এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • পরাশর উপত্যকা

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ০৪ জুলাই ২০২৪ | ১৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আবার সেই সকালে উঠে বিরক্তিকর ট্রেন ধরতে যাওয়া। না হলে সারারাত বাস করে যেতে হত মান্ডি। তুলনায় বন্দে ভারতে চন্ডীগড় গিয়ে সেখান থেকে দুপুর বারোটার সময় চারঘন্টার বাস। যাবে বিলাসপুর, সুন্দরনগর হয়ে মানালির পথে মান্ডি। নতুন তৈরী এই পথে তিনখানা সুড়ঙ্গ। 

    ট্রেনে দু ঘন্টায় চন্ডীগড়ে নেমে একটা ধন্দে পড়া গেল। চন্ডীগড়ে দুখানা আন্তঃ রাজ্য বাস স্ট্যান্ড। কোনটা থেকে হিমাচলের বাস ছাড়ে? নেটে বলছে সেক্টর ৪৩ কিন্তু অনলাইন টিকিট কাটার সময় দেখেছিলাম কিছু কিছু বাসে লেখা আছে শুধু চন্ডীগড় আর কিছুতে লেখা আছে চন্ডীগড় সেক্টর ৪৩। মান্ডির বাসে লেখা ছিল শুধু চন্ডীগড়। হাতে কিছু সময় আছে বলে প্রথমে সেক্টর ১৭র বাস স্ট্যান্ডেই যাওয়া গেল। সেখানে শুধু পাঞ্জাব , রাজস্থান ইত্যাদির বাস ছাড়ে। নিশ্চিত হওয়া গেল হিমাচলের সব বাস সেক্টর ৪৩ থেকেই। কাউন্টারে জিজ্ঞেস করে খারার যাবার জন্য চন্ডীগড় সরকারের পরিবহণ দফতরের একটা স্থানীয় ঠান্ডা বাসে উঠে পড়া , মাঝখানে সেক্টর ৪৩ এর বাস স্টপে নেমে যাব। 
    সমস্ত আন্তঃ রাজ্য বাস স্ট্যান্ডে মোটামুটি একই ছবি। বিড়ি খেতে ব্যস্ত সরকারি বাসের খাকি পোশাকের চালক এবং ধূসর পোশাকের কন্ডাকটররা। নির্বিকার চা জল প্যাকেটজাত খাবার বিক্রেতা। মাঝে মাঝে হিজড়েদের ফটাফট হাততালি। লাল কালো লজেন্স, পাওয়ার ব্যাংক , কান গুঁজির ফেরিওয়ালা। প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক। স্ট্যান্ডের এনকোয়ারি কাউন্টারের কালো মার্বেলের গা থেকে খসে পড়ছে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া মানুষদের সন্ধানের আর্তি। বাচ্চা কোলে অপেক্ষমান অল্পবয়সী মায়েরা। বাস ছাড়ছে , সেসব ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে নতুন নতুন বাস আসছে। বাসে উঠতে দেবার আগে আইডি দেখে টিকিট মেলাচ্ছে কন্ডাক্টর। 
    রূপনগর হয়ে কিরাতপুর সাহিব থেকে ডানদিকে বেঁকার পর প্রথম সুড়ঙ্গ কেঞ্চি মোড়। সুড়ঙ্গের আশেপাশে গাছ আর পাহাড়ের গায়ে এত মোটা ধুলোর আস্তরণ আর এত সাদা গুঁড়ো উড়ছে যে নির্মাণ শ্রমিক এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষদের সিলিকোসিস অবশ্যম্ভাবী ভেবে আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল। বাইরের রাস্তা চার লেনের হলেও সুড়ঙ্গ গুলো দুলেনের। তার মধ্যে প্রতি একশো মিটার বাদে বাদে একটা করে টেলিফোন বুথ ধরনের জিনিস। 
    তুন্নু সুড়ঙ্গ পেরিয়ে নওনিতে ঢোকার পরেই রাস্তা সরু আর পাকদন্ডী। ক্রমে বিলাসপুর , বারমানা হয়ে সুন্দরনগর বাস স্ট্যান্ড। 'সাধারণ' বাস বলে ইতিমধ্যে বারবার লোক নামছে আর উঠছে। দরজার ছোট খিলটা ঠিকঠাক আটকাচ্ছে না , পা দিয়ে দরজা চেপে ধরে বারবার খিলটা দিচ্ছে কন্ডাক্টর। 

    সুন্দরনগর বাস স্ট্যান্ড 
     
    মান্ডি পৌঁছতে আধঘন্টা দেরি। নামিয়ে দিয়ে বাস চলে গেল মানালির দিকে। আগে কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করে জানা গেল পরাশর উপত্যকার জন্য দিনে একটাই বাস , সকাল আটটার সময় ছাড়ে। 
     
    ওই হ্রদে যাবার জন্যই মান্ডিতে আগমন। হ্রদের তীরে ব্যাসদেবের পিতা পরাশর ঋষি ধ্যান করতেন বলে ~ছশো বছর আগে এক মন্দির বানিয়ে দেন মান্ডির রাজা। ঋষির নামেই সমস্ত উপত্যকা , হ্রদ , মন্দিরের নাম হয়ে যায়। 
     

    মান্ডিতে ঢোকার জন্য সুকেতি খারের ওপরের সেতু 
     
    প্রাচীন জনপদ মান্ডি বিয়াস [বিপাশা] আর তার শাখানদী সুকেতি খারের মোহনায়। বাস স্টপে নেমে কিছুটা পিছিয়ে এসে সুকেতি খারের ওপরের সেতু দিয়ে প্রধান মান্ডি শহরে ঢুকতে হয়। এখানকার জমজমাট বাজার , খাবারের দোকান , হোটেল সবই মূলত চারদিকের থেকে নিচু জমিতে এক চারচৌকো পার্ক আর তার ঘড়িওয়ালা মিনারকে ঘিরে। প্রাচীন জায়গা , পাহাড়ি রাজ্যের রাজধানী এইসব হবার জন্য কিছু পুরোনো মন্দিরও আছে সুকেতি খার আর বিপাশার মোহনায়। 
     
    মান্ডি বাজারে বিবিধ এটিএম , ফার্স্ট ক্রাই , চুড়ি  , ফটো ফ্রেম বাঁধাই  , পোষা মাছের দোকান ইত্যাদি পেরিয়ে সরু গলি দিয়ে বিপাশার ওপরের সেতুর দিকে এগিয়ে চলা। 
     

    সরু রাস্তাতেও রাস্তা পেরোনোর জিব্রা ক্রসিং করা ছিল। গলিতেও হরেকরকম দোকান। 
     
    বিপাশার ওপরের সেতু 
     
    গরমকালের বিপাশা। সন্ধ্যে নামছে।  
     বিপাশা পারাপারের জন্য এই পুরোনো সেতুর এক ইতিহাস আছে। দূরে মান্ডির শ্মশানের চুল্লির চিমনি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। 
     
     
    ১৮৭৭ সালে এই ভিক্টরিয়া কেশরী ব্রীজ মান্ডি রাজ্যের বিজাই সেন এক লক্ষ টাকা খরচ করে বানিয়েছিলেন। মূলত যাতে পুরোনো এবং নতুন মান্ডির মাঝে তার মোটর গাড়ি যাতায়াত করতে পারে। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারদের বানানো লন্ডনের ভিক্টরিয়া ব্রিজের নকল। ১৪২ বছর যান চলাচলের পর ২০১৯ সাল থেকে এই পুরোনো সেতু বন্ধ  এখন শুধু মানুষ পারাপার করে। 
     
    পরদিন আটটার সময় টার্মিনাস থেকে স্থানীয় লজঝড়ে বাস , পরাশর নব্বই টাকা ভাড়া। বিপাশা নদীর ওপরের নতুন সেতু পেরিয়েই বাস পরাশর উপত্যকার রাস্তা ধরল। 
     

    দূরে ধওলাধার দেখা যাচ্ছে। মান্ডি থেকে ওপরে উঠে ডানদিকে চলে গেলে যেমন কুলু , মানালি , বাঁদিকে চলে গেলে আবার সেই ধর্মশালা। 
     
    পাহাড়ের ধাপে ধাপে বাঁধাকপি চাষ 
     
    এই রাস্তাতেই কামন্ড বলে একটা জায়গায় আইআইটি মান্ডি পড়ে।
     

    আগে পাহাড়ের গায়ে নদীর ওপারে তার দক্ষিণ ক্যাম্পাস , সেখানে গোল ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইত্যাদি চোখে পড়ল।
     
    দক্ষিণ ক্যাম্পাস মোটামুটি ফাঁকা মনে হল 
     
     
    নদী পেরিয়ে উত্তর ক্যাম্পাস। 
     
    উত্তর ক্যাম্পাসের সামনে থেকে একজন ছেলে আর মেয়ে বাসে উঠল। মেয়েটির চোখের চশমা হরলিক্সের শিশির নিচের মত পুরু। কিছুক্ষণ বাদে শুনি তারা বাংলায় কথা বলছে। 
     
    লোকজন ওঠানো নামানোর চক্করে এই সাধারণ বাসও আধঘন্টা লেটে চলছে। মাঝখানে একজায়গায় থেমে চালক আর কন্ডাক্টর রাজমার ঝোল আর ভাত খেল। বাকিরা চা , ওমলেট এইসব। 
     

    মাঝরাস্তার বিরতি থেকে পাহাড়সমূহ 
     
    সাড়ে তিন ঘন্টা পরে বাস পৌঁছল পরাশরে। ফিরে যাবে আবার একটার সময়। হাতে দেড়ঘন্টা সময়।
     

    ওই দূরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। পাহাড়ের গায়ের ওপরের রাস্তা দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ। গাড়ি যাবার জন্য নীচের রাস্তা। 
     
    ওই পথ গেছে বেঁকে ...
     
    এগিয়ে চলতে চলতে হ্রদের দর্শন
     

    হিমাচলের গ্রামের দিকে বাড়ির ছাদগুলি এরকম টালির। যাতে বৃষ্টি এবং তুষার দুইই ছাদে জমতে না পারে। 
     
    প্যাগোডা ধরনের এই মন্দির গতানুগতিক স্থাপত্য মেনে তৈরী নয়। 
     
    মন্দিরকে ঘিরে কর্তৃপক্ষের কাঠের বাড়ি।  
     

    স্নিগ্ধ হাওয়া 
     
    হ্রদ থেকে ওপরের দিকে হাঁটতে থাকা 
     

    এখানে ঘাসের ওপর শুয়ে আধ ঘন্টা জিরিয়ে নেওয়া। ওই দূরে সাদা মেঘে ঢাকা পীর পাঞ্জাল। হ্রদের মধ্যেকার দ্বীপটি বছরের সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে হ্রদের এদিক থেকে ওদিকে ভেসে চলে যায়। 
     
    হ্রদের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করলাম। আগের পর্যটকদের ছোট ছোট পাথর স্ট্যাক করে বানানো ছড়ানো ছিটোনো মিনার। 
     
    ফেরার সময় বাসস্ট্যান্ডের আগে এক ছোট ছাউনিতে বসে মশলাবিহীন পেঁয়াজ টমেটো কুচোনো ম্যাগি আর চা। ঠাকুর বাউনি বলে এই ছাউনির ছেলে বলছিল তারা শীতকালেও ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। সেসময় পুরো উপত্যকা , হ্রদ ঢেকে যায় বরফে। এই উপত্যকায় পর্যটকদের জন সমাগম বাড়ানো সরকারের লক্ষ্য বলে মনে হল। আপাতত একটিই থাকার জায়গাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে দ্রুত আরেকটা খাজ্জিয়ার হতে চলেছে বলে আশংকা। 
     

    খাবারের ছাউনিতে লাগানো ঝালর 
     
    শহরে ফিরে এসে দেখা গেল খটখটে বিকেলবেলার রোদ। সেটা থেকে বাঁচতে দুটো দরজার ওপারে এক বার কাম রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়া। মান্ডির চকে ভাল খাবারের দোকানের অভাব আছে , কারণ মানালি , শিমলার মত বড় পর্যটন স্থান নয়। সবাই স্থানীয় লোকজন আধা ঝিমনো হলদে লণ্ঠনের আলোয় পানে ব্যস্ত। পাশে দুই দরজার ওপারে অনবরত গাড়ি যাচ্ছে। টিভিতে গোল্ডমাইনসের কোনো এক দক্ষিণী ছবির হিন্দি ডাব চলছে। কারুর সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। 
     
    সন্ধ্যে সাতটার সময় সেখান থেকে বেরিয়ে দেখা গেল রোদের তেজ কমে এসেছে। বয়স্কদের কোলে নাতি নাতনিরা পাড়া বেরিয়ে বাড়ি ফিরছে। 
     

    ডুবে যাওয়া ঘড়ির মিনারের সামনে বসে লেবু চা পান। ঘড়িটা যথারীতি ভুল চলছে। 
     
    মাল খেলে হলুদ আলোর জোনে যেতে নেই 
     
    সময় কাটাতে মান্ডি চকে ঘোরাঘুরি। ফিরতি বাস আরেকটু রাতের দিকে।
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ০৪ জুলাই ২০২৪ | ১৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.56.33.28 | ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৬:৫৯534133
  • বাঃ, ভালো লাগলো পড়তে। ছবিগুলোর মধ্যে হ্রদের ধারে প্যাগোডা ধাঁচের মন্দির আমার খুব পছন্দ হলো। আর খাবার জায়গায় ঝোলানো ড্রীম-ক্যাচারটা। রাতের আলোয় ঘড়িঘর আর ব্রীজও। আইআইটির ক্যাম্পাস দেখে মনে হলো এইরকম পাহাড়ের কোলে কোনো কলেজে পড়তে পেলে কী ভালোই না হতো!
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৭:০১534134
  • কী চমৎকার! লেখা, ছবি সবই। ছাউনিতে লাগানো ঝালরের ছবিটা দেখে মনে পড়ে গেল কিছু কিছু নেটিভ আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ড্রীম ক্যাচার। গোল বলয়ের ভেতর সুতোর জালি নকশা আর প্রান্ত থেকে ঝোলানো পালক দিয়ে বানানো। দেখতেও অনেকটা এরকমই। জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস অনুযায়ী, এগুলো ঘুমের সময় বাচ্চার বিছানার উপরে উপরে ঝুলিয়ে রাখলে দুঃস্বপ্নকে আটকে দেয় আর সুস্বপ্নকে বাচ্চার মনে আসতে দেয়। এইভাবে মনকে রক্ষা করে।
    হ্রদের জলে ভেসে চলা দ্বীপটা, ওটা কি জলজ শ্যাওলা, পানা, দাম, এইসবজাতীয় উদ্ভিদ যুগের পর যুগ জমে জমে ঘন হয়ে তৈরী?
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৭:০৭534135
  • আরে কেকেও লিখেছেন! আমি কিন্তু আগে দেখিনি, তখন কমেন্ট লিখছিলাম। ঃ-)
    @কেকে, সাইমাল্টেনিয়াস হয়ে গেল প্রায়। মনে হয় এন্ট্যাংগলেমেন্ট ব্যাপারটা ম্যাক্রোস্কোপিক জগতেও কোনোদিন হয়ে যাবে, নেহাৎই ক্ষুদ্র কোয়ান্টাম জগতেই আটকে থাকবে না। ঃ-)
    আগেও এরকম সাইমাল্টেনিয়াস ব্যাপার এই সাইটেই হয়েছে। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৭:০৯534136
  • আগেরটায় বানান দৈখৈ হয়ে গেল। এন্ট্যাঙ্গলমেন্ট। ঃ-)
  • পাপাঙ্গুল | ০৪ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৭534149
  • কেকে, &/ - স্বপ্নজালের বিষয়ে জেনে খুব ভাল লাগল। 
    দ্বীপটা এমনি পাড়ের আলগা মাটি জমে তৈরী। ওপরে ঘাস গজিয়ে গেছে। পাহাড়ি জায়গার হ্রদে কচুরীপানা হয় না। এরকম একটা ছোট দ্বীপ খাজ্জিয়ারেও দেখেছিলাম। 
  • | ০৪ জুলাই ২০২৪ ২১:৫২534164
  • মান্ডিটা আইয়াইটির চক্করে ক্রমশ কমার্শিয়াল হয়ে যাচ্ছে। আইয়াইটির প্রফেসার বা অন্য কর্মীরা...  তাদের অনেকেরই অ্যাসপিরেশান নিশ্চয় মোটামুটি শহর হোক। তো তাই হচ্ছে। 
    লেক আর ভাসমান দ্বীপ দেখে লোকতাক লেকের কথা মনে হল।  কবে যে যেতে পারব! ঝামেলা থামার লক্ষণই নেই। 
    সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খুঁড়ে আর বাঁধ বানিয়ে বানিয়ে হিমালয়টাকে শেষ করে দিচ্ছে একেবারে। sad
     
    এরকম ঘোরাঘুরি বড় ভাল লাগে। ছবি কখানাও দিব্বি। 
  • পাপাঙ্গুল | ০৫ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৪534197
  • @দ দি , না না মান্ডি থেকে আইআইটি দেড়ঘন্টা দূর। জায়গাটা খুব কমার্শিয়ালও নয়। কিন্তু হাজার বছর পুরোনো জনপদ বলেই ঘিঞ্জি মনে হল। 
     
    লোকতাকের ব্যাপারটা ভুলেই গেছিলাম। ওখানেও এরকম ভাসমান দ্বীপ আছে , ঠিক। 
  • পাপাঙ্গুল | ০৫ জুলাই ২০২৪ ১২:১৯534198
  • তবে লোকতাক অনেক নীচুতে এগুলোর তুলনায় , ঠিক পাহাড়ের ওপরে নয় 
  • | ০৫ জুলাই ২০২৪ ১২:৪২534202
  • হ্যাঁ লোকতাক তো সমভূমিতেই। ওই ভাসমান দ্বীপের জন্য মনে হল। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন