এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:১৯54377
  • এই রে একক কঠিন প্রশ্ন করেছেন। এককের বড়ো হওয়া আমার বড়ো হওয়ার অন্তত দশ বছর পরে। কিন্তু অবাক লাগছে দশ বছরেও ছবিটা বিশেষ বদলায়নি
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:২৭54379
  • একক হয়্ত আমার বড় হওয়ার ৭ ৮ বছর আগে। সেম থিং স্যার। স্কুলের বন্ধুদের সাথে শুধুই বই, কমিকস আর পোচুর পোচুর খেলা। অথচ মেয়ে বন্ধুদের সাথেই পাড়ায় একদম ছোটবেলায় খেলে বড় হয়েছি
  • উমেশ | 118.171.128.168 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:২৭54378
  • সত্যি বলতে গল্প বই পড়তে গিয়ে আমার মনে আগে কখনো জেন্ডার চিন্তা আসেনি।
    এবার থেকে মনে হয় আসবে।

    আমার কিন্তু কোনো দিন মনে হয়নি, ডরোথি ছেলে না মেয়ে, ঘনাদা ছেলে না মেয়ে, টিনটিন ছেলে না মেয়ে, মিস মার্পল বা এরকুল পোয়ারো ছেলে না মেয়ে, শার্লোক হোমস ছেলে না মেয়ে। ওদের সৃষ্টি কর্তারাই বা কি, লেখক না লেখিকা।

    এবার থেকে জেন্ডার সেন্স কাজ করবে।
    আর মনে হয় না কোনো টিনটিন, ঘনাদা, ডরোথি দের পড়ে সেই মজা পাবো।
  • T | 165.69.178.32 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:৩২54380
  • এককের প্রশ্নের প্রথম উত্তর না। ফলে দ্বিতীয় প্রশ্নটা দাঁড়াচ্ছে না।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:৩৪54381
  • হ্যাঁ, বাদ পড়ে গেছে ফটিকচাঁদ। প্রথম এটা শুনি রেডিও নাটক হিসেবে রোববার দুপুরে কোলকাতা ক। তারপরে বইটা কেনা হল, হলদে মলাট হার্ড কভার। ঐখানেও ফটিকের ঠাকুমার অস্তিত্ব ফেইন্টলি। ফটিকের মা নেই, দিদি নেই, পিসি নেই, বাড়িতে পুরুষ চাকর। ফটিকের দাদা আছে যে আইআইটি খড়্গপুরে পড়ে। ফটিক বয়েজ স্কুলে পড়ে। হারুন্দার সঙ্গে ঘোরাফেরা, চায়ের দোকানে কাজ করা, কোথাও এত চিলতে নারীচরিত্র নেই। স্নেহ ভালবাসা সাসপেন্স থ্রিল, এর কোনোটাতেই কোনো মেয়ে এক টুকরো অংশ পেল না। তারা পাঠক শ্রোতা দর্শক হয়েই কাটাবে? ফটিকচাঁদ সিনেমা হয়ে এল। ফার্স্ট হাফে পিকু(বড়দের সিনেমা, ফরাসী টিভির জন্য বানানো), ইন্টারভ্যালের পর ফটিকচাঁদ। সব টিকিটের দাম এক টাকা। বাচ্চাদের নিয়ে যেসব বাবা মা হলে ঢুকছিলেন তাদের অনেকেই ইন্টারভ্যালের পর। আমরা বাপমরা দুই বোন মায়ের সঙ্গে প্রথম হাফ থেকেই দেখি, কেউ আগে থেকে বলে দেয় নি, সতর্ক করে দেয় নি। পিকুতে একটিমাত্র মহিলা চরিত্র, পিকুর মা। তিনি দুপুরে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কাটান। সারা ছবিতে বাকি সবাই ছেলে। পিকুর ঠাকুর্দা করোনারি থ্রম্বোসিসে মারা যায়, পিকু ছবি আঁকতে থাকে। আর্লি কৈশোরেই বুঝে যাই মেয়ে চরিত্র থাকা মানে বদ ব্যাপার স্যাপার থাকতে পারে। ইন্ট্যারভালের পরে অবশ্য পরিস্কার ভালো গল্প, শুধু পুরুষ। ফটিকের দাদা না থেকে একটা দিদি থাকতে পারত না? আচ্ছা বেশ, দাদা বাদ নয়, দাদা থাকুক, কিন্তু একটা দিদি বা ছোট বোন থাকলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হতো? খুব বেশি কম্পলিকেটেড হয়ে যেত কি গল্পটা? এগুলো ভাবায়। বয়স তখন ডাবল ডিজিট ছুঁয়ে ফেলেছে।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:৩৯54382
  • দেখেছ একক আমার বক্তব্যটাকে আরেকটু খেলিয়ে বাড়িয়ে লিখেছেন।

    অ্যাডিশানালি এইটাও ভীষণ ঠিক অবজার্ভেশান যে ছেলেরা সে লেখকই হোক আর পাঠকই হোক, এই শুদ্ধু ছেলে-ছেলে দুনিয়াটায়্ত এত কমফোর্টেবল যে তারা ভাবে সকলেই অমনি কমফোর্টেবল। তাই মেয়েদের অনুপস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেও স্বীকার করতে চায় না। এইখানেও সেটা দিব্বি দেখা যাচ্ছে।
  • Ekak | 53.224.129.47 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:৪৫54383
  • এগুলো আমার ও মনে হত । কারণ ওই ফাইভ অবধি শুধু মেয়ে বন্ধু থাকা পাড়ায়। তার ওপর পিঠোপিঠি বোনের সঙ্গে মারপিট করে বড় হয়েছি । কিন্তু আরকেএম বয়েজ ইস্কুলে পড়ার কন্ট্রাস্ট অভিজ্ঞতা ওই বয়েসেই শিখিয়েছিল যে শুধুই ছেলে এটাও একটা দুনিয়া । এই আর কি । আর সত্যি কথা বলতে ফিকশন -ফিল্ম এসব তো সব বড় হয়ে অভিজ্ঞতা । তার আগে তো ফিলিম বলতে বাবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটার পর একটা ওয়েস্টার্ন একশন মুভি । দুজনেই রেড ইন্ডিয়ান ঝার্পিট এর ফ্যান :)
  • T | 165.69.178.32 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:৪৮54384
  • কই, বলেইছিতো যে হ্যাঁ মেয়েরা নেই। চোখে আঙুল দিয়ে দেখাবারও কিছু নেই কারণ গল্প ইত্যাদি তো সবাই পড়েছে :)। আমি বলেছিলাম নির্ঘাত ক্যাপা ছিল না তাই লিখতে গিয়ে রিস্ক নেননি। এর বাইরে আর কিই বা বলার থাকতে পারে! যে যা পারে তাই তো লিখবে। পিছনে উদ্দেশ্য ছিল (মানে মেয়েদের খারাপ প্রতিপন্ন করা ইত্যাদি, হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা...হুম, এরম ভাবলে, কিই বা করার আছে। গাল দিন :)
  • T | 165.69.178.32 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:৫৩54385
  • তবে ঐ কালকে অ্যাতোজ বলছিলেন বোধহয় ছকের কথা...তা সেই ছকটি জানতে পারলে এই আলোচনা থেকে কিছু লাভ হ'ত...হু হু হু হু...
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১০:৫৯54386
  • মানে লেখকের এই স্বাধীনতা নেই যে উনি কিভাবে গল্পটা তোইরী করবেন? ওনার যদি নারী চরিত্র আনার ইন্টারেস্ট না থাকে তাহলেও আনতে হবে? এতদিন যে ফেলুদা পড়েছি কোনোদিন তো মনে হয় নি কেন ফেলুদা'র মায়ের কথা নেই, বোনের কথা নেই, পিসির কথা নেই।

    আর ফটিকচাঁদের মতো ফ্যামিলি সত্যি হয় - ওই দাদার রোলটাকে জোর করে দিদি করবেন কেন?

    তবে আমার মনে হয় রায় মশাই আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতেন যে ওনার ফেলুদা সিরিজের যে কোনো গল্প সিনেমা হতে পারে। কাজেই অল মেল কাস্টিং এ একটা ফিমেল কাস্টিং ঢোকাতে চান নি মে বি
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:০১54387
  • যদ্দূর জানি, সত্যজিৎ কিশোর সাহিত্য লিখতে শুরু করেন নিজের পুত্রের জন্য। পরে সেগুলো জনপ্রিয়তা অর্জন করলে আরো লেখেন। তো সেই হচ্ছে কথা। নিজের ছেলের জন্য বাবা সাহিত্য রচনা করছেন, যে সাহিত্যটা কেবল মেনস ওয়ার্লড। উনি সযত্নে মেয়ে ভূমিকা বাদ দিচ্ছেন। একটা দুটো মেয়ে চরিত্র ঢোকাতে কোনো এক্সট্রা ক্যালিবার লাগে না। আর পাঁচটা ছেলে চরিত্রের মতই ঢোকানো যেত, সেটাই স্বাভাবিক লাগত। ফটিকের দিদি কলেজে যাবার মুখে দেখল হারুন্দার সঙ্গে ফটিক বাড়ির কম্পাউন্ডে ঢুকছে, কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হত তাতে? বা বলল, এমা তোর চুলটা এমন করে কে ছেঁটে দিল রে? জাস্ট কথার কথা। বা চায়ের দোকানে একজন মাসি, যে ঝিয়ের কাজ করে, হয়ত ফটিককে বকছে বা রাগে গজগজ করছে। এত ডিটেলের কাজ জানতেন সত্যজিৎ, পথের পাঁচালিতে ইন্দির ঠাকরুণ, সর্বজয়া, দুর্গা চরিত্র এত খেটে খুটে সেলুলয়েডে ফুটিয়ে তুলেছেন, তিনি এটুকু পারতেন না কিশোর সাহিত্যে ঢোকাতে?
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:০২54388
  • আমি জাস্ট নাউ বোনকে ফোন করলাম ওর মতটা নেওয়ার জন্য।

    আঃ ফেলুদা পড়েছিস?

    বোঃ পুরো। ক্যানো?

    আঃ আমি তোর সাথে ফেলুদা নিয়ে আগে কোন কথাই বলি নি। আচ্ছা এই যে ফেলুদায় কোন ইয়ং অ্যাডাল্ট মেয়ে নেই, এটা তোর চোখে পড়ে নি?

    বোঃ হ্যাঁ পড়েছে তো, ভাবতাম ওনার দ্বারা হয় নি মেয়ে চরিত্র লেখা। কি আর করব, চারদিকে ছেলে চরিত্ররাই প্রধান দেখতাম, তাই ঐ আর কি

    আঃ আচ্ছা, ফেলুদা অ্যাস এ হাসব্যান্ড মেটিরিয়াল ক্যামন

    বোঃ আবে ফেলুদা জাস্ট দাদা

    আঃ তাও বল না

    বোঃ নাইস, খুব মরাল (শব্দটা কিন্তু বারবার এখানের আলোচনায় এসেছে)। বাট হিস ওয়াইফ ক্যান নট চিট , হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা (বুঝলাম এইসব নিয়ে বন্ধু মহলে খুব আলোচনা হচ্ছে)

    আগে এই আলোচনা করিই নি কোনদিন, যতদিন বাঁচি, ততদিন ইত্যাদি
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:০৯54389
  • এইত্তো। সিবি অন্তত ফীল করতে শুরু করেছে।
    এইজন্যই এত আলোচনা। গুড গুড।
  • উমেশ | 118.171.128.168 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:১৩54390
  • দিদি কে বলে বাংলা তে একটা নতুন পিএইচডি থিসিস শুরু করলে কেমন হয়?
    বিযয় - "সত্যজিৎ এর গল্প গুলো নারী বর্জিত কেন? উনি কি নারী-বিদ্বেষী ছিলেন? "
  • Ekak | 53.224.129.47 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:১৬54391
  • জেন্ডার স্টাডি তে ফেলোশিপ করার সুযোগ অলরেডি আছে তো :) কেও চাইলে পেপার নাবাতেই পারেন ।
  • kc | 198.71.198.173 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:২০54392
  • হ্যা হ্যা, সিবির এই কথাগুলোই গতকাল আমার চোদ্দ বছুরে পুত্রের সঙ্গে হল, সোজা স্টেপ আউট করে ছয় মাল্লে, "মে বি মেয়েদের সঙ্গে কিকরে মিশতে হয় জানতেন না। ডাজনট ম্যাটার। "
    কি করে মেয়েদের সঙ্গে মিশতে হয় জিজ্ঞেস করায় উত্তর পেলাম, "তুমি বুঝবেনা"
  • sosen | 177.96.95.104 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:২৪54482
  • আতোজ নায়ক নায়িকাদের নাম নিয়ে কিছু বলতে পাবে না ঃ)))
  • Reshmi | 129.226.173.2 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:৩১54393
  • কিন্তু ছোট্খাটো মহিলা চরিত্র তো ছিল। ছিন্নমস্তায় বিবি, আর তার মা।
    কোন একট ইন্টারভিউ তে (দেশে, খুব সম্ভবতঃ) উনি নিজেই বলেছিলেন ফেলুদার গল্পে মহিলা চরিত্র আনার ব্যাপারে খুব একট কম্ফর্টেবল ছিলেন না।
    পরের দিকের কিছু গল্প যেমন অম্বর সেন এ মহিলা চরিত্র কে গুরুত্ব দিয়ে একটু প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন মনে হয়।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:৩৩54483
  • কপালকুন্ডলা ইত্যাদি হলে মনে হয় পারবে।
  • sinfaut | 74.233.173.185 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:৩৪54394
  • এমন সত্যজিত বা কোন একজন লেখককে সিঙ্গল আউট করে কেন তিনি মহিলা চরিত্র রাখেননি এমন প্রশ্ন পুরো সাহিত্য সমালোচনার বারোটা বাজিয়ে দেয়। ব্রডার রেঞ্জে একক যেমন কুইজের কথা বললো সেই লাইনে এটা ভাবা বোধহয় বেশি কাজের যে 'স্বাভাবিক' কাকে বলে, যেটা আমার স্বাভাবিক মনে হয় সেটা সব পার্টিসিপেন্ট এর কাছে স্বাভাবিক কিনা। স্বাভাবিকতা তৈরী হয় কী কী দিয়ে। কোন কোন মিডিয়াম সেই তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে। তা না হাত ধুয়ে সতু রের পক্যাত্ব বিবেচন।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:৪০54395
  • cb মেনি থ্যাঙ্কস। আমিও ক্রস চেক করলাম। দুজনের সাথে।
    "দুজনেই আকাশ থেকে পড়ে বলল ভাবিই নি এভাবে। মানে কি অসুবিধে হয়েছে তাতে? উনি দরকার মনে করেন নি ঢোকান নি।"

    সেই মল্লিকা সেনগুপ্ত বলেছিলেন খুকু গেল জল আনতে - খুকু কেন? খোকা নয় কেন?
    উমেশবাবুর কথাই বলতে হয় - দেখার দৃষ্টিটা একবার অন্য রকম হয়ে গেলে সোজা দেখা খুব মুস্কিল
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:৪১54484
  • আরে অমন অনিশ্চয় শ্রান্তমল্লিকা করুণবল্লিকা ঐন্দ্রিলা অতন্দ্রিলা ধরণের নাম বলেই তো মনে আছে !
    ঃ-)
  • T | 165.69.178.32 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:৪৬54396
  • ডঃ মুনশির ডায়েরি, জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা, অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য, শকুন্তলার কন্ঠহার...এছাড়া গোরস্থানে সাবধানে ফেলুদার হাতে এসেছিল শার্লটের ডায়েরি (ইবাবা কিসব এগজাম্পল দিচ্ছি), ও সেটা পড়ছিল...খিক খিক খিক...আর হ্যাঁ, রয়েল বেঙ্গল রহস্যতে ওইটা বাঘিনী ছিল না? অ্যাঁ?
  • প্রেমেন্দা | 74.233.173.177 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১১:৫১54397
  • সিকি বড় হয়ে আর ঘনাদা পড়েছে? বা জীবনানন্দ? ফর আ চেঞ্জ এখন একবার পড়ে দেখলেও তো পারে।
  • kumu | 11.39.34.40 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১২:৩১54398
  • বলছিলাম ,ঐ থিসিস আমি লিখতে চাই।কোথায় অ্যাপ্লি করতে হবে?
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১২:৩৪54289
  • হ্যাঁ, আমারো ঐরকম মনে হয়েছে। আমার পড়া ফেলুদাগুলোর প্রথম দুটোয় জটায়ু ছিল না। গ্যাংটকে গণ্ডগোলে ছিলেন নিশিকান্তবাবু, ডক্টর বৈদ্য ওরফে শশধর বোস এবং হেলমুট উঙ্গার ওরফে বীরেন্দ্র শেলভাঙ্কর। একটা খুন হয়েছিল এবং ফেলুদা সেটা সলভ করে। এটাই বেস্ট গল্প। আমার পড়া বেস্ট ফেলুদা। বাদশাহী আংটিতেও জটায়ু আসেন নি, কিন্তু গল্পটা জোলো। আংটি চুরি হয় না, ফেলুদাই সেটা ভুলভুলাইয়াতে লুকিয়ে রাখে ( গাঁজাখুরির চুড়ান্ত) এবং তারপর একগাদা ঝামেলা সাপ ছেড়ে দিয়ে ভয় দেখানো জঙ্গলে একটা বাড়িতে। অ্যাবসার্ড সব যুক্তি। ঐ একই রকম ভুল যুক্তি জয়বাবা ফেলুনাথে। ফেক একটা মূর্তির জন্য একজন মানুষ খুন হয়ে গেল। তার মৃত্যুতে কারো কিছু হেলদোল হল না, দর্শক তখনো গনেশের মূর্তিতেই মজে আছে। এগুলো ধাক্কা দেয়। শশীবাবুর জন্য একফোঁটা চোখের জল কেউ ফেলেনা, বরং জটায়ুর অপমানের বদলা নেয় ফেলুমিত্তির, সেটাই বেশি ইম্পরট্যান্ট। গুণময় বাগচিকে নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কি, অ্যাজ ইফ বডি বিল্ডাররা সব খোরাক, হাসির পাত্র, জটায়ু লেখক হয়েও ভুল লেখেন, উট কীকরে জল ছাড়া অনেকটা সময় বাঁচে - সেই নিয়ে খোঁচা, অন্যদিকে বুদ্ধিমান ফেলুদা যে কিনা যোগব্যায়াম করে, রেগুলার সিগারেট খায়, বই পড়ে অনেক আর মাথা খাটিয়ে গোয়েন্দাগিরি করে। আরেকটা গল্পে দার্জিলিং এ ফেলুদা ও তোপশেকে পাই, সেটাতেও জটায়ু নেই। সেটাও জোলো গল্প। মুখোশ টুখোশ ছিল মনে হয়। যত গল্প পড়েছি সবকটাই বড়োলোকদের নিয়ে। লাস্ট সীনে অকপটে স্বীকারোক্তি। অনেক ক্ষেত্রে ফেক মাল চুরি হচ্ছে। বাক্স রহস্যে হীরের ওপরে রং করে আঠা দিয়ে সুপুরির কৌটোয় আটকানো হল। ঐটুকুন হীরে লুকোতে এত চাপ? বাত কুছ হজম নেহি হুয়ি। কী প্রচন্ড এফর্ট। আর কৈলাসে কেলেংকারী তো কেলেংকারীর একশেষ। ওয়ার্স্ট প্লট। একটা বিমান দুর্ঘটনায় সবকটা প্যাসেঞ্জার মরে গেল, সেখানে ফেলুদা যক্ষীর মাথা খুঁজতে গেছে। অমানবিক। বিমান দুর্ঘটনা যেখানে হয়েছে সেখানে নিহতদের আত্মীয় বন্ধু মৃতদেহ এসব থাকার কথা। সেসব নেই। আছে কেবল মূর্তি। এক বিমান ভর্তি যাত্রীর মৃত্যু কোনো দাগ কাটে না গল্পটাতে। টিনটোরেটোর যীশুতেও ফেক ছবি নিয়ে টানাটানি। একই প্যাটার্ণ বারবার। তারপর গোলাপী মুক্তোতেও সম্ভবত সেম জিনিস। রিপিট রিপিট রিপিট। তারপরে একটা গল্পে আসামী নিজেই মেক আপ করে দুটো রোলে অ্যাকটিং করছিল (ত্রিনয়ন ও ত্রিনয়ন একটু জিরো)। আরেকটা গল্পেও ঐ একই ব্যাপার, এক ভাই অন্য ভাইকে বন্দি করে রেখে নিজেই সেই ভায়ের রোল প্লে করছে। গল্পগুলোয় ফেলুদা কখনো গ্রামে মফস্বলে যাচ্ছে, নয়ত রাজস্থান, কাশী, ইলোরা, গ্যাংটক, লখনৌ, সিমলা, কাশ্মীর, বোম্বে, দিল্লি, বা কাটমান্ডু হংকং লন্ডন। ঐসব জায়গার বর্ণনা পাচ্ছি কিছু ( জেনারেল নলেজ বাড়ানোর একটা পদ্ধতি, গল্পের মাধ্যমে ভুলিয়ে ভালিয়ে), ঐটুকুই। তাও বর্ণনাগুলো ফিল্টার্ড। ফ্লাইটে ওঠা নিয়ে জটায়ুকে খিল্লি করা হয়েছে একবার। জটায়ুর ফ্লাইট টেক অফের সময় মুখ বেঁকে চোয়াল ঝুলে পড়ে, জটায়ু ঠিক করে খেতে পারেন না ফ্লাইটে, এটিকেট জানেন না, তবু এঁকে নেয়া চাই সঙ্গে, বিদুষক হিসেবে। প্রত্যেকবার উনি একটা করে অস্ত্র আনবেন, ভোপালী ইয়ে ভোজালি, বুমেরাং কি বম্ব! আরেকটা জিনিস, ফেলুদার রিভলভার আছে, সেটা সে রুকুকে হাতে নিতে দেয়। মোগনলাল মেঘরাজ একবার পপুলার হয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসে অন্য গল্পে। রিপিট।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ১২:৪৯54290
  • শরদিন্দুর আদিম রিপুর লাস্টটায় সমস্ত টাকা পোড়ানো হল না? সেটাই তো একটা বিরাট শাস্তি। টাকাগুলো রামায়ন মহাভারতের কভার দেওয়া গাব্দা মোটা বই হিসেবে রাখা থাকত।
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ০৬ মে ২০১৬ ০১:১৫54513
  • ইয়্স, পি ডি জেমস। ইনস্পেক্টর অ্যাডাম ড্যাল্গিশ। ডেথ ইন হোলি অর্ডার্স আর প্রাইভেট পেশেন্ট সবথেকে ভাল লেগেছিল। রিসেন্টলি শুরু করেছি লুইস পেনি। ইন্স্পেক্টর আর্মান্ড গামাশ। কিবেকের পট্ভূমিকায় রহস্যগল্প।
    আর একটা রিসেন্ট্লি শুনলাম - দ্য বেল রিঙ্গার্স। লেখক হেনরি পোর্টার আদতে জার্নালিস্ট এবং সিভিল রাইট অ্যাক্টিভিস্ট। এত ভাল লেগেছে যে এনার অন্য বই শুরু করব ভাবছি।
  • T | 165.69.191.254 (*) | ০৬ মে ২০১৬ ০১:৪৫54486
  • যাক, শেষ হ'ল কি? না হ'লে আসলি জিনিস মানে রায়সাহেবের 'নির্মোহ ব' শুরু করলেই হয়। একই জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্যানো ক্যানো ক্যানো ছাড়া আর কিছু সমালোচনা আসছে না।
  • ranjan roy | 24.99.98.141 (*) | ০৬ মে ২০১৬ ০২:৩০54514
  • দ ও ছোটাইয়ের এর সঙ্গে একমত।
    শ্রাবণীর রাইসিরিজ বেশ জমে গেছল। মিতিনমাসির চেয়ে ঢের ভালো। ওর হটাৎ ছেড়ে দেওয়াটা মিস করি। আর টিম এর মণিদা সিরিজ! মন্দ হচ্ছিল না। কেন যে ছেড়ে দিল! এখন যদি আবার শুরু করে?

    [ এই জায়গায় বলে দিইঃ দুটো সংখ্যা আগে ছোটাইয়ের দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ছোট গল্প ( পক্ষীরাজের মোটিফ শুদ্ধু) বে্শ ভাল লেগেছে। ওর উপযুক্ত লেখা। আরো হোক।]

    রাউলিংয়ের ডিটেকটিভ গল্পগুলো "সিল্কওয়ার্ম" ইত্যাদি পড়েছেন কেউ? আমি গতবছর দিল্লিতে পড়লাম। গল্প বা টুইস্ট গুলো আহামরি লাগেনি। তবে বেশ টানটান। আর ওই পা-কাটা ডিটেকটিভকে বেশ পছন্দ হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন