিয় মানুষকে চোখের সামনে দেখি
    ১৫) যখন খেয়ে তৃপ্ত হই
    ১৬) যখন সেক্সুয়ালি অ্যারাইজ্‌ড হই
    ১৭) যখন অরগ্যাজ্‌ম হয়
    ১৮) যখন ডিপ্রেস্‌ড হই
    ১৯) যখ্ন খুব দুঃখ পাই
    ২০) যখন আনন্দে নৃত্য করি
    ২১) যখন শুনি তৃণমূল জিতে গেছে (এটার মিনিমাম দুটো উত্তর এক্সপেক্ট করছি)

    বিহেভিয়ারের স্ট্যাটিস্টিকাল বর্ণনা, অফ কোর্স।
  • দ্রি | 181.25.193.131 | ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:১১707294
  • "রোগী আপনার কাছে এসেছেন, দুদিন ধরে হাঁটতে পারছেন না, বা সারা গায়ে অসহ্য ব্যথা, আপনি তাকে সাজেশন দিলেন, দিব্যি উঠে দাঁড়িয়ে বাড়ি চলে গেলেন, দেখাই যায়। এবং এই সব ক্ষেত্রে রোগীর বাড়ির লোকজন যে পরিমাণে অভিভূত হয়, দেখে বোঝা যায়, ধর্মগুরুরা কোন জায়গাটা এনক্যাশ করতে পারেন। "

    এটা তো এক ধরণের হিপনোটিক সাজেশান, তাই তো?

    "একইরকমভাবে হিপনোসিসের সময় আমাদের কী কী পরিবর্তন হয়, তা নিয়েও মতভেদ আছে। হিলগার্ড ছ'টা মূল এলাকা দেখিয়েছেন। ... চার, বেদনাবোধ চলে যাওয়া এবং হ্যালুসিনেশন। "

    আপনার ট্রিটমেন্টে এই চার নম্বরটা অ্যাপ্লাই হয়েছে, তাই না? এখন কথা হল, এই বেদনাবোধ চলে যাওয়াটা কি হিপনোসিস কেটে যাওয়ার পরও পারসিস্ট করে? কত সময় লাগে ঘোর কাটতে?
  • দ্রি | 181.25.193.131 | ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:১৫707295
  • "প্রথমত, এলার্টনেস। শুধুমাত্র একটা দিকে, বাকি দিকে নয়। দ্বিতীয়ত, ওরিয়েন্টেশন। আর তৃতীয়ত, হাইয়ার কর্টেক্সের কন্ট্রোল। ভালো কথা, পণ্ডিতেরা বলছেন এই এটেনশনাল শিফটের ম্যাগনিচিউডটা নাকি বড্ডো বেশি, প্রচণ্ড ল্যাদ খেতে খেতে বা বইজাতীয় কিছুতে বুঁদ হয়ে গেলেও আসার কথা না, অন্তত আমার আপনার মতো লো হিপনোটাইজারদের ক্ষেত্রে। ঃ)"

    অ্যালার্টনেসটা বুঝলাম। ওরিয়েন্টেশান আর হাইয়ার কর্টেক্স কন্ট্রোল, এদুটো কী?

    অ্যাটেনশান শিফটের ম্যাগনিটিউড, এটাই বা কী?
  • pi | 127.194.7.245 | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৫০707296
  • অভি, লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ, পড়ছি। খুব ইন্টারেস্টিং। পরে প্রশ্ন করব ঃ)
  • দ্রি | 11.39.85.28 | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৩707297
  • "আমার সামনের লোকটি হাই হিপনোটাইজার কি না, তা বোঝার স্কেল থাকে, এবং সাধারণত তা বোঝার পর হাই জনতাদেরই হিপনোসিস অফার করা হয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে।"

    এটা কিভাবে মাপে? কোন যন্ত্র আছে?
  • dd | 116.51.24.94 | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৯707299
  • দ্রি সাহেব আর অভির যুগলবন্দী ফাটাফাটি লাগছে। আমি যাকে বলে অভিভুতো।
  • ranjan roy | 24.99.113.195 | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৫৬707300
  • শামন , যোগী, ধর্মগুরুদের বাই সাজেশন বিভিন্ন জটিল রোগ সারানো, ব্যথা যন্ত্রণা ও হিস্টিরিয়া গোছের) --ইত্যাদি নিয়ে সুধীর কক্কড় (ও সম্ভবতঃ আশীষ নন্দীর) ভালো লেখাপত্তর আছে। কক্কড়ের কিছু কেস স্টাডি ও এম্পিরিক্যাল ডেটা নিয়ে বিশ্লেষণ আছে-- কেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথির চেয়ে শাম্ন/ হিপ্নোসিস/ধর্মগুরুদের জল ছেটানো বেশি কাজ করে--সে নিয়ে।
    দু'দশক আগে পড়েছিলাম, বিশেষ কিছুই মনে নেই। কারো যদি পড়া থাকে ও এখানে আলোচনা করেন তো ভালো হয়।
  • S | 108.127.180.11 | ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:০৭707301
  • অভি-ভুতো?
  • kd | 212.142.93.86 | ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ২১:৪৮707302
  • দু'টো ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতাঃ

    ১) সত্তর দশকে একবার আপিসে একটা "এন্টারটেনমেন্ট শো"তে একজন "সাইকিক" পারফর্ম করতে এসেছিলেন। নানান "খেল" দেখিয়ে হঠাৎ আমার পাশের লোকটিকে (রোলিং মিল অপারেটার) পকেট থেকে একটা দশ বা কুড়ি টাকার বিল বার করে তার নম্বরগুলো মনে মনে পড়তে বললেন। সাইকিক ভদ্রলোক স্টেজ থেকে নম্বরগুলো বলে দিলেন। তারপর বললেন, আপনার পাশের লোকটির সঙ্গে আমি বেটার কম্যুনিকেট করছি। আর আমায় জিগ্যেস করলেন আমার সোশাল সিকিউরিটি নম্বর মনে করতে। তারপরই, আরে? আপনি দু'টো নম্বর ভাবলেন, ওঃ দ্বিতীয়টি আপনার স্ত্রীর? উনি কিন্তু এখনও পুরো নম্বরটা মনে করতে পারেননি। দু'টো নম্বরই বলে দিলেন।
    এরপর ওনার ক্ষমতাকে অবিশ্বাস করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

    ২) লিখছি।
  • kd | 212.142.93.86 | ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:১৩707303
  • ২) আশির দশকের গোড়ার দিকে একবার সপরিবার গিয়েছিলুম কিউইটুতে আটদিনের ট্রিপে। বিনোদনের নানান ব্যবস্থা ছিলো। তার মধ্যে একটি হিপনোটিস্টের শোও দেখেছিলুম। উনি বলেছিলেন, মানুষকে হিপনোটাইজ করে অনেক কিছু করানো গেলেও তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করানো যায় না। এবং দর্শকদের মধ্যে অনেককে (এদের মধ্যে তিন-চারজন হলিউড সেলিব্রিটিও ছিলেন) দিয়ে তা প্রমাণ করেও দিলেন। শেষে আর একটা মজার কথা বললেন। কাউকে হিপ্নোটাইজ করার পর যতক্ষণ না স্পেল তুলে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ ওর এফেক্ট থাকবে। আমি আপনাদের কয়েকজনের ওপর স্পেল তুলি নি - কাল বিকেলে তুলবো। হল থেকে বেরুনোর সময় হঠাৎ তিনজন তিনদিক থেকে চেঁচিয়ে উঠলো, "ওনলি দ্য শ্যাডো নোজ"। পরের দিন নানান জায়গা থেকে মাঝেমাঝেই শোনা গেলো ওদের এই চিৎকার। শুনেছি প্রতিবারই ওরা নিজেরাই চমকে যাচ্ছিলো। হিপ্নোটিস্ট কয়েকজনকে ট্রিগার ফ্রেজ "মেরি ক্রিশমাস" শিখিয়ে দিয়েছিলেন।
  • sosen | 177.96.59.145 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০০:১২707304
  • যতো ভালো ভালো জিনিস সব হয় জন্মাবার আগে নয়তো জন্মাবার একটু পরেই ঘটে গেছে। আমাদের কপালে একটা ছোটো মতো ভূতও নেই।
  • S | 108.127.180.11 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০০:১৯707305
  • সবার সামনে সোশাল বলে দিলো? ফেডারাল ক্রাইম।
  • kd | 212.142.93.86 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪৬707306
  • এ'সব নতুন নিয়ম, আমাদের সময়ে ছিলো না। আমার ড্রাইভার লাইসেন্স নম্বরই তো এসেস নম্বর ছিলো, নব্বই দশক অবধি ওটাই রেখে দেওয়া অ্যালাউড ছিলো (২০০৫এ রিনিউ করার সময় জোর করে পাল্টে দিলো)।
  • aranya | 154.160.226.95 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৫৩707307
  • নয়ন-এর কথা মনে পড়ল, ফেলুদা-র গপ্পো
  • aranya | 154.160.226.95 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৫৬707308
  • দুটো অভিজ্ঞতাই ভাল। ব্যাখ্যা কী?
  • aranya | 154.160.226.95 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৫৭707310
  • * ব্যাখা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন