এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চিত্ত যেথা ভয় পূর্ণ নত যেথা শির! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯৮০ বার পঠিত
  • আমি যাই লিখে না কেন মনে মনে একটা আশা, মনের গহিনে একটা ক্ষীণ আশা থাকেই যে এগুলা কিচ্ছু হবে না, নিশ্চয়ই সামনে দারুণ কিছু হবে। ডক্টর ইউনুস নোবেল জেতা একজন মানুষ, তাও শান্তিতে নোবেলে পাওয়া মানুষ। তিনি দেশের ক্ষতি হবে এমন কিছু নিশ্চয়ই হতে দিবেন না। যদি বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌ বাহিনীর ঘাটি শেষ পর্যন্ত হয়ই তাহলে আমাদের কতখানি লাভ আর কতখানি ক্ষতি হবে এইটা নিশ্চয়ই তিনি ভাববেন, ভেবেই সিদ্ধান্ত নিবেন। আমরা ছোট রাষ্ট্র, আমেরিকার সাথে পারব কেন? যদি নিজের লাভ বুঝে আমেরিকাকে এই অঞ্চলে জায়গা দেওয়া হয় তাহলে দিবে, সমস্যা নাই তো। বিচার বুদ্ধি, দুনিয়া জুড়ে উদাহরণ গুলো একটাও এই মতের পক্ষে না। যারাই জায়গা দিয়েছে তারাই সকাল বিকাল আকাশ ভরা তারা দেখছে, এইটা সত্য। জানি "মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম—তোমারি কি এমন ভাগ্য, বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম! তবুও তাও আশা করি যে আমাদের সব ভালো হবে, আমরা ঠিক টিকে যাব। কিন্তু হায়! আমি ভাবি এক আর রাষ্ট্র পরিচালনার কারিগরেরা ভাবে আরেক রকম। 

    হুট করেই বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যা আমাকে ধাক্কা দিয়ে দিবাস্বপ্ন থেকে জেগে তুলেছে। সব ঠিক হবে, সব দেশের জন্য ভালো হবে বলে যে অলৌকিক স্বপ্ন দেখছি আমি তাতে এমন বড় ধাক্কা লেগেছে যে নিজের বিচার বুদ্ধির উপরেই বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। কেন আমি এমন ভাবতে পারলাম! 

    আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা নাহিদ পাকিস্তানের হাই কমিশনারের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন  তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৭১ এর ‘প্রশ্নটির’ সমাধান করতে চান।' খুব ভালো কথা। এবার বিডি নিউজ থেকে কোট করছি, - "নাহিদ ইসলাম বলেন, “ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার প্রয়োজন৷" “মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবেও পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের গভীর বন্ধন রয়েছে। যদিও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বাংলাদেশকে বিশেষত্ব দিয়েছে।”
    পাকিস্তানের সাথে ভাষা সংস্কৃতি দুইটাই আলাদা আমাদের। তাহলে ইন্দো মুসলিম সভ্যাতার অংশ হিসেবে আর কিসের সম্পর্ক থাকল আমাদের? ধর্ম ছাড়া আর কিছু? না! পরিস্থিতিটা বুঝাতে কি আমি সক্ষম হচ্ছি? 
    জামাতের মূল লক্ষ সব সময়ই ৪৭ সালের স্বাধীনতা! তারা ৪৭ এ ফিরে যেতে চায়। এই যে পরিস্থিতি এইটাকে কী দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? একজনের কোন ধারণাই নাই স্বাধীনতা বিষয়টা কোন মাপের বিষয়, সে ৭১ সালের কী ঘটেছে তার মীমাংসা চায় পাকিস্তানের সাথে! 

    এর যে প্রতিবাদ হবে তা হয় নাই। কেউ করে নাই, মানে এই সরকারের পছন্দের জনগণ, নেতাকর্মী, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী সাহিত্যিক, কেউ না। গণকে আমার কোনদিনই পছন্দ না। গড্ডালিকা অর্থ হচ্ছে ভেড়া। গণ হচ্ছে ভেড়ার পালের মতো। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় নানা অন্যায় হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে, চোখ বন্ধ করে সমর্থন দিয়ে গেছে। এখন ঠিক একই কাজ করবে এই মহান গণ! চিন্তা করবে না। এর ফলাফল ভাববে না। এরা যদি পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করতে দেখে তবুও বলবে বাহ! এই তো চাই! এই না হলে নতুন দিনের নতুন নেতৃত্ব! সমস্ত পুরাতন ভেদাভেদ ভুলে নতুন এক আগামীর স্বপ্ন দেখা শুরু করবে এই ভেড়ার পাল! আমি এক ফোঁটা বিশ্বাস করি নাই এই গণ মানুষকে। 

    পাকিস্তান খুশিতে আত্মহারা! হাই কমিশনার সুযোগ বুঝে বিচার দিয়েছে যে এত বছর তারা খুব অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদেরকে ভিসা নিয়ে নানা সময় নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। তারা সব সময়ই সম্পর্কের উন্নতি চায়। কিন্তু আওয়ামীলীগ খারাপ, তাই সম্পর্ক সব সময় খারাপ হয়েই ছিল! তিনি এই সময় জানান যে বাংলাদেশিদের পাকিস্তান যেতে কোন ভিসার দরকার হবে না, পাসপোর্ট নিবেন আর চলে যাবেন পাকিস্তান! পাক সার জমিন সাদ বাদ! 

    পাকিস্তানের ভিসা মুক্ত ভ্রমণ কেন আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ তা বুঝতে হলে একটু পিছনে যেতে হবে। ব্দুর রহমান, মুফতি হান্নান, মুফতি হারুন ইজহার এই নাম গুলো পরিচিত লাগে? যদি না চিনে থাকেন তাহলে আমিই বলে দিচ্ছি, এরা হচ্ছে দেশের শীর্ষ জঙ্গি। এরা প্রত্যেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তান গিয়েছে। গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছে, ওইখানে তালেবানের হয়ে যুদ্ধ করেছে। দেশে ফিরে দেশকে আফগানিস্তান বানানোর মিশন নিয়েছে। এই কাজ গুলো পাকিস্তানের সমর্থন ছাড়া, সাহায্য ছাড়া কোনদিনই সম্ভব হত না। আমরা কেন মাথা চুলকাই পাকিস্তানের প্রেম দেখে, এখন বুঝা গেছে? এই নাম গুলো রীতিমত আতঙ্ক ছিল এক সময় এই দেশে। আবার এমন এক দিনের দিকেই দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। 

    আমি অতি কল্পনা করছি মনে হচ্ছে? আমি শুরুতেই লিখেছি বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে যা আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে। আমি এত আতঙ্কিত সম্ভবত আর কোনদিনই হই নাই। দ্বিতীয় কারবারটা শুনেন এবার। গত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার বিষয় হচ্ছে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। আয়োজক হচ্ছে ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ এরা কে আল্লাই জানে, নাম শুনি নাই  কোনদিন। নাম না শুনলেও কাজ শুনেই চিনে ফেলা যায় এরা কারা। কারণ এই আলোচনা সভায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে সামান্যই। আলোচনা চলেছে ‘ইসলামি খেলাফত’ প্রতিষ্ঠা নিয়ে! খেলাফত নিয়ে মাতামাতি করে কে? হিজবুত তাহরীর। বুঝেন এবার! 

    হিজবুত তাহরীর বহু আগে থেকেই এই দেশে খেলাফতের জন্য আন্দোলন করে আসছে। ২০১০ সালে তারা একটা খেলাফত রাষ্ট্রের খসড়া সংবিধান তৈরি করে। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে এই জিনিস পড়ার সুযোগ হয়েছে আমার। যে ভয়ংকর পরিকল্পনা তারা করেছে তাতে আওয়ামীলীগ সরকারকে দুইবার ভাবতে হয়নি তাদের নিষিদ্ধ করতে। কিন্তু এই নিষিদ্ধ সংগঠন এখন মিটিং করছে, খেলাফতের রাস্তা নিয়ে আলোচনা করছে। আর পাকিস্তান ভিসা মুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে!  আমার দুই চোখে অন্ধাকার দেখা জায়েজ আছে? 

    আমরা ছোটবেলায় এই সব কাণ্ড দেখছি। আমাদের ছোট শহর শেরপুরে মিছিল হত, আমরা সব তালেবান দেশ বানাব আফগান! তখন অত বুঝতাম না। আশ্চর্য হতাম, দেশকে আরও কত উন্নত দেশ আছে তা না বানাইতে চায়া আফগানিস্তান কেন বানাইতে চায়! বুঝি নাই গুঢ় রহস্য। এখন বুঝি, জানি যে কেন দেশকে আফগানিস্তান বানাইতে চায় একটা শক্তি! নানা কৌশলে এই অপশক্তিটাকে চেপে রেখেছিল আওয়ামীলীগ সরকার। এখন সবাই স্বাধীন! জেলের কুখ্যাত আসামিও স্বাধীন, জঙ্গিও স্বাধীন, সবাই স্বাধীন! 

    আওয়ামীলীগ সরকার নানা ভুল করেছে। সঠিক যা করেছে তার মধ্যেও ভুল ছিল। এই তরিকার ভুল গুলোর মধ্যে বড় ভুল হচ্ছে দেশে যে জঙ্গি আছে, তারা যে তৎপর এই সত্যটাকে জনগণকে পরিষ্কার করে বুঝাইতে পারে নাই। তারা এমন সব কাজ করেছে সবাই ভাবছে নাটক করছে। এইটাকে একদম পানির মতো পরিষ্কার করে বুঝানো উচিত ছিল। দেশে জঙ্গি তৎপরতা আছে এইটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ছিল। ভাবত এইটা বোধহয় সরকারের চাল একটা বিরোধীদলকে চাপে রাখার। এক শিবির কর্মীর লেখা পড়লাম, তিনি নিজেও দেশে কোন জঙ্গি নাই, সব ভাঁওতাবাজি ধরেই ছিলেন। নিজে জেলে গেলে এক ছেলের সাথে দেখা, রিগ্যান নামের ওই ছেলেকে কল্যাণপুর থেকে ধরেছে পুলিশ। সে দেখে রিগ্যান খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে আসছে। তো সে সান্ত্বনা সুলভ কথাবার্তার জন্য এগিয়ে গেছে, গিয়া বলছে, আহা, তোমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এইভাবে পঙ্গু করে দিল! ও উত্তরে বলল যে না সে আসলেই দায়েশ করে। এই কথা শুনে ওর চমকে উঠার পালা! দায়েশ অর্থ হচ্ছে দাওলাত আল-ইসলামিয়াহ ফাআল-ইরাক ওয়া আল-শাম যার আরেক নাম হচ্ছে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ বা আইএসআইএস বা আইসিস! এই শিবির কর্মী আরও লিখেছে যে এরপরে আরও কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে ওর, তারাও কেউই অস্বীকার করেনি যে তারা জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত! শুধু এই ছেলে না, আমার কত পরিচিত মানুষ সব আওয়ামীলীগের বানানো নাটক বলছে। শিবিরকেই তো স্বীকার করে নাই অনেকে। বলছে হু, দেশে শিবির আছে না? নাহ! নাইরে ভাই! সব বানানো নাটক। এখন এরা কই থেকে আসছে? কবর থেকে উঠে আসছে? 
    শিবিরের নানা নেতাকর্মীর পোস্ট এখন সামনে আসছে। তারা কীভাবে, কোন কৌশলে আন্দোলনের সময় সরকারকে ধোঁকা দিয়েছে, কী কোড নেম ব্যবহার করেছে। কোন কবিতার লাইনের কী অর্থ ছিল ইত্যাদি! অথচ ভেড়ার পাল এখনও বিপুল বিক্রমে দেশে শিবির নাই, জঙ্গি নাই বলে যাচ্ছে। 

    ভারত বিদ্বেষ এখনও চরম তুঙ্গে। বলা হচ্ছে যারা ভারত বিরোধিতা না করবে তারা দেশপ্রেমিক না! কোন বিকল্প নাই! বুঝেন এখন! সেতু উপদেষ্টা পদ্মা সেতুর টাকা বাঁচিয়ে কত বড় কাজ করছে এই কৃতিত্ব নেওয়ার পরে গতকাল বলছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ জনগণের কোন উপকার হয় নাই! এই বিষয়টাও বুঝতে হবে আপনাদের। পদ্মা সেতুতে রেললাইন হলে কেন জনগণের উপকার হবে না? পশ্চিম, দক্ষিণ বঙ্গের ওই অংশ পুরোটা রেলের আওতায় এসে যাচ্ছে, এইটা ভালো না? না! কেন? কারণ বহুদিন ধরেই একটা গুজব বাতাসে ঘুরছে এই রেল লাইন বানানোই হচ্ছে ভারতের ট্রেন যেন সোজা কলকাতা থেকে ঢাকা আসতে পারে এই জন্য! দেশের উপর দিয়ে রেল করিডর দেওয়ার কথা এই জন্যই এই পদ্মা সেতুতে রেলের ব্যবস্থা, অনেকে আরও একটু এগিয়ে বলে পদ্মা সেতু বানানোর জন্য সরকারের যে এত প্রবল ইচ্ছা ছিল তা এই কারণেই, ভারতকে দেশের ভিতর দিয়ে রেল করিডর দেওয়া! খুলনা, যশোর, বরিশাল জেলার মানুষকে কেউ জিজ্ঞাস করে না কেন এই সেতু কেন বানাইছে? জীবনে দুই একবার যে ওইদিকে গেছি, তাতেই গলা ছেড়ে কান্না আসছে যে কেন সেতু নাই! ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে এই অঞ্চলের মানুষ। আমি অবাক হয়ে গেছি এই কারবার দেখে! যাদের সুযোগ থাকে তারা লঞ্চে যাতায়াত করত তখন। কিন্তু সবার তো সেই সুযোগ ছিল না। যশোর, খুলনা, বাগেরহাট এরা কই যাবে কী দিয়া যাবে? না, সেতু বানাইছেই ভারতের জন্য! ওই যে বিলো অ্যাভারেজ আইকিউ! এই কথার পরে এখন উপদেষ্টার বুদ্ধিও মাপতে পারেন আপনারা, কোন সমস্যা নাই! 

    একই সাথে তুঙ্গে আছে হিন্দু বিদ্বেষ। আমাদের শেরপুরেই একটা পুজা মণ্ডপ ভেঙ্গে দিয়েছে কেউ! সদরে না, পাশের উপজেলায়। রাতের আধারে কেউ এই কাজ করে চলে গেছে। সামনে দুর্গা পূজা এইটা যেন মনে করায় দিল এই ভাঙ্গাভাঙ্গি। হিন্দু বিদ্বেষ শুধু এখানেই শেষ না। একটা স্কুলের শিক্ষকদের তালিকা অনলাইনে ঘুরছে খুব। সবাই হিন্দু আর সবাই আত্মীয়! আশ্চর্য হওয়ার মতো না? আমি বুঝতে চাইলাম কাহিনী কী? স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটা বিবৃতি দিয়েছে। তিনি বলছেন এইটা সত্য যে এখানের সবাই আত্মীয়। কিন্তু এরাই সব না, মুসলিম শিক্ষকও আছে যাদের নাম দেওয়া হয় নাই ওই তালিকায়। আর এতজন হিন্দু আত্মীয় স্বজন এক স্কুলে কী করছে? তিনি বলছেন এই স্কুলের কোন শিক্ষকই ছিল না। এরা সবাই শিক্ষিত, এরা এতদিন বিনা বেতনে এই স্কুলে পড়িয়েছে। এখন যখন স্কুল এমপিও ভুক্ত হয়েছে তখন সবার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে! এঁরা যে এতদিন বেনা বেতনে পড়াল তার কোন স্বীকৃতি নাই বরং তাদেরকে প্রশ্নের সামনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে! বুঝেন এখন! ওই শুলের জমিও তাঁদেরই দেওয়া তবুও এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে কেন তারা এতগুলো হিন্দু শিক্ষক এক স্কুলে! বলা হচ্ছে দেখেন আওয়ামীলীগের চক্রান্ত! আচ্ছা, এইটা চক্রান্ত হবে কেন? দুর্নীতির কথা বলতে পারত কিন্তু চক্রান্ত? এইটাই হচ্ছে সত্য! চক্রান্ত। দেশকে হিন্দুদের, ভারতকে বিক্রির চক্রান্ত! মুখের কথায় ট্যাক্স নাই, বলে দিলেই হল! যারা সমানে সাত বোন খেয়ে দিবে মুরগির গলা দিয়ে তাদেরকে একজন দেখলাম একটা ভালো জবাব দিয়েছে, ভারত থেকেই কেউ হয়ত। তিনি উল্টা দেখিয়েছেন আমাদের চট্টগ্রামের সাথে যে চিকেন নেক সেই অংশ!ত্রিপুরা থেকে মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার নিয়ে নিলেই এদিকের পুরো অংশ ভারতের হয়ে যাবে! এইটা কোন কথা! এইভাবে কেউ বলে! 

    কুমিল্লার দিকে আওয়ামীলীগের এক নেতাকে মেরে ফেলছে সীমান্ত পার হওয়ার সময়। দালালেরাই মেরে ফেলছে বলে ধারণা করছে সবাই। বিএসএফ লাশ ফেরত দিয়েছে। পরিবার থেকে বলা হচ্ছে তার কাছে ছিল দুই কোটি ডলার! ধারনা করছে এই টাকার খোঁজ পাওয়াতেই তাকে মেরে টাকা নিয়ে ভেগেছে দালাল চক্র। এত টাকা! লোভ সামলানো একটু কঠিনই। শেরপুরের এক নেতার গল্প শুনলাম। পালানো শুরু হতেই তাকে তার নেতা বলছে তুমি যদি আমাদের সাথে যেতে চাও তাহলে যেভাবে বলব সেভাবে যেখানে যখন বলব সেখানে চলে আসবা। কীভাবে যেতে হবে? এক কাপড়ে বের হতে হবে, সাথে কম দামি একটা মোবাইল থাকবে, পকেটে স্রেফ দুইশ টাকা থাকবে! রাত আটটায় নালিতাবাড়ির এক স্কুলের সামনে থাকতে বলেছিল। তিনি না পালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যাওয়া হয় নাই। দশ বারো লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে বাড়িঘর, দোকান বাঁচিয়েছেন! সিনেমাময় জীবন না জীবনময় সিনেমা? 

    এত অসহায় লাগে নাই কোনদিন। রোমানিয়া থেকে চলে আসার সময় নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু আধটু চিন্তা হয়েছে। তারপরেও একবারের জন্যও ভাবি নাই ভুল করছি। সরকার পতনের পরে একটু আতঙ্কে থেকেছি, আছি। কিন্তু তবুও মনে হয় নাই আমি দেশে ফিরে ভুল করেছি কোন। জামাতের জন্য ভয় পাচ্ছি এইটা সত্য। সর্তক আছি এইটাও সত্য। তবুও মনে হয় নাই যে দেশে কেন আসলাম। কিন্তু খোদার কসম, এই দুইদিনের কার্যকলাপ আমাকে বারবার ভাবতে বাধ্য করছে যে পায়ের জন্য চলে আসছি সেই পা কেটে ফেলে দিয়ে হলেও দেশের বাহিরেই থাকা উচিত ছিল আমার। সামনে যেদিকে এগুচ্ছে দেশ সেই দেশে অন্তত আমার কোন স্থান নাই এইটা আমি নিশ্চিত হয়ে গেছি। এমন দম বন্ধ লাগে নাই কোনদিন। আমার কাছে মনে হচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। এ কেমন অনুভূতি? কেউ আমার নামে কোন অভিযোগ করে নাই, কারও সাথে আমার কোন তর্ক হয় নাই। শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমাদের বন্ধু মানুষ। এক সাথে এক ক্লাবে খেলছি। ওর সাথে আমার স্মরণীয় জুটিও আছে ব্যাটিঙে। ওর সাথে বসে সেদিন অনেকক্ষণ আলাপও করলাম। ও নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ। যার কারণে এত বছরে আওয়ামীলীগও ওর কোন ক্ষতি করে নাই। টুকটাক করে ঠিকাদারি করে চলেছে। এরা কোনদিন আমার কোন ক্ষতি করবে না এইটা আমার বিশ্বাস আছে। এমন আরও অনেকেই আছে, কিছু জানতে হলে, কোন বইয়ের খোঁজের জন্য সবার আগে খোঁজ করে আমার। 
     
    তবুও, একাবারের জন্যও কেন আমি স্বস্তি পাচ্ছি না? কেন মনে হচ্ছে গলায় পা দিয়ে চাপ দিচ্ছে কেউ আমাকে? আমি অতিরিক্ত করছি? হিজবুত তাহরীরের খেলাফত সংবিধানের লিংক দিচ্ছি, নিজেরাই একটু পড়ে দেখুন কেন একজন সুস্থ মানুষ ভয় পাবে এই জিনিস পড়ে। কেন হিজবুত তাহরীরের নাম শুনলেই কলিজা কেঁপে উঠে আমাদের। আমি লিখে বুঝাতে পারলাম কি না জানি না। পাকিস্তানের সাথে নাহিদের আলাপসালাপ আমাকে রীতিমত অসুস্থ করে দিয়েছে! আমি জানতাম এমনই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু যখন হতে যাচ্ছে তখন কেঁপে উঠতে হচ্ছে শুধু। অলৌকিকে বিশ্বাস নাই, তাই হুট করেই সব ঠিক হয়ে যাবে এমন আশা করার কোন কারণ দেখি না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে যে কয়দিন বেঁচে আছি সে কয়দিন বেঁচে থাকতে হবে, এই আর কী! চিত্ত যেথা ভয় পূর্ণ নত যেথা শির, এই হল বেঁচে থাকার সূত্র! সাহস দেখানো যাবে না আর মাথা উঁচু করা যাবে না। এই করতে পারলেই টিকে যাওয়া যাবে হয়ত। 
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩০537326
  • @ayanesh,                                                                          হ্যাঁ , হিউম্যানিটেরিয়ান গ্রাউন্ডে দেখতে গেলে অবশ্যই l সেই ভাবে দেখতে গেলে উপমহাদেশের পোস্ট কলোনিয়াল হিস্ট্রি তে জেনোসাইড শুধু বাংলাদেশেই নয় আরো অনেক জায়গাতেই হয়েছে l যেমন ১৯৪৭ ৪৮ সালে জোম্মু বা হায়দরাবাদ বা ১৯৮৪ সালে শিখ জেনোসাইড l সব কটি ক্ষেত্রেই শাসক গোষ্ঠি দায়ভার এড়াতে পারেনা l
  • &/ | 107.77.237.227 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৪৮537327
  • ঘুরিয়ে বক দেখায় এই গুরু নিক 
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:০১537328
  • বাইরের শক্তি, ভেতরের শক্তি - রাষ্ট্রব্যবস্থা মানেই বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি থাকবে। কিন্তু তাতে ঐ লেভেলের (বা যেকোন) জেনোসাইডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যেকোন সুস্থ ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন এন্টিটির দায়িত্ব।
    আর ঐ জেনোসাইডের প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগী ভারত রাষ্ট্রও বটে।
    একটা দেশ উস্কানীর জবাব দিতে গিয়ে জেনোসাইড করে দিল, সেটাকে কোন কিছু দিয়েই জাস্টিফাই করা যায় না, আর তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য ভিক্টিমের পয়েন্ট কালেক্ট করার প্রয়োজন হওয়া উচিত না, এমনিতেই সবার করা উচিত।

    আর সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে পাকিস্তান বাংলাদেশের পরিস্থিতির বড় তফাত আছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এই দুটি এখন আলাদা দেশ।
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:০৫537330
  • @&/,                                                 জেনোসাইডের ক্ষেত্রে সংখ্যা আসবে কেন ? তিরিশ লক্ষ্য হওয়া জেনোসাইড তিরিশ হাজার হলে কেন জেনোসাইড নয় ? নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা বা  গৃহহীন করা তো চরম অন্যায় সে যেই করুক না কেন ! জেনোসাইড জিনিসটাই তো খারাপ তা তিরিশ লক্ষ্য কি তিরিশ হাজার যাই হোক না কেন !!! 
  • &/ | 107.77.237.227 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:২১537331
  • কী আপদ কী আপদ !!!!  ঘর থেকে তুলে নিয়ে নিরস্ত্র নিরপরাধ  শিক্ষক অধ্যাপকদের খুন করেছিল ওরা , খুন।  তাদের সঙ্গে রিকনসিলিয়েশণ ??? 
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৩০537332
  • @r2h, "বাইরের শক্তি, ভেতরের শক্তি - রাষ্ট্রব্যবস্থা মানেই বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি থাকবে। কিন্তু তাতে ঐ লেভেলের (বা যেকোন) জেনোসাইডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যেকোন সুস্থ ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন এন্টিটির দায়িত্ব।" আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত আমি এই ব্যাপারে l জেনোসাইড কখনোই কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় l কিন্তু বাংলাদেশের জেনোসাইডের ব্যাপারে স্বীকৃতি তো আপনাকে আদায় করতে হবে পাকিস্তানের কাছ  থেকেই l তার জন্যে পাকিস্তানের মনোস্তত্ত্বও জানতে হবে l ১৯৭১ সাল শুধু বাংলাদেশ নয় পাকিস্তানের কাছেও চরম হতাশা ও লজ্জার বিষয় l পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম একটি দেশ দ্বিখণ্ডিত হলো বহিঃশত্রুর দ্বারা l সেই সময়ে পাকিস্তান কোনো ধনী দেশ ছিলোনা l কাজেই অর্ধেক দেশ হারানো এরকম traumatic ভাবে এটা পাকিস্তানের কাছেও চরম দুঃখের ও নিদারুন অপমানের ব্যাপার l এটা পাকিস্তানের কাছে অস্তিত্বের সংকট একরকম l স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধী নিজে পার্লামেন্টে বলেছিলেন , "আমরা দ্বিজাতী তত্ত্বকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলেছি l" কাজেই জেনোসাইডের এই স্বীকৃতির জন্যে আপনাকে পাকিস্তানের সঙ্গে বসতেই হবে l এবং একবার নয় বারবার l উপদেষ্টা নাহিদ হয়তো সেটাই করবার কথা বলছেন l এই ব্যাপারে আবেগী হয়ে চরমপন্থা দেখানোটা কাজে দেবেনা l দেখুন হাসিনা তো ১৫ বছর ক্ষমতাতে ছিলেন , উনি এতো বিক্রম দেখিয়েও তো পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করতে পারেননি l তাহলে চরমপন্থা না দেখিয়ে আলাপ আলোচনা চালানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি ? আর আরেকটা ব্যাপার দেখুন , এটি পাকিস্তান বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বিষয় এখানে ভারত থাকলে অযথা জটিলতা হবে l
  • &/ | 107.77.237.227 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৩৫537333
  • স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের মধ্যে পাকিস্তান আসছে কোথা থেকে ?  এখনও কি বাংলাদেশ  ওদের  কলোনি নাকি ?
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৩৮537334
  • @&/,                                                                             রিকন্সিলিয়েশন পাকিস্তানের জন্য শুধু নয় বাংলাদেশের জন্যও প্রয়োজন l আমি বহুবার বলেছি , ১৯৭১ সালের ঘটনা বাংলাদেশকে পুরোপুরি মেরুকরণ করে ফেলেছে , বাইরের শক্তি তার সুযোগ নিচ্ছে l সেই জন্যই রিকন্সিলিয়েশন দরকার ! আর কোনো বিকল্প আছে কি ?
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৪২537335
  • @&/,                                                                            রিকন্সিলিয়েশন বাংলাদেশের জন্যই দরকার বেশি করে যাতে ১৯৭১ সালের ঘটনা ওখানে আরো মেরুকরণ না করে l আর বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র না ভারতের কলোনি না পাকিস্তানের l
  • &/ | 107.77.237.227 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:১০537336
  • মেরুকরণের প্রশ্ন আসে কেন ? স্বাধীনতা সেটা ।একটা দেশের স্বাধীনতা, ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে . সত্যটা বুঝুন 
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:১৪537337
  • @&/,                                                                মেরুকরণ যে হয়েছিলো বা হয়ে চলেছে এটা কিংবদন্তির লেখা থেকেই স্পষ্ট l কেন এই  মেরুকরণে তা বুঝতে অনেক কথা আমাকে বলতে দিতে হবে l গুরুর এই স্বল্প পরিসরে সেটি সম্ভব নয় l শুধু এটুকু বলতে pari যে এই মেরুকরণের জন্যই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ হয়েছে হচ্ছে এবং আরো হয়তো হবে l জেনোসাইড এর ফলে যারা সবকিছু হারিয়েছেন বা তাদের বংশধরেরা তাদেরও এর ফলে ক্ষতি অনেক l 
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৯537351
  • @কিংবদন্তি ,                                                                            অনেক ধন্যবাদ এখন লিংকটা খুলছে l আমি লেখাটা পড়লাম l একটা ব্যাপার দেখলাম , লেখক ভারতে ১৯৭১ সালে শরণার্থী শিবিরে মৃতদের সংখ্যা ১০ ১২ লক্ষ ধরে তিরিশ লক্ষ্য মৃতের সংখ্যা ধরেছেন l কিন্তু এইজন্য বর্তমানের পাকিস্তানকে দায়ী করলে তো ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষে ১০ ১৫ লক্ষ্য মৃতদের জন্যে তো বঙ্গবন্ধু আর ইন্দিরা গান্ধী দায়ী হবেন গণহত্যার জন্যে l কি বলেন ভাই ?
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫১537352
  • @কিংবদন্তি ,                                                                            তিরিশ লক্ষ্য আর তিরিশ হাজার সংখ্যাটা বড় নয় , মূল কথা হচ্ছে যে নিরীহ নিরস্ত্র একজন মানুষকেও হত্যা বা গৃহহীন করা নিন্দনীয় এবং চরম পাশবিকতা l ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু জিতেছিলেন এবং ইয়াহিয়া ও ভুট্টু তা মেনে না নিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন l এটা চরম নিন্দনীয় l অপারেশন সার্চলাইট একটা চরম নিন্দনীয় কাজ এবং এর ফলে যতজন নিহত হয়েছে সেটা পুরোটাই ঘৃণার যোগ্য এবং পাকিস্তানেও এখন মোটামুটি সবাই এটাই মেনে নিয়েছে l কাজেই এটাই ট্রুথ ও রিকন্সিলিয়েশন এর সময় l সমন্বয়ক নাহিদ এটাই মনে হয় বলতে চেয়েছেন l আপনার এতে আপত্তি কেন বুঝলাম না l
  • কিংবদন্তি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৫537359
  • না এবং না। গণহত্যার সংজ্ঞাটা এমন না। যা ইচ্ছা তাই বলে দিলেই হল না। আন্তর্জাতিক ভাবেই গণহত্যার একটা সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। মানুষ মরলেই গণহত্যা বলা যাবে না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা কেন গণহত্যা এইটা নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে, চলবে, স্বীকৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে। 
    না, পাকিস্তানের সবাই এটা মেনে নেয়নি। যে গুটি কয়েক লোক এইটা মানে তারা আগেও মানছে, এখনও মানছে। অন্য কেউ না। মানে নাই তার বড় প্রমাণ উপরে লেখছি, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়ে গেছে! উচিত শিক্ষা হয়েছে পাকিস্তান ভাঙার! এদের সাথে রিকন্সিলিয়েশন! 
    আচ্ছা, একটু বলুন তো রিকন্সিলিয়েশন করার প্রথম পদক্ষেপ কাকে নিতে হবে? এইটা কী আমাদের কাজ? আপনি এগুলা যদি কোন পাকিস্তানিকে, লেখকে বুদ্ধিজীবীকে বলতে পারেন তো বলেন। কারণ এইটার জন্য তাদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে। এইটা আমাদের কাজ না। তাদের মাফ চাইতে হবে, তারা বলবে যে তারা ভুল করেছে। তারা তাদের অফিসাররা যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তার বিচার করবে, তারা আমাদের যে পাওনা তা মিটায় দিবে। তারা তাদের ইতিহাস বইয়ে সঠিক ইতিহাস লিখবে। তাদের প্রজন্মকে জানাবে যে ৭১ সালে আসলে কী হয়েছিল। এগুলা করার পরে না হাত বাড়াতে পারে আমাদের দিকে রিকন্সিলিয়েশনের জন্য। তারা এখনও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হলে ফুর্তি করবে আর আমরা গলাগলি করে বলব আসেন 'রিকন্সিলিয়েশন' করি! 
    যেটা অন্যায় সেটা অন্যায়। আমি করি আর যে করুক। জার্মানিতে দেখেন, তারা অস্বীকার করে না যে তারা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। ওইটা স্বীকার করেই এগিয়ে গেছে ওরা। ভুল করেছে তা মেনে আর এইটা করা যাবে না এইটা ঠিক করে এগিয়ে গেছে। আমি রোমানিয়ায় দেখছি স্পষ্ট করে লিখে রাখছে যে এখানে রোমানিয়ানরাই গণহত্যা চালিয়েছিল ইহুদিদের উপরে, রোমাইদের উপরে। ভুল কে স্বীকার করতে দ্বিধা করে নাই। তারা নিজেদের পাঠ্য বইয়ে লিখে রাখে নাই আমাদেরকে ষড়যন্ত্র করে এমন কাজ করতে বাধ্য করছে। পাকিস্তানের পাঠ্য বইয়ে লেখা আছে আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে ভারত এসে ষড়যন্ত্র করে আলাদা করেছে। 
    পাকিস্তান এখন পর্যন্ত নিজেদের নাগরিকদেরকে সত্য জানাতে পারে নাই। একজনের লেখায় পড়ছি সে ধরেই নিছে এখানের সবাই উর্দুতে কথা বলে! কেন এমন ধারণা? আমরা না আগে এক ছিলাম, আমাদের ভাষা আলাদা ছিল? তারা এইটাও জানে না আমাদের ভাষা আলাদা ছিল, ভাষা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ করে মানুষ তাদের প্রতি ঘৃণা নিয়ে বেঁচে আছে! 
     
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১537360
  • আপনি যা চান হবে , আস্তে আস্তে হবে , সময় লাগবে l পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট কদিন আগেই ৪৫ বছর আগের ভুট্টোর ফাঁসির সিদ্ধান্তকে অন্যায় বলে রায় দিয়েছে l আপনি দেখুন , যদি শেখ হাসিনার আর তার মন্ত্রীদের ছাত্রদের উপরে গুলি চালানোর জন্যে শাস্তি হয় তাহলেই অনেকটাই কাজ হবে l সেক্ষেত্রে , বাংলাদেশ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে l বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্বীকারোক্তি পেতেও তখন  সুবিধা হবে l তবে , রোমানিয়া আর জার্মানির সঙ্গে প্লিজ পাকিস্তানের মতো গরিব পিছিয়ে পড়া  দেশের তুলনা করবেননা l অন্ততঃ আরো ৪-৫ দশক লাগবে এখনো l আপনি কি ওয়েট করতে পারবেন ভাই ?//
  • কিংবদন্তি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:০৩537362
  • ভাই, আপনের তর্কের মাথা মুণ্ডু হারায় যায়। এখানে শেখ হাসিনার বিচারের কী সম্পর্ক? আওয়ামীলীগকে ওরা দোষ দিচ্ছে, আপনেও দিচ্ছেন পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক খারাপ রাখার জন্য। আরে আওয়ামীলীগ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সাড়ে তেইশ বা চব্বিশ বছর ক্ষমতায় ছিল, বাকি সময় কী করছে? যাদের সময় মধুর সম্পর্ক ছিল তাদের সময় কী করছে? 
    আমাদের এমন কোন দায় নাই যে আমাদের অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবে। এইটা তাদের দায়, তারা যদি কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে তাদেরকেই কাজ গুলা করতে হবে। আমাদের হাতে কিছুই নাই। 
    শুনেন, আপনি নিজে পড়ে দেখতেছেন যে আপনি কী লিখছেন? আমারা গণহত্যার শিকার, আমাদেরই এখন উদ্যোগ নিতে হবে গণহত্যাকারিদের সাথে রিকন্সিলিয়েশনের জন্য! কেন? কই ঠেকছি আমরা? কোন মধু নিয়ে বসে আছে পাকিস্তান? আওয়ামীলীগ সরকারের এই পতন না হলে এই ধাপেই হয়ত নাকে খত দিয়ে মাফ চাওয়াইত। শেখ হাসিনার ম্যালা দোষ, কিন্তু এই মহিলাই পারত এইটা করাইতে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি দিছে, রাজাকারদের এক একটা করে লটকাইছে। এইটাও হইত, সময়ের অপেক্ষা ছিল শুধু। আর  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোন স্বীকৃতির জন্য পাকিস্তান দরকার আমাদের? গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য পাকিস্তানের দরকার নাই আমাদের। 
     
    রোমানিয়া, জার্মানি যখন এগুলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন তারা উন্নত দেশ ছিল না। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে তাদেরকে উন্নত হতে হয় নাই। তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেই বলে উন্নত হতে পারছে। যদিও কই জার্মানি আর কই রোমানিয়া, তবুও আপনার কথার সুরেই বললাম এইটা। 
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৪537363
    • কিংবদন্তি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:০৩
    • ...আমাদের এমন কোন দায় নাই যে আমাদের অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবে। এইটা তাদের দায়, তারা যদি কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে তাদেরকেই কাজ গুলা করতে হবে। ...
      শুনেন, আপনি নিজে পড়ে দেখতেছেন যে আপনি কী লিখছেন? আমারা গণহত্যার শিকার, আমাদেরই এখন উদ্যোগ নিতে হবে গণহত্যাকারিদের সাথে রিকন্সিলিয়েশনের জন্য! কেন? কই ঠেকছি আমরা? কোন মধু নিয়ে বসে আছে পাকিস্তান? 
     
    একেবারে একমত। একটি গণহত্যাকারী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে হাসিমুখে বলতে হবে তোমরা একটু স্বীকার করে নাও তারপর আমরা বন্ধু হয়ে যাই, আর যে দেশ লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিল, সামরিক সাহায্য দিল, সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত প্রধানমন্ত্রীর সন্তানকে ও সামরিক হস্তক্ষেপে অপসারিত প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক অ্যাসাইলাম দিল, সে বাধ্যতামূলক ভাবে চুপচাপ বসে থাকবে, মানে পাকিস্তানের সঙ্গে এত বন্ধুত্বভিক্ষার দায়টা কোথায়?
     
     
    • Guru  | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৩০
    • ...কিন্তু বাংলাদেশের জেনোসাইডের ব্যাপারে স্বীকৃতি তো আপনাকে আদায় করতে হবে পাকিস্তানের কাছ  থেকেই l তার জন্যে পাকিস্তানের মনোস্তত্ত্বও জানতে হবে l ১৯৭১ সাল শুধু বাংলাদেশ নয় পাকিস্তানের কাছেও চরম হতাশা ও লজ্জার বিষয় l পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম একটি দেশ দ্বিখণ্ডিত হলো বহিঃশত্রুর দ্বারা l সেই সময়ে পাকিস্তান কোনো ধনী দেশ ছিলোনা l কাজেই অর্ধেক দেশ হারানো এরকম traumatic ভাবে এটা পাকিস্তানের কাছেও চরম দুঃখের ও নিদারুন অপমানের ব্যাপার l এটা পাকিস্তানের কাছে অস্তিত্বের সংকট একরকম l
      ...এটি পাকিস্তান বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বিষয় এখানে ভারত থাকলে অযথা জটিলতা হবে l
     
    গণহত্যা একটি নন নিগোশিয়েবল জিরো টলারেন্স অপরাধ। নাজিদের মনস্তত্ব বুঝে তাদের সঙ্গে মধুর সুরে রিকনসিলিয়েশন উত্তর বন্ধুত্ব প্রার্থনা... 
    এরকম সম্ভাবনা আমার কাছে অন্তত ভয়াবহ বলে মনে হয়।
    অযথা জটিলতা আবার কী। ওরা গণহত্যা করেছে, পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানে অকল্পনীয় বিভৎসতা করেছে। সেই 'জটিলতা'র জট খোলার দায় একান্তই অপরাধীদের।
  • Guru | 110.224.21.208 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৮537364
  • ভাই , শাহজাদ গিয়াস পাকিস্তান এক্সপেরিয়েন্স নামে একটা youtube পডকাস্ট করে আপনি ওখানে লিখতে পারেন আপনার বক্তব্য l এ আপনার কথাই বলে l টেক্সটবুক পাল্টাবার কথাও বলে l অনেক লোক শোনে l আপনে যা চাইছেন , তার জন্যে ওইটা ভালো ফোরাম l 
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪০537365
    • Guru  | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৯
    • ...লেখক ভারতে ১৯৭১ সালে শরণার্থী শিবিরে মৃতদের সংখ্যা ১০ ১২ লক্ষ ধরে তিরিশ লক্ষ্য মৃতের সংখ্যা ধরেছেন l কিন্তু এইজন্য বর্তমানের পাকিস্তানকে দায়ী করলে...
     
    পাকিস্তানের উর্দুভাষী পশ্চিম অংশের উৎপীড়নে পূবের লক্ষ লক্ষ বাংলাভাষী মানুষ দেশ ছাড়া হয়েছে। এতে বর্তমান অবশিষ্ট পাকিস্তানের দায়টা ঠিক কী করে অপ্রত্যক্ষ হল? ঐসব মানুষদের শরণার্থী শিবিরে পৌঁছনোর জন্য কে দায়ী তাহলে?

    ইনফ্যাক্ট এ একটা অতি অনর্থক কথোপকথন হচ্ছে।
    এসব পড়ার মানে নেই।
  • Guru | 110.224.21.208 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৬537366
  • এই পডকাস্টে কিংবদন্তির কথাই বলা হয়েছে l
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫২537367
  • আপনার একান্ত ইউটিউব নির্ভর মতামত, পূর্বাভাস, বিশ্লেষণগুলি একটু গোলমেলে। অন্য কিছু সোর্স ধরুন বরং।

    আর গুরুর পরিসরে আপনার মতামত আঁটবে না বলেন মাঝে মাঝে দেখি। গুরুর পরিসর নিতান্ত মন্দ বড় না। একটা মৌলিক লেখা আলাদা করে শুরু করতেই পারেন, চাইলে আর লেখার থাকলে।
     
    (এমনিতে ইউটিউব কিছু খারাপ জিনিস না, জনমত প্রভাবিত করার জন্য ভালো। বেশ কিছু নানা বয়সী পাকিস্তানি ইউটিউবার খুব সেন্সিবল কথাবার্তা বলেন, টেকস্ট বইয়ে '৭১এর ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে বলতে শুনেছি।)
  • Guru | 110.224.21.208 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৫537369
  • @r2h, কিংবদন্তী,                                                             আপনারা যা বলছেন সবই ঠিক l হয়তো সত্যি এটা অনর্থক ফালতু আলোচনাই হচ্ছে l কিন্তু বাস্তব দুনিয়াতে সবকিছুই স্বার্থের ভিত্তিতে চলে l এটাই সত্য l তাই তুর্কি আর্মেনীয় গণহত্যা কবুল করেনা , আম্রিকা নেটিভ আম্রিকি গণহত্যা মানেনা , জম্মুর বা শিখ গণহত্যা কেউ মানেনা এদেশে l তবে , পাকিস্তানের থেকে হয়তো একসেপটান্স realization আসবে l হয়তো আশা করতে দোষ কি !!! আমি হয়তো অনেক ফালতু বকেছি , এবার রণে ভঙ্গ দিচ্ছি পরাজয় স্বীকার করে l
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০০537371
  • জয় পরাজয়ের ব্যাপার নেই- হতেই পারে পাকিস্তান কোনদিনই স্বীকার করবে না।

    কিন্তু অপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা করার জন্য ভিকটিম পাঁচরকম শর্ত মানবে - এটা সম্মানজনক পথ না।
    তাও এতে বড় কোন স্বার্থ আছে মনে করলে একরকম। পাকিস্তান নিজের দেশ সামলাতেই জেরবার। জামাত বিএনপির শক্ত অবস্থানের দেশে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে ধর্মীয় মৌলবাদ ও মিলিটারিজমের বাড়বাড়ন্ত ছাড়া আর কী অর্জন করার থাকতে পারে সেটা বড় প্রশ্ন।
  • Guru | 110.224.21.208 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০২537372
  • @r2h,                                                                              নিজের এই নিকের নাম নিয়ে লিখতে পারলে লিখতে পারি l আসল নাম নিয়ে লেখার ভয় আছে l তবে কিংবদন্তির মতো দরদ নিয়ে শক্তিশালী লেখা লিখতে আরো সময় লাগবে l আরো পড়াশোনা প্রয়োজন আমার l জিয়োপলিটিক্স নিয়ে অনেক বই জোগাড় করেছি , করছি l youtube নিয়েও আপনার বক্তব্য যুক্তি আছে l কিন্তু আমাদের মতো মানুষের অপশনস কি ? 
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৩537374
  • নাহ r2h এর লাস্ট পয়েন্টটা মোক্ষম l 
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:২৮537376
  • এই নিকেই লিখুন না, বা যে কোন নিকে।
    আপনার সঙ্গে সর্বদাই দ্বিমত হই, কিন্তু আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গীর আদান প্রদান স্বাস্থ্যকর জিনিস।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:১৯537386
  • গুরু নিক নিয়েই লিখুন। আপনার এইসব চমকপ্রদ মতামতসমৃদ্ধ টই এলে খুবই ভালো হয়। ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী খুবই ভালো জিনিস। বলা যায় না হয়ত কিছু দরকারি জিনিসও পাওয়া যেতে পারে। লিখুন আপনি, হাত খুলে লিখুন।
  • | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২৪537427
  • কি ফালতু কথাবার্তা।  বাংলাদেশে জেনোসাইড ঘটিয়েছে এইটে পাকিস্তান স্বীকার করা না করায় পার্থক্য কিছু হয় না। ঘটিয়েছে এটা ফ্যাক্ট। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জেনোসাইডের স্বীকৃতি প্রয়োজন। সেটা এখনো সেভাবে আসে নি। তার মধ্যে।এই জামাতি বাড়াবাড়িতে সেটা আরোই।দূরে সরবে।
     
    একটি জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা, ধর্ষণ, উদ্বাস্তুকরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, সম্পদ লুট, সংস্কৃতি ধ্বংসের মত অপরাধগুলোর সমষ্টি হচ্ছে জেনোসাইড। রাফায়েল লেমকিন ১৯৪৪ সালে জেনোসাইডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেন। বাংলায় অনেক সময়ই জেনোসাইডকে ভুলভাবে অনুবাদ করে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আসলে গণহত্যা হল জেনোসাইডের অন্তর্গত অনেকগুলো অপরাধের একটি মাত্র।  ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাঙালি অর্থাৎ বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে জেনোসাইড ঘটায়। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন