এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ট্রান্স, ভর, তূরীয় অবস্থা, সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন, সমাধি, কুলকুন্ডলিনী জাগ্রত হওয়া ইত্যাদি

    pinaki
    অন্যান্য | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ১১৭৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 183.21.199.39 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০৯707311
  • টেরেসা কাপুতো- টিএলসি খ্যাত মিডিয়াম। গেল হপ্তায় আমাদের পাড়ার সবচে বড় অডিটোরিয়ামে এসেছিলেন। বড় মানে ,এখানে ঐ ঈগলস, জাস্টিন বিবার জাতীয় শো হয়-বুঝতেই পারছেন কত বড়।সেখানে টিকিটের জন্যে হাহাকার। আমার বন্ধু জেসিকা টিকিট কেটে তার অলৌকিক বানী শুনে এসেছে।টেরেসা বানীদান শেষে ঘুরে ঘুরে কিছুলোকের সঙ্গে কথা বলে সমবেত কান্না,হাসি র সভা বসিয়ে ছিলেন। গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে সেইসব দেখা গেছে। যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে,জেসিকা তাদের মধ্যে পড়েনি। 'মাত্র' ৭০ টাকার টিকিটে ও অনেকটা দূরে বসেছিলো, কাপুতো ১৫০ টাকার টিকিটের রো র বেশি এগোতে পারেন নি। জেসিকার একবাক্স টিস্যুপেপার অক্ষত বাড়িতে ফেরত এসেছে ও বেশ দুঃখ করছিলো।
  • | 183.21.199.39 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩০707312
  • দ্বিতীয় গল্প টি আরেক পরিচিতার । শহর থেকে একটু দূরে ছোট পাহাড়ের মাথায় প্রত্যেক বছর (প্রায় একশো বছর ধরে) একদল সাইকিক কদিনের জন্যে জড়ো হয়।এই ভদ্রমহিলা, হেদার, গোঁড়া ক্যাথলিক পরিবারে বড় হয়েছেন। মা চিরকাল শিখিয়েছেন, বন্ধ 'দরজা' কখনো ই খুলতে যেও না। মার কথা শোনেন নি, এক বন্ধুর সঙ্গে ঐ পাহাড়ে চলে গেছেন। তখন ওনার বয়েস বছর চব্বিশ। বাড়িতে কাউকে তো বলেনই নি, আবার পকেটে করে ঠাকুমার বিয়ের আংটি খানাও সঙ্গে নিয়ে গেছেন। লোকে নাম লিখিয়েছে, উনিও লিখিয়েছেন। ওর সঙ্গের বন্ধুর আগে ডাক পড়েছে। সে নাকি আধঘন্টা পরে চোখ জবাফুলের মত লাল করে বেরিয়েছে। সব গোপন কথা সাইকিক বলে দিয়েছে। ঐ দলেরই এক ভদ্রমহিলা সবাই কে একটা হলওয়ে দিয়ে নিয়ে সাইকিকের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। তিনি হেদার কে নিয়ে যেতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন, আর জানতে চান, সঙ্গের ঐ ভদ্রমহিলা কে? পাঁচফুট এক ইঞ্চি লম্বা, মাথায় উঁচু করে খোঁপা বাঁধা, খুব রোগা এক ভদ্রমহিলাকে উনি হেদারের পেছনে দেখতে পাচ্ছেন।হেদার জানান,যে উনি ওর ঠাকুমা( হেদার প্রায় ছফুট লম্বা)। সাইকিকের সঙ্গে সেই মোলাকাতের পর হেদার মার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। সুপার/আন ন্যাচরাল কে উনি তাদের মত থাকতে দেন। বন্ধ দরজা খুলে দেখেন না!
  • aosen | 177.96.107.218 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৯707313
  • দেকেচো, সবাই দেখতে পায়, আমি ছাড়া। দেখতে পেলে অ্যাট লিস্ট ওপারে গিয়ে একটু শান্তি পাবো কিনা বোঝা যেত।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৮707314
  • ভীষণ ভুত, চারিদিকে ভুত। অহন্যহন্যানি ভূতানি ---
  • Tim | 140.126.225.237 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:০২707315
  • আওসেন টা কে? সোসেনের অল্টার ইগো?
  • Atoz | 161.141.84.108 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪১707316
  • ওর সুপার-ইগো ও হতে পারে। ঃ-)
    এ একেবারে রামপ্রসাদের কেস হলো, "দেখিতে পাই না ও রাঙা চরণ/ বৃথাই গেল এ ছার জীবন" বলে গান গাইতে গাইতে দ্যাখে ফট করে সেই "তিনি" এসে কখন পোস্ট করে হাওয়া। ঃ-)
  • S | 108.127.180.11 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৩৩707317
  • বাহ। এইতো টইটা এতক্ষুনে আমার পাতা লাইনে এসেছে। হ্যাঁ এমন রোমহর্ষক আরো কিছু ইয়ে দিন তো।
  • Ekak | 212.62.91.53 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৪৫707318
  • "নৈপাল " টই তে লিখেছিলুম , প্রদীপ জি র কথা । মটিভেটর , কোচ ইত্যাদি । এনেল্পী (নিউরো লিন্গুইস্তিক প্রোগ্রামিং ) স্পেশালিস্ট হিসেবে মোটামুটি নাম আছে অনার ফীল্ড এ । তা ওনার একটা মিট এ হিপ্নটিস্ম দেখিয়েছিলেন । একবারেই সামনেই একজন এর হাতে সুচ ফোটালেন সে চেন্চালো না । এরকম আরও কয়েকটা সেসন । সাজানো নয় বুঝতে পারছি কারণ লোকজন সবাই চেনা । কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য ও নয় । আমি ভলান্টিয়ার করতে চাইলুম । হেসে কাটিয়ে দিলেন । আরেক জন সিনিয়র কেও । বেছে বেছে লোক বুঝে নিচ্ছেন এটা ক্লিয়ারলি বুঝতে পারা যায় ।
  • pi | 174.100.1.222 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৫৪707319
  • কিন্তু
  • দ্রি | 87.247.181.163 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:৪৯707321
  • অভি, ড্রাগ আর হিপনোসিসের কানেকশান নিয়ে লিখতেও ভুলবেন না, ড্রাগের নাম ধরে ধরে।
  • দ্রি | 95.93.218.204 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১৯:০৬707322
  • "সাজানো নয় বুঝতে পারছি কারণ লোকজন সবাই চেনা । কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য ও নয় । আমি ভলান্টিয়ার করতে চাইলুম । হেসে কাটিয়ে দিলেন । আরেক জন সিনিয়র কেও । বেছে বেছে লোক বুঝে নিচ্ছেন এটা ক্লিয়ারলি বুঝতে পারা যায় ।"

    বেছে বেছে নিলেও, যাকে নিয়েছেন তাকে যদি সত্যি ছুঁচটা জোরে ফুটিয়ে থাকেন এবং সে না চেঁচায়, ইট ইজ সামথিং। সবাই হিপনোসিসে সমানভাবে অ্যাফেক্টেড হয় না। অভিবাবু একটা স্ট্যাট দিয়েছিলেন না? রাফলি প্রতি কুড়ি জন মানুষে একজন পাওয়া যাবে যাকে হিপনোটাইজ করা খুউব শক্ত, দুজন পাওয়া যাবে যাদের হিপনোটাইজ করা খুউব সোজা, আর বাকি সতেরো জন মাঝামাঝি। মাঝামাঝিতে যারা রয়েছে তারা কেউ এটাতে হিপনোটাইজ্‌ড হয় তো ওটাতে হয় না, কেউ আবার ওটাতে হয়, এটাতে হয় না, এরকম।

    কিন্তু প্রসিডিওরটা যদি সৎ হয়, তাহলে এটা একটা এম্পিরিকাল ফ্যাক্ট যে কেউ কেউ এতটাই হিপনোটাইজ্‌ড হয়ে পড়ে যে সে ব্যথা অনুভব করে না। ব্যথা অনুভব না করা যে হিপনোসিসের একটা সিমটম এটা অভি বলেছিলেন।

    আরেকটা রহস্য হল হিপনোটিস্টরা মুখ দেখে কিকরে চিনে নেন কে বেশী প্রোন টু হিপনোসিস। অভিবাবুরা তো কিসব টেস্ট করান বললেন।

    তবে ঐ একটা প্রশ্ন আবার করব। আপনি কি শিওর ছুঁচটা যথেষ্ট জোরে ফোটানো হয়েছিল?
  • দ্রি | 72.210.129.246 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১৯:৫০707324
  • কেডিদা, আপনি হিপনোসিসের অভিজ্ঞতাটা আরেকটু ডিটেলে লিখুন। আপনাকে তুলেছিল? যাদের তুলেছিল তাদের কী করেছিল? যারা ঐ চেঁচিয়ে উঠেছিল তারা কি 'নিজেদের লোক' হতে পারে?
  • sinfaut | 127.195.37.45 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১৯:৫০707323
  • একটা গল্পই ছেপে দিই। বিখ্যাত গল্প।

    "It’s to the other man, to Borges, that things happen. I walk along the streets of Buenos Aires, stopping now and then—
    perhaps out of habit—to look at the arch of an old entrance- way or a grillwork gate; of Borges I get news through the mail and glimpse his name among a committee of professors or in a dictionary of biography. I have a taste for hourglasses, maps, eighteenth-century typography, the roots of
    words, the smell of coffee, and Stevenson’s prose; the other man shares these likes, but in a showy way that turns them into stagy mannerisms. It would be an exaggeration to say that we are on bad terms; I live, I let myself live, so that Borges can weave his tales and poems, and those tales and
    poems are my justification. It is not hard for me to admit that he has managed to write a few worthwhile pages, but
    these pages cannot save me, perhaps because what is good no longer belongs to anyone—not even the other man—but
    rather to speech or tradition. In any case, I am fated to become lost once and for all, and only some moment of myself will survive in the other man. Little by little, I have been surrendering everything to him, even though I have evidence of his stubborn habit of falsification and exagger-
    ating. Spinoza held that all things try to keep on being themselves; a stone wants to be a stone and the tiger, a tiger. I shall remain in Borges, not in myself (if it is so that I am someone), but I recognize myself less in his books than in those of others or than in the laborious tuning of a guitar. Years ago, I tried ridding myself of him and I went from myths of the outlying slums of the city to games with time and infinity, but those games are now part of Borges
    and I will have to turn to other things. And so, my life is a running away, and I lose everything and everything is left to oblivion or to the other man. Which of us is writing this page I don’t know."
  • Ekak | 53.224.129.50 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ২১:০৫707325
  • দ্রি, হ্যা ওই ব্যাপার টা য় সিওর । বিশেষত, যাকে ফুটিয়েছিলেন সে বাটার ফ্লাই নিডল দেখলেও ছুটে পালায় নরমাল কন্ডিশন এ । অভিবাবুর বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য লাগছে যে , লোক দেখে চিনে নেওয়ার একটা ব্যাপার রয়েছে । সেটা আমার উল্লিখিত ব্যস্ক্তির পক্ষে খুবই সম্ভব । পোর খাওয়া এনেলপি ট্রেনার।
  • :) | 74.233.173.185 | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ২২:২৬707326
  • কিন্তু রাকৃ লোক দেখে চিনতে পারেন না। তিনি হচ্ছেন গ্রাম্য ও পটে আঁকা ছবি দেখে ধারণা করা কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোক।
  • avi | 113.24.86.104 | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫১707327
  • দ্রি ১৬/৪, ১২ঃ৫৪ পিএম,
    এট্টু তাড়াহুড়োর মধ্যে আছি, পরে গুছিয়ে বসতে হবে। যেটা মুশকিল সেটা হল ব্রেনের সব জায়গার অ্যাক্টিভিটি ইইজি হিসেবে একরকম ভাবে আসে না। বিটা ব্যান্ড মূলত কগনিটিভ টাস্কের সাথে জড়িত থাকে। আবার বেশিরভাগ ইইজি কার্ভ দেখবেন, বিটা সাধারণত থিটা ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে থাকে। এমনিতে বিটার ক্লিনিক্যাল গুরুত্ব খুব বেশি না। মজার ব্যাপার ৬-৭ হার্জের থিটা, যেগুলো ১৫ মাইক্রোভোল্টের মত থাকে সেগুলো প্রাপ্তবয়স্ক লোকের রিল্যাক্সড অবস্থায় দেখা যায়। আবার বাচ্চাদের ঘুমের সময়ও খুব দেখা যায়। সান্তামারিয়ার ১৯৮৭ সালের পেপার অনুসারে থিটা ওয়েভ বেড়ে যায় হাইপারভেন্টিলেশনে (প্রসঙ্গত এতে আলফাও বেড়ে যায়) এবং মেন্টাল টাস্ক পারফর্মেন্সের সময়। ঃ) এই রিদম কোথায় শুরু হচ্ছে আরেকটু ডিটেলে জানার জন্য ম্যাগনেটোএনকেফালোগ্রাফি বা এমইজি বাজারে আসে। ওতে কয়েকটা স্টাডি দেখিয়েছিল ফ্রন্টাল ইলেকট্রোডগুলোতে ৫-৭ হার্জের থিটা পাওয়া যাচ্ছে, বিশেষত যখন মানসিক হিসেব করছি বা খুব ইনটেন্সলি চিন্তা করছি। একটা থিওরি বলে অ্যালার্ট থাকার সাথে পূর্বনির্ধারিত স্মৃতি বা ইমোশন থাকলে সম্ভবত লিম্বিক সিস্টেম তথা হিপ্পোক্যাম্পাস উত্তেজিত হলে টেম্পোরাল ইলেকট্রূডে থিটা দেখা যায়। এবার থিটার মত একটা নিচের ফ্রিকোয়েন্সির ওয়েভ কেন কখনো কখনো এসব উত্তেজনার সময় দেখা যাচ্ছে? এক্ষেত্রে মনে হয় আমাদের ওয়েভ আকার, সময় ইত্যাদির ওপর আরো যে ফ্যাক্টরগুলো কাজ করে, তাদের কথাও ভাবতে হবে; যেমন কারেন্ট জেনারেটর থেকে ইলেকট্রোডের দূরত্ব, যেখানে সিগন্যাল তৈরি হচ্ছে সেখানকার পিরামিডাল সেল লেয়ারের অ্যানাটমিক্যাল ওরিয়েন্টেশন (মানে ঐ নিউরোনগুলো রেডিয়াল ফিল্ড বানালে যতটা সিগন্যাল স্ট্রেংথ যাবে, ট্যানজেনশিয়াল ফিল্ডে অতটা হবে না ইত্যাদি), পাশাপাশি থাকা নিউরোনের সিঙ্ক্রোনাস অ্যাক্টিভেশন ইত্যাদি। সব মিলিয়ে জিনিসটা দেখা যায়।
    আপনার পরের তালিকাটা দেখে পুরো আঁতকে উঠেছি। ভয়াবহ ব্যাপার, ইমোশনের সাথে ইইজি ওয়েভ পুরো হট টপিক এখনের, নির্দিষ্ট কনশেনসাস আছে কিনা জানি না, কোর নিউরোলজির জনতা কেউ বললে ভালো হয়। খুচরো খবর তো অনেক আছে, যেমন প্রথমে ভাবা হত ফ্রন্টাল আলফা ওয়েভ ইমোশন প্রকাশ করে। হাসি বা আনন্দে এফ৩ বা এফ৫-এ আলফা বেড়ে যায়, ভয় পেলে কমে যায়। একইরকমভাবে এফ-জি ইলেকট্রোডে থিটা ওয়েভেরও ইমোশনে রোল আছে বলে দাবী ছিল। কিন্তু এখন বলছে, জিনিসটা অতটা লিনিয়ার না। একটা নির্দিষ্ট ওয়েভের থেকেও বেশি হল প্যাটার্ন তৈরি হওয়া। এর তো ছবিগুলো আনতে পারবো না, দাঁড়ান, কয়েকটা লিঙ্ক দিই।
    http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3759272/
    http://journals.plos.org/plosone/article?id=10.1371/journal.pone.0095415
    http://www.cs.cmu.edu/~muli/file/emotion_embc09.pdf
    http://www3.ntu.edu.sg/home/eosourina/Papers/RealtimeEEGEmoRecog.pdf

    ---------------------------------------------------------------------
    দ্রি ১ঃ১১পিএম,
    ব্যথা আর হিপনোসিসের দু-তিনটে ব্যাপার আছে। ব্যথা দুরকম ভাবে ভাবতে পারি, অ্যাকিউট আর ক্রনিক। প্রথমটায় আসি। এটা সত্যি কোনো শারীরিক কারণ থাকার জন্য হতে পারে, মানসিক কারণেও হতে পারে। শারীরিক ব্যথার হিপনোসিসে সাময়িক উপশম হবে, যেমন পেইনকিলার ওষুধ খেলে হয়। পার্থক্য, সবার হবে না, যারা হাই হিপনোটাইজার, তাদের হবে, অন্তত সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এর প্রভাব কতক্ষণ থাকবে স্থির নেই, রোগীর ওপর, এবং তাঁর শারীরিক সমস্যার তীব্রতার ওপর নির্ভর ক'রে ট্রান্সের সাথে সাথে কেটে যেতে পারে, আবার কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিনও থাকতে পারে। গত ১৫ বছরে এই নিয়ে কাজকম্মো হয়েছে বার্ন ইনজুরিতে, প্রসবযন্ত্রনায়, সার্জারির আগে। আবার ব্যথা মানসিক কারণে হলে প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়, তুলনায়। রোগীকে শেখানো হয় সেল্ফ-হিপনোসিস, যাতে তিনি প্রয়োজন মত নিজেই নিজেকে সাজেশন দিয়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে সমস্যা কমিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু ক্রনিক পেইনের সময় এভাবে সাময়িক উপশমের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যথার ফলে সৃষ্টি হওয়া অন্যান্য সমস্যার নিরসন, যেমন তজ্জনিত ডিপ্রেশন, ডিমরালাইজেশন, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি। হিপনোসিস এখানে এগুলোকে বেশি করে টার্গেট করে।
    --------------------------------------------------------------------
    দ্রি ১ঃ১৫ পিএম,
    ওরিয়েন্টেশন মানে আমার চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে আমি কতটা অবহিত আছি তার একটা রাফ এস্টিমেট। খুব তাড়াতাড়িতে তিনটে জিনিস দেখা হয় - স্থান, কাল, পাত্র। এই জ্ঞান ঠিকঠাক থাকলে সে রোগী ওয়েল ওরিয়েন্টেড।
    হাইয়ার প্রসেস মানে বলতে চাইছিলাম এক্সিকিউটিভ অ্যাটেনশনাল প্রসেস, যেটা আপনে আপ হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ঐচ্ছিক কেন্দ্র থেকে সচেতন নির্দেশের ফলে হয়। আমি পড়ছি, পাশে রাহুল দ্রাবিড় টিভিতে ব্যাট করছেন, বাইরে মুন্নি বদনাম হুয়ি বাজছে - এবার আমি কোনখানে আমার অ্যাটেনশন দেব, এটা আমার সজ্ঞান সিদ্ধান্ত। অথবা, তিনটেই আসবে, কিন্তু কোনটা কতটা আসবে এই ভাগ। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমার ক্রিটিক্যাল জাজমেন্ট কতটা থাকবে, আমি বাস্তব পরিস্থিতি কতটা আঁচ করবো। এবং সেই অ্যাটেনশন থেকে আমার পরবর্তী মোটর কাজকর্ম কতটা প্রভাবিত হবে, এইসব।
    অ্যাটেনশন শিফটের ম্যগনিচিউড মানে কত ইনটেন্সলি বাকি সব ভুলে একটায় বুঁদ হয়ে আছি, গভীরতা। দাবী করা হয় হিপনোসিসে নাকি অনেক বেশি ইনটেন্স অ্যাটেনশন পরিবর্তন হয় আমাদের দৈনন্দিন কাজের তুলনায়।
    ---------------------------------------------------------------------
    দ্রি ১৭/৪, ৯ঃ৩৩ এ এম,
    হাই হিপনোটাইজার কিনা বোঝার জন্য যন্ত্রপাতি আর কোথায় পাবেন, কিছু স্কেল আছে, পাতি লক্ষ্মণবিচার আর কি। সেইসব টেল টেল সাইন দেখে বোঝার চেষ্টা করা হয় সামনের ইনি সেই গিফটেড ৮% এর মধ্যে পড়েন কিনা। মার্কিনীরা সেইসব লিস্টির গালভরা নাম দিয়েছে - "হিপনোসিস ইন্ডাকশন প্রোফাইল", " স্ট্যানফোর্ড হিপনোটিক সাসেপটিবিলিটি স্কেল", "হার্ভার্ড গ্রুপ স্কেল অব হিপনোটিক সাসেপটিবিলিটি", "বারবার সাজেস্টিবিলিটি স্কেল" ইত্যাকার। এর মধ্যে ঐ হিপনোসিস ইন্ডাকশন প্রোফাইলটায় তো মাথার ওপর দিকে তাকাতে বলে চোখে স্ক্লেরার ভিজিবিলিটি দেখেই কিসব বোঝা যায় বলে দাবী করে। আর তার মেডিক্যাল ব্যাখ্যাওয়ালা থিওরিও শুনেছি আছে। সত্যিমিথ্যে খোদায় মালুম। ঃ) সবার ওপরে, যিনি করবেন, তাঁর মানুষ চেনার এতদিনের অভিজ্ঞতা। যেটা একক বলেছেন। ঃ)
    ---------------------------------------------------------------------
    হিপনোটিক প্রসেসকালে ব্যথা অনুভব হয় না কেন, এটার তো মেডিক্যাল মডেল আছে। বস্তুত পেইন ফিজিওলজিটাই খুব মজাদার। ছোটবেলায় গায়ে হাত বুলিয়ে দিলে কেন ব্যথা কমে যায়, সেটা জেনে বেশ পুলকিত হয়েছিলাম মনে পড়ে। ব্যথার গতিপথ সেনসরি রিসেপটর থেকে স্পাইনাল কর্ড, তারপর পিএজি, থ্যালামাস, র‌্যাস পেরিয়ে কর্টেক্স। এর বিভিন্ন স্তরে ইন্টেরাপ্ট করে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করা হয়। মরফিন যেমন স্পাইনাল রিসেপটর আর মিডব্রেন দুখানেই কাজ করে। গরম সেঁক, হাত বুলিয়ে দেওয়া, বরফ ঘষা, মাসল রিলাক্স্যান্ট, আকুপাংচার, অ্যাসপিরিন বা এনেসেআইডি স্পাইনাল লেভেলে কাজ করে রিসেপটর অকুপাই ক'রে। ইলেকট্রিক শক বা অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট আবার মিডব্রেন-ব্রেনস্টেমে কাজ করে। তেমনি বায়োফিড্ব্যাক, হিপনোসিস, স্ট্রেস রিডাকশন কর্টেক্সে কাজ করে। রোনাল্ড মেলজ্যাকের এটা নিয়ে বহুদিনের কাজ ছিল।
    ---------------------------------------------------------------------
    কেডিদার দুটো অভিজ্ঞতার প্রথমটার ব্যাখ্যা জানি না, সম্ভাব্য কিছু মাথায় আসছে না। দ্বিতীয়টা স্বাভাবিক হিপনোটিক ট্রান্স ও তারপরে সেল্ফ-হিপনোসিস ও অটো-সাজেশন দিয়ে কিছুটা ভাবা যেতে পারে। আবার সাজানো ঘটনাও হতে পারে, এই লাইনে তো হাজার হাজার ডঃ হাজরা। ঃ)
    ---------------------------------------------------------------------
    দ্রি ৬ঃ৪৯ পিএম,
    ড্রাগ আর হিপনোসিস বলতে কোনটা? ড্রাগের প্রভাবে হিপনোটিক ট্রান্স তৈরি করা, মানে কেমিক্যাল হিপনোসিসের গল্প?
  • দ্রি | 99.234.157.254 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০০:১০707328
  • হ্যাঁ, কেমিক্যাল হিপনোসিস।
  • দ্রি | 186.10.104.243 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০০:২৫707329
  • "ইমোশনের সাথে ইইজি ওয়েভ পুরো হট টপিক এখনের, নির্দিষ্ট কনশেনসাস আছে কিনা জানি না, কোর নিউরোলজির জনতা কেউ বললে ভালো হয়।"

    আমার মেন কিউরিওসিটি হল, কোন বিশেষ মনের অবস্থা (বা ইকুইভ্যালেন্টলি, কোন বিশেষ ব্রেন ওয়েভ প্যাটার্ন) কি হিপনোসিসকে বেশী সুবিধে করে দিতে পারে? দুটো কেস। এক হল, ঐ হাই হিপনোটাইজারদের ক্ষেত্রে। দুই, মিডিয়াম হিপনোটাইজারদের ক্ষেত্রে।

    আমার মনেহয় হাই হিপনোটাইজারদের ক্ষেত্রে ইন্ডিভিজুয়াল হিপনোটিজ্‌ম বেশী অ্যাপ্রোপ্রিয়েট। কিন্তু মাস হিপনোটিজ্‌মের ক্ষেত্রে মিডিয়াম হিপনোটাইজাররাও ইম্পর্ট্যান্ট। এই ক্ষেত্রে হিপনোটিজ্‌মের এফেক্ট অত ড্রামাটিক না হলেও কিছুক্ষণের জন্য কাজ করে।
  • i | 147.157.8.253 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:২৮707330
  • আমি এই মাত্র একটা লেখা পড়লাম। পাস্ট লাইফ রিগ্রেশন নিয়ে। এই নিয়ে এই টইতে আলোচনা হয়ে গেছে?
  • avi | 113.24.86.154 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৬707332
  • না, হয় নি তো। এটায় আগ্রহ আছে। লেখাটা দিন না। :)
  • i | 147.157.8.253 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৮707333
  • লিংক নাই।
  • avi | 113.24.86.111 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৪707334
  • :(
  • sosen | 184.64.4.97 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৬707335
  • অভির লেখাগুলো খুবই ভালো লাগছে। কিপিটাপ।
  • i | 147.157.8.253 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫৪707336
  • আর্টিকলের লেখক একজন সাইকোলজিস্ট। ইনি লিখছেন, যুক্তি প্রবণ মানুষ মানতে চান না। ইনি যাঁদের বলেছেন পূর্ব জন্ম আছে কি নেই জানার জন্যই না হয় পি এল থেরপি করলেন তাঁরা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। লেখকের মতে এই রেজিস্ট্যান্স বিশ্বাসভঙ্গের ভয়, কিংবা ফীয়ার অফ আননোন।ডক্টর মাইকেল নিউটনের একটা গল্প দিয়ে শুরু হয়েছে লেখা যেখানে এক পেশেন্টের ব্যথার বেদনার সমাধান করতে গিয়ে হিপ্নোটিক ট্রান্সের সাহায্য নেওয়া হয়। এই সময় রোগী নিজে থেকেই তাঁকে ছুরি দিয়ে মারা হয়েছে এই ইমেজারি ব্যবহার করেন। উৎস খুঁজতে ডক্তর নিউটন পৌঁছে যান তাঁর পাস্ট লাফে-জানা যায় ইনি গত জন্মে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক ছিলেন ও বেয়নেটের আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এইটে জানার পরে নাকি ব্যথা সারানো খুব সহজে হয়ে যায়।

    লেখায় টেকনিকাল ডিটেইলস দেওয়া হয় নি। ব্রায়ান ওয়েসের বইএর রেফারেন্স আছে আর কিছু গল্প।

    আমার মত যাঁরা অবিশ্বাসী তাঁরা আমার জেঠুর মত তাচ্ছিল্যের 'হঃ' বলবেন।

    তবে লেখাটি একজন সাইকোলজিস্ট লিখেছেন। তাই অভিবাবুর কাছে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে ব্যাপারটা কি।
  • Ekak | 53.224.129.41 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:০৬707337
  • লেখা টা তো পড়ার সুযোগ পাচ্ছিনা । তবে আমার কাহিনী টা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে । মানে , এটা বিশ্বাস করার করার জন্যে পূর্বজন্মে বিশ্বাসের কোনো দরকার নেই । একটা পূর্বজন্ম সিস্টেম সিমুলেট করতে হবে যা বর্তমান ডেটার এনম্যালি (সে যে কারণ এই হয়ে থাকুক ) কে ব্যাক ট্র্যাক করে কনভার্জ করতে সক্ষম । লজিকালি ,কোয়াইট পসিবল । ক্লিনিকালি ফীসিব্ল কিনা অভি বলুন :)
  • দ্রি | 11.39.98.208 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:২৩707338
  • এটা কি হতে পারে, উনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের গল্প পড়ে/জেনে একজন সৈনিকের সঙ্গে ভীষণভাবে আইডেন্টিফাই করেছিলেন?
  • avi | 113.24.86.30 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৪৭707339
  • নাহ, আগের জীবন সম্বন্ধে কোনো ধারণা নেই।
    হিপনোসিস নিয়ে বলা হয়, এটি নিজে কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, এটি বরং একটা মাধ্যম তৈরি করে, যাতে মানুষ অনেক বেশি একাগ্র হয়ে সাজেশন গ্রহণ করে, ফলে সেই সময় সাইকোথেরাপি দেওয়া বেশি সুবিধাজনক হয়। খুব একাগ্র হয়ে পুরনো স্মৃতি উদ্ধার করার চেষ্টা করলে অনেকটাই মনে পড়তে পারে সত্যি, কিন্তু তার জন্য কল্পনাকে বেশি প্রসারিত করা চাপের। এই পুরনো স্মৃতি ফিরে পাওয়া নিয়ে আশি নব্বইয়ের দশকে আমেরিকায় অনেক হইচই হয়েছিল শুনেছি। রিকভারড মেমরি সিন্ড্রোম নাম দিয়েছিল। লোকজনের টুকটাক সমস্যা হলে এভাবে তার রুট কজ খুঁজতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বেরোচ্ছিল খুব ছোট বয়সে কাছের কারো কাছে হেনস্থার ইতিহাস। এবং তা বলার পরে নাকি তাদের স্ট্রেস কমে গিয়ে সমস্যাও কমে যাচ্ছিল।
    তো, স্বভাবতই মিডিয়া হামলে পড়ে। শ'য়ে শ'য়ে এরম কেসের গল্প বেরোতে শুরু করে। সাইকোলজিস্টের পোয়াবারো হয়। এবং, পুলিশ প্রশাসনের নজর পড়ে। যেসব নিকটাত্মীয় এইসব অনেক বছর আগের হেনস্থায় অভিযুক্ত, তাঁদের অনেকের ট্রায়াল শুরু হয়।
    এর পর চাকা ঘোরে অন্যদিকে। দেখা যায়, বেশিরভাগ অভিযোগের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। যারা এভাবে স্মৃতি পুনরুদ্ধার করেছে, তাদের অনেকেই নাকি অতিরিক্ত কল্পনাপ্রবণ ব্যক্তিত্বের, আর তাদের এই লাইনে একটু লিড করলেই তারা নাকি আকাশে সাতমহলা প্রাসাদ বানিয়ে ফেলে। থেরাপিস্টদের ব্যক্তিগত অদক্ষতাও বীক্ষিত হল। কম সময়ে তাড়াতাড়ি শকিং হিস্ট্রি বের করে ফেলার একটা চাহিদা এনাদের অনেকেরই থাকে, তার ফলে পরপর লিডিং প্রশ্ন, এবং রোগী পুরো সেই লাইনে খেলে গল্প তৈরি করে ফেলেন, এরম থিওরিও চলে এল। যা হয়, মিডিয়া রাতারাতি পাল্টি খেয়ে গিয়ে এবার রিকভারড মেমরিজনিত অভিযুক্ত গারডিয়ানদের নিয়ে আর্টিকল লিখতে লাগল। সব মিলিয়ে তুমুল ঝামেলা, এবং এই লুপ্ত স্মৃতি ব্যাপারটা এখনো অব্দি একটা বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবেই রয়ে গেছে, যা পুরো ঠিক নয়, আবার পুরো ঠিকও নয়।
    আর হ্যাঁ, কতটা কম বয়সের ঘটনা আমরা মনে করতে পারি। স্কুলে পড়ার সময় শীর্ষেন্দুকৃত পারাপার পড়ে খুব ভালো লেগেছিল (এখন লাগবে না, জানি)। তাতে এক জায়গায় একজন জ্ঞান দিয়েছিলেন যে মানুষ চাইলে নাকি তার জন্মমুহূর্ত দেখতে পায়, তিনি নাকি পান। এটা জানার পর থেকে আমি খুব চেষ্টা করতাম বিভিন্ন ঘটনা মনে করার, আর মা-কে গিয়ে জিজ্ঞেস করতাম, অমুক ঘটনার সময় আমার বয়স কত ছিল। পরে দেখলাম সব ঘটনা যে আমার স্মৃতি থেকে মনে আসছে এমন না। অনেক কিছু আছে, যা আমি ছোটবেলায় করেছিলাম বলে পরে হয়তো বারবার মায়ের কাছে গল্প শুনেছি, এবং তার থেকে নিজের মনে একটা চিত্ররূপ বানিয়ে নিয়েছি। পরে ভেবেছি ওটা আমার 'মনে পড়ে গেছে'। দৈনন্দিন জীবনে এমন ঘটনা হামেশাই হয়, সবারই হয়তো অভিজ্ঞতা আছে।
    স্মৃতির মেডিক্যাল মডেল বলে তিনবছর বয়সের আগের স্মৃতি নাকি মনে করা যায় না। একে বলে infantile amnesia। প্রথমে ভাবা হত, ওই বয়সের স্মৃতি সবই অবিকৃত থাকে, পরিণত বয়সে মনে আনা যায় না, অর্থাৎ রিট্রিভাল ফেইলিয়োর। কিন্তু এখন বলা হয় যে এটা আসলে কম বয়সে ঠিকঠাক ভাবে ডিক্লারেটিভ মেমরি জমা করার অক্ষমতা। প্রসঙ্গত এর মধ্যে কন্ডিশনিং বা স্কিল অর্জন আসে না। শুধু ডিক্লারেটিভ মেমরি, যা ঘটনাবহুল, এবং যাকে ভাষায় প্রকাশ করা যায়। এফেক্টিভ রিকলের জন্য লাগে সুগঠিত মিডিয়াল টেম্পোরাল লোব আর ডায়েনকেফালন, যা একটা বাচ্চার ভালোই ডেভেলপড। কিন্তু নিওকর্টেক্স, যেটা সংগঠিত স্টোরেজে দরকার, সেটা ডেভেলপ হতে একটু সময় লেগে যায়। আর তার জন্যেই নাকি এই সমস্যা।
    তো, এই মডেল নিখুঁত কিনা, তা অবশ্যই নিশ্চিত নই। কিন্তু ওই সময় পেরিয়ে আগের জন্মে পৌঁছানো যাকে বলে উত্তাল চাপ। যদি আগের জন্ম বলে আদৌ কিছু থাকে। এই বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ সম্ভবত শূণ্য। :)তাই যা আসে, শুনতে উৎসুক।

    গত বছর স্টার থিয়েটারে একটা বিশ্রী সিনেমা দেখেছিলাম, নামটাই মনে পড়ছে না। রাইমা সেন, বরুণ চন্দ, শাশ্বত। তাতে এই আগের জন্ম, পরের জন্ম, হিপনোটিক সাজেশনের একেবারে হদ্দমুদ্দ করে দিয়েছিল। তার সাথে সিরিয়াল কিলার, আউটডোর লোকেশন সব মিলিয়ে সে এক কাণ্ড! এসব দেখলে এগুলো আরো বেশি করে ক্যানাবিস এফেক্ট মনে হয়, যদিও এসব সিনেমা দেখে বায়াসড হওয়া কোনো কাজের কথা নয়। :)
    সোসেনদি, থ্যাঙ্কু। :)
  • avi | 213.171.241.254 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৫০707340
  • "সব মিলিয়ে তুমুল ঝামেলা, এবং এই লুপ্ত স্মৃতি ব্যাপারটা এখনো অব্দি একটা বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবেই রয়ে গেছে, যা পুরো ঠিক নয়, আবার পুরো ঠিকও নয়। "
    মানে, পুরো ঠিকও নয়, পুরো ভুলও নয়। :P
  • sosen | 184.64.4.97 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৫৫707341
  • ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশনে হিপনোসিসের বেশ প্রমাণিত প্রয়োগ হয় না? ভুলে যাওয়া ছোটো ছোটো ডিটেল মনে করানো?
    এইটা অবশ্য অলৌকিক কিছু না। কিন্তু কাজের।
  • দ্রি | 56.166.190.181 | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:১১707343
  • কিন্তু এই যে ভর হয়। এবার কোন ঐতিহাসিক চরিত্র যদি ভর করে, তাহলে সেটা পূর্বজন্মের মত মনে হতে পারে না?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন