এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গ্রীন এনার্জি ঃ- একটি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ?

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৫ | ১২৬৯৮ বার পঠিত
  • (এখানে প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা দুজনেই আপনি অথবা আপনার প্রতিনিধি -আমরা ইচ্ছা করেই কর্পোরেট প্রতিনিধিদের এই আলোচনা তে আমন্ত্রণ জানাইনি , আর তাছাড়া তাদের ছাপানো উত্তর আমাদের অজানা নয় ,তেনারা এমনিতেই ভীষণ চিন্তিত এই আমাদের এই একমাত্র বাসস্থানের ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ এর সমস্যার সমাধানে - সেই সুযোগে আমরা নিজেরাই দেখেনি গ্রীন এনার্জির প্রতিশ্রুতি কতদূর সত্য )

    প্রশ্ন ঃ- গ্রীন এনার্জি - উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক এককথায় ‘ গ্রীন টেকনলজি ‘ কি আমাদের পৃথিবী কে বায়ু দূষণের হাত থেকে ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ থেকে বাঁচাবেনা ?

    উত্তর- আজ্ঞে না । উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল, গ্রিড সিস্টেম প্রত্যেকটাই সস্তার ফসিল ফুয়েল ব্যবহারে সৃষ্ট । তেলের,গ্যাসের বা কয়লার দাম যখন যেরকম বাড়তে থাকবে উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল বা গ্রিড সিস্টেম ততোই তার ফিসিবিলিটি হারাতে থাকবে ,উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার দরুন। এমন তো নয় যে উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল হাওয়ায় তৈরি হয় , প্রত্যেকের লাগে মেটাল, প্লাস্টিক এবং কেমিক্যাল । উপাদান খনি থেকে আহরণ, কারখানাতে পাঠানো,প্রসেস করা এবং নানাবিধ ধাপ গুলি পেরিয়ে তবে একটি সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল বা উইন্ড টারবাইন এর মোটর তৈরি হয় -এই পুরো পধ্বতিটার প্রত্যেক ধাপেই ছড়িয়ে আছে ধ্বংস ,পাহাড় জঙ্গল খুঁড়ে অ্যালুমিনিয়াম ,লোহা ,রেয়ার আর্থ মিনারেল সংগ্রহের চেনা লুণ্ঠন পদ্ধ্বতি ,জল দূষণ ,কলনাইজেসান ,দাস শ্রমিক ,গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং সর্বোপরি বৃহৎ পুঁজিবাদী মুনাফা ।

    গ্রীন এনার্জি বা রিনিউবেল এর প্রাথমিক উপাদান একটি সিমেন্ট বা অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির মতই মেটাল এবং এনার্জি নির্ভর। সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বা অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি যেমন ফসিল ফুয়েল এর সস্তার বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে এক কিলোগ্রাম সিমেন্ট বা অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে অক্ষম ঠিক তেমনই উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল উৎপাদনেরও একই পদ্ধ্বতি, সাথে নিয়মাগিড়ি পাহাড়ের মত অসংখ্য পাহাড়ের বুক চিরে অ্যালুমিনিয়ামএর উপাদান এবং খনির থেকে সিলিকা আহরণ সাথে সভ্যতার সুপ্রাচীন 'silicosis’ এর পুনর্জন্ম প্রদানের বাড়তি উপসর্গ ।

    শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত তথাকথিত ‘ রিনিউএবেল এনার্জির’ চলন বাকি বস্তু উৎপাদন পদ্ধ্বতির মতোই ধ্বংসাত্মক ,গত ১৫০-২০০ বছর ধরে যে সর্বাত্মক লুণ্ঠন আমাদের প্রগতির নামে বিক্রি করা হচ্ছে , রিনিউএবেল এনার্জি সেই তুলনাতে বিন্দুমাত্র পৃথক নয় ,রিনিউএবেল এনার্জি তত্বগত ভাবে যে সামান্য দূষণের অবসান ঘটাবে সে নিয়ে আমরা আদৌ চিন্তিত নই ,আমরা চিন্তিত পৃথিবীর সর্বাত্মক স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়ে ।

    প্রশ্ন ঃ- কি বলছেন? রিনিউএবেল এনার্জি যেমন ধরুন সোলার ,উইন্ড বা জিওথারমাল কি আপনার মনে হয়না আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃতির ভারসাম্য ফেরত নিয়ে আসবে ?

    উত্তর ঃ- পুনরায় ‘না’ । উইন্ড এবং সোলার আমাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের এনার্জি সমস্যার দূষণ হীন সমাধান হিসাবে , কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন , দীর্ঘ কয়েক দশকের প্রয়াসের অবশেষে ২০১২ সালে পৃথিবীর এনার্জি সাপ্লাইয়ের মাত্র ১% উইন্ড এবং মাত্র 0.2% সোলার এর মাধ্যমে উৎপাদিত -পৃথিবীর এনার্জি সাপ্লাইয়ের মাত্র ৫%অংশীদার হতে গেলে যে পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন তা বিপুল । রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের সিংহভাগ সেই খনিশিল্প ,অন্যান্য বস্তু উৎপাদনের ফ্যাক্টরি বা মানুফাকচারিং এ ব্যবহৃত , যা গত দুই শতাব্দী ধরে প্রত্যহ আমাদের পৃথিবীর স্বাস্থ্যের হানীতে নিয়জিত । যদিও রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম ক্ষতিকর কিন্তু সেই বিদ্যুতের ব্যবহার অবশ্যই নয় । প্রত্যেক বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র বা ডিভাইস যেমন ধরুন টেলিভিশন ,মাইক্রোওয়েভ ,কম্প্যুটার ,স্মার্ট ফোন ইত্যাদি আপনার হাতে আসার পূর্বে ফেলে এসেছে সেই ধ্বংসের পদচিহ্ন । রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আমরা যে পরিমাণ দূষণ নিয়ত্রনের বা কম করার কথা পরকল্পনা করছি তা অনায়াসেই বর্তমানের কয়লা গ্যাস তেল জ্বালিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধ্বতি তাঁর আধুনিকীকরণ ,ম্যনেজমেন্ট , বণ্টন পদ্ধ্বতির উন্নতিসাধনে সেই পরিমাণ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব ,টেকনোলজি বর্তমান -আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে যে ১৯৮০ সাল নাগাদ পেট্রল এ সীসার ব্যবহার নিসিদ্ধ্ব করা হয় দানবীয় দূষণের কারনে ,ইঞ্জিন নকিং কমানোর জন্য তেল কোম্পানিগন সীসার পরিবর্তে অন্য অ্যাডিটিভ ব্যবহার করতে বাধ্য হন -বর্তমানে খুব কম সংখ্যক দেশ এবং খুব অল্প সংখ্যক ক্ষেত্র ছাড়া মোটামুটি সারা বিশ্ব ‘আনলিডেড পেট্রল ‘ ব্যবহার করেন, শুধু এই একটিমাত্র বাধ্যতা মূলক প্রয়োগ বাতাসে সীসা জনিত দূষণের পরিমাণ কমিয়েছে ৭০% এর অধিক , কিন্তু উপায় থাকতেও তুলনামূলক খরচ সাপেক্ষ রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি এই প্রচার কেন ? ইনভেস্টরের স্বার্থ -ভবিষ্যৎ পুঁজির নিরাপত্তা আমার এবং আপনার স্বার্থ নয় ।

    প্রশ্ন ঃ- রিনিউএবেল এনার্জি মানে কি একবার খরচা করে লাগানোর পর আজীবন বিনা পয়সাতে বিদ্যুৎ বা শক্তি প্রাপ্তি নয় ?বাতাস এবং সূর্যালোক যখন অঢেল ?

    উত্তর ঃ- পুনরায় ‘না ‘ সোলার প্যানেল বা উইন্ড টারবাইন এর আয়ু মেরেকেটে ২০-২৫ বছর ( নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সমেত ), ব্যাটারির আয়ু খুব বেশী হোলে ৫-৮ বছর , তুলনামূলক ভাবে একটি তাপ বিদ্যুৎ বা পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অনায়াসে ৪০-৫০ বছর বা তাঁর অধিক সময় ধরে উৎপাদনশীল থাকে ( নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সমেত ) ,সম্প্রতি এক গবেষণাতে প্রকাশিত যে বিজ্ঞাপিত উৎপাদন ক্ষমতাতে উইন্ড টারবাইন কখনই পৌঁছাতে পারেনা এবং সময়ের সাথে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস প্রাপ্তির কারণে ১২-১৫ বছরের মধ্যে তা ইকনমিক বাস্তবতা হারায়, সুতরাং আবার নূতন করে লাগানো, নূতন খরচ । এক বারের মত পাহাড় জঙ্গল খুঁড়ে অ্যালুমিনিয়াম ,লোহা ,রেয়ার আর্থ মিনারেল সংগ্রহ ,উৎপাদনের পদ্ধ্বতির কারনে একবারের মত জল দূষণ বায়ু দূষণ ,কলনাইজেসান ,দাস শ্রমিক ,গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের গল্প নয় -এ এক ধারাবাহিক পদ্ধ্বতি -এবং অতি দ্রুত প্রসারশীল - রিনিউএবেল এনার্জি কোনদিনই ফসিল ফুয়েল এর ইনফ্রাস্টাকচার বা ব্যবস্থাপনা প্রতিস্থাপিত করতে পারবেনা কারণ রিনিউএবেল এনার্জি ফসিল ফুয়েল এর ইনফ্রাস্টাকচার ওপর পূর্ণ মাত্রাতে নির্ভরশীল।

    প্রশ্ন ঃ- ঠিক আছে, কিন্তু দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে রিনিউএবেল এনার্জি কি অর্থনীতি বাঁচানোর পক্ষে সুবিধাজনক নয় ?

    উত্তর ঃ- দুঃখিত কিন্তু 'না’। রিনিউএবেল এনার্জি সারা পৃথিবীতে বর্তমানে ভীষণ ভাবে সরকারী 'সাবসিডির' ওপর নির্ভরশীল , সৌর ব্যবস্থা লাগালে গ্রামের সাধারণ জনগণ হতে শহরের কর্পোরেট সকলেই সরকারী অনুদান এর অধিকারী ,বিদ্যুৎ উৎপাদক বেশী দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করে অনুদানের সুবিধার অধিকারী - কিন্তু এই অনুদান আসছে কোথা থেকে ? বাকি অনুদান যেইভাবে আসে -ট্যাক্স পেয়ার এর অর্থ সিধা জেনারল মোটর , বিপি , স্যামসাঙ ,মিতসুবিশির ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ, আপনার আমার অর্থ রিনিউএবেল এনার্জিএর ক্লিন ফুয়েল এর নামে আপনার আমারই পকেট কেটে বৃহৎ কর্পোরেটের ঝুলিতে । রিনিউএবেল এনার্জি কোন ছোট পুঁজির কম্ম নয় ,কেন্দ্রীয় বৃহৎ পুঁজি এবং বৃহৎ পুঁজিবাদী সংস্থার কারটেল -কারা এই ব্যবসাতে আছে তার তালিকা দেখলেই বিষয়টি জলের মত পরিষ্কার। জেনারল মোটর , বিপি , স্যামসাঙ ,মিতসুবিশি, সিমেন্স এর ঠেকা পড়েনি বায়ু দূষণ নিয়ে মাথা ঘামানোর বরং রিনিউএবেল এনার্জি পৃথিবী ব্যাপী এনার্জি মার্কেট এর মনপলির কে কত অংশ দখল করতে পারে তাঁর প্রতিযোগিতা । বৃহৎ পুঁজির কুক্ষিগত টেকনোলজি নির্ভরতা নয় আমাদের প্রয়োজন স্থানীয় রসদের উপর নির্ভরশীল কমুইনিটি ভিত্তিক উৎপাদন । আপনার মতামতের জন্য ‘স্পেনের’ উধারন টি মনে হয় যথোপযুক্ত । ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্পেন এর সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫৪% এর রেকর্ড মাত্রাতে পৌঁছায় , অথচ ২০০৬ সালে রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ১৯% , স্পেন এর সরকারের ক্রমাগত উৎসাহদান এই বিপুল সাফল্যের কারন -কিন্তু প্রদীপের নিচের অন্ধকার দিকটি হোল- বিপুল ‘ tariff deficit’ এবং অনন্ত দেনা।২০১৩ সালের মে মাসে স্পেন সরকারের এই দেনা দাঁড়ায় $34 বিলিয়ন, এই বিপুল দেনার কারন প্রথমত রিনিউএবেল এনার্জির প্রতি উৎসাহ প্রদান ভাতা বা সাবসিডি । ২০০৭ সালে স্পেন ৫৫৬ ডলার প্রতি মেগাওয়াট /ঘণ্টা হিসাবে রিনিউএবেল এনার্জির উৎপাদক দের প্রিমিয়াম দিত, যেখানে ৫২ ডলার প্রতি মেগাওয়াট /ঘণ্টা নির্দিষ্ট ছিল কয়লা বা গ্যাস জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ,২০১২ সাল পর্যন্ত স্পেনের সরকার 10.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিনিউএবেল এনার্জি ইন্ডাস্ট্রি কে প্রত্যক্ষ সাবসিডি দিয়েছেন। এইবার এই বিপদ থেকে বা ঋণের জালথেকে মুক্তি পেতে স্পেনের সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ? প্রথমত রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশ টানছেন যাতে কম সাবসিডি দিতে হয় , দ্বিতীয়ত নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দের রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দাম বাড়াচ্ছেন সর্বোপরি 'sun Tax’ লাগু করছেন ,অর্থাৎ আপনি আপনার বাড়িতে নিজস্ব প্রয়োজনে সূর্যালোক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে আপনাকে এইবার থেকে সরকার কে ট্যাক্স দিতে হবে , প্রকৃত অর্থে সরকার স্পেন বাসী কে নিরুৎসাহিত করছেন সোলার পিভি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে -স্পেন এর উদাহরণ রিনিউএবেল এনার্জি যে অর্থনীতি বাঁচানোর পক্ষে সুবিধাজনক নয় তাঁর অন্যতম নমুনা ।

    প্রশ্ন ঃ- রিনিউএবেল এনার্জির কিছু ইমপ্যাক্ট আছে মেনে নিলাম , কিন্তু তবুও তো কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনাতে শতগুণে ভালো , রাইট ?

    উত্তর ঃ- ‘ one bullet wound is better than two bullet wound ‘এ হোল সেরকম একটি তুলনা - পৃথিবী কে আপনি একবার না দুবার বুলেট বিদ্ধ্ব করে চান ? না আমি ফসিল ফুয়েল - কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমর্থক না রিনিউএবেল এনার্জির ধোঁকাবাজির ,দুটোই পৃথিবীর স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান ক্ষতিকর -তুলনাতে আসাই সম্ভব নয়, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘ রিনিউএবেল এনার্জি’ ফসিল ফুয়েলের তুলনাতেও বেশী ক্ষতিকারক । বেশী বেশী রিনিউএবেল এনার্জি মানে কিন্তু কম কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় ,বা কম পরিমাণ কার্বন নির্গমন নয় -অনেকদিন তো হোল, পৃথিবী বর্তমানে তার এনার্জি প্রয়োজনের মাত্র 1.2% রিনিউএবেল এনার্জির(সোলার উইন্ড ইত্যাদি ) মাধ্যমে উৎপাদন করে , জার্মানি প্রায় ২০-২৫% কিন্তু একটাও কয়লা পোড়ান /তেল জ্বালান তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে শুনেছেন ? আদতে 'রিনিউএবেল’ আদৌ 'নেট এনার্জি' তৈরি করে কিনা সে এক বিতর্কের বিষয় - যে পরিমাণ এনার্জি মাইনিং ,প্যানেল বা টারবাইন উৎপাদন ,গবেষণা , পরিবহন, ইন্সটলেশান ,রক্ষণাবেক্ষণ ,ডিস্পসাল ,গ্রিড সংযোগ এর পেছনে ব্যয় করা হয় সেই তুলনাতে ‘নেট এনার্জি ‘ উৎপাদন কত ? আমরা যদি সমস্ত এনার্জি ইনপুট বিচার করি তাহলে হয়ত দেখবো রিনিউএবেল এনার্জির মাধম্যে এনার্জি উৎপাদন আদতে নেগেটিভ । জলবিদ্যুৎ আরেক মিথ্যার বেসাতি -ড্যাম শুধু প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করেনা যত বড় ড্যাম তত বড় ‘মিথেন ‘ নির্গমনের কারখানা , জলবিদ্যুৎ এর জন্য নির্মিত ড্যাম এবং তা থেকে নির্গত ‘মিথেন ‘ ৪% বা তার অধিক গ্লোবাল ওয়ারমিং এর জন্য দায়ী এ হোল বর্তমানের আনুমানিক হিসাব , যত দিন বাড়বে ,যত পুরানো হবে ড্যাম তত বেশী মিথেন নির্গমন আগামী এক দশকে জলবিদ্যুৎ এর জন্য নির্মিত ড্যাম এবং তা থেকে নির্গত ‘মিথেন ‘ ১০% বা তাঁর অধিক গ্লোবাল ওয়ারমিং এর জন্য দায়ী হোলে অবাক হওয়ার কিছু নেই ।

    প্রশ্ন ঃ- সোলার পাওয়ার বা সৌরশক্তি বিষয়ে আপনার কি মতামত ?

    উত্তর ঃ- সোলার প্যানেল উৎপাদন পদ্ধ্বতি বর্তমানে 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এবং 'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ নির্গমনের এর প্রধান সূত্র , এই ভয়ঙ্কর তিনটি গ্রিন হাউস গ্যাস প্লাসমা / সোলার প্যানেল তৈরির ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করতে কাজে লাগে । 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ১২০০০ গুন , নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ ১৭০০০ গুন এবং'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ২৫০০০ গুন বেশী ক্ষতিকর , একবার বাতাসে মিশে গেলে আয়ু ১০০০০ বছর, এই তিন ভয়ঙ্কর ‘ গ্রিন হাউস ‘ গ্যাস পুরোটাই মনুষ্য সৃষ্ট এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে Kyoto প্রোটোকলের আওতার বাইরে । বাতাসে ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এর ঘনত্ব যা থাকা উচিৎ বর্তমানে তার তুলনাতে ৪% বেশী এবং ঘনত্ব বাড়ছে ১১% হারে প্রতি বছর - যত বেশী প্লাসমা / সোলার প্যানেল তত বেশী ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ । সোলার সম্বন্ধে ‘ সিলিকন ভ্যালী টক্সিকস কয়ালিশান ‘ কি বলছেন ?

    ‘ As the solar industry expands, little attention is being paid to the potential enviornmental and health costs of that rapid expansion .The most widely used solar PV panels have potential to create a huge new source of electronic waste at the end of their useful lives, which is estimated to be 20-25 years. New Solar PV technlogies are increasing efficiency and lowering costs,but many of these use extremely toxic materials or materials with unknown health and enviornmental risks (including new nano materials and processes)

    আপনি সোলার পিভী র মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এ কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাবেন , যা কিনা ঢাক ঢোল পিটিয়ে মোদীর ছবি সমেত প্রচারিত অথচ যা কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাবেন তাঁর দশ গুন বেশী নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ বাতাসে মেশাবেন এ কেমন অঙ্ক ? ২০০৬ সালে শুধুমাত্র সোলার প্যানেল উৎপাদন এর কারনে বাতাসে মিশেছে ৫৬ মেট্রিক টন নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড(NF3) ।আপাত দৃষ্টি তে সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্লিন এবং গ্রীন ,খুব কম মাত্রাতে কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে নির্গত হয় ঠিকই কিন্তু সোলার প্যানেল তৈরি করতে বাতাসে মেশে 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এবং 'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ যা কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ১৭০০০ গুন বেশী ক্ষতিকর । আপনি আদতে কার্বন ফুট প্রিন্ট কমালেন না বাড়ালেন ?

    প্রশ্ন ঃ- কিন্তু উইন্ড টারবাইন? বা বায়ু শক্তি সে তো মোটামুটি নির্ভেজাল ?

    উত্তর ঃ- উইন্ড টারবাইন এবংসোলার পিভী উভয়েরই প্রয়োজন ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ মূলত চীন এবং তাঁর মঙ্গোলিয়া অঞ্চল এই ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ প্রসেস করে এবং সারা বিশ্বকে সরবরাহ করে।‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ মাইনিং এবং প্রসেসিং বিপুল পরিমাণ বিপদজনক এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস এর উৎস । চীনের যে অংশে এই ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ প্রসেসিং এর কর্মকাণ্ডটি চলে সেখানে দুর দূরান্তে মাটিতে আর ফসল ফলেনা আপনার উইন্ড টারবাইন এর ম্যাগনেট তৈরি করতে যে তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস এর সৃষ্টি তার কারনে সমস্ত জমি পূর্ণ অর্থে বন্ধ্যা । এইবার আমরা যদি উইন্ড এবং সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বর্তমানের এনার্জি সাপ্লাইয়ের 1.2% থেকে ১০% এ নিয়ে যেতে চাই তাহলে শুধু ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ এবং তাঁর বিপদজনক এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস নয় তাঁর সাথে বিপুল পরিমাণ অন্যান্য বিষাক্ত মিনারেলস যেমন gallium arsenide,copper-indum-gallium-diselenide ,cadmium-telluide এর প্রয়োজন পাতলা সোলার পিভি এবংউইন্ড টারবাইন এর ম্যাগনেট বানাতে । একা চিন এই বিপুল পরিমাণ দূষণ তো আর বহন করবেনা তাই বাকি বিশ্ব বাধ্য হবে এই সমস্ত বিষাক্ত মিনারেলস এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস তৈরি করতে ,মঙ্গোলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যেমন আর শস্য ফলেনা ঠিক সেই রকমই হয়ত বা আমাদের দেশ মঙ্গোলিয়ার ঐতিহ্য বহন করতে বাধ্য হবে।

    বিশ্বে সবথেকে প্রচলিত 1.5 মেগাওয়াট এর উইন্ড টারবাইন টির নকশা তৈরি থেকে ফাইনাল প্রোডাক্ট এর প্রস্তুত কর্তা 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘। 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ এর এক একটি টারবাইন মুল বডির ওজন ৫৬ টন, টাওয়ার এর ওজন কমপক্ষে ৭১ টন এবং পাখার ওজন ৩৬ টন -এক একটি টারবাইন তৈরি করতে প্রয়জন হয় ১০০ টনের ওপর ইস্পাত , এটি হোল সবথেকে ক্ষুদ্র টারবাইন এর বিবরণ -বর্তমানের স্ট্যান্ডার্ড টারবাইন কমপক্ষে ৬০০ ফিট এর ওপর উঁচু -'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ এর টারবাইন এর তুলনাতে দরকার প্রায় আট গুন বেশী ইস্পাত ,তামা ,অ্যালুমিনিয়াম এবং মোটরের ম্যাগনেটের জন্য রেয়ার আর্থ মিনারেল - এই লোহা আসে হয়ত ভারত থেকে , তামা আফগানিস্থান এবং রেয়ার আর্থ মিনারেল অবশ্যই মঙ্গোলিয়া থেকে -কারোর বাসস্থান , কারও ক্ষেত ,কারও দাসত্বের বিনিময়ে -আমরা তাঁদের কোথা শুনতে চাইনা ,যদি ভুলক্রমে মানবপ্রজাতির অংশও হয় হয় গায়ের রং হয় কাল অথবা ব্রাউন , হত দরিদ্র এই মানব প্রজাতি (?) উন্নতি আধুনিক বিজ্ঞানের কিই বা বোঝে ?পৃথিবীর সবথেকে বড় উইন্ড টারবাইন প্রস্তুৎ কর্তা 'vestas’ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি, আমেরিকার সর্ববৃহৎ উইন্ড টারবাইন প্রস্তুতকারকের নাম 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ ৭০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক সম্পদশালী এই কোম্পানি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম “ বায়ু দূষণ ‘ কারী কোম্পানি । ফুকুসিমা , ভূপাল , ঘটে যাওয়ার পরেও আপনি কি এনাদের থেকে জাস্টিস , সাস্টেনাবিলিটি ইত্যাদি আসা করেন ? প্রফিট / লাভ যেখানে শেষ কোথা সেখানে বায়ু দূষণ আসছে কোথা থেকে ? সারা বিশ্বে গতবৎসরে ১৪০,০০০ -৩২৮,০০০ পাখি , বাদুড় উইন্ড টারবাইনএর দানবিক পাখা তে কাটা পরে মারা গেছে -এ হোল আমাদের উইন্ড টারবাইনের উপরি পাওনা একেবারে সোনায় সোহাগা ।

    প্রশ্ন ঃ- কিন্তু আমাদের তো ইলেক্ট্রিসিটি চাই তাইনা ? ইলেকট্রিক বিনা জীবন চলে কি উপায়ে ?

    উত্তর ঃ- দেখুন ইলেক্ট্রিসিটি তো এসেছে মাত্র ১২০-১২২ বছর পূর্বে , মিলেনিয়াম তো আমরা ইলেক্ট্রিসিটি বীণাই কাটিয়েছি তাইনা ? বাকি জীব জন্তুদের মতোই মানব প্রজাতিও মূলত তাঁদের এনার্জি পেয়ে থাকে শস্য জনিত খাদ্য এবং পশু জনিত খাদ্য হতে, গাছপালা তার এনার্জি সংগ্রহ করে সূর্যের কাছ থেকে সালোকসংশ্লেষ এর মাধ্যমে, যে কোন স্পিসিস এরই বেঁচে থাকার জন্য ইলেক্ট্রিসিটির বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই, আমাদেরও নেই -এটাই প্রাকিতিক নিয়ম -কেবল মাত্র কল কারখানা এবং এই ক্ষয়িষ্ণু উৎপাদন পদ্ধ্বতির বেঁচে থাকার রসদ ‘ইলেক্ট্রিসিটি ‘ এনার্জি । বর্তমানে খাদ্যের নিরাপত্তা ,প্রকৃতির সুস্থতা বিসর্জন দিয়ে আমরা বজায় রাখছি নিরিবিছিন্ন 'ইলেক্ট্রিসিটি’ - মাইনিং , প্রসেসিং ,ইনফ্রাস্টাকচার ,ডাম্পিং এদের এবং এই ব্যবস্থার প্রয়োজন 'ইলেক্ট্রিসিটি’ -তাই অরণ্য ধ্বংস, মাটির বুক খুঁড়ে শেষতম বিন্দু পর্যন্ত তেল শুষে নেওয়া , এনার্জি সিকিউরিটির কারণে লাইফ সিকিউরিটির বলিদান । ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদন তা সে প্রচলিত রাস্তাতেই হোক অথবা তথাকথিত রিনিউএবেল গ্রিন এনার্জি রাস্তাতে আদতে আনসাস্টেনেবল , সাস্টেনেবল বলতে আমরা সেটাই বুঝি যা চালিয়ে যাওয়া জেতে পারে সাময়িক বা দীর্ঘকালীন ক্ষতি ছাড়া -কিন্তু এই গ্রিন এনার্জির নামে বৃহৎ পুঁজির ধোঁকাবাজি নিশ্চিত আমাদের একমাত্র বাসস্থানের মৃত্যু ত্বরান্বিত করবে খুব বেশী হোলে সাময়িক স্থিতি বজায় রাখবে নিত্য নূতন টেকনোলজির গল্পে । রাজনেতাগনের কাজ আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া 'গর্বিত জার্মানি’ থেকে 'আচ্ছে দিনের’ প্রতিশ্রুতি -যার অধিকাংশই ফাঁকা আওয়াজ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি হিসাবে প্রমাণিত -গ্রিন এনার্জি আমার মতে আরেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি অথচ কি প্রজ্ঞার সাথে গম্ভীর ভাবে বিজ্ঞাপিত ,আমাদের কি অটুট আশা এইবুঝি এসে গেলো 'গ্লোবাল ওয়ারমিং ' এর গ্রীন সোলার সমাধান !

    তথ্য সূত্র ঃ-
    A problem with wind power ঃ- by Eric Rosenbloom
    Energy Balance of the Global Photovotic (PC) Industry- is the industry a net Electric Producer? ঃ- by Michael date & Sally M.Benson .
    Solar Industry grapples with hazardous waste ঃ- by Jason Dearen .
    Reservoir Emissionsঃ- by international Rivers.
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৫ | ১২৬৯৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উৎসব - Sobuj Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debabrata | 192.66.61.91 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০২:১০69937
  • এই তো বিজ্ঞ মতামত আসা শুরু হয়ে গেছে -হাতে টানা রিক্সার মতামত -আরো নিসচই আসবে ! আজকের দিনে বাতাসে কারবন ডাই অক্সাইড ৪০০পিপিম ,চুড়ান্ত মাত্রা হওয়া উচিত ৩৫০পিপিম -তাপবিদ্যুত চলবে আর কারবন ডাই অক্সাইড হু হু করে কমে যাবে এ তো হওয়ার নয় ভাই!
  • ... | 177.124.124.21 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২৭69938
  • "উপায় হল ইন্জিনের বদলে অাপনাকে যুতে দিয়ে গাড়ি চালানো। টোটাল গ্রীন ব্যাপার। অাসুন, দেশ ও দশের স্বার্থে এটুকু ত্যাগস্বীকার করুন।" -- বাজে লাগলো, কুরুচিকর।
  • dd | 116.51.225.117 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:০৪69926
  • এটা ভরী ইন্টেরেস্টিম হয়েছে তো। কল্লোল পড়লে ?
  • সুমন | 75.49.14.84 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৩৮69927
  • বেশ কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ। বিদ্যুত ছাড়া আমরা এতোগুলো মিলেনিয়াম কাটালাম, আর মাত্র ১২০ বছর ধরে উৎপাদিত বিদ্যুত যে আমাদের আদৌ দরকার নেই, এই স্পষ্টবাদিতার দরকার ছিল। সারা পৃথিবী জুড়ে বিদ্যুতএর উৎপাদন অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

    তবে লেখককে একটা দিক ভেবে দেখতে অনুরোধ করবো - "গত ১৫০-২০০ বছর ধরে যে সর্বাত্মক লুণ্ঠন আমাদের প্রগতির নামে বিক্রি করা হচ্ছে " - এটা কি ভুল লিখলেন না? মাত্র ২০০ বছর? অন্তত ৫০০০ বছর ধরে কি আমরা প্রগতির নামে প্রকৃতিকে সর্বাত্মকভাবে লুঠ করছিনা? ভেবে দেখুন, যেদিন আমরা গুহা থেকে বেরিয়ে চাষ`আবাদ শুরু করলাম সেদিন থেকেই কি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন শুরু করলাম না? চাষের জন্য যে গোরুমোষ ব্যবহার করি তারাও তো মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করে। তাছাড়া মানুষ ছাড়া আর কোন জীব জন্তুকে তার খাদ্যের জন্য চাষ করতে হয়? লেখককে অনুরোধ করছি কৃষি নামের এই যে ভয়ানক ক্ষতিকারক মিথটা আমাদের সমাজে হাজার হাজার বছর ধরে লালন করা হচ্ছে সেটা নিয়ে ভাবতে। আসুন আমরা অবিলম্বে চাষ করা বন্ধ করে দি, সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। মাত্র কয়েক হাজারের পুরনো এই অভ্যাস কি আমরা ত্যাগ করতে পারিনা? আসুন আমরা আবার সেই গুহাসভ্যতায় ফিরে যাই। বিদ্যুত, কৃষি, চাকার মতো মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে আর যেন না ভুলি।
  • ঝন্টিপাহাড়ির ঝন্টুরাম | 117.167.108.60 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৫৪69928
  • হুঁ, বুইলাম। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে পায়ের নীচে শেকড় আর গায়ে ক্লোরোফিল গজিয়ে ফেলতে হবে।
  • সুমন | 75.49.14.75 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:০৬69929
  • এটা কে রে? জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং! দেখুন দাদা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মধ্যে দুদুটো ক্ষতিকারক মিথ লুকিয়ে আছেঃ একটা জেনেটিক, আরেকটা ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং আমরা শিখেছি মাত্র হাজারখানেক বছর হবে, আর জেনেটিক তো সেদিনের শিশু! মানুষ ছাড়া আর কোন জন্তুর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দরকার হয় শুনি? আপনাকে অনুরোধ করবো এসব মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কথা না শোনাতে, নাহলে কিন্তু আপনাকে কর্পোরেট প্রতিনিধি ভাবতে বাধ্য হবো। বিনা আমন্ত্রনে এসব আলোচনায় আসবেননা প্লিজ।
  • ... | 74.233.173.198 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৫১69930
  • লেখক শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু সমাধান পর্বে এসে যেই হাজার বছর বিদ্যুত ছাড়া চলার গপ্প ফাঁদলেন ঘেঁটে ঘ হয়ে গেলাম।

    একই অবস্থা হয় অতিবদ, অতিবাম, ধাবুজি দের কথায়। পাতার পর পাতা কৃষক-শ্রমিক শোষনের গপ্প, কিন্তু লাস্ট প্যারায় এসে সমাধান সেই "জমির আল ভেঙ্গে দেওয়া" আর যৌথখামার। আবার ঘেঁটে ঘ।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৫৩69931
  • দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর
  • ranjan roy | 132.180.38.215 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৩০69932
  • ঘেঁটে গেছি বটে, কিন্তু লেখাটা ইনফরমেটিভ। ইয়ে কাউন্টার আর্গুমেন্ট কী মাঙ্গ করতে হ্যায়, ন কি সির্ফ খিল্লি!!
    সল্যুশনে সহমত না হতে পারি কিন্তু তথ্য ও তর্কগুলো???
  • ঝন্টিপাহাড়ির ঝন্টুরাম | 117.167.108.75 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৪৮69933
  • সল্যুশন দিয়ে দেওয়ার পর আবার তক্কো কীসের? বরং রাস্তা খুঁজুন, মানুষে সালোক সংশ্লেষ করবে কেং কোয়ে। ল্যামার্কসায়েবের থিওরি কাজে লাগতে পারে?
  • SS | 160.148.14.8 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:১৫69939
  • লেখকের জন্যে প্রশ্ন, বিদ্যুত ছাড়া (ব্যাটারি ইনক্লুডেড) গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে নাকি কুলিং বুঝবেন কি করে? মানে কম্পিউটার ইত্যাদি তো চলবে না। ডেটা অ্যানালিসিস, মডেলিং, সিমুলেশন সব বন্ধ। এছাড়া বিদ্যুতের সাহায্য না নিয়ে কি করে জনচেতনা তৈরি করবেন? ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে? চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম - চেষ্টা শুরু করে দিন। দেখুন কতজনকে কনভার্ট করতে পারেন।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:২১69934
  • মঙ্গোল গ্রোহে জল আছে, বিদ্যুৎ নাই,
    ইল্যুশন আছে, পলিউশন নাই।
    সল্যুশন আছে, প্রবলেম নাই
    ...
    যারে যা মঙ্গোলে যা,
  • debabrata | 192.66.57.43 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:২৪69940
  • গুরুচন্ডা৯ ব্লগের পাঠকের থেকে তথ্য এবং যুক্তিসংগত কাউণ্টার আরগুমেণ্ট এর আশা রইল -যদিও পুজো গন্ডার দিনে এ সব নিয়ে কেই বা মাথা ঘামায়!
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ১১:১৮69941
  • আমার এক পয়সাঃ বিদ্যুৎ যেমন উৎপাদন হচ্ছে হোক, মানুষ উৎপাদন কমান। রেশন করে দিন। প্রতি ১০০০ সমর্থ কাপলের মধ্যে ৭০০ কি ৬০০ কি ৫০০ কাপলকে লটারির মাধ্যমে লাইসেন্স দিন।
    আপসে বিদ্যুতের চাহিদা কমে কমে বিদ্যুৎ গাড়ী কম্পু ইটিসি ইটিসি সবই কমে কমে ডেঞ্জার লেভেলের নিচে চলে যাবে।
    ঃ-)
  • debabrata | 192.66.51.146 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ১১:৩৩69935
  • বিজ্ঞজন কি কেউ এক্টু বলে দেবেন যে বিসনেস য়্যাস ইউসুয়াল চলবে,বছরে কোটিখানেক গাড়ি বেরেই চলবে ,তাপবিদ্যুত কারখানা নিত্য নুতন গজাবে আর ওয়ারমিং কমবে কি উপায়ে? ম্যাজিক টা কি?
  • নির | 11.39.38.111 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৪৯69936
  • উপায় হল ইন্জিনের বদলে অাপনাকে যুতে দিয়ে গাড়ি চালানো। টোটাল গ্রীন ব্যাপার। অাসুন, দেশ ও দশের স্বার্থে এটুকু ত্যাগস্বীকার করুন।
  • TB | 118.171.131.188 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৪৭69942
  • ইসে, এইটা হলে কি সব সমস্যার সমাধান, মায় গ্রীন এনার্জি-র ও?
    Dr Keshe claims to have discovered how to turn electrically-charged plasma into never-ending supplies of energy in the form of liquid, solid or gas power.
  • আজিজ | 72.210.238.151 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৩৪69943
  • আপনি লিখেছেন, "ইলেক্ট্রিসিটি তো এসেছে মাত্র ১২০-১২২ বছর পূর্বে , মিলেনিয়াম তো আমরা ইলেক্ট্রিসিটি বীণাই কাটিয়েছি তাইনা ? বাকি জীব জন্তুদের মতোই মানব প্রজাতিও মূলত তাঁদের এনার্জি পেয়ে থাকে শস্য জনিত খাদ্য এবং পশু জনিত খাদ্য হতে, গাছপালা তার এনার্জি সংগ্রহ করে সূর্যের কাছ থেকে সালোকসংশ্লেষ এর মাধ্যমে, যে কোন স্পিসিস এরই বেঁচে থাকার জন্য ইলেক্ট্রিসিটির বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই, আমাদেরও নেই -এটাই প্রাকিতিক নিয়ম"

    এর পর কিভাবে যুক্তিসংগত আলোচনা আশা করেন? আপনি ননসেন্স লিখবেন আর পাঠকের থেকে যুক্তি আশা করবেন?
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৪২69944
  • তবু যে বলেনি জামাকাপড় বাড়িঘর চাষবাস সব ছেড়ে কপালঠুক বনখাই করে ঘুরে বেড়াতে।
    ঃ-)
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৫৫69945
  • কিন্তু এ তো চিরন্তন ব্যাপার।

    ধরো গ্লেসিয়ার, এই ধরো ইউএসএ-র ইয়োলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক - ১৮০০০ হাজার বছর আগে এই এলাকা ছিল ৪০০০ ফুট বরফের নীচে। তখন থেকে আস্তে আস্তে বরফ গলতে আরম্ভ করেছে, এখন শীতকালে ৭-৮ ফুট বরফ পরে। বিদ্যুৎ তো সেদিনের শিশু, তাকে এখনও ভিলেন বানানো কি ঠিক হবে।

    ১৮৮০ থেকে ২০১২, এই ধরো ১৩২ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫৩ ফারেনফাইট (০.৮৫ সেন্টিগ্রেড) (তথ্যসূত্র NOAA)। কিন্তু তার আগে পৃথিবীর তাপমাত্রা কি বাড়ছিল?
    ধরো গ্রিনল্যান্ড, এটা দেখো, গত ১০০০০ বছরের তাপমাত্রা -

    কার্ভটা লক্ষ্য করলে দেখবে বেশ কয়েকবার ওয়ার্মিং ফেজ এসেছে, বিদ্যুৎ-এর বহু আগে।

    পৃথিবীর টেম্পারেচার প্যাটার্ন দেখো,


    এবার বলো, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিলে কি পৃথিবী ঠিক হয়ে যাবে? কি মনে হচ্ছে। অত সোজা না। এসব শুধু ব্রহ্মা জানেন।
  • PT | 213.110.243.22 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৪৮69979
  • এই পল্যুশনের মধ্যেই যদি গড় আয়ু বেড়ে এদ্দুর এসে থাকে তাহলে পল্যুশন নিয়ে এত দুশ্চিন্তা না করলেই তো হয়!!

    মানুষের অনন্ত ব্যক্তিগত লোভ সামাল না দিয়ে শুধু পারমাণবিক চুল্লী হাটাও আর বায়ুবিদ্যুত চালু হোক শ্লোগান দিয়েই বা কি লাভ? প্রতি হাজার মানুষে আমেরিকাতে ৮০০-র মত গাড়ী (motor vehicles) ব্যবহৃত হয়। চীনে এই সংখ্যা ১১৩ ও ভারতে ১৮। ভারত আর চীন ৮০০ কাছাকাছি গেলে কি হবে সেটা comprehend করা মুশকিল। কোন হাওয়া বা জলবিদ্যুত সেই অবস্থার সামাল দিতে পারবে না।
    https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_vehicles_per_capita

    কাজেই প্রাচীন মিশরিয় সভ্যতার সময়ে ফিরে না গেলেও ব্যক্তির চাহিদায় লাগাম লাগানো খুব জরুরী হবে ভবিষ্যতে।
    উদাঃ People should have one meat-free day a week if they want to make a personal and effective sacrifice that would help tackle climate change, the world's leading authority on global warming has told The Observer
    http://www.theguardian.com/environment/2008/sep/07/food.foodanddrink
  • Debabrata Chakrabarty | 11.39.37.180 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৩৩69946
  • ইলেকট্রিকিসিটি যদিও বিষয় ছিলনা -ছিল গ্রীন এনার্জির প্রতিশ্রুতি কতদূর গ্রীন তা যাচাই করা ,তা যখন আলোচনাটি ‘ইলেক্ট্রিসিটি না থাকলে কি কি পাহাড় মাথায় ভেঙ্গে পরবে সেই পথে হাঁটছে আমারও তাতে পা মেলানোর কি অসুবিধা ?

    ১। ইলেক্ট্রিসিটি না থাকলে মাথায় কি কি পাহাড় ভেঙ্গে পড়তে পারে , ফ্রিজ ,টিভী কম্পুওটার যোগাযোগ প্রায় সবকিছু বন্ধ আপাত দৃষ্টিতে তাই যদিও এখনো 1.2 বিলিয়ন মানুষ ইলেক্ট্রিসিটি বিনাই বাস করেন এবং মাত্র ১২০ বৎসরের কিছু অধিক ইলেক্ট্রিসিটি আমাদের জীবনে বর্তমান এই সত্য টি বিস্মৃত না হোলে মনে হয় প্রসঙ্গটি আরে একটু অনুধাবন যোগ্য হতে পারে , নিউটন বা বিটফেন বা সেক্সপিয়ার কেউই ইলেক্ট্রিসিটি যুগের মানুষ নন এবং বীণা ইলেক্ট্রিসিটি না তাঁদের আবিষ্কার না অবস্মরনীয় সৃষ্টি তে কোন বাধা উৎপন্ন হয়েছে বলে আমার জানা আছে

    ২। এ হোল অ্যাডিক্ট এর সমস্যা , এক জন অ্যাডিক্ট যেমন তার অ্যাঁডিক্সানের বস্তুটি না পেলে চিন্তাতে উদ্বিগ্নতাতে হতাশায় মাথার চুল থেকে বালিশের ওয়াড় সবকিছু ছিঁড়ে ফেলতে পারেন , ঠিক তেমনি কাল থেকে ফ্রিজ টিভি কম্পুওটার মোবাইল ফোন ইত্যাদি থাকবেনা ভাবতেই কেমন যেন পেটের মধ্যে গুলিয়ে ওঠে,কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না , বিপদজনক ননসেন্স মতামত ইলেক্ট্রিসিটি নেই? আমাদের কি গুহা যুগে ফেরত যেতে হবে?

    ৩। অ্যাডিক্ট এর সমস্যার তবুও সমাধান আছে , বিছানার সাথে সাতদিন বেঁধে রাখলে গুরুতর হেরোইন অ্যাডিক্ট বমি দুশ্চিন্তা দাহ্য ইত্যাদি উইথড্র্যাল সিন্ড্রোম পার করে পুনরায় স্বাভাবিক হতে শুরু করে -এতদিনের হেরোইন আসক্ত জীবনের বাইরেও যে জীবন বর্তমান এবং হেরোইন না পেলে যে বিন্দুমাত্র পাহাড় মাথাতে ভেঙ্গে পরছেনা সেই উপ্লব্ধ্বি অনুভবে স্বাভাবিক হতে শুরু করে -আমাদের কথাই ধরুন এই বছর ১৫ পূর্বে মোবাইল ফোনই ছিলোনা অ্যাঁডিক্সানো ছিলনা -কি পাহাড় টা মাথায় ভেঙ্গে পড়বে শুনি ?

    ৪। এতো গেল অ্যাডিক্টদের এর সমস্যার কথা ইলেক্ট্রিসিটি বা মোটরগাড়ি না থাকলে কি কি পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে মাথায় সেই নিয়ে দুশ্চিন্তা ,আমাদের ইলেক্ট্রিসিটির দরকার নেই শব্দটাই ৪৪০ ভোল্টের বিসুদ্ধ্ব প্রলাপ , অ্যাডিক্টদের নিত্য নূতন অ্যাঁডিক্সানের বস্তু টেকনোলজির নামে যোগানদারই তো পুঁজিবাদী উৎপাদন পধ্বতি , ১৯৭০ সাল পর্যন্ত গ্লোবাল ওআরমিং বস্তুটাই তেনার স্বীকার করতেন না , ১৯৯২ সাল নাগাদ Kyoto প্রোটোকলের পরবর্তী বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে প্রত্যেক বৎসর 2ppm হারে অথচ সমবেত ঘোষণা ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস একটা সীমানাতে বেঁধে রাখা হবে এবং ক্রমাগত কমানো হতে থাকবে -বর্তমানে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ প্রায় 400ppm , বিজ্ঞানীদের মতে সর্বচ্চ সীমা হওয়া উচিৎ 350ppm অথচ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউসনের পূর্বে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল 270-280ppm।কি করে পৌঁছাল এই ভয়ঙ্কর পর্যায়ে ? নিত্য নূতন অ্যাঁডিক্সানের বস্তু টেকনোলজির নামে যোগান দিতে -ইলেক্ট্রিসিটি এবং মটরগাড়ি যার অন্যতম উপাদান ।

    ৫। এইবার বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ 400ppm হোলেই বা কি এসে গেলো অথবা 2ppm হারে প্রতিবছর বেড়েচল্লেই বা কি এসে গেলো ? আজকের বাচ্চা ছেলেও জানে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এবং অন্যান্য গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মানে পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধি -আজথেকে ৬০০০ বছর পূর্বে পৃথিবীর উত্তাপ যখন বর্তমান পৃথিবীর উত্তাপের তুলনাতে মাত্র ১ডিগ্রী বেশী ছিল তখন আমেরিকার কৃষির হার্টল্যান্ড বলে পরিচিত Nebraska মরুভূমি ছিল সুতরাং ১ডিগ্রী উত্তাপ ব্রিদ্ধ্বির ফল কি হতে পারে তার উদাহরণ যখন আমাদের হাতে বর্তমান তখন 'আমাদের ইলেক্ট্রিসিটির দরকার নেই ‘ শব্দটাই যাদের কাছে ৪৪০ ভোল্টের বিসুদ্ধ্ব প্রলাপ ,ননসেন্স বলে মনে হচ্ছে তারা হয় জেগে ঘুমাচ্ছেন অথবা কানা মনে মনে জানা । বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে ‘ chances to avoiding one degree of Global Warming :- ZERO”

    ৬। এইবার এই অ্যাঁডিক্সানের হাত থেকে মুক্তির উপায় ? নেশার বস্তুসমুহ যথাসম্ভব নেশাগ্রস্তের আওতার বাইরে রাখা , আফিমের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া এ আমার বক্তব্য নয় পৃথিবী বিখ্যাত climatologist - James Hansen এর বক্তব্য , তিনি কে ? ১৯৮১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত NASAর প্রধান Climatologist , তিনি ঠিক কি বলছেন ? ১৯৩০ সালের মধ্যে নিদেন পক্ষে পৃথিবীর সস্মস্ত 'কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’ বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ “If we had a moratorium on any new coal plants and phased out existing ones over the next twenty years, we could get back to three hundred and fifty parts per million within several decades.” Reforestation, for example, if practiced on a massive scale, could begin to draw global CO2 levels down, Hansen says, “so it’s technically feasible.” But “it requires us to take action।আমাদের দেশে অধিকাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সুতরাং আমরা যদি James Hansen নেশামুক্তির উপায়ের কথা ভাবি তাহলে তো ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই । এখন James Hansen প্রলাপ বকছেন বা পিওর ননসেন্স কিনা তা পাঠক বিচার করুন ।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৪৫69947
  • ধুস, সাড়ে চার বিলিয়ন বছরের পুরোনো প্লানেটটি প্রথম অবস্থা পেরিয়ে বরফ যুগ (আইস এজ) থেকে আজকের অবস্থায় এসেছে - এই বিশাল সময়সীমানায় বিদ্যুৎ ফিদ্যুৎ তো একটা ছোট বিন্দুও না।
  • মিকটেক্স | 152.4.206.228 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৪৬69980
  • PTর সাথে একমত, "ব্যক্তিগত চাহিদায় লাগাম দিতে হবে"। সভ্যতার পেছনে হাঁটার প্রশ্ন নেই, আর বিদ্যুত তৈরি বন্ধ করে দিতে বলা স্রেফ পাগলের প্রলাপ।

    কিন্তু ব্যক্তিগত চাহিদায় লাগাম দিতে হবে, এই প্রস্তাবেও কিছু অসুবিধে আছে। প্রথম, জনসংখ্যা বাড়ছে। চল্লিশ বছর আগে যে হারে বেড়েছে তার থেকে কমে হলেও বাড়ছে। কাজেই ব্যক্তিগত চাহিদায় লাগাম দিয়েও একেকটা লিমিট ঠিক ছাড়িয়ে যাবে, কারন মানুষ বাড়তে থাকলে চাহিদা আপনা থেকেই বাড়বে (যদি না মানুষ বাড়ার রেট চাহিদা কমার রেটের থেকে কম হয়)।

    দ্বিতীয়, চাহিদা কিভাবে কমাবেন? বুঝিয়ে সুজিয়ে তো কোন লাভ নেই, আইন করে যদি কমানো যায়। সে প্রায় অসম্ভব, কারন মানুষের নেচার হল আইনের বিরুদ্ধে যাওয়া। সরকার থেকে যদি দেশে চাহিদা কমাতে বলা হয় তো প্রায় নিশ্চিতভাবে সরকারের গদি উল্টোবে। যেকটা রিভলিউশন ইসিহাসে বিখ্যাত, তার প্রায় প্রত্যেকটাতেই সরকার বা রাজতন্ত্র চাহিদা কমাতে গেছিল (যে কারনেই হোক না কেন)।

    তাহলে কি এই মালথুসিয়ান ভবিষ্যৎ থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই? আমার মতে অবশ্যই আছে। প্রথম উপায় টেকনোলজির ক্রমবিবর্তন। টেকনোলজির অনেক সমস্যা টেকনোলজি দিয়েই সমাধান হয়েছে আর ভবিষ্যতেও হবে। পলিউশন কমানোর জন্য, অয়েল স্পিল মপাপ করার জন্য ন্যানোটেকনোলজি বা পলিমারিক বস্তু নিয়ে রিসার্চ খুব দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে, কিছু কিছু এক্সপেরিমেন্টাল স্তরে পৌঁছে গেছে।

    আরেকটা সলিউশন হল মার্স আর অন্য দুয়েকটা স্যাটেলাইটে কলোনি। আগামী একশো বা দুশো বছরে আমরা পৃথিবী ছাড়িয়ে অন্যান্য গ্রহে ছড়িয়ে পড়ব, এ অবশ্যম্ভাবী। আমরা এখনো টাইপ ওয়ান সিভ লেভেলেও যাইনি (কার্দাশেভ স্কেলে), কাজেই এখনি এতো চিন্তার কিহ্হু নেই বোধায়। এখন আমরা মোটামুটি 0.7TI লেভেলে আছি। ফুল TI ছাড়িয়ে যেদিন টাইপ টুর পথে পা দেব সেদিন আমরা লোকাল ক্লাস্টারেও ছড়িয়ে পড়ব। হয়তো আগামী দুশো বছরে, হয়তো তার আগেই।
  • lcm | 146.152.142.60 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৫৪69981
  • নো, নো, নো - তা কি করে হবে।
    ব্যক্তিগত চাহিদা আরো বাড়াতে হবে। আরো গাড়ি চাই, ফোন চাই, এনার্জি চাই... গাড়ি কারখানা চাই, পাওয়ার প্লান্ট চাই....
    যেদিন চাওয়া শেষ হয়ে যাবে সেদিন তো ইয়ে মানে...
  • রাজু | 186.126.237.214 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৫৮69948
  • নিউটন, বিটফেন আর সেক্সপিয়ারে থেমে গেলেন কেন? আইন্স্টাইন, নিলস বোর আর জন ভন নিউম্যান কি আপনার কাছে ব্রাত্য? ইলেকট্রিসিটি ছাড়া মিকেলসন-মোরলি এক্সপেরিমেন্ট হোতো না আর তাহলে রিলেটিভিটি থিওরি হোতো না। ইলেকট্রিসিটি ছাড়া বাবল চেম্বারে ইলেকট্রনের গতিপথের ছবি নেওয়া যেতনা আর তাহলে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এগতো না। ইলেকট্রিসিটি ছাড়া ইলেকট্রিক যন্ত্রগণক তৈরি হোতো না আর নিউম্যানের থিওরেটিকাল সিরিয়াল মডেলের আবিষ্কার হোতো না। এই আবিষ্কারগুলো না হলে যে কম্পিউটারে বসে আপনি লিখছেন সেই কম্পিউটার তৈরি হোতো না। রিলেটিভিটি থিওরি ছাড়া জিপিএস সিস্টেম বানানো যেতোনা, আর তাহলে যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি আপনার ছিটেল লেখাগুলো ছাড়ছেন সেই ইন্টারনেট কাজ কোরতো না। তাহলে আপনি কি করতেন? কে সি পাল পন্থা অবলম্বনে দেওয়াল লিখন?
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:০০69982
  • লোকাল ক্লাস্টারে?
    কিন্তু অনেক দূরে দূরে তো গ্যালাক্সিগুলো! অবশ্য যদি ধরুন বড় বড় জাম্পড্রাইভ দিয়ে দিয়ে-
    ঃ-)
  • Debabrata Chakrabarty | 11.39.38.108 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:০৫69951
  • কেবল মাত্র ইলেক্ট্রিসিটি আমেরিকার ৩৭% কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের কারন এবং মটরগাড়ি ৩১% ,কেবলমাত্র এই দুইটি দূষণের সূত্র যদি আমরা আগামী কাল হতে বন্ধ করে দিতে পারি ( যদিও রাজনেতাগন কখনোই তা করবেন বলে মনে হয়না ) তাহলে আমরা কমাতে পারি 68% কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের সোর্স , আগামী ৩দশকে ফিরিয়ে আনতে পারি বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডএর বিজ্ঞানীগণ নির্ধারিত 350ppm এর মাত্রা- ঠেকাতে পারি সমদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির মাত্রা -খরা এবং অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা হোলেও বিলম্বিত করতে পারি -এখন addict দের মাথাতে কি কি পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে সেই চিন্তাতে তো আর আমরা আমাদের একমাত্র বাসস্থান ধ্বংস করতে দিতে পারিনা , রাজনেতা গন তো শুনবেন না , হাজারো চিঠি চাপাটি মিছিল প্রতিবাদ ইতিমধ্যে সঙ্ঘঠিত , তাই যা করার আমাদেরই করতে হবে এই যেমন ধরুন বিশ্বব্যাপী Grid Sabotage তবে যদি কানে জল ঢোকে

    "I do not deny that I planned sabotage. I did not do this in a spirit of recklessness. I planned it as a result of a calm and sober assessment." Nelson Mandela
  • Debabrata Chakrabarty | 11.39.38.108 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:০৫69950
  • কেবল মাত্র ইলেক্ট্রিসিটি আমেরিকার ৩৭% কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের কারন এবং মটরগাড়ি ৩১% ,কেবলমাত্র এই দুইটি দূষণের সূত্র যদি আমরা আগামী কাল হতে বন্ধ করে দিতে পারি ( যদিও রাজনেতাগন কখনোই তা করবেন বলে মনে হয়না ) তাহলে আমরা কমাতে পারি 68% কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের সোর্স , আগামী ৩দশকে ফিরিয়ে আনতে পারি বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডএর বিজ্ঞানীগণ নির্ধারিত 350ppm এর মাত্রা- ঠেকাতে পারি সমদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির মাত্রা -খরা এবং অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা হোলেও বিলম্বিত করতে পারি -এখন addict দের মাথাতে কি কি পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে সেই চিন্তাতে তো আর আমরা আমাদের একমাত্র বাসস্থান ধ্বংস করতে দিতে পারিনা , রাজনেতা গন তো শুনবেন না , হাজারো চিঠি চাপাটি মিছিল প্রতিবাদ ইতিমধ্যে সঙ্ঘঠিত , তাই যা করার আমাদেরই করতে হবে এই যেমন ধরুন বিশ্বব্যাপী Grid Sabotage তবে যদি কানে জল ঢোকে

    "I do not deny that I planned sabotage. I did not do this in a spirit of recklessness. I planned it as a result of a calm and sober assessment." Nelson Mandela
  • রাজু | 186.126.237.214 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:০৫69949
  • ইলেকট্রিকিসিটি যদিও বিষয় ছিলনা - এটা ভুল বললেন। আপনার আসল বক্তব্য তো গ্রিন এনার্জি আর ফসিল এনার্জিতে কোন ফারাক নেই, তাই সব বিদ্যুত উৎপাদন বন্ধ হোক। এই পাগলাটে বক্তব্য ঢাকতে পুঁজিবাদ ফুজিবাদের কয়েকটা শাক গুঁজে দিয়েছেন, তাই তো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন