এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনুকুল চা্ড্ডি শীর্ষেন্দু ও তার ভাব বিগলিত ক্যালানো কথামালা

    বিশ্লেষন করুন
    অন্যান্য | ২৮ আগস্ট ২০১৬ | ১৪০৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • BCP | 127.194.194.112 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৫719001
  • সাংবাদিকতা-সাহিত্য পাঠক হিসেবে খবরের কাগজের ভাষায় গোল গোল গপ্পো পড়ে দুপুরের ভাতঘুম প্রিয় সুখী জীবন-যাপন অভ্যেস করানো একটা রাজনীতি।

    ভাষাকে আক্রমণ না করে; নিজের ভাষা তৈরি না করে; পাঠককে আক্রমণ না করে; পাঠককে অস্বস্তি অসহায়তা ক্ষোভের মুখে দাঁড় করিয়ে তার আর্থসামাজিক অবস্থান, তার সমকালীন পারিপার্শ্বিক রাজনীতির গোপন ছোবলগুলো নগ্ন করার চেষ্টা না করে - ফীল গুড ভাষায় ফীল গুড প্লটে পরকীয়া আর মিডলাইফ ক্রাইসিসের ছদ্মসংকটকে ঘিরে দিনের পর দিন বছরের পর বছর রোমন্থনের মাধ্যমে অগভীর সহজ-সুখী পাঠককুল তৈরি করে চলা একটা রাজনীতি।

    এক একটা পত্রিকার এক এক ধরনের টার্গেট রীডারবেস থাকে। উল্টোরথ, প্রসাদ এর যেমন ছিল, আনন্দলোক, সানন্দা, উনিশকুড়ির যেমন আছে। সমসাময়িক সাহিত্যপত্রিকাদের চেয়ে বেশি কাঞ্চনমূল্যে লেখা কিনে নেওয়া হচ্ছে বলে লেখকের কৃতজ্ঞতাই বলুন বা টার্গেট পাঠকের সম্ভাব্য নেগেটিভ ফীডব্যাকের জেরে শারদসাহিত্যবাজার থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ভয়ই বলুন বা অর্থনৈতিক / জনপ্রিয়তার ইনসিকিউরিটিই বলুন - পরীক্ষানিরীক্ষার থেকে দূরে সরতে থাকা, পপুলার বা অ্যাক্সেপ্টেড প্লট ও ফর্মের পুনরাবর্তন মাসমাইনের বাধা লেখকদের ভবিতব্য হতে বাধ্য। শিবাশিস যখন লেখেন "মাইনে পাও বলে তুমি, তুমিও কি ভাঙতে ভুলে গেছ" আমরা জয় গোস্বামীর চোখের দিকেই তাকাই, গত প্রায় দশকব্যপী যে চোখ পাথরের। প্রতিষ্ঠান এভাবেই লেখক দের গিলে থাকে। সুনীল শীর্ষেন্দু বিমল শংকর সমরেশ বুদ্ধদেব যেভাবে লক্ষ লক্ষ পাঠকের সংবাদপত্র পাঠাভ্যাসের সাথে নিজেদেরকে অফার করতে করতে বৈশিষ্ট্যহীন বৈচিত্র্যহীন রিপিটেটিভ ক্লান্তিকর মিডিওকার হয়ে উঠেছেন, ক্রাইসিস বিহীন নিশ্চিত জীবনের দিকে ঝুঁকে থাকা ফরমায়েশি কলমের থেকে তার চেয়ে বেশি কিছু আশাও করা যায় না। সামগ্রিকভাবে কমার্শিয়াল বাংলা সাহিত্যের প্রায় সমবয়স্ক প্রতিষ্ঠানবিরোধীতার এতাবৎকালের ইতিহাস সেই কথাই বলে।

    ছোটো পত্রিকা জন্মের গত প্রায় শতাব্দীকালের 'দ্রোহাভ্যাস' ও সেই কথাই বলে।

    কথাগুলো কোনোটাই নতুন নয়। ৩০০ কপি লিটিল ম্যাগাজিনের পাঠকের তুলনায় দৈনন্দিন ১২ লক্ষ সার্কুলেশনের পাঠকের স্বর ও জোরালোই হওয়ার কথা, অন্তত এইভাবে তৈরি করে দেওয়া রুচীর সপক্ষে উদ্ধত দর্পিত ও শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। তবু আজও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস লিখতে হলে ছোটো পত্রিকার কমলকুমার ও অমিয়ভূষণের নাম প্রবল-বিক্রিত বিমল মিত্র শংকর বা বুদ্ধদেব গুহের চেয়ে একটু বেশি সম্ভ্রমের সাথে লেখা হবে। নবারুণ ভট্টাচার্য সুবিমল মিশ্র সন্দীপন বা উদয়ন বেস্ট ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ডের নমিনেশনে থাকবেন যখন জনমনোরঞ্জনের পপুলারিটি সার্কাসে আইটেম নাম্বার নাচছেন কারা আমরা জানি।
  • h | 212.142.75.228 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৫719002
  • জন মনো রন্জন কেও আরেক্টু দাক্ষিন্য দেখানো যেত যদি বৈচিত্রের ভাষার চরিত্রের পটভুমীর বৈচিত্রের একটা নিরীক্ষা থাকতো। কমারশিয়াল ইন্টারেস্ট এই তো বম্বে তে সেমুল অরিন্দম একটা ক্র্যাস ফর্ম কে কিছুটা জায়গা দিতে হয়েছে। শোকের অল্প আগে পোরেই তো অমর আমার অ্যান্টনি তৈরী হতে হয়েছে। আর্বানিটি থাকবে কিন্তু তারা সবাই চুল আন্চাড়ে মহাকরন জাবে বা পরিবরিক সম্কটের কথা ভাব বে এ মানে বিচিত্র। আর পপুলারিটির মাপকাঠি অবশ্য খুব ই ডেন্জারাস। এই মুহুর্তে বলা জায় না আমি হয়তো জীবনানন্দের থেকে ক্লিক কাউন্টে এগিয়ে মানে ব্যাপারটা প্রায় এতো টাই রিডিকিউলাস।
  • h | 212.142.75.228 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৮719003
  • সেকুলারিজম শব্দ টা কি জেন অরিন্দম হয়ে গেল। ক্লন্তেন আর কপাল দুই ই একসাথে পুড়ছে ;-))))))))
  • h | 212.142.75.228 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৯719004
  • ***ক্লায়েন
  • h | 212.142.75.228 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫০719005
  • ****শোলের অল্প আগে পরে অমর আমার অ্যান্টনি
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:২৮719006
  • BCP-র পোস্ট-টা কিশোর সাহিত্যের ক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে প্রযোজ্য - যখন কমলকুমার, অমিয়ভূষণ, নবারুণ ভট্টাচার্য সুবিমল মিশ্র সন্দীপন বা উদয়ন এরা কেউই ছোটদের জন্য কিছু লেখেন নি?

    অবশ্য লিখেছেন, আমি মিস করে গেছি, তাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে নাম দেওয়া হোক
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৩৪719007
  • 'তবু আজও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস লিখতে হলে ছোটো পত্রিকার কমলকুমার ও অমিয়ভূষণের নাম প্রবল-বিক্রিত বিমল মিত্র শংকর বা বুদ্ধদেব গুহের চেয়ে একটু বেশি সম্ভ্রমের সাথে লেখা হবে-

    - এটা, মানে কে বেশি সম্ভ্রমের দাবিদার, ঠিক কীভাবে ডিসাইডেড হবে - যে যত কম সার্কুলেশনের পত্রিকায় লিখবে সে তত বেটার লেখক - এইরকম কিছু?

    'প্রতিষ্ঠান এভাবেই লেখক দের গিলে থাকে'

    - চালু মিথ। সব সময়েই কি সত্য - সব প্রতিষ্ঠান এবং সব লেখকদের ক্ষেত্রেই?

    টাইমস গ্রুপের 'এইসময়' পত্রিকা কি তার লেখকদের সবাইকে একইভাবে গিলে নিচ্ছে?
  • rabaahuta | 84.90.235.53 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৩৬719008
  • ব্যতিক্রমী ও প্রথাভাঙা, বা অন্যভাবে, পৃথক প্রথা তৈরী করা লেখকরা যে বেশী মনোযোগের অধিকারী, আর সাহিত্যমূল্য যে জনপ্রিয়তা দিয়ে বিচার হওয়া উচিত নয়, এই নিয়ে তো কোন দ্বিমত এই টইয়ে চোখে পড়েনি।

    তবে রক্ষণশীলদের এক্কেবারে নস্যাৎ করে দেওয়াটা উন্নাসিকতা মনে হয় আরকি, মানে শীর্ষেন্দু তাঁর শৈলীর জন্যে প্রশংসনীয় ও রিগ্রেসিভ চিন্তা ভাবনা ও তার সাটল প্রচারের জন্যে নিন্দনীয়, সুনীল আত্মপ্রকাশের জন্যে প্রশংসনীয় আর পরের হ্যাজের জন্যে উপেক্ষনীয়। নবারুণ সুবিমল নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকার জন্যে প্রশংসনীয়। দশে মিলে করি কাজ ইত্যাদি আরকি, শীর্ষেন্দুনিন্দায় আমার পরান কাঁদছে বলে আমি (যতদূর বুঝছি, এবং অন্যান্য 'ছোটবেলাপ্রিয় বড়দের'ও, এই কথাটা চমৎকার হয়েছে) 'প্রতিষ্ঠান বিরোধী' (এই শব্দবন্ধ নিয়ে আমার খুঁতখুঁতুনি আছে যদিও) লেখকদের সম্মান করতে বাঁধছে বা পড়ছি না তেমন কোন ব্যাপার নেই।

    যাউগ্গা।
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:৫৪719009
  • এই লেখক-টু-লেখক তুলনা, দিনের সেশে, একেবারেই সাবজেক্টিভ -পাঠকনির্ভর। আমার যেমন কমলকুমার-এর 'মতিলাল পাদ্রী' ছাড়া আর কিছু তেমন ভাল লাগে নি, সন্দীপন-এর গুটিকয় লেখা বাদ দিলে রিপিটেটিভ মনে হয়েছে।

    শীর্ষেন্দু-কে নিয়ে মিনিময় শুরু হয়েছিল।

    তো শীর্ষেন্দু সম্বন্ধে আমার মন্তব্য - 'মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, গোঁসাইবাগানের ভুত, হেতমগড়ের গুপ্তধন, পাগলা সাহেবের কবর, গৌরের কবচ, হারানো কাকাতুয়া, ভুতুড়ে ঘড়ি, বক্সার রত্তন, নৃসিংহ রহস্য - আরও বেশ কটা, তার মধ্যে সিবি-র ঐ চার্চে মেয়ে-র সাথে বলের খেলাটাও আছে, শীর্ষেন্দু বাংলা কিশোর উপন্যাসে যা হুলুস্থুলু একটা কান্ড ঘটিয়ে গেলেন - আগে হয় নি, আর পরেও হবে কিনা সন্দেহ'

    আর হনুর মন্তব্য - ''শীর্ষেন্দু না লিখলে বাংলা সাহিত্যের কোন ক্ষতি হত না'

    তো কে ঠিক কীভাবে নিরুপণ হবে ? অথবা, সত্য হয়ত এ দুই-এর মাঝামাঝি কোথাও।

    আবার ধরা যাক, প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্বন্ধে, হনুর উক্তি -

    'প্রেমেন্দ্র মিত্র দীর্ঘ দীর্ঘ দিনে ধরে একটা বিশাল প্রতিভার ফেনোমেনন, এ মানে কোন কথা হবে না'

    - আমি প্রতিভার ব্যাপারে একমত, 'কোন কথা হবে না' - এই পার্টটায় নই।

    কোন পাঠকের চোখে একটা লেখা ভাল বা খারাপ লাগলে তার কাছে সেটাই সত্য।

    কিছু অলৌকিক ক্ষমতাবান পাঠক আবার লেখকের জাস্ট দু-একটা লেখা পড়েই সামগ্রিক ভাবে তার লেখালেখি সম্বন্ধে জাজমেন্ট দিয়ে বলবেন যে অমুক না লিখলে বাংলা সাহিত্যের কোন ক্ষতি হত না

    সবই যেহেতু ব্যক্তি পাঠকের পছন্দ অনুযায়ী, এই টই আরও বছর খানেক চললেও কোন সর্বজনগ্রাহ্য সিদ্ধান্তে আসা যাবে না
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:১৪719011
  • এই টই থাকবে বিভিন্ন অনু সিদ্ধান্তের কম্পেন্ডিয়াম হয়ে।ঃ)))
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৩৪719012
  • পুরনো আমেলা-র টইতে এই পোস্ট-টা চোখে পড়ল

    - 'মতি নন্দীর জীবন অনন্ত- যদিও এটা ততো পুরনো নয়, আশির শেষ বা নব্বই এর শুরুর- আর কলাবতীর উপন্যাস গুলো? স্টপার, স্ট্রাইকার এগুলো-ও তো সব পুজোসংখ্যা! আর অসাধারন ছোটো গল্প লেখা হতো তখন- 'শ্রী থেকে চন্দ্রবিন্দু' কারো মনে পড়ে কী? বা, 'মেমকাকিমা'? ভীশান সাধারন বিষয়, অসাধারন লেখা ছিল- দুটো ই পুজোসংখ্যায় বেরিয়েছিলো- শৈলেন ঘোষ এর উপন্যাস ভুতের নাম আক্কুশ- সুনীল শীর্ষেন্দু সঞ্জীব সত্যজিত (শঙ্কু) সবাই সাঙ্ঘতিক ফর্ম এ তখন- টিনটিন এর অনুবাদ ছিল অসাধারন! কোনি কি অনন্দমেলা তে বেরিয়েছিলো? শীর্ষেন্দুর গৌরের কবচ- অসাধারন জায়গাটা ছিলো "রাঘবের চুলে অরশোলা"! '

    তো ওপরের পোস্টে একজন লিখছেন - " সুনীল শীর্ষেন্দু সঞ্জীব সত্যজিত (শঙ্কু) সবাই সাঙ্ঘতিক ফর্ম এ তখন"

    এদিকে BCP লিখেছেন - 'সুনীল শীর্ষেন্দু বিমল শংকর সমরেশ বুদ্ধদেব যেভাবে লক্ষ লক্ষ পাঠকের সংবাদপত্র পাঠাভ্যাসের সাথে নিজেদেরকে অফার করতে করতে বৈশিষ্ট্যহীন বৈচিত্র্যহীন রিপিটেটিভ ক্লান্তিকর মিডিওকার হয়ে উঠেছেন, ক্রাইসিস বিহীন নিশ্চিত জীবনের দিকে ঝুঁকে থাকা ফরমায়েশি কলমের থেকে তার চেয়ে বেশি কিছু আশাও করা যায় না'

    এর থেকে কী এরকম সিদ্ধান্তে আসব - সুনীল, শীর্ষেন্দু বৈশিষ্ট্যহীনতা, বৈচিত্র্যহীনতা ইত্যাকার বিবিধ হীনতায় আক্রান্ত হওয়ার আগে প্রাতিষ্ঠানিক পত্রিকা আমেলা-য় ভাল কিছু লেখাও ক্রাইসিস বিহীন নিশ্চিত জীবনের দিকে ঝুঁকে থাকা ফরমায়েশি কলম দিয়ে লিখেছিলেন?

    নাকি তাদের যাবতীয় লেখাই বকোয়াস, তারা না লিখলেও বাংলা কিশোর সাহিত্যের কোন ক্ষতি হত না?
  • কান্তি | 113.57.239.194 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:০৬719013
  • ঘনাদার গল্প বা অন্যান্য কল্পবিজ্ঞানের লেখার আগে বিষয় নিয়ে যথেষ্ট পড়াশুনো করতেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। কিন্তু পরবর্তী কালে বহুল জনপ্রিয় সাহিত্যিকেরা যখন ছোটদের জন্য ঐ জাতিয় গল্প লিখে হাততালি পেয়েছেন তখন তারা শুধু কল্পলোকেই উড়েছেন। সত্যজিতকে বাদ দিয়ে বলছি।

    আর একটা মজার ঘটনা মনে পড়ছে। আবাপ যখন একে একে সম্ভাবনামা-ময় সাহিত্যিকদের বঁড়শিতে গেঁথে তুলে নিচ্ছে তখন একটি সল্প প্রচারিত ছোট কাগজে বরেন গংগোপাধ্যায় একটি ছোট গল্প লিখেছিলেন। নাম সম্ভবতঃ ' কফিহাউস '। বিষয় ছিল- এক সন্ধায় উদিয়মান সাহিত্যিকেরা যখন কফিহাউসে সান্ধ্য আড্ডায় মগ্ন তখন হঠাত আলো নিভে যায় এবং একটি অতিকায় ,কালো, দৈত্যাকার প্রাণী সেখানে ঢুকে পড়ে আর টপাটপ একে একে সেই উদিয়মান দের গিলে খেতে থাকে। লেখক, সেই দলেরই একজন, বাঁচবার জন্য পেচ্ছাপ-খানায় ঢুকে পড়েন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাকেও গিলে খায় সেই অতিকায়। এখানে খুব স্পস্ট ইংগিত ছিল সেই অতিকায়টি কে। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য আলো জ্বলে ওঠে।
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩১719014
  • এই বঁড়শি-তে গাঁথা লেখক-দের মধ্যে সবচেয়ে খাজা বলে যাকে ভাবা হয়, বু গু-র কথাই কইছি আর কী - তারও অ্যালবিনো, গুগুনোগুম্বারের দেশে, নিনিকুমারীর বাঘ, মউলির রাত, বনবিবির বনে, ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে, অন্য শিকার - এই ঋজুদা কাহিনীগুলো বেশ ভাল লেগেছিল, মনে পড়ে।

    বড় বোদ্ধারা নিশ্চয়ই বলবেন, বু গু না লিখলেও বাংলা সাহিত্যের কোন ক্ষতি হত না।

    পাঠক হিসাবে আমার ক্ষতি হত - এটুকু বলতে পারি।
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৮719015
  • প্রেমেন মিত্রের ঘনাদা-র গল্পগুলো ভাল লাগত, মামাবাবু সিরিজটাও।

    অসাধারণ লেগেছিল উপন্যাস 'সূর্য কাঁদলে সোনা"।

    জানি না, এখন পড়লে কেমন লাগবে। মন এত বদলে যায় ..
  • BCP | 127.194.199.142 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:১২719016
  • অরণ্যদা শিশুকিশোর সাহিত্য আর বাংলা সাহিত্য এক ব্র্যাকেটে এনে গুলে ঘেঁটে কনফিউজ করছেন কেন মাইরি?

    আমার দাবি প্রথমত এই তিনটে জিনিস আলাদা প্রেমিসে আলোচিত হোক।

    দুই, শিশুসাহিত্যের আর কিশোর সাহিত্যের আলাদাভাবে কি আবশ্যক ও সাধারণ লক্ষণ ও গুণাবলী হওয়া উচিত আলোচনা হোক আবাপ সাহিত্যকে ইয়ার্ডস্টিক না ধরে বা অন্যান্য ভাষা ও দেশের থেকেও উদাহরণ এবং কম্পারিজন এনে।

    কয়েকটা জেনারেশন ব্যপী চিন্তাহীন সচেতনতাহীন সংকটহীন বিশ্লেষণহীন ছদ্ম-অরাজনৈতিক ক্যাপিটালিস্ট কিশোরসাহিত্য রচনার ও লক্ষ লক্ষ ঘরে সেগুলো ক্রমান্বয়ে ইনজেক্ট করে গড়ে তোলা অনিবার্য এই অভীষ্ট জনসমাজ নিয়ে আলোচনা হোক। তার পিছনের কনজিওমারিস্ট অভীপ্সা নিয়ে আলোচনা হোক। ব্যক্তিগত ভালোলাগা নিয়ে এগোতে থাকলে রসময় গুপ্ত ফেমিনা ডেবোনিয়ার ফিফটি শেডস আর পর্ন ইন্ডাস্ট্রীতে কনভার্জ করতে পারে বা ধরুন সুখেন দাস হরনাথ চক্কোত্তি বা মেইনস্ট্রীম কমার্শিয়াল সিনেমারাশি। শিশুসাহিত্যের মোটিফকে সফলভাবে দীর্ঘকাল কিশোরদের মধ্যে চারিয়ে দিয়ে বা চমক ও প্লট নির্ভর গোলগল্প লেখালেখির অনিবার্য ফল নিয়ে কথা হোক?
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২৬719017
  • 'অরণ্যদা শিশুকিশোর সাহিত্য আর বাংলা সাহিত্য এক ব্র্যাকেটে এনে গুলে ঘেঁটে কনফিউজ করছেন কেন মাইরি'

    - এর কারণ হল শীর্ষেন্দু-র কিশোর উপন্যাসের পরিপ্রেক্ষিতে করা হনু-র 'সাহিত্য সমালোচনা' - শীর্ষেন্দু না লিখলেও বাংলা সাহিত্যের কোন ক্ষতি হত না।

    হ্যাঁ, আলোচনা হোক।

    তবে তোমার পর্যবেক্ষণ গুলো - 'ফরমায়েশি কলমের থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না', 'কয়েকটা জেনারেশন ব্যপী চিন্তাহীন সচেতনতাহীন সংকটহীন বিশ্লেষণহীন ছদ্ম-অরাজনৈতিক ক্যাপিটালিস্ট কিশোরসাহিত্য..' - কোন ধর্মীয় নেতার সারমন-এর মত শোনাচ্ছে :-)
  • aranya | 154.160.5.102 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫০719018
  • এই টইটা কিশোর সাহিত্যের আলোচনার জন্যই থাক।

    সুতরাং 'কমলকুমার, অমিয়ভূষণ, নবারুণ ভট্টাচার্য সুবিমল মিশ্র সন্দীপন বা উদয়ন' - এই নামগুলো আলোচনায় আসবে না।

    অন্য ভাষা ও দেশ থেকে উদাহরণ আসতেই পারে, তবে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত মৌলিক গল্প, উপন্যাসের উদাহরণ এলে আরও ভাল।

    এই চিন্তাহীনতা, সচেতনতা হীনতা ইত্যাকার বিবিধ হীনতা নিয়ে কিছু কচলানি তো এই টইতে আর ভাটে ইতিমধ্যেই হয়েছে।

    কয়েক জেনারেশন ব্যপী ক্যাপিটালিস্ট ষড়যন্ত্র শুরু হওয়ার আগে বাংলায় প্রচন্ড চিন্তাশীল কিশোর সাহিত্যের বান ডেকেছিল আর হঠাৎ করে সব লেখকরা বিক্কিরি হয়ে গিয়ে চিন্তাহীন লেখা লিখতে শিরু করলেন, এমন কিছু উদাহরণ তো আসে নি।
  • BCP | 69.160.210.3 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৬719019
  • সুনীল লেখক ছিলেন যখন তিনি কৃত্তিবাস করছেন, বিদ্রোহ করছেন, ভাষা খুঁজছেন, প্রকাশভঙ্গি খুঁজছেন, নতুন কিছু করছেন। শীর্ষেন্দু যদি জীবনে একটিও মনে রাখার মত কিশোর সাহিত্য রচনা করে থাকেন তো সেটা "বনি"। সত্যজিৎ রায় বহু রকমারি মজার বিচিত্র চমকপ্রদ গল্প লিখে থাকলেও সাহিত্যসৃষ্টি কিসু করেন নি। সিনেমাও একটিই বানিয়েছেন, "অপরাজিত"। বুদ্ধদেব গুহর কন্ট্রিবিউশন বাংলাসাহিত্য সৃষ্টির নিরিখে জিরো। নেন, আরো কিছু সারমন দিলেম।

    আবাপ সমকালীন বা পূর্বসূরী কিশোর সাহিত্য নিয়ে অলোচনা করতে গেলে প্রাথমিকভাবে পাঠস্বল্পতার অভিযোগ উঠবে, বরং রামধনু রংমশাল পড়া শেষ হলে পাঠপ্রতিক্রিয়ার সাথে আরো বাইশটা কিশোরসাহিত্য পত্রিকার নাম, তাদের নিয়ে প্রবন্ধ ও যা অদ্যাবধি আর্কাইভ পাওয়া যায় তার লিংক দেওয়া যেতে পারে। চাট্টি চাঁদমামা, কিশোর ভারতী, কি জ্ঞান বিজ্ঞান, শুকতারা, আমেলার চশমার মধ্যে দিয়ে বাংলা ভাষার কিশোর সাহিত্য সম্বন্ধে সামগ্রিক আলোচনা তো সম্ভব নয়, তাই না? বরং শুকতারা-কিশোর ভারতী বনাম আমেলার কৈশোরস্মৃতিসম্বল ছদ্মযুদ্ধ চলতে পারে।

    আমি তক্কাতক্কি হলে একটু হাই পীচে কথা বলে থাকি, কার সাথে কথা বলছি নিরপেক্ষে। সাধারণত নতুন নিক ও নিয়ে থাকি যাতে পূর্বপরিচিতির হ্যাংওভার না রেখে, দুপক্ষই চাঁছাছোলা বক্তব্য রাখতে পারে, অন্তত যতক্ষণ না পরিচিতি ডিসক্লোজড হয়ে পড়ে। বক্তার পূর্বপরিচয়এর বদলে বক্তব্যের কাউন্টার প্রেফার করি, ব্যক্তি আমি-র অন্য প্রেক্ষিতে নেওয়া অব্স্থানের সাথে বর্তমান বিষয়ে নেওয়া অবস্থানের কনট্রাডিকশন এড়ানোর জন্য। এক্ষেত্রে সেগুলো সম্ভব হচ্ছেনা বলে আলাদা করে টোনে কনসেন্ট্রেট করে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়ে বক্তব্যে নজর রাখতে অনুরোধ। যদিও বক্তব্য কিসুই নতুন নয়, এই কথাগুলি আগেও অনেকেই অনেকভাবে বলেছেন হয়তো।
  • সারমন | 181.25.193.132 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৪১719020
  • এসব তক্কাতক্কি, জয় লিখে গেছেন - ড্র খেলা দেখার মত । কেউ কারো মত মানবে না । কেউ বলবে বনি, কেউ পটাঙ্গ, কেউ মনোজ ।
    তার চেয়ে BCP বরং শ্যামাদাস দে-র রুনুর গল্পগুলোর সন্ধান দিন । কিশোরভারতী থেকে ।
    আর দুটো গল্প - 'শঙ্খু' (একটা শঙ্খচূড় সাপ পোষার গল্প) আর 'বুম্বা ছুঁতে পারে না' - এগুলো কোনো শারদীয়ায় বেরিয়েছিল (কিশোর মন কি?) ।
    দেখুন দিকি ।
  • h | 213.132.214.88 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৪৪719022
  • Name: ranjan roy

    IP Address : 132.176.179.18 (*) Date:18 Sep 2016 -- 02:16 PM

    "আচ্ছা।
    এটা বলা যেতে পারে কি বিশুদ্ধ রাজনীতি বর্জিত বায়বীয় লেখা হওয় সম্ভব নয়, সে জাদুকর ম্যানড্রেক বা অরণ্যদেব হলেও? অনেক সময় লেখকের অজান্তে, হয়ত অবচেতনে?
    কারণ আমরা বিভিন্ন সামাজিক অবস্থানে কোন না কোন স্ট্যান্ড নিতে বাধ্য? সচেতন ভাবে চাই বা না চাই ?
    স্পষ্ট রাজনৈতিক মতবাদ বা ভ্যালুজ প্রচারের উপন্যাসের কথা আলাদা।"

    রঞ্জন দা একটা রিকন্সিলিয়েশন অ্যাটেম্প্ট করছেন ভালো কথা, অন্তত এভিডেন্স নেই বলে দাবী করছেন না, মানে অন্ধ না হলে অবশ্য করা মুশকিল। গহীন রাতের চক্রান্ত আছে কেউ দাবী করে নি, কিন্তু কি যাদুতে অর্গানাইজ্ড লেবার বিরোধী সাগিনা মাহাতো(গৌর কিশোর), বামপন্থী আন্দোলনের নেতার লুম্পেন হওয়া পুত্রের র‌্যান্টিং এবং তার পেছনে লেখকের সহানুভূতি, গ্রামীন বা খনি রাজনীতিতে সংগঠিত রাজনীতির সমস্যা নিয়ে একের পর এক গল্প বেরোচ্ছে সেটা স্পষ্ট নয়, মতাদর্শ বলে কিছু আছে এটা যেহেতু অনেকে শিকার করেন না, তাই মতামত এর ঐক্য হতেই পারে। অর্থনইতিক কারণে ঐ ঐক্য আসলে আনুগত্য বা আর্থিক নিরাপত্তার মাশুল কিনা তার জন্য বেশি দূর না, সমরেশ বসুর ট্রান্সফর্মেশন দেখাই যথেষ্ট, তবে এটা মেনে নিতে অসুবিধে নেই, আর্থিক নিরাপত্তা, বাংলা সাহিত্যের বড় বাজার, পাবলিশারের পেশাদারিত্ত্বের অভাব, পাতি পয়সা মেরে দেওয়ার গল্প, নতুন লেখা ছাপানোর কম সাহস, বাংলা প্রকাশনার জগৎ এই দিয়ে ভরা না হলে অনেকেই হয়তো অন্য রাস্তা নিতেন, আর এই একই 'মার্কেট কন্ডিশনে' অনেক লোক ই ও রাস্তায় হাঁটেন নি।

    "সুনীলের 'গরম ভাত' নামের ছোটগল্পটি তো দেশ পত্রিকাতেই বেরিয়েছিল। সমরেশ বসুর "শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে", "যুগ যুগ জীয়ে" , " মানুষ রতন", তারপর রুইতন কুর্মিকে নিয়ে রাজনৈতিক উপন্যাস ? সব দেশ পূজোসংখ্যার। আবার এমার্জেন্সির বিরুদ্ধে উপন্যাসটি নাম ভুলে গেছি ( বাঁজা খেলে খোজা হবি, খাসি হলে কেটে খাব'' শ্লোগানটি ছিল), অথবা 'ওদের বলতে দাও"।
    এখন মা শেতলার কাছে গিয়ে পূজো দিয়ে পরীক্ষা পাসের আসা করা কেন?"

    রঞ্জন দা , সম্ভবতা ইচ্ছাকৃত ভাবেই, একই চক্রবৎ যুক্তিতে ফিরে যাচ্ছেন, এটা ব্যক্তি লেখকের গল্পের খুব বেশি না, সকলেই প্লেস হোল্ডার হতে পারেন, একটি গল্প ভালো বা খারাপ এর দিক না, সামাজিক বিন্যাসের প্রতিনিধিত্ত্বের দৃষ্টিভঙ্গে দেখলে, রাষ্ট্রীয় কাঠামো য় ক্ষমতায়ন এর প্রেক্ষিত টি দেখলে, সাহিত্য রচনা গুলি কোন রাজনইতিক অবস্থান গ্রহণ করছে কিনা সেটা দেখা, বা গ্রহণ না করে, আসলে স্টেটাস কুয়ো কে ই ভবিতব্য বলে চালাচ্ছে কিনা সেটা দেখা, পরিবর্তন প্রচেষ্টা যা দেখা যাচ্ছে, তাতে সংগঠিত উদ্যমের বদলে, একলা আদর্শগত বিশুদ্ধতা/নিঃসংগতার ইত্যাদির আড়ালে আসলে অর্গানাইজ্ড পলিটিক্স এর বিরোধিতাই করা হচ্ছে কিনা, বা রাজনইতিক আলোচনা কে সামাজিক ঐতিহ্যের পরিপন্থী বলে চালানো হচ্ছে কিনা, সেটা দেখা এবং এর সঙ্গে আধিপত্যের যে রাজনীতি তার সম্পর্ক আছে কিনা দেখা, এবং রাজনইতিক আদর্শ যে একটি সাম্স্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে থাকতেই পারে এবং এটা যে পৃথিবীতে বার বার হয়েছে সেটা দেখা। সংবাদ মাধ্যম রাজনইক পক্ষাবলম্বন করেই থাকে, সংবাদ প্রতিষ্ঠান ও করে থাকে, তাতে করে সব সময়ে তাদের বুক অফ রেকর্ড্স এর সম্মান হারায় না, তেমন ই , তারা যদি সাহিত্য প্রকশনা সংস্থার নামে এক ধরণের নির্দিষ্ট অভিমুখেই এগোয়, প্রকরণে সামান্য তারতম্য সত্ত্বেও তাহলে তাকে ব্যক্তি মালিকের না, প্রতিষ্ঠানের রাজনীতি হিসেবেই দেখা ছাড়া উপেক্ষা বা পলায়নএর উপায় কম। এক অন্ধত্ত্ব ছাড়া।

    "আসলে বাস্তব জীবন বেশ জটিল; অত সহজে ছাঁচে ফেলা যায় না। তাই উৎপল দত্ত একবার পুরস্কার প্রত্যাখান করেও কয়েক বছর পরে একই সরকারের হাত থেকে অনায়াসে ভরত পুরস্কার নিয়ে নেন। কোলকাতায় দুঃস্বপ্নের নগরী নাটক করেন। তারপর লালকেল্লায় গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে টোটা নাটক করেন।
    দেশ পত্রিকায় উৎপল দত্তের বেশ কয়টি নাট্যপ্রবন্ধ ও "নীলকন্ঠ" নাটক প্রকাশিত হয়েছে।
    এই তো জীবন কালীদা!"

    কালীদা বহু মানুষের বহু ওঠা পড়াই দেখেছেন, তাতে প্রতিষ্ঠানের রাজনীতি কিসু কমে নি, তার ভিত্তি গুণীজনের আনুগত্য আছে না মতইক্য আছে সে বিতর্ক তোলা থাক।

    অশোক মিত্র প্রচুর বই পত্তর লিখে, কেরালায় বাজেট করে, এগ্রিকালচার প্রাইস কমিশন করে, প্যাপিরাসে কবিতা থেকে মিছিলে মেমোয়ার ছাপিয়ে বিখ্যাত হওয়ার পরে, আবাপ র কলামনিস্ট হন, তো তাতে তাঁর ভূমিকা কি নির্দিষ্ট হয়, একেবারে ভোটের সময় ছাড়া, বামপন্থীদের নিন্দে করা, এখন এটা প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির সঙ্গে মতইক্য না আনুগত্য জানি না, তবে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির এভিডেন্স নিঃসন্দেহে। আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যাক, প্রতি বছর ই শংকর গুহ নিয়োগীর পরিধান দিবসে, চালু বড় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির সীমাবদ্ধতা বিষয়ে প্রবন্ধ বেরোয়, গুহ নিয়োগীর অক্লান্ত অবদান, অর্থনইতিক দাবী দাওয়া আদায়ের সংগঠন থেকে বিকল্প ধারার সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্রেড ইউনিয়ন কে গড়ে তোলার গুরুত্ত্ব ইত্যাদি নিয়ে সংবেদন্শীল প্রবন্ধ ছাপা হয়, সফ্ট অপ এড হিসেবে, অনেক বড় কাগজেই হয়, কিন্তু তাতে ট্রেড ইউনিয়ন স্ট্রাইকে মানে বাড়ানো, মহিলাদের ইকুয়াল পে বা প্রেগনান্সি লিভের লড়াই এর প্রতি সমবেদনা হার্ড নিউজ সেকশনে বিশেষ পাওয়া যায় কি? তো এই খবরের অভিমুখ আর নিজের খবরের অভিমুখ কে গ্রহণযোগ্য করে তোলার মূল উদ্দেশ্যেই সফ্ট অ্যাকোমোডেশনের লাইন নেওয়া, কালীদা এটা দ্যাখেন নি বলে মনে হয় না। একাকী বামে রা অনেক সময়ে সংগঠিত বামেদের তুলনায় বেশি গুরুত্ত্ব পেয়েছেন, সাগিনা মাহাতো থেকে কাটোয়ার সফি দা, প্রসেনজিত বোস অব্দি, বক্তব্য নিরপেক্ষে। কালীদা ইগনোর করেন নি আশা করি। তাই দিয়ে প্রতিষ্ঠানের রাজনীতি উবে যায় না, আর ব্যক্তি গত কন্ট্রিবিউটর দের কপ্লিসিট বলা না গেলেও অন্তত এটা বলতে হয়, তাঁরা হয়তো নিরুপায় হয়েই বড় মিডিয়ায় যাচ্ছেন, নিজেদের কথা বলার জন্য। কিন্তু সাহিত্য রচনা একটু অন্য জিনিস, এতে শুধু পক্ষাবলম্বন না, দলীয় রাজনীতি, না ইসু ভিত্তিক এগোনো পেছোনো না, এতে ভাষা, ইতিহাস, সামাজিক বিন্যাস কেও কে কতটা চ্যালেঞ্জ করছেন তার একটা নিরীক্ষা হওয়া কাম্য, এটা কে কি কালীদারা অস্বীকার করছেন? এর মধ্যে বাস্তব জীবন আছে ছক ও আছে, তবে খুব ই স্ট্রেট একেবারেই জটিলতাবিহীন ,নিরীক্ষা বিহীনতার কারণে। এই একলা বামপন্থী কেই প্রকৃত বামপন্থী বলার কায়্দাও প্রাচীন।

    উৎঅপল দত্ত অনেক কিসু করেছেন, পুরো কমারশিয়াল কাজ করেছেন, কমারশিয়াল ব্যানারে, করে নাটক করেছেন, কিন্তু নিরীক্ষাবিরোধিতার অভিযোগ ওনাকে হয়তো পরিচালক নাট্যকার হিসেবে করা যায় না। আমার ওনার নাট্যকলা সংক্রান্ত স্তানিশ্লাভস্কি র পদ্ধতি বর্ণনা নিয়ে বইটা রাবিশ ডক্ট্রিনেয়ার মনে হলেও, টিনের তলোয়ার তো ভোলা সম্ভব না, তাতে সমাজ নামক বস্তুটা কে অ্যাদ্রেস করা হয় নি তাও না, প্রগতিশীল কিছু হলেও তারা শেখর চট্টো পাধ্যাএর সঙ্গে গান গাইতে গাইতে কোরাস করবে, সব সময়ে এটা হয় না, টিনের তলোয়ার বিশেষত সমাজ কে অ্যাড্রেস করেছে, পরিবার কেও করেছে, তবে 'মূল্যবোধ' নামক আলু মার্কা সংরক্ষনশীল জিনিসে আটকে থাকে নি, ঊনবিংশ শতকের সমাজ কে অ্যাড্রেস করেছে, প্রাক রবীন্দ্র ভাষা ব্যবহার করেছে, কিন্তু ইতিহাস বা কলোনিয়াল শাসনের ইতিহাস কে বাদ্দিয়ে না, কল্লোল /অঙ্গার ও তাই, প্রচুর পোস্টার ধর্মীতা সত্ত্বেও, তো নাটকের জগতে সেগুলো কালোত্তীর্ণ নিরীক্ষা বলে পরিচিত হয়েছে। বোগাস ম্যানারিজম, প্রচন্ড মেগালোম্যানিয়া ইত্যাদি ব্যক্তিগত গুণাগুন সত্ত্বেও উৎঅপল দত্ত অনন্য। দেশে তো ইরফান হাবিবের প্রবন্ধ ও বেরিয়েছে, একটা বিষয়ের অথরিটি হিসেবেই বেরিয়েছে, তাতে কি স্বাধীনতা আন্দোলনে বা স্থানীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের মত কিছু বদলেছে? কিন্তু একেকটা বিষয়ের প্রায় শেষ কথা দের সঙ্গে ফিকশন রাইটিং এর নিরাপত্তার সমস্যায় ভোগা লেখক কুল যা লিখেছেন, তাতে একটু বড় অর্থে ঐতিহাসিক রাজনইতিক অনতর্বস্তু যা পাওয়া গেছে, খুব আশা ব্যঞ্জক কি? জানি রামকিংকর সংক্রান্ত রচনা ইত্যাদি ফিরে আসবে, মাল খেয়ে মরতে বসা শিল্পীর জীবন কে আধার করা উপন্যাস জখন কফি টেবিল বই এর মত করে, প্রখ্যাত শিল্পীর ছাবি সহ বিশাল দামে প্যাকেজ্ড হয়, তখন শিল্পের মূল ভূমিকা যে প্রতিষ্ঠানটির উৎঅপাদ হয়ে ওঠা, সে সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ থাকে না।

    আরেকটা জিনিস ও কালীদা এড়াচ্ছেন, সংবাদ মাধ্যম আর সাহিত্য প্রকাশনীর এই এক ই অংগে ভেন্ন রূপ জিনিসটা সিভিলাইজ্ড ওয়ার্ল্ডে খুব কমন কিন্তু না, প্রাতিষ্ঠানিক জব সেপারেশন এবং একটা ইনটেলেকচুয়াল স্পেস (ম্যাকার্থি এরা ছাড়া) একটা পাস্চাত্যের উন্নত গণতন্ত্রের চেহারা রয়েছে, ওভার অল রাজনীতি থাকলেও। ধরুন আমি ইলিয়াস খৌরী, যিনি পালেস্তিনের রাজনীতি নিয়ে উপন্যাস লিখছেন, সম্পূর্ণ পালেস্তিনের পক্ষে, তাঁর বইয়ের রিভিউ প্রথম পড়ি ডেলি টেলিগ্রাফে, যেতি ইজরায়েল পন্থী বলে পরিচিত। যদিও দারউইশ কোন উপন্যাস লিখলে খুব ফেবারেবল রিভিউ সব কাগজে বেরোতো কিনা সন্দেহ, কারণ দারউইশ পি এল ও র মেম্বার ছিলেন, ডেপুটি চেয়ারম্যান ও হতে পারেন, ভুলে গেছি। আবার দেখুন কোল্ড ওয়ারের মধ্যে কুন্দেরা প্রাগ থেকে চলে এসে সাহায্য পাচ্ছেন আরাগঁ দের কাছে, যাঁরা সোভিয়েত বিরোধী বামপন্থী কিন্তু অনেকেই ফরাসী কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত, এবং কুন্দেরাও একটু ডিক্টেটরিয়াল স্টেটের সমালোচনার সময়ে কমিউনিস্ট পার্টি কে যে ফালা ফালা করছেন, তিনি কিঁতু ফরাসী জীবনে মিডিয়ার ডুবিয়াস ভূমিকার কথা কিছুটা শিকার করে নিয়েই বামপন্থী দের সঙ্গে তর্কে যাচ্ছেন আবার ইজরায়েল রাষ্ট্র কে ইউরোপের অংশ বলে মনে করে বক্তৃতাও দিচ্ছেন, তাতে তাঁর নতুন একজাইলে আসার সময়কার কৃতজ্ঞতা কোন বাধা হচ্ছে না। তো এই সব আছে।
  • cb | 208.147.160.75 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৪৭719023
  • হেমেন রায়ের একটা সুন্দর ভয়ের উপন্যাস ছিল - রিপিটেটিভ কিন্তু বেশ ভাল। ড্রাকুলা টাইপের

    মিসেস কুমুদিনী চৌধুরী।
  • d | 144.159.168.72 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৫৪719024
  • ইয়ে একটা জিনিষ বুঝাতারতাসি না। ভাটে এবং এখানে বেশ টাইমস অব ইন্ডিয়ার 'এই সময়' এর নাম দেখলাম। এই সময় কি সাহিত্যের দিকে ফোকাস করছে বলে মনে হচ্ছে? সাহিত্যের ওয়ান স্টপ শপ টাইপ? আনন্দ যেমন সাহিত্যিকদের চাকরি দিয়ে বড়দের, ছোটদের আলাদা আলাদা বই বের করে আবার সেইসব সংখ্যায় বেরোন উপন্যাসকে আলাদা বই হিসেবে প্রকাশ করে নিজেদের বেশ বাংলা সাহিত্যের রক্ষক ধারক টাইপের একটা ধারণা দিয়ে চলেছে দীর্ঘকাল ধরে সেরকম কিছু কি এই সময় বা প্রতিদিন করেছে? এরা দুটো খবরের কাগজই রবিবারে মাঝে মধ্যে গল্প সংখ্যা বের করে, একটা করে পুজোসংখ্যা বের করে ব্যাস। তাও আমন্ত্রিত লেখক দিয়েই লেখায়, যাঁরা ফীচারলেখকও হতে পারেন, সাহিত্যিক নাও হতে পারেন। অবশ্য প্রতিদিনের নামটা এখানে দেখলাম না। কাজেই এই প্রেক্ষিতে এই সময় বা প্রতিদিন এখন কেন আসছে/আসবে বুঝলাম না।

    তাহলে এই উল্লেখ কি ব্যক্তি হনুর উদ্দেশ্যেই? ব্যক্তি হনুর উদ্দেশ্যে হলে অবশ্য আমার খুব একটা কিছু বলার নাই।
  • সামারি | 87.247.181.165 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:২৯719025
  • যেহেতু আবাপ সিঙ্গুরে মমতার সংগঠিত রাজনীতির বিরোধিতা করেছিল, তাই শীর্ষেন্দু রদ্দি ।
  • h | 213.132.214.85 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৫৬719026
  • আমি অবশ্য দেখি নি, মানে খেয়াল করিনি।

    তবে একটা কেস সত্যি ই ইউনিক আবাপ র ক্ষেত্রে, সেটা হল সংবাদ মাধ্যম নর্মালি ফিকশন পাব্লিকেশনে হাত বাড়ায় না। বুক অফ রেকর্ডস হয়ে ওঠাটাই যথেষ্ট সম্মানের বলে মনে করা হয়, পক্ষপাত নিরপেক্ষে। হারিৎজ বলো, বা টাইম্স অফ লন্ডন, বা ভালো দিনের অবজারভার বা আজকের গার্ডিয়ান/ইন্ডিপেন্ডেন্ট, নিউ ইয়র্ক টাইম্স বা বোস্টন গ্লোব এরা ফিকশনে হাত বাড়ায় না, জাতি চরিত্র নির্মাণে আগ্রহ একটু কম দেখা যায়, বা বলা ভালো রাজনইতিক নিয়ন্ত্রনে আগ্রহ থাকলেও, মূল্যবোধ নামক ব্যক্তিগত স্পেস টি ছেড়েই খেলা হয়। দুটি ধরণের একটু অন্যতর এক্সেপশন আছে, মাঝে মাঝে বিশেষ ইসু তে (লোকাল কিংবা রাজনইতিক), সেখানে কাগজের নামে ঘোষিত ক্যাম্পেন করা হয়, খবরের জায়গাটা ছেড়ে, যেমন ধরো ইন্ডিপেন্ডেন্ট বা গার্ডিয়ান এর বা ডেইলি মেল এর ইরাক যুদ্ধ বিরোধী ক্যাম্পেন, বা বোস্টন গ্লোব এর একটা বেস বল ক্লাব/কমিউনিটি বিক্রি হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর ক্যাম্পেন [উদা, এক্জ্যাক্ট মনে পড়ছে না, বা লোকাল বিজনেস বাঁচানোর ক্যাম্পেন] এগুলো থাকে, কিন্তু বুক অফ রেকর্ড্স এর জায়গাটা ছেড়ে হয়। আমাদের দেশে এই ম্যাচিওরিটি আপাতত ইন্ডিআন এক্সপ্রেস আর কিছুটা হিন্দু র আছে, আর কারো সিম্প্লি নাই।
    আরেকটা একসেপশন আছে, ফিকশন এর জগত সম্পূর্ণ আলাদা, টাইম্স লিটেরারি সাপ্লি বা নিউ ইয়র্ক টাইম্স আর্ট্স রিভিউ বা স্যাটারডে গারডিয়ান কে গুরুত্ত্ব পূর্ণ ধরা হলেও , তারা ঠিক লেখক পোশে না, ওখানকার সেট আপে, ঠিক আগেকার দিনের স্টুডিও সিস্টেম/ ফিল্ম ব্যানারের মত এই অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রায় অসম্ভব। এটা বম্বে তে খানিকটা আছে কিন্তু মানে প্রোগ্রেসিভস আর বিজেপি আর মারাঠি এই সব একটু হাউস বিভাজন আছে, এটা স্থানেয়া ভার্নাকুলার মুদ্রন সংস্কৃতির একটা ঐতিহ্য বা সীমিত বাজারের বাধ্য বাধকতা মনে হয়। আর NYRB ধরো আজকল বই ছাপায়, রেয়ার মডার্ন ক্লাসিক্স একটু, কিন্তু অন্য কেউ ই প্রায় বই নিজেরা ছাপায় না, ইনফ্লুয়েন্শিয়াল পত্রিকা বা রিভিউ জার্নাল হলেও।

    এটার একটা কারণ হতে পারে, জাতি নির্মান ব্যবসায় এদের আগ্রহ কম, আরেকটা হল ঐ ইন্স্টিটিউশনাল সেপারেশন অফ স্পেস। বড় লেখক রা তাই বলে স্বেচ্ছয় বিতর্কে জ্ড়িয়ে পড়েন না তা না, মার্টিন আমিস সম্প্রতি ইসলামোফোবিক এসটাব্লিশমেন্টের সাথে দারুণ একাত্ম বোধ করছেন, কিন্তু আমার মনে হয় না, ঠিক ইউকিপ কে গিয়ে একটা প্রোফেসরি চাইবেন, বাজার ছোটো হওয়ার ফলে যে ক্লায়েন্ট পেট্রন রিলেশনশিপ থাকে সেটা নাই, আর ধরো, ঐ আর কি আর্বানিটির একটা গুণ আছে, প্রাইভেট ডেটা চুরি করবে, কিন্তু তুমি প্রায় ন্যাংটো হয়ে রাস্তায় ঘুরলে কেউ তেমন কিছু বলবে না, গ্রাম সমাজ বনাম অন্যান্যের গল্প, আধুনিকতা হজম করবো না করবো না তার গল্প, প্রাক আধুনিকতা আধিপত্য নিয়ে হা হুতাশ করবো না করব না তার গল্প, তো এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ধরণটার একটা গল্প আছে, সংরক্ষণশীলতার একটা গল্প আছে, তবে লোকে তো চক্রান্তর খবর চাইছে, মানে যেটার দাবী করাই হয় নি, তর্ক টা ঐ জন্যেই বিচিত্র হচ্ছে।

    এই বিতর্কে যেটা ইন্টারেস্টিং হতে পারতো সেই রিফিউটাল টা আদৌ দেখি নি, ধর কোন কোন ক্ষেত্রে 'ভিক্টিম' কমিউনিটির লেখক/লেখিকারা নিজেরাই, নিজেদের কমিউনিটির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন, তো এটা কে কনটেক্সচুয়ালাইজ কোন ক্ষেত্রে করা যাচ্ছে কোন ক্ষেত্রে করা যাচ্ছে না, সেটা আলোচনা হতে পারতো, তা না হয়ে ছোটোবেলাপ্রবণতা চলছে [কার্টসি একক], আলোচনা তেও একটা অভ্যাস লাগে, পৃথিবীতে যত সাহিত্য সমালোচনার পধ্ধতি আছে, সব ই ভুয়ো, সব ই পিস অফ আর্ট, সাহিত্য নিয়ে তত্ত্বায়ন এর প্রয়োজন ই বা কি কালীদা, তো এই তো চলছে।

    যাই হোক ঐ ভিক্টিম কমিউনিটির মধ্যেকার পলিটিক্স, আজ ই একটা প্রবন্ধ পড়লাম, এ নিয়ে। এতো আর অসত্য কিসু না, নইলে আর কাশ্মীরে আর মনিপুরে নানা লেখা হচ্ছে ই বা কেন, মুসলমান রা দলিত রাও কি এক ভাষায় কথা বলছেন? তো সেদিকে কারো আগ্রহ দেখি নাই, সকলেই এই তো মূল্যবোধ ঐ তো বড় গ্রামের মামা বাড়ি এই সব এই রয়েছেন।

    ব্যান্টার ইজ অলরাইট দো, কান্ট লুজ স্লিপ।
  • aranya | 154.160.5.103 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:০৭719028
  • ১। শীর্ষেন্দু যদি জীবনে একটিও মনে রাখার মত কিশোর সাহিত্য রচনা করে থাকেন তো সেটা "বনি"।

    ২। বুদ্ধদেব গুহর কন্ট্রিবিউশন বাংলাসাহিত্য সৃষ্টির নিরিখে জিরো।

    BCP, তোমার এই সারমন দুটির সত্যতা নিরূপণের তো কোন উপায় দেখছি না, সাহিত্যের যেহেতু কোন সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা নাই। সে তুমি-ই দাও, উদয়ন, সুবিমল বা নবারুণ-ই দিন

    বাংলা ভাষার কিশোর সাহিত্য সম্বন্ধে সামগ্রিক আলোচনা চালিয়ে যেতে পার, আরও ২২শটা কিশোরসাহিত্য পত্রিকার লিংক-ও দিতে পার । সময় ও মর্জি থাকলে নেড়েচেড়ে দেখব। তবে তাতে তোমার উপরোক্ত সারমন দুটি এস্টাব্লিশ করা যাবে না।

    আপাতত রুজি রুটির কাজে ব্যস্ত, ছোটবেলা প্রবণতাকে তাকে তুলে রাখতে হচ্ছে। পরে এসে দেখে যাব, সারমন দুটির সত্যতা প্রমাণের কোন উপায় পাওয়া গেল কিনা
  • Robu | 11.39.57.132 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:৩৭719029
  • অপরাজিত-র কেসটা নিয়ে কি কেউ চেপে ধরবে না?
  • BCP | 69.160.210.3 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৩৭719030
  • শিশু-কিশোর সাহিত্য, আবাপ-পূর্ববর্তী ও কিছু সমকালীন / পরবর্তী। আলোচনার রসদ হিসেবে।

    ঝালাপালা ১৪১৯ পুজোসংখ্যা, ছোটোদের হারিয়ে যাওয়া পত্র-পত্রিকার ইতিকথা
    < https://drive.google.com/file/d/0B8ng6SlEUMa8QXQ2MTZzTlFQMEE/view?usp=sharing >

    মুদ্রণ যন্ত্র ও টেকনোলজির পরিবর্তন, নিউজ-প্রিন্ট পেপারে রঙিন ছবি ছাপা, বহুল প্রচারিত কাগজের সাপ্লাই চেন, ক্রেতা-সংখ্যা, বিক্রি, বিজ্ঞাপণ-এর পরিকল্পনায় (প্রথম নারী-অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপণ মনে আছে সেই শারদীয়া আনন্দমেলায়, যাতে পরের পাতায় ছিল বুগু-র বাজা তোরা রাজা যায়) পূর্বসূরী পত্রিকাগুলোর থেকে আলাদা হতে থাকার বেশ কিছু প্রস্থানবিন্দু রয়েছে আনন্দমেলার, সদ্য-অতীত নকশাল আন্দোলন এর প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতি বা সামাজিক ভালো-মন্দ পরিচয়ের থেকে সচেতন উইথড্রয়াল আর শুধুই মজা, নিছকই আনন্দ ও বিনোদন কেন্দ্রীয় আকর্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকবে কিছুদিন পর থেকে - যেভাবে আনন্দমেলা শিশুসাহিত্যের ভাবে-ধারায় কিশোর সাহিত্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। মুদ্রণের আধুনিকতাকে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ব্যবহারের পাশে 'দেশ' ও 'আবাপ'-এর প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকদের কিশোর-সাহিত্য রচনায় নিয়োজিত করাও লক্ষণীয়, যেখানে শুকতারায় তখন লিখছেন শিশু-সাহিত্যিক হিসেবেই পরিচিত বরণীয় লেখকেরা। লেখার সাহিত্যমূল্যর চেয়েও একটা বড় প্যারামিটার এখানে এসে যাচ্ছে মুখবদল, স্বাদবদল, নতুন আঙ্গিক। কয়েক বছরের মধ্যেই যা প্রোটোটাইপে পরিণত হবে। লেখকেরাও মোটা মাইনে পেতে পেতে গেঁজে যাবেন, সে যাই হোক।

    এব্যতীত সারমন-এর সত্যতা নিরূপণের ক্ষেত্রে বলতেই হয়, পপার বা ফলসিফায়েলিলিটি এনে সারমনকে বিজ্ঞান প্রমাণের কোনো ইচ্ছে নেই, মানে, সেটা যে আদৌ সম্ভব নয় তা হয়তো সৌভ জানাবেন। কিন্তু স্মার্টনেস শেখানোর যন্ত্র হয়ে উঠে আমেলা প্রজন্মান্তরে অরাজনৈতিকতার মুখোশে সংগঠিত-রাজনীতি-বিমুখতা প্রোমোট করেছে সচেতনভাবে। কুইজসফল উজ্জ্বল কেরিয়ারিস্ট কনজুমারিস্ট প্রজন্ম তৈরি করেছে। সোভিয়েত সাহিত্যকে যদি সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদের প্রোপাগাণ্ডা বলতে না বাধে, আমেলারচনাবলীকে ধনতন্ত্র ও ব্যক্তিসুখের প্রোপাগাণ্ডা বলতে বাধা উচিত না।
  • Ekak | 53.224.129.61 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৫৩719031
  • অবসসই প্রোপাগান্ডা । সবচে হাস্যকর হচ্ছে , যাঁরা প্রোপাগান্ডা বলছেন না তাঁরা আদতে আনন্দ গোষ্ঠী কেই ছোট করছেন , কারন একটা বোরো পাবলিশিং -মিডিয়া গোষ্ঠী প্রোপাগান্ডা করবে না বা করার ক্ষমতা নেই এর চে লজ্জার কিছু হয়না । এটা বলার মানে সে ঠোঙ্গা মাল আর কী :) :) অভীকবাবু শুনলেও ভাববেন , যে এরা কারা , বোকা না আমাচ্ছেও চালাক ?
  • Ekak | 53.224.129.61 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৫৬719033
  • তবে পার্টিকুলারলি "ধনতন্ত্র ও ব্যক্তিসুখের" নয় কারণ তার উল্টোদিকে যারা তারাও যে গরিবতন্ত্র বা সাম্যসিদ্ধান্ত গুলি খাচ্ছিলো এমন মোটেও না । এটা একটা টিপিকাল ঘন্ট মার্কা সেট যেটা চকচকে প্রজন্মের সঙ্গে যায় । পরে বিশদে লেখা যাবে প্রয়োজন হলে । অস্বীকার না করে এগুলোকে মার্কেট ট্রেন্ড হিসেবেই বোঝা দরকার ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন