এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  খেলা

  • চন্দ্রা নাইডু : ক্রিকেট কমেন্ট্রি বক্সের প্রথম ভারতীয় মহিলা 

    সুচেতনা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | খেলা | ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ১৭৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ১৯৭৭ সাল। সকাল সকাল ইন্দোরের মহারানী ঊষারাজে ট্রাস্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ড( অধুনা হোলকার স্টেডিয়াম)-এ ইন্ডিয়া ট্যুরে আসা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব( এম.সি.সি) আর বম্বে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে ক্রিকেট ম্যাচ। রেডিওয় খেলার ধারাবিবরনী শোনার জন্য শত ব্যস্ততার মধ্যেও কান পেয়েছেন শহরের জনতা। কিন্তু এ কী! চেনা সব পুরুষ কন্ঠের পাশাপাশি খেলার প্রতিটি বল- প্রতিটি ব্যাটিং স্ট্রোক আর ফিল্ডিংয়ের প্রতিটি মুভমেন্টের ধারাভাষ্য দিচ্ছেন এক মহিলা  কন্ঠ! শ্রোতারা অবাক হয়ে জানলেন কখনও হিন্দি আর কখনও বা চোস্ত ইংরেজিতে  খেলার এমন অনায়াস ধারাবিবরণী দিয়ে চলা এই মহিলা ধারাভাষ্যকারের নাম চন্দ্রা নাইডু। ভারতের প্রথমতম টেস্ট ক্যাপ্টেন তথা কিংবদন্তি ক্রিকেটার সি.কে নাইডুর কন্যা তিনি। অল ইন্ডিয়া রেডিওর হয়ে দেশের প্রথমতম মহিলা ক্রিকেট কমেন্টেটরের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি । 
    …………….

    ১৯২২ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক ক্রিকেট ম্যাচগুলিতে ধারাভাষ্যের ধারনা গড়ে উঠেছিল। শুরুর বছর তিনেক শুধু বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি আর ক্রিকেটারদের আউট হয়ে যাওয়ার লাইভ বিবরণই রেডিওতে দেওয়া হতো। তবে ১৯২৫ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার “বল টু বল” লাইভ কমেন্ট্রি’র যুগ শুরু হয়। এদিকে ১৯২৭ থেকে ইংল্যান্ডেও বি.বি.সি রেডিওর উদ্যোগে ক্রিকেটের লাইভ কমেন্ট্রি শুরু হয়েছিল। বলাই বাহুল্য কমেন্ট্রির প্রথম দশকে কেবল পুরুষদের ম্যাচের জন্য পুরুষরাই রেডিও কমেন্ট্রি করতেন। কিন্তু ছবিটা একটু বদলাল ১৯৩৫ সালে। জেন্টলম্যান্স গেমের ইতিহাসে প্রথমতম মহিলা ধারাভাষ্যকার হিসেবে ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় মহিলা হকি খেলোয়াড় মার্গরি পোলার্ড ১৯৩৫ সালে বি.বি.সি রেডিওর হয়ে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ টিমের মধ্যে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট ম্যাচটির কমেন্ট্রি করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি বি.বি.সি’র নিয়মিত একজন কমেন্টেটর হয়ে ওঠেন। মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসেও প্রথম মহিলা ধারাভাষ্যকার ছিলেন তিনিই। ১৯৩৭-এ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ম্যাচটিতে বি.বি.সি’র হয়ে লাইভ কমেন্ট্রি করেছিলেন মার্গরি পোলার্ড। 

    তবে বলাই বাহুল্য সেকালের বেশিরভাগ পুরুষ কমেন্টেটরই কমেন্ট্রি বক্সে মহিলাদের পাশে বসে ধারাভাষ্যের কাজ করতে স্বচ্ছন্দবোধ করতেন না। ঠিক একইরকমভাবে মহিলাদের ক্রিকেটজ্ঞান আর লাইভ কমেন্ট্রি দেওয়ার দক্ষতা আর যোগ্যতা নিয়ে বিন্দুমাত্র আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না ১৯৫০-১৯৬০ এর দশকে নিয়মিতভাবে উঁচুমানের  ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলির মহিলা ক্রিকেটের প্রশাসক আর রেডিও ও টিভি চ্যানেলের হর্তাকর্তারা। ফলে সেই কোন ১৯৩৫ বা তার পরের সময় একক মহিলা কমেন্টেটর হিসেবে মার্গরি পোলার্ড-এর নিয়মিত কমেন্ট্রি করে চলার পর দীর্ঘ চারখান দশকে আর একজন মহিলাকেও কিন্তু কমেন্ট্রি বক্সে বসে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যায়নি। 
    ………………….

    পথিকৃৎ মার্গরি পোলার্ড থেকে এবার না হয় আবার ফেরা যাক আরেক পথিকৃৎ চন্দ্রা নাইডুর কথায়! সি.কে নাইডুর তিনকন্যার মধ্যে কনিষ্ঠতমা চন্দ্রা ১৯৫০-৬০ এর দশকে নিয়মিতভাবে স্থানীয় ক্লাব, কলেজ আর রাজ্যস্তরে ক্রিকেট খেলতেন। শার্ট ট্রাউসার নয় বরং সাদা সালোয়ার কামিজ পরিহিতা চন্দ্রাকে প্রায়ই ইন্দোরের মহারানী ঊষারাজে ট্রাস্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ড-এ নানা ম্যাচ খেলতে দেখা যেত। দলের প্রয়োজনে যে কোনো দায়িত্ব নিলেও চন্দ্রা নিজে বোলিংয়ের তুলনায় ব্যাট করতে বেশি পছন্দ করতেন। তিনি কিছুদিন উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেনও ছিলেন। 

    তবে সে আমলে পুরো সময়ের কেরিয়ার আর উপার্জনের একমাত্র পথ হিসেবে ক্রিকেটকে বেছে নেওয়ার উপায় না থাকায় বেশিরভাগ মেয়েই একটা সময়ের পর ভালোবাসার ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে বাধ্য হতেন। ইংরেজি সাহিত্যের এই মেধাবী ছাত্রীটিকেও তাই ক্রিকেট খেলা বন্ধ করে কলেজের চাকরি নিতে হয়েছিল। শহরের এক নামি সরকারি গার্লস কলেজে অধ্যাপিকা হিসেবে যোগ দেন চন্দ্রা নাইডু। কিন্তু ক্রিকেট যে ছিল তাঁর রক্তে! ফলে নিজের প্রিয়তম খেলাটি থেকে পুরোপুরিভাবে সরে যাওয়ার কথা তিনি কখনও ভাবেননি। উপরন্তু ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো এক অনন্য অবদান রেখে, সেই কৃতিত্বের মধ্য দিয়ে তাঁর কিংবদন্তি বাবা সি.কে নাইডু’কে সম্মান জানানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য এবার সত্যিই এক অভিনব পথ বেছে নিলেন ইংরেজির অধ্যাপিকা। 

    ১৯৭০ এর দশকে রঞ্জি ট্রফি সমেত জাতীয় থেকে স্থানীয় স্তরের মহিলা ক্রিকেট ম্যাচগুলিতে নিয়মিতভাবে কমেন্ট্রি করা শুরু করলেন তিনি। একদিকে তিনি যেমন ইংরেজি আর হিন্দি দুটি ভাষাতেই একেবারে সহজ অথচ আকর্ষণীয়ভাবে শ্রোতাদের কাছে ম্যাচের লাইভ কমেন্ট্রি দিতেন, তেমনই অল ইন্ডিয়া রেডিওর তরফে বিভিন্ন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও ম্যাচ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন। ডায়না এডুলজি জানিয়েছেন ১৯৭০এর দশকের শুরুতে ইন্দোরে একটি টুর্নামেন্ট খেলার সময় সেই ম্যাচের একমাত্র মহিলা কমেন্টেটর চন্দ্রা নাইডুর সঙ্গে তাঁদের আলাপ হয়। সেদিনের সেই কথোপকথনে তাঁরা চন্দ্রা নাইডুর ক্রিকেট জ্ঞানের ব্যাপ্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলেন।

    তবে কমেন্টেটর হিসেবে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল খেলার শুরুতেই লেখা ১৯৭৭ সালের সেই বম্বে দল বনাম এম.সি.সি টিমের মধ্যেকার সেই ম্যাচটি দিয়ে। অর্থাৎ ৭০এর দশকের চন্দ্রা নাইডু ছিলেন ৩০এর দশকের মার্গরি পোলার্ড-এর প্রথম উত্তরসূরী এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দ্বিতীয় মহিলা কমেন্টেটর। ১৯৮০’র ফেব্রুয়ারি মাসে বি.সি.সি.আই-এর স্বর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম ভারতের একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে এসেছিল। বম্বের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই টেস্টে অল ইন্ডিয়া রেডিওর অভিজ্ঞ কমেন্টেটর দলের একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন চন্দ্রা নাইডু। তবে বড়ো আশ্চর্যের ব্যাপার যে, বিলেতে মেমসাহেবদের নিয়মিত ক্রিকেট খেলার দু’শো বছর পার হয়ে গেলেও, ইংল্যান্ডে পেশাদারী মহিলা ক্রিকেটের পার হয়ে গেলেও, ১৯৭৩ সালে মেয়েদের ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ শুরু হয়ে গেলেও আর সেই ওয়ার্ল্ড কাপে ইংল্যান্ড একবার চ্যাম্পিয়ন আর একবার রানার্স আপ হয়ে গেলেও ১৯৮০ পর্যন্ত কমেন্ট্রি বক্সের কাজে মহিলাদের পারঙ্গমতাকে স্বীকার করতে মোটে রাজি ছিলেন না বিলেত মুল্লুকের রক্ষণশীল সাহেবরা। ফলে ইন্ডিয়ায় এসে বিলিতি কমেন্টেরের দল কমেন্ট্রি বক্সে বসা এক মহিলাকে( তায় আবার কিনা ভারতীয়!) তুখড় ইংরেজিতে যখন টেস্ট ম্যাচের বল টু বল ধারাভাষ্য দিতে দেখেছিলেন, তখন  স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বেজায় চমকে গেছিলেন। 

    এই টেস্ট ম্যাচটির অব্যবহিত পরেই চন্দ্রা নাইডু অল ইন্ডিয়া রেডিওর নিয়মিত কমেন্টেটরের কাজ থেকে বিদায় নেন। তবে বাকি গোটা জীবন জুড়ে তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। তা সে নিজের মায়ের নামে একটি আন্তঃ-কলেজ ও আন্তঃ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করা হোক বা মধ্যপ্রদেশের উঠতি মহিলা ক্রিকেটারদের প্রতিনিয়ত নানারকম সাহায্য, পরামর্শ আর উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলা। কিংবদন্তি সি.কে নাইডুর কন্যা,  দেশের প্রথমতম মহিলা ক্রিকেট কমেন্টেটর তথা রাজ্যের মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের কারনে তিনি মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন-এর আজীবন সদস্যপদ লাভ করেছিলেন। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডে আয়োজিত ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট আর ওয়ান ডে সিরিজের বিশেষ অথিতি হিসেবে চন্দ্রা নাইডু ইংল্যান্ডে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন এবং লর্ডস ক্রিকেট মিউজিয়ামকে তাঁর বাবা সি.কে নাইডু যে বিখ্যাত ব্যাট দিয়ে লর্ডসের মাঠে সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটি উপহার দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি তাঁর বাবা কিংবদন্তি ক্রিকেটার তথা এক বর্ণময় চরিত্র সি.কে নাইডু বিষয়ে ১৯৯৫ সালে ‘সি.কে নাইডু: আ ডটার রিমেম্বার্স’ শিরোনামে একটি স্মৃতিকথাও লিখেছিলেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা তথা পৃথিবীর দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেট কমেন্টেটর তথা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের আন্তরিক শুভানুধ্যায়ী চন্দ্রা নাইডু ২০২১ এর ৪ এপ্রিল বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তাঁর ইন্দোরের বাড়িতে ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন।
    অন্যতম তিনটি তথ্যসূত্র : 
    ১) Chandra Nayudu interviewed by David Rayvern Allen : লর্ডস.অর্গ- এর ক্রিকেট আর্কাইভ
    ২) India’s first female commentator Chandra Nayudu passes away aged 88 : বৈষ্ণবী আইয়ার - ফিমেল ক্রিকেট. কম
    ৩)Girls aloud Or how the IPL is redefining television commentary : সারদা উগ্র - ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম
    তথ্য ও ছবি সংক্রান্ত বিশেষ কৃতজ্ঞতা : মহিলা ক্রিকেট বিষয়ক গবেষক অঙ্কিত বর্মা

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ১৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:4103:f902:164c:3929 | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ২২:৪৩536842
  • এটা পড়তে খুব ভালো লাগলো। মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে, তাও পুরনো দিনের, খুবই কম লেখা পড়েছি। সি কে নাইডুর নাম তো কতো শুনেছি, অথচ চন্দ্রা নাইডুর ব্যাপারে এই প্রথম শুনলাম। লেখিকাকে ধন্যবাদ এরকম একটা লেখার জন্য। 
  • | ২৬ আগস্ট ২০২৪ ১৮:১৮536876
  • আপনার অন্য্ লেখাগুলোর মতই এটাও খুবই ভাল লাগল।  
  • স্বাতী রায় | ৩০ আগস্ট ২০২৪ ২২:৪৭537025
  • এই লেখাটা মিস করেছিলাম। ভাল লাগল। 
  • ar | 71.174.70.185 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৪537067
  • লেখাটা ভাল লাগল। পড়তে পড়তে দুজন ক্রিকেটারের কথা মনে হল। ডায়না এদুলজী আর শান্তা রঙ্গস্বামী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন