এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গ্রীন এনার্জি ঃ- একটি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ?

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৫ | ১২৬৯৭ বার পঠিত
  • (এখানে প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা দুজনেই আপনি অথবা আপনার প্রতিনিধি -আমরা ইচ্ছা করেই কর্পোরেট প্রতিনিধিদের এই আলোচনা তে আমন্ত্রণ জানাইনি , আর তাছাড়া তাদের ছাপানো উত্তর আমাদের অজানা নয় ,তেনারা এমনিতেই ভীষণ চিন্তিত এই আমাদের এই একমাত্র বাসস্থানের ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ এর সমস্যার সমাধানে - সেই সুযোগে আমরা নিজেরাই দেখেনি গ্রীন এনার্জির প্রতিশ্রুতি কতদূর সত্য )

    প্রশ্ন ঃ- গ্রীন এনার্জি - উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক এককথায় ‘ গ্রীন টেকনলজি ‘ কি আমাদের পৃথিবী কে বায়ু দূষণের হাত থেকে ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ থেকে বাঁচাবেনা ?

    উত্তর- আজ্ঞে না । উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল, গ্রিড সিস্টেম প্রত্যেকটাই সস্তার ফসিল ফুয়েল ব্যবহারে সৃষ্ট । তেলের,গ্যাসের বা কয়লার দাম যখন যেরকম বাড়তে থাকবে উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল বা গ্রিড সিস্টেম ততোই তার ফিসিবিলিটি হারাতে থাকবে ,উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার দরুন। এমন তো নয় যে উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল হাওয়ায় তৈরি হয় , প্রত্যেকের লাগে মেটাল, প্লাস্টিক এবং কেমিক্যাল । উপাদান খনি থেকে আহরণ, কারখানাতে পাঠানো,প্রসেস করা এবং নানাবিধ ধাপ গুলি পেরিয়ে তবে একটি সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল বা উইন্ড টারবাইন এর মোটর তৈরি হয় -এই পুরো পধ্বতিটার প্রত্যেক ধাপেই ছড়িয়ে আছে ধ্বংস ,পাহাড় জঙ্গল খুঁড়ে অ্যালুমিনিয়াম ,লোহা ,রেয়ার আর্থ মিনারেল সংগ্রহের চেনা লুণ্ঠন পদ্ধ্বতি ,জল দূষণ ,কলনাইজেসান ,দাস শ্রমিক ,গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং সর্বোপরি বৃহৎ পুঁজিবাদী মুনাফা ।

    গ্রীন এনার্জি বা রিনিউবেল এর প্রাথমিক উপাদান একটি সিমেন্ট বা অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির মতই মেটাল এবং এনার্জি নির্ভর। সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বা অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি যেমন ফসিল ফুয়েল এর সস্তার বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে এক কিলোগ্রাম সিমেন্ট বা অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে অক্ষম ঠিক তেমনই উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল উৎপাদনেরও একই পদ্ধ্বতি, সাথে নিয়মাগিড়ি পাহাড়ের মত অসংখ্য পাহাড়ের বুক চিরে অ্যালুমিনিয়ামএর উপাদান এবং খনির থেকে সিলিকা আহরণ সাথে সভ্যতার সুপ্রাচীন 'silicosis’ এর পুনর্জন্ম প্রদানের বাড়তি উপসর্গ ।

    শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত তথাকথিত ‘ রিনিউএবেল এনার্জির’ চলন বাকি বস্তু উৎপাদন পদ্ধ্বতির মতোই ধ্বংসাত্মক ,গত ১৫০-২০০ বছর ধরে যে সর্বাত্মক লুণ্ঠন আমাদের প্রগতির নামে বিক্রি করা হচ্ছে , রিনিউএবেল এনার্জি সেই তুলনাতে বিন্দুমাত্র পৃথক নয় ,রিনিউএবেল এনার্জি তত্বগত ভাবে যে সামান্য দূষণের অবসান ঘটাবে সে নিয়ে আমরা আদৌ চিন্তিত নই ,আমরা চিন্তিত পৃথিবীর সর্বাত্মক স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়ে ।

    প্রশ্ন ঃ- কি বলছেন? রিনিউএবেল এনার্জি যেমন ধরুন সোলার ,উইন্ড বা জিওথারমাল কি আপনার মনে হয়না আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃতির ভারসাম্য ফেরত নিয়ে আসবে ?

    উত্তর ঃ- পুনরায় ‘না’ । উইন্ড এবং সোলার আমাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের এনার্জি সমস্যার দূষণ হীন সমাধান হিসাবে , কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন , দীর্ঘ কয়েক দশকের প্রয়াসের অবশেষে ২০১২ সালে পৃথিবীর এনার্জি সাপ্লাইয়ের মাত্র ১% উইন্ড এবং মাত্র 0.2% সোলার এর মাধ্যমে উৎপাদিত -পৃথিবীর এনার্জি সাপ্লাইয়ের মাত্র ৫%অংশীদার হতে গেলে যে পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন তা বিপুল । রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের সিংহভাগ সেই খনিশিল্প ,অন্যান্য বস্তু উৎপাদনের ফ্যাক্টরি বা মানুফাকচারিং এ ব্যবহৃত , যা গত দুই শতাব্দী ধরে প্রত্যহ আমাদের পৃথিবীর স্বাস্থ্যের হানীতে নিয়জিত । যদিও রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম ক্ষতিকর কিন্তু সেই বিদ্যুতের ব্যবহার অবশ্যই নয় । প্রত্যেক বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র বা ডিভাইস যেমন ধরুন টেলিভিশন ,মাইক্রোওয়েভ ,কম্প্যুটার ,স্মার্ট ফোন ইত্যাদি আপনার হাতে আসার পূর্বে ফেলে এসেছে সেই ধ্বংসের পদচিহ্ন । রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আমরা যে পরিমাণ দূষণ নিয়ত্রনের বা কম করার কথা পরকল্পনা করছি তা অনায়াসেই বর্তমানের কয়লা গ্যাস তেল জ্বালিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধ্বতি তাঁর আধুনিকীকরণ ,ম্যনেজমেন্ট , বণ্টন পদ্ধ্বতির উন্নতিসাধনে সেই পরিমাণ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব ,টেকনোলজি বর্তমান -আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে যে ১৯৮০ সাল নাগাদ পেট্রল এ সীসার ব্যবহার নিসিদ্ধ্ব করা হয় দানবীয় দূষণের কারনে ,ইঞ্জিন নকিং কমানোর জন্য তেল কোম্পানিগন সীসার পরিবর্তে অন্য অ্যাডিটিভ ব্যবহার করতে বাধ্য হন -বর্তমানে খুব কম সংখ্যক দেশ এবং খুব অল্প সংখ্যক ক্ষেত্র ছাড়া মোটামুটি সারা বিশ্ব ‘আনলিডেড পেট্রল ‘ ব্যবহার করেন, শুধু এই একটিমাত্র বাধ্যতা মূলক প্রয়োগ বাতাসে সীসা জনিত দূষণের পরিমাণ কমিয়েছে ৭০% এর অধিক , কিন্তু উপায় থাকতেও তুলনামূলক খরচ সাপেক্ষ রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি এই প্রচার কেন ? ইনভেস্টরের স্বার্থ -ভবিষ্যৎ পুঁজির নিরাপত্তা আমার এবং আপনার স্বার্থ নয় ।

    প্রশ্ন ঃ- রিনিউএবেল এনার্জি মানে কি একবার খরচা করে লাগানোর পর আজীবন বিনা পয়সাতে বিদ্যুৎ বা শক্তি প্রাপ্তি নয় ?বাতাস এবং সূর্যালোক যখন অঢেল ?

    উত্তর ঃ- পুনরায় ‘না ‘ সোলার প্যানেল বা উইন্ড টারবাইন এর আয়ু মেরেকেটে ২০-২৫ বছর ( নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সমেত ), ব্যাটারির আয়ু খুব বেশী হোলে ৫-৮ বছর , তুলনামূলক ভাবে একটি তাপ বিদ্যুৎ বা পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অনায়াসে ৪০-৫০ বছর বা তাঁর অধিক সময় ধরে উৎপাদনশীল থাকে ( নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সমেত ) ,সম্প্রতি এক গবেষণাতে প্রকাশিত যে বিজ্ঞাপিত উৎপাদন ক্ষমতাতে উইন্ড টারবাইন কখনই পৌঁছাতে পারেনা এবং সময়ের সাথে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস প্রাপ্তির কারণে ১২-১৫ বছরের মধ্যে তা ইকনমিক বাস্তবতা হারায়, সুতরাং আবার নূতন করে লাগানো, নূতন খরচ । এক বারের মত পাহাড় জঙ্গল খুঁড়ে অ্যালুমিনিয়াম ,লোহা ,রেয়ার আর্থ মিনারেল সংগ্রহ ,উৎপাদনের পদ্ধ্বতির কারনে একবারের মত জল দূষণ বায়ু দূষণ ,কলনাইজেসান ,দাস শ্রমিক ,গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের গল্প নয় -এ এক ধারাবাহিক পদ্ধ্বতি -এবং অতি দ্রুত প্রসারশীল - রিনিউএবেল এনার্জি কোনদিনই ফসিল ফুয়েল এর ইনফ্রাস্টাকচার বা ব্যবস্থাপনা প্রতিস্থাপিত করতে পারবেনা কারণ রিনিউএবেল এনার্জি ফসিল ফুয়েল এর ইনফ্রাস্টাকচার ওপর পূর্ণ মাত্রাতে নির্ভরশীল।

    প্রশ্ন ঃ- ঠিক আছে, কিন্তু দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে রিনিউএবেল এনার্জি কি অর্থনীতি বাঁচানোর পক্ষে সুবিধাজনক নয় ?

    উত্তর ঃ- দুঃখিত কিন্তু 'না’। রিনিউএবেল এনার্জি সারা পৃথিবীতে বর্তমানে ভীষণ ভাবে সরকারী 'সাবসিডির' ওপর নির্ভরশীল , সৌর ব্যবস্থা লাগালে গ্রামের সাধারণ জনগণ হতে শহরের কর্পোরেট সকলেই সরকারী অনুদান এর অধিকারী ,বিদ্যুৎ উৎপাদক বেশী দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করে অনুদানের সুবিধার অধিকারী - কিন্তু এই অনুদান আসছে কোথা থেকে ? বাকি অনুদান যেইভাবে আসে -ট্যাক্স পেয়ার এর অর্থ সিধা জেনারল মোটর , বিপি , স্যামসাঙ ,মিতসুবিশির ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ, আপনার আমার অর্থ রিনিউএবেল এনার্জিএর ক্লিন ফুয়েল এর নামে আপনার আমারই পকেট কেটে বৃহৎ কর্পোরেটের ঝুলিতে । রিনিউএবেল এনার্জি কোন ছোট পুঁজির কম্ম নয় ,কেন্দ্রীয় বৃহৎ পুঁজি এবং বৃহৎ পুঁজিবাদী সংস্থার কারটেল -কারা এই ব্যবসাতে আছে তার তালিকা দেখলেই বিষয়টি জলের মত পরিষ্কার। জেনারল মোটর , বিপি , স্যামসাঙ ,মিতসুবিশি, সিমেন্স এর ঠেকা পড়েনি বায়ু দূষণ নিয়ে মাথা ঘামানোর বরং রিনিউএবেল এনার্জি পৃথিবী ব্যাপী এনার্জি মার্কেট এর মনপলির কে কত অংশ দখল করতে পারে তাঁর প্রতিযোগিতা । বৃহৎ পুঁজির কুক্ষিগত টেকনোলজি নির্ভরতা নয় আমাদের প্রয়োজন স্থানীয় রসদের উপর নির্ভরশীল কমুইনিটি ভিত্তিক উৎপাদন । আপনার মতামতের জন্য ‘স্পেনের’ উধারন টি মনে হয় যথোপযুক্ত । ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্পেন এর সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫৪% এর রেকর্ড মাত্রাতে পৌঁছায় , অথচ ২০০৬ সালে রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ১৯% , স্পেন এর সরকারের ক্রমাগত উৎসাহদান এই বিপুল সাফল্যের কারন -কিন্তু প্রদীপের নিচের অন্ধকার দিকটি হোল- বিপুল ‘ tariff deficit’ এবং অনন্ত দেনা।২০১৩ সালের মে মাসে স্পেন সরকারের এই দেনা দাঁড়ায় $34 বিলিয়ন, এই বিপুল দেনার কারন প্রথমত রিনিউএবেল এনার্জির প্রতি উৎসাহ প্রদান ভাতা বা সাবসিডি । ২০০৭ সালে স্পেন ৫৫৬ ডলার প্রতি মেগাওয়াট /ঘণ্টা হিসাবে রিনিউএবেল এনার্জির উৎপাদক দের প্রিমিয়াম দিত, যেখানে ৫২ ডলার প্রতি মেগাওয়াট /ঘণ্টা নির্দিষ্ট ছিল কয়লা বা গ্যাস জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ,২০১২ সাল পর্যন্ত স্পেনের সরকার 10.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিনিউএবেল এনার্জি ইন্ডাস্ট্রি কে প্রত্যক্ষ সাবসিডি দিয়েছেন। এইবার এই বিপদ থেকে বা ঋণের জালথেকে মুক্তি পেতে স্পেনের সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ? প্রথমত রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশ টানছেন যাতে কম সাবসিডি দিতে হয় , দ্বিতীয়ত নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দের রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দাম বাড়াচ্ছেন সর্বোপরি 'sun Tax’ লাগু করছেন ,অর্থাৎ আপনি আপনার বাড়িতে নিজস্ব প্রয়োজনে সূর্যালোক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে আপনাকে এইবার থেকে সরকার কে ট্যাক্স দিতে হবে , প্রকৃত অর্থে সরকার স্পেন বাসী কে নিরুৎসাহিত করছেন সোলার পিভি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে -স্পেন এর উদাহরণ রিনিউএবেল এনার্জি যে অর্থনীতি বাঁচানোর পক্ষে সুবিধাজনক নয় তাঁর অন্যতম নমুনা ।

    প্রশ্ন ঃ- রিনিউএবেল এনার্জির কিছু ইমপ্যাক্ট আছে মেনে নিলাম , কিন্তু তবুও তো কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনাতে শতগুণে ভালো , রাইট ?

    উত্তর ঃ- ‘ one bullet wound is better than two bullet wound ‘এ হোল সেরকম একটি তুলনা - পৃথিবী কে আপনি একবার না দুবার বুলেট বিদ্ধ্ব করে চান ? না আমি ফসিল ফুয়েল - কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমর্থক না রিনিউএবেল এনার্জির ধোঁকাবাজির ,দুটোই পৃথিবীর স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান ক্ষতিকর -তুলনাতে আসাই সম্ভব নয়, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘ রিনিউএবেল এনার্জি’ ফসিল ফুয়েলের তুলনাতেও বেশী ক্ষতিকারক । বেশী বেশী রিনিউএবেল এনার্জি মানে কিন্তু কম কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় ,বা কম পরিমাণ কার্বন নির্গমন নয় -অনেকদিন তো হোল, পৃথিবী বর্তমানে তার এনার্জি প্রয়োজনের মাত্র 1.2% রিনিউএবেল এনার্জির(সোলার উইন্ড ইত্যাদি ) মাধ্যমে উৎপাদন করে , জার্মানি প্রায় ২০-২৫% কিন্তু একটাও কয়লা পোড়ান /তেল জ্বালান তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে শুনেছেন ? আদতে 'রিনিউএবেল’ আদৌ 'নেট এনার্জি' তৈরি করে কিনা সে এক বিতর্কের বিষয় - যে পরিমাণ এনার্জি মাইনিং ,প্যানেল বা টারবাইন উৎপাদন ,গবেষণা , পরিবহন, ইন্সটলেশান ,রক্ষণাবেক্ষণ ,ডিস্পসাল ,গ্রিড সংযোগ এর পেছনে ব্যয় করা হয় সেই তুলনাতে ‘নেট এনার্জি ‘ উৎপাদন কত ? আমরা যদি সমস্ত এনার্জি ইনপুট বিচার করি তাহলে হয়ত দেখবো রিনিউএবেল এনার্জির মাধম্যে এনার্জি উৎপাদন আদতে নেগেটিভ । জলবিদ্যুৎ আরেক মিথ্যার বেসাতি -ড্যাম শুধু প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করেনা যত বড় ড্যাম তত বড় ‘মিথেন ‘ নির্গমনের কারখানা , জলবিদ্যুৎ এর জন্য নির্মিত ড্যাম এবং তা থেকে নির্গত ‘মিথেন ‘ ৪% বা তার অধিক গ্লোবাল ওয়ারমিং এর জন্য দায়ী এ হোল বর্তমানের আনুমানিক হিসাব , যত দিন বাড়বে ,যত পুরানো হবে ড্যাম তত বেশী মিথেন নির্গমন আগামী এক দশকে জলবিদ্যুৎ এর জন্য নির্মিত ড্যাম এবং তা থেকে নির্গত ‘মিথেন ‘ ১০% বা তাঁর অধিক গ্লোবাল ওয়ারমিং এর জন্য দায়ী হোলে অবাক হওয়ার কিছু নেই ।

    প্রশ্ন ঃ- সোলার পাওয়ার বা সৌরশক্তি বিষয়ে আপনার কি মতামত ?

    উত্তর ঃ- সোলার প্যানেল উৎপাদন পদ্ধ্বতি বর্তমানে 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এবং 'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ নির্গমনের এর প্রধান সূত্র , এই ভয়ঙ্কর তিনটি গ্রিন হাউস গ্যাস প্লাসমা / সোলার প্যানেল তৈরির ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করতে কাজে লাগে । 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ১২০০০ গুন , নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ ১৭০০০ গুন এবং'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ২৫০০০ গুন বেশী ক্ষতিকর , একবার বাতাসে মিশে গেলে আয়ু ১০০০০ বছর, এই তিন ভয়ঙ্কর ‘ গ্রিন হাউস ‘ গ্যাস পুরোটাই মনুষ্য সৃষ্ট এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে Kyoto প্রোটোকলের আওতার বাইরে । বাতাসে ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এর ঘনত্ব যা থাকা উচিৎ বর্তমানে তার তুলনাতে ৪% বেশী এবং ঘনত্ব বাড়ছে ১১% হারে প্রতি বছর - যত বেশী প্লাসমা / সোলার প্যানেল তত বেশী ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ । সোলার সম্বন্ধে ‘ সিলিকন ভ্যালী টক্সিকস কয়ালিশান ‘ কি বলছেন ?

    ‘ As the solar industry expands, little attention is being paid to the potential enviornmental and health costs of that rapid expansion .The most widely used solar PV panels have potential to create a huge new source of electronic waste at the end of their useful lives, which is estimated to be 20-25 years. New Solar PV technlogies are increasing efficiency and lowering costs,but many of these use extremely toxic materials or materials with unknown health and enviornmental risks (including new nano materials and processes)

    আপনি সোলার পিভী র মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এ কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাবেন , যা কিনা ঢাক ঢোল পিটিয়ে মোদীর ছবি সমেত প্রচারিত অথচ যা কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাবেন তাঁর দশ গুন বেশী নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ বাতাসে মেশাবেন এ কেমন অঙ্ক ? ২০০৬ সালে শুধুমাত্র সোলার প্যানেল উৎপাদন এর কারনে বাতাসে মিশেছে ৫৬ মেট্রিক টন নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড(NF3) ।আপাত দৃষ্টি তে সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্লিন এবং গ্রীন ,খুব কম মাত্রাতে কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে নির্গত হয় ঠিকই কিন্তু সোলার প্যানেল তৈরি করতে বাতাসে মেশে 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এবং 'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ যা কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ১৭০০০ গুন বেশী ক্ষতিকর । আপনি আদতে কার্বন ফুট প্রিন্ট কমালেন না বাড়ালেন ?

    প্রশ্ন ঃ- কিন্তু উইন্ড টারবাইন? বা বায়ু শক্তি সে তো মোটামুটি নির্ভেজাল ?

    উত্তর ঃ- উইন্ড টারবাইন এবংসোলার পিভী উভয়েরই প্রয়োজন ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ মূলত চীন এবং তাঁর মঙ্গোলিয়া অঞ্চল এই ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ প্রসেস করে এবং সারা বিশ্বকে সরবরাহ করে।‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ মাইনিং এবং প্রসেসিং বিপুল পরিমাণ বিপদজনক এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস এর উৎস । চীনের যে অংশে এই ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ প্রসেসিং এর কর্মকাণ্ডটি চলে সেখানে দুর দূরান্তে মাটিতে আর ফসল ফলেনা আপনার উইন্ড টারবাইন এর ম্যাগনেট তৈরি করতে যে তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস এর সৃষ্টি তার কারনে সমস্ত জমি পূর্ণ অর্থে বন্ধ্যা । এইবার আমরা যদি উইন্ড এবং সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বর্তমানের এনার্জি সাপ্লাইয়ের 1.2% থেকে ১০% এ নিয়ে যেতে চাই তাহলে শুধু ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ এবং তাঁর বিপদজনক এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস নয় তাঁর সাথে বিপুল পরিমাণ অন্যান্য বিষাক্ত মিনারেলস যেমন gallium arsenide,copper-indum-gallium-diselenide ,cadmium-telluide এর প্রয়োজন পাতলা সোলার পিভি এবংউইন্ড টারবাইন এর ম্যাগনেট বানাতে । একা চিন এই বিপুল পরিমাণ দূষণ তো আর বহন করবেনা তাই বাকি বিশ্ব বাধ্য হবে এই সমস্ত বিষাক্ত মিনারেলস এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস তৈরি করতে ,মঙ্গোলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যেমন আর শস্য ফলেনা ঠিক সেই রকমই হয়ত বা আমাদের দেশ মঙ্গোলিয়ার ঐতিহ্য বহন করতে বাধ্য হবে।

    বিশ্বে সবথেকে প্রচলিত 1.5 মেগাওয়াট এর উইন্ড টারবাইন টির নকশা তৈরি থেকে ফাইনাল প্রোডাক্ট এর প্রস্তুত কর্তা 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘। 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ এর এক একটি টারবাইন মুল বডির ওজন ৫৬ টন, টাওয়ার এর ওজন কমপক্ষে ৭১ টন এবং পাখার ওজন ৩৬ টন -এক একটি টারবাইন তৈরি করতে প্রয়জন হয় ১০০ টনের ওপর ইস্পাত , এটি হোল সবথেকে ক্ষুদ্র টারবাইন এর বিবরণ -বর্তমানের স্ট্যান্ডার্ড টারবাইন কমপক্ষে ৬০০ ফিট এর ওপর উঁচু -'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ এর টারবাইন এর তুলনাতে দরকার প্রায় আট গুন বেশী ইস্পাত ,তামা ,অ্যালুমিনিয়াম এবং মোটরের ম্যাগনেটের জন্য রেয়ার আর্থ মিনারেল - এই লোহা আসে হয়ত ভারত থেকে , তামা আফগানিস্থান এবং রেয়ার আর্থ মিনারেল অবশ্যই মঙ্গোলিয়া থেকে -কারোর বাসস্থান , কারও ক্ষেত ,কারও দাসত্বের বিনিময়ে -আমরা তাঁদের কোথা শুনতে চাইনা ,যদি ভুলক্রমে মানবপ্রজাতির অংশও হয় হয় গায়ের রং হয় কাল অথবা ব্রাউন , হত দরিদ্র এই মানব প্রজাতি (?) উন্নতি আধুনিক বিজ্ঞানের কিই বা বোঝে ?পৃথিবীর সবথেকে বড় উইন্ড টারবাইন প্রস্তুৎ কর্তা 'vestas’ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি, আমেরিকার সর্ববৃহৎ উইন্ড টারবাইন প্রস্তুতকারকের নাম 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ ৭০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক সম্পদশালী এই কোম্পানি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম “ বায়ু দূষণ ‘ কারী কোম্পানি । ফুকুসিমা , ভূপাল , ঘটে যাওয়ার পরেও আপনি কি এনাদের থেকে জাস্টিস , সাস্টেনাবিলিটি ইত্যাদি আসা করেন ? প্রফিট / লাভ যেখানে শেষ কোথা সেখানে বায়ু দূষণ আসছে কোথা থেকে ? সারা বিশ্বে গতবৎসরে ১৪০,০০০ -৩২৮,০০০ পাখি , বাদুড় উইন্ড টারবাইনএর দানবিক পাখা তে কাটা পরে মারা গেছে -এ হোল আমাদের উইন্ড টারবাইনের উপরি পাওনা একেবারে সোনায় সোহাগা ।

    প্রশ্ন ঃ- কিন্তু আমাদের তো ইলেক্ট্রিসিটি চাই তাইনা ? ইলেকট্রিক বিনা জীবন চলে কি উপায়ে ?

    উত্তর ঃ- দেখুন ইলেক্ট্রিসিটি তো এসেছে মাত্র ১২০-১২২ বছর পূর্বে , মিলেনিয়াম তো আমরা ইলেক্ট্রিসিটি বীণাই কাটিয়েছি তাইনা ? বাকি জীব জন্তুদের মতোই মানব প্রজাতিও মূলত তাঁদের এনার্জি পেয়ে থাকে শস্য জনিত খাদ্য এবং পশু জনিত খাদ্য হতে, গাছপালা তার এনার্জি সংগ্রহ করে সূর্যের কাছ থেকে সালোকসংশ্লেষ এর মাধ্যমে, যে কোন স্পিসিস এরই বেঁচে থাকার জন্য ইলেক্ট্রিসিটির বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই, আমাদেরও নেই -এটাই প্রাকিতিক নিয়ম -কেবল মাত্র কল কারখানা এবং এই ক্ষয়িষ্ণু উৎপাদন পদ্ধ্বতির বেঁচে থাকার রসদ ‘ইলেক্ট্রিসিটি ‘ এনার্জি । বর্তমানে খাদ্যের নিরাপত্তা ,প্রকৃতির সুস্থতা বিসর্জন দিয়ে আমরা বজায় রাখছি নিরিবিছিন্ন 'ইলেক্ট্রিসিটি’ - মাইনিং , প্রসেসিং ,ইনফ্রাস্টাকচার ,ডাম্পিং এদের এবং এই ব্যবস্থার প্রয়োজন 'ইলেক্ট্রিসিটি’ -তাই অরণ্য ধ্বংস, মাটির বুক খুঁড়ে শেষতম বিন্দু পর্যন্ত তেল শুষে নেওয়া , এনার্জি সিকিউরিটির কারণে লাইফ সিকিউরিটির বলিদান । ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদন তা সে প্রচলিত রাস্তাতেই হোক অথবা তথাকথিত রিনিউএবেল গ্রিন এনার্জি রাস্তাতে আদতে আনসাস্টেনেবল , সাস্টেনেবল বলতে আমরা সেটাই বুঝি যা চালিয়ে যাওয়া জেতে পারে সাময়িক বা দীর্ঘকালীন ক্ষতি ছাড়া -কিন্তু এই গ্রিন এনার্জির নামে বৃহৎ পুঁজির ধোঁকাবাজি নিশ্চিত আমাদের একমাত্র বাসস্থানের মৃত্যু ত্বরান্বিত করবে খুব বেশী হোলে সাময়িক স্থিতি বজায় রাখবে নিত্য নূতন টেকনোলজির গল্পে । রাজনেতাগনের কাজ আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া 'গর্বিত জার্মানি’ থেকে 'আচ্ছে দিনের’ প্রতিশ্রুতি -যার অধিকাংশই ফাঁকা আওয়াজ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি হিসাবে প্রমাণিত -গ্রিন এনার্জি আমার মতে আরেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি অথচ কি প্রজ্ঞার সাথে গম্ভীর ভাবে বিজ্ঞাপিত ,আমাদের কি অটুট আশা এইবুঝি এসে গেলো 'গ্লোবাল ওয়ারমিং ' এর গ্রীন সোলার সমাধান !

    তথ্য সূত্র ঃ-
    A problem with wind power ঃ- by Eric Rosenbloom
    Energy Balance of the Global Photovotic (PC) Industry- is the industry a net Electric Producer? ঃ- by Michael date & Sally M.Benson .
    Solar Industry grapples with hazardous waste ঃ- by Jason Dearen .
    Reservoir Emissionsঃ- by international Rivers.
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৫ | ১২৬৯৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উৎসব - Sobuj Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঝন্টিপাহাড়ির ঝন্টুরাম | 117.167.108.62 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:২৫69986
  • সব জীবজন্তু মানুষকে মিনিয়েচার করে দিলেও হয়। এই ধরুন অনুপাতটা যদি এমন হয় - ছয় ফুটের বদলে ছয় ইঞ্চি, তাহলে পার ক্যাপিটা এনার্জী কনজাম্পশনও কমে যাবে, একেবারে বাড়বাড়ন্ত অবস্থা আরকি।
  • pi | 126.203.139.166 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৩১69987
  • ইন্টারনেট নিয়ে কী মত, দেবব্রতবাবুর ?
  • bana maalee | 11.39.36.39 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:০৫69988
  • নিরামিষ খান। আমি আজকেই শেষ মাংস খাচ্ছি।
  • মিকটেক্স | 152.4.206.228 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:১০69989
  • lcm বলেছেন চাহিদা আরো বাড়াতে। সেটাও কিন্তু সম্ভব, যদি এনার্জি কনসাম্পশান এনার্জি বাড়ানো যায়। আমাদের বেশীরভাগ পাওয়ার প্ল্যান্টের কনভার্শান এফিসিয়েন্সি ৩০-৪০%, রিসেন্টলি কিছু কোয়ান্টাম ডট ইনর্পোরেটেড সোলার সেলে ৪৫% এ পৌঁছানো গেছে (http://spectrum.ieee.org/nanoclast/green-tech/solar/quantum-dot-solar-cells-break-conversion-efficiency-record) তাহলেই ভাবুন, যদি ৭০% এ পৌঁছনো যায় তো বিজনেস অ্যাস ইউসুয়াল সিনারিওয়্তেও বেশী এনার্জি অ্যাভেলেবল হবে।

    তবে আমি এই সল্যুশনের পরিবর্তে PTর সল্যুশন প্রেফার করবো। আস্তে আস্তে লাগামছাড়া চাহিদাও কমুক (কিভাবে হবে জানিনা), আর আস্তে আস্তে জনসংখ্যার বৃদ্ধি হারও কমুক (অলরেডি কমছে)।

    sm, এরকম শৈবাল, ব্যাক্টেরিয়া নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে! বায়োকম্পাটিবল সাবস্ট্রেটে কাস্টমাইজেবল ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কাজ চলছে। Science Direct এ গিয়ে লেয়ার বাই লেয়ার অ্যাসেম্বলি বা ন্যানোমেটাল ইনকর্পোরেটেড ভাইরাস দিয়ে সার্চ করলে চার-পাঁচশো পেপার পেয়ে যাবেন। BPর অয়েল স্পিল মপাপ করার জন্য অলরেডি ব্যাক্টিরিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কিনা এর সাথে ন্যানোরিসার্চ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, আর সবাই জানে সে বড়ো টেকনোলজি না, ছোট টেকনলজি ঃ-) কে যেন বলেছিলেন there is plenty of room at the bottom ঃ-)

    Atoz, ভুল লিখেছি। আসলে লিখতে চেয়েছিলাম আমাদের গ্যালাক্সির যে মাইনর স্পাইরাল আর্মে আমরা আছি সেখানে ছড়িয়ে পড়বো। কোনভাবে ভুল করে লোকাল ক্লাস্টার লিখে ফেলেছি।
  • PT | 213.110.243.23 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ১২:০৬69990
  • **প্রতিশ্রুতিতে গ্রিনহাউস গ্যাস কমবে না**
    "দেশের জমি মূলত তিন ভাগে বিভক্তঃ শহর, শহরতলি ও গ্রামে থাকার জায়গা, চাষের জমি ও বনাঞ্চল। যদি সৌরবিদ্যুৎ তৈরিতে বিপুল জমি লাগে, তা হলে জঙ্গল কেটেই সেই জমি নিতে হবে। কিন্তু আইএনডিসি-র পরিকল্পনায় তো বনাঞ্চলকে বিপুল ভাবে বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। অঙ্কের হিসেবে অর্ধেক পশ্চিমবঙ্গ!’ একই সঙ্গে সৌরবিদ্যুৎ এবং জঙ্গল, দুইই বাড়ানো কী করে সম্ভব?"
    http://www.anandabazar.com/editorial/%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B6-%E0%A6%B0-%E0%A6%A4-%E0%A6%A4-%E0%A6%97-%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%B9-%E0%A6%89%E0%A6%B8-%E0%A6%97-%E0%A6%AF-%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%AC-%E0%A6%A8-1.223202#
  • মিকটেক্স | 152.4.206.228 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৪৫69993
  • দেবব্রতবাবু আপনার অব্সার্ভেশান সঠিক কিন্তু প্রব্লেম ডেফিনিশান ভুল হওয়ায় উত্তরটা ভুল হচ্ছে।

    আপনার অবসার্ভেশান, কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রুত বাড়ছে ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং শুরু হয়ে গেছে। সঠিক।

    এর জন্য আপনি দায়ী করছেন বিদ্যুত বা যানবাহনের ব্যবহারকে। এটা ভুল।

    বিদ্যুত বা যানবাহন ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া এই সমস্যার সমাধান না। সমাধান হল বিদ্যুত উৎপাদন এমনভাবে করা যাতে অ্যান্থ্রোপোজেনিক কন্ট্রিবিউশন কমে আসে। আর গাড়ির ইন্জিনে মডিফাই করা বা ব্যাটারি চালিত বা ফুয়েল সেল চালিত গাড়ি ব্যবহার করা। ২০৩০ এর মধ্যে সমস্ত কয়লা চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হোক - এরকম দাবী অবশ্যই তোলা যেতে পারে, যদি বিকল্প বিদ্যুত উৎপাদনের উপায়ের খোঁজ পাওয়া যায়।
  • Debabrata Chakrabarty | 53.251.171.145 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৫৭69994
  • মিকটেক্স বাবু ঃ- সম্ভব নয় , সোলার উইন্ড হাইডেল আমরা দেখলাম বিন্দুমাত্র কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায় না বরং বাড়ায় সাথে রেডিও একটিভ মেটেরিয়াল এর পাহাড় ।

    তাপবিদ্যুৎ ৩৭% এবং মটরগাড়ি ৩১% কার্বন এমিসনের জন্য দায়ী আমাদের যদি কার্বন ডাই অক্সাইড 400ppm থেকে ৩৫০তে আনতে হয় সেটা দরকার আগামী ১৫ বছরের মধ্যে - তাহলে তাপবিদ্যুৎ বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই। গাড়ি বন্ধ করতে পারলে ১০ বছরে টার্গেট রিচ করা সম্ভব।

    ১৯৭০ এর পূর্ববর্তী মটরগাড়ি তেল নিয়ে ভাবতনা ভাবতো হর্স পাওয়ার নিয়ে , কিন্তু বিশ্বব্যাপী তেলের সঙ্কট ফুয়েল এফিসিএন্ট গাড়ি বানাতে বাধ্য করে , জাপানি গাড়ি বিশ্বের বাজার দখল করতে শুরু করে -তেল খরচ কমেনি এক ফোঁটা বরং বেড়েছে কয়েকশত গুন , তাই গাড়ির ইঞ্জিন মডিফাই করে কোন লাভ হয়না এ আমাদের ১৯৭০ এর অভিজ্ঞতা , ইলেকট্রিক গাড়ি -আরেক বৃহৎ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি - তাঁর দরকার লিথিয়াম ব্যাটারি ,কার্বন ফাইবার এবং বাকি সব মেটাল ও রাবার - কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায় না বরং বাড়ায় সাথে যুধ্বের সম্ভাবনা - লিথিয়াম আছে বলিভিয়া এবং আফগানিস্থানে ।

    কোথাও থামতেই হবে , সাময়িক অসুবিধা সহ্য করা নিসচিনহ হয়ে যাওয়ার তুলনাতে বেটার অপশন বলে মনে হয় । কার্বন ৪১৫-৪২০ মাত্রা ছাড়ালে যা ক্ষতি শুরু হবে তা কোন ভাবেই ফিরিয়ে আনা যাবেনা ।
    তবে এ হোল তাত্বিক আলোচনা -না ইলেকট্রিক বন্ধ হবে না কার্বন নিঃসরণ তাই আত্মহত্যার দিন গোনা, সান্থারাও বলতে পারেন জেনে শুনে আত্মহনন !
  • skm | 83.136.211.128 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৫০69995
  • গুহা তে থাকুন
  • pi | 126.202.215.234 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৫৫69996
  • ' সোলার উইন্ড হাইডেল আমরা দেখলাম বিন্দুমাত্র কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায় না বরং বাড়ায় সাথে রেডিও একটিভ মেটেরিয়াল এর পাহাড় ।'

    এটা নিয়ে ঠিক একমত নই। একটু ঠিকঠাক তথ্যগুলো ডিটেইল্সে দেবেন ?
  • Debabrata Chakrabarty | 53.251.171.145 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ১১:৫৩69991
  • এই ব্লগের উত্তরে সমস্ত মতামতদাতা বন্ধুগণ কে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ তবে সাথে কিঞ্চিৎ হতাশ -গোটা ব্লগের মাত্র শেষ অংশ টি ছিল এক আপেক্ষিক এক্সেন্ত্রিক মতামত “ ইলেক্ট্রিসিটি “ মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে -অপরিহার্য নয় , কিন্তু বাকি অংশ টি ছিল গ্রিন এনার্জি বলে যা চালানো হচ্ছে তা প্রকৃত অর্থে গ্রিন ওয়াস বিনা কিছু নয় -কিছু তথ্য এবং রেফ সহযোগে -সে বিষয়ে মতামত নগণ্য ।

    “ ইলেক্ট্রিসিটি “ বা 'মোটরগাড়ি’ মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে -অপরিহার্য নয় একথা সত্য কিন্তু আজকের দুনিয়াতে মেনে নেওয়া অসম্ভব এবং অবাস্তব -আমাদের মন তাতে কিছুতেই সায় দিতে পারেনা আমরা ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল এই দুই প্রযুক্তির উপর -যতই আমরা দূষণের ভয়াবহতা ,বাতাসে 2ppm করে বেড়ে চলা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং তৎজনিত উত্তাপ ব্রিধ্রির কারনে জলস্তর বেড়ে চলা ,অতিবৃষ্টি ,অতিখরা ,বিভিন্ন অজানা রোগের আবির্ভাব ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে প্রস্তুত করিনা কেন -আমাদের ভগবান ভরসার মত টেকনোলজি ভরসা আমাদের আশা যোগায় নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ দিব্য কমে যাবে এবং পৃথিবী খাদের কিনারা থেকে পুনরায় ফিরে আসবে -একে আমরা তুলনা করতে পারি ভগবান ভরসার মত মিথ্যে আশাবাদের সঙ্গে ।

    বাস্তবে যখন ৮০% অরণ্য নির্মূল , পৃথিবীর Top Soil এর আয়ু মেরে কেটে ৬০-৭০ বছর , সমুদ্রে অক্সিজেন শূন্য এরিয়ার পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে , হিমবাহের বরফ গলছে ,বরফের নীচে জমে থাকা মিথেন বায়ু মণ্ডলে মিশছে , তখন আচ্ছা আচ্ছা পরিবেশ বিজ্ঞানী গন কিন্তু এই মিথ্যে আশাবাদ এ ভরসা রাখতে পারছেন না , তাঁরা বার বার আমাদের সতর্ক করছেন যে কি কি হতে পারে মাত্র ১-২ ডিগ্রি উত্তাপ বাড়লে, এমনকি সম্যক ধারনা তাঁদেরও ঠিক জানা নেই ,বিভিন্ন ফোরামে এমনকি রাস্তায় নেমে তাঁরা নীতিনির্ধারকগণের দৃষ্টি আকর্ষণের এবং পলিসি পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন এবং বলছেন ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করা হউক -অন্যদিকে বৃহৎ পুঁজি এবং সরকার আমাদের গ্রিন এনার্জির বিকল্পের গল্প খাওয়াচ্ছেন - গ্রিন এনার্জির প্রকৃত স্বরূপ কি তার একটি ক্ষুদ্র রূপরেখা এই ব্লগ ।

    তর্কের খাতিরে চাঁদে এবং মঙ্গলে আমরা যদি বাসস্থান গড়ে তুলতেও পারি এই আমাদের পৃথিবীর ধ্বংসের অবশেষে আমরা আমাদের পাখী, গুবরে পোকা , হাতী ,গণ্ডার , হরিণ ,শামুক , কচ্ছপ এবং যে অসংখ্য প্রজাতি ,গাছপালা যা আমাদের ইকো সিস্টেম এর অংশীদার তাঁদের কি এই পৃথিবীতে মৃত্যুর জন্য ছেড়ে দেব ? প্রত্যহ ১০০-২০০ প্রজাতি আমাদের লোভের কারনে যাকে আমরা সভ্যতা বলছি পৃথিবী থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে -এই শতাব্দীর অন্তভাগে ২৫% পাখির প্রজাতি এবং ৩০% এর অধিক স্তন্যপায়ী নিসচিনহ হয়ে যাবে আমাদের ইকো সিস্টেম থেকে - আমরা কি Nero র মত বাঁশি তে ইমন কল্যাণ বাজাব ভগবান টেকনোলজির মিথ্যে আশাবাদএর গল্পে ?

    পুঁজিবাদী ব্যবস্থাটি টিকেই আছে কন্সুমারিইসম এর উপর ভিত্তি করে তাই আমাদের ভোগ কমানো, ক্রিচ্ছসাধন এক অলিক কল্পনা । নিত্য নূতন গ্যাজেট -পেট্রল থেকে ডিসেল , ডিসেল থেকে সিএনজি ,সিএনজি থেকে হাইব্রিড , হাইব্রিড থেকে ইলেকট্রিক গাড়ি এবং কয়লা থেকে গ্যাস গ্যাস থেকে নিউক্লিয়ার নিউক্লিয়ার থেকে হাইডেল সোলার উইন্ড এনার্জি এ এক ধারাবাহিক ব্যবস্থা ,পৃথিবীর শেষ বিন্দু তম তেল, কয়লা, তামা ,জঙ্গল, জল সমস্ত সম্পদ যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ততক্ষণ খোদাই করতেই থাকবেন

    ‘ Capitalism can no more be ‘persuaded’ to limit growth than human being can be ‘persuaded’ to stop breathing. Attempts to ‘green’ capitalism, to make it ‘ecological ‘,are doomed by the very nature of the system as a system of endless growth” Murray Bookchin

    পৃথিবীতে গত বৎসর গাড়ি তৈরি হয়েছে ৬০মিলিওন আগের বছরের তুলনাতে ৬মিলিওন বেশী ,ভারতে স্বাধীনতার সময় গাড়ির সংখ্যা ছিল মাত্র 342000 আর ৬৫ বছর পর বর্তমানে ১৪১মিলিওন এই Endless Growth phylosophy -পৃথিবীর কি হাল করেছে বা করবে তা কি আমরা অসহায় কন্সুমার হিসাবে জুল জুল করে দেখব বা এই তথাকথিত এগিয়ে চলার আত্মহত্যার রাস্তাতে পা মেলাব ? না আমাদের একমাত্র বাসস্থান এর স্বার্থে আমাদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে - James Hansen এর সাথে গলা মেলাব - আমাদের নিউক্লিয়ার চাইনা , ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত কয়লা চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হোক-ইলেকট্রিক বা মোটরগাড়ি বন্ধ হোলে কিচ্ছু পাহাড় মাথায় ভেঙ্গে পরবেনা -১১০ বছর পূর্বেও যে পড়েনি তার উদাহরণ বর্তমান -কিন্তু যদি চালু থাকে তবে শুধু পাহাড় না অনেক কিছুই ভেঙ্গে পড়বে এবং তার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই ।

    সকলকে পুনরায় ধন্যবাদ সময় ব্যয় করে ‘ছিটেল’ এর ব্লগ পড়ার এবং মতামত দেওয়ার জন্য -কিন্তু সত্যিই কি কোন ম্যাজিক আছে বা দুর দূরান্তে কি দেখা যাচ্ছে যা বিসনেস অ্যায়স ইউসুয়াল চলবে আর বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড কমাতে সাহায্য করবে ? সময় খুব কম আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ কমাতে হবে 400ppm থেকে 350ppm এ কোন স্যাকড়ার ঠুক ঠুক নয় -সিধা sledge hammer !
  • bana maalee | 11.39.38.106 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ১২:২৫69992
  • এই অগ্রগতি অর্থহীন কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। কল্লোলদা কই?
  • debabrata | 192.66.56.193 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৩৮70018
  • ১২ বছর আগের লিঙ্ক এর থেকে বরতমান পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র আলাদা নয় -ফিউসন এক ইউটোপিয়া-আমাদের দরকার আশু সমাধান বিলিয়ন ডলারের মরিচিকা নয়।
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:১৪69999
  • এই তথ্যগুলো তুলে আনার জন্য দেবব্রতকে ধন্যবাদ!
    যারা পৃথিবীর ভবিষ্যত নিয়ে এত চিন্তিত তারা কেউ কনসাম্প্শন কমানোর মত politically incorrect কথা জোর দিয়ে বলতে চায় না।

    Road transportation is the greatest contributor to global warming for the next 50 years according to a recent study by NASA’s Goddard Institute for Space Studies.
    http://carnegieendowment.org/2010/04/15/transportation-leading-cause-of-global-warming

    transport accounting for more than 30% of U.S. carbon dioxide emissions, one of the best ways to reduce them is by riding something many of us haven't tried since the ninth grade: a bus. Public transit saves an estimated 1.4 billion gal. of gas annually, which translates into about 14 million tons of CO2, according to the American Public Transportation Association. Unfortunately, 88% of all trips in the U.S. are by car.
    http://content.time.com/time/specials/2007/article/0,28804,1602354_1603074_1603122,00.html
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:২৮70000
  • বেহ্স, বেশ, তাহলে চীন আর ভারত - গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিচ্ছে, বেশ। গাড়ি কারখানা আর চাই না তাহলে।

  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:০৪70001
  • ওপরের গ্রাফটি অসম্পূর্ণ। ওখানে ২০৩০-এ মাথাপিছু CO2 খরচের কোন খবর নেই। তাহলেও দেখা যাবে যে ভারত আর চীন আমেরিকার অনেক পেছনে।

    গাড়ী কারখানা অবশ্যই চাই। নাহলে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের বাস, ট্রাম ইত্যাদি কোথায় তৈরি হবে?
  • কল্লোল | 125.248.76.233 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:২০70002
  • আমি আছি। পড়ছি। দেবব্রতবাবুকে ধন্যবাদ, কথাগুলো সোজাসাপ্টা বলার জন্য। গ্রীন এনার্জির এইদিকটা নিয়ে ভাবিনি কখনো। আবারও দেবব্রতকে ধন্যবাদ।
    পিটির সাথে একমত। মানুষের ভোগের ইচ্ছে কমাতে হবে। নইলে "ভোগে" যাবে এই পৃথিবী। এছাড়া অন্য কোন রাস্তা নেই। ধনতন্ত্র তার নিজের চলনের কারনেই এই বিপদ ডেকে এনেছে। এর হাত থেকে বের হবার রাস্তা তার হাতে নেই। মানুষের শুভবুদ্ধি জাগবে, এমন আস্থা মানুষের উপর আছে। তাই আশা রাখি একদিন মানুষ তার চাহিদা কমাতে শিখবে।

    তবে, কোথায় যেন পড়ছিলাম, পৃথিবীর এই উষ্ণায়ন ও হিমায়ন একটা চক্রাকার প্রক্রিয়া। এ নিয়ে কেউ দুপহা দেবে?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:২৭70003
  • মাথাপিছু হিসাব ধরলে তো কাতার, সৌদি - কার্বন এমিশন অনেক বেশি।

    এনার্জি কনসাম্পশন দিনে দিনে কমবে না, বাড়বে। উন্নততর জীবনযাত্রা আর হাই এনার্জি কনসাম্পশন - এ দুটো ব্যাপার একেবারে সমার্থক এখন।

    যেটা করার চেষ্টা চলছে সেটা হল, এই এনার্জি কিভাবে তৈরী হচ্ছে। রিসার্চ চলছে, কাজ এগোচ্ছে - কিছু একটা সল্যুশন বেরোবে। ফসিল ফুয়েল (কয়লা, পেট্রোলিয়ান, ন্যাচারাল গ্যাস), পারমাণবিক সোর্স - এসব থেকে অন্য দিকে শিফ্‌ট-এর কাজ চলছে।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৪২70019
  • এই পোস্টে খোরাক দেওয়ার লোভ সামলানো বেশ শক্ত...

    প্রথমত এই দাও ফিরে সে অরণ্য মার্কা বক্তব্য নিয়ে এইটুকুই বলার যে আজ যাদের পোড়াচ্ছি তারা কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহার করেনি... তাও বেচারিরা মাটির তলায় চাপা পড়েছে আর আমরা পুড়িয়ে ফুটানি করছি... ফলত বিদ্যুৎ পোড়ান বন্ধ করে দিলেই যে বনে-বাদারে-গুহায়-তপোবনে দিব্যি থেকে যাবো এ ফ্যান্টাসি ছাড়া আর কিছু নয়... আর পৃথিবী? পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী স্পিসিসকে মুছে দেওয়া বায়ুদূষণ কোনটা দাদা? কারা করেছিল দূষণ? আজ্ঞে আজকের প্রাণদায়ী গাছেরা... দূষণটির নাম অক্সিজেন... আর গ্লোবাল ওয়ার্মিং , ইন্টারগ্লেসিয়াল এজ ও নতুন কিছু না, বহুবার এসেছে... ফলত পৃথিবী , জীবজগত, ইটারনিটি এইসব ছেড়ে মাটিতে নেমে আসাই ভাল... আমরা মানে হোমো স্যাপিএন্স রা আমাদের আজকের সভ্যতাটাকে আর একটু বেশিদিন টেকাব কিকরে নিয়েই কথা... এত পপুলেশন এক্সপ্লোশন সত্ত্বেও পৃথিবীর বায়োমাস এর কতটুকু আমরা? ফলত ঐসব ফালতু সুপিরিয়টি কমপ্লেক্স এ ভুগে লাভ নেই, আমরা নিজেদের পিঠ বাঁচানর আলোচনা করছি এইটা স্বীকার করে নেওয়া দরকার...

    এইবারে কথা হল সেই নিয়েই যখন কথা তখন ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, চাষাবাদ, পশুপালন, ধাতুর ব্যবহার, মোবাইল ফোন এসব ও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করব নাই বা কেন? মাথা কেতে ফেললে মাথব্যাথা থাকবে না এ তো সবাই বোঝে, সেটাকে কেউ মাথাব্যাথার চিকিৎসা বলে না, তাই এনার্জি ব্যবহার কমানো এনার্জি নিয়ে ক্রাইসিস এর সমাধান নয়... এইরকম হারাধনের দশটি ছেলের শেষত পড়ে রইল এক... যে এই 'গ্রীন এনার্জি' রা আসলে সমাধান কিনা... এবার আজকের টেকনোলজির যে জায়গায় আমরা তাতে সব সমাধান হয়ে যাবে এরকম বোধহয় কেউই দাবী করেনা... কিন্তু বক্তব্য যদি হয় on principle সেগুলো সমাধান হতে পারে না, তাহলে তার পক্ষে যুক্তি লেখাটায় আদৌ জোরাল হয়নি...

    পরের কমেন্ট এও অনেক জায়গা গোলমেলে, যেমন রেয়ার আর্থ মেটাল তো ল্যান্থানাইড রা... তাদের মাইনিং এর সাথে রেডিওঅ্যাকটিভ জিনিস এর কি সম্পর্ক ঠিক পরিষ্কার হয় নি... আর ওগুলো বানাতে তাপবিদ্যুৎ লাগে টা পুরো বাচ্চাদের মত কথা হল... টারবাইন যেন তৈরি হওয়ার সময় জিগিয়ে নেয় যে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে তা তাপবিদ্যুৎ না জলবিদ্যুৎ না সৌরবিদ্যুত... হ্যাঁ, এগুলো বানাতে বিদ্যুৎ লাগে... বানাতে যা বিদ্যুৎ লাগে সারা জীবনকালে ততটা বিদ্যুতও উৎপাদন করে না এইটা দাবী করতে চাইলে ( করেছেন ই মনে হল ) তাইতে আরও স্পেসিফিক তথ্যসূত্র দরকার... কারণ এইটা বেশ অবিশ্বাস্য দাবী...
    সব মিলিয়ে বেশ বালখিল্য লেখা...
  • PT | 213.110.246.23 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:২১70004
  • Qatar: 12799.4
    USA: 7164.5
    Saudi: 6167.9
    China: 1806.8
    India: 565.6
    https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_energy_consumption_per_capita

    কাতার, সৌদি করে বলে সেটা জাস্টিফায়েড হয় না। কেননা তত্বকথা যা আসার সেটা আমেরিকা থেকেই বেশী আসে। 'Prosperity in countries like India is “good” but it triggers increased demand for “better nutrition” which in turn leads to higher food prices, US President George W Bush said.' মনে আছে?

    রিসার্চ করে জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন বের করতে করতে "কার্বন ৪১৫-৪২০ মাত্রা " ছাড়িয়ে যাবে কিনা কে বলতে পারে?!!
  • মিকটেক্স | 152.4.206.228 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৪৬70005
  • PTর সাথে আবারো একমত। পাব্লিক ট্রান্সপোর্টেশনে জোর দেওয়া উচিত, কার পুলিং বাড়ানো উচিত। বিদুতে চালানো গাড়ীর ব্যবহার এমনিতেও আস্তে আস্তে বাড়ছে। SUVর মতো বড়ো গাড়ীর বদলে ছোট গাড়ী বেশী ব্যবহার করা উচিত, অন্তত শহরের মধ্যে। সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানো উচিত।

    দেবব্রতবাবু বোধায় অতীতে পড়ে থাকতে এতো ভালোবাসেন যে বর্তমানে কি হচ্ছে তা নিয়ে ভাবার খুব একটা সময় পান না। লিথিয়াম ব্যাটারির বদলে ফুয়েল সেল দিয়েও গাড়ী চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে, আর ফুয়েল সেলএর লাইফসাইকল এমিশান এখনকার গাড়ীগুলোর থেকে কম হওয়ার কথা। এখানে পড়ে দেখতে পারেন http://www.c2es.org/technology/factsheet/HydrogenFuelCellVehicles
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৪৯70006
  • হবে হবে, সব হবে। এ সপ্তাহের টাইম ম্যাগাজিনের কভার পেজ হল - "Unlimited Energy. For everyone. Forever. F U S I O N "
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৫৩70007
  • পিটির লিংক দেখলে বোঝা যাচ্ছে যে ডেভলপ্‌ড কান্ট্রি গুলোর এনার্জি কনসাম্পশন বেশি।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:০৬70020
  • আর হ্যাঁ, লেখাটায় কোথাও এইটা অনুবাদ এটা লেখা নেই... তার পরে লেখক যেহেতু অনেকগুলো কমেন্ট ই করেছেন তাই ভুলবশত হয়েছে মনে হচ্ছে না... অথচ তথ্যসূত্রও তেও এই লিঙ্কটা নেই... ( যে তথ্যসূত্রটাও এমনকি এই লিঙ্কটার থেকে অংশত নেওয়া... )... এইটা একটা অত্যন্ত ন্যক্ক্বরজনক প্র্যাকটিস বলে মনে করি.........

    লিঙ্কটা রেখে গেলাম...... বাকিরাও দেখে নিন... বহু জায়গায় বস্তুত ভাষান্তর ছাড়া কিচ্ছু করা হয়নি...

    http://deepgreenresistance.org/no/who-we-are/faqs/green-technology-renewable-energy
  • | 127.194.17.106 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:২১70022
  • sswarnendu, দেবব্রতর এই লেখাটা বস্তুত আপনার লিঙ্ক-এর লেখার ভাষান্তরিত রূপ।
    আশ্চর্য!
    অবশ্য আশ্চর্য না হলেও চলবে। কেননা, এটা এনার্জি ক্রাইসিস সমাধানের একটা বাস্তব উদাহরণ হতে পারে! এনার্জি খরচ করে, গুগলিয়ে, (গাছ-ধ্বংসকারী) বই ব্যবহার করে, নিজের কথা তৈরি করার চাইতে একটা সাইট থেকে কেমন চট করে 'নামিয়ে দেওয়া' গেল হাতে-গরম তত্ত্ব ও তথ্য।
    টুপি খুলছি, দেবব্রতর স্বকীয় চিন্তার অভিনবত্বে।
  • | 127.194.17.106 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:২১70021
  • sswarnendu, দেবব্রতর এই লেখাটা বস্তুত আপনার লিঙ্ক-এর লেখার ভাষান্তরিত রূপ।
    আশ্চর্য!
    অবশ্য আশ্চর্য না হলেও চলবে। কেননা, এটা এনার্জি ক্রাইসিস সমাধানের একটা বাস্তব উদাহরণ হতে পারে! এনার্জি খরচ করে, গুগলিয়ে, (গাছ-ধ্বংসকারী) বই ব্যবহার করে, নিজের কথা তৈরি করার চাইতে একটা সাইট থেকে কেমন চট করে 'নামিয়ে দেওয়া' গেল হাতে-গরম তত্ত্ব ও তথ্য।
    টুপি খুলছি, দেবব্রতর স্বকীয় চিন্তার অভিনবত্বে।
  • | 127.194.17.106 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:২৮70023
  • sswarnendu, তা বলে আপনার "পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী স্পিসিসকে মুছে দেওয়া বায়ুদূষণ কোনটা দাদা? কারা করেছিল দূষণ? আজ্ঞে আজকের প্রাণদায়ী গাছেরা... দূষণটির নাম অক্সিজেন.." -- এসব কথাগুলোকেও বিশেষ সিরিয়াসলি নিতে পারছি না। ওটা কি কমিক রিলিফ-এর জন্য লিখেছেন, নাকি সত্যিই মনে করে মিলিয়ন-মিলিয়ন বছরের ইভোলিউশন-এর সঙ্গে মানবপ্রজাতির করা দূষণকে তুলনা করা সম্ভব?

    "আর গ্লোবাল ওয়ার্মিং , ইন্টারগ্লেসিয়াল এজ ও নতুন কিছু না, বহুবার এসেছে..." আর সেই সময়কার জীবকুল কেমন করে রিপ্লেসড হয়ে গেছে নতুন জীব দিয়ে, সেটাও ভেবে দেখতে পারেন। সাড়ে ষোল ইনচি আরশুলারাই যদি গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর পরবর্তীকালে মানুষের বদলে-আসা জীব হয়, তবে লাভটা কী, মহাশয়?
  • PT | 213.110.246.23 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৩০70008
  • কাতার, সৌদি কি ডেভলপ্ড কান্ট্রি?
    আর ফিউসন নিয়ে কন্ফিউশন বেশ কিছুদিন হল চলছে।
  • ঝিঁঝিঁ | 208.7.62.204 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৪৪70024
  • আরে আমাদের দেবুদা তো দেখি চাম্পি মাল! হাত খুলে হাতসাফাই যাকে বলে! পারিনা কাকা
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৫১70009
  • মিড-ওয়েস্ট না, ওয়েস্ট।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন