এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • নানা দেশের উপকথা

    Tim
    বইপত্তর | ২০ জুন ২০০৭ | ৮৮১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.120.60 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:২৪389506
  • অনেক টাইপো হলো।ওটা ছয়-পা না হয়ে আটপাও হতে পারে,সিওর নই।:-)))
  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:২৪389505
  • ফের টাইপো :-D
  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:৩০389508
  • যা:। বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। :(

  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:৩৩389509
  • যুদ্ধটার আরো বন্ননা দিলে বেশ হত।
  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:৩৪389510
  • মহাভারতে যুদ্ধু টা বড় কম আছে
  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:৩৭389511
  • এই zন্যি বলি রামানন্দবাবুরে ডাক। দিব্যি মাসের পর মাস যুদ্ধ দেখতে পেতিস।
  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:৪৮389513
  • ট্যান কি পরের গল্পগুলো সত্য-ই চেপে গেল?
  • Blank | 74.138.155.3 | ০১ জুলাই ২০০৭ ০৭:৪৮389512
  • রামানন্দ বাবুর কাছে একটা জিনিস জানার ইচ্ছে আছে। মেঘনাদের একটা তীর থেকে স্যালাডের সশার মতন কি একটা বেড়োতো, তাতে চাপা পরে অনেক হনুমান পরে যেতো। সেটা কি তীর ছিল?
  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ১৪:০৯389514
  • আবার ট্রোলদের নিয়ে গপ্প। নরওয়ের উপকথা।

    জঙ্গলের পাশে ছোট্ট এক কুটিরে একটি গরিব পরিবার থাকত। পরিবারের সদস্য ছিল মোট চার, এক বৃদ্ধ দম্পতি, তাদের ফুট্‌ফুটে ছেলে বাটারকাপ এবং একটা মিষ্টি কুকুরছানা। জঙ্গলের কাঠ কেটে, নদীর মাছ ধরে আর ছোটখাট জন্তু শিকার করে তাদের দিন চলত।
    একদিন হয়েছে কি, বাটারকাপের বাবা বাড়ি নেই, মা-ও পাঁউরুটি বানাতে ব্যস্ত, এমন সময় এক ডাইনি ট্রোল এসে উপস্থিত (ট্রোল হল নর্স মিথোলজির দৈত্য; বেশিরভাগ সময়েই ক্ষতিকারক)। ভয়ংকর সেই ডাইনি নিজের মাথাটা সব সময় হাতে ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাটারকাপ তো দৌড়ে খাটের তলায় গিয়ে ঢুকেছে। আর ডাইনিটাও বাটারকাপের মায়ের কাছে গিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে লাগল , "" বাছা বুঝি বাড়ি নেই? আমি ওর জন্যে একটা রুপোর ছুরি এনেছিলাম। থাক গে বরং...""।
    এইনা শুনে বাটারকাপ একলাফে বেড়িয়ে এসে বলল, "" কই ছুরি দেখি?""
    আর অমনি ডাইনি তাকে ধরে একটা প্রকান্ড ঝুলিতে পুরে বেঁধে বাড়ি নিয়ে চলল। বেশ খানিকটা গিয়ে ডাইনি খুব ক্লান্ত হয়ে জিগ্যেস করল, "" অ খোকা, কতদূর এলাম বলতো?""
    ""দেড় মাইল দিদিমা""- বলল বাটারকাপ। এই শুনেই ডাইনি সেখানেই একটু ঘুমিয়ে পড়ল। বাটারকাপ বেশ ভারি ছিল, আর বুড়ির বয়েসও হয়েছিল বেশ। কিন্তু বুড়ি ঘুমোতেই বাটারকাপ ছুরি দিয়ে ঝুলি ফুটো করে ভোঁ কাট্টা হয়ে গেল। জেগে উঠে ব্যাপার দেখে তো বুড়ির ভারি রাগ হল। সে তক্ষুনি আবার ফিরে এল বাটারকাপের বাড়িতে। এবার-ও সব আগের মতই হল। রুপোর চামচের লোভ দেখিয়ে বুড়ি তাকে থলেতে পুরল। তারপর আবার সেই আগের জায়গায় এসে বুড়ি ঘুমোল। এবার বাটারকাপ আগে থেকেই ছুরি নিয়ে তৈরী ছিল। শুধু এবার সে থলেতে একটা পাথর ভরে দিল। সুতরাং বুড়িকে এবারে আরো বেশি খাটতে হল, আর তাইতে তার রাগ-ও গেল বেড়ে।
    তাই আবার ডাইনি এল বাটারকাপের বাড়িতে। এবার একটা রুপোর কাঁটাতেই কাজ হল। তবে এবার বুড়ি রাস্তায় আর দাঁড়ালনা। একেবারে সোজা তার বাড়িতে পৌঁছে মেয়েকে ডেকে বলল, "" আমি গীর্জায় গিয়ে সবাইকে নেমন্তন্ন করে আসছি। তুই এটাকে ভাল করে সেদ্ধ করে রাখ।"" বলেই সে বেড়িয়ে গেল। ওদিকে সেই মেয়েটা তো কিছুতেই বুঝতে পারছেনা জে কিকরে সেদ্ধ করতে হয়। সে বেচারি সবে ট্রোলত্ব পেয়েছে। তখন বাটারকাপ তাকে ডেকে বলল, "" ঐ পাথরটার ওপর ঝুঁকে দাঁড়াও, আমি দেখিয়ে দিচ্ছি কিকরে সেদ্ধ করে।""
    মেয়েটা তাই করতেই বাটারকাপ কুড়ুলের এক কোপে তার মাথাটা কেটে ফেলল। তারপর মুন্ডুটা বিছানায় চাদরের নিচে আদ্ধেক বের করে রেখে ধড়টা ভাল করে হাঁড়িতে সেদ্ধ করল। তারপর চিমনির ওপরে অনেক পাথর জড়ো করে চুপটি করে বসে রইল। যথাসময় বুড়ি এল, সঙ্গে তার বর আর বন্ধুরা। বরটিকেও বুড়ির মতই বা তার চেয়েও ভয়ংকর দেখতে ছিল। সে যাহোক, ওরা চাদরের নিচে মুন্ডুর অর্ধেক দেখে ভাবল মেয়ে ঘুমিয়েছে। তাই সবাই মিলে সেদ্ধ মাংস খেতে বসল। তারপর যেইনা খাবার নিয়ে ফুর্তিতে গেয়ে উঠেছে,
    বাটারকাপের ঝোল
    ফুটছে খুসির বোল
    অমনি বাটারকাপ-ও চিমনির ওপর থেকে চেঁচিয়ে বলল,
    ডাইনি মেয়ের ঝোল
    উঠছে হাসির রোল
    বুড়িরা তো মুখ চাওয়া-চায়ি করে ভাবল মনের ভুল। কিন্তু এরকম যখন বারবার হতেই থাকল তখন সবাই মিলে উঁকি মেরে দেখতে গেল চিমনির মধ্যে কি আছে। আর তখুনি বাটারকাপ ওপর থেকে জমিয়ে রাখা সব পাথর একসাথে নিচে ফেলে দিল। সেই পাথরের ঘায়ে বুড়িরা সবাই চিঁড়ে চ্যাপটা হয়ে যেতেই বাটারকাপ ধিরে সুস্থে বুড়ির জমানো সব সোনাদানা নিয়ে বাড়িটায় আগুন দিয়ে নিজের বাড়ি ফিরে গেল। তাকে দেখে তার মা-বাবা যে কি খুসি হল কি বলব। আর সেই থেকে তাদের অভাব-ও দূর হল

  • Tim | 71.67.115.14 | ০১ জুলাই ২০০৭ ১৪:১৩389516
  • এই গল্পটার সাথেও সন্দেশে পড়া একটা গল্পের বেজায় মিল আছে।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৮ জুলাই ২০০৭ ০৩:৫৭389517
  • আরে,নতুন উপকথার কি হলো টিম?
  • Tim | 71.67.115.14 | ০৮ জুলাই ২০০৭ ০৬:১৩389518
  • আফ্রিকার কটা গল্প পড়লাম। তুলে দেব শিগ্গির।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৮ জুলাই ২০০৭ ২২:৫৬389519
  • শীগগীর লেখো!
  • Tim | 71.67.115.14 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১০:১৩389520
  • আফ্রিকার ঘন জঙ্গলের মাঝে ছোট্ট একফালি জায়গায় একটি পরিবার থাকত। স্বামী, স্ত্রী আর দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তারা সুখে ছিল সেখানে। পাশের উপত্যকার মিষ্টি ঘাস পেয়ে ওদের পোষা জন্তুগুলো-ও খুসি ছিল খুব। তবে ঐ অঞ্চলের সাথে বাড়ির ক্ষুদে মেয়েটির যেমন বন্ধুত্ব ছিল তেমনটি আর কারুর ছিলনা। প্রাণ গেলেও সে ঐ জায়গা ছাড়তে রাজি ছিলনা।
    কিন্তু একদিন এমন এক ঘটনা ঘটল যে সব ওলট-পালট হয়ে গেল। সেদিন মেয়েটি নদী থেকে জল নিয়ে ফিরছিল। কিছুদূর যেতেই ওর কেমন জানি মনে হল কেউ ওর পিছু পিছু আসছে। যদিও কাউকেই দেখা যাচ্ছিল না। এইভাবে অনেকদূর আসার পর মেয়েটি হঠাৎ পেছন ফিরে অনুসরণকারীকে দেখতে পেল। একটা রোগামতন লোক, অর্ধেক ঘাসে ডুবে বুকে হেঁটে ওর পিছনে আসছিল। মেয়েটি ভয় পেলেও সেটা বুঝতে না দিয়ে দিব্যি হেসে তার সাথে আলাপ করল। লোকটিও ওর সাথে ওদের বাড়িতে এসে একপেট খেয়ে সবার সাথে গপ্প করে বিদায় নিল।
    শুধু চলে যাবার সময় সে চারদিকটা ভাল করে দেখতে দেখতে গেল। ঐ পরিবারের কর্তা নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝলেন যে ঐ লোকটি আসলে নরখাদক। সে আবার ফিরে আসবে।
  • Abhyu | 97.81.75.25 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১০:৩২389521
  • তারপর? তারপর?
  • Tim | 71.67.115.14 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১০:৩৯389522
  • সুতরাং সবাই মিলে ঠিক করল যে এই জায়গা ছেড়ে তারা চলে যাবে। তাতেই সবার মঙ্গল। মেয়েটি কিন্তু বেঁকে বসল। সে ঐ জায়গা ছেড়ে যেতে মোটেই রাজি নয়। অনেক বুঝিয়েও তাকে রাজি করানো গেল না। সে কাছেই একটা পাহাড়ের গুহায় থাকবে ঠিক করল। গুহার মুখটা একটা পাথর দিয়ে আটকে দেওয়া যেত। আর ঠিক হল যে চেনা কেউ এলে সে একটা বিশেষ সুরে শিস দেবে গুহার বাইরে থেকে। তবেই দরজা খুলবে। এইরকম ব্যবস্থা করে বাকিরা দূরে আরেকটা জায়গায় চলে গেল। মাঝে মাঝে মেয়েটির দাদা এসে খবর নিয়ে যেত। মোটের ওপর , সব আবার আগের মতই শান্তিতে চলছিল।
    একদিন মেয়েটির দাদা গুহার দিকে আসার সময় কাছেই একটা অদ্ভুতভাবে আধখাওয়া হাড় পড়ে থাকতে দেখল। ওরকমটি আর দেখেনি সে এর আগে। সেদিন সে খুব সাবধানে গুহার কাছে গিয়ে শিস দিল। যথারীতি দরজা খুলল। সেদিন রাতে দাদা চলে যাবার পর নরখাদক গুহার বাইরে এসে হাজির। সে ঝোপের আড়ালে থেকে ঐ বিশেষ সুরটা শুনে নিয়েছিল। তাই নির্ভুল সুরে শিস দিয়ে সে দরজাটা খোলাল। তারপর এক ঝটকায় মেয়েটাকে কাঁধে তুলে সে কাছেই একটা খোলা জায়গায় নিয়ে গেল। মেয়েটাকে শুকনো লতা দিয়ে বেঁধে সে সেখানে বড় দেখে একটা আগুন তৈরী করতে লাগল।
    ওদিকে মেয়েটির দাদার সেদিন কিছুতেই খটকা যাচ্ছিল না। কিছুদূর যেতেই তার ভারি চিন্তা হল বোনের জন্যে। সে তক্ষুনি ফিরে এল গুহায়। আর সেখানকার ব্যাপার বুঝতে তার বিন্দুমাত্র সময়-ও লাগল না। তারপর আগুনের হলকা দেখে দেখে সে ঠিক পৌঁছে গেল মেয়েটির কাছে। বুনো লোকটি তখন খুব মন দিয়ে আগুন তৈরী করছে। দাদা একটুও সময় না দিয়ে এক ধাক্কায় লোকটিকে আগুনের মধ্যে ফেলে দিল। নিমেষে ঐ নরখাদক পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
    নরখাদকের মৃত্যুর সাথে সাথেই ঐ অঞ্চল আবার নিরাপদ হল। তখন পুরো পরিবার আবার তাদের প্রিয় জায়গায় ফিরে এল।
  • Tim | 71.67.115.14 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১১:০০389523
  • সিংহ জঙ্গলের রাজা। তাই তার ভারি খাতির। সে যার বাড়িতেই যায় সে-ই প্রচুর খাবার-দাবার দিয়ে আপ্যায়ন করে। এইসব দেখে শুনে এক খরগোসের খুব হিংসে হল। মনে মনে একটা ফন্দি এঁটে সে সিংহকে গিয়ে বলল, ""আমি বিদেশ থেকে বিশেষ মন্ত্র শিখে এসেছি। যেকোন প্রাণীর লেজের পোকা তাতে মেরে ফেলা যায়""। এখন, সারা শরীরের পোকা তাড়াতে পারলেও লেজ নিয়ে সবার-ই খুব সমস্যা ছিল। সিংহ তাই এককথায় রাজি হয়ে গেল।
    খরগোস তখন বলল, "" কিন্তু একটা শর্ত আছে। পুরো চিকিচ্ছের সময়টা তোমাকে চোখ বুজে থাকতে হবে । রাজি?""
    ""রাজি"" গর্জন করে জবাব দিল সিংহ। ব্যস, আর যায় কোথা। খরগোস তার ঝোলা থেকে একটা ইয়াব্বড় হাতুড়ি আর কয়েকটা পেরেক বের করে একটা বড় দেখে পেরেক লেজের ডগায় দমাশ করে পুঁতে দিল। সিংহ তো চেঁচিয়ে একসা। ""এইটা একটা বিশাল পোকা ছিল"" গম্ভীর হয়ে বলল খরগোস। যেহেতু আগেই কথা দেওয়া ছিল, তাই সিংহ সেই কথাই বিশ্বাস করতে বাধ্য হল। এরকম করে খরগোস একেকটা করে পেরেক মারে, আর সিংহের প্রাণপাখী খাঁচা থেকে পালাবার উপক্রম করে। শেষে একসময় খরগোস বলল, "" হয়ে গেছে রাজামশাই। সব পোকা শেষ।""
  • Tim | 71.67.115.14 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১১:০৫389524
  • এইকথা শুনে দারুন খুসি হয়ে সিংহ যেইনা চোখ খুলেছে, অমনি তার মাথা রাগে আগুন হয়ে গেল। চোখ খুলেই সে দেখল তার লেজটাকে খরগোস পেরেক পুঁতে পুঁতে মাটির সাথে আটকে দিয়েছে, নড়ার উপায় নেই। আর অদূরেই খরগোস দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। তবে সিংহের খারাপ সময়ের এখনো অনেক বাকি ছিল। এরপর খরগোস করল কি, একটা ছুরি দিয়ে সিংহের চামড়াটা ছাড়িয়ে নিল। তারপর নিজে ঐ চামড়াটা গায়ে দিয়ে সিংহ সেজে জঙ্গলের পথে বেরোল।
  • Tim | 71.67.115.14 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১১:২১389525
  • সিংহ সাজার পর খরগোস প্রথমেই গেল বেবুনদের আস্তানায়। সেখানে তো যথারীতি ব্যাপক খাতির পেল সে। বহুদিন পরে অনেক খাবার পেয়ে সে এমন খেল যে বেবুনসমাজে দুদিনেই খাদ্যের টানাটানি পড়ে গেল। কাজেই সমস্ত বেবুন দল বেঁধে গেল খাবার জোগাড় করতে। সারাদিন ধরে তারা যা পেত, একরাত্রেই খরগোস তা উড়িয়ে দিত। দিনের বেলায় সবাই চলে গেলে সে সিংহের চামড়া থেকে বেরিয়ে ক্ষুদে বেবুনদের সাথে খেলত, আর রাতে মনের সুখে খেয়ে দেয়ে ঘুমোত। এইরকম চলছিল।
    কিন্তু একদিন এক ক্ষুদে বেবুন চুপিচুপি তার বাবাকে বলে দিল খরগোসের কারচুপির কথা। পরেরদিন সেই বাবা সকালবেলায় বেড়িয়ে কাছেই জঙ্গলে লুকিয়ে থাকল, আর হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল খরগোস। তখন সবাই মিলে পিটিয়ে সেই খরগোসকে এলাকার বাইরে তাড়িয়ে দিয়ে এল।
    খরগোস বিদায়ের পর বেবুনেরা সিংহের গুহায় গিয়ে তাকে তার চামড়া ফেরত দিয়ে এল। চামড়া ছাড়া সিংহটা একটা গোলাপী মাংসের দলার মত হীনবল হয়ে পড়ে ছিল। সুস্থ হয়ে সেই সিংহ কথা দিল যে নিজেই শিকার করে খাবে, অন্যের বাড়ি গিয়ে তাদের খাবারে ভাগ বসাবে না।
    বেবুনেরাও খুসি হল এই ভেবে যে , খরগোসের কাজটা অত্যন্ত অন্যায় হলেও তা একেবারে বৃথা যায় নি।

    (সংযোজন : আমাদের সমাজে ""খরগোস"" প্রচুর; খুঁজলে ""বেবুন""-ও অনেক পাওয়া যায়; কিন্তু ""সিংহের"" বড়ই অভাব)
  • Arpan | 193.134.170.35 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১৬:২০389527
  • লোকীর উপকথা সুকুমার রায়ের কিশোর রচনসমগ্রে পড়েছি। বোধহয় সন্দেশে লিখেছিলেন উনি।
  • Arindam | 219.93.33.193 | ১০ জুলাই ২০০৭ ১৫:৪৮389528
  • সুকুমার রায় নাকি উপেন্দ্রকিশোর?
  • Arpan | 193.134.170.35 | ১০ জুলাই ২০০৭ ১৫:৫১389529
  • সুকুমার।
  • Arindam | 219.93.33.193 | ১০ জুলাই ২০০৭ ১৬:২১389530
  • হলিউডের সিনেমা মাস্কেও লোকীর উল্লেখ ছিল, তাই না? যে মুখোশ পরে জিম ক্যারী অদ্ভুতুরে সব কান্ডকারখানা করত, সেই মুখোশটাও নাকি লোকীর!
  • Arindam | 219.93.33.193 | ১০ জুলাই ২০০৭ ১৬:২২389531
  • মালয়েশিয়ার বিখ্যাত যোদ্ধা হাং তুয়ার গপ্প জানা আছে নাকি কারোর?
  • tan | 131.95.121.132 | ১০ জুলাই ২০০৭ ২০:০১389532
  • হাং তুয়ার গল্প বলো,হাং তুয়ার গল্প বলো।

  • tan | 131.95.121.132 | ১০ জুলাই ২০০৭ ২০:০৬389533
  • সুকুমার অনেক সাবধানে কেটেছঁটে টু দ্য পয়েন্ট লিখেছিলেন "দেবতার দুর্বুদ্ধি" নামে।কিশোরপাঠ্য কিনা,তাই সেই ঘোড়ার সঙ্গে ইন্টুবিন্টু, ইদুনকে দৈত্য নিয়ে যাওয়া, থেয়াসের মেয়ের স্বয়ম্বরসভা-এসব বাদ দিয়েছিলেন।
    অবশ্য মূল উপকথা তো আরো ও ও ও অনেক লম্বা।আরেকটা গল্প লিখেছিলেন সেই থর কিভাবে দৈত্যপুরীতে গিয়ে খুব ইয়ে হলেন সেই নিয়ে।
    উপেন্দ্রকিশোর একটি গল্প লিখেছিলেন দৈত্যের কেটলি নামে।সেখানে ও থর আর ওর ভাই টিউর কথা ছিলো।
  • Tim | 71.67.115.14 | ১০ জুলাই ২০০৭ ২১:৩৫389534
  • আফ্রিকা'র গল্পগুলো লিখতে গিয়ে দেখলাম সব গল্পই অবিশ্বাস্য ভাবে সহজ সরল। শিশুপাঠ্য-ও বলা চলে।
    সব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক যে গল্পটা পেলাম সেখানে একটা সিংহ মানুষের রূপ ধরে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। কয়েকবছর দাম্পত্যের পর হঠৎ-ই মেয়েটির দাদার সন্দেহ হওয়ায় সিংহের চাতুরি ধরা পড়ে যায়, এবং সে পালায়। তখন প্রশ্ন ওঠে ঐ দম্পতির সন্তানেরা মানুষ কিনা। কিন্তু সেই মীমাংসা এমন সহজ সরল ভাবে করা হয় এবং যেরকম মসৃন ভাবে সব মিটে যায় যে ঐ গল্পটিও নতুনত্ব হারায়। পড়ার সময় যদিও ভালই লাগে।
    তুলনায় রেড ইন্ডিয়ানদের নিয়ে গল্পে অনেক জটিলতা আছে। এমন সব কথা আছে যা এখনো প্রাসঙ্গিক লাগে।
  • Arindam | 219.93.33.193 | ১১ জুলাই ২০০৭ ১২:০২389535
  • "তাক্কান মেলায়ু হিলাং দি দুনিয়া" - অর্থাৎ কিনা মালয় জাতি কোনোদিন পৃথিবী থেকে মুছে যাবে না, এটা হাং তুয়ার বিখ্যাত ডায়ালগ।
  • tan | 131.95.121.132 | ১১ জুলাই ২০০৭ ২১:৫৭389536
  • এই অরিন্দম,হাং তুয়ার গল্পটা কি হলো?
    গল্পটা শুনতে পেলে নিউজীল্যান্ডের মাওরিদের বিখ্যাত নায়ক মাউইয়ের গল্প বলবো।কেমন করে সে সূর্যকে ফাঁস লাগিয়ে ধরে ফেলে আস্তে আস্তে চলতে কইলো।
  • Tim | 71.67.115.14 | ১১ জুলাই ২০০৭ ২১:৫৯389538
  • অরিন্দম, ট্যান, শিগ্গির শিগ্গির লেখো। বসে আছি শুনবো বলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন