এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • তালে-বেতালে

    b
    গান | ১৭ এপ্রিল ২০০৯ | ৫৮৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shibanshu | 59.96.103.29 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:৪৩412474
  • মনীশ একটা প্রশ্ন করেছিলেন। টপ্পা প্রথমে আফঘানিস্তান, তার পর পঞ্জাব, শেষে শোরি মিঁয়ার সময় লখনউয়ের শৈলী। ভজন সারা উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ভক্তি সঙ্গীতের শৈলী। বাংলার আছে কীর্তন আর বাউল।
  • kallol | 115.184.8.182 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:২৬412475
  • কীর্তন, ভাজন, গজল, চৈতী, কাজরী, মান্ড ঝুমুর, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, কাওয়ালী এগুলো যে অর্থে সাঙ্গীতিক শৈলী, সে অর্থে বাউল কোন একটা সাঙ্গীতিক শৈলী নয়।
    বাউল একটা ধর্মীয় বর্গ, যাদের সাধনার অনেক মাধ্যমের একটা হলো গান। এই গানগুলোর বানীপ্রধান, তাতে সাধনার অনেক গুহ্য তঙ্কÄ বলা হয়। সাঙ্গীতিক দিক থেকে দেখলে, বাঁকুড়ার বাউল সনাতন দাস যেভাবে 'গাছে ভাঁড় বেধে দে না' পরিবেশন করেন সেটা ঝুমুর। আবার রাঢ় বাংলার আনন্দ বা কার্তিক ঐ একই গানকে গেয়ে থাকেন চটকা আঙ্গীকে। আবার নদীয়ার বাউল অর্জুন ক্ষ্যাপার 'ভ্রমর কইয়ো গিয়া তারে'তে লালনের সুরের প্রভাব খুব স্পষ্ট। লালন অবশ্যে বাউল নন, ফকীর। বাউল গান শুধুই সাধনার ধন। তাকে গান হিসাবে পরিবেশন করা হয় বটে, কিন্তু তা আদতে সকলের জন্য নয়। তাই বাউল গানে সান্ধ্য ভাষার প্রাবল্য। যে বুঝে সে বুঝে, যে বুঝে না সে গান শোনে।
    ফকিরী গানও নানা রকম। অঞ্চলভেদে পাল্টায়। লালন সুরের দিক থেকে অসম্ভব পরিশলীত - আমি অপার হয়ে বসে আছি। আবার সেই একই লালন ভীষন সহজিয়া সুরে ঢেলে দেন - সব লোকে কয়, বা জাত গেলো জাত গেলো। বিশাল একটা দিগন্ত জোড়া কারবার। তুলনায় অন্যরা একটু কম প্রসারিত, হাসন রাজা, বিজয় সরকার, ইদম শাহ, দুদ্দু মিয়াঁ, দূরবীন শাহ। কিন্তু এঁরাও নিজেদের জোরেই এক একজন দিকপাল স্রষ্টা। ফকিরী গান আর বাউল গানে ফারাক তার বানী ও ব্যবহারে। বাউল গান গায় নিজের জন্য। সে গায়ক নয়। গান তার সাধনার অঙ্গ। কিন্তু যখন সে মাধুকরীতে বের হয় (যা আবারও তার সাধনার অঙ্গ), তখন অন্যকে শোনানোর জন্য গায়। তখন সে আনন্দদানকারী শিল্পী। তখন সে সব গান গায় না। তখন সে বিনোদনমূলক গান গায় - গাছে ভাঁড় বেঁধে নে না, মেনকা মাথায় দিলো ঘোমটা ইত্যাকার। গান ফকিরের সাধনার অঙ্গ নয়, গোটা সাধনাই তার গান। সে অন্য কোন রীতিনীতি পালন করে না। সে শুধু গানে গানে পরমকে খোঁজে। আর যেহেতু সে সামাজিক মানুষ (বাউলেরা ঐ অর্থে সামজিক নন। ওঁদের নিজেদের আলাদা সমাজ, তার রীতিনীতি আলাদা, যা তারা লোক চক্ষুর আড়ালে রাখতে চান), তাই নানান সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ঝলসে ওঠেন গানে।
    অনেক অনধিকার চর্চা করলাম। এগুলো নেহাৎ আমার সামান্য বাউল-ফকির সঙ্গ করার জায়গা থেকে আমার মতো করে বোঝা। আমি সঙ্গীতে অশিক্ষিত, আর মোটেও বাউল বা ফকির নই। তাই এগুলোকে সিদ্ধান্ত হিসাবে না নিয়ে বরং আমার ধারনা হিসাবে দেখলে - আমার এবং আমার মতের ওপর সুবিচার করা হবে।
  • Arup | 79.21.63.222 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:১৭412476
  • কল্লোলবাবু, সাধু সাধু!
  • nyara | 76.103.129.36 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৩৫412477
  • কল্লোলদা, হাছন রাজা বা তস্য-পুত্র একলেম রাজাকে অন্যদের সঙ্গে একাসনে বসানো যাবে না। কারণ এনারা বাউল বা ফকির ছিলেন না। বাউল বা ফকির একধরণের জীবনযাপন পদ্ধতি। হাছন ও একলেম ছিলেন জমিদার। অসাধারণ সব গান লিখেছেন, কিন্তু বাউল বা ফকিরি গানের থেকে অন্যরকম।

    অনেকটা সেরকম বাউল আবদুল করিম, যিনি গেল বছর মারা গেলেন। তিনিও গৃহীর জীবন পালন করেও অসাধারণ গান করে গেছেন। তবে ওনার গান বাউলগানের কাছাকাছি বলা যেতে পারে।

    তোমার ডিসক্লেমার আমার ক্ষেত্রেও খাটে, যদিও আমি কোনদিন বাউল-ফকির সঙ্গ করার সুযোগ পাইনি।
  • Shibanshu | 117.195.132.205 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২৩:৫১412478
  • ন্যাড়া ঠিক বলেছেন। বাউল এক ধরনের জীবন চর্যা, যাকে দর্শনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে বাউলদর্শনকে সুফি দর্শনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা দেখা যায়। বাউল ও ফকির এক নয়। লালন ফকির ছিলেন, বাউল নন। সব ধরনের সহজিয়া সাধন পদ্ধতিকে বাউলতঙ্কেÄর মধ্যে নিয়ে আসার প্রয়াস সমীচীন নয়। ' তোমার পথ ঢাইক্যাছে মন্দিরে মসজিদে...' সুফিতঙ্কেÄর কথা, বাউল তঙ্কেÄর কথা নয়। বাউল দর্শনের মূল তঙ্কÄ দেহতঙ্কÄকেন্দ্রিক। ফকির, মুর্শেদদের সাধন পদ্ধতির সঙ্গে মিল আছে, কিন্তু পৃথক। সারা ভারতের কথা বাদ দিলেও শুধু বাংলাতেই বহু সহজিয়া সাধন সম্প্রদায় আছে। বাউল সম্প্রদায় সব চেয়ে প্রকট। সঙ্গীত, বাউলজীবন যাপন পদ্ধতির অন্যতম অঙ্গ। তবে আরও অনেক কিছু আছে।

    হাছন (হাসন) রাজা সিলেটের সম্পন্ন মনুষ ছিলেন, বাউল নয়। বাউলের কিছু নির্দিষ্ট ভেক আছে, তবে ভেক ধরলেই বাউল হয়না। অত্যন্ত বড়ো বিষয় এবং এই টইটির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। শুধু বাউল গান নিয়ে আলোচনা হয়তো হতে পারে।
  • nyara | 76.103.129.36 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:০৭412479
  • শিবাংশুবাবু টপ্পার আফগান উদভবের সোর্সটা বলবেন? এই মুহূর্তে আমার হাতের কাছে বই-টই নেই, কাজেই কনফার্ম করতে পারছি না।
  • pi | 72.83.80.105 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৫:০৮412480
  • শিবাংশুদা, আমীর খসরু ঐ চার তুক প্রার্থনাসঙ্গীত ধ্রুপদের সাথে বিভিন্ন ধারার লোকগানকে মিশিয়ে যেটি রচনা করলেন, আজকের ফর্মের খেয়াল না হোক, সেও তো এক নতুন ধারা হল। কী নামে ডাকা হত তাকে, ধ্রুপদ না খেয়াল ? ধ্রুপদ ই যদি হয়, তাহলে এরকম প্রেমসঙ্গীত ভাবের ধ্রুপদ তো তেমন শোনা যায় না।
    নাকি, এটাই ধামার?
    ধামারের অরিজিন কবে, কীভাবে কিছুই জানিনা, কেউ জানালে ভাল হয়।
    এই রে ! এইঅব কোশ্চেন করতে গিয়ে এখন দেখছি আমার কেমন গোড়া নিয়েই সন্দ জাগছে।
    ধ্রুপদের উদ্ভব কবে ?
    তার ঐ বেদে উল্লেখ তো সত্যি ই ঐ ব্যাদে আছের মতন ব্যাপার মনে হয়, কারণ, মানসিংহকে তো ধ্রুপদের জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি পঞ্চদশ শতকের। তাহলে এর পাশাপাশি ত্রয়োদশ শতকে আমীর খসরুকে খেয়ালের জনক বলার থিওরীটা চলতো কীকরে ? মানে এই খসরু পন্থীরা খেয়ালকে ধ্রুপদের চেয়ে প্রাচীন মনে করেন , নাকি তাঁরা ধ্রুপদকে ঐ ব্যাদে ....
    শিবাংশুদা, খসরু যদি ধ্রুপদের সাথে অন্য লোকগান মিশিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রেও এক ই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

    খেয়ালের কি তাহলে ধ্রুপদ ইন্ডিপেন্ডেন্ট একটা অরিজিন হবার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে ?
  • pi | 72.83.80.105 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৬:৫৯412481
  • ডিডি দা,
    কোথাও কোথাও বলা হয়, সামবেদে ধ্রুপদের (ধ্রুবপদ নামে কী?) উল্লেখ আছে। এটা ভেরিফাই করা যাবে একটু ?

    এটাও দেখছিলাম, 'প্রবন্ধ'বলে কিছু একটা গান চালু ছিল প্রাচীন ভারতে, এটাকে ধ্রুপদের পূর্বজ বলা যেতে পারে, তা, এই মৌয , গুপ্ত যুগ ইত্যাদি, মানে প্রাক ইসলামিক পুরো সময়টাতে যে সঙ্গীত প্রচলিত ছিল, সেটা কীরকম ফর্মের সঙ্গীত ? এই 'প্রবন্ধ' তো বোধহয় খালি মন্দিরে গাওয়া হত, তাহলে রাজদরবারে কী গাওয়া হত ? এত যে যন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়, তাতে কী বাজানো হত ?
  • kallol | 115.184.24.87 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:৪৯412482
  • আমি লালনের সুরের বিশাল দিগন্তের কথা বলতে গিয়ে অন্যদের সাথে একটা তুলনা টেনেছিলাম মাত্র। হাসন রাজার গান বাউল বা ফকিরি নয়, সে একেবারেই ওঁর গান।
    যাই হোক, গান নিয়ে চলুক।
  • dd | 122.172.182.108 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:১৭412304
  • সামবেদে "ধ্রুবপদ" কথাটা আদৌ নেই বলতে তাকৎ লাগে। সেটা আমার নেই। তবে ঝট করে রাজ্যেশ্বর মিত্রের "স্বর্গলোক ও দেবসভ্যতা" বইটা একবার চেক করে নিলাম। এই লেখক, জানো বোধহয়,শারংগদেব নিয়ে দেশে মার্গসংগীতের উপর লিখতেন, বছর ত্রিশ চল্লিশ আগে। সংগীতচর্চা নিয়ে আরো বই টই লিখেছিলেন।

    তিনি সামবেদ ও বিশেষত: প্রায় শ খানেক গ্রামগেয় গান নিয়ে লিখেছেন, লিখেছেন দুন্দুভীকে নিয়ে বিভিন্ন স্ত্রোত্রের কথা, এবং সামবেদীয় উচ্চারণ থেকে কি ভাবে শস্ত্রীয় সংগীতের উত্তরণ হলো - সেই নিয়ে, কিন্তু ধ্রুবপদ নিয়ে কিছু লেখেন নি। মনে তো হয়, অমন কথা থাকলে উনি নিশ্চয়ই উল্লেখ করতেন।
  • pi | 72.83.80.105 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:৩৫412305
  • আমার পুরানো একটা প্রশ্ন, ঠাটে শ্রুতির ব্যাপারে, পরে ভেবে দেখলাম,ঠিক ভ্যালিড না। কারণ স্ট্রিকি্‌ট্‌ল স্পিকিং, ঠাট গাওয়ার জন্য না।তাহলে শ্রুতির প্রশ্নই ওঠেনা।
    কিন্তু কোন ঠাট থেকে কোন রাগের জন্ম এই নিয়ে প্রচলিত কড়াক্কড়ি নিয়ে প্রশ্ন এখনো বলবৎ রইলো। ঠাটে যখন বাদী, সম্বাদী, পকড়, জাতি,বিবাদী, বর্জিত স্বর,রস কিছুই নাই, মানে যেগুলো দিয়ে কিছু স্বরগুচ্ছ একটা রাগ হয়ে ওঠে, কেবলমাত্র ব্যবহৃত স্বরের ভিত্তিতে কোন ঠাট থেকে কোন রাগ তৈরি হবে নির্ধারিত হয়, তখন জনক হিসেবে একাধিক ঠাট ইক্যুয়াল দাবীদার হতে পারে। না হলে কেন নয়, সেই প্রশ্ন রইলো।
    বেহাগের বেলা নাহয় কল্যাণকে তাও বাদ দেওয়া গেল, এই বলে যে, তীব্র মধ্যম আসে বেশ কম, আরোহ তে নেই ই , আর ঠাটে তো খালি আরোহ আছে ( যদিও তাতে হমীর,কেদারে আরোহ শুদ্ধ মধ্যম হয়েও তারা বিলাবলের নাহয়ে কল্যাণের ছেলেপিলে ক্যামনে হলো সে কোশ্চেন আসতে পারে), তা, ভূপালী সব শুদ্ধ স্বর নিয়ে কেন কল্যাণ জাতিকা, বিলাবল কেন না ?

  • dd | 122.172.182.108 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:৪১412306
  • আর ব্যাদে তে অতো নয়, কিন্তু সব পুরাণেই গান বাজনার কথা আছে। নারদজী তো তুংগবীণা এম্নি এম্নি বাজাতেন। ইন্দ্রের সভায় নিত্তি গান বাজনার আসর বসতো। সেখানে শিব এম্নি গাইলেন যে বিষ্ণু গলে গ্যালে, ব্রহ্মা সেই লিকুইফায়েড বিষ্ণুকে কমন্ডুলে ধারন করলেন, তিনি ই গংগা (রামায়ণ)। পুজো আচ্ছার সাথে গান বাজনাকে বেঁধে দেওয়া টা বোধহয় অনার্য্য সংস্কৃতি।

    ইশেপেসালি, বায়ুপুরাণে - গন্ধর্ব, ষড়জ,মধ্যম,বৈরাজক,নিষাদ,পঞ্চম .... এই সব টার্ম গুলো প্রথম ল্যাখা আছে।

    আর যুদ্ধেটুদ্ধের সময় ও খুব বাজনা বাজতো। বন্দি ও চারণেরা গান গাইতেন।

    এইসব।
  • pi | 72.83.80.105 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:৪৮412307
  • ডিডিদা, প্রাচীন ভারতের এই 'শাস্ত্রীয় সঙ্গীত' টা কীরকম ছিল ? মানে, আমাদের এখনকার প্রচলিত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ফর্ম, ধ্রুপদ, খেয়াল, এসব তো কিছুই ছিলোনা। তাহলে ?
  • dd | 122.172.182.108 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:৫০412308
  • ঐ যে কইলাম, রাজ্যেশ্বর মিত্রের বইটা পড়ে ন্যাও। উনি পাতার পর পাতা লিখেছেন।
  • pi | 72.83.80.105 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:০২412309
  • সে আর এখেনে বসে পাবো কই !
  • nyara | 209.118.182.75 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:৪৬412310
  • অমর্ত্যবাবুর দাদুর 'বৈদিক সঙ্গীত' বলে একটা বই আছে। সেটাও দেখা যেতে পারে।
  • Shibanshu | 117.195.132.20 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:১১412311
  • 'সামবেদীয় চারতুক ধ্রুপদ' এই আখ্যাটি, যা আমার আগের ডাকে আছে, তা টেকনিকালি স্বীকার্য নয়। কারণ লেখাটি সংক্ষিপ্ত করার তাড়নায় আমি প্রায় হাজার দুই বছরের সময়কালকে জিপ করে দিয়েছিলাম। রসজ্ঞ বন্ধুরা তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন দেখে আনন্দ হলো। আসলে এখানে বিশদ হবার অবকাশ এতই স্বল্প যে এ জাতীয় দ্রুত সমাপতন ঘটাতে হয়। আমি মার্জনাপ্রার্থী।

    এই মূহুর্তে আমার আকরগ্রন্থ হিসেবে তিনটি বইয়ের উল্লেখ করছি।
    . প্রাচীন ভারতের সংগীত চিন্তা: অমিয় নাথ সান্যাল
    . হিন্দু সংগীত: প্রমথ চৌধুরী ও ইন্দিরা দেবী
    . ভারতে হিন্দু-মুসলমানের যুক্ত সাধনা: ক্ষিতি মোহন সেন
    এই সব মহারথীর বক্তব্য যথাসম্ভব সংক্ষেপে বলি,
    বৈদিক যুগে সামগান লোকসংগীতের মতো ছিলো। ঋগ্বেদীয়রা সামগানকে পেচক-শৃগাল-কুকুর-গাধার ডাকের সঙ্গে তুলনা করতো। লক্ষ্যনীয় হীনযানী (sub altern) সমাজদৃষ্টি সেই সময় থেকেই মূলস্রোতের অংশ ছিলো।
    বৈদিক যুগের অবসান কালীন সময়ে বেদপন্থী মুনিঋষি ও অপর ধর্মবিশ্বাসী, যেমন বৈষ্ণব বা জৈন, তাদের মধ্যে ভাগবত সংগীতের উত্তরাধিকার নিয়ে ঘোর অশান্তি দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত রফা হয় শূদ্র ও নারীদের ভাগবত গীত গাওয়ার অধিকার দেওয়া হবে, কিন্তু ব্রাহ্মণ বা অন্যান্য উচ্চবর্ণীয়রা যদি ঐ সব ভাগবতগীত গায় তবে প্রাণদন্ড বা নির্বাসন দন্ড দেওয়া হবে। এই তথাকথিত ভাগবতসংগীত, সামগানের মতই সমাজের ইতরবর্গ ও নারীদের মাধ্যমেই পরবর্তী প্রজন্মদের কাছে বিকশিত হয়েছে। এটাও জানা যাচ্ছে, বাঘা বাঘা মুনিঋষি, মতঙ্গ, নারদ, ভরত, দাত্তল প্রমুখের সংগীতশিক্ষা শূদ্র ও নারীদের কাছেই হয়েছিলো। এই মুনিদের যুগ শেষ হবার পর আচার্যদের যুগ আসে। এই সময়েরি মানুষ শার্ঙ্গদেব। তিনি ভারতীয় সংগীতের প্রথম মৌলিক আকর গ্রন্থ সঙ্গীতরত্নাকর রচনা করেন ১২১০ থেকে ১২৪৭ খ্রিষ্টাব্দে। এই গ্রন্থেই প্রথম ভারতীয় সংগীতে মুসলিম প্রভাবের উল্লেখ পাওয়া যায়। হিন্দু সংগীত গ্রন্থে বলা হচ্ছে মুসলিমরা আসার আগে থেকেই ভারতের উত্তরপশ্চিমে চারতুক ধ্রুপদের প্রচলন ছিলো। আবার আচার্য ক্ষিতিমোহন বলছেন সুলতান হুসেন ও সুলতান আলাউদ্দিনের সময় ভারতীয় লোকসংগীতকে কেন্দ্র করে আমির খুসরো 'ধ্রুপদের গোড়া পত্তন করেন'( ১২৯৬-১৩১৬ খ্রিষ্টাব্দ)। পুনশ্চ আইন-ই-আকবরি বলছে হুমায়ুনের রাজত্বকালীন গোয়ালিয়ারের রাজা মানসিং তোমর ঐ অঞ্চলের প্রচলিত লোকগীতকে সংস্কার করে চার তুক ধ্রুপদের প্রচলন করেন (১৫০৬-১০)। সামবেদে 'ধ্রুপদ' শব্দ বা শৈলীর উল্লেখ পন্ডিত সমাজ খুঁজে পাননি। এই গীতপন্ডিতদের মধ্যে আছেন ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী, শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর, কৃষ্ণধন বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ দিগ্গজেরা। মুঘল আমলের যুগন্ধর কলাবন্তরা, যেমন, তানসেন, নায়ক গোপাল, বৈজু বাওরা, দুন্দি খান কেবল ধ্রুপদই রচনা করতেন ও গাইতেন। বিখ্যাত সংগীতবেত্তা কৃষ্ণধন বন্দোপাধ্যায় তাঁর গীত সূত্রসার গ্রন্থে জানিয়েছেন খেয়াল গান, যাকে কুলীন উস্তাদ সমাজ সম্মান করতেন না তার লৌকিক উৎসের কারণে, তাকে জৌনপুরের নবাব সুলতান হোসেন জাতে তুলেছিলেন মহম্মদ শাহ রঙ্গিলা এবং সদারঙ্গ অদারঙ্গের আগেই।

    ভরত মুনি লিখেছেন, সংগীতের দুটি ভাগ আছে, মার্গ ও দেশি। ব্রহ্মা মার্গসংগীতকে চতুর্বেদ থেকে আহরণ করেছে। বৈদিক পূজায় গীত সংগীতকে 'আভ্যুদয়িক' বলা হয়েছে, যার উপর সবার অধিকার নেই এবং তাকে অনধিকারীর থেকে গোপন রাখা হতো। এর 'আভিচারিক' নামেরও একটি প্রকারান্তর ছিলো। এই সংগীতের চর্চা করলে ইহকাল ও পরকালে নানান কল্যানসাধন হয়। এই আভ্যুদয়িক বা আভিচারিক সংগীত বস্তুত ঋগ্বেদীয় গান, যা সামগান থেকে পৃথক ছিলো এবং ব্রাহ্মণ ও অভিজাতদের কুক্ষীগত ছিলো। যেহেতু এই জাতীয় সংগীতে সকলের অধিকার ছিলোনা তাই সেই সময় 'দেশি' সংগীত জনপ্রিয় ছিলো এবং বহুজনের যোগদানে তার উৎকর্ষ সাধন হতো। সৌন্দর্যতঙ্কেÄর দিক দিয়ে তার মূল্য স্বীকার করে রত্নাকর ও বৃহদ্দেশী বিশদ আলোচনা করেছে। আবুল ফজলের মতে ধ্রুপদ দেশি রীতির সংগীত, মার্গ সংগীত নয়।

    আচার্য ক্ষিতিমোহন বলছেন মুসলিম পরবর্তী ভারতীয় সংগীত ষড়জগ্রামীন এবং দ্বাদশস্বরাত্মক। প্রাক-মুসলিম যুগের সংগীত পদ্ধতি এখনও সামান্য বেঁচে আছে কর্নাটিক সংগীত শৈলীতে। আমির খুসরোর জন্মের আগে রচিত সঙ্গীতরত্নাকরে তুরস্ক তোড়ি ও তুরস্ক গৌড় রাগের উল্লেখ আছে।

    এই অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এটাই প্রতীত করতে চাইছি ধ্রুপদ বা খেয়াল শৈলী বস্তুত লোকগানের আধারেই সৃষ্টি হয়েছিলো, যার গোড়াপত্তন হয়েছিলো অনভিজাত সামগানের লৌকিক সৃজনশীলতায়, শূদ্র ও নারীদের যোগদানে।

    ইরান ও মধ্য প্রাচ্য থেকে স্থলপথে যেসব বাণিজ্যিক সম্ভার আসতো কান্দাহার, হিরাট প্রমুখ প্রদেশ হয়ে, সেই সব প্রদেশের উট আরোহীদের লোকগান ছিলো আদি টপ্পা। উটের যে দোলায়িত চলন, টপ্পার তালে তারই প্রভাব পড়েছে। সেই সব কারওয়াঁ পঞ্জাব হয়ে ভারতের মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করতো এবং সেই সূত্রেই পঞ্জাব থেকেই আমাদের দেশে টপ্পার প্রচলন দেখতে পাই।

    এবার থামা যাক।
  • kallol | 124.124.93.205 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:২০412312
  • একটু বিষয়ন্তর। যারা দিল্লী বা তার আশেপাশে থাকো। বা যারা রাজস্থানে কোথাও বেড়াতে যাবে বলে ঠিক করেছো।
    যদি সম্ভব হয় আলোয়ার ঘুরে এসো। দিল্লী থেকে জয়পুরগামী সব ট্রেনই থামে। দিল্লী আর জয়পুরের ঠিক মাঝখানে। এমনিতে আলোয়ার রাজস্থানের দ্রষ্টব্য শহরের তালিকায় নীচের দিকে। কিছুই নাই। একটা কেল্লা, তাতে ঢোকা যায় না। একটা মিউজিয়াম, বেশ আগোছালো। কিন্তু তাতে অসাধারণ কিছু ছবি (পেইন্টিং) আছে। আছে রাগমালা চিত্র। অনেক রাগের নামে ছবি আছে, যে রাগগুলোর কথা আমি কোন দিন শুনিনি।
    আর হ্যাঁ, সারিস্কা যেতে গেলে আলোয়ার হয়েই যেতে হয়। প্রচুর নীলগাই, বড়াশিঙ্গা, চিত্রল, ময়ূর আর কপাল ভালো থাকলে লেপার্ড, আর হনুমানের সাথে ভীমের দেখা হওয়ার জায়গা।

  • de | 59.163.30.6 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:২৮412313
  • অসাধারণ লাগছে শিবাংশুদা, আরো লিখুন! দ্বাদশস্বরাত্মক বুঝলাম, ষড়জগ্রামীণ কথাটার মানে বুঝলাম না। আর কাওয়ালি, গজল, ঠুমরি এই ধারা গুলো নিয়েও যদি একটু বিষদে লেখেন -- খুব ভালো লগাবে!
  • ranjan roy | 122.168.16.177 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৩০412315
  • বলেছিলাম না? বলেছিলাম না যে সুরুতে শিবাংশু এসেছে, এবার সাংগীতিক চর্চা একটা আলাদা মাত্রা পাবে?
    দেখলেন তো? বুড়োদের কথা হেলাফেলা করতে নেই।
    আমার নিবেদন কেসি-শিবাংশু-পাই-ন্যাড়া-কল্লোল মিলে এমন আনন্দদায়ক সিম্ফনি শুরু করেছেন যে শেষ হলে এডিট করে ছাপাগুরুতে তোলা হলে মন্দ হয় না।
  • ranjan roy | 122.168.16.177 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৩১412316
  • সরি! ""সুরুতে'' নয়, ""গুরু''তে।
  • kallol | 115.184.121.170 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৬:২৭412317
  • এই যে রঞ্জন, তুমিই বলো। শিবাংশুর লেখা নাকি ছাপার যোগ্য নয় - এটা গুরুর কারুর একজনের ধারনা (সম্পাদকেরা এই অভিযোগের পার্টি নয়)। কি বলা যায় তাকে?
  • Dipankar Basu | 59.94.72.197 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:১২412318
  • শিবংশু রাগের গায়ন কাল নিয়ে যে মতটাকে তুমি তুলে ধরেছ - অর্থাৎ ফুল ফুটুক,না ফুটুক আজ বসন্ত - কথাটাকে বোধ হয় একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবেনা। প্রকৃত রসবোধ সম্পন্ন দক্ষ কোন শিল্পীর পক্ষে এটা হয়ত অসম্ভব নাও হতে পারে। তেমন শিল্পী হয়ত সকাল সাতটার সময়ে বাগেশ্রী গেয়ে বা বাজিয়ে মধ্যরাতের আবহ সৃষ্টি করতে পারেন।
    আমার মনে হয় তানসেনের দীপক রাগ গেয়ে আগুন জ্বালান আর তার পর মেঘ রাগ গেয়ে বৃষ্টি নামানর যে লোক গাথা শোনা যায় সেটা এই ধারণা টাকেই পুষ্ট করে।
    আবার এটাও যে রাগরাগিণি গুলিতে স্বরের ব্যবহার যে রীতিতে করা হয়েছে তাতে একটা গোটাদিনের সময়চক্রের সঙ্গে মানুষের mood এর একটা সম্পর্ক অনুভব করা যায়। দিন গড়িয়ে যখন সন্ধ্যার দিকে এগোতে থাকে তকন কোমল স্বরের ব্যবহারের আধিক্যে সুর আপনা হতেই কেমন জানি নরম মোলায়েম হয়ে আসে আমার ধারণা ঐ সমকার রাগের কোমলগান্ধারের প্রয়োগেই এটা সম্ভব হয়। আবার সন্ধ্যাবেলার রাগগুলি শুদ্ধ গান্ধারের প্রয়োগে কেমন সতেজ ,লীলাচঞ্চল হয়ে ওঠে।
  • Shibanshu | 59.93.66.202 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:১২412319
  • বাবিদা, আবার একটা বিপুল বিষয়ের অবতারণা করলেন। সময়কাল ও ঋতুকালের সঙ্গে সংগীতের সাযুজ্য। উত্তর ভারতের মার্গ তথা লোক গীতের অত্যন্ত তৎপর সুরসময়ের বিভাজন রীতি, যা সুদীর্ঘকাল পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলশ্রুতি, এই পাতার পরিসরে কুলিয়ে যাবার নয়। এখন Music therapy নামক যে এক বিকল্প আরোগ্যবিজ্ঞানের শাখা গড়ে উঠছে, তার মূলে বিভিন্ন কম্পনাঙ্কের শব্দতরঙ্গ ও তাদের প্রতি আমাদের স্নায়বিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার হিসেবনিকেশ এক অতি বৃহৎ বিষয়।

    'ব্যাদে' বিশেষ না থাকলেও পরবর্তী কালে আমাদের দেশের 'নারী ও শূদ্র' অধ্যুষিত ঈর্ষনীয় সংগীত ধারা, যাকে বিভিন্ন আচার্যরা নথিবদ্ধ করেছেন মাত্র, মণি মুক্তোর অপার আকর। বিভিন্ন স্বর, শ্রুতি, পর্দা ও অন্যান্য সাংগীতিক কৌশল কীভাবে আমাদের মানসিকতাকে প্রভাবিত করে, পশ্চিম এখন তার বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ণ শুরু করেছে।
  • amit | 66.30.193.213 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:১৮412320
  • এই টই টা দেখে একটা প্রশ্ন করার ইচ্ছা হল। উত্তর পেলে খুব ভালো হয়। ""লাগি লগন পতি সখি সঙ্গ" (হংসধ্বনি) আর ""জয় মাতে বিলুম্ব তাজ দে'' (হংসধ্বনি) --- গান দুটো এ. কানন এর গলাতে শোনা গেছে ""মেঘে ঢাকা তারা'' সিনেমাতে। ""লাগি লগন পতি সখি সঙ্গ" গানটি রশিদ খাঁ এর গলাতেও ইউ টিউব এর দৌলতে সহজলভ্য,আর আমীর খাঁ এর গলাতে ""জয় মাতে বিলুম্ব তাজ দে'' গান টি আছে আমার কাছে। কিন্তু মুশকিল হল আমি শুনেছিলুম যে ""লাগি লগন পতি সখি সঙ্গ" গানটি আমীর খাঁ গেয়েছিলেন, সেটা আমি খুঁজে পাই নি। কারো কাছে এই গানটির কোন সোর্স জানা থাকলে একটু জানালে ভালো হয়। মানে কোনভাবে এটা পাওয়া সম্ভব কিনা আর কি।
  • Nina | 68.36.163.248 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:২৮412321
  • আমি আজ সারাদিন গান শুনে কাটিয়েছি। ইউটিউবে আমীর খান সাহেবের রাগ সাহানা ও তারপর লাগি লগন সখি আছে । সার্চে গানের নামটি ও আমীর খান সাহেবের নাম দিয়ে আজে্‌কই এটা শুনলাম--কি আশ্চর্য্য আমিও আজ এই গানটাই খুঁজছিলাম।
    অমিত, আশাকরি তুমিও পাবে ঐভাবে দেখ।
  • kc | 89.203.49.18 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:৪২412322
  • নিনাদি, লিংটা এখানে পোস্টাবেন? প্লিজ।
  • amit | 128.103.93.209 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৩৭412323
  • থ্যাঙ্কু নিনা দি ! kc, এখন ল্যাব এ, তাই শুনে দেখতে পারলুম না, বোধহয় এইটা

  • kc | 89.203.49.18 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:১১412324
  • অমিতবাবু, এটা নয়তো। ফার্স্ট পার্টে তো 'জয় মাতে ...' এমনকি সেকেন্ড পার্টেওতো ঐ তারানাটাই। :-(
  • Nina | 64.56.33.254 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:৩১412326
  • আমি এখন অফিসে। গতকাল যে লিঙ্কটা তে পেয়েছিলুম সেটাতে রাগ সাহানা ছিল আর # ২ তে এইটা। বেশিরভাগ সময় ওটা শুধু A T Kanan এর গাওয়া টারই দেয়, এই প্রথম আমীর খান সাহেবেরটা পেলুম। আমি MSN SEARCH এ জাস্ট লিখেছিলাম গানটার নাম আর উস্তাদ আমীর খান সাহেব,, তাইতে এইটা বেরিয়ে এল। আমি সেভ করিনি, খুব ভুল করেছি, আজ বাড়ি গিয়ে আবার দেখব তো।
    তোমরা কি পেলে?
    নিনাদি

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন