এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ছোটদের জন্য অনুবাদ

    Paramita
    বইপত্তর | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ | ১৪৩৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ২২:৪৭404565
  • টইটা কি অনুবাদ গল্প লেখার জন্যে নাকি অনুবাদ সম্পর্কে লেখার জন্যে?
  • Paramita | 63.82.71.138 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:৩৮404661
  • অনুবাদ গল্প লেখার জন্য। তুমি শুরু কর না! ছবির ব্যবস্থা থাকলে ভালো হত।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০০:৫৭404672
  • বেশ। আমি এখুনি একটা গল্প লিখে দিলাম। ছোটোদের গল্প ছবি ছাড়া প্রায় কিছুই বোঝা যাবে না। তবুও, থ্যাংকসগিভিং উপলক্ষ্যে, ছোটোদের একটা গল্প, বড়দের জন্যে লিখে দিলাম। অনুবাদ নয়, কারণ বইটা সঙ্গে নেই। গল্পের নাম বা লেখকর নাম আপাতত মনে পড়ছে না।

    অনেকদিন আগে, আমেরিকাতে রিভকা নামে একটি ছোট্টো মেয়ে ছিল। রিভকার ইহুদী বাবা মা দিদিমা ইউরোপীয়দের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্যে আমেরিকায় পালিয়ে আসেন। আমেরিকাতে রিভকার জন্ম হয়। ছোট্টো রিভকা স্কুলে গিয়ে থ্যাংকসগিভিং উৎসবের কথা জানতে পারে। বাড়ি এসে রিভকা টার্কির ছবি আঁকে। মা দিদিমা অবাক। "এটা আবার কি পাখি? " রিভকা তখন থ্যাংকসগিভিংএর কথা বলে। মা দিদিমা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়েন। এরকম কোনো উৎসবের কথা তাঁরা জীবনে শোনেন নি। নিশ্চয়ই এই উৎসব শুধু ক্রিশ্চিয়ানদের, ইহুদীদের নয়। রিভকা জোর দিয়ে বলে,"এটা আমেরিকানদের উৎসব। আমরা তো আমেরিকান, তাই না?" মা দিদিমার সন্দেহ ঘোচে না। রাতে বাবা বাড়ি এসে সব শুনে বলেন "থ্যাংকসগিভিং আমেরিকানদের জাতীয় একটি উৎসব। এই সময়ে তারা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়, বিরাট ভোজও হয়। কিন্তু এটা ইহুদীদের উৎসব নয়।" রিভকা জোর দিয়ে বলতে থাকে যে এটা আমেরিকানদের উৎসব, তাদেরো পালন করা উচিত।

    পরের দিন রিভকা স্কুল থেকে ফিরলেই দিদিমা বলেন "রিভকা, জামা কাপড় খুলো না যেন। এখুনি আমরা রাব্বি ইয়োশে প্রেমিংগারের বাড়ি যাবো।"
    "কেন দিদিমা?"
    "কেন আবার? সাদিক (হিব্রু ভাষায় ধর্মগুরু) যেতে বলেছেন তাই?"
    দিদিমার কাছে সাদিকের কথামাত্রই বিনা প্রশ্নে শিরোধার্য্য।

    দিদিমা রিভকাকে নিয়ে রাব্বির বাড়ি পৌঁছন। রাব্বি ইয়োশে প্রেমিংগারের পড়ার ঘরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। পড়ার ঘরটি বইপত্রে এমনই ঠাসা যে জানলাগুলো পর্যন্ত বইএর স্তুপে ঢেকে গেছে। ঘরটি তাই প্রায় অন্ধকার। বিশাল উঁচু এক চেয়ারে ছোট্টোখাট্টো বেজায় বুড়ো এক লোক বসে আছেন - মাথায় কালো টুপি, টুপির নিচ থেকেই নেমে এসেছে লম্বা সাদা দাড়ি।
    "তুমি রিভকা? স্কুলে পড়ো?" রাব্বির গলার আওয়াজ গমগমে। চেহারার সঙ্গে আদৌ মানানসই নয়।
    "কেমন ছাত্রী তুমি? মন দিয়ে লেখাপড়া করো? বাবা মার কথা শোনো? বড়দের শ্রদ্ধা করো?"
    "ও আমাদের বড্ড ভালো মেয়ে সাদিক।" রিভকার উত্তর দেবার আগেই তড়িঘড়ি বলেন দিদিমা।
    "বেশ। থ্যাংকসগিভিং সম্পর্কে কি শুনেছ তুমি স্কুলে?"

  • kd | 59.93.194.11 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৩৯404683
  • বা:
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:২৪404694
  • "এই উৎসব সর্বশক্তিমান ভগবানকে ধন্যবাদ জানানোর জন্যে, রাব্বি, .. আমরা যে আমেরিকায় বাস করছি সে জন্যে ধন্যবাদ.."
    "তুমি কি মনে করো ইহুদীদেরও এ জন্যে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত?"
    "হ্যাঁ রাব্বি, নিশ্চয়ই? আপনি তো জানেন ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় ইহুদীদের জীবন কি ভয়ংকর? বাবার কাছে শুনেছি সেখানে ইহুদীদের ওপর ভয়ানক অত্যাচার করা হয়। কিন্তু এখানে? আমি চাই সব ইহুদীরাই এখানে চলে আসুক। তাহলে তারা নিরাপদে থাকতে পারবে। তাই না রাব্বি?"
    "হুমমম... তোমার যুক্তিটা ভেবে দেখার মতন।" রাব্বির গলা বেশ নরম শোনালো এবার। "কিন্তু আমাকে এই থ্যাংকসগিভিং সম্পর্কে আরো পড়াশুনা করে জানতে হবে। তবেই আমি চূড়ান্ত মতামত দিতে পারব। এখন তুমি যাও।"

    দুদিন বাদে দিদিমা জানালেন রাব্বি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থ্যাংকসগিভিং কোনোভাবেই ইহুদীদের জন্যে নয়। মা, বাবা ও দিদিমার জন্যে এটাই শেষ কথা - থ্যাংকসগিভিং পালন করা চলবে না।

    রিভকা কিন্তু কিছুতেই এই সিদ্ধান্ত মানতে পারল না। তার কেবলই মনে হতে লাগল রাব্বি ঠিক বলেন নি। সে রাব্বিকে একটা চিঠি লিখল। তারপর চুপি চুপি রাব্বির বাড়িতে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে চিঠিটা গলিয়ে দিয়েই দৌড়ে পালিয়ে এল।

    রিভকার চিঠিতে লেখা ছিল:

    রাব্বি ইয়োশে প্রেমিংগারকে।
    স্যার,
    আমার মা বাবা ও দিদিমা মনে করেন পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ আপনি। কিন্তু আমার তা মনে হয় না। আপনি হয়ত অনেক অনেক বই পড়েছেন। কিন্তু আপনি বুঝতেই পারেন নি যে সব আমেরিকানরাই আমেরিকায় এসেছে খারাপ লোকেদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে। প্রথমে পিলগ্রিমরা এসেছিল। পরে এসেছে ইহুদীরা। এখানকার নিরাপদ জীবনের জন্যে পিলগ্রিমরা কৃতজ্ঞ। তাই তারা থ্যাংকসগিভিং পালন করে। আমার মনে হয় ইহুদীদেরও কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।

    ইতি,
    রিভকা র‌্যাবিন।

    পরের দিন রিভকা স্কুল থেকে ফিরলে দিদিমা বলেন:"এক্ষুণি আমরা সাদিকের বাড়ি যাবো।"
    "কেন?"
    "কেন আবার? সাদিক যেতে বলেছেন তাই?"

    দুরুদুরু বুকে রিভকা দিদিমার সঙ্গে রাব্বির বাড়ি এল। ওরা ঢুকতেই রাব্বির স্ত্রী দিদিমাকে রান্নাঘরে নিয়ে গেলেন আর রিভকাকে বললেন সোজা রাব্বির পড়ার ঘরে চলে যেতে। বেচারা রিভকার হাত পা কাঁপতে লাগল ভয়ে। ইশ! কেন যে সে অমন একটা চিঠি লিখতে গেল? না জানি রাব্বি তাকে কি শাস্তি দেবেন!

  • aja | 207.47.98.129 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৪৯404705
  • বইটা কি Rivka's First Thanksgiving? লেখক Elsa Okon Rael
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৫৫404716
  • রাব্বির পড়ার ঘরে ঢুকে রিভকা দেখল সেখানে বসে আছেন কালো কোট ও টুপি পরা, সাদা দাড়িওয়ালা সাতজন বৃদ্ধ। রাব্বি প্রত্যেকের সঙ্গে রিভকার পরিচয় করিয়ে দিলেন। শেষে বললেন:"এই সেই মেয়েটি যার জন্যে আমি এই সভা ডেকেছি। রিভকা, তুমি থ্যাংকসগিভিং সম্পর্কে আমাকে যা বলেছিলে তা এঁদেরও বলো।"
    রিভকার গলা শুকিয়ে কাঠ। সে কোনোমতে বলল:"রাব্বি, আমি ভীষণ দু:খিত আপনাকে অমন অভদ্র চিঠি লেখার জন্যে।"
    "হুমম... কখনো কখনো ন্যায্য কারণেই অভদ্র হতে হয়। এবার বলো দেখি থ্যাংকসগিভিং সম্পর্কে?"
    "অ্যাঁ... হ্যাঁ... এটা... ইয়ে এটা একট আমেরিকান উৎসব।"
    যদিও রিভকার পা দুটো কাঁপছিল তখনো, সে সোজা তাকলো সাতজনের দিকে।
    "এই উৎসব যে কোনো আমেরিকান পালন করতে পারে। কেননা এত সুন্দর একটি দেশে থাকতে পারছি আমরা - এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমি এখানেই জন্মেছি। কিন্তু আমার বাবা মা এসেছেন বুচাক (ইউক্রেনের একটি শহর) থেকে। রাব্বি, দিদিমার কাছে শুনেছি আপনিও বুচাক থেকে এসেছেন। আপনি নিশ্চয়ই জানেন ইহুদীদের কি ভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে বুচাকে। আমার মা যখন বারো বছরের এক কসাক মায়ের মাথায় আঘাত করে তাকে মেরে ফেলার জন্যে। কেন? মা ইহুদী, শুধুমাত্র এই কারণে। মা বেঁচে ওঠেন। কিন্তু বারো বছর বয়সের আগের কথা মার কিছুই মনে নেই। একেবারে কিছুই না।"
    রাব্বিরা দু:খিতভাবে একে অপরের দিকে তাকান। মাথা নাড়েন।
    " কিন্তু এখানে, আমেরিকাতে, আমাদের কোনো বিপদ নেই। ভগবান পিলগ্রিমদের প্রথম এখানে নিয়ে আসেন। তারপরে তিনি ইহুদীদের আনেন। তাই পিলগ্রিমদের মতন ইহুদীদেরও ভগবানকে ধন্যবাদ জানানো উচিত।"
    রাব্বি এবার জানতে চান "কিভাবে এই ধন্যবাদ জানানো হয়?"
    "আমি স্কুলে শুনেছি যে পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে প্রার্থনা করে, তারপরে তারা একসঙ্গে ভোজ খায়।"

  • Paramita | 63.82.71.141 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:০০404727
  • বাহ! (মায়ের কমেন্ট। মেয়ের কমেন্ট রাত্তিরে পাঠাবো, যখন তাকে পড়ে শোনাবো। এতো ঝরঝরে লিখেছো যে ইনট্যাক্ট পড়ে শোনানো যাবে। ধন্যবাদ - থ্যাংকিউ, দিদিমা - দিদা, পালন - সেলিব্রেট এইরকম দু চারটে সার্চ অ্যান্ড রিপ্লেস দিলেই সে দিব্যি বুঝে যাবে।)
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:০৩404738
  • এরপর কি হল? ধুমধাম করে থ্যাংকসগিভিং পালন হল। রাব্বি টেবিলের এক প্রান্তে বসে হিব্রু ভাষায় প্রার্থনা করলেন। তারপরে রিভকার দিকে তাকিয়ে বললেন: "ভগবানকে ধন্যবাদ... কখনো কখনো শিশুরাও আমাদের অনেক কিছু শেখাতে পারে।"
    আর দিদিমা রিভকাকে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বল্লেন: " ভগবানকে আমি ধন্যবাদ দিই আমাকে এমন বুদ্ধিমতী একটি নাতনি দেবার জন্যে।"

    শেষ।
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:০৬404566
  • অজদা, হ্যাঁ ঠিক বলেছ।

    পুনশ্চ: বুচাক মনে হয় ইউক্রেন না, পোল্যান্ডের শহর। কিম্বা দুইএর সীমান্তের শহর।
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:১০404577
  • পামিতাদি, অজদা তো বইটার নাম লিখে দিয়েছে। তোমাদের পাবলিক লাইব্রেরীতে খোঁজ করে আসল বইটাই মেঘকে পড়ে শুনিও। ছবি আর গল্প সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটা বই। মেঘের খুব ভালো লাগবে। আমি তো সংক্ষেপে লিখেছি। আসল গল্পে রিভকার এক ছোটো বোনও ছিল। সাম্পানকে যখন গল্পটা বলেছিলাম ওর সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লেগেছিল ঐ ছোট্টো বোনকেই। :-))
  • Arpan | 216.52.215.232 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:৪৮404588
  • বা:, চমৎকার। এইমাত্র নেটে খুঁজে ছবিও দেখে এলাম।
  • nyara | 67.88.241.3 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:৪৪404599
  • রিমি, খুব চমৎকার হয়েছে। আমার মেয়ে কি, আমিই তো গোগ্রাসে গিললাম। আরও হোক।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:৫৯404610
  • রিমি, আসল বই পড়ালে শটকে বাংলা শেখানো যাবে কি করে? রিলেট করতে পারে এমন গপ্পের সঙ্গে বাংলায় পরিচয় করাতে চাই।
  • Tim | 71.62.2.93 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০৭:২৬404621
  • রিমির গল্প বলার ধরণ চমৎকার। খুব ভালো লাগলো। এরকম গল্প আরো জমে উঠুক।
  • shrabani | 124.30.233.111 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১০:০৪404632
  • খুব সুন্দর রিমি।
    যদ্দিন অরিজিতের ছোটদের পাতা না বেরোয় এই থ্রেডটাই চলুক। আচ্ছা শুধু অনুবাদ কেন? যারা এমনি লিখতে পারে ছোটদের গপ্প তারাও লিখুক না!
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫৮404643
  • চমৎকার লেখা। খুব ভালো লেখা।

    শুধু "... ইউরোপীয়দের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্যে আমেরিকা ...." লাইনটা কেমন যেন লাগলো। বাচ্চাদের মনে কি যে গেঁথে যায়...
  • Blank | 203.99.212.224 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০৪404654
  • খুব সুন্দর আর ঝরঝরে একদম...
  • nyara | 64.105.168.210 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১১:১৫404660
  • ঘুমোতে যাবার সময়ে মেয়েকে গল্পটা পড়ে শোনালাম - একটু জল মেশাতে হয়েছে - মন্ত্রমুগ্‌ধ হয়ে শুনল। The proof of pudding is in eating.
  • h | 203.99.212.224 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৩১404662
  • গল্পটা রিমি একেবারে বাচ্চাদের বলার মত সুন্দর করে লিখেছে। ইন ফ্যাক্ট এটার কোন একটা ভার্সন আমি আজ বানিয়ে বানিয়ে আজ পুঁটিরে বলবো। এটুকু বলাই যায়, সৈকতের কল যদি বাবামায়েদের হাত থেকে ক্ষুদেদের জন্য এইরকম কিছু গল্প বেরোনোর কাজে লাগে তাহলে অ্যামেচার রাইটিং এর এজেন্ডা সফল। সিরিয়াস বড়দের লেখা লিখে আমরা মহার্ঘ কিস্যু করতে পারি নি।
    কিন্তু ঐ কিন্তুটা থেকেই যায়। আমেরিকা কে মুক্তিকামী অত্যাচারিত মানুষের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় হিসেবেই শুধু দেখলে সে দেশের ইতিহাসের যে ভার্সন টা তৈরী হয় সেটা খুব ই ভুল ভাল। রূপকথায় পোলিটিকাল কারেক্টনেস খোঁজাটা জেনেরালি বৃথা প্রচেষ্টা। পাল্টা রুপকথা বলে যে সব অনেক সময়ে তৈরী হয়েছে, সেগুলো ও খুব প্রশ্নাতীত কিসু না (যথা 'মে দিবস কলোনী', সিপাহী বিদ্রোহের দলিত রূপকথা, জাপানী রুপকথার বিংশশতকীয় বিবর্তন ইত্যাদি)। কিন্তু মুশকিল হল আমেরিকা এবং অর্থডক্স ইহুদী ধর্মের ক্ষেত্রে রূপকথার (আরো বেশি লোককথার) যে বিরাট পোলিটিকাল ব্যবহার হয়েছে এবং অত্যন্ত জীবন্ত ভাবে হয়ে চলেছে সেটাতে যে অনেকেরি প্রাণ ওষ্ঠাগত গোটা পৃথিবীতেই এটা মনে হয় অন্তত লিবেরাল বাবা মায়েরা মাথায় রাখতে পারেন। গ্রাফিক নভেলে আর্বান রূপকথা তৈরীর চেষ্টা ও শুরু হয়েছিল আমেরিকাতেই আমাদের পক্ষে অবশ্য এইটা কম আশার কথা কিসু নয়। তবে সেগুলো অধিকাংশ ই শিশুপাঠ্য খুব ছিল না। কিশোর পাঠ্য ছিল।
    আমার কাছে এই গল্পটায় পুঁচকে টাকে যে ইহুদী কনজার্ভেটিভ মডার্নাইজার দের ভয়েস কনভে করতে ব্যবহার করা হল এইটা স্ট্রাকচারের দিক থেকে খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে। আলাদা ফাইন প্রিন্টে ন্যারেটর লাগে নি।
  • h | 203.99.212.224 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৩৫404663
  • আরেকটা জিনিস মনে হল, দেশটার অল্প বয়স, মিথ গুলো র বয়স এখনো একশো ও নয়। ইমিগ্রেশন এর বয়সের মত। এই টা ফ্যান্টাসটিক। লর্ড অফ দ্য রিংস, ইউরোপীয় মেডিয়েভাল রুপকল্প ব্যবহার করেছিল কিন্তু এইটা ডেফিনিটলি অনেক বেশি জীবন্ত।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১২:১৩404664
  • হাত মকশো করলাম - প্রথম ট্রাই, কাজেই ছড়িয়েছি বল্লে কম বলা হবে।

    Beatrix Potter-এর পিটার র‌্যাবিট বিলেতে বাচ্চাদের খুব পছন্দ। তো সেই একটা গল্প - অবভিয়াসলি ছবিগুলো না হলে অর্ধেক মজাই মাটি -

    ***************************************

    পিটার নামের এক খরগোশ

    অনেকদিন আগে, এক নদীর ধারে একটা বিরাট ফার গাছের নীচে গর্তের মধ্যে থাকতো চারটে খরগোশ আর তাদের মা। খরগোশগুলোর নাম ছিলো ফ্লপসি, মপসি, তুলতুলি আর পিটার।

    একদিন সকালে মা খরগোশ বললো - "সোনাইরা, যাও তোমরা মাঠে খেলতে যাও। কিন্তু মনে রাখবে - ওই মিস্টার ম্যাকের বাগানে কিন্তু একদম যাবে না। তোমাদের বাবাকে ধরে মিসেস ম্যাক একটা পাই-এর মধ্যে ভরে দিয়েছিলেন'।

    "যাও, দৌড়ে মাঠে চলে যাও, একদম দুষ্টুমি করবে না, আমি একটু বাইরে যাচ্ছি।'

    মিসেস খরগোশ তখন একটা ঝুড়ি নিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে বনের মধ্যে দিয়ে গেলেন রুটিওয়ালার কাছে। রুটিওয়ালা র্কাছ থেকে একটা বড় রুটি আর পাঁচটা মিষ্টি ডোনাট কিনলেন।

    ফ্লপসি, মপসি আর তুলতুলি লক্ষ্মী খরগোশের মতন বাগানে গেলো ব্ল্যাকবেরি তুলতে। কিন্তু পিটার দুষ্টুমি করে সো-ও-ও-জা দৌড়ে গেলো মিস্টার ম্যাকের বাগানের কাছে আর বাগানের গেটের নীচে যে ছোট্ট একটা ফাঁক ছিলো - সেটা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লো।

    বাগানের ভিতর ঢুকে পিটার মজাসে খেতে শুরু করলো - আগে কিছু লেটুস পাতা, তারপর ফ্রেঞ্চ বীন আর তারপর বেশকিছু মূলো। অত খেয়ে যখন পিটারের একটু একটু পেট ব্যথা করলো, তখন সে কিছু পার্সলি-র খোঁজে গেলো।

    কিন্তু - যেই না পিটার শসাক্ষেতের পাশ দিয়ে ঘুরেছে, অমনি দ্যাখে সামনে মিস্টার ম্যাক। মিস্টার ম্যাক তখন চার হাতপায়ে হামাগুড়ি দিয়ে বাঁধাকপির বীজ লাগাচ্ছিলেন - পিটারকে দেখেই একটা আঁকশি নিয়ে তাড়া করলেন - "চোর, চোর, ধর ধর।'

    বেজায় ভয় পেয়ে পিটার দৌড়ে পালাতে গিয়ে দ্যাখে যে বাগানের মধ্যে সে হারিয়ে গেছে। দৌড় দৌড় দৌড় - গেটের খোঁজে, কিন্তু কোথায় গেট? কপির ক্ষেতে পিটারের একটা জুতো আটকে রইলো, আরেকটা জুতো হারিয়ে গেলো আলুর ক্ষেতে। জুতো ফেলে চার পায়ে আরো জোড়ে দৌড়তে দৌড়তে পিটার হঠাৎ পড়লো গিয়ে একটা ফলের ঝোপে - আর তক্ষুণি পিটারের নতুন নীল জ্যাকেটের বোতামগুলো সেই ঝোপে আটকে গেলো।

    পিটার ওপর নীচে ডানদিকে বাঁদিকে অনেকবার চেষ্টা করলো নিজেকে ছাড়াতে - না পেরে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। সেই কান্না শুনে কয়েকটা চড়াইপাখি পিটারের কাছে উড়ে এসে বললো আরো জোরে জ্যাকেটটা ছাড়ানোর চেষ্টা করতে।

    ওদিকে মিস্টার ম্যাক একটা চালনি নিয়ে পিটারকে ধরতে এসেছিলেন - পিটার ঠিক সময়ে ঝোপ থেকে নিজে ছাড়িয়ে নিলো - ঝোপে আটকে রইলো ওর নীল জ্যাকেট। এক দৌড়ে পিটার একটা দালানের কাছে গিয়ে একটা বলাতির মধ্যে লাফ দিলো - লুকোবে বলে। লুকনোর জায়গা তো ভালোই ছিলো, কিন্তু মুশকিল হল - সেই বালতিতে ছিলো অনেকটা জল।

    মিস্টার ম্যাক দালানের আশেপাশে পিটারকে খুঁজছিলেন - ভাবছিলেন পিটার হয়তো ফুলের টবগুলোর নীচে লুকিয়ে আছে। সেই ভেবে তিনি তো একটা একটা করে টব উল্টে দেখতে লাগলেন। আর তক্ষুণি - বালতির মধ্যে থেকে "হ্যাঁচ্চো' - আর অমনি মিস্টার ম্যাক আবার দৌড়লেন পিটারের পিছনে।

    মিস্টার ম্যাক ভাবছিলেন পা দিয়ে পিটারকে চেপে ধরবেন - কিন্তু পিটার তিনটে ফুলে র্টব উল্টে জানলা গলে বাইরে পালিয়ে গেলো। দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে মিস্টার ম্যাক আবার নিজের কাজ করতে চলে গেলেন। পিটারও বেজায় ক্লান্ত হয়ে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বসে পড়লো পথের ধারে। জলে ভিজে গিয়ে ঠাণ্ডাও লাগছিলো।

    একটু পরে সে ইতি উতি ঘুরতে শুরু করলো - টিপি টিপি - খুব আস্তে আস্তে - এদিক ওদিক তাকিয়ে। এক দেওয়ালের গায়ে সে দেখে একটা দরজা - কিন্তু সেখান দিয়ে একটা বেঁটে মোটা খরগোশের গলে যাবার জায়গা নেই। একটা বুড়ো ইঁদুর কিছু মটর আর বীন মুখে করে নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে আসছিলো - পিটার তাকে গিয়ে জিগ্গেস করলো বাগানের গেটটা কোনদিকে। ইঁদুরটার মুখে তো খাবার ছিলো - তাই সে কিছু না বলে মাথা ঝাঁকালো - আর পিটার ভয়ে কেঁদে ফেললো।

    তারপর তো পিটার এদিকে যায় - ওদিকে যায় - বাগান থেকে বেরনোর রাস্তা খোঁজে - কিন্তু খুঁজে আর পায় না। মিস্টার ম্যাক যে পুকুর থেকে জল আনতেন সেখানে পৌঁছে পিটার দ্যাখে একটা ধবধবে সাদা ইয়াব্বড় ন্যাজের বিড়াল চুপটি করে বসে সোনালী মাছ দেখছে আর তার ন্যাজটা মাঝে মাঝে টিপ টিপ করে নড়ছে। পিটার ওর মাসতুতো ভাইয়ের কাছে বিড়ালের কথা শুনেছিলো - তাই কিচ্ছুটি না বলে সে ওখান থেকে সরে এলো।

    ঘুরতে ঘুরতে পিটার আবার সেই দালানের কাছে পৌঁছে শোনে কি - কোথায় যেন একটা আওয়াজ হচ্ছে - খস্‌ খস্‌ করে। এই ঝোপে নীচ দিয়ে সেই ঝোপের পাশ দিয়ে গিয়ে একটা ঠেলাগাড়ির ওপর উঠে পিটার দ্যাখে সামনের মাঠে মিস্টার ম্যাক পেঁয়াজ গাছের শুকনো পাতা কাটছেন, আর পেঁয়াজ ক্ষেতের পিছনে মাঠের পাশেই বাগানের গেট। চুপি চুপি ঠেলাগাড়ি থেকে নেমে ফলের ঝোপের পাশ দিয়ে পিটার ছুট ছুট ছুট - মিস্টার ম্যাক যতক্ষণে পিটারকে দেখতে পেলেন, ততক্ষণে পিটার গেটের নীচ দিয়ে গলে বাইরের বনের মধ্যে ঢুকে গেছে।

    পিটারের নীল জ্যাকেট আর জুতোজোড়াকে মিস্টার ম্যাক একটা লাঠিতে ঝুলিয়ে রাখলেন পাখি তাড়ানোর জন্যে।

    পিটার ওদিকে কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা সেই নদীর ধারের বিরাট ফার গাছের গর্তের মধ্যে গিয়ে ঢুকলো - আর তখন ও এতই ক্লান্ত যে বিছানায় শুয়ে তক্ষুণি ঘুমিয়ে পড়লো। মিসেস খরগোশ রান্না করছিলেন - ভাবলেন পিটার কোথায় আবার ওর জামা-জুতো ফেলে এলো...দু হপ্তার মধ্য ঈই নিএ দুবার নতুন জামা আর জুতো হারালো...

    সেই রাতে পিটারের খুব জ্বর হল। মিসেস খরগোশ একটা বিচ্ছিরি তেঁতো ওষুধ তৈরী করে পিটারকে খাওয়ালেন - "ঘুমনোর আগে এক চামচ'। ফ্লপসি, মপসি আর তুলতুলি সেদিন রাতে বাটি-ভার দুধ, রুটি আর ব্ল্যাকবেরি জ্যাম খেলো পেট ভরে।
  • shrabani | 124.30.233.111 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০০404665
  • অরিজিত ভাল হয়েছে। মজা লাগছে পড়তে, ভাটে বকবক না করে আরো লিখে ফেল পিটারকে নিয়ে!
  • Blank | 203.99.212.224 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩১404666
  • এর সাথে ছবি দিলে খুব জমবে। অরিজিত দা লিখেছে পুরো ছবির জন্য প্যারাগ্রাফ ভেঙে ভেঙে। কিন্তু ফার গাছ, পাই, পার্সলে পাতা .. এগুলো পাল্টে অন্যকিছু বসালে হয়
  • Paramita | 216.10.193.21 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৩404667
  • এই গপ্পোটার অ্যামেরিকান ভার্শান পড়েছি মেয়ের বইতে। শেষটা অন্যরকম ছিল। ছবিগুলো ভারি সুন্দর ছিল।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৮404668
  • http://wiredforbooks.org/kids.htm - এখানে Beatrix Potter সেকশনের প্রথম গল্প এটা - ওইভাবেই ভাঙা আছে। আমি দু একটা নাম পাল্টেছি - যেমন কটন-টেইল - তুলতুলি। কিন্তু সবকিছুর বাংলা ইক্যুইভ্যালেন্ট মনে পড়লো না। ব্ল্যাকবেরিটা ফলসা হতে পারে যদিও।
  • san | 12.144.134.2 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪১404670
  • লুজলি কাপলড ইন্ডিপেন্ডেন্ট মডেল???
  • san | 12.144.134.2 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪১404669
  • খরগোশের গল্প আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। আর অত সবেতে ব্ল্যাকবেরি থেকে ফলসা করার কিই বা দরকার? আমরা সোভিয়েত রূপকথায় যখন অচেনা অচেনা খাবারের নাম পেতাম,বেশ ভালোই লাগতো পড়তে। একটু অন্য দেশের নাম, অন্য দেশের খাবারদাবার পড়তে পড়তে কত্তরকম কল্পনা করা যায় :-)
  • Paramita | 64.105.168.210 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫২404671
  • হ্যাঁ হ্যাঁ কটন টেল। আমি অ্যাকচুয়ালি নিজের সুবিধার জন্যই ফলসা-টলসা চাই না। ইন ফ্যাক্ট দু-চারটে ইংরেজি শব্দ ঢোকানোর ব্যাপারে লেখকেরা লিবারাল থাকলে আমার বেশ ভাল্লাগবে।
  • siki | 203.122.26.2 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৩৪404673
  • একঘর উইথ অ্যাটাচ বাথ!

    আর ইংরেজি শব্দগুলো এক্কেবারে ঠিক আছে। নইলে বুঝব কী করে বিদেশী গল্প শুনছি? সামোভার না বলে কেটলি বললে রুশ গল্প জমত? :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন