এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • তালে-বেতালে

    b
    গান | ১৭ এপ্রিল ২০০৯ | ৫৮৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam | 203.199.104.216 | ২৭ এপ্রিল ২০০৯ ১২:১৬412408
  • নবপঞ্চতালের মাত্রাভাগটা গাব্বু করেছি - হবে ২ ৪ ৪ ৪ ৪
    ঐ তালে তাঁর একটিমাত্র গান আছে -জননী তোমার করুণচরণখানি

    আর আদিতালের বোল মৃদঙ্গমে এরকম তা কা দি মি তা কা জ নু (৮ মাত্রা)
    কাজেই উত্তর ভারতীয় কাহারবা তাল বাজানো যেতেই পারে ,তবে ওঁদের হাতে তাল দেবার রীতি আলাদা .
    পার্সলে আর ধনেপাতার পার্থক্য-র চেয়ে অবশ্য কম
  • r | 125.18.104.1 | ২৭ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:১৪412409
  • ষষ্ঠীতে "প্রথম আদি তব শক্তি"।

    আমিও বলব ভাবছিলাম- রবীন্দ্রনাথ দুটোর থেকে বেশি তাল তৈরি করেছেন। কিন্তু বে থে এত কনফি নিয়ে লিখছিল।
  • Samik | 122.160.41.29 | ২৭ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৫৪412411
  • এখানে সমস্ত তথ্য আছে। ছটি রাবীন্দ্রিক তাল। উদাহরণসহ।

    http://www.abasar.net/gaanrabi_Taal.htm
  • Samik | 122.160.41.29 | ২৭ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৫৬412412
  • তবে এই ডকুতে লাস্টে একটা ভুল ফান্ডা আছে।

    রজনীকান্তের "কবে তৃষিত এ মরু ছাড়িয়া যাইব' মোটেই রূপকড়া নয়। ওটি বিলম্বিত একতাল। বারো মাত্রা।
  • Arindam | 203.199.104.206 | ২৭ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:৫৬412413
  • #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৫৪;#২৫০৭;#২৫২৭;#২৪৯৪;#২৪৬০; #২৪৪৭;#২৪৭৬;#২৪৩৪; #২৪৬৮;#২৪৭৬;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৪৭২; #২৪৮৬;#২৫০৪;#২৪৮২;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৬৮;#২৪৭৫;#২৪৯৪;#২৪৬৮; #২৪৫৯;#২৪৯৪;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৪;#২৪৫১; #২৪৩৮;#২৪৮৮;#২৪৮২; #২৪৫৫;#২৪৮০;#২৪৭৮;#২৪৯৫;#২৪৮২; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৫২৭;#২৫০৭;#২৪৫৫;#২৫০৩; ।
    #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৫৪;#২৫০৭;#২৫২৭;#২৪৯৪;#২৪৬০; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৬০;#২৫০৩; #২৪৭১;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৭;#২৪৭৪;#২৪৭০; #২৪৭১;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৬০;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৪৯৬;#২৫২৭; #২৪৫৫;#২৪৭৮;#২৫০৯;#২৪৭৭;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৫৫;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৭২; #২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৫৩;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৭৬;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৫২৭; #২৪৭২;#২৪৯৪; ,#২৪৮৮;#২৪৯৪;#২৪৭১;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৬৭;#২৪৬৮; #২৪৫৮;#২৫০৮;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; (#২৫৩৫;#২৫৩৬; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪; ) #২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৪; #২৪৫৮;#২৫০৮;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; (#২৫৩৫;#২৫৩৮; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪; ) #২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৭৬;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৫২৭;,#২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৩;#২৪৯৭; #২৪৫৮;#২৪৬২;#২৫০৯;#২৪৫৮;#২৪৮২; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৫৩;#২৪৯৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৫৫;#২৪৯৪;#২৪৭২; #২৪৮৯;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৬০;#২৫০৭;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৪৯৭;#২৪৮২;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; #২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৪৮৮;#২৪৯৭;#২৪৮০;#২৪৭৫;#২৪৯৪;#২৪৩৩;#২৪৫৩;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; (#২৫৩৮;-#২৫৩৬;-#২৫৩৮;) ।

    #২৪৫৪;#২৫০৩;#২৫২৭;#২৪৯৪;#২৪৮২; #২৪৮৬;#২৫০৪;#২৪৮২;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৬০;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৮;#২৪৭০;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৪; (#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৭৪; #২৪৮০;#২৫০৩;!) #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৫২৭; #২৪৮৮;#২৪৫৩;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৩৯; #২৪৭১;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৭;#২৪৭৪;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৬৩;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৯;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৭২;,#২৪৫১;#২৪৩৯; #২৪৩৮;#২৪৫৫;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৬৩;#২৪৯৪; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৯;#২৪৯৪;#২৫২৭; #২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৫০৩; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৬৫;#২৪৯২; #২৪৫৪;#২৫০৩;#২৫২৭;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৪৭৮;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৬৮; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; (#২৫৩৫;#২৫৩৬; #২৪৭০;#২৪৯৬;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৫৬; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৫৩৮;#২৫৪২; #২৪৮৯;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৭৬; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪; ) #২৪৪৭;#২৪৭৬;#২৪৩৪; #২৪৫৯;#২৫০৭;#২৪৬৩; #২৪৫৪;#২৫০৩;#২৫২৭;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৬৮;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; #২৪৫৩;#২৪৯৫;#২৪৩৪;#২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৫৩৭; #২৫৩৭; #২৫৩৭; #২৫৩৭; #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৪৯৭; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৭২; ।

    #২৪৮৮;#২৪৯৪;#২৪৭১;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৬৭;#২৪৬৮;, #২৫৩৭; #২৫৩৭; #২৪৫৯;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭০;#২৫০৭;#২৪৮২;#২৪৯৪; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৩;#২৪৯৭; #২৪৫৯;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৯;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৬৮;#২৪৭২; #২৪৪৭;#২৪৭৬;#২৪৩৪; #২৫৩৮; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮২; #২৪৭৯;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৫৬;#২৫০৭;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৪;#২৪৬৩;#২৪৯৪;#২৪৫৪;#২৪৬৩; #২৪৫৪;#২৪৬৩;#২৪৯৪;#২৪৫৪;#২৪৬৩; #২৪৫৫;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৪৭৪;।
    #২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৬৩;#২৪৯৪; #২৪৩৭;#২৪৭৬;#২৪৮৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৩৯; #২৪৫৫;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৬৫;-#২৪৪৭;#২৪৮০; #২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৫২৭;#২৪৬৭;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৬৮; #২৪৮৯;#২৫২৭;#২৫০৩; #২৪৬৯;#২৪৯৪;#২৪৫৩;#২৫০৩; ।
  • dipu | 207.179.11.216 | ২৭ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:৫৯412414
  • এটা কোন তাল?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৭ এপ্রিল ২০০৯ ২২:০৫412415
  • অরিন্দম, ইউনিকোডে লিখতে হলে আপনাকে ইউনিকোড ভার্সানে যেতে হবে। সাইটের মাথার উপরে ইউনিকোড ভার্সানে ক্লিক করুন। তারপর ঠিক যেভাবে আগের লেখাটি লিখেছেন, সেভাবেই পোস্ট করতে পারবেন।
  • arup kanti das | 79.51.155.207 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৩০412416
  • আসলে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, বিশেষ করে উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত একেবারে গুরুমুখী বিদ্যা। দক্ষিনী সঙ্গীতও তাই। পড়ে বা ভিডিও দেখে যা রপ্ত করা প্রায় অসম্ভব। আর সরগম দিয়ে মূল বন্দিশটা লিখে দেওয়া যায়। কিন্তু একটি রাগ গাইতে গেলে বা সেই রাগের ভাবকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে তো শুধু বন্দিশ গেয়ে বা বাজিয়ে করা যায়না। আলাপ(বিশেষ করে ধ্রুপদে) আছে, বিস্তার আছে, তান ইত্যাদি আছে। আর তাই হাজার হাজার বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিলো কিছু স্বরের, আর এই স্বরগুলি শ্রুতি নামে পরিচিত। শ্রুতি এই কারনে, এই স্বরগুলি গুরুর কাছে শুনে রপ্ত করতে হয়। আমার যতদূর জানা আছে, এই স্বরগুলি লেখা যায়না বা লেখার কোন পদ্ধতি নাই। পাশ্চ্যাত্ত্যে এই ভারতীয় গুরুশিষ্য পরম্পরাকে ORAL TRADITION বলে বোঝানো হয়ে থাকে। ঐতিহ্য অনুযায়ী ভারতীয় সঙ্গীতে শ্রুতি ৭২টি। অনেক পরে সে শ্রুতিগুলিকে সহজীকরন করার জন্য ২২টি করা হয়। কিন্তু তার জন্য এই মনে করার কোন কারন নেই যে সেই প্রাচীন শ্রুতি গুলোর আর অস্তিত্ব নেই। এখনও পন্ডিত ব্যক্তিরা ইহার ব্যাখ্যা বা প্রদর্শন করে দেখাতে পারেন। তবে আমার জানা অনুযায়ী এখন ২২টি শ্রুতিরই চল আছে।
    তালবাদ্যে পাখোয়াজের অবদান অপরিসীম। পাখোয়াজ থেকেই অন্য বেশীরভাগ তাল বাদ্যের জন্ম। আসলে তবলা আজ এক অভূতপূর্ব বাদ্যযন্ত্র ও যারপরনাই জনপ্রিয় হলেও, তবলার জন্ম কিন্তু ১৫০০/১৬০০ খ্রীষ্টাব্দে। আর পাখোয়াজ থেকেই তবলার আগমন। কি ভাবে, এ নিয়ে বিভিন্ন মত আছে। এ নিয়ে আর এক দিন লিখবো। একটা কথা বলে রাখি যে, পাখোয়াজের যে কোন বোল বা তাল প্রায় সবগুলিই তবলায় বাজানো সম্ভব। কিন্তু পরবর্ত্তীকালে তবলার জন্য সৃষ্ট তাল বা বোল সবগুলি পাখোয়াজ-এ বাজানো সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে SAMIK-এর তথ্য একেবারে ঠিক। কিনার, সুর বা লব শুধু তবলাতেই ব্যবহৃত আর তা তর্জ্জনীর মাধ্যমে। আর বায়ার ব্যবহারও আলাদা তবলায়। পাখোয়াজে ডান হাতের তালুর চাটি দিয়ে আর বা হাতের খোলা আঘাতে ধা ধ্বনির সৃষ্টি হয়।
  • pi | 72.83.80.105 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:৪৯412418
  • অরূপবাবু, থামলেন ক্যানো ?
  • pi | 72.83.80.105 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:৫৪412419
  • আরে ! ইমন , বিহাগের কড়ি মা আর নি র এই শ্রুতি পার্থক্য তো কখনো খেয়াল করিনি আর এক ই রাগের মধ্যে হারমোনিক রিলেশন মেনে শ্রুতি ঠিক করার ব্যাপারটাও জানা ছিলোনা।



    এটা শুনতে শুনতে দুটো প্রশ্ন জাগলো।
    বিহাগ বিলাবল থেকে না এসে তো কল্যাণ থেকেও আসতে পারতো। তাহলে কি অন্যরকম কিছু হতো ? বা, আরেকটু গোড়া নিয়ে টানাটানি করি।
    এটা বিলাবল থেকেই এসেছে, কল্যাণ ঠাট নয়, সেটা কীকরে নির্ধারণ করা হয় ? এই শ্রুতি পার্থক্য কি ঠাটেও থাকে ?
    মানে, এই নিষাদের শ্রুতি পার্থক্য, সেটা কি কল্যাণ আর বিলাবল ঠাটের বেলাতেও প্রযোজ্য ?
  • Arup | 79.51.155.207 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৬:৫১412420
  • PI থেমেছিলাম, কারন এই বিভাগটাই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলো। জানিনা তার কারন কি। শীঘ্রই লিখবো। ভালো থাকুন।
  • pi | 128.231.22.87 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:৫৩412421
  • আমার কোশ্চেনের কেউ উত্তর দ্যায় না :(
  • Arup | 79.51.155.207 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:০১412423
  • ঠিক আছে Samik............grazie. আর PI দিদি আপনার গান শুনার কথা কইসিলাম। আসে নাকি internet পাড়ায়?
  • Arup | 79.51.155.207 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:৫১412424
  • তবলার জন্ম নিয়ে কোন সঠিক বা নির্ভূল তথ্য পাওয়া খুব দুষ্কর। বিভিন্ন সুত্র ও মতামত অন্বেষন করে একটা বিশ্বাসযোগ্য নথী তৈরী করা যেতে পারে। ধ্রুপদ গায়নের সঙ্গে যে তবলার কোন সম্পর্ক নাই তা প্রমানিত।
    পাখোয়াজের মাধ্যমেই ধ্রুপদ গায়নে বা বাদনে সঙ্গত করা হোত আর তা আজও অব্যাহত। ধ্রুপদ সঙ্গীতকেই প্রাচীনতম গায়ন বা বাদন শৈলী বলে মানা হয়, অথবা উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত বিশারদগন সেরকমই মনে করেন।
    বলা হয়ে থাকে, আমীর খুসরু(খুসরো) তবলার আবিষ্কার করেছিলেন। অবশ্যই এ নিয়ে ভিন্নমত বা মতবিভেদ আছে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে আমীর খুসরু'র আমলেই প্রাচীন সনাতন ভারতীয় গায়ন(বাদন) শৈলীর পরিবর্ত্তন শুরু হয়। বলা হয় আমীর খুসরু
    কাওয়ালীর আবিষ্কারক ও খেয়াল গায়ন শৈলীরও পথপ্রদর্শক।
    এ কথাও এইক্ষেত্রে বলা দরকার যে মিয়া তানসেন(রামতনু পান্ডে) আমীর খুসরু'র জন্মের প্রায় ১৭০ বছর পরে জন্মেছিলেন আর ধ্রুপদ গায়ন দিয়েই তার সঙ্গীত শিক্ষা শুরু হয়। এখানে অবশ্যই প্রশ্ন জাগে, আমীর খুসরু'র জন্মের প্রায় ২০০ বছর পরে খেয়াল গায়ন শৈলী কতটা জনপ্রিয় ছিলো বা
    আদৌ ছিলো কিনা! এখানে এও বলা দরকার তানসেন স্বামী হরিদাস উত্তর পর্ব্বে সঙ্গীতের পাঠ নেওয়া শুর করেন মহম্মদ ঘাউসে'র কাছে এবন সেই সঙ্গীত শিক্ষা ধ্রুপদী না খেয়ালী, তার উল্লেখ নাই। তবে মহম্মদ ঘাউসে'র সান্নিধ্যে আসার পরই তানসেন সুফী দর্শনে আকৃষ্ট হন।
    এগুলি উল্লেখের উদ্দেশ্য হোল, কখন কি ভাবে তবলার আবির্ভাব হোল তা বোঝার জন্য। কারন এমন কোন নথী বা প্রমান নাই যে তবলা খেয়াল ব্যাতিরেকে অন্য কোন গায়ন শৈলীতে ব্যবহার হোত। সেইহেতু, ধরে নেওয়া যায় তবলা ও খেয়াল গায়নের প্রচলন সমসাময়িক।
    তানসেনে'র আমলে সেইভাবে তবলার উল্লেখ করা হয়না বা একেবারেই উল্লেখ নাই বললেই চলে।
    কিন্তু এখানে প্রশ্ন জাগে, খেয়াল গায়ন শৈলীর পত্তন যদি তবলার আগে হয়ে থাকে, তাহলে কোন তালবাদ্য খেয়ালের সঙ্গে ব্যবহার হোত! কারন পাখোয়াজ দ্বারা খেয়াল গায়নকে সঙ্গত দেওয়ার কথা কখনো শোনা যায়নি।
    এমনকি সম্রাট আকবরের দরবারে যে সমস্ত সঙ্গীতের আসর বা জলসা হোত সেখানেও তবলার কোন উল্লেখ নাই বা সে যুগে তৈরী চিত্রে তবলার উপস্থিতি দেখা যায়না বললেই চলে, সেই জন্য অনেকেরই ধারনা যে, তবলার প্রচলন ঘটে সম্রাট আকবর উত্তর পর্ব্বে বা তার রাজত্বের শেষ
    দিকে। তাই যদি হয়, তাহলে এমন ধরে নেওয়া যায় যে আমীর খুসরু'র সময় তবলার প্রচলন শুরু হয়নি। আর আমীর খুসরু'র জীবদ্দশায় যদি সত্যি খেয়ালের গোরাপত্তন হয়ে থাকে, তাহলে তবলার প্রচলনও শুরু হয় সে আমলে। কিন্তু উপরিউক্ত প্রশ্নগুলি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছতে
    সাহায্য করেনা।
    এবার আসে তবলা শব্দের জন্মবৃত্তান্ত। পাখোয়াজ কেটে দুভাগ আর তারপরও বাজায় বা ধ্বনি সৃষ্টি হওয়ায়, কেউ বললো, তব ভী বোলা। সে বাক্য থেকে জন্ম হোল তবলা শব্দের। কিন্তু এখানেও ভিন্নমত ও মতবিরোধ দেখা যায়। আরবী ভাষায় তালবাদ্যকে তবলা
    বলা হয়। যাকে আমরা তালবাদ্য বলি ওরা তাকে তবলা বলে। তবলা'র লা-এর আ'টা ওরা ছোটো(হ্রস্ব) করে উচচারন করে।
    অনেকেই এই জন্য মনে করেন মূঘল সাম্রাজ্যের আমলেই তবলার সৃষ্টি।
    আর পৃথিবী'র দুটি প্রান্তেই শ্রুতি'র চল আছে। ভারতীয় সঙ্গীত আর আরবীয় সঙ্গীতে। ওরা কিভাবে শ্রুতির ব্যাখ্যা করে তা আমার জানা নাই। তবে ওদের শ্রুতি ২২টির কম। এই কারনে ভাবা হয় বা অনেকে বিশ্বাস করে আরবীয় গায়ন শৈলী আর ধ্রুপদ গায়ন শৈলীর মিশ্রনে জন্ম
    জন্ম হয় খেয়ালের মূঘলদের এ দেশে আগমনের পর।
    এবার আসি ঘরানার কথায়। খেয়াল গায়নের প্রথম ঘরানার সৃষ্টি হয় গোয়ালিয়রে ১৬০০ শতাব্দীতে আর এর গোরাপত্তন করেন নাথান পীড় বক্স ও নাত্থ খান। এখানে প্রশ্ন, যদি খেয়াল গায়নের জন্ম আমীর খুসরু'র আমলেই হয়ে থাকে, তাহলে এত পরে কেন সেই গায়ন শৈলীর ঘরানার
    সৃষ্টি হয়! আর অদ্ভূতভাবে তবলার ঘরানার সৃষ্টি আরও পরে। তবলার প্রথম ঘরানার সৃষ্টি হয় দিল্লীতে আর এর গোরাপত্তন করেন উস্তাদ সিদ্ধার খান ১৮০০ শতাব্দীতে।
    আবার প্রশ্ন: ১৩০০ শতাব্দীতে যদি খেয়াল গায়ন আর তবলার আবিষ্কার হয়ে থাকে, মাঝের প্রায় ৪০০ বছর তাদের অবস্থান কোথায় বা কি ছিলো! ১৬০০ শতাব্দীর আগে কোন খেয়াল বিশারদ বা ১৮০০ শতাব্দীর আগে কোন তবলা বিশারদের নাম কোথায়? তানসেন বা বৈজু বাওরা
    কোন গায়ন শৈলীকে অবলম্বন করেছিলেন তার কোন উল্লেখ আমি পাইনি।
    এইজন্যই অনেকেই বিশ্বাস করেন তবলার আবির্ভাব ১৫০০ বা ১৬০০ শতাব্দীতে।
    এক সেতার বিশারদ আমার দৃষ্টি আকর্ষন করেন এই বলে যে, আকবরের দরবারে সেতারও অনুপস্থিত। আকবরের দরবারে তানসেন দ্বারা একটী আধুনিক তানপুরার প্রচলনের কথা যদিও শোন যায়। সেই তানপুরার সাথে সেতারের কিছু মিল পাওয়া যয়। অথচ সেই
    সেতারও আমীর খুসরু সৃষ্টি করেছিলেন বলা হয়ে থাকে।
  • ranjan roy | 122.168.200.40 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:১২412425
  • এতদিন কোথায় ছিলেন?
  • Arup | 79.51.155.207 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:২৫412426
  • অন্য কোথা, অন্য কোন খানে। বহুদূরে, সবার অলক্ষ্যে।
    আমি বহুদিন থেকেই এই websiteটা বিভিন্ন কারনে ব্যবহার করি। কিন্তু, সবার সঙ্গে আলাপ এই কয়েকদিন আগে শুরু। ভালো থাকুন Ranjan.
  • Samik | 122.162.75.186 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:২৬412427
  • নাজুক, নাজুক!!

    খুব ছোটোবেলায় পড়া, হুবহু মনে নেই। খেয়াল আর তবলা মোটামুটি সাথেসাথেই আসে। তবলা বা তালবাদ্য যেহেতু একলা বাজার জিনিস নয়, সঙ্গত করবার জিনিস, তাই খেয়ালের প্রয়োজনে তবলা আসে, উল্টোটা নয়। সে অর্থে ধরে নেওয়া যায় খেয়াল কিছু আগে আসে, তবলা আসে তার কিছু পরে, কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে। পারমুটেশন কম্বিনেশন নিশ্চয়ই হয়েছিল সেই সময়ে, প্রথমে পাখোয়াজ দিয়ে ট্রাই মারা, তাতে জমল না দেখে পাখোয়াজের মুখ একটু ছোটো করে ঢোলকের আকার দেওয়া ইত্যাদি।
  • kallol | 124.124.93.205 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:০১412429
  • অরূপ - আপনার লেখা পড়ে সকালটা সুন্দর হয়ে গেলো।
  • Arup | 79.51.155.207 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:০২412430
  • খুশী আর ধন্যবাদ কল্লোলবাবু।
  • pi | 72.83.80.105 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৫৬412431
  • অরূপবাবু, ভালো লাগছে, চলতে থাক।
    আকবর জমানা অব্দি তবলা ছাড়া খেয়াল গায়নের যে প্রশনটা তুলেছেন, সেটা সত্যি ভাবার মত। ও সময়কার কোনো লেখাপত্তরে কোনোরকম উল্লেখ নাই ? ছবি টবিতেই বা কোন বাদ্যযন্ত্র দেখায় ?
    কয়েকটা ছুটকো কোশ্চেন আছে। ঐ চারশো বছরের সময়কালে খেয়াল গানের কোনোরকম উল্লেখ ই নেই কোথাও , নাকি কোনো ঘরানা তৈরির উল্লেখ নেই ?
    আরবীয় শৈলীতে শ্রুতি ২২ টির কম, এর সাথে, আরবীয় আর ধ্রুপদী শৈলী মিশিয়ে খেয়ালের উৎপত্তি হয়েছে, এটা কীকরে বোঝা গেল ?

    আর শ্রুতি নিয়ে আমার আগের পোস্টের কোশ্চেন এখনো বলবৎ রয়েছে কিন্তু :)
  • Arup | 79.21.63.222 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৩০412432
  • একেবারে যে বোঝা গেছে তা নয়। অনেকে মনে করেন হয়তো আরবীয় গায়েকীর, প্রভাব পড়েছে খেয়াল শৈলীতে। ভৈরবী রাগের বা সুরের খুব চল আছে আরবীয় সঙ্গীতে। একদম এক বলবোনা, তবে বেশ মিল আছে। আর এতে তো কোন সন্দেহ নেই যে মূঘল বা আমীর খুসরু'র আমলে অনেক কিছুরই আদানপ্রদান ছিলো ভারতীয় আর সুফী সনস্কৃতির মধ্যে। আর তা শুধু সঙ্গীতেই সীমাবদ্ধ ছিলোনা। যেমন ধরুন উর্দ্দূ ভাষা: হিন্দী ভাষার সঙ্গে অনেক মিল, কিন্তু অক্ষরগুলি কিন্তু আরবী ভাষা থেকে নেওয়া। আমার বেশ কিছু আরবীয় বন্ধু আছে আর ওদের কাছে শুনেছি বা জেনেছি যে আমাদের হিন্দী বা উর্দ্দূ ভাষার অনেক শব্দের সঙ্গে ওদের অনেক শব্দের মিল আছে বা প্রায় এক।
    যাই হোক, একথা অনস্বীকার্য যে রাগ রাগিনীর জন্ম ভারতবর্ষেই। শুধু গায়ন শৈলীর হয়তো পরিবর্ত্তন হয়েছে যুগে যুগে। রাগ, রগিনী ছিলো, আছে আর থাকবে অনন্তকাল ধরে।
    আর PI দিদি বিশ্বাস করুন, শ্রুতি নিয়ে সঠিক আলোচনা করার পান্ডিত্য আমার নেই। তবু চেষ্টা করবো কিছু লিখতে। আপনি তো বেশ জানেন এ বিষয়ে। আর একটু ব্যাস্ত আছি , সময় পেলেই আবার লিখবো। সবাই ভালো থাকুন।
  • Arup | 79.21.63.222 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৩৮412433
  • আর ঘরানার উল্লেখতো অবশ্যই ছিলোনা ১৬০০ শতাব্দীর আগে। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখবেন, যখনই তানসেন বা সেই আমলের অন্য সঙ্গীত বিশারদদের নিয়ে লেখা হয়েছে, তাদের রাগ সঙ্গীতে অসাধারন পান্ডিত্য নিয়ে লেখা হয়েছে, কিন্তু সঠিক উল্লেখ নেই কোন গায়ন শৈলীতে ওনারা বিশারদ ছিলেন!
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৪১412434
  • এইখানে একটা প্রশ্ন আছে। শৈলী মানে কি, ঘরানা? মানে, আমি যেমন শুনেছি, তানসেন দীপক রাগ গাইতেন, মিয়াঁ কি মল্‌হার গাইতেন, তা এগুলো কি শৈলীভেদে পাল্টে যায়? বেসিক স্কেলিটনটা এক রেখে বিস্তারগুলো পল্টে যায়, এ রকম কিছু?
  • Arup | 79.21.63.222 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:১৩412435
  • না Samik, শৈলী মানে ঘরানা হওয়ার কথা নয়। যেমন, খেয়াল-এর আলাদা আলাদা ঘরানা আছে, কিন্তু শৈলীটা একই, আর তার নাম খেয়াল। আর আপনি ঠিকই বলেছেন, বেসিক স্কেলিটনটা এক রেখে পরিবেশন ভঙ্গির পরিবর্ত্তন হয়।
    রাগের অনুভব একই থেকে যায়। উদাহরন স্বরুপ: ধ্রুপদ, খেয়াল, বা দক্ষিন ভারত-এর শিল্পীগন সবাই সকালের রাগ সকালেই বাজাবেন।
  • pi | 128.231.22.87 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:১০412436
  • ধন্যবাদ অরূপবাবু। এই আরবীয় শৈলীতে রাগ রাগিনী সব আছে নাকি আমাদের মত ? একটু বিস্তারিত বলুন না.. এ নিয়ে প্রায় কিছুই জানিনা।
  • Shibanshu | 59.97.232.71 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:১২412437
  • আমির খুসরো হচ্ছেন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের 'ব্যাদ'। ত্রয়োদশ শতকের এই তুর্কি অভিজাত মানুষটি উত্তর প্রদেশের এটাহ তে জন্মগ্রহণ করেন। সুলতানি আমলে ( মুঘল নয়) উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতে যা কিছু নবকলেবর হয়েছে তার সব কিছুর জনক হিসেবেই তাঁকে ঘোষণা করা হয়। তা সে তবলা হোক বা সেতার, খেয়াল হোক বা কাওয়ালি, সুফি টপ্পা হোক বা আদি ঠুমরি, সবই 'ব্যাদে' আছে। আমরা হয়তো বীর পূজায় একটু বেশিই নিবেদিত হয়ে পড়ি।

    তাঁর সম্বন্ধে দুটি কথা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এক, তিনি এক সত্যিকারের বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন, দুই, মধ্যযুগীয় প্রেমধর্মের পারসিক সংস্করণ, যা 'সুফি' নামে সমধিক প্রসিদ্ধ, ভারতবর্ষে প্রচারের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ ছিলেন। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তাঁর প্রধানতম অবদান, সামবেদীয় চার তুক প্রার্থনাসঙ্গীত ধ্রুপদের সঙ্গে তিনি বিভিন্ন লোকধারার সঙ্গীতকে সম্মিলিত করে আনুষ্ঠানিক সঙ্গীতকে মানুষের হৃদয়ের অনেক কাছাকাছি প্রেমসঙ্গীতের রূপে পরিবর্তিত করার মধ্যে। 'দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়রে দেবতা' সুফিদর্শনের এই মূলমন্ত্র আদিযুগে প্রচারের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন স্তম্ভস্বরূপ।

    তিনি আরবী ছিলেন না এবং আরবী সংস্কৃতির সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থিত পারসিক সভ্যতার প্রতি নিবেদিত ছিলেন। তাঁর সম্বন্ধে যতোটুকু প্রামাণ্য জানা যায় তাতে দেখা যায়, তিনি ভারতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে যা কিছু শ্রেষ্ঠ পারসিক সঙ্গীতসুধা, তার মেলবন্ধন করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। আদিরূপের সেতার এবং রবাব ( সারেঙ্গির আদিরূপ) ইরান ও মধ্য এসিয়াতে ( যেখানে পারসিক সভ্যতারই একছত্র অধিকার ছিলো) খুসরু নিজের সুফি সংগীতের সঙ্গে ব্যবহার করতেন বলে জানা যায়। খেয়ালের ক্ষেত্রে শুধু নামটি ('খেয়াল') ছাড়া আর কিছুই আরবী নয়।

    'খেয়াল' বলতে আজ আমরা যা বুঝি তা অষ্টাদশ শতকে মহম্মদ শাহ রঙ্গিলের পৃষ্ঠপোষকতায় সদারঙ্গ ও অদারঙ্গের কাছ থেকেই আমরা প্রথম পাই। ভারতীয় সঙ্গীত ধারা, যা প্রতি চার বছরে নবরূপ ধারণ করে, তা চারশো বছর জানতে দিলোনা খেয়াল নামে একটা এতো মনমোহন সঙ্গীতশৈলী দেশে প্রচলিত রয়েছে, এটা গ্রহণ করা একটু দুষ্কর। হিন্দুরা ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে নিতান্ত উদাসিন, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে প্রচুর ইসলামি ইতিহাসকার এসেছেন, তাঁদের রচনাতেও খেয়াল বিষয়ে প্রামাণ্য কিছু পাওয়া যায়না। আকবরের সময় যাঁরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পুরোধা ছিলেন তাঁদের সঙ্গীত বিষয়ে বহু উল্লেখ আছে নানা দস্তাবেজে, কিন্তু তাঁরা বস্তুত কী ধরনের সঙ্গীত পরিবেশন করতেন তার বিশদ নেই। এর একটাই কারণ হতে পারে যে শৈলী হিসেবে ধ্রুপদ ও কিছু তরলীকৃত, ধামার এতোটাই স্বীকৃত সঙ্গীত মাধ্যম ছিলো যে পৃথক করে এ নিয়ে কেউ উল্লেখ বা চর্চা করেননি।

    তবে ধ্রুপদ থেকে ভারতীয় সঙ্গীত ধারাকে খেয়ালের পথ পর্যন্ত নিয়ে আসতে যে সাহস ও উদ্ভাবনী প্রয়াসের ধারা চোখে পড়ে তার পথিকৃৎ হিসেবে আমরা অবশ্যই আমির খুসরোর কাছে ঋণী। যেহেতু তিনি প্রকৃত অর্থেই ভারতবর্ষের 'ভূমির সন্তান' ছিলেন তাই ইসলামি রাজশক্তির সংস্কৃতির জগতে সহিষ্ণুতার ও সমন্বয়ের বীজবপন করেছিলেন সাফল্যের সঙ্গে এবং তাঁর গুরু নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে মধ্যযুগের ভারতীয় ধর্ম সংস্কৃতির ইতিহাসে সুপ্রতিষ্ঠ করেছিলেন নিজের আজীবন সাধনার সুবাদে।

    খেয়াল ও তবলা বিষয়ে আরও বিশদে যাচ্ছিনা আপাতত, কারণ পাই এই মূর্খকে শ্রুতি সম্বন্ধিত একটা জটিল প্রশ্ন করেছেন। আমাকে অবসর সময়ে বিভিন্ন সঙ্গীত ও বাদ্য কানে শুনে তা বোঝার চেষ্টা করতে হচ্ছে। যদি সেই প্রশ্নটির নিরসন হয় তবে পরবর্তী অধ্যায়ে আসা যাবে। অরূপকে ধন্যবাদ এই আলোচনাটিকে এতোটা এগিয়ে দেবার জন্য।
  • nyara | 115.242.140.158 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:২১412438
  • একটি মাইনর স্ট্রিম মত চালু আছে যাতে আমীর খসরুর আগেও খেয়াল গাওয়া হত বলে ধরা হয়। বেসিকালি 'ব্যাদে আছে'। বলা বাহুল্য, আমাদের রাইট উইং হিন্দুত্ববাদীরা দেড়েমুশে সেটিকে কো-অপ্ট করে নিয়েছেন। সপক্ষের যুক্তিগুলো মনে নেই, তেমন জোরালো নয় বলেই বোধহয়।
  • Shibanshu | 59.97.232.129 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৬:৩৪412440
  • একটা ছোট্টো সংযোজন। অরূপ লিখেছেন 'দক্ষিণ ভারতের শিল্পীরা' , এর মানে যদি হয় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দক্ষিণ দেশীয় শিল্পীরা, তবে স্বীকার্য। কিন্তু দক্ষিণের কর্নাটিক শাস্ত্রীয় শিল্পীরা সচরাচর টাইমস্কেল ধরে গান করেন না। তাঁদের কেউ কেউ একটা যুক্তি দেন, আমাদের ভাষায় যাকে বলে ' ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত'। অর্থাৎ আমি যদি সকাল সাতটায় বাগেশ্রী বা যোগের সমান্তরাল কোনও রাগে গান গাই, তবে রাগের জাদুতেই মধ্যরাতের অনুভূতি এসে যাবে। তার জন্য চন্দ্র বা সূর্যের কোনও অবস্থান জরুরি নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন