এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • নানা দেশের উপকথা

    Tim
    বইপত্তর | ২০ জুন ২০০৭ | ৮৮২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 71.67.115.14 | ২৩ জুন ২০০৭ ১১:৪৯389473
  • রেড ইন্ডিয়ানদের নিয়ে অনেক কথা হল। এবার আরেকটা বইএর কথা বলি। স্টিভেন গেল পশ্চিম আফ্রিকার প্রায় পনেরোটি দেশের লোককথা সংগ্রহ করে একটি বই লেখেন। নাম west african folktales। এই বইএর গল্পগুলি বেশির ভাগই নীতিকথামূলক। লেখকের ভাষায়,
    " " ক্রমবর্ধমান লোভ, অহংকার, অবিশ্বাস আর প্রতিহিংসার উপখ্যান""।

    -------লাইবেরিয়ান উপকথা-----------

    পোর নদীর উপত্যকায় এক ছোট্ট গ্রামে থাকত এক চাষি। বউ আর দুই ছেলে নিয়ে তার সুখের সংসার। সূর্যের খরতাপে নদীর জল যখন গরম হয়ে উঠত, দুই কৃষকপুত্র তখন তাদের ক্যানোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত জলে। আবার কখনো তারা একাও চলে যেত নৌকো বেয়ে।
    ভাইদের মধ্যে যে ছোট, সে ছিল ভারি ডানপিটে। বেশির ভাগ দিনই সে দূরের দ্বীপগুলোতে চলে যেত।
    এরকমই একদিন সে পৌঁছে গেল এক অজানা দ্বীপে। সেখানে খালি পাথর আর পাথর। আর সেই পাথরগুলোর মধ্যে একটা পাথর একটু অন্যরকম দেখে সেদিকে এগিয়ে গেল সে। গিয়ে সে কি দেখল? দেখল একটা চিরুনী। সূর্যের আলো পড়ে সেটার গায়ের রংবেরং এর পাথরগুলো দারুন ঝকমক করছিল।
    ছেলেটি চট করে চিরুনীটা নিয়ে বাড়ির পথ ধরল। এবং বলাই বাহুল্য, গোটা ব্যাপারটা সে গোপন রাখল।
    সেদিন রাত্রে ছোটভাই স্বপ্নে এক পরমাসুন্দরী দেবীর দেখা পেল। দেবী বললেন তিনি চুল আঁচড়ানোর সময় ভুল করে চিরুনীটা হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেটা যেন তাঁকে ফেরৎ দেওয়া হয়। বিনিময়ে ছোটভাই যা চাইবে তাই পাবে।
    কিছুক্ষন সাতপাঁচ ভেবে ছেলেটি তাঁকে চিরুনিটা দিয়ে বলল, "" আমার বিশেষ কিছু চাইনা। যা আপনার ইচ্ছে তাই দিন।""
    দেবী তাকে এই বর দিলেন যে, সে একদিন গ্রামের প্রধান হবে।
    দেবীর কথা মিথ্যে হল না। কিছুদিনেই সেই ছেলে মহাপন্ডিত হল। শুধু সেই গ্রাম নয় আরো আশেপাশের গ্রামের লোকেরাও তাকে দলপতি বলে মেনে নিল। আর তার ফলে গরিব চাষির অবস্থাও ফিরে গেল।

    এখন, এই গোটা ঘটনায় মাত্র একজনই খুসি হয়নি। সে হল চাষির বড়ছেলে। হিংসের জ্বালায় আর থাকতে না পেরে সে এক গুনিনের কাছে গিয়ে জানতে চাইল ছোটভাইএর সফল হবার কারন।
    গুনিন তাকে চিরুনীর কথা, দেবীর কথা সব বলল।
    "" তোমার কথা মিথ্যে হলে গর্দান নেবো"" এই বলে শাসিয়ে বড়ভাই তড়িঘড়ি ছুটল সেই দ্বীপে। যথারীতি সেও চিরুনী পেল।
    সেদিন সে সবার আগে ঘুমোতে গেল। কিন্তু দেবী এলেন না। এমনি করে কয়েকদিন কাটল। শেষে একদিন বড়ভাই বুঝল যে দেবী কোনদিনই আসবেন না। সে ঠিক করল জে পরের দিন ছোটভাইকে খুন করে জ্বালা জুড়োবে।
    সেদিন রাতেই স্বপ্নে সেই পরমাসুন্দরী দেবী এসে ঘুমের মধ্যেই বড়ভাইকে মেরে চিরুনীটা ফিরিয়ে নিলেন।
    ---------------------
  • tan | 131.95.121.132 | ২৮ জুন ২০০৭ ০৩:২৬389474
  • নতুন উপকথা কোথা গেলো?
  • Tim | 71.67.115.14 | ২৮ জুন ২০০৭ ০৪:৪৭389475
  • বই কুড়িয়ে আনলুম। বারবিয়ানার বারবেল ভাঁজাও শেষ। এবার আবার উপকথা।
  • Tim | 71.67.115.14 | ২৮ জুন ২০০৭ ০৯:৫৪389476
  • (জিম্বাবোয়ের জুলু উপজাতির মধ্যে প্রচলিত গল্প)

    হায়নার সময় বেজায় খারাপ যাচ্ছিল। খাবারের বড়ই অভাব তার। বেশ কিছুদিন ধরেই সে অনাহারে। হতাশ হয়ে বসে সে ভাবার চেষ্টা করছিল শেষ কবে পেট ভরে খেয়েছে। কিন্তু খিদের জ্বালায় কিছুই মনে পড়ছিল না।
    কাছের রাস্তা দিয়েই খোসমেজাজে এক শেয়াল যাচ্ছিল। শেয়ালের কখনো খাবারের অভাব হত না। তো ..এমন করে চুপচাপ হায়নাকে বসে থাকতে দেখে সে এগিয়ে এসে জিগ্যেস করল, "" কিহে খুড়ো! মনামরা যে? ব্যাপারটা কি?""
    হায়না তার দুরবস্থার কথা বলল। সব শুনে শেয়াল বলল, " ওহ! এইকথা? আমি এমন একটা জায়গা জানি যেখানে প্রচুর খাবার মজুত আছে। তোমাকে দেখাতেও পারি সেই জায়গা।""
    হায়না তো কৃতজ্ঞতায় প্রায় কেঁদেই ফেলে আরকি! কোনক্রমে সে শুধু জানাল তার বেশি খাবারের দরকার নেই। আপাতত শুধু প্রাণটা বাঁচলেই চলবে।
    শেয়ালের কথামত হায়না তার সাথে চলল। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর ওরা একটা গ্রামের কাছে এসে পৌঁছল। ঐ গ্রামের লোকেরা তাদের ভেড়া আর ছাগল রাখার জন্য একটা উঁচু বেড়াওয়ালা খামার বানিয়েছিল। সেই বেড়ার কাছে এসে শেয়াল চুপিচুপি হায়নাকে বলল, "" এই বেড়ায় একটা ছোট্ট ফুটো আছে। সেখান দিয়ে আমরা ঢুকব।""
    সত্যি-ই বেড়াটায় একটা ছোট ফুটো ছিল। সেখান দিয়ে দুই বন্ধুতে তো ঢুকে পড়ল খামারে। ঢুকেই হায়নার চোখ কপালে উঠে গেল। যেদিকে দুচোখ যায় শুধু ভেড়া আর ছাগল। শেয়াল বলল, "" ছাগলগুলোকে ছেড়ে দাও। ওরা চেঁচিয়ে সব্বার ঘুম ভাঙ্গাবে। ভেড়া দিয়েই কাজ চালাতে হবে""।
    সেরকম-ই হল। ওরা দুজনে মিলে দুটো ভেড়াকে তাড়া করে একপাশে নিয়ে গিয়ে মারল। শেয়াল নিজে ছোটটা নিয়ে বড়টা হায়নাকে দিল। হায়না তো আপ্লুত। কিন্তু তার তখন এসব ভাবার সময় ছিল না। চোখের নিমেষে ভেড়াটা নি:শেষ হল। শেয়ালের তো কখন খাওয়া শেষ হয়েছিল। সে এদিক সেদিক তাকিয়ে বলল, "" এস বন্ধু। যাওয়ার আগে মুখশুদ্ধি হিসেবে এক খাবলা করে ছাগলের মাংস নিয়ে যাই।"" হায়না কিছু বলার আগেই সে সামনের ছাগলটার গায়ে দাঁত বসিয়ে দিল। আর ছাগলের পরিত্রাহি চিৎকারে প্রথমে কুকুরেরা, তারপর গাঁয়ের লোক তেড়ে এল। শেয়াল তো একছুট্টে বেড়ার ফাঁক গলে উধাও। হায়নাও দেখাদেখি পালাতে গেল। কিন্তু বেচারা কিছুতেই বেড়ার ফুটো দিয়ে গলতে পারল না। অত মোটা একটা ভেড়া খেয়ে তার পেট তখন ফুলে ঢোল। এতক্ষনে সে বুঝল কেন শেয়াল তাকে বড় ভেড়াটা দিয়েছিল। কিন্তু তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে।

  • Tim | 71.67.115.14 | ৩০ জুন ২০০৭ ০৬:৫৩389477
  • (নরওয়ের উপকথা)

    এক চাষির জমিতে ছিল ছোট এক টিলা। অনেকদিন ধরে সেই টিলা এমনি খালি পড়ে থাকত। একদিন চাষি ভাবল, "" তাইত! আমি কি বোকা। এত্তটা জমি এমনি ফেলে রেখেছি""। এই ভেবে সে একটা কোদাল নিয়ে সেই জমি ধপাধপ কোপাতে লাগল। যেইনা কয়েকবার কোপ পড়েছে, অমনি সেই টিলার একটা গুহা থেকে এক লম্বা-চওড়া লোক এসে তাকে এই মারে কি সেই মারে। "" আমার বাড়ির চাল কোপানো? ইয়ার্কি পেয়েছিস?"" বলে সেই দৈত্য চাষির গলা টিপে ধরল।
    "" দোহাই তোমার। আমকে প্রাণে মেরোনা। এস আমরা বরং একটা চুক্তি করি। তাতে তোমার-ও লাভ আমারো লাভ।"" চিঁ চিঁ করে বলল চাষি।
    "" কিরকম চুক্তি ? "" জিগ্যেস করল দৈত্য। "" চুক্তিটা হল--" বলে চলল চাষি-"" আমি এই জমিতে চাষ করব। তারপর প্রথমবছর ফসল যা হবে তার গোড়ার দিক তোমার আর আগার দিক আমার। পরের বছর আবার উল্টো। এইভাবে চলবে। রাজি? ""। খানিক চিন্তা করে দৈত্যটা রাজি হয়ে গেল। সে ভাবল দিব্যি বিনা খাটুনিতে খেতে পাবে। ওদিকে চাষি তো মহা ধড়িবাজ। সে প্রথম বছর করল গমের চাষ। আর গোড়ার দিকটা পেল দৈত্য। পরের বছর আবার চাষি গাজরের চাষ করল। তখন আবার আগার দিক নিয়েই দৈত্যটাকে সন্তুষ্ট থাকতে হল। কিন্তু সে ভারি বোকা ছিল তাই তাকে যে ঠকানো হচ্ছে সেটা বুঝতেই পারলনা। সুতরাং দুজনেই মহানন্দে একসাথে থাকতে লাগল।
  • Tim | 71.67.115.14 | ৩০ জুন ২০০৭ ১০:৪৩389478
  • এটাও নরওয়ের গল্প।
    ট্রলদের নিয়ে প্রচলিত উপকথা।

    ওলাভ নামে এক স্থপতি নরওয়ের ট্রনহেমে একটা গীর্জা বানাচ্ছিল। কিন্তু তার কাজ কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না। কারন দিনের বেলায় ওলাভের লোকেরা যতটা গড়ছিল, এক রাত্রের মধ্যেই কে বা কারা এসে সেটা ভেঙ্গে দিয়ে যাচ্ছিল। এইভাবে তিনদিন কাটার পর ওলাভ বিরক্ত ও হতাশ হয়ে যখন প্রায় পাগলের মত হয়ে গিয়েছে, ঠিক তখুনি পাশের জঙ্গল থেকে একটা ছোট্ট, দাড়িওয়ালা গাট্টগোট্টা লোক বেড়িয়ে এসে বলল, "" আমি গীর্জাটা গড়ে দিতে পারি একাই। কিন্তু তার জন্যে আমি যা চাইবো তাই দিতে হবে""।
    ওলাভ এরকম অদ্ভুত কথা শুনে অবাক হল খুব। কিন্তু সেকথা চেপে গিয়ে সে বলল, "" বেশ তো। বল তোমার কি চাই।"" তখন লোকটা বলল, "" চাঁদ, সূর্য বা তোমার কলজে, এই তিনটের যেকোন একটা আমায় দিও। তাহলেই হবে"""।
    ওলাভ তার লোকেদের চুপিচুপি ডেকে বলল, "" আমার কোন সন্দেহই নেই যে লোকটা একটা মিথ্যুক। কিন্তু আমরা ওর শর্ত মেনে নেব। বেশ মজা হবে।"" এবং সেইমত লোকটা কাজ শুরু করল। আর কি আশ্চর্য! দেখতে দেখতে গোটা গীর্জাটা সে একাই বানিয়ে ফেলল।
    তারপর হাসতে হাসতে এসে ওলাভকে বলল, "" কি! বলেছিলাম না?"" ওলাভের তো ওদিকে প্রাণ শুকিয়ে গেছে। কিন্তু লোকটা তত খারাপ না। সে বলল, "" তোমাদের মধ্যে কেউ যদি আমার নাম বলতে পার, তাহলে আমি কিছু না নিয়েই চলে যাব""।
    তখন সবাই মিলে নানান রকম নাম আন্দাজে বলতে শুরু করল। কেউ বলল ব্রিট, কেউবা জন, কেউ হেলমার। কিন্তু একটাও মিলল না। তখন সেই লোকটা """ কাল সকালে আমার জিনিস জোগাড় করে রেখ""" বলে ঘুমোতে গেল।
    ওলাভ ভালই জানত যে চাঁদ বা সূর্য সে কিছুতেই জোগাড় করতে পারবে না। আর বেঘোরে মরতে তার বেজায় আপত্তি ছিল। তাই সে রাতের অন্ধকারেই দিল ছুট। তিনদিন তিনরাত্তির টানা দৌড়ে একটা গভীর জঙ্গল দেখে সে একটু জিরিয়ে নিতে বসল।
    আর তখনি সে শুনতে পেল বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ। তারপরেই শোনা গেল তাদের মায়ের গলা """ শ্‌শ্‌শ। কেঁদোনা সোনারা। আজকে বাবা তোমাদের জন্যে সূর্য, চাঁদ বা তাজা একটা কলজে আনবে। ঐ টিস্টার আসছে। এই এসে পড়ল...."""।
    শুনেই ওলাভের প্রাণ জুড়িয়ে গেল। সে লাফ দিয়ে উঠেই তখুনি আবার ট্রনহেমে ফিরে গেল। লোকটা তখনো সেখানেই ছিল। ওলাভ জিগ্যেস করল, "" আমার কলজে দিয়ে তুমি কি করবে?""
    ""আমার ছেলেদের জন্যে সুপ বানাব""" উত্তর এল- "" কিন্তু তুমি এখনো আমার নাম বলে দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পার।""
    খুব যেন চিন্তা করছে এভাবে ওলাভ বলল, "" তোমার নাম? কার্ল? না....হান্স?... হলনা? ওলে! এটাও নয়?... তাহলে তোমার নাম নির্ঘাত টিস্টার।""
    ""কিইইই????""" টিস্টার চেঁচিয়ে ঊঠল """ কে বলল তোমাকে?? কে হ্যাঁ?"" বলতে বলতে পাগলের মত ছুটে বেড়িয়ে গেল টিস্টার। বন-জঙ্গল তছনছ করে, পাহাড় এলোমেলো করে সে বহুদূরে চলে গেল। তারপরে কেউ তাকে কখনো দেখেনি।
  • shyamal | 24.117.80.201 | ৩০ জুন ২০০৭ ১০:৫১389479
  • এ তো রাম্পেলস্টিলস্কিনের গল্প। সুখলতা রাও ( সত্যজিতের পিসি) বাংলায় লিখেছিলেন রাম খেল তিলক সিং।
  • Tim | 71.67.115.14 | ৩০ জুন ২০০৭ ১০:৫৪389480
  • অনেক গল্পই চেনা চেনা লাগে। তবে আমি যে বইটায় পেলাম তা হল
    Trolls: Remembering Norway (collected by Joanne Asala)
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৪:৩৬389481
  • আসল গল্পটা কি হলো? সেই যে দেবতারা আসগার্ডের মানে সগ্গের পাঁচিল গড়তে চাইছিলো যাতে কিনা দুষ্টুদত্যিদানোরা না আসতে পারে, না হানা দিতে পারে?
    তখন ছদ্মবেশে এক দত্যি,সে আবার নাকি হিমের অসুর,সে এসে কইলো সে করে দিতে পারে কিন্তু তার সূজ্জো চাই চাঁদ চাই আর মিষ্টিমণি ফ্রেয়াকে চাই?(ফ্রেয়া হলো নর্সদের প্রেমের দেবী,এনার নামেই ফ্রাইডে)
    তখন দেবতারা বললো না না একি ? এসব চলবে না বাপু,তুমি মানে মানে কেটে পড়ো দেখি।ও পাঁচিল আমরা অন্য কাউকে দিয়ে বানিয়ে নোবো,নাহয় রাশিয়া থেকে থেকে ময়দানভকেই তার করে আনবো।:-)))
    তাপ্পরে টিম বলো।

  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৫:০৪389483
  • এই যে হাট্টিমাটিম টিম,
    কই গেলে?
  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৫:২৩389484
  • পাঁচিলের টেন্ডারের কোটেশান এরকম ভাবে পাবলিকলি অ্যাভেলেবল হলো কি ভাবে?
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৫:৩৩389485
  • যবে থেকে জগদীশ রেডিও নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছে, তবে থেকেই এই বিপত্তি শুরু হয়েছে।কিছুই আর লুকানো থাকে না,সবই ফাঁকফোকড় দিয়ে পিলপিলিয়ে বেরিয়ে যায়।:-)))
    কিন্তু ইয়ার্কি না, নর্স গডেদের এই পাঁচিলের গল্প খুব ইম্পো গল্প। ঐ পাঁচিলের গ্যাঁড়াকলে ফেঁসেই না শেষে অ্যাতো কিছু ঝঞ্ঝাটঝামেলা ঘটলো,শেষে একেবারে শেষযুদ্ধ অবধি গড়ালো! কি অবস্থা!

  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৫:৪২389486
  • সে তো নীচের তলার কর্মী দের ইয়ের লোভ দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে যাবার গপ্প। ঘোড়েল ব্যপার কিন্তু ..
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৫:৫৮389487
  • ঐ যখন আদিদেবতা ওডেন আর তার ছেলেপুলেস্থানীয়রা-থর,বালডার,টিউ হিমদল,ফ্রে সবাই পাঁচিলের কারিগরের দাম চাওয়ার বহর দেখে ক্ষেপে গিয়ে ওকে চলে যেতে বলছে,তখন ওদের সবাইকে থামিয়ে পরামর্শ করতে আড়ালে ডেকে নিলো চালাকির দেবতা লোকী।সে কইলো ওকে দিয়ে চালাকি করিয়ে কাজটা করিয়ে নেওয়া যাক না,দামের ব্যাপার পরে দেখা যাবে।(লোকী নিজে হচ্ছে অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার,দেবতা দত্যি সবের সঙ্গেই তেনার ওঠাবসা,ট্রোলরা তার অনুগামী কর্মী,নিজে তিনি নানারকম ছদ্মবেশ ধরতে পারেন। যখন তখন মিডগার্ডে মানে মর্ত্যে আর অন্যান্য লোকে এমনকি পাতালে টাতালেও ঘুরতে যায় লোকী।কিকরে এসব সব সত্বেও সে সগ্গে দিব্যি থাকতে পায়,খোদায় মালুম।)
    তো, লোকের পরামর্শে কারিগরকে কওয়া হলো একলা ওর ঘোড়ার সাহায্যে যদি শীতকালের রাত্রির মধ্যে পাঁচিল বানিয়ে ফেলে, তাইলে ওর দাম দেওয়া হবে,নইলে কিছুই পাবে না।
    সেই মেনে দানব তো ওর ঘোড়া নিয়ে কাজে লেগে পড়ে,বানিয়েও ফেলে পাঁচিল,কিন্তু একটুখানি যখন বাকী তখন লোকী ঘোটকী সেজে দৈত্যের ঘোড়াটাকে ফুসলে নিয়ে পালায় বনে।তো সেই ঘোড়াকে খুজে আনতে দৈত্য ছুটে আসে,তা করতে গিয়ে রাত শেষ হয়ে ভোর হয়ে যায়।
    দৈত্য রেগে গিয়ে বলে এভাবে চিট করলে খেলবো না,বলে সে দাম চাইতে যায়।কিন্তু থর তাঁর হাতুড়ী দিয়ে দৈত্যকে মেরে ফেলেন।
    কিন্তু মারলে কিহবে? এই অন্যায়ের জন্য খুব গন্ডগোল হয়,সবার মনখারাপ,সবাই সব ব্যাটাকে ছেড়ে দিয়ে বেঁড়ে ব্যাটাকে ধর-বলে লোকীর নামে দোষ দেয়,এদিকে সেতো তখন কোথায় ঘুরতে চলে গেছে! তাকে কোথায় পাওয়া যাবে?
    কয় মাস পরে লোকী এসে ওডিনকে এক ছয় পা ঘোড়া দেয়,সেই ঘোড়া নাকি ঐ দৈত্যের ঘোড়া আর লোকীর ঘোটকী অবস্থার সন্তান।(দৈত্যের ঘোড়াটার পরে কি হয়েছিলো খোদায় মালুম।)
    তো সেই ছয় পা ঘোড়া বিদ্যুৎগতি,ওডিন তার পিঠে চড়ে দুনিয়া ঘোরেন।
    দিন যায়,দেবতা বালডার একদিন স্বপ্নে দেখেন তিনি মারা গেছেন,তাকে লালকার্পেটে অভ্যর্থনা করছে মৃত্যুলোকের অধিবাসীরা।তারা এত খুশী! কিন্তু বালডার খুশী হন না,ঘুম থেকে উঠে তিনি মনমরা।

  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:১৩389488
  • ছেলেকে মনমরা দেখে বাবা ওডিন ব্যস্ত হন,মা ফ্রিগ্গা ব্যস্ত হন।ছেলেকে অনেক তুতিয়ে পাতিয়ে জিগিয়ে টিগিয়ে কারণ জানেন দুজনে।ওডিন ছয়-পা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বিদ্যুৎবেগে পাতালে যান অবস্থা দেখতে আর কোনো উপায় আছে কিনা বালডারকে বাঁচানোর,তাই জানতে।তো,সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন সাজো সাজো অবস্থা,সবাই বালডারের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে।ঝাড়ামোছা ফুল দিয়ে সাজানো ধূপ চন্দন আল্পনা মালা গাঁথা চলছে,এসব দেখে তিনি ঢোঁক গেলেন,এর মধ্যে কিকরে তিনি কইবেন যে বালডারকে আসতে দিতে তাদের কারু ইচ্ছে নেই?(ওডিন নিজে কঠোর সাধনায় মৃত্যুরহস্য মোচন করেছিলেন,তাই হয়তো তিনি দিব্যি যেতে পারেন সেই লোকে।আবার ফেরৎ ও আসতে পারেন অবলীলায়)
    তো,শেষ পর্যন্ত জানা গেলো দিনক্ষণ, কবে বালডারের মৃত্যু হবে আর কিভাবে হবে।
    ওডিন ফিরে এলেন,সবাইকে সব বললেন।ফ্রিগ্গা নয় লোকের সব বস্তুকে অনুরোধ করলেন কেউ যেন বালডারের ক্ষতি না করে।কিন্তু তিনি ছোটো একটি ওষধি পরগাছাকে অনুরোধ করতে ভুলে যান।
    তো লৌহকক্ষের সেই ছিদ্রপথেই লোকীর দুর্বুদ্ধি বালডারকে মৃত্যুলোকে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে।
  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:১৪389489
  • বাপ ছেলের মধ্যে ঝগড়া ছিল নাকি? নতুন ঘোড়ায় বাপ চাপে, ছেলে কে চড়তে দেয় না
  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:১৮389490
  • এই গল্পটা বইতে নেইতো। অনেক ছোটবেলায় পড়া। ট্যান জলদি শেষ কর। পোচোন্ডো আগ্রহে বসে আছি। :)
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:২৯389491
  • জমকালো পার্টি হচ্ছিলো বালডারকে নিয়ে,প্রচুর ভালো ভালো খাওয়াদাওয়া হলো,তারপরে শিঙায় করে উচ্চমানের মীডপান।
    তারপরে ফান শুরু,সবাই ওর দিকে ঢিল পাথর গাছের ডাল বর্শা ছুঁড়ে মারে, সব ফিরে আসে। ক্ষতি না করার প্রতিশ্রুতিতে বদ্ধ তারা। এসব দেখে মজা পেয়ে সবাই হো হো করে হাসে।
    এদিকে লোকীকে পাতাললোকের ওরা ধরে পড়েছিলো হয়তো আগেই,কিছু একটা উপায় করো গুরু,আশা দিয়ে শেষে বালডার আসবে না? এত সাজানো গোছানো এত আশা নিয়ে বসে থাকা-সব বৃথা হবে?
    দেবতাদের মধ্যে একজন ছিলো অন্ধ,সে সম্পর্কে বালডারের কেমন বড়োভাই হয়।তো, সবাই যখন আনন্দ করছে পার্টিতে সে একপাশে চুপ করে ছিলো,সে তো দেখতে পায় না কিনা,তাই অনেক আনন্দ থেকেই বঞ্চিত।লোকী তার পাশে এসে ভাব জমালো আর বলে দিতে থাকলো কি হচ্ছে।কথায় কথায় একসময়ে সেই অন্ধ ভায়ের হাতে তুলে দিলো সেই প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পরগাছাটি থেকে তৈরী এক লাঠি।অন্ধ দেবতা যেই না সেটি ছুঁড়েছে বালডারের বুকে লাগলো আর সে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে প্রাণত্যাগ করলো। লোকী তখন ত্রিসীমানায় নেই। সকলের হাহাকারে খুব অবাক হয়ে গিয়ে অন্ধ দেবতা জানতে চায় কি হলো কি হলো কি হলো? ব্যাপারটা কি হলো জানতে পেরে সে ভেঙে পড়ে,বলে কে তাকে লাঠিটি দিয়েছিলো।সবাই লোকীর খোঁজ করে,কিন্তু লোকী তখন কোথা? হয়তো গিয়ে পাতালে বসে আছে,বালডারকে হাত ধরে নৌকো থেকে নামাবে বলে।
    অনেক শোকতাপের পরে বালডারের দেহ ধুয়ে নতুন পোশাক পরিয়ে অস্ত্র শস্ত্র অলংকারে সাজিয়ে নৌকায় তুলে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হলো আগুন দিয়ে।

  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:৩৩389492
  • টাইপো ফাইপো হচ্ছে খুব,আগে থেকেই মাফি চেয়ে রাখলাম।

  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:৪২389494
  • তারপর??
  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:৪৭389495
  • তাপ্পর?
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:৪৮389496
  • এর পরে আছে আবার আপেল বাগানের দেবীকে হারানো ও ফিরে পাবার কাহিনি। দেবী ইদুন ছিলেন দেবতাদের চিরযৌবন রক্ষার দায়িত্বে।তাঁর বাগানের আপেল রোজ সকালে একটি করে খেতেন সব দেবতা।তো,তাকে একদিন হরণ করে নিয়ে গেলো দৈত্য থেয়াস।খোঁজ খোঁজ খোঁজ--কোথা গেলো ইদুন,কোথা গেলো ইদুন,দেবতারা যে সব বুড়ো হয়ে যাবেন ইদুনের আপেল না পেলে-জানা গেলো ইদুন থেয়াসের পাথরের পুরীতে বন্দিনী। জানা গেলো এও লোকীর প্ল্যানে ঘটেছে,লোকী নাকি কবে থেয়াসকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো দেবী ইদুনকে এনে দেবে।মানে যেখানে যা হয় আরকি... যা কিছু হারায় গিন্নী বলেন কেষ্টা ব্যাটাই চোর!
    তো সবাই মার মার করে গিয়ে লোকীর উপরে পড়লো, এবারে লোকী পালাতে পারেনি। সবাই মারতে চায়, কেউ ঠান্ডা হয় না, থর হাতুড়ী তুলে এই মারে কি সেই মারে। কিন্তু ঠান্ডামাথা দেবতারা কোনোরকমে অবস্থা সামাল দেয়,লোকীকে মারলে ইদুন তো ফিরবে না,এখন ইদুনকে ফেরানোর জন্য যা করা দরকার তাই করা হোক।
    লোকী রাজী হলো উদ্ধার করে আনতে,মন্ত্রবলে মস্ত এক চিল হয়ে গিয়ে সে সোজা দৈত্যপুরীতে গিয়ে জানালায় বসলো।সেই ঘরে ইদুন বসে বসে ভাবছিলো কি হবে তার! জানালায় চিল দেখে সে আশ্বস্ত হলো,মন্ত্র পড়ে ইদুনকে ছোট্টো বাদাম বানিয়ে চিলরুপী লোকী পায়ের নখের মধ্যে নিয়ে উড়ে চলও সগ্গের দিকে,এদিকে থেয়াস খবর পেয়ে ইগল সেজে তাড়া করেছে।এই ধরে কি সেই ধরে।

  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৬:৫৫389497
  • দেবতারা প্রচুর জ্বালানি বিস্ফোরক সাজিয়ে রেডি হলেন,যেই না চিল লোকী সগ্গের পাঁচিলের উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছে,অমনি ওনারা আগুন দিলেন বিস্ফোরকে। থেয়াসের পাখায় আগুন লেগে গেলো।থেয়াস মরে গেলো আর তার চোখজোড়া আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে তারা বানিয়ে দিলেন আদিদেবতা অদীন,যাকে কিনা সাহেবরা বলে ওডিন,যার নামে বেস্পতিবার।
    থেয়াসের মেয়ে সব শুনে অত্যন্ত শোকে কাতর হলো তারপরে তার খুব রাগ হলো,সে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে স্বর্গের দুয়ারে এলো,যুদ্ধ ঘোষনা করলো।বাপের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চায়।
    কিন্তু ওডিন বললেন অনেক রক্তপাত হয়েছে দুইপক্ষে আর যুদ্ধ নয়।তিনি দেবেন যা ক্ষতিপূরণ চায় দৈত্যকন্যা। দৈত্যকন্যা বললো,"বাবার মৃত্যুর সংবাদ পাবার পর থেকে আমি হাসতে ভুলে গেছি,আমায় হাসি ফিরিয়ে দিন।"
    অদীন অত্যন্ত সমব্যথীর মতন তাকিয়ে রইলেন,হাসি তিনি ওকে ফিরিয়ে দেবেন কিকরে?
  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:০০389498
  • ওডিন থেকে তো বুধবার, মানে ওয়েডনেস ডে। তার ছেলে থর আনলো বেস্পতি বার মানে থার্স ডে কে।
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:০২389499
  • এখানে আবার এলেন লোকী,নানারকম হাসির অভিনয় করে দৈত্যকন্যাকে তিনি হাসালেন।
    এরপরে দৈত্যকনার স্বয়ম্বরের ব্যবস্থা করলেন অদীন,সব দেবতারা এক ভারী পর্দার পিছনে দাঁড়াবেন,শুধু তাদের পায়ের পাতা আর ঠ্যাঙের কয়েক ইঞ্চি দেখা যাবে,সেই দেখে নির্বাচন করতে হবে দৈত্যকন্যাকে।দৈত্যকন্যা নির্বাচন করলেন ফিওর্ডকে,তার পা ছিলো মরমরপাথরের মতন সুন্দর মসৃণ, তিনি হ্রদের দেবতা,টলটলে নীল তার চোখ।বিয়ে হয়ে দুজনে চলে গেলেন সমুদ্রতীরে বাস করতে।
    কিন্তু এইসব ভালোমন্দ সুখ দু:খ সব চলতে থাকলেও দেবতাদের মনে খুব দু:খ বিষাদ,বালডার নেই বলে।

  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:০৩389500
  • তারপর তারপর??
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:১৬389501
  • এদের মনমরা ভাব কমাতে এক বড়োলোক দেবতা এক ইয়া জমকালো পার্টি দিলেন,সেখানে সকলে নিমন্ত্রিত, কেবল লোকীর নেমন্তন্ন হয় নি।তো,খানাপিনা গানবাজনা নাচ লাফালাফি চলছে উৎসাহে,সবাই দু:খ ভুলেছেন সাময়িক--এমন সময় সেই লোকী! তিনি এসে যাচ্ছেতাই গালাগাল দিচ্ছেন, সবাইকে নেমন্তন্ন করে আমাকে না করা? দুদিনের উঠতি বড়োলোক হয়ে মাটীতে তোমার পা পড়ে না,না?
    দেখতে দেখতে সবাই গরম হয়ে যাচ্ছেতাই গন্ডগোল শুরু হলো,সবাই লোকীর দোষপত্তর বলতে শুরু করলো-এই ব্যাটাই যত নষ্টের গোড়া,এর জন্যেই যত ঝামেলা,শুরু থেকে ঝামেলা এই শুরু করেছে।আগে কত সুখ ছিলো,এখন যে এত দু:খ সব এর জন্যে।এরই জন্যে আমাদের প্রানপ্রিয় বালডারকে হারালুম,এরই জন্যে ইদুনকে হারাতে বসেছিলাম।একে আর বাড়াবাড়ি করতে না দিয়ে কোথাও আটকে রাখা হোক।
    শোনামাত্র লোকী চম্পট দিলেন।কিন্তু এইবারে দেবতারা ছেড়ে দেবার পাত্র নন,ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে খোঁজ করা শুরু হলো।
    লোকী পাহাড়ের উপরে ছোট্টো হাইড আউট বানিয়ে সেখানে ছিলো,কিন্তু ধরা পড়ে গেলো।ওরই তৈরী জাল দিয়ে মাছ হয়ে জলে লুকিয়ে থাকা ওকে তুলে আনলো দেবতারা।
    তারপরে ভারী বীভৎস ব্যাপার।অনেক শাস্তি টাস্তি দিয়ে লোকীকে বেঁধে রাখা হলো বিষঝর্ণার নীচে।বিসর্জনের রঘুপতির মতন তখন ও অভিমান করে বললো না,ইদুনকে উদ্ধার করে আনা দেখলে না? ছয়পা ঘোড়াটা তো তখন দিব্যি নিয়ে নিলে?সেই বেলা।থাক গিয়ে!
    লোকীর বৌ সিগীন ওর সেবা করার জন্যে কাছে রইলো।
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:১৭389502
  • আগেই মাফি চেয়েছিলাম টাইপো নিয়ে,ওটা বুধবার।
    টিম বলে দিয়েছে,থ্যাংকু।

  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:২৩389503
  • এর পরে আরো অনেক ঝঞ্ঝাট ঝামেলা হলো,ক্রমেই দৈত্যদানবদের সঙ্গে আরো আরো বেশী ঝগড়া শুরু হলো দেবতাদের।যেমন হয় আরকি।
    তারপরে শুরু হলো আলো ও অন্ধকারের যুদ্ধ।লোকী বন্দীত্ব থেকে মুক্ত হয়ে দৈত্যপক্ষে লড়তে শুরু করলেন,দেবতা দৈত্যে ঘোর মহারণ শুরু হলো।সেতু পাঁচিল সব ভালো ভালো মহাকীর্তি গুঁড়িয়ে ধুলা-যুদ্ধক্ষেত্রে অসংখ্য মৃতদেহ,একেবারে শেষে দৈত্যরাজের আগুনের অস্ত্র সর্বলোকে আগুন জ্বালিয়ে সব শেষ করে দিলো।
    শেষযুদ্ধের পরে আবার নতুন করে সব গড়া হবে।গোল মুখ নিয়ে হাসিমুখে চাঁদ আর সূর্য আবার বেরিয়ে আসবেন। বালডার নতুন হয়ে আসবেন, সকলে ফের নতুন হবে। তারপরে আবার সেই নতুন জগতের নতুন সুখ দু:খময় কাহিনি....
  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:২৪389507
  • থ্যাংকু টা ব্ল্যাংকের দিকে রিডিরেক্ট করে দিলুম। :)

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন