এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 116.51.225.231 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৩৫58933
  • অ্যাকচুয়ালি, আমি কিন্তু কল্লোলের সাথে মোটামুটি একমত। বেশীর ভাগটাই ।

    কিন্তু এ নিয়ে আর এক্ষনে ক্যালোর ব্যালোর করবো না, কেনোনা(১) অ্যাতো বড়ো ব্যাপারে লিখতে গেলে প্রায় প্রবন্ধই লিখতে হয়। সেই দম নেই আর (২)@স্বর্ণেন্দু , খুব বড়ো একটা সাবজেক্ট নিয়ে লিখছেন তো। প্রচুর পয়েন্ট আছে। নানান মতামত। আপনি নিজের মতন লিখেই চলুন। সব ব্যাপারেই এক্ষুনি জড়িয়ে পরলে লিখবেন কখন ?
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | 122.133.223.2 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৫০58924
  • এই নিয়ে এক্তা আলোচোনা কোরেচিলম গুরু পেজে ।
  • dc | 132.164.49.71 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৫২58925
  • ডিডিদা এই কিরাত দেশীয় মদ কিভাবে বানানো হতো? রেসিপি টেসিপি কিছু আছে?
  • গল্প | 190.179.40.51 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৫:১২58926
  • ডিডি ঠিক ই বলেছেন , কল্লোলের তথ্য পড়ে সন্দেহ হওয়ায় আরেকবার বই গুলো উল্টে দেখলাম । দ্রৌপদী শ্যামবর্ণ তাই তার আরেক নাম ই কৃষ্ণা , সত্যবতী জেলেনী ও কৃষ্ণা , সীতা মদ্যপান করতেন এসবই সত্যি , মহাকাব্যতেই লিখিত ।কল্লোলের সুইপিং জেনারালাইজেশন ভুল
  • রৌহিন | 233.223.133.211 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:১৪58934
  • না আর্য মাত্রেই ফর্সা নন - এটার নানান প্রমাণ আছে। বস্তুতঃ স্বর্ণেন্দু নিজেই অন্য টইএ এই বিষয়ে লিখছেন - কাজেই উনি জড়িয়ে পড়তেই পারেন এই আলোচনায়। তবে কল্লোলদার সাথে অন্য প্রায় সব বিষয়েই একমত। জগন্নাথ আদৌ বৈদিক নন - জগন্নাথের গড়নই তা বলে দেয়। দারুব্রহ্ম মূর্তি কোন আর্য দেবতার নেই - এখানেও ওই দারু (কাঠ) র সাথে ব্রহ্মকে কায়দা করে জুড়ে দেওয়া ব্রাহ্মণ্য সুপ্রীমেসির খেলা।
    রাম কেন কালো (বা শ্যামবর্ণ), সেটা যেমন ইন্টারেস্টিং, তেমনি রাম নামটাও আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে। এটা কি কোন সংস্কৃত নাম আদৌ? এত ছোট, যুক্তাক্ষরবিহীন, সিম্পল নাম আর কোন বৈদিক চরিত্রের আছে কি - মানে যারা আদিবাসী বা অরণ্যচারী ইত্যাদি নন?
  • কল্লোল | 116.216.191.221 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:২৩58927
  • গল্প। শুধু মদ্যপান আর ঘোরবর্ণ নয় আরও বেশ কিছু লক্ষণ লিখেছিলাম - মদ খাওয়া, অট্টহাসি হাসা, যুদ্ধ করা, চুল খুলে রাখা ও ঘোরবর্ণ। দ্রৌপদী কৃষ্ণা। আমার ধারনা কৃষ্ণা ও ঘোরবর্ণায় তফাৎ আছে। সত্যবতী, দ্রৌপদী বা কৃষ্ণকে কেউ ঘোরবর্ণ বলে কোথাও উল্লেখ করেনি,
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:২৬58935
  • পরশুরাম আছেন রাম এর আগে। তাঁর নামও রাম। ঋষি জমদগ্নির ছেলে। পরশু পরে জুড়ে যায় নামের আগে। মানে কুঠার হাতে রাম।
  • রৌহিন | 233.223.133.211 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:৪৯58936
  • হুঁ - এটোজ ঠিক বলেছেন - পরশুরামও রাম। কিন্তু পরশুরাম যতদূর জানি কোন একজন ব্যক্তি নন - রামায়ণের পরশুরাম আর মহাভারতের পরশুরাম নিশ্চই এক ব্যক্তি নন - অনেকটা অরণ্যদেবের মত - বংশ বা কূল পরম্পরা। সেক্ষেত্রে রামটা কূলনাম মাত্র। কিন্তু সে যাই হোক - অন্তত দুজন রাম এর খোঁজ পাওয়া গেল। কিন্তু নামটা তা-ও ইন্টারেস্টিং ই থেকে গেল।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:০৮58937
  • আর একজনের নামের মধ্যে রাম আছে। বলরাম।
  • গল্প | 125.112.74.130 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:১২58928
  • কল্লোল, রঙের শেড বিচার করতে বসলে তো আর্য মাত্রই গৌরবর্ণ কনসেপ্ট ঘেঁটে গেলো :-) কৃষ্ণকে তো কোথাও বলে "নবজলধর শ্যাম" বর্ণ কোথাও বলে কালো জামের মতো রং ,আবার জগন্নাথ কুচকুচে কালো । সীতা বা যদুকুলের মহিলারা মদ খেত বা দ্রৌপদী মদ পরিবেশন করতো এগুলো কোন লক্ষণ ? চুল খোলা রাখা , আর অট্টহাসি করা যে অনার্য মহিলা এক্সক্লুসিভ এ ধারণাটার ঐতিহাসিক ভিত্তি কি ?তাহলে "গর্জ গর্জ খনং মূঢ় " ইত্যাদি হঠাৎ চন্ডির মুখে বসানো হলো কেন ? মহাভারতে পাওয়া যায় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ অবধি দ্রৌপদী চুল খুলেই রাখতো , দুঃশাসন মৃত্যুর পর তার রক্ত চুলে মেখে খোলা ময়দানে উল্লাস ও করেছিল ।
    যাইহোক মহাকাব্য পড়ে ছবি কল্পনা করলে মতান্তর হবেই।
  • Blank | 24.96.114.17 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২২58938
  • রাম, এই নামটা আরো প্রাচীন হওয়া সম্ভব। হিব্রু তে মনে হয় রাম (Ra‛mâh) কথাটার অর্থ 'বজ্র'।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২৭58939
  • মিশরের ফ্যারাও রামেসিস। এঁর নামের মধ্যেও রাম আছে।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৩৫58929
  • আর্য মাত্রই গৌরবর্ণ এমন আদৌ নয়ই... এটা একটা দীর্ঘদিনের মিথ আশ্লেষেই মিথের প্রভাব এতই দীর্ঘস্থায়ী যে পড়ার সময়ও ওইরকমই ছবি কল্পনা করে মানুষ...
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৩৬58930
  • * মিথ আর সেই মিথের প্রভাব...
  • Blank | 24.96.114.17 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪৬58940
  • রামসেস মানে হলো রা এর সন্তান। রাম কথাটা নেই।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:১৩58941
  • ফ্যারাওদের মধ্যে এগারোজন পেলাম রামেসিস(রামসেস) নামে। এদের মধ্যে প্রথমজন আবার পরিচিত ছিলেন Pa-ra-mes-su নামেও।
    ব্যুৎপত্তিগত ভাবে যাই হোক, নামটা বলার সময় রা আর ম দুটো ধ্বনি থাকছেই।
  • কল্লোল | 116.216.191.80 (*) | ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০৮58942
  • স্বর্ণেন্দু।আর্য মাত্রেই ফর্সা এটা স্বতঃসিদ্ধ, কারন কালো আর্য খুঁজে বের করতে হয়, তাদের অনেকেই আবার বর্ণ্সংকর। অতএব শ্যাম আর্য ব্যতিক্রম, যা নিয়মকেই প্রতিষ্ঠা করে। আর ঘোরব্র্ণ আর্য (কালীর গায়ের রং) নেই।
  • ranjan roy | 192.69.127.20 (*) | ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২১58943
  • বর্ণ বা রং কথাটা নিয়েই কি উচ্চ নিম্ন-বর্ণ ভাগ করা হয় নি? আবার দুই বর্ণের মিলনে ( ইন্টার কাস্ট ম্যারেজে) বর্ণসংকর কথাটির ব্যবহার দেখুন।
    বর্ণাশ্রম ধর্মের ব্যাপারটা দেখুন।
    কোন আর্য দেবদেবীর বর্ণনায় কৃষ্ণ বা পিঙ্গল বা ধূম্রবর্ণের উল্লেখ?

    আর উল্টো দিক দিয়ে ভাবুন, অনার্য অথচ গৌরবর্ণ এমন উদাহরণ কি কোথাও পেয়েছেন? আজকের কথা বলছি না।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২৭58944
  • আমার অবশ্য রাম বললে এক বুড়ো সাধুর কথাই মনে পড়ে।
  • রাম | 181.25.193.235 (*) | ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৩৮58945
  • বাজার থেকে ব্যাজার মুখে ফেরার পথে হাঁদারাম
    এমন সময় ধরল তাঁকে জনাকতক চাঁদারাম।
    ...
    নাম কী শুধাতে ঘাবড়ে গিয়ে হাঁদা বলেন, 'ধাঁধারাম।'

    'বেশ নাম তো, কতো লিখব দাদারাম?'
    হাঁদা বলেন 'পকেট ফুটো, পথ ছেড়ে দাও উটকো যতো বাঁধারাম'।
    পকেট ফুটো বললে হলো , আমরা বুঝি সাদারাম?'

    জাপটে ধরে এমন নাকাল করল তারা
    হাঁদা হলেন কাঁদারাম।
    .....বললে তারা 'আপনি মশাই ছ্যাঁদারাম!।'

    -------

    এইটা মিড এইটিজ আমেলায় পড়েছিলাম। মেমোরি থেকে লিখলাম। কারও কাছে পুরোটা হবে?
  • নন্টে | 11.39.39.224 (*) | ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৪২58946
  • রামধনু=রাম্বো
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | 193.83.235.76 (*) | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৫৫58949
  • নিশ্চয়
    আপনার লেখার সাথে অনেক কমন থ্রেড আছে দেখলাম আমার লেখাটায়
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:১১58950
  • সৌম্যদীপ,
    আমারটা লেখা নয়, নিতান্তই ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস মেসেজ।
    যাই হোক, যে কথাগুলো বলার ছিল...
    আপনার ১ নম্বর পয়েন্ট এ কি বলতে চেয়েছেন সেটা একটুও পরিষ্কার নয়। আপনার বক্তব্যগুলো কনফিউসিং ও মিসলিডিং ।

    " আর্য রা সবাই বাইরে থেকে এসেছে এবং বৈদিক সভ্যতা স্থাপন করেছে , তা একদম ই প্রামাণ্য নয়,"... এই বাক্যটিতে ভুল কিচ্ছু নেই, কিন্তু আপত্তি আপনার এই বাক্যটার রিপ্রেসেন্টেশনে। কারণ এই বাক্যটার অর্থ এইটা নয় যে 'আর্য' সংস্কৃতি ( ঠিক শব্দ ব্যবহার করলে প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান মেটিরিয়াল কালচার ) ভারতীয় উপমহাদেশে বাইরে থেকে আসা জিনিস নয়। আপনি ঠিক সেই অর্থেই বাক্যটা ব্যবহার করতে চেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে আপনার লেখায়।

    "few Indians had any conscious memory of an "Aryan" warrior''-" এইটা আপনি কোট করছেন, তাই দায় আপনার নয়। তবু বলে যাই, কন্সাস মেমরি নেই এটা কোন যুক্তি নয়। আজকের পৃথিবীর কোন জনগোষ্ঠীর কোন মিথ এ লাস্ট গ্লেসিয়াল ম্যাক্সিমাম এর কোন স্মৃতি কোনভাবে রক্ষিত আছে বলে আমি শুনিনি বা পড়িনি কোথাও, তাতে লাস্ট গ্লেসিয়াল ম্যাক্সিমাম এ মডার্ণ হিউম্যান যে ইউরেশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় ছিল ( অর্থাৎ, 'আইস এজ' দেখেছে ) সেইটা মিথ্যে হয়ে যায় না। কালেক্টিভ মেমরি ঐতিহাসিক সত্য নিরূপণের ভাল মার্কার নয়।

    একই কথা প্রযোজ্য "ইন্দো ইউরোপীয় এবং ইন্দো আর্য খুব বেশী হলে একটা ভাষা গোষ্ঠী এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়। তাকে জাতির সাথে কখনোই গোলানো যায়না।" --- এর মানেও ভাষাটা বা সংস্কৃতিটা উপমহাদেশে বহিরাগত এটাও নয়, আবার জাতির সাথে গোলানো যায় না মানেই এই আসার সাথে কোন জিন-ফ্লো জড়িয়ে নেই এইটাও না।

    "আচ্ছা একবার এটাও ভাবুন, এরকম কেন হতে ই হবে যে আর্য রা, বা উচ্চবর্ণ ব্রাহ্মণ রা এসে নিজেদের সংস্কৃত চাপিয়ে দিলো অনার্য্য দের ওপর ? সংস্কৃতিক মেলবন্ধন তো হতেই পারে'' এবং " তারমানে, সাংস্কৃতিক আদান প্রদান ছিল যথেষ্ট।" এই বাক্যদুটোও সমস্যার। 'মেলবন্ধন' শব্দটার শাক দিয়ে এই মাছটা আদৌ ঢাকা পড়বে না যে একটা বিপুল জনজাতির ল্যাঙ্গুয়েজ রিপ্লেসমেন্ট এমনি এমনি ঘটে না। অন্য ভাষাটা বলা, অন্য কালচারটা অ্যাডপ্ট করাটা বেশী লাভজনক, বেশী প্রেস্টিজিয়াস বা এইজাতীয় বড়সড় ইনসেন্টিভ ছাড়া ঘটে না। সেগুলো কি সে নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু উপমহাদেশে তৎকালীন এক্সিস্টিং ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতির যে লেগাসি উপমহাদেশের পশ্চিম প্রান্তে এসে পৌঁছেছিল, তাদের ইন্টারঅ্যাকশনটা 'সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন' টাইপ গোল-গোল ভাল-ভাল অ্যামিকেবল কিছু নয়। পরবর্ত্তীকালে তো আরোই নয়, এমনকি আজও নয়।

    "অনার্য মানেই অহিন্দু এরম কিছুও প্রতিপাদ্য নয় দেখলাম।" --- এইটা নিছক অ্যানাক্রনিজম। যে আর্য-অনার্য নিয়ে আপনার ওই অংশটা লেখা, সেই অর্থে হিন্দু কথাটা অপ্রাসঙ্গিক, কারণ যে কোনরকম হিন্দু আইডেন্টিটি তখন কিছু না হলেও এক হাজার বছর ভবিষ্যতের গর্ভে।

    ২ নম্বর পয়েন্ট এ ঋগ্বেদে Asura র মানে সম্পর্কে যা লিখেছেন তাইই, কিন্তু এই শব্দটার অর্থ ও কনোটেশনটা সময়ের সাথে সাথে নেগেটিভ দিকেই গেছে সেইটা না উল্লেখ করা একটা সিলেক্টিভ পিকচার দেওয়া। ভাষায় শব্দের মানে পাল্টাতে থাকে। সামান্য সময় আগেই মাগী শব্দটা বহুলভাবে ব্যবহৃত হত আলাদা করে কোন গালাগালির কনোটেশন ছাড়াই।

    আহুর থেকেও ইন্দো-আর্য শব্দকোষে অসুর ঢুকে পড়েনি। আভেস্তান এ শব্দটা Ahura আর ইন্দো-আর্য এ Asura, প্রিসাইসলি একই শব্দ। ঠিক যেমন Haravati=Saraswati, Hapta Hindu=Sapta Sindhu। শব্দগুলো আভেস্তান থেকে ইন্দো-আর্য এ আসেনি, আভেস্তান আর ইন্দো-আর্য দুটোতেই ইন্দো-ইরানিয়ান থেকে এসেছে ( যেটা ইন্দো-আর্য আর আভেস্তান, দুটোরই কমন মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ )।

    নেগ্রিটো টার্মটা প্রবল কন্ট্রোভার্সিয়াল, অ্যানথ্রোপলজিকালিই, পলিটিকাল কারেক্টনেস এর অর্থে বলছি না। আপনি AIT নিয়ে যা লিখেছেন ঠিক সেই কথাটাই, with no less justification, বলা চলে ওই নেগ্রিটো টার্মটার সম্পর্কে।

    "অন্যান্য প্রাচীন প্যাগান দেবী দের মত তাঁরও আগমন ফসল এর সময় , আশ্বিন মাসে "--- নিছক ভুল তথ্য। আপনি দুর্গা র লেগাসি বলতে গিয়ে নিজেই যে নামগুলো লিখেছেন তাদের বেশিরভাগ এর আলাদা করে বাৎসরিক পুজোর দিন ( মানে পুজো সম্বৎসর, উৎসবের দিন বলা উচিৎ ) ছিল স্প্রিং ইকুইনক্স এ, বসন্তকালে। দুর্গাপুজোও প্রিসাইসলি তাই ছিল, এখনো বহু জায়গায় বাসন্তী পুজো বলে চালুও আছে।

    "হরপ্পার কৃষি ভিত্তিক মাতৃপ্রধান সমাজে "-- হরপ্পার সমাজ মাতৃপ্রধান ছিল এটা কেউ কোথাও ডেমনস্ট্রেট করেননি।

    " কৃষিজীবী অন্ত্যজ দের ঘরের দেবতাই যে ছিলেন দুর্গা,"-- আবারো সম্ভবত অ্যানাক্রনিজম, কিন্তু আমি অতটা নিশ্চিত নওই এইটা নিয়ে। এইটুকু বলার যে কৃষিভিত্তিক কালচারের লেগাসি মানেই চাষিরাই পুজো করত, এবং চাষিদের মধ্যে পুজোটা প্রচলিতই ছিল, তাও আবার চাষিরা যখন থেকে 'অন্ত্যজ' বলে পরিগণিত হয়েছে তখন পর্যন্ত - এ খুবই সন্দেহজনক ক্লেইম। এমনিতেও বজ্রজানী বৌদ্ধ ট্র্যাডিশনের হাত ধরে তন্ত্র বহুদিনই শুধু 'হিন্দু' দের ব্যাপার ছিল না। বজ্রযানের তারা, উগ্রতারা এগুলো পার্বতীরই নানান রূপকল্প।

    " বৈদিক সভ্যতা মূলতঃ পশুপালক " - এইটাও কি বলতে চাইলেন পরিষ্কার নয়।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | 122.133.223.2 (*) | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:১৬58947
  • আমি যেটা লিখেছিলাম এ বিষয়ে

    অসুর , ভাসুর এবং কেচ্ছা বিলাপ

    শুভ দেবীপক্ষ র প্রীতি ও শুভেচ্ছা বন্ধুরা। বছরের এই সময় , বিশেষতঃ বিগত তিন চার বছর ধরে আপনারা, বিশেষত যাঁরা একটু নেট স্যাভি এই সময়েই দেখবেন একটা নতুন থিওরি ভেসে ওঠে। আগ্রহীরা পড়ে নিতেই পারেন , আমি একটু যারে কয় সংক্ষিপ্ত সার দিয়ে দিচ্ছি। এই থিওরি প্রথম বাজারে আসে একটা সদ্য দুধের দাঁত ওঠা সংবাদ পত্রের হাত ধরে , আর এই নিয়ে প্রথম হই চৈ শুরু হয় জে এন ইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বক্তব্য মোটামুটি , দুর্গাপুজোর সাবল্টার্ন ভাষ্য - দুর্গাপুজো নাকি আদতে ৪০০০ বছর আগে বহিরাগত আর্য দের হাতে মূলনিবাসী (অসুর) দের হত্যাকান্ড। এরম ই এক মহিষ পালক জাতির এক(যাদব বংশীয়, দ্রাবিড় ) রাজা ছিলেন, যিনি সর্ব জন প্রিয় এবং শক্তিশালী যাঁর নাম মহিষাসুর। তাঁর সাথে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এই আর্য রা এক ছলনা ময়ী বেশ্যা নারী কে নিয়োগ করে, যার নাম দুর্গা। এই এজেন্ট দুর্গা নিজের ছলা কলায় মহিষাসুর কে নিজের প্রেমে ভোলায় আর বিয়ে করে। নয় দিন প্রচুর মদ্য পান, আনন্দ উৎসব এবং অবশ্যই যৌন উদযাপনের পর দশম দিনে অসতর্ক মহিষ রাজা কে দুর্গা হত্যা করে। এই প্রথম নয় দিন হলো নব রাত্রি এবং দশম দিনে দশেরা , যেটা অনেক জায়গায় পালন হয় রাবণ জ্বালিয়ে ( এ ব্যাপারে পরে দু এক কথা লিখবো। এর পর এই হীনবল , শোকার্ত ,রাজা হীন মূলনিবাসী দের ওপর আর্য রা ঝাঁপিয়ে পড়ে , শিশু বয়স্ক দের খুন করে মেয়েদের ধর্ষণ করে। সেই দেখে অনুশোচনায় দুর্গা জলে ডুবে আত্মহত্যা করে ( ভাসান )। এই ইতিহাস নাকি মূলনিবাসী দের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির এক অংশ , যা ঢ্যামনা বাদীরা থুড়ি বামনা বাদীরা জোর করে লুকিয়ে রেখেছিল যাতে মূলনিবাসীদের জাতিসত্ত্বা ক্রমশ বিলীন হয়ে যায়। সত্যি অত্যন্ত কষ্টকর এবং লজ্জাষ্কর এই বৃত্তান্ত। তারপর এই ভাষ্য সমর্থন করছে জে এন ইউ এর মত এলিট বিশ্ববিদ্যালয় এর বামপন্থী রা , কোনো অশিক্ষিত চাড্ডী নয়। সুতরাং বিশ্বাস তো করতেই হয়, তাই ভাবলাম নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে একটু পড়াশোনা করলে আরো কিছু জানা যাবে। তো সেই খান থেকেই কিছু কিছু জিনিস আপনাদের সমক্ষে রাখা যাক।

    ১. আর্য্ দের হাতে মূলনিবাসী জয়, বা আরিয়ান ইনভেসন থিওরি ( এ আই টি ) - এটা মোটামুটি ২০০ বছর আগে শ্বেতাঙ্গ দের সফেদ শ্রেষ্ঠত্ব ভাষ্যের একটা পাঠ। আজ ডান বাঁ কোনো ঐতিহাসিকই এ আই টি কে প্রামাণ্য বলে স্বীকার করেননা | কিন্তু ডানপন্থী মানেই চাড্ডী , দালাল তাই আমরা এনাদের বক্তব্য আলোচনা করবো না। দেখা যাক ডি ডি কোশাম্বী' কি বলেছেন এ ব্যাপারে। তাঁর মতে আর্য রা সবাই বাইরে থেকে এসেছে এবং বৈদিক সভ্যতা স্থাপন করেছে , তা একদম ই প্রামাণ্য নয়, ভারতের ইতিহাস গভীর ভাবে পড়লেই তা জানা যায়। একধাপ এগিয়ে উনি আরো বলছেন ''Before the invention of the "exalted" Aryan (of European origin) by British (and other European and Western) ideologues, few Indians had any conscious memory of an "Aryan" warrior''-
    রোমিলা থাপার বলছেন ''Indo-European and Indo-Aryan are language labels, but in the nineteenth century these were also incorrectly used as racial labels and this confusion persists. The correct usage should be “Indo-European-speaking people” and `Indo-Aryan-Speaking-people’, but the shortened labels, Indo-European and Indo-Aryan are commonly used. Language is a cultural label and should not be confused with race'' মোটা অনুবাদে ইন্দো ইউরোপীয় এবং ইন্দো আর্য খুব বেশী হলে একটা ভাষা গোষ্ঠী এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়। তাকে জাতির সাথে কখনোই গোলানো যায়না।
    এমনকি আম্বেদকর পর্যন্ত বলছেন, এই এ আই টি থিওরি আরো আগে বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এটা কিছুই নয় সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রী প্রচার ছাড়া | আরো বলছেন "The theory of [Aryan] invasion is an invention. It is a perversion of scientific investigation, it is not allowed to evolve out of facts.... It falls to the ground at every point.''
    কি কেলো , শেষ পর্যন্ত নাকি কলোনিয়াল থিওরির দাসত্ত্ব নিচ্ছেন জে এন ইউ কুল !

    তাহলে একটা মূল্যবান থিওরি যা এই মূলনিবাসী দের ওপর বহিরাগত দের আক্রমণ কে প্রমাণ করতে পারতো , পন্ডিত রা মোটা মুটি একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন ! কি মুশকিল !
    আচ্ছা একবার এটাও ভাবুন, এরকম কেন হতে ই হবে যে আর্য রা, বা উচ্চবর্ণ ব্রাহ্মণ রা এসে নিজেদের সংস্কৃত চাপিয়ে দিলো অনার্য্য দের ওপর ? সংস্কৃতিক মেলবন্ধন তো হতেই পারে''
    আবার কোশাম্বীর শরণাপন্ন হলাম, উনি ইন্ট্রোডাকশন টু ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি বই fতে কি বলছেন দেখুন '' many of India's Brahmins rose from 'Hinduised' tribes that earlier practised animism or totem worship, A majority of these Hinduised tribes retained many elements of their older forms of worship, and several Brahmin gotra (clan) names are derived from non-Aryan clan totems '' মোদ্দা কথা প্রচুর ব্রাহ্মণ গোত্র উৎপত্তিস্থল আদিবাসী টোটেম দের থেকে। লোকায়ত দর্শন বইতে দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় মোটামুটি একই কথা বলছেন ,লিস্ট ও দিয়ে দিচ্ছেন শান্ডিল্য , কশ্যপ ইত্যাদি গোত্র কি কি টোটেম এর নাম থেকে এসেছে !
    তারমানে, সাংস্কৃতিক আদান প্রদান ছিল যথেষ্ট। অনার্য মানেই অহিন্দু এরম কিছুও প্রতিপাদ্য নয় দেখলাম।

    ২. এবার তাহলে অসুর বা আসুর নিয়ে দেখা যাক ওনাদের কেমন অসংস্কৃত , ভিলেন টাইপ বানিয়েছে এই আগ্রাসক আর্য রা । Hindu Mythology, Vedic and Puranic, by W.J. Wilkins, তে দেখছি লেখা আছে বেদে অসুর বলতে দেবতা বোঝানো হয়েছে অনেক বেশী বার , দেবতার শত্রু দেখানো হয়েছে অনেক কম. ''Varuna was the all-knowing asura, Prajāpati the Supreme Being; Indra, the Maruts, Tvastri, Mitra, Rudra, Agni, Vāyu, Pushan, Savitri, Parjanya, the sacrificial priests, were all asuras. In fine, Deva (god) and asura were synonymous expressions in a multitude of texts."'' মানে , ইন্দ্র , বরুণ , অগ্নি নামক অতি পরিচিত দেব রা অসুর ছিলেন।
    এনাদের গুণের প্রশংসা বার বার করা হয়েছে প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে। মহাভারতে কবি দৈত্য দানব দের রূপের প্রশংসা করেছেন কলম খুলে।
    জেন্দ আবেস্তা গ্রন্থে আহুর মাজদা ( জ্ঞানী প্রভু বা the Wise Lord) থেকে এই অসুর শব্দ ইন্দো আর্য শব্দ কোষে ঢুকে পড়ে এই মত বেশীর ভাগ ঐতিহাসিকদের। প্রাচীন স্থাপত্যে এই সর্বশক্তিমান আহুর মাজদার নিদর্শন প্রচুর।
    এবারে দেখা যাক, ঝাড়খণ্ডের যে অসুর ট্রাইব কে এখানে টানা হচ্ছে , তাঁদের ইতিহাস।
    জন ব্যাপ্টিস্ট হফম্যানের এনসাইক্লোপিডিয়া মুন্ডারিকে (১৫ খন্ড) , নৃতত্ব বিদ এবং ঐতিহাসিক কে কে লিউভা রাঁচিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আধিকারিক থাকার সময় তাঁর ১০ বছরের রিসার্চ প্রকাশ করেন ‘The Asur'(1963) ) এছাড়াও প্রামাণ্য সূত্র এই ব্যাপারে Tribes of India'(KS Singh 1994) and ‘Asurs and their dancers'(joseph marianus kujur 1996).এই সব রিসার্চে যা জানা যাচ্ছে আসুর হলো উত্তর মুন্ডা ভাষা ,মুন্ডারী র কাছাকাছি।
    এবং আরো আশ্চর্য্ ভাবে এর কোথাও উল্লেখ নেই , মহিষাসুর এর সাথে এদের কোনো দূর থেকে দূরান্তের সম্পর্ক আছে। ধর্মীয় বিশ্বাস সম্বন্ধে যা জানা যাচ্ছে তা হলো , এনাদের বিশ্বাস মহাদেব এবং পার্বতী পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। উপাস্য দেব সিং বোঙ্গা (সূর্য্য) এবং ধরতি মাই (পৃথিবী). অতিপ্রাকৃতিক শক্তি পেতে এনারা চন্ডী পুজো করেন। নৃতত্ববিদ কুজুর এর বইতে বলা হচ্ছে, এনাদের মধ্যে হোলি, এবং দশেরা খুব ই জনপ্রিয়। এনাদের কাছেও রামায়ন কথা জনপ্রিয়, এবং এনাদের কাছে স্থল পুরাণের সমমনস্ক গীতিকা আছে যেখানে হনুমানের লঙ্কা পোড়ানো একটা বড় ঘটনা।

    এনাদের সমস্ত লোক গীতি/ গাথা ( যা খুবই তথ্য বহুল) সেখানে কোথাও উল্লেখ দেখা যাচ্ছে না যে ইন্দ্রের সাথে যুদ্ধে এনাদের রাজা জিতেছিলেন তার পরে দুর্গা এসে ইত্যাদি ইত্যাদি করেন,দূর্গাপুজোয় এঁরা শোক পালন করেন ,দশমী তে উৎসবে মেতে ওঠেন এবং এনারা মহিষাসুর এর বংশ ) | সম্প্রতি কোনো ট্রাইবাল রাই মহিষাসুর পুজো করেন না এই মন্তব্য করেছেন ঝাড়খন্ডের ট্রাইবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধিকর্তা প্রকাশ ওরাঁও |

    আরো দুটো তথ্য দিয়ে শেষ করি , এনাদের প্রাচীন পেশা হচ্ছে লোহা গলানো ( পশুপালন নয় ),এবং সে কাজে এদের ব্যুৎপত্তি অসাধারণ। আর যারা পুরুলিয়া বা ঝাড়খণ্ডের ছৌ নাচ দেখেছেন তাঁরা মনে করতে পারবেন, এই নাচের একটা খুব জনপ্রিয় থিম হচ্ছে মহিষাসুর মর্দিনী। এবং বেশীর ভাগ শিল্পীই মুন্ডা বা হো।

    নিশ্চয়ই আপনি অবাক হয়ে ভাবছেন যে মূলনিবাসীরা নিজেদের যে ইতিহাস জানেন না এত যুগ ধরে কিভাবে এই বিপ্লবী কুল এই তথ্য জেনে নিলেন ? ভাবুন ভাবুন ভাবা প্র্যাকটিস করুন !

    ৩. আর্য দেবী দুর্গার ছলনা এবং মহিষাসুর - মহিষাসুর মর্দিনী বলতেই আমাদের চোখের সামনে যে মূর্তি ভেসে আসে তা হলো, সিংহ বাহিনী দেবী বর্শায় এফোঁড় ওফোঁড় করে দিচ্ছেন মহিষের পেট থেকে বেরোন অসুর কে। এবারে আমরা একটু টাইম ট্রাভেল করি , প্রেক্ষিত জানতে ।
    দেবী মূর্তি বা আরো ভালো ভাবে বলতে গেলে মাতৃমূর্তি পুজো র প্রথম আভাস পাওয়া যায় ৩০০০০ বছর আগের মানুষদের মধ্যে। এই দেবীর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, সর্প , ষাঁড় এবং পাখী পরিবৃত . তবে এব্যাপারে প্রাচীন যে মূর্তি পাওয়া যায় তা হলো আনাতোলিয়া অঞ্চলের , শাতাল হয়ুক (Catal Huyuk) গ্রামে খ্রি পূ ৭০০০ সাল্ নাগাদ , দুটি সিংহের / প্যান্থার পরিবৃত এক ঈষৎ স্ফীতোদরা দেবীমূর্তি ( চিত্র ২)

    ওই অঞ্চলে প্রচুর ষাঁড় এর সিম্বল এবং দেয়াল চিত্র মহান মাতা ( magna mater ) এর অস্তিত্ব সূচিত করে। এই মাতৃ পুজোর নিদর্শন আমরা দেখতে পাই , ব্যাবিলন, মেসোপটেমিয়া, সুমের, প্রাচীন ইউরোপ, এবং সেখান থেকে পশ্চিম এশিয়া, হরপ্পায়। ব্যাবিলনের দেবীর নাম ইশতার (অনেকের মতে ইস্টার উৎসবের উৎপত্তি নাকি এনার থেকেই) , ইনি যুদ্ধ, ধ্বংস , যৌবন / যৌনতা আবার ফসলের ও দেবী | যাঁর আক্কাদিয়ান দেবী রূপ ইন্নানা আবার মধ্য প্রাচ্য ( নিয়ার ইস্ট ) এ দেবী এস্টার্ট (Astarte or Ashtoreth তিনিই ইজিপ্টে যুদ্ধ দেবী ইনাত ), গ্রেকো রোমে সিবিল (cybele ), মিশরে আইসিস ( শুনেই ভয় লাগছে না, কিন্তু এনার সর্ব পরিচিত মূর্তি যেখানে উনি নিজ সন্তান হোরাস কে কোলে বসিয়ে আদর করছেন , সেখান থেকেই মাদার মেরি র উৎপত্তি !) পরে আবার এই ইশতার এর প্রেম অবতার আফ্রোদিতি | এখানে সমস্ত দেবী মূর্তির মধ্যে যা সাধারণ মিল তা হলো, এনাদের সবাইকেই আদি কাল থেকে কৃষি প্রধান এবং নদী মাতৃক মানুষ পুজো করে এসেছে ফসল বাড়ানোর জন্য, উর্বরতার জন্য ভূমি মাতৃকা হিসেবে ( প্যাগান ধর্মাচার) । এ জন্যেই, আদিম শাতাল হয়ুক দেবীর মূর্তি ঠিক যেন সিংহাসনে বসে জন্ম দেবার। এবং আরো বহু দেবী মূর্তি পাওয়া গেছে যেখানে দেবী দের পুজো করা হচ্ছে উর্বরতার প্রতীক হিসেবে। কৃষির উৎপত্তি/আবিষ্কার নারী থেকে সুতরাং সমাজে এই মাতৃ মূর্তি পুজোর স্থান যে অনেক ওপরে থাকবেই এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। এই সমস্ত দেবীর সাথে আরেকটি যে মিল তা হলো যে এনাদের সাথে একজন পুরুষ সঙ্গী যা একাধারে এনাদেরি অন্য রূপ তাদের একবার মৃত্যু ( কিছু ক্ষেত্রে দেবীর ই হাতে ) ও আবার পুনরুত্থান ( আইসিস - ওসিরিস , ইশ টার - তম্মুজ ইত্যাদি) . এই সমস্ত সভ্যতায় সিংহ এবং ষাঁড় এর প্রচুর লড়াই এর সিল, স্থাপত্য চিন্হ বর্তমান | কারণ এই সিংহ বাহিনী দেবী কর্তৃক নিজের পুরুষ সঙ্গী কে হত্যা এই সভ্যতার একটা বড় অনুষঙ্গ | পরে এই পুরুষ সঙ্গীর প্রতীক হিসেবে ষাঁড় বলি দেবার প্রথা প্রচলিত হয় | ক্রমে ব্যবসায়ীদের হাত ধরে হরপ্পায় যখন এই বলি প্রথা এসে পৌছাঁয় , সেখানে এর শিকার হয় মহিষ। হরপ্পান সিলের মহিষ চিহ্নের উদাহরণ প্রচুর ।বিশেষত বিখ্যাত বেলনাকৃতি একটিও সিলে যেখানে একজন মহিষের শিং দাবিয়ে বর্শা নিয়ে হত্যা করছে | ( চিত্র ১ ) এই মহিষ বধের থিম টা খেয়াল রাখুন বন্ধুরা , গন্ডা গন্ডা প্রোপাগান্ডা প্রিয় দের নেগ্রিটো অনার্য বধের থিওরির উল্লেখ পর্যন্ত কোথাও নেই |

    বিখ্যাত ভারত বিশেষজ্ঞ আস্ক পারপোলা বলেছেন দক্ষিণ ভারতে গ্রামীণ দেবী দের বহু জায়গায় মহিষ বলি দিয়ে পুজো করা হয়। এসমস্ত জায়গায় দেবী কে মহিষ দেবতার সাথে একীভূত কল্পনা করা হয়। ঠিক যেভাবে তম্মুজ , ওসিরিস ইত্যাদির ইন্নানা , আইসিস দেবীর অপর সত্ত্বা এবং দেবীর হাতে বা কারণে মৃত্যুর মাধ্যমেই পুনর্জন্ম হবে তাঁদের। একই ভাবে মহিষাসুর কেও পুজোতে দেবীর আরেক সত্ত্বা হিসেবেই দেখানো হয়, যেখানে তাঁর ও পুজো হয় | এ প্রথার যুক্তি হলো এর মধ্য দিয়েই দেবীর অন্য সত্বার মুক্তি (পুনর্জন্ম) |
    এবার আসুন দুর্গার উৎস সন্ধানে আর একটু এগিয়ে আসি , পুরাণের সহায়তা নিয়ে, দেখি কি পাওয়া যায়| মার্কন্ডেয় পুরাণে দেবী বলছেন অনন্তর বর্ষাকালে নিজ দেহ (আত্মদেহসমুদ্ভবৈ) উদ্ভূত প্রাণধারক শাকের সাহায্যে আমি সারা জগতের পুষ্টি সম্পাদন করব ,এবং শাকম্ভরী হিসেবে পরিচিত হব | হরপ্পায় এরম ই এক দেবী মূর্তি পাওয়া গেছে যাঁর গর্ভ থেকে লতা উত্পন্ন হচ্ছে | ঐতিহাসিক ও নৃতত্ববিদ রমাপ্রসাদ চন্দের মতে আদি দূর্গা ছিলেন শস্যের দেবী | অন্যান্য প্রাচীন প্যাগান দেবী দের মত তাঁরও আগমন ফসল এর সময় , আশ্বিন মাসে ( মহিষ মর্দিনী রূপ টি সম্ভবত অনেক পরের , আদি রামায়ণেও রাম চন্দ্র সূর্যের পুজো করেছিলেন রাবণের সাথে জেতার জন্য, অকাল বোধন এসেছে কৃত্তিবাসী রামায়ণে) | দেবীর পুজোর উপকরণ নবপত্রিকার (রম্ভা , কচ্চি- শ্বেত অপরাজিতা ? , ডালিম, হরিদ্রা, জয়ন্তী, বেল ,অশোক, মান ,ধান) ঘটের সাথেই | দেবী পুজোর অপরিহার্য অঙ্গ সর্বতভদ্রমন্ডল , তার ওপর স্থাপন করা ঘট এবং আঁকা মাঙ্গলিক চিহ্ন উর্বরতার প্রতীক | ঘটার ওপরে পঞ্চপল্লব ( আম, অশ্বথ , পাকুর, বত ও যজ্ঞডুমুরের পাতা) সবের সাথেই কৃষির নিবিড় সম্পর্ক দেখতে পাবেন আপনি | শাকম্ভরী অর্থে অন্নদাতা , এবার দেখুন অন্নপূর্ণা দেবীর সাথেও এই সম্পর্ক কত ঘনিষ্ঠ | হরপ্পার কৃষি ভিত্তিক মাতৃপ্রধান সমাজে এবং প্রত্ন প্রস্তর যুগে এরম অনেক দেবী মূর্তি পাওয়া গেছে খনন করে, যা কৃষি এবং উর্বরতার সাথে এই দেবীদের সম্পর্ক একদম ফেভিকল কা মজবুত জোড় ভাবে প্রমাণ করে দিয়েছে |
    এবারে কৃষিকাজে অধিকার ছিল না ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়ের( মনু সংহিতা) , সুতরাং এই কৃষিজীবী অন্ত্যজ দের ঘরের দেবতাই যে ছিলেন দুর্গা, সে কথা বোঝা কি খুব কঠিন ?
    সতীন্দ্র মোহন চট্টোপাধ্যায় তাঁর তন্ত্রের কথা বইতে স্পষ্ট লিখেছেন , তন্ত্র প্রধান বাংলায় দেবী চন্ডী ই উঠে এসেছেন পরে উচ্চবর্ণের দুর্গামন্ডপে | শবরদের ঘরে মা চন্ডীর আদিম উপাসনার উল্লেখ ও আছে তাঁর লেখায় |
    সুতরাং আমরা দেখলাম , যে দুর্গা যে আর্য বা উচ্চবর্ণের দেবী এরকম কোনো ঐতিহাসিক তথ্য প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের কোনো বিদগ্ধ পন্ডিত ই দিচ্ছেন না | বরং লোকায়ত মাতৃতান্ত্রিক নিম্ন বর্ণের অনার্য মানুষদেরই পরম আরাধ্যা শক্তি পুজোর প্রতিভূ হচ্ছেন দুর্গা সে কথাই বারবার উঠে আসছে | এ প্রসঙ্গে একটা ছোট তথ্য দিয়ে শেষ করব, বৈদিক সভ্যতা মূলতঃ পশুপালক তাই তাঁদের সমাজে দেবীর সংখ্যা এবং উল্লেখ খুব ই কম ( উষা, অদিতি এরম কয়েকটি ) বাকি দেবী রা সবাই এসেছেন তথা কথিত অনার্য দের মধ্যে থেকেই | আমাদের অতি পরিচিত দেবতা গনেশ ও এসেছেন অনার্য দের হাত ধরেই |

    এবারে বিচারের ভার আপনাদের হাতে , যে কিভাবে মূলনিবাসী ইতিহাস কে বিকৃত করার চেষ্টা করছে পেটোয়া কিছু লোকজন নিজেদের অভীপ্স রাজনৈতিক উদ্দ্যেশে | এরা সারা জীবনে মূল নিবাসীদের কথা ভাবেও নি জানেও নি, আজ কিঞ্চিত ক্রিশ্চিয়ান কাঞ্চন মূল্যের লোভে এদের এই শীঘ্র পতন | কতটা নির্লজ্জ হলে আদ্যাশক্তি, প্রাচীন পৃথিবীর সৃষ্টির প্রতীক মাতৃ পূজা কে এরা বারাঙ্গনা ( বারাঙ্গনা দের প্রতি আমার কোন অসূয়া নেই, কিন্তু এ কথাও এরা জানে না যে আদিম সমাজে এই বারাঙ্গনা আসতেন পুরোহিতের ঘর থেকে, যাঁরা সমাজের কল্যানে উর্বরতার উত্সব পালন করতেন ) বানিয়ে দিতে পারে হিসেব করার জন্য কোনো যন্ত্রগণকের দরকার নেই |সুতরাং, এর পরে এই জন বিচ্ছিন্ন এবং ভারতের সংস্কৃতি অজ্ঞ এই মিথ্যাচারী দের এই সস্তা কুত্সার উপযুক্ত উত্তর দিতে রাবণের প্রসঙ্গ দিয়ে শেষ করি | রাবণ কেও যে অনার্য এবং ব্রাহ্মণবাদী ষড়যন্ত্রের শিকার হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তারও সারবত্তা নেই কারণ রাবণের পুজো রীতিমত মন্দির গড়ে যাঁরা করেন তাঁরা কান্যকুব্জের ব্রাহ্মণ |

    "তথ্য সু্ত্র:
    1.লোকায়ত দর্শন- দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
    2.তন্ত্রের কথা -সতীন্দ্র মোহন চট্টোপাধ্যায়
    3.আম্বেদকার রচনাসমগ্র- শুদ্ররা কারা
    4.ডি ডি কোশাম্বী- ইন্ট্রোডাকশন টু ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি
    5. Asko Parpola_The_Roots_of_Hinduism_The Early Aryans and_the_Indus_Civilization
    6.Hindu Mythology, Vedic and Puranic, by W.J. Wilkins
    7.www. Harappa.com
    8.বিভিন্ন আন্তর্জাল সংবাদ পত্র
    কৃতজ্ঞতা- সুমিত বর্ধন ,কল্লোল মুখার্জী
    চিত্র- ১) https://www.harappa.com/blog/buffal...
    ২)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২৫58951
  • ওপরে একটা বাজে টাইপো থেকে গেল।

    "একই কথা প্রযোজ্য "ইন্দো ইউরোপীয় এবং ইন্দো আর্য খুব বেশী হলে একটা ভাষা গোষ্ঠী এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়। তাকে জাতির সাথে কখনোই গোলানো যায়না।" --- এর মানেও ভাষাটা বা সংস্কৃতিটা উপমহাদেশে বহিরাগত এটাও নয়, আবার জাতির সাথে গোলানো যায় না মানেই এই আসার সাথে কোন জিন-ফ্লো জড়িয়ে নেই এইটাও না। "

    এখানে "... এর মানেও ভাষাটা বা সংস্কৃতিটা উপমহাদেশে বহিরাগত নয় এটাও নয়... " হবে।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ১১:৩৬58948
  • সৌম্যদীপবাবুর লেখাটা পড়লাম। অনেকগুলো কথা বলার আছে, পড়ে লিখছি।
  • কল্লোল | 116.216.148.142 (*) | ২০ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৫৪58952
  • দূর্গা পূজা শুরু হয় আশ্বিন মাসে?
    তথ্য হিসাবে বোধহয় ঠিক নয়। পুরাণ মতে শুরুটা বসন্তকালে, সুরথ রাজার হাতে।
    রামায়ণ মতে রাম শরৎকালে পূজা করেন, রাবণ বধের উদ্দেশ্যে, তাই তা অকাল বোধন হিসাবে খ্যাত। অর্থাৎ রামায়ণেও মানা হচ্ছে যে দূর্গাপূজার আদি কাল বসন্তকাল।
  • সৌম্যদীপ | 122.133.223.2 (*) | ২০ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৪২58953
  • স্বর্ণেন্দু বাবুর বক্তব্য নিয়ে পরে মত রাখছি ,অনেক কিছু বলার আছে
    । কল্লোল বাবু আপনি সুস্থ জেনে খুব ভালো লাগলো, আপনার বই টি আমার বাবা এবং আমার দুজনের ই খুব প্রিয় । আর বাল্মীকি রামায়ণে দুর্গা পুজোর কোনো উল্লেখ নেই, রাম সূর্য পূজা করেছিলেন । কৃত্তিবাসী রামায়ণের সম্ভবত প্রথম রামের অকাল বোধনের কথা আসে ।
  • Blank | 213.132.214.84 (*) | ২১ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০২58966
  • ইয়ে মানে সৌম্যদীপ বাবু, এই প্রশ্ন টার একটু সিম্পল উত্তর দিন না

    "ইন্দো-ইউরোপীয় কালচার ভারতীয় উপমহাদেশে ইন্ট্রুসিভ না নয়? বাইরে থেকে এসে এক্সপ্যান্ড করেছে না নয়?"
    AIT নিয়ে কেউ ভাবছে কি আদৌ, এই কনটেক্সটে!!
  • কল্লোল | 116.216.128.77 (*) | ২১ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২৯58954
  • সৌম্যদীপ।
    আপনাকে ও আপনার বাবাকে অনেক ধন্যবাদ। এখন অনেকটা ভালো।
    রামায়ণের নানান পাঠ আছে, ফলে কোন কোন রামায়ণে অকাল বোধন না-ই থাকতে পারে।
    তবে পুরাণমতে দূর্গাপূজার শুরু সুরথ রাজার হাতে, বসন্তকালে, যা এখন বাসন্তীপূজা নামে চলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন