এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনুকুল চা্ড্ডি শীর্ষেন্দু ও তার ভাব বিগলিত ক্যালানো কথামালা

    বিশ্লেষন করুন
    অন্যান্য | ২৮ আগস্ট ২০১৬ | ১৪০৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কান্তি | 113.57.238.2 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:৩৩718968
  • এখানে মৌচাকের কথা কেউ বললেন না। ছেলেবেলায় আমি ঐপত্রিকার নিয়মিত গ্রাহক ছিলাম। ছোটদের উপযোগী অসাধারন পত্রিকা। স্মপাদক ছিলেন সুধীর চন্দ্র সরকার। আরোছিল শিশুসাথি। এছাড়া একটু অন্য ধরনের কিশোর দের জন্য ছিল ' পাঠশালা '। সম্পাদক ছিলেন নরেন্দ্র দেব। এই পত্রিকার প্রধান বৈশিষ্ট ছিল, এখানে লেখক/ লেখিকারা অধিকাংশই ছিলেন পত্রিকার গ্রাহক/ পাঠক। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন পরে ভাল লেখক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। যেমন সংকর্ষণ রায়। ইনি সম্ভবতঃ ভূতত্ত্ববিদ ছিলেন।এই সব পত্রিকা বেশ কিছু একসময় আমার কাছে ছিল। অনিবার্য কারনে সব আজ বিনষ্ট।
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫১718969
  • হ্যাঁ , কান্তি। মৌচাক (সুধীর চন্দ্র সরকার) পড়েছি। পাঠশালা পাইনি।
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫২718970
  • কান্তি-দা, মৌচাক পড়েছি, একটু বেশি ছোটদের মনে হওয়ায় এখানে উল্লেখ করি নি, যেহেতু কিশোর সাহিত্য নিয়ে কথা হচ্ছে।

    রঞ্জন-দা দেশে প্রকাশিত সমরেশ বসু-র যে উপন্যাস গুলো-র কথা বললেন - 'শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে' ইঃ, এ ছাড়া গৌরকিশোরের সাগিনা মাহাতো, সমরেশ মজুমদারের উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ এই লেখাগুলোয় চোখ বুলোলে পরিস্কার বোঝা যায় - লেখকের উপর সম্পাদকীয় চাপের অভিযোগ ভিত্তিহীন। লেখক তার নিজের বিশ্বাস, আগ্রহ অনুযায়ী লিখেছেন।

    'আমোলা-আমেলা নিয়ে এই সাইটে এত আদিখ্যেতা করে তারাই' - শীর্ষেন্দু সংক্রান্ত গত কয়ক সপ্তাহের আলোচনায় আমেলা-প্রসঙ্গ আসার একটাই কারণ - শীর্ষেন্দু বাজে লেখক, কারণ তিনি আবাপ-গোষ্ঠীর পত্রিকায় লেখেন, এই জাতীয় হাস্যকর ও স্টুপিড কথাবার্তা। এখন এসব মণিমুক্তো, যেমন - শীর্ষেন্দু না লিখলে বাংলা সাহিত্যের কোন ক্ষতি হত না - এসব নিজের বৈঠকখানায় ছড়ালে ঠিক আছে, কিন্তু খোলা পাতায় লিখলে কাউন্টার আসবেই :-)

    'কথা হচ্ছে ওই দশ-বারো বছর নিয়ে। এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল নয় মহাকালের খাতায়' - সেটা ঠিকই। মহাকালের চোখের পলক মাত্র। তবে ১০-১২ ব্ছর নয়, আর একটু বেশি হবে। আমেলা-র হে ডেজ ১৯৭৫ থেকে শুরু করে, আশির দশক তো বটেই, তর্কসাপেক্ষে নব্বই-এর প্রথম কয়ক বছর-ও হয়ত।

    সুনীল, শীর্ষেন্দু, মতি নন্দী ইঃ দীর্ঘকায় লেখক-রা আনন্দমেলা-য় না লিখে বিষাদমেলা বা কিশোরভারতী-তে লিখলেও একই রকম ভাল লিখতেন, মনে হয়।

    এখন আমেলা-র গপ্পো, উপন্যাস-কে রাজনীতিবিমুখ, চিন্তাহীন ইঃ বলে ট্র্যাশ করলে তার সাথে অন্য পত্রিকায় লেখালেখির তুলনা আসবে, আসবেই। আর আমি যেহেতু, মৌচাক, শিশুসাথী, সন্দেশ, শুকতারা, কিশোরভারতী, দেব সাহিত্য কুটীরের পূজাসংখ্যা , অনুবাদ সিরিজের বইগুলো, সোভিয়েত বই-এর অনুবাদ, আমেলা - এ সব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি, বুর্জোয়া বই বলে বা বামপন্থী লেখা বলে কিসু বাদ দিই নি, তাই আমার পর্যবেক্ষনে আবাপ গোষ্ঠীর লেখকদের রচিত কিশোর সাহিত্যে উচ্চ মানের লেখা, তাদের প্রতিভার জন্যেই, বেশি পাওয়া যাচ্ছে মনে হলে, সেটাও বলব।

    কেউ ভিন্নমত হতেই পারেন, তবে তিনি যদি নিজে ছোটবেলায় এই সব পত্র পত্রিকা পড়ে থাকেন, তার মত আমার কাছে বেশি গুরুত্ব পাবে, কিসুই না পড়ে হাওয়ায় ভাসানো বিদ্বেষমূলক পোস্টের চেয়ে। ছোটবেলায় পড়াটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বয়সের সাথে মন বদলায়, স্বাদ বদলায়
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২৫718971
  • ভাল ভুতের গল্প খুবই উপাদেয় জিনিস @কুমড়ো

    দেসাকু-র কোন একটা পূজাবার্ষিকীতে মূর্শিদাবাদের পটভূমিকায় বগলামামা-র ? একটা রোমাঞ্চকর উপন্যাস ছিল - অতৃপ্ত পিশাচ ইঃ - কিছুটা ড্রাকুলা ঘরানায়।
    আর হেমেন রায়-এর মানুষপিশাচ, বিশালগড়ের দুঃশাসন (এটা ড্রাকুলার কাহিনী, কিন্তু খুবই মুন্সীয়ানার সাথে দেশীয়করণ করেছেন)
  • কুমড়ো | 198.155.168.109 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৭718972
  • হ্যাঁ, বয়সটা খুব ইমপরট্যান্ট। আমার বাবা তার শৈশবে "কঙ্কাল সারথি" পড়েছিল। তারপর আমাকে ছোটোবেলায় সে গল্প মন থেকে বলেছে, বই পড়ে পড়ে নয়। ওরেব্বাবা! ভয়ের চোটে আমি ঘুমোনোর আগে হিসি করতে যেতে পারছিনা তখন। অথচ বাবার শৈশব ও আমার শৈশব সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন উপেন্দ্রকিশোরের সব লেখা বাবা আমি আমার মেয়ে তিন জেনারেশন সাগ্রহে পড়েছি। ফিঙে আর কুঁকড়োকে ভিজুয়ালাইজ করতে পারি। ফিঙের স্ত্রী উনাকে যেন চোখের সামনে দেখতে পাই। গুপী গাইন বাঘা বাইন (সিনেমা নয় হলুদ মলাটের পাতলা বড়ো সাইজের বইটা) পড়ে যুক্তিতে একটুও খামতি পড়ে না গুপীর বাবার নাম কানু কাইন দেখে।
  • কুমড়ো | 198.155.168.109 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫১718973
  • আরেকটা কথা বলি আপনারা অপরাধ নেবেন না। এখন যেরেটে বাচ্চাদের মুতে আছাড় খাবার ফেশিয়ান হয়েছে তাতে তাদের স্পেস বলে কিচ্ছুটি নেই। নোনা ধরে যাচ্ছে। বরং একটু "অবহেলা" পেলে তারা মোনয় হাঁফ ছেড়ে নিজের মত বাড়তে পারে।
  • Arpan | 100.212.151.16 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৬718974
  • সেরা শিশুসাথী আমার বাবা জন্মদিনে প্রেজেন্ট করেছিল। সুকুমার সমগ্রের সাথে।

    সেখানে একটা গল্প ছিল কোরিয়ান ওয়ার নিয়ে। শত্রুপক্ষ প্রবল আক্রমণ করেও শেষে পরাজিত হয়। যুদ্ধশেষে গ্রামের কিশোর ছেলের ছিন্নভিন্ন দেহ লুটিয়ে থাকে মাটিতে, হাতে তবু ধরা থাকে লাল পতাকা। আকাশেও লাল টকটকে সূর্যের পদধ্বনি।

    তখন পড়ে প্রচুর বার খেয়েছিলাম মনে পড়ে। ঃ)

    কিন্তু বাকি সবই ছেলেভুলানো লেখাপত্তর। ঐ একটা লেখা ছাড়া বাকি কিছু মনেও নেই। (কমরেড হনু খুশি হবেন শুনলে)
  • কুমড়ো | 198.155.168.109 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৩৫718975
  • আরো কটা কথা মনে হচ্ছে ঘুমোনোর আগে লিখেই ফেলি। এগুলো আমার অবজারভেশন। এখানে আমাদের পাড়ায় ভিনদেশি পরিবার নেহাৎ কম নয়। হিন্দিভাষী ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবার রয়েছে একটা। বাচ্চাটা আমার সামনেই জন্মালো। তাকে প্রথম থেকেই ইংরিজি শেখানো হচ্ছে। বাপমা তার সামনে সর্বদা ইংরিজি বলে। ছেলেটা হিন্দি শিখলো না। এখন ইস্কুলে যাচ্ছে সাত বছর বয়স। জার্মান তো ইস্কুলেই শিখবে, সেটা শেখানোর মত জার্মান জ্ঞান বাপমায়ের নেই। আরেকটা ফ্যামিলি থাকত। তারাও হিন্দিভাষী এবং যাদের কথা বলছি সবাই উচ্চশিক্ষিত, নামের আগে ডক্টরেট। এদের ছেলেও প্রিস্কুলে যেত। তার সঙ্গেও ক্রমাগত ইংরিজি এবং বাপমা ছেলের সামনে কেবল ইংরিজিতে কথা বলে। ঐযে, পরে ইস্কুলে থার্ড ল্যাংগুয়েজ হিসেবে ইংরিজি লাগতে পারে, সেই টার্গেট।
    অথচ রাশিয়ান (উচ্চশিক্ষিত এবং ইংরিজি জানা) পরিবার ছিল আমার প্রতিবেশী, তারা নিজেদের মধ্যে শুধু মাতৃভাষাতেই কথা বলছে। বাসে ট্রামে রাশিয়ান মা অনেক দেখেছি, তারা নিজের বাচ্চাকে গল্প শোনাচ্ছে রাশিয়ানে। এই একই ব্যাপার সার্বিয়ানদের মধ্যে, তুর্কীদের মধ্যে, তামিলদের মধ্যে। এদের বাচ্চারা কিন্তু উচ্চশিক্ষায় পিছিয়ে নেই, অন্তত মাতৃভাষা শিখবার কারণে পিছিয়ে আছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশিদের বাচ্চারাও বাংলা বলছে। আঞ্চলিক ডায়ালেক্ট বলছে, কিন্তু সেটাও বাংলা। চাইনিজদের বাচ্চারাও চাইনিজ বলে নিজেদের বাপমায়ের সঙ্গে। ইন্ডিয়ানের বাচ্চা বাপকে বলে, ড্যাড ক্যান ইউ কাম বিট ফাশ্টার?
    বাপ দৌড়তে দৌড়তে ছেলের সঙ্গে চলল।
    ছেলে পেট থেকে পড়েই ইংরিজি বলছে।
    ভালোমন্দ জানিনা। তবে এরাই কিছুদিন পরে গর্বভরে আক্ষেপ করবে, মাই সান/ডাটর ক্যানট স্পীক হিন্দি।
  • কান্তি | 113.57.239.97 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৫718976
  • ধীরেন্দ্র লাল ধরের লেখা বই আপনারা কেউ পড়েন নি? তাঁর লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস ' অসি বাজে ঝন ঝন 'আমার ছেলেবেলায় পড়া,এখনো অসম্ভব প্রিয়। হুন রাজার গল্প।
  • cb | 208.147.160.75 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:২০718978
  • হেমেন রায়ের শেষের দিকের লেখাগুলি রিপিটেটিভ কিন্তু ওনার লেখা পড়ে এত আনন্দ পেয়েছি যে বলার কথা নয়। ওনার আগে বাংলায় এ রকম লেখা কেউ পারে নি।

    এবার এই বিশালগড়ের দুঃশাসন, এটা পড়ে বাবাও রাতে বাথরুমে যেতে ভয় পেত, আমিও পেয়েছি। এদিকে ড্রাকুলা পড়ে ফেলেছি আগেই। আমার অ্যাকচুয়ালি ড্রাকুলার থেকেও বেশি ভয় লেগেছিল। পড়তে ইচ্ছে করছে কিন্তু নেক্স্ট কদিন একা থাকতে হবে তাই এখন আর হবে না :)
  • aranya | 154.160.5.102 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৪৮718979
  • হেমেন রায় আমারও খুব প্রিয় ছিল।
    কয়েকটা লেখা - বিশালগড়ের দুঃশাসন, যখের ধন, শনি-মঙ্গলের রহস্য - এখনও মাঝে মাঝে পাতা উল্টে দেখি
  • aranya | 154.160.5.102 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৫০718980
  • ধীরেন্দ্র লাল ধর-এর লেখা খুব আবছা মনে পড়ে, স্মৃতি আজকাল আর তেমন সাথ দেয় না
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৩৯718981
  • হেমেন্দ্র কুমার রায়ের দুই জোড়া ইয়ে ছিল।
    জয়ন্ত-মাণিক-- বাঘা কুকুর।
    বিমল--কুমার-
    আর সুন্দরবাবু বলে পেটমোটা পুলিশ ইন্স্পেক্টর কাদের সঙ্গে, নাকি দুটো জোড়ার সঙ্গেই ছিলেন--মনে নেই।
    বিশালগড়ের দুঃশাসন ড্রাকুলার চেয়েও গা ছমছমে।
    নায়ক পালানোর চেষ্টা করছে। এমন সময় রাজাসাহেব এসে হিমশীতল গলায় বললেন-- কাল একদল জিপসি এসে আমাকে এই চিঠিটা দিয়ে গেল!

    ধীরেন্দ্রলাল ধর নিয়মিত লিখতেন--বেশ ভাল লাগত। চীন-জাপান যুদ্ধের ভিত্তিতে একটা ছিল 'মরণের ডংকা বাজে' কি? নাকি বিভুতিভূষণের?
    কিন্তু দুটোরই থিম এক ছিল, নামও কাছাকাছি।
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৪১718982
  • হানু,
    চার খন্ডের কালো ভ্রমর পড়ে দেখতে পার।

    কালো ভ্রমরের কী এন্ড?
    কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের হয়ে ডঃ সান্যালের ( কালো ভ্রমরের) মেশিনগান চালাতে চালাতে মৃত্যু বরণ। খালি লাল স্পট ও মুঠো করা হাত তোলা বাকি।
    হানু পড়লে পারে। বৃটিশ রাজত্বের সময়েই নীহাররঞ্জন কমিউনিস্ট বিপ্লব সম্বন্ধে জানতেন বা আরসিপিআই এর (পান্নালাল দাশগুপ্তের০ ১৯৪৮ এর দমদম বসিরহাট অ্যাডভেঞ্চার অনুপ্রাণিত? এটা নিয়ে রিসার্চ?
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৪৩718983
  • সরি!
    এটা ভুল করে এই সুতোয় এসেছে।ঃ(((
  • h | 213.132.214.87 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৩১718984
  • জয় মা ক্লায়েন ....

    1 - Ekak
    IP Address : 53.224.129.57 (*) Date:17 Sep 2016 -- 04:14 PM

    শিয়োর এগ্রিড।

    2 - Name: rabaahuta

    IP Address : 84.90.235.53 (*) Date:17 Sep 2016 -- 07:09 PM

    "আর 'মতি নন্দী নিজে যে অরাজনইতিক অবস্থান নেন নি' এই লাইনটার নীচে দাগ দিয়ে রাখলাম, সরকারবাড়ির লোকজন অরাজনৈতিক অবস্থান নাও নিয়ে থাকতে পারেন।"

    -- আসলে রবাহুত, আসলে এটা খানিকটা আমার ভুল। সারা পৃথিবীতেই স্টেটাস কুয়োর পক্ষে যাঁরা কথা বলেন, তাঁরা এক ধরণের রাজনীতির কথা অবশ্যই বলেন, কিন্তু অনেক সময়েই ঐতিহ্য / 'আমাদের ইতিহাস' / দেশপ্রেম ইত্যাদির নানা জিনিসকে দলীয় এমনকি মতাদর্শগত রাজনীতির ঊর্দ্ধে নিয়ে যেতে গিয়ে প্রশ্নের ঊর্ধে নিয়ে ফ্যালেন এবং এটা করতে গিয়ে রাষ্ট্রের ভূমিকায় যে এক্সক্লুশন আছে তাকে প্রশ্ন করার অভ্যেশ হারিয়ে ফ্যালেন । তবে আমার যেটা ভুল হয়েছে, সেটা হল রাষ্ট্রের নিজের সরকারী বক্তব্য বা বুলশিটিং আর রাজনইতিক বিশ্বাসের কারণে বা প্রাতিষ্ঠানিক মতইকের কারণে তার পক্ষাবলম্বন এ দুটোর মধ্যে পার্থ্ক্য সব সময়ে করিনি, যদিও তাতে মূল বক্তব্যের ক্ষতি হয় না, তবে আমার এটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল। ধর , মতি নন্দী যখন ক্ষিদ্দা চরিত্রটি কে দিয়ে বলাচ্ছেন, খেলোয়াড় দের সামাজিক নিরাপত্তায় এমনিতে তাঁর আপত্তি নেই, তবে 'আমাদের দেশে সমাজন্তন্ত্র' না থাকার ফলে, (থাকতে অসুবিধে কি, এটার দিকে আর যাচ্ছেন না, কিন্তু না থাকাটাকে ভবিতব্য হিসেবে চালিয়ে দেবার একটা প্রবণতা হতে পারে এই সম্ভবনা টুকুর কথাই বলছি) অন্য পদ্ধতি অবলম্বন দরকার । বা 'পাবলিক একটি লেফটিস্ট ধরণের তো' ইত্যাদি গল্পের মধ্যে থাকলে, যেটা ওপেন টু ইনটারপ্রিটেশন না, সেটা হল কিশোর মনকে রাজনইতিক আলোচনার অনুপযুক্ত মনে করা হচ্ছে না, তবে যেটা অবশ্যই ওপেন টু ইনটারপ্রিটেশন, সেটা হল, লেখকের পক্ষাবলম্বন সাবধানী হতে হচ্ছে কেন ইত্যাদি।

    "এনবিটির বই, রাশিয়ান বইগুলি ইত্যাদি ছিলতো বটেই। তবে সেগুলো আবার মৌলিক বাংলা সাহিত্য নয়, তবে ছোটবেল তাতে কিছু আসতো যেত না।"

    এগ্রিড। আমার কাছে আসলে ছোটোবেলার একটা পার্টে, বড় পরিবার বা আচারে বাঁধা সমাক পরিবার ইত্যাদি রিয়েলিটির পার্ট ছিল না, সেখানে, রাশিয়ান/সোভিয়েত পরিবার, যেখানে একটা বাচ্চাকে খুশি করার জন্য ডক্তারবাবু সারকাসের হাতি আনার প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন, সেটা অনেকটা মজার ইউনিট ফ্যামিলির বাবা মার সানিধ্যের বা ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানের সেকুলার প্রেজেন্স, ইত্যাদি নানা মজার সম্ভাবনা ছিল, যদিও জানতাম আমি অসুস্থ হলেও হাতি আসবে না, যদিও আমার ব্যক্তি হিসেবে গুরুত্ত্ব ভীড়ে হারাবে না। তো একটা অয়্সোসিয়েশন তাতে হয়েছিল। তো আমার ধারণা সময়ের দাগ না লাগা সমাজ/পরিবার আর অলরেডি তৈরী হওয়া পারিবারিক পরিবর্তিত স্ট্রাকচার কোনটাকে কখন কতটাকে শিশু সাহিত্যের গল্পে আনবো, সেটা তো লেখকের চয়েস। তবে এটুকু বলা যায়
    বড় পরিবারের অনেক আত্মীয়ের মজা না পাওয়ার ফলে, যেমন মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি মজা লাগতো, তেমনি অপরিচিতি একটা ছিল, যেটা ভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও সুবিধে হয় নি, সামাজিক উপন্যাস / সামাজিক সিনেমা ইত্যাদি তে আমার একটা অসুবিধ্যে থেকে গেছে , আই ক্যানট রিলেট।

    আমি আসলে অনুবাদ সাহিত্য কে পাঠভ্যাসের মধ্যে রাখার পক্ষে, কারণ সম্পূর্ণ রাজনইতিক, 'অপর' কে জানার একটা সুযোগ, দিগন্ত বিস্তারার্থে। এখন সেটা ট্রাইবাল অপর হলে ভালো হত এ ব্যাপারে সন্দেহ নাই, তাই ডেসপাইট সো মেনি লিমিটেশন্স, একলব্যের মহাশ্বেতা না গৌরী ধর্মপালের লেখা ভুলে গেছি, যখন সন্দেশে বেরোয়, তখন তার দিগন্ত বিস্তার প্রচেষ্টাকে , কলকাতার ট্রাফিক রুল শেখানো র কমিক স্ট্রীপ এর থেকে একটু এগিয়ে রাখতে হয়।
  • h | 213.132.214.87 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৪২718985
  • ****'হিন্দু আনডিভাইডেড ফ্যামিলি' এই ক্যাটিগোরিটা আমার কাছে অনেক দিন অপরিচিত ছিল। মানে ছুটির সময় ছাড়া।
  • h | 213.132.214.87 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৫৪718986
  • ** রাষ্ট্রের ভূমিকায় বা সামাজিক বিন্যাসে এবং ব্যক্তির সামাজিক অবস্থানের মধ্যেও যে এক্সক্লুশন আছে ....
  • h | 213.132.214.87 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩০718987
  • Name: aranya

    IP Address : 83.197.98.233 (*) Date:18 Sep 2016 -- 10:04 AM

    লাল বল লারউড - দারুণ লেখা। থ্যাংকস , মনে পড়ানর জন্য।

    --অরণ্য একসময় বলছিলেন যে, আমোলো-আমেলার বাইরে, তেমন কোন ক্রীড়া সংক্রান্ত লেখা নেই, উপন্যাস নেই, তো বায়োগ্রাফি ভিত্তিক গপ্প যে আছে, সেটা দেখা গেল।

    আমি নেহাত-ই এক সীমিত মস্তিস্ক, নিম্নমেধার লোক - বামপন্হী, দক্ষিণপন্থী কিছুই নই, এই সব পন্থায় বিশ্বাস রাখি না। মানুষকে মানুষ হিসাবেই দেখতে চাই, খোপে ফেলতে চাই না।

    -- বিনয় টিনয় তো ঠিক আছে, অন্তত সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের ভূত যে মাথা থেকে নেমেছে, তাজ্জন্য গুরুচন্ডালির ক্লায়েন এড়ানো ভাটুরে দের পক্ষে দু পয়হা পাওনা হল, দ্যাখা যাছে, অরণ্যের কমেন্টের দৈর্ঘ্য ও ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ছে ঃ-)))) ব্যক্তি মানুষ সম্পর্কে কথা হচ্ছিল না, প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি সংস্কৃতির জগতে নতুন কিসু না এটা বলা হচ্ছিলো। আর কেন বার বার সামাজিক বিন্যাসে , রাষ্ট্রের গঠনে যাঁরা অপাঁক্তেয়, তারা, ঠিক তারাই, কেন এমনকি খেলার মত একটা সর্বত্রগামী বিষয়ে ও উঠে আসছে না, সেটা কে প্রশ্ন করা হচ্ছিলো। কলকাতা লীগে তো শুধু বর্ণ হিন্দুরা খেলেন নি, বাংলা ভাষীরাও সুদু খেলেন নি। তো ভাবতে চেষ্টা করা হছিল, সামাজিক বিন্যাসের সঙ্গে সার্থক উপন্যাসের বিষয়ের চরিত্র নির্বাচনের কোন সম্পর্ক আছে কিনা।

    "হনু একসময় আমেলা-র লেখাপত্তরে রাজনীতি বিমুখতার উল্লেখ করেছিল, এখন আবার বলছে আমেলা-য় প্রকাশিত কোনি-তে 'মতি নন্দী নিজে যে অরাজনইতিক অবস্থান নেন নি, সেটা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য হলাম মাইরি'। সে যাক, স্ব-বিরোধিতা তো থাকবেই।"

    - রাজনীতি, দলীয় রাজনীতি, মতাদর্শগত বিতর্ক, অরাজনীতি হতে চাওয়া রাজনীতি, ইত্যাদি নিয়ে রবাহুত কে দু পয়হা দেওয়া হয়েছে।

    দুটো পয়েন্টঃ

    ১। '"আপনি কি সব কিছুরই, মানে খাওয়া-পরার জন্যও জানোয়ারের মতো কামড়াকামড়ি করে বাঁচতে চান ?"
    "মানুষ হিসেবে নিশ্চয়ই চাই না কিন্তু সুইমিং কোচ হিসেবে, হ্যাঁ চাই । আরামে সব জিনিস পাওয়া যায় না, বুঝলেন, আপনার পাবলিককে বলবেন যে, একটা সুইমারকে খেটে, যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠতে হয় ।"

    - এর থেকে কি মনে হয় মতি-বাবু অর্গানাইজড পলিটিক্স-এর বিপক্ষে ছিলেন? আই মিন, সিরিয়াসলি? এট্টু ফার ফেচড হয়ে যাচ্ছে না?

    --বক্তব্য টা ফারফেচড ছিল না, সিদ্ধান্ত টা ফার ফেচড হয়ে গেল অবশ্যই। আমেলা প্রতিষ্ঠান হিস্বে অর্গানাইজ্ড লেবার পলিটিক্স এর বিরোধিতা করেছেন বলেছিলাম, আর মতি নন্দী রাষ্ট্রের গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে পক্ষাবলম্বন করচেন অথবা সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় গঠন টাকে ভবিতব্য বলে ভাবছেন, সেটা কে রাজনইতিক পক্ষাবলম্বন হিসেবে ভাবা যেতে পারে ৭০-৮০ র দশকের রাজনীতির নিরীখে, এটুকুই বলার চেষ্টা করা হয়েছিল। মতি বাবু ব্যক্তি জীবনে বিবেক মুহ্কোপাধ্যায় ভার্সাস সরকার পরিবার বা সুবোধ ঘোষের ইউনিয়ন ভার্সাস তুশার ঘোষ দের যুগান্তর মালিক পরিবারের শো ডাউনে সাংবাদিক হিসেবে কোন পক্ষ নিয়েছিলেন আমার জানা নেই, কোন খবর থাকলে জানাবেন।

    "অনুবাদ-কে খাটো করছি না, কিন্তু অন্য দেশের অন্য লেখকের অন্য ভাষায় রচিত বইএর অনুবাদ যে কখনো ই নিজের ভাষায় মৌলিক রচনার বিকল্প নয় - এটা তো কমনসেন্স বলেই জানতাম , তাও যদি মাথায় হাতুড়ী মেরে বোঝাতে হয়, সে বড় হতাশাজনক ব্যাপার"

    হাতুড়ী অব্দি যখন এগিয়েছেন, তখন কাস্তে আশতেও দেরি নেই ধরে নিচ্ছি, অথবা হাতুড়ি ব্যবহারের উপযুক্ত স্থান খুঁজে পেতে আরীকটু চিন্তাশীলতা লাগবে এটাও আশা করছি, তবে অনুবাদ ইত্যাদি নিয়ে বক্তব্য রবাহুতো কে বলেছি। ;-)
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৪718989
  • হেমেন রায় পড়তে চাই। সফট কপি আছে কারো কাছে? দিন্না।
  • কান্তি | 113.57.238.235 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:১৫718990
  • তাত্ত্বিক আলোচনায় ঢোকার এলেম আমার নেই।এখানে বাংলা কিশোর সাহিত্যের আলোচনাই চলছিল মনে হয়।তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে বাংলা ভাষায় প্রেমেন্দ্র মিত্র নামে একজন সাহিত্যিক ছিলেন ।বাংলায় তাঁকে কল্পবিজ্ঞানের সাহিত্যের পথিকৃত মনে করা হয়। তিনি শুরুতে কিশোরদের জন্যই এগুলো লিখেছিলেন।রামধনুতে ' পিঁপড়ে পুরান', মৌচাকে 'কুহকের দেশে'। ১৯৪৫ সালে দেব সাহিত্য পূজা বার্ষিকীতে ঘনাদার প্রথম গল্প ' মশা'।এ ছাড়াও পরে ঘনাদার গল্প ছাড়াও আরো বেশ কিছু বিজ্ঞান ভিত্তিক গল্প তিনি ছোটদের জন্যই লিখেছিলেন। আনন্দ থেকে প্রকাশিত প্রেমেন্দ্র মিত্র কল্পবিজ্ঞান সমগ্রের পাতা উল্টালেই বোঝা যায়। তাঁকে নিয়েও দুপয়সা হোক না।
  • h | 213.132.214.85 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:১৮718991
  • প্রেমেন্দ্র মিত্র দীর্ঘ দীর্ঘ দিনে ধরে একটা বিশাল প্রতিভার ফেনোমেনন, এ মানে কোন কথা হবে না। আলোচোনা হোক।
  • কান্তি | 113.57.238.235 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:২২718992
  • বইয়ের হাট (ফেসবুকে) এ একটু খুঁজলেই হেমেন্দ্র কুমারের সফট কপি পেয়ে যাবেন।
  • কুমড়ো | 198.155.168.109 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৯:৫৫718993
  • থ্যাংকস কান্তি। অলরেডি কচ আমাকে লিংক দিয়েছেন। বই নামিয়ে নিয়েছি।
  • rabaahuta | 161.191.175.194 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:২৮718994
  • 'আমি আসলে অনুবাদ সাহিত্য কে পাঠভ্যাসের মধ্যে রাখার পক্ষে, কারণ সম্পূর্ণ রাজনইতিক, 'অপর' কে জানার একটা সুযোগ, দিগন্ত বিস্তারার্থে।', হ্যাঁ সে তো একশোবার, পড়তে তো হবেই, এমনকি অকারনে হলেও, পড়বো না কেন, পাগল নাকি, এইরকম।
    আবাপ/নাবাপ - শীর্ষেন্দু-নিম্নেন্দু - মৌলিক কৃত্রিম ঐসব প্রসঙ্গে পৃথকদৃষ্টিতে দেখছিলাম।
    এমনিতেও ' বাচ্চা গুলাও যা পাজি কখন কি ভাল্লাগে ঠিক নাই।' এইটা বড় কথা। তো সেই হিসাবে অরাজনৈতিক পাঠাভ্যাসের দোষ স্খালনও হলো একটুঃ)

    অল্পপঠিত সাহিত্য আবাপর সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে ছিল না সেই নিয়ে খুব যে দ্বিমত আছে তা নয়, তবে এক তো আবাপ লেখকদের পয়সা দেওয়ার ব্যাপারে পেশাদার ছিল আর আমি সৎ সাহিত্য পড়বো আর বিনিময়ে মানিক বন্দ্যো ঝরঝরে গাড়ি করে হাসপাতাল যাবেন তার থেকে আমি একটু ঢপ পড়বো কিন্তু লেখক দুধে ভাতে থাকবেন এটা আমি বেশী প্রেফার করি, পেটে চাই খাবার নয়তো দিন চলে না দিন চলে না, ক্ষমতাশালী লেখকদের আবাপ তুলে নিয়েছে, নিয়ে মাথাটি চিবিয়ে খেয়েছে অনেক ক্ষেত্রে সেটা অস্বীকার করিনা, তবে তাঁদের ক্ষমতা যে ছিল সেটাই বা ভুলি কি করে, আর নিরাপদ পাখিরার কলমের জোর বিজন ভট্টাচার্যের মত নয় বলে তাঁরা সমান ফিল্ডে থাকেন না, এইটা অবশ্য একটু বাজে ক্থা হয়ে গেল তবে না বলে থাকতে পারলাম না, পীড় ক্ষমা করবেনঃ)

    অন্যত্রও অনেক ভালো লেখা বেরিয়েছে, এমন তো নয় যে আবাপ ছাড়া কোথাও কেউ ভালো কিছু লেখেনি, এমন দাবীও কোথাও নেই, তবে পড়তে তো সবই হবে, আমি অবাপ এবং নাবাপ দুপক্ষকেই নস্যাৎ করার বিরুদ্ধে এই আরকি।

    যদিও দ্বিমতটা যে ঠিক কোথায় ছিল সেটা এখন আর মনে পড়ছেনা তা সে যাই হোক।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৪৮718995
  • থাকো সবে দুধেভাতে আবাপে ও নাবাপে
    প্যাঁচেঘোঁচে পড়ে গিয়ে ভুলিও না মা-বাপে।
    ঃ-)
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৫৮718996
  • একটা ছত্তিশগড়ি ফিল্ম রিলিজ হয়েছিল

    " ঝন্‌ ভুলব আপন মা-বাপ লা"
    --- আমার বাপ-মা কে কখনো ভুলব না।
    গিন্নিকে বলেছিলাম -- মেয়েদের দেখিয়ে দাও, তাহলে শেষবয়্সে দুধেভাতে থাকা যাবে।ঃ))
  • aranya | 154.160.5.102 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৫৯718997
  • আম্মো অনুবাদ সাহিত্য কে পাঠভ্যাসের মধ্যে রাখার পক্ষে, কিন্তু অনুবাদ,বিশেষত বিদেশী গল্পের অনুবাদ কখনো ই নিজের ভাষায় মৌলিক রচনার বিকল্প নয় - এই বক্তব্য থেকে সরার কোন কারণ দেখছি না।

    'শীর্ষেন্দু বাজে লেখক, কারণ তিনি আবাপ-গোষ্ঠীর পত্রিকায় লেখেন' আর 'শীর্ষেন্দু না লিখলে বাংলা সাহিত্যের কোন ক্ষতি হত না' - এই দুটি মহা মূল্যবান 'সাহিত্য সমালোচনা' যে আদ্যন্ত বকোয়াস, সেটা কি হনু স্বীকার করবে?

    এইসব ভয়াবহ 'সাহিত্য সমালোচনা' থেকেই তক্কের শুরু কিনা :-)

    কলকাতাকেন্দ্রিকতা, বর্ণহিন্দুর ডমিনেন্স যা আমেলা-র আগেও ছিল, পরেও আছে - সেগুলো নিয়েও আলোচনা চলুক। কিন্তু ঐ মন্তব্যগুলোর তো আগে একটা ফয়সালা হওয়া দরকার
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৪718998
  • রঞ্জন-দা, 'মরণের ডংকা বাজে' বিভুতিভূষণের লেখা
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৪719000
  • হ্যাঁ, কিন্তু ধীরেন্দ্রলাল ধরের চিন-জাপান যুদ্ধ নিয়ে প্রায় একই ধরণের একটি কিশোর উপন্যাস ছিল। সে বয়সে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ওইটা আগে পড়েছিলাম, পরে বিভুতিভূষণ। নামটা মনে পড়ছে না। ঃ((
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন