এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • নতুন সিনেমা - মানে, নিউ রিলিজ

    omnath
    সিনেমা | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ১৬৫২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Netai | 121.241.98.225 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:৪৯394086
  • কাল আমি বডিগার্ড দেখে এলাম। ফার্ষ্ট ডে ফার্ষ্ট শো।

    সিনেমাটার রিভিউ লেখার মতন কিছুই নেই। বরং সিনেমাটা দেখতে যাওয়ার মধ্যে একটু গল্প আছে।

    কিছুদিন আগে সিংঘম দেখতে গেছিলাম। রাত ১২টার শো। তিন চার হপ্তা ধরে চলা সিনেমা বলে হল পুরো ফাঁকা ছিল। গাঁতিয়ে চলা এসি, গুচ্ছ ঠান্ডা লাগছিল। তার মধ্যে ওমন গা গরম করা এইসান একশান, অজয় দেবগনের কেত, আর স্ট্রং ভিলেন, ভালৈ লেগেছিল দেখতে। ফাঁকা হলের দু:খ ভুলতে তখনি ঠিক করে ফেলেছিলাম বডিগার্ড দেখবো এবং দেখবো ভরা হলেই।

    মঙ্গলবার আপিসে এসে প্রথম কাজ করেছি সিনেমার টিকিট বুকিং। পাঁচ রুমমেট। একজন রুমমেট আবার সলমন খানের ডাইহার্ড ফ্যান। আর একজন যাই দেখাবে তাই দেখবে। আর দুজনের একজন অবশ্যি যাবে ধরে নিয়ে চারটা টিকিট বুক করলাম। ঘরে ফিরে বুঝলাম হিসেবে ভুল হয়েছে। সলমন ফ্যানের আপিস আছে। আরেকজন যাচ্ছে মাসির বাড়ি। আরেকজন যাবে জয়পুর। যাবার লোক পাওয়া যাচ্ছে সাকুল্যে দুজন। আরো দুজন সাথী চাই। দেখাবো বিনামুল্যেই। ইদের দিন ঘুম থেকে উঠেই ফোন লাগানো শুরু করলাম। কেউ ফোন তুললে তো!!!! প্রথমে করলাম চেনাজানা বন্ধুদের। তারপর আপিসের লোকজনদের। কেউ ফোন তোলে না। ছুটির দিন সবাই গাঁক গাঁক করে ঘুমোচ্ছে। যারা ঘুম থেকে উঠে পড়েছে তারা আফিস যাবার জন্য রেডি হচ্ছে। তাদের ছুটি নেই। অনেক কষ্টে বিপিনকে ফোনে পেলাম।

    বিপিন বলে, দাদা আভি তো ম্যায় দিল্লী মে হুঁ। ওয়াপস আনে মে টাইম লাগেগা। লেট হো যাউঙ্গা।' আমি আর ছাড়লাম না। হ্যানো ত্যানো ভুজুং ভাজুং দিয়ে চলে আসতে বললাম। এদিকে এতোশতো করতে গিয়ে হয়ে গেলো দেরী। টিকিটের ঘরে দেখি লম্বা লাইন। লোকে অ্যাডভান্স টিকিটের জন্য ভীড় করে আছে। তার মাঝে টিকিট নিয়ে যখন হলে ঢুকছি তখন দেখছি অলরেডি বিশ মিনিট হয়ে গেছে। তো সীটে বসতে যাবো , দেখি সীট বেদখল!!!! লাও ঠ্যালা। অনেক কষ্টে নিজের সীট নিজের দখলে অ্যায়েশ করে বসলাম।

    বসে দেখি করিণা কাপুরের ঘরে চামচিকে ঘোম্‌টা পরে উড়ে বেড়াচ্ছে। করিনা ভয়ে যেই চিল চেঁচানি চেচানি চেঁচিয়েছে তখন দেখি সলমন খান রিস্কা চালিয়ে ওদের ঘরে ঢুকে কিল হার বলে ঘরের লোকজন কে ধরে দুমদুম করে মারা শুরু করেছে। উপাউঅন্তর না দেখে করিনার বাবা বললেন আর পারিনা। বন্দুক তাক করলেন সলমনের দিকে। সলমন ওমনি করিনার বাবাকে প্রনাম করে বললো,'স্যার, আমি তো বডিগার্ড। সেই যে স্যার, আমার বাবা প্রাণ দিয়েছিলেন আমনাদের রক্ষা করতে গিয়ে, মনে পড়ে?????'

    তখন সরতাজ রানা (ঐ করিনার বাপ) বললে, 'সাবাশ বেটা'। আজ থেকে তাইলে তুমি আমার মেয়ের বডি গার্ড। আর এট্টু ট্রেনিং টেনিং দিও।
    কালক্রমে জানা গেলো। সরতাজ রানার অঢেল টাকা পয়সা। আর এক খতরনার দুশমন। যে করিনাকে খতম কত্তে চায়। সলমন বলে আমি থাকতে করিনার নো চিন্তা। বলেই করিনার পিছু পিছু কলেজে, ক্লাসরুমে, একবার তো ভুল করে বাথরুমেও ঢুকে পড়লো। করিনা কইলো আপদ। এদিকে সে জানে না তার কত বিপদ। শত্রুরা ওত পেতে রয়েছে চতুর্দিকে। শুধু সলমনের জন্য কিছুই করার সাহস পাচ্ছেনা।

    করিনা বললো এটাকে তো আর বরদাস্ত করা যায় না। কারে বললো? ওর একজন প্রিয় বান্ধবীকে। যে করিনার সাথেই থাকে দিবারাত্রি। ওদের বাড়িতে থাকে একজন মোটা চাকর। চাকরানি সবিতা। আর কলেজে থাকে এক বাঁটকুল জোকার। করিনা সলমনকে ডিসট্রাক্ট করার জন্যে প্রাইঅভেট নং থেকে গলা পাল্টে ছায়া সেজে সলমনের সাথে প্রেম প্রেম খেলা শুরু করলো। আর সবাই মিলে ক্যামন কাতুকুতু দিতে লাগলো। সে কি কাতুকুতু। পেটে বুকে খোঁচা মেরে যাচ্ছে। যত বলি হাসবোনা ততই খুঁচিয়ে যায়। বিপিন দেখি ধুত্তোর বাপ বলে ঘুমিয়ে পড়লো। তো ঘুমোতে চাইলেই আমি ঘুমোতে দেবো ক্যানো হে? প্রতিটা টিকিট পিছু আমার ১৬০ টাকা গেছে। বলি তার হিসেব দিতে হবেনা?

    এরম ইনিয়ে বিনিয়ে চলতে চলতে হাফটাইম হয়ে গেলো। হাফটাইমের আগে উল্ল্যেখযোগ্য ঘটনা বলতে ডিস্কো ঠেকে করিনা যখন ছায়া সেজে সাল্লুভাইয়ের সাথে মজা কত্তে ব্যাস্ত তখনি শত্রুদের হামলা ও তাদিগকে সাল্লুভাইয়ের উপর্যুপরি বেদম প্রহার। সলমনের এই কর্তব্যপরায়নতা দেখে করিনা লাট্টু। সলমনতো আগে থেকেই লাট্টু হয়ে ছিল।

    ক্ষি সাসপেন্স ভাবুন একবার। একদিকে সলমন জানে না ছায়া কে অথচ খুব প্যার করে ছায়াকে। অন্যদিকে করিনার বিপদ। সে ভালোবেসে ফেলেছে সলমনকে এদিকে কিচু বলতে পারেনা। কারন সে জানে সলমন তার বাপকে দেবতা মানে আর তাকে দেবকন্যা। যদি জানতে পারে করিনাই ছায়া তাইলে কি করবে বুঝতে পারছেনা। আর তার চে বড়ো কথা বডিগার্ডকে বে করলে লোকে কি বলবে। বাপে কি বলবে। করিনা তার বান্ধবীর সাঅথে পরামর্শ টরামর্শ করে কইলো কি আর করবো বলো সখি। এ জনমের প্রেম এখানেই যে শেষ হল দেখি। বলে গার্ডেনে ডেকে পাঠালো কায়দা করে সলমন কে। কায়দা করে সব চুকিয়ে বুকিয়ে দিতে। আর শত্রুরাও শক্তি সন্‌চয় করছে শেষ প্রত্যাঘাতের জন্য।

    সিনেমার আর আধাঘন্টা বাকী।

    শেষটা থাক? একটু কিহয় কিহয় ভাব রয়ে গেছে? একটু এরম থাক? যদি কেউ দেখতে যান ............. তেনাদের জন্য বাকীটা আর বললাম না।

    এমনিতে বাকি আর কি ই বা রইলো। ঐ কিহয় কিহয় টা। জলের মধ্যে কটা ভালো একশান। আর একদম শেষ বেলায় একটা টুইস্টের মতন দেবার করুন প্রচেষ্টা।
    শুধু বলবো শেষ বেলায় করিনার বাপ সলমনকে যখন বলবে 'বেটা, তেরা বেটেকা মন বিলকুল সাফ। একদম তেরে জ্যায়সা।' আর সাল্লুর ছেলেটা যখন করিনাকে বলবে 'আপ মেরে মা বনোগে?' তখন যেন ভুলেও হাসবেন না। ওগুলো কান্নার সিন। হাসির সময় না হেসে কান্নার সিনে হাসলে সাল্লুভাইয়ের ফ্যানেরা ছেড়ে কতা কইবেনা। আজকাল বাজারে সলমনের অনেক চোরাগোপ্তা ফ্যান ঘুরে বেড়ায়।

  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:৩৬394087
  • :-))))))) সিন্মার এমন ভাল রিভিউ আমি কখনও পড়ি নাই ---আজকেই আনতে হবে তাইলে ---উফ! নেতাই ডিলা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস:-))))))))

    চল দিল্লী দেখেছ? হবে নাকি এক পিস ঐটারও রিভিউ? প্লিজ!
  • Zzzz | 216.94.113.242 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:৪৪394088
  • হ্যা: হ্যা: হ্যা: - ঐ যা: হাসতে মানা ছিল যে :)))
  • pi | 128.231.22.133 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:৫৯394089
  • গুজ্জব নেত্যকুমার।
    এবার বাকি সিনিমাগুলোরও হয়ে যাক। :)
  • r2h | 198.175.62.19 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:৪২394090
  • ব্যাপক। ব্যাপক।
    দাবাং, বুড্‌ঢা হোগা..., মোহব্বতে সব কিছুর রিভিউ চাই।
  • Tim | 198.82.25.16 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:৪৩394091
  • :-))
    নেত্য ভালো লিখসে। তবে কিনা, ঝলমল খানের ফ্যানেরা নেত্যকে আইডেন্টিফাই কল্লে নেত্যরও বডিগার্ড লাগবো।
    আটাআআঋ, ৩১শে ডিসেম্বর না যিশুদিবস ঠিক মনে নেই, এক পিস ঝলমল ফ্যানকে সবাই মিলে চাট্টি খিল্লি করেছিলো। সে তখুন কিছুই না বলে ঘন্টাখনেক পরে ঈষৎ মত্ত অবস্থায় ( গুরুর থেকেই শেখা) দাবাং দাবাং কয়ে সে ক্ষি চিৎকার! পাশের বাড়ি থেকে নাইন ওয়ান ওয়ান কল করেই ফেলেছিলো প্রায়। তখন তাকে লজেন্স দিয়ে ""সোনা ঘুমুলো পাড়া জুরোলো"" গেয়ে ঘুম পাড়ানো হলো।
  • Tim | 198.82.25.16 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:৪৫394092
  • শুরুর শব্দটা অচেনা লাগছে? ঐটা হইলো গিয়া "" গতবছর""। সিআইয়ের ষড়যন্ত্রে ওরম দেখাচ্চে।
  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:৫৪394093
  • টিম্ভাই, একেই আপিশের সময় চুরি করে গুরুতে উঁকি মারি---সেখানে যদি এমৎ কুলকুল করে হেসেই চলি --তো নির্ঘাত চাকরীর গদ্দান যাবে--কিন্তু হোহো হিহি হাহা
    ডাআঋঊণ
  • pi | 128.231.22.133 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:০৯394094
  • আমি ঘোমটা দেওয়া চামচিকের ছবি দেখতে আগ্রহী। তাকে প্রহারোদ্যত ঝলমল থাকলে তো আর কথাই নেই। বডিগার্ড লুঙ্গিপরিহিত হলে আরো ভাল হয়।
  • Netai | 121.241.98.225 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪৬394096
  • চলো দিল্লী তো দেখিনি। বুড্‌ঢা হোগাও না।

    দাবাং দেখেছিলাম টাটা স্কাই শোকেশে। ওরম দেখে মজাই নাই। ওই সাল্লু ফ্যান দেখে এসে বলেছিল দাবাং একঘর সিনেমা।
  • pi | 72.83.92.218 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:৪৮394097
  • আর এদিকে আমি বেড়াতে যাবার গোছগাছ করতে না করতেই ,বা বলা ভাল গোছগাছ করতে হবে ভেবেই ঘুমিয়ে পড়লাম :(

    কী জোর বাজের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গ্যালো। যেমন বাজখাঁই বাজ, তেমনি
  • ppn | 204.138.240.254 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:০১394098
  • এইটা কি ভপাইয়ের সিনিমার টিজার (অসমাপ্ত)?
  • pi | 128.231.22.133 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৪১394099
  • বোঝো ! এই পোস্টটাকে ভাটপাড়ায় খুঁজে খুঁজে আমি হয়রান !

    নেত্যবাবু, সিংঘম ?
  • Tim | 128.173.176.183 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:২৪394100
  • ভপাইয়ের সিনিমাটার নাম হলো, ""বাজের আবাজ""। হ্যান্ডুকপ একটি বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় কচ্ছেন।
  • Nina | 68.45.76.170 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪৮394101
  • হা হা হা হা হো হো হো হোহো --আজ শুক্কুরবার, মৌজ করে দেখতে বসলাম ---বডিগার্ড--আর তার আগে অমিতকেও নেত্যবাবুর রিভিউটা পড়িয়ে নিলেম---সিন্মাটা জমে ক্ষীর হল শুধু আগে আগে ঘোমটা দেয়া চামচিকে থেকে নিয়ে কান্নার সীন পয্যন্ত---নেত্যর চোখে দেখে নিয়েছিলাম----বিগ থ্যাঙ্কু নেতাই---আর ঝলমল খান নামটাও হেব্বি পসন্দ হল :-)))
    ওটা কি পাইদিদির দেয়া? ফ্যান্টাবুলাস।
  • de | 120.62.171.153 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:০২394102
  • সক্কাল-সক্কাল হেসে কুটিপাটি --- আমাদের নীতু অ্যাতো ভালো রিভ্যু লেখে জানতাম না তো! আরো রিভ্যু চাই!
  • Netai | 122.163.121.81 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:৪৬394103
  • -আচ্ছা, আপনিকি আর্ট ফিল্ম দেখেছেন?
    -
    -অ্যাঁ? অনেক দেখেছেন? তো কি হয়েছে। আপনি কি আর্ট ফিল্মের বাপ দেখেছেন?

    মৌসম সিনেমার কথা বলছি। মৌসম, দ্য বাপ অফ আর্ট ফিল্ম। কাল দেখে ফিরেছি। কেমন দেখলাম তাই লিখছি। তবে আগে একটা ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি। চেষ্টা করে লাভ নেই। এই রিভিউ পড়ে কিন্তু হাসি পাবেনা।

    সিনেমার শুরুতেই আপনি যাচ্ছেন মাল্লুকোটে। পাঞ্জাবের এক প্রান্তিক গ্রাম। সালটা ১৯৯২। সময়টা খুব একটা ভালো নয়। এই গ্রামেই থাকে হ্যারি। আরে আমদের শাহিদ কাপুর গো। এইবার চিনেছেন? সারাক্ষণ পাড়া মতিয়ে রাখে। এই খেলছে, ঘুরছে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারছে, লোকের আখক্ষেতে গিয়ে চুরি করে গন্না চুষছে। রাজ্জোর দোকানে গিয়ে কায়দা করে ফোকোটে পুরি সবজি গিলছে। খুব নটখট ছেলে আরকি। দুষ্টু। তাইবলে এ ছেলে এলেবেলে ভাববেন না। এর বাবা প্রফেসর। জামাইবাবু এনআরআই। শুধু তাই নয়। হ্যারি নিজে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের পরীক্ষার সমস্ত ধাপ কিলিয়ার করে বসে আছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এই এলো কি সেই এলো। খুব ভালো গান গায়। আর সাথে নাচেও। আর আছে একটা বড় মন এবং প্রেমিক হৃদয়। সর্বগুনসম্পন্ন যাকে বলে। হুঁ হুঁ বাওয়া। বল্লে হবে। খচ্চা আছে।
    তো এই ১৯৯২ সাল, সময়টা খুব একটা ভালো নয়। কাশ্মীরে টালমাটাল অবস্থা। একদিকে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী, আতন্‌কবাদীদের দৌরাত্মী। কাশ্মীরি পন্ডিতদের উপর অত্যাচার ও তাদের কাশ্মীর থেকে বিতাড়ন। অন্যদিকে আমজনতার উপর নিরাপত্তারক্ষীদের নির্যাতন। দুয়ের যাঁতাকলে পড়ে নাগরিক সমাজ বিপর্যস্ত। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বিপন্ন। তাতে করে হল কি, আয়েতের বাপ আয়েতকে, ঐ মিষ্টি মেয়েটাকে আয়েতের বুয়ার কাছে মাল্লুকোটে রেখে নিরাপদ বাসস্থানের খোঁজে বেরিয়ে গেল আমেদাবাদ হয়ে বোম্বে। আয়েত, আহারে, মা মরা দুখি মেয়েটা, কদিন একটু নয় হ্যারির সাথে একটু প্রেম প্রেম খেলুক।
    আগে যে রাজ্জোর কথা বললম। গ্রামের মেয়ে উদ্ভিন্নযৌবনা, লাস্যময়ী রাজ্জো। সেই রাজ্জো আসলে আমাদের হ্যারির উপর একটু টাল্লি খেয়ে আছে। ঐ, ফ্রি ফান্ডে দোকানে পুরি খাইয়ে দাইয়ে দেয়। রাত্রে ঘর বয়ে টিপিনবাস্কো করে পিন্নি টিন্নি দিয়ে যায়। আর যা যা করে হ্যারির মন পাওয়া যায় তাই তাই করতে প্রস্তুত। কিন্তু এই একেপেশে প্রেমের কি কিছু ভবিষ্যত আছে? বিশেষ করে যাখন মেয়েটা সোনম কাপুর নয়? বলা যায়না ভাই। আগেই বলেছি এটি আর্ট ফিলিমের বাপ।
    কাশ্মীরন আয়েত আসলে সোনম কাপুর। যার প্রেমে হ্যারির পড়ার কথা। তারপর তো যেমন যেমন হওয়ার কথা ছিল তেমন তেমন হল। হ্যারি আয়েত বলতে অজ্ঞান। আয়েতের হ্যারিকে খুব পছন্দ। লুকিয়ে চুরিয়ে দেখাদেখি হল। মিষ্টি প্রেমের গান হল। কালি কলমে প্রেমের বার্তালাপ, বিয়ের আসরে নাচ হল। বৃষ্টিভেজা রাতে প্রেমের প্রথম প্রতিশ্রুতি, তাও হল। আপনার মুখে আর হাসি ধরে না দেখি। খুশিতে একেবারে ডগোমগো। তখনি পঙ্কজ কাপুর বললেন। চূঊপ। অ্যারকি পেয়েছো? ভুলে গ্যাছো ডিসেম্বর ৬, ১৯৯২, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন? আমার কি কোনো সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ নেই? বললেই হবে প্রেম পেয়েছে?

    ব্যাস। বিনা নোটিশে আয়েত মাল্লুকোট থেকে হাওয়া। আয়েতের ঠিকানাটুকুও পেলনা হ্যারি। চিঠি পেল। তবে এয়ারফোর্স থেকে। চাকরির চিঠি।
    এরপর এক লহমায় পেরিয়ে যাবেন সাত সাতটা বছর। চলে আসুন স্কটল্যান্ডে। আয়েত এখন সংগীত ও নৃত্যকলার কোন ইনস্টিতে কর্মী। বাপ আর বাপের বন্ধু অনুপম খের মিলে দোকান ও দেছেন। ফুফা ৯৩ সালের বোম্বে ব্লাস্টে মারা যাবার পর হালাত ওদের স্কটল্যান্ডে নিয়ে আসে। আর কি কাকতলীয় ব্যাপার দেখুন। হ্যারিবাবুও এয়েচেন এখানে এয়ারফোর্স থেকে ট্রেনিং নিতে। ব্যাস। তারপর আর কি। দেখা হল আবার। আবার প্রেম চগিয়ে উঠলো। আবার গান হল। আবার বাজনা বাজলো। হৃদয়ের কোনে কোনে। হাজার প্রেমের ফুলকি। এবার হ্যারি আসবে আয়েতের বাড়ীতে বিয়ে কথা পাকাপাকি করতে। আপনি আবার আহ্লাদে আটখানা। ঠিক তখনি পঙ্কজ কাপুর আবার বললেন চূঊপ। অ্যারকি পেয়েছো? বিয়ে? বলি কার্গিল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে দেখছোনা? যত্ত সব ডেঁপো ছোকরার দল!!!!

    এবার বিনা নোটিশে হ্যারি হাওয়া। বুলাওয়া চলে এসেছে। যুদ্ধের দামামা বাজছে।

    তারপর থেকে আর বলবো কি মশাই। সময়টাই খারাপ। পুরো সিনেমা জুড়ে দেখি সেই একই জিনিষ চলছে। হ্যারি ফোন করে তো আয়েতের ঘরে কেউ ধরে না। আয়েত চিঠি লেখে তো হ্যারির ঘরে সবাই গেছে সুইজার্ল্যান্ডে। আয়েত হ্যারির খোঁজে মল্লুকোটে। ঘরে কেউ নেই। তো হ্যারির দিদি জিজাজি আয়েতের স্কটল্যান্ডের ঘর থেকে বিফল মনোরথে ফিরছে। দোকানে তালা ঝুলছে। ঘরে অন্য লোক। পুরো গেছোদাদা কেস। একবার তো আয়েত পুরো ঠিকানা লিখে রাজ্জোর হাতে ধরালো। সবাই ভাবছি এবার তো মিলতেই হবে ভাই দুজনকে। তখনি পংকজকাকু বললো- চূঊওপ। ২০০১ এর ওয়ার্ড ট্রেড সেন্টার আর ২০০২ এর গুজরাট রায়ট কে কভার করবে শুনি? আমি না করলে? তাই শুনে রাজ্জো পুড়িয়ে দিলো চিঠি।

    পুড়িয়ে দিলো চিঠি পুড়িয়ে দিলো মন। ধিক ধরে গেছে তখন সিনেমায়। ধুত্তোরি বলে দু তিন জন তো হল ছেড়ে চলেও গেলো। নেহাত গরীব মানুষ বলে আমি হিম্মত জোটাতে পারিনি।

    এর মাঝে আর্ট চলছে। একটা দৃশ্যে ক্যামেরা সোনম কাপুরকে তাক করে আছে কি অদ্ভুত অ্যাঙ্গেলে। টপভিউ ঠিক নয়। এই ধরুন মাথার 0.7 মিটার উচ্চতা থেকে বামদিকে 0.3 মিটার আর সামনের দিকে 0.2 মিটার। বলুন দেখি স্ফেরিকালে কি কি ভ্যালু পাচ্ছেন?

    শেষ পর্যন্ত হ্যারি আর আয়েতের মিল হবে কিনা আর বলছিনা। এমনিতে সিনেমা দেখতে দেখতে আমিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। চুলোয় যাক প্রেমেকাহানি। অনেক হয়েছে। আর রাতও অনেক হয়েছে। এখন মানে মানে ঘরে ফিরতে পারলেই বাঁচি।

    মাথায় স্ট্রাইক করছিল পরে, তখন যদি ফেসবুক থাকতো, স্ট্যাটাস আপডেট করে দিলেই আর এতো যন্ত্রনা সইতে হত না। সবচে বড়কথা সিনেমাটাই হতনা। তো এই সিনেমাটা দেখতেও হতনা। আমার কাছে এটা তাই একটা যোগাযোগ ব্যাবস্থার ব্যার্থতার গল্প। totalfailureofcommunicationsysteminabsenceoffacebook । এটার কিন্তু একটা কন্সপাইরেসি অ্যাঙ্গেল ও থাকতে পারে। খোঁজ নিলে হয়তো দেখবেন এই সিনেমার পিছনে জুকারবার্গ পয়সা ঢেলেছেন। বলা যায়না মহায়। সময়টা খুব একটা ভালো না।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৪394104
  • নেত্যর রিভিউ চমৎকার হইছে। সাদা বাংলায় যারে কয় মেফিস্টোফিলিস টাইপ। আরো হোক।
  • pi | 72.83.92.218 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:৩০394105
  • যা তা ! :))
  • aka | 75.76.118.96 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:৩৮394107
  • নেতাইকে চারটে নকুলদানা দাও কেউ।
  • titli | 14.96.175.15 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:৫৫394108
  • দিল তর হয়ে গেল।
  • pi | 72.83.92.218 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:২৩394109
  • নেত্য বড় ভাল ছেলে, এবার একটু একটু ক'রে ব্যাকলগগুলো ক্লিয়ার করে ফ্যাল দিকিনি। এই তো আজ রোব্বার, ভাল দিন আছে। শুরু ক'রে দে :)

  • kc | 194.126.37.78 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫১394110
  • নেত্য, মচৎকার হইছে।
  • m | 117.194.34.9 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫৫394111
  • নীতু, এরপর দাবাং চাই ইই:))
  • pi | 72.83.92.218 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:৩৪394112
  • নেত্য, এটা পড়ার পর থেকে ডিমান্ড বদলে ফেলেছি। সিং ইজ কিং, দাবাং টাবাং এর মত ক্যাওড়া ফিলিম শুধু না, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর কালপুরুষ মার্কা সিনিমাগুলোর রিভ্যু বরং আর বেশি করে চাই :)। অনুরণন টনন কি অঞ্জন দত্তর সিনিমা হলেও চলবে। না দেখা থাকলে চটপট দেখে ফ্যাল !
  • dd | 122.167.32.72 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:২৪394113
  • হেথায়, মানে গু চতে ফোটোগ্রাফী আর সিনেমায় ব্ল্যাকবেল্টের সংখ্যা অগনন। কিন্তু তারা সবাই স্ট্রং সাইলেন্ট পার্সন। ম্যাংগো পিপলকে তারা কিছু কইতে চান্না।

    আমি প্রস্তাব করছি নেতাইকে গু চ'র সিনেমা সমালোচকের আপিসিয়াল পোস্ট দেওয়া হোক (একদম হনারারী)।
    সে প্রতি হপ্তায় একটি বা ততোধিক সিনেমার রিভিউ আমাদের জানাবে। এভ্রী য়ুইক।
    ঠিকাছে ?
  • Netai | 122.161.12.145 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৫১394114
  • আমায় কি রাজা সেন বানাবার প্ল্যান হচ্ছে নাকি? আমি কিন্তু বড় হয়ে ডিডিদা হতে চেয়েছিলাম।
    :-)
  • Netai | 122.161.12.145 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:০৯394115
  • সিনেমাটাঅ বড় বদনাম করে গেছি। এতোটাও বোধহয় প্রাপ্য নয়।

    যারা সিনেমাটা দেখতে যাবেনই বলে মনস্থির করেছেন তাদের বলি এতোটাও হতাশ হবেন না। কিছু হাসির দৃশ্য আছে শুরুতে। আহামরি নয়, চলনসই গোছের। কিছু রোমান্টিক মুহূর্তের দৃশ্যায়ন খুবই সুন্দর হয়েছে। চায়ের টেবিলে একটা টেলিপ্যাথিক সংলাপ, অসাধারন। খালি গলায় গান আছে 'আভি না যাও ছোড়কর' হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গানটা খোঁজার চেষ্টা করছি, পাচ্ছিনা। হলিউড স্টাইলে ফাইটার প্লেনের আকাশে ওড়াও আছে। আছে গুজরাট দাঙ্গার কিছু ভয়াবহ দৃশ্য, শিউরে ওঠার মত।

    আর, আর মিঠুদির জন্য, শাহিদ কাপুরের অবিন্যস্ত বিকশিত দন্ত্যরাজিও আছে। মানে ঐ দাঁত কেলিয়ে হাসি।

    বড্ড বেশী লম্বা সিনেমা। অনায়াসে আধা ঘন্টা ৪৫ মিনিট ছাঁটা যেত। ২ বছর ধরে বানানো সিনেমায় পঙ্কজ কাপুর নিজের কেরামতিই বেশী দেখিয়েছেন। দর্শককুলের কথা অত ভাবেননি।
  • pi | 72.83.92.218 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:০৩394116
  • ডিডিদাকে নেমাই স্টাইলে সমর্থন।
  • Netai | 121.241.98.225 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৬:০৭394118
  • সে পঁচিশ বছর আগেকার কথা। অপনি আমি বেজায় ছোট। কালিবাবুর মেয়ে মিষ্টি তখনো মার্কেটে আসেনি। তবে ওনার দুই ছেলে ভীম আর বিশু কিন্তু একটু বড়। ইস্কুলে যায় টায়। কালিবাবুকে যারা চেনেন না তাদের বলে রাখি, উনি কিন্তু খুব রাগী মানুষ। হ্যাঁ, প্রচন্ড রাগী। আগে ডাকাত ছিলেন। পরে বড়লোক আর গ্রামের মাথা হয়েছেন। তখন তিনি ঘরের মধ্যে পরের মাথা কাটা ছেড়ে দিয়েছেন। কাটাকুটি যা করার সব বাইরেই করেন। কারন হল, নারায়ণ ভগবান বাড়ির চৌকাঠে দাগ টেনে বলেছিলেন- দ্যাখ বেটা, এই হল চৌকাঠ। এই চৌকাঠ টপকে কেউ ভিতরে এলেই সে ভগবান। তাকে তখন পাঁঠা খাওয়াবি। আর বাইরে বেরলেই সে পাঁঠা। কুচ করে গলা কেটে নাবিয়ে দিতে পারিস। কালিবাবু ভগবান কে মান্যি করেন। বললেন - যো হুকুম স্যার। আর এই সুযোগে তারকনাথ চৌকাঠের ভেতরে এসে খুন করে গেলো কালিবাবুর ভাইকে!!! কালিবাবুর চোখের সামনে!!!! এ হে হে হে। এ তুমি কি করলে তারক। ঘরে তোমার দুধের শিশু রাজু, রাজুর মা, পাঁচ বিঘে জমি। সব ভুলে গেলে!!!

    কালিবাবু প্রচন্ড রাগী মানুষ। তার উপরে দাবালি চালনায় সংশয়াতীত নৈপুন্য ছিল। চৌকাঠ পেরোতেই দা বিঁধিয়ে দিলে তারকনাথের পিঠে। তারকনাথ ওখানেই পড়ে মারা যাচ্ছিল। কিন্তু বৌকে গল্পটা শোনাবে বলে ঐ অবস্থায় দৌড়ে ঘরে গিয়ে বৌ কে ঘটনার সরসংক্ষেপ বলে মরে পড়ে গেল। রাজুকে নিয়ে রাজুর মা কলকাতা পালালো। ক্রোধে অন্ধ কালিবাবু তার দুই ছেলেকে দিয়ে কসম খাওয়ালেন, তাদের কাকার খুনির বংশ নির্বংশ করার কসম। সে যেখানেই তারা পালাক। নিষ্কৃতি নাই। কতদিন আর লুকিয়ে থাকবে। ২ বছর? ৫ বছর? ২৫ বছর?

    ২৫ বছর। ২৫ বছর পর।

    তারকনাথের ছেলে রাজু এখন সাইকেলে করে মাল বয় কলকাতায়। দিন আনি দিন খাই অবস্থা। মালিক বলেছে অটো কেন নয় ফোট। এদিকে জমা ২৭৫৩ টাকায় অটো কোথেকে আসবে। চিন্তা করে রাজুর হাসি পেল। রাজু বললো-হে ভগবান, আমাকে ল্টারি পাইয়ে দাও। ভগবান বললেন - লটারি নেই। এই চিঠিটা দিচ্ছি, নে।

    আপনারা পড়ছেন ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে।
    (চলছে)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন