এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সায়ন্তনী | 190.215.74.176 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৩৫58906
  • সমস্যা হল মহিষাসুর উৎসব আগেও ছিল, কিন্তু খানিক হিন্দুত্ব রাজনীতির চক্করে তারও পলিটিসাইজেশন হচ্ছে। ওটা না বন্ধ করে, এটা কি করে বন্ধ করা যাবে? আর পাই যেটা বললি, সেটা তো হতেই পারে, সব ট্রাইবালরা কি এক দেব দেবীর পুজো করবে নাকি! অসুর ট্রাইবের শোক দিবস পালন নিয়ে কিছুদিন আগেই ঋজু বসু একটা লেখা লিখেছে আনন্দবাজারে, ওকে জিগ্যেস করলে জানা যাবে অসুর দের ব্যাপারটা
  • কল্লোল | 116.206.145.14 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪১58887
  • স্বর্ণেন্দু।
    মাতৃপুজার চলন বা মাতৃদেবীর প্রভাব অনার্যদের মধ্যে ছিলো বলেই না সেগুলো নিজেদের মধ্যে ঢুকিয়ে নেবার তাগিদ ছিলো। কিন্তু এই ঢুকিয়ে নেওয়ার কায়দাটা ছিলো অভিনব। মাতৃদেবী মহিষ বা ষাঁড় বধ করছেন এমন মূর্তি শিকার করে খাওয়া গোষ্ঠীদের মধ্যে থাকাই স্বাভাবিক, তার পূজাও স্বাভাবিক। কিন্তু আর্যদের ঐ "ঢুকিয়ে নেওয়ার" চালাকিটি হলো মহিষকে মহিষাসুর বানানো এবং উর্বরতা ও শিকারী মাকে "না" করে দেওয়া। মা হয়ে ওঠেন আর্য দেবতাদের মিলিত শক্তির প্রতীক।

    হনু। আমি তো দেখেছি/শুনেছি সেই গান। বাঙ্গালীরা দূর্গাপূজোয় আনন্দ করছেন, আদিবাসীরা শোক করছেন, রাবণ রাজার নামে গান গেয়ে।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৫৯58888
  • কল্লোলদা,

    " মাতৃদেবী মহিষ বা ষাঁড় বধ করছেন এমন মূর্তি শিকার করে খাওয়া গোষ্ঠীদের মধ্যে থাকাই স্বাভাবিক, তার পূজাও স্বাভাবিক।"---- এইটায় strongly disagree করতে হল... বস্তুত কৃষিকাজ শুরু হওয়ার আগে এমন মুর্তি সেই সংক্রান্ত ধারণা কোনটাই পৃথিবীতে কোথাও আর্কিওলজিকাল রেকর্ডে পাওয়া যায়নি... আর কৃষি শুরুর আগে বুনো মোষের পাল থ্রেট হওয়ার কথাও না, উলটে বাঘ-সিংহ-লেপার্ড এরাই বেশী থ্রেট... উর্বরতার ধারণা ও কৃষির সাথে সাথেই...

    ফেসবুকে এই পোস্টেই একজনের কমেন্ট এর উত্তরে লিখেছিলাম একটা অংশ... সেটা এখানেও লিখে দি, হয়ত বুঝতে সুবিধে হবে কি বলতে চাইছি...

    "আর নিওলিথিক মাদার গডেস এর এই রূপে ক্যাটল ডোমেস্টিকেশনের স্মৃতি এমন কিন্তু বলতে চাইনি... বস্তুত প্রথম চাষবাস শুরু করার স্মৃতি... যেসময় বুনো ষাঁড়ের পাল ( বুনো মোষের পাল ) ফসলের মাঠ তছনছ করে দিয়ে যেত... আর তাই লেপার্ড, প্যান্থার, সিংহ বা বাঘ... এরা এমনিতে শত্রু হলেও বুনো ষাঁড় বা মোষ মেরে মানুষের উপকারই করত, আর তাই পৃথিবী ও উর্বরতার দেবীর বাহন... ( নবপত্রিকার পুজো ভেবে দেখ, কারণ আজকের দুর্গাপুজোয় ফার্টিলিটি কাল্ট খুব ওভার্টলি অবভিয়াস নয় আর ) ..."
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:০৯58889
  • আর অভিনব ও খুব নয়, সেইটার জন্যেই আগের পোস্টে ইওরোপে সেই অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনের কথাও লিখলাম... এই রকম আয়াপ্রোপ্রিয়েশন পৃথিবীর ইতিহাসে যেখানে যেখানে হয়েছে, প্রায় সর্বত্র সিম্বলিজম 'ইনভার্ট' করেই হয়েছে...

    ফার্টিলিটির দেবীর বেশ্যা হওয়া ( মৃত্তিকা সংক্রান্ত রিটুয়াল ) শুধু উপমহাদেশে ঘটেনি... গোটা ইওরোপেও ঘটেছে... নানান ফর্ম এ, একাধিকবার... ( দুর্গা অবশ্য ইনভার্শন অফ ইনভার্শন হয়ে অন্তত বাংলায় আবার বাড়ির মেয়ে বাপের বাড়ি আসছে হয়ে গেছে, প্রসঙ্গত ছেলেমেয়ে সমেত মাতৃমুর্তি শুধু এই দুর্গাপুজোতেই হয়, এবং বাংলাতেই ... আসাম ইত্যাদিতে সেগুলো বাঙ্গালি ট্র্যাডিশন থেকেই )
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:১৮58890
  • ফুটনোটঃ দুর্গার ছেলে, কার্তিক গণেশ স্বীকৃত। কিন্তু লক্ষ্মী সরস্বতী যে দুর্গার মেয়ে, এরকম কোথাও নেকা নাই। তবে তাঁরা এলেন কোথথেকে?

    আমাদের দেশের বাড়িতে শুনেছি দুর্গার দুই সখী, জয়া/বিজয়া-র মূর্তি থাকতো। সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। লক্ষ্মী সরস্বতী জোর করে অ্যাড করা।এটা ইনভার্সন না সাবভার্শন কে জানে?
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২৫58891
  • b,

    জয়া-বিজয়ার মুর্তির কথা আমিও শুনেছহি...কিন্তু কোথাও এই নিয়ে কিছু পড়িনি... অবশ্য আমার পড়াশোনা এ নিয়ে খুবই কম...
    আর এই শেষ ইনভার্শনটা একদমই সাবভার্শন... কারণ পৌরাণিক প্যান্থিওন ই ভাবুন আর তন্ত্রের প্যান্থিওন ই ভাবুন... ছেলেমেয়ে সমেত বাপের বাড়ি আসা গৃহিণী উমা দুই প্যান্থিওনের হিসেবেই সাবভার্শনই ...
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৩২58892
  • ওহ, লিখতে ভুলে গেলাম... আমি এই জয়া-বিজয়ার আরও একটা গল্প শুনেছি... কালীর দুপাশে যে দুই 'ডাকিনী' মুর্তি মাঝে মাঝে থাকে অনেক পুজোয়, তাদের নাম জয়া আর বিজয়া এটাও শুনেছি...
  • কল্লোল | 116.206.144.22 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ১১:২৪58893
  • স্বর্ণেন্দু। হুম। ঠিক, শিকার করে খাওয়া গোষ্ঠী হয় মহিষমারা মূর্তি কৃষিকাজ করা গোষ্ঠীর হওয়াই বেশী সম্ভব।

    দুর্গার বাপের বাড়ি আসার গল্প একান্তই পূর্বাঞ্চলের বোধহয়। নইলে ভারতের অন্য কোথাও এই প্রতিমা গঠন নেই। অন্য সব জায়গায় (উত্তরভারতে) নবরাত্রি পালিত হয় শুধুমাত্র সিংহবাহিনী মূর্তিতে।
    দক্ষিণভারতে নবরাত্রির চল আছে কি? আমি তো দেখিনি।

    পুরাণমতে সরস্বতী ব্রহ্মার কন্যা। লক্ষী তো সম্ভাবতঃ সমুদ্র মন্থনের ফসল। কিন্তু পূর্বাঞ্চলে এরা যে কি করে দূর্গার সন্তান হয়ে গেল! কেউ দু পহা দিবেন?
  • একক | 53.224.129.48 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ১১:৫৩58894
  • একটু এড করে যাই : জয়া শব্দের একটি অর্থ শুকনো নেশা । ধুতুরা -গঞ্জিকা এইসব ।
  • Sayantani | 126.202.220.32 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ১২:০৬58895
  • নিজের একটা ছোট লেখার স্বার্থে হুদুর দূর্গা নিয়ে কিছু পড়াশুনো করছিলাম। তাতে যা পেলাম, তাতে মনে হলো, এতে ব্রাম্হন্যবাদী সংস্কৃতির নির্মাণকে চ্যালেঞ্জই করা হয়েছে। এখন, পপুলার কালচার এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অসুর এর মহত্ব প্রমানের চেষ্টায় সমস্যা আছে কি? দুটো পরস্পরবিরোধী মিথ বই তো নয়। দুটোই থাকলে অসুবিধা কি?
  • Ekak | 53.224.129.48 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৬ ১২:৫৪58896
  • রাজনীতি তে অসুবিধে বলে কিছুই নেই । সবই মিথের উপর মিথ্যে । মুশকিল এইযে সেক্ষেত্রে ন্যাশনালিস্ট দের মিথগুলোকে আর্কিওলজিকাল প্রুফ দিয়ে এটাক করা যাবেনা আর । বইপত্র -গবেষণার পাট তুলে দিয়ে পুরোটাই রাজনৈতিক চাপান-উতোরের খেলা খেলতে হবে । আমার অবশ্য তাতেও সমস্যা নেই ।
  • কল্লোল | 116.216.187.85 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩৬58908
  • দিপ্তেন। বেদ্গুলি তো ওভাবে রচিত হয়নি। নানান মানুষ নানান অভিজ্ঞতা নানাভাবে ব্যক্ত করেছেন নানা সময়ে, সেগুলোকে বিষয় অনুযায়ী বিন্যস্ত করে চারটি বেদ তৈরী হয়েছে। ফলে এর থেকে ঐ টেক্স্টগুলোর উদ্দেশ্য বের করা বেশ কষ্টকর। সাধারণভাবে রচয়িতাদের মানসিক অবস্থান বোঝা যায় মাত্র।
    কিন্তু পুরাণগুলো বা সেই অর্থে উপনিষদ রচিত হয় কিছু উদ্দেশ্য মাথায় রেখে। যদিও পুরানগুলি আর উপনিষদ রচনার উদ্দেশ্য আলাদা। পুরাণগুলি সবকটিই আর্য সুপ্রিমেসির কথা বলে। বিভিন্ন সময়ে অনার্যদের উপর নিজেদের অধিপত্য বিস্তার করতে এই পুরাণগুলি সাহায্য করে। একটা জাতিকে বশ্যতা স্বীকার করাতে সামরিক জয়ই যথেষ্ট নয়, বা বলা ভালো সামরিক অধিপত্য বশ্যতা স্বীকার করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কোন কাজে দেয় না। সেখানে দরকার পরে "উন্নত" চিন্তা, ফলে "উন্নত মানুষ"এর ধারনাকে কৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া। যেভাবে ইংরেজরা নিজেদের/পাশ্চাত্যের জ্ঞানভান্ডারকে ভারতীয়/প্রাচ্যের জ্ঞানভান্ডারের চাইতে উন্নত - এই ধরনা ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিলো।
    আমার এরকম মনে হয়।
  • dd | 59.207.59.142 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:১৩58909
  • কল্লোলরে।

    আরে, ঋগবেদেই তো সাদা চামড়া/কালো চামড়ার মানুষদের নিয়ে বিস্তর লেখা আছে। বেশ কয়েকবার লিখেছি। আবার সেগুলো লিখলে সবাই বোর হয়ে যাবে।যজুর্বেদেও অসুর/দেবতা/রাক্ষস এই সব নিয়ে ইন্টেরেস্টিং গল্পো আছে। এরা সবাই আলাদা ছিলেন। চেহারাতেও।

    একাধিক যে জন গোষ্ঠী ছিলো সেটা বেশ বোঝা যায়। গায়ের রং নিয়ে তো অনেক উল্লেখ আছে। ইঃ।
  • কল্লোল | 116.216.130.244 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:১২58910
  • সে তো হতেই পারে। কিন্তু বেদ্গুলো তো বহু সময় ধরে আলাদা আলাদা ব্যাক্তি/গোষ্ঠীর লেখা অভিজ্ঞতা একত্র করা। তাতে প্রেক্ষিত বোঝা বেশ মুস্কিল। যেমন, অসুর আর রাক্ষস। এরা এক গোষ্ঠীর নয়। এদের মধ্যে মিল হলো, এরা দেবতাদের বিরোধী। আর্য্দের যুগভাগের প্রেক্ষিতে অসুরদের উল্লেখ পাই সত্যযুগে। ত্রেতা ও দ্বাপরে অসুর নাই, রাক্ষস আছে। অসুরেরা নগরবাসী (মহাদেবের ত্রিপুর ধ্বংস দ্রষ্টব্য), কিন্তু রাক্ষসেরা অরণ্যচারী। ব্যতিক্রম রাবণ ও তার লঙ্কাবাসী রাক্ষসেরা। মহভারত ও রামায়ণে যত অসুরের উল্লেখ আছে সবই "পুরাকালের" গল্প। ব্যতিক্রম প্রাগজ্যোতিষের নরকাসুর। তবে তারও দুরকম গল্প। ১) পুরাকালে পৃথিবীকে পাঁক থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বরাহ তাতে উপগত হন ও নরক জন্ম নেয়। নরককে বরাহ/বিষ্ণু অস্বীকার করেন ও শিশু অবস্থা মিথিলায়, যৌবনে প্রাগজ্যোতিষে পাঠিয়ে দেন। নরক সময় হিসাবে কামরূপের দেবীর সমসাময়িক। মানে "পুরাকালের"।
    অথচ
    ২) দ্বাপরে কৃষ্ণ তাকে পরাজিত করে তার ১৬০০ দাসীকে মুক্ত করে নিজের সখী হিসাবে নিয়ে আসেন মথুরায়।

    হতে পারে দুজন আলাদা ব্যক্তির একনাম। অথবা পরের গল্পটা কৃষ্ণের মহিমা কীর্তনে বানানো হয়েছে।
  • dd | 59.207.59.142 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:২৫58911
  • ইয়েস, এটা ঠিক লিখলে।

    রাক্ষস আর অসুর আলাদা জাতি। যজুর্বেদেও এদের আলাদা করেই দেখিয়েছে। ঋগবেদে বোঝা যায় দেবতা=অসুর , এই ভাবে শুরু হয়ে সেটা কেমনে দুটো আলাদা গোষ্ঠী হয়ে গেলো। এমন কি শত্রু হয়ে গেলো।

    একটা সেন্ট্রাল থীম নেই, অনেকের লেখা একত্তর করে কমপাইল করা, স্পেশালি ঋগবেদ। সেহেতু কোনো খুব জোড়ালো এজেন্ডা নেই। কিন্তু তাও ও অসাড়েই, নানান নৃতাত্ত্বিক গল্প গাছা বেরিয়ে আসে। এইটাই কইছিলাম।
  • গল্প | 190.179.142.51 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৪৭58912
  • অষ্টমী নবমীর সন্ধিপূজায় কিন্তু দুর্গার নয় , পুজো হয় দেবী চামুণ্ডার , সেই সন্ধিক্ষণে নাকি চামুন্ডা মহিষাসুর কে বোধ করেছিল । চামুন্ডা কিন্তু কালির মতোই কৃষ্ণবর্ণা, মদ্য ও মাংস ভক্ষণকারী দেবী ।
  • কল্লোল | 116.206.135.59 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৫:৫০58913
  • গল্প। এটাই মজার। এই যে মদ খাওয়া, অট্টহাসি হাসা, যুদ্ধ করা, চুল খুলে রাখা ও ঘোরবর্ণ এগুলো একটাও আর্য নারীর বর্ণনা নয়। সরস্বতী, লক্ষী, অপ্সরাকুল, সীতা, দ্রৌপদী এর কেউ এমনধারা নন।
    এই সমস্ত (মদ খাওয়া, অট্টহাসি হাসা, যুদ্ধ করা, চুল খুলে রাখা ও ঘোরবর্ণ) আইকনোগ্রাফি মূলতঃ তান্ত্রিক যোগিনীদের।
  • dd | 59.207.59.142 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:২১58914
  • ঐ কালো রং নিয়ে - দ্রৌপদী কিন্তু কালো। কৃষ্ণ আর অর্জুন দুজনেই কালো। ব্যাসদেব আর তার মা সত্যবতী কালো। পুরো মহাভারতের সেন্ট্রাল ক্যারাকটার এঁয়ারাই।

    আর মদ তো জননী সীতাও খেতেন। দ্রৌপদী অতিথি আপ্যায়নে মদ পরিবেশন করেছিলেন। যদু কূলের মহিলেরাও খুব টানতেন।

    তবে এসবই ট্রিভিয়া মাত্র। আদারওয়াইস কল্লোল যেটি বল্লো - সেগুলিই অর্থাৎ "মদ খাওয়া, অট্টহাসি হাসা, যুদ্ধ করা, চুল খুলে রাখা ও ঘোরবর্ণ এগুলো একটাও আর্য নারীর বর্ণনা নয়" এটা তো ঠিকই। মূলতঃ।
  • rabaahuta | 161.191.175.196 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:২৬58915
  • মদ খেয়ে বেশীরভাগ লোক মুচকি, খিলখিল, ক্লিষ্ট, আমন্ত্রনমূলক, বুঝভুম্বুল, মোনালিসা এইসব হাসি হেসে থাকেন। অট্টহাসিটা রেয়ার।
  • ... | 177.124.124.21 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:৪১58916
  • একটা প্রশ্ন, মদ খেয়ে টলোমলো অবস্থায় যুদ্ধ করলেন কিভাবে? একটা মার ও তো ঠিক জায়গায় পড়বে না!
  • avi | 125.187.34.92 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:৪৪58917
  • হুঁ, ওটা সিগনেচার সিদ্ধি।
  • রৌহিন | 113.42.124.16 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:৩৮58918
  • পড়বে পড়বে। রাজপুতেরাও মদ খেয়ে (নিন্দুকেরা বলে আফিম) যুদ্ধে যেত। ওতে ব্রাভাডো বাড়ে - কারণ বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পায়। স্ট্র্যাটেজিক যুদ্ধে হার নিশ্চিত - কিন্তু যাকে বলে "ঝাড়পিট" - তাতে টনিক হিসাবে কাজ করে।
  • রৌহিন | 113.42.124.16 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:৪০58919
  • একক এবং স্বর্ণেন্দুর সাথে একটা ব্যপারে ভীষণ একমত - মহিষাসুর = অসুর বংশীয়দের আদিপুরুষ - এই মিথকে মেনে নিলে আর কিছুতেই আর্কিওলজিকালি বৈদিক দেবদেবীদের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে সেই অধিকার হারাতে আমি রাজি নই।
  • Arpan | 213.191.35.24 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:৫৯58920
  • যাস্লা, মদ খেলেই টলোমলো অবস্থা হবে কেন? পরিমিত মদ খাবার পরে তো নার্ভ টানটান হয়, কাজে ফোকাস বাড়ে। একটা থ্রেশোল্ড অব্দি।

    তারপরেও খাওয়া কন্টিনিউ করা যায়, ভয়ভীতি জয় করতে গেলে। যেমনটি রৌহিন কইলেন।
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৫০58921
  • না , সিদ্ধি নয় মনে হয় । মধু থেকে তৈরী ওয়াইন অর্থাৎ মাধ্বীর প্রচলন ছিল । সোমরস মেয়েরা খেতেন এমন পাইনি কোথাও । ডিডি দা পেয়েছেন ?

    সোমরস অবশ্য শুকনো নেশা বলা যায় অর্থাৎ লিকার নয় । এফিড্রিনের নেশা বেসিক্যালি । ওই এফিড্রিন খেয়েই হ্যালু হয়ে বেদ ফেদ লেখা :)
  • কল্লোল | 116.216.187.42 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০৩58931
  • গল্প। চন্ডী তো অনার্য দেবতা। তাকে আর্যরা নিজেদের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছে। প্রশ্ন থাকতে পারে তবে তাদের অনার্য্সুলভ আইকনোগ্রাফি রেখে দেওয়া হলো কেন। তা না হলে অনার্যরা তাকে চিহ্নিত করবে কি করে? ওটাই তো আর্য আধিপত্য বিস্তারের খেলা। "তোদের দেবতারা আমাদের কাজ করে দেয়" এটা প্রতিষ্ঠিত হবে কি করে।

    দ্রৌপদীর চুল খুলে রাখা বিশেষ কারনে। এমন নয় যে দ্রৌপদী চিরকালই চুল খুলে রাখতেন।

    প্রথমতঃ আর্য মাত্রই ফর্সা, এটা প্রায় স্বঃতসিদ্ধ। ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। কৃষ্ণ তো কংসের ভাগ্নে, ফলে শ্যামল হতেই পারেন। অর্জুন/রাম কেন শ্যামল জানিনা। কিন্তু এরা কেউ ঘোরবর্ণ নন। আশা করি শ্যামা আর কালীর তফাৎ জানেন। রইলো জগন্নাথ। তার অরিজিন নিয়ে অনেক কথা আছে। জগন্নাথের উদ্ভব নিয়ে নানান মতের একটা মত এটি আদিবাসীদের দেবতা।
    ?Polish Indologist Olgierd M. Starza has reviewed various theories on the tribal, Buddhist, Jain, or Vaishnav origins of Jagannath in The Jagannatha Temple at Puri: Its Architecture, Art And Cult,[72] and has arrived at the conclusion that "... several early theories regarding the origin of Jagannatha have been refuted; only the tribal theory remains a possibility ...".[73]

    The factors responsible for the acceptance of tribal origin theories are as under:

    The structure and shape of Jagannath deity is commensurate with a pillar. The Savaras, the earliest tribal inhabitants of Odisha, were tree worshipers, and their rituals involved dancing and singing before the Kitung or Jaganata or God.[18] It has been argued that when the Vedic Aryans migrated to Odisha, they adopted the local tribal tradition of Jaganata worship, and effected the transformation of the tribal wooden pillar Jaganata to aryanized Jagannath. In fact, among tribals of Vindhya region, tree or khamba (pillar or post) worship is prevalent.
    A deep association of a class of non-Brahmin, tribal origin servitors, called Daitas, exists with the worship of the Jagannath deities. These Daitas are the hereditary servitors of Jagannath.[19] They are inextricably and exclusively connected with the funeral rites of Jagannath during the Nabakalevara (New embodiment/renewal) ritual and bear the sole responsibilities of Snana Yatra and Ratha Yatra. The instances of worship of Jagannath by Savaras is also mentioned in Darubrahma Gita written by Jagannath Dasa in the 16th century and in Deula Tola written by Nilambara Das in the 17th century.
    The images of the Jagannath triad are built out of neem wood, as opposed to universal use of stone for construction of images of all brahminical Hindu deities.[41]
    There is no caste distinction in the cult of Jagannath which is akin to the practices of tribals and significantly different from classical Vaishnavism.[74] সূত্র ঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Jagannath#Myths_and_legends_of_the_origin_and_emergence_of_Jagannath
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৪৭58932
  • "রথমতঃ আর্য মাত্রই ফর্সা, এটা প্রায় স্বঃতসিদ্ধ।" --- কি মুশকিল!! এইটা কেন ও কিকরে সেইটাই তো জানতে চাইছি...
  • avi | 125.187.34.92 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩৪58922
  • সিদ্ধি ওই অট্টহাসি প্রসঙ্গে।
  • dd | 116.51.27.62 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৫৬58923
  • খামোখা এতো মদ ঢালছেন কেনো এই টইতে?

    সীতা খেতেন মৈরেয় মদ। আর মহাভারতে একাধিকবার উল্লেখ হয়েছে মহারথীরা যুদ্ধের মাঝেই কিরাত দেশীয় (নর্থ ইস্টের) মদ খেয়ে বিহ্বল হয়ে আবার যুদ্ধ করতেন। ওনাদের ঘোড়াদেরও দেওয়া হত।

    নট মাধ্বী (Mead)।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন