এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ছোটদের জন্য অনুবাদ

    Paramita
    বইপত্তর | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ | ১৪৩৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০১:২৭404707
  • বাইনারি দারুণ!! এটাও সাম্পানকে বলব। :-))

    অজদা, স্টেললুনার গপ্পটা শেষ করো??
  • aja | 207.47.98.129 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:০৭404708
  • তখন স্টেলালুনা আর তার মা চটপট ডানায় মুখ মুছে বেরিয়ে পড়ে কলাবাগানের খোঁজে। যেতে যেতে স্টেলালুনা অনুযোগ করে

    - কি অন্ধকার মা, কিছু যে দেখতে পাচ্ছিনা। এই দ্যাখ ওড়ার রাস্তায় কতগুলো আম গাছের ডাল ঝুলে রয়েছে।

    মেয়ের কথা শুনে রাগ হয় স্টেলালুনার মায়ের

    - তুমি আবার চোখে দেখে ওড়ার চেষ্টা করছ স্টেলি। বলেছি না, বাদুড়েরা কানে শুনে ওড়ে।

    মায়ের কথা শুনে কানে শুনে ওড়ার চেষ্টা করে স্টেলালুনা। কিন্তু খানিক বাদে বাদেই দৃষ্টি চলে যায় মেঘের দিকে, তারার দিকে, দাওয়ায় বসে গল্প করা মানুষদের দিকে। একটুখানির জন্য গাছের ডালে ধাক্কা খেতে খেতে বেঁচে যায় স্টেলালুনা, আর আবার চেষ্টা করতে থাকে কানে শুনে ওড়ার। মা মেয়ের ডানার শব্দে ঠিক বোঝে মেয়ে আবার বিপদ থেকে রক্ষা পেল। নিজের মনেই বলে ওঠে মা - বড্ড বাচ্চা, বড্ড বাচ্চা।

    আমবাগানের ঠিক বাইরে হালদারদের চকমেলানো পুরনো বাড়ী। সেই বাড়ীর আলসেতে বাসা বেঁধে থাকে পেঁচা আর পেঁচানী ভুতুম-ভুতুমী। তাদের গায়ের রঙ ঝুল কালো, আর হলুদ রঙের বড় বড় চোখ। অন্ধকারে দেখলে ভয় হয়, বাবারে। সন্ধেবেলা ভুতুমেরাও শিকার ধরতে বেরোয়। হালদারদের চিলেকোঠায় অনেক নেংটি ইঁদুরের বাস। তুলসীতলায় শাখ বেজে গেলে ভুতুম-ভুতুমী চিলেকোঠায় ঢোকে ভাঙ্গা জানালা দিয়ে। আর বেদীতে জ্বালিয়ে দেওয়া ধুপের গন্ধ ভাল করে ছড়িয়ে পড়ার আগেই দু'জনে একটি একটি নেংটি লেজে ধরে নিয়ে কার্ণিসে এসে বসে। রাত্রির খাবার খেতে খেতে গল্প করে

    - ভুত-ভুতুম, ভুত্‌।

    - তুই থুলী, মুই থুলী, মুই।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:২১404709
  • না তো - এই স্যানের বলা ছাগলের কবিতা এই ধোলাই রামের বইটাতে নেই। এই বইটা আমার আছে।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৫০404710
  • ধোলাই রামের বইটা সুধু ধোলাই রামের। স্যানের কবিতাটা অন্য বইতে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:০৩404711
  • ঠিক। একটা বাড়িতে বাঁধানো বই আছে আমার চোটবেলার - যার মধ্যে এই ইন্ডিভিজুয়াল বইগুলো রয়েছে। ধোলাই রাম, আজিজ (সেই যে একটা ভেড়ার ছানাকে পালবে), একটা বাচ্চা মুরগী যে ডিম থেকে বেরিয়ে সূর্য ধরতে ছুটবে আর একটা কুকুরের সাথে দোস্তি করবে...
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৩৮404712
  • কারোক্কাছে পামিতাদির বলা পেনসিল আর সর্বকর্মা নাকি যেন ঐ বইটা আছে? আমি পড়তে চাই।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৪১404713
  • হুঁ, আছে। ওটা মনে হয় আমাদের জেনারেশনের সবার কাছেই আছে।
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫৬404714
  • ঠিক আছে, আমি যখন কোলকাতা যাবো, তখন একদিন দেখা করে ওখানেই বসে, পড়ে, ওখানেই ফেরত দিয়ে দেব। চলবে?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০০404715
  • হুঁ।
  • Arpan | 208.57.131.4 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০১404717
  • সর্বকর্মা আমিও পড়িনি। স্ক্যান করে দিতে পারবে?
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০২404718
  • প্রিভিলেজড জেনারেশন কেমন করে আন্ডার প্রিভিলেজডের দিকে ছোট্টো করে "হুঁ" বলে দেকো। ;-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০৭404720
  • যদি কোথাও একটু সেটল করতে পারি তখন স্ক্যান করে তুলে দিতে পারবো।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০৭404719
  • স্ক্যান করা ব্যথা আছে - প্রিন্টার/স্ক্যানার বাক্স থেকে বেরোয়নি অন্য কিছু কারণে।
  • Arpan | 208.57.131.4 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:১৫404721
  • আপিসে স্ক্যানার নাই?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:১৮404723
  • জানি না। দেখিনি তো।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:১৮404722
  • আমার কোনো বই-ই নেই, মানে দেশে গেলে, খুঁজলে হয়তো ...... তবে অনেকটা 'মাথাতেই সামলে রেখো/স্ম্‌তি আর গানের কথা/বিপদে পড়বে না আর আসলে ঝোড়ো অস্থিরতা'।
  • Sudipta | 122.169.158.54 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৪404724
  • ছোটোদের একটা রূপকথার বই সাজেস্ট করছি, ছোটোবেলায় পড়েছিলাম, খুব ভালো লেগেছিল। মানসী বড়ুয়ার সাগরপারের রূপকথা ; প্রথম গল্পটা ছিল বোধ হয় বালিবুড়ো; শিশু সাহিত্য বোধ হয় সবচেয়ে কঠিণ; তাতে এতজন অংশ নিয়ে আগ্রহভরে লিখছেন দেখে খুব ভালো লাগল; আরো লিখুন সবাই।
  • s | 141.80.168.31 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৩৭404725
  • ব্রাদার গ্রিমস কি বাংলায় পুরোপুরি অনুবাদ করা হয়েছে? না হলে এই কাজটা কেউ আণ্ডারটেক করতে পারেন।
  • siki | 219.64.11.35 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৪১404728
  • গ্রিমভাইদের উপকথা আমি পড়েছি ছোটবেলায়।
  • Blank | 203.99.212.224 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৪১404726
  • আমি ছোট বেলায় 'গ্রীম ভাই দের রুপকথা' পড়েছি, তুলি কলমের
  • kali | 76.114.76.159 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ২২:০০404729
  • গ্রীম ভাইদের রূপকথা অনেক গুলো ভার্শনই আছে। তনে অনেক গল্প আবার অনুবাদ হয়ওনি।সেগুলোর থেকে আমি কিছু অনুবাদ করবো ইচ্ছে আছে। অরিজিত, রিমি, অজদা, বাইনারী, আর যাঁদের ইচ্ছে তাঁরাও করুন না।

    আর দেশে গেলে আমি অরিজিতের থেকে ঐ সব রাশিয়ান বই গুলো জেরক্স করে আনবো। আমাকেও 'হুঁ' বলে পারমিশন দাও অরিজিৎ।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৮ নভেম্বর ২০০৮ ০১:২৪404730
  • আরেকটা, 'গল্প আর ছবি'। সেই রাশান বই-টার।

    ডিম ফুটে বেরোলো হাঁসের ছানা, বললে 'বেড়িয়ে এসেছি !!!'
    'আমিও !!' বললে মুরগীর ছানা।
    (ছবি, ডিম থেকে বেরুচ্ছে গোলাপী হাঁসের ছানা, ডিম ফুটে বেরুচ্ছে হলদে মুরগীর ছানা-ও, মাথায় ডিমের খোসা)

    'একটু বেড়াতে যাই রে' বললে হাঁসের ছানা।
    'আমিও !!' বললে মুরগীর ছানা।
    (ছবি, হাঁসের ছানা চলেছে, পিছু পিছু মুরগীর ছানা-ও)

    'মাটি খুঁড়ছি রে !!!' বললে হাঁসের ছানা।
    'আমিও !!' বললে মুরগীর ছানা।
    (ছবি হাঁসের ছানা মাটি খুঁড়ছে, মুরগীর ছানা-ও চেষ্টা কচ্ছে কিন্তু পারছে না)

    'পোকা পেয়েছি রে'বললে হাঁসের ছানা।
    'আমিও !!' বললে মুরগীর ছানা।
    (ছবি, হাঁসের ছানা মাটি থেকে ঠোঁটে করে একটা লাল কেঁচো তুলছে, মুরগীর ছানা সেটাই অন্যদিক ঠোঁটে ধরে আছে)

    'ফড়িং ধরেছি' বললে হাঁসের ছানা।
    'আমিও !!' বললে মুরগীর ছানা।
    (ছবি, সবুজ বাগান, হাঁসের ছানা ঠোঁতে একটা ফড়িং ধরেছে, মুরগীর ছানা সেটার-ই আরেকটা পাখা ধরে আছে)

    'একটু সাঁতার দিই গিয়ে' বললে হাঁসের ছানা।
    'আমিও !!' বললে মুরগীর ছানা।
    (ছবি হাঁসের ছানা জলে নামছে, পেছনে মুরগীর ছানা)

    'চললাম সাঁতরে !!!!! ' বললে হাঁসের ছানা।
    'আমিও !!' বললে মুরগীর ছানা।

    'বাঁচাও 'বাঁচাও 'বাঁচাও !!!'
    (ছবি মুরগীর ছানা ডুবে যাচ্ছে, জলে)

    (ছবি, মুরগীর ছানাকে ঝুঁটি ধরে টেনে তুলছে, হাঁসের ছানা)

    'ফের চললাম জলে !!!!' :-))))) বললে হাঁসের ছানা।
    (ছবি, হাঁসের ছানা সাঁতরে যাচ্ছে জলে, মুরগীর ছানা ডাঙ্গায় ভ্যাবাচাকা, ভিজে, জল ঝরছে গা দিয়ে)
    'আমি বাপু যাচ্ছিনা !!' বললে মুরগীর ছানা :-((((((
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৮ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:৩৯404732
  • অজদা কি স্টেলালুনার গপ্পটা শেষ করবে না? আজ তো ছুটি ছিল?
  • aja | 71.106.244.161 | ২৮ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:১১404733
  • আসতে যেতে ভূতুম-ভূতুমীর সাথে দেখা হয় স্টেলা আর তার মায়ের। এমনিতে বাদুড়ানীর চোখ তাকিয়ে দেখার কথা নয়। তবু এইখানটায় কানের উপর নির্ভর ছেড়ে চোখ চায় মা। ঐ গাঢ় হলুদ চোখের দিকে তাকালে বড্ড ভয়-ভয় করে মায়ের - কি দুশমনের মত চেহারা বাপু। কিন্তু স্টেলালুনার ভয়ডর নেই। সে কার্ণিসের পাশ ঘেঁষে উড়তে উড়তে বলে - পেন্নাম হই গো জ্যেঠু, জ্যেঠান। সে শুনে ভূতুম-ভূতুমী চোখ তুলে চায়। যেদিন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে সেদিন শুধু এক ঝলক তাকিয়েই নজর সরিয়ে নেয়। অন্যদিনে গলার মধ্যে ঘূৎ-ঘূতুম আওয়াজ করে জানান দেয় বাচ্চা বাদুড়ের কথা তাদের কানে গেছে। সে সব দিনে মা স্টেলালুনাকে বলে

    - তোর ভারী দু:সাহস স্টেলি। একটু ভয়ডর থাকলে এমন কি ক্ষতি হয় শুনি?

    স্টেলি ফিচেল হাসি হাসে, কিন্তু কিছু বলে না।

    হালদারদের বড় ছেলে অনেক বছর বাদে এবার লম্বা ছুটি নিয়ে দেশে ফিরেছে। সাথে তার টুকটুকে বউ, দুটি রাজকন্যার মত রূপসী মেয়ে আর গাড়ী ভর্তি করে পাড়ার জন্য সওগাত। রাজকন্যাদের হালদার বাড়ীতে খুব আদর। বুড়ো হালদার সকাল বেলা পাড়া বেড়াতে বেরোয় ছোট কন্যাকে কোলে নিয়ে, বড় কন্যের হাত ধরে। রাস্তায় যত লোকের সাথে দেখা হয় সব্বাইকে শুনতে হয় নাতনীদের কত বুদ্ধি। তারপর কথা দিতে হয় বিকেলে তারা জল খেতে আর সওগাত নিতে হালদারবাড়ীতে উপস্থিত হবে। পাড়া বেরিয়ে ফিরে নাতনীরা কোনমতে নাকেমুখে দুটি গুঁজে অভিযানে বেরোয়। রাস্তায় ক'দিন বাবা-মার চোখের আড়াল হবার সুযোগ হয়নি। সকাল থেকে দাদু। এই এখন একটু নিজেদের মত খেলা করার সুযোগ হল।

    এঘর ওঘর ঘুরতে ঘুরতে দুই কন্যা চিলেকোঠা আবিষ্কার করে। কিন্তু চিলেকোঠার দরজায় মস্ত তালা। দাদুকে হুকুম হয় তালা খোলার। দাদুর চাকরকে বলে দেন নাতনিদের খেলার জন্য চিলেকোঠা পরিষ্কার করে দিতে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৮ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:২৭404734
  • "খেলি আমরা খেলি সবাই মিলে
    দেখি কোন এক গোমড়ামুখো ছেলে
    নামটা ভোভা মুখটা হাঁড়িপানা
    ঠিক যেন এক রামগরুড়ের ছানা।

    বাগানখানা খেলায় একাকার
    ভোভা কিন্তু মুখ করেছে ভার
    ভাব করতে চায় না কারো সাথে
    হাত এগিয়ে দেয় না কারো হাতে।

    দূরেই বসি আমরা দলবল
    দিই এগিয়ে রঙচঙা ফুটবল
    ছোঁয়া না সে বল, গোমড়াপানা ঠোঁটে
    এই সেরেছে কেঁদেই বুঝি ওঠে।

    ভাবনা হল, ভাবতে বসি সব
    ভেবে ভেবে বেরুলো মতলব
    মুখের ভাবটা ভোভার মতই করবো
    ভুরু কুঁচকে গোমড়া মুখে ঘুরবো।

    সেই থেকে সব বাইরে বেরোই যেই
    গোমড়া মুখে কথাটি আর নেই,
    এমনকি যে ছোট্ট লুব্যা ওই
    বয়সটি তার মোটে বছর দুই
    ঠোঁট ফুলিয়ে গাল ফুলিয়ে
    নাকটি করে বোঁচা
    মুখ করলে ঠিক যেন এক পেঁচা।'

    তারপর আর মনে নেই। ভোভা ইতিউতি তাকিয়ে দেখবে সবার দিকে - "ভাবে ভোভা উঠি একবার চটে' - কিন্তু শেষমেষ হো হো করে হাসতে শুরু করে - "বলিস কি রে, অমনি আমার মুখ?'

    এখন ওকে চিনে ওঠাই দায়
    একসঙ্গে বসি বেঞ্চিটায়...
  • bb | 117.195.160.130 | ২৯ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৩৩404735
  • Binary কে ধন্যবাদ ছোটবেলার ঐ চমৎকার বইটার আর অসাধারণ গল্পগুলির স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য। ছবিগুলো ছিলো জীবন্ত।
  • arjo | 24.214.28.245 | ৩০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৩৫404736
  • রবাহুত, আপনার মেইল আইডি পাওয়া যাবে। একটু দরকার ছিল। আমার মেইল আইডি arjobhatta অ্যাট জিমেল। এখানে দিতে অসুবিধা হলে সরাসরি ইমেল করতে পারেন।
  • eeee | 59.93.197.118 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৫:১২404737
  • আর গল্প কোথায় ?
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৮ ২০:৩৫404739
  • ভূতেদের হয়ে একটা ভালোমানুষ ভূতের গপ্পো লিখে দিলাম। হান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের লেখা। সত্যি গল্প নয়, কিন্তু "আরো সত্যি"। :-))

    এক যে ছিল মুদী। মুদীর বাড়ীতেই ছিল দোকান। দোকান ভর্তি অনেক বাক্স প্যাঁটরা, সেসবের মধ্যে রকমারী জিনিষ। কিন্তু একটা বাক্স ছিল খালি। আসলে ওটা খালি ছিল না কিন্তু। ওর মধ্যে থাকত এক ছোট্টো গবলিন (ভুত)। বলাই বাহুল্য যে তাকে কেউ দেখতে পেত না। তাই সবাই ভাবত বাক্সটা খালি। মুদী কিন্তু জানত যে ওটায় একটা গবলিন থাকে। কেমন করে মুদী টের পেল কে জানে? কিন্তু রোজ রাতে সে প্লেটে করে বড়সড় একদলা মাখন রেখে দিত গবলিনের জন্যে। দোকান বন্ধ করে চলে মুদী চলে যাওয়ার পরে গবলিন বাক্স থেকে বেরিয়ে এসে চমৎকার সেই সুস্বাদু মাখন খেত, আর ভাবত - আহা পৃথিবীটা বড়ই সুন্দর! এখানে আরামদায়ক প্যাকিং বাক্স আছে, এমন মাখনও আছে, আর সবচেয়ে বড় কথা, মুদীর মতন দয়ালু মানুষও আছে!

    গবলিনের জীবন এমনি করেই দিব্বি কেটে যাচ্ছিল। বাক্স, মাখন আর দয়ালু মুদীকে নিয়ে গবলিন এতই সন্তুষ্ট আর সুখী ছিল যে এর বাইরে সে কিছু ভাবেই নি কোনোদিন। কিন্তু একদিন এক অদ্ভুত ব্যপার হল। মুদীর দোকানে মাখন কিনতে এল এক ছাত্র। ছাত্রটি ভারী গরীব। মুদীরই বাড়ির চিলেকোঠার ছোট্টো ভাঙা ঘরটিতে সে থাকত। সেদিন ছাত্রটি এসে মাখন চাইল। মাখন শুনেই গবলিনের কান খাড়া। সে তার বাক্সর মধ্যে থেকে উঁকি মারল তক্ষুণি। মুদী একটা হলদে হয়ে আসা খুব পুরোনো বইএর পাতা ছিঁড়ে তাই দিয়ে মাখনটা মুড়ে ছাত্রের হাতে দিল। অদ্ভুত ব্যপার! ছাত্রটি মাখন হাতে নিয়ে পুরোনো বইএর পাতাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে লাগল। তারপরে সে মুদীকে মাখন ফিরিয়ে দিয়ে বলল "আমি মাখন চাই না। এই পয়সা নিয়ে তুমি বইটা আমাকে দাও।"

    মুদী তো অবাক। গবলিন আরো অবাক! মাখন ফেলে পুরোনো ছেঁড়া বই? ছাত্রটি কোনোদিকে না তাকিয়ে পয়সাটা মুদীর হাতে দিয়ে বই খানা নিয়ে সোজা চলে গেল চিলেকোঠায়। মুদী গোল গোল চোখ করে বলল - "বেচারা! নির্ঘাৎ পাগল হয়ে গেছে!" একটা বড় সড় নি:শ্বাস ফেলে মুদী ফের মাখন ওজন করতে বসল। গবলিন কিন্তু ব্যপারটা ভুলতে পারল না। একটা বই মুদীর মাখনের থেকেও বেশী লোভনীয়? এ কেমন করে সম্ভব?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন